আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

في مرجعه عليه الصلاة والسلام عن الطائف وقسمة غنائم هوازن التي أصابها يوم حنين

পৃষ্ঠা - ৩৫৫৮

বক্তব্য হচ্ছে, “আমাদের সন্তান ও নারীরাই আমাদের নিকট অধিকতর প্রিয় ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, “আমার ও বনু আবদুল মুত্তালিবের অধিকারে যারা আছে তাদেরকে তোমাদের
দিয়ে দিলাম ৷ আর আমি যখন সবাইকে নিয়ে সালাত শেষ করবো তখন তোমরা দাড়িয়ে বলবে-
আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মাধ্যমে সকল মুসলমানের নিকট এবং সকল মুসলমানের মাধ্যমে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আমাদের নারী ও সন্তানদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার সুপারিশের আবেদন
জানাচ্ছি ৷ ঐ সময় আমি আমার অধিকারভুক্তদেরকে তোমাদের দিয়ে দিব এবং অন্যদেরকেও
দেয়ার জন্যে সুপারিশ করবো ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন যুহরের সালাত আদায় করলেন,
তখন তারা দাড়িয়ে সেই আবেদন করলো যা তিনি শিখিয়ে দিয়েছিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, “আমার ও বনু আবদুল মুত্তালিবের অধিকারে যারা আছে তাদেরকে তোমাদের দেওয়া
হলো ৷ তখন মুহাজিরগণ বললেন, “আমাদের অধিকারে যারা আছে তারা তো রাসুলুল্লাহ্রই” ৷
এরপর আনসারগণ জানালেন, আমাদের করায়ত্তে যারা আছে তারাও রাসুলুল্পাহ্র জন্যে ৷ আক্রা
ইবন হাবিস উঠে বললো : “আমি ও বনু তামিম এতে একমত নই ৷ উয়ায়না বললো, “আমি ও
বনু ফাযারা এতে রাজি নই” ৷ আব্বাস ইবন মিরদাস সুলামী বল নো , আমার ও বনু সুলায়মেরও
সেই কথা ৷ তখন বনু সুলায়ম প্রতিবাদ করে বললো, “না , বরং আমাদের ভাগে যারা আছে তারাও
রাসুলুল্লাহ্র জন্যে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আব্বাস ইবন মিরদাস বনু সুলায়মকে বললো,
“তোমরা আমাকে দুর্বল করে দিলে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তোমাদের মধ্যে যারা এই
বন্দীদের অংশ রেখে দিতে চাও, তাদেরকে প্রতিটি বন্দীর পরিবর্তে আগামী প্রথম যুদ্ধলব্ধ গনীমত
থেকে ছয়গুণ বেশী দেওয়া হবে ৷ সুতরাং তোমরা তোমাদের এসব বন্দী নারী ও শিশুদেরকে
ওদের কাছে ফিরিয়ে দাও ৷ এরপর তিনি সাওয়ারীতে আরোহণ করে সেখান থেকে যাত্রা করেন ৷
অন্যান্য সাথীরা তীর অনুসরণ করে চলেন ৷ পিছন থেকে তারা দাবী জানাতে থাকে ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ! যুদ্ধলব্ধ গনীমতের মালগুলো আমাদের মধ্যে বণ্টন করে দিন ৷ এ কথার চাপ দিতে
দিতে তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে একটি বৃক্ষের কাছে নিয়ে গেল ৷ এক পর্যায়ে তার মায়ের চাদর
পর্যন্ত হাতছাড়া হয়ে গেল ৷ তিনি বললেন, “ লোকেরা ! তোমরা আমার চাদর ফিরিয়ে দাও ৷ যে
সত্তার হাতে আমার জীবন, তার কসম ! ণ্গটি৷ তিহামা অঞ্চলে যত বৃক্ষ আছে, সেই পরিমাণ
গনীমতের মাল যদি আমার হাতে থাকে, তবে তার সবগুলোই তোমাদের মধ্যে বন্টন করে দিব ৷
এ ব্যাপারে আমাকে কৃপণ, ভীত ও মিথ্যাবাদী পাবে না ৷ এরপর তিনি একটি উটের কাছে যান
এবং তার কুজ থেকে একটি পশম নিয়ে হাতের দৃ’আত্গুলের মধ্যে রেখে উপরে হাত উঠিয়ে
বলেন : লোকসকল ! তোমাদের গনীমতের সালের মধ্যে, এমন কি এই সামান্য পশমের মধ্যেও
এক পঞ্চামংশ (খুমুস) ব্যতীত আমার কোন অধিকার নেই ৷ আর সেই খুমুসও পরে তোমাদের
মধ্যেই বন্টন হয়ে যায় ৷ সুতরাং তোমাদের কাছে সুই-সুতা থাকলে তাও জমা দিয়ে দাও ৷
কেননা, গনীমতের মাল খিয়ানতকারী কিয়ামতের দিন লাঞ্চুন৷ আগুন ও কলংকের সম্মুখীন হবে” ৷
এ কথা শুনে জ্যনক আনসারী এক তােড়া পশমের সুতা হাযির করে বললো ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
আমি আমার উটের পিঠে জখম ঢাকার গদি সেলাই করার জন্যে এটি নিয়েছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন : এগুলোর মধ্যে আমার প্রাপ্য অংশ তোমাকে দিয়ে দিলাম ৷ তখন আনসারী
লােকটি বললেন, এ সামান্য বিষয়টি যখন এতই জটিল স্তরে পৌছে গেছে তখন এর কোন

৭৮ ——

إِنَّ رَبَّكَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ، وَقَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ، وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ، فَإِنْ شِئْتَ أَنْ أُطْبِقَ عَلَيْهِمُ الْأَخْشَبَيْنِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَلْ أَسَتَأْنِي بِهِمْ; لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُخْرِجَ مِنْ أَصْلَابِهِمْ مَنْ يَعْبُدُهُ وَحْدَهُ لَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا ".» فَنَاسَبَ قَوْلُهُ: " بَلْ أَسَتَأْنِي بِهِمْ ". أَنْ لَا يَفْتَحَ حِصْنَهُمْ لِئَلَّا يُقْتَلُوا عَنْ آخِرِهِمْ، وَأَنْ يُؤَخَّرَ الْفَتْحُ لِيَقْدَمُوا بَعْدَ ذَلِكَ مُسْلِمِينَ فِي رَمَضَانَ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [فِي مَرْجِعِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَنِ الطَّائِفِ وَقِسْمَةِ غَنَائِمِ هَوَازِنَ الَّتِي أَصَابَهَا يَوْمَ حُنَيْنٍ] فَصْلٌ فِي مَرْجِعِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، عَنِ الطَّائِفِ وَقِسْمَةِ غَنَائِمِ هَوَازِنَ الَّتِي أَصَابَهَا يَوْمَ حُنَيْنٍ قَبْلَ دُخُولِهِ مَكَّةَ مُعْتَمِرًا مِنَ الْجِعْرَانَةِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ انْصَرَفَ عَنِ الطَّائِفِ عَلَى دَحْنَا، حَتَّى نَزَلَ الْجِعْرَانَةَ فِيمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَمَعَهُ مِنْ هَوَازِنَ سَبْيٌ كَثِيرٌ، وَقَدْ قَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ يَوْمَ ظَعَنَ عَنْ ثَقِيفٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ عَلَيْهِمْ، فَقَالَ: «اللَّهُمَّ اهْدِ ثَقِيفًا وَائْتِ بِهِمْ ".» قَالَ: ثُمَّ أَتَاهُ وَفْدُ هَوَازِنَ بِالْجِعْرَانَةِ، وَكَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ سَبْيِ هَوَازِنَ سِتَّةُ آلَافٍ مِنَ الذَّرَارِيِّ
পৃষ্ঠা - ৩৫৫৯

প্রয়োজন আমার সেই ৷ এ কথা বলে তিনি হাত থেকে সুতার তােড়াটি ফেলে দিলেন ৷ বর্ণনার এ
ধারা থেকে বুঝা যায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) গনীমতের মাল বণ্টনের পুর্বেই হাওয়াযিনদের কাছে
তাদের বন্দীদের ফেরত দিয়েছিলেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের মতও তইি ৷ কিন্ত মুসা ইবন
উকবা ও অন্যান্যরা ভিন্ন মত পোষণ করেন ৷

সহীহ বুখারীতে লায়ছ এর সুত্রে — — — মিসওয়ার ইবন মাখরামা (বা ) ও মারওয়ান ইবন
হাকাম থেকে বর্ণিত যে, হাওয়াযিনের প্রতিনিধি দল ইসলাম গ্রহণ করে রাসৃলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট
উপস্থিত হয়ে যখন তাদের লুষ্ঠিত মালামাল ও নারীদের ফেরত দেয়ার প্রার্থনা করে, তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) দাড়িয়ে যান এবং তাদেরকে বলেন : “আমার সাথে য সব লোক আছে
তাদেরকে তোমরা দেখছো ৷ আর সত্য কথাই আমার কাছে অধিক প্রিয় ; সৃতরাৎ তোমরা দৃ’টির
মধ্যে যে কোন একটি গ্রহণ কর হয় বন্দী, না হয় মাল ৷ আমি ণ্তা তোমাদের জন্যে দেরী
করছিলাম” ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তায়েফ থেকে ফিরার পথে রাসুলুন্থন্হ্ (সা ) হাওয়াযিনদের কেউ
আসে কিনা, সে জন্যে দশ দিনেরও অধিক কাল অপেক্ষা করেন ৷ অবশেষে তাদের কাছে যখন
স্পষ্ট হয়ে গেল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের গান ও বন্দীর যে কোন একটির বেশি ফেরত দেবেন
না, তখন তারা বললাে, আমরা বন্দীদের ফেরত নিতে চাই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তখন মুসলমানদের
সম্মুখে দীড়ালেন ৷ প্রথমে আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা করলেন ৷ তারপর বললেন, “দেখ, তোমাদের
ঐ সব হাওয়াযিন তায়েরা তাওবা করে এসেছে ৷ আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের বন্দীদেরকে তাদের
কাছে ফেরত দিব ৷ যার নিকট এ সিদ্ধান্ত মনঃপুত হবে সে যেন তাই করে ৷ আর যে চাইবে
আগামীতে আল্লাহ্ আমাকে প্রথম যে গনীমত দিবেন তা থেকে তাকে এর বিনিময় দেওয়া হবে,
তবে সে যেন তাই করে” ৷ উপস্থিত লোকজন বললোশ্ ইয়া রাসুলাল্লাহ্ আমরা থুশীমতে
আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ও “আমি স্পষ্টভাবে বুঝে উঠতে পারছি
না কে এ সিদ্ধান্ত মেনে নিল, আর কে মেনে নিল না ৷ তোমরা বরং তোমাদের বিজ্ঞজনদের সাথে
আলোচনা করে মতামত ব্যক্ত কর ৷ তারা আমার কাছে তোমাদের মতামত জানালে” ৷ তখন
তারা গিয়ে তাদের বিজ্ঞজনদের সাথে বসে আলোচনা করে মতামত দিল ৷ পরে বিজ্ঞজনেরা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে জানাল যে, তারা খুশীমান সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে এবং বন্দী
ফেরত দেয়ার অনুমতি দিয়েছে ৷ এই হলো হাওয়াযিনদের বন্দী সম্পর্কে কথা যা আমাদের নিকট
পৌছেছে ৷ ইমাম বৃখারী আকরা ও উয়ায়নার বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেননি ৷ এ বিষয়ে
তিনি নীরব থেকেছেন ৷ কিন্তু হাদীছের নীতিমালা অনুযায়ী কোন কিছুর প্রমাণকারী হাদীছ ঐ বিষয়ে
নেতিবাচক হাদীছের উপর যখন প্রাধান্য পায়, তখন যে হাদীছ প্রমাণ বা অস্বীকার কােনটিই নেই
বরং নীরব, তার তো প্রশ্নই উঠে না ৷

ইমাম বুখারী যুহরীর সুত্রে জুরায়র ইবন মুত্ইম থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন,
আমি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সংগে ছিলাম ৷ তখন লোকজন তার সাথে হুনায়ন থেকে ফিরে
আসছিল ৷ এ সময় মুর্থ বেদুঈনরা রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট গনীমত বণ্টনের জন্যে ভীষণভাবে
চাপ দিচ্ছিল ৷ এমনকি তারা তাকে ঠেলতে ঠেলতে একটি গাছের কাছে নিয়ে যায় এবং তার
চাদর টেনে নেয়া হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্দাড়িয়ে গেলেন এবং বললেন, তোমরা আমার চাদর


وَالنِّسَاءِ وَمِنَ الْإِبِلِ وَالشَّاءِ مَا لَا يُدْرَى عِدَّتُهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ - وَفِي رِوَايَةِ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ عَنْهُ قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحُنَيْنٍ، فَلَمَّا أَصَابَ مِنْ هَوَازِنَ مَا أَصَابَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ وَسَبَايَاهُمْ، أَدْرَكَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ بِالْجِعْرَانَةِ وَقَدْ أَسْلَمُوا، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا أَصْلٌ وَعَشِيرَةٌ، وَقَدْ أَصَابَنَا مِنَ الْبَلَاءِ مَا لَمْ يَخْفَ عَلَيْكَ، فَامْنُنْ عَلَيْنَا مَنَّ اللَّهُ عَلَيْكَ. وَقَامَ خَطِيبُهُمْ زُهَيْرُ بْنُ صُرَدٍ أَبُو صُرَدٍ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ مَا فِي الْحَظَائِرِ مِنِ السَّبَايَا خَالَاتُكَ وَعَمَّاتُكَ وَحَوَاضِنُكَ اللَّاتِي كُنَّ يَكْفُلْنَكَ، وَلَوْ أَنَّا مَلَحْنَا لِابْنِ أَبِي شَمِرٍ أَوِ النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ، ثُمَّ أَصَابَنَا مِنْهُمَا مِثْلُ الَّذِي أَصَابَنَا مِنْكَ، رَجَوْنَا عَائِدَتَهُمَا وَعَطْفَهُمَا، وَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَيْرُ الْمَكْفُولِينَ. ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: امْنُنْ عَلَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ فِي كَرَمٍ ... فَإِنَّكَ الْمَرْءُ نَرْجُوهُ وَنَدَّخِرُ امْنُنْ عَلَى بَيْضَةٍ قَدْ عَاقَهَا قَدَرٌ ... مُمَزَّقٍ شَمْلُهَا فِي دَهْرِهَا غِيَرُ أَبْقَتْ لَهَا الْحَرْبُ هُتَّافًا عَلَى حَزَنٍ ... عَلَى قُلُوبِهِمُ الْغَمَّاءُ وَالْغَمَرُ
পৃষ্ঠা - ৩৫৬০

