আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة الفتح الأعظم

بعث خالد بن الوليد لهدم العزى

পৃষ্ঠা - ৩৪৬৫

মক্কায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অবস্থান-কাল

মক্কা বিজয়ের পর রমযান মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখানেই কাটান ৷ এ
সময়ে তিনি যে নামায কসর পড়েন ও রােযা রাখেননি এ ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমত নেই ৷ এটা
সেসব আলেমদের মতের স্বপক্ষে দলীল যীরা বলেন, মুসাফির যাঈ কোথাও অবস্থান (ইকামত)
করার দৃঢ় সংকল্প না করে, তবে আঠার দিন পর্যন্ত যে নামায কসর করতে পারবে ৷ অবশ্য এ
আলিমদের আর একটি মত যথাস্থানে লিপিবদ্ধ আছে ৷ ইমাম বখারী আবু নৃআয়ম আনাস
ইবন মালিক সুত্রে বণ্নাি করেন, তিনি বলেন : আমরা রাসুলুল্লাহ্ সাট্রুা-এর সাথে দশ দিন অবস্থান
করেছিলাম ৷ এ সময়ে তিনি নামায়ে কসর করতেন ৷ সিহাহ্সিতাং অন্যান্য সংকলকগণ ইয়াহ্য়া
ইবন আবুইসহাক হাদরামী আল-বসরী সুত্রে আনাস (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ধুখারী
আবদান ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) (মক্কায়) উনিশ দিন
অবস্থান করেন এবং দৃরাকআত করে নামায আদায় করেন ৷ এ হাদীছ বুখারী অন্য সুত্রেও বর্ণনা
করেছেন ৷ বুখারী ও আবু হুসায়ন উত্তরে এবং আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজা এ হাদীছটি
আসিম ইবন সুলায়মান ইবন আব্বাস সুত্রে কিছুটা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন ৷ তবে আবু
দাউদের ভাবে অবস্থানকাল সতের দিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আহমদ ইবন ইউনুস
ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : আমরা কোন এক সফরে রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর সাথে উনিশ দিন একই স্থানে অবস্থান করি ৷ তখন আমরা নামায়ে কসর করেছি ৷ ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, এ কারণেই আমরা যখন কোন স্থানে উনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান করি তখন
নামায কসর পড়ি ৷ কিভু উনিশ দিনের বেশী অবস্থান করলে নামায পুরোপুরি পড়ি ৷ আবু দাউদ
ইব্রাহীম ইবন মুসা ইমরান ইবন হুসায়ন সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন : আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে থেকে যুদ্ধ করেছি ৷ মক্কা বিজয়ে তীর সাথে থেকেছি ৷ তিনি তথায়
আঠার রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন ৷ এ সময়ে তিনি দৃরাকআত করে নামায পড়েছেন ৷ তার চেয়ে
বেশী পড়েননি ৷ তিনি পরিষ্কার বলে দিতেন : “হে মক্কার অধিবাসীরা ! তোমরা নামায চার
রাকআত পড় ৷ আমরা তাে মুসাফির ৷” ইমাম তিরমিযী এ হাদীছ আলী ইবন যায়দ ইবন জ্বাদআন
থেকে অনুরুপ বংনাি করে মন্তব্য করেছেন যে, এ হাদীছ হাসান পর্যায়ের ৷ এরপর ইমাম তিরমিযী
এ হাদীছ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক যুহরী আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে
বনাি করেন ৷ তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা বিজয়ের পর সেখানে পনের রাত অবস্থান
করেন এবং নামায়ে কসর করেন ৷ এরপর তিরমিযী বলেন, এ হাদীছ ইবন ইসহাক থেকে
একাধিক রাবী বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তারা কেউ ইবন আব্বাসের উল্লেখ করেননি ৷ ইবন ইদরীস
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক থেকে, তিনি যুহরী ও মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন হুসায়ন , আসিম ইবন আমর
ইবন কাতাদা, অড়াবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর, আমর ইবন শুআয়ব ও আরও কতিপয় রাবী থেকে
রক্ষা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় পনের রাত অবস্থান করেন ৷


[بَعْثُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ لِهَدْمِ الْعُزَّى] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَكَانَ هَدْمُهَا لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ عَامَئِذٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «ثُمَّ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى الْعُزَّى، وَكَانَتْ بَيْتًا بِنَخْلَةَ يُعَظِّمُهُ قُرَيْشٌ وَكِنَانَةُ وَمُضَرُ، وَكَانَ سَدَنَتُهَا وَحُجَّابُهَا مِنْ بَنِي شَيْبَانَ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ حُلَفَاءُ بَنِي هَاشِمٍ، فَلَمَّا سَمِعَ حَاجِبُهَا السُّلَمِيُّ بِمَسِيرِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ إِلَيْهَا عَلَّقَ سَيْفَهُ عَلَيْهَا، ثُمَّ اشْتَدَّ فِي الْجَبَلِ الَّذِي هِيَ فِيهِ وَهُوَ يَقُولُ: أَيَا عُزَّ شُدِّي شَدَّةً لَا شَوَى لَهَا ... عَلَى خَالِدٍ أَلْقِي الْقِنَاعَ وَشَمِّرِي أَيَا عُزَّ إِنْ لَمْ تَقْتُلِي الْمَرْءَ خَالِدًا ... فَبُوئِي بِإِثْمٍ عَاجِلٍ أَوْ تَنَصَّرِي قَالَ: فَلَمَّا انْتَهَى خَالِدٌ إِلَيْهَا هَدَمَهَا، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ «أَنَّهُ لَمَّا قَدِمَهَا خَالِدٌ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ فَهَدَمَهَا، وَرَجَعَ فَأَخْبَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَا رَأَيْتَ؟ قَالَ: لَمْ أَرَ
পৃষ্ঠা - ৩৪৬৬

মক্কায় অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
কতিপয় নির্দেশ

বুখারী বলেন, আমার নিকট আবদুল্লাহ ইবন মুসলিম আইন্ণার সুত্রে নবী করীম (সা)
থেকে বর্ণনা করেন, অন্য সনদে লায়ছ — — আইশা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন :
উত্বা ইবন আবু ওয়াক্কাস তদীয় ভ্রাতা সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাসকে ওসীয়াত করে যান যে, তিনি
যেন যামআর বীদীর পুত্রটিকে নিজের আয়ত্বে নিয়ে নেন ৷ উত্বা বালছিলেন যে, ছেলেটির জন্ম
আমারই ঔরসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিজয়কালে যখন মক্কায় আসেন, তখন শ্না’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস
এক সুযোগে যামআর র্বাদীর পুত্রটিকে নিজের আয়ত্বে এনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত
হন ৷ তার সাথে যামআর পুত্র আবদও আসে ৷ সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস দাবী করলেন যে, এ
আমার ভাতিজা ৷ আমার ভাই ওসীয়ত করে গিয়েছেন যে, এ সম্ভানটি তারই ঔরসজাত ৷ প্ৰতি
উত্তরে আবদ ইবন যামআ বললো , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ এ আমার ভাই ৷ এ যামআর পুত্র ৷ তার
বিছানায় এর জন্ম হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন যামআর র্বাদীর পুত্রের প্ৰতি লক্ষ্য করে দেখলেন
যে, তার দৈহিক গঠন ও চেহারা উত্বা ইবন আবু ওয়াক্কাসের সাথে অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আবদ ইবন যামআ ! তুমিই এর অধিকারী ৷ এ তােমারই ভাই ৷
কেননা, সে তারই বিছানায় জন্ম গ্রহণ করেছে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সহধ্র্মিণী সাওদা
বিনৃত যামআকে বললেন, তুমি এর থেকে পর্দা করবে ৷ কারণ, তিনি দেখেছেন যে, উত্বা ইবন
আবু ওয়াক্কাসের সাথে তার সাদৃশ্য রয়েছে ৷ ইবন শিহাব বলেন, আইশা (বা) বলেছেন যে,
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : ঐ১৷ ৷ ,ঞএে, ,র্দু ৷ ,দ্বুা৷ ;প্রুএ ৷ বিছানা যার সন্তান তার,
আর ব্যভিচারীর জন্যে পাথর ৷ অর্থাৎ প্ৰস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড ৷ ইবন শিহাব বলেন, আবু হুরায়রা এ
বাক্যটি প্রায়ই উচ্চ৪স্বরে বলতেন ৷ এ হাদীছটি মুসলিম , আবু দাউদ, তিরমিযী এবং বুখারী ও
কুতায়বার সুত্রে লায়ছ থেকে অনুরুপ বনাি করেছেন ৷ ইবন মাজ৷ ও বুখারী মালিক সুত্রে যুহরী
থেকে এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

