আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

غزوة بني قريظة

পৃষ্ঠা - ২৯৪০

পরিচয় দেখতে পাও, ইনি হলেন যে ব্যক্তি তার প্রতি ঈমান আমার মাধ্যমে তোমরা নিজেদের
জীবন, সম্পদ, সন্তান এবং নারীদের নিরাপত্তা লাভ করতে পার ৷ একথা শুনে তারা বলে উঠলো :

আমরা কখনো তাওরাতের বিধান ত্যাগ করবােনা , এবং তার পরিবর্তে অন্য কোন বিধান যেনেও
নেবাে না ৷

(২) কাব বলল : তোমরা এটা মেনে নিতে অস্বীকার করলে এসো , আমরা আমাদের সন্তান
আর নারীদেরকে হত্যা করি এবং উন্মুক্ত তরবারি হাতে মুহাম্মাদ ও তার সঙ্গীদের উপর ঝাপিয়ে
পড়ি ৷ পেছনে কোন বোঝা রেখে যাবো না, যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাআলা আমাদের আর মুহস্ফোদের
মধ্যে মীমাংসা করে দেন ৷ ধ্বংসই যদি আমাদের ভাগ্যে থাকে তা হলে আমরা এমনভাবে ধ্বংস
হব যে, আমাদের পেছনে কোন বংশধর ছেড়ে যাবো না, যাদের জন্য আমাদের আশংকা থাকবে ৷
আর যদি আমরা জয়ী হই তাহলে জীবনের শপথ করে বলছি, তাহলে নিশ্চিত আমরা নতুনভাবে
নারী এবং সন্তান লাভ করবো ৷ একথা শুনে তারা বলে উঠা:লা- আমরা কি এ অসহায়দেরকে
অকারণে হত্যা করবো ? এরপর জীবনের স্বাদ বলে কী আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে ?

(৩) কাব বলল : তোমরা যদি এটাও মেনে নিতে অস্বীকার কর তবে আজকের রাত তো
শনিবার রাত ৷ হয়তো মুহাম্মাদ আর তার সঙ্গীরা এ রাতে আমাদের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকবেন ৷
চলো, আমরা হামলা চালাই, মুহাম্মাদ এবং তার সঙ্গীদের উপর হয়তো আমরা অতর্কিত হামলা
চালাতে সক্ষম হবো ৷ তারা বললো , আমরা কি শনিবার দিনের অবমাননা করবো ? এদিনে আমরা
কি এমন কাণ্ড করবো , যা ইতিপুর্বে যে ব্যক্তিই করেছে তার অবয়ব বিকৃতি ঘটেছে বলে তুমি
নিজেও জানাে ৷ তখন সে বলল, তোমাদের কোন ব্যক্তির মায়ের গেট থেকে জন্মের পর সে
এমন বোকার মতো কখনো রাত্রি যাপন করেনি ৷ তারপর তারা রাসুল করীম (সা) এর নিকট এ
মর্মে বার্তা প্রেরণ করেন যে, বনু আমর ইবন আওফের আবু লুবাবা ইবন আবদুল মুনযিরকে
আপনি আমাদের নিকট প্রেরণ করুন ৷ বনুকুরায়যা ছিল আওস গোত্রের মিত্র পক্ষ ৷ তারা বললো৪
আমরা তার নিকট থেকে পরামর্শ গ্রহণ করবো ৷ নবী করীম (সা) তাকে প্রেরণ করলেন ৷ তাকে
দেখে লোকেরা দণ্ডায়মান হলো ৷ তাকে দেখেই নারী এবং শিশুরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ৷ এতে আবু
লুবাবার অন্তর বিপলিত হয় ৷ তারা বলে, হে আবু লুবাবা! তুমি কি মনে কর, আমরা কি
মুহস্ফোদের নির্দেশ মতো দুর্গ থেকে বেরিয়ে আসবাে ? আবু লুবাবা বললেন, হা ৷ তিনি তার
হাতের দ্বারা গলার দিকে ইঙ্গিত করে বুঝালেন, যে তাদের জবাই হতে হবে ৷ আবুলুবাবা বলেনঃ
যে আমার স্থান ত্যাগের পুর্বেই আমি বুঝতে পারি যে, আমি আল্লাহ তাআলা এবং তার রাসুলের
বিশ্বাস ভঙ্গ করেছি ৷ তারপর আবুলুবাবা রাসুল করীম (না)-এর নিকট আগমন না করে স্বেচ্ছা
প্ৰণোদিত হয়ে মসজিদের একটা খুটির সঙ্গে নিজেকে বেধে ফেলেন ৷ তিনি বললেন, আমি যা
করেছি যে জন্যে আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত আমি এ স্থান ত্যাগ করবো না ৷ তিনি
অঙ্গীকার করেন যে, আমি কখনো বনু কুরায়যার জনপদে পা রাখবাে না এবং সে জনপদে আমি
আল্লাহ ও তার রাসুলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি তাতে কখনো বিচরণ করবো না ৷

