আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

غزوة الطائف

غزوة الطائف

غزوة الطائف

পৃষ্ঠা - ৩৫৪৩

তাদের সেনাপতি স্বয়ং নবী করীম (সা) ৷ তিনি অতি দৃঢ়পদ ৷ পবিত্র-চিত্ত ৷ ধৈর্যশীল ও
সংযমী ৷

সঠিক সিদ্ধাম্ভদাতা, প্রজ্ঞাশীল, জ্ঞানী ও সহিষ্ণু ৷ চঞ্চল ও আরেগপ্রবণ নন ৷

আমরা আনুগত্য করি আমাদের নবীর ৷ আমরা আনুগত্য করি এমন প্রতিপালকের যিনি অতি
দয়ালু ও আমাদের প্রতি করুণাময় ৷

তোমরা যদি আমাদের কাছে শাস্তির প্রস্তাব দাও, তবে আমরা তা গ্রহণ করবো ৷ আর
তোমাদেরকে বানাবো আমাদের জন্যে শক্তি ও শাস্তির বাহক ৷

আর যদি তোমরা অস্বীকার কর, তা হলে আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবো ধৈর্যের
সাথে আমাদের তৎপরতা কখনও দ্বিধাযুক্ত ও দুর্বল হয়ে না ৷

আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব যতক্ষণ বেচে থাকবাে ; অথবা তোমরা ফিরে আসবে ইসলামের
দিকে আনুগত্যের সাথে ও ভদ্রভাবে ৷

আমরা যুদ্ধ করবো, কারও কোন পরোয়া করবো না, যার সাশেইিচু মুকাবিলা হোক না কেন ৷
স্থায়ী বাসিন্দা ও অস্থায়ী বাসিন্দা সকলকেই আমরা সমানে ধ্বংস করবো ৷

কত গোত্রই তো আমাদের বিরুদ্ধে এলো — যাদের মধ্যে অনেকেই ছিল দৃঢ় সংকল্পকারী ৷
আরও এসেজ্যি তাদের মিত্ররা ৷

তারা এসেছিল আমাদের উদ্দেশ্যে ৷ তারা ধারণা করেছিল তাদের সমকক্ষ কেউ নেই ৷
আমরা তাদের নাক-কান কেটে দিয়েছিলাম ৷

কেটেছিলাম ভারতীয় হালকা শানিত তরবারি দ্বারা ৷ এর সাহায্যে আমরা তাদেরকে ঘাড় ধরে
তাড়িয়ে নিয়ে আমি-

আল্লাহর নির্দেশ পালন ও ইসলামের দিকে যাতে দীন প্রতিষ্ঠিত হয় — ভারসাম্যপুর্ণ ও
একনিষ্ঠভাবে ৷

আর যাতে লোকে ভ্যুল যায় লাত , উঘৃযা ও উদকে এবং আমরা ছিনিয়ে নিব ওদের গলার হার
ও কানের দৃল ৷

এর ফলে মানুষ স্থিতি ফিরে পায় ও শান্তি লাভ করে ৷ আর যারা বিরত হবে না তারা হবে
অপমানিত ৷”

ইবন ইসহাক বলেন : কিনানা ইবন আবদ ইয়ালীল ইবন আমর ইবন উমায়র ছাকাফী উক্ত
কবিতার জবাব দেয় ৷

আমি বলি, এ ঘটনার পর কিনানা ইবন আবদ ইয়ালীল ছাকীফ গোত্রের একটি প্রতিনিধি
দলের সাথে এসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট একই সাথে ইসলাম গ্রহণ করে ৷ মুসা ইবন উকবা,
আবু ইসহাক, আবু উমার ইবন আবদুল বাবু, ইবনুল আহীর প্রমুখ এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷
বিৎ মাদায়িনী বলেছেন যে , কিনানা ইসলাম গ্রহণ করেনি; বরং সে রােমে চলে যায় এবং খৃক্ট ধর্ম

গ্রহণ করে তার মৃত্যুও সেখানে হয় !


[غَزْوَةُ الطَّائِفِ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (غَزْوَةُ الطَّائِفِ) . قَالَ عُرْوَةُ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ: «قَاتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ، وَحَاصَرَ الطَّائِفَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَمَانٍ» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا قَدِمَ فَلُّ ثَقِيفٍ الطَّائِفَ أَغْلَقُوا عَلَيْهِمْ أَبْوَابَ مَدِينَتِهَا، وَصَنَعُوا الصَّنَائِعَ لِلْقِتَالِ، وَلَمْ يَشْهَدْ حُنَيْنًا وَلَا حِصَارَ الطَّائِفِ عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ وَلَا غَيْلَانُ بْنُ سَلَمَةَ; كَانَا بِجُرَشَ يَتَعَلَّمَانِ صَنْعَةَ الدَّبَّابَاتِ وَالْمَجَانِيقِ وَالضُّبُورِ. قَالَ: ثُمَّ سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الطَّائِفِ حِينَ فَرَغَ مِنْ حُنَيْنٍ فَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ فِي ذَلِكَ: قَضَيْنَا مِنْ تِهَامَةَ كُلَّ رَيْبٍ ... وَخَيْبَرَ ثُمَّ أَجْمَمْنَا السُّيُوفَا نُخَيِّرُهَا وَلَوْ نَطَقَتْ لَقَالَتْ ... قَوَاطِعُهُنَّ دَوْسًا أَوْ ثَقِيفَا فَلَسْتُ لِحَاضِنٍ إِنْ لَمْ تَرَوْهَا ... بِسَاحَةِ دَارِكُمْ مِنَّا أُلُوفَا
পৃষ্ঠা - ৩৫৪৪

ণ্১ণ্ন্র্ন্ত১
শ্লে এ্গ্লু; ;শুা৷
রৈ-শু-গ্রশুণ্ স্পো এ-১গ্র ষ্শ্রু১ ৷প্রুপ্রু ;;
“যে আমাদেরকে সন্ধান করে আমাদের সাথে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে , তাকে বল, আমরা এমন

একটি চিহ্নিত দেশে আছি যা আমরা ত্যাগ করবো না ৷

আমরা এখানে আমাদের পুর্ব-পুরুষদেরকে পেয়েছি তোমাদের দেখার পুর্বে ৷ এখানকার
পানির কুয়াে ও আৎগুরের বাপানগুলো আমাদের দখলে আছে ৷

ইতোপুর্বে আমাদের পরীক্ষা করেছে আমর ইবন আমির গোত্র ৷ তাদের নিজ ও বিচক্ষণ
লোকেরা এ সংবাদ তাদেরকে জানিয়েছে ৷

তারা ভাল করেই জানে যদি তারা সত্য কথা বলে যে কোন অহংকারী দাচিক লোক
সামনে আসলে আমরা তাকে উচিৎ শিক্ষা দেই ৷

তাকে আমরা সোজা করে দেই ৷ ফলে তার চরিত্রের মন্দ দিকগুলো নরম হয়ে যায় এবং
তাদের যালিম প্রকৃতির লোকগুলাে স্পষ্ট সত্য সম্পর্কে অবগতি লাভ করে ৷

আমাদের পরিধানে আছে নরম বর্ম ৷ এগুলো আমাদের আয়ত্তে এসেছে অগ্নি দগ্ধ মানুষের
থেকে ৷ ১ বর্মগুলোর রং আকাশী যে আকাশ সুশোভিত হয়েছে নক্ষত্ররাজি দ্বারা ৷

এগুলো আমরা উঠিয়ে রাখি সেই সব ধারাল তরবারির সাথে যেগুলো যুদ্ধের প্রাক্কালে
একবার খাপমুক্ত করা হলে আর তা খাপে ঢুকাইনা ৷ ”

ইবন ইসহাক বলেন : শাদ দাদ ইবন আরিয জুশামী রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর তায়েফ যাত্রাকালে
কবিতায় বলেন :

খু

“তোমরা লাভের সাহায্য করো না, কেননা, আল্লাহ্ তাকে ধ্বংস করবেন ৷ যে নিজেকে
বাচাতে পারে না, তাকে সাহায্য করা যায় কিভাবে ?



১ এযুানে আমর ইবন আমিরের কথা বলা হয়েছে ৷ সে-ই সর্ব প্রথম মানুষকে অগ্নি দগ্ধ করে ৷ তাদের
বম আমাদের হস্তগত হয় ৷


وَنَنْتَزِعُ الْعُرُوشَ بِبَطْنِ وَجٍّ وَتُصْبِحُ دُورُكُمْ مِنْكُمْ خُلُوفَا ... وَيَأْتِيكُمْ لَنَا سَرْعَانُ خَيْلٍ يُغَادِرُ خَلْفَهُ جَمْعًا كَثِيفَا ... إِذَا نَزَلُوا بِسَاحَتِكُمْ سَمِعْتُمْ لَهَا مَمَّا أَنَاخَ بَهَا رَجِيفَا ... بِأَيْدِيهِمْ قَوَاضِبُ مُرْهَفَاتٌ يُزِرْنَ الْمُصْطَلِينَ بِهَا الْحُتُوفَا ... كَأَمْثَالِ الْعَقَائِقِ أَخْلَصَتْهَا قُيُونُ الْهِنْدِ لَمْ تُضْرَبْ كَتِيفَا ... تَخَالُ جَدِيَّةَ الْأَبْطَالِ فِيهَا غَدَاةَ الزَّحْفِ جَادِيًّا مَدُوفَا ... أَجَدَّهُمُ أَلَيْسَ لَهُمْ نَصِيحٌ مِنَ الْأَقْوَامِ كَانَ بِنَا عَرِيفَا ... يُخَبِّرُهُمْ بِأَنَّا قَدْ جَمَعْنَا عِتَاقَ الْخَيْلِ وَالنُّجُبَ الطُّرُوفَا ... وَأَنَّا قَدْ أَتَيْنَاهُمْ بِزَحْفٍ يُحِيطُ بِسُورِ حِصْنِهِمُ صُفُوفَا ... رَئِيسُهُمُ النَّبِيُّ وَكَانَ صُلْبًا نَقِيَّ الْقَلْبِ مُصْطَبِرًا عَرُوفَا ... رَشِيدَ الْأَمْرِ ذَا حُكْمٍ وَعِلْمٍ وَحِلْمٍ لَمْ يَكُنْ نَزِقًا خَفِيفَا ... نُطِيعُ نَبِيَّنَا وَنُطِيعُ رَبًّا هُوَ الرَّحْمَنُ كَانَ بِنَا رَءُوفَا
পৃষ্ঠা - ৩৫৪৫

যাকে পােড়ান হয় পাহাড়ের পাদদেশে এবং সেখান থেকে অগ্নি-শিখা উঠতে থাকে ৷ আর
তার পাথরের কাছে অনর্থক যুদ্ধও করা হয় না ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন তোমাদের এলাকায় পৌছবেন, তখন লোকজন এলাকা ত্যাগ করে
চলে যাবে ৷ সেখানকার কোন অধিবাসী অবশিষ্ট থাকবে না ৷ ”

