আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

قصة عمرو بن العاص مع النجاشي بعد وقعة الخندق

পৃষ্ঠা - ৩০০৩

আর আমি এ কাজ করলে কুরায়শররু দেখতে পারে যে, আমি মুহম্মেক্লোর দুতকে হত্যা করে
তাদের পক্ষ থেকেই কাজ করেছি ৷ তিনি বলেন, আমি নজােশীর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাকে
সিজ্বদা করি, যেমন আমি ইতিপুর্বে করতাম , নজােশী আমাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে জানতে চর্দ্রইলেন,
তোমার দেশ থেকে আমার জন্য কি কোন উপহার সামগ্রী এনেছ ? আমি বললাম : জহ্বহাপনা !
এসেছি বটে ৷ উপহার সামগ্রী হিসাবে আপনার জন্যে অনেক চামড়া নিয়ে এসেছি ৷ আমি কাছে
গিয়ে তা উপস্থাপন করলে তিনি তা খুব পসন্দ করেন এরপর আমি আরয করলাম, জহোপনা ৷
আমি এইমাত্র দেখতে পেলাম যে, জনৈক ব্যক্তি আপনার দরকার থেকে বেরিয়ে গেল ৷ সে
ল্যেকটি এমন এক ব্যক্তির দুত, যে আমাদের দৃশমন ৷ আপনি তাকে আমার হাতে ন্যস্ত করুন,
আমি অবশ্যই তাকে হত্যা করবো ৷ কারণ, যে আমাদের গণ্যমান্য ভদ্র ব্যক্তিদেরকে আহত ও
নিহত করেছে ৷ তিনি বলেন, এতে নাজাশী ক্ষুব্ধ হল এবং নিজ হস্তে আমার নাকে আঘাত
করেন ৷ এমন সাজারে আঘাত করেন, যাতে আমার ধারণা জণ্ন্ম যে , হয়তো আমার নাক ভেঙ্গে
(গছে ৷ এতে আমার মনের এমন অবস্থা দাড়ায় যে, মাটি ফেটে পেলে আমি তাতে প্রবেশ
করতাম ৷ অতঃপর আমি বললাম, জাহীপনা ৷ আমি যদি জানতাম যে, একথা আপনার পছন্দ
হবেনা তাহলে আমি এমন আবদার করতাম না, তারপর নাজাশী বললেন : তুমি কি এমন ব্যক্তির
দুতকে হত্যা করার জন্য আমার নিকট দাবী জানাচ্ছ, যার কাছে এমন ফেরেস্তা আগমন করেন,
যিনি আগমন করতেন মুসা (আ)-ন্এর নিকট ? আমি বললাম, জাহীপনা, সত্যিই কি তিনি এমন
মর্যাদাবান ? নাজাশী বললেন, হে আমৃর৷ দুঃখ তোমার জন্য, আমার কথা গােন এবং তার
আনুগত্য কর ৷ কারণ, আল্লাহর শপথ, তিনি অবশ্যই সতেদ্রর উপর রয়েছেন ৷ প্রতি পক্ষের উপর
তিনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন, যেমন মুসা ইবন ইমরান বিজয়ী হয়েছিলেন ফিরাউন এবং তার
বাহিনীর উপর ৷ আমি আরয করলাম আপনি কি তার জন্য আমার নিকট থেকে ইসলামের জন্য
বায়য়াত গ্রহণ করবেন প্ তিনি বললেন, হী ৷ অতঃপর তিনি হস্ত প্রসারিত করলে আমি তার হাতে
ইসলামের উপর বায়য়াত করলাম, আমি বের হয়ে বন্ধুদের নিকট আসলাম ৷ তখন আমার পুর্ব
মত পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু আমি বন্ধুদের নিকট আমার ইসলাম গ্রহণের কথা গোপন
রাখি ৷ এবং ইসলাম গ্রহণ করার অতিঃণয়ে রাসুল (সা)-এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে পড়ি ৷ খালিদ
ইবন ওয়ালীদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয় ৷ তিনি মক্কা থেকে আগমন করছিলেন আর এটা মক্কা
বিজয়ের পুর্বের কথা ৷ আমি বললাম , হে আবু সুলড়ায়মান ! কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা ? তিনি বললেন,
আল্লাহর কসম, পথতাে স্পষ্ট হয়ে গেছে, তিনিতাে আল্লাহর নবী (সা) আর আমিতাে যাচ্ছি
ইসলাম গ্রহণ করার জন্য ৷ তাহলে আর কতকাল ইতস্তত করে কাটাবাে ? আমি বললাম, আল্লাহর
কসম , আমিওতে৷ এসেছি ইসলাম গ্রহণ করার জন্যই ৷ তাই আমরা মদীনায় নবী করীম (না) এর
খিদমতে উপস্থিত হলাম ৷ আমার পুর্বেই খালিদ ইবন ওলীদ এগিয়ে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷
তিনি বায়আত করলে আমি নিকটে গিয়ে বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি আমার অপরাধসমুহ
ক্ষমা করবেন এ শর্তে আমি আপনার নিকট বায়আত করছি ৷ ভবিষ্যৎ গুনাহের কথা আমি
বলছিনা ৷ তখন রাসুল (সা) বললেন : হে আমর ! তুমি বায়আত কর; কারণ, ইসলাম অতীত পাপ
মােচন করে , আর হিজরত অতীত পাপ মােচন করে ৷ তিনি বলেন, অতঃপর আমি বায়আত করে
চলে আসি ৷ ইবন ইসহাক (ব) বলেন, আমার আস্থাভাজন এমন রাবী আমাকে জানিয়েছেন,


أَذْهَبُ وَاللَّهِ فَأُسْلِمُ، فَحَتَّى مَتَى؟ قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ مَا جِئْتُ إِلَّا لِأُسْلِمَ. قَالَ: فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَقَدَّمَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَأَسْلَمَ وَبَايَعَ، ثُمَّ دَنَوْتُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أُبَايِعُكَ عَلَى أَنْ تَغْفِرَ لِي مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِي، وَلَا أَذْكُرُ مَا تَأَخَّرَ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا عَمْرُو، بَايِعْ فَإِنَّ الْإِسْلَامَ يَجُبُّ مَا كَانَ قَبْلَهُ وَإِنَّ الْهِجْرَةَ تَجُبُّ مَا كَانَ قَبْلَهَا " قَالَ: فَبَايَعْتُهُ ثُمَّ انْصَرَفْتُ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ حَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ كَانَ مَعَهُمَا، أَسْلَمَ حِينَ أَسْلَمَا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الزِّبَعْرَى السَّهْمِيُّ: أَنْشُدُ عُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ حِلْفَنَا ... وَمُلْقَى نِعَالِ الْقَوْمِ عِنْدَ الْمُقَبَّلِ وَمَا عَقَدَ الْآبَاءُ مِنْ كُلِّ حِلْفَةٍ ... وَمَا خَالِدٌ مِنْ مِثْلِهَا بِمُحَلَّلِ أَمِفْتَاحَ بَيْتٍ غَيْرِ بَيْتِكَ تَبْتَغِي ... وَمَا تَبْتَغِي مِنْ بَيْتِ مَجْدٍ مُؤَثَّلٍ فَلَا تَأْمَنَنَّ خَالِدًا بَعْدَ هَذِهِ ... وَعُثْمَانَ جَاءَا بِالدُّهَيْمِ الْمُعَضَّلِ قُلْتُ: كَانَ إِسْلَامُهُمْ بَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَذَلِكَ أَنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ كَانَ يَوْمَئِذٍ