আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

غزوة بني قريظة

পৃষ্ঠা - ২৯৩৯
২২৮ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

গোষ্ঠী ! এখন জবাব দাও ৷ মহানআল্লাহ্র পক্ষ থেকে তোমাদের উপর লাঞ্চুনা নেমে এসেছে ৷
একদল মুসলিম বাহিনী নিয়ে র সুল করীম (সা) ইয়াহুদীদেরকে ১০ দিনের বেশী সময় অবরোধ
করে রাখলেন ৷ আল্লাহ তা আমার ইচ্ছা হুয়া ই ইবন আখতার উপস্থিত হয়ে বনু কুরায়যার
দুর্গে অ টকা পড়ে ৷ মহান আল্লাহ তাদের অন্তরে ভয়-ভীতির সঞ্চার করলেন ৷ এই অবরোধ
তাদের কাছে দুর্বিষহ ঠেকে ৷ এসময় তারা আনসারদের মিত্র আবু লবাবা ইবন আবদুল
মুনযিরকে চিৎক৷ ৷র করে ডাক দেয় ৷ তখন আবু লুবাবা বলেন রাসুল (সা) এর অনুমতি ৩ছাড়া
আমি তাদের কাছে যাব না ৷ তখন রাসুল করীম (সা) তাকে বলেন, আমি ওে তামাকে অনুমতি
দিলাম ৷ আবু লুবাবা তাদের নিকট উপস্থিত হলে তারা তাকে ঘিরে কাদাত কাদতে বলেং : হে
আবুলুবাবা ৷ ভুমি কী মনে কর আর আমাদেরকে কী করতে বল ? ৰুকারন্ন্া আমাদেরতাে লড়াই
ক র মত ক্ষমতা নেই ৷ তখন আবু লুবাবা হাতের আব্দুল দ্বারা গলার দিকে ইঙ্গিত করে বুঝান

, হত্যাই তাদের জন্যে অবধারিত ৷ আবু লুবাবা ফিরে এসে লজ্জিত হন এবং মনে করেন যে,
,তিনি গুরুতর অন্যায় করে ফেলেছেন ৷ তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, আমি অন্তর থেকে
খালিস তাওবা না করা পর্যন্ত রাসুল করীম (সা) এ-র চেহারা মুবারকের দিকে তাকাবাে না ৷ আর
আল্লাহ্ তাআলা আমার এই আান্তরিক তাওবাজ জানবেন ৷ তিনি মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং
মসজিদের একটা খাম্বার সাথে নিজেকে বেধে রাখেন ৷ ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন যে, তিনি প্রায়
২০ দিন এভাবে খুটির সাথে নিজেকে বেধে ব্লেখেছিলেন ৷ আবু লুবাবাকে অনুপস্থিত দেখে রাসুল
করীম (সা) বললেন, আবু লুবাবা কি মিত্রদের সঙ্গে কথাবাতা বলে এখনো ফিরে আসেনি ? আবু
লুবাবা যা করেছেন তা তাকে জানান হলে তিনি বললেন : আমার এখান থেকে যাওয়ার পর সে
ফ্যাসাদে পড়েছে ৷ সে আমার নিকট উপস্থিত হলে আমি তার জন্য আল্লাহর দরবারে
মাগফিরাত চাই৩াম ৷ যখন এ কাজটা সে করেই এসেছে তখন তার ব্যাপারে অাল্লাহ্র সিদ্ধান্ত না
আসা পর্যন্ত আমি তাকে তার স্থান থেকে সরাবাে না ৷ ইবন লাহিয়ার আবুল আসওয়াদ সুত্রে
উরওয়ার বরাতে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) তার মাগাযী গ্রন্থে যুহরী সুত্রে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু কুরায়যার একটা কুপের নিকট অবস্থান করেন ৷
এ কুপটি আন্না কুপ নামে পরিচিত ছিল ৷ এখানে তিনি বনু কুরায়যাকে ২৫ দিন পর্যন্ত অবরোধ
করে রাখেন ৷ এ অবরোধে তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠে এবং তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার হয় ৷ হুয়াই
ইবন আখতাবও তাদের সঙ্গে দুর্গে প্রবেশ করেছিল যখন কুরায়শ ও গাতফান গোত্রের লোকেরা
তাদের নিকট থেকে ফিরে গিয়েছিল ৷ হুয়াই এসেছিল কা’ব ইবন আসাদকে দেয়া তার প্রতিশ্রুতি
রক্ষার জন্যে ৷ যখন বনুকুরায়যার দৃঢ় বিশ্বাস জন্যে যে, রাসুল করীম (সা) তাদের সঙ্গে লড়াই না
করে ফিরে যাবেন না, তখন কাব ইবন আসাদ বলল, হে ইয়াহুদী সম্প্রদায় ! তোমাদের যে দশা
হয়েছে তাতো তোমরা দেখতেই পাচ্ছ ৷ আমি তোমাদের সম্মুখে তিনটি প্রস্তাব রাখছি ৷ এর মধ্য
থেকে তোমরা যেটি ইচ্ছা গ্রহণ করতে পার ৷ তারা রললাে : প্রন্তাবগুলো কী ? সে বললো (১)
আমরা এ ব্যক্তির আনুগত্য করবো এবং তাকে সত্য বলে মেনে নেবাে ৷ আল্লাহ্র কসম ৷
তোমাদের নিকট এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, তিনি অবশ্যই প্রেরিত নবী ৷ তোমরা তোমাদের গ্রন্থে যার


