আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

دعائه عليه السلام على الأحزاب

পৃষ্ঠা - ২৯২৫

“আল্লাহর কসম, আমরা যদি ওই সময় থাকতাম তবে এমন এমন উল্লেখযোগ্য কাজ করতাম ৷
হুযা ৷য়ফ৷ (বা) বললেন, ওই রকম অবস্থান কামনা করোনা ৷ শোন আমরা খন্দকের যুদ্ধে বা ৷ত্রিবেলা
ওখানে ছিলাম ৷ আমরা সকলে সারিবদ্ধভাবে বসা আছি ৷ আবু সুফয়ান ও তার বাহিনী অবস্থান
করছে আমাদের উপরের দিকে ৷ আর বনু কুরায়যার ইয়াহ্রদীর৷ আমাদের নীচের দিকে ৷ ওরা
আমাদের নারী ও শিশুদের উপর আক্রমণ করে কিনা আমরা সেই আশংকায় ছিলাম ৷ ওই রাতের
চেয়ে অধিক ঠাণ্ডা , অন্ধকারও ঝঞা বিক্ষুদ্ধ রাত আমাদের জীবনে আর আসেনি ৷ বাতাসের শব্দে
বব্লুজ্রর নিনাদ ৷ চারিদিকে অগৈ অন্ধকার ৷ আমাদের কেউ নিজের অ ৷ঙ্গুলটি পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছিল
না ৷ মুনাফিকরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছিল ৷৩ তারা বলছিল,
আমাদের বাড়ীঘর অরক্ষিত ৷ প্রকৃতপক্ষে ওগুলে৷ অরক্ষিত ছিল্ না ৷ যে ই অনুমতি চাচ্ছিল
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকেই অনুমতি দিয়ে দিচ্ছিলেন ৷ আর মুনাফিকর৷ অনুমতি নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে
কৌশলে সরে পড়ছিল ৷ আমরা প্রায় তিনশ জনের মত ছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যক্তিগতভাবে
একে একে আমাদের সবার নিকট এলেন ৷ এক পর্যায়ে তিনি আমার নিকট এলেন ৷ আমার নিকট
শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার কোন চাল ও ছিল না আর ঠাণ্ডা থেকে বাচার কোন জামা কাপড়ও
ছিল না ৷ আমার ত্রীর একটি ছোট্ট চাদর আমার কাছে ছিল ঘটে ৷ সেটি আমার ইাটুর নীচে
পৌছতাে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার নিকট এলেন ৷ তখন আমি মাটিতে ইাটু গেড়ে বসেছিলাম ৷
তিনি বললেন, এ লোকটি কে ? আমি বললাম, আমি হুয়ায়ফ৷ ৷ তিনি বললেন, হুয়ায়ফা! তুমি যে
একেব৷ র মাটির সাথে মিশে আছ ? আমি বললাম , জী হা ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! দাড়াতে চাইনা বলে
তা করেছি ৷ এরপর আমি দাড়ালাম ৷ তিনি বললেন, শত্রু শিবিরে একটি অবাক ঘটনা ঘটরে-
তুমি গি গয়ে ওই সৎবা দ নিয়ে আমার নিকট ফিরে আসবে ৷ হুয়ায়ফ৷ (বা) বলেন, আমি তখন ছিলাম
সর্বাধিক ভীতি গ্রস্ত ও ঠাণ্ডা ৷য় আক্রান্ত মানুষ ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশ পা লবনর
জন্যে আমি বের হলাম ৷ তিনি আমার জন্যে দৃ আ করে বললেনং : এ ট্রু,ন্ং ণ্এণ্ ণ্ ৷ স্পো,া ৷ ৷
হে আল্লাহ ওকে
র্হিফাযত করুন আর সামনের দিক থেকে, পেছনের দিক থেকে, ডান দিক থেকে, বাম দিক
থেকে এবং তার উপরের দিক ও নীচের দিক থেকে ৷ হুয়ায়ফ৷ বলেন, আল্লাহর কলম, তখন
থেকে আমার মধ্যে কোন ভীতি বা ঠাণ্ডাকাতর ভাব আসেনি ৷