ফিরিয়ে দাও ৷ আমার কাছে যদি এ র্কাট৷ গাছের র্কাটার সমসংথ্যক গনীমত থাকে, তবে তার
সবই তোমাদের মধ্যে বণ্টন করে দিব ৷ এ ব্যাপারে আমাকে কৃপণ , মিথুক ও ভীত কোনটাই
পাবে না ৷ এটি বুখারীর একক বর্ণনা ৷

ইবন ইসহাক বলেন : আবু ওয়াজরা ইয়াযীদ ইবন উবায়দ সা’দী আমাকে বলেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবুতালিব (রা ) কে একটি র্বীদী দিয়েছিলেন ৷ তার নাম ছিল রীতা
বিনত হিলাল ইবন হাইয়ান ইবন উমায়রা ৷ তিনি উছমান ইবন আফ্ফান (রা)-কেও একটি ৰ্বাদী
দেন ৷ তার নাম যায়নাব বিনত হাইয়ান ইবন আমর ইবন হাইয়ান ৷ এ ছাড়া তিনি হযরত উমর
(রা)-কেও একটি ৰ্বাদী দেন ৷ উমর (বা) তার যে বীদীটিকে তার পুত্র আবদৃল্লাহ্কে দান করেন ৷
ইবন ইসহাক বলেন : নাফি আমাকে আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) থেকে জানিয়েছেন যে, তিনি
বলেছেন, ৰ্বাদীঢিকে আমি আমার মাতুলালয় বনুজুমাহ্ গোত্রে পাঠিয়ে দিই ৷ উদ্দেশ্য তারা তাকে
পরিপাটি ও প্রস্তুত করে রাখবে ৷ আমি রায়তৃল্লাহ্ তওয়াফ করে সেখানে যাব ৷ আমার ইচ্ছা, যখন
সেখানে যাব তখন তার সাথে মিলিত হবো ৷ মসজিদের কাজ ^শ্ন্য করে যখন আসলাম, তখন
দেখি লোকজন ব্যস্ত হয়ে ছুটোছুটি করছে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম তোমাদের কি হয়েছে ? তারা
জানানো, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের নারী ও শিশুদের ফেরত দিয়েছেন ৷ আমি বললাম, তোমাদের
সেই যেয়েটি তো জুমাহ গােত্রে রয়েছে ৷ তোমরা গিয়ে তাকে নিয়ে নাও ৷ তখন তারা সেখানে
গিয়ে তাকে নিয়ে নেয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন : উয়ড়ায়না ইবন হিসনের ঘটনা হল, যে হাওয়াযিন গোত্রের এক বৃদ্ধা
মহিলাকে করায়তৃ করে ৷ যখন সে তাকে করায়তু করে তখন বলে, আমি তো এক বৃদ্ধাকে
পেয়েছি ৷ তবে আমার ধারণা, গোত্রের মধ্যে তার বিশেষ বংশীয় মর্যাদা রয়েছে ৷ আশা করি তার
মুক্তিপণের পরিমাণ অধিক হবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন ছয়গুণ বেশি অংশ দেয়ার অংগীকারের
বিনিময়ে বন্দী ফেরত দিচ্ছিলেন, তখন সে তাকে ছয়গুণের বিনিময়ে দিতে অস্বীকার করে ৷
যুহায়র ইবন সারদ তাকে বললো, ছয়গুণ নিয়েই তাকে দিয়ে দাও ৷ আল্লাহ্র কসম ! এর মুখমণ্ডল
কমনীয় নয় ৷ স্তন উন্নত নয়, পেট সন্তান ধারণের যোগ্য নয়, তার স্বামী দুঃখিত নয়, দৃধও পর্যাপ্ত
নয় ৷ আল্লাহ্র কসম ! তুমি এমন কোন সুন্দরী রুপসীকে পাওনি বা মধ্য বয়সী কোমল দেহের
যুবতীকে লাভ করনি ৷ তখন সে ছয়গুণের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দিল ৷

ওয়াকিদী বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিইবৃরানায় গনীমতের মাল বন্টন করেন ৷ তাতে
প্রত্যেকে চারটি করে উট ও চল্লিশটি করে বকরী ভাগে পায় ৷ সালমা মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের
সুত্রে আবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, হুনায়ন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল
এমন এক ব্যক্তি আমার নিকট বলেছে যে, আল্লাহর কসম ! আমি একটি উষ্টীতে আরোহণ করে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব পাশে যাওয়ার চেষ্টা করি ৷ আমার পায়ে ছিল এক জোড়া মোটা জুতা ৷ পাশে
যাওয়ার সময় আমার উটনী রাসুলুল্পাহ্ (সা) এব উটনীকে ধাক্কা দেয় ৷ ফলে আমার জুতার এক
পাশ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব পায়ের পােছায় লেগে যায় ৷ এতে তিনি ব্যথা পান এবং আমার পায়ে
ছড়ি দিয়ে আঘাত করেন এবং বলেন, তুমি আমাকে ব্যথা দিয়েছো, আমার থেকে পেছনে সরে
দীড়াও ৷ তখন আমি সেখান থেকে ফিরে চলে আসি ৷ পরের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে খোজ
করেন ৷ আমি ভাবলাম, গতকাল আমি তীর পারে যে ব্যথা দিয়েছিলাম , সে জনােই আজ আমাকে


إِنْ لَمْ تَدَارَكْهُمُ نَعْمَاءُ تَنْشُرُهَا يَا أَرْجَحَ النَّاسِ حِلْمًا حِينَ يُخْتَبَرُ ... امْنُنْ عَلَى نِسْوَةٍ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهَا إِذْ فُوكَ تَمْلَؤُهُ مِنْ مَحْضِهَا الدِّرَرُ ... امْنُنْ عَلَى نِسْوَةٍ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهَا وَإِذْ يَزِينُكَ مَا تَأْتِي وَمَا تَذَرُ ... لَا تَجْعَلَنَّا كَمَنْ شَالَتْ نَعَامَتُهُ وَاسْتَبْقِ مِنَّا فَإِنَّا مَعْشَرٌ زُهُرُ ... إِنَّا لَنَشْكُرُ آلَاءً وَإِنْ كُفِرَتْ وَعِنْدَنَا بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ مُدَّخَرُ قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نِسَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ أَحَبُّ إِلَيْكُمْ أَمْ أَمْوَالُكُمْ؟ " فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، خَيَّرْتَنَا بَيْنَ أَحِسَابِنَا وَأَمْوَالِنَا، بَلْ أَبْنَاؤُنَا وَنِسَاؤُنَا أَحَبُّ إِلَيْنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَّا مَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لَكُمْ، وَإِذَا أَنَا صَلَّيْتُ بِالنَّاسِ فَقُومُوا فَقُولُوا: إِنَّا نَسْتَشْفِعُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ وَبِالْمُسْلِمِينَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَبْنَائِنَا وَنِسَائِنَا. فَإِنِّي سَأُعْطِيكُمْ عِنْدَ ذَلِكَ وَأَسْأَلُ لَكُمْ ". فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ الظَّهْرَ، قَامُوا فَقَالُوا مَا أَمَرَهُمْ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَّا مَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لَكُمْ ". فَقَالَ الْمُهَاجِرُونَ: وَمَا كَانَ لَنَا فَهُوَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَتْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৬১
الْأَنْصَارُ: وَمَا كَانَ لَنَا فَهُوَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ أَمَّا أَنَا وَبَنُو تَمِيمٍ فَلَا. وَقَالَ عُيَيْنَةُ: أَمَّا أَنَا وَبَنُو فَزَارَةَ فَلَا. وَقَالَ الْعَبَّاسُ بْنُ مِرْدَاسٍ السُّلَمِيُّ: أَمَّا أَنَا وَبَنُو سُلَيْمٍ فَلَا. فَقَالَتْ بَنُو سُلَيْمٍ: بَلْ مَا كَانَ لَنَا فَهُوَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: يَقُولُ عَبَّاسُ بْنُ مِرْدَاسٍ لِبَنِي سُلَيْمٍ: وَهَّنْتُمُونِي. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ أَمْسَكَ مِنْكُمْ بِحَقِّهِ فَلَهُ بِكُلِّ إِنْسَانٍ سِتُّ فَرَائِضَ مِنْ أَوَّلِ فَيْءٍ نُصِيبُهُ ". فَرَدُّوا إِلَى النَّاسِ نِسَاءَهُمْ وَأَبْنَاءَهُمْ. ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاتَّبَعَهُ النَّاسُ يَقُولُونَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اقْسِمْ عَلَيْنَا فَيْئَنَا. حَتَّى اضْطَرُّوهُ إِلَى شَجَرَةٍ فَانْتَزَعَتْ رِدَاءَهُ، فَقَالَ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، رَدُّوا عَلَيَّ رِدَائِي، فَوَالَّذِي نَفْسِي فِي يَدِهِ لَوْ كَانَ لَكُمْ عِنْدِي عَدَدُ شَجَرِ تِهَامَةَ نَعَمًا لَقَسَمْتُهُ عَلَيْكُمْ، ثُمَّ مَا أَلْفَيْتُمُونِي بَخِيلًا وَلَا جَبَانًا وَلَا كَذَّابًا ". ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى جَنْبِ بِعِيرٍ فَأَخَذَ مِنْ سَنَامِهِ وَبَرَةً فَجَعَلَهَا بَيْنَ أُصْبُعَيْهِ ثُمَّ رَفَعَهَا وَقَالَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، وَاللَّهِ مَا لِي مِنْ فَيْئِكُمْ وَلَا هَذِهِ الْوَبَرَةِ إِلَّا الْخُمْسُ، وَالْخُمْسُ مَرْدُودٌ عَلَيْكُمْ، فَأَدَّوُا الْخِيَاطَ وَالْمَخِيطَ فَإِنَّ الْغُلُولَ عَارٌ وَنَارٌ وَشَنَارٌ عَلَى أَهْلِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ". فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ بِكُبَّةٍ مِنْ خُيُوطِ شَعَرٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخَذْتُ هَذِهِ لِأَخِيطَ بِهَا بَرْذَعَةَ بَعِيرٍ لِي دَبِرٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَّا حَقِّي مِنْهَا فَلَكَ ". فَقَالَ الرَّجُلُ: أَمَّا إِذَا بَلَغَ الْأَمْرُ فِيهَا إِلَى هَذَا فَلَا حَاجَةَ لِي بِهَا. فَرَمَى بِهَا مِنْ يَدِهِ.» وَهَذَا السِّيَاقُ يَقْتَضِي أَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৩৫৬২

খুজছেন ৷ তাই আমি মনে আশা নিয়ে তার কাছে আসলাম ৷ তিনি বললেন, গতকাল তুমি
আমার পায়ে ব্যথা দেওয়ায় তোমার পারে আমি ছড়ি দিয়ে আঘাত করেছিলাম ৷ তার বদলা দেয়ার
জন্যে তোমাকে আজ ডেকে এসেছি ৷ একটি কােড়া মারার বদলা স্বরুপ তিনি আমাকে আশিটি
উট প্রদান করলেন ৷ এ ঘটনা বর্ণনা করার উদ্দেশ্য এটা দেখাংনা যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
হাওয়াযিনদের বন্দী ছেড়ে দিয়েছিলেন গনীমতের বণ্টন করার পর ৷ ঘটনার আগ-পাছ বিবেচনা
করলে তাই প্রমাণিত হয় ৷ কিন্তু মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক তার পিতা থেকে তার দাদার সুত্রে আমর
ইবন শুআয়বের যে হাদীছ বর্ণনা করেছেন, তার প্রেক্ষাপট থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, গনীমত
বণ্টনের পুর্বেই তিনি হাওয়াযিনদের নিকট বন্দী ফিরিয়ে দেন ৷ আর সে কারণেই যখন তিনি বন্দী
ফেরত দিলেন এবং সাওয়ারীতে আরোহণ করলেন তখন বেদুঈনরা তার পিছনে লেগে গেল এবং
বলতে থাকলো আমাদেরকে গনীমতের মাল বন্টন করে দিন ৷ তারা তীকে এক বাবলা গাংহ্ব
কাছে নিয়ে গিয়ে চেপে ধরলাে এমন কি তার পায়ের চাদরও টেনে নেওয়া হলো ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ও “ ণ্লাকেরা, তোমরা আমার চাদরটি ফিরিয়ে দাও ৷ যার হাতে আমার
জীবন তার কসম ! তোমাদের গনীমতের পরিমাণ যদি এই কাটা গাছের র্কাটার সম সংখ্যকও হয়
তবু সবগুলেইি তোমাদের মাঝে বণ্টন করে দিব ৷ এ ব্যাপারে তোমরা আমাকে কৃপণ, ভীত বা
মিথুক পাবে না” ৷ ইমাম বুখারী জুবায়র ইবন মুত্ইম থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ অবস্থা
দৃষ্টে তাদের মনে যেন এই সন্দেহ জাগছিলো যে, হাওয়াযিনদের বন্দীগুলোকে যেভাবে ছেড়ে
দেওয়া হল, সেভাবে মালামালও তাদেরকে ফেরত দিয়ে দিবেন ৷ সে কারণেই তারা গনীমত বন্টন
করার দাবী জানাচ্ছিল ৷

অবশেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিইর রানা নামক জায়গায় আল্লাহর নির্দেশমত গনীমতের মাল
বণ্টন করেন ৷ তবে গনীমত বণ্টনে তিনি কতিপয় লোককে কিছুটা অগ্ৰাধিকার দেন ৷ বিভিন্ন
গোত্রের সর্দার ও নেতৃস্থানীয় লোককে কিছু বেশী প্রদান করেন ৷ এভাবে বণ্টন করার কিছু সংখ্যক
আনসারী অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি তাদের সাথে কথা বলেন এবং এরুপ করার
মধ্যে তীর কি পুঢ় উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে তা ব্যক্ত করেন ৷ মুলতঃ ঐসব সর্দারদের অন্তর আকৃষ্ট
করার জন্যেই তিনি এরুপ করেছিলেন ৷ কিছু সংখ্যক মুর্থ লোক এবং যুল-থুওয়ায়সারা সহ
কতিপয় অভিশপ্ত খাওয়ারিজ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর এ কাজের কঠোর সমালোচনা করে ৷ এ বিষয়ে
বিস্তারিত আলোচনা পরে আসবে ৷ হাদীছের মধ্যেও এর বিশদ বিবরণ রয়েছে ৷

ইমাম আহমদ বলেন : আরিম-মু’তামির ইবন সুলায়মান তার পিতা সুমায়ত সাদুসী সুত্রে
অনােস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, আমরা মক্কা বিজয় করি, তারপর
হুনায়নের যুদ্ধে যাই ৷ সেখানে ঘুশরিকরা অতি উত্তম ব্যুহ রচনা করে ৷ দেখলাম, তারা প্রথমে
অশ্বারােহী বাহিনীর ব্যুহ র্দাড় করিয়েছে, তার পিছনে রেথেছে পদাতিক বাহিনী, তারপরে রেখোছ
মহিলাদের ব্যুহ ৷ এরপরে ণ্ময ও সবশেষে রেখেছে উর্টের পাল ৷ আবাস (রা) বলেন, আমরা
ৎখ্যায় ছিলাম অনেক, ছয় হাজার সৈন্য ৷ আমাদের দক্ষিণ বাহুতে ছিল খালিদ ইবন ওয়ালিদের
অশ্ব বাহিনী ৷ এক পর্যায়ে আমাদের অশ্ব বাহিনী আমাদের পশ্চাতে এসে আশ্রয় নিল ৷ অল্পক্ষণের
মধ্যেই অশ্ব বাহিনী স্থান ত্যাগ করলো এবং অনেক পরিচিত লোকসহ বেদৃঈনরা যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে


عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ رَدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ قَبْلَ الْقِسْمَةِ، كَمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، خِلَافًا لِمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ وَغَيْرِهِ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ طَرِيقِ اللَّيْثِ عَنْ عُقَيْلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ حِينَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ مُسْلِمِينَ، فَسَأَلُوا أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَنِسَاءَهُمْ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَعِي مَنْ تَرَوْنَ، وَأَحَبُّ الْحَدِيثِ إِلَيَّ أَصْدَقُهُ، فَاخْتَارُوا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ: إِمَّا السَّبْيَ، وَإِمَّا الْمَالَ، وَقَدْ كُنْتُ اسْتَأْنَيْتُ بِكُمْ ". وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْتَظَرَهُمْ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً حِينَ قَفَلَ مِنَ الطَّائِفِ، فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرُ رَادٍّ إِلَيْهِمْ إِلَّا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ، قَالُوا: إِنَّا نَخْتَارُ سَبْيَنَا. فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُسْلِمِينَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: " أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ هَؤُلَاءِ قَدْ جَاءُونَا تَائِبِينَ، وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ، فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يُطَيِّبَ ذَلِكَ فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَكُونَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يَفِيءُ اللَّهُ عَلَيْنَا فَلْيَفْعَلْ ". فَقَالَ النَّاسُ: قَدْ طَيَّبْنَا ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ لَهُمْ: " إِنَّا لَا نَدْرِي مَنْ أَذِنَ مِنْكُمْ فِي ذَلِكَ مِمَّنْ لَمْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৬৩

পলায়ন করলো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) উচ্চ আওয়াজে আহ্বান করলেন, “হে যুহাজ্যিপণ ! হে
মুহাজ্যিপণ ! হে আনসার সম্প্রদায় ! আবাস (রা) বলেন, এটা তীর চাচা কর্তৃক বর্ণিত হাদীছ ৷
তিনি বলেন, আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ! আমরা উপস্থিত তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্মুখ
পানে অগ্রসর হলেন ৷ আল্লাহ্র কসম ! আমরা শত্রুদ্যো সম্মুখে না আসাজী আল্লাহ তাদেরকে
পরাজিত করেন ৷ আনাস (রা) বলেন, আমরা তখন গনীমতের এ মাল হস্তগত করি ৷ এরপর
আমরা তায়েফ যাই ৷ চল্লিশ দিন পর্যন্ত তাদেরকে অবরােধ করে রাখি ৷ তারপরে মক্কায়
প্রত্যাবর্তন করি ৷ সেখানে অবতরণের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) পনীমত বন্টন করেন ৷ কাউকে একশ
উট দেন, কাউকে দেন দৃইশ ৷ এ দেখে আনসারপণ নিজেদের মধ্যে বলাবলি করেন যে, যারা
তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তাদ্যোকে তিনি দিৰুচ্ছন ৷ আর যারা তীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি তাদেরকে
দিচ্ছেন না ৷ এ কথা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কান পর্যন্ত পৌছে যায় ৷ তখন তিনি মুহাজির ও
আনসারদের নেতৃস্থানীয় লোকদের তার কাছে আমার জন্যে হুকুম দেন ৷ তারপরে বলেন, এখন
আমার কাছে আমার আনসারপণ (অথবা বলেছেন আনসারপণ) ব্যতীত কেউ যেন না আসে ৷
আনাস (রা) বলেন : আমরা একটি র্তাবুর মধ্যে প্রবেশ করি ৷ আমাদের দ্বারা র্তাবু পরিপুর্ণ হয়ে
যায় ৷ নবী করীম (না) তখন বললেন : “হে আনসার সম্প্রদায় ! (কিংবা যে শব্দে তিনি বল্যেছা)
আমার কাছে কী সংবাদ এলো : আনসারপণ জািত্তন্সে করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ আপনার কাছে
কী সংবাদ এসেছে ” ? তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, আমার কাছে এ কী সংবাদ এলো ? তারা
বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! কী সংবাদ এসেছে আপনার কাছে ? তিনি বললেন, তোমরা কি এতে
সন্তুষ্ট নও যে, অন্যান্য লোকেরা মাল সম্পদ নিয়ে যাবে, আর তোমরা যাবে আল্লাহ্র রাসুলকে
সাথে নিয়ে এবং তীকে তোমাদের গৃহে প্রবেশ করাবে ? আনসারপণ বললো, “আমরা তাতেই
রাষী আছি ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আনাস (রা) বলেন, রাসুলের কথায় তারা সন্তুষ্ট হয়ে যান ৷ কিংবা
তিনি যে রকম বলেছেন) ৷ ইমাম মুসলিমও এ হাদীছ মু’তন্মির ইবন সৃলায়মান থেকে অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এ হাদীছেঃ৷ মধ্যে কিছু অপরিচিত ( ৰু,দ্বু) দিম্ফ আছে ৷ যেমন এ হাদীছে
বলা হয়েছে যে, হাওয়াযিনের যুদ্ধে মুসলমানদের সংখ্যা হয় হজাের ছিল ৷ অথচ সে দিন
মুসলমানদের সংখ্যা ছিল বার হাজার ৷ এ হাদীছে তায়িফের অবরােধকাল চল্লিশ দিনের বলা
হয়েছে ৷ অথচ তায়িফের অবরোধ কাল ছিল প্রায় এক মাস বরং বিশ দিনের কম ৷

ইমাম বুখারী আবদুল্লাহ ইবন মুহমোদ হিশাম আনাস ইবন মালিক (বা) থেকে বচ্নিা
করেন যে, তিনি বলেছেন, হাওয়াযিন যুদ্ধে আল্লাহ্ তীর রাসুলকে যে পরিমাণ গনীমত দিতে ইচ্ছা
করেছিলেন তা প্রদান করেন ৷ তিনি তা থেকে কতিপয় লোককে একশ’ করে উট দিতে
লাপলেন ৷ এ অবস্থায় আনসারদের কতিপয় লোক বলছিলেন, আল্লাহ্ তার রাসুলকে ক্ষমা করুন ৷
তিনি কুরায়শদেরকে গনীমত দিচ্ছেন এবং আমাদের বাদ দিচ্ছেন ; অথচ আমাদের তরবারি
থেকে এখনও ওদের রক্ত ঝরছে ৷ আনাস ইবন মালিক (রা) বলেন, আনসাররুদ্যা এ আলোচনার
বিষয়টা রাসুলুল্লাহ্ (না) কে জানান হয় ৷ তিনি তখন আনসারদের কাছে খবর পাঠিয়ে র্তাদেরকে
একটি চামড়ার র্তাবুতে সমবেত করলেন ৷ তাদের সাথে অন্য কাউকে ডাকেননি ৷ সবাই
জমায়েত হলে তিনি দাড়িয়ে বললেন, “ণ্তামাদের মধ্য থেকে এ কী কথা আমার কাছে এসে


يَأْذَنْ، فَارْجِعُوا حَتَّى يَرْفَعَ إِلَيْنَا عَرْفَاؤُكُمْ أَمْرَكُمْ ". فَرَجَعَ النَّاسُ فَكَلَّمَهُمْ عَرْفَاؤُهُمْ، ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرُوهُ بِأَنَّهُمْ قَدْ طَيَّبُوا وَأَذِنُوا.» فَهَذَا مَا بَلَغَنَا عَنْ سَبْيِ هَوَازِنَ. وَلَمْ يَتَعَرَّضِ الْبُخَارِيُّ لِمَنْعِ الْأَقْرَعِ وَعُيَيْنَةَ وَقَوْمِهِمَا، بَلْ سَكَتَ عَنْ ذَلِكَ، وَالْمُثْبِتُ مُقَدَّمٌ عَلَى النَّافِي، فَكَيْفَ السَّاكِتُ؟! وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ، أَخْبَرَهُ جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ أَنَّهُ «بَيْنَمَا هُوَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ النَّاسُ مُقْفِلَةٌ مِنْ حُنَيْنٍ، عَلِقَتِ الْأَعْرَابُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَهُ حَتَّى اضْطَرُّوهُ إِلَى سَمُرَةٍ فَخَطَفَتْ رِدَاءَهُ، فَوَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: " أَعْطَوْنِي رِدَائِي، فَلَوْ كَانَ عَدَدُ هَذِهِ الْعِضَاهِ نَعَمًا لَقَسَمْتُهُ بَيْنَكُمْ، ثُمَّ لَا تَجِدُونِي بَخِيلًا وَلَا كَذُوبًا وَلَا جَبَانًا» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي أَبُو وَجْزَةَ يَزِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ السَّعْدِيُّ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَى عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ جَارِيَةً يُقَالُ لَهَا: رَيْطَةُ بِنْتُ هِلَالِ بْنِ حَيَّانَ بْنِ عُمَيْرَةَ. وَأَعْطَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ جَارِيَةً يُقَالُ لَهَا: زَيْنَبُ بِنْتُ حَيَّانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَيَّانَ. وَأَعْطَى عُمَرَ جَارِيَةً فَوَهَبَهَا لِابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ» . وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: بَعَثْتُ بِهَا إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৫৬৪
أَخْوَالِي مِنْ بَنِي جُمَحَ; لِيُصْلِحُوا لِي مِنْهَا وَيُهَيِّئُوهَا، حَتَّى أَطُوفَ بِالْبَيْتِ ثُمَّ آتِيَهِمْ، وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُصِيبَهَا إِذَا رَجَعْتُ إِلَيْهَا. قَالَ: فَجِئْتُ مِنَ الْمَسْجِدِ حِينَ فَرَغْتُ، فَإِذَا النَّاسُ يَشْتَدُّونَ، فَقُلْتُ: مَا شَأْنُكُمْ؟ قَالُوا: رَدَّ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا. قُلْتُ: تِلْكُمْ صَاحِبَتُكُمْ فِي بَنِي جُمَحَ، فَاذْهَبُوا فَخُذُوهَا. فَذَهَبُوا إِلَيْهَا فَأَخَذُوهَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَمَّا عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ فَأَخَذَ عَجُوزًا مِنْ عَجَائِزِ هَوَازِنَ، وَقَالَ حِينَ أَخَذَهَا: أَرَى عَجُوزًا إِنِّي لِأَحْسَبُ لَهَا فِي الْحَيِّ نَسَبًا، وَعَسَى أَنْ يَعْظُمَ فِدَاؤُهَا. فَلَمَّا رَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّبَايَا بِسِتِّ فَرَائِضَ، أَبَى أَنْ يَرُدَّهَا، فَقَالَ لَهُ زُهَيْرُ بْنُ صُرَدٍ: خُذْهَا عَنْكَ، فَوَاللَّهِ مَا فُوهَا بِبَارِدٍ، وَلَا ثَدْيُهَا بِنَاهِدٍ، وَلَا بَطْنُهَا بِوَالِدٍ، وَلَا زَوْجُهَا بِوَاجِدٍ، وَلَا دَرُّهَا بِمَاكِدٍ. فَرَدَّهَا بِسِتِّ فَرَائِضَ. قَالَ: فَزَعَمُوا أَنَّ عُيَيْنَةَ لَقِيَ الْأَقْرَعَ فَشَكَا إِلَيْهِ ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنَّكَ وَاللَّهِ مَا أَخَذْتَهَا بَيْضَاءَ غَرِيرَةً، وَلَا نَصَفًا وَثِيرَةً. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: «وَلَمَّا قَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْغَنَائِمَ بِالْجِعْرَانَةِ أَصَابَ كُلَّ رَجُلٍ أَرْبَعٌ مِنَ الْإِبِلِ وَأَرْبَعُونَ شَاةً» .
পৃষ্ঠা - ৩৫৬৫

