আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

غزوة بني قريظة

পৃষ্ঠা - ২৯৪২

§ :


বহে ঈমানদ৷ ৷রগণ ! তোমরা জেনেশুনে আল্লাহ ও তার রাসুলের সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করবে না

ৎতােমরা পরস্পরের আমানত সম্পর্কেও বিশ্বাস ভঙ্গ করবে না এবং তোমরা জেনে রাখবে
যে, তোমাদের ধ্ন-সম্পদ আর সন্তান-সম্ভতিভাে এক পরীক্ষা মাত্র এবং ন্মাল্লাহ্রই নিকট রয়েছে
মহা পুরস্কার ৷ (আনফাল : ২৭-২৮) ৷

ইবন হিশাম বলেন : তিনি ৬ রাত পর্যন্ত খুটির সঙ্গে বাধা ছিলেন ৷ এ সময় নামাযের ওয়াক্ত
হলে তার ত্রী উপস্থিত হয়ে বন্ধন খুলে দিতেন ৷ তিনি উয়ু করে নামায আদায় করে পুনরায়

নিজেকে বেধে ফেলতেন ৷ শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ তার তাওবা কবুল করে আয়াত নাযিল
করলেন

১৷ ৷ ৰুন্ছুন্ঠুছুট্রু: ৷ ট্রু,ট্রুঠুট্রুাট্রু
#
আর অপর কতক লোক নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে ৷ তারা এক সৎ কমের
সাথে অসৎ কম মিশ্রিত করেছে ৷ আল্লাহ হয়তো তাদেরকে ক্ষমা করবেন ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা
ক্ষমাশীল পরম দয়ালু (৯ তাওবাং : ১০২) ৷ পক্ষাম্ভরে মুসা ইবন উক্বা বলেন যে, তিনি খুটির
সঙ্গে ২০ দিন বাধা ছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ ইবন ইসহড়াক উল্লেখ করেন যে, আল্লাহ
তাআলা রাসুল করীম (সা) এর উপর আবুলুবাবার তাওব৷ কবুলের আয়াত নাযিল করেন রাতের
শেষ প্রহরে ৷ এ সময় রাসুল করীম (সা) হযরত ৩উষ্মে সালামার ঘরে ছিলেন ৷ আয়া৩ টি নাযিল
হলে নবী করীম (সা) মুচকি হ সতে লাগলেন ৷ উম্মে সালামা (রা)-এর কারণ জিজ্ঞেস করলে নবী
করীম (সা) তাকে জানান যে, মহান আল্লাহ আবু লুবাবার তাওব৷ কবুল করেছেন ৷ তিনি আবু
লুবাবাকে এ সুসংবাদ দানের জন্য রাসুল করীম (সা) এর নিকট অনুমতি চাইলে রাসুল (সা)
তাকে অনুমতি দান করেন ৷ উম্মে সালামা বের হয়ে আবু লুবাবাকে এ সংবাদ দান করলে
লোকেরাও ছুটে আসে সুসংবাদ দানের জন্য ৷ লোকেরা তাকে বন্ধন মুক্ত করতে চাইলে তিনি
বললেন : আল্লাহর কসম ! রাসুল করীম (সা) ছাড়া আর কেউই আমাকে বন্ধন মুক্ত করবেন না ৷
রাসুল করীম (সা) ফ্জরের সালাতের জন্য বের হয়ে তাকে বন্ধন মুক্ত করলেন ৷ মহান আল্লাহ
তার প্ৰতি প্ৰসন্ন হোন এবং তাকে প্ৰসন্ন রাখুন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : সালাবা ইবন সাইয়াহ ও উসায়দ ইবন সাইয়া এবং আসাদ ইবন
উবায়দ এরা বনুকুরায়যা বা বনুনযীরের লোক ছিলেন না; বরং এরা ছিলেন বনুছুহালের অম্ভভুক্তি ৷
এদের বংশধারা আরো উপরে পৌছেছে ৷ এরা ছিলেন ওদের জ্ঞাতি ভাই ৷ রাসুল করীম (সা)-এর
নির্দেশক্রমে যে রাত্রে বনু কুরায়যাকে দুর্গ থেকে বের করা হয় সে রাত্রে এরা ইসলাম গ্রহণ


وَقَوْلُ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ: إِنَّهُ مَكَثَ عِشْرِينَ لَيْلَةً مُرْتَبِطًا بِهِ، أَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ تَوْبَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ وَهُوَ فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ فَجَعَلَ يَبْتَسِمُ فَسَأَلَتْهُ أُمُّ سَلَمَةَ، فَأَخْبَرَهَا بِتَوْبَةِ اللَّهِ عَلَى أَبِي لُبَابَةَ، فَاسْتَأْذَنَتْهُ أَنْ تُبَشِّرَهُ، فَأَذِنَ لَهَا فَخَرَجَتْ فَبَشَّرَتْهُ، فَثَارَ النَّاسُ إِلَيْهِ يُبَشِّرُونَهُ، وَأَرَادُوا أَنْ يَحِلُّوهُ مِنْ رِبَاطِهِ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا يَحِلُّنِي إِلَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ حَلَّهُ مِنْ رِبَاطِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ ثَعْلَبَةَ بْنَ سَعْيَةَ، وَأُسَيْدَ بْنَ سَعْيَةَ، وَأَسَدَ بْنَ عُبَيْدٍ - وَهُمْ نَفَرٌ مِنْ بَنِي هَدْلٍ، لَيْسُوا مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ وَلَا النَّضِيرِ - نَسَبُهُمْ فَوْقَ ذَلِكَ، هُمْ بَنُو عَمِّ الْقَوْمِ، أَسْلَمُوا فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ الَّتِي نَزَلَتْ فِيهَا قُرَيْظَةُ عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَرَجَ فِي تِلْكَ عَمْرُو بْنُ سُعْدَى الْقُرَظِيُّ، فَمَرَّ بِحَرَسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِمْ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، فَلَمَّا رَآهُ قَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَنَا عَمْرُو بْنُ سُعْدَى. وَكَانَ عَمْرٌو قَدْ أَبَى أَنْ يَدْخُلَ مَعَ بَنِي قُرَيْظَةَ فِي غَدْرِهِمْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: لَا أَغْدِرُ بِمُحَمَّدٍ أَبَدًا.