আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربع من الهجرة النبوية

غزوة الرجيع

পৃষ্ঠা - ২৭৮২

আমার মৃত্যুভাে হচ্ছে আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্যে ৷ তিনি চাইলে আমার খণ্ড
বিখণ্ড দেহের প্রতিটি জোড়ায় জোড়ায় প্রতিটি সংযোগ স্থলে বরকত দিবেন ৷ এরপর উকবা ইবন
হারিছ তার দিকে এগিয়ে যায় এবং তাকে হত্যা করে ৷ বর্ণিত আছে যে কুরায়শের লোকেরা
প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল যাতে তারা চিনতে পারে আসিমের (বা) শরীরের এমন কোন অংশ নিয়ে
আসার জন্যে ৷ কারণ হযরত আসিম (রা) ওদের খ্যাতিমান এক বেতাকে বদর দিবসে হত্যা
করেছিলেন ৷ এখন তার শরীরের অংশের অবমাননা করে তার প্রতিশোধ নেয়া ছিল তাদের
উদ্দেশ্য ৷ জ্যি তার পবিত্র দেহকে ওদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে আল্লাহ্ তাআলা মেঘের
ন্যায় এক ঝাক মৌমাছি পাঠিয়ে দিলেন ৷ মৌমাছি গুলো চারিদিক থেকে তাকে ঘিরে রেখে
ওদের হাত থেকে তার দেহকে রক্ষা করে ৷ তারা তার দেহ স্পর্শ-ই করতে পারেনি ৷

বুখারী বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ (রা)
বলতেন যে, খুবায়ব (না)-কে হত্যা করেছিল কাফির আবু সারােআ ৷ আমি বলি, তার নাম
উকবা ৷ সে হারিছের পুত্র ৷ অবশ্য পরে সে ইসলাম গ্রহণ করেছিল ৷ “দুধ পান বিষয়ে তার
বর্ণিত একটি হাদীছও রয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, আবু সাষ্করাআ আর উকবা দুজন সহােদর
ভইি ছিলেন ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷ বুখারী (র) তার সহীহগ্রন্থে মাগাযী অধ্যায়ে রাব্জী এর ঘটনা
এভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি এই ঘটনাটি তাওহীদ অধ্যায়ে এবং জিহাদ অধ্যায়ে যুহ্রী জ্যি
ভিন্ন সুত্রে উল্লেখ করেছেন ৷ তার একটি ভাষ্য এই : রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১০ জনের একটি গুপ্তচর
দল প্রেরণ করেছিলেন ৷ তাদের নেতা মনোনীত করেছিলেন আসিম ইবন ছাবিত ইবন আবু
আফ্ফাহ্বহ্কে ৷ অবশিষ্ট বর্ণনা পুংর্বর ন্যায় ৷ বর্ণনার কোন কোন অংশে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক, মুসা
ইবন উক্বা এবং উরওয়া ইবন যুৰায়র দ্বিমত পোষণ করেছেন ৷ উভয় প্রকারের বর্ণনার মধ্যে
কতটুকু তারতম্য ও ব্যবধান রয়েছে তা স্পষ্ট করার জন্যে আমরা ইবন ইসহাকের বর্ণনাটিও
উল্লেখ করব ৷ কারণ, ইতিহাস বিষয়ে ইবন ইসহাক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি এবং অপ্রতিদ্বন্দী ৷ যেমন
ইমাম শাফিঈ (র) বলেছেন, মাগাযী বা যুদ্ধ শাগ্রে যে পযাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে চায় সে নিশ্চয়ই
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের মুখাপেক্ষী ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেছেন, আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা আমাদের নিকট বলেছেন
যে উহুদ যুদ্ধের পর আমল ও কারাহ গোত্রদ্বয়ের কতক লোক রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন
করে ৷ তারা বলে, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ষ্ আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ আপনি আপনার সাহাবীদের
মধ্য থেকে একলে লোক আমাদের সাথে পাঠিয়ে দিন যারা আমাদেরকে দীনের জ্ঞান দান করবে,
কুরআন শিক্ষা দেবেন এবং ইসলামের বিধানাবলী সম্পর্কে আমাদেরকে অবহিত করবেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ছয়জন সাহাৰী (রা)ণ্কে তাদের সাথে প্রেরণ করলেন ৷ তারা হলেন (১)
মারছাদ ইবন আবু মারছাদ পানাবী (রা), ইনি হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিবের মিত্র ছিলেন ; ইবন
ইসহাকের মতে ইনি ছিলেন দলনেতা ৷ (২) খালিদ ইবন বৃকায়র লইিহী (রা), তিনি বনু আদী
গোত্রের মিত্র ৷ (৩) আদিম ইবন ছাবিত ইবন আবুল আফলাহ (রা) ৷ ইনি বনু আমর ইবন আওফ
গোত্রের ণ্লাক ছিলেন ৷ (৪) খুবায়ব ইবন আদী (রা), ইনি বনু আহ্জাবাঈ ইবন কালফা ইবন
আমর ইবন আওফ গোত্রের লোক ছিলেন ৷ (৫) যায়দ ইবন দাছিন্ন৷ (বা), তিনি বনু বিয়াদা ইবন


الرَّجِيعِ وَرَوَاهُ أَيْضًا فِي التَّوْحِيدِ وَفِي الْجِهَادِ، مِنْ طُرُقٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ أَسِيدِ بْنِ جَارِيَةَ الثَّقَفِيِّ حَلِيفِ بَنِي زُهْرَةَ وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: عُمَرُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ. وَالْمَشْهُورُ عَمْرٌو. وَفِي لَفْظٍ لِلْبُخَارِيِّ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَةَ رَهْطٍ سَرِيَّةً عَيْنًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَاصِمَ بْنَ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ» وَسَاقَ نَحْوَهُ. وَقَدْ خَالَفَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فِي بَعْضِ ذَلِكَ، وَلْنَذْكُرْ كَلَامَ ابْنِ إِسْحَاقَ ; لِيُعَرَفَ مَا بَيْنَهُمَا مِنَ التَّفَاوُتِ وَالِاخْتِلَافِ، عَلَى أَنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ إِمَامٌ فِي هَذَا الشَّأْنِ، وَغَيْرُ مُدَافَعٍ، كَمَا قَالَ الشَّافِعِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: مَنْ أَرَادَ الْمَغَازِي فَهُوَ عِيَالٌ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ: قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ أُحُدٍ رَهْطٌ مِنْ عَضَلٍ وَالْقَارَةِ، فَقَالُوا: