سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة الفتح الأعظم

পৃষ্ঠা - ৩৩৬৭

ইবন ইসহাক বলেন, তাদের আক্রান্ত হবার কারণ ছিল এই যে, আসওয়াদ ইবন বিমানের
মিত্র মালিক ইবন আব্বাদ নামক বনু হাদরামীর এক ব্যক্তি ব্যবসার জন্যে ঘর থেকে বের হয়ে
যখন খুযাআ গোত্রের এলাকায় পৌছে তখন তারা তার উপর হামলা করে তাকে হত্যা করে ও
তার মালপত্র হস্তপত করে নেয় ৷ তাই বনু বকর ও বনু খুযাআর এক ব্যক্তির উপর হামলা করে
তাকে হত্যা করে ৷ এরপর ইসলামের পুর্বে বনু খুযাআও আসওয়াদ ইবন রিযান আদ-দায়লীর
পুত্রদের উপর হামলা করে ৷ তারা ছিলেন সালামা, কুলসুম ও যুওয়ইিব ৷ আর তারা ছিলেন বনু
কিনানার খুবই গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ৷ তাদেরকে আরাফাতের হারমের সীমানা স্তম্ভগুলোর সামনেই
হত্যা করা হয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, দায়লি গোত্রের এক ব্যক্তি বর্ণনা করে যে, জাহেলিয়াতের
যুগে আমাদের একটি রক্তপণের পরিবর্তে রনুআসওয়াদ ইবন রিযান দুইটি রক্তপণ আদায় করত ৷
বনু বকর ও বনু খুযাআর বিরোধপুর্ণ এরুপ অবস্থায় ইসলামের আবির্ভাব হয় ৷ যখন হদায়বিয়ার
সন্ধি সংঘটিত হয় তখন বনু বকর কুরায়শদের পক্ষে যোগ <:দয় এবং বনু খুযাআ রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর পক্ষে যোগ দেয় ৷

বনু বকরের একটি অংশ বনু দায়ল হদায়বিয়ার সন্ধিরকড়ালে বনু খুযাআর লোকদের থেকে
প্রতিশোধ নিতে মনস্থ করে ৷ বনুদায়লের সর্দার নওফল ইবন মুআবিয়া আদ-দায়লী আল-ওয়াতীর
জলাশয়ের নিকট বনু খুযাআর উপর রাতের বেলা হামলা করে তাদের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে
ও অন্যদের লুটপাট করে ৷ বনু বকরের লোকেরা তাদের সাহায্য করে এমনকি কুরায়শরাও অস্ত্র
দিয়ে তাদের সাহায্য করে ৷ কুরায়শরা রাতের বেলায় গোপনে তাদের সাথে এ আক্রমণে
অংশ্যাহণ করে , এমনকি বনু খুযাআকে হারাম শরীফে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে ৷ বনু বকরের
সর্দারকে অন্যান্য সদস্যরা বলতে লাগল আমরা হেরেমে এসে গেছি, তোমাদের সামনে
তোমাদের উপাস্য, থেমে যাও ৷ তখন তাদের সর্দার বিজয়ের জোশে একটি জঘন্য কথা বলে
ফেলে, সে বলল, হে বনু বকর, আজকের দিয়ে কোন উপাস্য নেই ৷ আজ প্রতিশো ধ নেবার দিন ৷
তোমরা হারমে চুরি করতে পার আর প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারবে না ? শেষ পর্যন্ত বনু খুযাআ
মক্কায় অবস্থিত বুদায়ল ইবন ওরাকার ঘরে ও তাদের অড়াযাদকৃত গোলাম রাফি“র ঘরে আশ্রয় গ্রহণ
করে ৷ এই অবস্থার বর্ণনা দিয়ে অড়াখযার ইবন লাত আদ-দায়লী কবিতার ছন্দে বলেন :
“কুরায়শের দুরবর্তী লোকেরা কি সংবাদ পায়নি যে, আমরা বনুকাবকে বর্শাফলকের উপরিভাগের
আঘাতে আঘাতে কুয়ার স্থান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি এবং গোলাম রাফি এর ঘরে তাদেরকে
অবরুদ্ধ করেছি ? আর কিছুক্ষণের জন্যে নেতা বুদায়লের ঘরেও তাদেরকে অবরোধ করা
হয়েছে ৷ তাদের কিছু সংখ্যক লোককে বর্শা পতিত হওয়ার স্থানে হত্যা করে আমাদের মনের
ঝাল মিঢিয়েছি ৷ তাদের অবশিষ্টদেরকে অত্যাচারী ও নিতান্তহীন ব্যক্তির ঘরে আমরা অবরোধ
করে রেখেছি ৷ তাদের অবরোধ দীর্যায়িত হল তখন আমরা ধ্বনি দিতে লাপলাম যাতে প্রতিটি
গোত্র থেকে বহু সংখ্যক লোক তাদের গোচনীয় অবস্থা দেখার জন্যে জমায়েত হতে পারে ৷
আমরা তাদেরকে তলােয়ার দিয়ে যবাই করেছিলাম যেমন সিংহকুল বকরীগুলেড়াকে তাদের নখর
দিয়ে খন্ডবিখন্ড করে ফেলে ৷ তারা আমাদের প্রতি যুলুম করেছে, তাদের কর্মকান্ডে তারা
সীমালংঘন করেছে ৷ আর হারমের পাথর ফলকগুলোর সম্মুখে ছিল তাদের প্রথম ঘাতক ব্যক্তিটি ৷

৬ ১ ——

[غَزْوَةُ الْفَتْحِ الْأَعْظَمِ] [دُخُولُ النَّبِيِّ مَكَّةَ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ غَزْوَةُ الْفَتْحِ الْأَعْظَمِ وَكَانَتْ فِي رَمَضَانَ سَنَةَ ثَمَانٍ وَقَدْ ذَكَرَهَا اللَّهُ تَعَالَى فِي الْقُرْآنِ فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ، فَقَالَ تَعَالَى: {لَا يَسْتَوِي مِنْكُمْ مَنْ أَنْفَقَ مِنْ قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُولَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِنَ الَّذِينَ أَنْفَقُوا مِنْ بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى} [الحديد: 10] الْآيَةَ (الْحَدِيدِ: 10) . وَقَالَ تَعَالَى: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا} [النصر: 1] (النَّصْرِ) وَكَانَ سَبَبُ الْفَتْحِ بَعْدَ هُدْنَةِ الْحُدَيْبِيَةِ مَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ جَمِيعًا قَالَا: كَانَ فِي صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ أَنَّهُ مَنْ شَاءَ أَنْ يَدْخُلَ فِي عَقْدِ مُحَمَّدٍ وَعَهْدِهِ دَخَلَ، وَمَنْ شَاءَ أَنْ يَدْخُلَ فِي عَقْدِ قُرَيْشٍ وَعَهْدِهِمْ دَخَلَ، فَتَوَاثَبَتْ خُزَاعَةُ وَقَالُوا: نَحْنُ نَدْخُلُ فِي عَقْدِ مُحَمَّدٍ وَعَهْدِهِ. وَتَوَاثَبَتْ بَنُو بَكْرٍ وَقَالُوا: نَحْنُ نَدْخُلُ فِي عَقْدِ قُرَيْشٍ وَعَهْدِهِمْ. فَمَكَثُوا فِي تِلْكَ الْهُدْنَةِ نَحْوَ السَّبْعَةَ أَوِ الثَّمَانِيَةَ عَشَرَ شَهْرًا، ثُمَّ إِنَّ بَنِي بَكْرٍ وَثَبُوا عَلَى خُزَاعَةَ لَيْلًا، بِمَاءٍ يُقَالُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৬৮

যখন তাদেরকে তাড়ানাে হয়েছিল বনুকাবের লোকেরা ভয়ে এমনভাবে ছুটাছুটি করেছিল যেমন
কেউ উটপাখির ছানাদের তাড়াচ্ছিল ৷

রাবী বলেন , আখযারের উত্তরে বুদায়ল ইবন আবদে মানাত ইবন ছালামা ইবন আমর ইবন
আল আজব যাকে বুদায়ল ইবন উম্মে আসৃরামও বলা হয় ৷ কবিতায় বলেন-ৰুব্

“একটি সম্প্রদায় সন্ধিতে আবদ্ধ হয়েছে এজন্য তারা পর্ব করছে ৷ তাদের জন্যে কোন
সর্দারকে আমরা অবশিষ্ট রাখিনি যে (যুদ্ধজয়ী হয়ে) গনীমত বিতরণ করা র ৷ তুমি কি পুর্বোক্ত
সম্প্রদায়ের ভয়ে তাদেরকে ঘৃণা করে, ভয়ে ভয়ে নিরাশ হয়ে ওয়াভীর অতিক্রম কর ? আমরা
প্ৰতিদিনই কারো না কারো রক্তপণ শোধ করে থাকি ৷ অথচ আমাদেরকে কো ন রক্তপণ দেওয়া
হয়না ৷ (কেননা, আমাদের কেউ নিহত হয় না, ফলে রক্তপণ পাওয়ার প্রশ্নই হুষ্ঠে না ৷) আমরা
আমাদের তলোয়ার সহকারে সকালে তোমাদের এলাকায় পৌছেছি ৷ আমাদের তলোয়ার
ভব্লুসনাকারীর তর্ধসনার পরোয়৷ করে না ৷ এবং আশে পাশের পােত্রওক্ষ্:লাকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার
প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি ৷ গামীমের যুদ্ধের দিনে যখন তোমাদের
একজন পালিয়ে যাচ্ছিল তখন আমাদের এক বীর অশ্বারোহীর মাধ্যমে আমরা তার দফা রফা
করেছি ৷ আল্লাহর ঘরের কসম তোমরা যুদ্ধ শুরু করোনি, তা সত্য নয় ৷ তোমরা মিথ্যা বলেছ ৷
তোমরা যদি কাউকে হত্যা করে থাক, তবে আমরাও তােমাদেরকে কঠিন বিপর্যয়ে ফেলা র ব্যবস্থা
করছি ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বনু খুযাআ র কিছু সং থ্যক লোক নিয়ে বুদায়ল ইবন ওরাক৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর দরবারে আগমন করলেন এবং তাদের কত ল্যে ক নিহত হয়েছে ও তাদের বিরুদ্ধে বনু
বকরের কুরায়শদের সাহায্য করার ব্যাপারটি সম্বন্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বিস্তারিত জানালেন ৷
এরপর তারা মক্কা প্রত্যাবর্তন করেন ৷ রাস্তায় উছফা ৷ন নামক স্থানে আবু সুফিয়ান (বা ) এর সাথে
তাদের ঘুলাক৷ ৷ত হয় ৷ সন্ধি নবায়ন ও সন্ধির সময় বৃদ্ধি করার জন্যে কুরায়শরা৩ তাকে মদীনা
প্রেরণ করেছিল ৷ আবু সুফিয়ান (বা) বলেন, হে বুদায়ল ! তুমি কো ৷থা থেকে আগমন করলে ?
আর ৷তিনি ধারণা করলেন যে, বুদায়ল সম্ভবত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে গিয়েছিলেন ৷ বুদ৷ য়ল
বললেন, বনু খুযাআর এলাকা পর্যন্ত আমরা গিয়েছিলাম ৷ রাবী বলেন, আবু সুফিয়ান (রা) বুদায়ল
তার সাথীদের উটের মাল পরীক্ষা করে বললেন, আল্লাহ্র শপথ, বুদায়ল ও তার সাথীরা
মদীনায় মুহাম্মাদ (সা ) এর নিকট গিয়েছিল ৷ এরপর আবু সুফিয়ান (রা) মদীনায় ব ৷সুলুল্লাহ্ (সা)
-এর কাছে আগমন করেন এবং নিজের কন্যা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সহধর্মিণী উম্মে হাবীব৷ (রা)
এর ঘরে প্রবেশ করেন ৷ যখন তিনি বিছানায় বসতে চান তখন উম্মুল মু’মিনীন উম্মে হাবীব৷ (রা)
বিছানা গুঢিয়ে ফেলেন ৷ তিনি বলেন, হে আমার কন্যা ! আমি কি এ বিছ ৷র উপযুক্ত নই ? না এ
বিছ৷ ৷না আমার উপযুক্ত নয় বলে তুমি মনে করছ ? তিনি বলেন, এটা অ ৷ল্লাহ্র রাসুলের বিছানা
তুমি মুশরিক ও নাপ৷ ক ৷৩ তাই আমি চাই না যে, তুমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিছানা ৷য় বস ৷ আবু
সুফিয়ান (বা) বললেন, হে আমার কন্যা ! আল্লাহ্র শপথ, আমি চলে যাবার পর তোমার অমঙ্গল
হবে ৷ একথা বলে তিনি উষ্মে হাবীব৷ (না)-এর ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন এবং আবু বকর
সিদ্দীক (রা)-এর ঘরে গেলেন ও কথা বললেন ৷ যাতে আবু বকর সিদ্দীক (রা) আবু সুফিয়ান


لَهُ: الْوَتِيرُ. وَهُوَ قَرِيبٌ مِنْ مَكَّةَ، وَقَالَتْ قُرَيْشٌ: مَا يَعْلَمُ بِنَا مُحَمَّدٌ، وَهَذَا اللَّيْلُ وَمَا يَرَانَا أَحَدٌ. فَأَعَانُوهُمْ عَلَيْهِمْ بِالْكُرَاعِ وَالسِّلَاحِ، وَقَاتَلُوهُمْ مَعَهُمْ، لِلضَّغْنِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّ عَمْرَو بْنَ سَالِمٍ رَكِبَ عِنْدَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ خُزَاعَةَ وَبَنِي بَكْرٍ بِالْوَتِيرِ، حَتَّى قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُخْبِرُهُ الْخَبَرَ، وَقَدْ قَالَ أَبْيَاتَ شِعْرٍ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْشَدَهُ إِيَّاهَا: لَاهُمَّ إِنِّي نَاشِدٌ مُحَمَّدًا ... حِلْفَ أَبِيهِ وَأَبِينَا الْأَتْلَدَا قَدْ كُنْتُمُ وُلْدًا وَكُنَّا وَالِدَا ... ثُمَّتَ أَسْلَمْنَا فَلَمْ نَنْزِعْ يَدَا فَانْصُرْ رَسُولَ اللَّهِ نَصْرًا أَعْتَدَا ... وَادْعُ عِبَادَ اللَّهِ يَأْتُوا مَدَدَا فِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ قَدْ تَجَرَّدَا ... إِنْ سِيمَ خَسْفًا وَجْهُهُ تَرَبَّدَا فِي فَيْلَقٍ كَالْبَحْرِ يَجْرِي مُزْبِدَا ... إِنَّ قُرَيْشًا أَخْلَفُوكَ الْمَوْعِدَا وَنَقَضُوا مِيثَاقَكَ الْمُؤَكَّدَا ... وَجَعَلُوا لِي فِي كَدَاءٍ رُصَّدَا وَزَعَمُوا أَنْ لَسْتُ أَدْعُو أَحَدَا ... فَهُمْ أَذَلُّ وَأَقَلُّ عَدَدًا هُمْ بَيَّتُونَا بِالْوَتِيرِ هُجَّدًا ... وَقَتَّلُونَا رُكَّعًا وَسُجَّدَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نُصِرْتَ يَا عَمْرَو بْنَ سَالِمٍ. فَمَا بَرِحَ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৬৯

(না)-এর পক্ষে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে সুপারিশ করেন ৷ কিন্তু তিনি বললেন, আমি একাজ
করতে পারবনা ৷ ’ এরপর তিনি উমর (রা)-এর কাছে গেলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে
তার জন্যে সুপা ৷বিশ করার অনুরোধ করলেন ৷ ওমর (রা) বললেন, আমি তোমার জন্যে রা সুলুল্লা হ
(সা) এর কাছে সুপা ৷বিশ করব ? এটা হতেই পাবে না ৷ আ মিাত কোন অবন্থায়ই তোমাদের সাথে
যুদ্ধ বাদ দিতে রাজী নই ৷ এরপর তিনি আলী (বা) ইবন আবুতা তালিবের ঘরে প্রবেশ করলেন ৷
তার কাছে ফাতিম৷ বিনত রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও উপস্থিত ছিলেন ৷ আর বালক হাসান (রা ) তাদের
সামনে খেলা করছিলেন ৷ তিনি বললেন, হে আলী তুমিত আমাদের লোকজনের প্রতি খুবই
সদয় এবং তাদের কাছে বংশের দিক দিয়ে আমার চ ইং ও ঘনিষ্ট তর আমি একটি দরকারী
কা জে এসেছিলড়াম ৷ আ ৷মি কি অকৃতকার্য হয়ে চলে যাব ? তুমি আমার জং ন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
কাছে একটু সুপারিশ করবে ? তিনি বললেন, হে আবু সুফিয়ান ! আ ল্লাহর শপথ, তুমি জেনে
রেখো, আমাদের মধ্যে কারো শক্তি নেই যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এণ্₹ ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ কোন
কথা বলে ৷ এরপর আবুসুফিয়ান (রা) ফাতিম৷ (রা) কে লক্ষ্য করে বলালন, হে মুহাম্মাদের কন্যা
! তুমি কি তে তামার এ ছেলেকে অনুমতি দিতে পা ৷র যে, সে জনগণকে নিরাপত্তা ৷দেবে, এরপর সে
শেষযুগ পর্যন্ত আরবের সর্দার হিসেবে পরিগণিত হবে ? তিনি বললেন, প্রথমত আমার ছেলের
এত বয়স হয়নি যে, সে জনগণকে নিরাপত্তা ৷প্রদান করবে ৷ দ্বিতীয়ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মতের
বিরুদ্ধে কেউ জনগণকে নিরাপত্তা ৷দেয়ার জন্যে এগিয়ে আসবে না ৷ত তারপর আবু সুফিয়ান (রা)
আলী (রা) কে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবুল হাসান ! আমি দেখছি যে, ব্যাপারটি অত ম্ভে জটিল
আকার ধারণ করেছে ৷ তুমি আমাকে উপদেশ দাও আমি এখন কি করতে ৩পারি ? তিনি বললেন,
আল্লাহর শপথ, আমিও জানি না কি করলে তােমার এ মিশন কৃতকার্য হবে ? তবে আমার মনে
হয়, একটি কাজ করা যায়, তাতে তোমার কতদুর উপক৷ ৷র হবে তাও আমার জানা নেই ৷ঙু ত
রনুকিনানার সর্দার, তুমি দাড়িয়ে যাবে ও জনগণকে নিরাপত্তা দেয়ার ঘোষণা দেবে ৷ তারপর
নিজের দেশে চলে যাবে ৷ তিনি বললেন, তুমি কি মনে কর যে এতে ক ৷ন উপক৷ ৷র হবে ? আলী
(রা) বললেন, না আল্লাহর শপথ, এটাতে কে ন উপক ব আমি দেখছিনাত তবে এটা ছাড়া অন্য
কোন পথও তোমার জন্যে আমি দেখতে পাচ্ছি না ৷ আবুসুফিয়ড়ান মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং
দাড়িয়ে বললেন, “হে জনগণ ! আমি তােমাদেরকে নিরাপত্তার ঘোষণা দিচ্ছি ৷ তারপর তিনি তার
উটে সওয়ার হয়ে চলে যান ৷ যখন তিনি কুরায়শদের কাছে গমন করলেন, খনত তারা বললেন,
“কী হল ? ” তিনি বললেন, মুহাম্মাদের কাছে পিয়েছিলাম, তার সাথে কথা বললড়াম, আল্লাহর
শপথ, তিনি কিছুই বললেন না ৷ তারপর ইবন আবু কুহাফা (রা) এর কাছে গেলাম ৷ আল্লাহর
শপথ, তার মধ্যেও কোন মঙ্গলের লক্ষণ দেখতে পেলাম না৷ এরপর উমরের কাছে গেলাম ৷
তাকে দুশমনদের মধ্যে সেরা দৃশমনরুপে পেলাম ৷ এরপর আলী এর কাছে গেলাম ৷ তাকে
কিছুটা নরম দেখা গেল ৷ আলী একটি কাজের পরামর্শ দিলেন ৷ আর যে কাজটি আমি করেও
এসেছি ৷ আল্লাহর শপথ, আমি জানি না, এতে আমাদের কোন কাজ হবে কিনা ? তারা বলল, যে
কাজটা কী ? তিনি বললেন, আলী বললেন, আমি যেন জনগণের সামনে দী ড়িয়ে নিরাপত্তা ঘোষণা
করি ৷ আর আমি তা করে এসেছি ৷ তারা বলল, মুহাম্মাদ কিধ্ব তামাকে এ কাজটি করার জন্যে
অনুমতি দিয়েছিলেন ? তিনি বললেন, না’ ৷ তারা বলল, তোমার জন্যে আফ্সোস, আলী তোমার র


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى مَرَّتْ بِنَا عَنَانَةٌ فِي السَّمَاءِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ هَذِهِ السَّحَابَةَ لَتَسْتَهِلُّ بِنَصْرِ بَنِي كَعْبٍ» . وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ بِالْجِهَازِ، وَكَتَمَهُمْ مَخْرَجَهُ، وَسَأَلَ اللَّهَ أَنْ يُعَمِّيَ عَلَى قُرَيْشٍ خَبَرَهُ، حَتَّى يَبْغَتَهُمْ فِي بِلَادِهِمْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ السَّبَبُ الَّذِي هَاجَهُمْ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي الْحَضْرَمِيِّ، اسْمُهُ مَالِكُ بْنُ عَبَّادٍ، مِنْ حُلَفَاءِ الْأَسْوَدِ بْنِ رَزْنٍ خَرَجَ تَاجِرًا، فَلَمَّا تَوَسَّطَ أَرْضَ خُزَاعَةَ، عَدَوْا عَلَيْهِ، فَقَتَلُوهُ وَأَخَذُوا مَالَهُ، فَعَدَتْ بَنُو بَكْرٍ عَلَى رَجُلٍ مِنْ بَنِي خُزَاعَةَ فَقَتَلُوهُ، فَعَدَتْ خُزَاعَةُ قُبَيْلِ الْإِسْلَامِ عَلَى بَنِي الْأَسْوَدِ بْنِ رَزْنٍ الدُّئَلِيِّ - وَهُمْ مَنْخَرُ بَنِي كِنَانَةَ وَأَشْرَافُهُمْ، سَلْمَى وَكُلْثُومٌ وَذُؤَيْبٌ - فَقَتَلُوهُمْ بِعَرَفَةَ عِنْدَ أَنْصَابِ الْحَرَمِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنَ الدُّئِلِ قَالَ: كَانَ بَنُو الْأَسْوَدِ بْنِ رَزْنٍ يُودَوْنَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ دِيَتَيْنِ دِيَتَيْنِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَبَيْنَا بَنُو بَكْرٍ وَخُزَاعَةُ عَلَى ذَلِكَ، إِذْ حَجَزَ بَيْنَهُمُ الْإِسْلَامُ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَدَخَلَ بَنُو بَكْرٍ فِي عَقْدِ قُرَيْشٍ، وَدَخَلَتْ
পৃষ্ঠা - ৩৩৭০
خُزَاعَةُ فِي عَقْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتِ الْهُدْنَةُ، اغْتَنَمَهَا بَنُو الدُّئِلِ مِنْ بَنِي بَكْرٍ، وَأَرَادُوا أَنْ يُصِيبُوا مِنْ خُزَاعَةَ ثَأْرًا بِأُولَئِكَ النَّفَرِ، فَخَرَجَ نَوْفَلُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الدُّئِلِيُّ فِي قَوْمِهِ، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُهُمْ وَقَائِدُهُمْ، وَلَيْسَ كُلُّ بَنِي بَكْرٍ تَابَعَهُ، فَبَيَّتَ خُزَاعَةَ وَهُمْ عَلَى الْوَتِيرِ - مَاءٍ لَهُمْ - فَأَصَابُوا رَجُلًا مِنْهُمْ، وَتَحَاوَزُوا، وَاقْتَتَلُوا، وَرَفَدَتْ قُرَيْشٌ بَنِي بَكْرٍ بِالسِّلَاحِ، وَقَاتَلَ مَعَهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ مَنْ قَاتَلَ بِاللَّيْلِ مُسْتَخْفِيًا، حَتَّى حَازُوا خُزَاعَةَ إِلَى الْحَرَمِ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَيْهِ، قَالَتْ بَنُو بَكْرٍ: يَا نَوْفَلُ، إِنَّا قَدْ دَخَلْنَا الْحَرَمَ! إِلَهَكَ إِلَهَكَ. فَقَالَ كَلِمَةً عَظِيمَةً: لَا إِلَهَ الْيَوْمَ، يَا بَنِي بَكْرٍ أَصِيبُوا ثَأْرَكُمْ، فَلَعَمْرِي إِنَّكُمْ لَتَسْرِقُونِ فِي الْحَرَمِ، أَفَلَا تُصِيبُونَ ثَأْرَكُمْ فِيهِ؟! وَلَجَأَتْ خُزَاعَةُ إِلَى دَارِ بُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ بِمَكَّةَ، وَإِلَى دَارِ مَوْلًى لَهُمْ يُقَالُ لَهُ: رَافِعٌ. وَقَدْ قَالَ الْأَخْزَرُ بْنُ لُعْطٍ الدُّئِلِيُّ فِي ذَلِكَ: أَلَا هَلْ أَتَى قُصْوَى الْأَحَابِيشِ أَنَّنَا ... رَدَدْنَا بَنِي كَعْبٍ بَأَفْوَقَ نَاصِلِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৭১

সাথে উপহাস করার জন্যেই এ পরামর্শ দিয়েছেন ৷ তুমি যা বলেছ এতে আমাদের কােনই
উপকার হবে না ৷ তিনি বললেন, না তবে এ ছাড়া আমার কিছু করণীয়ও ছিল না ৷

সুহায়লী এ ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন ৷ এ হাদীছে উল্লিখিত ফাতিমা (রা)-এর উক্তিটি নিয়ে
তিনি আলোচনা করেছেন ৷ যাতেফ্াতিমা (রা) বলেছিলেন, কেউ রাসুলুল্লাহ (সা) এর ইচ্ছার
বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ঘোষণা করবে ন, ৷অথচ হ দীছে রয়েছেং : ংণ্ছু১চুট্রু ৷ ট্রু,ঠু ন্প্রুট্রুন্ঠুপু ৷ ষ্া; ); ’)
অর্থাৎ মুসলমানদের একজন সাধারণ লে ক ও নিরাপত্তা ঘোষণা করতে পারে ৷ তিনি বলেন, এদুই
হাদীছেব মধ্যে সমন্বয় সাধন করা যায় এভাবে যে, শেষোক্ত হাদীছে ব্যক্তি বিশেষ কিৎবা
কয়েকজনকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলা হয়েছে ৷ আর ফাতিমা (রা) এর হাদীছে ইমামের যুদ্ধ
নীতির বিরুদ্ধে বৃহত্তর জনতাকে নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে কারোর
জন্যে নিরাপত্তা প্রদানের অধিকার নেই ৷ সাহনুন ও ইবনুল মাজিণ্ডন বলেন, শ্ৰীলোকের নিরাপত্তা
প্রদান ইমায়ের অনুমতির উপর নির্ডাব্শীল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উম্মে হানীকে বলেছিলেন : ংাট্রুষ্
নিরাপত্তা দিলাম ৷ ” রাবী বলেন, উপরোক্ত হাদীছটি আমর ইবন আস (বা) এবং খালিদ ইবন
ওয়ালীদ (বা) হতে বর্ণিত হয়েছে ৷

আবু হ নীফ ৷(র) বলেন, কোন গো লাম নিরাপত্তা ৷প্রদা নের অধিকা ৷র রাখে না ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর বাণীং ণ্গ্লু১া৷ ৷ স্পোা; প্রুট্রু ;১ঠুট্রু অর্থাৎ “তাদের মধ্যে সাধারণ ব্যক্তিও নিরাপত্তা দিতে
পারে ৷” এর মধ্যে গোলাম এবং মহিলাও অন্তর্ভুক্ত বলে প্রতীয়মান হয় ৷ আল্লাহ্ত তা আলাই অধিক
পরিজ্ঞাত ৷

বায়হাকী আবু হুরায়র৷ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বনু কাব (আমর ইবন
সালিম বিরচিত কবিতা আবৃত্তি করে) বলে : “হে আল্লাহ ! আমি মুহাম্মাদ (সা)-কে তার ও
আমাদের মহাসন্মানিত পিতৃপুরুষদের ওয়াদ৷ অঙ্গীকার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি ৷ হে রাসুল ! আপনি
আমাদেরকে সাহায্য করুন ! আল্লাহ আপনাকে তওফীক দিন এবং আমাদের সাহায্যের জন্যে
এগিয়ে আসতে আপনি আল্লাহর বান্দাদেরকে আহ্বান করুন ৷

মক্কা বিজয়ের বর্ণনায় মুসা ইবন উকব৷ বলেনং এরপর বনু আদ দায়ল এর অংশ বনু
নুফাসাহ বনু কা র এর উপর লুটপা ৷ট চালায় ৷৩ তাদের এ ঘটনা ৷রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও কুরায়শদের
মধ্যে অনুষ্ঠিত সন্ধির সময়ে সংঘটিত হয়েছিল ৷ বনু কা ব রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্ধিবদ্ধ ছিল ৷
অন্যদিকে বনু নুফাসাহ ছিল কুরায়শদের সাথে সম্পৃক্ত ৷৩ তাই কুরায়শদের মিত্র বনু বকর বনু
নুফাসাহ্কে সাহায্য করে ৷ আবার তাদেরকে কুরায়শরাও অস্ত্র শস্ত্র এবং গোলাম দিয়ে সাহায্য
করে ৷ কিন্তু বনু মুদলিজ তাদের থেকে পৃথক থাকে এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে সম্পাদিত
সন্ধি মেনে চলে ৷ বনু আদ-দায়লের দুইজন সর্দার সালামা ইবনুল আসওদ ও কুলদুয ইবনুল
আসওদ আর তাদের সাহায্যকারী সাফওয়ান ইবন উমাইয়া, শায়বা ইবন উসমান এবং সুহায়ল
ইবন আমর , তার৷ সকলে মিলে বনু আমরের সাধারণ জনতার উপর লুটতরাজ চালায় ৷ তাদের


حَبَسْنَاهُمُ فِي دَارَةِ الْعَبْدِ رَافِعٍ ... وَعِنْدَ بُدَيْلٍ مَحْبِسًا غَيْرَ طَائِلِ بِدَارِ الذَّلِيلِ الْآخِذِ الضَّيْمَ بَعْدَمَا ... شَفَيْنَا النُّفُوسَ مِنْهُمُ بِالْمَنَاصِلِ حَبَسْنَاهُمُ حَتَى إِذَا طَالَ يَوْمُهُمْ ... نَفَحْنَا لَهُمْ مِنْ كُلِّ شِعْبٍ بِوَابِلِ نُذَبِّحُهُمْ ذَبْحَ التُّيُوسِ كَأَنَّنَا ... أُسُودٌ تَبَارَى فِيهِمُ بِالْقَوَاصِلِ هُمُ ظَلَمُونَا وَاعْتَدَوْا فِي مَسِيرِهِمْ ... وَكَانُوا لَدَى الْأَنْصَابِ أَوَّلَ قَاتِلِ كَأَنَّهُمُ بِالْجِزْعِ إِذْ يَطْرُدُونَهُمْ ... قَفَا ثَوْرَ حَفَّانُ النَّعَامِ الْجَوَافِلِ قَالَ: فَأَجَابَهُ بُدَيْلُ بْنُ عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْأَجَبِّ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: بُدَيْلُ بْنُ أُمِّ أَصْرَمَ، فَقَالَ: تَعَاقَدَ قَوْمٌ يَفْخَرُونَ وَلَمْ نَدَعْ ... لَهُمْ سَيِّدًا يَنْدُوهُمُ غَيْرَ نَافِلِ أَمِنْ خِيفَةِ الْقَوْمِ الْأُلَى تَزْدَرِيهِمُ ... تُجِيزُ الْوَتِيرَ خَائِفًا غَيْرَ آيِلِ وَفِي كُلِّ يَوْمٍ نَحْنُ نَحْبُو حِبَاءَنَا ... لِعَقْلٍ وَلَا يُحْبَى لَنَا فِي الْمَعَاقِلِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৭২

মহিলা, ছেলেমেয়ে ও দুর্বল পুরুষদের কিছু স ×খ্যককে তারা হত্যা করে এবং অবশিষ্টদেরকে
মক্কায় অবস্থিত বুদায়ল ইবন ওরাকা এর ঘরে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে ৷৩ তাই বণু ক বের একটি
কাফেল৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে তাদের মধ্যে যারা নিহত হয়েছে এবং কুরায়শরা তাদের
বিরুদ্ধে দৃশমনকে যে সাহায্য করেছে এসব সম্বন্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অবহিত করে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাদেরকে বলেন, তোমরা ফিরে যাও এবং বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে ৷
অন্যদিকে আবু সুফিয়ান (রা) পুর্বোক্ত ঘটনার কারণে মক্কা থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে ভীত
সন্ত্রস্ত হয়ে আগমন করে এবং বলে, হে মুহাম্মাদ ! মেয়াদের পরেও সন্ধি নবায়ন করুন ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, এজন্যে কি তুমি এসেছ ? তোমাদের মধ্যে কি কেউ সন্ধি ভঙ্গ করেছে ?
তিনি বললেন, আল্লাহ রক্ষা করুন ! আমরা হুদায়বিয়া ৷র সন্ধি মেনে চলছি ৷ আমরা তা পরিবর্ভা
করব না ৷ এরপর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘর থেকে বের হলেন ও আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর
ঘরে গেলেন এবং বললেন, সন্ধিটি নবায়ন এবং তার সময় বৃদ্ধির ন্াব্রবস্থা কর ৷ আবু বকর (রা
বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর নিরাপত্তাই আমার নিরাপত্তা ৷ আল্লাহর শ পথ, আমি যদি একটি
পিপড়াকেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে দেখি, তাহলে আমি তোমাদের বিরুদ্ধে তাকে সাহায্য
করব ৷ এরপর তিনি বের হয়ে গেলেন এবং উমর (রা)-এর কাছে গিয়ে তার সাথে কথা
বললেন ৷ তিনি জবাব দিলেন, আমাদের সন্ধি যদি নতুনও হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ তাআলা
এটা ৷কে পুরনো করে দিন ৷ আর যদি কো ৷নট৷ মযবুত হয়ে থাকে তাহলে তিনি তা ছিন্ন করে দিন ৷
আবার যদি কো ৷নট৷ কর্তিত হয়ে থ৷ কে তাহলে তিনি এটাকে যেন আর কখনও স×ফুক্ত না করেন ৷
আবু সুফিয়ান তাকে বললেন, আত্মীয়তার বন্ধনের তুমি কো ন মুল্যই দিলে না ! তারপর তিনি
উছমান (রা) এর ঘরে প্রবেশ করেন এবং তার সাথে কথা বলেন ৷ উছমান (রা) বললেন, আমার
নিরাপত্তা রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিরাপত্তার মধ্যেই নিহিত ৷ তারপর তিনি মুসলিম কুরায়শদের
গণ্যমান্য লোকদের সাথে সাক্ষাত করলেন ও তাদের সাথে কথা বললেন ৷ তাদের সকলে জবাব
দিলেন আমাদের সন্ধি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্ধির সাথে সম্পৃক্ত ৷ যখন তিনি তাদের থেকে নিরাশ
হয়ে গেলেন তখন ফাতিমা বিনত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘরে প্রবেশ করেন ও তার সাথে কথা
বলেন ৷ তিনি বলেন, আমি একজন মহিলা ৷ আর এটা হচ্ছে একান্তই রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
ব্যাপার ৷ তখন তিনি ফাতিমা (রা) কে বললেন, তোমার একটি ছেলেকে এরুপ হুকুম কর!
তিনি বললেন, “তারা একা ৷স্তই ছেলে মানুষ ৷৩ তাদের মত অল্পবয়স্করা কাউকে নিরাপত্তা দিতে
পারে না ৷ তিনি বললেন, তাহলে আমাকে আলী (রা) এর সাথে কথা বলার সুযোগ করে দাও ৷
তিনি বললেন, যান আপনি নিজে তার সাথে কথা বলুন ৷ তিনি আলী (রা) এর সাথে কথা
বললেন ৷ আলী (রা) বললেন, হে আবুসুফিয়৷ ন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহাবীগণের মধ্যে কেউই
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুকাবিলায় নিরাপত্তা নিয়ে গোপনে কথা বলবেন না ৷ আর আপনি কুরায়শদের
সর্দার, তাদের মধ্যে সবচাইতে প্রবীণ ও প্রতাপশালী ৷ আপনি আপনার সমাজকে নিরাপত্তা দিন ৷
তিনি বললেন, তুমি ঠিক বলেছ, আমি এরকমই একজন সর্দার ৷ এরপর তিনি বের হয়ে গেলেন
এবং চীৎকার দিয়ে বলতে লাগলেন, শুনে রাখুন, আমি জনগণকে নিরাপত্তা দিচ্ছি ৷ আল্লাহর
শপথ ! আমি ধারণা করি না যে, কেউ আমার এ নিরাপত্তার অংগীকার ভৎগ করবে ৷ তারপর আবু
সুফিয়ান (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে প্রবেশ করলেন এবং বলতে লাগলেন, “হে মুহাম্মাদ ৷


وَنَحْنُ صَبَحْنَا بِالتَّلَاعَةِ دَارَكُمْ ... بِأَسْيَافِنَا يَسْبِقْنَ لَوْمَ الْعَوَاذِلِ وَنَحْنُ مَنَعْنَا بَيْنَ بِيضٍ وَعَتْوَدٍ ... إِلَى خِيفِ رَضْوَى مِنْ مَجَرِّ الْقَنَابِلِ وَيَوْمَ الْغَمِيمِ قَدْ تَكَفَّتَ سَاعِيًا ... عُبَيْسٌ فَجَعْنَاهُ بِجَلْدٍ حُلَاحِلِ أَأَنْ أَجْمَرَتْ فِي بَيْتِهَا أُمُّ بَعْضِكُمْ ... بِجُعْمُوسِهَا تَنْزُونَ إِنْ لَمْ نُقَاتِلِ كَذَبْتُمْ وَبَيْتِ اللَّهِ مَا إِنْ قَتَلْتُمُ ... وَلَكِنْ تَرَكْنَا أَمْرَكُمْ فِي بَلَابِلِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَأَنَّكُمْ بِأَبِي سُفْيَانَ قَدْ جَاءَكُمْ يَشُدُّ فِي الْعَقْدِ وَيَزِيدُ فِي الْمُدَّةِ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ خَرَجَ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ فِي نَفَرٍ مِنْ خُزَاعَةَ، حَتَّى قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرُوهُ بِمَا أُصِيبَ مِنْهُمْ، وَمُظَاهَرَةِ قُرَيْشٍ بَنِي بَكْرٍ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ انْصَرَفُوا رَاجِعِينَ، حَتَّى لَقُوا أَبَا سُفْيَانَ بِعُسْفَانَ، قَدْ بَعَثَتْهُ قُرَيْشٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشُدُّ الْعَقْدَ، وَيَزِيدُ فِي الْمُدَّةِ، وَقَدْ رَهِبُوا لِلَّذِي صَنَعُوا، فَلَمَّا لَقِيَ أَبُو سُفْيَانَ بُدَيْلًا قَالَ: مِنْ أَيْنَ أَقْبَلْتَ يَا بُدَيْلُ؟ وَظَنَّ أَنَّهُ قَدْ
পৃষ্ঠা - ৩৩৭৩
أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: سِرْتُ فِي خُزَاعَةَ فِي هَذَا السَّاحِلِ وَفِي بَطْنِ هَذَا الْوَادِي. قَالَ: فَعَمَدَ أَبُو سُفْيَانَ إِلَى مَبْرَكِ رَاحِلَتِهِ فَأَخَذَ مِنْ بَعْرِهَا فَفَتَّهُ، فَرَأَى فِيهِ النَّوَى، فَقَالَ: أَحْلِفُ بِاللَّهِ لَقَدْ جَاءَ بُدَيْلٌ مُحَمَّدًا. ثُمَّ خَرَجَ أَبُو سُفْيَانَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، فَدَخَلَ عَلَى ابْنَتِهِ أُمِّ حَبِيبَةَ، فَلَمَّا ذَهَبَ لِيَجْلِسَ عَلَى فِرَاشِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَوَتْهُ، فَقَالَ: يَا بُنَيَّةُ، مَا أَدْرِي أَرَغِبْتِ بِي عَنْ هَذَا الْفِرَاشِ أَوْ رَغِبْتِ بِهِ عَنِّي؟ فَقَالَتْ: هُوَ فِرَاشُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْتَ مُشْرِكٌ نَجِسٌ، فَلَمْ أُحِبَّ أَنْ تَجْلِسَ عَلَى فِرَاشِهِ. فَقَالَ: يَا بُنَيَّةُ، وَاللَّهِ لَقَدْ أَصَابَكِ بَعْدِي شَرٌّ. ثُمَّ خَرَجَ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَلَّمَهُ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا، ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَكَلَّمَهُ أَنْ يُكَلِّمَ لَهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَا أَنَا بِفَاعِلٍ. ثُمَّ أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَكَلَّمَهُ، فَقَالَ عُمَرُ: أَنَا أَشْفَعُ لَكُمْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟! فَوَاللَّهِ لَوْ لَمْ أَجِدْ لَكُمْ إِلَّا الذَّرَّ لَجَاهَدْتُكُمْ بِهِ. ثُمَّ خَرَجَ فَدَخَلَ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَعِنْدَهُ فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدَهَا حَسَنٌ، غُلَامٌ يَدِبُّ بَيْنَ يَدَيْهِمَا، فَقَالَ: يَا عَلِيُّ، إِنَّكَ أَمَسَّ الْقَوْمِ بِي رَحِمًا، وَأَقْرَبَهُمْ مِنِّي قَرَابَةً، وَقَدْ جِئْتُ فِي حَاجَةٍ، فَلَا أَرْجِعَنَّ كَمَا جِئْتُ خَائِبًا، فَاشْفَعْ لِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: وَيْحَكَ أَبَا سُفْيَانَ! وَاللَّهِ لَقَدْ عَزَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَمْرٍ مَا نَسْتَطِيعُ أَنْ نُكَلِّمَهُ فِيهِ. فَالْتَفَتَ إِلَى فَاطِمَةَ فَقَالَ: يَا بِنْتَ مُحَمَّدٍ، هَلْ لَكِ أَنْ تَأْمُرِي بُنَيَّكِ هَذَا فَيُجِيرُ بَيْنَ النَّاسِ، فَيَكُونُ سَيِّدَ الْعَرَبِ إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ؟ فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا بَلَغَ بُنَيَّ ذَلِكَ أَنْ يُجِيرَ بَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৭৪

আমি জনগণকে নিরাপত্তা ৷৷প্রদ ন করেছি ৷ আল্লাহর শপথ, আমি ধারণা করিনা যে, কেউ আমার এ
নিরাপত্তা ৷র অং পীকার ভঙ্গ করবে এবং আমার নিরাপত্তাকে কেউ প্রত্যাখ্যান করবে ৷ রাসুলুল্পাহ্
(সা) বললেন, “হে আবুহানযালা ও এটা ৷ওধুতু মিই বলছ ৷” তখন আবুসুফিয়ান (বা) এ কথার
উপর বের হয়ে গেলেন ৷ ইতিহাসবিদপণ বলেন, (আল্পাহ্ অধিক পবিজ্ঞা ৩ ) যখন আবু সুফিয়ান
(বা) চলে যাচ্ছিলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, “হে আল্লাহ্ ! তাদের শোনার ও দেখার
শক্তি রহিত করে দিন ৷ তারা যেন আমাদেরকে আকস্মিকভাবে দেখে ও; অতর্কিতে আমাদের কথা
শোনে ৷ এদিকে আবু সুফিয়ান (বা) মক্কায় ফিরে গেলেন ৷ কুরায়শর৷ প্রশ্ন করল, খবর কী ?
মুহাম্মাদ (সা) হতে কি কোন চুক্তিনামা বা অঙ্গীকা ৷র নিয়ে আসতে পারলেন ? তিনি বললেন, না’

আল্লাহর শপথ, তিনিত মতে স্বীকৃত হননি ৷ এরপর আমি তার স হ্ার্বী ৷দের সাথে পরপর কথা
বলেছি ৷ আমি এরুপ কোন সম্প্রদায় আর দেখিনি যারা তাদের শাসনকর্তা ৷র প্ৰতি এদের চাইতে
বেশি অনুগত ৷ শুধুমাত্র আ ৷লী (রা) আমাকে বলেছেন, তৃমি তোমার লোকজ্যনর কাছে নিরাপত্তা
চাও ! তুমি৩ তো মার সম্প্রদ৷ য়কে নিরাপত্তা কেন দিতে যাবে ? তুমি কুরায়শদের সর্দার, তুমি তাদের
সকলের চাইতে প্রবীণ ৷এবং তুমি সকলের চেয়ে বেশী হকদা র যে , তােমা র নিরাপত্তা অঙ্গীকার
কেউই ভঙ্গ করবে না ৷’ আবু সুফিয়ান বলেন, আমি নিরাপত্তার ঘোষণ ৷ ৷দিলাম এবং পরে আমি
মুহাম্মাদের কাছে গেলাম ৷ আর আমিত ৷র কাছে উল্লেখ করলাম যে, আমি জনগণকে নিরাপত্তা
দান করেছি এবং এও বললাম, আমার মনে হয় না, কেউ আমার নিরাপত্তা ভঙ্গ করবে ৷ তিনি
বললেন, “হে আবু হানৃযাল৷ তুমিই শুধু এটা বলছ ৷” তারা তখন আবু সুফিয়া ৷নের প্রতিউত্তরে
বলল, ত ৷র ৷সম্মতি ছাড়ইি আপনি নিজে নিজে সম্মত হয়ে এসেছেন ৷ আর আপনি এমন বস্তু নিয়ে
এসেছেন যার মধ্যে আমাদের বা আপনার কোন উপকার নেই ৷ আলী (বা) আপনার সাথে উপহাস
করেছেন ৷ আল্লাহর শপথ আপনার নিরাপত্তার ঘোষণ ৷ ৷বৈধ নয় ৷ আর এ নিরাপত্তা ঘোষণার বর-
থেলাপ করা তাদের জন্যে খুবই সহজ ৷ এরপর আ বু সুফিয়ান তা ৷র ত্রীর কাছে গেলেন এবং তার

