আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربع من الهجرة النبوية

غزوة بني النضير

পৃষ্ঠা - ২৮১৫

যাদের সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিরাপত্তা চুক্তি ছিল অথচ আমর ইবন উমাইয়ার তা জানা ছিল
না, তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন “আমাকে তো ওদের রক্তপণ পরিশোধ করতে হবে” ৷ এ
সব ঘটনা উল্লেখ করার পর ইবন ইসহাক বলেছেন যে, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনুনাযীর গোত্রের
নিকট গেলেন ৷ তীর উদ্দেশ্য ছিল আমব ইবন উমাইয়া নিরাপত্তা চুক্তিপ্রাপ্ত আমির গোত্রের যে
দু’জন লোককে হত্যা করেছে তাদের রক্তপণ পরিশোধে বনু নাযীর ণ্:গাত্রের সহায়তা কামনা
করা ৷ বনু নাযীর ও বনু আমির গোত্রের মধ্যে পরস্পর মৈত্রীও নিরাপত্তা চুক্তি ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে তারা আশ্বস্ত করল যে, আমরা ওই রক্তপণ পরিশোধে আপনাকে সাহায্য করব ৷ এরপর
তারা একাম্ভে মিলিত হল, এবং নিজেরা পরামর্শ করল যে, মুহাম্মাদ (সা ) কে হত্যা করার এমন
সুবর্ণ সুযোগ আর আমরা পাব না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন তাদের একটি ঘরের দেয়ালের পাশে
বসা ছিলেন ৷ তারা বলল, কে আছে যে, ছাদে উঠে ওখান থেকে একটি পাথর ফেলে দিয়ে
মুহাম্মাদকে হত্যা করে আমাদেরকে তীর হাত থেকে নিকৃতি দেবে :ণ্ আমর ইবন জাহ্হাশ এগিয়ে
এসে বলল, আমি এ জন্যে প্রস্তুত আছ ৷ সে মতে পাথর নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে সে ছাদে উঠে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখনও সেখানে একদল সাহাবীসহ বসা ছিলেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন হযরত আবু
বকর (রা) উমর (রা) এবং আলী (রা) ৷ ওদের দুরভিসন্ধি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
আসমানী সংবাদ এসে যায় ৷ তিনি কাউকে কিছু না বলে উঠে পড়েন এবং মদীনায় উদ্দেশ্যে যাত্রা
করেন ৷ দীর্ঘক্ষণ ঘটনাস্থলে ফিরে না আসার সাহাবীগণ তার খোজে বের হয়, মদীনায় দিক থেকে
আগত এক লোককে দেখে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কথা তাকে জিজ্ঞেস করে ৷ যে ব্যক্তি
বলেছিল যে, আমি তো র্তাকে মদীনায় প্রবেশ করতে দেখেছি ৷ এ সংবাদ পেয়ে সাহাবীগণ
সকলে মদীনায় ফিরে এলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট সমবেত হলেন ৷ তিনি ইয়াহুদীদের
বিশ্বাসঘাতকতার কথা তাদেরকে অবহিত করলেন ৷

ওয়াকিদী বলেন, এ ঘটনার পর বাসুলুল্লাহ্ (সা) মুহাম্মাদ ইবন যাসলামড়াকে এ বার্তাসহ বনু
নাযীর গোত্রের নিকট প্রেরণ করেন যে, তারা যেন তার নিকটস্থ এলাকা এবং র্তাব শহর ছেড়ে
চলে যায় ৷ অন্যদিকে মুনাফিকরা ওদের নিকট এ সংবাদ পাঠায় যে, তারা যেন কােনক্রমেই ওই
স্থান ত্যাগ না করে ৷ ওখানে অবস্থান করার জন্যে তারা ইয়াহুদীদেরকে উৎসাহিত করে , এবং
তাদেরকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেয় ৷ মুনাফিকদের প্ৰরোচণার কারণে তাদের শক্তি বৃদ্ধি পায় ৷
ইয়াহুদী নেতা হুয়াই ইবন আখতার আত্ম-অহমিকায় স্ফীত হয়ে উঠে ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকট খবর পাঠায় যে, তারা ওই স্থান ছেড়ে যাবে না ৷ তারা এও জানায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সাথে তাদের সম্পাদিত চুক্তি তারা প্রত্যাহার করেছে ৷

