আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

دعائه عليه السلام على الأحزاب

পৃষ্ঠা - ২৯২০

তোমাদের সাথে থাকবে জামানত হিসেবে ৷ যতক্ষণ না তোমরা বিজয় লাভ কর ৷ ওরা বলল,
চমৎকার আপনি তো খুব ভাল কথা বলেছেন ৷ এরপর তিনি বের হলেন ৷ এসে উঠলেন কুরড়ায়শ
গোত্রের নিকট ৷ আবু সুফিয়ান ও তার সাথীদেরকে তিনি বললেন, তোমাদের প্ৰতি আমার বন্ধুতু
ও ভালবাসা এবং মুহাম্মাদের প্রতি আমার সম্পকহীনতার কথা তো তোমাদের অজানা নেই ৷
আমার নিকট একটি গোপন সংবাদ এসেছে ৷ সেটি তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া আমি৷ দ ৷য়িতু মনে
করেছি ৷ তবে এই সংবাদ আমার তরফ থেকে জেনেছ তা গোপন রাখতে হবে ৷ ওরা বলল, ঠিক
আছে, তাই হবে ৷ তিনি বললেন, তবে জেনে রেখো যে, মুহাম্মাদের (সা) সাথে ইয়াহ্রদীদের যে
চুক্তি ছিল তারা যে চুক্তি ভঙ্গ করে যে অপরাধ করেছে তার জন্যেত তারা লজ্জিত ও অনুতপ্ত
হয়েছে ৷ ওরা মুহাম্মাদ (না)-এর নিকট প্রস্তাব পাঠিয়েছে যে, আমাদের কৃতকমের জন্যে আমরা
অনুতপ্ত ৷ এখন আমরা যদি কুরায়শ ও গাতফান গোত্রের নামকরা ও সন্তুম্ভে কতক লোক ধরে
এনে আপনার হাতে তুলে ল্টি আর আপনি তাদেরকে হত্যা করেন এবং এরপর আমরা আপনার
সাথে মিলিত হয়ে ওদের অবশিষ্ট সবাইকে সমুলে উৎখাত করে ৫ইে, এই প্রস্তাবে হে মুহাম্মাদ
(সা) ! আপনি কি রাখী আছেন ? উত্তরে মুহাম্মাদ (সা) সংবাদ পাঠিয়েছেন যে, হা এই প্রস্তাবে আমি
রাখী ৷ নাঈম বললেন, হে কুরায়শী লোকজন! বনু কুরায়যার লোকজন যদি তোমাদের স্ম্ভাম্ভ
লোকদেরকে যিস্বী রাখার জন্যে ওখানে নিয়ে যেতে চায় তবে সাবধান, তোমরা একজন
লোককেও ওখানে পাঠাবে না ৷
এরপর তিনি গেলেন গাতফান গোত্রের নিকট ৷ ওদের নিকট গিয়ে তিনি বললেন, হে
গাতফান গোত্র ! তোমরা আমার স্ববংশীয় লোক এবং আমার আপন জন ৷ তোমরা আমার সর্বাধিক
প্রিয়জন ৷ তোমরা আমাকে সন্দেহ করবে আমি তা মনে করি না ৷ ওরা বলল, বটে , আপনি সত্য
বলেছেন, আপনি আমাদের নিকট কোন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তি নন ৷ তিনি বললেন, তবে আমি
তােমাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি এ খবরটি যে আমি দিয়েছি তা গোপন রাখতে হবে ৷ এরপর তিনি
কুরায়শদেরকে যা বলেছিলেন ওদেরকেও তা বললেন ৷ কুরায়শদেরকে যেমন সতর্ক করেছিলেন
এদেরকেও তেমনি সতর্ক করে দিলেন ৷
৫ম হিজরী শাওয়াল মাসের শনিবার দিনে আল্লাহর সাহায্য মুহাম্মাদ (না)-এর জন্যে নেমে
এল ৷ এভাবে যে আবু সুফিয়ান ও পাতফানী নেতারা ইকরাম৷ ইবন আবু জাহ্লের নেতৃত্বে
কুরড়ায়শী ও পাতফানী লোকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল পাঠায় বনুকুরায়যা গোত্রের
নিকট ৷ ওরা গিয়ে বনু কুরায়যার লোকদেরকে বলেছিল যে, আমরা এখানে স্থায়ী থাকার মত
অবস্থানে নেই ৷ আমাদের গাধা-ঘোড়া ও গরু ছাগল সব শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ সুতরাং যুদ্ধের
জন্যে প্রস্তুত হও ৷ যাতে আমরা মুহাম্মাদ (না)-কে পরাস্ত করে, এই ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে
পারি ৷ উত্তরে বনুকুরায়যা বলল, আজ শনিবার ৷ শনিবারে আমরা কোন কাজই করিনা , আমাদের
কেউ কেউ শনিবারে কাজ করে বিপদগ্রস্ত হয়েছে তাও তোমাদের অজানা নেই ৷ উপরন্তু
তোমাদের সন্তুাস্ত ব্যক্তিদেরকে আমাদের নিকট যিশী না রাখলে আমরা তোমাদের সাথী হয়ে
মুহাম্মাদ (সা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না ৷ তোমাদের লোকগুলাে আমাদের হাতে থাকবে জামানত
স্বরুপ, যতক্ষণ না আমরা মুহাম্মাদ (সা) এর বিরুদ্ধে বিজয়ী হই ৷ কারণ, আমরা আশংকা করছি
যে, যুদ্ধে যদি তে তামরা পরাজিত হও ৷ এবং প্রচণ্ড যুদ্ধের কারণে তোমরা নিজেদের পরিবার