কাছে সমস্ত ঘটনা ৷খুলে বললেন ৷ তা ৷র ত্রী বললেন, সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে আল্লাহ্ তোমার
চেহারা কুৎসিত করুন ৷ তুমি কোন মঙ্গলই নিয়ে আসতে পারনি ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একটি মেঘখণ্ড দেখে বলেছিলেন, “এ মেঘ খণ্ডটিও বনু কা বের সাহায্যে বর্ষিত হবে ৷” আবু
সুফিয়ান (বা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছ থেকে বের হয়ে আসার পর যতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ৷টা
আল্লাহর মঞ্জুর ছিল ততদিন পর্যন্ত তিনি অপেক্ষায় রইলেন ৷ এরপর তিনি তৈরী হতে লাগলেন ৷
আইশা (বা ) কে তৈরী হত ৩নির্দেশ দিলেন ৷ আর তা গোপন রাখতেও বললেন ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদের দিকে বের হয়ে গেলেন অথবা কোন প্রয়োজনে কোথায়ও পেলেন ৷
আবু বকর (বা) আইশা (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং দেখতে পেলেন আইশা (বা) গম
পরিষ্কার করছেন ৷ তিনি তাকে বললেন, “হে আমার কন্যা ! এ খাবার কেন তৈরী করছ ? তিনি
চুপ করে রইলেন ৷ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি কোন যুদ্ধে যেতে মনস্থ করেছেন ? তিনি
নিরুত্তর রইলেন ৷ আবু বকর (বা) আবারো বললেন, তিনি কি বনুল আসৃফার অর্থাৎ রোমানদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবেন ? তিনি চুপ করে রইলেন ৷ তিনি আবার বললেন, হয়ত নজদবাসীদের
উদ্দেশ্যে অভিযানে যাবেন ? আইশা (রা) এবারও চুপ করে রইলেন ৷ তিনি আবার জিজ্ঞেস
করলেন, সম্ভবত কুরায়শদের বিরুদ্ধে তিনি এবার যুদ্ধ করবেন ? আইশা সিদ্দীকা (বা) এবারও


النَّاسِ، وَمَا يُجِيرُ أَحَدٌ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا أَبَا الْحَسَنِ إِنِّي أَرَى الْأُمُورَ قَدِ اشْتَدَّتْ عَلَيَّ، فَانْصَحْنِي؟ قَالَ: وَاللَّهِ مَا أَعْلَمُ شَيْئًا يُغْنِي عَنْكَ، وَلَكِنَّكَ سَيِّدُ بَنِي كِنَانَةَ، فَقُمْ فَأَجِرْ بَيْنَ النَّاسِ، ثُمَّ الْحَقْ بِأَرْضِكَ. فَقَالَ: أَوَ تَرَى ذَلِكَ مُغْنِيًا عَنِّي شَيْئًا؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ مَا أَظُنُّ، وَلَكِنْ لَا أَجِدُ لَكَ غَيْرَ ذَلِكَ، فَقَامَ أَبُو سُفْيَانَ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ أَجَرْتُ بَيْنَ النَّاسِ. ثُمَّ رَكِبَ بَعِيرَهُ فَانْطَلَقَ، فَلَمَّا أَنْ قَدِمَ عَلَى قُرَيْشٍ قَالُوا: مَا وَرَاءَكَ؟ قَالَ: جِئْتُ مُحَمَّدًا فَكَلَّمْتُهُ، فَوَاللَّهِ مَا رَدَّ عَلَيَّ شَيْئًا، ثُمَّ جِئْتُ ابْنَ أَبِي قُحَافَةَ، فَوَاللَّهِ مَا وَجَدْتُ فِيهِ خَيْرًا، ثُمَّ جِئْتُ عُمَرَ فَوَجَدْتُهُ أَعْدَى الْعَدُوِّ، ثُمَّ جِئْتُ عَلِيًّا فَوَجَدْتُهُ أَلْيَنَ الْقَوْمِ، وَقَدْ أَشَارَ عَلَيَّ بِأَمْرٍ صَنَعْتُهُ، فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي هَلْ يُغْنِي عَنَّا شَيْئًا أَمْ لَا؟ قَالُوا: بِمَاذَا أَمَرَكَ؟ قَالَ: أَمَرَنِي أَنْ أُجِيرَ بَيْنَ النَّاسِ فَفَعَلْتُ. قَالُوا: هَلْ أَجَازَ ذَلِكَ مُحَمَّدٌ؟ قَالَ: لَا. قَالُوا: وَيْحَكَ! مَا زَادَكَ الرَّجُلُ عَلَى أَنْ لَعِبِ بِكَ، فَمَا يُغْنِي عَنَّا مَا قُلْتَ. فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ مَا وَجَدْتُ غَيْرَ ذَلِكَ. فَائِدَةٌ ذَكَرَهَا السُّهَيْلِيُّ، تَكَلَّمَ عَلَى قَوْلِ فَاطِمَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ: وَمَا يُجِيرُ أَحَدٌ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. عَلَى مَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ: «وَيُجِيرُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ أَدْنَاهُمْ» قَالَ: وَجْهُ الْجَمْعِ بَيْنَهُمَا، بِأَنَّ الْمُرَادَ بِالْحَدِيثِ مَنْ يُجِيرُ وَاحِدًا أَوْ نَفَرًا يَسِيرًا، وَقَوْلُ فَاطِمَةَ فِيمَنْ يُجِيرُ عَدُوًّا مِنْ غَزْوِ الْإِمَامِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৭৫

চুপ করে রইলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ আবু বকর সিদ্দীক (রা)
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি কি কােথায়ও যুদ্ধে যাচ্ছেন ? তিনি বললেন, হীত্ব ৷ এরপর
তিনি বললেন, আপনি হয়ত বনুল আসৃফারের দিকে অভিযান পরিচালনা করবেন ? রাসুলুল্লাহ্ (না)
বললেন, না’ ৷ তিনি বললেন, “তাহলে কি নজদবাসীদের উদ্দেশ্যে রওয়ড়ানা হবেন ?” তিনি
বললেন, “না ৷” এরপর তিনি বললেন, “সম্ভবত কুরায়শদের বিরুদ্ধে আপনি যুদ্ধ করবেন ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “হী৷ ৷” আবু বকর (বা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনার মধ্যে ও
তাদের মধ্যে একটি সন্ধি রয়েছে না ? রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কি জাননা , তারা বনুকাবের
সাথে কী আচরণ করেছে ? রাবী বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাধারণ্যে যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন ৷
হাতির ইবন আবুবালুতাআ (রা) কুরায়শদের উদ্দেশ্যে একটি পত্র লিখেন; কিন্তু আল্লাহ তাআলা
তার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে এ বিষয়ে অবহিত করে দিলেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক আইশা সিদ্দীকা (র ) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আবু বকর সিদ্দীক (বা) আইশা সিদ্দীকা (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ দেখলেন, তিনি গম
চালছেন ৷ তিনি বললেন, এটা কী ? রাসুলুল্লাহ্ (না) কি তোমাকে প্রন্তুতির হুকুম দিয়েছেন ? তিনি
বললেন, হী৷ ৷ ’ আবু বকর (রা ) বললেন, কোথায় ষ্’ আইশা (বা) বললেন, “তিনি আমার কাছে
জায়গার নাম বলেননি, শুধু আমাকে তৈরী হতে বলেছেন ৷”

ইবন ইসহাক বলেন, “এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) জনগণকে অবহিত করলেন যে, তিনি মক্কার
উদ্দেশ্যে রওয়ড়ানা হবেন ৷ তাই তিনি তাদেরকে তৈরী হতে বললেন ৷ তিনি আরো বললেন, হে
আল্লাহ ! কুরায়শ থেকে খবরটি গোপন রাখ যাতে আমরা তাদের শহরে পৌছে তাদেরকে
আকম্মিকভাংব আক্রমণ করতে পারি ৷ তারপর লোকজন তৈরী হল ৷ জনগণকে উৎসাহিত করার
জন্যে বনু খুযাআর উপর আপতিত ঘুসীবতের বর্ণনায় হাসৃসান ইবন ছাবিত বলেন £

আমার উটের লাগান আমার হাতে, আমি তৈরী কিন্তু আমি এখনও মক্কার বাতহায় পৌছতে
পারিনি ৷ সেখানে বনু কাবের লোকদের গলা কাটা হয়েছে এমন লোকদের দ্বারা যারা প্রকাশ্যে
শত্রুর বিরুদ্ধে তলোয়ার কােষমুক্ত করেনি ৷ এতবেশী লোক তারা হত্যা করেছে যাদেরকে
যথারীতি কাপড় দিয়ে উত্তমরুপে কাফন দেয়া সম্ভব হয়নি ৷ আফসােস, যদি আমি জানতে পারতাম
যখন আমার সাহায্য সুহায়ল ইবন আমরের বিরুদ্ধে পৌছবে ৷ কেননা, সে যুদ্ধকে ভড়কে
দিয়েছিল এবং যুদ্ধের ঘীটিকে উত্তপ্ত করেছিল ৷ আমার সাহায্য কি কাপুরুষ সাফওয়ানের বিরুদ্ধে
পৌছবে ৷ প্ৰতিশোধ নেয়ার জন্যে এখনই যুদ্ধের সময় এবং যুদ্ধের জন্যে তৈরী হওয়ার সময় ৷
হে উম্মে মুজালিদের পুত্র (ইকরামড়া ইবন আবু জাহ্ল) ! আমাদের হাত থেকে তুমি নিজেকে
নিরাপদ মনে করোনা যখন যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করবে ৷ র্চেচামেচি করে লাভ হবে না ৷
আমাদের তলোয়ারগুলো যুদ্ধের প্রারন্তেই ভীষণ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে প্রস্তুত ৷


إِيَّاهُمْ، فَلَيْسَ لَهُ ذَلِكَ. قَالَ: كَانَ سُحْنُونُ وَابْنُ الْمَاجِشُونِ يَقُولَانِ: إِنَّ أَمَانَ الْمَرْأَةِ مَوْقُوفٌ عَلَى إِجَازَةِ الْإِمَامِ، لِقَوْلِهِ لِأُمِّ هَانِئٍ: «قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ» . قَالَ: وَيُرْوَى هَذَا عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ: لَا يَجُوزُ أَمَانُ الْعَبْدِ. وَفِي قَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «وَيُجِيرُ عَلَيْهِمْ أَدْنَاهُمْ» مَا يَقْتَضِي دُخُولَ الْعَبْدِ وَالْمَرْأَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَتْ بَنُو كَعْبٍ: لَاهُمَّ إِنِّي نَاشِدٌ مُحَمَّدًا ... حِلْفَ أَبِينَا وَأَبِيهِ الْأَتْلَدَا فَانْصُرْ هَدَاكَ اللَّهُ نَصْرًا أَعْتَدَا ... وَادْعُ عِبَادَ اللَّهِ يَأْتُوا مَدَدَا وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي فَتْحِ مَكَّةَ: ثُمَّ إِنَّ بَنِي نُفَاثَةَ مِنْ بَنِي الدُّئِلِ أَغَارُوا عَلَى بَنِي كَعْبٍ، وَهُمْ فِي الْمُدَّةِ الَّتِي بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ قُرَيْشٍ، وَكَانَتْ بَنُو كَعْبٍ فِي صُلْحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتْ بَنُو نُفَاثَةَ فِي صُلْحِ قُرَيْشٍ، فَأَعَانَتْ بَنُو بَكْرٍ بَنِي نُفَاثَةَ، وَأَعَانَتْهُمْ قُرَيْشٌ بِالسِّلَاحِ وَالرَّقِيقِ، وَاعْتَزَلَتْهُمْ بَنُو مُدْلِجٍ، وَوَفَوْا بِالْعَهْدِ الَّذِي كَانُوا عَاهَدُوا عَلَيْهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِي بَنِي الدُّئِلِ رَجُلَانِ هُمَا سَيِّدَاهُمْ، سَلْمُ بْنُ الْأَسْوَدِ، وَكُلْثُومُ بْنُ الْأَسْوَدِ، وَيَذْكُرُونَ أَنَّ مِمَّنْ أَعَانَهُمْ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ، وَشَيْبَةَ بْنَ عُثْمَانَ، وَسُهَيْلَ بْنَ عَمْرٍو، فَأَغَارَتْ بَنُو الدُّئِلِ عَلَى بَنِي عَمْرٍو، وَعَامَّتُهُمْ - زَعَمُوا - نِسَاءٌ وَصِبْيَانٌ وَضُعَفَاءُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৭৬
الرِّجَالِ فَأَلْجَئُوهُمْ وَقَتَلُوهُمْ حَتَّى أَدْخَلُوهُمْ إِلَى دَارِ بُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ بِمَكَّةَ، فَخَرَجَ رَكْبٌ مِنْ بَنِي كَعْبٍ حَتَّى أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرُوا لَهُ الَّذِي أَصَابَهُمْ، وَمَا كَانَ مِنْ قُرَيْشٍ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْجِعُوا فَتَفَرَّقُوا فِي الْبُلْدَانِ ". وَخَرَجَ أَبُو سُفْيَانَ مِنْ مَكَّةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَخَوَّفَ الَّذِي كَانَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، اشْدُدِ الْعَقْدَ، وَزِدْنَا فِي الْمُدَّةِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَلِذَلِكَ قَدِمْتَ؟ هَلْ كَانَ مِنْ حَدَثٍ قِبَلَكُمْ؟ " فَقَالَ: مَعَاذَ اللَّهِ، نَحْنُ عَلَى عَهْدِنَا وَصُلِحِنَا يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ، لَا نُغَيِّرُ وَلَا نُبَدِّلُ. فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَتَى أَبَا بَكْرٍ فَقَالَ: جَدِّدِ الْعَقْدَ، وَزِدْنَا فِي الْمُدَّةِ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: جِوَارِي فِي جِوَارِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهِ لَوْ وَجَدْتُ الذَّرَّ تُقَاتِلُكُمْ لَأَعَنْتُهَا عَلَيْكُمْ. ثُمَّ خَرَجَ فَأَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَكَلَّمَهُ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: مَا كَانَ مِنْ حِلْفِنَا جَدِيدًا فَأَخْلَقَهُ اللَّهُ، وَمَا كَانَ مِنْهُ مَتِينًا فَقَطَعَهُ اللَّهُ، وَمَا كَانَ مِنْهُ مَقْطُوعًا فَلَا وَصَلَهُ اللَّهُ، فَقَالَ لَهُ أَبُو سُفْيَانَ: جُزِيتَ مِنْ ذِي رَحِمٍ شَرًّا. ثُمَّ دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ فَكَلَّمَهُ، فَقَالَ عُثْمَانُ: جِوَارِي فِي جِوَارِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ اتَّبَعَ أَشْرَافَ قُرَيْشٍ يُكَلِّمُهُمْ، فَكُلُّهُمْ يَقُولُ: عَقْدُنَا فِي عَقْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا يَئِسَ مِمَّا عِنْدَهُمْ، دَخَلَ عَلَى فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَلَّمَهَا، فَقَالَتْ: إِنَّمَا أَنَا امْرَأَةٌ، وَإِنَّمَا ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ لَهَا: فَأْمُرِي أَحَدَ ابْنَيْكِ. فَقَالَتْ: إِنَّهُمَا صَبِيَّانِ، وَلَيْسَ مِثْلُهُمَا يُجِيرُ. قَالَ: فَكَلِّمِي عَلِيًّا
পৃষ্ঠা - ৩৩৭৭

হাতির ইবন আবু বালতাআর ঘটনা

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) উরওয়া ইবন যুবায়র (রা) প্রমুখ আলিমগণ <;খকে বর্ণনা করেন,
তারা বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা অভিযানে যেতে মনস্থ করলেন তখন হাতির ইবন আবু
বালতাআ (রা) কুরায়শদের কাছে একটি পত্র লিখেন ৷ তাতে তিনি লিখেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মক্কা অভিযানে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৷ তারপর তা’ তিনি একজন মহিলার কাছে সমর্পণ করেন ৷ মুহাম্মাদ
ইবন জাফর বলেন, এ মহিলাঢি মুযায়না গোত্রের ৷ অন্যান্যরা মনে করেন যে, মহিলাঢিয় নাম
সারা ৷ যে ছিল বনুআরদুল মুত্তালিবের কারোর দাসী ৷ কুরায়শদের কাছে এ পত্রটি পৌছিয়ে দেয়ার
বিনিময়ে তিনি তাকে উপযুক্ত পারিশ্রমিকও দেন ৷ সে পত্রটি তার মাথার চুলে ব্লেখেছিল এবং চুল
দিয়ে তার সাথে বেণী বেধেছিল ৷ হাতির (রা)এর এ ব্যাপারটি সম্বন্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে
আসমান থেকে খবর আসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালির (রা) ও যুবায়র ইবন
আওয়াম (রা)-কে প্রেরণ করেন এবং বলেন, তোমরা দুজনে একজন মহিলাকে পারে যার দ্বারা
হাতির ইবন আবু বালতাআ (রা) কুরায়শদেরকে একটি পত্র লিখেছে ৷ তাদের প্রতি আক্রমণ
করার জন্যে আমরা যে মনস্থ করেছি এ সম্বন্ধে যে এ পত্রে তাদেরকে ভুশিয়ার করেছে ৷ তারা
দুজন বের হয়ে গেলেন এবং সে মহিলাকে তারা রনু আবু আহমদের হুলাইফায় (তৃণভুমিতে)
পেলেন ৷ র্তারা দুজন তাকে অবতরণ করতে অনুরোধ করলেন এবং তার বাহনের হাওদায় তল্লাশী
চলোঃলন; কিন্তু তাতে কোন কিছু পেলেন না ৷ আলী (রা) তাকে বললেন, আমি আল্লাহ্র শপথ
করে বলছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিথ্যা রলেননি ৷ আর আমরাও মিথ্যা বলছিনা ৷ তুমি আমাদের কাছে
এ পত্রটি সমর্পণ কর নচেৎ আমরা তোমার কাপড় খুলে তল্লাশী চালাব ৷ যখন মহিলাঢি তাদের দৃঢ়
প্রত্যয় দেখতে পেল , তখন বলল, আপনি অন্য দিকে মুখ ফিরান ৷ তিনি অন্যদিকে মুখ
ফিরালেন ৷ তখন মহিলাঢি তার মাথার খোপা থেকে পত্রটি বের করে দিল ৷ আলী (রা) ও যুবায়র
(বা) এ পত্রটি নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে পেশ করলেন ৷ তিনি হাতির (রা)-কে ডেকে
পাঠালেন এবং বললেন, “ হে হাতির ! একাজ করতে তোমাকে কিসে প্ররােচিত করল ? তিনি
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আল্লাহ্র শপথ, আমি আল্লাহ্ ও আল্লাহ্র রাসুলের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস
রাখি ৷ আমি আমার বিশ্বাস ও ধর্ম পরিবর্তা করিনি; কিন্তু আমি এমন এক ব্যক্তি যার মক্কারাসীদের
কাছে কোন পোত্রগােষ্ঠী নেই এবং আপন জন বলতেও কেউ নেই ৷ কিন্তু তাদের মাঝে আমার শ্রী
পুত্ররা রয়ে গেছে ৷ তাই আমি তাদের একটু ইহ্সান করতে ইচ্ছে করেছিলাম যাতে তারা
পরিবাররর্গের প্রতি একটু লক্ষ্য রাখে ৷ উমর ইবন খাত্তার (রা) বলে উঠলেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
এ মুনাফিককে হত্যা করার জন্যে আমাকে অনুমতি দিন ! কেননা, এতো মুনাফিকী করেছে ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, “হে উমর (রা) ! তুমি কি আমরা বদরের যুদ্ধের দিন আল্লাহ্ তাআলা


فَقَالَتْ: أَنْتَ فَكَلِّمْهُ، فَكَلَّمَ عَلِيًّا، فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا سُفْيَانَ، إِنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْتَاتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجِوَارٍ، وَأَنْتَ سَيِّدُ قُرَيْشٍ وَأَكْبَرُهَا وَأَمْنَعُهَا، فَأَجِرْ بَيْنَ عَشِيرَتِكَ. قَالَ: صَدَقْتَ، وَأَنَا كَذَلِكَ. فَخَرَجَ فَصَاحَ: أَلَا إِنِّي قَدْ أَجَرْتُ بَيْنَ النَّاسِ، وَلَا وَاللَّهِ مَا أَظُنُّ أَنْ يُخْفِرَنِي أَحَدٌ. ثُمَّ دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنِّي قَدْ أَجَرْتُ بَيْنَ النَّاسِ، وَلَا وَاللَّهِ مَا أَظُنُّ أَنْ يُخْفِرَنِي أَحَدٌ وَلَا يَرُدَّ جِوَارِي. فَقَالَ: " أَنْتَ تَقُولُ يَا أَبَا حَنْظَلَةَ؟ ! " فَخَرَجَ أَبُو سُفْيَانَ عَلَى ذَلِكَ، فَزَعَمُوا - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حِينَ أَدْبَرَ أَبُو سُفْيَانَ: " «اللَّهُمَّ خُذْ عَلَى أَسْمَاعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ، فَلَا يَرَوْنَا إِلَّا بَغْتَةً، وَلَا يَسْمَعُوا بِنَا إِلَّا فَجْأَةً» ". وَقَدِمَ أَبُو سُفْيَانَ مَكَّةَ، فَقَالَتْ لَهُ قُرَيْشٌ: مَا وَرَاءَكَ؟ هَلْ جِئْتَ بِكِتَابٍ مِنْ مُحَمَّدٍ أَوْ عَهْدٍ؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ، لَقَدْ أَبَى عَلَيَّ، وَقَدْ تَتَبَّعْتُ أَصْحَابَهُ، فَمَا رَأَيْتُ قَوْمًا لِمَلِكٍ عَلَيْهِمْ أَطَوَعَ مِنْهُمْ لَهُ، غَيْرَ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَدْ قَالَ لِي: لِمَ تَلْتَمِسُ جِوَارَ النَّاسِ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَلَا تُجِيرُ أَنْتَ عَلَيْهِ وَعَلَى قَوْمِكَ، وَأَنْتَ سَيِّدُ قُرَيْشٍ وَأَكْبَرُهَا وَأَحَقُّهَا أَنْ لَا يُخْفَرَ جِوَارُهُ؟ فَقُمْتُ بِالْجِوَارِ، ثُمَّ دَخَلْتُ عَلَى مُحَمَّدٍ، فَذَكَرْتُ لَهُ أَنِّي قَدْ أَجَرْتَ بَيْنَ النَّاسِ، وَقُلْتُ: مَا أَظُنُّ أَنْ تُخْفِرَنِي. فَقَالَ: " أَنْتَ تَقُولُ ذَلِكَ يَا أَبَا حَنْظَلَةَ؟ ! " فَقَالُوا مُجِيبِينَ لَهُ: رَضِيتَ بِغَيْرِ رِضًا، وَجِئْتَنَا بِمَا لَا يُغْنِي عَنَّا وَلَا عَنْكَ شَيْئًا، وَإِنَّمَا لَعِبَ بِكَ عَلِيٌّ، لَعَمْرُ اللَّهِ مَا جِوَارُكَ بِجَائِزٍ، وَإِنَّ إِخْفَارَكَ عَلَيْهِمْ لَهَيِّنٌ. ثُمَّ دَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ فَحَدَّثَهَا الْحَدِيثَ فَقَالَتْ: قَبَّحَكَ اللَّهُ مِنْ وَافِدِ قَوْمٍ، فَمَا جِئْتَ بِخَيْرٍ. قَالَ: وَرَأَى رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৭৮


বদরের যুদ্ধে অংশঃা ন্াগ্রহণকারীদের উপর সদয় হয়ে বলেছিলেন ৷ তোমরা যা ইচ্ছে করতে পার ৷
আমিও তামাদের মার্জ্যা করে দিয়েছি ?”

হাতির (রা) সম্বন্ধে আল্লাহ তাআালা ইরশা দ করেন



৷ ড্রুঠুঝু এে

অর্থাৎ হে মু’মিনগণ ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরুপে গ্রহশ্া করবে না ৷ তোমরা
তাদের সাথে বন্ধুতৃ করছ অথচ তারা তোমাদের নিকট যে সত্য এসেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে,
রাসুলকে এবং তোমাদেরকে বহিষ্কার করেছ এ কারণে যে, তোমরা তোমাদের প্ৰতিপালক
আল্ল হতে বিশ্বাস কর ৷ (৬০ ঘুম৩ তাহিনা ১ ৬)

ইবন ইসহাক (র) উপরোক্ত ঘটনাটি মুরসালরুপে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ সুহায়লী উল্লেখ
করেন যে, হাতির (রা)৩ তার পত্রে লিখেছিলেন, নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিশাল বাহিনী নিয়ে
তোমাদের দিকে রওয়ানা হয়েছেন ৷ প্লাবনের গতিতে তারা এগিয়ে চলেছেন ৷ আল্লাহর শপথ
করে আমি বলছি, তিনি যদি একাই এ অভিযান পরিচালনা করেন তাহলে আল্লাহ্ তাআলা
তোমাদের বিরুদ্ধে তাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন ৷ কেননা, তার ওয়াদা তিনি অবশ্যই পুর্ণ
করবেন ৷ রাবী বলেন, ইবনে সালামের তাফসীরে আছে যে, হ মির (রা) লিখেছিলেন যে, মুহাম্মাদ
(সা) ঘর থেকে বের হয়ে পড়েছেন, জানি না তোমাদের দিকে, না কি অন্য কোন দিকে অগ্রসর
হচ্ছেন ? তবে তোমাদের উচিত সারধানতা অবলম্বন করা ৷

ইমাম বুখারী (র) আলী (রা) হত ৩বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একদিন আমাকে যুবায়র (রা) ও মিকদাদ (রা) কে প্রেরণ করলেন এবং বললেন, “তোমরা
চলতে থাকবে যতক্ষণ না তোমরা রওযায়ে খাখ নামক স্থানে পৌছ ৷ ঐখানে তোমরা একজন
আরোহিণীকে পারে, তার সাথে একটি পত্র রয়েছে ৷ তার থেকে পত্রঢি উদ্ধার করে নিয়ে
আসবে ৷ ’আলী (রা) বলেন, আমরা এরপর চলতে লাগলাম ৷ আমাদেরকে নিয়ে আমাদের
সওয়ারী খুব দ্রুত চলতে লাগল যতক্ষণ না আমরা রওযায়ে খাংখ পৌছি ৷ সেখানে পৌছে আমরা
একজন আরােহিণীকে পেলাম ৷ তখন আমরা তাকে বললাম, পএটি বের করে দাও ! সে বলল,
আমার কাছে কোন পত্র নেই ৷ আমরা তাকে রললাম, পত্র বের করে দেবে নচেৎ আমরা তোমার
কাপড় খুলে তল্লাশী করতে বাধ্য হলো ৷ রাবী বলেন, এরপর সে চুলের থাোপা থেকে পএটি বের
করে দিল ৷ পত্রটি নিয়ে এসে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে সমর্পণ করলাম ৷ পত্রে লিখা জ্যি ,
হাতির ইবন আবু বালতাআ হতে মক্কার মুশরিক জনগণের প্রতি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কিছু
কর্মকান্ড সম্বন্ধে সে মুশরিকদেরকে খবর দিচ্ছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাতিবকে (রা) বললেন, হে
হাতির (রা) ! এটা কী ? তিনি বললেন, “হে আল্লাহ্র রাসুল ! দয়া করে আমার সম্বন্ধে ত্রিৎ
সিদ্ধান্ত নেবেন না ৷ আমি কুরায়শদের সাথে জড়িত ছিলাম ৷ আমি তাদের মিত্র ছিলাম ৷ কিন্তু

৬২ —

صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَحَابًا فَقَالَ: " «إِنَّ هَذِهِ السَّحَابَ لَتَبِضُّ بِنَصْرِ بَنِي كَعْبٍ» " فَمَكَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَمْكُثَ بَعْدَمَا خَرَجَ أَبُو سُفْيَانَ، ثُمَّ أَخَذَ فِي الْجِهَازِ، وَأَمَرَ عَائِشَةَ أَنْ تُجَهِّزَهُ وَتُخْفِيَ ذَلِكَ، ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَسْجِدِ أَوْ إِلَى بَعْضِ حَاجَاتِهِ، فَدَخَلَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى عَائِشَةَ، فَوَجَدَ عِنْدَهَا حِنْطَةً تُنْسَفُ وَتُنَقَّى، فَقَالَ لَهَا: يَا بُنَيَّةُ، لِمَاذَا تَصْنَعِينَ هَذَا الطَّعَامَ؟ فَسَكَتَتْ، فَقَالَ: أَيُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَغْزُوَ؟ فَصَمَتَتْ، فَقَالَ: يُرِيدُ بَنِي الْأَصْفَرِ؟ - وَهُمُ الرُّومُ - فَصَمَتَتْ قَالَ: فَلَعَلَّهُ يُرِيدُ أَهْلَ نَجْدٍ؟ فَصَمَتَتْ قَالَ: فَلَعَلَّهُ يُرِيدُ قُرَيْشًا؟ فَصَمَتَتْ قَالَ: فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتُرِيدُ أَنْ تَخْرُجَ مَخْرَجًا؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: فَلَعَلَّكَ تُرِيدُ بَنِي الْأَصْفَرِ؟ قَالَ: " لَا ". قَالَ: أَتُرِيدُ أَهْلَ نَجْدٍ؟ قَالَ: " لَا ". قَالَ: فَلَعَلَّكَ تُرِيدُ قُرَيْشًا؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَيْسَ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُمْ مُدَّةٌ؟ قَالَ: " أَلَمْ يَبْلُغْكَ مَا صَنَعُوا بِبَنِي كَعْبٍ؟ قَالَ: وَأَذَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ بِالْغَزْوِ، وَكَتَبَ حَاطِبُ بْنُ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى قُرَيْشٍ، وَأَطْلَعَ اللَّهُ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْكِتَابِ، وَذَكَرَ الْقِصَّةَ كَمَا سَيَأْتِي. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، وَهِيَ تُغَرْبِلُ حِنْطَةً، فَقَالَ: مَا هَذَا؟ أَمَرَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْجِهَازِ؟ قَالَتْ: نَعَمْ فَتَجَهَّزْ، قَالَ: وَإِلَى أَيْنَ؟ قَالَتْ: مَا سَمَّى لَنَا شَيْئًا، غَيْرَ أَنَّهُ قَدْ أَمَرَنَا بِالْجِهَازِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৭৯
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْلَمَ النَّاسَ أَنَّهُ سَائِرٌ إِلَى مَكَّةَ، وَأَمَرَ بِالْجِدِّ وَالتَّهَيُّؤِ، وَقَالَ: " اللَّهُمَّ خُذِ الْعُيُونَ وَالْأَخْبَارَ، عَنْ قُرَيْشٍ، حَتَّى نَبْغَتَهَا فِي بِلَادِهَا فَتَجَهَّزَ النَّاسُ» ، فَقَالَ حَسَّانُ يُحَرِّضُ النَّاسَ، وَيَذْكُرُ مُصَابَ خُزَاعَةَ: عَنَانِي وَلَمْ أَشْهَدْ بِبَطْحَاءِ مَكَّةَ ... رِجَالُ بَنِي كَعْبٍ تُحَزُّ رِقَابُهَا بِأَيْدِي رِجَالٍ لَمْ يَسُلُّوا سُيُوفَهُمْ ... وَقَتْلَى كَثِيرٌ لَمْ تُجَنَّ ثِيَابُهَا أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ تَنَالَنَّ نُصْرَتِي ... سُهَيْلَ بْنَ عَمْرٍو حَرُّهَا وَعِقَابُهَا وَصَفْوَانُ عَوْدٌ حُزَّ مِنْ شُفْرِ اسْتِهِ ... فَهَذَا أَوَانُ الْحَرْبِ شُدَّ عِصَابُهَا فَلَا تَأْمَنَنَّا يَا بْنَ أُمِّ مُجَالِدٍ ... إِذَا احْتُلِبَتْ صِرْفًا وَأَعْصَلَ نَابُهَا وَلَا تَجْزَعُوا مِنْهَا فَإِنَّ سُيُوفَنَا ... لَهَا وَقْعَةٌ بِالْمَوْتِ يُفْتَحُ بَابُهَا
পৃষ্ঠা - ৩৩৮০

আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না ৷ আপনার সাথে যেসব মুহাজির আছেন তাদের নিকট আত্মীয়
রয়েছে যারা তাদের পবির৷ ৷ব ও মালপত্র রক্ষা করতে পারে ৷ আমার এ ধরনের রং শগত কোন
সম্পর্ক না থাকার দরুন আমি চেয়েছিলাম তাদের আমি কিছু উপকার করব যাতে করে তারা
আমার পরিবার-পরিজনকে হিফাযত করে ৷ আর আমি এটা ধর্মান্তরিত ৩হয়ে বা ইসলামের পর
পুনরায় কুফুরীকে পসন্দ করেও করিনি ৷” তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, এ ব্যক্তি তোমাদের
কাছে সত্য কথাই বলেছে ৷ উমর (রা) বলেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এ মুনাফিককে হত্যা করার
অনুমতি দিন ৷ “রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “এ ব্যক্তি বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে আর আল্লাহ
তাআলা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্বন্ধে বলেছেন, “(তামরা যা ইচ্ছে কর, আমি
তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি ৷ এরপর আল্লাহ তাআলা অত্র আয়াত ষ্ অবতীর্ণ করেন :




অর্থাৎ হে মু’মিনগণ ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে রন্ধুরুপে গ্রহণ করবে না ৷ তোমরা
তাদের সাথে বন্ধুত্ব করছ অথচ তারা তোমাদের নিকট যে সত্য এসেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে,
রাসুলকে এবং তােমাদেরকে বহিষ্কার করেছে এ কারণে যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালক
আল্লাহ্তে বিশ্বাস কর ৷ যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্যে আমার পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে
বের হয়ে থাক তবে কেন তোমরা তাদের সাথে গোপনে বন্ধুত্ব করছ ? তোমরা যা গোপন কর
এবং তোমরা যা প্রকাশ কর তা আমি সম্যক অবগত ৷ তোমাদের যে কেউ এটা করে, সে তো
বিচুদ্রত হয় সরল পথ হতে ৷” (৬০ মুমতাহিনা হয় ১ ৮)

উপরোক্ত হাদীছটি ইবন মাজা ব্যতীত সিহাহ্ সিত্তার অন্যান্য সংকলকগণ বর্ণনা করেছেন ৷
তিরমিযী বলেন, “এ হাদীছটি হাসান ও সহীহ্ ৷

ইমাম আহমদ (রা) — জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) হতে ৩রর্ণন৷ করেন ৷ তিনি বলেন,

হাতির ইবন আবুব ৷লতাআ (রা) মক্কারাসীদের কাছে একটি পত্র লিথে৩াদেরকে জানিয়ে দিতে
চেয়েছিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের সাথে যুদ্ধ করার মনন্থ করেছেন ৷ এরপর র ৷সুলুল্লাহ্ (সা)
মহিলাটির কথা বলে দিলেন যার সাথে পত্রটি ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটির কাছে লোক প্রেরণ
করেন যে, তার মাথা থেকে পত্রটি উদ্ধার করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে প্রদান করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) হাতির (রা) কে ডেকে আসেন ও জিজ্ঞেস করেন ৷ হে হাতির ! তুমি কিএট৷ করেছ ? তিনি
বললেন, ইব্রা’ ৷ তিনি আরো বলেন, আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে বোকা দেয়ার জন্যে কিৎরা
প্রতারণা করার জন্যে এটা করিনি ৷ আমি জানি যে, আল্লাহ্ তা আলা রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৫-ক অবশ্যই
বিজয়৷ দা ন করবেন এবং তার মিশনকে পুর্ণ করবেন ৷ তবে আমি ঘুশরিকদের মধ্যে অবস্থানকারী
একজন অসহায় ব্যক্তি ছিলাম ৷ আমার যা এখনো তাদের মধ্যে রয়েছেন ৷ এজন্যই আমি
চেয়েছিলাম তাদের একটি উপকার করতে ৷ উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বললেন, আমি কি


[قِصَّةُ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ] قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ وَغَيْرِهِ مِنْ عُلَمَائِنَا قَالُوا: لَمَّا أَجْمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسِيرَ إِلَى مَكَّةَ، كَتَبَ حَاطِبُ بْنُ أَبِي بَلْتَعَةَ كِتَابًا إِلَى قُرَيْشٍ، يُخْبِرُهُمْ بِالَّذِي أَجْمَعَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْرِ فِي السَّيْرِ إِلَيْهِمْ، ثُمَّ أَعْطَاهُ امْرَأَةً - زَعَمَ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ أَنَّهَا مِنْ مُزَيْنَةَ، وَزَعَمَ لِي غَيْرُهُ أَنَّهَا سَارَةُ، مَوْلَاةٌ لِبَعْضِ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - وَجَعَلَ لَهَا جُعْلًا عَلَى أَنْ تُبَلِّغَهُ قُرَيْشًا، فَجَعَلَتْهُ فِي رَأْسِهَا، ثُمَّ فَتَلَتْ عَلَيْهِ قُرُونَهَا ثُمَّ خَرَجَتْ بِهِ، وَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخَبَرُ مِنَ السَّمَاءِ بِمَا صَنَعَ حَاطِبٌ، فَبَعَثَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ فَقَالَ: " أَدْرِكَا امْرَأَةً قَدْ كَتَبَ مَعَهَا حَاطِبُ بْنُ أَبِي بَلْتَعَةَ بِكِتَابٍ إِلَى قُرَيْشٍ، يُحَذِّرُهُمْ مَا قَدْ أَجْمَعْنَا لَهُ مِنْ أَمْرِهِمْ " فَخَرَجَا حَتَّى أَدْرَكَاهَا بِالْخَلِيقَةِ خَلِيقَةِ بَنِي أَبِي أَحْمَدَ، فَاسْتَنْزَلَاهَا، فَالْتَمَسَاهُ فِي رَحْلِهَا فَلَمْ يَجِدَا فِيهِ شَيْئًا، فَقَالَ لَهَا عَلِيٌّ: إِنِّي أَحِلِفُ بِاللَّهِ مَا كَذَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا كُذِبْنَا، وَلَتُخْرِجِنَّ لَنَا هَذَا الْكِتَابَ أَوْ لَنَكْشِفَنَّكِ. فَلَمَّا رَأَتِ الْجِدَّ مِنْهُ قَالَتْ: أَعْرِضْ. فَأَعْرَضَ، فَحَلَّتْ قُرُونَ رَأْسِهَا،
পৃষ্ঠা - ৩৩৮১

একে হত্যা করতে পারি ? “রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তুমি কি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের
একজনকে হত্যা করতে চাও ? তুমি কি জান, আল্লাহ্ তাআলা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের
সম্বন্ধে কী বলেছেন ? আল্লাহ্ তাআলা বলেন, “তোমরা যা ইচ্ছে কর ৷”

উপরোক্ত সনদে ইমাম আহমদ (র) একমাত্র বর্ণনাকায়ী ৷ সনদটি ইমাম মুসলিমের
শর্তানুযায়ী ৷ হামৃদ শুধু আল্লাহ্র জন্যে ৷


فَاسْتَخْرَجَتِ الْكِتَابَ مِنْهَا فَدَفَعَتْهُ إِلَيْهِ، فَأَتَى بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاطِبًا فَقَالَ: " يَا حَاطِبُ مَا حَمَلَكَ عَلَى هَذَا؟ " فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لَمُؤْمِنٌ بِاللَّهِ وَبِرَسُولِهِ، مَا غَيَّرْتُ وَلَا بَدَّلْتُ، وَلَكِنَّنِي كُنْتُ امْرَأً لَيْسَ لِي فِي الْقَوْمِ مِنْ أَصْلٍ وَلَا عَشِيرَةٍ، وَكَانَ لِي بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ وَلَدٌ وَأَهْلٌ فَصَانَعْتُهُمْ عَلَيْهِمْ. فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، دَعْنِي فَلْأَضْرِبْ عُنُقَهُ، فَإِنَّ الرَّجُلَ قَدْ نَافَقَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «وَمَا يُدْرِيكَ يَا عُمَرُ، لَعَلَّ اللَّهَ قَدِ اطَّلَعَ إِلَى أَصْحَابِ بَدْرٍ يَوْمَ بَدْرٍ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ» " وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِي حَاطِبٍ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُونَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوا بِمَا جَاءَكُمْ مِنَ الْحَقِّ يُخْرِجُونَ الرَّسُولَ وَإِيَّاكُمْ أَنْ تُؤْمِنُوا بِاللَّهِ رَبِّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِي سَبِيلِي وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِي تُسِرُّونَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ} [الممتحنة: 1] إِلَى آخِرِ الْقِصَّةِ (الْمُمْتَحِنَةِ: 1 - 9) . هَكَذَا أَوْرَدَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذِهِ الْقِصَّةَ مُرْسَلَةً، وَقَدْ ذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّهُ كَانَ فِي كِتَابِ حَاطِبٍ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ تَوَجَّهَ إِلَيْكُمْ بِجَيْشٍ كَاللَّيْلِ يَسِيرُ كَالسَّيْلِ، وَأُقْسِمُ بِاللَّهِ لَوْ سَارَ إِلَيْكُمْ وَحْدَهُ لَنَصَرَهُ اللَّهُ عَلَيْكُمْ، فَإِنَّهُ مُنْجِزٌ لَهُ مَا وَعَدَهُ. قَالَ: وَفِي " تَفْسِيرِ ابْنِ سَلَّامٍ " أَنَّ حَاطِبًا كَتَبَ: إِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ نَفَرَ، فَإِمَّا إِلَيْكُمْ وَإِمَّا إِلَى غَيْرِكُمْ، فَعَلَيْكُمُ الْحَذَرَ.
পৃষ্ঠা - ৩৩৮২

মক্কা অভিযানের তারিখ ও সফরে
রেড়াযা ভাঙ্গা

ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, তারপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সফরে বের হলেন এবং মদীনায় আবু রুহম কুলসুম ইবন হুসায়ন ইবন উতবা
ইবন খালুফ আল-গিফারী (রা)-কে প্রতিনিধি রেখে গেলেন ৷ রমযান মাসের ১ : তারিখে তিনি
রওয়ড়ানা হলেন ৷ তিনি বোযা রাখেন এবং সাহাবীগণও তার সাথে রোযা রাখন ৷ এরপর তিনি
উছফান ও আমাজ নামক ন্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী জায়গা কাদীদে পৌছে তিনি রোযা ভঙ্গ করলেন ও
সামনে অগ্রসর হলেন ৷ দশ হাজার সৈন্য নিয়ে তিনি মাররুয যাহরান পৌছেন ৷ উরওয়া ইবন
যুবায়র (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে বার হাজার সৈন্য ছিল ৷ ইমাম যুহরী ও মুসা
ইবন উকবা অনুরুপ বলেছেন ৷ সুলায়ম গোত্রের সৈন্য সংখ্যা ছিল সাত শ’ ৷ মতাম্ভরে এক
হাজার ৷ মুয়ায়না গোত্রের সৈন্য সংখ্যা ছিল এক হাজার ৷ প্রতিটি গোত্রের যারা ইসলাম গ্রহণ
করেছিলেন র্তারা সকলেই যুদ্ধে যোগদান করেন ৷ আর মুহাজির ও আনসারদের সকলেই যুদ্ধে
অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷ র্তাদের মধ্য থেকে কেউ অনুপস্থিত ছিলেন না ৷ ইমাম বুখাবী (র) ও
অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

বায়হাকী (র) অড়াবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান মাসে মক্কা বিজয়ের অভিযান করেছিলেন ৷ রাবী বলেন, সাঈদ ইবনুল
মুসাইব্যিব (র) বলেছেন, আমি জানি না, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি শাবান মাসের শেষের দিকে মদীনা
ত্যাগ করেন ও রামাদান মাসে মক্কায় পৌছেন নাকি রমযান মাস আসার পর ঐ মাসেই মক্কায়
পৌছেন ৷ তবে আমাকে উবায়দৃল্পাহ্ ইবন আবদুল্লাহ্ (বা) সংবাদ দিয়েছেন যে, আবদুল্লাহ্ ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) রােযা রেখেছিলেন এবং কুদায়দ ও উছফানের মধ্যবর্তী
কাদীদ জলাশয়ের নিকট পৌছার পর তিনি রােযা ভঙ্গ করেন ৷ আর মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত কোন
রােযা রাখেননি ৷

ইমাম বুখারী (র) ও অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ তবে তিনি শাবান ও রমযান মাসের মধ্যে
সন্দেহের উল্লেখ করেননি ৷

ইমাম বুখারী (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্
(সা) রমযান মাসে সফর করেন ৷ তিনি রােযা রাখেন ৷ উছফান নামক স্থানে পৌছে তিনি পানি
চাইলেন এবং লোকজনকে দেখাবার উদ্দেশ্যে সকলের সামনে দিনের বেলায় পানি পান করলেন ৷
মক্কা পৌছা পর্যন্ত তিনি আর রোযা রাখেননি ৷” রাবী বলেন, ইবন আব্বাস (বা) বলতেন,


وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي رَافِعٍ، سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَالزُّبَيْرُ وَالْمِقْدَادُ فَقَالَ: " انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا رَوْضَةَ خَاخٍ، فَإِنَّ بِهَا ظَعِينَةً مَعَهَا كِتَابٌ فَخُذُوهُ مِنْهَا ". فَانْطَلَقْنَا تَعَادَى بِنَا خَيْلُنَا حَتَّى أَتَيْنَا الرَّوْضَةَ، فَإِذَا نَحْنُ بِالظَّعِينَةِ، فَقُلْنَا: أَخْرِجِي الْكِتَابَ. فَقَالَتْ: مَا مَعِي كِتَابٌ. فَقُلْنَا: لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَنُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ. قَالَ: فَأَخْرَجَتْهُ مِنْ عِقَاصِهَا، فَأَتَيْنَا بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِذَا فِيهِ: مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ. إِلَى نَاسٍ بِمَكَّةَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، يُخْبِرُهُمْ بِبَعْضِ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " يَا حَاطِبُ، مَا هَذَا؟ " فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَا تَعْجَلْ عَلَيَّ، إِنِّي كُنْتُ امْرَأً مُلْصَقًا فِي قُرَيْشٍ - يَقُولُ: كُنْتُ حَلِيفًا وَلَمْ أَكُنْ مِنْ أَنْفُسِهَا - وَكَانَ مَنْ مَعَكَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ مَنْ لَهُمْ قَرَابَاتٌ يَحْمُونَ بِهَا أَهْلِيهِمْ وَأَمْوَالَهُمْ، فَأَحْبَبْتُ إِذْ فَاتَنِي ذَلِكَ مِنَ النَّسَبِ فِيهِمْ أَنْ أَتَّخِذَ عِنْدَهُمْ يَدًا يَحْمُونَ قَرَابَتِي، وَلَمْ أَفْعَلْهُ ارْتِدَادًا عَنْ دِينِي، وَلَا رِضًا بِالْكُفْرِ بَعْدَ الْإِسْلَامِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَا إِنَّهُ قَدْ صَدَقَكُمْ ". فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، دَعْنِي أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ. فَقَالَ: " «إِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا، وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ قَدِ اطَّلَعَ عَلَى مَنْ شَهِدَ بَدْرًا فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ» ". فَأَنْزَلَ اللَّهُ السُّورَةَ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ} [الممتحنة: 1]
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৩