ইবন ইসহাক বলেন : তারপর রাসুলুল্লাহ্ (না) হুনায়ন থেকে তায়েফ গমন করেন ৷ যাওয়ার
পথে তিনি নাখলাতৃল ইয়ামানিয়া, কারণ ও মালিহ্ অতিক্রম করে লিয়্যার অন্তর্গত বুহ্রাতৃর রস্পায়
উপনীত হন ৷ তিনি সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন ও তাতে সালাত আদায় করেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : আমর ইবন শুআয়ব আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, বুহ্রাতৃর-
রুগায় অবতরণ করে রাসুলুল্লাহ্ (না) একটি খুনের কিসাস গ্রহণ (খুনের বদলে খুন) করেন ৷
এটাই ছিল ইসলামের সর্ব প্রথম কিসাস ৷ বনুলায়ছের এক ব্যক্তি হুযায়লের এক ব্যক্তিকে হত্যা
করে ৷ এর কিসাস হিসেবে তিনি ঘাতককে হত্যা করেন ৷ লিয়ব্রড়ায় অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নির্দেশে মালিক ইবন আওফের দুর্গ বিধ্বস্ত করা হয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন : এরপর তিনি যীকা নামক একটি পথ দিয়ে সামনে অগ্রসর হন ৷ এ
পথে যাত্রা শুরু করে তিনি পথটির নাম জিজ্ঞেস করেন ৷ তবে জানান হয় যে , পথটির নাম
যীকা ৷ তিনি বললেন, যীকা (সংকীর্ণ) বলো না ; একে বরং ইউসৃরা (প্রশস্ত) বলো ৷ এরপর তিনি
সেখান থেকে বেরিয়ে নাখাব পৌছেন ৷ সেখানে একটি কুল গাছের ছায়ায় অবতরণ করেন ৷
গাছটিকে সাদিরা বলা হতো ৷ এর পাশেই ছিল ছাকীফ গোত্রের জনৈক ব্যজ্যি সম্পদ ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না) ঐ ব্যক্তির কাছে সংবাদ পাঠান যে, হয় তুমি আমাদের কাছে চলে এসো, না হয় তোমার
প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলব ৷ সে ব্যক্তি আসতে অস্বীকার করলো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা ভেঙ্গে
ফেলার নির্দেশ দেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : ইসমাঈল ইবন উমাইয়ার সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আমর থেকে
বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, আমরা যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে তায়েফের দিকে যাই, তখন
পথে একটি কবরের কাছ দিয়ে আমরা অতিক্রম করছিলাম ৷ কবরটির দিকে ইংগিত করে
রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন : এটি ছাকীফ গোত্রের পুর্ব পুরুষ আবু রিগালের কবর ৷ সে ছিল কওমে
ছামুদের লোক ৷ সে হারম শরীফে অবস্থান করে আত্মরক্ষা করতো ৷ যখন সে হারম থেকে বের
হয় তখন ঐ শাস্তি তার উপর পতিত হয়, যে শাস্তিতে আক্রান্ত হয়েছিল তার কাওমের লোকেরা
এই স্থানে ৷ তাকে এখানেই দাফন করা হয় ৷ এর নিদর্শন হলো তার সাথে স্বর্ণের একটি ডালও
দাফন করা হয় ৷ কবর খুড়লে স্বর্ণের ডালটি পেয়ে যাবে ৷ এ কথা শুনে সবাই এগিয়ে গেল এবং
কবর থেকে পুতে রাখা স্বর্ণের ডালটি বের করে আনলো ৷ আবু দাউদ এ ঘটনা ইয়াহ্ইয়া ইবন
মাঈন এর সুত্রে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন ৷ ইমাম বায়হাকী ইয়াযীদ ইবন
যুরায়’ সুত্রে ইসমাঈল ইবন উমইিয়া থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না) পথ অতিক্রম করে তায়েফের নিকটবর্তী এক স্থানে
সৈন্যদের শিবির স্থাপন করেন ৷ এখানে তার কয়েকজন সাথী ভীরের আঘাতে নিহত হয় ৷ কারণ,
সৈন্য শিবিরটি স্থাপন করা হয়েত্যি তায়েফের প্রাচীরের অতি সন্নিকটে ৷ তইি তিনি এখান থেকে


فَإِنْ تُلْقُوا إِلَيْنَا السِّلْمَ نَقْبَلْ ... وَنَجْعَلْكُمْ لَنَا عَضُدًا وَرِيفَا وَإِنْ تَأْبَوْا نُجَاهِدْكُمْ وَنَصْبِرْ ... وَلَا يَكُ أَمْرُنَا رَعِشًا ضَعِيفَا نُجَالِدُ مَا بَقِينَا أَوْ تُنِيبُوا ... إِلَى الْإِسْلَامِ إِذْعَانًا مُضِيفَا نُجَاهِدُ لَا نُبَالِي مَا لَقِينَا ... أَأَهْلَكْنَا التِّلَادَ أَمِ الطَّرِيفَا وَكَمْ مِنْ مَعْشَرٍ أَلَبُوا عَلَيْنَا ... صَمِيمَ الْجِذْمِ مِنْهُمْ وَالْحَلِيفَا أَتَوْنَا لَا يَرَوْنَ لَهُمْ كِفَاءً ... فَجَدَّعْنَا الْمَسَامِعَ. وَالْأُنُوفَا بِكُلِّ مُهَنَّدٍ لَيْنٍ صَقِيلٍ ... نَسُوقُهُمُ بِهَا سَوْقًا عَنِيفَا لِأَمْرِ اللَّهِ وَالْإِسْلَامِ حَتَّى ... يَقُومَ الدِّينُ مُعْتَدِلًا حَنِيفَا وَتُنْسَى اللَّاتُ وَالْعُزَّى وَوُدٌّ ... وَنَسْلُبَهَا الْقَلَائِدَ وَالشُّنُوفَا فَأَمْسَوْا قَدْ أَقَرُّوا وَاطْمَأَنُّوا ... وَمَنْ لَا يَمْتَنِعْ يَقْبَلْ خُسُوفَا وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَجَابَهُ كِنَانَةُ بْنُ عَبْدِ يَالِيلَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُمَيْرٍ الثَّقَفِيُّ - قَلْتٌ وَقَدْ وَفَدَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ، فَأَسْلَمَ مَعَهُمْ. قَالَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَابْنُ إِسْحَاقَ وَأَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ وَابْنُ الْأَثِيرِ وَغَيْرُ وَاحِدٍ.
পৃষ্ঠা - ৩৫৪৬

শিবির উঠিয়ে পশ্চাতে নিয়ে যান এবং তায়েফের বর্তমান মসজিদের নিকটে স্থাপন করেন ৷ বনু
ছাকীফ ইসলাম গ্রহণের পর এ মসজিদটি নির্মাণ করেছিল ৷ আমর ইবন উমইিয়া ইবন ওহবের
তত্ত্বাবধানে এটি নির্মিত হয় ৷ ঐতিহাসিকগণ লিখেন যে, এ মসজিদে এমন একটি স্তম্ভ ছিল যে,
প্রতি দিন সকালে সুর্য উদয়ের সময় এর থেকে একটি আওয়ায শেন্তো যেত ৷ ইবন ইসহাক
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তায়েফবাসীকে বিশ দিনের অধিক অবরোধ করে রাখেন ৷ ইবন হিশাম
বলেন, অবরােধকাল ছিলসতের দিন ৷

উরওয়া ও মুসা ইবন উকবা ইমাম যুহরী থেকে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) তায়েফের
উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ বন্দীদেরকে জিইররানায় রেখে যান ৷ তাদের সংখ্যা এতো অধিক ছিল যে,
মক্কার র্তাবু পরিপুর্ণ হয়ে যায় ৷ তায়েফের দুর্গের কাছাকাছি গিয়ে তিনি শিবির স্থাপন করেন ৷ তের
দিনেরও বেশি সময় সেখানে অবস্থান করেন ৷ এখানে থেকেই তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ৷
তারাও দুর্গের ভিতর থেকে যুদ্ধ করে ৷ দুর্গের ভিতর থেকে এক ঝাক্ত ব্যতীত কেউ বাইরে
বেরিয়ে আসেনি ৷ যে ব্যক্তি হলো যিয়াদের বৈপিত্রেয় ভইি আবুবাকরা ইবন মাসরুহ ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) র্তাকে মুক্ত করে দেন ৷ দুর্গের অভ্যন্তরে অনেকেই আহত হয় ৷ মুসলমানগণ
তায়েফবাসীদের অনেক আৎগুর গাছ কেটে ফেলেন যাতে তারা ক্রোধে জ্বলতে থাকে ৷ তখন
ছাকীফ গোত্রের লোকজন এ কাজে বাধা দিয়ে বলে, সম্পদের ক্ষতি সাধন করো না ৷ কেননা,
এগুলো হয় তোমাদের অধিকারে আসবে না হয় আমাদের দখলে থাকবে ৷ উরওয়া বলেন :
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মুসলিম বাহিনীকে নির্দেশ দেন, যেন প্রত্যেকে পাচটি করে খেজুর গাছ ও পচেটি
করে আৎগুর গাছ কেটে ফেলে ৷ তিনি একজন ঘোষণাকারীকে পাঠিয়ে এই ঘোষণা জারী করেন
যে, যে কেউ দুর্গ থেকে বের হয়ে আমাদের কাছে আসবে সে মুক্ত ৷ এ ঘোষণার পর শত্রু
পক্ষের কয়েক ব্যক্তি অতি কষ্টে বের হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর নিকট এসে পৌছে ৷ তাদের মধ্যে
বিবাদ ইবন আবু সুফিয়ানের বৈপিত্রেয় ভাই আবু বাকরা ইবন মাসরুহও ছিলেন ৷ তিনি তাদের
সবাইকে মুক্ত করে দেন এবং তাদের ভরণ-পােষণ ও দেখাশুনার জন্যে এক একজনকে এক
একজন মুসলমানের দায়িত্বে দিয়ে দেন ৷

ইমাম আহমদ ইয়াযীদের সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন : কোন
গোলাম তার মুনিবের নিকট থেকে পালিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর নিকট এসে ইসলাম গ্রহণ করলে
তিনি তাকে মুক্ত করে দিতেন ৷ তায়েফ যুদ্ধের সময় তিনি এরুপ দুজনকে মুক্ত করেন ৷ ইমাম
আহমদ আবদুল কুদদুস ইবন বকর ইবন খুনায়সের সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা
করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) তায়েফবাসীকে চার দিক থেকে অবরোধ করেন ৷ সে সময় দুজন
গোলাম বের হয়ে তার কাছে চলে আসে ৷ তিনি দু’জনকেই আযাদ করে দেন ৷ তাদের একজন
হচ্ছেন আবু বকরা (রা) ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নীতি ছিল যে , কোন গোলাম তার কাছে চলে
আসলে তাকে আযাদ করে দিতেন ৷ ইমাম আহমদ আরও বলেন : নাসর ইবন রিআব
ইবন আব্বাস (না) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, তায়েফ যুদ্ধের দিন রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)
ঘোষণা দেন যে, কোন গোলাম আমাদের কাছে বেরিয়ে আসলে সে মুক্ত ৷ এ ঘোষণার পর
কতিপয় গোলাম তার কাছে বেরিয়ে আসে ৷ এদের একজন আবু বকরা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের
সবাইকে মুক্ত করে দেন ৷ এ হাদীছ উপরোক্ত সনদে ইমাম আহমদ একাই বর্ণনা করেছেন ৷


وَزَعَمَ الْمَدَائِنِيُّ أَنَّهُ لَمْ يُسْلِمْ، بَلْ صَارَ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ فَتَنَصَّرَ وَمَاتَ بِهَا -: فَمَنْ كَانَ يَبْغِينَا يُرِيدُ قِتَالَنَا ... فَإِنَّا بِدَارٍ مَعْلَمٍ لَا نَرِيمُهَا وَجَدْنَا بِهَا الْآبَاءَ مِنْ قَبْلِ مَا تَرَى ... وَكَانَتْ لَنَا أَطْوَاؤُهَا وَكُرُومُهَا وَقَدْ جَرَّبَتْنَا قَبْلُ عَمْرُو بْنُ عَامِرٍ ... فَأَخْبَرَهَا ذُو رَأْيِهَا وَحَلِيمُهَا وَقَدْ عَلِمَتْ إِنْ قَالَتِ الْحَقَّ أَنَّنَا ... إِذَا مَا أَبَتْ صُعْرُ الْخُدُودِ نُقِيمُهَا نُقَوِّمُهَا حَتَّى يَلِينَ شَرِيسُهَا ... وَيُعْرَفَ لِلْحَقِّ الْمُبِينِ ظَلُومُهَا عَلَيْنَا دِلَاصٌ مِنْ تُرَاثِ مُحَرِّقٍ ... كَلَوْنِ السَّمَاءِ زَيَّنَتْهَا نُجُومُهَا نُرَفِّعُهَا عَنَّا بِبِيضٍ صَوَارِمَ ... إِذَا جُرِّدَتْ فِي غَمْرَةٍ لَا نَشِيمُهَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ شَدَّادُ بْنُ عَارَضٍ الْجُشَمِيُّ فِي مَسِيرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الطَّائِفِ:. لَا تَنْصُرُوا اللَّاتَ إِنَّ اللَّهَ مُهْلِكُهَا ... وَكَيْفَ يُنْصَرُ مَنْ هُوَ لَيْسَ يَنْتَصِرُ إِنَّ الَّتِي حُرِّقَتْ بِالسُّدِّ فَاشْتَعَلَتْ ... وَلَمْ تُقَاتِلْ لَدَى أَحْجَارِهَا هَدَرُ إِنَّ الرَّسُولَ مَتَى يَنْزِلْ بِلَادَكُمُ ... يَظْعَنْ وَلَيْسَ بِهَا مِنْ أَهْلِهَا بَشَرُ
পৃষ্ঠা - ৩৫৪৭

সনদের কেদ্রীয় ব্যক্তি হাজ্বজাজ ইবন আরতাত একজন দুর্বল রাবী ৷ বিক্ষু ইমাম আহমদ এ মতই
গ্রহণ করেছেন ৷ তার মতে কোন গোলাম যদি যুদ্ধরত শত্রুদেশ ( ,ন্, ন্, ৷ , ৷া) থেকে ইসলামী
রা₹ষ্ট্ৰ (ণ্১াহু৷ ৷ ) ৷া) চলে আসে, তবে সে মুক্ত হয়ে যাবে ৷ বিনা শর্তে স্বাভাবিকভাবে এটাই
শরীআতের বিধান ৷ কিত্ত্ব অন্যরা বলেন, এটা শর্ত-সাপেক্ষে ছিল, সাধারণ নির্দেশ ছিল না ৷ তবে
হাদীছটি সহীহ হলে সাধারণ নির্দো৷ হওয়াই যুক্তি সংগত ৩৷ যেমন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন

পাবে ৷ ইউন স ইবন বুকায়র মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন মুকাররাম ছাকাফী
থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তায়েফ অবরোধ করলে তাদের কতিপয়
গোলাম বেরিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট চলে আসে ৷ তাদের একজন হলেন হাবিছ ইবন
কিলদা ৷র গোলাম আবু বকরা (রা) ৷ আর একজনের নাম মুনবায়েছ ৷ এর পুর্ব নাম ছিল ঘুযতাজে
( গ্লু ১৬; ) রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর নাম পরিবর্তন করে ব্রা:খন মুনবায়েছ (@গ্প্রুন্ ) ৷ বাকী
দু’জনের নাম ইয়াহ্নাস ও ওয়ারদান ৷ এরা সবাই ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ পরবর্তীন্ত যখন
তায়েফের একদল প্রতিনিধি এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করে, তখন তারা
আবেদন জানায় যে, আমাদের যে সব গোলাম আপনার নিকট চলে এসেছে৩ তাদেরকে ফিরিয়ে
দিন ৷ জবাবে তিনি জানান ৷ ওদেরকে ফেরত দেওয়া যাবে না ওরা আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাদ ৷
তবে যে ৫গালামের কাছে তার মুনিবের মিরাছ পাওনা ছিল, তিনি তাকে তা ফেরত দেন ৷

ইমাম বুখারী বলেন : আমাদের নিকট হাদীছ বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ ইবন বাশৃশার
আবুউছমান থেকে যে তিনি বলেছেন, আমি সা’দ (রা) থেকে শুনেছি যিনি আল্লাহ্র রাস্তায়
প্রথম তীর নিক্ষেপকারী, আরও শুনেছি আবু বকরা (রা) থেকে যিনি কতিপয় দোকসহ
তায়েফের প্রাচীর টপকিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসেছিলেন ৷ তারা দুজনেই বর্ণনা করেন
যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি জেনেশুনে অন্য লোককে নিজের
পিতা বলে দাবি করবে, তার উপর জান্নাত হারাম ৷ ইমাম মুসলিম ও আসিমের সুত্রে অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী বলেন : মামার আসিম আবুল আলিয়৷ কিৎব৷ আবু উছমান হিশাম নাহদী
থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি সা’দ (রা) ও আবু বকরা (রা)-ফে নবী (সা) থেকে বর্ণনা
করতে শুনেছি ৷ আসিম বলেন, আমি আবুল আলিয়৷ কিৎবা আবু উছমান নাহদীকে বললাম, এমন
দুব্যক্তি আপনাকে শুনিয়েছেন, যাদের উপর আপনার পুর্ণ আস্থা রয়েছে ৷ তিনি বললেন, হী৷ ৷
কেননা, তাদের একজন হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহ্র পথে সর্ব প্রথম তীর নিক্ষেপ করেন আর
অপরজন এমন, যে তায়েফ যুদ্ধে বেষ্টন-প্রাচীর উিৎগিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্এর নিকট আগমনকারী
ত্বেইশজনের একজন ৷

ইবন ইসহাক বলেনং সে সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে দুজন শ্রী ছিলেন ৷ তাদের একজন
হলেন উম্মু সালামা ৷ তাদের জন্যে তিনি দুটি র্তাবু স্থাপন করেন এবং ঐ৩ তাবুদ্বয়ের মাঝখানে তিনি
সালাত আদায় করতে থাকেন ৷ তিনি তাদেরকে ( তায়েফবাসীদের) অবরোধ করে রাখেন এবং
তাদের বিরুদ্ধে ভীষণভাবে যুদ্ধ করেন ৷ উণ্ড ভয় পক্ষ পরস্পরের উপর তীর নিক্ষেপ করতে থাকে ৷
ইবন হিশাম বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাদের প্রতি মিনজানীক দ্বারা পাথর নিক্ষেপ করেন ৷ আমার


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَسَلَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَعْنِي مِنْ حُنَيْنٍ إِلَى الطَّائِفِ - عَلَى نَخْلَةَ الْيَمَانِيَّةِ، ثُمَّ عَلَى قَرْنٍ، ثُمَّ عَلَى الْمُلَيْحِ، ثُمَّ عَلَى بَحْرَةِ الرُّغَاءِ مِنْ لِيَّةَ، فَابْتَنَى بِهَا مَسْجِدًا فَصَلَّى فِيهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ أَنَّهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَقَادَ يَوْمَئِذٍ بِبَحْرَةِ الرُّغَاءِ حِينَ نَزَلَهَا بِدَمٍ، وَهُوَ أَوَّلُ دَمٍ أُقِيدَ بِهِ فِي الْإِسْلَامِ، رَجُلٌ مِنْ بَنِي لَيْثٍ قَتَلَ رَجُلًا مَنْ هُذَيْلٍ فَقَتَلَهُ بِهِ، وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ بِلِيَّةَ، بِحِصْنِ مَالِكِ بْنِ عَوْفٍ فَهُدِمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «ثُمَّ سَلَكَ فِي طَرِيقٍ يُقَالُ لَهَا: الضَّيِّقَةُ. فَلَمَّا تَوَجَّهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَ عَنِ اسْمِهَا فَقَالَ: " مَا اسْمُ هَذِهِ الطَّرِيقِ؟ " فَقِيلَ: الضَّيِّقَةُ. فَقَالَ: " بَلْ هِيَ الْيُسْرَى ". ثُمَّ خَرَجَ مِنْهَا عَلَى نَخِبٍ، حَتَّى نَزَلَ تَحْتَ سِدْرَةٍ يُقَالُ لَهَا: الصَّادِرَةُ. قَرِيبًا مِنْ مَالِ رَجُلٍ مِنْ ثَقِيفٍ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِمَّا أَنْ تَخْرُجَ إِلَيْنَا وَإِمَّا أَنْ نُخَرِّبَ عَلَيْكَ حَائِطَكَ ". فَأَبَى أَنْ يَخْرُجَ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِخْرَابِهِ.» . وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ عَنْ بُجَيْرِ بْنِ أَبِي بُجَيْرٍ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ حِينَ خَرَجْنَا مَعَهُ إِلَى الطَّائِفِ فَمَرَرْنَا بِقَبْرٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذَا قَبْرُ أَبِي رِغَالٍ وَهُوَ أَبُو ثَقِيفٍ، وَكَانَ مِنْ ثَمُودَ وَكَانَ بِهَذَا الْحَرَمِ يَدْفَعُ عَنْهُ، فَلَمَّا خَرَجَ أَصَابَتْهُ النِّقْمَةُ الَّتِي أَصَابَتْ قَوْمَهُ بِهَذَا الْمَكَانِ، فَدُفِنَ فِيهِ، وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّهُ دُفِنَ مَعَهُ غُصْنٌ مِنْ ذَهَبٍ، إِنْ أَنْتُمْ نَبَشْتُمْ عَنْهُ أَصَبْتُمُوهُ ". قَالَ: فَابْتَدَرَهُ النَّاسُ فَاسْتَخْرَجُوا مَعَهُ الْغُصْنَ» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ عَنْ وَهْبِ بْنِ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ عَنْ رَوْحِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ بِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى نَزَلَ قَرِيبًا مِنَ الطَّائِفِ، فَضَرَبَ بِهِ عَسْكَرَهُ، فَقُتِلَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ بِالنَّبْلِ، وَذَلِكَ أَنَّ الْعَسْكَرَ اقْتَرَبَ مِنْ حَائِطِ الطَّائِفِ، فَتَأَخَّرُوا إِلَى مَوْضِعِ مَسْجِدِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، الْيَوْمَ بِالطَّائِفِ الَّذِي بَنَتْهُ ثَقِيفٌ بَعْدَ إِسْلَامِهَا، بَنَاهُ عَمْرُو بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ وَهْبٍ وَكَانَتْ فِيهِ سَارِيَةٌ لَا تَطْلُعُ عَلَيْهَا الشَّمْسُ صَبِيحَةَ كُلِّ يَوْمٍ إِلَّا سُمِعَ لَهَا نَقِيضٌ فِيمَا يَذْكُرُونَ. قَالَ: فَحَاصَرَهُمْ بِضْعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَيُقَالُ: سَبْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً.
পৃষ্ঠা - ৩৫৪৮

কাছে বিশ্বস্ত এমন এক ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন যে , নবী (সা) সর্বপ্রথম ইসলামে মিনজানীক
ব্যবহার করেন ৷ এর দ্বারা তিনি তায়েফবাসীদের প্রতি পাথর বর্ষণ করেছিলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : এ দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কতিপয় সাহাবী একটি দাব্বাবায় (ট্যাৎক
এর ন্যায় সমরাস্ত্র) প্রবেশ করেন ৷ তারপর তা আস্তে আস্তে টেনে নিয়ে যান তায়েফের প্রাচীর
বিধ্বস্ত করার জন্যে ৷ তখন তাদের উপর পরম লৌহ শলাকা ফেলে দেওয়া হয় ৷ ফলে তারা
দাব্বাবা থেকে বেরিয়ে আসেন ৷ তখন বনু ছাকীফ তাদের উপর তীর নিক্ষেপ করে ৷ এতে কিছু

ত্খ্যক লোক নিহত হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বনু ছাকীফের আংগুরের বাগান কেটে ফেলার

নির্দেশ দেন ৷ সাথে সাথে লোকজন বাগান কাটার কাজে লেগে যায় ৷

ইবন ইসহাক বলেন : আবুসুফিয়ান ইবন হারব ও মুর্গীরা ইবন গুব৷ গিয়ে ছাকীফ গোত্রের
সাথে আলাপ আলোচনা করার জন্যে নিরাপত্তা চইিলেন ৷ তারা তাদেরকে নিরাপত্তা দিল ৷ তখন
এরা কুরায়শ ও বনুকিনানার মহিলাদেরকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানায় ৷ তারা আশংকা করছিল
দুর্গ বিজয়ের পর এদেরকে বন্দী করা হবে ৷ বিন্দু মহিলারা তাদের কাছে আসতে অস্বীকার করে ৷
তখন আবুল আসওয়াদ ইবন মাসউদ আবু সুফিয়ান ও মুগীরাকে বললো — তোমরা যে উদ্দেশ্যে
এসেছে! তার চেয়ে কোন উত্তম প্রস্তাব কি আমি রাখতে পারি ? শুনাে, আবুল আসওয়াদের সম্পদ
কোথায় আছে তোমরা জান ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আর্কীক নামক যে উপত্যকায় অবতরণ
করেছেন যে উপত্যকাটি বনু আসওয়াদের সম্পদ ও তায়েফের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ৷ সমগ্র
তায়িফে বনু আসওয়াদের সম্পদের চাইতে অধিক লাভজনক বেশী জীবনােপকরণ ও অধিক
বসবাস উপযোগী সম্পদ আর নেই ৷ মুহাম্মাদ যদি তা ধ্বংস করে দেন তবে আর কখনও তা
আবাদ হবে না ৷ সুতরাং তোমরা দু’জনে গিয়ে তার সাথে আলাপ কর ৷ হয় তিনি তা নিজের
জন্যে রেখে দিন ; না হয় আল্লাহ্ ও আত্মীয়বর্গের জন্যে ছেড়ে দিন ৷ বর্ণনাকারিগণ বলেন,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) সে সম্পত্তি তাদের জন্যে রেখে দেন ৷ ওয়াকিদী তার উন্তাদগণ থেকে এরুপই
বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আরও বলেছেন যে , মিনজানীক ব্যবহারের জন্যে সালমান ফারসী পরামর্শ
দেন এবং নিজ হাতে তা তৈরী করেন ৷ কেউ বলেছেন, তিনি তা (পারস্য থেকে) সাথে করে
নিয়ে আসেন এবং সেই সাথে দুটি দাব্বাবাও আনেন ৷

ইমাম বায়হাকী ইবন লাহীআ সুত্রে আবুল আসওয়াদ, উরওয়া থেকে বর্ণনা করেন যে , উয়ায়না
ইবন হিসৃন তায়েফ গিয়ে সেখানকার অধিবাসীদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান করার জন্যে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন ৷ তিনি তাকে এ কাজের অনুমতি দেন ৷ কিত্তু
সে তাদের কাছে এসে তাদেরকে দুর্গ অভ্যন্তরে অবিচল থাকার পরামর্শ দেয় ৷ দীর্ঘ আলোচনা
করে সে আমার যে, তোমাদের বাগান বৃক্ষ কর্তনের সংবাদ যেন তোমাদের ঘাবড়িয়ে না দেয় ৷
সে প্রত্যাবর্তন করার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি ওদেরকে কি বলেছো :
উত্তরে সে বললো, আমি তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের জন্যে আহ্বান করেছি, জাহান্নামের ব্যাপারে
সতর্ক করেছি এবং জান্নাতের পথ অবলম্বনের জন্যে উৎসাহ দিয়েছি ৷” তার কথা শুনে রাসুলুল্পাহ্
(সা) বললেন : তুমি মিথ্যা বলছো, তুমি (তা তাদেরকে এই এই কথা বলেছো ৷ তখন সে বলে
উঠলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি সত্য বলেছেন ৷ আমি আমার কাজের জন্যে আল্লাহ্র কাছে ও
আপনার কাছে তাওবা করছি ৷”