ইবন হিশাম , সুফিয়ান ইবন উয়ায়না, ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ এবং আবদুল্লাহ ইবন আবু
কাতাদা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন :


رِوَايَةِ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بِئْرٍ مِنْ آبَارِ بَنِي قُرَيْظَةَ مِنْ نَاحِيَةِ أَمْوَالِهِمْ يُقَالُ لَهَا: بِئْرُ أَنَّا. فَحَاصَرَهُمْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، حَتَّى جَهَدَهُمُ الْحِصَارُ، وَقَذَفَ اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ، وَقَدْ كَانَ حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ دَخَلَ مَعَهُمْ حِصْنَهُمْ، حِينَ رَجَعَتْ عَنْهُمْ قُرَيْشٌ وَغَطَفَانُ؛ وَفَاءً لِكَعْبِ بْنِ أَسَدٍ بِمَا كَانَ عَاهَدَهُ عَلَيْهِ فَلَمَّا أَيْقَنُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرُ مُنْصَرِفٍ عَنْهُمْ حَتَّى يُنَاجِزَهُمْ، قَالَ كَعْبُ بْنُ أَسَدٍ: يَا مَعْشَرَ يَهُودَ، قَدْ نَزَلَ بِكُمْ مِنَ الْأَمْرِ مَا تَرَوْنَ، وَإِنِّي عَارِضٌ عَلَيْكُمْ خِلَالًا ثَلَاثًا، فَخُذُوا بِمَا شِئْتُمْ مِنْهَا. قَالُوا: وَمَا هُنَّ؟ قَالَ: نُتَابِعُ هَذَا الرَّجُلَ وَنُصَدِّقُهُ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ تَبَيَّنَ لَكُمْ أَنَّهُ لَنَبِيٌّ مُرْسَلٌ، وَأَنَّهُ لَلَّذِي تَجِدُونَهُ فِي كِتَابِكُمْ، فَتَأْمَنُونَ بِهِ عَلَى دِمَائِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَأَبْنَائِكُمْ وَنِسَائِكُمْ. قَالُوا: لَا نُفَارِقُ حُكْمَ التَّوْرَاةِ أَبَدًا، وَلَا نَسْتَبْدِلُ بِهِ غَيْرَهُ. قَالَ: فَإِذَا أَبَيْتُمْ عَلَيَّ هَذِهِ، فَهَلُمَّ فَلْنَقْتُلْ أَبْنَاءَنَا وَنِسَاءَنَا، ثُمَّ نَخْرُجْ إِلَى مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ رِجَالًا مُصْلِتِينَ بِالسُّيُوفِ، لَمْ نَتْرُكْ وَرَاءَنَا ثَقَلًا حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مُحَمَّدٍ، فَإِنْ نَهْلِكْ نَهْلِكْ وَلَمْ نَتْرُكْ وَرَاءَنَا نَسْلًا نَخْشَى عَلَيْهِ، وَإِنْ نَظْهَرْ فَلَعَمْرِي لَنَجِدَنَّ النِّسَاءَ وَالْأَبْنَاءَ قَالُوا: أَنَقْتُلُ هَؤُلَاءِ الْمَسَاكِينَ؟! فَمَا خَيْرُ الْعَيْشِ بَعْدَهُمْ! قَالَ: فَإِنْ أَبَيْتُمْ عَلَيَّ هَذِهِ، فَاللَّيْلَةُ لَيْلَةُ السَّبْتِ، وَإِنَّهُ عَسَى أَنْ يَكُونَ مُحَمَّدٌ وَأَصْحَابُهُ قَدْ أَمِنُونَا فِيهَا، فَانْزِلُوا لَعَلَّنَا نُصِيبُ مِنْ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ غِرَّةً. قَالُوا: أَنُفْسِدُ سَبْتَنَا وَنُحْدِثُ فِيهِ مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيهِ مَنْ كَانَ قَبْلنَا إِلَّا مَنْ قَدْ عَلِمْتَ، فَأَصَابَهُ مَا لَمْ يَخْفَ عَنْكَ مِنَ الْمَسْخِ. فَقَالَ: مَا بَاتَ