পৌছেছে, ?” জবাবে আনসারদের বিজ্ঞজনেরা বললো, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আমাদের মধ্যে
নেতৃস্থানীয় কেউ কিছু বলেনি ৷ তবে আমাদের মধ্যে তার বয়সী কিছু লোক বলেছে” ৷ আল্লাহ্
তার রাসুলকে ক্ষমা করুন ৷ তিনি কুরায়শদের দিচ্ছেন আর আমাদের বাদ রাখছেন ৷ অথচ তাদের
রক্ত এখনও আমাদের তলোয়ার থেকে ঝরছে” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “সদ্য কুফরী ত্যাগ
করে আসা কিছু লোককে আমি অবশ্যই দিয়েছি ৷ এর দ্বারা আমার উদ্দেশ্য তাদের অম্ভরকে
ইসলামের প্ৰতি আকৃষ্ট করে রাখা ৷ তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, অন্যান্য লোকজন যেখানে
ধন-সম্পদ নিয়ে ফিরে যাবে ৷ সেখানে তোমরা তোমাদের বাড়িতে আল্লাহ্র রাসুলকে নিয়ে যাবে ?
আল্লাহর কসম ! তোমরা যে জিনিস সংগে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে তা ঐ জিনিস অপেক্ষা অধিক
উত্তম, যা সংগে নিয়ে এরা প্রত্যাবর্তন করবে” ৷ আনসারগণ বলে উঠলেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
আমরা সন্তুষ্ট আছি” ৷ নবী করীম (সা) তাদেরকে বললেন, “অচিরেই তোমরা দেখতে পাবে,
লোকজন স্বজনপ্রীতিকে প্রাধান্য দিবে ৷ তখন তোমরা ধৈর্য ধারণ করবে ৷ শেষ পর্যন্ত তোমরা
আল্লাহ্ ও তার রাসুলেৱ সংগে মিলিত হয়ে ৷ আমি যে দিন হাওজে কাওছারের পাশে থাকবো” ৰু
আনাস (বা) বলেন, কিন্তু আনসারগণ সে বিপর্যয়কালে ধৈর্য রক্ষা করতে পারেননি ৷ এই সুত্রে
বুখারী একাই এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷

এছাড়া ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম, ইবন আওফ — হিশাম ইবন যায়দ — তীর দাদা আনাস
ইবন মালিক (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হুনায়ন যুদ্ধে হাওয়াযিন গোত্রের সাথে
মুকাবিলা হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বাহিনীতে ছিল দশ হাজার মুসলমান এবং মক্কা বিজয়ের
সময় সাধারণ ক্ষমার আতওতাভৃক্ত তৃলাকাগণ’ (মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ) ৷ যুদ্ধের প্রচণ্ডতার সময়
তুলাকা’রা পিছটান দিয়ে ভেগে যায় ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) হে আনসার সম্প্রদায় বলে আহ্বান
করেন ৷ আনসারগণ জবাব দিলেন, হাযির ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমরা হাযির আছি এবং আপনার
সামনেই আছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সওয়ারী থেকে অবতরণ করে বলতে থাকেন, আমি আল্লাহ্র
বান্দা ও তার রাসুল ৷ অবশেষে মুশরিকদের পরাজয় ঘটে ৷ যুদ্ধ অবসানের পর তিনি মুহাজির ও
ভুলাকড়াদের মধ্যে গনীমতের সমস্ত মাল বণ্টন করে দেন ৷ আনসারদের কিছুই দিলেন না ৷
আনসাররা নিজেদের মধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে বলাবলি করতে থাকেন ৷ তখন তিনি তাদেরকে
একটি তীবুতে জমায়েত করে বলেন : তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, অন্যান্য লোকেরা উট ও
বকরী নিয়ে ফিরে যাবে, আর তোমরা ফিরবে আল্লাহ্র রাসুলকে সংগে নিয়ে প্ তারা বললেন,
জী ইব্রু৷ ৷ আমরা অবশ্যই এতে সন্তুষ্ট ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : সমস্ত লোক যদি একটা
উপত্যকা দিয়ে যায় ৷ আর আনসাররা যায় একটি গিরিপথ দিয়ে, তাহলে আমি অবশ্যই
আনসারদের গিরিপথ দিয়ে যাব ৷

বুখারীর বর্ণনায় এ সুত্রে আর একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে যে, হুনায়ন
যুদ্ধের দিন হওয়াযিন, পাতফান ইত্যাদি গোত্রসমুহ তাদের চতুষ্পদ গৃহপালিত জীব-জত্তু ও
স্তী-সন্তানসহ হাযির হয় ৷ আর রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সংগে ছিল দশ হাজার সৈন্য ও তৃলাকা’-নও
মুসলিমগণ ৷ যুদ্ধ শুরু হলে তৃলাকারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছ থেকে পালিয়ে যায় ৷ তিনি
একাকী দাড়িয়ে থাকেন ৷ সে দিন তিনি পরপর দুবার আহ্বান জানান ৷ প্রথমে ডান দিকে ফিরে


وَقَالَ سَلَمَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ رَجُلًا مِمَّنْ شَهِدَ حُنَيْنًا قَالَ: «وَاللَّهِ إِنِّي لِأَسِيرُ إِلَى جَنْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَاقَةٍ لِي، وَفِي رِجْلِي نَعْلٌ غَلِيظَةٌ، إِذْ زَحَمَتْ نَاقَتِي نَاقَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَقَعُ حَرْفُ نَعْلِي عَلَى سَاقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَوْجَعَهُ، فَقَرَعَ قَدَمِي بِالسَّوْطِ، وَقَالَ: " أَوْجَعْتَنِي فَتَأَخَّرْ عَنِّي ". فَانْصَرَفْتُ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ إِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلْتَمِسُنِي. قَالَ: قُلْتُ: هَذَا وَاللَّهِ لِمَا كُنْتُ أَصَبْتُ مِنْ رِجْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْأَمْسِ. قَالَ: فَجِئْتُهُ وَأَنَا أَتَوَقَّعُ. فَقَالَ: " إِنَّكَ أَصَبْتَ رِجْلِي بِالْأَمْسِ فَأَوْجَعْتَنِي، فَقَرَعْتُ قَدَمَكَ بِالسَّوْطِ، فَدَعَوْتُكَ لِأُعَوِّضَكَ مِنْهَا ". فَأَعْطَانِي ثَمَانِينَ نَعْجَةً بِالضَّرْبَةِ الَّتِي ضَرَبَنِي» . وَالْمَقْصُودُ مِنْ هَذَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدَّ إِلَى هَوَازِنَ سَبْيَهُمْ بَعْدَ الْقِسْمَةِ، كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ هَذَا السِّيَاقُ وَغَيْرُهُ، وَظَاهِرُ سِيَاقِ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ الَّذِي أَوْرَدَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْهُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدَّ إِلَى هَوَازِنَ سَبْيَهُمْ قَبْلَ الْقِسْمَةِ، وَلِهَذَا «لَمَّا رَدَّ السَّبْيَ وَرَكِبَ، عَلَقَتِ الْأَعْرَابُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُونَ لَهُ: اقْسِمْ عَلَيْنَا فَيْئَنَا. حَتَّى اضْطَرُّوهُ إِلَى سَمُرَةٍ، فَخَطَفَتْ رِدَاءَهُ فَقَالَ: " رُدُّوا عَلَيَّ رِدَائِي أَيُّهَا النَّاسُ، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ كَانَ لَكُمْ عَدَدُ هَذِهِ الْعِضَاهِ نَعَمًا لَقَسَمْتُهُ بَيْنَكُمْ، ثُمَّ لَا تَجِدُونِي بَخِيلًا
পৃষ্ঠা - ৩৫৬৬

আহ্বান করেন, হে মুহাজির সম্পুদ্রায় ! তারা জবাব দিলেন, “আমরা হাযির ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
সৃসংবাদ নিন আমরা আপনার সাথেই আছি” ৷ তারপরে তিনি বাম দিকে ফিরে আহ্বান করেন,
“হে আনসার সম্প্রদায় ৰু তারা জবাবে বললাে, আমরা হাযির, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! সুসংবাদ নিন,
আমরা আপনার সাথে হাযির আছি” ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাদা রং এর খচ্চরের উপর
সওয়ার ছিলেন ৷ তিনি সওয়ারী থেকে অবতরণ করে বলতে লাগলেন, “আমি আল্লাহর বান্দা ও
তার রাসুল” ৷ অবশেষে মুশরিকরা যুদ্ধে পরাজিত হয় ৷ এ যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এব হাতে প্রচুর
গনীমত সংগৃহীত হয় ৷ তিনি সমুদয় গনীমত মুহাজির ও তুংকো’দের মধ্যে বণ্টন করে দেন ৷
আনসারগণকে এর থেকে কিছুই প্রদান করেননি ৷ তা দেখে কতিপয় আনসারী বলাবলি করলেন,
যখন সংকট দেখা দেয় তখন তো আমাদের ডাকা হয় ; আর গনীমতের ভাগ দেওয়া হয়
অন্যদেরকে
( ৷;, £ ৷ এ কথাটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) পর্যন্ত পৌছে গেল ৷ তিনি, তখন আনসারদেরকে একটি
র্তাবুতে সমবেত করে বললেন : “হে আনসার সম্প্রদায় ! এ কী কথা আমার কাছে পৌছলাে ?”
কথা শুনে আনসারগণ সবাই নীরব থাকেন ৷ এরপর তিনি বললেন হৃন্ হে আনসার সম্প্রদায় !
তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, অন্য লোকেরা পার্থিব সামগ্রী সাথে নিয়ে চলে যাবে, আর
তোমরা আল্লাহর রাসুলকে সংগে নিয়ে বাড়িতে ফিরে যাবে” ? তারা বললেন, “,ত্মী ছুক্লড়া আমরা
তাতেই সন্তুষ্ট ৷ তিনি আরও বললেন : “অন্যান্য সব লোক যদি একটি উপত্যকা দিয়ে যায়, আর
আনসারগণ একটি গিরিপথ দিয়ে যায় তবে আমি আনসারদের গিরিপথ দিয়েই যাব ৷ রাবী
হিশাম বলেন, আমি আবু হামযাকে জিজ্ঞেস করলাম “আপনি কি এ সময় তথায় উপস্থিত
ছিলেন”? আবুহামযা বললেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে দুরে কোথায় থাকতাম” ? বুখারী ও
মুসলিম উভয়েই শু’বা কাতড়াদা আনাস সুত্রে আরও বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আনসারদেরকে একত্রিত করে বলেছিলেন : কুরায়শরা অতি সম্প্রতি জাহিলী ধর্ম ত্যাগ করে
এসেছে এবং তারা বর্তমানে দৃর্দশাগ্রস্থ ৷ আমি চেয়েছি এ দুর্দশা লাঘব করতে ও তাদের মন জয়
করতে ৷ তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, অন্যরা দুনিয়া নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে আর তোমরা
তোমাদের বাড়িতে আল্লাহর রাসুলকে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে” ? তারা বললেন, “,ত্মী হয়, আমরা
সন্তুষ্ট আছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : “অন্য সব লোক যদি একটা উপত্যকা দিয়ে যায়, আর
আনসাররা যদি কোন গিরিপথ দিয়ে চলে, তবে আমি আনসারদের গিরিপথ দিয়েই যাব ৷ বৃথারী
ও মুসলিম এ হাদীছ শুবা আবৃত তায়াহ্ ইয়াযীদ ইবন হুমায়দ আনাস সুত্রেও বর্ণনা করেছেন ৷
এ বর্ণনায় আছে গনীমত বণ্টনের পর আনসাররা বলাবলি করছিলাে যে, আল্লাহ্র কসম ! এটা
অতি বিস্ময়কর বিষয় যে, আমাদের তরবারি এখনও যাদের রক্তে রঞ্জিত , তাদেরকেই দেয়া হচ্ছে
গনীমত ? এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের সাথে কথা বলেন যা পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ বলেন : আফ্ফান আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণিত যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু সুফিয়ান, উয়ায়না, আকরা, সুহায়ল ইবন আমরকে হুনায়ন দিবসে
অন্যান্যদের সাথে গনীমত প্রদান করেন ৷ এ দেশে আনসারগণ বলাবলি করছিলাে হে আল্পাহ্র
রাসুল ৷ ওদের রক্ত এখনও আমাদের তরবারি থেকে ঝরে পড়ছে, অথচ তারাই দেখছি গনীমত
নিয়ে যাচ্ছে ? এ কথা নবী (সা) পর্যন্ত পৌছে যায় ৷ তখন তিনি আনসারদেরকে একটি তীবুতে