وَقَالَ عُرْوَةُ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ: ثُمَّ سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الطَّائِفِ وَتَرَكَ السَّبْيَ بِالْجِعْرَانَةِ، وَمُلِئَتْ عُرُشُ مَكَّةَ مِنْهُمْ، وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْأَكَمَةِ عِنْدَ حِصْنِ الطَّائِفِ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً يُقَاتِلُهُمْ وَيُقَاتِلُونَهُ مِنْ وَرَاءِ حِصْنِهِمْ، وَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِ أَحَدٌ مِنْهُمْ غَيْرُ أَبِي بَكْرَةَ بْنِ مَسْرُوحٍ أَخِي زِيَادٍ لِأُمِّهِ، فَأَعْتَقَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَثُرَتِ الْجِرَاحُ، وَقَطَعُوا طَائِفَةً مِنْ أَعْنَابِهِ لِيُغِيظُوهُمْ بِهَا، فَقَالَتْ لَهُمْ ثَقِيفٌ: لَا تُفْسِدُوا الْأَمْوَالَ، فَإِنَّهَا لَنَا أَوْ لَكُمْ. وَقَالَ عُرْوَةُ: «أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلَّ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَنْ يَقْطَعَ خَمْسَ نَخَلَاتٍ أَوْ خَمْسَ حُبْلَاتٍ، وَبَعَثَ مُنَادِيًا يُنَادِي: " مَنْ خَرَجَ إِلَيْنَا فَهُوَ حُرٌّ ". فَاقْتَحَمَ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنْهُمْ، فِيهِمْ أَبُو بَكْرَةَ بْنُ مَسْرُوحٍ أَخُو زِيَادِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ لِأُمِّهِ، فَأَعْتَقَهُمْ وَدَفَعَ كُلَّ رَجُلٍ مِنْهُمْ إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَعُولُهُ وَيَحْمِلُهُ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَزِيدُ ثَنَا حَجَّاجٌ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «كَانَ يَعْتِقُ مَنْ جَاءَهُ مِنَ الْعَبِيدِ قَبْلَ مَوَالِيهِمْ إِذَا أَسْلَمُوا، وَقَدْ أَعْتَقَ يَوْمَ الطَّائِفِ رَجُلَيْنِ.» . وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: ثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ بَكْرِ بْنِ خُنَيْسٍ ثَنَا الْحَجَّاجُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «حَاصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ الطَّائِفِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ عَبْدَانِ فَأَعْتَقَهُمَا، أَحَدُهُمَا أَبُو بَكَرَةَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩৫৪৯

বায়হার্কী বর্ণনা করেন : হাকিম ইবন আবুনাব্জীহ সুলহ্বমী — আমর ইবন আবাসা (রা)
থেকে বণিতি ৷ তিনি বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে তায়েফের দুর্গ অবরোধ করি ৷
তখন আমি শুনতে পেলাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছেন : যে ব্যক্তি একটি তীর নিয়ে পৌছবে সে
জান্নাতে একটা মর্যাদা লাভ বরোব ৷ সে দিন আমি ষোলঢি তীর নিয়ে তীর কাছে পৌছাম ৷ আমি
আরও শুনতে পেলাম, তিনি বলছেন : যে ব্যক্তি আল্লাহ্র পথে একটি ভীর নিক্ষেপ করবে সে
একটি দাস মুক্ত করার সমান নওয়াব পাবে ৷ যে বৃদ্ধ আল্লাহ্র পথেত্ত্ব যুদ্ধ করবে ৷ কিয়ামতের দিন
যে বিশেষ ধরনের নুর লাভ করবে ৷ যে ব্যক্তি কোন মুসলমান পুরুষ দাসকে আষাদ করবে,
আল্লাহ্ ঐ দাসের প্রতিটি অস্থির পরিবর্তে আযাদকারীর প্রতিটি অস্থি₹ক জাহান্নাম থেকে রক্ষা
করবেন ৷ যে মুসলিম নারী কোন মুসলিম দাসীকে মুক্ত করবে ৷ আল্লাহ্ তার প্রতিটি অস্থির
বিনিময়ে আযাদকারীর প্রতিটি অন্থিকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত রাখবেন ৷ আবু দাউদ ও
তিরমিষী এ হাদীছ অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ নসোঈ কাতদাে বর্ণিত এ হাদীছকে সহীহ্ বলে
অভিহিত করেছেন ৷

ইমাম বুখারী হুমায়দীর সুত্রে উন্মু সালামা থেকে বংনি৷ করেন যে, তিনি বলেছেন :
এক সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার কাছে আসেন ৷ তখন একজন হিজড়া আমার নিকট বসা ছিল ৷
আমি শুনতে পেলাম, হিজড়া লােকটি আবদুল্লাহ ইবন আবু উমাইয়াকে বলছে আগামী কাল যদি
আবৃন্তুাহ্ ণ্তামাদ্দেরকে তায়েফ জয় করার সামর্থ্য দেন তা হলে তুমি অবশ্যই গায়লানের কন্যাকে
তুলে নিবে ৷ কেননা, সে (পেটে) চার ভাজসহ সামনে আসে এবং (পিঠে) আট ভীজসহ ফিরে
যায় ৷ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ঐসব ইিজড়ারা যেন তোমাদের কাছে আর না
আসে ৷ ইবন উয়ায়না বলেন, ইবন জুরায়জ বলেহ্নো, সেই হিজড়া লােকটির নাম ছিল ইাত ৷ এ
ছাড়া ইমাম বুখারী এবং ইমাম মুসলিম বিভিন্ন সুত্রে হিশাম ইবন উরওয়ার পিতা থেকে অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এর ভাষ্য এরুপ “তারা মনে করতেন যে, হিজড়া ব্যক্তি যৌন বাসনা রহিত
পুরুষ ৷ (া৷শুপু ৷ গ্লু ন্ম্ ব্র ,¥ ৷ ষ্া,৷ ) ; ;,) আবার কোন কোন বর্ণনায় এ কথা এসেছে
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলােছা : কি ব্যাপার ! ওখানে যা কিছু আছে সবই তো এ জানে ৷ এর? যেন
আর তোমাদের কাছে না আসে ৷ অর্থাৎ যৌন কামনা সম্পর্কে যারা জ্ঞাত হবে তারা এ আয়াতের
মধ্যে শামিল হবে ৷ যথা :


“এবং নারীদের গোপন অংগ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত” (২৪ নুর : ৩১) ৷

প্রাথমিক যুগের আলেমদের পরিভাষায় হিজড়া’ বলতে তাদেরকে বুঝায় যারা নারীদের সাথে
সঙ্গমের সামর্থ্য রাখে না ৷ যার পুত্মৈথুনে জড়িত তারা এখানে উদ্দেশ্য নয় ৷ কেননা সে রকম
হলে তাদেরকে হত্যা করা ওয়াজিং ৷ হাদীছ থেকে এটা প্রমাণিত ৷ আবু বকর সিদীক (না) এরুপ
হিজড়াদের হত্যা করেছেন ৷ হিজড়!র উক্তি চারসহ আসে এবং আটসহ্ যায়’ এর অর্থ হল তার
পেটের ভীজ ৷ যখন সে সম্মুখে আসে তখন পেটের চার র্ভাজ দেখা যায়, আর যখন ণিহনের দিকে
যায় তখন পিঠের দিকে ঐ চার ভাজ প্রত্যেকটি দ্বিগুণ হয়ে আট র্ভাজ দেখা যায় ৷ উল্লিখিত
মহিলার নাম ছিল ৰাদিয়া বিনৃত গায়লান ইবন সালমা ৷ সে ছিল হার্কীফ্ গোত্রের এৰ্শ্ শ্যা
৭ ৭


يُعْتِقُ الْعَبِيدَ إِذَا خَرَجُوا إِلَيْهِ.» . وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: ثَنَا نَصْرُ بْنُ بَابٍ عَنِ الْحَجَّاجِ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الطَّائِفِ: «مَنْ خَرَجَ إِلَيْنَا مِنَ الْعَبِيدِ فَهُوَ حُرٌّ ". فَخَرَجَ عَبِيدٌ مِنَ الْعَبِيدِ فِيهِمْ أَبُو بَكْرَةَ فَأَعْتَقَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» . هَذَا الْحَدِيثُ تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ وَمَدَارُهُ عَلَى الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ وَهُوَ ضَعِيفٌ، لَكِنْ ذَهَبَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ إِلَى هَذَا، فَعِنْدَهُ أَنَّ كُلَّ عَبْدٍ جَاءَ مِنْ دَارِ الْحَرْبِ إِلَى دَارِ الْإِسْلَامِ عُتِقَ، حُكْمًا شَرْعِيًّا مُطْلَقًا عَامًّا. وَقَالَ آخَرُونَ: إِنَّمَا كَانَ هَذَا شَرْطًا لَا حَكْمًا عَامًّا، وَلَوْ صَحَّ الْحَدِيثُ لَكَانَ التَّشْرِيعُ الْعَامُّ أَظْهَرَ، كَمَا فِي قَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا فَلَهُ سَلَبُهُ ".» . وَقَدْ قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُكَدَّمِ الثَّقَفِيُّ قَالَ: «لَمَّا حَاصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ الطَّائِفِ خَرَجَ إِلَيْهِ رَقِيقٌ مِنْ رَقِيقِهِمْ; أَبُو بَكْرَةَ وَكَانَ عَبْدًا لِلْحَارِثِ بْنِ كَلَدَةَ وَالْمُنْبَعِثُ وَكَانَ اسْمُهُ الْمُضْطَجِعَ فَسَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُنْبَعِثَ وَيُحَنَّسُ وَوَرْدَانُ فِي رَهْطٍ مِنْ رَقِيقِهِمْ فَأَسْلَمُوا، فَلَمَّا قَدِمَ وَفْدُ أَهْلِ الطَّائِفِ فَأَسْلَمُوا، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، رُدَّ عَلَيْنَا رَقِيقَنَا الَّذِينَ أَتَوْكَ. قَالَ: " لَا، أُولَئِكَ عُتَقَاءُ اللَّهِ ". وَرَدَّ عَلَى ذَلِكَ الرَّجُلِ وَلَاءَ عَبْدِهِ فَجَعَلَهُ إِلَيْهِ.» .
পৃষ্ঠা - ৩৫৫০

পরিবারের সন্তান ৷ ইমাম বুখাবী ইবন জুরায়জের বরাতে এই হিজড়ার নাম বলেছেন হীত ৷ এ
নামটইি সকলের নিকট প্রসিদ্ধ ৷ বিন্দু ইউনুস ইবন ইসহাক থেকে এভাবে বর্ণনা করেছেন যে,
রাসৃলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে তার খালা বিনৃত আমর ইবন আয়িদ এর এক গোলাম ছিল ৷ সে ছিল
ইিজড়া ৷ নাম তার মাতি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর গৃহে মহিলাদের কাছে সে আসা যাওয়া করতো ৷
তার ব্যাপারে আমাদের ধারণা ছিল যে, পুরুষরা মহিলাদের যে সব (অঙ্গের ) দিকে তাকায় সে সব
ব্যাপারে এর কোন বুঝ ছিল না ৷ মনে হতো এগুলোর প্ৰতি তার কােনই আকর্ষণ নেই ৷ কিন্তু
এক পর্যায়ে রাসুলুল্পাহ্ (না) শুনতে পেলেন যে, সে খালিদ বিন ওয়ালিদকে বলছে চ হে খালিদ
রাসুলুল্লাহ্ (না) যদি তায়েফ জয় করতে পারেন তাহলে বাদিয়া বিনত পয়লান যেন তোমাদের
হাতছাড়া না হয় ৷ কেননা, সে চার র্ভাজে আসে আর আট র্ভাজে যায় ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না) তার মুখ
থেকে এ কথা শুনতে পেয়ে বললেন : আরে এ দেখি এসব বুঝে ৷ তারপরে তিনি স্বীয়
সহধর্মিণীগণকে ডেকে বলে দেন সে যেন আর তোমাদের কাছো আসে ৷ এরপর তার জন্য
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর গৃহে আসা বন্ধ হয়ে যায় ৷

