আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة ذي قرد

পৃষ্ঠা - ৩০২৩

হিজরী ৬ষ্ঠ সনের ঘটনাবলী

বায়হার্কী (র) বলেন : বলা হয়ে থাকে যে, এ বছর মুহাররম মাসে মুহাম্মাদ ইবন মাসলামার
নেতৃত্বে নাজ্বদ অভিমুখে একটা বাহিনী প্রেরণ করা হয় ৷ এ অভিযানে তরা ছুমামা ইবন উছাল
ইয়ামানীকে বন্দী করে আনেন ৷ আমি বলি, কিন্তু ইবন ইসহাক (র) সাঈদ মাকব্ররী সুত্রে আবু
হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও এ বাহিনীতে শরীক ছিলেন ৷ অথচ তিনি হিজরত
করেন খায়বর বিজয়ের পর (হিজরী ৭ মাসে) সুতরাং এটা পরের ঘাষ্টুনা হতে পারে ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷ এটা এমন এক বছর যে বছরের প্রথম দিকে বনু লিহইয়ান যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷
এটাই বিশুদ্ধ মত ৷ আর বনু কুরায়য়াকে পরাজিত করার ঘটনা ঘটে যিলকাদের শেষ এবং
যিলহজ্জ মাসের প্রথম দিকে ৷ আর এ হজ্জ মুশরিকদের ততুাবধানে অনুষ্ঠিত হয় অর্থাৎ হিজরী
পঞ্চম সালে, ইতিপুর্বেও এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক (রা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যিলহ্জ্জ মুহাররম, সফর এবং রবিউল আউয়াল এবং রবিউছ ছানী মাস মদীনায়
অবস্থান করেন এবং বনু কুরায়যার অভিযানের ৬ মাসের মাথায় বনু লিহ্য়ান অভিমুখে অভিযানে
বের হন ৷ তিনি রাজী এর শহীদ থুবায়র এবং তার সঙ্গীদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য
বের হন ৷ বাহ্যিকভাবে তিনি প্রকাশ করেন যে, তিনি শাম দেশের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছেন,
যাতে অকন্মাৎ তাদের উপর হামলা চালাতে পারেন, ইবন হিশাম বলেন, তিনি ইবন উম্মে
মাকতৃমকে মদীনায় প্রশাসকের দায়িত্বে নিযুক্ত করে যান ৷ মোট কথা, নবী করীম (সা) তাদের
আবাসন্থলের দিকে অগ্রসর হলে তারা পালিয়ে পাহাড়ের শীর্ষে গিয়ে নিজেদের সুরক্ষা করে ৷
এরপর রাসুল করীম (সা) উছফানের দিকে গমন করেন ৷ সেখানে একদল মুশরিকের সঙ্গে
সংঘাতে লিপ্ত হন এবং সেখানে সালাতৃল খাওফ আদায় করেন ৷ চতুর্থ হিজরী সনের ঘটনাবলীতে
যুদ্ধ বিষয়ে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ আর বায়হার্কী (র) ও এ ঘটনা সেখানেই আলোচনা
করেছেন ৷ তবে ইবন ইসহাক (র) যা উল্লেখ করেছেন, তা-ই বেশী যুক্তিযুক্ত ৷ আর তা হলো
এই যে, এ ঘটনাটি খন্দক যুদ্ধের পরের আর এটা প্রমাণিত যে, নবী করীম (সা) বনুলিহ্ইয়ানের ,
দিনে সেখানে সালাতুন খাওফ আদায় করেন ৷ তাই সে আলোচনা সেখানে হওয়াই যিধেয় ৷
মাপাযীর ইমাম (মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক)-এর অনুসরণ অনুসরণেই এটা হওয়া উচিৎ ৷ ইমাম
শাফিঈ (র) বলেন :


যে ব্যক্তি মাগাযী তথা যুদ্ধ বিগ্রহ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে চায়, তাকে মুহাম্মাদ ইবন
ইসহাকের উপর নির্জাশীল হতে হবে ৷ বনুলিহ্ইয়ান যুদ্ধ সম্পর্কে কাব ইবন মালিক (বা) বলেনঃ


[سَنَةُ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ] [غَزْوَةُ ذِي قَرَدَ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ سَنَةُ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: يُقَالُ: فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهَا كَانَتْ سَرِيَّةُ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ قِبَلَ نَجْدٍ، وَأَسَرُوا فِيهَا ثُمَامَةَ بْنَ أُثَالٍ الْيَمَامِيَّ. قُلْتُ: لَكِنْ فِي سِيَاقِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ شَهِدَ ذَلِكَ، وَهُوَ إِنَّمَا هَاجَرَ بَعْدَ خَيْبَرَ فَتُؤَخَّرُ إِلَى مَا بَعْدَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهِيَ السَّنَةُ الَّتِي كَانَ فِي أَوَائِلِهَا غَزْوَةُ بَنِي لِحْيَانَ، عَلَى الصَّحِيحِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ فَتْحُ بَنِي قُرَيْظَةَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَصَدْرٍ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ. وَوَلِيَ تِلْكَ الْحِجَّةَ الْمُشْرِكُونَ. يَعْنِي فِي سَنَةِ خَمْسٍ كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ: ثُمَّ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ ذَا الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمَ وَصَفَرٍ وَشَهْرَيْ رَبِيعٍ، وَخَرَجَ فِي جُمَادَى الْأُولَى عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ فَتْحِ قُرَيْظَةَ إِلَى بَنِي لِحْيَانَ يَطْلُبُ بِأَصْحَابِ الرَّجِيعِ خُبَيْبٍ وَأَصْحَابِهِ، وَأَظْهَرَ أَنَّهُ يُرِيدُ الشَّامَ لِيُصِيبَ مِنَ الْقَوْمِ غِرَّةً.