আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

وقتها

পৃষ্ঠা - ২৮৭৫

যথা সময়ে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে কুরায়শরা উয়ায়না ইবন হিসান ইবন হুযায়ফা ইবন বদর
-এর নেতৃত্বে পাতফানীরা ও ফাযাবীরা, হারিছ ইবন আওফ ইবন আবু হারিছা মুররী এর নেতৃত্বে
বনু মুররা গোত্রের লোকজন এবং মিসআর ইবন রুখড়ায়লা ইবন নুওয়ায়রা এর নেতৃত্বে আশজাঈ
গোত্রের লোকেরা যুদ্ধের জন্যে বের হয় ৷ ওদের আগমন ও পরিকল্পিত যুদ্ধ প্রন্তুতির সংবাদ শুনে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনার সীমানায় পরিখা (খন্দক) খননের নির্দেশ দিলেন ৷ ইবন হিশাম বলেন,
পরিখা থননের পরামর্শ দিয়েছিলেন হযরত সালমান ফাবেসী (রা ) ৷

তাবারী ও সুহায়লী বলেন, যুদ্ধে সর্ব প্রথম পরিখা খনন করেছিল , মনুচেহ্র ইবন ঈরাজ ইবন
আফবীদুন ৷ সে ছিল মুসা (আ)-এর যুগের লোক ৷ ইবন ইসহাক বলেন, মুসলমড়ানদেরকে এ
ছাওযাবের কাজে উৎসাহিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজেও পরিখা খননে অংশ নেন ৷ মুসলিম
সৈনম্পোণ তার সাথে পরিখা খনন করেন ৷ মুনাফিকদের একটি দল শারিরীক দৃর্বলতার অজুহাতে এ
কাজ থেকে বিরত থাকে ৷ তাদের কতক আবার রাসুলুল্লাহ্ (ৰুন্ন্দ্)এ্যা অনুমতি ও অবগতি
ব্যতিবেকে চুপিসারে পালিয়ে যায় ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা আয়াত নাযিল করে বলেন :

তারাই মু’মিন যারা আল্লাহ্ এবং তার রাসুলের প্রতি ঈমান আসে এবং রাসুলের সাথে
সামষ্টিক ব্যাপারে একত্র হলে তার অনুমতি ব্যতীত সরে পড়েনা ৷ যারা আপনার অনুমতি প্রার্থনা
করে তারাই আল্লাহ্ এবং তার রাসুলে বিশ্বাসী ৷ অতএব, তারা তাদের কোন কাজে বাইরে যাবার
জন্যে আপনার অনুমতি চাইলে তাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছা আপনি অনুমতি দেবেন এবং তাদের
জন্যে আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থাংড়া করবেন ৷ আল্লাহ্ ক্ষমাশীল , পরম দযালু ৷ রাসুলের অড়াহ্বানকে
তোমরা (তামাদের একে অপরের প্রতি আহ্বানের ন্যায় গণ্য করো না , তোমাদের মধ্যে যারা চুপি
চুপি সরে পড়ে আল্লাহ্ তাদেরকে জানেন ৷ সুতরাং যারা তার আদেশের বিরোধিতা করে তারা
সতর্ক থাকুক যে, বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হয়ে তাদের উপর কঠিন
শাস্তি ৷ জেনে রেখো, আকাশরাজি ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা আল্লাহ্রই ৷ তোমরা যাতে
ব্যাপৃত তিনি তা জানেন, যেদিন তারা তার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে সেদিন তিনি তাদেরকে জানিয়ে
দেবেন, তারা যা করত ৷ আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ ৷ (২৪ নুর : ৬২-৬৪ ) ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মুসলিম সৈন্যগণ পরিখা খনন করতে লেগে গেলেন এবং উত্তমভাবে
তা সম্পন্ন করলেন ৷ জনৈক মুসলমানকে উপলক্ষ করে তারা কবিতা ও আবৃত্তি করেছিলেন ৷
ল্যেকটির নাম ছিল জুআঈল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নামকরণ করেন আমর ৷ তখন মুসলমানগণ
নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করলেন :

৪১১ ১১ ,,ন্ওঞ ১ব্লে১ ৷বুন্ন্হ্ন,ন্ান্ন্১ট্ব্ল ,ণ্হ্১ পু>:ণ্ ’০শু১
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নাম রাখলেন আমর ৷ প্রথমে তার নাম ছিল জুআঈল ৷ এক সময় সে
ফকীর মিসকীন ও অভাবীদের সাহায্যকারী ছিল ৷

কবিতা আবৃত্তি করতে গিয়ে ওার৷ যখন আম র৷ ণ্৷ উচ্চারণ করতেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ও
তাদের সাথে আমরান উচ্চারণ করতেন ৷ তারা যখন যাহরান” উচ্চারণ করতেন তখন তিনিও
“যাহরান” উচ্চারণ করতেন ৷




بِهِ سَلْمَانُ. قَالَ الطَّبَرِيُّ وَالسُّهَيْلِيُّ: أَوَّلُ مَنْ حَفَرَ الْخَنَادِقَ مِنُوشِهْرُ بْنُ إِيرَجَ بْنِ أَفْرِيدُونَ، وَكَانَ فِي زَمَنِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَعَمِلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرْغِيبًا لِلْمُسْلِمِينَ فِي الْأَجْرِ، وَعَمِلَ فِيهِ الْمُسْلِمُونَ، وَتَخَلَّفَ طَائِفَةٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ يَعْتَذِرُونَ بِالضَّعْفِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْسَلُّ خُفْيَةً بِغَيْرِ إِذْنِهِ وَلَا عِلْمِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِي ذَلِكَ قَوْلَهُ تَعَالَى: {إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَإِذَا كَانُوا مَعَهُ عَلَى أَمْرٍ جَامِعٍ لَمْ يَذْهَبُوا حَتَّى يَسْتَأْذِنُوهُ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَأْذِنُونَكَ أُولَئِكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ فَإِذَا اسْتَأْذَنُوكَ لِبَعْضِ شَأْنِهِمْ فَأْذَنْ لِمَنْ شِئْتَ مِنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمُ اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ لَا تَجْعَلُوا دُعَاءَ الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاءِ بَعْضِكُمْ بَعْضًا قَدْ يَعْلَمُ اللَّهُ الَّذِينَ يَتَسَلَّلُونَ مِنْكُمْ لِوَاذًا فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ أَلَا إِنَّ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ قَدْ يَعْلَمُ مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ وَيَوْمَ يُرْجَعُونَ إِلَيْهِ فَيُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوا وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ} [النور: 62] (النُّورِ: 62 64) قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَعَمِلَ الْمُسْلِمُونَ فِيهِ حَتَّى أَحْكَمُوهُ، وَارْتَجَزُوا فِيهِ بِرَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يُقَالُ لَهُ: جُعَيْلٌ. سَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمْرًا، فَقَالُوا فِيمَا يَقُولُونَ: