আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربع من الهجرة النبوية

غزوة بني لحيان

পৃষ্ঠা - ২৮৩৫

সাথে যেন সালাতে শরীক হয় ৷ এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে ৷ কাফিরগণ কামনা করে
যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্পর্কে অসতর্ক হও, যাতে তারা তোমাদের
উপর ঝাপিয়ে পড়তে পারে ৷ যদি তোমরা বৃষ্টির জন্যে কষ্ট পাও অথচ পীড়িত থাক তবে তোমরা
অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন দোষ নেই ৷ কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে ৷ আল্লাহর
কাফিরদের জন্যে লাঞ্চুনাদায়ক শাস্তি প্ৰন্তুত করে রেখেছেন ৷ (৪ শ্নিসা ঘ্র ১ : ২) ৷ আসর নামায়ের
সময় হলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নির্দেশে সকলে সশস্ত্র অবস্থায় থাবন্বন্থদ্বপ্ন্ণ্৷ ৷ আমরা তার পেছনে
দু’সারিতে দীড়ালাম ৷ তিনি রুকু করলেন আমরা সকলে র্তার সাথে রুকুতে গেলাম ৷ তিনি রুকু
থেকে মাথা তৃললেন ৷ আমরা সকলে মাথা উঠালাম ৷ তিনি ১ম সারিসরু সিজদায় গেলেন ৷ ২য়
সারি সিজদায় গেলনড়া ৷ তারা দাড়িয়ে দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন ৷ ১ম সারি সিজদা থেকে উঠে
দাড়ালেন ৷ ২য় সারি বসে ওদের জায়গায় সিজদা দিলেন ৷ এবার ১ম সারি গেলেন ২য় সারিতে
আর ২য় সারি গেল ১ম সারিতে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দ্বিতীয় রাকঅ্যাংতর জন্যে রুকুতে গেলেন ৷
উভয় সারি রুকুতে গেল ৷ তিনি রুকু থেকে মাথা তৃললেন সকলে মাথা তৃললেন ৷ এরপর
এখনকার ১ম সারি সহ তিনি সিজদায় গেলেন ৷ ২য় সারি দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল ৷ ১ম সারি
সিজদা থেকে উঠে বসল ৷ এবার ২য় সারি বসে সিজদাবনত হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সালাম ফিরিয়ে
নামায শেষ করলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভয়কালীন নামায বা সালাতুল থাওফ
দু’বার পড়েছেন, একবার উছফান অঞ্চলে, আরেকবার বনু সুলায়ম গোত্রে ৷

ইমাম আহমদ (র) জুনদার মানসুর থেকে অনুরুপ বংনাি করেছেন ৷ আবুদাউদ (র)
ও নাসায়ী নিজ নিজ সনদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এই হাদীছের সনদদ বুথাবী ও মুসলিমের
শর্ভে উত্তীর্ণ তবে, তারা এটি উদ্ধৃত করেননি ৷ তবে মুসলিম (র) আবু খায়ছামাহ — — — জাৰির
(বা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সাথী হয়ে জুহায়না
সম্প্রদায়ের একটি গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম ৷ সেখানে উভয় পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷
যথাসময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জামাতের সাথে যুহরের নামায আদায় করেন ৷ এ অবস্থায় কাফিরগণ
বলেছিল , আমরা যদি ওই সময়টুকুতে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়তড়াম তাহলে ওদেরকে ছত্রভঙ্গ ও
পরাজিত করে দিতে পারতাম ৷ তাদের কথোপকথন জিববাঈল (আ) এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
জানিয়ে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা আমাদেরকে অবগত করলেন ৷ তিনি বললেন যে, মুশরিকরা
নিজেদের মধ্যে বলাবনি করেছিল যে, অবিলম্বে মুসলমানদের নিকট আরেকটি নামায়ের সময়,
উপস্থিত হয়ে যে নামায ওদের কাছে নিজ নিজ সন্তান-সম্ভতিদের চাইতেও বেশী প্রিয় ৷ এরপর
হাদীছের অবশিষ্ট অংশ পুর্বের ন্যায় বর্ণনা করেছেন ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী বলেন, হিশাম বর্ণনা করেছেন আবু যুবায়র এর বরাতে জাৰির ইবন
আবদুল্লাহ (বা) থেকে ৷ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক থেজুর বাগানে সাহাবীগণকে নিয়ে
যােহরের নামায আদায় করেছিলেন ৷ মুশরিকরা র্তাদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল ৷
তারপর নিজেরাই বলাবলি করে যে, এ বেলা থাকুক মুসলমানদের আরেকটি নামায আছে এই
নামায়ের পর ৷ সেটি তাদের নিকট নিজেদের সন্তান-সম্ভতি অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় ৷ ওই

নামায়ের সময় আমরা হামলা করব ৷ হযরত জিবরাঈল (আ) অবতীর্ণ হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর


جَمِيعًا، ثُمَّ رَفَعَ فَرَفَعُوا جَمِيعًا، ثُمَّ سَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَالْآخَرُونَ قِيَامٌ يَحْرُسُونَهُمْ، فَلَمَّا جَلَسُوا جَلَسَ الْآخَرُونَ، فَسَجَدُوا ; ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ انْصَرَفَ. قَالَ: فَصَلَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْنِ ; مَرَّةً بِعُسْفَانَ وَمَرَّةً بِأَرْضِ بَنِي سُلَيْمٍ» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ. وَالنَّسَائِيُّ، عَنِ الْفَلَّاسِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ الصَّمَدِ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، وَبُنْدَارٍ، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ مَنْصُورٍ بِهِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ " وَلَمْ يُخْرِجْهُ وَاحِدٌ مِنْهُمَا، لَكِنْ رَوَى مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ أَبِي خَيْثَمَةَ زُهَيْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْمًا مِنَ جُهَيْنَةَ، فَقَاتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَلَمَّا أَنْ صَلَّى الظَّهْرَ قَالَ الْمُشْرِكُونَ: لَوْ مِلْنَا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً لَاقْتَطَعْنَاهُمْ. فَأَخْبَرَ جِبْرِيلُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ، وَذَكَرَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَقَالُوا: إِنَّهُ سَتَأْتِيهِمْ صَلَاةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنَ الْأَوْلَادِ» فَذَكَرَ الْحَدِيثَ كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