আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

وفاة سعد بن معاذ

পৃষ্ঠা - ২৯৫৯

-কে যাতায় নিক্ষেপে হত্যা করেছিল ৷ একারণে রাসুল করীম (না) তাকে হত্যা করেন ৷ ইবন
ইসহাক অন্যত্র এ মহিলার নাম উল্লেখ করেছেন নাবাতা বলে ৷ সে ছিল হাকাম আল-কুরয়ীর ত্রী ৷

ইবন ইসহাক আরো বলেন : রাসুল করীম (সা) খুমুস তথা এক পঞ্চমাৎশ বের করার পর
বনু কুরায়যাব সম্পদ, নারী এবং সম্ভানদেরকে মুসলমানদের মধ্যে বন্টন করে দেন ৷ তিনি
অশ্বারােহীর জন্য তিন অংশ দু’ অংশ অশ্বের আর একাৎশ অশ্বারােহীর এবং একাৎশ করে
পদাতিকের দান করেন ৷ তখন অশ্ব ছিল ৩৬ টি ৷ ইবন ইসহাক বলেন, এই প্রথম বারের মতো
গনীমতের মালে দৃই অংশ দান ও খুমুস বা এক-পঞ্চমাংশ সংরক্ষণের রীতি প্রবর্তিত হয় ৷

ইবন ইসহাক আরো বলেন, রাসুল করীম (সা) বনুকুরায়যার বন্দীদ্ভ:দরকে সাযা দিয়ে সাঈদ
ইবন যায়দকে নাজ্বদে প্রেরণ করে তার বিনিময়ে অশ্ব ও অস্ত্র ক্রয় করেন ৷ রাসুল করীম (সা ) বনু
কুরায়যাব নারীদের মধ্যে রায়হানা বিনৃত আমৃর ইবন খানাকাকে নিজের জন্য পসন্দ করেন ৷ এ
মহিলাটি ছিলেন বনু আমৃর ইবন কুরায়যা গোত্রের ৷ তিনি আন্ভ্যু রাসুল করীম (না)-এর
মালিকানাধীন ছিলেন ৷ রাসুল করীম (সা) তার কাছে ইসলাম পোপ করলে তিনি প্রথমে বিরত
থাকেন ৷ পরবর্তীতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ রাসুল করীম (সা) অত্যন্ত আনন্দিত হন ৷ তাকে
মুক্ত করে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলে তিনি রাসুলুল্লাহ্র সুবিধার কথা বিবেচনা করে একজন
দাসীরুপে থাকাই পসন্দ করেন ৷ রাসুল করীম (না)-এর ইনতিকাল পর্যন্ত তিনি তার কাছেই
ছিলেন ৷ তারপর ইবন ইসহাক খন্দক যুদ্ধের কাহিনী প্রসঙ্গে সুরা আহযাবের প্রথম দিকের আয়াত
সম্পর্কে আলোচনা করেন ৷ সুরা আহযাবের তাফসীরে এ বিষয়ে আমরা বিশদ আলোচনা করছি ৷
সমস্ত প্রশংসা আর সভুষ্টি আল্লাহর জন্য ৷

ইবন ইসহাক বলেন : বনু কুরায়যাব যুদ্ধের দিন মুসলমানদের মধ্যে খাল্লাদ ইবন সুওয়ায়দ
ইবন সালাবা ইবন আমৃর আল-খাষ্ৱাজী শাহাদত বরণ করেন ৷ এক মহিলা তার প্রতি যাতা
নিক্ষেপ করলে তিনি প্রচণ্ড আঘাত পান ৷ মুসলমানরা মনে করেন যে, রাসুল করীম (সা)
বলেছেন : হযরত খড়াল্লাদের জন্য রয়েছে দুজন শহীদের পুরস্কার ৷ আমি বলি : প্রস্তর নিক্ষেপকারী
মহিলা ছাড়া বনুকুরায়যার মধ্যে অন্য কোন নারীকে হত্যা করা হয়নি ৷ এ ঘটনা ইতিপুর্বেও উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বনু কুরায়যাব অবরোধকালে আবু সিনান ইবন মিহসান ইবন হুরসান
ইনতিকাল করেন এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয় ৷ ইনি ছিলেন বনুআসাদ ইবন খুযায়মার
লোক ৷ আজও সেখানেই তার কবর রয়েছে ৷

