আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة ذي قرد

পৃষ্ঠা - ৩০২৬

তাদের পাকড়াও কর আর আমি হলাম আকওয়া তনয়,
আর আজকের দিনটা হলো নীচ প্রকৃতির লোকদের বিনাসের দিন ৷

অশ্ববাহিনী তার দিকে ছুটে এলে তিনি পিছিয়ে যেতেন ৷ সুযোগ পেলে তিনি পুনরায় ঘুরে
দীড়াতেন এবং তীর ছুড়তে ছুড়তে পুনরায় পুর্বোক্ত পংক্তি আবৃত্তি করবেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, তাদের কেউ একজন বলে উঠে; সে কি সারা দিন ধরে আমাদের উপর
হামলা চালাৰেন ? ইবন ইসহাক বলেনঃ ইবনুল আকওয়া এর আহ্বান শুান রাসুল করীম (সা)
মদীনায় বিপদ সংকেত দেন : বিপদ ! বি পদ ! ! তা শুনে মুসলিম ঘোড়সওয়হ্বররা তার নিকট চলে
আসেন ৷ সর্ব প্রথম রাসুলের কাছে পৌছেন মিকদাদ ইবনৃল আসওয়াদ ৷ তারপর আব্বাদ ইবন
বিশৃর , সাদ ইবন যায়দ এবং উসায়দ ইবন যহীর ৷ তার ব্যাপারে সন্দেহ আছে আরো পৌছেন
উক্কাশা ইবন মিহসান, বনু আমাদের মুহারিয ইবন নায্লা , বনু সালমার আবু কাবাহা হারিছ ইবন
রিবৃঈ এবং বনু সুরাইকের আবু আয়্যাশ উবায়দ ইবন যায়দ ইবন সা মিত ৷ তিনি আরো বলেন,
রাসুল করীম (না)-এর সমীপে তারা একত্র হলে সাদ ইবন যায়দকে তিনি তাদের আমীর নিযুক্ত
করে বললেন : দুশমনের খোজে বের হও; আমিও সদলবলে তোমাদের সঙ্গে যোগ দেবাে ৷

বনী যুরায়কের একাধিক ব্যক্তি থেকে আমি জানতে পাই যে নবী করীম (সা) আবুআয়্যাশকে
বলেছিলেন : হে আবুআয়্যাশ তুমি যদি তোমার ঘোড়াটি তোমার চাইতে দক্ষ অশ্বারােহীকে দান
করতে ! আর সে দুশমনের পেছনে ছুটতো (তাহলে কতইনা ভাল হতো ) ৷ আবু আয়্যাশ বলেন;
তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ আমি সবচেয়ে দক্ষ ঘোড়সওয়ার ৷ এরপর আমি ঘোড়া
ছুটালাম ৷ আল্লাহর কসম করে বলছি, আমি ৪০ গজও এগুতে পারিনি ঘোড়া আমাকে নিচে ফেলে
দেয় ৷ এতে আমি বিস্মিত হই ৷ বনুযুরায়কের কিছু লোক মনে করে যে, রাসুল করীম (সা) আবু
আয়্যাশের ঘোড়াটা মুআয ইবন মাইদ অথবা আইস ইবন মাইল ইবন কায়স ইবন খালদাকে
দিয়েছিলেন ৷ আর ইনি ছিলেন অষ্টম ঘোড়সওয়ার ৷ আবার কেউ কেউ সালামা ইবন আকওয়াকে
অষ্টম ঘোড়সওয়ার মনে করেন এবং বলেন যে, অশ্ব পৃষ্ঠ থেকে যাকে ফেলে দেয়, যে উসায়দ
ইবন য়হীর ৷ আসল ব্যাপার কি আর কে অষ্টম ছিলেন তা আল্পা ইে ভাল জানেন ৷ তিনি বলেন, ঐ
দিন সালামা ইবনুল আকওয়া ঘোড়ার সওয়ার ছিলেন না ৷ তিনি পদব্রজে ছুটে গিয়েই দুশমনের
সঙ্গে মিলিত হন ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, ঘোড়সওয়াররা বের হলেন ৷ এবং ছুটে গিয়ে
দৃশমনের নাগাল পেলেন ৷ আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা সুত্রে তিনি বলেন যে , সর্ব প্রথম যে
ঘোড় সওয়ার ছুটে গিয়ে দৃশমনের সঙ্গে মিলিত হন তিনি ছিলেন মুহরিম ইবন নাঘৃলা ৷ আর তাকে
আখরাম নামে অভিহিত করা হতো অথবা তাকে কুমায়র বলা হতো ৷ যে ঘোড়ার নওয়াব হয়ে
তিনি গমন করেন, তা ছিল মাহমুদ ইবন মাসৃলামার ৷ আর এই ঘোড়াকে বলা হতো যুল লুম্মা ৷
মুহ্রিম দৃশমনের কাছে পৌছে তাদেরকে বললেন : হে বনুলুকায়্যার লোকেরা ! তোমরা অপেক্ষা
কর; পেছন দিক থেকে মুহাজির আনসাররা এসে তোমাদের সাথে মিলিত হোন ৷ ইবন ইসহাক
বলেন, একথা শোনার পর দৃশমনদের একজন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে ৷ আর ঘোড়া
ছুটিয়ে চলে যায় , তাকে পাকড়াও করা যায়নি ৷ নিহত ব্যক্তির ঘোড়াটি ছুটে যায় এবং বনু আবদুল
আশহড়ালের বাগানে গিয়ে থামে ৷ এটাই ছিল মদীনায় তাদের আস্তাবল ৷ ইবন ইসহাক বলেন, যে


غَزْوَةُ ذِي قَرَدٍ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، فَلَمْ يُقِمْ بِهَا إِلَّا لَيَالِيَ قَلَائِلَ، حَتَّى أَغَارَ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيُّ، فِي خَيْلٍ مِنْ غَطَفَانَ عَلَى لِقَاحِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْغَابَةِ، وَفِيهَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي غِفَارٍ وَمَعَهُ امْرَأَتُهُ، فَقَتَلُوا الرَّجُلَ وَاحْتَمَلُوا الْمَرْأَةَ فِي اللِّقَاحِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَمَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ - كُلٌّ قَدْ حَدَّثَ فِي غَزْوَةِ ذِي قَرَدٍ بَعْضَ الْحَدِيثِ - أَنَّهُ كَانَ أَوَّلَ مَنْ نَذِرَ بِهِمْ سَلَمَةُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْأَكْوَعِ الْأَسْلَمِيُّ، غَدَا يُرِيدُ الْغَابَةَ مُتَوَشِّحًا قَوْسَهُ وَنَبْلَهُ، وَمَعَهُ غُلَامٌ لِطَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ مَعَهُ فَرَسٌ لَهُ يَقُودُهُ، حَتَّى إِذَا عَلَا ثَنِيَّةَ الْوَدَاعِ نَظَرَ إِلَى بَعْضِ خُيُولِهِمْ، فَأَشْرَفَ فِي نَاحِيَةِ سَلْعٍ، ثُمَّ صَرَخَ: وَاصَبَاحَاهُ. ثُمَّ خَرَجَ يَشْتَدُّ