এ অবস্থায় তিনি তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্যে ঘুসলমানদেরকে নির্দেশ দেন ৷
ওয়াকিদী বলেন, মুসলিম বাহিনী বনুনাযীর গোত্রকে একাধারে পনের দিন অবরুদ্ধ করে রাখেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বাসুলুল্লাহ্ (সা) বনুনাযীর গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ এবং যুদ্ধ
যাত্রার নির্দেশ দিলেন ৷ ইবন হিশাম বলেন, ওই সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) (আবদৃল্লাহ্) ইবন উম্মি
যাকতুম (রা) কে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷ এ ঘটনা ঘটেছিল রবীউল আওয়াল মাসে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, মুসলিম বাহিনী যাত্রা শুরু করে ওদের নিকট পৌছেন ৷ র্তারা ওদেরকে


أَنَّهَا بَعْدَهَا، وَبَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ أَيْضًا. قُلْتُ: هَكَذَا ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ كَمَا تَقَدَّمَ ; فَإِنَّهُ بَعْدَ ذِكْرِهِ بِئْرَ مَعُونَةَ، وَرُجُوعَ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ، وَقَتْلَهُ ذَيْنِكَ الرَّجُلَيْنِ مِنْ بَنِي عَامِرٍ، وَلَمْ يَشْعُرْ بِعَهْدِهِمَا الَّذِي مَعْهُمَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلِهَذَا قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ قَتَلْتَ رَجُلَيْنِ لَأَدِيَنَّهُمَا» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَنِي النَّضِيرِ يَسْتَعِينُهُمْ فِي دِيَةِ ذَيْنِكَ الْقَتِيلَيْنِ مِنْ بَنِي عَامِرٍ اللَّذَيْنِ قَتَلَهُمَا عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ ; لِلْعَهْدِ الَّذِي كَانَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَاهُمَا، وَكَانَ بَيْنَ بَنِي النَّضِيرِ وَبَيْنَ بَنِي عَامِرٍ عَهْدٌ وَحِلْفٌ، فَلَّمَا أَتَاهُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ، نُعِينُكَ عَلَى مَا أَحْبَبْتَ. ثُمَّ خَلَا بَعْضُهُمْ بِبَعْضٍ فَقَالُوا: إِنَّكُمْ لَنْ تَجِدُوا الرَّجُلَ عَلَى مُثُلِ حَالِهِ هَذِهِ - وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى جَنْبِ جِدَارٍ مِنْ بُيُوتِهِمْ قَاعِدٌ - فَمَنْ رَجُلٌ يَعْلُو عَلَى هَذَا الْبَيْتِ، فَيُلْقِي عَلَيْهِ صَخْرَةً وَيُرِيحَنَا مِنْهُ؟ فَانْتُدِبَ لِذَلِكَ عَمْرُو بْنُ جَحَّاشِ بْنِ كَعْبٍ فَقَالَ أَنَا لِذَلِكَ. فَصَعِدَ لِيُلْقِيَ عَلَيْهِ صَخْرَةً كَمَا قَالَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعَلِيٌّ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ الْخَبَرُ مِنَ السَّمَاءِ بِمَا أَرَادَ الْقَوْمُ، فَقَامَ وَخَرَجَ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا اسْتَلْبَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ، قَامُوا فِي طَلَبِهِ، فَلَقُوا رَجُلًا مُقْبِلًا مِنَ الْمَدِينَةِ فَسَأَلُوهُ عَنْهُ، فَقَالَ: رَأَيْتُهُ دَاخِلًا الْمَدِينَةَ. فَأَقْبَلَ