وَلَا جَبَانًا وَلَا كَذَّابًا» كَمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ بِنَحْوِهِ. وَكَأَنَّهُمْ خَشُوا أَنْ يَرُدَّ إِلَى هَوَازِنَ أَمْوَالَهُمْ كَمَا رَدَّ إِلَيْهِمْ نِسَاءَهُمْ وَأَطْفَالَهُمْ، فَسَأَلُوهُ قِسْمَةَ ذَلِكَ فَقَسَّمَهَا، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِالَجِعْرَانَةِ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، وَآثَرَ أُنَاسًا فِي الْقِسْمَةِ، وَتَأَلَّفَ أَقْوَامًا مِنْ رُؤَسَاءِ الْقَبَائِلِ وَأُمَرَائِهِمْ، فَعَتَبَ عَلَيْهِ أُنَاسٌ مِنَ الْأَنْصَارِ حَتَّى خَطَبَهُمْ، وَبَيَّنَ لَهُمْ وَجْهَ الْحِكْمَةِ فِيمَا فَعَلَهُ; تَطْيِيبًا لِقُلُوبِهِمْ، وَتَنَقَّدَ بَعْضُ مَنْ لَا يَعْلَمُ مِنَ الْجَهَلَةِ وَالْخَوَارِجِ، كَذِي الْخُوَيْصِرَةِ وَأَشْبَاهِهِ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، كَمَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ وَبَيَانُهُ فِي الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي ذَلِكَ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَارِمٌ ثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: ثَنَا السُّمَيْطُ السَّدُوسِيُّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «فَتَحْنَا مَكَّةَ، ثُمَّ إِنَّا غَزَوْنَا حُنَيْنًا، فَجَاءَ الْمُشْرِكُونَ بِأَحْسَنِ صُفُوفٍ رَأَيْتُ، فَصُفَّتِ الْخَيْلُ، ثُمَّ صُفَّتِ الْمُقَاتِلَةُ، ثُمَّ صُفَّتِ النِّسَاءُ مِنْ وَرَاءِ ذَلِكَ، ثُمَّ صُفَّتِ الْغَنَمُ، ثُمَّ النَّعَمُ. قَالَ: وَنَحْنُ بَشَرٌ كَثِيرٌ، قَدْ بَلَغْنَا سِتَّةَ آلَافٍ، وَعَلَى مُجَنَّبَةِ خَيْلِنَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ. قَالَ: فَجَعَلَتْ خَيْلُنَا تَلُوذُ خَلْفَ ظُهُورِنَا. قَالَ: فَلَمْ نَلْبَثْ أَنِ انْكَشَفَ خَيْلُنَا، وَفَرَّتِ الْأَعْرَابُ وَمَنْ نَعْلَمُ مِنَ النَّاسِ. قَالَ: فَنَادَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا لَلْمُهَاجِرِينَ يَا لَلْمُهَاجِرِينَ يَا لَلْأَنْصَارِ ". قَالَ أَنَسٌ: هَذَا حَدِيثُ عَمِّيَهِ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৫৬৭
قُلْنَا لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: وَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: وَأَيْمِ اللَّهِ مَا أَتَيْنَاهُمْ حَتَّى هَزَمَهُمُ اللَّهُ. قَالَ: فَقَبَضْنَا ذَلِكَ الْمَالَ، ثُمَّ انْطَلَقْنَا إِلَى الطَّائِفِ فَحَاصَرْنَاهُمْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً، ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى مَكَّةَ. قَالَ: فَنَزَلْنَا، فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي الرَّجُلَ الْمِائَةَ. وَيُعْطِي الرَّجُلَ الْمِائَةَ. قَالَ: فَتَحَدَّثَ الْأَنْصَارُ بَيْنَهَا: أَمَّا مَنْ قَاتَلَهُ فَيُعْطِيهِ، وَأَمَّا مَنْ لَمْ يُقَاتِلْهُ فَلَا يُعْطِيهِ! فَرُفِعَ الْحَدِيثُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَمَرَ بِسَرَاةِ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ أَنْ يَدْخُلُوا عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " لَا يَدْخُلَنَّ عَلَيَّ إِلَّا أَنْصَارِيُّ " أَوِ " الْأَنْصَارُ ". قَالَ: فَدَخَلْنَا الْقُبَّةَ حَتَّى مَلَأْنَاهَا. قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ " - أَوْ كَمَا قَالَ - " مَا حَدِيثٌ أَتَانِي؟ " قَالُوا: مَا أَتَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " مَا حَدِيثٌ أَتَانِي؟ " قَالُوا: مَا أَتَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " أَلَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالْأَمْوَالِ، وَتَذْهَبُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ حَتَّى تُدْخِلُوهُ بُيُوتَكُمْ؟ " قَالُوا: رَضِينَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ فَرَضُوا. أَوْ كَمَا قَالَ» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ. وَفِيهِ مِنَ الْغَرِيبِ قَوْلُهُ: أَنَّهُمْ كَانُوا يَوْمَ هَوَازِنَ سِتَّةَ آلَافٍ. وَإِنَّمَا كَانُوا اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، وَقَوْلُهُ: إِنَّهُمْ حَاصَرُوا الطَّائِفَ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً. وَإِنَّمَا حَاصَرُوهَا قَرِيبًا مِنْ شَهْرٍ، أَوْ دُونَ الْعِشْرِينَ لَيْلَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ ثَنَا هِشَامٌ ثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৬৮

একত্রিত করেন ৷ তীদের উপস্থিতিতে তাবু কানায় কানায় ভরে যায় ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
“এখানে কি তোমরা ব্যতীত অন্য কেউ আছে ”৷ তারা জানালেন, অন্য কেউ নেই, তবে
আমাদের ভাগ্নেরা আছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন, £কান কাওমের ভাপ্নেরা সে কওমেরই
অন্তর্ভুক্ত” ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কি এই এই কথা বলেছো” ? তারা বললেন “ব্জী
হী৷ বলেছি” ৷ তিনি বললেন : “ তোমরা হলো আমার সেই প্রভীকতৃল্য পেশোক যা দেহের সাথে
সরাসরি মিশে থাকে ৷ আর অন্যান্য লোক হচ্ছে সেই পােশাকের ন্যায় , যা আলগাভাবে দেহের
উপরে বুালান থাকে (াট্ট ৷ ৷ এা৷ ৷ , ,এে৷ ৷ ণ্:ৰু; ৷ ) ৷ তোমরা কি সভুষ্ট নও যে, অন্যান্য
লোকজন উট বকরী সাথে নিয়ে যাবে ৷ আর তোমরা আল্লাহর রাসুলান্ক সাথে নিয়ে তোমাদের
বাড়ীতে যাবে : তারা বললেন, জী ইা৷ , অবশ্যই আমরা সন্তুষ্ট” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
তোমরা আমার পরিবারভুক্ত ও নিরাপদ স্থান ৷ সব লোক যদি উপত্যকা দিয়ে চলে, আর
আনসাররা যদি গিরিপথ দিয়ে যায়, তা হলে আমি আনসারদের গিরিপখ দিয়েই যাব ৷ হিজঃত না
হলে আমি একজন আনসারীই হতাম” ৷ রাবী বলেন, হামাদ বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একশঢি
করে উট প্রদান করেন ৷ যাদেরকে দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের নাম তিনি উল্লেখ করেছেন ৷
উল্লিখিত সুত্রে এ হাদীছ ইমাম আহমদ একাই বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এটা মুসলিমের শর্ত
অনুযায়ী উত্তীর্ণ ৷ ইমাম আহমদ বলেন : ইবন আবুআদী হুমায়দ আনাস সুত্রে বর্ণিত যে রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছিলেন : “হে আনসার সম্প্রদায় ও আমি কি তোমাদের নিকট এমন অবস্থায় আসিনি,
যখন তোমরা ছিলে পথভ্রষ্ট ? তারপয়ে আল্লাহ আমার মাধ্যমে ভোমাদেরকে সঠিক পথ
দেখিয়েছেন, আমি কি তোমাদের নিকট এমন অবস্থায় আসিনি, যখন তোমরা ছিলে পরস্পর
বিচ্ছিন্ন ৷ এরপর আল্লাহ্ আমার দ্বারা ণ্তামাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন ? আমি কি তোমাদের
নিকট এমন অবস্থায় আসিনি, যখন তোমরা ছিলে একে অপরের শত্রু ৷ এরপর আল্লাহ তোমাদের
মধ্যে আন্তরিক সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে দিয়েছেন ;” তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আপনি ঠিকই
বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, “াতামরা কেন এ কথা বলছো না যে,
আপনি ভীতিগ্নস্ত অবস্থায় অমােদের কাছে এসেছিলেন, আমরা আপনাকে নিরাপত্তা দিয়েছি, ৷ আপনি
বিতাড়িত হয়ে এসেছেন আমরা আপনাকে আশ্রয় দিয়েছি ৷ আপনি অসহায় অবস্থায় এসেছিলেন,
আমরা আপনাকে সাহায্য করেছি”? জবাবে তারা বললেন, “বরং আমাদের উপরই রয়েছে আল্লাহ
ও তার রাসুলের অনুকম্পা ও অনুগ্রহ ৷ এ হাদীছের সনদ ছুলাহী (মাত্র তিনজন বর্ণনাকারী) এবং
বুখারী ও মুসলিমের শর্তে উত্তীর্ণ ৷ সুতরাং আনাস ইবন মালিক (রা) বর্ণিত এ হাদীছটি
মুতাওয়াতির হাদীছের মর্যাদার সমতুল্য ৷ অন্যান্য সাহাবী থেকেও অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম
বুখারী বলেন : মুসা ইবন ইসমাঈল আৰল্লোহ্ ইবন যায়দ ইবন আসিম সুত্রে বর্ণিত যে, তিনি
বলেছেন, হুনায়ন দিবসে আল্লাহ যখন তার রাসুল (সা) কে গনীমত দান করেন, তখন তিনি
ইসলামের দিকে মন আকৃষ্ট করার জন্যে মানুষের মধ্যে তা বন্টন করে দেন ৷ এ সাল থেকে
আনসারদের কিছুই দেননি ৷ অন্য ণ্লাকদের বা দিয়েছেন আনসারদের তা না দেয়ায় যেন তাদের
মনে ক্ষোভের সঞ্চার হলো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের উদ্দেশ্যে বললেন ৷; “হে আনসার
সম্প্রদায় ! আমি কি ভোমাদেরকে পথভ্রষ্ট পাইনি ? যারপরে আল্লাহ আমার দ্বারা তোমাদের সঠিক
পথ দেখিয়েছেন : তোমরা কি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলে না ? যারপরে আল্লাহ আমার সাহায্যে


الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: «قَالَ نَاسٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، حِينَ أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مَا أَفَاءَ مِنْ أَمْوَالِ هَوَازِنَ، فَطَفِقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي رِجَالًا الْمِائَةَ مِنَ الْإِبِلِ، فَقَالُوا: يَغْفِرُ اللَّهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; يُعْطِي قُرَيْشًا وَيَتْرُكُنَا وَسُيُوفُنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ؟! قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: فَحُدِّثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَقَالَتِهِمْ، فَأَرْسَلَ إِلَى الْأَنْصَارِ فَجَمَعَهُمْ فِي قُبَّةِ أَدَمٍ، وَلَمْ يَدْعُ مَعَهُمْ غَيْرَهُمْ، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَا حَدِيثٌ بَلَغَنِي عَنْكُمْ؟ ". فَقَالَ فُقَهَاءُ الْأَنْصَارِ: أَمَّا رُؤَسَاؤُنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَلَمْ يَقُولُوا شَيْئًا، وَأَمَّا نَاسٌ مِنَّا حَدِيثَةٌ أَسْنَانُهُمْ فَقَالُوا: يَغْفِرُ اللَّهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; يُعْطِي قُرَيْشًا وَيَتْرُكُنَا، وَسُيُوفُنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَإِنِّي لَأُعْطِي رِجَالًا حَدِيثِي عَهِدٍ بِكُفْرٍ أَتَأَلَّفُهُمْ، أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالْأَمْوَالِ، وَتَذْهَبُونَ بِالنَّبِيِّ إِلَى رِحَالِكُمْ؟ فَوَاللَّهِ لَمَا تَنْقَلِبُونَ بِهِ خَيْرٌ مِمَّا يَنْقَلِبُونَ بِهِ ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ رَضِينَا. فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَسَتَجِدُونَ أَثَرَةً شَدِيدَةً، فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلْقَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ، فَإِنِّي عَلَى الْحَوْضِ ". قَالَ أُنْسٌ: فَلَمْ يَصْبِرُوا» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. ثُمَّ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ جَدِّهِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ الْتَقَى هَوَازِنُ، وَمَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَةُ آلَافٍ وَالطُّلَقَاءُ، فَأَدْبَرُوا، فَقَالَ: " يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ ". قَالُوا: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ، لَبَّيْكَ نَحْنُ بَيْنَ يَدَيْكَ. فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " أَنَا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ ". فَانْهَزَمَ الْمُشْرِكُونَ، فَأَعْطَى الطُّلَقَاءَ وَالْمُهَاجِرِينَ، وَلَمْ يُعْطِ الْأَنْصَارَ
পৃষ্ঠা - ৩৫৬৯

তোমাদের মধ্যে ঐক্য দান করেছেন ৷ তোমরা কি আর্থিক সংকটে ছিলে না ? যারপরে আল্লাহ
আমার মাধ্যমে তোমাদেরকে স্বচ্ছলতা প্রদান করেছেন ৷” তারা জবাবে বললেন, “আল্লাহ ও তার
রাসুলই অধিক ইহ্সানকারী” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : “ইচ্ছা করলে তোমরা বলতে পারো-
আপনি আমাদের কাছে এই এই অবস্থায় এসেছিলেন ৷ তবে তোমরা কি সন্তুষ্ট নও যে, অন্য
লোকেরা বকরী ও উট সাথে নিয়ে যাবে, আর তোমরা আল্লাহ্র রাসুলকে সাথে করে তোমাদের
বাড়িতে যাবে ? ৷ )
(ষ্হ্রাশু;১এ শুএ ৷ ৰু৷ ৷ ৷ যদি হিজরাত অবধারিত না থাকতো, তা হলে আমি অবশ্যই একজন
আনসারী লোক হয়ে থাকতাম ৷ অন্যান্য লোকজন যদি কোন উপত্যকা ও পিরিপথ দিয়ে যায়,
তবে আমি আনসারদের উপত্যকায় ও পিরিপথ দিয়েই যাবো ৷ আনসার হচ্ছে প্রতীকতুল্য ভিতরের
পোশাক ; আর অন্যরা বাইরের পোশাক ৷ আমার পরে তোমরা শীঘ্রই স্বজনপ্রীতির প্রাধান্য
দেখতে পাবে ৷ তখন তোমরা ধৈর্য ধারণ করবে ৷ এরপর হাওজে কাওছারে আমার সাথে সাক্ষাৎ
হবে” ৷ ইমাম মুসলিম এ হাদীছ আমর ইবন ইয়াহ্য়া মাযিনীর সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইউনুস ইবন বুকড়ায়র বলেন ;; মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক আবু সাঈদ খুদরী থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হুনায়নের দিনে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) প্রচুর গনীমত লাভ করেন ৷
কুরায়শ ও অন্যান্য আরব গোত্রের লোকদের মধ্যে তিনি তা বণ্টন করে দেন তাদেরকে
ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্যে ৷ অড়ানসারদেরকে এর থেকে কিছুই দেননি কমও না বেশীও
না ৷ এতে আনসার সম্প্রদায় মনে মনে দুঃখিত হয় ৷ এমন কি তাদের একজন বলে ফেললেন,
“আল্লাহর কসম ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কওমের সাথে মিশে গেছেন” ৷ সাদ ইবন উবাদা (বা)
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট গিয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আনসার সম্প্রদায় আপনার উপর
মনক্ষুন্ন হয়েছে” ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কি কারণে তারা দুঃখ পেয়েছে ৷ সাদ (বা ) বললেন,
“গনীমত বণ্টনে, আপনি আপনার কওম ও সকল আরব পােত্রকে দিয়েছেন ; কিছু তা থেকে
আনসারদের কিছুই দেননি” ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এ ব্যাপারে তোমার অবস্থা কি , হে সা “দ?
সাদ বললেন, আমি তো আমার কাওমেরই একজন ৷” তিনি বললেন, তোমার কওমকে এই
বেষ্টনীর মধ্যে একত্রিত কর এবং সবাই আসার পর আমাকে সংবাদ দিও” ৷ সা’দ (বা) বেরিয়ে
গিয়ে আনসারদের মধ্যে আওয়াজ দিলেন, এবং সেই ঘোরর মধ্যে তাদেরকে একত্রিত করলো ৷
একজন মুহাজির এসে অনুমতি চাইলে তাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হল ৷ এরপর অন্যান্য
আরও কিছু লোক আসলে সাদ (বা) তাদেরকে ফেরত দেন ৷ যখন আনসারদের সমস্ত লোক
এসে গেলেন কেউ অবশিষ্ট থাকলেন না, তখন মাস (বা) এসে বললেন, “ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ !
আনসার সম্প্রদায়ের সবাই এই স্থানে এসে জমায়েত হয়েছে, যে স্থানের কথা আপনি
বলেছিলেন” ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হলেন এবং তাদের মধ্যে এসে ভাষণ দেয়ার উদ্দেশ্যে
র্দাড়ালেন ৷ প্রথমে তিনি আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং তার উপযুক্ত গুণগান করলেন ৷ তারপর
বললেন : “হে আনসার সম্প্রদায় ! আমি কি তোমাদের কাছে এমন অবস্থায় আসিনি, যখন
তোমরা পথভ্রষ্ট ছিলে ? তারপর আল্লাহ তোমাদেরকে সঠিক পথ দান করেন ৷ তোমরা কি অভাব
অনটনে ছিলে না ? পরে আল্লাহ্ তোমাদেরকে সচ্ছল করেছেন ৷ তোমরা কি পরস্পর শত্রু ছিলে
না ? আল্লাহ তোমাদের অন্তরে মমতা সৃষ্টি করে দিয়েছেন ৷ তারা বললেন, “জী হী৷ অবশ্যই


