আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

غزوة بني قريظة

পৃষ্ঠা - ২৯৩৪

মালিক তার চাচা উবায়দৃল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (সা) আহযাব এর অনুসন্ধান শেষে
ফিরে এসে লৌহ বর্য খুলে ফেলে গোসল করলে হযরত জিবৃরাঈল (আ) এসে বললেন : আপনি
(তা দেখছি যুদ্ধে ক্ষাম্ভ দিয়েছেন ৷ আমি দেখতে পাচ্ছি যে, আপনি লৌহ বর্ম খুলে ফেলেছেন ৷
আমরা তো এখনো তা থুলিনি, বর্ণনাকারী বলেন যে, একথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যস্ত হয়ে উঠেন
এবং সকলকে এ মর্মে তাগিদ দেন যে, তারা যেন বনু কুরায়যার জনপদে পৌছেই আসবের
সালাত আদায় করেন ৷ রাবী বলেন যে, সকলেই অস্ত্র ধারণ করেন এবং বনু কুরায়যার জনপদে
পৌছার পুর্বেই সুর্য অস্তমিত হয় ৷ সুযস্তি কালে লোকদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয় ৷ তাদের
একদল বললেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাদেরকে তাকীদ করেছেন যে, আমরা যেন বনুকুরায়যার
জনপদে না পৌছে আসরের সালাত আদায় না করি ৷ তাই আমরা তার তাকীদ অনুযায়ী কাজ
করেছি ৷ সুতরাং নামায আদায় না করায় আমাদের কোন গুনড়াহ হবে না ৷ সাওয়াবের আশায়
একদল সালাত আদায় করেন আর অপর দল সুযস্তি পর্যন্ত নামায আদায়ে ক্ষাম্ভ থাকেন ৷ সুতরাং
তারা সাওয়াবের আশায় বনুকুরায়যার জনপদে পৌছে সালাত অর্বদায় করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ
দু’দলের কাউকেই ভর্ধসনা করেননি ৷ বায়হাকী (র) আবদুল্লাহ আল-উমরী সুত্রে আইশার
বরাতে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কাছে ছিলেন ৷ এমন সময় জনৈক ব্যক্তি আগমন
করে তাকে সালাম দিলে তিনি ঘাবড়ে গিয়ে দাড়িয়ে যান ৷ আমিও রাসুল (না)-এর সাথে সাথে
দাড়িয়ে যাই ৷ দেখতে পাই যে, তিনি (আগভুকব্যক্তি) দিহ্ইয়া আল-কালবী ৷ রাবী বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বললেন, ইনি জিবৃরাঈল (আ ৷ বনু কৃরায়যা অভিমুখে মাত্রা করার জন্যে
তিনি আমাকে বলে গেলেন ৷ জিবৃরাঈল (আ) বলক্টোন, আপনারা তো অস্ত্র খুলে ফেলেছেন ৷
কিন্তু আমরা এখনো অস্ত্র খুলিনি ৷ মুশরিকদের পচকািবন করে আমরা হাম্রাউল আসাদ পর্যন্ত
গিয়েছিলাম ৷ আর এটা সে সময়ের কথা যখন র লুল্লাহ্ (সা) খন্দক যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন
করেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যতিব্যস্ত হয়ে তার সাহাবীগণকে বলেন যে, আমি তােমাদেরকে
জোর নির্দেশ দিচ্ছি যে, তোমরা বনুকুরায়যার জনপদে না পৌছে আসরের সালাত আদায় করবে
না ৷ তারা সেখানে পৌছার পুর্বেই সুর্য অস্ত যায় ৷ তখন একদল বললো যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
এটা অভিপ্রেত ছিল না যে, তোমরা নামায ত্যাগ করবে; কাজেই তোমরা পথেই (সময়মত)
নামায আদায় করে নাও ৷ অপর দল বলে , আল্লাহর শপথ, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশের
উপর কঠােরভাবে অটল রয়েছি ৷ কাজেই আমাদের কোন গুনাহ হবে না ৷ তাই ছাওয়ড়াব লাভের
আশায় একদল সালাত আদায় করেন আর সাওয়াবের প্ৰতাশ্যেয় অপর দল সালাত আদায়ে বিরত
থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ দুদলের কোন দলের প্রতিই কঠোরতা দেখড়াননি ৷ আল্লাহর নবী বের
হয়ে বনুকুরায়যার এক দল লোকের সমাবেশের নিকট দিয়ে অতিক্রমকালে জিজ্ঞেস করলেন এর
মধ্যে তোমাদের নিকট দিয়ে কেউ কি অতিক্রম করেছে ? তারা বললো, এবল্টা খচ্চরে চড়ে
দিহ্ইয়া কালবী এ দিক দিয়ে গিয়েছেন ৷ খচ্চরটির পিঠে একটা রেশমী চাদর বিছানো ছিল ৷ তিনি
বললেন, ইনি ছিলেন জিবৃরাঈল (আ) ৷ বনু কুরায়যাকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার জন্য তিনি প্রেরিত
হয়েছেন ৷ নবী করীম (সা) তাদেরকে অবরোধ করে ফেললেন এবং সাহাবীগণকে নির্দেশ দিলেন
তারা যেন তাকে ঘিরে শত্রু থেকে আড়াল করে রাখেন ৷ যাতে তিনি নিজেই তাদের কথা শুনতে
পান ৷ নবী করীম (সা) তাদেরকে ডাক দিয়ে বললেন ; হে শুকর আর বানরের সমগােত্রীয়রা ৷

২৯ ——

وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْقَاضِي قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ خَلِّيٍّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَمَّهُ عُبَيْدَ اللَّهِ أَخْبَرَهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا رَجَعَ مِنْ طَلَبِ الْأَحْزَابِ، وَضَعَ عَنْهُ اللَّأْمَةَ وَاغْتَسَلَ وَاسْتَجْمَرَ، فَتَبَدَّى لَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَالَ: عَذِيرَكَ مِنْ مُحَارِبٍ، أَلَا أَرَاكَ قَدْ وَضَعْتَ اللَّأْمَةَ وَمَا وَضَعْنَاهَا بَعْدُ. قَالَ: فَوَثَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَزِعًا، فَعَزَمَ عَلَى النَّاسِ أَنْ لَا يُصَلُّوا صَلَاةَ الْعَصْرِ حَتَّى يَأْتُوا بَنِي قُرَيْظَةَ. قَالَ: فَلَبِسَ النَّاسُ السِّلَاحَ، فَلَمْ يَأْتُوا بَنِي قُرَيْظَةَ حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ، فَاخْتَصَمَ النَّاسُ عِنْدَ غُرُوبِ الشَّمْسِ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَزَمَ عَلَيْنَا أَنْ لَا نُصَلِّيَ حَتَّى نَأْتِيَ بَنِي قُرَيْظَةَ، فَإِنَّمَا نَحْنُ فِي عَزِيمَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَيْسَ عَلَيْنَا إِثْمٌ. وَصَلَّى طَائِفَةٌ مِنَ النَّاسِ احْتِسَابًا، وَتَرَكَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمُ الصَّلَاةَ حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ، فَصَلَّوْهَا حِينَ جَاءُوا بَنِي قُرَيْظَةَ احْتِسَابًا، فَلَمْ يُعَنِّفْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاحِدًا مِنَ الْفَرِيقَيْنِ» . ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ أَخِيهِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