হযরত সা দ ইবন মুআয (রা)-এর ইনতিকাল

পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, অভিশপ্ত হিব্বান ইবন আরিকা সাদ ইবন মুআয (রা) এর
প্রতি তীর নিক্ষেপ করলে তা তার বাহুর প্রধান শিরায় বিদ্ধ হয় ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আগুন
দাণালে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় ৷ এসময় সাদ (রা) আল্লাহর দরবারে দুআ করেন যা ইতিপুর্বে
উল্লিখিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং বনু কুরায়যাব মধ্যেকার চুক্তিসমুহ তারা ভঙ্গ করে এবং
রাসুলুল্লাহ্র বিরুদ্ধে মুশরিক দলের প্রতি ঝুকে পড়ে ৷ সম্মিলিত কাফির বাহিনী যখন দুরে চলে যায়
এবং বনু কুরায়যা কালিমা লিপ্ত বদনে দুনিয়া ও আখিরাতের ক্ষয়ক্ষতিসহ নিজেদের আবাসন্থলে


[وَفَاةُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ] ٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ حِبَّانَ بْنَ الْعَرِقَةِ، لَعَنَهُ اللَّهُ، رَمَاهُ بِسَهْمٍ فَأَصَابَ أَكْحَلَهُ، فَحَسَمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيًّا بِالنَّارِ، فَاسْتَمْسَكَ الْجُرْحُ، وَكَانَ سَعْدٌ قَدْ دَعَا اللَّهَ أَنْ لَا يُمِيتَهُ حَتَّى يُقِرَّ عَيْنَهُ مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ وَذَلِكَ حِينَ نَقَضُوا مَا كَانَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعُهُودِ وَالْمَوَاثِيقِ وَالذِّمَامِ، وَمَالُوا عَلَيْهِ مَعَ الْأَحْزَابِ، فَلَمَّا ذَهَبَ الْأَحْزَابُ وَانْقَشَعُوا عَنِ الْمَدِينَةِ وَبَاءَتْ بَنُو قُرَيْظَةَ بِسَوَادِ الْوَجْهِ وَالصَّفْقَةِ الْخَاسِرَةِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَسَارَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُحَاصِرَهُمْ، كَمَا تَقَدَّمَ، فَلَمَّا ضَيَّقَ عَلَيْهِمْ وَأَخَذَهُمْ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ أَنَابُوا إِلَى أَنْ يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَحْكُمَ فِيهِمْ بِمَا أَرَاهُ اللَّهُ، فَرَدَّ الْحُكْمَ فِيهِمْ إِلَى رَئِيسِ الْأَوْسِ، وَكَانُوا حُلَفَاءَهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَهُوَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ، فَرَضُوا بِذَلِكَ، وَيُقَالُ: بَلْ نَزَلُوا ابْتِدَاءً عَلَى حُكْمِ سَعْدٍ؛ لِمَا يَرْجُونَ مِنْ حُنُوِّهِ عَلَيْهِمْ وَإِحْسَانِهِ وَمَيْلِهِ إِلَيْهِمْ، وَلَمْ يَعْلَمُوا بِأَنَّهُمْ أَبْغَضُ إِلَيْهِ مِنْ أَعْدَادِهِمْ مِنَ الْقِرَدَةِ وَالْخَنَازِيرِ؛ لِشِدَّةِ إِيمَانِهِ وَصِدِّيقِيَّتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ فِي خَيْمَةٍ فِي الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، فَجِيءَ بِهِ عَلَى حِمَارٍ