আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

وقتها

পৃষ্ঠা - ২৮৮০

আহ ৷ কতই না ভাল প্রভু ! আহ! কতই না ভাল দীন ৷ এই সনদের এটি একক বর্ণনা ৷ ইমাম
আহমদ বলেন, সুলায়মান হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ মুজাহিদগণ পরিখা
খনন করছিল তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন :

হু;ড্রুপ্রুঢু,পুৰুদ্বু৷ ৷, ,শু>৷ ৷ ৰু ৷ “ ঢু; ;,গ্রা৷ ;;; ছু৷ র্বৃ,টু ; ন্৷ ট্রুচুৰুা৷া
হে আল্লাহ! পরকালের কল্যাণ ব্যতীত প্রকৃত কোন কল্যাণ (নই ৷ আপনি আনসার ও
মুহড়াজিরদেরকে পরিংত্তদ্ধ করে দিন ৷ বুখারী ও মুসলিম তাদের সহীহ গ্নন্থদ্বয়ে এ হাদীছটি গুনদার
সুত্রে শুবা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, পরিখা খননকালে এমন কতক ঘটনা ঘটেছে বলে আমার নিকট হড়াদীছ
পৌছেছে যে ঘটনাওলাের মধ্যে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ৷ষ্ণ্ক্ষথীয় বিষয় রয়েছে ৷ সে ঘটনা
গুলোতে প্রমাণ রয়েছে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সত্যায়নের এবং তার নুবুওয়াতের যথার্থতার ৷
উপস্থিত মুসলমানগণ ওহী সব ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন ৷ তার একটি এই হযরত জাবির (রা )
বর্ণনা করেছেন যে, একটি পরিখা খনন করার সময় তারা একটি কঠিন শিলা খন্ডের মুখোমুখি
হন ৷ কোন কুঠার ও শাবল দ্বারা তা ভাঙ্গা যাচ্ছিল না ৷ তারা বিষয়টি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
জানালেন ৷ তিনি এক পাত্র পানি আনতে বললেন ৷ তিনি ওই পানিতে তার পবিত্র মুখের থু থু
মিশিয়ে তারপর দৃআ করলেন ৷ তারপর ওই পাথরে পানিটুকু ছিটিয়ে দিলেন ৷ সেখানে যারা
উপস্থিত ছিল তারা বলল যে, যে মহান সত্তা তাকে সত্য রাসুলরুপে প্রেরণ করেছেন তার কলম ,
ওইপাথর একেবারেই নরম হয়ে গেল ৷ এমনকি তা বালুর ঢিবিতে পরিণত হল ৷ তারপর আর
কোন কুঠার কিৎরা রেলচার আঘাত ব্যর্থ হয়নি ৷ ইবন ইসহাক এভাবে হযরত জাবির (রা) থেকে
সনদ ছাড়া এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

বুখারী (র ) বলেছেন, খড়াল্লাদ ইবন ইয়াহ্য়া আয়মান সুত্রে বলেছেন যে, তিনি বলেন, আমি
হযরত জাবির (রা) এর নিকট এসেছিলাম ৷ তখন তিনি আমাকে বললেন যে, খন্দক যুদ্ধের দিনে
আমরা পরিখা খনন করছিলাম ৷ আমাদের সামনে পড়ল একটি কঠিন শিলাখণ্ড ৷ লোকজন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে তাকে ঘটনা জানান ৷ তিনি বললেন, আমি নিজে ওই পরিখড়াতে
নামব ৷ তিনি উঠলেন ৷ তার পেটে পাথর বাধা ছিল ৷ তিনদিন আমরা কোন খাবার খেতে পাইনি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) শাবল হাতে নিলেন ৷ তারপর ওই শিলাখণ্ডে আঘাত করলেন ৷ সেটি বালির ঢিবি
বালির স্তুপের ন্যায় হয়ে গেলে ৷ হযরত জাবির (রা) বলেন, আমি তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নিকট আরয করলাম যে, আমাকে একটু বাড়ী যাবার অনুমতি দিন ৷ তিনি অনুমতি দিলেন ৷ বাড়ী
গিয়ে আমি আমার ত্রীকে বললাম, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এতই ক্ষুধার্ত ও করুণ অবস্থায়
দেখে এসেছি যে, আমি আর ধৈর্য ধারণ করতে পারছিলাম না ৷ তোমার নিকট কি কোন খাদ্য দ্রব্য
আছে ? সে বলল, আমার নিকট সামান্য বর ও একটি বকরীর বাচ্চা আছে ৷ আমি ওটি যবাই
করলাম ৷ সে যবগুলো পিষে নিল ৷ আমরা পাতিলে গোশত ঢেলে রান্না চডিয়ে দিলাম ৷ আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এলাম ৷ তখন আটাগুলো পৃথক করার খামীরের পর্যায়ে ছিল এবং


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ، وَهُمْ يَحْفِرُونَ الْخَنْدَقَ: " اللَّهُمَّ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الْآخِرَةِ فَأَصْلِحِ الْأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَةَ» " وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ فِي حَفْرِ الْخَنْدَقِ أَحَادِيثُ بَلَغَتْنِي، فِيهَا مِنَ اللَّهِ تَعَالَى عِبْرَةٌ فِي تَصْدِيقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَحْقِيقِ نُبُوَّتِهِ، عَايَنَ ذَلِكَ الْمُسْلِمُونَ؛ فَمِنْ ذَلِكَ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ «كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّهُ اشْتَدَّتْ عَلَيْهِمْ فِي بَعْضِ الْخَنْدَقِ كُدْيَةٌ، فَشَكَوْهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَا بِإِنَاءٍ مِنْ مَاءٍ، فَتَفَلَ فِيهِ، ثُمَّ دَعَا بِمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَ بِهِ، ثُمَّ نَضَحَ الْمَاءَ عَلَى تِلْكَ الْكُدْيَةِ، فَيَقُولُ مَنْ حَضَرَهَا: فَوَالَّذِي بَعَثَهُ بِالْحَقِّ لَانْهَالَتْ حَتَّى عَادَتْ كَالْكَثِيبِ مَا تَرُدُّ فَأْسًا وَلَا مِسْحَاةً» هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ مُنْقَطِعًا، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.