আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

تزويجه عليه السلام بزينب بنت جحش

قصة زينب مع زيد بن حارثة

পৃষ্ঠা - ৩০১২


স্মরণ কর, আল্লাহ যার প্ৰতি অনুগ্রহ করেছেন এবং তৃমিও যার প্ৰতি অনুগ্নহ করেছ, তুমি
তাকে বলছিলে তুমি তোমার শ্রীর সাথে সম্পর্ক বজায় বার এবং আল্লাহকে ভয় কর ৷ তুমি
তোমার অন্তরে যা গোপন করছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করছেন, তুমি লোক ভয় করছ; অথচ
আল্লাহকেই ভয় করা তোমার পক্ষে অধিকতর সংগত ৷ এরপর যায়দ যখন তার (যয়নবের) সঙ্গে
বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করলো ৷ তখন আমি তোমাকে তার সঙ্গে পরিণয় সুত্রে আবদ্ধ কঃলাম ৷ যাতে
মু’মিনদের পােষ্য পুক্রাণ নিজ ত্রীর সাথে বিবাহ সুত্র ছিন্ন করলে সেসব নারীকে বিবাহ করার
মু’মিনদের কোন বিব্ল না হয় ৷ আর আল্লাহর আদেশ কার্যকর হয়েই থাকে ৷ আল্লাহ মুমিনের জন্য
যা বিধিসম্মত করেছেন, তা করতে তার জন্য কোন বাধা নেই ৷ পুর্বে যেসব নবী অতীত হয়ে
গেছে, তাদের ক্ষেত্রেও এটাই ছিল আল্লাহর বিধান ৷ আল্লাহর বিধান নৃনির্ধারিত ৷ (৩৩ আহযাব :
৩ ৭ ৩৮)

এ সম্পর্কে আমরা তাফসীর গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করছি ৷ এখানে ধ্৷ ৷ ণ্ ৷ ব্লু;এ ৷

ব্ৰু,; অর্খাত্যার প্রতি আল্লাহ অনুগ্নহ করেছেন ৷ অর্থ রাসুল করীম (না)-এর আযাদকৃত গোলাম
যায়দ ইবন হারিসা ৷ ইসলাম দ্বারা আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন আর রাসুল করীম (সা)তীর
প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, তাকে মুক্ত করে এবং তীর কাছে আপন ফুফাংতা বোন যয়নব বিনৃত
জাহাশকে বিবাহ দিয়ে যুকাতিল ইবন হিব্বান বলেন : যায়দ ইবন হারিছা যয়নব বিনৃত জাহাশকে
মোহরানা হিসাবে ১০ দীনার ৬০ দিরহাম, ১টা দােপটো , একটি বড় চাদর, একটি জামা এবং ৬০
মুদ খেজুর দান করেন ৷ যয়নব যায়দের কাছে প্রায় এক বছর বা এক বছরের কিছু বেশী সময়
অবস্থান করেন, তারপর তাদের মধ্যে মনােমালিন্য সৃষ্টি হয়, স্বামী রাসুল করীম (না)-এর নিকট
অভিযোগ নিয়ে এলে রাসুল করীম (সা) তাকে বললেন : তৃমি তোমার শ্রীর সাথে সম্পর্ক বজায়
রাখ এবং আল্লাহ্কে ভয় ক্যা ৷ আল্লাহ্ বলেন, আর তুমি
অত্তার যা গোপন বহ্বছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করতে চান ৷ আলী ইবন হসইিন যয়নুল আবেদীন ও
সুদ্দী বলেন ঙ্ক অন্মোহ্ জানতেন যে, তিনি নবী করীম (না)-এর অন্যতম শ্রী হবেন ৷ এটাই ছিল
নবী করীম (না)-এর অত্তরে ৷ অতীত মনীষীদের অনেকে এখানে অনেক অদ্ভুত কধাবাতা
বশ্যেছন, এগুলো প্রশ্নক্লডীত নয় ৷ সেসব আমরা পরিহার করেছি ৷ আল্লাহ্তাআসা বলেন :