রাসুলুল্লাহ্ (সা) সফরে রোযা রাখতেন ৷ আবার কোন কোন সময় রোযা ভোঙ্গও ফেলতেন ৷ যার
ইচ্ছে রোয৷ রাখবে, আর যার ইচ্ছে রোয৷ ভেঙ্গে ফেলবে ৷ ’

ইউনুস (ব) ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বিজয়ের সফরে বের হলেন এবং আবু রুহম কুলসুম ইবন আল হুসায়ন আল গিফারী (রা) কে
মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷ রমযানের ১০ তারিখে তিনি রওয়ানা হন ৷ তিনি রোযা
রাখেন ৷ আর তার সাথে লোকজনও রোয৷ রাখেন ৷ উছফান ও আমাজ নামক স্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী
জায়গা আল-কাদীদে পৌছার পর তিনি রোযা ভঙ্গ করলেন এবং তার সাথে বাবা ছিলেন র্তারাও
রোযা ভঙ্গ করলেন ৷ সফরে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-এব রোযা ভঙ্গ করাটাই ছিল শেষ আমল ৷ পুর্বের
প্রচলিত রোযা রাখার বিধানটি রহিত হয়ে যায় ৷ বায়হাকী (র) বলেন “রমযানের দশ তারিখ কথাটা
হাদীছের মধ্যে ঘুদরাজ হিসেবে গণ্য, অর্থাৎ পরবর্তীতে কোন রাবী নিজের তরফ থেকে তা

ৎযোজন করেছেন ৷ ইবন ইসহাক (ব) হতে আবদুল্লাহ্ৎ ইবর্চু ইদরীস ও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
বাযহ কী অন্য এক সনদে ইবন ইসহাক হতে বর্ণনা করেন ৷ ৷৩ ন বা;লন, ৮ম হিজরীর ১০ রমযান
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা অভিযানে বের হয়েছিলেন ৷ অন্য এক সনদে বায়হাকী আবদৃল্লাহ্ ইবন
আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রমযান মাসের তের তারিখ মক্কা বিাজয় স ংঘটিত
হয়েছিল ৷ বা য়হ৷ ৷কী বলেন, আসলে এটা ইমাম যুহরীর কথা ৷

বায়হাকী যুহরী (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা বিজয়ের
উদ্দেশ্যে রমযান মাসে অভিযানে বের হয়েছিলেনত ৷৩ র সাথে ছিলেন দশ হাজার মুসলমান ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মদীনা আগমনের সাড়ে আট বছরের মাথায় এ ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ আর
রমযান মাস শেষ হওয়ার তেরদিন বাকী থাকতেই বিজয় অর্জিত হয়েছিল ৷ বায়হাকী অন্য এক
সনদে আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান
মাসে মক্কা অভিযানে বের হন ৷ তার সাথে ছিল দশ হাজার মুসলিম সৈন্য ৷ তিনি রােয৷ রাখেন ৷
কাদীদ নামক স্থানে পৌছে তিনি রোয৷ ভঙ্গ করেন ৷ যুহরী (র) বলেন, “এটাই ছিল সর্বশেষ আমল
এবৎ এটাকেই গ্রহণ করতে হবে ৷ যুহরী (র) আরো বলেন “রমযানের তেরত তারিখ রাসুলুল্লাহ্
(সা) মক্কায় পৌছেন ৷

বায়হাকী আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
রমযানের দৃই তারিখে আমাদেরকে বিজয়ের বছর অভিযানে বের হওয়ার ঘোষণা দিলেন ৷ আমরা
বোমার অবস্থায় অভিযানে বের হলাম ৷ কা ৷দীদ পৌছ৷ ৷র পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে বোয৷ ভঙ্গ
করার নির্দো৷ দেন ৷ কিছু সংখ্যক লোক বোযাদার ছিলেন ৷ আর কিছু সংখ্যক রোযাবিহীন ছিলেন ৷
তবে যখন আমরা শত্রুর সাথে মুকাবিলার মনযিলে পৌছলাম, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের
আবারো রোযা ভঙ্গের হুকুম দেন ৷ তখন আমরা সকলে রোযা ভঙ্গ করলাম ৷

ইমাম আহমদ (র) আবু সাঈদ খুদরী (রা) হতেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম যুহরী (র) উল্লেখ করেছেন যে, রমযানের তের৩ তারিখ বিজয় সুচিত হয়েছিল ৷ আর
আবু সাঈদ খুদরী (রা) উল্লেখ করেছেন যে, তারা রমযানের দৃই তারিখে মদীনা থেকে অভিযানে
রওয়ানা করেন ৷ তাতে দেখা যায় যে, মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী জায়গায় তারা এগার দিন ভ্রমণে


إِلَى قَوْلِهِ: {فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيلِ} [الممتحنة: 1] . وَأَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ، إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا حُجَيْنٌ وَيُونُسُ قَالَا: حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، «أَنَّ حَاطِبَ بْنَ أَبِي بَلْتَعَةَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ يَذْكُرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ غَزْوَهُمْ، فَدُلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمَرْأَةِ الَّتِي مَعَهَا الْكِتَابُ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا، فَأَخَذَ كِتَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا، وَقَالَ: " يَا حَاطِبُ أَفَعَلْتَ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَمَا إِنِّي لَمْ أَفْعَلْهُ غِشًّا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نِفَاقًا، قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ اللَّهَ مُظْهِرٌ رَسُولَهُ، وَمُتِمٌّ لَهُ أَمْرَهُ، غَيْرَ أَنِّي كُنْتُ عَرِيرًا بَيْنَ ظَهْرَيْهِمْ، وَكَانَتْ وَالِدَتِي مَعَهُمْ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَتَّخِذَ هَذَا عِنْدَهُمْ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: أَلَا أَضْرِبُ رَأْسَ هَذَا؟ فَقَالَ: " أَتَقْتُلُ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ، وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ إِلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ» . تَفَرَّدَ بِهَذَا الْحَدِيثِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৪

ছিলেন ৷ তবে বায়হাকী — যুহরী প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তারা বলেন, ৮ম হিজরীর
রমযান মাসের দশদিন বাকী থাকতে মক্কা বিজয় সম্পন্ন হয় ৷

আবু দাউদ আত-তায়ালিসী (ব) আবদুল্লাহ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
বিজয়ের বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) রোযার অবস্থায় অভিযানে বের হন যখন তিনি কুরাউল গামীম নামক
জায়গায় পৌছলেন, তখন লোকজন পদব্রজে ও সাওয়ারীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে ছিলেন ৷
এটা ছিল রমযান মাস ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আরয করা হল, “ইয়৷ রাসুলাল্লাহ ! রােযায়
লোকজনের খুবই কষ্ট হচ্ছে ৷ আর তারা দেখার জন্যে অপেক্ষায় আছেন যে, আপনি কি করছেন ?
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন এক গ্লাস পানি চাইলেন ও তা পান করলেন ৷ আর লোকজন তার দিকে
তাকিয়ে ছিলেন ৷ এরপরও কিছু সংখ্যক লোক রোযা রাখলেন এবং কিছু সৎখ্যক লোক রোযা ভঙ্গ
করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে সংবাদ পৌছল যে, কিছু সংখ্যক লোক রোযাদার রয়েছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তারা হুকুম অমান্য করেছে ৷”

ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
বিজয়ের বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান মাসে অভিযানে বের হন ৷ তিনি রােযা রাখেন এবং তার
সাথে সাহাবীগণও রােযা রাখেন ৷ কাদীদে পৌছার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক পিয়ালা পানি
চাইলেন ৷ তিনি ছিলেন সাওয়ারীর উপর আরোহী ৷ তিনি যে রােযা ভাঙ্গলেন তা সকলকে দেখিয়ে
দেয়ার জন্যে পানি পান করলেন ৷ আর লোকজন তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন ৷ এরপর
মুসলমড়ানগণ রােযা ভাঙ্গলেন ৷ এটা ইমাম আহমদ (ব)-এব একক বর্ণনা

আব্বাস ও আবু সুফিয়ান ইবন হড়ারিচ্ প্রমুখের ইসসামগ্রহণ

রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর চাচা আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা) ও তার চাচাভাে ভাই আবু
সুফিয়ড়ান ইবন আল-হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) , উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামা
(না)-এর ভাই আবদুল্পাহ্ ইবন আবুউমাইয়া ইবন আল-মুগীরাহ আল মাখবুমী (বা) ইসলাম গ্রহণ
করে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দিকে রওয়ানা হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কার পথে তখন তার সাথে
তাদের সাক্ষাত হয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, “আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) রাস্তায় রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে
সাক্ষাত করেন ৷ ”

ইবন হিশাম বলেন, “আব্বাস (বা) তার পরিবার-পরিজনসহ হিজরত করার পথে জুহ্ফা
নামক স্থানে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে মিলিত হন ৷ এবপুর্বে তিনি মক্কায় অবস্থান করছিলেন ৷
ইবন শিহাব যুহরী বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন ৷ কেননা, তিনি মক্কায় অবস্থান
করে হাজীদের পানির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আবু সুফিয়ান ইবন আল-হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা) ও
আবদৃল্পাহ্ ইবন আবুউমাইয়া মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী নাইকুল উকাব’ নামক জায়গায় রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর তড়াবুতে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা
করেন ৷ তাদের এ দৃইজনের ব্যাপারে উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর


[مِيقَاتُ خُرُوجِ النَّبِيِّ] فَصْلٌ مِيقَاتُ خُرُوجِ النَّبِيِّ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَفَرِهِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ أَبَا رُهْمٍ كُلْثُومَ بْنَ حُصَيْنِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ خَلَفٍ الْغِفَارِيَّ، وَخَرَجَ لِعَشْرٍ مَضَيْنَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، فَصَامَ وَصَامَ النَّاسُ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْكَدِيدِ، بَيْنَ عُسْفَانَ وَأَمَجَ أَفْطَرَ، ثُمَّ مَضَى حَتَّى نَزَلَ مَرَّ الظَّهْرَانِ فِي عَشَرَةِ آلَافٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ - وَقَالَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ: كَانَ مَعَهُ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا. وَكَذَا قَالَ الزُّهْرِيُّ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ - فَسَبَّعَتْ سُلَيْمٌ، وَبَعْضُهُمْ يَقُولُ: أَلَّفَتْ سُلَيْمٌ - وَأَلَّفَتْ مُزَيْنَةُ، وَفِي كُلِّ الْقَبَائِلِ عَدَدٌ وَإِسْلَامٌ، وَأَوْعَبَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ فَلَمْ يَتَخَلَّفْ عَنْهُ مِنْهُمْ أَحَدٌ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ مَحْمُودٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ نَحْوَهُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৫
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا غَزْوَةَ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ. قَالَ: وَسَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ مِثْلَ ذَلِكَ، لَا أَدْرِي أَخَرَجَ فِي لَيَالٍ مِنْ شَعْبَانَ فَاسْتَقْبَلَ رَمَضَانَ، أَوْ خَرَجَ فِي رَمَضَانَ بَعْدَمَا دَخَلَ؟ غَيْرَ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَخْبَرَنِي أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ: «صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَلَغَ الْكَدِيدَ - الْمَاءَ الَّذِي بَيْنَ قُدَيْدٍ وَعُسْفَانَ - أَفْطَرَ، فَلَمْ يَزَلْ يُفْطِرُ حَتَّى انْصَرَمَ الشَّهْرُ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ اللَّيْثِ، غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ التَّرْدِيدَ بَيْنَ شَعْبَانَ وَرَمَضَانَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «سَافَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ، فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ، ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ فَشَرِبَ نَهَارًا لِيَرَاهُ النَّاسُ، فَأَفْطَرُ حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ» . قَالَ: وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ: «صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي السَّفَرِ، وَأَفْطَرَ، فَمَنْ شَاءَ صَامَ، وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ» . وَقَالَ يُونُسُ: عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَفْرَةِ الْفَتْحِ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ أَبَا رُهْمٍ كُلْثُومَ بْنَ الْحُصَيْنِ الْغِفَارِيَّ، وَخَرَجَ لِعَشْرٍ مَضَيْنَ مِنْ رَمَضَانَ، فَصَامَ وَصَامَ النَّاسُ مَعَهُ، حَتَّى أَتَى الْكَدِيدَ - مَاءً بَيْنَ عُسْفَانَ وَأَمَجَ - فَأَفْطَرَ، وَدَخَلَ مَكَّةَ مُفْطِرًا، فَكَانَ النَّاسُ يَرَوْنَ أَنَّ آخِرَ الْأَمْرَيْنِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْفِطْرُ، وَأَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৬
نَسَخَ مَا كَانَ قَبْلَهُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَقَوْلُهُ: خَرَجَ لِعَشْرٍ مِنْ رَمَضَانَ. مُدْرَجٌ فِي الْحَدِيثِ، وَكَذَلِكَ ذَكَرَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ حَامِدِ بْنِ يَحْيَى، عَنْ صَدَقَةَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، أَنَّهُ قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَشْرٍ مَضَيْنَ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ ثَمَانٍ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ الْفَتْحُ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا الْإِدْرَاجُ وَهْمٌ. إِنَّمَا هُوَ مِنْ كَلَامِ الزُّهْرِيِّ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: «غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ الْفَتْحِ - فَتْحِ مَكَّةَ - فَخَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ فِي رَمَضَانَ وَمَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَشَرَةُ آلَافٍ، وَذَلِكَ عَلَى رَأْسِ ثَمَانِي سِنِينَ وَنِصْفِ سَنَةٍ مِنْ مَقْدَمِهِ الْمَدِينَةَ، وَافْتَتَحَ مَكَّةَ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ» . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৭

সাথে কথা বলেন ৷ তিনি বলেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনার চাচার ছেলে, আপনার ফুফু ও
শ্বশুরের ছেলে আপনার সাথে দেখা করতে চান ৷ ” তিনি বলেন, “এ দুজন দিয়ে আমার কোন
কাজ সেই ৷ আমার চাচার ছেলে ইতোমধ্যে আমার ইয্যত নষ্ট করেছে ৷ আর আমার ফুফুর ছেলে
মক্কায় তার বা কিছু বলার ছিল তা আমাকে সে বলেছে ৷ ” সুহায়লী (র) বলেন, সে রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে বলেছিল , “আল্লাহ্র শপথ, আমি তোমার উপর বিশ্বাস স্থাপন করব না যতক্ষণ না তু
আকাশে একটি সিড়ি লাপাবে যার সাহায্যে তুমি আকাশে চড়বে আর আমি তাকিয়ে দেখব ৷
এরপর তুমি একটি দলীল ও চারজন ফেরেশতা নিয়ে আসবে যারা সাক্ষ্য দেবে যে , তোমাকে
আল্লাহ্তাআলা প্রেরণ করেছেন ৷

রাবী বলেন , যখন তাদের কাছে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর মন্তব্যের খবর ৰু;পীছল , আবুসুফিয়ানের
সাথে তার দু পুত্র ছিল তখন সে বলল, আল্লাহ্র শপথ, আমাকে অবশ্যই তিনি অনুমতি দেবেন
নচেৎ আমার এ ছোট ছেলের হাত ধরে আমরা পৃথিবীতে ভবঘুরের ন্যায় ঘুরে রেড়াব এবং ক্ষুধাও
তৃষ্ণায় মরুভুমিতে মৃত্যুবরণ করব ৷ তাদের এই শপথের কথা যখন রার্কুণুল্লাহ্ (সা ) এর কাছে
পৌছল তখন তিনি তাদের প্ৰতি সদয় হলেন এবং তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন ৷ তারা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর র্তাবুতে প্রবেশ করেন ও ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ নিম্নবর্ণিত কবিতার মাধ্যমে
আবু সুফিয়ান তার ইসলাম গ্রহণের পুর্ববর্তী ভুল-ত্রুটির জন্যে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷
কবিতায় বলেন :

’ ’ ণ্
ষ্ € ণ্
ধ্ব্লুএে! ষ্ এেএ্যা

)




ব্লু

ষ্এে ষ্দ্বু স্
এ্যা fl;

ঢো৷১এ ঢুদ্বু;১



’ ’ ’ ’


তোমার জীবনের শপথ, নিশ্চয়ই আমি যেদিন ঝাণ্ডা উত্তোলন করেছিলাম মুহাম্মাদ (সা) এর
সৈন্যদলের উপর লাত এর সৈন্যদল জয়লাভ করবে ৷ এই উদ্দেশ্যে সেদিন আমি ছিলাম রাতের
অন্ধকারে দিশেহারা ভ্রমণকারী ৷ এখন সময় এসেছে ফলে আমাকে ঠিক পথে পরিচালিত করা
হচ্ছে এবং আমি সঠিক পথে চলছি ৷ এই যে আমার জন্য রয়েছেন একজন পথ প্রদর্শক আমার
নিজ প্রবৃত্তি নয় ৷ যিনি আমাকে উঠিয়ে দিয়েছেন হিদায়াতের রাজপথে ৷ এটি আমার গোত্রের


عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ فِي رَمَضَانَ وَمَعَهُ عَشَرَةُ آلَافٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ الْكَدِيدَ ثُمَّ أَفْطَرَ، فَقَالَ الزُّهْرِيُّ: وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ بِالْأَحْدَثِ فَالْأَحْدَثِ قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَصَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ. ثُمَّ عَزَاهُ إِلَى " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ التَّنُوخِيِّ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ قَزَعَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: «آذَنَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالرَّحِيلِ عَامَ الْفَتْحِ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ رَمَضَانَ، فَخَرَجْنَا صُوَّامًا حَتَّى بَلَغْنَا الْكَدِيدَ، فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْفِطْرِ، فَأَصْبَحَ النَّاسُ شَرْجَيْنِ، مِنْهُمُ الصَّائِمُ وَمِنْهُمُ الْمُفْطِرُ، حَتَّى إِذَا بَلَغْنَا الْمَنْزِلَ الَّذِي نَلْقَى الْعَدُوَّ فِيهِ، أَمَرَنَا بِالْفِطْرِ فَأَفْطَرْنَا أَجْمَعُونَ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنِي عَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: «آذَنَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৮
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالرَّحِيلِ عَامَ الْفَتْحِ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ رَمَضَانَ، فَخَرَجْنَا صُوَّامًا حَتَّى بَلَغْنَا الْكَدِيدَ، فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْفِطْرِ، فَأَصْبَحَ النَّاسُ مِنْهُمُ الصَّائِمُ وَمِنْهُمُ الْمُفْطِرُ، حَتَّى إِذَا بَلَغَ أَدْنَى مَنْزِلٍ تِلْقَاءَ الْعَدُوِّ، أَمَرَنَا بِالْفِطْرِ، فَأَفْطَرْنَا أَجْمَعُونَ» . قُلْتُ: فَعَلَى مَا ذَكَرَهُ الزُّهْرِيُّ مِنْ أَنَّ الْفَتْحَ كَانَ يَوْمَ الثَّالِثَ عَشَرَ مِنْ رَمَضَانَ، وَمَا ذَكَرَهُ أَبُو سَعِيدٍ مِنْ أَنَّهُمْ خَرَجُوا مِنَ الْمَدِينَةِ فِي ثَانِي شَهْرِ رَمَضَانَ، يَقْتَضِي أَنَّ مَسِيرَهُمْ كَانَ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ فِي إِحْدَى عَشْرَةَ لَيْلَةً. وَلَكِنْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ أَبِي الْحُسَيْنِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنِ ابْنِ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، وَعَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَغَيْرِهِمْ قَالُوا: كَانَ فَتْحُ مَكَّةَ فِي عَشْرٍ بَقِيَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ سَنَةَ ثَمَانٍ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ صَائِمًا حَتَّى أَتَى كُرَاعَ الْغَمِيمِ، وَالنَّاسُ مَعَهُ مُشَاةً وَرُكْبَانًا، وَذَلِكَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ النَّاسَ قَدِ اشْتَدَّ عَلَيْهِمُ الصَّوْمُ، وَإِنَّمَا يَنْظُرُونَ إِلَيْكَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৮৯
كَيْفَ فَعَلْتَ. فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَدَحٍ فِيهِ مَاءٌ فَرَفَعَهُ، فَشَرِبَ وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ، فَصَامَ بَعْضُ النَّاسِ وَأَفْطَرَ الْبَعْضُ، حَتَّى أُخْبِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ بَعْضَهُمْ صَائِمٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أُولَئِكَ الْعُصَاةُ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّقَفِيِّ وَالدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي بَشِيرُ بْنُ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ، فَصَامَ وَصَامَ الْمُسْلِمُونَ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْكَدِيدِ دَعَا بِمَاءٍ فِي قَعْبٍ وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ، فَشَرِبَ وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ، يُعْلِمُهُمْ أَنَّهُ قَدْ أَفْطَرَ، فَأَفْطَرَ الْمُسْلِمُونَ.» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
পৃষ্ঠা - ৩৩৯০

প্রত্যেকটি পথভ্রষ্ট ব্যক্তিকে আল্লাহ্র ভৈনকট্য লাভে সক্ষম করে তৃলেছেন ৷ আমি অতীতে ছিলাম
প্রতিরোধকারী ও মুহাম্মাদ (সা) থেকে বিরত রাখার জন্যে কঠোর প্রচেষ্টায় রত ৷ মুহাম্মাদ
(সা) এর দিকে দাওয়াত দোয়া হলেও আমি তার সাথে সংশ্লিষ্ট হইনি ৷ আমার সাথী কাফিরদের
ইচ্ছেমত যারা পথ চলেনি বা অন্যায় কথা বলেনি ৷ তাদের বিরুদ্ধে যা করবার তারা তা সবই
করেছে যদিও তিনি ছিলেন সঠিক বিবেকের অধিকারী ৷ তবু তারা তাকে বুদ্ধিভ্রাম্ভ বলে আখ্যায়িত
করেছে ৷ যতক্ষণ পর্যন্ত আমি হিদায়াত পাইনি ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আমার সম্প্রদায়ের লোকদের
সাথে প্রতিটি বৈঠকে শবীক থেকে তাদেরকে খুশী করতে প্রয়াস পেয়েছি ৷ যদিও আমি অভিশপ্ত
ছিলাম না ৷ ছাকীফ গোত্রকে বলে দাও, আমি তাদের সাথে যুদ্ধ করতে চাই না ৷ আবারও
ছাকীফকে বলে দাও , আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে তারা তহ্: দেখাক ৷ আমি এমন
সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলাম না যারা আমিরকে হত্যা করেছে ৷ কেউই আমার রসনা বা হাতের
অনিষ্টের শিকার হয়নি ৷ দুরদুরান্তের জনপদসমুহ হতে সিহাম ও সুরদৃদ থেকে এসে এরা সমবেত
হয়েছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, ইতিহাসবিদগণ বলেন, যখন আবু সুফিয়ান রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে
কবিতা পাঠের মধ্যে বললেন, আমি যাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলড়াম তিনিই আমাকে আল্লাহ্র সাথে
সম্পৃক্ত করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজ হাত দ্বারা তীর বুকে মৃদু আঘাত করে বললেন : ;ট্রু’া

১,৬ণ্ < শ্রুপু;ৰু , অর্থাৎ তৃমিই তো আমাকে সম্পুর্ণরুপে বিতাড়িত করেছিলে ৷



[إِسْلَامُ الْعَبَّاسِ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ] فَصْلٌ فِي إِسْلَامِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَمِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبِي سُفْيَانَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ابْنِ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةَ الْمَخْزُومِيِّ أَخِي أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، وَهِجْرَتِهِمْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَجَدُوهُ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ وَهُوَ ذَاهِبٌ إِلَى فَتْحِ مَكَّةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: لَقِيَهُ بِالْجَحْفَةِ مُهَاجِرًا بِعِيَالِهِ، وَقَدْ كَانَ قَبْلَ ذَلِكَ مُقِيمًا بِمَكَّةَ عَلَى سِقَايَتِهِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهُ رَاضٍ، فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ قَدْ لَقِيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا بِنِيقِ الْعُقَابِ فِيمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ، وَالْتَمَسَا الدُّخُولَ عَلَيْهِ، فَكَلَّمَتْهُ أُمُّ سَلَمَةَ فِيهِمَا، فَقَالَتْ:
পৃষ্ঠা - ৩৩৯১

দৌড়াতে লাগল এবং অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ল ৷ এরপর এটাকে আমি পেয়ে গেলাম ও ধরে
ফেললাম এবং আবু তালহ৷ (র৷ ) এর কাছে নিয়ে আসলাম ৷ তিনি এটাকে যবেহ করলেন এবং
তার একটি রান রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাহে প্রেরণ করলেন ৷ রাসুণুল্লাহ (সা ) তা গ্রহণ করলেন ৷



ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মার্কয যাহ্রান অবতরণ করেন৷ কুরায়শদের কাছে এ
থবরটি গোপন রয়ে গেল ৷ রাসুলুল্লোহ্ (স৷ ৷) হতে ও কোন সংবাদ তা দর কাছে পৌল্ ছিল না
আর তারাও জানতে৷ না যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কী করতে যাচ্ছেন ? এ দিনগুলোর মধ্যেই আবু
সুফিয়ান ইবন হারর, হাকীম ইবন হিযাম এবং বুদায়ল ইবন ওরাক৷ ঘর থেকে বের হলেন যাতে
তারা কোন খবর সংগ্রহ করতে পারেন কিৎবা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে কিছু অবগতি
অর্জন করতে পারেন ৷

ইবন লাহিয়া উরওয৷ (রা ) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মুশরিকদের গুপ্তচরদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশে কিছু গুপ্তচর প্রেরণ করেন ৷ খুয আ
গোত্রের লোকেরা তাদের পাশ দিয়ে যারাই অতিক্রম করছিল তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে
ছাড়তে৷ না ৷ আবুসুফিয়ড়ান (রা ) ও ত ৷র সৎগীরা যখন মুসলমানদের কাফেলায় আসেন তখনই
মসলমান ঘোড়সওয়ারগণ র্তীদেরকে গ্রেফতার করে ফেলেন এবং উমর (রা ) তাদেরকে হত্যা
করতে উদ্যত হন ৷ তবে আব্বাস (রা) আবু সুফিয়ান (রা)-কে নিরাপত্তা দান করেন ৷ আর
আব্বাস (রা) হ্যিলন আবু সুফিয়ান (রহ্ব)-এর বন্ধু ৷

ইবন ইসহাক বলেন : আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মার্কয যাহ্রান অবতরণ
করেন তখন আমি মনে মনে রললাম, কুরায়শরা চিরদিনের জন্যে ধ্বংস হয়ে যাবে যদি তারা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) থােক নিরাপত্তা গ্রহণ করার পুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিজয়ীর বেশে মক্কায় প্রবেশ
করেন ৷’ ’তিনি বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাদা খচ্চরে আরোহণ করলামও আল আরাক
নামক স্থানে পৌছলাম এবং মনে মনে বলতে লাগলাম, হয়ত বা কোন কাঠুরিয়া, গোযালা কিৎবা
অন্য কোন পেশার লোক পেয়ে মাঝে, যে মক্কাবাসী দরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আগমন সম্বন্ধে
খরর দেবে ৷ যাতে করে তারা রাসৃলুল্লাহ্ (সা )-এর মক্কায় বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করার পুর্বে তার
থেকে নিরাপত্তা গ্রহণ করতে পারে ৷ আল্লাহর শপথ, আমি খচ্চরের উপর সওয়ার হয়ে চলছিলাম
আর এরুপ আশা পোষণ করছিলাম ৷ হঠাৎ আবু সুফিয়ান (রা) ও বুদায়ল ইবন ওরাকার আওয়ায
শুনতে পেলাম ৷ তারা দুইজনই রাদানুরাদ করছিল ৷ আবু সুফিয়ান (রা ) বলছিলেন, আজকের
রাতের মত এত আগুন ও সৈনাদল আর কখনো আমি দেখিনি ৷ আব্বাস (বা) বলেন, বুদায়ল (রা)
বলছিল, আল্লাহর শপথ, এরা সব রবু খুয৷ আর লোক ৷ যুদ্ধ৩ তাদের উন্মাদ করে তুলেভ্রুছ ৷’ আবু
সুফিয়ান (রা ) বলেন, খুয়াআর লোক সংখ্যা কম ও দুর্বল ৷ কাজেই এরা খুযা আর লোক হতে
পারে না এবং এটা খুযাআর আগুন হতে পারেন৷ ৷ আব্বাস (রা) বলেন, “আমি আবু সুফিয়ান
(রা)-এর গলার স্বর ল্পিতে পারলাম এবং রললাম, “কে আবু হানৃযাল৷ নাকি ?” সেও আমার
গলার স্বর চিনতে পেরে বলল, কে আবুল ফযল নাকি ?” আমি রললাম, হ্যা’ ৷ আবু সুফিয়ান
(রা) বললেন, ব্যাপার কী ? তোমার উপর আমার মা বাপ্ ৷কুরবান হোন !” আব্বাস (রা)
বললেন, আমি বল পাম, “হে আবু সুফিয়া ন ! তোমার দৃর্ভ ৷গ্য, এইতে৷ আল্লাহর রাসুল, লোকজন


يَا رَسُولَ اللَّهِ، ابْنُ عَمِّكَ، وَابْنُ عَمَّتِكَ، وَصِهْرُكَ. قَالَ: لَا حَاجَةَ لِي بِهِمَا، أَمَّا ابْنُ عَمِّي فَهَتَكَ عِرْضِي، وَأَمَّا ابْنُ عَمَّتِي فَهُوَ الَّذِي قَالَ لِي بِمَكَّةَ مَا قَالَ. قَالَ: فَلَمَّا خَرَجَ إِلَيْهِمَا الْخَبَرُ بِذَلِكَ وَمَعَ أَبِي سُفْيَانَ بُنَيٌّ لَهُ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَيَأْذَنَنَّ لِي أَوْ لَآخُذَنَّ بِيَدِ بُنَيَّ هَذَا، ثُمَّ لَنَذْهَبَنَّ فِي الْأَرْضِ حَتَّى نَمُوتَ عَطَشًا وَجُوعًا. فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَقَّ لَهُمَا، ثُمَّ أَذِنَ لَهُمَا فَدَخَلَا عَلَيْهِ فَأَسْلَمَا، وَأَنْشَدَ أَبُو سُفْيَانَ قَوْلَهُ فِي إِسْلَامِهِ، وَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ مِمَّا كَانَ مَضَى مِنْهُ: لَعَمْرُكَ إِنِّي يَوْمَ أَحْمِلُ رَايَةً ... لِتَغْلِبَ خَيْلُ اللَّاتِ خَيْلَ مُحَمَّدِ لَكَالْمُدْلِجِ الْحَيْرَانِ أَظْلَمَ لَيْلُهُ ... فَهَذَا أَوَانِي حِينَ أُهْدَى وَأَهْتَدِي هَدَانِيَ هَادٍ غَيْرُ نَفْسِي وَنَالَنِي ... مَعَ اللَّهِ مَنْ طَرَّدْتُ كُلَّ مُطَرَّدِ أَصُدُّ وَأَنْأَى جَاهِدًا عَنْ مُحَمَّدٍ ... وَأُدْعَى وَإِنْ لَمْ أَنْتَسِبْ مِنْ مُحَمَّدِ هُمُ مَا هُمُ مَنْ لَمْ يَقُلْ بِهَوَاهُمُ ... وَإِنْ كَانَ ذَا رَأْيٍ يُلَمْ وَيُفَنَّدِ أُرِيدُ لِأُرْضِيهِمْ وَلَسْتُ بِلَائِطٍ ... مَعَ الْقَوْمِ مَا لَمْ أُهْدَ فِي كُلِّ مَقْعَدِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৯২

নিয়ে হাযির !” আবু সুফিয়ান (রা) বললেন, “আল্লাহর শপথ, কুরায়শদের ধ্বংস অনিবার্য ৷ তোমার
উপর আমার মাতা পিতা কুরবান হোন! তাহলে এখন উপায় কী ?” আব্বাস (রা) বলেন, আমি
বললড়াম, “যদি কেউ তোমাকে কাবুতে পেয়ে যায়, সে তোমাকে নিশ্চয়ই হত্যা করবে ৷ কাজেই
এ খচ্চরের পিঠে চড়ে রস ৷ আমি তোমাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (স্য)-ন্এর কাছে যার এবং তার
কাছে (তামার নিরাপত্তার আবেদন করব ৷ ” আব্বাস (বা) বলেন, তারপর সে আমার পিছনে
সওয়ার হলো ও তার দু’জন সাথী ফিরে চলে গেলো ৷ উরওয়া (ণ্রা) বলেন, বরং তারা দু’জন
সাথীও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে আগমন করেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আর রড়াসৃলুল্লাহ্
(সা) তাদের দু’জনের কাছ থেকে মক্কারাসীদের সম্বন্ধে খবরাখবর ৰুরুনন ৷” ইমাম যুহ্রী (বা এবং
মুসা ইবন উকবা বলেন, “বরং তারা হযরত আব্বাস (রা)এর সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
খিদমতে হাযির হয়েছিলেন ৷”

ইবন ইসহাক বলেন, আব্বাস (বা) বলেন, “তারপর আমি তাকে নিয়ে যখন মুসলমানদের
কোন তাবুর আওতায় পাশ দিয়ে যাই, উপস্থিত লোকজন জিরু স করে , ইনি কে ? যখন তারা
রাসুলুল্লাহ্ (না) এর খচ্চর ও আমাকে তার উপর সওয়ার দেখতে পেতে৷ , তখন তারা বলরুতা ,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চাচা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খচ্চরের উপর সওয়ার ৷” এমনকি যখন আমি উমর
(রা) এর আগুনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন “ইনি কে ?” আমার প্ৰতি
লক্ষ্য করে যখন আবু সুফিয়ান (রা) কে খচ্চরের পিঠে আমার পিছনে দেখতে পেলেন, তখন
বলে উঠলেন, আল্লাহ্র দুশমন আবু সুফিয়ান ! আল্লাহর অসংখ্য প্রশংসা যে কোন চুক্তি ও
ৎপীকার ব্যতিরেকেই আল্লাহ তোমাকে আমাদের হাতের মুঠােয় এনে দিয়েছেন !” উরওয়া
ইবন যুবায়র (রা) বলেন, উমর (রা) আবু সুফিয়ান (বা) এর ঘাড়ে আঘাত করেন এবং হত্যা
করার মনস্থ করেন; জ্যি আব্বাস (রা) তাকে ধারণ করেন ৷

অনুরুপভাবে মুসা ইবন উববাে ইমাম যুহ্রী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর গুপ্তচরেরা তাদের উটের রশি ধরে ফেলেন এবং জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কে ?’ তারা
বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে প্রেরিত প্রতিনিধি ৷” এরপর আব্বাস (রা) তাদের সাথে
মুলাকাত করেন এবং তাদেরকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) দরবারে প্রবেশ করেন ৷ এরপর আব্বাস
(বা) তাদের সাথে সারা রাত কথা বলেন এবং ভোর বেলায় তাদেরকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
কালিমার দাওয়াত দিলেন ৷ তারা সাক্ষ্য দিলেন ৷ “আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ
(সা) আল্লাহ্র রাসুল ৷” হাকীম এবং বুদায়লও অনুরুপ সাক্ষ্য দিলেন ৷ আবু সুফিয়ান (রা) রাতে
বলেছিলেন, “আমি এসব জানিনা, কিন্তু ভোরবেলা ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তারা তিনজন মিলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে কুরায়শদের জন্যে নিরাপত্তার আবেদন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘোষণা
করেন, “যে আবু সুফিয়ান (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ !” আর আবু সুফিয়ান
(রা) এর ঘর ছিল মক্কার উচ্চ ভুমিতে ৷ “যে হাকীম ইবন হিযড়াম (রা) এর ঘরে প্রবেশ করবে সে
নিরাপদ ৷” হাকীম ইবন হিযড়াম (রা)-এর ঘর ছিল মক্কার নিম্ন ভুমিতে ৷ “আর যে ব্যক্তি নিজের
ঘরের দরজা বন্ধ করে দেবে সেও নিরাপদ !” এগুলো ছিল রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর ঘোষণা ৷ আব্বাস
(বা) বলেন, “এরপর উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে পৌছার জন্যে দ্রুত রওয়ান৷ হলেন ৷
আমিও খচ্চরে সওয়ার হয়ে খচ্চরকে দ্রুত ইকোতে লাগলাম ৷ আমি তার আগে পৌছে গেলাম ৷


فَقُلْ لِثَقِيفٍ لَا أُرِيدُ قِتَالَهَا ... وَقُلْ لِثَقِيفٍ تِلَكَ غَيْرِيَ أَوْعِدِي فَمَا كُنْتُ فِي الْجَيْشِ الَّذِي نَالَ عَامِرًا ... وَمَا كَانَ عَنْ جَرَّا لِسَانِي وَلَا يَدِي قَبَائِلُ جَاءَتْ مِنْ بِلَادٍ بَعِيدَةٍ ... نَزَائِعُ جَاءَتْ مِنْ سِهَامٍ وَسَرْدُدِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَزَعَمُوا أَنَّهُ حِينَ أَنْشَدَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: . . . . . . . . . . . . . . . . . . وَنَالَنِي ... مَعَ اللَّهِ مَنْ طَرَّدْتُ كُلَّ مُطَرَّدِ ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ فِي صَدْرِهِ وَقَالَ: أَنْتَ طَرَّدْتَنِي كُلَّ مُطَرَّدِ! . [نُزُولُ النَّبِيِّ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ] فَصْلٌ نُزُولُ النَّبِيِّ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ وَلَمَّا انْتَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَرِّ الظَّهْرَانِ، نَزَلَ فِيهِ فَأَقَامَ، كَمَا رَوَى الْبُخَارِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ، وَمُسْلِمٍ عَنْ أَبِي الطَّاهِرِ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ كِلَاهُمَا، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ نَجْتَنِي الْكَبَاثَ، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " عَلَيْكُمْ بِالْأَسْوَدِ مِنْهُ فَإِنَّهُ أَطْيَبُ ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَكُنْتَ تَرْعَى الْغَنَمَ؟ قَالَ: " نَعَمْ، وَهَلْ مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَقَدْ رَعَاهَا؟»
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৩

কেননা, ধীরগতির মানুষকে ধীর গতির জানােয়ার অতিক্রম করে যায় ৷ ” আব্বাস (রা) বলেন,
“আমি খচ্চর থেকে অবতরণ করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ঘরে প্রবেশ করলাম সাথে সাথে উমর
(রা)-ও ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ তিনি বললেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ এই আবু সুফিয়ান, আল্লাহ
তাআলা কোন চুক্তি ও অঙ্গীকার ব্যতিরেকেই তাকে আমাদের আয়ত্বে এনে দিয়েছেন ৷ তাকে
হত্যা করার জন্যে আমাকে অনুমতি দিন !” আব্বাস (বা) বলেন, “আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ!
আমি কিন্তু তাকে নিরাপত্তা দিয়েছি ৷ এরপর আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে বসলাম এবং তীর
মাথা ধরে বললাম, আল্লাহর শপথ, আজকের রাতে আমি ব্যতীত আর অন্য কোন ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর সাথে কানে কানে কথা বলতে পারছে না ৷ যখন উমর (রা) আবু সুফিয়ান (বা) এর
সম্বন্ধে বেশী বেশী পীড়াপীড়ি করতে লাপলেন, তখন আমি বললাম, থামাে হে উমর (রা) !
আল্লাহর শপথ, যদি সে বনু আদী ইবন কাবের কোন ব্যক্তি হত তাহলে তুমি এরুপ বলতেনা,
কিন্তু তুমি জান যে, আবু সুফিয়ান (বা) হচ্ছে বনু আবদে মান্নাষেহ্ একজন তাই তুমি এরুপ
বলছ ৷ উমর (রা) বললেন, থামুন, হে আব্বাস ! আল্লাহর শপথ, যেদিন আপনি মুসলমান
হয়েছিলেন যদি সেদিন আমার পিতা খাত্তাবও মুসলমান হতেন তাহলে আপনার ইসলামই আমার
পিতার ইসলামের চাইতে আমার কাছে অধিকতর প্রিয় হত ৷ তার কারণ হচ্ছে, আমি জানি যে,
আপনার ইসলাম গ্রহণ খাত্তাবের ইসলাম গ্রহণের চাইতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে অধিকতর
প্রিয় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, হে আব্বাস ! একে নিয়ে আপনি এখন আপনার আবাস স্থলে চলে
যান ৷ ভোর বেলায় আপনি তাকে নিয়ে আসবেন ৷ আব্বাস (রা) বলেন, আমি তাকে নিয়ে আমার
আবাস স্থলে গেলাম ৷ সে আমার কাছে রাত যাপন করে ৷ পরদিন ভোরে আমি তাকে নিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে হাযির হলড়াম ৷ তিনি তাকে দেখে বললেন, “হে আবু সুফিয়ান !
তোমার জন্যে দৃর্তোগ, এখনও কি তোমার সময় আসেনি যে, তুমি জানবে আল্লাহ ছাড়া কোন
মাবুদ নেই ?” উত্তরে তিনি বললেন, “আপনার উপর আমার মা-বাপ কুরবান হোন ৷ আপনি
কতইনা ধৈর্যশীল ! আপনি কতইনা সম্মানিত এবং আপনি কতই না আত্মীয়তার প্রতি লক্ষ্য রাখেন ৷
আল্লাহর শপথ, আমার বিশ্বাস, আল্লাহর সাথে যদি অন্য কোন মা’বুদ থাকত তাহলে সে আমাকে
কিছু না কিছু সাহায্য কর তে ৷” রা সুণুল্লা হ (সা) বললে ন , “তোমার দৃর্তোগ, এখনও কি তোমার
সময় আসেনি যে, তুমি আমাকে আল্লাহর রাসুল বলে জানবে ?” আবু সুফিয়ান বলল, আপনার
উপর আমার মা-বাপ কুরবান হোন ! আপনি কতইনা ধৈর্যশীল ! আপনি কতইনা সম্মানিত এবং
আপনি কতই না আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষাকারী ৷ তবে আল্লাহর শপথ, এখনও এ ব্যাপারে আমার
অন্তরে কিছু দ্বিধা রয়েছে ৷ আব্বাস (বা) তখন তাকে বললেন, “তোমার দুর্তোগ, তোমার গর্দান
কাটা যাওয়ার পুর্বেই ইসলাম গ্রহণ কর এবং সাক্ষ্য দাও আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং
মুহাম্মাদ নিঃসন্দেহে আল্লাহর রাসুল ৷ ” রাবী বলেন, “এরপর আবু সুফিয়ান এ সাক্ষ্য দেয়ার
মাধ্যমে মুসলমান হয়ে গেলেন ৷ আব্বাস (রা) বলেন, “এরপর আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
নিঃসন্দেহে আবু সুফিয়ান এমন একজন মানুষ যে গৌরব পসন্দ করে ৷ তাকে গৌরবজনক কিছু
একটা দান করুন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “যে আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে সে
নিরাপদ ৷ ” রাবী উরওয়া (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “ যে হাকীম ইবন হিযাম এর ঘরে
প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ ৷” মুসা ইবন উকবা, ইমাম যুহরী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,




وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ سِنَانَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ سَعِيدِ بْنِ مِينَا قَالَ: «لَمَّا فَرَغَ أَهْلُ مُؤْتَةَ وَرَجَعُوا، أَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَسِيرِ إِلَى مَكَّةَ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى مَرِّ الظَّهْرَانِ نَزَلَ بِالْعُقْبَةِ، فَأَرْسَلَ الْجُنَاةَ يَجْتَنُونَ الْكَبَاثَ، فَقُلْتُ لِسَعِيدٍ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: ثَمَرُ الْأَرَاكِ. قَالَ: فَانْطَلَقَ ابْنُ مَسْعُودٍ فِيمَنْ يَجْتَنِي. قَالَ: فَجَعَلَ أَحَدُهُمْ إِذَا أَصَابَ حَبَّةً طَيِّبَةً قَذَفَهَا فِي فِيهِ، وَكَانُوا يَنْظُرُونَ إِلَى دِقَّةِ سَاقَيِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَهُوَ يَرْقَى فِي الشَّجَرَةِ فَيَضْحَكُونَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَعْجَبُونَ مِنْ دِقَّةِ سَاقَيْهِ؟ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَهُمَا أَثْقَلُ فِي الْمِيزَانِ مِنْ أُحُدٍ» وَكَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ مَا اجْتَنَى مِنْ شَيْءٍ، جَاءَ بِهِ وَخِيَارُهُ فِيهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ فِي ذَلِكَ: هَذَا جَنَايَ وَخِيَارَهُ فِيهْ ... إِذْ كُلُّ جَانٍ يَدُهُ إِلَى فِيهْ وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «أَنَفَجْنَا أَرْنَبًا وَنَحْنُ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ، فَسَعَى الْقَوْمُ فَلَغِبُوا، فَأَدْرَكْتُهَا فَأَخَذْتُهَا، فَأَتَيْتُ بِهَا أَبَا طَلْحَةَ فَذَبَحَهَا، وَبَعَثَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَرِكِهَا أَوْ فَخِذَيْهَا فَقَبِلَهُ» . وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ الظَّهْرَانِ، وَقَدْ عُمِّيَتِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৪
الْأَخْبَارُ عَنْ قُرَيْشٍ، فَلَا يَأْتِيهِمْ خَبَرٌ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا يَدْرُونَ مَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاعِلٌ، وَخَرَجَ فِي تِلْكَ اللَّيَالِي أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، وَحَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، وَبُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ، يَتَحَسَّسُونَ الْأَخْبَارَ، وَيَنْظُرُونَ هَلْ يَجِدُونَ خَبَرًا أَوْ يَسْمَعُونَ بِهِ. وَذَكَرَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَيْنَ يَدَيْهِ عُيُونًا خَيْلًا يَقْتَصُّونَ الْعُيُونَ، وَخُزَاعَةُ لَا تَدَعُ أَحَدًا يَمْضِي وَرَاءَهَا، فَلَمَّا جَاءَ أَبُو سُفْيَانَ وَأَصْحَابُهُ أَخَذَتْهُمْ خَيْلُ الْمُسْلِمِينَ، وَقَامَ إِلَيْهِ عُمَرُ يَجَأُ فِي عُنُقِهِ، حَتَّى أَجَارَهُ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبَدِ الْمُطَّلِبِ، وَكَانَ صَاحِبًا لِأَبِي سُفْيَانَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ الْعَبَّاسُ حِينَ نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ الظَّهْرَانِ: قُلْتُ: وَاصَبَاحَ قُرَيْشٍ، وَاللَّهِ لَئِنْ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ عَنْوَةَ قَبْلَ أَنْ يَأْتُوهُ فَيَسْتَأْمِنُوهُ، إِنَّهُ لَهَلَاكُ قُرَيْشٍ إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ. قَالَ: فَجَلَسْتُ عَلَى بَغْلَةِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبَيْضَاءِ، فَخَرَجْتُ عَلَيْهَا حَتَّى جِئْتُ الْأَرَاكَ، فَقُلْتُ: لَعَلِّي أَجِدُ بَعْضَ الْحَطَّابَةِ، أَوْ صَاحِبَ لَبَنِ، أَوْ ذَا حَاجَةٍ يَأْتِي مَكَّةَ فَيُخْبِرُهُمْ بِمَكَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِيَخْرُجُوا إِلَيْهِ فَيَسْتَأْمِنُوهُ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهِمْ عَنْوَةً. قَالَ: فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَسِيرُ عَلَيْهَا وَأَلْتَمِسَ مَا خَرَجْتُ لَهُ، إِذْ سَمِعْتُ كَلَامَ أَبِي سُفْيَانَ وَبُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ وَهُمَا يَتَرَاجَعَانِ، وَأَبُو سُفْيَانَ يَقُولُ: مَا رَأَيْتُ كَاللَّيْلَةِ نِيرَانًا قَطُّ وَلَا
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৫

রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরো বলেছিলেন, “যে নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেবে সেও নিরাপদ ৷
আর যে মসজিদে প্রবেশ করবে সেও নিরাপদ ৷” যখন তিনি বিদায় হবার আবেদন পেশ করলেন
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “হে আব্বাস (বা) ৷ তাকে নিয়ে গিরিসংকটের নিকট সংকীর্ণ
জায়গায় রেখে এবন্টু থামারেন ৷ ওখান দিয়ে আল্লাহর লস্করসমুহ অতিক্রম করার সময় সে যেন
দেখতে পায় ৷

মুসা ইবন উকবা ইমাম যুহ্বী (র) হতে বর্ণা৷ করেন, তিনি বলেন “নিশ্চয়ই আবু সুফিয়ান
(বা) , বুদায়ল (রা) ও হাকীম ইবন হিযাম (রা) আব্বাস (রা)-এর সাথে গিরি সংকটে দওায়মান
ছিলেন ৷” তিনি আরো বলেন, “সা’দ (রা) যখন আবু সুফিয়ান (রা) কে লক্ষ্য করে বললেন,
“আজকের দিন যুদ্ধের দিন, আজকের দিনে হারামকে হালাল কর হবে ৷’ অ আবু সুফিয়ান (রা)
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে অনুযােগ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স ) এজন্য সা দকে আনসারের পতাকা
বহন থেকে অব্যাহতি দিলেন এবং যুবায়র ইবন আওয়াম (রা) কে আনসারের পতাকা অর্পণ
করেন ৷ তিনি তা নিয়ে মক্কার উচ্চ ভুমি হয়ে মক্কায় প্রবেশ হারেন এবং হাজ্জন নামক স্থানে
পতাকাটি স্থাপন করেন ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা ) নিম্নভুমি দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ তার
সাথে সাক্ষাত হয় বনু বকর ও হুযায়ল গোত্রদ্বয়ের ৷ বনু বকরের ২০ জন এবং হুযায়লের ৩৪
জনকে তিনি হত্যা করেন ৷ তাদেরকে তিনি পরাজিত করেন ও হাযুরায় তাদেরকে হত্যা করেন ৷
তাদের এ হত্যাকাণ্ড মসজিদের দরজা পর্যন্ত পৌছে ছিল ৷

আব্বাস (রা) বলেন, “আমি আবু সুফিয়ান (রা) কে নিয়ে অতিক্রম করার স ৎকীর্ণ জায়গায়
উপস্থিত হলাম যেখানে তাকে নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷” তিনি আরো বলেন, “গোত্রসমুহত তাদের ঝাও৷ নিয়ে অতিক্রম করছিল ৷ যখনই
একটি গোত্র অতিক্রম করতে তা আবু সুফিয়ান (রা) আব্বাস (রা ) কে বললেন “হে আব্বাস (রা) !
এরা কারা ? ” তখন তিনি জবাব দিলেন, এরা বনু সুলায়ম ৷ আবু সুফিয়ান (রা ) বললেন, “আমারও
বনু সুলায়মের মধ্যেত কোন শত্রুতা নেই ৷ এরপর আরো একটি গোত্র অতিক্রম করল তখন সে
বললেন, (“হ আব্বাস ! এরা কারা ? আমি বললাম, “এরা মুযায়ন৷ গো ৷” আবু সুফিয়ান (রা)
বললেন, “আমরাও মুযায়নার মধ্যে কোন খারাপ সম্পর্ক (নই ৷” এরুপে অন্যান্য গোত্রগুলো
অতিক্রম করল ৷ আবুসুফিয়ান প্রশ্ন করতো এরা কারা ৷? আমিও তার উত্তর দিতাম ৷ সে বলতো
যে, আমার ও অমুক গোত্রের মধ্যে কোন প্রকার মনােমালিন্য নেই ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
সবুজ বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হলেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন যুহাজির ও আনসারগণ ৷ র্তার৷ সকলে
বর্ম পরিহিত ছিলেন ৷ আবু সুফিয়ান (রা) বলল, “সুবহান৷ ল্লাহ্, হে আব্বাস (রা) ! এরা কারা ?”
তিনি বলেন, “আমি বললাম, ইনিণ্ডে ৷ মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ্, যিনি মুহাজির ও আনসারদের
পরিরেষ্টিত হয়ে আগমন করেছেন ৷” সে বলল, এদের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি কারোর নেই ৷
আল্লাহর শপথ, হে আবুল ফযল ৷ তোমার ভাইপো তো বড় বাদশা হয়ে গেছেন ৷ ’ আব্বাস (বা)
বললেন, আমি বললাম “হে আবু সুফিয়ান (রা) ! এটা নিঃসন্দেহে নৃবুওতের নিদর্শন ৷” সে
বলল, তাহলে তো এটা উত্তমই বলতে হয় ৷” তিনি বলেন, আমি বললাম, তােমা র সম্প্রদায়ের
মুক্তির ব্যবস্থা কর ৷ যখন আ বু সুফিয়ানের সম্প্রদায় কুরায়শদের প্রতি অগ্রসর হলো৩ তখন উচ্চস্বরে
ঘোষণা দিতে লাগলো , “হে কুরায়শের লোকেরা ! মুহাম্মাদ এসেছেন ৷ তার মুকা ৷বিলা করার শক্তি


عَسْكَرًا! قَالَ: يَقُولُ بُدَيْلٌ: هَذِهِ وَاللَّهِ خُزَاعَةُ حَمَشَتْهَا الْحَرْبُ. قَالَ: يَقُولُ أَبُو سُفْيَانَ: خُزَاعَةُ أَذَلُّ وَأَقَلُّ مِنْ أَنْ تَكُونَ هَذِهِ نِيرَانُهَا وَعَسْكَرُهَا. قَالَ: فَعَرَفْتُ صَوْتَهُ فَقُلْتُ: يَا أَبَا حَنْظَلَةَ. فَعَرِفَ صَوْتِي، فَقَالَ: أَبُو الْفَضْلِ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: مَا لَكَ، فَدَى لَكَ أَبِي وَأُمِّي؟ قَالَ: قُلْتُ: وَيْحَكَ يَا أَبَا سُفْيَانَ! هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ، وَاصَبَاحَ قُرَيْشٍ وَاللَّهِ. قَالَ: فَمَا الْحِيلَةُ، فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي؟ قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ لَئِنْ ظَفِرَ بِكَ لَيَضْرِبَنَّ عُنُقَكَ، فَارْكَبْ فِي عَجُزِ هَذِهِ الْبَغْلَةِ حَتَّى آتِيَ بِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْتَأْمِنُهُ لَكَ. قَالَ: فَرَكِبَ خَلْفِي وَرَجَعَ صَاحَبَاهُ - وَقَالَ عُرْوَةُ: بَلْ ذَهَبَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَا، وَجَعَلَ يَسْتَخْبِرُهُمَا عَنْ أَهْلِ مَكَّةَ وَقَالَ الزُّهْرِيُّ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: بَلْ دَخَلُوا مَعَ الْعَبَّاسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: قَالَ: فَجِئْتُ بِهِ كُلَّمَا مَرَرْتُ بِنَارٍ مِنْ نِيرَانِ الْمُسْلِمِينَ قَالُوا: مَنْ هَذَا؟ فَإِذَا رَأَوْا بَغْلَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا عَلَيْهَا قَالُوا: عَمُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بَغْلَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. حَتَّى مَرَرْتُ بِنَارِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ وَقَامَ إِلَيَّ، فَلَمَّا رَأَى أَبَا سُفْيَانَ عَلَى عَجُزِ الدَّابَّةِ قَالَ: أَبُو سُفْيَانَ عَدُوُّ اللَّهِ! الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَمْكَنَ مِنْكَ بِغَيْرِ عَقْدٍ وَلَا عَهْدٍ. وَزَعَمَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عُمَرَ وَجَأَ فِي رَقَبَةِ أَبِي سُفْيَانَ، وَأَرَادَ قَتْلَهُ فَمَنَعَهُ مِنْهُ الْعَبَّاسُ. وَهَكَذَا ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ عُيُونَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৬
أَخَذُوهُمْ بِأَزِمَّةِ جِمَالِهِمْ، فَقَالُوا: مَنْ أَنْتُمْ؟ قَالُوا: وَفْدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَقِيَهُمُ الْعَبَّاسُ، فَدَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَادَثَهُمْ عَامَّةَ اللَّيْلِ، ثُمَّ دَعَاهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَشَهِدُوا، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، فَشَهِدَ حَكِيمٌ وَبُدَيْلٌ، وَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: مَا أَعْلَمُ ذَلِكَ. ثُمَّ أَسْلَمَ بَعْدَ الصُّبْحِ، ثُمَّ سَأَلُوهُ أَنْ يُؤَمِّنَ قُرَيْشًا، فَقَالَ: " «مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ» - وَكَانَتْ بِأَعْلَى مَكَّةَ - «وَمَنْ دَخَلَ دَارَ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ فَهُوَ آمِنٌ» - وَكَانَتْ بِأَسْفَلِ مَكَّةَ - «وَمَنْ أَغْلَقَ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ» . قَالَ الْعَبَّاسُ: ثُمَّ خَرَجَ عُمَرُ يَشْتَدُّ نَحْوَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَكَضَتِ الْبَغْلَةُ، فَسَبَقَتْهُ بِمَا تَسْبِقُ الدَّابَّةُ الْبَطِيئَةُ الرَّجُلَ الْبَطِيءَ قَالَ: فَاقْتَحَمْتُ عَنِ الْبَغْلَةِ، فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَخَلَ عَلَيْهِ عُمَرُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا أَبُو سُفْيَانَ قَدْ أَمْكَنَ اللَّهُ مِنْهُ بِغَيْرِ عَقْدٍ وَلَا عَهْدٍ، فَدَعْنِي فَلْأَضْرِبْ عُنُقَهُ. قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ إِنِّي قَدْ أَجَرْتُهُ. ثُمَّ جَلَسْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذْتُ بِرَأْسِهِ، فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَا يُنَاجِيهِ اللَّيْلَةَ دُونِي رَجُلٌ. فَلَمَّا أَكْثَرَ عُمَرُ فِي شَأْنِهِ. قَالَ: قُلْتُ: مَهْلًا يَا عُمَرُ، فَوَاللَّهِ أَنْ لَوْ كَانَ مِنْ رِجَالِ بَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبٍ مَا قُلْتَ هَذَا، وَلَكِنَّكَ قَدْ عَرَفْتَ أَنَّهُ مِنْ رِجَالِ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ. فَقَالَ: مَهْلًا يَا عَبَّاسُ، فَوَاللَّهِ لَإِسْلَامُكَ يَوْمَ أَسْلَمْتَ كَانَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ إِسْلَامِ الْخَطَّابِ لَوْ أَسْلَمَ، وَمَا بِي إِلَّا أَنِّي قَدْ عَرَفْتُ أَنَّ إِسْلَامَكَ كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِسْلَامِ الْخَطَّابِ لَوْ أَسْلَمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اذْهَبْ بِهِ يَا عَبَّاسُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৭

তামাদের (নই; সুতরাং আত্মসমর্পণ কর ৷ যে আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে, সে
নিরাপদ ৷” তার ত্রী হিন্দা বিন্ত উতবা তার সামনে এসে দাড়াল এবং রাগে তার পৌফ ধরে
বলল, “এ ভুড়িওয৷ লা হতভাগাকে তোমরা হত্যা কর ৷ সে কতই না মন্দ প্রতিনিধি ! আবু সুফিয়ান
(বা ) বললেন, “তোমাদের জন্যে দুর্তোগ, তোমরা নিজেকে নিয়ে আর অহংকার করােনা ৷
কেননা, তিনি এসেছেন৩ তার বিশাল বাহিনী নিয়ে আজকের দিন তার মৃকাবিল৷ করার ক্ষমতা
তোমাদের মধ্যে (নই ৷৩ তাই যে আবু সুফিয়ান (রা) এর ঘরে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ’ ৷
জনগণ বলল, আল্লাহ্ তোমায় ধ্ব০ স করুক তোমার ঘর আমাদের কতদর কাজে লাগবে ?” সে
বলল, “যে তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেবে, সে নিরাপদ ৷ আর যে মসজিদে প্রবেশ করবে সেও
নিরাপদ ৷ লোকজন তাদের ঘরে ও মসজিদে চলে গেল ৷

উরওয৷ ইবন যুবায়র (রা) উল্লেখ করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন আবু সুফিয়ান (বা) এর কাছ
দিয়ে অন্যান্য গোত্র সহকারে অতিক্রম করছিলেন তখন তিনি রাসুলুহুা৷হ্ (সা) কে বললেন, “আমি
অনেক লোককেই দেখছি যাদেরকে চিনতে পারছি না ৷ এসব লোক আমাদের জন্যে অতিরিক্ত
বলেই মনে হয় ৷” জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “ভুমি ও তোমার সম্প্রদায় বহু কিছু করেছ ৷
তোমরা যখন আমাকে মিথ্যাবাদী ঠাওরিয়েছ ৷ এ লোকগুলো তখন আমাকে স৩ বাদী বলে বরণ
করেছে ৷ তোমরা যখন আমাকে দেশছাড়৷ করেছ ৷ তখন তারা আমাকে সাহায্য করেছে ৷”

যখন আবু সুফিয়ান (বা) সাদ ইবন উবাদা (রা)-এর কথা নিয়ে অভিযোগ করেন ৷ সাদ ইবন
উবাদ৷ (বা ) যখন আবু সুফিয়ান (বা ) এর সামনে দিয়ে অতিক্রম করছিলেন তখন তিনি
বলেছিলেন, “হে আবু সুফিয়া ন ! আজকের দিন যুদ্ধের দিন, আজকের দিনে৷ হ৷ রামকে হালাল করা
হবে ৷ অর্থাৎ বায়তুল্লাহ্র হুরমত আজ আর মানা হবে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন , “সা দ মিথ্যা
বলেছে বরং আজকের দিন, এমন একটি দিন যে দিনে আল্লাহ তাআলা কা’বাকে ইযযত দান
করবেন ৷ আর আজকের দিনে কা’বাকে গিলাফ পরানাে হবে ৷

উরওয৷ (বা) উল্লেখ করেন, যে রাতে আবুসুফিয়ান (বা) আব্বাস (রা)শ্এর কাছে ছিলেন,
পরদিন ভোরে তিনি লোকজনকে দেখতে পান যে, তারা সালাত আদায়ের দিকে মনােযোপী
হয়েছেন এবং পবিত্রতা অর্জনের জন্যে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়েছেন এতে তিনি ভীত হয়ে
পড়েন এবং আব্বাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করেন “তাদের কী হয়েছে ?’ আব্বাস (বা) বললেন,
“তারা আযানের ধ্বনি শুনেছেন এবং তারা সাল ৷ত আদায়ের জন্যে ছড়িয়ে পড়েছেন ৷” তারপর
যখন সালাত শুরু হল তখন তিনি তাদেরকে দেখলেন যে, তা রা৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর ককুর সাথে
ককু করছেন এবং তার সিজদার সাথে তারাও সিজদা করছেন ৷ তখন তিনি বললেন, “হে
আব্বাস ! তিনি যেই কাজেরই৩ ৷ তাদেরকে আদেশ করেন সেই কা ৷জই কি ত ৷র৷ করেন ষ্ ” আব্বাস
(রা ) বললেন, “হ্যা, আল্লাহর শপথ, যদি তিনি তাদেরকে খাবার বও পানীয় ছেড়ে দিতে বলেন,
তাহলেও তারা অবশ্যই তার আনুগত্য করবে ৷

মুসা ইবন উকব৷ ইমাম যুহ্রী হতে বর্ণনা করেন ৷ যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঐদিন উয়ু করলেন ,
তখন তারা উয়ুর পানি হাতে হাতে নিয়ে নিলেন ৷ আবু সুফিয়ান (বা) বললেন, হে আব্বাস (বা) ৷
গত রাতের ঘটনার ন্যায় আমি কিসৃরা ও কায়সারের দরবারেও কখনো দেখিনি ৷


رَحْلِكَ فَإِذَا أَصْبَحْتَ فَأْتِنِي بِهِ ". قَالَ: فَذَهَبْتُ بِهِ إِلَى رَحْلِي، فَبَاتَ عِنْدِي، فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَوْتُ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " وَيْحَكَ يَا أَبَا سُفْيَانَ! أَلَمْ يَأْنِ لَكَ أَنْ تَعْلَمَ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟ " فَقَالَ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، مَا أَحَلَمَكَ وَأَكْرَمَكَ وَأَوْصَلَكَ، وَاللَّهِ لَقَدْ ظَنَنْتُ أَنْ لَوْ كَانَ مَعَ اللَّهِ غَيْرُهُ لَقَدْ أَغْنَى عَنِّي شَيْئًا بَعْدُ. قَالَ: " وَيْحَكَ يَا أَبَا سُفْيَانَ! أَلَمْ يَأْنِ لَكَ أَنْ تَعْلَمَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ " قَالَ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، مَا أَحَلَمَكَ وَأَكْرَمَكَ وَأَوْصَلَكَ، أَمَّا هَذِهِ وَاللَّهِ فَإِنَّ فِي النَّفْسِ مِنْهَا حَتَّى الْآنَ شَيْئًا. فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ: وَيْحَكَ! أَسْلِمْ وَاشْهَدْ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، قَبْلَ أَنْ تُضْرَبَ عُنُقُكَ. قَالَ: فَشَهِدَ شَهَادَةَ الْحَقِّ فَأَسْلَمَ. قَالَ الْعَبَّاسُ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ يُحِبُّ هَذَا الْفَخْرَ، فَاجْعَلْ لَهُ شَيْئًا. قَالَ: " نَعَمْ، «مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ» - زَادَ عُرْوَةُ: " «وَمَنْ دَخَلَ دَارَ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ فَهُوَ آمِنٌ» ". وَهَكَذَا قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ - وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَهُوَ آمِنٌ ". فَلَمَّا ذَهَبَ لِيَنْصَرِفَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا عَبَّاسُ، احْبِسْهُ بِمَضِيقِ الْوَادِي عِنْدَ خَطْمِ الْجَبَلِ، حَتَّى تَمُرَّ بِهِ جُنُودُ اللَّهِ فَيَرَاهَا. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ وَبُدَيْلًا وَحَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ كَانُوا وُقُوفًا مَعَ الْعَبَّاسِ عِنْدَ خَطْمِ الْجَبَلِ، وَذَكَرَ أَنَّ سَعْدًا لَمَّا قَالَ لِأَبِي سُفْيَانَ: الْيَوْمُ يَوْمُ الْمَلْحَمَةِ، الْيَوْمُ تُسْتَحَلُّ الْحُرْمَةُ. فَشَكَّى أَبُو سُفْيَانَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৮

ইমাম বায়হাকী (ব) ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবু
সুফিয়ান (বা) কে নিয়ে আব্বাস (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আগমন করলেন ৷ এরপর রাবী
সম্পুর্ণ ঘটনা বর্থাং৷ করেন, তবে একথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে
যেদিন ভোরে তিনি আগমন করেন তার পুর্ব রাতেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আবার এ কথাও
উল্লেখ করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন তাকে বললেন, যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ
করবে সে নিরাপদ ৷ আবু সুফিয়ান (বা) বললেন, আমার ঘরতে৷ অতটা প্রশস্ত নয় ৷ ’ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, “যে ব্যক্তি কাব৷ ঘরে প্রবেশ করবে সেও নিরাপদ ৷’ তখন তিনি বলেন, “কাবা
ঘরওতে৷ অভ প্রশস্ত নয় ৷ ” রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বললেন, “যে ব্যক্তি মাসজিদৃল হারামে প্রবেশ
করবে সেও নিরাপদ ৷” তখনও তিনি বললেন, “মসজিদও তাে অত প্রশস্ত নয় ৷” তখন তিনি
বললেন, “যে ব্যক্তি নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে দেবে, সেও নিরাপদ ! আবু সুফিয়ান (বা) বলেন,
“হ্যা, এতে স্থান সঙ্কুলান হতে পারে ৷”

ইমাম বুখারী (র) হিশামের পিতা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
যখন মক্কা বিজয়ের বছর উক্ত অভিযানে বের হন ও এ খবর কুরায়শদের কাছে পৌছে ৷ তখন
রাসুলুল্পাহ্ (সা) সম্বন্ধে বিস্তারিত সংবাদ সংগ্রহের জন্যে আবু সুফিয়ান ইবন হারব , হাকীম ইবন
হিযাম ও বুদায়ল ইবন ওরাক৷ ঘর থেকে বের হলেন ৷ তারা সামনে অগ্রসর হয়ে মার্কয যাহ্রান
পৌছেন, তখন তারা সেখানে অভ বেশী পরিমাণে অগ্নি লক্ষ্য করলেন, যেমনটা আরাফাতের
ময়দানে দেখা যায় ৷ আবু সুফিয়ান (রা) বললেন, এগুলাে কি ? মনে হয় যেন আরাফাত ময়দানের
আগুন ৷ ’ বুদায়ল ইবন ওরাক৷ (রা) বললেন, এগুলো সম্ভবতঃ বনু আমরের প্রজ্বলিত আগুন ৷ আবু
সুফিয়ান (বা) বললেন, তারা সংখ্যায় এর চেয়ে অনেক কম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কয়েকজন
প্রহরী তাদেরকে দেখে ফেলেন এবং তাদেরকে গ্রেফতার করে ফেলেন ৷ তাদেরকে নিয়ে তখন
র্তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে উপস্থিত হন ৷ তখন আবু সুফিয়ান (বা) ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
এরপর যখন তিনি চলে যাবার অনুমতি চাইলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আব্বাস (রা)-কে
বললেন, “আবু সুফিয়ানকে পাহাড়ের প্রবেশ মুখে সংকীর্ণ স্থানে নিয়ে যাও, যাতে সে মুসলিম
সৈন্যদের প্রতি লক্ষ্য করতে পারে ৷ আব্বাস (বা) তাকে ওখানে নিয়ে গেলেন ৷ পােত্রসমুহ
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে দলে দলে আবু সুফিয়ানের সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন ৷ একটি
গোত্র যখন অতিক্রম করল তখন আবু সুফিয়ান (রা) আব্বাস (রা)-কে জিজ্ঞেস করলেন, “এরা
কারা ?” তিনি উত্তরে বললেন “এরা পিফার গোত্র ৷” তখন তিনি বললেন, “আমার ও শিক্ষার
গোত্রের মধ্যে কী সম্পর্ক ?” অর্থাৎ তারাতে৷ আমাদের শত্রু নয় ৷ এরপর জুহায়ন৷ গোত্র
অতিক্রম করে ৷ তাদের ক্ষেত্রেও অনুরুপ কথোপকথন হয় ৷ এরপর সাদ ইবন হুযায়ম গোত্র
অতিক্রম করে ৷ তাদের সম্পর্কেও অনুরুপ কথোপকথন হয় ৷ তারপর সুলায়ম গোত্রের ব্যাপারে
অনুরুপ কথোপকথন হয় ৷ তারপর এমন একটি সৈন্যদল আসল যাদের ন্যায় পুর্বে আর কখনও
দেখা যায়নি ৷ আবু সুফিয়ান (বা) বললেন, “এরা কারা ? আব্বাস (বা) বললেন, “এরা
আনসার যাদের আমীর হলেন সাদ ইবন উবাদ৷ (বা) যার সাথে রয়েছে পতাকা ৷ সাদ ইবন
উবাদ৷ (রা ) বললেন, “হে আবু সুফিয়ান ! আজকের দিন যুদ্ধের দিন, আজকের দিনে কা’বাকে
নিষেধমুক্ত গণ্য করা হবে ৷” তারপর আবুসুফিয়ান (রা) বলেন, “হে আব্বাস (বা) ! সামনে


رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَزَلَهُ عَنْ رَايَةِ الْأَنْصَارِ، وَأَعْطَاهَا الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ، فَدَخَلَ بِهَا مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ وَغَرَزَهَا بِالْحَجُونِ، وَدَخَلَ خَالِدٌ مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ فَلَقِيَهُ بَنُو بَكْرٍ وَهُذَيْلٌ، فَقُتِلَ مِنْ بَنِي بَكْرٍ عِشْرِينَ وَمِنْ هُذَيْلٍ ثَلَاثَةً أَوْ أَرْبَعَةً، وَانْهَزَمُوا فَقُتِلُوا بِالْحَزْوَرَةِ حَتَّى بَلَغَ قَتْلُهُمْ بَابَ الْمَسْجِدِ. قَالَ الْعَبَّاسُ: فَخَرَجْتُ بِأَبِي سُفْيَانَ حَتَّى حَبَسْتُهُ بِمَضِيقِ الْوَادِي حَيْثُ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَحْبِسَهُ. قَالَ: وَمَرَّتِ الْقَبَائِلُ عَلَى رَايَاتِهَا، كُلَّمَا مَرَّتْ قَبِيلَةٌ قَالَ: يَا عَبَّاسُ، مَنْ هَؤُلَاءِ؟ فَأَقُولُ: سُلَيْمٌ. فَيَقُولُ: مَا لِي وَلِسُلَيْمٍ. ثُمَّ تَمُرُّ بِهِ الْقَبِيلَةُ فَيَقُولُ: يَا عَبَّاسُ، مَنْ هَؤُلَاءِ؟ فَأَقُولُ: مُزَيْنَةُ. فَيَقُولُ: مَا لِي وَلِمُزَيْنَةَ. حَتَّى نَفِدَتِ الْقَبَائِلُ، مَا تَمُرُّ بِهِ قَبِيلَةٌ إِلَّا سَأَلَنِي عَنْهَا، فَإِذَا أَخْبَرْتُهُ قَالَ: مَا لِي وَلِبَنِي فُلَانٍ. حَتَّى مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كَتِيبَتِهِ الْخَضْرَاءِ وَفِيهَا الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، لَا يُرَى مِنْهُمْ إِلَّا الْحَدَقُ مِنَ الْحَدِيدِ، فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! يَا عَبَّاسُ، مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالَ: قُلْتُ: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ. قَالَ: مَا لِأَحَدٍ بِهَؤُلَاءِ مِنْ قِبَلٍ وَلَا طَاقَةٍ، وَاللَّهِ يَا أَبَا الْفَضْلِ لَقَدْ أَصْبَحَ مُلْكُ ابْنِ أَخِيكَ الْغَدَاةَ عَظِيمًا. قَالَ: قُلْتُ: يَا أَبَا سُفْيَانَ،
পৃষ্ঠা - ৩৩৯৯
إِنَّهَا النُّبُوَّةُ، قَالَ: فَنِعْمَ إِذَنْ. قَالَ: قُلْتُ: النَّجَاءَ إِلَى قَوْمِكَ. حَتَّى إِذَا جَاءَهُمْ صَرَخَ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، هَذَا مُحَمَّدٌ قَدْ جَاءَكُمْ فِيمَا لَا قِبَلَ لَكُمْ بِهِ، فَمَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ. فَقَامْتُ إِلَيْهِ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ، فَأَخَذَتْ بِشَارِبِهِ فَقَالَتْ: اقْتُلُوا الْحَمِيتَ الدَّسِمَ الْأَحْمَسَ، قُبِّحَ مِنْ طَلِيعَةِ قَوْمٍ. فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: وَيْلَكُمْ لَا تَغُرَّنَّكُمْ هَذِهِ مِنْ أَنْفُسِكُمْ، فَإِنَّهُ قَدْ جَاءَكُمْ مَا لَا قِبَلَ لَكُمْ بِهِ، مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ. قَالُوا: قَاتَلَكَ اللَّهُ، وَمَا تُغْنِي عَنَّا دَارُكَ؟ قَالَ: وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَهُوَ آمِنٌ. فَتَفَرَّقَ النَّاسُ إِلَى دَوْرِهِمْ وَإِلَى الْمَسْجِدِ. وَذَكَرَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا مَرَّ بِأَبِي سُفْيَانَ قَالَ لَهُ: إِنِّي لَأَرَى وُجُوهًا كَثِيرَةً لَا أَعْرِفُهَا، لَقَدْ كَثُرَتْ هَذِهِ الْوُجُوهُ عَلَيَّ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنْتَ فَعَلْتَ هَذَا وَقَوْمُكَ، إِنَّ هَؤُلَاءِ صَدَّقُونِي إِذْ كَذَّبْتُمُونِي، وَنَصَرُونِي إِذْ أَخْرَجْتُمُونِي ". ثُمَّ شَكَى إِلَيْهِ قَوْلَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ حِينَ مَرَّ عَلَيْهِ فَقَالَ: يَا أَبَا سُفْيَانَ، الْيَوْمُ يَوْمُ الْمَلْحَمَةِ، الْيَوْمُ تُسْتَحَلُّ الْحُرْمَةُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَذِبَ سَعْدٌ، بَلْ هَذَا يَوْمٌ يُعَظِّمُ اللَّهُ فِيهِ الْكَعْبَةَ، وَيَوْمٌ تُكْسَى فِيهِ الْكَعْبَةُ. وَذَكَرَ عُرْوَةُ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ لَمَّا أَصْبَحَ صَبِيحَةَ تِلْكَ اللَّيْلَةِ الَّتِي كَانَ عِنْدَ
পৃষ্ঠা - ৩৪০০

বিরাট গণ্ডগােল মনে হচ্ছে ! এরপর একটি স্বল্প সংখ্যক সৈন্যের বাহিনী আসল, র্তাদের মধ্যে
ছিলেন আল্লাহর রাসুল (সা) ও তীর সাহাবীগণ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পতাকাবাহী ছিলেন যুবায়র
ইবনুল আওয়াম (বা) ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) যখন আবু সুফিয়ান এর সামনে দিয়ে অতিক্রম করছিলেন
আবু সুফিয়ান রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলেন, “আপনি কি জানেন, সাদ ইবন উবাদা (বা) কী বলছেন
? ” তিনি বললেন, “কী বলেছে ?” তখন তিনি উত্তরে বললেন, এরুপ এরুপ ৷” রাসুলুল্লাহ্ (যা)
বললেন, সাদ (বা) সঠিক বলেনি, বরং আজকের দিনে আল্লাহ্ তাআল৷ কা ’বাকে সম্মান দান
করবেন, আজকের দিনে কা’বাকে গিলাফ পরানাে হবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাজুনে তীর ঝাণ্ডা স্থাপন
করার জন্যে আদেশ করলেন ৷

উরওয়া (বা) আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ আব্বাস (বা) ষুনায়র ইরনুল আওয়াম
(রা)-কে জিজ্ঞেস করেন, এখানে কি পতাকা স্থাপন করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নির্দেশ
দিয়েছেন ?” তিনি বললেন, হীা’ ৷ তিনি বললেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)কে
মক্কার উচু ভুমি কাদা’ দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) থােদ প্রবেশ
করেছেন কুদা’ অঞ্চল দিয়ে ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)-এর বাহিনীর দুই ব্যক্তি হুনায়শ ইবন
আল-আশআর ও কুবয ইবন জাবির আলফিহরী ঐ দিন শহীদ হন ৷

আবু দাউদ (র) আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ,
“মক্কা বিজয়ের বছর আবু সুফিয়ান ইবন হারব (রা)-কে নিয়ে আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আগমন করেন ৷ আবু সুফিয়ান মার্কয যাহ্রানে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে লক্ষ্য করে আব্বাস (রা) বলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! নিশ্চয়ই আবু সুফিয়ান (বা )
এমন এক ব্যক্তি যিনি গৌরব পসন্দ করেন ৷ আপনি যদি তার জন্যে গৌরবের একটি কিছু
করতেন ! রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, “ঠিক আছে ৷ যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ান (রা ) এর ঘরে প্রবেশ
করবে, সে নিরাপদ ৷ আর যে ব্যক্তি আপন ঘরের দরজা বন্ধ করে দেবে , সেও নিরাপদ ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মক্কায় প্রবেশ

বুখারী ও মুসলিম শরীফে আনাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মাথায় লৌহ শিরস্ত্রাণ
পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ তিনি মাথা থেকে শিরস্ত্রাণ খৃলতেই এক ব্যক্তি এসে
বললাে , ইবন খাতাল কাবার গিলাফ ধরে দাড়িয়ে আছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তাকে হত্যা
কর ৷ ইমাম মালিক (র) বলেন, আমাদের ধারণা মতে সেদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইহ্রাম পরা
অবস্থায় ছিলেন না ৷ ইমাম আহমদ আফ্ফান জাবির (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, মক্কা
বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাল পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ এ হাদীছটি
তিরমিযী নাসাঈ , আবু দাউদ ও ইবন মাজা হামমাদ ইবন সালড়ামা সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন এবং
তিরমিযী একে হাসান সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম কুতায়বা ও ইয়াহ্য়৷ ইবন
ইয়াহ্য়৷ জাবির সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় প্ররেশকালে কাল পাগড়ী
পরিহিত ছিলেন ৷ তখন তিনি ইহ্রাম অবস্থায় ছিলেন না ৷ ইমাম মুসলিম আবু উসামা সুত্রে
আমর ইবন হুরায়ছ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি যেন এখনও দেখতে পাচ্ছি, মক্কা
বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাথায় মোট কাল রং এর পাগড়ী পরা ছিল, যার শামলা দৃই


الْعَبَّاسِ، وَرَأَى النَّاسَ يُحَشْحِشُونَ لِلصَّلَاةِ، وَيَنْتَشِرُونَ فِي اسْتِعْمَالِ الطَّهَارَةِ خَافَ وَقَالَ لِلْعَبَّاسِ: مَا بَالُهُمْ؟ قَالَ: إِنَّهُمْ سَمِعُوا النِّدَاءَ، فَهُمْ يَنْتَشِرُونَ لِلصَّلَاةِ. فَلَمَّا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ وَرَآهُمْ يَرْكَعُونَ بِرُكُوعِهِ، وَيَسْجُدُونَ بِسُجُودِهِ قَالَ: يَا عَبَّاسُ، مَا يَأْمُرُهُمْ بِشَيْءٍ إِلَّا فَعَلُوهُ! قَالَ: نَعَمْ، وَاللَّهِ لَوْ أَمَرَهُمْ بِتَرْكِ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ لَأَطَاعُوهُ. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّهُ لَمَّا تَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلُوا يَتَكَفَّفُونَ، فَقَالَ: يَا عَبَّاسُ، مَا رَأَيْتُ كَاللَّيْلَةِ وَلَا مُلْكَ كِسْرَى وَقَيْصَرَ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي الْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَذَكَرَ هَذِهِ الْقِصَّةَ بِتَمَامِهَا كَمَا أَوْرَدَهَا زِيَادٌ الْبَكَّائِيُّ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ مُنْقَطِعَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. عَلَى أَنَّهُ قَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي بِلَالٍ الْأَشْعَرِيِّ، عَنْ زِيَادٍ الْبَكَّائِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ
পৃষ্ঠা - ৩৪০১
قَالَ: «جَاءَ الْعَبَّاسُ بِأَبِي سُفْيَانَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ. فَذَكَرَ الْقِصَّةَ، إِلَّا أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّهُ أَسْلَمَ مِنْ لَيْلَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُصْبِحَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ لَمَّا قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ ". قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: وَمَا تَسَعُ دَارِي؟ فَقَالَ: " وَمَنْ دَخَلَ الْكَعْبَةَ فَهُوَ آمِنٌ ". قَالَ: وَمَا تَسَعُ الْكَعْبَةُ؟ فَقَالَ: " وَمَنْ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَهُوَ آمِنٌ ". قَالَ: وَمَا يَسَعُ الْمَسْجِدُ؟ فَقَالَ: " وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ ". فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: هَذِهِ وَاسِعَةٌ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فَبَلَغَ ذَلِكَ قُرَيْشًا، خَرَجَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، وَحَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، وَبُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ، يَلْتَمِسُونَ الْخَبَرَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقْبَلُوا يَسِيرُونَ حَتَّى أَتَوْا مَرَّ الظَّهْرَانِ، فَإِذَا هُمْ بِنِيرَانٍ كَأَنَّهَا نِيرَانُ عَرَفَةَ، فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: مَا هَذِهِ؟ كَأَنَّهَا نِيرَانُ عَرَفَةَ! فَقَالَ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ: نِيرَانُ بَنِي عَمْرٍو. فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: عَمْرٌو أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ. فَرَآهُمْ نَاسٌ مِنْ حَرَسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَدْرَكُوهُمْ فَأَخَذُوهُمْ، فَأَتَوْا بِهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَسْلَمَ أَبُو سُفْيَانَ، فَلَمَّا سَارَ، قَالَ لِلْعَبَّاسِ: " احْبِسْ أَبَا سُفْيَانَ عِنْدَ خَطْمِ الْجَبَلِ حَتَّى يَنْظُرَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ ". فَحَبَسَهُ الْعَبَّاسُ، فَجَعَلَتِ الْقَبَائِلُ تَمُرُّ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَمُرُّ كَتِيبَةً كَتِيبَةً عَلَى أَبِي سُفْيَانَ، فَمَرَّتْ كَتِيبَةٌ فَقَالَ: يَا عَبَّاسُ مَنْ هَذِهِ؟ قَالَ: هَذِهِ غِفَارٌ. قَالَ: مَا لِي وَلِغِفَارٍ. ثُمَّ مَرَّتْ جُهَيْنَةُ فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৩৪০২

র্কাধের মাঝখানে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন ৷ মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ গ্রন্থসমুহে হযরত জাবির
বর্ণিত হাদীছে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কায় প্রবেশ করেন তখন তিনি কাল পাগড়ী
পরিহিত ছিলেন, ৷ সুনানে আরবাআ (অর্থাৎ তিরমিযী, নাসাঈ, আবু দাউদ ও ইবন মাজার)
গ্রন্থকারগণ ইয়াহ্য়া ইবন আদম সুত্রে জাবির (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মক্কায়
প্রবেশকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর পতাকা ছিল সাদা ৷ ইবন ইসহাক হযরত আইশার হাদীছ উদ্ধৃত
করেছেন যে, মক্কা বিজয়কালে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পতাকার রং ছিল সাদা এবং ব্যানারের রং ছিল
কাল ৷ পতাকার নাম ছিল উকাব ৷ একটা পশমী চাদর কেটে এটা তৈরি করা হয়েছিল ৷ বৃখারী
শরীফে আবুল ওয়ালীদ সুত্রে আবদৃল্লা হ্ ইবন মুগাফফ৷ ল থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মক্কা
বিজয়ের দিন আ ৷মি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কেত তার উদ্রীব উপর নওয়াব অবস্থয় সুরা ফাতহ ত ৷রজী করে
(টেনে টেনে) পড়তে শুনেছি ৷ রর্ণনাকারী মুআৰিয়া ইবন কুবৃরাত৷ বলেন , আমার চারপাশে
লোকজন সমবেত হয়ে যাওয়ার আশংকা না থাকলে আবদুল্লাহ ইবন মুগ ৷ফ্ফাল যেভাবে রাসুলের
তারজী’ নকল করে আমাকে শুনিয়েছিলেন আমিও সেভাবে ত্;চারজী’ করে শুনাত ৷ম ৷ ইবন
ইসহ ক বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যী তৃয়া
পর্যন্ত পৌছে আপন বাহনের উপর থেমে যান ৷ তখন তিনি ছিলেন ইয়ামনী লাল বর্ণের চাদরের
পাপড়ী পরিহিত ৷ আল্লাহ তাকে বিজয় দান করে যে গৌরব দান করেছেন সে কথা স্মরণ করে
আল্লাহর প্রতি বিনয়াবনত হয়ে মাথা এতই ঝুকিংয় দেন যে, তার দাড়ি মুবারক হাওদার সাথে প্রায়
লেগে যায় ৷ হাফিয বায়হাকী আবুআবদৃল্লাহ্ আল-হাফিয়ের একটি সুত্রে হযরত আনাস
(রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ মক্কা বিজয়ের দিনে শহরে প্রবেশ করার সময় বিনয়ভাবে রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর থুতনী মুবারক বাহনের পিঠের সাথে মিশে যায় ৷ তার আর একটি সুত্রে ইবন
মাসউদ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মক্কা বিজয়ের দিন এক ব্যক্তি এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে
আলাপ করছিল ৷ তখন (ভয়ে) তার দেহে র্কাপন ধরে যায় ৷ তিনি বললেন, স্বাভাবিক হও !
(ভরের কোন কারণ নেই ৷) কেননা, আমি এমন একজন কুরায়শী মহিলার সন্তান যিনি সং রক্ষিত
শুকনো গোশৃত যেয়ে জীবন ধারণ করতেন ৷ বায়হাকী বলেন এ হাদীছটি ইসমাঈল ইবন আবুল
হারিছ থেকে মুত্তাসিল এবং ইসমাঈল ইবন কায়স থেকে মুরসালভাবে বর্ণিত হয়েছে ৷ এখানে
লক্ষণীয় বিষয় হল, মক্কা বিজয় অভিযানে মক্কায় প্রবেশকালে এই বিশাল তেজদীপ্ত সৈন্য বাহিনীর

সাথে থেকে এ রকম বিনয় প্রকাশ করা, বনী ইসরাঈলেব নির্বে৷ ৷ধদের সেই ঘটনার সম্পুর্ণ বিপরীত
চিত্র যেখানে তাদেরকে নির্দেশ দেয়৷ হয়েছিল বায়তুল মুক ৷দ্দাসের প্রবেশ দ্বার অতিক্রমকা ৷লে
রুকু-সিজদা বত অবস্থায় মাথা নত করে যাওয়ার জন্যে এবং মুখে হিত্তা ৷তুন’ (ক্ষমা চাই) শব্দ
উচ্চারণ করতে ,কিন্তু তা রা৷ মাথা উচু রেখে নিতন্বের উপর ভর করে তা মাটিতে ঘেষতে যেষতে
প্রবেশ করে ৷ এবং হিত্তা ৷তুন শব্দ পরিবর্তন করে হিন৩ তাতুন ফী শাঈরাতিন’ (ঘরের মধ্যে গম)
বলতে থাকে ৷ বুথারী কাসিম ইবন খারিজ৷ আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ মক্কা
বিজয়ের বছর নবী (সা) মক্কার উচু এলাকা কাদা এর দিক থেকে প্রবেশ করেন ৷ আবু উসামা
এবং ওহাবও তা ৷র পিছে পিছে কাদা এর দিক থেকে প্রবেশের কথা বর্ণনা ৷করেছেন ৷ উবায়দ
ইবন ইসমাঈল হিশাম৩ তার পিত ৷ থেকে বর্ণিত যে মক্কা বিজয়ের বছর নবী (সা) মক্কার
উচু এলাকা অর্থাৎ কাদা’ নামক স্থান দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন ৷ মুরসাল হাদীছ যদি মুসনাদ হাদীছ

৬৪ —

مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ مَرَّتْ سَعْدُ بْنُ هُذَيْمٍ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَمَرَّتْ سُلَيْمٌ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ، حَتَّى أَقْبَلَتْ كَتِيبَةٌ لَمْ يَرَ مِثْلَهَا فَقَالَ: مَنْ هَذِهِ؟ قَالَ: هَؤُلَاءِ الْأَنْصَارُ، عَلَيْهِمْ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ مَعَهُ الرَّايَةُ. فَقَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ: يَا أَبَا سُفْيَانَ، الْيَوْمُ يَوْمُ الْمَلْحَمَةِ، الْيَوْمُ تُسْتَحَلُّ الْكَعْبَةُ. فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَا عَبَّاسُ، حَبَّذَا يَوْمُ الذِّمَارِ. ثُمَّ جَاءَتْ كَتِيبَةٌ، وَهِيَ أَقَلُّ الْكَتَائِبِ، فِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ، وَرَايَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، فَلَمَّا مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَبِي سُفْيَانَ قَالَ: أَلَمْ تَعْلَمْ مَا قَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ؟ فَقَالَ: " مَا قَالَ؟ " قَالَ: كَذَا وَكَذَا. فَقَالَ: " كَذِبَ سَعْدٌ، وَلَكِنَّ هَذَا يَوْمٌ يُعَظِّمُ اللَّهُ فِيهِ الْكَعْبَةَ، وَيَوْمٌ تُكْسَى فِيهِ الْكَعْبَةُ " وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُرْكَزَ رَايَتُهُ بِالْحَجُونِ قَالَ عُرْوَةُ: وَأَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ الْعَبَّاسَ يَقُولُ لِلزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ: هَاهُنَا أَمَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَرْكِزَ الرَّايَةَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ أَنْ يَدْخُلَ مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ مِنْ كَدَاءٍ، وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ كُدًى فَقُتِلَ مِنْ خَيْلِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ يَوْمَئِذٍ رَجُلَانِ، حُبَيْشُ بْنُ الْأَشْعَرِ، وَكُرْزُ بْنُ جَابِرٍ الْفِهْرِيُّ
পৃষ্ঠা - ৩৪০৩
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، ثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ جَاءَهُ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بِأَبِي سُفْيَانَ بْنِ حَرْبٍ، فَأَسْلَمَ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ، فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ يُحِبُّ هَذَا الْفَخْرَ، فَلَوْ جَعَلْتَ لَهُ شَيْئًا؟ قَالَ: " نَعَمْ مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ أَغْلَقَ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ» .
পৃষ্ঠা - ৩৪০৪