এরপর ইমাম বুখারী বলেন, আমাদের নিকট মুহাম্মাদ ইবন মুকাতিল উরওয়া ইবন
যুবায়র সুত্রে বর্ণনা করেন যে, বিজয় যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপস্থিত কালে জনৈক মহিলা চুরি
করে ধরা পড়ে ৷ এতে তার গোত্রের লোকেরা ভীত হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে সুপারিশের
জন্যে উসামা ইবন যায়দের কাছে ছুটে আসে ৷ উরওয়া (রা) বলেন, উসামা যখন ঐ মহিলার
ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে আলাপ করছিল, তখন রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর চেহারার রং
পরিবর্ভা হয়ে গিয়েছিল ৷ তিনি উসামাকে বলেন, তুমি কি আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তির বিধান (হদ)
এর ব্যাপারে আমার কাছে সুপারিশ করছো ? তখন উসামা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমার


شَيْئًا. فَأَمَرَهُ بِالرُّجُوعِ، فَلَمَّا رَجَعَ خَرَجَتْ إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ الْبَيْتِ امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ نَاشِرَةٌ شَعْرَهَا تُوَلْوِلُ، فَعَلَاهَا بِالسَّيْفِ وَجَعَلَ يَقُولُ: يَا عُزَّ كُفْرَانَكِ لَا سُبْحَانَكِ ... إِنِّي رَأَيْتُ اللَّهَ قَدْ أَهَانَكِ ثُمَّ خَرَّبَ ذَلِكَ الْبَيْتَ الَّذِي كَانَتْ فِيهِ، وَأَخَذَ مَا كَانَ فِيهِ مِنَ الْأَمْوَالِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، ثُمَّ رَجَعَ فَأَخْبَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: تِلْكَ الْعُزَّى وَلَا تُعْبَدُ أَبَدًا.» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْفَقِيهُ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي جَعْفَرٍ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيٍّ، ثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ فُضَيْلٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جُمَيْعٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ: «لَمَّا فَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ بَعَثَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى نَخْلَةَ، وَكَانَتْ بِهَا الْعُزَّى، فَأَتَاهَا، وَكَانَتْ عَلَى ثَلَاثِ سَمُرَاتٍ، فَقَطَعَ السَّمُرَاتِ وَهَدَمَ الْبَيْتَ الَّذِي كَانَ عَلَيْهَا، ثُمَّ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ: ارْجِعْ فَإِنَّكَ لَمْ تَصْنَعْ شَيْئًا فَرَجَعَ خَالِدٌ، فَلَمَّا نَظَرَتْ إِلَيْهِ السَّدَنَةُ وَهُمْ حُجَّابُهَا، أَمْعَنُوا هَرَبًا فِي الْجَبَلِ وَهُمْ يَقُولُونَ: يَا عُزَّى خَبِّلِيهِ، يَا عَزَّى عَوِّرِيهِ، وَإِلَّا فَمُوتِي بِرُغْمٍ. قَالَ: فَأَتَاهَا خَالِدٌ، فَإِذَا امْرَأَةٌ عُرْيَانَةٌ نَاشِرَةٌ شَعْرَهَا، تَحْثُو التُّرَابَ عَلَى رَأْسِهَا وَوَجْهِهَا، فَعَمَّمَهَا بِالسَّيْفِ حَتَّى قَتَلَهَا، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: تِلْكَ الْعُزَّى» .