এে

(যায়দ যখন যয়নৰের সাথে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করলো তখন আমি তাকে তোমার সাথে
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দিলাম ৷) এটা এভাবে যে, যায়দ তাকে তশোক দিলেন, তার তালাক্যেশ্ব
ইদ্দত পুর্ণ হলে রাসুল করীম (সা) য়ণায়ীতি নিজে তাকে বিবাহ করার পয়পাম পাঠান এবং তিনি
নিজেই যয়নবকে বিবাহ করেন ৷ আর যিনি এ বিবাহ সম্পন্ন করিয়ে দেন তিনি হৰ্হ্মা ৰাবধুস্
অশোর্মীন নিজেই ৷ সহীহ বুখাৰীৰুত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে এ মর্মে হাদীহ বর্ণিত আছে ৷
হাদীহে উল্লেখ আছে :

যে তােমাদেরকে বিবাহ দিয়েছেন তোমাদের পরিবারের সোকজন অভিভাবকরা, আর আমার
বিবাহ সম্পন্ন করেছেন মহান আল্লাহ সপ্ত আকাশের উপরে যয়নব বিনত জাহাশ নবী করীম
(সা)এর অন্যান্য শ্রীদের উপর গৌরব করে একথা ৰশতেন ৷ ঈসা ইবন তুহমান সুত্রে অন্যেস
(বা)এর অপর এক বনািয় আছে :

৩৫

" مُسْنَدِهِ " تَرَكْنَا إِيرَادَهُ قَصْدًا؛ لِئَلَّا يَضَعَهُ بَعْضُ مَنْ لَا يَفْهَمُ عَلَى غَيْرِ مَوْضِعِهِ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ: {وَإِذْ تَقُولُ لِلَّذِي أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَأَنْعَمْتَ عَلَيْهِ أَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ وَاتَّقِ اللَّهَ وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللَّهُ مُبْدِيهِ وَتَخْشَى النَّاسَ وَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ تَخْشَاهُ فَلَمَّا قَضَى زَيْدٌ مِنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا لِكَيْ لَا يَكُونَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ حَرَجٌ فِي أَزْوَاجِ أَدْعِيَائِهِمْ إِذَا قَضَوْا مِنْهُنَّ وَطَرًا وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ مَفْعُولًا - مَا كَانَ عَلَى النَّبِيِّ مِنْ حَرَجٍ فِيمَا فَرَضَ اللَّهُ لَهُ سُنَّةَ اللَّهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِنْ قَبْلُ وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَقْدُورًا} [الأحزاب: 37 - 38] (الْأَحْزَابِ: 37 38) . وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، فَالْمُرَادُ بِالَّذِي أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ هَاهُنَا زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ بِالْإِسْلَامِ، وَأَنْعَمَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْعِتْقِ، وَزَوَّجَهُ بِابْنَةِ عَمَّتِهِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَ مُقَاتِلُ بْنُ حَيَّانَ: وَكَانَ صَدَاقُهُ لَهَا عَشَرَةَ دَنَانِيرَ وَسِتِّينَ دِرْهَمًا، وَخِمَارًا، وَمِلْحَفَةً، وَدِرْعًا، وَخَمْسِينَ مُدًّا مِنْ طَعَامٍ، وَعَشَرَةَ أَمْدَادٍ مِنْ تَمْرٍ، فَمَكَثَتْ عِنْدَهُ قَرِيبًا مِنْ سَنَةٍ أَوْ فَوْقَهَا، ثُمَّ وَقَعَ بَيْنَهُمَا، فَجَاءَ زَوْجُهَا يَشْكُوهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَهُ: " اتَّقِ اللَّهَ وَأَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ " قَالَ اللَّهُ: {وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللَّهُ مُبْدِيهِ} [الأحزاب: 37]