অপেক্ষা উৎকৃষ্ট হয় তা হলে প্রথম বর্ণনা থেকে দ্বিতীয় বর্ণনাটি অধিক বিশুদ্ধ ৷ নচেৎ প্রসিদ্ধতর ও
সঠিক মত অনুযায়ী মক্কার উচু এলাকাকে বলা হয় কাদা ( ন্ ৷ ($) এবং মক্কার নিম্ন ভুমিকে বলা হয়

( এোছু ) কুদা ৷ আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি এবং সহীহ্ বুখারীর বর্ণনায়ও এসেছে যে সে দিন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খড়ালিদ ইবন ওয়ড়ালীদকে মক্কার উচু এলাকা (কাদা) দিয়ে প্রবেশ করার জন্যে
প্রেরণ করেন এবং নবী করীম (সা) নিজে মক্কার নিম্ন এলাকা কুদার দিক থেকে প্রবেশ করেন ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ বায়হাকী বলেন, আবুল হুসায়ন ইবন আবদান — ইবন উমর (রা)
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন
মহিলারা এসে অশ্বগুলাের মুখের ধুলাবালি মুছে দিতে থাকে ৷ এ দৃশ্য দখে রাসৃলুল্লাহ্ (সা)
ঘুচকি হেসে আবু বকরকে বললেন, আবু বকর ! হাসৃসানেব কবিতাটা কী ? তখন আবু বকর (রা )
হাসৃসানের নিম্নোক্ত কবিতাৎশ আবৃত্তি করেন : ইয়াইেয়৷ ইয়াহ্ইয়া

;

১৷ ৷ ;); গ্লুা প্রু
অর্থ : তোমরা যদি লক্ষ্য না রাখ, তা হলে আমি আমার প্রিয় অশ্বগুলো হারাব ৷ যেগুলো কাদা
নামক স্থানের দুই প্রান্তের ধৃলাবালি উড়িয়ে চলছিল ৷ যীন পরান অবস্থায় সেগুলো লাগামের সাথে

প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিল ৷ আর মহিলারা তাদের ওড়না দিয়ে সেগুলোর ধুলাবালি ঝেড়ে
দিচ্ছিল ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হাসৃসান যেভাবে বলেছে সেভাবে একে অন্তর্ভুক্ত কর ৷

ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন আববাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র তার পিতার সুত্রে,
তার দাদী আসমা বিনত আবু বকর থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন যী
তৃওয়ড়ায় অবস্থান করেন, তখন আবু কুহাফ৷ তার কনিষ্ঠতম কন্যাকে ডেকে বললেন, হে আমার
কন্যা ! আমাকে আবু কুরায়স পাহাড়ে নিয়ে চলো ৷ আসৃমা বলেন, তখন তার দৃষ্টিশক্তি লোপ
পেয়ে গিয়েছিল ৷ সে অবস্থায় কন্যাটি তাকে নিয়ে পাহাড়ে আরোহণ করল ৷ আবু কুহাফা
বললেন, হে আমার কন্যা ! তুমি কি দেখতে পাচ্ছে৷ ? মেয়েটি বললো, আমি এক বিশাল
জনসমষ্টি দেখতে পাচ্ছি ৷ আবুকুহাফা বললেন, এরা অশ্বারোহী বাহিনী ৷ যেয়েটি আরো বললো,
আমি এক ব্যক্তিকে উক্ত জনসমষ্টির আগে পিছে অত্যন্ত তৎপর দেখতে পাচ্ছি ৷ আবু কুহাফা
বললেন, হে আমার কন্যা ঐ ব্যক্তিই বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং আগে আগে থাকছে ৷
তারপর যেয়েটি বললো, আল্লাহর কসম, জনতা এখন বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে ৷ আবু কুহাফা
বললেন, আল্লাহর কসম , তা হলে অশ্বারােহী বাহিনীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ৷ তুমি আমাকে
তাড়াতাড়ি বাড়ি নিয়ে চলো ৷ তখন যেয়েটি তাকে নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসে ৷ কিন্তু
বাড়িতে পৌছবার আগেই তিনি অশ্বারােহীদের সামনে পড়ে যান ৷ আসমা বলেন, যেয়েটির গলায়
স্বর্ণের একটি হার ছিল, এক ব্যক্তি অগ্রসর হয়ে তার গলা থেকে হারটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় ৷ আসমা
বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কায় আসেন এবং মসজিদে প্রবেশ করেন ৷ তখন আবু
বকর তার পিতাকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দেখেই বললেন,


[صِفَةُ دُخُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ] ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ وَعَلَى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ، فَلَمَّا نَزَعَهُ، جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: إِنَّ ابْنَ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ. فَقَالَ: " اقْتُلُوهُ» قَالَ مَالِكٌ: وَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا نَرَى، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، مُحْرِمًا. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادٌ، أَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ» . وَرَوَاهُ أَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةِ، مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ وَيَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ مِنْ غَيْرِ إِحْرَامٍ» . وَرَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ مُسَاوِرٍ الْوَرَّاقِ، «عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ
পৃষ্ঠা - ৩৪০৫

মুরব্বিকে বাড়ি রেখে আসলে না কেন ? আমিই বাড়িতে গিয়ে তাকে দেখে আসতাম ৷ আবু বকর
(রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আপনার নিজে গিয়ে দেখে আমার চাইতে আপনার কাছে তার
৩া৷সাট ই অধিকতর মানানসই ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ (সা)৩ তাকে সম্মুখে বসিয়ে র্তার বুকে হাত
বুলিয়ে দিয়ে বললেন, ইসলাম কবুল করুন ৷ বৃদ্ধ আবু কুহাফা তখন ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷
আসম৷ বলেন, আবু বকর যখন পিতাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে প্রবেশ করেন, তখন
৷ তার মাথাটি কাশফুলের মত শ্বেত শুভ্র দেখাচ্ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তবললেন, তার চুল রাঙ্গিয়ে
দাও ! তারপর আবু বকর তার বোনের হাত ধরে দাড়িয়ে বললেন, আল্লাহর দােহাই ! ইসলামের
দােহাই ! আমি আমার এই বোনের স্বর্ণের হারটি ফেরত চাই ৷ কিভু কারও থেকে কোন উত্তর
পাওয়া গেল না ৷ তখন আবু বকর বললেন, শুনাে বোন ! নিজের হার নিজেই সামলে রাখবে ৷
আল্লাহর কসম ! লোকদের মধ্যে আজ আর তেমন আমানতদা রী নেই ৷ আজ’ বলতে হযরত
আবু বকর সিদ্দীক ঐ দিনকেই নির্দিষ্ট করে বুঝিয়েছেন ৷ কেনন৷ সে দিন সৈনাস থ্যা ছিল বিপুল ৷
বিক্ষিপ্তভাবে থাকার কা ৷রণে কেউ কারও ঘোজ রাখতে পারছি^৷ না ৷ আর যে ব্যক্তি হার ছিনিয়ে
নিয়েছে হযরত সিদ্দীক হয়তো মনে করেছেন যে, যে ব্যক্তি হয়তো শত্রু পক্ষের কেউ হবে ৷
হাফিয বায়হাকী বলেন, আবদুল্লাহ আর হাফিয জাবির (রা) থেকে বর্ণিত ৷ উমর ইবন
খাত্তাব আবু কুহাফাকে হাতে ধরে নবী করীম (সা)-এর কাছে নিয়ে যান ৷ তাকে দেখে রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, একে পরিবর্তন করে দাও অর্থাৎ তার দা ৷ড়ি রাঙ্গিয়ে দাও তবে কাল করে৷ না ৷
ইবন ওহাব যায়দ ইবন অ ৷সলাম থেকে বর্ণনা করেন যে আবু বকরের পিতা ইসলাম গ্রহণ
করার রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকরকে মুবারকবাদ জানান ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল্লাহ ইবন
নাজীহ আমার নিকট বর্ণনা ৷করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন তার সৈন্য বাহিনীকে ষী তৃওয়া
থেকে বিভিন্ন দলে বি৩ ক্ত করে মক্কায় প্রবেশের আদেশ দেন, তখন যুবায়র ইবনুল আওয়ামকে
একটি দল নিয়ে কাদার দিক থেকে প্রবেশ করার হুকুম দেন ৷ যুবায়র বাহিনীর রাম অংশের
দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন ৷ আর সাদ ইবন উবাদাকে আর একটি দল নিয়ে কুদার দিক থেকে
প্রবেশের নির্দেশ দেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, কোন কোন আলিম বলেছেন যে, সাদ ইবন উবাদা
মক্কায় প্রবেশের জন্যে যাত্র ৷কালে বলেছিলেনং :



“আজকের দিন কঠিন যুদ্ধের দিন ! আজ বায়তৃল্লাহ্ব হুরমতকে হালাল করার দিন !

জনৈক ব্যক্তি তার এ কথাটি শুনে ফেলেন ৷ ইবন হিশামের মতে ,তিনি ছিলেন উমার ইবন
হতো যে (রা) ৷ তিনি বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্ সা দ ইবন উবাদা কি বলছে শুনুন ! কুরায়শদের
উপর যে যে হামলা করবে না সে ব্যাপারে আমরা তার উপর ভরসা করতে পারছি না ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলীকে ডেকে বললেন : তুমি ওর কাছে যাও এবং তার নিকট থেকে পতাকা
নিজ হাতে তনিয়ে তা নিয়ে তুমিই বরং নগরে প্রবেশ কর ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ব্যতীত ৩অন্য একজন বর্ণনা কারী ঘটনাটি এ৬ ৷বে বর্ণনা করেছেন যে

সা দ ইবন উবাদ৷ আবু সুফিয়ানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তাকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন,
হে আবু সুফিয়ান ! “আজকের দিন সং ঘাতের দিন ৷ আজকের দিন বায়তুল্লাহ্র স্থুরমাতকে হালাল


وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ حَرَقَانِيَّةٌ سَوْدَاءُ قَدْ أَرْخَى طَرَفَيْهَا بَيْنَ كَتِفَيْهِ» . وَرَوَى مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ» . وَرَوَى أَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةِ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ آدَمَ، عَنْ شَرِيكٍ الْقَاضِي، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «كَانَ لِوَاءُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ دَخَلَ مَكَّةَ أَبْيَضَ» . وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَ: «كَانَ لِوَاءُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ أَبْيَضَ، وَرَايَتُهُ سَوْدَاءَ تُسَمَّى الْعُقَابَ، وَكَانَتْ قِطْعَةً مِنْ مِرْطٍ مُرَحَّلٍ»
পৃষ্ঠা - ৩৪০৬

বিবেচনায় দিন” ৷ তখন আবু সৃফিয়ান রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট সাদ এর উক্তির বিরুদ্ধে
অভিযোগ পেশ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জবাবে বললেন : না , বরং আজকের দিন কা’বার সম্মান
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দিন ৷ তিনি সাদ ইবন উবাদাকে সৌজন্য শিক্ষা দেয়ার জন্যে তার হাত থেকে
আনসারদের পতাকা নিয়ে নেয়ার আদেশ দেন ৷ কথিত আছে যে, মধ্যে এর নিকট থেকে পতাকা
নিয়ে তা র্তারই পুত্র কায়স ইবন সাদের হাতে ন্যস্ত করা হয় ৷ কিভু মুসা ইবন উকবা যুহবী
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, সাদ এর হাত থেকে পতাকা নিয়ে যুবায়র ইবন আওয়ামের হাতে
প্রদান করা হয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

হাফিয ইবন আসাকির ইয়া’কুব ইবন ইসহাক ইবন দীনারের আংলাচনায় আবদুল্লাহ ইব ন
সুররী এভাকী ও মুসা ইবন উকবা সুত্রে জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (বা ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাদ ইবন উবাদার হাতে পতাকা প্রদান করেন ৷ সাদ পতাকা
নেড়ে নেড়ে বলছিলেন “আজকের দিন রক্তপাতের দিন ৷ আজ কাবব হুরমত হালাল করার দিন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, সাদের এ কথাটি কুরায়শদের মনে প্রচণ্ড আঘাত করল এবং তাদের
আত্মমর্যাদায় খুব লাগলো ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন : এ সময় জনৈক মহিলা তার গতি-পথে সম্মুখে
আসে এবং নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করে :



(


ণ্এো৷ এ্ওা


অর্থ : হে সঠিক পথের সন্ধান দানকারী নবী কুরায়শ জনগণ আপনার নিকট আশ্রয় গ্রহণ
করেছে এবং আশ্রয় গ্রহণকালে সংবাদ প্রদান করেছে ৷

তারা আশ্রয় নিয়েছে এমন সময়, যখন প্রশস্ত ভুখণ্ড তাদের উপর সংকুচিত হয়ে পড়েছে ৷
আর আসমানের প্রভু তাদের প্রতি বিরুপ হয়েছেন ৷

এ কওমের অবস্থা অতি শোচনীয় অবস্থায় উপনীত হয়েছে ৷ এক জন-মানবশুন্য ধুসর প্রাম্ভর
তাদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে ৷

সাদ এখন চাচ্ছে, এ উপত্যকার দুর্বল অধিবাসীদের কােমর ভেৎগে দিতে ৷
সে তো খাযরাজ গোত্রের লোক ; ক্রোধের আতিশয্যে সে আমাদেরকে শকুন ও কুকুরের


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ قَالَ: «سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُغَفَّلٍ يَقُولُ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ عَلَى نَاقَتِهِ وَهُوَ يَقْرَأُ سُورَةَ " الْفَتْحِ " يُرَجِّعُ. وَقَالَ: لَوْلَا أَنْ يَجْتَمِعَ النَّاسُ حَوْلِي لَرَجَّعْتُ كَمَا رَجَّعَ» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا انْتَهَى إِلَى ذِي طُوًى، وَقَفَ عَلَى رَاحِلَتِهِ مُعْتَجِرًا بِشُقَّةِ بُرْدٍ حِبَرَةٍ حَمْرَاءَ، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَضَعُ رَأْسَهُ تَوَاضُعًا لِلَّهِ، حِينَ رَأَى مَا أَكْرَمَهُ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْفَتْحِ، حَتَّى إِنَّ عُثْنُونَهُ لَيَكَادُ يَمَسُّ وَاسِطَةَ الرَّحْلِ» . وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا دَعْلَجُ بْنُ أَحْمَدَ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيٍّ الْأَبَّارُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَذَقْنُهُ
পৃষ্ঠা - ৩৪০৭

খাদ্য হিসেবে নিক্ষেপ করতেও ত্রুটি করবে না ৷ আপনি তাকে বাধা দিন ৷ না হলে সে তো রক্ত
পিপাসু সিংহ ও নেকড়ের ভুমিকা গ্রহণ করবে ৷

সে যদি স্বেচ্ছা প্ৰণোদিত হয়ে পতাকা ধারণ করে এবং পতাকার অধিকারী ও সংরক্ষণ-
কারীদের আহ্বান করে, তাহলে কুরায়শদের এ উপত্যকা দাসীদের হাতে শুন্য মরুভুমিতে পরিণত
হয়ে যাবে ৷

যে এমন বীর-বাহাদুর যে, বিষাক্ত মুক সর্পের ন্যায় এ উপত্যকায় তার নীরব সিদ্ধান্ত

কার্যকর করতে চায় ৷

এ কবিতা ওনার পর তাদের প্রতি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ষ্ন্াহানুতুতির সঞ্চার হল এবং তার
নির্দেশক্রমে সাদ ইবন উবাদার হাত থেকে পতাকা নিয়ে তারই পুত্র কায়স ইবন সা ’ দের হাতে
তুলে দেয়া হলো ৷ বলা হয়ে থাকে যে, মহিলাটি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগ্রহ সহকারে
মিনতি জানালে তিনি যেমন তাকে নিরাশ করতে চাননি, তেমনি সাদকেও অখুশী করতে চাননি-
তাই তিনি সাদের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তারই পুত্রের হাতে তা অর্পণ করেন ৷

ইবন ইসহড়াক বলেন ;; ইবন আবু নাজীহ র্তার বর্ণনায় আরও উল্লেখ করেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নির্দেশে খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ কিছু লোক নিয়ে মক্কার নিস্নাঞ্চল লায়ত’ দিয়ে প্রবেশ
করেন ৷ খালিদ ছিলেন ডান দিকের বাহিনীর অধিনায়ক ৷ আর এ বাহিনীতে ছিল আসলাম, সুলায়ম ,
গিফার, মুযায়না ও জুহায়নাসহ আরবের আরও কতিপয় গোত্র ৷ অপর দিকে আবু উবায়দা ইবনুল
জাররাহ (রা) মুসলমানদের এক সারি লোকসহ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সম্মুখ দিয়ে মক্কায় প্রবেশ
করেন ৷ আর স্বয়ং রাসুলুল্লাহ্ (সা) আযাখির হয়ে মক্কার উচু এলাকায় উপনীত হন এবং সেখানেই
তার জন্যে র্তাবু স্থাপন করা হয় ৷ বুখারী যুহরী আলী ইবন হুসায়ন উসামা ইবন যায়দ সুত্রে
বর্ণনা করেন : মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে উসামড়া রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্; আপামীকাল কোথায় অবস্থান করবেন ? তিনি বললেন, আকীল কি আমাদের জানা
কোন জায়গা-জমি অবশিষ্ট রেখেছে ? তারপরে তিনি বললেন ও কাফির ঘু’মিনের ওয়ারিশ হয় না
এবং মু’মিন ও কাফিরের ওয়ারিশ হয় না ৷ এরপর বুখারী আবুল ইয়ামান সুত্রে আবু হুরায়রা
(রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ নবী করীম (সা ) বলেন, আল্লাহ আমাদেরকে বিজয় দান করলে
ইনশাআল্লাহ্ আমাদের অবস্থান স্থল হবে খায়ফে যেখানে কাফিরর৷ কুফরীর উপর পরস্পর শপথ
গ্রহণ করেছিল ৷ ইমাম আহমদ ইউনুস সুত্রে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন : ইনৃশাআল্লাহ্ আগামীকাল আমাদের অবস্থানস্থুল হয়ে খায়ফে বনু
কিনানায় যেখানে কুরায়শরা কুফরীর উপরে শপথ করেছিল ৷ ইমাম বুখাবীও ইবরাহীম ইবন
সাদ সুত্রে আবু হুরায়রা থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : আবদুল্লাহ ইবন আবু নাজীহ ও আবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর আমার
নিকট বর্ণনা করেন যে, সাফওয়ান ইবন উমাইয়া, ইক্রিমা ইবন আবু জাহ্ল ও সুহড়ায়ল ইবন
আমর যুদ্ধের উদ্দেশ্যে খানদামা নামক স্থানে কিছু সৈন্য সমাবেশ করে ৷ অপর দিকে বনু বকর
গোত্রের হিমাস ইবন কায়স ইবন খালিদ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মক্কা প্রবেশের আগে তার অংস্ত্র শান
দিতে শুরু করে ৷ তা দেখে তার ত্রী তাকে বলে : এসব প্রস্তুত করা হচ্ছে কিসের জন্যে ? জবাবে
সে বলে : মুহাম্মাদ ও তার সঙ্গীদের জন্যে ৷ তার শ্রী তাকে বললো : আল্লাহর কসম ! মুহাম্মাদ ও


عَلَى رَحْلِهِ مُتَخَشِّعًا» . وَقَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ بَالَوَيْهِ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَاعِدٍ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي الْحَارِثِ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ «أَنَّ رَجُلًا كَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ، فَأَخَذَتْهُ الرِّعْدَةُ، فَقَالَ: " هَوِّنْ عَلَيْكَ، فَإِنَّمَا أَنَا ابْنُ امْرَأَةٍ مِنْ قُرَيْشٍ كَانَتْ تَأْكُلُ الْقَدِيدَ» . قَالَ: وَهَكَذَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ فَارِسٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ زُهَيْرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي الْحَارِثِ، مَوْصُولًا. ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ أَبِي زَكَرِيَّا الْمُزَكِّي، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدِ بْنِ يَعْقُوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْوَهَّابِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَوْنٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ قَيْسٍ، مُرْسَلًا. قَالَ: وَهُوَ الْمَحْفُوظُ. وَهَذَا التَّوَاضُعُ فِي هَذَا الْمَوْطِنِ عِنْدَ دُخُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ، فِي مِثْلِ هَذَا الْجَيْشِ الْكَثِيفِ الْعَرَمْرَمِ، بِخِلَافِ مَا اعْتَمَدَهُ سُفَهَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، حِينَ أُمِرُوا أَنْ يَدْخُلُوا بَابَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَهُمْ سُجُودٌ، أَيْ رُكَّعٌ، يَقُولُونَ: حِطَّةٌ
পৃষ্ঠা - ৩৪০৮
فَدَخَلُوا يَزْحَفُونَ عَلَى أَسْتَاهِهِمْ وَهُمْ يَقُولُونَ: حِنْطَةٌ فِي شَعِيرَةٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ:، ثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، ثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنْ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَامَ الْفَتْحِ مِنْ كَدَاءٍ الَّتِي بِأَعْلَى مَكَّةَ. وَتَابَعَهُ أَبُو أُسَامَةَ وَوُهَيْبٌ: فِي كَدَاءٍ» . حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ مِنْ كَدَاءٍ» . وَهُوَ أَصَحُّ. إِنْ أَرَادَ أَنَّ الْمُرْسَلَ أَصَحُّ مِنَ الْمُسْنَدِ الْمُتَقَدِّمِ انْتَظَمَ الْكَلَامُ، وَإِلَّا فَكَدَاءٌ بِالْمَدِّ هِيَ الْمَذْكُورَةُ فِي الرِّوَايَتَيْنِ، وَهِيَ فِي أَعْلَى مَكَّةَ، وَكُدًى مَقْصُورًا فِي أَسْفَلِ مَكَّةَ، وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ وَالْأَنْسَبُ، وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بَعَثَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ، وَدَخَلَ هُوَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنْ أَسْفَلِهَا مِنْ كُدًى. وَهُوَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ ". فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحَسَنِ بْنُ عَبْدَانَ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الصَّقْرِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيِّ، ثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৪০৯

তার সঙ্গীদের মুকাবিলায় কিছু করতে পারবে বলে তো আমার মনে হয় না ৷ হিমাস বললোং :
আল্লাহর কসম আমিতে ৷ আশা করছি তাদের ক ৷উকে অবশ্যই তোমার সামনে হ যিব করতে
পারবো ৷ তারপর সে কবিতায় বললােং :
শুা৷প্রু,াহ্রৰু১া ৷;;০ ধ্া;দ্বুা ষ্ৰুশু ;া৷প্রুদুৰুদ্বুপ্রু ;,া
স্

অর্থাৎ — আজ যদি তারা মুকাবিলার জন্যে এগিয়ে আসে তবে ৷ কান পরোয়া করি না ৷
কেননা আমার কাছে এই যে রয়েছে পুর্ণ অস্ত্রশস্ত্র, রয়েছে বর্শা ও দু ধারী তরবারি যা শত্রু বধ
করতে দ্রুত কার্যকর ৷

তারপর সে খানদামায় গিয়ে সাফওয়ান, ইকরামা ও সুহায়লের সংগে মিলিত হয় ৷ খালিদ
ইবন ওলীদের বাহিনীর কতিপয় মুসলমানের সাথে তাদের সাক্ষাৎ হয় ৷ এবং দু-পক্ষের মধ্যে
সামান্য স০×ঘর্ষও হয় ৷ এতে বনু মুহারিব ইবন ফিহর গোত্রের কুরঘৃ ইবন জাবির ও বনু-মুনকিয়ের
মিত্র হনায়শ১ ইবন খ৷ ৷লিদ ইবন রাবীঅ৷ ইবন আসরাম শহীদ হন ৷ এরা দুজনই ছিলেন খালিদের
বাহিনীভুক্ত ৷ খালিদের অবলম্বিত পথ ছেড়ে অন্য পথ ধরে চলার তাদের এ বিপর্যয় ঘটে এবং
একই সাথে উভয়ে নিহত হন ৷৩ তবে হুনায়শ নিহত হওয়ার একটু আগে কুবৃয নিহত হন ৷
আবদুল্লাহ ইবন৷ অ৷ বু নাজীহ ও অ বদুেল্লাহ্ ইবন অ৷ বু বকর বলেন : ঐ দিন খালিদের অশ্ব বাহিনীর
মধ্য থেকে সালামা ইবন মায়লা জুহানীও নিহত হন ৷ অপর দিকে মুশরিক বাহিনী পরাজিত হয়ে
পলায়ন করে ৷ এ সময়ও তাদের বারজন কি তেরজন মুসলমানদের হাতে নিহত হয় ৷ ওদিকে
হিমাস পালিয়ে বাড়ি চলে যায় এবং ঘরে প্রবেশ করে ত্রীকে ডেকে বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে
দাও ৷ শ্রী তাকে বললো, তোমার সে বাহাদুরী কথা পেল কোথায় ? হিমাস তখন কবিতায় বলে :

মোঃ
মোঃ ’
মোঃপ্রু;া৷ণ্প্রুএোপ্রু১এ৬;এপ্লু : , : ,ৰুশুা , ব্লুা ; অ্যাংষ্ঠে

অর্থাৎ ওহে ! তুমি যদি খানদামার যুদ্ধে তথায় উপস্থিত থাকতে, তদুব সাফওয়ান ও
ইকরামার পলায়নের অবস্থা দেখতে পেতে ৷ সেদিন আবু ইয়াষীদ (সৃহায়ল) স্তন্তের ন্যায়
“ দাড়িয়েছিল ৷ আমি তা ৷দুদর ঘুক৷ ৷বিল৷ করেছি অনুগত তরবারি দ্বারা ৷৩ তরবারিগুলাে হাতের কজি ও
মাথার খুলি দুছদন করে যাচ্ছিল ৷ যুদ্ধের ঘনঘটায় গুমগুম আওয়৷ জ ছাড় ৷আর কিছুই শোনা য৷ ৷চ্ছিল
না ৷ তাদের রণ-হুত্কারে আমি দুরে পশ্চাতে ফিরে আসি ৷ তুমি যদি ওসব দেখতে তবে
তিরস্কারমুলক একটি কথাও বলতে না ৷

ইবন হিশাম বলেন৪ কবিতা গুলো মুলত০ ং রিয়াশ হুযালির বলে বর্ণিত ৷

স ৎকেত০ মক্কা বিজয়, হুনায়ন ও তায়েফের যুদ্ধে মুসলমানদের সা০ ×কেতিক চিহ্নসমুহ ছিল
নিম্নরুপ০ :

১ ইবন হিশাম ও তায়মুরিয়ার মতে৩ তার নাম ছিল খুনায়স ৷ কিতু সুহায়লী বলেন, সঠিক হলো হুনায়শ ৷




مَعْنٌ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «لَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ رَأَى النِّسَاءَ يُلَطِّمْنَ وُجُوهَ الْخَيْلِ، فَتَبَسَّمَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ وَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ، كَيْفَ قَالَ حَسَّانُ؟ فَأَنْشَدَهُ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَدِمْتُ بُنَيَّتِي إِنْ لَمْ تَرَوْهَا ... تُثِيرُ النَّقْعَ مِنْ كَتِفَيْ كَدَاءِ يُنَازِعْنَ الْأَعِنَّةَ مُسْرَجَاتٍ ... يُلَطِّمُهُنَّ بِالْخُمُرِ النِّسَاءُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ادْخُلُوهَا مِنْ حَيْثُ قَالَ حَسَّانُ» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ جَدَّتِهِ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ: لَمَّا وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذِي طُوًى، قَالَ أَبُو قُحَافَةَ لِابْنَةٍ لَهُ مِنْ أَصْغَرِ وَلَدِهِ: أَيْ بُنَيَّةُ، اظْهَرِي بِي عَلَى أَبِي قُبَيْسٍ. قَالَتْ: وَقَدْ كُفَّ بَصَرُهُ. قَالَتْ: فَأَشْرَفَتْ بِهِ عَلَيْهِ، فَقَالَ: أَيْ بُنَيَّةُ، مَاذَا تَرَيْنَ؟ قَالَتْ: أَرَى سَوَادًا مُجْتَمِعًا. قَالَ: تِلْكَ الْخَيْلُ. قَالَتْ: وَأَرَى رَجُلًا يَسْعَى بَيْنَ يَدَيْ ذَلِكَ السَّوَادِ مُقْبِلًا وَمُدْبِرًا. قَالَ: أَيْ بُنَيَّةُ ذَلِكَ الْوَازِعُ. يَعْنِي الَّذِي يَأْمُرُ الْخَيْلَ وَيَتَقَدَّمُ إِلَيْهَا. ثُمَّ قَالَتْ: قَدْ وَاللَّهِ انْتَشَرَ السَّوَادُ
পৃষ্ঠা - ৩৪১০

মুহাজিরদের সংকেত :
খাযরাজীদের সংকেত :

আওস গোত্রীয়দের সংকেত : (fl ৷া; ;ৰু ৷প্রু হে উবায়দুল্লাহর গোত্র !

তাবারাপী আলী ইবন সাঈদ রাযী — — — ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : আল্লাহ যে দিন আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যে দিন থেকে এ শহরকে হড়ারম’
করেছেন ৷ এবং যে দিন তিনি সুর্য ও চন্দ্র স্থাপন করেন যে দিনই এ শহর স্থাপন করেন ৷ এ
শহরের সমান্তরালে অবস্থিত আকাশকেও তিনি হড়ারম করেছেন ; আমার পুর্বে কখনও এ শহর
কারও জন্যে হলােল করা হয়নি ৷ কেবল আমার ক্ষেত্রে দিবসের স্বল্পক্ষণের জন্যে হালাল করা
হয়েছে ৷ এবং স্বল্পক্ষণ পরেই পুর্বের ন্যায় আবার এর হুরমত বহাল করা হয়েছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে জানান হল যে, এই তো খালিদ ইবন ওয়ালীদ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তখন একজনকে ডেকে বললেন : তুমি যাও খালিদকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বল ৷ ল্যেকটি এসে
খালিদকে বললো : নবী করীম (সা) বলেছেন, যাকেই নাগালের মধ্যে পাও তড়াকেই হত্যা করতে
থাক ৷ খালিদ সেদিন সত্তর জন ব্যক্তিকে হত্যা করেন ৷ লোকটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে
এ সংবাদ তাকে জানায় ৷ তখন তিনি খালিদকে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করেন, আমি কি তোমাকে
নর হত্যা করতে নিষেধ করিনি : খালিদ জবাব দিলেন, অমুক ব্যক্তি আমাকে গিয়ে বলেছে-
যাকেই আমি নাপালে পাই তাবেইি যেন হত্যা করি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে ল্যেকটিকে ডেকে এনে
বললেন : আমি কি তোমাকে যুদ্ধ বন্ধ করার হুকুম দিইনি ? লোকটি বললো : আপনি এক প্রকার
চেয়েছেন, আর আল্লাহ্ চেয়েছেন অন্য প্রকার ৷ আপনার ইচ্ছার উপর আল্লাহর ইচ্ছাই বলবত
হয়েছে ৷ তাই না হওয়ার ছিল তার অন্যথা আমি করতে পারিনি ৷ তার জবাব শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
নীরব থাকলেন এবং তাকে কিইে বললেন না ৷

ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সেনাধ্যক্ষদের নিকট থেকে এই মর্মে অংপীকার
নিয়েছিলেন যে, তারা তাদের ধিরষ্দ্ধে যুদ্ধ করতে আসা লোকদের ব্যতীত অন্য কারও সংগে
যুদ্ধে লিপ্ত হবেন না ৷ তবে তিনি নাম উল্লেখ করে বিশেষ কিছু লোককে হত্যার আদেশ
দিয়েছিলেন ৷ এমনকি যদি তাদেরকে কা’বার গিলাফের নীচেও পাওয়া যায় তবু ৷ তাদের মধ্যে
আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারাহ্ ছিল অন্যতম ৷ সে বাহ্যত : ইসলাম গ্রহণ করে ও ওহী
লিপিবদ্ধ করার দায়িতু পালন করে ৷ জ্যি পরে সে ঘুরতাদ হয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায়
প্রবেশ করে তাকে হত্যার ঘোষণা দিলে সে পালিয়ে উছমান (বা) এর কাছে আশ্রয় নেয় ৷ সে ছিল
উছমানেব দুধভাই ৷ উছমান তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে নিয়ে
আসেন ৷ তিনি দীর্ঘক্ষণ নীরব থাকার পর বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে ৷ ’ উছমানের সাথে তার
ফিরে যাওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) উপস্থিত সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে বললেন : তোমাদের মধ্যে
এমন একজন সুবুদ্ধিসম্পন্ন ল্যেকও কি ছিল না, যে আমার নীরব থাকা অবস্থায় তাকে হত্যা করে
দিত ৷ সাহাবীগণ বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি আমাদেরকে একটু ইংগিত দিলেন না কেন :
তিনি বললেন, ইংগিত দিয়ে কাউকে হত্যা করান নবীর জন্যে শোভনীয় নয় ৷ অন্য একটি বর্ণনায়
আছে তিনি তখন বলেছিলেন : কোন নবী চোখের খিয়ানত করতে পারেন না ৷




فَقَالَ قَدْ وَاللَّهِ إِذَنْ دَفَعَتِ الْخَيْلُ، فَأَسْرِعِي بِي إِلَى بَيْتِي. فَانْحَطَّتْ بِهِ، وَتَلَقَّاهُ الْخَيْلُ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ بَيْتَهُ. قَالَتْ: وَفِي عُنُقِ الْجَارِيَةِ طَوْقٌ مِنْ وَرَقٍ، فَتَلَقَّاهَا رَجُلٌ فَيَقْتَطِعُهُ مِنْ عُنُقِهَا. قَالَتْ: فَلَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ وَدَخَلَ الْمَسْجِدَ، أَتَى أَبُو بَكْرٍ بِأَبِيهِ يَقُودُهُ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " هَلَّا تَرَكْتَ الشَّيْخَ فِي بَيْتِهِ حَتَّى أَكُونَ أَنَا آتِيهِ فِيهِ؟ " قَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هُوَ أَحَقُّ أَنْ يَمْشِي إِلَيْكَ مِنْ أَنْ تَمْشِيَ أَنْتَ إِلَيْهِ. قَالَ: فَقَالَتْ: فَأَجْلَسَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ مَسَحَ صَدْرَهُ، ثُمَّ قَالَ: " أَسْلِمْ ". فَأَسْلَمَ. قَالَتْ: وَدَخَلَ بِهِ أَبُو بَكْرٍ، وَكَانَ رَأْسُهُ كَالثَّغَامَةِ بَيَاضًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " غَيِّرُوا هَذَا مِنْ شَعْرِهِ ". ثُمَّ قَامَ أَبُو بَكْرٍ، فَأَخَذَ بِيَدِ أُخْتِهِ، وَقَالَ: أَنْشُدُ اللَّهَ وَالْإِسْلَامَ طَوْقَ أُخْتِي. فَلَمْ يُجِبْهُ أَحَدٌ، قَالَتْ فَقَالَ: أَيْ أُخَيَّةُ، احْتَسِبِي طَوْقَكِ، فَوَاللَّهِ إِنَّ الْأَمَانَةَ فِي النَّاسِ الْيَوْمَ لَقَلِيلٌ» . يَعْنِي الصِّدِّيقُ ذَلِكَ الْيَوْمَ عَلَى التَّعْيِينِ، لِأَنَّ الْجَيْشَ فِيهِ كَثْرَةٌ، وَلَا يَكَادُ أَحَدٌ يَلْوِي عَلَى أَحَدٍ مَعَ انْتِشَارِ النَّاسِ، وَلَعَلَّ الَّذِي أَخَذَهُ تَأَوَّلَ أَنَّهُ مِنْ حَرْبِيٍّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: ثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، ثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَخَذَ بِيَدِ أَبِي قُحَافَةَ، فَأَتَى بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا وَقَفَ بِهِ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৩৪১১

ইবন হিশাম বলেনং লোকটি পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করে এবং র্খা টি মুসলমান হয় ৷ হযরত
উমর তাকে গর্তনরও নিযুক্ত করেন ৷ পরবর্তীতে হযরত উছমানও তাকে গভর্নর বানান ৷

আমি বলি , উক্ত আবদুল্লাহ ইবন সা দ নিজ গৃহে ফজরের নামাযে সিজদারত অবস্থায় কিংবা
নামায শেষ হওয়া রাসাথেই ইনতিকা ল করেন ৷

ইবন ইসহাক বলেনং বনু৩ তায়ম ইবন ণালিব গোত্রের আবদুল্লাহ ইবন খাতালকেও রাসুলুল্লাহ্
(সা) হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তার নাম আবদুল উঘৃযা ইবন হুাতালও বলা হয় ৷ সম্ভবত
এ রকমই ছিল ৷ পরে ইসলাম গ্রহণ করলে আবদুল্লাহ নাম রাখা হয় ৷ ১ ইসলাম গ্রহণ করার পর
রাসুণুল্লাহু (সা) ৩াণ্ডে য়াকা ৩ উশুল করার জন্যে পাঠান তার সাথে একজন আনসারীকেও দেন ৷
তার নিজের আযাদকৃত গোলামও সাথে ছিল ৷ কোন এক কারণে (ন্ালাণ্পুমর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে
তাকে সে হত্যা করে ফেলে ৷ তার পরে সে পুনরায় পৌত্তলিকতায় ফিরে যায় ৷ আবদুল্লাহ ইবন
খাতালের দুটি গায়িকা দাসী ছিল ৷

একজনের নাম ফারতানী ৷ অপর জন৩ তারই আরেক সংগিনী ৷ এরা প্;৷ জ্রনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও
মুসলমানদের কুৎসামুলক গান গেয়ে বেড়াত ৷ এ কারণে তিনি ইবন খাতাল ও তার দৃ গায়িকাকে
হত্যার নির্দেশ দেন ৷ ফলে কা’বার গিলাফ ধরে থাকা অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয় ৷ আবু বুরযা
আসলামী এবং সাঈদ ইবন হুরায়ছ সম্মিলিতভ্যবে তাকে হত্যা করেন ৷ গায়িকাদ্বয়ের মধ্যে এক-
জনকে হভ্যা করা হয় এবং অপরজনকে নিরাপত্তা প্রদান করা হয় ৷ বর্ণনাকা রী বলেন৪ হুয়ায়রিছ
ইবন নৃকাযছ২ ইবন ওহব ইবন আবদে কুসায়ওে এ৩ তালিকার অন্যতম ব্যক্তি ৷ এ লোকটিও মক্কায়
নানাভারে রাসুলুল্লাহ্ (সা) (ক জ্বালাতন করত ৷ হিজরাতের প্রথম দিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর কন্যা
ফাতিমা ও উম্মে কুলছুমকে হযরত আব্বাস যখন মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পৌছিয়ে
দেয়ার জন্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন এই হুয়ায়রিছ তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে এবং যে উটে তারা
আরোহণ করে যাচ্ছিলেন সে উটকে বল্লম দিয়ে ঘোচা দেয় ৷ ফলে৩ তারা দুজনেই মাটিতে লুটিয়ে
পড়েন ৷ হুয়ায়রিছকে হত্যা করার আদেশাদিলে আলী ইবন আবু৩ তালিব তাকে হত্যা করেন ৷

ইবন হসহাক বলেনং : তালিকায় মিক্য়াস ইবন সুবাবাও ছিল ৷ এক ব্যক্তি তার ভাইকে
ভুলত্রুমে হত্যা করে ৷ এ জন্যে সে য়থারীতি রক্তপণ গ্রহণ করে করে ৷ কিন্তু পরে সে
হতাকারীকে হত্যাও করে এবং মুরতাদ হয়ে ঘুশরিকদের দলে ভিড়ে যায় ৷ তাকে হত্যার নির্দেশ
দেওয়া হলে তারই গোত্রের নুমায়লা ইবন আবদুল্লাহ্ তাকে হত্যা করেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন
বনু আবদুল মুত্তালব ও ইকরামা ইবন আবু জাহলের দাসী সারাও এ তালিকার অভ র্চুক্ত ছিল ৷
কেননা সে মক্কায় রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কে নানা ধরনের কষ্ট দিতা

আমি বলি, ইতিপুর্বেই ৩ল্লেখ করা হয়েছে যে এইস রা হাতির ইবন আবু বাল৩াআর চিঠি
বহন করেছিল ৷ এবং হয়তো তার অপরাধ ক্ষমা করা হয়েছিল ৷ অথবা হতে পারে সে পালিয়ে
গিয়েছিল ৷ তারপরে তাকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকটত
জন্যে নিরাপত্তা প্রার্থনা করা হয় ৷ তিনি৩ তাকে নিরাপত্তা দেন ৷ থলীফা উমর (রা) এর সময় পর্যন্ত





১ সুহায়লী বলেন৪ কারও মতে তার নাম ছিল হিলাল ৷ কারও মতে তার ভাইয়ের নাম হিলাল এবং দুই
ভাইকে এক সংগে খাতলান বলা হত ৷
২ আসাহ্হুস সিয়ারে এ নামটি হুয়ায়রিছ ইবন নুকায়দ-নুকায়য নয় ৷-সম্পাদক


رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " غَيِّرُوهُ وَلَا تُقَرِّبُوهُ سَوَادًا» قَالَ: ابْنُ بوَهْبٍ وَأَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ «، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَنَّأَ أَبَا بَكْرٍ بِإِسْلَامِ أَبِيهِ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ فَرَّقَ جَيْشَهُ مِنْ ذِي طُوًى، أَمَرَ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ أَنْ يَدْخُلَ فِي بَعْضِ النَّاسِ مِنْ كُدًى، وَكَانَ الزُّبَيْرُ عَلَى الْمُجَنِّبَةِ الْيُسْرَى، وَأَمَرَ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ أَنْ يَدْخُلَ فِي بَعْضِ النَّاسِ مِنْ كَدَاءٍ،» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَزَعَمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ «أَنَّ سَعْدًا حِينَ وَجَّهَ دَاخِلًا قَالَ: الْيَوْمُ يَوْمُ الْمَلْحَمَةِ، الْيَوْمُ تُسْتَحَلُّ الْحُرْمَةُ. فَسَمِعَهَا رَجُلٌ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: يُقَالُ: إِنَّهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ - فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتَسْمَعُ مَا يَقُولُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ؟ ! مَا نَأْمَنُ أَنْ يَكُونَ لَهُ فِي قُرَيْشٍ صَوْلَةٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيٍّ: أَدْرِكْهُ فَخُذِ الرَّايَةَ مِنْهُ، فَكُنْ أَنْتَ تَدْخُلُ بِهَا» . قُلْتُ: وَذَكَرَ غَيْرُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا شَكَى إِلَيْهِ أَبُو سُفْيَانَ قَوْلَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ حِينَ مَرَّ بِهِ. وَقَالَ: يَا أَبَا سُفْيَانَ، الْيَوْمُ يَوْمُ الْمَلْحَمَةِ، الْيَوْمُ تُسْتَحَلُّ الْحُرْمَةُ - يَعْنِي الْكَعْبَةَ - فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَلْ هَذَا يَوْمٌ تُعَظَّمُ فِيهِ الْكَعْبَةُ. وَأَمَرَ بِالرَّايَةِ - رَايَةِ الْأَنْصَارِ - أَنْ تُؤْخَذَ مِنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ»
পৃষ্ঠা - ৩৪১২
كَالتَّأْدِيبِ لَهُ، وَيُقَالُ: إِنَّهَا دُفِعَتْ إِلَى ابْنِهِ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ: دَفَعَهَا إِلَى الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ دِينَارٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ السَّرِيِّ الْأَنْطَاكِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، وَحَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ إِلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَجَعَلَ يَهُزُّهَا وَيَقُولُ: الْيَوْمُ يَوْمُ الْمَلْحَمَةِ، يَوْمٌ تُسْتَحَلُّ الْحُرْمَةُ. قَالَ: فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى قُرَيْشٍ وَكَبُرَ فِي نُفُوسِهِمْ. قَالَ: فَعَارَضَتِ امْرَأَةٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسِيرِهِ وَأَنْشَأَتْ تَقُولُ: يَا نَبِيَّ الْهُدَى إِلَيْكَ لَجَا حَ ... يُّ قُرَيْشٍ وَلَاتَ حِينَ لَجَاءِ حِينَ ضَاقَتْ عَلَيْهِمُ سَعَةُ الْأَرْ ... ضِ وَعَادَاهُمْ إِلَهُ السَّمَاءِ وَالْتَقَتْ حَلْقَتَا الْبِطَانِ عَلَى الْقَوْ ... مِ وَنُودُوا بِالصَّيْلَمِ الصَّلْعَاءِ
পৃষ্ঠা - ৩৪১৩

মে জীবিত থাকে ৷ ঘটনাক্রমে এক ব্যক্তির ঘোড়৷ ব পদতলে দলিত ৩হয়ে সে মারা যায় ৷ সুহায়লী
বলেছেনং ইবন খাত ৷লের গায়িকা দাসী ফ ব ৷নী ১ ও পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করে ৷ ইবন
ইসহ৷ ৷ক বলেনং : ইকরামা ইবন আবু জাহ্ল ইয়ামানে পালিয়ে যায় ৷ তার শ্রী উম্মু হাকিম বিনৃত
হারিছ ইবন হিশাম ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তিনি তার জন্যে রাসুলুল্লাহ (সা ) এর নিকট নিরাপত্তার
আবেদন জানান ৷ আবেদন মঞ্জুব হলে স্বামীর ঘোজে তিনি ইয়ামানে গিয়ে তাকে রাসুলুল্লাহ
(সা) এর কাছে নিয়ে আসেন ৷

