আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

دعائه عليه السلام على الأحزاب

পৃষ্ঠা - ২৯২৩

সেদিন ছিল শনিবার ৷ তাই ইয়াহুদীগণ শনিবারের দােহইি দিয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকার করে ৷
তারপর তারা আবার মানুষ বন্ধক চায় ৷ এভাবে আল্লাহ্ তাআলা উভয় পক্ষের মধ্যে সন্দেহ ও
বিরোধ সৃষ্টি করে দেন ৷ আমি বলি যে, সম্ভবত বনুকুরায়যা গোত্র ঢেষ্টা-সাধনার পর ও কুরায়শ ও
পাতফান গোত্রের সাথে সমঝোতায় পৌছতে ব্যর্থ হয়ে রাসৃলল্লাহ্ (সা) এর নিকট মীমাংসার
প্রস্তাব পাঠিয়েছিল যে, বনু নযীর গোত্রকে মদীনায় ফিরিয়ে আনলে তারা তার সাথে একটি
মীমাংসার পৌছবে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, শত্রুপক্ষের ঐক্যের ফাটল ধরার সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
পৌছে ৷ তখন শত্রুপক্ষ রাতের বেলা কী করছে তা দেখে আমার জন্যে তিনি হযরত হুযায়ফাকে
পাঠালেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াযীদ ইবন যিয়াদ বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ ইবন কা’ব কুরাযী
থেকে ৷ তিনি বলেন, কুফার একজন লোক হুযায়ফা ইবন ইরামন্বন (রা) কে বললেন, হে আবু
আরদুল্লড়াহ্! আপনি কি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখেছেন এবং ত্দ্রন্ক্ষ্র সাহচর্য লাভ করেছেন ? হুযায়ফা
(রা) বললেন, হা, হে ভাতিজা ! সে লোকটি বলল, তবে আপনারা তখন কী করতেন তা
আমাদেরকে জানান ৷ হুযায়ফা (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম , তখন আমরা সাধ্যমত পরিশ্রম
করতাম ৷ ল্যেকটি বলল, আল্লাহর কসম , আমরা যদি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ণ্ক (পতাম তবে আমরা
তাকে মাটিতে পা ফেলতে দিতাম না কাধে নিয়ে রাখতাম ৷ হুযায়ফা (রা) বললেন, ভাতিজা,
শোন, একটি ঘটনা তোমাকে বলি ৷ আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে খন্দক যুদ্ধে নিয়োজিত
ছিলাম ৷ রাতের কিছুক্ষণ অতিবাহিত হবার পর রাসুলুল্পাহ্ (সা) নামায আদায় করলেন ৷ তারপর
আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন “কে আছ এই মুহুর্তে শত্রুপক্ষের নিকট গিয়ে ওদের অবস্থা
দেশে ফিরে আসবে এবং বিনিময়ে আমি দৃআ করি যে আমার জান্নাতের সাথী হবে ৷ খবর জেনে
ফিরে আসার শর্ত লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ৷ প্রচণ্ড ক্ষু ধা , অসহ্য ঠাণ্ডা ও ভয়-ভীতির কারণে
কেউই তার ডাকে সাড়া দিল না ৷ কেউ যখন প্রস্তুত হল না তখন তিনি আমাকে নাম ধরে
ডাকলেন ৷ সুনিদিষ্টভাবে আমাকে ডাক দেয়ায় আমার না উঠে উপায় ছিল না ৷ তিনি আমাকে
বললেন, হে হুযায়ফা ! তুমি যাও, শত্রুপক্ষের ভেতরে প্রবেশ কর, তারপর দেখে নাও ওরা কী
করছে ৷ আমার নিকট ফিরে আসার পুর্বে এ সম্পর্কে কাউকে কিছু বলবে না ৷ হুযায়ফা বলেন,
আমি গেলাম ৷ ওদের দলের মধ্যে ঢুকে গেলাম ৷ ঝঞা বায়ু ও আল্লাহ্র প্রেরিত প্রাকৃতিক শক্তি
তখন সেখানে যা করার করছিল তাদের ডেকচি-পাতিল , আগুন ও তাবু কিইে ন্থির থাকছিল না ৷
সব উপড়ে গিয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে লণ্ড-তণ্ড অবস্থা ৷ তখন আবু সুফিয়ড়ান দাড়িয়ে বলল, হে কুরায়শ
সম্প্রদায় প্রতেক্তকেই নিজের পাশের লোকের পরিচয় জেনে নাও এবং তার ব্যাপারে সতর্ক
থেকাে ৷ হুযায়ফা (রা) বলেন, এ কথা শুনে আমি আমার পাশের লোকটিকে১ বললাম, তুমি কে
হে ? সে বলল, আমি অযুকের পুত্র অমুক ৷

