আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربع من الهجرة النبوية

غزوة الرجيع

পৃষ্ঠা - ২৭৭৯

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্য একটি ক্রীতদাস এবং বিধিমুতাবিক মোট সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ
রেখে দেওয়া হয় ৷ অবশিষ্ট মালামাল অভিযানে অংশ গ্রহণকারী মুজাহিদদের মধ্যে বন্টন করে
দেওয়া হয় ৷ তারপর তারা মদীনায় ফিরে এলেন ৷

উমর ইবন উছমান বলেন, আবদুল মালিক উমর ইবন আবু সালাম৷ (র৷ ) থেকে বর্ণিত যে,
তিনি বলেছেন, উহুদ যুদ্ধে যে কাফিৱ আমার পিতাকে যখন করেছিল যে ছিল আবু উসমাে
জাশামী ৷ প্রায় এক মাস যাবত আমার পিতা ওই যখমের চিকিৎসা করল ৷ তারপর তিনি সুস্থ হয়ে
উঠলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে কতোন এলাকায় প্রেরণ করেন ৷ সময়টি জ্জি ৪র্থ হিজরীর মুহাররাম
মাস ৷ সফর উপলক্ষে দশ দিনের অধিরুহ্মাল তিনি মদীনায় বাহিরে ছিলেন ৷ মদীনায় প্রুত্যাবর্তনের
পর তার ক্ষতস্থান আবার দগদাগ হয়ে উঠে ৷ অবশেষে জুমদোল উলা মাসের তিনদিন অবশিষ্ট
থাকতে তার ইনতিকাল হয় ৷ উমর ইবন আবুসালামা বলেন আমার পিতার মৃত্যুতে আমার যা
যথারীতি ইদ্দত পালন করেন ৷ : মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন্ণ্নর পর রাসুলুল্লাহ্-র সঙ্গে পরিণয়
সুত্রে আবদ্ধ হন ৷ শাওয়াল মাসের শেষ দিকে তাদের বাসর হয় ৷ এ প্রেক্ষিতে আমার মা বলভেন
“শাওয়াল সালে বিয়ে অনুষ্ঠান এবং বাসর উদযাপনে কোন দোষ নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
বিয়ে করেছেন শাওয়াল মাসে এবং ঐ মাসেই আমাদের বাসর হয় ৷ বর্ণনকােরী বলেন, ৫৯ হিজ্জী
সনের যিলকদ-মাসে উম্মু সালমো (রা)-এর ওফাত হয় ৷ বায়হাকী (র) এটি বর্ণনা করেহ্নে৷ ৷ আমি
বলি, ৪র্থ হিজরী সনের শেষের দিকের ঘটনাবলী উল্লেখ করার সময় শাওয়াল মাসে উম্মু সালামার
সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিবাহ এবং এতদৃসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় যেমন মায়ের বিয়েতে পুক্রো
অভিভাবকভু, এ বিষয়ে উলামা-ই কিরামের মতভেদ ইত্যাদি উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ্ ৷

রাজীর লোমহর্ষক ঘটনা

ওয়াকিদী বলেন, এই ঘটনাটি ঘটেছিল : র্থ হিজরী সনের সফর মাসে ৷ রাসুলল্লাহ্ (সা) ওই
জামাআতকে প্রেরণ করেছিলেন মক্কাৰাসীদের প্রতি ৷ রাব্জী হল উছফান থেকে ৮ ম্াইলের
ব্যবধানে অবস্থিত একটি কুয়াে ৷ ইমাম বুখারী (র) বলেন, ইবরাহীম আবু হুরায়রা (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদল গুপ্ত-চর পাঠিয়েছিলেন ৷ তাদের নেতা
মনোনীত করেছিলেন আসিম ইবন ছাৰিতকে ৷ আসিম ইবন ছাবিত ছিলেন আসিম ইবন উমার

বদৃযায়ল গোত্রের এক উপগােত্র বনু লাহয়ান তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয় ৷ ফলে ঐ
গোত্রের প্রায় একশ’ তীরন্দাজ ব্যক্তি ঐ ঘুসলিম জামাআতাক আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে বের হয় ৷
তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে শত্রুপক্ষ অগ্রসর হয় ৷ এক জায়গায় এসে তারা যাত্রা বিরতি করে ৷
সেখানে তারা কতক খেজুর বীঢি দেখতে পায় ৷ তারা বল্মবলি করতে লাগলো ওগুলে৷ তো
দেখছি মদীনায় খেজুর ৷ সফরের খাদ্য হিসেবে আসিম (বা ) ও তার সাথীরা সেগুলো সঙ্গে
এসেছিলেন ৷ দ্রুত বো:গ তারা ঐ জামলোতের পশ্চাদ্ধাবন করে ৷ তারা তাদের কাছে পৌছে
পেল ৷ আসিম ও তার সাথিগণ উপায়ান্তর না দেখে ফদ ফদ নামক একটি উচু টিলায় উঠে যায় ৷
শত্রুপক্ষ তাদেরকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে ৷ ওরা বলল, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে তোমরা
যদি আমাদের নিকট আত্মসমর্পণ কর ৷ তার আমরা তোমাণ্দর কাউকে হত্যা করব না ৷ ষ্লেনেতা


[غَزْوَةُ الرَّجِيعِ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَتْ فِي صَفَرٍ - يَعْنِي سَنَةَ أَرْبَعٍ - بَعَثَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ لِيُخْبِرُوهُ. قَالَ: وَالرَّجِيعُ عَلَى سَبْعَةِ أَمْيَالٍ مِنْ عُسْفَانَ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي سُفْيَانَ الثَّقَفِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً عَيْنًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَاصِمَ بْنَ ثَابِتٍ، وَهُوَ جَدُّ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَانْطَلَقُوا حَتَّى إِذَا كَانُوا بَيْنَ عُسْفَانَ وَمَكَّةَ ذُكِرُوا لِحَيٍّ مِنْ هُذَيْلٍ يُقَالُ لَهُمْ: بَنُو لِحْيَانَ. فَتَبِعُوهُمْ بِقَرِيبٍ مِنْ مِائَةِ رَامٍ، فَاقْتَصُّوا آثَارَهُمْ، حَتَّى أَتَوْا مَنْزِلًا نَزَلُوهُ فَوَجَدُوا فِيهِ نَوَى تَمْرٍ تَزَوَّدُوهُ مِنَ الْمَدِينَةِ فَقَالُوا: هَذَا تَمْرُ يَثْرِبَ. فَتَبِعُوا آثَارَهُمْ حَتَّى لَحِقُوهُمْ، فَلَمَّا انْتَهَى عَاصِمٌ وَأَصْحَابُهُ لَجَئُوا إِلَى فَدْفَدٍ، وَجَاءَ الْقَوْمُ فَأَحَاطُوا بِهِمْ، فَقَالُوا: لَكُمُ الْعَهْدُ وَالْمِيثَاقُ إِنْ نَزَلْتُمْ