مِنْهُمْ. قَالَ: ثُمَّ إِنَّ نُعَيْمَ بْنَ مَسْعُودِ بْنِ عَامِرِ بْنِ أُنَيْفِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ قُنْفُذِ بْنِ هِلَالِ بْنِ خُلَاوَةَ بْنِ أَشْجَعَ بْنِ رَيْثِ بْنِ غَطَفَانَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ وَإِنَّ قَوْمِي لَمْ يَعْلَمُوا بِإِسْلَامِي، فَمُرْنِي بِمَا شِئْتَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا أَنْتَ فِينَا رَجُلٌ وَاحِدٌ فَخَذِّلْ عَنَّا إِنِ اسْتَطَعْتَ، فَإِنَّ الْحَرْبَ خَدْعَةٌ» ". فَخَرَجَ نُعَيْمُ بْنُ مَسْعُودٍ حَتَّى أَتَى بَنِي قُرَيْظَةَ وَكَانَ لَهُمْ نَدِيمًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَقَالَ: يَا بَنِي قُرَيْظَةَ، قَدْ عَرَفْتُمْ وُدِّي إِيَّاكُمْ وَخَاصَّةَ مَا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ قَالُوا: صَدَقْتَ، لَسْتَ عِنْدَنَا بِمُتَّهَمٍ. فَقَالَ لَهُمْ: إِنَّ قُرَيْشًا وَغَطَفَانَ لَيْسُوا كَأَنْتُمْ، الْبَلَدُ بَلَدُكُمْ، فِيهِ أَمْوَالُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَنِسَاؤُكُمْ، لَا تَقْدِرُونَ عَلَى أَنْ تَتَحَوَّلُوا مِنْهُ إِلَى غَيْرِهِ، وَإِنَّ قُرَيْشًا وَغَطَفَانَ قَدْ جَاءُوا لِحَرْبِ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ، وَقَدْ ظَاهَرْتُمُوهُمْ عَلَيْهِ، وَبَلَدُهُمْ وَنِسَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ بِغَيْرِهِ فَلَيْسُوا كَأَنْتُمْ، فَإِنْ رَأَوْا نُهْزَةً أَصَابُوهَا، وَإِنْ كَانَ غَيْرُ ذَلِكَ لَحِقُوا بِبِلَادِهِمْ وَخَلَّوْا بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ الرَّجُلِ بِبَلَدِكُمْ، وَلَا طَاقَةَ لَكُمْ بِهِ إِنْ خَلَا بِكُمْ، فَلَا تُقَاتِلُوا مَعَ الْقَوْمِ حَتَّى تَأْخُذُوا مِنْهُمْ رَهْنًا مِنْ أَشْرَافِهِمْ يَكُونُونَ بِأَيْدِيكُمْ؛ ثِقَةً لَكُمْ عَلَى أَنْ تُقَاتِلُوا مَعَهُمْ مُحَمَّدًا حَتَّى تُنَاجِزُوهُ. قَالُوا: لَقَدْ أَشَرْتَ بِالرَّأْيِ. ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى أَتَى قُرَيْشًا فَقَالَ لِأَبِي سُفْيَانَ بْنِ حَرْبٍ وَمَنْ مَعَهُ مِنْ رِجَالِ قُرَيْشٍ: قَدْ عَرَفْتُمْ وُدِّي لَكُمْ وَفِرَاقِي مُحَمَّدًا، وَإِنَّهُ قَدْ بَلَغَنِي أَمْرٌ قَدْ رَأَيْتُ عَلَيَّ حَقًّا أَنْ أُبَلِّغَكُمُوهُ؛ نُصْحًا لَكُمْ، فَاكْتُمُوا عَنِّي. قَالُوا: نَفْعَلُ. قَالَ: تَعْلَمُوا أَنَّ مَعْشَرَ