شَيْئًا، فَقَالُوا، فَدَعَاهُمْ فَأَدْخَلَهُمْ فِي قُبَّةٍ، فَقَالَ: " أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالشَّاةِ وَالْبَعِيرِ، وَتَذْهَبُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ ". قَالُوا: بَلَى. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَسَلَكَتِ الْأَنْصَارُ شِعْبًا لَسَلَكْتُ شِعْبَ الْأَنْصَارِ» وَفِي رِوَايَةٍ لِلْبُخَارِيِّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ أَقْبَلَتْ هَوَازِنُ وَغَطَفَانُ وَغَيْرُهُمْ بِنِعَمِهِمْ وَذَرَارِيِّهِمْ، وَمَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَةُ آلَافٍ وَالطُّلَقَاءُ، فَأَدْبَرُوا عَنْهُ حَتَّى بَقِيَ وَحْدَهُ، فَنَادَى يَوْمَئِذٍ نِدَاءَيْنِ لَمْ يَخْلِطْ بَيْنَهُمَا; الْتَفَتَ عَنْ يَمِينِهِ فَقَالَ: " يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ ". قَالُوا: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَبْشِرْ نَحْنُ مَعَكَ. ثُمَّ الْتَفَتَ عَنْ يَسَارِهِ فَقَالَ: " يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ ". قَالُوا: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَبْشِرْ نَحْنُ مَعَكَ. وَهُوَ عَلَى بَغْلَةٍ بَيْضَاءَ، فَنَزَلَ فَقَالَ: " أَنَا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ ". فَانْهَزَمَ الْمُشْرِكُونَ، وَأَصَابَ يَوْمَئِذٍ غَنَائِمَ كَثِيرَةً، فَقَسَّمَ بَيْنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالطُّلَقَاءِ، وَلَمْ يُعْطِ الْأَنْصَارَ شَيْئًا. فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: إِذَا كَانَتْ شَدِيدَةٌ فَنَحْنُ نُدْعَى وَيُعْطَى الْغَنِيمَةَ غَيْرُنَا. فَبَلَغَهُ ذَلِكَ، فَجَمَعَهُمْ فِي قُبَّةٍ فَقَالَ: " يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ، مَا حَدِيثٌ بَلَغَنِي؟ " فَسَكَتُوا، فَقَالَ: " يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ، أَلَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالدُّنْيَا، وَتَذْهَبُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ تَحُوزُونَهُ إِلَى بُيُوتِكُمْ؟ " قَالُوا: بَلَى. فَقَالَ: " لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَسَلَكَتِ الْأَنْصَارُ شِعْبًا، لَسَلَكْتُ شِعْبَ الْأَنْصَارِ ". قَالَ هِشَامٌ: قُلْتُ: يَا أَبَا حَمْزَةَ وَأَنْتَ شَاهِدٌ ذَلِكَ؟ قَالَ: وَأَيْنَ أَغِيبُ عَنْهُ؟»
পৃষ্ঠা - ৩৫৭০

তাই” ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “হে আনসারগণ ৷ তোমরা জবাব দিচ্ছ না কেন ? আনসারগণ
বললেন, “ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ আমরা কি বলবো ? কি জবাব দিব ? সমস্ত ইহসান ও অনুগ্নহ তো
আল্লাহর ও তার রাসুলের” ! রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন : “আল্লাহর কসম ! তোমরা ইচ্ছা করলে
বলতে পার, আর যদি তা বলো তবে সতাই বলা হবে এবং যুক্তিগ্রাহ্য হবে ৷ সে কথা এই যে,
আপনি আমাদের কাছে এসেছিলেন বিতাড়িত হয়ে ৷ আমরা আপনাকে আশ্রয় দিয়েছি ৷ আপনি
এসেছিলেন গরীব অবস্থায় ৷ আমরা আপনাকে আর্থিক সহযোগিতা করেছি ৷ আপনি ছিলেন
ডীআিস্ত ৷ আমরা আপনাকে নিরাপত্তা দিয়েছি ৷ আপনি ছিলেন অসহায় ৷ আমরা আপনাকে সাহায্য
করেছি” ৷ জবাবে আনারগণ বললেন, “সব ইহসান ও অনুগ্রহ ও তার রাসুলেরই” ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) বললেন, “হে আনসারগণ ! তোমরা দুনিয়ার সামান্য জিনিসের জন্যে মনে দুঃখ
পেয়েছো, যে জিনিস দিয়ে আমি এমন কিছু লোকের মন আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছি ৷ যারা সম্প্রতি
ইসলাম গ্রহণ করেছে ৷ আর তোমাদেরকে ইসলামের সেই মহা অরশের উপর রেখে দিয়েছি যা
আল্লাহ তোমাদের জন্যে বণ্টন করেছেন ৷ হে আনসারগণ ! তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে,
অন্যান্য লোকেরা তাদের বাড়িতে যাবে বকরী এবং উট নিয়ে, আর তোমরা তোমাদের বাড়িতে
যাবে আল্লাহর রাসুলকে নিয়ে ৷ যে সত্তার হাতে আমার জীবন, তার কসম ৷ সমস্ত লোক যদি
একটা গিরিপথ দিয়ে চলে, আর আনসাররা ভিন্ন আর এক গিরিপিথ দিয়ে যায়, তবে আমি
আনসারদের গিরিপথ দিয়েই যাবো ৷ যদি হিজরত করা অবধারিত না হতো, তাহলে আমি অবশ্যই
আনসারদের একজন হয়ে থাকতাম ৷ হে আল্লাহ ৷ আনাসারদের প্রতি আপনি রহম করুন ৷
তাদের সন্তান এবং সন্তানের সন্তানদের প্রতিও আপনি দয়া করুন” ৷ বাসুলুল্লাহ (না)-এর কথা
শুনার পর আনসারগণ এমনভাবে কান্নাকাটি করলেন যে, তাদের র্দাডি ভিজে যায় ৷ এ অবস্থায়
তারা বলতে থাকলেন, “আমাদের প্রতিপালক হিসেবে আল্লাহর উপর আমরা সন্তুষ্ট ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) গনীমত যেভাবে বণ্টন করেছেন তাতে আমরা রাযী খুশী” ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ (সা) সেখান
থেকে চলে আসেন, আনসাররাও ছড়িয়ে পড়ে ৷ ইমাম আহমাদও এ হাদীছ ইবন ইসহড়াক থেকে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু হাদীছ গ্রন্থকড়ারগণের কেউই উক্ত সুত্রে এটা বর্ণনা করেননি ৷
অবশ্য এটির সনদ সহীহ ৷ ইমাম আহমদ এ হাদীছ ইয়াহইয়া ইবন বুকায়র — আবু সাঈদ
খুদরী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আনসারদের এক ব্যক্তি তার সাথীদেরকে বললেন ও “শুনাে ,
আল্লাহর কসম ! আমি তোমাদের নিকট জানাচ্ছি যে, সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে, তবে জেনে
রেখো, তিনি তোমাদের উপর অন্যদের প্রাধান্য দিয়েছেন” ৷ রাবী বলেন, সাথীরা তার কথাকে
কঠােরভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন ৷ কিন্তু এ কথা রাসুলুল্লাহ্ (সা) পর্যন্ত পৌছে গেল ৷ তিনি তখন
তাদের কাছে আসেন এবং এমন কিছু কথা বলেন যা আমার স্মরণ নেই ৷ তারা জবাবে বললেন,
“হীা, হয়৷ বাসুলাল্লাহ্ ! তিনি বললেন, তোমরা ঘোড়ার উপর সওয়ার হতে পারতে না ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাদেরকে যে কথাই বলতেন, তারা জবাবে বলতেন, “জী হীা, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! এরপর
গ্রন্থকার হাদীছের অবশিষ্ট অংশ উল্লেখ করেছেন ৷ যেভাবে ইতিপুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ এই সনদেও
ইমাম আহমদ একাই বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুপভাবে ইমাম আহমদ এ হাদীছ আমাশ আবু সালিহ্
আবু সাঈদ সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ এ ছাড়াও তিনি মুসা ইবন উকবা ইবন লাহীয়৷ আবুয যুবায়র
জাবির (বা) সুত্রে এ হাদীছ সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন ৷


ثُمَّ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَنْصَارَ فَقَالَ: " إِنَّ قُرَيْشًا حَدِيثُو عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ وَمُصِيبَةٍ، وَإِنِّي أَرَدْتُ أَنْ أُجْبِرَهُمْ وَأَتَأَلَّفَهُمْ، أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَرْجِعَ النَّاسُ بِالدُّنْيَا وَتَرْجِعُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ إِلَى بُيُوتِكُمْ؟ " قَالُوا: بَلَى. قَالَ: " لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَسَلَكَتِ الْأَنْصَارُ شِعْبًا لَسَلَكْتُ وَادِيَ الْأَنْصَارِ " أَوْ " شِعْبَ الْأَنْصَارِ ".» وَأَخْرَجَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ يَزِيدَ بْنِ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ بِنَحْوِهِ، وَفِيهِ: فَقَالُوا: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْعَجَبُ، إِنَّ سُيُوفَنَا لِتَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ، وَالْغَنَائِمُ تُقَسَّمُ فِيهِمْ! فَخَطَبَهُمْ. وَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ ثَنَا حَمَّادٌ ثَنَا ثَابِتٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَى أَبَا سُفْيَانَ وَعُيَيْنَةَ وَالْأَقْرَعَ وَسُهَيْلَ بْنَ عَمْرٍو فِي آخَرِينَ يَوْمَ حُنَيْنٍ، فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، سُيُوفُنَا تَقْطُرُ مِنْ دِمَائِهِمْ، وَهُمْ يَذْهَبُونَ بِالْمَغْنَمِ؟ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَمَعَهُمْ فِي قُبَّةٍ لَهُ حَتَّى فَاضَتْ، فَقَالَ: " فِيكُمْ أَحَدٌ مِنْ غَيْرِكُمْ؟ " قَالُوا: لَا، إِلَّا ابْنَ أُخْتِنَا. قَالَ: " ابْنُ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْهُمْ ". ثُمَّ قَالَ: " أَقُلْتُمْ كَذَا وَكَذَا؟ " قَالُوا: نَعَمْ، قَالَ: " أَنْتُمُ الشِّعَارُ وَالنَّاسُ الدِّثَارُ، أَمَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالشَّاءِ وَالْبَعِيرِ وَتَذْهَبُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৫৭১
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى دِيَارِكُمْ؟ " قَالُوا: بَلَى. قَالَ: " الْأَنْصَارُ كَرِشِي وَعَيْبَتِي، لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَسَلَكَتِ الْأَنْصَارُ شِعْبًا لَسَلَكْتُ شِعْبَهَمْ، وَلَوْلَا الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنَ الْأَنْصَارِ ". وَقَالَ حَمَّادٌ: أَعْطَى مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ فَسَمَّى كُلَّ وَاحِدٍ مِنْ هَؤُلَاءِ.» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ، أَلَمْ آتِكُمْ ضُلَّالًا فَهَدَاكُمُ اللَّهُ بِي؟ أَلَمْ آتِكُمْ مُتَفَرِّقِينَ فَجَمَعَكُمُ اللَّهُ بِي؟ أَلَمْ آتِكُمْ أَعْدَاءً فَأَلَّفَ اللَّهُ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ؟ " قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " أَفَلَا تَقُولُونَ: جِئْتَنَا خَائِفًا فَأَمَّنَّاكَ، وَطَرِيدًا فَآوَيْنَاكَ، وَمَخْذُولًا فَنَصَرْنَاكَ؟ " قَالُوا: بَلْ لِلَّهِ الْمَنُّ عَلَيْنَا وَلِرَسُولِهِ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ ثُلَاثِيٌّ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ "، فَهَذَا الْحَدِيثُ كَالْمُتَوَاتِرِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِهِ مِنَ الصَّحَابَةِ. فَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ ثَنَا وُهَيْبٌ ثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ قَالَ: «لَمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ قَسَّمَ فِي النَّاسِ فِي الْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ، وَلَمْ يُعْطِ الْأَنْصَارَ شَيْئًا، فَكَأَنَّهُمْ وَجَدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ، إِذْ لَمْ يُصِبْهُمْ مَا أَصَابَ النَّاسَ، فَخَطَبَهُمْ فَقَالَ: " يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ، أَلَمْ أَجِدْكُمْ ضُلَّالًا فَهَدَاكُمُ اللَّهُ بِي؟ وَكُنْتُمْ مُتَفَرِّقِينَ فَأَلَّفَكُمُ اللَّهُ بِي؟ وَعَالَةً فَأَغْنَاكُمُ اللَّهُ بِي؟ " كُلَّمَا قَالَ شَيْئًا قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمَنُّ. قَالَ: " لَوْ شِئْتُمْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৭২

সুফিয়ান ইবন উয়ায়না রাফি ইবন খাদীজ (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে , রাসুলুল্লাহ্
(সা) হুনায়নের বন্দীদের মধ্য হতে যাদের মন আকৃষ্ট করতে চেয়েছিলেন তাদের প্ৰত্যেককে
একশ’ করে উট দান করেন ৷ তিনি আবু সুফিয়ানকে দেন একশ’ উট ৷ সাফওয়ান ইবন
উমাইয়াকে দেন একশ’ উট ৷ উয়ায়না ইবন হিস্নকে দেন একশ’টি ৷ আকরা ইবন হাবিসকে
দেন একশ’টি ৷ আলকামা ইবন আলাছাকে দেন একশ’ঢি ৷ মালিক ইবন আওফকে দেন
একশ’ঢি ৷ কিডুআব্বাস ইবন মিরদাসকে দেন একশর কম ৷ পাওয়ার ক্ষেত্রে যে উপরোক্তদের
পর্যায়ে পৌছতে পারেনি ৷ তাই সে কবিতায় বললো :


স্পো ষ্ন্এ


প্রুআমাব অংশ ও উবায়দ (কবির অম্বের নাম)-এর মত্শ কি আপনি উয়ায়না ও আকরাকে
দিচ্ছেন ৷ ?