তখন ইকরামাও ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ বায়হাকী — — — আবুতাহিব মাসআব (রা)
সুত্রে বংনাি করেন : মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ (সা) চারজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা ব্যতীত
অন্যান্য সকলের জন্যে নিরাপত্তা প্রদান করেন ৷ ঐ ছয় ব্যক্তি সম্পর্কে তিনি ঘোষণা দেন যে,
কা’বার গিলাফ জড়িয়ে ধরে থাকা অবস্থায় পেলেও ওদেরকে হত্যা করবে ৷ পুরুষ চারজন হল —
ইকরামা ইবন আবু জাহ্ল, আবদুল্লাহ ইবন খাত ৷,ল মিক্য়াস ইব -ব সুবাব ও আবদুল্লাহ ইবন সা দ
ইবন আবু স ৷রাহ এর মধ্যে আবদুল্লাহ ইবন খাতালকে কা ৷রন্ ৷গি ৷লা ৷ফ ধরে থাকা ৷অবস্থায় পা ওয়া
যায় ৷ তাকে দেখে সাঈদ ইবন হুরায়ছ এবং আমার ইবন ইয়৷ সির (রা) দৌড়ে অগ্রসর হন ৷ সা ৷ঈদ
বয়সে অপেক্ষাকৃত যুবক হওয়ায় আম্মারকে পিছে ফেলে আগে পৌছে যান এবং সেখানেই তাকে
হত্যা করেন ৷ মিক্য়াসকে মুসলমানগণ বাজারের মধ্যে পেয়ে সেখানেই তাকে হত্যা করেন ৷
ইকরামা মক্কা থেকে পালিয়ে যান ৷ সমুদ্র পাড়ি দেয়ার জন্যে তিনি নৌকায় আরোহণ করেন ৷
কিছুদুর অগ্রসর হলে সমুদ্রে ভীষণ ঝড় ওঠে ৷ তখন নৌকায় মাঝি আরোহীদেরকে জানলে,
তোমরা দেব-দেবীর প্রভাব থেকে অম্ভরকে মুক্ত করে থীঢি মনে এক আল্লাহকে ডাক ৷ কেননা,
তোমাদের ওসব দেব-দেবী এখানে কোন কাজেই আসবে না ৷ তখন ইকরামা বললে৷ : আল্লাহর
কসম ! সমুদ্রে যদি আল্লাহ ছাড়া আর কেউ মুক্তি দিতে না পারে তা হলে স্থলেও তিনি ছাড়া অন্য
কেউ মুক্তি দিতে পারবে না ৷ তারপরে তিনি দু’আ করলেন — হে আল্লাহু ! আমি আপনার নিকট
এই অংপীকার করছি যে, এই বিপদ থেকে যদি আপনি আমাকে যুক্তি দেন, তবে আমি
মুহাম্মাদের কাছে গিয়ে তীর হাতে নিজেকে সােপর্দ করবো ৷ আমি অবশ্যই তাকে দয়ালু ও
ক্ষমাশীল হিসেবে পাব ৷ এরপর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারাহ্ হযরত উছমান ইবন আফ্ফানের নিকট আত্মগােপন করে
থাকে ৷ পরে রাসুলুল্লাহ (সা) যখন ঈমড়ানের উপর বায়আত গ্রহণ করার জন্যে লোকদের আহ্বান
করেন তখন হযরত উছমান আবদুল্লাহ ইবন সাদকে সাথে এনে নবী (সা) এর সামনে উপস্থিত
হন এবং তাকে বায়আত করার আবেদন জানান ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) চক্ষু তুলে তার দিকে তাকান
আবার চক্ষু ফিরিয়ে নেন ৷ এভাবে তিনবার করেন , কিভু৩৷ার বায়আত নিলেন না ৷ তিনবার
তাকাবার পর তাকে বায়আত করান ৷ এরপর সাহাবাদের সম্বোধন করে বলেন : তোমাদের মধ্যে
কি এমন একজন বিচক্ষণ লোক নেই, যে আমাকে বায়আত করা হতে বিরত থাকতে দেখে
তাকে হত্যা করে দিতঃ সাহাবাগণ বললেন : ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আপনার মনের কথা আমরা কি
করে বুঝবাে, আমাদের প্রতি আপনি চোখ দিয়ে একটু ইশারা করলেন না কেন ? তিনি বললেন,

১ আসাহহুসৃ সিয়রে এ নামটি কারতানা এবং অপর গায়িকাটির নাম কুরায়বা বলা হয়েছে ৷ দ্র আসাহ্হুস
সিয়ার পৃ ২৬৫ জালালাবাদী
৬৫






إِنَّ سَعْدًا يُرِيدُ قَاصِمَةَ الظَّهْرِ ... بِأَهْلِ الْحَجُونِ وَالْبَطْحَاءِ خَزْرَجِيٌّ لَوْ يَسْتَطِيعُ مِنَ الْغَيْ ... ظِ رَمَانَا بِالنَّسْرِ وَالْعَوَّاءِ فَانْهَيَنْهُ فَإِنَّهُ الْأَسَدُ الْأَسْ ... وَدُ وَاللَّيْثُ وَالِغٌ فِي الدِّمَاءِ فَلَئِنْ أَقْحَمَ اللِّوَاءَ وَنَادَى ... يَا حُمَاةَ اللِّوَاءِ أَهْلَ اللِّوَاءِ لَتَكُونَنَّ بِالْبِطَاحِ قُرَيْشٌ ... بُقْعَةَ الْقَاعِ فِي أَكُفِّ الْإِمَاءِ إِنَّهُ مُصْلَتٌ يُرِيدُ لَهَا الرَّأْ ... يَ صُمُوتٌ كَالْحَيَّةِ الصَّمَّاءِ قَالَ: فَلَمَّا سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا الشِّعْرَ دَخَلَهُ رَحْمَةٌ لَهُمْ وَرَأْفَةٌ بِهِمْ، وَأَمَرَ بِالرَّايَةِ فَأُخِذَتْ مِنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، وَدُفِعَتْ إِلَى ابْنِهِ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ،» قَالَ: فَيُرْوَى، أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَحَبَّ أَنْ لَا يُخَيِّبَهَا إِذْ رَغِبَتْ إِلَيْهِ وَاسْتَغَاثَتْ بِهِ، وَأَحَبَّ أَنْ لَا يَغْضَبَ سَعْدٌ، فَأَخَذَ الرَّايَةَ مِنْهُ فَدَفَعَهَا إِلَى ابْنِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَذَكَرَ ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ فِي حَدِيثِهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، فَدَخَلَ مِنَ اللِّيطِ أَسْفَلَ مَكَّةَ فِي بَعْضِ النَّاسِ، وَكَانَ خَالِدٌ عَلَى الْمُجَنِّبَةِ الْيُمْنَى، وَفِيهَا: أَسْلَمُ، وَسُلَيْمٌ، وَغِفَارٌ، وَمُزَيْنَةُ، وَجُهَيْنَةُ، وَقَبَائِلُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৩৪১৪

নবীর জন্যে খিয়ানতকারী চোখ থাকা বাঞ্চুনীয় নয় ৷ আবুদাউদ ও নাসাঈ এ হাদীছটি আহমদ ইবন
মুফাযযাল সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বায়হাকী আবু আবদুল্লাহ হাফিয আনাস
ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন : মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) চার ব্যক্তি ব্যতীত
অন্য সকলের জন্যে নিরাপত্তা ঘোষণা করেন ৷ চারজন হল আবদুল উঘৃযা ইবন খাতাল, মিক্য়াস
ইবন সুবাবা, আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারাহ্ এবং উম্মে সারা ৷ আবদুল উঘৃযা ইবন
খাতালকে কা’বার গিলাফ ধরে থাকা অবস্থায় হত্যা করা হয় ৷ আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু
সারাহ্কে দেখামাত্র হত্যা করার জন্যে এক ব্যক্তি মানত (প্রনিজ্ঞা ) করে ৷ আবদুল্লাহ ছিল উছমান
ইবন আফ্ফানের দুধ তা ৷ই ৷ তিনি৩ার পক্ষে সুপারিশ করার জন্যে তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
দরবারে নিয়ে আসেন ৷ তাকে আসতে দেখে ঐ আনসারী ৩রবারি নিয়ে রেবিয়ে আসলেন ৷ কিন্তু
তিনি এসে দেখলেন যে, আবদুল্লাহ রাসুলের মজলিসে বসে পড়েছে ৷ এ অবস্থায় আনসারী
সংশয়ে পড়ে যায় এবং অগ্রসর হতে ইতস্তত৷ বোধ করে ৷ এক পর্যায়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাত
বাড়ালে সে বায়আত হয়ে যায় ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আনসারীকে বললেন, তুমি তোমার
মানত পুরণ করবে বলে আমি অপেক্ষা করছিলাম ৷ তিনি বললেনং ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমি তো
দ্বিধাগ্নস্ত ছিলাম, আপনি আমাকে একটু ইংগিত করলেন না কেন ? তিনি বললেন, ইংগিত করা
নবীর জন্যে শোভা পায় না ৷ মিক্য়াস ইবন সুবাবা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, সে একজন
মুসলমানকে হত্যা করে মুরতড়াদ হয়ে যায় ৷ উম্মু সারা ছিল কুরায়শ গোত্রের দাসী ৷ সে নবী করীম

সা-) এর নিকট এসে তার অভাবের কথা জানালে তিনিও তাকে সাহায্য স্বরুপ কিছু প্রদান করেন ৷
ফিরে যাওয়ার সময় এক লোক মক্কাবাসীদের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠি তার কাছে দেয় ৷ এরপর
বায়হাকী হা৩ ৷তিব ইবন আবু বালত৷ ৷আর ঘটনা বর্ণনা করেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক — ইবন
হাঘৃম থেকে বর্ণনা করেন, বনু মুস৩ ৩ালিকের যুদ্ধে মিক্য়াস ইবন সুবাবা র ভাই হিশামকে মুশরিক
মনে করে জনৈক মুসলমান হত্যা করে ৷ এ ঘটনার পর মিক্য়াস নিজেকে মুসলমান হিসাবে
প্রকাশ করে ভাইয়ের রক্তপণ আদায়ের জন্যে এগিয়ে আসে ৷ রক্তপণ গ্রহণ করার পর সে তার
ভাইয়ের হত্যাকারীকে হত্যা করে এবং পুনরায় মুশরিক হয়ে মক্কায় চলে যায় ৷ মক্কা বিজয়ের দিন
তাকে হত্যার ঘোষণা দিলে স৷ ৷ফ৷ ও মারওয়৷ পাহাড়দ্বয়ের মধ্যবর্তী জায়গায় তাকে হত্যা করা হয় ৷
ইবন ইসহাক ও বায়হাকী উল্লেখ করেছেন যে, মিক্য়াস তার ভাইয়ের হত্যাক৷ ৷রীকে হত্যা করার
সময় নিম্নোক্ত কবি ৷আবৃত্তি করছিল —

ট্টপ্রুএে ৷ ণ্এেগ্রা ন্নেন্ ;ওপ্রু ণ্া; এ্যা ধ্া এ ;)ন্ষ্ দ্দৌ ৷ ণ্স্পো ;১াদ্বুএ
এ্যা
অর্থ : যে ব্যক্তি দুর প্রান্তরে গিয়ে রাত্রি যাপন করেছে, তার হৃদয় প্রশাস্তি লাভ করেছে তখন,
যখন তার পােশাক-পরিচ্ছদ অহৎকারীদের রক্তে রঞ্জিভ হয়েছে ৷

তাকে হত্যা করার পুর্ব পর্যন্ত আমার অন্তর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও উদ্বিগ্ন ছিল, নিজেকে তিরস্কৃত মনে
হচ্ছিল এবং শয্যা গ্রহণ পর্যন্ত আমি ভুলে বসেছিলাম ৷


قَبَائِلِ الْعَرَبِ، وَأَقْبَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ بِالصَّفِّ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، يَنْصَبُّ لِمَكَّةَ بَيِّنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ، أَذَاخِرَ حَتَّى نَزَلَ بِأَعْلَى مَكَّةَ، فَضُرِبَتْ لَهُ هُنَالِكَ قُبَّتُهُ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ قَالَ زَمَنَ الْفَتْحِ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيْنَ تَنْزِلُ غَدًا؟ فَقَالَ: " وَهَلْ تَرَكَ لَنَا عَقِيلٌ مِنْ رُبَاعٍ؟ ". ثُمَّ قَالَ: " لَا يَرِثُ الْمُؤْمِنُ الْكَافِرَ وَلَا الْكَافِرُ الْمُؤْمِنَ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، ثَنَا شُعَيْبٌ، ثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْزِلُنَا - إِنْ شَاءَ اللَّهُ، إِذَا فَتَحَ اللَّهُ - الْخَيْفَ، حَيْثُ تَقَاسَمُوا عَلَى الْكُفْرِ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يُونُسُ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ، يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْزِلُنَا غَدًا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ حَيْثُ تَقَاسَمُوا عَلَى الْكُفْرِ.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩৪১৫

আমি আমার ভাইয়ের বিনিময়ে বনু ফিহ্রের একজনকে হত্যা করেছি এবং বনু নাজ্জারের
উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন সর্দারদের থেকে রক্তপণ আদায় করতে সক্ষম হয়েছি ৷

এ হত্যা-প্রতিশোধ দ্বারা আমি আমার মানত পুরণ করেছি, সম্পদ লাভ করেছি এবং সর্বাগ্রে
মুর্তি দেবতার কাছে প্রত্যাবর্তন করেছি ৷

আমি বলি, কারও কারও মতে যে দুজন গায়িকা কে হত আর নির্দেশ দেওয়া হয় তারা ছিল এই
মিক্য়াস ইবন সুবাবারই দাসী ৷ আর সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের ম ধ্যবর্তী স্থানে হত্যা করা হয়
মিকইয়াসের চাচাত ভাইকে ৷ কোন কোন লেখক বলেছেন, ইবন খা৩ালকে হত্যা করেছিলেন
যুবায়র ইবন আওয়াম (রা) ৷ ইবন ইসহাক বলেন, সাঈদ ইবন আবু :িত্ত্বণদ আমার নিকট আকীল
ইবন আবৃত তালিবের গোলাম আবু মুবৃরা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আবু তালিবের কন্যা উম্মু হানী
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কার উচু এলাকায় অবতরণ করেন, তখন মাখযুম গোত্রের আমার
দেবর সম্পর্কীয় দুব্যক্তি পালিয়ে আমার নিকট চলে আসে ৷ ইবন হিশাম বলেন, ঐ দু’ ব্যক্তির
নাম হারিছ ইবন হিশাম ও যুহায়র ইবন আবু উমাইয়া ইবন মুপীরা ৷ ইবন ইসহাক বলেন, উম্মু
হানী ছিলেন মাখযুম গোত্রের হুবায়রা ইবন আবু ওহবের শ্রী ৷ তিনি বলেন, এমন সময় আমার ভাই
আলী ইবন আবৃত তালিব আমার ঘরে আগমন করেন ৷৩ তাদের দু’জনকে দেখেই তিনি বলে
উঠলেন, আল্লাহর কসম ! আমি এদেরকে হত্যা করবই ৷ তখন আমি তাদেরকে আমার ঘরে
আবদ্ধ করে দরজা বন্ধ করে দিলাম ৷৩ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট মক্কা র উচু ভুমিতে ছুটে
গেলাম ৷ আমি লক্ষ্য করলাম, তখন তিনি এমন একটি মটকা থেকে পানি নিয়ে গোসল করছেন,
যাতে আটার চিহ্ন লেগে ছিল এবং তার কন্যা ফাতিমা তখন তাকে কাপড় দিয়ে আড়াল করে
রেখেছেন ৷ গোসল শেষ করে তিনি কা পড় পরলেন ৷ তারপর আাট রাকআত চাশতেব নামায
আদায় করলেন ৷ তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেনষ্কাগতম হে উম্মু হানী কী মনে করে
আসলে ? তখন আমি তাকে ঐ দু ব্যক্তি ও আলীর সংবাদ জানালাম ৷ শুনে তিনি বললেন, তুমি
যাকে আশ্রয় দিয়েছ, আমরাও তাকে আশ্রয় দিলাম , তুমি যাকে নিরাপত্তা দিয়েছ আমরাও তাকে
নিরাপত্তা দিলাম ৷ আমরা ওদেরকে হত্যা করবো না ৷ ইমাম বুখারী বলেন, আমার নিকট হাদীছ
বর্ণনা করেছেন আবুল ওলীদ ইবন আবু লায়লা সুত্রে ৷ ইবন আবু লায়লা বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে চাশতের নামায পড়তে দেখেছেন এ কথা একমাত্র উম্মু হানী ব্যতীত আর কেউ
আমাদের নিকট বর্ণনা করেন নি ৷ তিনি মক্কা বিজয় যুদ্ধের উল্লেখ প্ৰসংগে বলেন : নবী করীম
(সা)৩া তার ঘরে গোসল সম্পন্ন করে আট রাকআত নামায পড়েন ৷ উন্মু হানী আরও বলেন, তিনি এ
নামায এতো সংক্ষেপে পড়লেন যেমনটি আমি আর কখনও দেখিনি ৷ তবে রুকু সিজদা
যথারীতি আদায় করেছেন ৷ সহীহ্ মুসলিমে (আকীলের গোলাম) আবু মুবৃরা সুত্রে অনুরুপ
বর্ণনা রয়েছে ৷ তবে তাতে আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার গোসল ও চাশতের নামায আদায়ের
পুর্বেই তাদেরকে নিরাপত্তা দানের ঘোষণা দেন ৷৩ তাকে আশ্রয় দিলাম ৷

মুসলিমের আর একটি বর্থাংায় আছে যে, উম্মু হানী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে যখন যান,
তখন তিনি গোসলরত ছিলেন এবং তার কন্যা ফাতিমা একখানা কাপড় আড় করে পর্দা করে
রেখেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, এ আগভুক কে ? উত্তরে ফাতিমা জানালেন-


بَكْرٍ، أَنَّ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ، وَعِكْرِمَةَ بْنَ أَبِي جَهْلٍ، وَسُهَيْلَ بْنَ عَمْرٍو كَانُوا قَدْ جَمَعُوا نَاسًا بِالْخَنْدَمَةِ لِيُقَاتِلُوا، وَكَانَ حِمَاسُ بْنُ قَيْسِ بْنِ خَالِدٍ، أَخُو بَنِي بَكْرٍ يُعِدُّ سِلَاحًا قَبْلَ قُدُومِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُصْلِحُ مِنْهُ، فَقَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ: لِمَاذَا تُعِدُّ مَا أَرَى؟ قَالَ: لِمُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ. فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا أَرَى يَقُومُ لِمُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ شَيْءٌ. قَالَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أُخْدِمَكِ بَعْضَهُمْ. ثُمَّ قَالَ: إِنْ يُقْبِلُوا الْيَوْمَ فَمَا لِي عِلَّهْ ... هَذَا سِلَاحٌ كَامِلٌ وَأَلَّهْ وَذُو غِرَارَيْنِ سَرِيعُ السَّلَّهْ قَالَ: ثُمَّ شَهِدَ الْخَنْدَمَةَ مَعَ صَفْوَانَ وَعِكْرِمَةَ وَسُهَيْلٍ، فَلَمَّا لَقِيَهُمُ الْمُسْلِمُونَ مِنْ أَصْحَابِ خَالِدٍ، نَاوَشُوهُمْ شَيْئًا مِنْ قِتَالِ، فَقُتِلَ كُرْزُ بْنُ جَابِرٍ، أَحَدُ بَنِي مُحَارِبِ بْنِ فِهْرٍ، وَخُنَيْسُ بْنُ خَالِدِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ أَصْرَمَ، حَلِيفُ بَنِي مُنْقِذٍ، وَكَانَا فِي جَيْشِ خَالِدٍ فَشَذَّا عَنْهُ، فَسَلَكَا غَيْرَ طَرِيقِهِ، فَقُتِلَا جَمِيعًا، وَكَانَ قَبْلَ كُرْزٍ قُتِلَ خُنَيْسٌ. قَالَا: وَقُتِلَ مِنْ خَيْلِ خَالِدٍ أَيْضًا
পৃষ্ঠা - ৩৪১৬

উম্মু হানী ৷ তিনি বললেন, উন্মু হানীকে স্বাগতম ৷ তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি
দুজন পুরুষকে আশ্রয় দিয়েছি কিন্তু আলী ইবন আবু তালিবের মায়ের পুত্র (আলী) তাদেরকে হত্যা
করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে উম্মু হানী ! তুমি যাদেরকে আশ্রয়
দিয়েছো ৷ আমরাও তাদেরকে আশ্রয় দিলাম ৷ উম্মু হানী বলেন, এরপর তিনি আট রাকআত নামায
পড়লেন ৷ আর এটা ছিল চাশতের সময় ৷ এ কারণে বহু সংখ্যক আলিম মনে করেন যে, এ
নামায ছিল চাশতের নামায ৷ কিন্তু অন্যান্য আলিমগণ বলেন, এটা ছিল বিজয়ের নামায ৷ এ

ফিরিয়েছেন ৷ এ বর্ণনাটি সুহড়ায়লীসহ ঐসব আলিমদের মতের বিরোধী যারা বিজয়ের নামায এবইি
সালামে আট রাকআত পড়ার কথা বলেন ৷ বর্ণিত আছে, সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস পারস্য
সাম্রাজ্যের মাদায়েন শহর জয় করার পর কিসরার রাজপ্রাসাদে আট রাকআত নামায পড়েছিলেন
এবং প্রতি দৃ’রাকআতের পর সালাম ফিরিয়েছিলেন ৷ সমস্ত প্রশংসা আল্পাহ্রই ৷

ইবন ইসহাক বলেন : মুহাম্মাদ ইবন জাফর সাফিয়্যা বিদ্ধৃর্তেশায়বা সুত্রে বর্ণিত ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় অবতরণের পর যখন লোকজনের মধ্যে স্বস্তির ভাব ফিরে আসে তখন তিনি
নিজ অবস্থান থেকে বের হয়ে বায়তুল্লায় আসেন এবং বাহনের উপর বসা অবস্থায়ই সাতবার
তাওয়াফ করেন ৷ তাওয়াফকালে তিনি তীর হাতের ছড়ি দ্বারা বায়তুল্লাহ্র রুক্ন স্পর্শ করে চুম্বনের
কাজ সমাধা করেন ৷ তাওয়াফ শেষে তিনি উছমান ইবন তালহাকে ডেকে তার নিকট থেকে
কাবার চাবি গ্রহণ করেন ৷ কা’বার দরজা খোলা হলে তিনি তাতে প্রবেশ করেই একটি কাষ্ঠ
নির্মিত কবুতর মুর্তি দেখতে পান ৷ তিনি নিজ হাতে তা ভেঙ্গে ছুড়ে ফেলে দেন ৷ তারপর কাবার
দরজায় এসে র্দাড়ান ৷ ইতোমধ্যে তার আগমনে মসজিদে প্রচুর লোকের সমাবেশ ঘটে ৷ মুসা
ইবন উকবা বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃ’বার সিজদা করে যমযম কুপের কাছে যান ৷
সেখানে তিনি পানি আনিয়ে পান করেন ও উয়ু সম্পন্ন করেন ৷ সাহাবীগণ তার উয়ুর ব্যবহৃত পানির
কিছু অংশ বরকত হিসেবে লওয়ার জন্যে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন ৷ মুশরিকরা এ দৃশ্য দেখে
বিস্মিত হয়ে বলাবলি করছিল আমরা এমন একজন সম্রাট জীবনে কখনও দেখিনি বা তার কথা
শুনিনি যাকে তার ভক্তরা এত ভক্তি করে ৷ তিনি আজ বায়তৃল্লাহর সংলগ্ন নিজ জায়গায় বেশ
কিছুক্ষণ অবস্থান করলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আমার নিকট জনৈক আলিম বলেন, তারপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কা’বার দরজায় দাড়িয়ে নিম্নরুপ ভাষণ দেন-

ণ্এ

স্পো ওপ্রুট্রৰুৰু ,াহ্র ১৷ ৷

১া৷



سَلَمَةُ بْنُ الْمَيْلَاءِ الْجُهَنِيُّ، وَأُصِيبَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ قَرِيبٌ مِنَ اثْنَيْ عَشَرَ أَوْ ثَلَاثَةَ عَشَرَ، ثُمَّ انْهَزَمُوا، فَخَرَجَ حِمَاسٌ مُنْهَزِمًا حَتَّى دَخَلَ بَيْتَهُ، ثُمَّ قَالَ لِامْرَأَتِهِ: أَغْلِقِي عَلَيَّ بَابِي. قَالَتْ: فَأَيْنَ مَا كُنْتَ تَقُولُ؟ فَقَالَ: إِنَّكِ لَوْ شَهِدْتِ يَوْمَ الْخَنْدَمَهْ ... إِذْ فَرَّ صَفْوَانُ وَفَرَّ عِكْرِمَهْ وَأَبُو يَزِيدَ قَائِمٌ كَالْمُوتَمَهْ ... وَاسْتَقْبَلَتْهُمْ بِالسُّيُوفِ الْمُسْلِمَهْ يَقْطَعْنَ كُلَّ سَاعِدٍ وَجُمْجُمَهْ ... ضَرْبًا فَلَا يُسْمَعُ إِلَّا غَمْغَمَهْ لَهُمْ نَهِيتٌ خَلَفَنَا وَهَمْهَمَهْ ... لَمْ تَنْطِقِي فِي اللَّوْمِ أَدْنَى كَلِمَهْ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَتُرْوَى هَذِهِ الْأَبْيَاتُ لِلرَّعَّاشِ الْهُذَلِيِّ. قَالَ: وَكَانَ شِعَارُ الْمُهَاجِرِينَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَحُنَيْنٍ وَالطَّائِفِ: يَا بَنِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ. وَشِعَارُ الْخَزْرَجِ: يَا بَنِي عَبْدِ اللَّهِ. وَشِعَارُ الْأَوْسِ: يَا بَنِي عُبَيْدِ اللَّهِ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَعِيدٍ الرَّازِيُّ، ثَنَا أَبُو حَسَّانَ الزِّيَادِيُّ، ثَنَا شُعَيْبُ بْنُ صَفْوَانَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ هَذَا الْبَلَدَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ
পৃষ্ঠা - ৩৪১৭
وَصَاغَهُ يَوْمَ صَاغَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ، وَمَا حِيَالُهُ مِنَ السَّمَاءِ حَرَامٌ، وَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ لِأَحَدٍ قَبْلِي، وَإِنَّمَا حَلَّ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، ثُمَّ عَادَ كَمَا كَانَ ". فَقِيلَ لَهُ: هَذَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ يَقْتُلُ. فَقَالَ: " قُمْ يَا فُلَانُ فَأْتِ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، فَقُلْ لَهُ فَلْيَرْفَعْ يَدَيْهِ مِنَ الْقَتْلِ ". فَأَتَاهُ الرَّجُلُ فَقَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: اقْتُلْ مَنْ قَدَرْتَ عَلَيْهِ. فَقَتَلَ سَبْعِينَ إِنْسَانًا، فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَأَرْسَلَ إِلَى خَالِدٍ فَقَالَ: " أَلَمْ أَنْهَكَ عَنِ الْقَتْلِ؟ " فَقَالَ: جَاءَنِي فُلَانٌ فَأَمَرَنِي أَنْ أَقْتُلَ مَنْ قَدَرْتُ عَلَيْهِ. فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ: " أَلَمْ آمُرْكَ؟ " قَالَ: أَرَدْتَ أَمْرًا، وَأَرَادَ اللَّهُ أَمْرًا، فَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ فَوْقَ أَمْرِكَ، وَمَا اسْتَطَعْتُ إِلَّا الَّذِي كَانَ. فَسَكَتَ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا رَدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهِدَ إِلَى أُمَرَائِهِ أَنْ لَا يُقَاتِلُوا إِلَّا مَنْ قَاتَلَهُمْ، غَيْرَ أَنَّهُ أَهْدَرَ دَمَ نَفَرٍ سَمَّاهُمْ، وَإِنْ وُجِدُوا تَحْتَ أَسْتَارِ الْكَعْبَةِ، وَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، كَانَ قَدْ أَسْلَمَ وَكَتَبَ الْوَحْيَ ثُمَّ ارْتَدَّ، فَلَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ، وَقَدْ أَهْدَرَ دَمَهُ فَرَّ إِلَى عُثْمَانَ، وَكَانَ أَخَاهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ، فَلَمَّا جَاءَ بِهِ لِيَسْتَأْمِنَ لَهُ، صَمَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَوِيلًا، ثُمَّ قَالَ: " نَعَمْ ". فَلَمَّا انْصَرَفَ مَعَ عُثْمَانَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَنْ حَوْلَهُ: " أَمَا كَانَ فِيكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ يَقُومُ إِلَى هَذَا حِينَ رَآنِي قَدْ صَمَتُّ فَيَقْتُلَهُ ". فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَّا أَوْمَأْتَ إِلَيْنَا؟ " فَقَالَ: " إِنَّ النَّبِيَّ لَا يَقْتُلُ بِالْإِشَارَةِ.» وَفِي رِوَايَةٍ: «إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِنَبِيٍّ أَنْ تَكُونَ لَهُ خَائِنَةُ الْأَعْيُنِ» . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَدْ حَسُنَ إِسْلَامُهُ بَعْدَ ذَلِكَ وَوَلَّاهُ عُمَرُ بَعْضَ أَعْمَالِهِ، ثُمَّ وَلَّاهُ عُثْمَانُ. قُلْتُ: وَمَاتَ وَهُوَ سَاجِدٌ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ، أَوْ بَعْدَ انْقِضَاءِ صَلَاتِهَا فِي بَيْتِهِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَطَلٍ، رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَيْمِ بْنِ غَالِبٍ - قُلْتُ: وَيُقَالُ: إِنَّ اسْمَهُ عَبْدُ الْعُزَّى بْنُ خَطَلٍ. وَيَحْتَمِلُ أَنَّهُ كَانَ كَذَلِكَ، ثُمَّ لَمَّا أَسْلَمَ سُمِّيَ عَبْدَ اللَّهِ - وَلَمَّا أَسْلَمَ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُصَدِّقًا وَبَعَثَ مَعَهُ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ، وَكَانَ مَعَهُ مَوْلًى لَهُ فَغَضِبَ عَلَيْهِ غَضْبَةً فَقَتَلَهُ، ثُمَّ ارْتَدَّ مُشْرِكًا وَكَانَ لَهُ قَيْنَتَانِ، فَرْتَنَى وَصَاحِبَتُهَا، فَكَانَتَا تُغَنِّيَانِ بِهِجَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمِينَ، فَلِهَذَا أَهْدَرَ دَمَهُ وَدَمَ قَيْنَتَيْهِ، فَقُتِلَ وَهُوَ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ، اشْتَرَكَ فِي قَتْلِهِ أَبُو بَرْزَةَ الْأَسْلَمِيُّ وَسَعِيدُ بْنُ حُرَيْثٍ الْمَخْزُومِيُّ، وَقُتِلَتْ إِحْدَى قَيْنَتَيْهِ وَاسْتُؤْمِنَ لِلْأُخْرَى. قَالَ: وَالْحُوَيْرِثُ بْنُ نُقَيْذِ بْنِ وَهْبِ بْنِ عَبْدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৪১৮

ত্রৈএৰুএ

অর্থাৎ : এক আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই ৷
তিনি একক, তার কোন শরীক নেই ৷
তিনি তার ওয়াদা পুরণ করেছেন, তার বান্দাকে সাহায্য করেছেন ৷ তিনি একাই সকল
বাহিনীকে পরাস্ত করেছেন ৷
জেনে রেখো ৷ জাহিলিয়াত যুগের সকল আভিজ্যাতরে অহংকার, রক্ত বা সম্পদের
প্রতিশোধ দাবি আমার এ দৃপায়ের নীচে আজ দলিত ৷
তবে বায়তুল্লাহ্র সেবা ও হাজীদের পানি পান করানোর ব্যবস্থাপনা এর ব্যতিক্রম ৷
জেনে রেখো ! ভুলক্রমে হত্যার বিষয়টা ছড়ি অথবা লাঠি দ্বারা ইচ্ছা কৃত হত্যার অনুরুপ ৷
এর জন্যে গুরুতর রক্তপণ দিতে হবে-
অর্থাৎ — একশ উট, যার মধ্যে চল্লিশটি থাকবে গর্ভবতী ৷
হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের থেকে জাহিলিয়াত যুগের অহমিকা ও
বৎশ-গৌববের অবসান ঘটিয়েছেন ৷
মানুষ মাত্রই আদম থেকে সৃষ্ট ৷
আর আদম সৃষ্ট মাটি থেকে ৷
তারপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন ও
র্তৃ
ব্পু ৰু ; চুছুপ্রু; ৷ ছু;৷ ন্’;ন্;৷ ব্লুএ৷ ৷ ন্’হ্ন;,ড়ুহ্র৷ বু-,৷ ৷১ড়ুা;এ্া
অর্থাৎ “হে মানুষ ! আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী ’থেকে ৷ পরে
তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত
হতে পার ৷ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই আল্লাহ্র নিকট অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে অধিকতর
মুত্তাকি ৷ আল্লাহ্ সবকিছু জানেন ৷ সমস্ত খবর রাখেন ৷” (৪ ৯ হুজুরাত : ১৩) ৷

তারপর তিনি বললেন, হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! ণ্ন্নুৰু ণ্ া;৷১ প্রু১ ! ;এে: — তোমাদের
ব্যাপারে আমি কী আচরণ করবো বলে তোমরা মনে কর ? তারা বললো : ণ্ ঙু “ব্লু ৷ ৷ ,
ণ্ৰু) ৰু ব্লুষ্ ৷ গ্লু ৷ , ষ্আমরা উত্তম ধারণা রাখি, কেননা, আপনি একজন মহান ভাই ও মহৎ
ভইিপো ৷ তখন তিনি বললেন : ন্ঞ্জো ৷ ণ্;;এে ৷ ষ্ ং ১ ! যাও, তোমরা আজ মুক্ত স্বাধীন ৷
তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদে গিয়ে বসলেন ৷ তখন আলী ইবন আবু তালিব কা’বা ঘরের চাবি
হাতে করে তার সামনে দাড়িয়ে বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! বায়তৃল্লাহ্র সেবায়েতের দায়িত্ব এবং


قَصَيٍّ، وَكَانَ مِمَنْ يُؤْذِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ، وَلَمَّا تَحَمَّلَ الْعَبَّاسُ بِفَاطِمَةَ وَأُمِّ كُلْثُومٍ لِيَذْهَبَ بِهِمَا إِلَى الْمَدِينَةِ يُلْحِقُهُمَا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلَ الْهِجْرَةِ، نَخَسَ بِهِمَا الْحُوَيْرِثُ هَذَا، الْجَمَلَ الَّذِي هُمَا عَلَيْهِ، فَسَقَطَتَا إِلَى الْأَرْضِ، فَلَمَّا أُهْدِرَ دَمُهُ قَتَلَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ. قَالَ: وَمِقْيَسُ بْنُ صُبَابَةَ، لِأَنَّهُ قَتَلَ قَاتِلَ أَخِيهِ خَطَأً بَعْدَمَا أَخَذَ الدِّيَةَ، ثُمَّ ارْتَدَّ مُشْرِكًا، قَتَلَهُ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ يُقَالُ لَهُ: نُمَيْلَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ. قَالَ: وَسَارَةُ مَوْلَاةٌ لِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَلِعِكْرِمَةَ بْنِ أَبِي جَهْلٍ، لِأَنَّهَا كَانَتْ تُؤْذِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ بِمَكَّةَ. قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّهَا الَّتِي تَحَمَّلَتِ الْكِتَابَ مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ، وَكَأَنَّهَا عُفِيَ عَنْهَا أَوْ هَرَبَتْ ثُمَّ أُهْدِرَ دَمُهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَهَرَبَتْ حَتَّى اسْتُؤْمِنَ لَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَّنَهَا، فَعَاشَتْ إِلَى زَمَنِ عُمَرَ فَأَوْطَأَهَا رَجُلٌ فَرَسًا فَمَاتَتْ. وَذَكَرَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّ فَرْتَنَى أَسْلَمَتْ أَيْضًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَمَّا عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ، فَهَرَبَ إِلَى الْيَمَنِ، وَأَسْلَمَتِ امْرَأَتُهُ أُمُّ حَكِيمٍ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، وَاسْتَأْمَنَتْ لَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَّنَهُ، فَذَهَبَتْ فِي طَلَبِهِ، حَتَّى أَتَتْ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَسْلَمَ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو طَاهِرٍ مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَحْمِشٍ الْفَقِيهُ،
পৃষ্ঠা - ৩৪১৯

হাজীদের পানি পান করানোর দায়িত্ব দুটোই আমাকে দান করুন ৷ আল্লাহ্ আপনার প্রতি রহমত
বর্ষণ করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বললেন : উছমান ইবন তালহা কোথায় ? তাকে ডেকে আনা
হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : এই লও তোমার চাবি, হে উছমান ! আজকের দিন ইচ্ছে সদাচার
ও প্রতিশ্রুতি পালনের দিন ৷” ( ন্া১ ; ক্রো ণ্প্রুগ্লু ণ্ ;ৰু৷ ৷) ৷

ইমাম আহমদ সুফিয়ান ইবন উমর (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, মক্কা বিজয়ের দিন
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বায়তুল্লাহ্ব সিড়িতে র্দাড়িয়ে নিম্নোক্ত খুতবা পেশ করেন :

“প্রশংসা সেই আল্লাহ্ৱ

যিনি তীর ওয়াদা সত্যে পরিণত করেছেন,

তার বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই সমস্ত বাহিনীকে পর্বুদস্ত করেছেন ৷

জেনে রেখো ! ছড়ি বা লাঠি দ্বারা অনিচ্ছাকৃত হত্যড়ায় একশ’ উট দিতে হবে ৷ তার অন্য
বংনািয় গুরুতর রক্তপণের কথা আছে ৷ যার মধ্যে চল্লিশটি হবে গর্ভবডী ৷

জেনে রেখো ! জাহিলী যুগের সকল অহমিকা ও রক্তের প্রতিশোধের দাবী (আর এক বর্ণনা
মতে মালের দাবী) আমার এ দু পায়ের নীচে দলিত ৷

তবে হাজীদের পানি পান করান ও বায়তুল্লাহ্র সেবা এ দুটি ব্যাপার ভিন্ন ৷ কেননা, এ দুটি
বিষয়ের দায়িত্ব যাদের হাতে ছিল তাদেরকেই বহাল রাখা হয়েছে ৷ আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন
মাজা আলী ইবন যায়দ ইবন উমর (রা) সুত্রে এ হাদীছটি অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন
হিশাম বলেন : কতিপয় আলিম আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্
(সা) বায়তুল্লায় প্রবেশ করে তার মধ্যে ফেরেশতার ও অন্যান্য কিছু জিনিসের ছবি দেখতে পান ৷
তিনি আরও দেখতে পান যে, ইবরাহীম (আ)-এব একটি ছবি, হাতে তীর নিয়ে তিনি ভাগ্য নির্ণয়
করছেন ৷ তখন তিনি বললেন, আল্লাহ্ ওদেরকে ধ্বংস করুন ! ওরা আমাদের মহান নেতাকে তীর
দ্বারা ভগ্যে নির্ণয়কারী বানিয়ে ছেড়েছে ৷ অথচ ঐ সব ভাগ্য নির্ণয়ের তীরের সাথে ইবরাহীম
(আ)-এর কী সম্পর্ক ?

;ৰু হু,াদ্বু ৷;;, এেকু ;,াদ্বু চু,হ্রাৰু, ৰুজু;া;,পু১ >ার্দু, ৷পু প্রুড্রুব্লু,ব্লু ন্বু ৰুা;,পু৷ ;-,াদ্বু ঢ়
“ইবরাহীম তো য়াহ্রদী বা নাসারা ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলমান ৷ তিনি
মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না ৷” (৩ আলে ইমরান : ৬৭) ৷

এরপর তিনি ছবিগুলো মুছে ফেলার নির্দেশ দেন এবং সেমতে সেগুলো মুছে ফেলা হয় ৷
ইমাম আহমদ বলেন : আমার নিকট সুলায়মান জাবির সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন ও
তারা ঘরের অভ্যন্তরে কতিপয় ছবি ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমর (বা)-কে সেগুলো মুছে ফেলতে
নির্দেশ দেন ৷ তখন উমর (রা) একখানা কাপড় নিয়ে সেগুলো মুছে দেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
কা ’বা ঘরে প্রবেশ করেন ৷ তখন ঘরের মধ্যে আর কোন ছবি অবশিষ্ট ছিল না ৷ ইমাম বৃথারী
সাদকা ইবন ফযল আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন


أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ الْقَطَّانُ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ السُّلَمِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، ثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، قَالَ: زَعَمَ السُّدِّيُّ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ آمَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ إِلَّا أَرْبَعَةَ نَفَرٍ وَامْرَأَتَيْنِ، وَقَالَ: " اقْتُلُوهُمْ وَإِنْ وَجَدْتُمُوهُمْ مُتَعَلِّقِينَ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ ". وَهُمْ عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَطَلٍ، وَمِقْيَسُ بْنُ صُبَابَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ. فَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَطَلٍ فَأُدْرِكَ وَهُوَ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ، فَاسْتَبَقَ إِلَيْهِ سَعِيدُ بْنُ حُرَيْثٍ وَعَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ، فَسَبَقَ سَعِيدٌ عَمَّارًا، وَكَانَ أَشَبَّ الرَّجُلَيْنِ، فَقَتَلَهُ، وَأَمَّا مِقْيَسٌ فَأَدْرَكَهُ النَّاسُ فِي السُّوقِ فَقَتَلُوهُ، وَأَمَّا عِكْرِمَةُ فَرَكِبَ الْبَحْرَ فَأَصَابَتْهُمْ قَاصِفٌ، فَقَالَ أَهْلُ السَّفِينَةِ لِأَهْلِ السَّفِينَةِ: أَخْلِصُوا فَإِنَّ آلِهَتَكُمْ لَا تُغْنِي عَنْكُمْ شَيْئًا هَاهُنَا. فَقَالَ عِكْرِمَةُ: وَاللَّهِ لَئِنْ لَمْ يُنْجِ فِي الْبَحْرِ إِلَّا الْإِخْلَاصُ فَإِنَّهُ لَا يُنْجِي فِي الْبَرِّ غَيْرُهُ، اللَّهُمَّ إِنَّ لَكَ عَلَيَّ عَهْدًا إِنْ أَنْتَ عَافَيْتَنِي مِمَّا أَنَا فِيهِ، أَنْ آتِيَ مُحَمَّدًا حَتَّى أَضَعَ يَدِي فِي يَدِهِ فَلَأَجِدَنَّهُ عَفُوًّا كَرِيمًا. فَجَاءَ فَأَسْلَمَ، وَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ فَإِنَّهُ اخْتَبَأَ عِنْدَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَلَمَّا دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ إِلَى الْبَيْعَةِ جَاءَ بِهِ حَتَّى أَوْقَفَهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ. بَايِعْ عَبْدَ اللَّهِ. فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَنَظَرَ إِلَيْهِ ثَلَاثًا، كُلُّ ذَلِكَ يَأْبَى، فَبَايَعَهُ بَعْدَ ثَلَاثٍ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৩৪২০

রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ তখন বড়ায়তুল্লাহ্র চারপাশ ঘিরে তিনশ’ ষাটটি মুর্তি স্থাপিত
ছিল ৷ তিনি হাতে একটি লাঠি নিয়ে মুর্তিগুলােকে আঘাত করতে থাকলেন, আর মুখে বলতে
লাপলেন : (,)া ৷ ৷ দো ) , ক্ট্র১৷ ৷ ন্া ন্) “হক এসেছে বাতিল দুরীভুত হয়েছে ৷ ” হক
এসেছে বাতিলের আর উদ্ভব বা পুনরুদ্ভর ঘটবে না ৷ ইমাম মুসলিম এ হাদীছটি ইবন উআয়না
সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকী ইবন ইসহাক সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ তখন কা’বা গৃহে তিনশ’ প্রতিমা স্থাপিত ছিল ৷ তিনি হাতে একটি লাঠি
নিয়ে এক একটি প্রতিমার কাছে যেতে থাকেন, আর অমনি সে প্রতিমা মাটিতে লুটিয়ে পড়তে
থাকে ৷ এভাবে সব কটি প্রতিমা তিনি অতিক্রম করেন ৷ এরপর বায়হাকী সুওয়ায়দ ইবন
উমর সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ তাতে অতিরিক্ত এতটুকু আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) লাঠি দ্বারা
কোন প্রতিমাকে স্পর্শ করেননি ; বরং ইংগিত করতেই প্রতিটি প্রতিমা মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে ৷
তারপর বায়হাকী বলেন, এ হাদীছের সনদটি যদিও দুর্বল, কিভু পুর্বের, হাদীছের সমর্থনে তা
শক্তিশালী হয়েছে ৷ হাম্বল ইবন ইসহাক ইবন আবযা সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
যখন মক্কা জয় করেন তখন মাথার চুল কুকড়ান জনৈক হাবশী মহিলা মুখে রং <মখে ধ্বংস
কামনা করতে করতে আগমন করে ৷ তাকে দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : ঐ যে বিলাপকারিণী
মহিলা যে এ কারণে হতাশ হয়ে পড়েছে যে, তোমাদের এ শহরে আর কখনও পুজিত হবে না ৷

ইবন হিশাম বলেন : ইবন শিহাব যুহ্রী উবড়ায়দুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস সুত্রে
আমার জনৈক আস্থাভাজন আলিম আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্
(সা) তার বাহনে চড়ে মক্কায় প্রবেশ করেন এবং বাহনের উপর থেকে বড়ায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ
করেন ৷ তখন বায়তৃল্পাহর চারপাশে শীসা র্বীধানাে অনেকগুলো মুর্তি ছিল ৷ নবী করীম (সা) তার
হাতের ছড়ি দ্বারা মুর্তিগুলোর দিকে ইং গত করে যাচ্ছিলেন এবং মুখে বলছিলেন ;; এ১৷ ৷ ষ্া ৰু
ান্ধ্রপ্রুগুড্রু ;,এে ধ্াংা ৷ ৷ ;, ৷ ধ্া ৷ ৷ এে১ম্র “সত্য সমাগত, মিথ্যা বিলুপ্ত, মিথ্যা বিলুপ্তই
হয় ৷” যেসব মুর্ডিং মুখমন্ডলের দিকে তিনি ইংগিত করছিলেন সেগুলো চিৎ হয়ে পড়ছিল ৷ আর
যেগুলোর পশ্চাৎভাগের দিকে ইংগিত করছিলেন সেগুলো উপুড় হয়ে পড়ছিল ৷ এভাবে সব কটি
মুর্তিই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ৷ তামীম ইবন আসাদ আল-খুযাঈ এ প্রসৎগে তার কবিতায় বলেন :

৷ ষ্ ঞ্জু

“মুর্ডিং প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস কেবল তারই থাকতে পারে, যে তাদের কাছে পুরস্কার ও শাস্তির
আশা করে ৷ ”

সহীহ্ মুসলিমে সিনান ইবন ফাররুখ আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণিত ৷ মক্কা বিজয় সম্পর্কিয়
হাদীছে তিনি বর্ণনা করেন : এরপর রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) হাজরে আসওদের নিকটবর্তী হয়ে
তাকে চুম্বন করলেন এবং বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করলেন ৷ এরপর তিনি বায়তুল্লাহ্র পার্শে রক্ষিত
একটি মুর্তির কাছে এলেন, যাকে তারা উপাসনা করতো ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হাতে একটি ধনুক

ছিল ৷ তিনি তার এক প্রান্ত ধারণ করেছিলেন ৷ মুর্তিটির কাছে এসে তিনি ধনুকের দ্বারা তার চোখ
গৌচাতে লাপলেন এবং বললেন :