فَبَكَوْا إِلَيْهِ وَقَالُوا: يَا أَبَا لُبَابَةَ، مَاذَا تَرَى وَمَاذَا تَأْمُرُنَا، فَإِنَّهُ لَا طَاقَةَ لَنَا بِالْقِتَالِ. فَأَشَارَ أَبُو لُبَابَةَ بِيَدِهِ إِلَى حَلْقِهِ، وَأَمَرَّ عَلَيْهِ أَصَابِعَهُ، يُرِيهِمْ أَنَّمَا يُرَادُ بِكُمُ الْقَتْلُ. فَلَمَّا انْصَرَفَ أَبُو لُبَابَةَ سُقِطَ فِي يَدِهِ، وَرَأَى أَنَّهُ قَدْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ عَظِيمَةٌ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَنْظُرُ فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أُحْدِثَ لِلَّهِ تَوْبَةً نَصُوحًا، يَعْلَمُهَا اللَّهُ مِنْ نَفْسِي، فَرَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَرَبَطَ يَدَيْهِ إِلَى جِذْعٍ مِنْ جُذُوعِ الْمَسْجِدِ. وَزَعَمُوا أَنَّهُ ارْتَبَطَ قَرِيبًا مِنْ عِشْرِينَ لَيْلَةً، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَمَا ذُكِرَ - حِينَ رَاثَ عَلَيْهِ أَبُو لُبَابَةَ: " أَمَا فَرَغَ أَبُو لُبَابَةَ مِنْ حُلَفَائِهِ؟ ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ وَاللَّهِ انْصَرَفَ مِنْ عِنْدِ الْحِصْنِ، وَمَا نَدْرِي أَيْنَ سَلَكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَدْ حَدَثَ لِأَبِي لُبَابَةَ أَمْرٌ، مَا كَانَ عَلَيْهِ ". فَأَقْبَلَ رَجُلٌ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ رَأَيْتُ أَبَا لُبَابَةَ ارْتَبَطَ بِحَبْلٍ إِلَى جِذْعٍ مِنْ جُذُوعِ الْمَسْجِدِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَقَدْ أَصَابَتْهُ بَعْدِي فِتْنَةٌ وَلَوْ جَاءَنِي لَاسْتَغْفَرْتُ لَهُ، وَإِذْ قَدْ فَعَلَ هَذَا فَلَنْ أُحَرِّكَهُ مِنْ مَكَانِهِ حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ فِيهِ مَا يَشَاءُ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ. وَكَذَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ فِي " مَغَازِيهِ " فِي مِثْلِ سِيَاقِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَمِثْلِ