আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربع من الهجرة النبوية

غزوة الرجيع

পৃষ্ঠা - ২৭৮৬

ভৈবপিত্রীয় তাই ৷ হুজয়র হযরত খুবয়র (রা) কে কিনেছিল উক্ব ইবন হরিছের নিকট হস্তা ম্ভর
করার জন্যে যাতে সে থুরয়ব (রা) কে হত্যা করে তার পিতার হত্যার প্রা তশোধ নিতে পারে
যায়দ ইবন দছিন্নহ (র) কে ক্রয় করেছিল সাফওয়ান ইবন উমর্শা হয় সে ৩কে ক্রয় করেছিল
তাকে হত্যা করে তার পতৃহত্যার প্ৰতিশোধ নিতে ৷ হত্যার নির্দেশ দিয়ে সে তার ক্রীত দাস
নসতাস কে যায়দ ইবন দ ছিন্ন সহকারে হরম শরীফের বহিরে ;নঈম নামক স্থানে প ঠয়
সেখানে কতক কুরয়শী লোক একত্রিত হয় ৩ তাদের মধ্যে আবু সুফয়ান ইবন হারবও ছিল ৷
মৃত্যুর মুখোমুখি যায়দ ইবন দছিন্ন (রা ) কে সে বলেছিল “হে যায়দ ! এ খ;;ণ্ তোমার যে অবস্থান
মুহাম্মাদকে ধরে এনে সে অবস্থানে রেখে আমরা যদি তাকে হত্যা করি দিচানময়ে তোমাকে মুক্তি
দিই, তুমি তোমার পরিবার পরিজনের মধ্যে থ ক তা কি তুমি পসন্দ করবে ? হযরত যায়দ (বা)
বললেন, আল্লাহর কলম! মুহাম্মাদ (না) এখন যে অবস্থানে আছেন সেখানে যদি তার পবিত্র দেহে
একটি কটি র ৫খচ লপে আ র আ মি আমার পরিবারের মধ্যে থাকর হৃণ্ আমি কখনও পসন্দ করব
ন ৷ আবু সুফিয়ান বলল, মুহাম্মদের (সা) সাহাবীগণ ত কে যেমন দৃঢ়তা ণ্ তালবসে কোন মানুষ
অন্যকে তেমন ভালবসতে আ মি দেখিনি ৷৩ তারপর নসতাম কাফির এসে তাকে হত্যা করে

বংনািকয়ী বলেন, থুবয়র ইবন আদী (বা ) সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবন আবুনজীহ্ হুজায়র ইবন
আবু ইহারের ক্রী৩ দসী ম বিষ থেকে বর্ণনা করেন পরবর্তীতে মারিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
বস্তুত মারিয়া বলেছেন যে, খুবয়ব (র ) বন্দী অবস্থায় আমার নিকট আমার গৃহে অবস্থান
করছিলেন একদিন হঠাৎ আমি গুর দিকে উকি মরে দেখি তার হাতে আঙ্গুরের থােক
মানুষের মাথার মত বড় ছিল ওই আঙ্গুরগুলাে ৷ তিনি ওই থােক থেকে আব্দুর খচ্ছিলেন তখন
পৃথিবীর কোথাও আব্দুর পাওয়া যায় বলে আমার জানা ছিল না ৷

ইবন ইসহক বলেন, আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদ এবং আবদুল্লাহ ইবন আবু নজীহ্
দুজনেই আমাকে জানিয়েছেন, যে মারিয়া বলেছেন, খুবয়ব র) এর মৃভ্যুক্ষণ ঘনিয়ে আমার
তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমাকে একটি ক্ষুর দও ৷ আমি যেন মৃত্যুকে বরণ করার জন্যে পাক
পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হয়ে নিতে পারি ৷ মারিয়া বলেন, এরপর ক্ষুর সহ ছোট্ট একটি বলককে আমি
তার নিকট পাঠাই এই বলে যে, তুমি ক্ষুরটি নিয়ে গৃহে আবদ্ধ সােকটির নিকট যাও ৷ ক্ষুর নিয়ে
বলকটি সেদিকে যাত্রা করার পরই আমার বোধ উদয় হল যে, আমি যা করলাম তাতে তো
থুবয়রের প্ৰতিশোধ নেয়ার সুযোগ তৈরী করে দিলাম ৷ প্ৰতিশোধ স্বরুপ তিনি বলকটিকে হত্য
করে ফেলতে পারেন ৷ তাহলে ১ জন মুসলিমের প্ৰতিশোধরুপে ১জন কাফিরকে হত্যা করা
হয়ে বলকটি ক্ষুর নিয়ে৩ তার নিকট পৌছর পরও তিনি সেটি নিজ হাতে ৩নিলেন এবং বললেন
হায়, তোমার না যখন ক্ষুর সহ তোমাকে আমার নিকট পঠিয়েছে তখন সে কি ৩য় পয়নি ?
এরপর তিনি শিশুটিকে বিদায় দিয়ে দিলেন