أَصْحَابِهِ فَقَالَ: " أَمَا كَانَ فِيكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ يَقُومُ إِلَى هَذَا حِينَ رَآنِي كَفَفْتُ يَدِي عَنْ بَيْعَتِهِ فَيَقْتُلُهُ؟ " فَقَالُوا: مَا يُدْرِينَا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا فِي نَفْسِكَ، هَلَّا أَوْمَأْتَ إِلَيْنَا بِعَيْنِكَ؟ فَقَالَ: " إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِنَبِيٍّ أَنْ تَكُونَ لَهُ خَائِنَةُ الْأَعْيُنِ ".» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَحْمَدَ بْنِ الْمُفَضَّلِ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، أَنْبَأَنَا أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ الْكُوفِيُّ، ثَنَا الْحَكَمُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «أَمَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ إِلَّا أَرْبَعَةً، عَبْدَ الْعُزَّى بْنَ خَطَلٍ، وَمَقْيَسَ بْنَ صُبَابَةَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، وَأُمَّ سَارَةَ،» فَأَمَّا عَبْدُ الْعُزَّى بْنُ خَطَلٍ فَإِنَّهُ قُتِلَ وَهُوَ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ. قَالَ: «وَنَذَرَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ أَنْ يَقْتُلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ إِذَا رَآهُ، وَكَانَ أَخَا عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ مِنَ الرَّضَاعَةِ، فَأَتَى بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَشْفَعَ لَهُ، فَلَمَّا بَصُرَ بِهِ الْأَنْصَارِيُّ اشْتَمَلَ عَلَى السَّيْفِ، ثُمَّ أَتَاهُ فَوَجَدَهُ فِي حَلْقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ يَتَرَدَّدُ وَيَكْرَهُ أَنْ يُقَدِمَ عَلَيْهِ، فَبَسَطَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فَبَايَعَهُ، ثُمَّ قَالَ لِلْأَنْصَارِيِّ: " قَدِ انْتَظَرْتُكَ أَنْ تُوفِيَ بِنَذْرِكَ ". قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هِبْتُكَ، أَفَلَا أَوْمَضْتَ إِلَيَّ؟ قَالَ: " إِنَّهُ لَيْسَ لِلنَّبِيِّ
পৃষ্ঠা - ৩৪২১
أَنْ يُومِضَ» ". وَأَمَّا مِقْيَسُ بْنُ صَبَابَةَ فَذَكَرَ قِصَّتَهُ فِي قَتْلِهِ رَجُلًا مُسْلِمًا بَعْدَ إِسْلَامِهِ، ثُمَّ ارْتِدَادِهِ بَعْدَ ذَلِكَ. قَالَ: وَأَمَّا «أُمُّ سَارَةَ فَكَانَتْ مَوْلَاةً، لِقُرَيْشٍ، فَأَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَكَتْ إِلَيْهِ الْحَاجَةَ، فَأَعْطَاهَا شَيْئًا، ثُمَّ بَعَثَ مَعَهَا رَجُلٌ بِكِتَابٍ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ.» فَذَكَرَ قِصَّةَ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ. وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، أَنَّ مِقْيَسَ بْنَ صُبَابَةَ قُتِلَ أَخُوهُ هِشَامٌ يَوْمَ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، قَتَلَهُ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَهُوَ يَظُنُّهُ مُشْرِكًا، فَقَدِمَ مِقْيَسٌ مُظْهِرًا لِلْإِسْلَامِ لِيَطْلُبَ دِيَةَ أَخِيهِ، فَلَمَّا أَخَذَهَا عَدَا عَلَى قَاتِلِ أَخِيهِ فَقَتَلَهُ، وَرَجَعَ إِلَى مَكَّةَ مُشْرِكًا، فَلَمَّا أَهْدَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَمَهُ قُتِلَ وَهُوَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَالْبَيْهَقِيُّ شِعْرَهُ حِينَ قَتَلَ قَاتِلَ أَخِيهِ، وَهُوَ قَوْلُهُ: شَفَى النَّفْسَ مَنْ قَدْ بَاتَ بِالْقَاعِ مُسْنَدًا ... يَضَرِّجُ ثَوْبَيْهِ دِمَاءُ الْأَخَادِعِ وَكَانَتْ هُمُومُ النَّفْسِ مِنْ قَبْلِ قَتْلِهِ ... تُلِمُّ وَتُنْسِينِي وِطَاءَ الْمَضَاجِعِ
পৃষ্ঠা - ৩৪২২

“সত্য আগমন করেছে, মিথ্যা বিদায় নিয়েছে ৷ মিথ্যার বিদায় অবধারিত ৷ ”

বায়তুল্লাহ্র তাওয়ড়াফ শেষে তিনি সাফা পাহাড়ের দিকে গমন করলেন ৷ এরপর তাতে
আরোহণ করে বায়তৃল্লাহ্র দিকে তড়াকালেন এবং দৃহাত উচু করে আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং
যা প্রার্থনা করার ছিল তিনি তা প্রার্থনা করলেন ৷ বুখারী বলেন : আমার নিকট ইসহাক ইবন
মানসুর ইকরামা সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায়
আগমন করে তাৎক্ষণিকভাবে বায়তৃল্লায় প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকেন কেননা, বায়তুল্লাহ্র
মধ্যে তখন অনেকগুলো মুর্তি ছিল ৷ তিনি এগুলোকে বের করে ফেলার আদেশ দেন ৷ ফলে
মুর্তিগুলো বের করা হল ৷ বইিকুত মুর্তির সাথে দেখা গেল ইব্রাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ)-এর
মুর্তিও বেরিয়ে এসেছে ৷ আর তাদের উভয়ের হাতে রয়েছে ভাগ্য গণনার কয়েকটি তীর ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন : আল্লাহ ওদেরকে ধ্বংস করুন ৷ তারা অবশ্যই জানতে৷ যে , ইব্রাহীম
(আ) ও ইসমাঈল (আ) কখনও তীর দিয়ে ভাগ্য গণনার কাজ করেননি ৷ এরপর তিনি বায়তুল্লাহ্র
ভিতরে প্রবেশ করেন এৎ প্রতেকে কোণে গিয়ে আল্লাহ আকবার ধ্বনি দেন ৷ কিছু সময় পর তিনি
বেরিয়ে আসেন এবং ঘরের ভিতরে নামায পড়েননি ৷ এ হাদীছটি শুধু বুখারীতে আছে, মুসলিমে
নেই ৷ ইমাম আহমদ বলেন : আমার নিকট বর্ণনা করেছেন আবদুস সামাদ ৷ আব্বাস সুত্রে যে ,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কা’বা ঘরে প্রবেশ করেন ৷ তখন তাতে ছিল ছয়টি স্তম্ভ ৷ তিনি প্রতিটি স্তন্তের কাছে
গিয়ে র্দাড়ান এবং দুআ করেন ; কিন্তু কা’বা ঘরের ভিতরে নামায পড়েননি ৷ ইমাম ঘুসলিমও এ
হাদীছ শায়বান ইবন ফাররুখ, হাম্মাম ইবন ইয়াহ্য়া আওষী ও আত৷ থেকে সনদ পরম্পরায় অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন : আমার নিকট হারুন ইবন মা’রুফ ইবন আব্বাস
সুত্রে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) বায়তৃল্লায় প্রবেশ করে ইব্রাহীম (আ) ও মারয়াম (আ ) এর
ছবি দেখতে পান ৷ এ দৃশ্য দেখে তিনি বলেন : তারা তো শুনেছে যে, ফেরেশতাগণ ঐ গৃহে
প্রবেশ করে না ৷ যে গৃহে ছবি থাকে ৷ অথচ নবী ইব্রাহীম (আ)-এর এই ছবি ৷ আর ভীরের
সাহায্যে ভাগ্য নির্ণয়ের তো কোন প্ৰশ্নই উঠে না ৷ বুখারী ও নাসাঈ ইবন ওহব সুত্রে এ হাদীছটি
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন : আমার নিকট আবদুর রায্যাক ইবন
আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বায়তৃল্পায় প্রবেশ করে ভিতরে বিভিন্ন প্রান্তে
দাড়িয়ে দু’আ করে ঘরের বাইরে এসে দু রাকআত নামায আদায় করেন ৷ ইমাম আহমদ একাই
এ হাদীছটি বংনাি করেছেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন : ইসমাঈল ইবন উমার সনদে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) বায়তুল্লাহ্র অভ্যন্তরে দু রাকআত নামায পড়েছেন ৷ বুখারী বলেন :
লায়ছ আবদুল্লাহ ইবন উমর সুত্রে বর্ণিত আছে যে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সওয়ারীতে আরোহণ করে এবং উসামা ইবন মায়দকে নিজের পিছনে বসিয়ে মক্কা নগরীর উচু
এলাকার দিক থেকে মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ তার সংগে ছিলেন বায়তুল্লাহ্র চাবি রক্ষক উছমান
ইবন তালহা ৷ তিনি মসজিদে হারামের সামনে এসে সাওয়ারী থামালেন এবং কা’বার চাবি এনে
দরজা খোলার আদেশ করলেন ৷ দরজা খোলা হলে তিনি কা’বা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেন ৷
তখন তার সংগে ছিলেন উসামা ইবন যায়দ, বিলাল এবং উছমান ইবন তালহা ৷ সেখানে তিনি


قَتَلْتُ بِهِ فِهْرًا وَغَرَّمْتُ عَقْلَهُ ... سَرَاةَ بَنِي النَّجَّارِ أَرْبَابَ فَارِعِ حَلَلْتُ بِهِ نَذْرِي وَأَدْرَكْتُ ثُؤْرَتِي ... وَكُنْتُ إِلَى الْأَوْثَانِ أَوَّلَ رَاجِعِ قُلْتُ: وَقِيلَ: إِنَّ الْقَيْنَتَيْنِ اللَّتَيْنِ أُهْدِرَ دَمُهُمَا كَانَتَا لِمِقْيَسِ بْنِ صُبَابَةَ هَذَا، وَإِنَّ ابْنَ عَمِّهِ قَتَلَهُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: قَتَلَ ابْنَ خَطَلٍ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ «أَنَّ أُمَّ هَانِئٍ ابْنَةَ أَبِي طَالِبٍ قَالَتْ: لَمَّا نَزَلْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَعْلَى مَكَّةَ فَرَّ إِلَيَّ رَجُلَانِ مِنْ أَحْمَائِي مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: هُمَا الْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ وَزُهَيْرُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَتْ عِنْدَ هُبَيْرَةَ بْنِ أَبِي وَهْبٍ الْمَخْزُومِيِّ، قَالَتْ: فَدَخَلَ عَلَيَّ أَخِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَقْتُلُهُمَا. فَأَغْلَقْتُ عَلَيْهِمَا بَابَ بَيْتِي، ثُمَّ جِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِأَعْلَى مَكَّةَ، فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ مِنْ جَفْنَةٍ، إِنَّ فِيهَا لَأَثَرَ
পৃষ্ঠা - ৩৪২৩

দিবসের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অবস্থান করার পর বেরিয়ে আসেন ৷ তখন অন্যান্য লোকজন দ্রুত ছুটে
এলো কা’বার ভিতরে প্রবেশের জন্যে ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমার সেখানে সর্বড়াগ্রে প্রবেশ করলেন ৷
তিনি বিলালকে দরজার পাশে দীড়ানো পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) কোন জায়গায়
নামায পড়েছেন ? তখন বিলাল তাকে তার নামায পড়ার জায়গাটি ইশারা করে দেখিয়ে দিলেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা ) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) কত রাকআত আদায় করেছেন, বিলালকে
আমি এ কথাটি জিজ্ঞেস করতে ভুলে গিয়েছিলাম ৷ ইমাম আহমদ এ হাদীছটি হুশায়ম
ইবন উমার সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশ
করেন ৷ তার সংগে ছিলেন ফযল ইবন আব্বাস, উসামা ইবন যায়দ, উছমান ইবন তালহা ও
বিলাল ৷ তখন বিলালকে আদেশ করলে তিনি দরজা টেনে বন্ধ করে দেন ৷ তারপর যতক্ষণ

আল্লাহর ইচ্ছা ছিল ততক্ষণ তিনি ভিতরে থাকার পর বেরিয়ে আসেন ৷ ইবন উমার বলেন :
এরপর তাদের মধ্যে বিলালের সাথে আমার সর্বপ্রথম সাক্ষাৎ হয় ৷ আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কােনৃ জায়গায় দাড়িয়ে নামায আদায় করেছেন : তিনি আমাকে দেখিয়ে দিয়ে
বললেন এই দুই খুটির মাঝখানে ৷

আমি বলি, সহীহ্ বুখারী ও অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কা’বড়ার
অভ্যন্তরে প্রাচীর পশ্চাতে রেখে দরােজার দিকে মুখ করে নামায আদায় করেছেন ৷ দুটি স্তম্ভ ছিল
ডান দিকে, একটি ছিল বা দিকে এবং পশ্চাৎ দিকে ছিল আরও তিনটি স্তম্ভ ৷ কাবা ঘর তখন ছয়টি
স্তম্ভের উপর স্থাপিত ছিল ৷ তার ও পশ্চিম পাশের দেওয়ালের মাঝে মাত্র তিন হাত পরিমাণ দুরত্ব
ছিল ৷ ইমাম আহমদ ইসমাঈল ইবন উমার (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বায়তুল্লায় দু রাকআত নামায আদায় করেছিলেন ৷ ইবন হিশাম বলেন : আমার নিকট কোন কোন
আলিম বর্ণনা করেছেন যে, মক্কা বিজয়ের বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) কা’বায় প্রবেশ করেন ৷ তখন তার
ৎগে ছিলেন বিলাল ৷ তিনি বিলালকে আযান দেয়ার নির্দেশ দেন ৷ আবু সৃফিয়ান ইবন হড়ারব,
আত্তাব ইবন উসায়দ ও হারিছ ইবন হিশাম তখন কা’বড়ার আৎগিনায় উপবিষ্ট ছিল ৷ আযান শুনে
আত্তাব বললো , আল্লাহ আমার পিতা উসায়দকে সম্মানিত করেছেন যে , তাকে এ জিনিস শুনতে
হয়নি ৷ কেননা, এ সব শুনলে তিনি ক্ষেপে যেতেন ৷ হারিছ ইবন হিশাম বললো, আল্লাহর কসম ৷
আমি যদি জানতে পারতাম যে, এ ব্যক্তি সঠিক পথে রয়েছে তবে আমি অবশ্যই তার অনুসরণ
করতাম ৷ আবু সুফিয়ান বললো, আমি এ সম্পর্কে মুখ খুলবাে না ৷ কেননা, আমি যদি কিছু বলি,
তবে এ কংকরগুলোই আমার এ সংবাদ (তাকে) পৌছে দেবে ৷ এমন সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে বললেন : তোমরা যা যা বলেছ, তা সবই আমি জেনে গেছি ৷ তিনি
তাদেরকে সেসব কথা পুনরাবৃত্তি করে শুনিয়ে দেন ৷ হারিছ ও আত্তাব সহসা বলে উঠলো : ধ্
ব্৷ ৷ প্রু, এ;প্রু ৷ “আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহ্র রাসুল” ৷ আল্লাহর কসম ৷
আমাদের কাছে কেউ ছিল না যে, বলবো সে জেনে আপনাকে জানিয়ে দিয়েছে ৷ ইউনুস ইবন
বুকায়র বলেন : আমার পিতার নিকট জুবায়র ইবন মুত্ঈম বংশের জনৈক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন
শ্ যে , রাসুলুল্পাহ্ (সা) মক্কায় প্রবেশ করে বিলালকে আযান দেয়ার নির্দেশ দেন ৷ বিলাল তখন কাবা

ঘরের ছাদে উঠে নামাযের জন্যে আযান দিলেন আযান শুনে সাঈদ ইবন আস গোত্রের এক
৬৬ ———

الْعَجِينِ، وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبِهِ، فَلَمَّا اغْتَسَلَ أَخَذَ ثَوْبَهُ فَتَوَشَّحَ بِهِ، ثُمَّ صَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مِنَ الضُّحَى، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَيَّ، فَقَالَ: " مَرْحَبًا وَأَهْلًا بِأُمِّ هَانِئٍ، مَا جَاءَ بِكِ؟ " فَأَخْبَرْتُهُ خَبَرَ الرَّجُلَيْنِ وَخَبَرَ عَلِيٍّ فَقَالَ: " قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ وَأَمَّنَّا مَنْ أَمَّنْتِ فَلَا يَقْتُلُهُمَا» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، «عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ: مَا أَخْبَرَنَا أَحَدٌ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الضُّحَى غَيْرَ أُمِّ هَانِئٍ، فَإِنَّهَا ذَكَرَتْ أَنَّهُ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ اغْتَسَلَ فِي بَيْتِهَا، ثُمَّ صَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ. قَالَتْ: وَلَمْ أَرَهُ صَلَّى صَلَاةً أَخَفَّ مِنْهَا، غَيْرَ أَنَّهُ يُتِمُّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ» . وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ أَنَّ أَبَا مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلٍ حَدَّثَهُ «أَنَّ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ حَدَّثَتْهُ أَنَّهُ لَمَّا كَانَ عَامُ الْفَتْحِ، فَرَّ إِلَيْهَا رَجُلَانِ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ فَأَجَارَتْهُمَا، قَالَتْ: فَدَخَلَ عَلَيَّ عَلِيٌّ فَقَالَ: أَقْتُلُهُمَا. فَلَمَّا سَمِعْتُهُ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِأَعْلَى مَكَّةَ، فَلَمَّا رَآنِي رَحَّبَ، وَقَالَ: " مَا جَاءَ بِكِ؟ " قُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، كُنْتُ أَمَّنْتُ رَجُلَيْنِ مِنْ أَحْمَائِي، فَأَرَادَ عَلِيٌّ قَتْلَهُمَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ ". ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৪২৪

ব্যক্তি বললাে, কা’বার ছাদে চড়ে এই কৃষ্ণাৎগের আযান শুনার পুর্বে মৃত্যু দিয়ে আল্লাহ সাঈদকে
সম্মানিত করেছেন ৷ আবদুর রাঘৃযাক — — — ইবন আবু মুলায়ক৷ সুত্রে বলেন : বিজয়ের দিন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলালকে আযান দেয়ার নির্দেশ দিলে তিনি কা’বার ছাদে চড়ে আযান দেন ৷ তখন
কুরায়শ গোত্রের এক ব্যক্তি হারিছ ইবন হিশামকে বলে, দেখছেন না ! এই ক্রীতদাস কোথায়
উঠেছে ? হারিছ তাকে বললো, থাম ! আল্লাহ যদি তাকে অপসন্দ করেন তবে অচিরেই তার
পরিবত নযটাবেন ৷ ইউনুস ইবন বুক৷ য়র প্রমুখ বর্ণনা কারিগণ উরওয়া সুত্রে বলেন : বিজয়ের বছর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলালকে আযান দিতে নির্দেশ দিলে তিনি কা’বার ছাদে উঠে আযান দেন ৷
মুশরিকদের মর্মপীড়া সৃষ্টিই ছিল এর উদ্দেশ্য ৷ মুহাম্মাদ ইবন সাদ আবু ইসহাক সুত্রে
বর্ণনা করেন : মক্কা বিজয়ের পর আবু সুফিয়ান ইবন হারব একাকী বসে ভাবছিল হায় ! যদি
মুহাম্মড়াদের বিরুদ্ধে একটি বাহিনী সং গঠিত করতে পারতাম ? সে এই কথা মনে মনে ভাবছিল
অমনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তার দৃই কাধের মাঝে থাপ্পড় মেরে বললেলঃ তা হলে আল্লাহ তোমাকে
লাঞ্ছিত করে ছাড়তে তন ৷ আবু সুফিয়ান মাথা তুলে দেখলে৷ যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার শিয়রে
দন্ডায়মান ৷ খনত সে বললাে , আমি এর আগে বিশ্বা ৷স করতাম না যে, আপনি সত্য নবী ৷ বায়হাকী
আবুতা৷বদুল্লাহ হাফিয — ইবন আব্বাস সুত্রে ঘটনাটি এভাবে বর্ণনা করেছেন য, আবু
সুফিয়ান রাসুলুল্লাহ্র পিছনে পিছনে লোক ছুটতে দেখে মনে মনে ভাবছিল যে, এ লোকটির
বিরুদ্ধে যদি একটি যুদ্ধ র্বাধা ৷তে পারতাম ! এ সময়ে আচম্বিতে ৩রাসুলুল্লাহ্ (সা) এসেই তার বুকে
এক থাপ্পড় যেয়ে বললেন, “তোমাকে তাহলে আল্লাহ লাঞ্ছিত ই করতেন ৷’ ’আবু সুফিয়ান
বললাে, আমি যা বাজে বকেছি সে জন্যে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই মাফ চাই ৷ এরপর বায়হাকী
ইবন খুযায়ম৷ সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, মক্কা বিজয় করে
ঘুসলমানগণ নগরে প্রবেশ করার পর যখন রাতের আগমন হল, তখন রাতভর তারা তাকবীর ধ্বনি
ও কালেমার আওয়াজে চারিদিক মুখরিত করে রাখলেন ৷ এভাবে সকাল হয়ে গেল ৷ তখন আবু
সুফিয়ান শ্রী হিন্দকে ডেকে বললাে দেখনা, এ সবই আল্লাহ্র পক্ষ থেকে হচ্ছে ৷ হিন্দ বললো,
হীা এ আল্লাহর পক্ষ থেকেই ৷ এরপর আবু সুফিয়ান অতি প্রত্যুষে উঠে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নিকট গিয়ে উপস্থিত হল ৷ তাকে দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : তুমি হিন্দকে বলেছিলে
“দেখনা শ্এসব আল্লাহর পক্ষ থেকে হচ্ছে ৷ আর হিন্দ বলেছিল, হীা এ আল্লাহর পক্ষ থেকে ৷
তখন আবু সুফিয়ান বললো, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি আল্লাহ্র বান্দা ও তার রাসুল ৷ সেই
আল্লাহ্র কসম, যার নামে কসম খাওয়া হয়, আমার এ কথা হিন্দ ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি
শুনেনি, ইমাম বুখারী ইসহাক মুজাহিদের সুত্রে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
যে দিন আল্লাহ আকাশসমুহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন যে দিন থেকেই তিনি মক্কা নগরীকে হারম
(সম্মানিত) করেছেন ৷ সুতরাং আল্লাহ্র সম্মান দেয়ার কারণে এর হুরমত কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষুণ্ন
থাকবে ৷ আম৷ ৷র পুর্বে তা কাংর৷ জন্যে হাল লাল ছিল৷ না এবং আমার পরেও তা কারো জন্যে হাল ৷লাল

করা হবে না ৷ কেবল এক দিনের সামান্য সময়ের জন্যে আমার জন্যে হালাল করা হয়েছিল ৷
এখানকার কোন শিকারকে তাড়ান যাবে না ৷ র্কাটাযুক্ত বৃক্ষ কর্তন করা যাবে না ৷ এখানকার ঘাস
কাটা যাবে না ৷ এখানে রাস্তায় পড়ে থাকা জিনিস উঠান যাবে না ; তবে হারান বিজ্ঞপ্তি দেয়ার
জন্যে উঠান যাবে ৷ একথা শুনে আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! ইয্থির


غُسْلِهِ فَسَتَرَتْ عَلَيْهِ فَاطِمَةُ، ثُمَّ أَخَذَ ثَوْبًا فَالْتَحَفَ بِهِ، ثُمَّ صَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ سُبْحَةَ الضُّحَى» . وَفِي رِوَايَةٍ: أَنَّهَا «دَخَلَتْ عَلَيْهِ وَهُوَ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ، فَقَالَ: " مَنْ هَذِهِ؟ " قَالَتْ: أُمُّ هَانِئٍ. قَالَ: " مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ ". قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، زَعَمَ ابْنُ أُمِّي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ قَاتِلُ رَجُلَيْنِ قَدْ أَجَرْتُهُمَا. فَقَالَ: " قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ ". قَالَتْ: ثُمَّ صَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ» ، وَذَلِكَ ضُحًى فَظَنَّ كَثِيرٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنَّ هَذِهِ كَانَتْ صَلَاةَ الضُّحَى. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ كَانَتْ هَذِهِ صَلَاةُ الْفَتْحِ. وَجَاءَ التَّصْرِيحُ بِأَنَّهُ كَانَ يُسَلِّمُ مِنْ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ. وَهُوَ يَرُدُّ عَلَى السُّهَيْلِيِّ وَغَيْرِهِ مِمَنْ يَزْعُمُ أَنَّ صَلَاةَ الْفَتْحِ تَكُونُ ثَمَانِيًا بِتَسْلِيمَةٍ وَاحِدَةٍ، وَقَدْ صَلَّى سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ يَوْمَ فَتْحِ الْمَدَائِنِ فِي إِيوَانِ كِسْرَى، ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ يُسَلِّمُ مِنْ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৪২৫
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، «عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا نَزَلَ بِمَكَّةَ وَاطْمَأَنَّ النَّاسُ، خَرَجَ حَتَّى جَاءَ الْبَيْتَ فَطَافَ بِهِ سَبْعًا عَلَى رَاحِلَتِهِ، يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنٍ فِي يَدِهِ، فَلَمَّا قَضَى طَوَافَهُ دَعَا عُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ فَأَخَذَ مِنْهُ مِفْتَاحَ الْكَعْبَةِ، فَفُتِحَتْ لَهُ فَدَخَلَهَا فَوَجَدَ فِيهَا حَمَامَةً مِنْ عِيدَانٍ، فَكَسَرَهَا بِيَدِهِ ثُمَّ طَرَحَهَا، ثُمَّ وَقَفَ عَلَى بَابِ الْكَعْبَةِ وَقَدِ اسْتَكَفَّ لَهُ النَّاسُ فِي الْمَسْجِدِ» . وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى زَمْزَمَ فَاطَّلَعَ فِيهَا وَدَعَا بِمَاءٍ فَشَرِبَ مِنْهَا وَتَوَضَّأَ، وَالنَّاسُ يَبْتَدِرُونَ وَضُوءَهُ، وَالْمُشْرِكُونَ يَتَعَجَّبُونَ مِنْ ذَلِكَ، وَيَقُولُونَ: مَا رَأَيْنَا مَلِكًا قَطُّ وَلَا سَمِعْنَا بِهِ - يَعْنِي مِثْلَ هَذَا -. وَأَخَّرَ الْمَقَامَ إِلَى مَقَامِهِ الْيَوْمَ وَكَانَ مُلْصَقًا بِالْبَيْتِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ عَلَى بَابِ الْكَعْبَةِ فَقَالَ: " لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، صَدَقَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ، أَلَا كُلُّ مَأْثُرَةٍ أَوْ دَمٍ أَوْ مَالٍ يُدَّعَى فَهُوَ مَوْضُوعٌ تَحْتَ قَدَمَيَّ هَاتَيْنِ، إِلَّا سِدَانَةَ الْبَيْتِ وَسِقَايَةَ الْحَاجِّ، أَلَا وَقَتِيلُ الْخَطَأِ شِبْهِ الْعَمْدِ بِالسَّوْطِ وَالْعَصَا فَفِيهِ الدِّيَةُ مُغَلَّظَةً، مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ، أَرْبَعُونَ مِنْهَا فِي
পৃষ্ঠা - ৩৪২৬

ব্যতীত ? কেননা, ইয্খির ঘাস দাফনের কাজে ও ঘরের ছাউনিতে লাগে ৷ কিছুক্ষণ চুপ থাকার
পর রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন, হী৷ , ইয্খির ব্যতীত এটা হালাল ৷ ইবন জুরায়জ এ হাদীছটি
আবদুল করীম ইকরিমা ইবন আব্বাস সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আবু হুরায়রা (রা) ও
রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ প্রথম বর্ণনা মুরসাল এবং দ্বিতীয় বর্ণনা মুত্তাসিল ৷
মারা বলেন, মক্কা যুদ্ধের মাধ্যমে জয় হয়েছে তারা এই হাদীছ ও অনুরুপ অন্যান্য হাদীছ এবং
পুর্বোল্লিখিত খড়ানছামার ঘটনা থেকে প্রমাণ গ্রহণ করেন ৷ এ ছাড়া মক্কা বিজয়ের দিন মুশরিক ও
মুসলমান মিলে বিশ জন লোক নিহত হয় ৷ এটা স্পষ্টভাবেই সংঘর্ষের প্রমাণবহ ৷ জমহুরে উলামা
এ মতই পোষণ করেন ৷ কিন্তু ইমাম শাফিঈর প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে মক্কা সন্ধির মাধ্যমে বিজিত হয় ৷
কেননা, মক্কার ভুমি সৈন্যদের মধ্যে বন্টন করা হয়নি ৷ তাছাড়া ৰিজরুয়ঃ রাত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ঘোষণা করেছিলেন : “যারা আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে তবো নিরাপদ, মারা হারমে
অবস্থান নিয়ে তারা নিরাপদ এবং যারা নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখবে তারা নিরাপদ ৷ এ
বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ কিতাবুল আহকামে করা হবে ৷ ইনশা আল্লাহ্ ৷ ইমাম বুখারী
সাঈদ ইব ন শারজীল আবু শুরায়হ্ খুজাঈ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ (মদীনায় ন্ণসক) আমর ইবন সাঈদ
যখন মক্কা অভিমুখে সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করছিলেন ৷ তখন আবু শুরায়হ র্তাকে বলেছিলেন, হে
আমাদের আমীর ! আমাকে একটু অনুমতি দিন, তা হলে আমি আপনাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
একটি রাণী শুনাব যা তিনি মক্কা বিজয়ের পরের দিন বলেছিলেন ৷ সে রাণী আমার দু’কান শুনেছে,
আমার হৃদয় সংরক্ষণ করে রেখেছে এবং যখন তিনি বলছিলেন তখন আমার দু’চােখ র্তাকে
দেখেছে ৷ তিনি প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করেছেন ৷ তারপরে বলেছেন : আল্লাহ্ নিজেই
মক্কাকে হারম’ ঘোষণা করেছেন, কোন মানুষ তাকে হারম’ বানায়নি ৷ সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ
ও পরকালে বিশ্বাসী তার জন্যে সেখানে রক্তপাত ঘটান কিৎবা তথাকার গাছপালা কর্তন করা
অবৈধ ৷ যদি কেউ আল্লাহর রাসুলের লড়াই এর কথা বলে নিজের এ সুযোগ গ্রহণ করতে চায়,
তবে তোমরা তাকে বলে দিও আল্লাহ তীর রাসুলকে অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ ভোমাদেরকে
অনুমতি দেননি ৷ আর আমাকেও অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এক দিনের মাত্র কিছু সময়ের জন্যে ৷
এবং সে দিলেই তা পুনরায় হারাম করে দেওয়া হয়েছে, যেমন আগের দিন হারাম ছিল ৷ উপস্থিত
লোকজন যেন অনুপস্থিত লোকদের কাছে এ কথাটি পৌছিয়ে দেয় ৷

আবু শুরায়হ্ এর নিকট একদা জিজ্ঞেস করা হয় যে, আমর (এ বাণীটি শুনার পর) আপনাকে
কী বলেছিলেন ? তিনি বললেন, আমর আমাকে বলেছিলেন এ হাদীছ সম্পর্কে আমি তোমার
চাইতে অধিক অবগত ৷ হে আবু শুরায়হ্ ! হারম শরীফ কোন অপরাধীকে বা পলায়নকারী থুনীকে
কিৎরা জিযিয়৷ থেকে পলায়নকারীকে আশ্রয় দেয়না ৷ এ হাদীছটি বুখারী ও মুসলিম কুতায়বা লায়ছ
ইবন সাদ সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, ইবনুল আছওপ নামক মক্কার এক ব্যক্তিকে খিরাশ ইবন
উমাইয়া হত্যা করে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “হে খুযাআ গোত্রের লোকজন ! হত্যা
থেকে তোমাদের হাত গুটিয়ে ফেল ৷ খুনোখুনি তো অনেকই হয়েছে; কিন্তু এতে কোন ফায়দা
আসেনি ৷ তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছ আমি তার রক্তপণ আদায় করে দেব ৷” ইবন
ইসহাক বলেন, আবদুর রহমান ইবন হারমালা আমার নিকট সাঈদ ইবনুল মুসাযিবে এর বরাতে


بُطُونِهَا أَوْلَادُهَا، يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ نَخْوَةَ الْجَاهِلِيَّةِ وَتَعَظُّمَهَا بِالْآبَاءِ، النَّاسُ مِنْ آدَمَ وَآدَمُ مِنْ تُرَابٍ " ثُمَّ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ: {يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى} [الحجرات: 13] الْآيَةَ كُلَّهَا (الْحُجُرَاتِ: 13) . ثُمَّ قَالَ: " يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، مَا تَرَوْنَ أَنِّي فَاعِلٌ فِيكُمْ؟ " قَالُوا: خَيْرًا، أَخٌ كَرِيمٌ وَابْنُ أَخٍ كَرِيمٍ. قَالَ: " اذْهَبُوا فَأَنْتُمُ الطُّلَقَاءُ ". ثُمَّ جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَامَ إِلَيْهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَمِفْتَاحُ الْكَعْبَةِ فِي يَدِهِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اجْمَعْ لَنَا الْحِجَابَةَ مَعَ السِّقَايَةِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيْنَ عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ؟ " فَدُعِيَ لَهُ فَقَالَ: " هَاكَ مِفْتَاحُكَ يَا عُثْمَانُ، الْيَوْمُ يَوْمُ بِرٍّ وَوَفَاءٍ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ، وَهُوَ عَلَى دَرَجِ الْكَعْبَةِ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي صَدَقَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ، أَلَا إِنَّ قَتِيلَ الْعَمْدِ الْخَطَأِ بِالسَّوْطِ أَوِ الْعَصَا فِيهِ مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ» وَقَالَ مَرَّةً أُخْرَى: «مُغَلَّظَةً فِيهَا، أَرْبَعُونَ خَلِفَةً فِي بُطُونِهَا أَوْلَادُهَا، أَلَا إِنَّ كُلَّ مَأْثُرَةٍ كَانَتْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَدَمٍ وَدَعْوَى - وَقَالَ مَرَّةً: وَمَالٍ - تَحْتَ قَدَمَيَّ هَاتَيْنِ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ سِقَايَةِ الْحَاجِّ وَسِدَانَةِ الْبَيْتِ، فَإِنِّي أَمْضَيْتُهُمَا لِأَهْلِهِمَا عَلَى مَا كَانَتْ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৪২৭

বর্ণনা করেছেন যে, খিরাশ ইবন উমাইয়ার ঘটনা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট পৌছলে তিনি
বলেছিলেন : খিরাশ বড়ই রক্তপিপাসৃ ৷ ইবন ইসহাক বলেন, আমার নিকট সাঈদ ইবন আবু সাঈদ
মাকবেরী আবু শুরায়হ্ খুযাঈ সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আমর ইবন যুবায়র ১ তার ভাই আবদৃল্লোহ্
ইবন যুবায়রের সাথে যুদ্ধ করার জন্যে যখন মক্কায় আসেন, তখন আমি তার নিকট উপস্থিত হয়ে
বললাম , শুনুন ভাই মক্কা বিজয়কালে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে ছিলাম ৷ বিজয়ের পরের
দিন খুযাআ গোত্রের লোকজন হুযায়ল গোত্রের জনৈক মুশরিককে হত্যা করে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাদের মধ্যে দাড়িয়ে একটি ভাষণ দেন ৷ ভাষণে তিনি বলেন হে জনমওলী ! আল্লাহ্ যে
দিন জ্বালানি ও যমীন সৃষ্টি করেন যে দিনই তিনি মক্কড়াকে হারম’ ঘোষণা করেছেন ৷ সুতরাং
আল্লাহ কর্তৃক হারম’ ঘোষণার ফলে কিয়ড়ামত পর্যন্ত তার হুরমত বা সম্মান বলবত থাকবে ৷ তাই
যে লোক আল্লাহ্ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার জন্যে এখানে রক্তপাত ঘটান কিৎবা
এখানকার গাছপালা কর্তন করা বৈধ নয় ৷ আমার পুর্বে কারও জনেব্ তা বৈধ করা হয়নি, আর
আমার পরে কারও জন্যে বৈধ করা হবে না ৷ আমার জন্যেও বৈধ নয় ; তবে এখানকার
অধিবাসীদের প্রতি ৫ক্রাধের কারণে এই সামান্য কিছু সময়ের জন্যে আমার জন্যে বৈধ করা
হয়েছে ৷ জেনে রেখো, বিগত দিনের ন্যায় এর হুরমত আবার ফিরে এসেছে ৷ তোমাদের মধ্যে
যারা উপস্থিত আছ তারা অনুপন্থিতদের নিকট তা পৌছিয়ে দেবে ৷ সুতরাং কেউ যদি
তােমাদেরকে বলে, আল্লাহর রাসুল তো এখানে লড়াই করেছেন, তাহল তোমরা বলে দেবে,
আল্লাহ তার রাসুলের জন্যে বৈধ করেছেন, তোমাদের জন্যে বৈধ করেননি ৷ হে থুযাআ সম্প্রদায় !
খুন-খারাবী থেকে সংযত হও ৷ খুন-খারাবী বহু হয়েছে; কিন্তু কােনই লাভ হয়নি ৷ তোমরা এক
ব্যক্তিকে হত্যা করেছ, আমি নিজে এর রক্তপণ আদায় করে দেব ৷ আমার এ আদেশের পর কেউ
যদি কাউকে হত্যা করে, তবে নিহতের অভিভাবকগণ প্রতিশোধ গ্রহণের দু’টি পন্থার যে কোন
একটির সুযোগ নিতে পারবে ৷ যদি তারা চায় তবে কিসাস হিসেবে ঘাতককে হত্যা করতে
পারবে ৷ কিংবা চাইলে তার থেকে রক্তপণ গ্রহণ করতে পারবে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঐ নিহত
ব্যক্তির রক্তপণ আদায় করেন যাকে থুযাআ গোত্রের লোকজন হত্যা করেছিল ৷ এসব বক্তব্য
শুনার পর আমর ইবন যুবায়র আবু শুরায়হ্কে বললো, ও বুড়ো ! তুমি যাও এখান থেকে ৷ মক্কার
হুরমত ও মর্যাদা সম্পর্কে আমরা তোমার চাইতে ভালই অবগত আছি ৷ মক্কার হুরমত কোন
রক্তপাতকারী, আনুগত্য বত্তনিকারী কিৎবা জিযিয়া দিতে অস্বীকারকারীকে শান্তি দিতে বা বা দেয়
না ৷ আবু শুরায়হ্ তখন জবাবে আমরকে বললেন, আমি সেদিন উপ ত ছিলাম, আর তুমি ছিলে
অনুপস্থিত ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, উপন্থিতরা অনুপন্থিতদের কাছে
এ কথা পৌছিয়ে দেবে ৷ আমি তাই তোমাকে সে কথা পৌছিয়ে দিলাম ৷ এখন তুমি কি করবে
সে সিদ্ধান্ত তোমার ৷

ইবন হিশাম বলেন, আমার নিকট এই বিবরণ পৌছেছে যে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্

১ সুহায়লী বলেন, ইবন হিশাম নিজের ধারণা মতে এই নাম লিখেছেন ৷ আসলে তিনি আমর ইবন
যুবায়র ছিলেন না ৷ তিনি ছিলেন আমর ইবন সাঈদ ইবনুল আস ইবন উমাইয়া, তাকে আশদাক বলা
হত ৷ আবুউমাইয়া তার কুনিয়াত, লকব লাতীযুশ শায়তান ৷ সে ছিল ভীষণ যুদ্ধবাজ ৷ খলীফা আবদুল
মালিকের আশঙ্কা হয় যে মক্কার নিরাপত্তা তার দ্বারা বিব্লিত হবে ৷ ফলে এক বাহানায় তাকে হত্যা
করেন ৷




جُدْعَانَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ جَوْشَنٍ الْغَطْفَانِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ الْبَيْتَ يَوْمَ الْفَتْحِ، فَرَأَى فِيهِ صُوَرَ الْمَلَائِكَةِ وَغَيْرِهِمْ، وَرَأَى إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مُصَوَّرًا فِي يَدِهِ الْأَزْلَامُ يَسْتَقْسِمُ بِهَا، فَقَالَ: قَاتَلَهُمُ اللَّهُ جَعَلُوا شَيْخَنَا يَسْتَقْسِمُ بِالْأَزْلَامِ، مَا شَأْنُ إِبْرَاهِيمَ وَالْأَزْلَامِ؟! {مَا كَانَ إِبْرَاهِيمُ يَهُودِيًّا وَلَا نَصْرَانِيًّا وَلَكِنْ كَانَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ} [آل عمران: 67] (آلِ عِمْرَانَ: 67) . ثُمَّ أَمَرَ بِتِلْكَ الصُّوَرِ كُلِّهَا فَطُمِسَتْ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «كَانَ فِي الْكَعْبَةِ صُوَرٌ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَنْ يَمْحُوَهَا، فَبَلَّ عُمَرُ ثَوْبًا وَمَحَاهَا بِهِ، فَدَخَلَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا فِيهَا مِنْهَا شَيْءٌ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، ثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ - هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ - قَالَ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ، وَحَوْلَ الْبَيْتِ سِتُّونَ
পৃষ্ঠা - ৩৪২৮

(সা) সর্ব প্রথম যে নিহতের রক্তপণ আদায় করেন যে হচ্ছে জুনায়দাব ইবনুল আকওয়া ৷ বনু
কা’বের লোকজন তাকে হত্যা করে ৷ একশ উষ্টী দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার রক্তপণ আদায়
করেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন, আমার নিকট ইয়াহ্য়া — শুআয়ব থেকে বর্ণনা করেন যে,
মক্কা বিজয় হয়ে যাওয়ার পর রাসুলুল্পাহ্ (সা) ঘোষণা দিলেন ৷ সবাই অস্ত্র সংবরণ কর ; তবে
খুযাআ গোত্র যদি বনু বকর থেকে প্ৰতিশোধ নিতে চায় তা তাদের জন্যে অনুমতি আছে ৷
আসরের সালাত আদায়ের পর খুযাআ গোত্রকে সম্বোধন করে তিনি বললেন, এখন থেকে
তােমরাও অস্ত্র গুটিয়ে ফেল ৷ পরের দিন খুযাআ গোত্রের এক ব্যক্তি বনু বকর গোত্রের এক
ব্যক্তিকে মুয্দালিফায় দেখতে পেয়ে হত্যা করে ৷ এ সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট পৌছলে
তিনি কা’বা ঘরের গায়ে হেলান দিয়ে জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দেন ৷ তিনি বলেন, আল্লাহর
নির্ধারিত সীমা অধিক লংঘণকারী সে, যে হারম সীমার মধ্যে কাউকে হত্যা করে অথবা কিসাস-
বিহীন কাউকে হত্যা করে কিংবা জাহিলী যুগের প্রতিহিংসার বশ্চার্তী হয়ে কাউকে হত্যা করে ৷
বর্ণনাকারী পুরা হাদীছই উল্লেখ করেছেন ৷ তবে হাদীছটি একান্তই পরীব পর্যত্বয়ের’ ৷ সুনান
গ্রন্থকারগণ এ হাদীছের কিছু কিছু অংশ উল্লেখ করেছেন ৷ তবে বিজয়ের দিন বনু বকর থেকে
প্রতিশোধ গ্রহণের জন্যে বনু খুযাআকে আসর পর্যন্ত অনুমতি দেয়ার উল্লেখ এ হাদীছ ব্যতীত
অন্য কোথাও নেই ৷ হাদীছটি সহীহ্ হলে এর ব্যাথ্যায় বলা যায় যে, “লায়লাতৃল ওয়াতীরে” ১ বনু
বকর বনু খুযাআর উপর যে যুলুম করেছিল, তারই বাংলা হিসেবে এ অনুমতি ব্যতিক্রমী নির্দেশ
স্বরুপ ৷ কেবল তাদেরকে দেয়া হয়েছিল ৷ তবে আসল রহস্য আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইমাম আহমদ ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ হড়ারিছ ইবন মালিক ইবন বারসা খুযাঈ থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি মক্কা বিজয়ের দিন বাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে বলতে শুনেছি যে,
“আজকের পর কিয়ামত পর্যন্ত আমরা এখানে আর যুদ্ধ করব না ৷ তিরমিযী বুনদার সুত্রে এ
হাদীছটি বর্ণনা করে একে হাসান ও সহীহ্ বলে অভিহিত করেছেন ৷

আমি বলি, এ উক্তি যদি নিষেধসুচক হয় তা হলে কোন প্রশ্ন থাকে না ৷ আর যদি না সুচক হয়
তবে বায়হাকী তার ব্যাখ্যার বলেন, এখানকার অধিবাসীদের কুফরী কাজে লিপ্ত হওয়ার সাথে এ
হুকুম সংযুক্ত ৷ সহীহ্ মুসলিমে যাকারিয়া ইবন আবু যায়েদা ইরনুল আসওয়াদ আদাবী
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘোষণা করেন : আজকের দিনের
পর কিয়ামত পর্যন্ত কুরায়শপণকে ধর্মত্যাগের অপরাধে ও যুদ্ধে হত্যা করা হবে না ৷

ইবন হিশাম বলেন, আমার নিকট এ তথ্য পৌছেছে যে, মক্কা বিজয়ের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
যখন সেখানে প্রবেশ করেন, তখন তিনি সাফ৷ পাহাড়ে আরোহণ করে আল্লাহ্র নিকট দৃআ
করতে থাকেন ৷ আনসারর্গণ তার চার পাশে জড়ো হয়ে পরস্পর বলাবলি করতে লাগলো ৷
তোমাদের কী ধারণা, আল্লাহ যখন তীর রাসুলকে নিজ দেশে ও শহরে বিজয় দান করেছেন, তখন
কি তিনি এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন ? দু’আ শেষ করার পর তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস
করলেন, তোমরা কী বলাবলি করছিলে ? তারা রললো , ইয়৷ বাসুলাল্লাহ্ ! তেমন কিছুই না ৷ তিনি

১ ওয়াতীর একটি কুপের নাম ৷ এ কুপের কাছেই এক রাত্রে কুবায়শদের মিত্র বনু বকর মুসলমানদের
মিত্র বনু খুযাআর উপর আক্রমণ করে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল যার ফলে মক্কা আক্রমণ অনিবার্য হয়ে
পড়ে ৷




