আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

مقتل كعب بن الأشرف اليهودي

পৃষ্ঠা - ২৬১১

তারা একজন কিৎবা দৃ’জনকে বন্দী করে নিয়ে আসেন ৷ সব কিছু এসে তারা রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) এর

নিকট জমা দেন ৷ বিধি অনুযায়ী রাসুলুল্লাহ্ (না) তার তত্ত্বাবধানে ব্যয় করার জন্যে মোট সম্পদের

ষ্ট৫ অংশ সংরক্ষিত রাখেন ৷ তার মুল্যমান ছিল ২০ হাজার দিরহাম ৷ অবশিষ্ট টু৫ অংশ তিনি
অভিযানে অংশ গ্রহণকারী মুজাহিদদের মধ্যে বণ্টন করে দেন ৷ বন্দীদের একজন হলেন ফুরাত

ইবন হাইয়ান ৷ তারপরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ ইবন জারীর বলেন, ওয়াকিদীর৷ ধ ৷রণা এই

হিজরী বছরের (৩য় হিজরী) রাবীউল মওসুমে হযরত উছমান (রা) রাসৃলুল্লাহ্ (সা) এর কন্যা উম্মে

কুলছুম (বা ) কে বিয়ে করেন ৷ ওই বছর জুমাদ৷ ল আখির মাসে তাদের বাসর হয় ৷

কা ব ইবন আশরাফের হত্যার ঘটনা

কা ব ইবন আশরাফ বানু তায় গোত্রের লোক ৷ আর তায় গোত্র, বানু নাবহান গোত্রের শাখা
গোত্র ৷ কিন্তু তার যা ছিল বানুনাযীর গোত্রের ৷ ইবন ইসহাক এটি উল্লেখ করেছেন রানু নাযীর
গোত্রের দেশাম্ভরিত করার ঘটনা বর্ণনার পুর্বে ৷ তবে ইমাম বুখাৰী (র) কা ব ইবন আশরাফের
হত্যার ঘটনা উল্লেখ করেছেন বানু নাযীর গোত্রের দেশান্তরিত করার ঘটনা বর্ণনার পরে ৷ তবে
ইবন ইসহাকের বর্ণনাই সঠিক ৷ কারণ, বানুনাযীর গোত্রের ঘটনাটি ঘটেছিল উহুদের যুদ্ধের পর ৷
ওদের অবরাে ধ কালেই মদ নিষিদ্ধ হওয়ার বিধান নাযিল হয় ৷ এসব বিষয় আমরা অবিলম্বে বংনাি
করব ইনশা আ ল্লাহ্ ৷