ইবন হিশাম বলেন, শিওটি ছিল ওই মহিলারই পুত্র সন্তান ৷ ইবন ইসহক বলেন যে, আসিম
বলেছেন, এরপর কফিরেরা হযরত খুবয়ব (র)-কে নিয়ে বের হল তাকে গুলিতে চড়ানোর
জন্যে ৷ তারা “তানঈম” এসে পৌছল তিনি বললেন, তোমরা যদি আমাকে দু’ রকআত নামায
আদায়ের অবকাশ দিতে রযী হও তার ভাই কর ৷৩ তারা বলল, ঠিক অছে৩ তুমি নামায আদায়


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَمَّا خُبَيْبٌ، وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَارِقٍ فَلَانُوا وَرَقُّوا وَرَغِبُوا فِي الْحَيَاةِ، وَأَعْطَوْا بِأَيْدِيهِمْ فَأَسَرُوهُمْ، ثُمَّ خَرَجُوا بِهِمْ إِلَى مَكَّةَ لِيَبِيعُوهُمْ بِهَا، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالظَّهْرَانِ انْتَزَعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَارِقٍ يَدَهُ مِنَ الْقِرَانِ، ثُمَّ أَخَذَ سَيْفَهُ، وَاسْتَأْخَرَ عَنْهُ الْقَوْمُ، فَرَمَوْهُ بِالْحِجَارَةِ حَتَّى قَتَلُوهُ، فَقَبْرُهُ بِالظَّهْرَانِ وَأَمَّا خُبَيْبُ بْنُ عَدِيٍّ، وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ فَقَدِمُوا بِهِمَا مَكَّةَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَبَاعُوهُمَا مِنْ قُرَيْشٍ بِأَسِيرَيْنِ مِنْ هُذَيْلٍ كَانَا بِمَكَّةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَابْتَاعَ خُبَيْبًا، حُجَيْرُ بْنُ أَبِي إِهَابٍ التَّمِيمِيُّ حَلِيفُ بَنِي نَوْفَلٍ لِعُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَامِرِ بْنِ نَوْفَلٍ، وَكَانَ أَبُو إِهَابٍ أَخَا الْحَارِثِ بْنِ عَامِرٍ لِأُمِّهِ ; لِيَقْتُلَهُ بِأَبِيهِ. قَالَ: وَأَمَّا زَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ فَابْتَاعَهُ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ، ; لِيَقْتُلَهُ بِأَبِيهِ، فَبَعَثَهُ مَعَ مَوْلًى لَهُ يُقَالُ لَهُ: نِسْطَاسٌ. إِلَى التَّنْعِيمِ، وَأَخْرَجَهُ مِنَ الْحَرَمِ لِيَقْتُلَهُ، وَاجْتَمَعَ رَهْطٌ مِنْ قُرَيْشٍ فِيهِمْ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ فَقَالَ لَهُ أَبُو سُفْيَانَ حِينَ قُدِّمَ لِيُقْتَلَ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا زَيْدُ، أَتُحِبُّ أَنَّ مُحَمَّدًا عِنْدَنَا الْآنَ مَكَانَكَ نَضْرِبُ عُنُقَهُ، وَأَنَّكَ فِي أَهْلِكَ؟ قَالَ: وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ مُحَمَّدًا الْآنَ فِي