ইমাম বুখাবী বলেন : আলী ইবন আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ ইবন আমর সুত্রে বর্ণিত যে
তিনি বলেছেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) তায়েফ অবরোধ করেন; কিভু তাদের থেকে কিছুই অর্জন
করতে পারেননি ৷ তখন তিনি বললেন, আমরা ইনশাআল্লাহ্ আগামী কাল ফিরে যাব ৷
সাহাবীগণের কাছে ফিরে যাওয়াটা খুব রেদনাদায়ক মনে হল ৷ তারা বলে ফেললেন আমরা এভাবে
ফিরে চলে যাব, তায়েফ জয় করবো না ? তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “ঠিক আছে আগামী
কাল সকালে তোমরা যুদ্ধ করবে ৷ ” পরের দিন সকালে যুদ্ধ করলে মুসলমানদের মধ্যে বেশ কিছু
লোক আহত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পুনরায় বললেন : “আগামী কাল ইনশাআল্লাহ্ আমরা এখান
থেকে ফিরে যাব ৷” এবার কথাটি সাহাবীদের কাছে খুবই মনঃপুত হলো ৷ তাদের অবস্থা দেখে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হেসে দিলেন ৷ সুফিয়ানের কোন কোন বর্ণনায় আছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নৃচকি
হড়াসলেন ৷ ইমাম মুসলিম এ হাদীছ সৃফিয়ান ইবন উয়ায়না থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
মুসলিমের আর এক বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবন উমার ইবন খাত্তাব (রা)-এর সুত্রের উল্লেখ আছে ৷
বুখারীর বিভিন্ন সংস্করণে সুত্রের বিভিন্নতা আছে ৷ এক মুদ্রণে আবদৃল্লাহ্ ইবন আমর ইবন আস
(রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা উদ্ধৃত হয়েছে ৷

ওয়াকিদী বলেন : আমার নিকট কাছির ইবন যায়দ ইবন ওয়ালিদ ইবন রাবাহ আবু হুরায়রা
(রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তায়েফের অবরোধ কাল যখন পনের দিন অতিক্রম
করে গেল, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) নওফল ইবন ঘুআবিয়া দৃয়ালীর নিকট পরামর্শ চেয়ে জিজ্ঞেস
করেন, হে নওফল ! এখানে অবস্থান আরও বৃদ্ধির ব্যাপারে তোমার মত কি ? তিনি বললেন ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ! শৃগাল গর্তের মধ্যে আছে ৷ আপনি অবস্থান দীর্ঘ করলে ধরা পড়বে ৷ আর যদি
পরিত্যাগ করেন আপনার কোন ক্ষতি নেই ৷

ইবন ইসহাক বলেন : আমার কাছে এ কথা পৌছেছে যে ছাকীফ পােত্রকে অবরোধ কালে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকর (রা)-কে বলেছিলেন : হে আবু বকর ! আমি স্বপ্নে দেখি, মাখন ভর্তি
একটি পেয়ালা আমাকে হাদিয়া দেয়া হয়েছে ৷ কিন্তু একটি মোরগ তাতে ঠোকর দেওয়ার সবটুকু
মাখন নীচে পড়ে গেছে ৷ আবু বকর (রা) বললেন : আমার ধারণা, এদের থেকে আপনি যা পেতে


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ثَنَا غُنْدَرٌ، ثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَاصِمٍ سَمِعْتُ أَبَا عُثْمَانَ قَالَ: سَمِعْتُ سَعْدًا - وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ - وَأَبَا بَكْرَةَ - وَكَانَ تَسَوَّرَ حِصْنَ الطَّائِفِ فِي أُنَاسٍ، فَجَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَا: سَمِعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَمُهُ، فَالْجَنَّةُ عَلَيْهِ حَرَامٌ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عَاصِمٍ بِهِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ هِشَامٌ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ أَوْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ سَعْدًا وَأَبَا بَكْرَةَ «عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ عَاصِمٌ: قُلْتُ لَقَدْ شَهِدَ عِنْدَكَ رَجُلَانِ حَسْبُكَ بِهِمَا. قَالَ: أَجَلْ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَأَوَّلُ مَنْ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَأَمَّا الْآخَرُ فَنَزَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَالِثَ ثَلَاثَةٍ وَعِشْرِينَ مِنَ الطَّائِفِ» . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَتَانِ مِنْ نِسَائِهِ، إِحْدَاهُمَا أُمُّ سَلَمَةَ، فَضَرَبَ لَهُمَا قُبَّتَيْنِ، فَكَانَ يُصَلِّي بَيْنَهُمَا، فَحَاصَرَهُمْ وَقَاتَلَهُمْ قِتَالًا شَدِيدًا، وَتَرَامَوْا بِالنَّبْلِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَرَمَاهُمْ بِالْمَنْجَنِيقِ، فَحَدَّثَنِي مَنْ أَثِقُ بِهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلُ مَنْ رَمَى فِي الْإِسْلَامِ بِالْمَنْجَنِيقِ ; رَمَى بِهِ أَهْلَ الطَّائِفِ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ نَفَرًا مِنَ الصَّحَابَةِ دَخَلُوا تَحْتَ دَبَّابَةٍ، ثُمَّ زَحَفُوا
পৃষ্ঠা - ৩৫৫১

আশা করেন এ যাত্রায় তা আপনি পাবেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন আমারও তাই মনে হয় ৷
রাবী বলেন, উছমান ইব ন মাযউন (রা) এর শ্রী খাওল৷ বিনত হাকীম সালামিয়া (বা) রাসুল
(সা) এর কাছে এসে বললেন, ইয়৷ রড়াসুলাল্লাহ্ আল্লাহ যাদ আপনাকে বিজয় দান করেন তা
হলে আপনি আমাকে বাদিয়৷ বিনত গাযলন ইবন স লামার বঅলংকারগুলো কিংবা ফাবিআ বিনৃত
আকীলের অলংকারগুলো প্রদান করবেন ৷ এরা ছিল ছাকীফ <;গাত্রের সমস্ত মহিলাদের মধ্যে
অধিক অলংকারের অধিকারিণী ৷ জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে বললেন : হে খাওল৷ ! ছাকীফ
গোত্রের সাথে যুদ্ধ করার অনুমতি যদি আমাকে দেওয়া না হয় ? এ কথা শুনে খাওল৷ বের হয়ে
উমর ইবন খাত্তাব (রা) এর কাছে কথাটা প্রকাশ করলেন ৷ উমর (যা) তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
নিকট উপস্থিত ৩হয়ে জিজ্ঞেস করলো, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! খাওলা আমার কাছে এরুপ কিছু কথা
বলেছে এবং সে জা ৷নিয়েছে যে, আপনি তাকে তা বলেছেন ? তিনি বললেন আমি তা বলেছি ৷
উমর (রা ) বললেন, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হয়নি ? তিনি বললেন না ৷ উমর (রা)
বললেন, তবে কি আ ৷মি চলে যাওয়ার ঘোষণা দিব ? তিনি বলংগুন্ন , হ্যা ৷ তখন উমর (রা ) সেখান
থেকে সবকিছু গুটিয়ে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দেন ৷ লোকজন যখন যাত্রা শুরু করলো তখন সাঈদ
ইবন উবায়দ ইবন উসায়দ ইবন আবু আমর ইবন ইলাজ উচ্চস্বরে বলে উঠলাে, শুনাে ৷ এ গোত্রটি
স্থুায়িতু পেল ৷ তখন উয়ায়না ইবন হিসন বললো, হী৷ ৷ আল্লাহর কসম ! এরা সন্তাম্ভ মর্যাদাশীল
সম্প্রদায় ৷ তখন জনৈক মুসলমান উয়ায়নাকে বললো, হে উয়ায়না ! আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস
করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে রক্ষা পেয়ে তুমি মুশরিকদের প্রশংসা করছো ? অথচ তুমি
এসেছিলে তাকে সাহায্য করতে ? উয়ায়না বললো, আল্লাহর কসম ৷ আমি তোমাদের সাথে
থেকে ছাকীফ গোত্রের বিরুদ্ধে লড়তে আসেনি; বরং আমিএ উদ্দেশ্যে এসেছিলাম যে, মুহাম্মাদ
যদি ৷য়েফত জয় করতে পারেন৩ তবে আমি ছাকীফ গোত্রের একটি মেয়েকে নিয়ে গিয়ে তার
সাথে মিলিত হবো ৷ হয়তো তার গর্ভে আমার একটা পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করবে কেননা,
ছাকীফ গোত্রের সন্তানরা প্ৰখর মেধা সম্পন্ন হয়ে থাকে ৷

ইবন লাহীআ আবুল আসওয়াদের সুত্রে উরওয়া থেকে থাওলা বিনত হাকীমের ঘটনা ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বক্তব্য ও উমর (রা)-এর যাত্রা অনুমতি সম্পর্কিত বর্ণনার পর বলেনং :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৷লাকজনকে তাদের বাহন ঘাস খাওয়ানাের জন্যে ছেড়ে না দেওয়ার আদেশ প্রদান
করেন ৷ সকাল হওয়ার সাথে সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীদেরকে সংগে নিয়ে যাত্রা করেন ৷
য়াত্রাকালে তিনি দুআ করেন : “হে আল্লাহ্ ! তুমি ওদেরকে সঠিক পথ দেখাও এবং তাদের দায়
দায়িতৃ থেকে আমাদেরকে যুক্ত কর ৷ ” ইমাম তিরমিযী আবদুল্লাহ ইবন উছমা ন ইবন খায়ছামের
সুত্রে আবুয যুবায়র জা ৷বির থেকে বর্ণনা করেন যে, সাহাবীগণ আরয় করেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
ছাকীফ গোত্রের তীর আমাদেরকে পর্মুদস্ত করে দিয়েছে আপনি তাদের উপর অভিশাপ বর্ষণ
করুন ৷” তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : হে আল্লাহ ! ছাকীফ গোত্রকে আপনি হিদায়ত করুন ৷
তিরমিযী বলেন, হাদীছটি হাসান গরীব পর্যায়ের ৷ ইউনুস, ইবন ইসহ ক থেকে আ ৷লিমদের
উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, তায়েফবাসীদেরকে রাসুলুলাহ্ (সা) ত্রিশ দিন কিৎবা প্রায় তার কা ৷ছাকাছি
সময় পযন্ত অবরোধ করে রাখেন ৷ তারপর অবরোধ উঠিয়ে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ তাদের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি ৷ তিনি যথা সময়ে মদীনা চলে আসেন ৷ পরবর্তী রমযান মাসে