তিনি বলেন, আমি যখন যাত্রা করলাম তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, হে হুয়ায়ফ৷ ! আমার
নিকট ফিরে না আসা পর্যন্ত তুমি শত্রু-শিবিরে কোন ঘটনা ঘটাবে না ৷ হুয়ায়ফ৷ বলেন, আমি বের
হলাম ৷ শত্রু সৈন্যদের কাছাকাছি এসে দেখলাম ওদের ওখানে আগুন জ্বলছে ৷ আগুনের আলোতে
আমি জনৈক হৃষ্টপুষ্ট এবৎ কালো বর্ণের একজন লোককে দেখতে পেলাম ৷ সে আগুন পােহাচ্ছিল
এবৎ কােমরে গরম হাত বুলাচ্ছিল ৷ আর বলছিল, যাত্রা কর ৷ যাত্রা কর ৷ ইতিপুর্বে আমি আবু
সুফয়ানকে চিনতাম না ৷ আমি আমার তুনীর থেকে একটি তীর বের করে ধনুকে যোজন করি ৷
আগুনের আলোতে ওকে স্পষ্ট দেখতে পেয়ে আমি ওই লোকের প্রতি ভীর নিক্ষেপ করতে
যাচ্ছিলাম ৷ হঠ৷ ৷ৎ রাসুলুল্লীহ্ (সা) এর নির্দেশ আমার স্মরণ হল ৷ তিনি বলেছিলেন আমার নিকট
ফিরে না আসা পর্যন্ত কোন ঘটনা ঘটাবে না ৷ আমি থেমে গেলাম ৷৩ ভীর পুনরায়তু নীতে ভরে
নিলাম ৷ এরপর আমি দৃসােহসী হয়ে উঠলড়াম ৷ যেতে যেতে শত্রু সেনাদের ভেতরে ঢুকে


بَنُو قُرَيْظَةَ، وَبَلَغَنَا عَنْهُمُ الَّذِي نَكْرَهُ وَلَقِينَا مِنْ شِدَّةِ الرِّيحِ مَا تَرَوْنَ؛ مَا تَطْمَئِنُّ لَنَا قِدْرٌ، وَلَا تَقُومُ لَنَا نَارٌ، وَلَا يَسْتَمْسِكُ لَنَا بِنَاءٌ، فَارْتَحِلُوا، فَإِنِّي مُرْتَحِلٌ. ثُمَّ قَامَ إِلَى جَمَلِهِ وَهُوَ مَعْقُولٌ فَجَلَسَ عَلَيْهِ، ثُمَّ ضَرَبَهُ فَوَثَبَ بِهِ عَلَى ثَلَاثٍ، فَوَاللَّهِ مَا أَطْلَقَ عِقَالَهُ إِلَّا وَهُوَ قَائِمٌ، وَلَوْلَا عَهْدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيَّ: " لَا تُحْدِثْ شَيْئًا حَتَّى تَأْتِيَنِي " ثُمَّ شِئْتُ؛ لَقَتَلْتُهُ بِسَهْمٍ قَالَ حُذَيْفَةُ: فَرَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي مِرْطٍ لِبَعْضِ نِسَائِهِ مَرَاجِلَ، فَلَمَّا رَآنِي أَدْخَلَنِي إِلَى رِجْلَيْهِ، وَطَرَحَ عَلَيَّ طَرَفَ الْمِرْطِ، ثُمَّ رَكَعَ وَسَجَدَ وَإِنِّي لَفِيهِ، فَلَمَّا سَلَّمَ أَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ، وَسَمِعَتْ غَطَفَانُ بِمَا فَعَلَتْ قُرَيْشٌ، فَانْشَمَرُوا رَاجِعِينَ إِلَى بِلَادِهِمْ» وَهَذَا مُنْقَطِعٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كُنَّا عِنْدَ حُذَيْفَةَ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: لَوْ أَدْرَكْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاتَلْتُ مَعَهُ وَأَبْلَيْتُ. فَقَالَ لَهُ حُذَيْفَةُ: أَنْتَ كُنْتَ تَفْعَلُ ذَلِكَ؟ لَقَدْ رَأَيْتُنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْأَحْزَابِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ رِيحٍ شَدِيدَةٍ وَقُرٍّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَلَا رَجُلٌ يَأْتِينِي بِخَبَرِ الْقَوْمِ يَكُونُ مَعِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ " فَلَمْ يُجِبْهُ مِنَّا أَحَدٌ ثُمَّ الثَّانِيَةَ ثُمَّ الثَّالِثَةَ مِثْلَهُ، ثُمَّ قَالَ: " يَا حُذَيْفَةُ قُمْ فَأْتِنَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ ". فَلَمْ أَجِدْ بُدًّا إِذْ دَعَانِي بِاسْمِي أَنْ