কিন্তু জেনে রাখুন, তাদের পিতা হিস্ন ও হাবিস কোন মজলিসে আমার পিতা মিরদাসের
উপরে সম্মান পেত না ৷

আমি নিজেও ওদের দৃ’জনের নীচের লোক নই ৷ কিন্তু আজ যাকে নীচে নামানাে হচ্ছে সে
আর উপরে উঠতে পারবে না ৷

যুদ্ধক্ষেত্রে তো আমিই ছিলাম হিফাযতকারী ৷ কিন্তু আমাকে তেমন কিছুই দেওয়া হলো না,
আবার বঞ্চিতও রাখা হলো না ৷”

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে একশ’টি পুর্ণ করে দেন ৷ ইমাম মুসলিম এ
হাদীছ ইবন উয়ায়নার সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ উপরোক্ত কবিতা বায়হাকী থেকে নেওয়া
হয়েছে ৷ কিন্তু মুসা ইবন উকবা, উরওয়া ইবন যুবায়র ও ইবন ইসহাক এর বর্ণনায় নিম্নোক্ত কবিতা
উল্লেখ করা হয়েছে :

১া৷
;;ন্থে ’-গ্রা







قُلْتُمْ: جِئْتَنَا كَذَا وَكَذَا، أَلَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ بِالشَّاءِ وَالْبَعِيرِ وَتَذْهَبُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ إِلَى رِحَالِكُمْ؟ لَوْلَا الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنَ الْأَنْصَارِ، وَلَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا وَشِعْبًا، لَسَلَكْتُ وَادِيَ الْأَنْصَارِ وَشِعْبَهَا، الْأَنْصَارُ شِعَارٌ وَالنَّاسُ دِثَارٌ، إِنَّكُمْ سَتَلْقَوْنَ بَعْدِي أَثَرَةً، فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلْقَوْنِي عَلَى الْحَوْضِ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ بِهِ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: «لَمَّا أَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْغَنَائِمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ وَقَسَّمَ لِلْمُتَأَلِّفِينَ مِنْ قُرَيْشٍ وَسَائِرِ الْعَرَبِ مَا قَسَّمَ، وَلَمْ يَكُنْ فِي الْأَنْصَارِ مِنْهَا شَيْءٌ قَلِيلٌ وَلَا كَثِيرٌ، وَجَدَ هَذَا الْحَيُّ مِنَ الْأَنْصَارِ فِي أَنْفُسِهِمْ حَتَّى قَالَ قَائِلُهُمْ: لَقِيَ وَاللَّهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْمَهُ. فَمَشَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ هَذَا الْحَيَّ مِنَ الْأَنْصَارِ قَدْ وَجَدُوا عَلَيْكَ فِي أَنْفُسِهِمْ. فَقَالَ: " فِيمَ؟ " قَالَ: فِيمَا كَانَ مِنْ قَسْمِكَ هَذِهِ الْغَنَائِمَ فِي قَوْمِكَ وَفِي سَائِرِ الْعَرَبِ، وَلَمْ يَكُنْ فِيهِمْ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَأَيْنَ أَنْتَ مِنْ ذَلِكَ يَا سَعْدُ؟ " قَالَ: مَا أَنَا إِلَّا امْرُؤٌ مِنْ قَوْمِي. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَاجْمَعْ لِي قَوْمَكَ فِي هَذِهِ الْحَظِيرَةِ، فَإِذَا اجْتَمَعُوا فَأَعْلِمْنِي ". فَخَرَجَ سَعْدٌ فَصَرَخَ فِيهِمْ، فَجَمَعَهُمْ فِي تِلْكَ الْحَظِيرَةِ، فَجَاءَ رِجَالٌ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৩৫৭৩

“এই লুষ্ঠিত গনীমত তো উপার্জন করেছি আমি মরুভুমিতে ঘোড়ার চড়ে আক্রমণ করে ৷

আমি জাগ্রত থাকার কারণে কবিলার লোক ঘুমিয়ে থাকতে পারে না ৷ অন্যান্য লোক যখন
ঘুমিয়ে থাকে, তখনও আমি ঘুমাই না ৷

এই ত্যাগের বদলায় বুঝি আমার হিস্যা ও আমার অশ্ব উবায়দেব হিস্যা উয়ায়না ও আকরা’র
মাঝে ভাগ হয়ে গেল ?

আমি ছিলাম যুদ্ধের ময়দানে হিফাযতকারী সে কারণে আমাকে তমন কিছু দেওয়াও হয়নি ৷
আবার বঞ্চিত ও রাখা হয়নি ৷

আমি পেয়েছি কতগুলো দুর্বল জস্তু যেগুলোর পা চতুষ্টয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ৷

অথচ উয়ায়নার পিতা হিস্ন এবং আকরার পিতা হাবিস কোন জেলিসেই আমার পিতা
মিরদাসের উপর অধিক মর্যাদা পেত না ৷

আর আমি নিজেও ওদের দুজনের থেকে নীচে নই ৷ তবে আজ যাকে নীচে নামিয়ে দেওয়া
হবে সে আর কখনও উপরে উঠবে না ৷

উরওয়া ও মুসা ইবন উকবা যুহরী থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এ
কবিতার কথা পৌছলে তিনি আব্বাস ইবন মিরদাসকে বললেন : তুমিই কি বলেছে ?


“আমার হিস্যসা ও উবায়দের হিস্যসা বণ্টন হয়ে গেছে আকরা’ ও উয়ায়নার মাঝে” ?

আবু বকর (রা) বললেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! সে কবিতাট৷ এভাবে বলেনি ৷ কিন্তু আল্লাহ্র
কসম ! আপনি তো আর করি নন ৷ আর করি হওয়া আপনার জন্যে শোভনীয়ও নয়” ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) জিজ্ঞেস করলেন, “তা হলে সে কিভাবে বলেছে” ? তখন আবু বকর (রা) কবিতাটি যথাযথ
ভাবে পড়লেন (অর্থাৎ ব্লু , ব্র ১৷ ৷ , ব প্লু ;; প্রু প্রু) রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : উভয়টি তো
একই ৷ দুজনের যার নামই আগে বলা হোক তাতে ক্ষতি কি ? তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘোষণা
দিলেন, “আমার পক্ষ থেকে তোমরা ওর জিহ্বা কেটে দাও” ৷ এতে কিছু লোক ঘাবড়ে গেল যে,

তাকে না বিকলাঙ্গ (মুছলা) করা হয় ৷ বস্তুতঃ নবী করীম (না) তাকে আরও কিছু দান করে কবিতা
বন্ধ রাখার উদ্দেশ্যেই এ কথা বলেছিলেন ৷ আর উবায়দ হচ্ছে কবির ঘোড়ার নাম ৷

ইমাম বুখারী মুহাম্মাদ ইবন আলা আবুমুসা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
আমি নবী করীম (না)-এর কাছে ছিলাম ৷ তিনি মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী স্থানে জিইবৃরান৷ নামক
স্থানে অবস্থান করছিলেন ৷ তার সাথে ছিলেন বিলাল (রা) ৷ এমন সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা )ণ্শ্ এর নিকট
দিয়ে এক রেদুঈন এসে বললো, “আমাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পুরণ করবেন না” ?
তিনি তাকে বললেন, “সুসংবাদ গ্রহণ কর” ৷ সে বললাে , “এরুপ সুসংবাদ গ্রহণের কথা তো
আপনি আমাকে অনেক বারই শুনিয়েছেন” ৷ নবী করীম (না) তখন রাণতভাবে আবু মুসা ও
বিলালের দিকে ফিরে বললেন, “সে তো সুসংবাদ প্রত্যাখ্যান করলো, এখন তোমরা দুজনে তা
গ্রহণ কর” ৷ এরপর তিনি পানি ভর্তি একটি পেয়ালা আনতে বলেন ৷ পেয়ালা আনা হলে তিনি
তাতে হাত-মুখ ধৌত করেন ও কুলি করে তাতে ফেলেন ৷ তারপর বললেন, “তোমরা এ থেকে


الْمُهَاجِرِينَ، فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا، وَجَاءَ آخَرُونَ فَرَدَّهُمْ، حَتَّى إِذَا لَمْ يَبْقَ مِنَ الْأَنْصَارِ أَحَدٌ إِلَّا اجْتَمَعَ لَهُ، أَتَاهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدِ اجْتَمَعَ لَكَ هَذَا الْحَيُّ مِنَ الْأَنْصَارِ حَيْثُ أَمَرْتَنِي أَنْ أَجْمَعَهُمْ. فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: " يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ، أَلَمْ آتِكُمْ ضُلَّالًا فَهَدَاكُمُ اللَّهُ، وَعَالَةً فَأَغْنَاكُمُ اللَّهُ، وَأَعْدَاءً فَأَلَّفَ اللَّهُ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ؟ " قَالُوا: بَلَى. ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَّا تُجِيبُونَنِي يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ؟ " قَالُوا: وَمَا نَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ وَبِمَاذَا نُجِيبُكَ؟ الْمَنُّ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ. قَالَ: " أَمَا وَاللَّهِ لَوْ شِئْتُمْ لَقُلْتُمْ فَصَدَقْتُمْ وَصُدِّقْتُمْ: جِئْتَنَا طَرِيدًا فَآوَيْنَاكَ، وَعَائِلًا فَآسَيْنَاكَ، وَخَائِفًا فَأَمَّنَّاكَ، وَمَخْذُولًا فَنَصَرْنَاكَ ". فَقَالُوا: الْمَنُّ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَوَجَدْتُمْ فِي نُفُوسِكُمْ يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ فِي لُعَاعَةٍ مِنَ الدُّنْيَا تَأَلَّفْتُ بِهَا قَوْمًا أَسْلَمُوا، وَوَكَلْتُكُمْ إِلَى مَا قَسَمَ اللَّهُ لَكُمْ مِنَ الْإِسْلَامِ؟! أَفَلَا تَرْضَوْنَ يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ أَنْ يَذْهَبَ النَّاسُ إِلَى رِحَالِهِمْ بِالشَّاءِ وَالْبَعِيرِ وَتَذْهَبُونَ بِرَسُولِ اللَّهِ إِلَى رِحَالِكُمْ؟ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ النَّاسَ سَلَكُوا شِعْبًا وَسَلَكَتِ الْأَنْصَارُ شِعْبًا، لَسَلَكْتُ شِعْبَ الْأَنْصَارِ، وَلَوْلَا الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنَ الْأَنْصَارِ، اللَّهُمَّ ارْحَمِ الْأَنْصَارَ وَأَبْنَاءَ الْأَنْصَارِ وَأَبْنَاءَ أَبْنَاءِ الْأَنْصَارِ ". قَالَ: فَبَكَى الْقَوْمُ حَتَّى أَخْضَلُوا لِحَاهُمْ، وَقَالُوا: رَضِينَا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ قَسْمًا. ثُمَّ انْصَرَفَ وَتَفَرَّقُوا» وَهَكَذَا رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৩৫৭৪
الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَلَمْ يَرْوِهِ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَهُوَ صَحِيحٌ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ سَعْدٍ الْعَوْفِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ: «قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ لِأَصْحَابِهِ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أُحَدِّثُكُمْ أَنَّهُ لَوْ قَدِ اسْتَقَامَتِ الْأُمُورُ قَدْ آثَرَ عَلَيْكُمْ. قَالَ: فَرَدُّوا عَلَيْهِ رَدًّا عَنِيفًا. فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَهُمْ، فَقَالَ لَهُمْ أَشْيَاءَ لَا أَحْفَظُهَا، قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " وَكُنْتُمْ لَا تَرْكَبُونَ الْخَيْلَ ". وَكُلَّمَا قَالَ لَهُمْ شَيْئًا قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ.» ثُمَّ ذَكَرَ بَقِيَّةَ الْخُطْبَةِ كَمَا تَقَدَّمَ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ أَيْضًا. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مُنْفَرِدًا بِهِ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ بِنَحْوِهِ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا عَنْ مُوسَى عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ مُخْتَصَرًا. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنْ جَدِّهِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَى الْمُؤَلَّفَةَ قُلُوبُهُمْ مِنْ سَبْيِ حُنَيْنٍ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، فَأَعْطَى أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ مِائَةً، وَأَعْطَى صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ مِائَةً، وَأَعْطَى عُيَيْنَةَ بْنَ حِصْنٍ مِائَةً،
পৃষ্ঠা - ৩৫৭৫

পান কর ও বুকে-মৃখে ছিটিয়ে দাও এবং সৃসত্বাদ গ্রহণ কর” ৷ র্তারা পেযাল৷ হাতে নিয়ে নির্দেশ
মত কাজ সম্পন্ন করলেন ৷ এ সময় পর্দার আড়ালে থেকে উম্মে সালাম৷ (রা) বললেন :
তোমাদের মায়ের জন্যে কিছু রেখে দিও” ৷ তখন তারা তার জন্যে কিছু রেখে দিলেন ৷