لِيَخْرِقُوا جِدَارَ أَهْلِ الطَّائِفِ فَأَرْسَلَتْ عَلَيْهِمْ ثَقِيفٌ سِكَكَ الْحَدِيدِ مُحْمَاةً، فَخَرَجُوا مِنْ تَحْتِهَا، فَرَمَتْهُمْ ثَقِيفٌ بِالنَّبْلِ، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ رِجَالًا، فَحِينَئِذٍ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَطْعِ أَعْنَابِ ثَقِيفٍ، فَوَقَعَ النَّاسُ فِيهَا يَقْطَعُونَ. قَالَ: وَتَقَدَّمَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ وَالْمُغَيَّرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَنَادَيَا ثَقِيفًا بِالْأَمَانِ حَتَّى يُكَلِّمَاهُمْ، فَأَمَّنُوهُمَا، فَدَعَوْا نِسَاءً مِنْ قُرَيْشٍ وَبَنِي كِنَانَةَ لِيَخْرُجْنَ إِلَيْهِمْ - وَهُمَا يَخَافَانِ عَلَيْهِنَّ السِّبَاءَ إِذَا فُتِحَ الْحِصْنُ - فَأَبَيْنَ، فَقَالَ لَهُمَا ابْنُ الْأَسْوَدِ بْنُ مَسْعُودٍ: أَلَا أَدُلُّكَمَا عَلَى خَيْرٍ مِمَّا جِئْتُمَا لَهُ؟ إِنَّ مَالَ بَنِي الْأَسْوَدِ بْنِ مَسْعُودٍ حَيْثُ قَدْ عَلِمْتُمَا - وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَازِلًا بِوَادٍ يُقَالُ لَهُ: الْعَقِيقُ. وَهُوَ بَيْنَ مَالِ بَنِي الْأَسْوَدِ وَبَيْنَ الطَّائِفِ - وَلَيْسَ بِالطَّائِفِ مَالٌ أَبْعَدَ رِشَاءً وَلَا أَشَدَّ مَؤُونَةً وَلَا أَبْعَدَ عِمَارَةً مِنْهُ، وَإِنَّ مُحَمَّدًا إِنْ قَطَّعَهُ لَمْ يَعْمُرْ أَبَدًا، فَكَلِّمَاهُ فَلْيَأْخُذْهُ لِنَفْسِهِ أَوْ لِيَدَعْهُ لِلَّهِ وَلِلرَّحِمِ. فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرَكَهُ لَهُمْ. وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ عَنْ شُيُوخِهِ نَحْوَ هَذَا، وَعِنْدَهُ أَنَّ سَلْمَانَ الْفَارِسِيَّ هُوَ الَّذِي أَشَارَ بِالْمَنْجَنِيقِ وَعَمِلَهُ بِيَدِهِ، وَقِيلَ: قَدِمَ بِهِ وَبِدَبَّابَتَيْنِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ عَنْ عُرْوَةَ أَنَّ عُيَيْنَةَ بْنَ حِصْنٍ «اسْتَأْذَنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَ الطَّائِفِ فَيَدْعُوهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَأَذِنَ لَهُ، فَجَاءَهُمْ فَأَمَرَهُمْ بِالثَّبَاتِ فِي حِصْنِهِمْ وَقَالَ: لَا يَهُولَنَّكُمْ قَطْعُ مَا قُطِعَ مِنَ الْأَشْجَارِ. فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ، فَلَمَّا رَجَعَ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " مَا قُلْتَ لَهُمْ؟ " قَالَ دَعْوَتُهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَأَنْذَرْتُهُمُ النَّارَ، وَذَكَّرْتُهُمْ بِالْجَنَّةِ. فَقَالَ: " كَذَبْتَ، بَلْ قَلْتَ لَهُمْ كَذَا وَكَذَا ". فَقَالَ: صَدَقْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ وَإِلَيْكَ مِنْ ذَلِكَ» . وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتُوَائِيِّ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ السُّلَمِيِّ; وَهُوَ عَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ «حَاصَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَصْرَ الطَّائِفِ فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ بَلَّغَ بِسَهْمٍ فَلَهُ دَرَجَةٌ فِي الْجَنَّةِ ". فَبَلَّغْتُ يَوْمَئِذٍ سِتَّةَ عَشَرَ سَهْمًا، وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: " مَنْ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَهُوَ عَدْلُ مُحَرَّرٍ، وَمَنْ شَابَ شَيْبَةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَانَتْ لَهُ نُورًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَيُّمَا رَجُلٍ أَعْتَقَ رَجُلًا مُسْلِمًا فَإِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، جَاعِلٌ كُلَّ عَظْمٍ مِنْ عِظَامِهِ وِقَاءً، كُلَّ عَظْمٍ بِعَظْمٍ، وَأَيُّمَا امْرَأَةٍ مُسْلِمَةٍ أَعْتَقَتِ امْرَأَةً مُسْلِمَةً فَإِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، جَاعِلٌ كُلَّ عَظْمٍ مِنْ عِظَامِهَا وِقَاءَ كُلِّ عَظْمٍ مِنْ عِظَامِهَا مِنَ النَّارِ ".» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَصَحَّحَهُ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৫৫২

তায়েফ থেকে একদল প্রতিনিধি এসে র্তার কাছে ইসলাম গ্রহণ করে ৷ নবম হিজরীর রমযান
মাসের আলোচনা প্রসঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্ ৷

তারেক যুদ্ধে যারা শহীদ হন

ইবন ইসহাকের বর্ণনা মতে তায়েফ যুদ্ধে যে সব মুসলমান শাহদােত বরণ করেন, নিম্নে
র্তন্রুদর নাম উল্লেখ করা হল :

০ ক্যুায়শ গোত্রের সাঈদ ইবন সাঈদ ইবন আস ইবন উমইিয়া ৷

০ বনুউমায়া ইবন আসাদ ইবন পাওছেঃ৷ মিত্র উরফাতা ইবন হুবাব ৷

০ আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর সিদ্দীক (রা) ৷ তিনি একটি তীরবিদ্ধ হন ৷ তারই প্রতিক্রিয়ায়
মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ওফাতের পর তিনি ইনতিকাল করেন ৷

০ মাখযুম গোত্রের আবদুল্লাহ ইবন আবু উমাইয়া ইবন মুপীরা আল-মাখবুমী ৷ এ যুদ্ধে
তিনিও তীরবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন ৷

০ বনুআদীর মিত্র আবন্মোহ্ ইবন আমির ইবন রাৰীআ ৷

০ সাহম গোত্রের সইিব ইবন হারিছ ইবন কায়স ইবন আদী আস-সাহমী এবং তার ভাই
আবল্লোহ্ ৷

০ বনু সাদ ইবন লায়ছ গোত্রের জ্বণায়হা ইবন আবদুল্লাহ্ ৷

আনসারদের মধ্য থেকে শহীদ

০ খাযরাজ গোত্রের ছাবিত ইবন জাষা’ আসলামী ৷

০ মাযিন গোত্রের হারিছ ইবন সাহ্ল ইবন আবুসাসা’ আল-মাষিনী ৷

০ বনুসাঈদাৱ মুনষির ইবন আবল্লোহ্ ৷

০ আওস গোত্রের শুধুমাত্র রুকায়ম ইবন ছাবিত ইবন ছা’লাবা ইবন যায়দ ইবন লাওযান
ইবন মুআবিয়া ৷

সুতরাং তায়েফ যুদ্ধে মোট বারজ়ন মুসলমান শাহাদত বরণ করেন ৷ তাদের মধ্যে সাতজন
কুরায়শ গোত্রের চারজন আনসার সম্প্রদায়ের এবং একজন বনু লায়ছ গোত্রের ৷ আল্লাহ র্তাদের
প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, তায়েফের যুদ্ধ ও অবরোধ শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মদীনায়

প্রত্যাবর্তন করেন, তখন বৃজায়র ইবন যুহায়ৱ ইবন আবু সুলমা হুনায়ন ও তায়েফ স্মরণে নিম্নোক্ত
কবিতা বলেন :


খাে


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا الْحُمَيْدِيُّ سَمِعَ سُفْيَانَ ثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: «دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدِي مُخَنَّثٌ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ: أَرَأَيْتَ إِنْ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْكُمُ الطَّائِفَ غَدًا فَعَلَيْكَ بِابْنَةِ غَيْلَانَ، فَإِنَّهَا تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا يَدْخُلَنَّ هَؤُلَاءِ عَلَيْكُنَّ» قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ: وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: الْمُخَنَّثُ هِيتٌ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ بِهِ. وَفِي لَفْظٍ: وَكَانُوا يَرَوْنَهُ مِنْ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ. وَفِي لَفْظٍ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا أَرَى هَذَا يَعْلَمُ مَا هَاهُنَا؟! لَا يَدْخُلَنَّ عَلَيْكُنَّ هَؤُلَاءِ ".» يَعْنِي إِذَا كَانَ مِمَّنْ يَفْهَمُ ذَلِكَ فَهُوَ دَاخِلٌ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاءِ} [النور: 31] وَالْمُرَادُ بِالْمُخَنَّثِ فِي عُرْفِ السَّلَفِ الَّذِي لَا هِمَّةَ لَهُ إِلَى النِّسَاءِ، وَلَيْسَ الْمُرَادُ بِهِ الَّذِي يُؤْتَى; إِذْ لَوْ كَانَ كَذَلِكَ لَوَجَبَ قَتْلُهُ حَتْمًا كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ الْحَدِيثُ، وَكَمَا قَتَلَهُ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَمَعْنَى قَوْلِهِ: تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ. يَعْنِي بِذَلِكَ عُكَنَ بَطْنِهَا، فَإِنَّهَا تَكُونُ أَرْبَعًا إِذَا أَقْبَلَتْ، ثُمَّ تَصِيرُ كُلُّ وَاحِدَةٍ ثِنْتَيْنِ إِذَا أَدْبَرَتْ، وَهَذِهِ الْمَرْأَةُ هِيَ بَادِيَةُ بِنْتُ غَيْلَانَ بْنِ سَلَمَةَ مِنْ سَادَاتِ ثَقِيفٍ، وَهَذَا الْمُخَنَّثُ قَدْ ذَكَرَ الْبُخَارِيُّ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ أَنَّ اسْمَهُ هِيتٌ وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ. لَكِنْ قَالَ يُونُسُ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: وَكَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَوْلًى لِخَالَتِهِ فَاتِخَةَ بِنْتِ عَمْرِو بْنِ عَائِذٍ مُخَنَّثٌ يُقَالُ لَهُ: مَاتِعٌ. يَدْخُلُ عَلَى نِسَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ، وَلَا يُرَى أَنَّهُ يَفْطِنُ لِشَيْءٍ مِنْ أُمُورِ النِّسَاءِ مِمَّا يَفْطِنُ إِلَيْهِ الرِّجَالُ، وَلَا يُرَى أَنَّ لَهُ فِي ذَلِكَ إِرْبًا، فَسَمِعَهُ وَهُوَ يَقُولُ لِخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ: يَا خَالِدُ، إِنِ افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الطَّائِفَ فَلَا تَنْفَلِتَنَّ مِنْكُمْ بَادِيَةُ بِنْتُ غَيْلَانَ، فَإِنَّهَا تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ سَمِعَ هَذَا مِنْهُ: أَلَا أَرَى هَذَا يَفْطِنُ لِهَذَا؟ الْحَدِيثَ، ثُمَّ قَالَ لِنِسَائِهِ: لَا يَدْخُلَنَّ عَلَيْكُمْ فَحُجِبَ عَنْ بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ الشَّاعِرِ الْأَعْمَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «لَمَّا حَاصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الطَّائِفَ فَلَمْ يَنَلْ مِنْهُمْ شَيْئًا، قَالَ: " إِنَّا قَافِلُونَ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ ". فَثَقُلَ عَلَيْهِمْ، وَقَالُوا: نَذْهَبُ وَلَا نَفْتَحُهُ؟ فَقَالَ: " اغْدُوا عَلَى الْقِتَالِ ". فَغَدَوْا، فَأَصَابَهُمْ جِرَاحٌ، فَقَالَ: " إِنَّا قَافِلُونَ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ ". فَأَعْجَبَهُمْ، فَضَحِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً: فَتَبَسَّمَ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ،
পৃষ্ঠা - ৩৫৫৩

এপু১ন্
এও ৰু ণ্এ
“হুনায়ন উপত্যকায় আওতাসের সকালে ও বিদ্যুৎ চমকানাের দিনে (তায়েফ) যুদ্ধগুলো
একটার পর একটা আসতে থাকে ৷
ভ্রষ্টতাবশতঃ হাওয়াযিন এক বিশাল বাহিনী সংগ্রহ করে ৷ কিন্তু তারা ছত্রতংগ হয়ে যায়,
যেমন নীড়ভ্রষ্ট পাধীরা ছঘ্রভত্গ হয়ে থাকে ৷
তারা আমাদের হাত থেকে একটা ন্থানও রক্ষা করতে পারেনি, তাদের প্রাচীর ও পর্তের
গহ্বর ব্যতীত ৷
আমরা তাদের সম্মুখে উপস্থিত হই, যাতে তারা বের হয়ে আসে ৷ বিক্ষ্ম তারা দরজা বন্ধ করে
দুর্গের মধ্যে আশ্রয় নেয় ৷
পরে তারা অনুতপ্ত হয়ে ফিরে এলো এক বিরাট বাহিনীর দিকে যারা যুদ্ধে অতি পারদর্শী, যারা
অনিবার্য মৃত্যুর সাথে সাক্ষাতের ইংগিত দেয় ৷
সবুজ বর্ণের পােশাকে আচ্ছাদিত সে বাহিনী ৷ তাদেরকে যদি নিক্ষেপ করা হয় কোন দুর্গের
উপর, তার দুর্গের অবস্থা এমন হয়ে যায় যেন তার অস্তিতুই সাি না ৷
তাদের চলার সতর্কতা ছিল যেমন হিংস্র বাঘের পিঠে পিপীলিকা হেটে চলে ৷ দুরত্বের
পরিমাণ সমান রেখে যেন তারা অগ্রসর হয় ও মিলিত হয় ৷
তারা ছিল মযবুত বর্মে সজ্জিত ৷ যখন তা সুদৃঢ়ভাবে বিনস্ত করা হয় তখন দেখতে
জলাধারের মত মনে হয় ৷ যার উপর দিয়ে যায় প্রবাহিত হলে ঢেউ খেলতে থাকে ৷
বর্যগুলাে ভুমি পর্যন্ত ঝুলান ৷ তার বাড়তি অংশ আমাদের জুতা স্পর্শ করে ৷ আর এগুলো
দাউদ ও মুহাররিক পরিবারের হাতে নির্মিত ৷
আবুদাউদ উমার ইবন খাত্তাব আবু হাফস আহমাস গোত্রের সাখর সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছাকীফ গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ৷ সাখর এ সংবাদ
দ শুনতে পেয়ে একদল অশ্বারোহী নিয়ে রাসুলুল্লাহ্র সাথে মিলিত হওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷
পথিমধ্যে জানতে পারলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ তায়েফ থেকে প্রত্যাবর্তন করেছেন এবং তা জয়
করতে পারেননি ৷ তখন তিনি কঠিন প্রতিজ্ঞা করলেন যে, এরা রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর ফায়সালা
মেনে না নেয়া পর্যন্ত আমি এ দুর্গ ছেড়ে যাব না ৷ প্রতিজ্ঞা মতে তিনি তাদের থেকে পৃথক হননি ৷
যতক্ষণ না তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ফায়সালা মেনে নেয় ৷ এরপর সাখর রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
নিকট এক পত্র লিখে জানান : ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! ছাকীফ গোত্রের লোকজন আপনার ফায়সালা
মেনে নিয়েছে ৷ আমি তাদেরকে নিয়ে আসছি ৷ তারা আমার অশ্ববাহিনীতে আছে ৷ এ সময়
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সালাতের জামায়াতের জন্যে আদেশ দেন ৷ সালাত শেষ করে তিনি আহমাসের
জন্যে দশটি দুআ করেন ৷ যেমন তিনি বলেন : “হে আল্লাহ্ ! আহমাস গোত্রের অশ্ববাহিনী ও
পদাতিক বাহিনীর উপর আপনি বরকত নাযিল করুন ৷ এরপর তিনি জনগণের সামনে আসেন




وَعِنْدَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَاخْتَلَفَ فِي نُسَخِ الْبُخَارِيِّ; فَفِي نُسْخَةٍ كَذَلِكَ، وَفِي نُسْخَةٍ: عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ رَبَاحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «لَمَّا مَضَتْ خَمْسَ عَشْرَةَ لَيْلَةً مِنْ حِصَارِ الطَّائِفِ اسْتَشَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَوْفَلَ بْنَ مُعَاوِيَةَ الدُّئِلِيَّ فَقَالَ: " يَا نَوْفَلُ مَا تَرَى فِي الْمُقَامِ عَلَيْهِمْ؟ " قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ثَعْلَبٌ فِي جُحْرٍ، إِنْ أَقَمْتَ عَلَيْهِ أَخَذْتَهُ، وَإِنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَضُرَّكَ.» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ بَلَغَنِي «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِأَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَهُوَ مُحَاصِرٌ ثَقِيفًا: " يَا أَبَا بَكْرٍ إِنِّي رَأَيْتُ أَنِّي أُهْدِيَتْ لِي قَعْبَةٌ مَمْلُوءَةٌ زُبْدًا فَنَقَرَهَا دِيكٌ، فَهَرَاقَ مَا فِيهَا " فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: مَا أَظُنُّ أَنْ تُدْرِكَ مِنْهُمْ يَوْمَكَ هَذَا مَا تُرِيدُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَأَنَا لَا أَرَى ذَلِكَ ".» قَالَ: ثُمَّ «إِنَّ خَوْلَةَ بِنْتَ حَكِيمٍ السُّلَمِيَّةَ، وَهِيَ امْرَأَةُ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعْطِنِي - إِنْ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْكَ الطَّائِفَ - حُلِيَّ بَادِيَةَ بِنْتِ غَيْلَانَ بْنِ سَلَمَةَ، أَوْ حُلِيَّ الْفَارِعَةِ بِنْتِ عَقِيلٍ، وَكَانَتَا مِنْ أَحْلَى نِسَاءِ ثَقِيفٍ، فَذُكِرَ لِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهَا: " وَإِنْ كَانَ لَمْ يُؤْذَنْ فِي ثَقِيفٍ يَا خُوَيْلَةُ؟ ". فَخَرَجَتْ خُوَيْلَةُ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَدَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَدِيثٌ حَدَّثَتْنِيهُ خُوَيْلَةُ زَعَمَتْ أَنَّكَ قُلْتَهُ؟ قَالَ: " قَدْ قُلْتُهُ ". قَالَ: أَوَ مَا أُذِنَ فِيهِمْ؟ قَالَ: " لَا ". قَالَ: أَفَلَا أُؤَذِّنُ بِالرَّحِيلِ؟ قَالَ: " بَلَى ". فَأَذَّنَ عُمَرُ بِالرَّحِيلِ، فَلَمَّا اسْتَقَلَّ النَّاسُ نَادَى سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ أَسِيدِ بْنِ أَبِي عَمْرِو بْنِ عِلَاجٍ: أَلَا إِنَّ الْحَيَّ مُقِيمٌ. قَالَ: يَقُولُ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ: أَجَلْ، وَاللَّهِ مَجَدَةً كِرَامًا. فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ: قَاتَلَكَ اللَّهُ يَا عُيَيْنَةُ أَتَمْدَحُ الْمُشْرِكِينَ بِالِامْتِنَاعِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ جِئْتَ تَنْصُرُهُ؟ فَقَالَ: إِنِّي وَاللَّهِ مَا جِئْتُ لِأُقَاتِلَ ثَقِيفًا مَعَكُمْ، وَلَكِنِّي أَرَدْتُ أَنْ يَفْتَحَ مُحَمَّدٌ الطَّائِفَ فَأُصِيبَ مِنْ ثَقِيفٍ جَارِيَةً أَطَؤُهَا، لَعَلَّهَا تَلِدُ لِي رَجُلًا، فَإِنَّ ثَقِيفًا مَنَاكِيرُ.» . وَقَدْ رَوَى ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ عَنْ عُرْوَةَ قِصَّةَ خُوَيْلَةَ بِنْتِ حَكِيمٍ، وَقَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَالَ، وَتَأْذِينَ عُمَرَ بِالرَّحِيلِ، قَالَ: وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ أَنْ لَا يُسَرِّحُوا ظَهْرَهُمْ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا ارْتَحَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ، وَدَعَا حِينَ رَكِبَ قَافِلًا فَقَالَ: «اللَّهُمَّ اهْدِهِمْ وَاكْفِنَا مُؤْنَتَهُمْ ".» . وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩৫৫৪

এবং ষুর্গীরা ইবন শু’বা (রা)-এর সাথে কথা বলেন ৷ মুগীরা বললেন, ইয় ৷ রাসুলাল্লাহ্ ! সাখার
আমার ফুফীকে বন্দী করেছে ৷ অথচ তিনি অন্যান্য মুসলমানগহুণর মত ইসলাম গ্রহণ করেছেন ৷
তখন রাসুলুল্লাহ (সা) সাখারহুক ডেকে বললেন : কোন সম্প্রদায় যখন ইসলাম গ্রহণ করে তখন
তাদের জীবন ও সম্পদ নিরাপত্তায় এসে যায় ৷ সুতরাং মুগীরার ফুফীকে তার কাছে দিয়ে দাও” ৷
তখন সাখার তাকে মুগীরা র কাছে ফিরিয়ে দেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ (সা) )বনু সুলায়হুমর জলাশয়
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷৩ তারা ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং জলাশয় থেকে
পালিয়ে যায় ৷ সাখার বললেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এ জলাশয়ের দায়তু আমাকে ও আমার
গােত্রহুক দিবেন কি ? তিনি বললেন, ই৷ দিলাম ৷ এরপর সাখার সেখানে যান ৷ এদিকে
সুলায়ম গোত্রের লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করে ৷ তখন তারা সাখাহুরর কাছে এসে তাদের জলাশয়
ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় ৷ কিন্তু সাখার তা দিতে অস্বীকার করেন ৷ অবশেষে তারা
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে এসে আরয করে, “ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমরা ইসলাম গ্রহণ করে
সাখাহুরর কাছে এসে আমাদের জলাশয় ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করি ৷ কিভু সাখার তা দিতে
অস্বীকার করে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : “(হ সাখার ! কোন সম্প্রদায় যখন ইসলাম
গ্রহণ করে তখন তাদের জীবন ও সম্পদ নিরাপত্তা লাভ করে ৷ সুতরাং তৃমি তাদের জলাশয়
ফিরিয়ে দাও ৷ সাখার বলহুলনং “ত্মী হ্যা, হুহ আল্লাহর নবী ! আমি তাই করবো ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, আমি৩ ৷কিয়ে দেখলাম সাখার একজন মহিলাকে ধরে আমার ও জলাশয় আটকে রাখার
কারণে লজ্জা য় রাসুলুল্লাহ (সা)-এর চেহারা মুবারহুকর রঙ পরিবর্তিত হয়ে লাল হয়ে গেছে ৷ আবু
দাউদ একাই এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এর সনদে মতহুভদ আছে ৷

আমি বলি, আল্লাহর রহস্যময় কুদরাভের দাবী ছিল ৷ ঐ বছর৩ তাহুয়ফ বিজয় না হওয়া ৷ কেননা
এ সময় তাহুয়ফ বিজিত হলে সেখানকার অধিবাসীরা হত্যার ব্যাপকতায় ৰিনাশ হয়ে যেত ৷ কারণ,
ইহু৩ তাপুবে বর্ণিত হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর পর ৩ ৷হুযহুয় গমন
করেছিলেন, তাদেরকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিয়েছিলেন এবং রিসালাহুতর দা ৷য়িৎ পালনের
পক্ষে তাকে সাহায্য করার আহ্বান জ৷ ৷নিয়েছিহুলন ৷ বিক্ষ্মতা ৷রা তাকে মিথ্যাবাদী বহুল প্রত্যাখ্যান
করোছল ৷ফলে অতি ৩ভগ্ন হৃদয়ে৩ তিনি সেখান থেকে প্র৩ ৷৷বতন করেছিলেন এবং কাবনুছ ছায়া ৷যালিব
না পৌছা পর্যন্ত স্বাভাবিক হতে ৩পারেননি ৷ এখানে পৌছে তিনি একখণ্ড হুমঘ দেখতে পান ৷
মেঘের মধ্যে ছিলেন জিবরাঈল (সা) ৷ তিনি শুনতে পান, পাহাড়ের দায়িতৃপ্রাপ্ত হুফহুরশত৷ তাকে
তােক বলছেন : “ হে মুহাম্মাদ ! আপনার প্রতিপালক আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং আপনার
কওমের লোকেরা যা কিছু বলেছে এবং যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে সবই তিনি শুহুনহুছন ৷ এখন
আপনি যদি চান তবে আমি তাদের উপর দুটি পাহাড় দু দিক থেকে হুচহুপ দিয়ে পিহুষ ফেলি ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “বরং তাদের জন্য আমাকে আরও কিছু অবকাশ দিন ৷ হতে পারে
তাদের বংশে এমন লোক জন্ম নিহুব যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তার সাথে অন্য
কিছুই শরীক করবে না ৷ সুতরাং তিনি যে অবকাশ চেয়েছিলেন সেই অবকাহুশর দাবী ছিলো ঐ
বছর তাহুয়ফ দুর্গ বিজিত না হওয়া ৷ কেননা বিজিত হলে হত্যার মাধ্যমে তারা নির্মুল হয়ে যেত ৷
বরং বিজয় বিলম্বিত হওয়ইি ছিল রাঞ্চুনীয়, যাতে ৩পরের বছর রমযান সালে ইসলাম গ্রহণের জন্যে
তারা মদীনা ৷য় আসতে পারে ৷ কিছু পরেই এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আসবে ইনশাআল্লাহ ৷


الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ «قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَحْرَقَتْنَا نِبَالُ ثَقِيفٍ، فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهِمْ. فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اهْدِ ثَقِيفًا ".» ثُمَّ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَرَوَى يُونُسُ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُكَدَّمِ عَمَّنْ أَدْرَكُوا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا: حَاصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ الطَّائِفِ ثَلَاثِينَ لَيْلَةً أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ انْصَرَفُوا عَنْهُمْ، وَلَمْ يُؤْذَنْ فِيهِمْ، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فَجَاءَهُ وَفْدُهُمْ فِي رَمَضَانَ فَأَسْلَمُوا. وَسَيَأْتِي ذَلِكَ مُفَصَّلًا فِي رَمَضَانَ مِنْ سَنَةِ تِسْعٍ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَهَذِهِ تَسْمِيَةُ مَنِ اسْتُشْهِدَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِالطَّائِفِ فِيمَا قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ فَمِنْ قُرَيْشٍ; سَعِيدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ وَعُرْفُطَةُ بْنُ جَنَّابٍ حَلِيفٌ لِبَنِي أُمَيَّةَ مِنَ الْأَسَدِ بْنِ الْغَوْثِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رُمِيَ بِسَهْمٍ فَتُوُفِّيَ مِنْهُ بِالْمَدِينَةِ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ مِنْ رَمْيَةٍ رُمِيَهَا يَوْمَئِذٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ حَلِيفٌ لِبَنِي عَدِيٍّ، وَالسَّائِبُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَدِيٍّ السَّهْمِيُّ وَأَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ وَجُلَيْحَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ لَيْثٍ وَمِنَ الْأَنْصَارِ ثُمَّ مِنَ الْخَزْرَجِ ; ثَابِتُ بْنُ الْجِذْعِ السُّلَمِيُّ، وَالْحَارِثُ بْنُ سَهْلِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ الْمَازِنِيُّ، وَالْمُنْذِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، مَنْ بَنِي سَاعِدَةَ، وَمِنَ الْأَوْسِ ; رُقَيْمُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ لَوْذَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ فَقَطْ، فَجَمِيعُ مَنِ اسْتُشْهِدَ يَوْمَئِذٍ اثَنَا عَشَرَ رَجُلًا; سَبْعَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ،
পৃষ্ঠা - ৩৫৫৫

