আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربع من الهجرة النبوية

غزوة بني لحيان

পৃষ্ঠা - ২৮৩৩

আপনি হলেন আমাদের চুক্তি ও অঙ্গীক৷ ৷রে নেতৃন্থানীয় ব্যক্তি ৷ আপনি ওই নবীর অনুসরণ করলে
আমরাও র্তা র অনুসরণ করব ৷ আপনি ত কে প্রত্যাখ্যান করলে আমরাও প্রত্যাখ্যান করব ৷ আমর
ইবন সৃদ৷ কা র এর মুখোমুখি হল এবং ওদের উভয়ের আলোচনার জের ধরে বলল, হে কা র
ওই নবীর অনুসরণের ব্যাপারে আমার বক্তব্য৩ তাই না আপনি বলেছেন যে, “কারো অনুসরণকা ৷রী
ও অনুষঙ্গী হতে আমার মন চায় না ৷” বায়হ৷ কী (র) এটি বর্ণনা করেছেন ৷

বনু লিহয়ান অভিমুখে অভিযান

বায়হাকী দালাইল গ্রন্থে এ ঘটনাটির উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন ইসহাক (রা) হিশাম সুত্রে যিয়াদ
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, খন্দকের যুদ্ধ এবং বনু কুরায়যার যুদ্ধের পরবর্তী দ্বিতীয় বছরের
জুমাদ৷ ল উলা মাসে এই অভিযান সং ঘটিত ৩হয় ৷ এ বংনািটি বায়হাকীর বংনাি ৷র চা ৷ইতে অধিকতর
গ্রহণযোগ্য ৷ আল্লাহ্ই৩াল জানেন ৷ বায়হাকী বলেন, আবু আবদুর হ — — — আহমদ ইবন
আবদুল জাব্বার প্রমুখ বলেছেন, খুবায়ব (রা )ও তা ৷র সা ৷থিপণের শা হাদতের পর বনুলিহ্য়ান গোত্র
থেকে রক্তপণ উসুল করার দাবী নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা থেকে বের হলেন ৷ বাহ্যত তিনি
সিরিয়ার দিকে যাত্রা করলেন ৷ যাতে কেউ বুঝতে না পারে যে, তিনি মুলত: বনু লিহয়ানের
গোত্রের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন ৷ বনু লিহয়ানের হুযায়লের এলাকায় গিয়ে দেখতে পেলেন যে, ওরা
আক্রমণের আশংকায় সতর্কতাস্বরুপ পাহাড়ের চুড়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৷ এ অবস্থায় রাসুলুরাহ্
(সা) বললেন, এখন আমরা যদি উছফা ৷ন অঞ্চলে অবত তরণ করি তাহলে কুরায়শরা মনে করবে যে,
আমরা মক্কা আক্রমণের উদ্দেশ্যে এসেছি, তিনি ২০০ অশ্বারোহী নিয়ে যা ত্রা করলেন ৷ উছফান
অঞ্চলে এসে তিনি র্তাবু খাটালেন ৷ দু’জন অশ্বারোহীকে তিনি প্রেরণ করলেন ৷ তারা কুরা
আল গামীম অঞ্চলে আসে ৷ত তারপর ফিরে যায় ৷

আবুআইয়াশ যুরাকী বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উছফান নামক স্থানে সালাতুল খাওফ বা
ভয় কালীন নামায আদায় করেছিলেন ৷ ইমাম আহমদ (রা) বলেন, আবদুর রাঘৃযাক — ইবন
আইয়াশ বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে উছফান নামক স্থানে ছিলাম ৷ মুশরিকরা
সেখানে আমাদের মুখোমুখি হয় ৷ ওদের নেতৃত্বে ছিল খালিদ ইবন ওয়ালীদ ৷ আমাদের আর
কিবলা ৷র মধ্যস্থানেত তার৷ অবস্থান করছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আমাদেরকে নিয়ে যুহরের নামায
আদায় করলেন ৷ একই সাথে নামাযরত দেখে মুশরিকগণ বলাবলি করতে লাগলো খনত এমন
একটা সময় ছিল যে, আমরা ওদের উপর অত র্কিতে আক্রমণ করলে ওদেরকে পরাজিত করে
মালপত্র দখল করে নিতে পারতাম,তারা আরো বলল যে, একটু পরে ওদের অপর একটি
নামায়ের সময় আসবে যে নামায ওদের নিকট আ ৷পন প্রাণ এবংঅ আপন পুত্রকন্যার চেয়েও প্রিয় ৷
ওই নামাযে দাড়ালে আমরা ওদের উপর আক্রমণ করব ৷ এই প্রেক্ষাপটে তয়কালীন নামায
সম্পর্কিত কয়েকটি আয়াত নিয়ে যোহর আর আছরের মাঝামাঝি সময়ে হযরত ৩জিবরাঈল (আ )
অবশীর্ণ হলেন ৷ সে আয়াত টি হল, ( ;১াশু৷ ৷ পে৷ ণ্ ণ্স্কএে ণ্ধ্ৰু;ণ্ ;£ ৷ এ ৷ এ) এবং আপনি
যখন ওদের মাঝে অবস্থান করবেন ও তাদের সাথে সালাত কায়েম করবেন তখন তাদের একদল
আপনার সাথে যেন দাড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে ৷ তাদের সিজদা শেষ হলে তারা যেন
আপনাদের পেছনে অবস্থান করে , আর অপর একদল যারা সালাতে শরীক হয়নি তার৷ আপনার

২১ —

[غَزْوَةُ بَنِي لِحْيَانَ] َ الَّتِي صَلَّى فِيهَا صَلَاةَ الْخَوْفِ بِعُسْفَانَ هَاهُنَا ذَكَرَهَا الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ "، وَإِنَّمَا ذَكَرَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ فِيمَا رَأَيْتُهُ، مِنْ طَرِيقِ ابْنِ هِشَامٍ، عَنْ زِيَادٍ عَنْهُ، فِي جُمَادَى الْأُولَى مِنْ سَنَةِ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ بَعْدَ الْخَنْدَقِ وَبَنِي قُرَيْظَةَ وَهُوَ أَشْبَهُ مِمَّا ذَكَرَهُ الْبَيْهَقِيُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَغَيْرُهُ، قَالُوا: «لَمَّا أُصِيبَ خُبَيْبٌ وَأَصْحَابُهُ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَالِبًا بِدِمَائِهِمْ ; لِيُصِيبَ مِنْ بَنِي لِحْيَانَ غِرَّةً، فَسَلَكَ طَرِيقَ الشَّامِ ; لِيُرَيَ أَنَّهُ لَا يُرِيدُ بَنِي لِحْيَانَ حَتَّى نَزَلَ