হুযায়ফা (রা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাতের জন্যে ফিরে চললাম ৷ তার
নিকট যখন এসে পৌছি তখন তিনি তার এক সহধর্মিণীর নক্শী চাদর গায়ে নামায পড়ছিলেন ৷
আমাকে দেখতে পেয়ে আমাকে তার পদদ্বয়ের নিকট চাদরের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেললেন এবং

১ টীকা ও ঘটনাচক্রে তখন তার ভানে রায়ে মুআবিয়া ও আমর ইবনুল আস অবস্থান করছিলেন ৷ — দ্র
পাদটীকা আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়৷ পৃ ৩ (শেষাংশ) শারহে মাওয়াহিল লাদৃন্নিয়া এর ররাতে ৷

২৮ —

صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ عِشَاءً، فَأَشَارَ إِلَيْهِ أَنْ تَعَالَ، فَجَاءَ فَقَالَ: " مَا وَرَاءَكَ؟ " فَقَالَ: إِنَّهُ قَدْ بَعَثَتْ قُرَيْشٌ وَغَطَفَانُ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ يَطْلُبُونَ مِنْهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا إِلَيْهِمْ فَيُنَاجِزُوكَ، فَقَالَتْ بَنُو قُرَيْظَةَ: نَعَمْ، فَأَرْسِلُوا إِلَيْنَا بِالرُّهُنِ. وَقَدْ ذَكَرَ كَمَا تَقَدَّمَ أَنَّهُمْ إِنَّمَا نَقَضُوا الْعَهْدَ عَلَى يَدَيْ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ، بِشَرْطِ أَنْ يَأْتِيَهُمْ بِرَهَائِنَ تَكُونُ عِنْدَهُمْ تَوْثِقَةً، قَالَ: فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي مُسِرٌّ إِلَيْكَ شَيْئًا فَلَا تَذْكُرْهُ ". قَالَ: " إِنَّهُمْ قَدْ أَرْسَلُوا إِلَيَّ يَدْعُونَنِي إِلَى الصُّلْحِ وَأَرُدُّ بَنِي النَّضِيرِ إِلَى دُورِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ ". فَخَرَجَ نُعَيْمُ بْنُ مَسْعُودٍ عَامِدًا إِلَى غَطَفَانَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْحَرْبُ خَدْعَةٌ، وَعَسَى أَنْ يَصْنَعَ اللَّهُ لَنَا ". فَأَتَى نُعَيْمٌ غَطَفَانَ وَقُرَيْشًا فَأَعْلَمَهُمْ، فَبَادَرَ الْقَوْمُ وَأَرْسَلُوا إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ عِكْرِمَةَ وَجَمَاعَةً مَعَهُ، وَاتَّفَقَ ذَلِكَ لَيْلَةَ السَّبْتِ، يَطْلُبُونَ مِنْهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا لِلْقِتَالِ مَعَهُمْ فَاعْتَلَّتِ الْيَهُودُ بِالسَّبْتِ، ثُمَّ أَيْضًا طَلَبُوا الرُّهُنَ تَوْثِقَةً، فَأَوْقَعَ اللَّهُ بَيْنَهُمْ وَاخْتَلَفُوا» . قُلْتُ: وَقَدْ يَحْتَمِلُ أَنْ تَكُونَ قُرَيْظَةُ لَمَّا يَئِسُوا مِنِ انْتِظَامِ أَمْرِهِمْ مَعَ قُرَيْشٍ وَغَطَفَانَ بَعَثُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَطْلُبُونَ مِنْهُ الصُّلْحَ عَلَى أَنْ يَرُدَّ بَنِي النَّضِيرِ إِلَى الْمَدِينَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا اخْتَلَفَ مِنْ أَمْرِهِمْ، وَمَا فَرَّقَ اللَّهُ مِنْ جَمَاعَتِهِمْ، دَعَا حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ، فَبَعَثَهُ إِلَيْهِمْ لِيَنْظُرَ مَا فَعَلَ الْقَوْمُ لَيْلًا.