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তায়েফ থেকে প্রত্যাবর্তন ও
হাওয়াযিনের গনীমত বণ্টন

ইবন ইসহাক বলেন ; রাসুলুল্পাহ্ (না) তায়েফ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর পথ অতিক্রম করতে
থাকেন এবং দাহনা হয়ে জিইবৃরানায় উপনীত হন ৷ তার সাথে ছিলেন সাহাবীগণ ও হাওয়াযিন
থেকে প্রাপ্ত বহু সংখ্যক বন্দী ৷ ছাকীফ গোত্র থেকে ফিরে আসার সময় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
জনৈক সাহাবী র্তাকে বললেন : “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ ওদের উপর অভিসম্পাত করুন” তখন
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন : “হে আল্লাহ্ ! ছাকীফ গোত্রকে হিদায়াত করুন এবং তাদেরকে আমার
নিকট এনে দিন” ৷ রাবী বলেন, এরপর হাওয়াযিনের প্রতিনিধিদল জিইবৃরানায় এসে রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে ৷ তখন তার নিকট হাওয়াযিনের ছয় হাজার নারী ও শিশু বন্দী ছিল
এবং উট ও যেয ছিল অসংখ্য ৷ ইবন ইসহাক বলেন : আমার নিকট বর্ণনা করেছেন আমর ইবন
শুআয়ব ৷ অন্য রিওয়ায়তে ইউনুস ইবন বুকায়র ৷ আমর ইবন শুআয়ব তার পিতা হতে তার
দাদার সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হুনায়ন যুদ্ধে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সংগে ছিলাম ৷ হাওয়াযিন
গোত্র হতে প্রচুর সম্পদ ও বন্দী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হস্তপত হয় ৷ তারপর হাওয়াযিনের একটি
প্রতিনিধি দল জিইবৃরানায় এসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে ইসলাম গ্রহণ করে ৷
তারপরে বলে, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমরা তো একই মুলের এবং একই জ্ঞাতিগােত্রের লোক ৷
আমাদের উপর যে বিপর্যয় এস্যেছ তা আপনার অজানা নয় ৷ সুতরাং আপনি আমাদের প্রতি
অনুগ্রহ করুন, আল্লাহ্ আপনার প্রতি অনুগ্রহ করবেন ৷ এ সময় তাদের এক মুখপাত্র আবু নারদ
যুহায়র ইবন সাবৃদ উঠে বললো : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এই বন্দীশালায় রয়েছে আপনার ফুফু ও
দৃধমাতা যারা আপনাকে লালন পালন করেছে ৷ আমরা যদি ইবন আবু শিমার কিংবা নুমান ইবন
মুনযিরের উপর নুন নেমকের অনুগ্রহ করতাম, তারপর তাদের পক্ষ থেকে আমাদের উপর
আঘাত আসতাে যেমনটি আপনার পক্ষ থেকে এসেছে তবে আমরা তাদের দয়া ও করুণার
আশা করতাম ৷ আর আপনি তো আল্লাহর রাসুল, লাগিত-পালিতদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি ৷
তারপর সে কবিতায় বললো :



وَأَرْبَعَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَرَجُلٌ مِنْ بَنِي لَيْثٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاجِعًا عَنِ الطَّائِفِ قَالَ بُجَيْرُ بْنُ زُهَيْرِ بْنِ أَبِي سُلْمَى يَذْكُرُ حُنَيْنًا وَالطَّائِفَ: كَانَتْ عُلَالَةَ يَوْمَ بَطْنِ حُنَيْنٍ ... وَغَدَاةَ أَوْطَاسٍ وَيَوْمَ الْأَبْرَقِ جَمَعَتْ بِإِغْوَاءٍ هَوَازِنُ جَمْعَهَا ... فَتَبَدَّدُوا كَالطَّائِرِ الْمُتَمَزِّقِ لَمْ يَمْنَعُوا مِنَّا مَقَامًا وَاحِدًا ... إِلَّا جِدَارَهُمُ وَبَطْنَ الْخَنْدَقِ وَلَقَدْ تَعَرَّضْنَا لِكَيْمَا يَخْرُجُوا ... فَاسْتَحْصَنُوا مِنَّا بِبَابٍ مُغْلَقِ تَرْتَدُّ حَسْرَانَا إِلَى رَجْرَاجَةٍ ... شَهْبَاءَ تَلْمَعُ بِالْمَنَايَا فَيْلَقِ مَلْمُومَةٍ خَضْرَاءَ لَوْ قَذَفُوا بِهَا ... حَضَنًا لَظَلَّ كَأَنَّهُ لَمْ يُخْلَقِ مَشْيَ الضِّرَاءِ عَلَى الْهَرَاسِ كَأَنَّنَا ... قُدُرٌ تَفَرَّقَ فِي الْقِيَادِ وَتَلْتَقِي
পৃষ্ঠা - ৩৫৫৬

ঞাগ্রা

স্পোড্রু ১া
“হে আল্লাহর রাসুল ! আমাদের উপর করুণা ও অনুগ্রহ করুন ৷ কারণ, আপনি এমন মহান

ব্যক্তি যার নিকট আমরা অনুগ্রহ পাওয়ার আশা রাখি ও তার প্রভীক্ষায় থাকি ৷

সেই কবিলার উপর আপনি অনুগ্রহ বর্ষণ করুন, ভাগ্য যাদেরকে বঞ্চিত করে দিয়েছে ৷ আর
কালের বিবর্তন যাদের আচ্ছাদন ছিন্নজ্যি করে ফেলেছে ৷

কালের গতি আমাদেরকে হতাশায় চিৎকার করার জন্যে র্বীচিয়ে রেখেছে ৷ তাদের অস্তরে
দুঃখ-দৃর্দশা ও হিংসা ছড়িয়ে রয়েছে ৷

হে বিশ্ব জাহানের সর্বোত্তম সন্তান ও মহােত্তম ব্যক্তি ! কোন মানুষ আপনার ন্যায় গুণাযিত
নয় ৷

আপনি যদি অনুগ্নহ দ্বারা তাদের তদারকী না করেন তবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে ৷ হে মানুষের
মধ্যে সবচেয়ে বেশী নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ! পরীক্ষার ক্ষেত্রে যিনি অধিক ভৈধর্যশীল হিসেবে উত্তীর্ণ ৷

সে সব মহিলার প্রতি আপনি অনুগ্রহ করুন, যাদের দুধ আপনি পান করেছেন ৷ তাদের র্খাটি
দুধ আপনি ঘুখভরে তৃপ্তিসহ পান করতেন ৷

ঐ সৃব নারীদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করুন, যাদের বুকের দৃধ আপনি পান করেছিলেন ৷ আর
যখন আপনার কাছে সংকীর্ণ হয়ে আসতাে যা আসতাে ও যা ফিরে যেতাে ৷

আমাদেরকে তাদের মত করে দিবেন না যারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ৷ আপনার অনুগ্রহ আমাদের
প্রতি অব্যাহত রাখুন ৷ আমরা অভিজাত ও কৃতজ্ঞ সম্প্রদায় ৷

আমরা দয়া ও অনুগ্রহ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি এবং আজকের দিনের পরেও এ কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ আমাদের মধ্যে অব্যাহত থাকবে ৷”

জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : (তামাদের নিকট তোমাদের নারী ও সন্তানগণ অধিক প্রিয়,
না তোমাদের সম্পদ ? তারা বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি আমাদেরকে সন্তান-নারী ও
সম্পদের মধ্যে কোনটি অধিক প্রিয় তা বাছাই করার ইখতিয়ার দিচ্ছেন ? এর জবাবে আমাদের
১ এ পংক্তিটি এবং এছাড়া আরও তিনটি পংক্তি সুহায়লীর বর্ণনায় অতিরিক্ত ৷
২ সুহায়লীর বর্ণনায় এ লাইনটি উল্লেখ আছে নিম্নরুপ :

ত্যুঃপ্রু; ৷ ১ ৷

শিশুকালে আপনি তার দুধ পান করেছিলেন ৷ ’




فِي كُلِّ سَابِغَةٍ إِذَا مَا اسْتَحْصَنَتْ كَالنِّهْيِ هَبَّتْ رِيحُهُ الْمُتَرَقْرِقِ ... جُدُلٌ تَمَسُّ فُضُولُهُنَّ نِعَالَنَا مِنْ نَسْجِ دَاوُدَ وَآلِ مُحَرِّقِ وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَبُو حَفْصٍ، ثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، ثَنَا أَبَانٌ، قَالَ عُمَرُ: هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ. ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ صَخْرٍ - هُوَ ابْنُ الْعَيْلَةِ الْأَحْمَسِيُّ - «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا ثَقِيفًا، فَلَمَّا أَنْ سَمِعَ ذَلِكَ صَخْرٌ رَكِبَ فِي خَيْلٍ يُمِدُّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَجَدَهُ قَدِ انْصَرَفَ وَلَمْ يَفْتَحْ، فَجَعَلَ صَخْرٌ حِينَئِذٍ عَهْدًا وَذِمَّةً لَا أُفَارِقُ هَذَا الْقَصْرَ حَتَّى يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يُفَارِقْهُمْ حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ صَخْرٌ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ ثَقِيفًا قَدْ نَزَلَتْ عَلَى حُكْمِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَأَنَا مُقْبِلٌ بِهِمْ، وَهُمْ فِي خَيْلٍ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّلَاةِ جَامِعَةً، فَدَعَا لِأَحْمَسَ عَشْرَ دَعَوَاتٍ: " اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأَحْمَسَ فِي خَيْلِهَا وَرِجَالِهَا ". وَأَتَاهُ الْقَوْمُ، فَتَكَلَّمَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ صَخْرًا أَخَذَ عَمَّتِي، وَدَخَلَتْ فِيمَا دَخَلَ فِيهِ الْمُسْلِمُونَ. فَدَعَاهُ فَقَالَ: " يَا صَخْرُ،
পৃষ্ঠা - ৩৫৫৭
إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا أَسْلَمُوا أَحْرَزُوا دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، فَادْفَعْ إِلَى الْمُغِيرَةِ عَمَّتَهُ ". فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ، وَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاءً لِبَنِي سُلَيَمٍ، قَدْ هَرَبُوا عَنِ الْإِسْلَامِ وَتَرَكُوا ذَلِكَ الْمَاءَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْزِلْنِيهِ أَنَا وَقَوْمِي. قَالَ: " نَعَمْ ". فَأَنْزَلَهُ، وَأَسْلَمَ - يَعْنِي السُّلَمِيِّينَ - فَأَتَوْا صَخْرًا فَسَأَلُوهُ أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِمُ الْمَاءَ، فَأَبَى، فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَسْلَمْنَا وَأَتَيْنَا صَخْرًا لِيَدْفَعَ إِلَيْنَا مَاءَنَا، فَأَبَى عَلَيْنَا. فَقَالَ: " يَا صَخْرُ، إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا أَسْلَمُوا أَحْرَزُوا أَمْوَالَهُمْ وَدِمَاءَهُمْ، فَادْفَعْ إِلَيْهِمْ مَاءَهُمْ ". قَالَ: نَعَمْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ. فَرَأَيْتُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَغَيَّرُ عِنْدَ ذَلِكَ حُمْرَةً; حَيَاءً مِنْ أَخْذِهُ الْجَارِيَةَ وَأَخْذِهُ الْمَاءَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ وَفِي إِسْنَادِهِ اخْتِلَافٌ. قُلْتُ: وَكَانَتِ الْحِكْمَةُ الْإِلَهِيَّةُ تَقْتَضِي أَنْ يُؤَخَّرَ الْفَتْحَ عَامَئِذٍ; لِئَلَّا يُسْتَأْصَلُوا قَتْلًا، لَأَنَّهُ قَدْ تَقَدَّمَ «أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا كَانَ خَرَجَ إِلَى الطَّائِفِ فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى، وَإِلَى أَنْ يُئْوُوهُ حَتَّى يُبَلِّغَ رِسَالَةَ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَوْتِ عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ، فَرَدُّوا عَلَيْهِ قَوْلَهُ وَكَذَّبُوهُ، فَرَجَعَ مَهْمُومًا، فَلَمْ يَسْتَفِقْ إِلَّا عِنْدَ قَرْنِ الثَّعَالِبِ، فَإِذَا هُوَ بِغَمَامَةٍ، وَإِذَا فِيهَا جِبْرِيلُ، فَنَادَاهُ مَلَكُ الْجِبَالِ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ،