আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

تزويجه عليه السلام بزينب بنت جحش

نزول آية الحجاب

পৃষ্ঠা - ৩০১৯

দেখতে পেয়ে তারা বুঝতে পারেন যে, ব্যাপারটা রাসুলের নিকট কষ্টকর ঠেকেছে ৷ তারা
তাড়াতাড়ি বের হয়ে পড়েন ৷ তখন রাসুল করীম (সা) উপস্থিত হয়ে পদাটানিয়ে দেন এবং গৃহে
প্রবেশ করেন ৷ আমি তখন হুজরায় ৷ রাসুল (সা) স্বল্প সময় হুজরায় অবস্থান করেন ৷ এ সময়
আল্লাহ্ তাআলা কুরআন নাযিল করেন এবং নিম্নোক্ত আয়াত তলাওয়াত করতে করতে রাসুল
করীম (সা) ণ্ররিয়ে আসেন :

গ্লু,াৰু

)

(

আনাস (রা) বলেন৪ রাসুল করীম (সা) সকলের আগে এ আয়াতগুলো আমাকে পাঠ করে
শুনান এবং কালের বিবেচনায় আমিই এ আয়া তগুলোর সর্বপ্রথম শ্রোতা ৷ মুসলিম (র), তিবমিযী
(র) এবং নাসাঈ (র) এরা সকলেই সুলায়মান সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা কারছেন এবং র্তিরমিযী (র)
হাদীছটিকে হাসান-সহীহ্ বলে অভিহিত করেছেন ৷ অনুরুপভারে মুসলিম ও ভিন্ন সুত্রে হাদীছটি
বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী (র ) , তিরমিযী (র) এবং নাসাঈ (র) ও বিভিন্ন সুত্রে আবুল বাশার
আহমাসী কুফীর বরাতে আনাস (রা) থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং ইবন আবু হড়াতিম আবু
নাঘৃরা আল আবদীর বরাতে আনাস (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম ইবন জারীর (র)
আম্র ইবন সাঈদ সুত্রে এবং ইমাম যুহরী (র) আনাস (রা) সুত্রেও অনুরুপভারে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷

আমি বলি, যয়নব বিনত জাহাশ (রা) ছিলেন সর্বপ্রথম হিজরতকা রিণী ন ৷রীগণের অন্যতম

এবং তিনি প্রচুর দান খয়রাত করতেন ৷ তার পুর্ব নাম ছিল বাররা, নবী করীম (সা) তার নামকরণ

করেন যয়নব ৷ তার কুনিয়াত বা উপনাম ছিল উম্মুল হিকাম অর্থাৎ জ্ঞা নবুদ্ধির জননী ৷৩ তার
সম্পর্কে উম্মুল মু’মিনীন আইশা সিদ্দীকা (বা) মন্তব্য করেন :

ষ্ঠাং ষ্া ষ্

দীনের ক্ষেত্রে উৎকর্ষে, তাকওয়ড়ায়, সত্য ভাষণে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং
আমানতদারী ও দান থয়রাতের ক্ষেত্রে যয়নব বিনত জাহাশের চেয়ে উত্তম কোন রমণী আমি
কখনো দেখিনি ৷ বিশুদ্ধ প্রন্থদ্বয় অর্থাৎ বুখারী ও মুসলিমে প্রমাণিত হয়েছে এবং ইফ্ক তথা
অপবাদ আরোপের ঘটনা সম্পর্ক হাদীছে আসছে যে, আইশা (রা) বলেন ও

রাসুল করীম (সা) আমার সম্পর্কে যয়নবকে জিজ্ঞাসা করেন ৷ অথচ নবী করীম (না)-এর
ত্রীদের মধ্যে একমাত্র তিনিই আমার সাথে প্রতিদ্বজ্বিতা করতেন ৷ আল্পাহ্ ভীতির কারণে আল্লাহ্
তাকে রক্ষা করেছেন ৷ তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমিতো আমার চক্ষু কর্ণ হিফাযত
করছি ৷ তার সম্পর্কে ভাল ছাড়া কিছুইভাে আমার জানা নেই ৷

আর মুসলিম (ইবন হাজ্জাজ) তার সহীহ্ গ্রন্থে মাহমুদ ইবন পায়লান আইশা সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷


بَعَثَتْ بِهَذَا أُمُّ سُلَيْمٍ إِلَيْكَ، وَهِيَ تُقْرِئُكَ السَّلَامَ وَتَقُولُ: أَخْبِرْهُ أَنَّ هَذَا مِنَّا لَهُ قَلِيلٌ. فَنَظَرَ إِلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: " ضَعْهُ ". فَوَضَعْتُهُ فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ، ثُمَّ قَالَ: " اذْهَبْ فَادْعُ لِي فُلَانًا وَفُلَانًا ". فَسَمَّى رِجَالًا كَثِيرًا. قَالَ: " وَمَنْ لَقِيتَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ " فَدَعَوْتُ مَنْ قَالَ لِي، وَمَنْ لَقِيتُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَجِئْتُ وَالْبَيْتُ وَالصُّفَّةُ وَالْحُجْرَةُ مَلْأَى مِنَ النَّاسِ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا عُثْمَانَ، كَمْ كَانُوا؟ قَالَ: كَانُوا زُهَاءَ ثَلَاثِمِائَةٍ. قَالَ أَنَسٌ: فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " جِئْ بِهِ ". فَجِئْتُ بِهِ إِلَيْهِ، فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهِ وَدَعَا، وَقَالَ: " مَا شَاءَ اللَّهُ " ثُمَّ قَالَ: " لِيَتَحَلَّقْ عَشَرَةٌ عَشَرَةٌ وَيُسَمُّوا، وَلْيَأْكُلْ كُلُّ إِنْسَانٍ مِمَّا يَلِيهِ ". فَجَعَلُوا يُسَمُّونَ وَيَأْكُلُونَ حَتَّى أَكَلُوا كُلُّهُمْ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْفَعْهُ ". قَالَ: فَجِئْتُ فَأَخَذْتُ التَّوْرَ فَنَظَرْتُ، فَمَا أَدْرِي أَهُوَ حِينَ وَضَعْتُهُ أَكْثَرَ أَمْ حِينَ رَفَعْتُهُ. قَالَ: وَتَخَلَّفَ رِجَالٌ يَتَحَدَّثُونَ فِي بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَزَوْجُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي دَخَلَ بِهَا مَعَهُمْ مُوَلِّيَةٌ وَجْهَهَا إِلَى الْحَائِطِ، فَأَطَالُوا الْحَدِيثَ، فَشَقُّوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ أَشَدَّ النَّاسِ حَيَاءً، وَلَوْ عَلِمُوا كَانَ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ عَزِيزًا، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجَ فَسَلَّمَ عَلَى حُجَرِهِ وَعَلَى نِسَائِهِ، فَلَمَّا رَأَوْهُ قَدْ جَاءَ ظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ ثَقَّلُوا عَلَيْهِ، ابْتَدَرُوا الْبَابَ فَخَرَجُوا، وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَرْخَى السِّتْرَ، وَدَخَلَ الْبَيْتَ وَأَنَا فِي الْحُجْرَةِ، فَمَكَثَ رَسُولُ اللَّهِ