ইমাম বুথারী (র)৩ তার সহীহ্ গ্রন্থে বলেছেন, “কার ইবন আশরাফ হত্যাকাণ্ড বিষয়ক
অধ্যায় আলী ইবন আবদুল্লাহ জারির ইবন আবদুল্লাহ বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন,
কা ব ইবন আশরাফকে শায়েস্তা করার জন্যে কে আছো ? সে তো মহান আল্লাহ্কে এবং তার
রাসুলকে কষ্ট দিয়েছে ৷ তার কথা শুনে মুহাম্মাদ ইবন মাস্লামা (রা ) উঠে র্দাড়ালেন, তিনি
বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আমি তাকে হত্যা ৷করি৩ ৷কি আপনি পছন্দ করবেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, হ৷ করব ৷ মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা (রা) বললেন, তাহলে আমাকে এ অনুমতি দিন যে,
আমি তার সাথে কিছু কৌশলপুর্ণ কথা বলব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হা, তুমি যেমন বলতে
চাও তা বলবে ৷ সে মতে মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা কাব ইবন আশরাফের নিকট গেলেন ৷ তিনি
তাকে লক্ষ্য করে বললেন, ওই লোকটি (মুহাম্মাদ) আমাদের নিকট সাদকা দাবী করেছে ৷ লোকটি
আমাদেরকে খুব কষ্ট দিচ্ছে ৷ আমি আপনার কাছে এসেছি কিছু ঋণ নেয়ার জন্যে ৷ সে বলল,
তাহলে তৃমিও পাল্টা তাকে কষ্ট দাও ৷ তিনি বললেন, অবশ্য আমরা তার আনুগত্য অবলম্বন
করেছি ৷ শেষ পরিণতি না দেখে তাকে ছেড়ে যাওয়া ভাল মনে করছি৷ না ৷ এখন আমি আপনার
নিকট কিছু ঋণ চাচ্ছি ৷ সে বলল, হ৷ ঋণ দিব তবে কিছু একটা বহ্মক রাখতে ৩হবে ৷ আমি
বাংলায়, কী বহ্মক রাখতে চান ? সে বলল, ৫৩ ৷মাদের শ্রীলোকদেরকে আমার নিকট বহ্মক
রাখবে ৷ মাসলামা (রা) ও তার সাথীগণ বললেন, আপনি (তা আরবের অন্যতম রুপবান পুরুষ ৷
আপনার নিকট আমাদের ঘরের ত্রীদেরকে বন্ধক রাখি কেমন করে ? সে বলল, তাহলে
তোমাদের সন্তানদেরকে বন্ধক রাখ ৷ তারা বললেন, সন্তানই বা বহ্মক রাখি কেমন করে ?
তাহলে লোকজন আমাদেরকে পানি দিয়ে আর বলবে দেখ দেখ, এক ওসক কিৎবা দুই ওসক
শস্যের জন্যে ছেলেদের বন্ধক দিয়েছে ৷ এটি হবে আমাদের জন্য লজ্জার বিষয় ৷ আমরা কিছু


[مَقْتَلُ كَعْبِ بْنِ الْأَشْرَفِ الْيَهُودِيِّ] وَكَانَ مِنْ بَنِي طَيِّئٍ ثُمَّ أَحَدَ بَنِي نَبْهَانَ، وَلَكِنَّ أُمَّهُ مِنْ بَنِي النَّضِيرِ. هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ قَبْلَ جَلَاءِ بَنِي النَّضِيرِ وَذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ، وَالْبَيْهَقِيُّ بَعْدَ قِصَّةِ بَنِي النَّضِيرِ وَالصَّحِيحُ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ لِمَا سَيَأْتِي، فَإِنَّ بَنِي النَّضِيرِ إِنَّمَا كَانَ أَمْرُهَا بَعْدَ وَقْعَةِ أُحُدٍ وَفِي مُحَاصَرَتِهِمْ حُرِّمَتِ الْخَمْرُ، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ بِطَرِيقِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ": قَتْلُ كَعْبِ بْنِ الْأَشْرَفِ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ لِكَعْبِ بْنِ الْأَشْرَفِ، فَإِنَّهُ قَدْ آذَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ؟ فَقَامَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتُحِبُّ أَنْ أَقْتُلَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَأْذَنْ لِي أَنْ أَقُولَ شَيْئًا. قَالَ: قُلْ. فَأَتَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَقَالَ: إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ قَدْ سَأَلَنَا صَدَقَةً، وَإِنَّهُ قَدْ عَنَّانَا، وَإِنِّي قَدْ أَتَيْتُكَ أَسَتَسْلِفُكَ. قَالَ: وَأَيْضًا وَاللَّهِ لَتَمَلُّنَّهُ. قَالَ: إِنَّا قَدِ اتَّبَعْنَاهُ، فَلَا نُحِبُّ أَنْ نَدَعَهُ حَتَّى نَنْظُرَ إِلَى أَيِّ شَيْءٍ يَصِيرُ شَأْنُهُ، وَقَدْ أَرَدْنَا أَنْ تُسْلِفَنَا. قَالَ: نَعَمْ. ارْهَنُونِي. قُلْتُ: أَيُّ شَيْءٍ