ইমাম বুখারী বলেন : ইয়াহ্য়া ইবন বুকায়র আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেছেন, আমি বাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে হেটে চলছিলাম ৷ তার পায়ে ছিল শক্ত পাড়
বিশিষ্ট একটা নাজরানী চাদর ৷ এ সময় এক বেদুঈন তার কাছে এলো ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
চাদর ধরে জোরে টানতে লাগলো ৷ এক পর্যায়ে আমি দেখি, জোহ্রর টেনে নেয়ার কারণে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাধের চামড়ার চাদরের পাড়ের দাগ পড়ে <;গছে ৷ বেদুঈন বলছিলো,
“আপনার কাছে আল্লাহর দেওয়া যে মাল আছে তা থেকে আমাকে কিছু ৷সওয়ার জন্যে নির্দেশ
দিন” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেদুঈনের দিকে তাকিয়ে হেসে দিলেন এবং ভাবে কিছু দেওয়ার জন্যে
নির্দেশ দিলেন ৷

হুনায়ন যুদ্ধের পনীমত থেকে রাসুলুল্লাহ (সা) যাদেরকে একংণশৃ করে উট দিয়েছিলেন, ইবন
ইসহাক তাদের নাম উল্লেখ করেছেন ৷ তারা হলো : আবু সুফিয়া ন সাখার ইবন হ বব তার পুত্র
ষুআবিয়া, হাকীম ইবন হিযাম, বনু আবদৃদ দা র গোত্রের হারিছ ইবন কালদা, বনু যোহরার মিএ
আলকামা ইবন আলাছ৷ ছ৷ কা৷ফী, হারিছ ইবন হিশাম, জুবায়র ইবন মু৩ তঈম, মালিক ইবন আওফ
নাসরী, সুহায়ল ইবন আমর,হু আয়তাব ইবন আবদুল উযযা, উয়াযন৷ ইবন হিসৃন, সাফওয়৷ ন ইবন
উম৷ হয়৷ ও তা ৷কর৷ ইবন হা ৷বিস ৷

ইবন ইসহাক বলেন৪ আমার কাছে মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম ইবন হারিছ তায়যী বর্ণনা
করেছেন যে, রা সুলুল্লা হ্ (সা )-এর জনৈক সাহাবী৩৷ ৷কে বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ ! আপনি উয়াযনা
ও আকরা’কে একশ’ একশ’ করে দিয়েছেন ৷ অথচ জুআয়ল ইবন সুরাক৷ জামরীকে কিছুই তো
দেননি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “দেখ, র্যার হাতে মুহাম্মদের জীবন র্তার কসস ! জুআয়ল
ইবন সুরাক৷ ভু-পৃষ্ঠের উপর বসবাসকারী সকলের চাইতে একজন উত্তম লোক ৷ উয়ায়না ও
আকরার মতই ৷ কিন্তু আমি এ দু’জনের মন আকৃষ্ট করতে চেয়েছি যাতে এরা ইসলাম কবুল
করে ৷ আর জুআয়ল ইবন সুরাকার ইসলাম গ্রহণের উপর আমার পুর্ণ আস্থা রয়েছে” ৷ এরপর
ইবন ইসহাক সেসব লোকের নামও উল্লেখ করেছেন যাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) একশ’ থেকে
কম দিয়েছেন ৷ কিন্তু সে৩ ৷লিকা অনেক দীর্ঘ ৷

সহীহ হাদীছে সাফওয়ান ইবন উমাইয়া থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি বলেছেন, “হুনায়নের
গনীমত থেকে আমাকে কিছু দান করার পুর্ব পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা ) ছিলেন আমার নিকট
সবচাইতে ঘৃণ্য ৷ কিভু দান গ্রহণের পর থেকে আল্লাহর সৃষ্টি জগতে তীর চাইতে অধিকতর প্রিয়
আমার কাছে আর কেউ নেই” ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট মালিক ইবন আওফ নাসরীর আগমন

ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা ) হাওয়াযিন প্রতিনিধিদের নিকট জিজ্ঞেস করেন যে,
মালিক ইবন আওফ কি করছে ? তারা জানায় যে , সে তায়েফে ছাকীফ গোত্রের সাথে আছে ৷


وَأَعْطَى الْأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ مِائَةً، وَأَعْطَى عَلْقَمَةَ بْنَ عُلَاثَةَ مِائَةً، وَأَعْطَى مَالِكَ بْنَ عَوْفٍ مِائَةً، وَأَعْطَى الْعَبَّاسَ بْنَ مِرْدَاسٍ دُونَ الْمِائَةِ، وَلَمْ يُبَلِّغْ بِهِ أُولَئِكَ، فَأَنْشَأَ يَقُولُ: أَتَجْعَلُ نَهْبِي وَنَهْبَ الْعُبَيْدِ ... بَيْنَ عُيَيْنَةَ وَالْأَقْرَعِ فَمَا كَانَ حِصْنٌ وَلَا حَابِسٌ ... يَفُوقَانِ مِرْدَاسَ فِي الْمَجْمَعِ وَمَا كُنْتُ دُونَ امْرِئٍ مِنْهُمَا ... وَمَنْ تَخْفِضُ الْيَوْمَ لَا يُرْفَعُ وَقَدْ كُنْتُ فِي الْحَرْبِ ذَا تُدْرَأٍ ... فَلَمْ أُعْطَ شَيْئًا وَلَمْ أُمْنَعِ قَالَ: فَأَتَمَّ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةً» رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ بِنَحْوِهِ، وَهَذَا لَفْظُ الْبَيْهَقِيِّ. وَفِي رِوَايَةٍ ذَكَرَهَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَابْنُ إِسْحَاقَ فَقَالَ: كَانَتْ نِهَابًا تَلَافَيْتُهَا ... بِكَرِّي عَلَى الْمُهْرِ فِي الْأَجْرَعِ وَإِيقَاظِيَ الْحَيَّ أَنْ يَرْقُدُوا ... إِذَا هَجَعَ النَّاسُ لَمْ أَهْجَعِ
পৃষ্ঠা - ৩৫৭৬

তিনি বললেন : তাকে সংবাদ দাও ৷ সে যদি ইসলাম গ্রহণ করে আমার কাছে আসে তবে তার
পরিবারবর্গ ও সম্পদ তাকে ফিরিয়ে দিব এবং অতিরিক্ত একশত উটও দিব ৷ এ সংবাদ পেয়ে সে
ছাকীফ গোত্র থেকে দ্রুত বের হয়ে জিইররানায় বা মক্কায় এসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে ৷ পরে একজন নিষ্ঠাবান মুসলিম হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে তার পরিবারবর্গ ও সম্পদ ফিরিয়ে দেন ৷ এরপর যখন তাকে
একশটি উট দেওয়া হয় তখন তিনি কবিতায় বলেন :

এ্যা ; ,;,প্রু৷ ) ;, ৷ ৮১
, ৷
স্পো হে

“আমি তার মত কাউকে দেখিওনি শুনিওনি সমগ্র মানরের মাঝে মুহস্ফোদের সদৃশ অন্য কেউ
নেই ৷

কেউ যখন অনুগ্রহ প্রার্থনা করে তখন তিনি তাকে পরিপুর্ণভারে বিরাট অংকের সামগ্রী দান
করে থাকেন ৷ তুমি যখন চাইবে তিনি তখন তোমাকে আগামীতে যা ঘটবে তা বলে দিবেন ৷

যখন সৈন্যদল দাপটের সাথে প্রদর্শন করে তেজি উটের উপর থেকে তাদের বর্শা এবং
হিন্ন্তোনের লোহার তৈরি তরবারি ৷

তখন তিনি সিংহের ভুমিকায় চলে আসেন, যে তার শাবকদের রক্ষার্থে গর্তের মুখে ঘীটিতে
অবিচলিত থেকে অবস্থান করে ৷ ”

ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে তার কওম থেকে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল
তাদের উপর শাসক বানিয়ে দেন ৷ সেই সাথে ছুমালা সালমা ও ফাহম গোত্রকেও তার অধীন করে
দেন ৷ এদেরকে সাথে নিয়ে তিনি ছাকীফ গোত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন ৷ তাদের কোন
কাফেলা বের হলেই তাদের উপর হামলা করতেন ৷ এতে তাদের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে উঠে ৷

ইমাম বৃখারী বলেন : মুসা ইবন ইসমাঈল আমর ইবন তাগলিব থেকে বর্ণিত যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক দলকে গনীমত দেন, আর এক দলকে দেয়া থেকে বিরত
থাকেন ৷ এতে তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্ৰতি অসন্তুষ্ট হয় ৷ তখন তিনি বললেন, “আমি এমন
এক দলকে দিয়েছি যাদের ক্ষুধা ও বিপর্যস্ত অবস্থা দেখে আমি আশংকা বো ধ করেছি ৷ আর এমন
এক কওমের উপর আমি আস্থা স্থাপন করেছি যাদের অন্তরে আল্লাহ্ কল্যাণ রেখেছেন এবং যারা
মহানুভব ৷ এ কওমেরই একজন আমর ইবন তাগলিব” ৷ আমর বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার
জন্যে যে শব্দ ব্যবহার করেছেন তার বিনিময়ে বিপুল প্রাচুর্যও আমার কাছে প্রিয় নয় ৷ আবু আসিম
জাবির হাসান আমর ইবন তাগলিব সুত্রে অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাল অথবা
বন্দী নিয়ে আসেন ৷ তারপর তিনি এভাবে তা বণ্টন করে দেন ৷ বৃখারীর এক বংনািয় এসেছে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মালামাল নিয়ে আসেন ; কিৎবা জিনিসপত্র নিয়ে আসেন ৷ এরপর কিছু লোককে


فَأَصْبَحَ نَهْبِي وَنَهْبُ الْعُبَيْدِ بَيْنَ عُيَيْنَةَ وَالْأَقْرَعِ ... وَقَدْ كُنْتُ فِي الْحَرْبِ ذَا تُدْرَأٍ فَلَمْ أُعْطَ شَيْئًا وَلَمْ أُمْنَعِ ... إِلَّا أَفَائِلَ أُعْطِيتُهَا عَدِيدَ قَوَائِمِهَا الْأَرْبَعِ ... وَمَا كَانَ حِصْنٌ وَلَا حَابِسٌ يَفُوقَانِ مِرْدَاسَ فِي الْمَجْمَعِ ... وَمَا كُنْتُ دُونَ امِرِئٍ مِنْهُمَا وَمَنْ تَضَعِ الْيَوْمَ لَا يُرْفَعِ قَالَ عُرْوَةُ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ: فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ: " أَنْتَ الْقَائِلُ: أَصْبَحَ نَهْبِي وَنَهْبُ الْعُبَيْدِ بَيْنَ الْأَقْرَعِ وَعُيَيْنَةَ؟ " فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: مَا هَكَذَا قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَلَكِنْ وَاللَّهِ مَا كُنْتَ بِشَاعِرٍ وَمَا يَنْبَغِي لَكَ. فَقَالَ: " كَيْفَ قَالَ؟ " فَأَنْشَدَهُ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «هُمَا سَوَاءٌ، مَا يَضُرُّكَ بِأَيِّهِمَا بَدَأْتَ» ". ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «اقْطَعُوا عَنِّي لِسَانَهُ» ". فَخَشِيَ بَعْضُ النَّاسِ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ الْمُثْلَةَ بِهِ، وَإِنَّمَا أَرَادَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَطِيَّةَ. قَالَ: وَعُبَيْدٌ فَرَسُهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ نَازِلٌ بِالْجِعْرَانَةِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَمَعَهُ بِلَالٌ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ: أَلَا
পৃষ্ঠা - ৩৫৭৭
تُنْجِزُ لِي مَا وَعَدْتَنِي؟ فَقَالَ لَهُ: " أَبْشِرْ ". فَقَالَ: قَدْ أَكْثَرْتَ عَلَيَّ مِنْ " أَبْشِرْ ". فَأَقْبَلَ عَلَى أَبِي مُوسَى وَبِلَالٍ كَهَيْئَةِ الْغَضْبَانِ فَقَالَ: " رَدَّ الْبُشْرَى فَاقْبَلَا أَنْتُمَا ". قَالَا: قَبِلْنَا. ثُمَّ دَعَا بِقَدَحٍ فِيهِ مَاءٌ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ وَوَجْهَهُ فِيهِ وَمَجَّ فِيهِ، ثُمَّ قَالَ: " اشْرَبَا مِنْهُ وَأَفْرِغَا عَلَى وُجُوهِكَمَا وَنُحُورِكُمَا وَأَبْشِرَا ". فَأَخَذَا الْقَدَحَ فَفَعَلَا، فَنَادَتْ أُمُّ سَلَمَةَ مِنْ وَرَاءِ السِّتْرِ أَنْ أَفْضِلَا لِأُمِّكُمَا. فَأَفْضَلَا لَهَا مِنْهُ طَائِفَةً.» هَكَذَا رَوَاهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ ثَنَا مَالِكٌ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كُنْتُ أَمْشِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِ بُرْدٌ نَجْرَانِيٌّ غَلِيظُ الْحَاشِيَةِ، فَأَدْرَكَهُ أَعْرَابِيٌّ، فَجَذَبَهُ جَذْبَةً شَدِيدَةً، حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى صَفْحَةِ عَاتِقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَثَّرَتْ بِهِ حَاشِيَةُ الرِّدَاءِ مِنْ شِدَّةِ جَذْبَتِهِ، ثُمَّ قَالَ: مُرْ لِي مِنْ مَالِ اللَّهِ الَّذِي عِنْدَكَ. فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ فَضَحِكَ ثُمَّ أَمَرَ لَهُ بِعَطَاءٍ» . وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ الَّذِينَ أَعْطَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، وَهُمْ; أَبُو سُفْيَانَ صَخْرُ بْنُ حَرْبٍ وَابْنُهُ مُعَاوِيَةُ وَحَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ وَالْحَارِثُ بْنُ كَلَدَةَ أَخُو بَنِي عَبْدِ الدَّارِ، وَعَلْقَمَةُ بْنُ عُلَاثَةَ وَالْعَلَاءُ بْنُ جَارِيَةَ الثَّقَفِيُّ حَلِيفُ بَنِي زُهْرَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ وَجُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ وَمَالِكُ بْنُ عَوْفٍ النَّصْرِيُّ