আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

دعائه عليه السلام على الأحزاب

পৃষ্ঠা - ২৯১৮

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, মুশরিকরা খন্দক যুদ্ধের দিনে
রাসুলুল্লাহ (সা) কে চার ওয়াক্ত নামায আদায় করা থেকে বিরত রাখে ৷ এভাবে রাতের কিছু অংশ
ও অতিবাহিত হয়ে যায় ৷ এরপর তিনি বিলাল (রা) কে নির্দেশ দেন ৷ বিলা ৷ল (রা) আযান দিলেন ৷
৷ তারপর ইকামত দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) যুহরের নামায আদায় করলেন ৷ত তারপর বিলাল (রা)
ইকামত দিলেন ৷ বাসুলুল্লাহ (সা) আসরের নামায আদায় করলেন ৷ তারপর বিল৷ ৷ল (বা) ইক৷ ৷মত
দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) মাগরিরের নামায আদায় করলেন ! তারপর হযরত বিলাল (বা) ইকামত
দিলেন ৷ বাসুলুল্লাহ (সা) ইশার নামায আদায় করলেন ৷

হাফিয আবু বকর রায্যার বলেন, মুহাম্মাদ ইবন মামার জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, বাসুলুল্লাহ (সা) খন্দক যুদ্ধের দিন যোহর আসর, মাপরিব ও ইশার নামায
আদায়ে বাধা প্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ এরপর তিনি বিলাল (রা) কে আযান দেয়ার নির্দেশ দেন ৷ বিলাল
(রা) আমান ও ইকামত দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুহরের নামায আদায় করেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ
(সা) বিলাল (রা)-কে নির্দেশ দেন ৷ তিনি আমার ও ইকামত দেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আসরের
নামায আদায় করেন ৷ তিনি বিলাল (রা) কে আবার নির্দেশ দেন ৷ বিল৷ ৷ল (বা) আমান ও ইকামত
দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাপরিবের নামায আদায় করেন ৷৩ তারপর তিনি বিলাল (রা) কে নির্দেশ
দেন ৷ বিলা ৷ল (রা) আযান ও ইকামত দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইশা ৷র নামায আদায় করেন ৷ তারপর
তিনি বললেনং তােমরা
ব্যতীত জমিনের বুকে অন্য কোন সম্প্রদায় নেই যারা এই সময়ে আল্লাহর যিকর করে, আল্লাহকে
স্মরণ করে ৷’ ’বায্য৷ র একাই এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে,এ সুত্র ছাড়া অন্য কো ন সুত্রে
এটি আমি পাইনি ৷ কেউ কেউ এই হাদীছ আবদুল করীম আবদুল্লাহ সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

খন্দকের যুদ্ধে সম্মিলিত শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসুলুব্লাহ্ (না)-এর দৃআ
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু আমির আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করে ৷ , তিনি
বলেন, আমরা খন্দকের দিবসে বললাম , ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমরা কি এক্ষণে কোন দৃআ পাঠ
ন্ করব ? আমাদের প্রাণ তো এখন কণ্ঠাগত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন হা এই দৃআ পাঠ কর ন্ৰুৰুা৷’া
ভয়৩ ভীতি ও অশা ৷ন্তি দুর করে শান্তি দান করুন ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, এরপর আল্লাহ তা আল৷ প্রচণ্ড
ঝঞা বায়ু প্রেরণ করে শ ৷ত্রুদের মুখ মলিন করে দিলেন ৷ ইবন আবী হাতিম তার তাফসীর গ্রন্থে
তার পিতা — — — আবু সাঈদ খুদরী সুত্রে এই হাদীছ উদ্ধৃত করেছেন ৷ এটাই সঠিক ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, হুসায়ন জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্মিলিত বাহিনীর অবস্থান ক্ষেত্রের নিকটস্থ মসজিদে এলেন ৷ তিনি তার চাদর
খুলে রাখলেন এবং দাড়িয়ে দৃহাতঙু লে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে দুআ করলেন ৷ তখন তিনি ওখানে

নামায পড়েননি ৷ এরপর তিনি আবার সেখানে এলেন এবং ওদের জন্যে বদ দৃআ করলেন ৷
তারপর সেখানে নামায পড়লেন ৷

সহীহ বুখা ৷রীও সহীহ মুসলিমে ইসমাঈল ইবন আবু৷ খ৷ লিদ সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা
শ্ংাষ্ক বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্মিলিত শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে এই বলে


[دُعَائُهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى الْأَحْزَابِ] فَصْلٌ فِي دُعَائِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى الْأَحْزَابِ وَكَيْفَ صَرَفَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى، بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ؛ اسْتِجَابَةً لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصِيَانَةً لِحَوْزَتِهِ الشَّرِيفَةِ، فَزَلْزَلَ قُلُوبَهُمْ، ثُمَّ أَرْسَلَ عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الشَّدِيدَةَ؛ فَزَلْزَلَ أَبْدَانَهُمْ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ -، حَدَّثَنَا رُبَيْحُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «قُلْنَا يَوْمَ الْخَنْدَقِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ مِنْ شَيْءٍ نَقُولُهُ؟ فَقَدْ بَلَغَتِ الْقُلُوبُ الْحَنَاجِرَ. قَالَ: " نَعَمْ، اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِنَا وَآمِنْ رَوْعَاتِنَا " قَالَ: فَضَرَبَ اللَّهُ وُجُوهَ أَعْدَائِهِ بِالرِّيحِ، فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ بِالرِّيحِ.» وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ فِي " تَفْسِيرِهِ " عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عَامِرٍ، وَهُوَ الْعَقَدِيُّ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، عَنْ رُبَيْحِ بْنِ