وَثَلَاثُمِائَةِ نُصُبٍ، فَجَعَلَ يَطْعَنُهَا بِعُودٍ فِي يَدِهِ، وَيَقُولُ: " جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ، جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ مَكَّةَ، وَعَلَى الْكَعْبَةِ ثَلَاثُمِائَةِ صَنَمٍ، فَأَخَذَ قَضِيبَهُ فَجَعَلَ يَهْوِي بِهِ إِلَى الصَّنَمِ، وَهُوَ يَهْوِي، حَتَّى مَرَّ عَلَيْهَا كُلَّهَا» . ثُمَّ مِنْ طَرِيقِ سُوَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا دَخَلَ مَكَّةَ وَجَدَ بِهَا ثَلَاثَمِائَةٍ وَسِتِّينَ صَنَمًا، فَأَشَارَ إِلَى كُلِّ صَنَمٍ بِعَصَا وَقَالَ: " جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ، إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا فَكَانَ لَا يُشِيرُ إِلَى صَنَمٍ إِلَّا وَيَسْقُطُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَمَسَّهُ بِعَصَاهُ» . ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا وَإِنْ كَانَ ضَعِيفًا، فَالَّذِي قَبْلَهُ يُؤَكِّدُهُ. وَقَالَ حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ: أَنْبَأَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، عَنْ يَعْقُوبَ الْقُمِّيِّ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ أَبِي الْمُغِيرَةِ، عَنِ ابْنِ أَبْزَى قَالَ: «لَمَّا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ، جَاءَتْ عَجُوزٌ شَمْطَاءُ حَبَشِيَّةٌ تَخْمِشُ وَجْهَهَا، وَتَدْعُو بِالْوَيْلِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
পৃষ্ঠা - ৩৪২৯

যখন পীড়াপীড়ি করলেন, তখন তারা যে কথাটি তাকে জানালেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন
জীবনে মরণে আমি
তোমাদের সাথেই থাকবাে ৷ ” এ হাদীছটি ইবন হিশাম মুআল্লাকরুপে বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু
ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলত তার গ্রন্থ মুসনাদে সনদসহ ৰুহ্য ও হাশিম আবদুল্লাহ ইবন
রাবাহ্ সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেনং , একবার একটি প্রতিনিধি দল মুআবিয়৷ র কাছে যায় ৷
আমি ও আবু হুরায়রা ঐ দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম ৷ সে সময়টা ছিল রমযান মাস ৷ আমাদের মধ্যে
একে অন্যের জন্যে থানা পাকাতো ৷ তবে অধিকাৎশ সময় আবুহুরায়রাই আমাদেরকে দাওয়াত
করে খাওয়াতেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাবাহ্ বলেন, আমি ভাবলাম — আমি কেন অন্যদেরকে আমার
বাড়িতে দাওয়াত করে খাওয়াবাে না ?৩ তাই আমি৷ খা না পাক কাতে নির্দেশাদলাম ৷ বিকেল বেলা আবু
হুরায়রার সাথে সাক্ষাৎ করে বললাম আজ রাত্রে আমার বাড়িতে আপনার দাওয়াত ৷ আবুহুরায়রা
বললে৷ , আজ আপনি আমার পুর্বেই দাওয়াত দিয়ে দিলেন ৷ আমি বললাম, ই৷ ৷ এরপর আমি
অন্যদেরকেও দাওয়াত দিলাম ৷ সকলে আমার বাড়িতে এসে সমবেত হল ৷ তখন আবু হুরায়রা
বললেন, হে আনস৷ র সম্প্রদায় ৷ আ ৷মি কি তোমাদের নিকট তে ৷মাদের বিষয়ে একটি হাদীছ বর্ণনা
করবো না ? তারপর তিনি মক্কা বিজয়ের ঘটনা বর্ণনা করা শুরু করলেন ৷ তিনি বললেনং :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কার দিকে অগ্রসর হলেন এবং শেষ পর্যন্ত সেখানে গিয়ে উপনীত হলেন ৷
এরপর যুবায়রকে মক্কার এক দিকে এবং খালিদকে অপর দিকে প্রেরণ করলেন ৷ আর আবু
উবায়দাকে পদাতিক বাহিনীর নেত তা বানিয়ে প্রেরণ করলেন ৷ তারা ( বাতনে ওয়াদীর ) পথ
অবলম্বন করে চললাে ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছিলেন একটি হো চি সেনাদলের মধ্যে ৷ এ দিকে
কুরায়শরাও তাদের বিভিন্ন গোত্রের লোক এনে একত্রিত করলো ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তারা বললো,
আমরা তাদেরকে আগে প্রেরণ করলাম ৷ যদি তাদের ভাগ্যে কিছু জুটে যায়, তবে আমরাও তো
তাদের সং গেই আছি ৷ আর যদি তারা বিপদের সম্মুখীন হয় ৷ তবে আমাদের কাছে যা চাবে তাই
দিয়ে দিব ৷ আবু হুরায়রা বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকালেন এবং আমাকে দেখে বললেন, হে আবু
হুরায়রা ! আমি বললাম, আমি উপ ত,ইয়া৷ র ৷সুলাল্লাহ ! তিনি বললেন আনসারদেরকে আমার
কাছে আসার জন্যে আহ্বান কর এবং আনসার ব্যতীত অন্য কেউ যেন আমার কাছে না আসো
অতএব, আমি তাদেরকে আহ্বান করলাম ৷ তারা এসে রাসুলুল্লাহ্র চারপাশে জমায়েত হলেন ৷
তিনি সাহাবীদেরকে বললেন, তোমরা কি কুরায়শের বিভিন্ন গোত্রের লোক এবং তাদের
অনুগতদেরকে দেখতে পাচ্ছ ? এরপর তিনি তার এক হাত অপর হাতের উপর রেখে বললেনং :
শত্রু সামনে পেলে নির্মুল করে দিয়ে এবং সাফা পাহাড়ে তোমরা আমার সাথে মিলিত হবে ৷ আবু
হুরায়রা বলেন, আমরা সম্মুখে অগ্রসর হতে লাগলাম ৷ আমাদের মধ্যে যে কেউ কোন শত্রুকে
হত্যা করতে চেয়েছে যে তা ৷সহজেই সম্পন্ন করেছে ৷ কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই আমাদের উপর
আক্রমণ করতে সাহস পায়নি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবু সুফিয়ান এসে বললো, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ৷ আজ কুরায়শদের রক্ত হালাল করে দেয়া হয়েছে ৷ আজকের পরে আর কোন
কুরায়শের অস্তিতৃ থাকবে না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘোষণা করলেন, যে ব্যক্তি নিজ ঘরের দরজা
বন্ধ করে ভিতরে অবস্থান করবে সে নিরাপদ ৷ যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে সে
নিরাপদ ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর জনগণ আপন আপন ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে থাকলো ৷


تِلْكَ نَائِلَةُ، أَيِسَتْ أَنْ تُعْبَدَ بِبَلَدِكُمْ هَذَا أَبَدًا» . وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: حَدَّثَنِي مَنْ أَثِقُ بِهِ مِنْ أَهْلِ الرِّوَايَةِ فِي إِسْنَادٍ لَهُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ عَلَى رَاحِلَتِهِ، فَطَافَ عَلَيْهَا، وَحَوْلَ الْكَعْبَةِ أَصْنَامٌ مَشْدُودَةٌ بِالرَّصَاصِ، فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشِيرُ بِقَضِيبٍ فِي يَدِهِ إِلَى الْأَصْنَامِ وَيَقُولُ: " جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ، إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا " فَمَا أَشَارَ إِلَى صَنَمٍ فِي وَجْهِهِ إِلَّا وَقَعَ لِقَفَاهُ، وَلَا أَشَارَ إِلَى قَفَاهُ إِلَّا وَقَعَ لِوَجْهِهِ، حَتَّى مَا بَقِيَ مِنْهَا صَنَمٌ إِلَّا وَقَعَ» ، فَقَالَ تَمِيمُ بْنُ أَسَدٍ الْخُزَاعِيُّ: وَفِي الْأَصْنَامِ مُعْتَبَرٌ وَعِلْمٌ ... لِمَنْ يَرْجُو الثَّوَابَ أَوِ الْعِقَابَا وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ شَيْبَانَ بْنِ فَرُّوخٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فِي حَدِيثِ فَتْحِ مَكَّةَ قَالَ: «، وَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَقْبَلَ إِلَى الْحَجَرِ فَاسْتَلَمَهُ، وَطَافَ بِالْبَيْتِ، وَأَتَى إِلَى صَنَمٍ إِلَى جَنْبِ الْبَيْتِ كَانُوا يَعْبُدُونَهُ، وَفِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْسٌ، وَهُوَ آخِذٌ بِسِيَتِهَا، فَلَمَّا أَتَى عَلَى الصَّنَمِ، جَعَلَ يَطْعُنُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৩০
فِي عَيْنِهِ وَيَقُولُ: " جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ، إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا " فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ طَوَافِهِ أَتَى الصَّفَا، فَعَلَا عَلَيْهِ، حَتَّى نَظَرَ إِلَى الْبَيْتِ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ وَجَعَلَ يَحْمَدُ اللَّهَ وَيَدْعُو بِمَا شَاءَ أَنْ يَدْعُوَ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، ثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا أَبِي، ثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ، أَبَى أَنْ يَدْخُلَ الْبَيْتَ وَفِيهِ الْآلِهَةُ، فَأَمَرَ بِهَا فَأُخْرِجَتْ، فَأَخْرَجَ صُورَةَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَفِي أَيْدِيهِمَا مِنَ الْأَزْلَامِ، فَقَالَ: " قَاتَلَهُمُ اللَّهُ لَقَدْ عَلِمُوا مَا اسْتَقْسَمَا بِهَا قَطُّ ". ثُمَّ دَخَلَ الْبَيْتَ، فَكَبَّرَ فِي نَوَاحِي الْبَيْتِ، وَخَرَجَ وَلَمْ يُصَلِّ» . تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا هَمَّامٌ، ثَنَا عَطَاءٌ، «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ الْكَعْبَةَ وَفِيهَا سِتُّ سَوَارٍ، فَقَامَ إِلَى كُلِّ سَارِيَةٍ، وَدَعَا وَلَمْ يُصَلِّ فِيهِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ شَيْبَانَ بْنِ فَرُّوخٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ يَحْيَى الْعُوذِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ بُكَيْرًا حَدَّثَهُ عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৪৩১

রাসুলুল্লাহ (সা) হাজরে আসওদের নিকটবর্তী হয়ে তা’ চুম্বন করলেন এবং বায়তুল্পাহর তাওয়াফ
করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এর হাতে তখন একটি ধনুক ছিল, তিনি উহার এক প্রান্ত ধরে
রেখেছিলেন ৷৩ তাওয়াফকালে তিনি বায়ত তুল্লাহর পার্গেরক্ষিত একটি মুর্তির নিকটবর্তী হলেন, যাকে
তারা পুজা করতো ৷ তিনি ধনুক দ্বারা মুর্তিটির চোখ খুচাতে লাগলেন এবং বললেন০ “সত্য
সমাগত , মিথ্যা অপসারিত, মিথ্যার অপসারণ অবধা ৷রিত ৷” ত ৷ওয়াফ শে যে তিনি সাফ৷ পাহাড়ের
দিকে গমন করেন এবং তাতে আরোহণ করেন ৷ সেখান থেকে বায়তুল্লাহর দিকে তাকিয়ে দৃ হাত
তুলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং প্রাণ খুলে দু অ৷ করেন ৷ বর্ণনাকা রী বলেন, তখন
আনসারগণ সাফ৷ পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছিল ৷ তারা পরস্পর বল্যবলি করতে লাগলো
যে, লোকটিকে স্ব দেশের প্রেম ও স্ব-সম্প্রদায়ের ভালবাসা পেয়ে বসােছ ৷ আবুহুরায়র৷ বলেন, ঐ
সময় ওহী অবতীর্ণ হল ৷ আর ওহী যখন অবতীর্ণ হত৩ তা আমাদের নিকট গোপন থাকতো না ৷
তখন রাসুলুল্লাহর দিকে চোখ তুলে দেখার সাধ্য কারোর হতো না ৷ যতক্ষণ না ওহী অবতরণ শেষ
হতো ৷ হাশিম বলেন, ওহী অবতরণ শেষ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাথা “উঠিয়ে বললেন, হে
আনসার সম্প্রদায় তোমরা কি এ কথা বলেছে৷ যে, লোকটিকে স্ব-দেশ প্রেম ও স্ব-সম্প্রদায়ের
ভালবাসা পেয়ে বস্যেছ ? তারা বললেন, ইয়৷ রাসুলা ল্লাহ ! আমরা এ কথা বলেছি ৷ তিনি বললেন,

তা হলে আমার নামের স্বার্থকতা কি ? কক্ষণও না, আমি আল্লাহর বান্দা ও তার রাসুল ৷ আমি
হিজরত করেছি আল্লাহর দিকে ও৫ তামাদের নিকটে ৷ সুতরাং আমার জীবন মরণ তোমাদের
জীবন-মরণের সাথে জড়িত ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আনসারগণ বাসুলুল্লাহর দিকে ফিরে
র্কাদতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন : আল্লাহর কসম ! আমরা যা বলেছি তা কেবল আল্লাহ ও
তার রাসুলেব প্রতি দৃর্বলতার কারণেই বলেছি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আল্লাহ ও তার
রাসুল তোমাদের উত্তর সত্য বলে গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদের ওমর গ্রহণ করেছেন ৷ এ হাদীছ
মুসলিম সুলায়মান ইবন মুগীর৷ ও হামমাদ ইবন সালামা থেকে এবং নানা ৷ঈ সুলায়মান ইবন মুগীরা
ও সালাম ইবন মিসকীন থেকে, পরে এ তিনজনই ছা ৷বি৩রু র মাধ্যমে বসরার প্রবাসী আবদুল্লাহ
ইবন রাবাহ্ সুত্রে আবু হুরায়রা থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন হিশাম বলেনং : আমার নিকট
জনৈক বিজ্ঞ আলিম বর্ণনা করেছেন যে, মক্কা বিজয়ের দিন বায়তুল্লাহর তাওয়াফকালে ফুযালা ইবন
উমায়র ইবন মালুহ্ (লায়হী) নবী করীম (না)-কে হত্যার পরিকল্পনা করে ৷ সে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকটবর্তী হলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কে, ফুযাল৷ না কি ? জবাবে সে বললাে, জী
হীা, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ ! আমি ফুযাল৷ ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি মনে মনে কি
বলছিলে ? সে বললাে, অন্য কিছু না আমি তাে আল্লাহর যিক্র করছিলাম ৷ তার এ কথা শুনে
রাসুলুল্লাহ্ হেসে দিয়ে বললেন০ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও ৷৩ তারপর তিনি তার পবিত্র হা৩
ফুযা ৷লার বক্ষের উপর রাখেন ৷ সাথে সাথে তার অন্তর শাম্ভ-শীতল হয়ে যায় ৷ তারপর ফুযালা
প্রায়ই বলতাে, আল্লাহর কসম ৷ তার পবিত্র হাত আমার বুকের উপর থেকে সরাতে ই অবস্থা এমন
হল যে, পৃথিবীতে তার চেয়ে অধিকতর প্রিয় আমার কাছে আ র কেউ বা ৷কলে৷ না ৷ ফুযালা বলেন,
তারপর আমি আমার পরিবারবর্গের মধ্যে ফিরে যাই এবং শ্ৰীর সাথে আলাপ আলোচনায় নিমগ্ন

হই ৷ ত্রী বললাে, আমাকে কিছু ন ন বিষয় শুনাও ৷ ফুয ৷লা বললেন, নতুন কোন খবর নেই ৷ এ
কথা বলে৩ তিনি নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করলেন :


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ دَخَلَ الْبَيْتَ وَجَدَ فِيهِ صُورَةَ إِبْرَاهِيمَ وَصُورَةَ مَرْيَمَ، فَقَالَ: " أَمَّا هُمْ فَقَدَ سَمِعُوا أَنَّ الْمَلَائِكَةَ لَا تَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ، هَذَا إِبْرَاهِيمُ مُصَوَّرًا، فَمَا بَالُهُ يَسْتَقْسِمُ؟!» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ الْجَزَرِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ مِقْسَمًا يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبَيْتَ فَدَعَا فِي نَوَاحِيهِ، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، أَخْبَرَنَا لَيْثٌ، عَنْ مُجَاهِدٍ، «عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي الْبَيْتِ رَكْعَتَيْنِ.» قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ اللَّيْثُ: ثَنَا يُونُسُ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْبَلَ يَوْمَ الْفَتْحِ مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ عَلَى رَاحِلَتِهِ، مُرْدِفًا أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، وَمَعَهُ بِلَالٌ، وَمَعَهُ عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ، مِنَ الْحَجَبَةِ، حَتَّى أَنَاخَ فِي الْمَسْجِدِ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَأْتِيَ بِمِفْتَاحِ الْكَعْبَةِ، فَدَخَلَ وَمَعَهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ
পৃষ্ঠা - ৩৪৩২

,ণ্ঠু১;এম্বু
হ্১ঞা৷ ৷ ণ্প্রু,

অর্থাৎ ত্রী বললো, আমাকে তুমি নতুন কিছু শুনাও ৷ আমি বলল ম না ৷ তুমি যদি দেখতে
মুহাম্মাদ ও তার সৎগীদেবকে বিজয়ের দিন যে দিন মুর্তিগুলাে তে হপে টুকরো টুকরো হয়ে
গিয়েছিল ৷ তবে তুমি অবশ্যই দেখতে যে, আল্লাহ্র দীন সত্যিই সুস্পষ্ট: ও যুক্তিযুক্ত ৷ আর শিরক
তার নিজ যুখমণ্ডলকে অন্ধকারে কালিমা লিপ্ত করে রেখেছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন : মুহাম্মাদ ইবন জাফর আইশা (রা) সুা;ত্র আমার নিকট বর্ণনা
করেন : সাফওয়ড়ান ইবন উমাইয়া জিদ্দা থেকে জাহাজ যােগে ইযামানে চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে
মক্কা থেকে বেরিয়ে পড়ে ৷ উমায়র ইবন ওহব বিষয়টি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এব গোচরে আনেন ৷
তিনি বললেন, হে আল্লাহ্র নবী ! সাফওয়ান ইবন উমাইয়া হচ্ছে তার সম্প্রদায়ের নেতা যে
আপনার ভয়ে নিজেকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যাচ্ছে ৷ ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ আপনি
তাকে নিরাপত্তা দিন ৷ আল্লাহ্ আপনার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তাকে
নিরাপত্তা দেওয়া হল ৷ উমায়র বললেনং ইয়৷ রাসুলা ল্লাহ্৷ আমাকে এমন একটি নিদর্শন দিন যার
দ্বারা বুঝা যায় যে, আপনি তাকে নিরাপত্তা দিয়েছেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার নিকট নিজের
পাগড়ীটি দিয়ে দিলেন ৷ যা মাথায় দিয়ে তিনি মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন ৷ উমায়র পাগড়ীটি নিয়ে
বেরিয়ে পড়েন এবং এমন অবস্থায়৩ ৷কে পেয়ে যান যখন সে সমুদ্রে পাড়ি দেয়ার জন্যে প্রস্তুতি
নিচ্ছিল ৷ উমায়র৩ তাকে ডেকে বললেন ,হে সাফওয়ড়ান ! আমার পিত ৷মাতা তােমা র জন্যে উৎসর্গ
হোন ! আল্লাহ্কে ভয় কর, নিজেকে ধ্বংস করােন৷ ৷ এই যে আমি রাসুলুল্লাহ্র পক্ষ থেকে
তোমার জন্যে নিরাপত্তা সনদ নিয়ে এসেছি ৷ সাফওয়ড়ান বললো, তোমার সর্বনাশ হোক ! তুমি
আমার নিকট থেকে দুর হও ৷ আমার সাথে কোন কথা বলো না ৷ উমায়র বললেন, সাফওয়ান ৷
তোমার জন্যে আমার পিতামাত৷ উৎসর্গ হোন ! দেখ, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মানবকুলের সর্বোত্তম
ব্যক্তি ৷ মানবজাতির মধ্যে সর্বাধিক সদাচারী লোক, মানব গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী সহিষ্ণু
পুরুষ এবং সমগ্র মানবমওলীর মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট ব্যক্তি ৷ তিনি তো তোমার পিতৃব্য-পুত্র ৷ তীর
সম্মান তোমারই সম্মান ৷ তার গৌরব তােমারই গৌরব, তার রাজত্ব তােমারই রাজতু ৷ সাফওয়ড়ান
বললো, আমি নিজের জীবনের ব্যাপারে তাকে ভয় করি ৷ উমায়র বললেন, তার সহিষ্ণুতা ও
মহানুভবতা এর অনেক উধের্ব ৷ এরপর সাফওয়ান উমায়রের সাথে ফিরে আসে এবং রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সামনে গিয়ে দাড়ায় ৷ তখন সাফওয়ড়ান বললো, ও দাবী করছে, আপনি নাকি আমাকে
নিরাপত্তা দিয়েছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যে সত্য কথাই বলেছে ৷ সাফওয়ান বললো , তা
হলে এ ব্যাপারে চিম্ভা-ভাবনা করার জন্যে আমাকে দৃ’ মাসের অবকাশ দিন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, যাও, চার মাসের অবকাশ দেওয়া হল, (ডালরুপে চিন্তা-ভাবনা কর) ৷ ইবন ইসহাক
যুহরী থেকে বর্ণনা করেন যে, সাফওয়ানের ত্রী ফাখৃতা বিনত ওয়ালীদ এবং ইকরামা ইবন আবু
জাহলের ত্রী উম্মু হাকীম বিনত হারিছ বিনত হিশাম (ইসলাম গ্রহণ করে) ৷ মুসলমানগণ মক্কা


وَبِلَالٌ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ، فَمَكَثَ فِيهِ نَهَارًا طَوِيلًا، ثُمَّ خَرَجَ فَاسْتَبَقَ النَّاسُ، فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَوَّلَ مَنْ دَخَلَ، فَوَجَدَ بِلَالًا وَرَاءَ الْبَابِ قَائِمًا، فَسَأَلَهُ: أَيْنَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَأَشَارَ لَهُ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي صَلَّى فِيهِ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَنَسِيتُ أَنْ أَسْأَلَهُ كَمْ صَلَّى مِنْ سَجْدَةٍ» . وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ هُشَيْمٍ، ثَنَا غَيْرُ وَاحِدٍ وَابْنُ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، «عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبَيْتَ وَمَعَهُ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ، وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ، وَبِلَالٌ، فَأَمَرَ بِلَالًا فَأَجَافَ عَلَيْهِمُ الْبَابَ، فَمَكَثَ فِيهِ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ خَرَجَ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ: فَكَانَ أَوَّلُ مَنْ لَقِيتُ مِنْهُمْ بِلَالًا، فَقُلْتُ: أَيْنَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: هَاهُنَا بَيْنَ الْأُسْطُوَانَتَيْنِ» . قُلْتُ: وَقَدْ ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " وَغَيْرِهِ، «أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي الْكَعْبَةِ تِلْقَاءَ وِجْهَةِ بَابِهَا مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِهِ، فَجَعَلَ عَمُودَيْنِ عَنْ يَمِينِهِ، وَعَمُودًا عَنْ يَسَارِهِ، وَثَلَاثَةَ أَعْمِدَةٍ وَرَاءَهُ، وَكَانَ الْبَيْتُ يَوْمَئِذٍ عَلَى سِتَّةِ أَعْمِدَةٍ، وَكَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْحَائِطِ الْغَرْبِيِّ مِقْدَارَ ثَلَاثَةِ أَذْرُعٍ» . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ
পৃষ্ঠা - ৩৪৩৩

দখল করার সাথেই ইকরামা পালিয়ে ইয়ামানে চলে যায় ৷ পরে তার শ্রী উন্মু হাকীম ইয়ামান
থেকে স্বামীকে ফিরিয়ে আনেন ৷ মক্কায় পৌছে ইকরামা ইসলাম গ্রহণ করে ৷ ইকরামা ও
সাফওয়ান উভয়ে ইসলাম গ্রহণ করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের ত্রীদের সাথে পুর্বের বিবাহ বহাল
রাখেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, সাঈদ ইবন আবদুর রহমান ইবন হাসসান ইবন ছাবিত আমার
নিকট বর্ণনা করেন যে, নাজরানে অবস্থানরত ইবন যাবারীর উদ্দেশ্যে হাসৃসান একটি মাত্র পংক্তি
ছুড়ে মারেন, তার বেশী কিছু বলেননি ৷ পংক্তিটি হলো :


অর্থাৎ “সে লোকটিকে তুমি হারিয়াে না, যার প্রতি অন্তারর ব্যিদ্বষ তোমাকে নাজরানে
নিয়ে নিক্ষেপ করেছে ৷ যেখানে তুমি নিকৃষ্টতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছ ৷

’ ইবন যাবা’রীর নিকট এ কবিতা পৌছা মাত্র সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ছুটে আসে এবং
ইসলাম গ্রহণ করে ৷ ইসলাম গ্রহণকালে সে নিম্নোক্ত কবিতা পাঠ কার :

),; ৷ৰু
৷ এ ৷
এন্শ্ভ্রুঠো
এএএ--ষ্ট্ণ্ণ্

অর্থাৎ — হে রাজাধিরাজের প্রেরিত রাসুল আমার রসনা সর্বদা সংযত ছিল ৷ যখন আমি
ধ্বংসের পথে ছিলাম, তখনও কুৎসা রটাতে আমি আমার মুখ খুলিনি ৷

যখন আমি বিভ্রান্তির অলি-গলিতে শয়তানের অগ্রগামী ছিলাম ৷ আর যে ব্যক্তি শয়তানের
পথে অগ্রসর হয় সে মুলত ধ্বংসের দিকেই অগ্রসর হয় ৷

আমার অস্থিমাংস আমার প্রতিপালকের প্ৰতি ঈমান এন্যেছ ৷ তারপর আমার অস্তরও সাক্ষ্য
দিচ্ছে যে, আপনি সতর্ককারী রাসুল ৷

আমি আপনার পক্ষ থেকে লুয়াই গােত্রকে সাবধান করছি ৷ আর তারা তো সকলেই
প্রতারণার শিকার ৷

ইবন ইসহাক বলেন, ইসলাম গ্রহণকালে আবদৃল্লাহ্ ইবন যাবা’রী আরও বলেছিল :

ট্র;ন্প্
এেষ্ৰুন্এ টু
ণ্এট্রু-ইশ্শ্প্

৬ ৭ —

الْكَعْبَةَ عَامَ الْفَتْحِ وَمَعَهُ بِلَالٌ، فَأَمَرَهُ أَنْ يُؤَذِّنَ، وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ وَعَتَّابُ بْنُ أَسِيدٍ وَالْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ جُلُوسٌ بِفِنَاءِ الْكَعْبَةِ، فَقَالَ عَتَّابٌ: لَقَدْ أَكْرَمَ اللَّهُ أَسِيدًا أَنْ لَا يَكُونَ سَمِعَ هَذَا، فَيَسْمَعُ مِنْهُ مَا يَغِيظُهُ. فَقَالَ الْحَارِثُ بْنُ هِشَامٍ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْ أَعْلَمُ أَنَّهُ مُحِقٌّ لَاتَّبَعْتُهُ. فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: لَا أَقُولُ شَيْئًا، لَوْ تَكَلَّمْتُ لَأَخْبَرَتْ عَنِّي هَذِهِ الْحَصَا. فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " قَدْ عَلِمْتُ الَّذِي قُلْتُمْ ". ثُمَّ ذَكَرَ ذَلِكَ لَهُمْ. فَقَالَ الْحَارِثُ وَعَتَّابٌ: نَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ، مَا اطَّلَعَ عَلَى هَذَا أَحَدٌ كَانَ مَعَنَا فَنَقُولَ: أَخْبَرَكَ» . وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي وَالِدِي، حَدَّثَنِي بَعْضُ آلِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا دَخَلَ مَكَّةَ أَمَرَ بِلَالًا، فَعَلَا عَلَى الْكَعْبَةِ عَلَى ظَهْرِهَا، فَأَذَّنَ عَلَيْهَا بِالصَّلَاةِ، فَقَالَ بَعْضُ بَنِي سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ: لَقَدْ أَكْرَمَ اللَّهُ سَعِيدًا إِذْ قَبَضَهُ قَبْلَ أَنْ يَرَى هَذَا الْأَسْوَدَ عَلَى ظَهْرِ الْكَعْبَةِ.» وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ قَالَ: قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ: «أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَالًا فَأَذَّنَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَوْقَ الْكَعْبَةِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ لِلْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ: أَلَا تَرَى إِلَى هَذَا الْعَبْدِ أَيْنَ صَعِدَ؟! فَقَالَ: دَعْهُ، فَإِنْ يَكُنِ اللَّهُ يَكْرَهُهُ، فَسَيُغَيِّرُهُ»
পৃষ্ঠা - ৩৪৩৪
وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ وَغَيْرُهُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِلَالًا عَامَ الْفَتْحِ فَأَذَّنَ عَلَى الْكَعْبَةِ لِيَغِيظَ بِهِ الْمُشْرِكِينَ» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، «أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ بَعْدَ فَتْحِ مَكَّةَ كَانَ جَالِسًا، فَقَالَ فِي نَفْسِهِ: لَوْ جَمَعْتُ لِمُحَمَّدٍ جَمْعًا. فَإِنَّهُ لَيُحَدِّثُ نَفْسَهُ بِذَلِكَ، إِذْ ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ كَتِفَيْهِ وَقَالَ: " إِذًا يُخْزِيكَ اللَّهُ ". قَالَ: فَرَفَعَ رَأْسَهُ، فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ عَلَى رَأْسِهِ، فَقَالَ: مَا أَيْقَنْتُ أَنَّكَ نَبِيٌّ حَتَّى السَّاعَةَ» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ إِجَازَةً، أَنْبَأَنَا أَبُو حَامِدٍ أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحَسَنِ الْمُقْرِئُ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ السُّلَمِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي السَّفَرِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «رَأَى أَبُو سُفْيَانَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي وَالنَّاسُ يَطَئُونَ عَقِبَهُ، فَقَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ نَفْسِهِ: لَوْ عَاوَدْتُ هَذَا الرَّجُلَ الْقِتَالَ. فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى ضَرَبَ بِيَدِهِ فِي صَدْرِهِ فَقَالَ: " إِذًا يُخْزِيكَ اللَّهُ ". فَقَالَ: أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ، وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ مِمَّا تَفَوَّهْتُ بِهِ»
পৃষ্ঠা - ৩৪৩৫

ণ্এটুইগ্রা ঠেষ্ষ্ংন্এ
ণ্এঞগ্রা
ণ্প্রুাম্পু ৷ এ্যা
ণ্প্রু শ্রু ন্ ১ ৷ ) ;চ্াগ্ প্রুা) এে১াও ৰু;া৷াগ্লু ৰুন্া৷ ধ্ব্লু;ণ্ )ব্লু£াপ্
ব্দিঢ়; এএে;া
;এেগ্লু
৷ ,
ণ্এএএ এেএএে
অর্থাৎ “বিভিন্ন রকম দৃশ্চিন্তা ও উৎকষ্ঠা আমার ঘুম কেড়ে নিল ৷ অথচ রাতের শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল ৷ কারণ, আমার নিকট সংবাদ এলো যে, নবী আহমদ

(সা) আমাকে ধিক্কার দিয়েছেন ৷ ফলে আমি রাত কাটালাম এমনভাবে যেন আমি একজন
জ্বরের বোপী ৷

হে সর্বেড়াত্তম ব্যক্তি, যার অংগ-প্রতাৎগ অত্যন্ত সরল ও সুঠাম, যিনি এমন প্ৰত্যয়দীপ্ত
অভিযাত্রী, যার কখনও গতি বোধ হয় না ৷

আমি আমার পথভ্রষ্ট জীবনের কৃত অপরাধসমুহের জন্যে আপনার নিকট লজ্জিত ও অনুতপ্ত ৷

সে জীবনে আমাকে সাহ্ম গোত্রের লোকেরা এক ধরনের গোমরাহীর পথে উদ্বুদ্ধ করতো
তো মাখষুম গোত্রের লোকেরা আহ্বান জানাভাে আর এক ধরনের গোমরাহীর পথে ৷

আমি নিকৃষ্ট জাতীয় উপায়-উপকরণ অবলম্বন করে চলছিলাম ৷ আর পথভ্রষ্ট লোকদের
কার্যাবলী আমাকে সে দিকেই টেনে নিচ্ছিল ৷ তাদের কার্যাবলী সর্বদা অমংগলই হয়ে থাকে ৷

আজ আমার অন্তর নবী মুহাম্মাদের উপর ঈমান এন্যেছ এবং এ ব্যাপারে ভুল সিদ্ধাম্ভকারীরা
হচ্ছে চিরবঞ্চিত ৷

আমাদের মধ্যকার শত্রুতার অবসান ঘটেছে এবং শত্রুতার কারণসমুহও বিদুরিত হয়েছে ৷
এখন আমাদের পারস্পরিক সৌজন্য-সত্মীতি ও জ্ঞানপ্প্রজ্ঞা আমাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছে ৷

আমার পিতামাতা আপনার জন্যে কুরবান হোন ! আপনি আমার পদস্থালনসমুহ ক্ষমা করুন ৷
কেননা, আপনি দয়ালু এবং দয়াপ্রাপ্ত ৷

আপনার মাঝে রড়াজাধিরাজ মহান আল্লাহ্র দেওয়া জ্ঞানের সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে ৷ আপনি
উজ্জ্বল আলোকবর্ডিংম ৷ আপনি শেষ নবী এবং আপনার মাধ্যমে নবুওয়াত মহরাংকিত করা
হয়েছে ৷


ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ خُزَيْمَةَ وَغَيْرِهِ، عَنْ أَبِي حَامِدٍ ابْنِ الشَّرْقِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى الذُّهْلِيِّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى بْنِ أَعْيَنَ الْجَزَرِيُّ، ثَنَا أَبِي، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاشِدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «لَمَّا كَانَ لَيْلَةُ دَخَلَ النَّاسُ مَكَّةَ لَيْلَةَ الْفَتْحِ، لَمْ يَزَالُوا فِي تَكْبِيرٍ وَتَهْلِيلٍ وَطَوَافٍ بِالْبَيْتِ حَتَّى أَصْبَحُوا، فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ لِهِنْدٍ: أَتَرَيْنَ هَذَا مِنَ اللَّهِ؟ قَالَتْ: نَعَمْ، هَذَا مِنَ اللَّهِ. قَالَ: ثُمَّ أَصْبَحَ أَبُو سُفْيَانَ فَغَدَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قُلْتَ لِهِنْدٍ: أَتَرَيْنَ هَذَا مِنَ اللَّهِ؟ قَالَتْ: نَعَمْ، هَذَا مِنَ اللَّهِ ". فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، وَالَّذِي يُحْلَفُ بِهِ مَا سَمِعَ قَوْلِي هَذَا أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ غَيْرُ هِنْدٍ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا إِسْحَاقُ، ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي حَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، فَهِيَ حَرَامٌ بِحَرَامِ اللَّهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، لَا تَحِلُّ لِأَحَدٍ قَبْلِي، وَلَا تَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدِي، وَلَمْ تَحْلِلْ لِي إِلَّا سَاعَةً مِنَ الدَّهْرِ، لَا يُنَفَّرُ صَيْدُهَا، وَلَا يُعْضَدُ شَوْكُهَا، وَلَا يُخْتَلَى خَلَاهَا، وَلَا تَحِلُّ لُقَطَتُهَا، إِلَّا لِمُنْشِدٍ " فَقَالَ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: إِلَّا الْإِذْخِرَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنَّهُ لَا بُدَّ مِنْهُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৩৬

তিনি আপনাকে ভালবেসে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন প্রমাণাদি দান করেছেন ৷ আর আল্লাহ্র প্ৰমাণাদি
অতি মহান ৷

আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনার আনীত জীবন বিধান সত্য ৷ আর মানব ফুলের মধ্যে
আপনার ব্যক্তিত্ব অতি বিশাল ৷

আল্লাহ্ই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, আহমদ মুস্তাফা পুণ্যবান লোকদের জন্যে আদর্শ ও উচ্চ মর্যাদার
অধিকারী ৷

তিনি এমন এক কওমের সন্তান যার ভিত্তি বনুহাশিম ৷ তার মুল ও শাখা সর্বজন ৰিদিত ৷
ইবন হিশাম বলেন, কোন কোন পণ্ডিতের মতে এ কবিতাগুলো যাবাব্রীর নয় ৷

আমি বলি, আবদৃল্লাহ্ ইবন যাবা’রী আসৃসাহমী ছিল ইসলামের একজন ঘোর শত্রু ৷ সে ছিল
ঐসব কবিদের দলভুক্ত যারা তাদের কাব্য প্রতিভাকে মুসলমানদের কুৎসা প্রচারে নিয়োজিত
রেখেছিল ৷ এরপর এক পর্যায়ে আল্লাহ্ তার প্রতি সদর হন ৷ ফলে সে তওবা করে ইসলাম গ্রহণ
করে এবং ইসলামের সাহায্য সহযোগিতায় নিজেকে নিবেদিত করে ৷

অনুত্তচ্ছদ
ইবন ইসহড়াক বলেন : মক্কা বিজয় অভিযানে মুসলমানদের সর্বমোট সংখ্যা ছিল দশ হাজার ৷
তার মধ্যে সুলায়ম গোত্রের সাতশ’ (কারও মতে এক হাজার), গিফার গোত্রের চারশ’ , (আসলাম
গোত্রের চারশ), মুযায়না গোত্রের এক হাজার তিন জন ৷ অবশিষ্ট সকলেই ছিলেন কুরায়শ,
আনসার ও তাদের মিত্র এবং আরবের তামীম, কায়স ও আসাদ গোত্রের লোক ৷ কিন্তু উরওয়া,
যুহ্রী এবং মুসা ইবন উক্বা বলেন, মক্কা বিজয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সংপী মুসলমানদের সংখ্যা
ছিল যার হাজার ৷
ইবন ইসহাক বলেন, কথিত আছে যে, মক্কা বিজয়ের দিন হাসর্চুসান ইবন ছাবিত নিম্নের
কবিতাটি আবৃত্তি করেন :



; ৷;ব্লু৷ ৷ ৰু


لَلَقَيْنِ وَالْبُيُوتِ. فَسَكَتَ ثُمَّ قَالَ: " إِلَّا الْإِذْخِرَ فَإِنَّهُ حَلَالٌ» . وَعَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْكَرِيمِ - هُوَ ابْنُ مَالِكٍ الْجَزَرِيُّ - عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِمِثْلِ هَذَا أَوْ نَحْوَ هَذَا. وَرَوَاهُ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنَ الْوَجْهِ الْأَوَّلِ، وَهُوَ مُرْسَلٌ، وَمِنَ الْوَجْهِ الثَّانِي أَيْضًا. وَبِهَذَا الْحَدِيثِ وَأَمْثَالِهِ اسْتَدَلَّ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ مَكَّةَ فُتِحَتْ عَنْوَةً، وَلِلْوَقْعَةِ الَّتِي كَانَتْ فِي الْخَنْدَمَةِ، كَمَا تَقَدَّمَ وَقَدْ قُتِلَ فِيهَا قَرِيبٌ مِنْ عِشْرِينَ نَفْسًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُشْرِكِينَ، وَهِيَ ظَاهِرَةٌ فِي ذَلِكَ، وَهُوَ مَذْهَبُ جُمْهُورِ الْعُلَمَاءِ. وَالْمَشْهُورُ عَنِ الشَّافِعِيِّ أَنَّهَا فُتِحَتْ صُلْحًا، لِأَنَّهَا لَمْ تُقْسَمْ، وَلِقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْفَتْحِ: «مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ دَخَلَ الْحَرَمَ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ أَغْلَقَ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ» وَمَوْضِعُ تَقْرِيرِ هَذِهِ الْمَسْأَلَةِ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا سَعِيدُ بْنُ شُرَحْبِيلَ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الْمُقْبُرِيِّ، «عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْعَدَوِيِّ، أَنَّهُ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ ائْذَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৪৩৭
৫৩২

ণ্এেএে ৷
রুএএ এ
ন্ড়াে!
ন্এ্যা৷ ণ্এ১
ণ্এেপ্রু৷ ৰু,ৰু এ্যা
;া প্রুশ্বা
ণ্ভ্রুগ্লুপু ৷
ন্ ’ স্পে

অর্থাৎ : যাতুল আসাবি ও জাওয়া থেকে আরম্ভ করে আযরা পর্যন্ত সমগ্র এলাকা জনশুণ্য

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

গুট্টজ্যো
৷ স্ন্৯প্রুগ্পু ৬৮১
ারু ;; ;১প্রু৷ এ ণ্র্দুা৷ গ্লুঘু;শু
৷ ধ্এেএ
এএ প্রুএ fl
ণ্ব্লু১ইশ্ই
ৰু)ম্পি
;ম্স্পে
;এ্ব্লুন্

ড্রুএে

হয়ে গিয়েছে এখানকার ঘরবাড়িগুলাে খালি পড়ে আছে

বনুহাসহাসের (বনু আসাদ) বাড়িঘরগুলাে খী-র্খা করছে এ যেন ধুসর প্রাস্তর ৷ বায়ুর প্রবাহ

এর বৃষ্টির বর্ষণ এর নিশানা মিটিয়ে দিয়েছে ৷

অথচ একদা এখানে ছিল ণ্লাকজনের বিচরণ ৷ আর এর চারণভুমিতে চরে বেড়াত উট ও

বকরীর পাল ৷

এখন এসবের চিন্তা ছেড়ে দাও, এবং বল আমার প্রেমম্পেদের খরব কি ? যে ইশার পরে

এসে আমাকে ঘুম থেকে জাগায়


لِي أَيُّهَا الْأَمِيرُ، أُحَدِّثْكَ قَوْلًا قَامَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْغَدَ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ، سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ وَوَعَاهُ قَلْبِي وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَايَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ، إِنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللَّهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ، لَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يَسْفِكَ بِهَا دَمًا، وَلَا يُعَضِّدَ بِهَا شَجَرًا، فَإِنْ أَحَدٌ تَرَخَّصَ لِقِتَالِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُولُوا: إِنَّ اللَّهَ أَذِنَ لِرَسُولِهِ وَلَمْ يَأْذَنَ لَكُمْ. وَإِنَّمَا أَذِنَ لِي فِيهَا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، وَقَدْ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالْأَمْسِ، فَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ. فَقِيلَ لِأَبِي شُرَيْحٍ: مَاذَا قَالَ لَكَ عَمْرٌو؟ قَالَ: قَالَ: أَنَا أَعْلَمُ بِذَلِكَ مِنْكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ، إِنَّ الْحَرَمَ لَا يُعِيذُ عَاصِيًا وَلَا فَارًّا بِدَمٍ، وَلَا فَارًّا بِخَرْبَةٍ» . وَرَوَى الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ بِهِ نَحْوَهُ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: ابْنُ الْأَثْوَعِ. قَتَلَ رَجُلًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ مِنْ خُزَاعَةَ يُقَالُ لَهُ: أَحْمَرُ بَأْسًا. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْفَتْحِ قَتَلَتْ خُزَاعَةُ ابْنَ الْأَثْوَعِ وَهُوَ بِمَكَّةَ، قَتَلَهُ خِرَاشُ بْنُ أُمَيَّةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مَعْشَرَ خُزَاعَةَ، ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ عَنِ الْقَتْلِ، لَقَدْ كَثُرَ الْقَتْلُ إِنْ نَفَعَ، لَقَدْ قَتَلْتُمْ رَجُلًا لَأَدِيَنَّهُ»
পৃষ্ঠা - ৩৪৩৮

আমার প্রিয়া শাছার জন্যে যে তাকে পাওয়ার কামনা করেছে ৷ কিন্তু এতে করে তার অন্তর
শান্তি লাভ করবে না ৷
তার জন্যে আমার যে প্রেমের স্বাদ ঠিক বায়তে রাসে’ তৈরি মদের ন্যায় ষ্যা মধু ও পানি
মিশ্রিত করে প্রস্তুত করা হয় ৷
যে দিন সে মদের গুণাগুণ আলোচনা করা হয়, সে দিন এ মদের সু-ঘ্রড়াণে আত্মহারা হতে
হয় ৷
আমরা মদের জন্যে তাকে ভর্চুসনা করি ৷ আর এ ভর্চুসনা চুড়ান্ত হয় যখন এর সাথে থাকে
হাতের দ্বারা প্রহার ও মুখের গালমন্দ ৷
আমরা যে মদ পান করি ৷ তারপর আমাদেরকে এমন অবস্থায় ছেড়ে দেয় যে, কোন
রাজত্ব-বাদশা কিৎবা কোন সিংহের সাথে সাক্ষাৎ করতেও আমাদেরকে বাধা দেয় না ৷
আমরা আমাদের ঘোড়াগুলো হারাবাে যদি তোমরা তাদের প্রতি লক্ষ্য না রাখ ৷ পথের ধুলি
উড়াতে উড়াতে সেগুলো মক্কার নিকটবর্তী কিদা নামক স্থানে পৌছবে ৷
ঘোড়াগুলো লম্বা ও শক্ত লাপাম থেকে ছুটার জন্যে কঠিনভাবে চেষ্টা করে ৷ আর সেগুলোর
কাধে ঝুলান রয়েছে তৃষ্ণার্ত ধারাল তলোয়ার ৷
আমাদের ঘোড়াগুলো সে দিন ছিল ক্ষিপ্ৰ গতিতে অগ্রসরমান ৷ আর মহিলারা ওড়না দ্বারা
সেগুলোর গায়ের ধুলাবালি ঝেড়ে দিচ্ছিল ৷
সুতরাং হয় তোমরা আমাদের প্রতিবন্ধকতা উঠিয়ে লও, যাতে আমরা উমরা আদায় করতে
পারি ৷ ফলে বিজয় এসে যাবে এবং বাবার গিলাফ উন্মুক্ত হবে ৷
নচেৎ একদিনের কঠোরতা (যুদ্ধ) গ্রহণের জন্যে ধৈর্য্য ধারণ কর ৷ সে ক্ষেত্রে আল্লাহ্ যাকে
ইচ্ছা মর্যাদা (বিজয়) দান করবেন ৷
আল্লাহ্র দুত জিবরাঈল ফেরেশতা আমাদের মাঝে অবস্থান করছেন ৷ আর রুহুল কুদৃস পবিত্র
আত্মা জিবরড়াঈলের সমকক্ষ কেউ নেই ৷
আল্লাহ্ বলেন, আমি এক বন্দোকে আমার রাসুল হিসেবে পাঠিয়েছি ৷ সে সত্য কথা বলছে ৷
যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যায় তবেই ভাল ৷
আমি তার সভ্যতার সাক্ষ্য দিয়েছি ৷ তোমরাও তার সভ্যতার সাক্ষ্য দাও ৷ কিন্তু তোমরা
বললে, না, আমরা তা করবো না ; এবং আমরা তা চাইও না ৷
এদিকে আল্লাহ্ বললেন, আমি আমার এক বাহিনীকে প্রেরণ করেছি ৷ তারা (মুসলমানদের)
সাহায্যকারী ৷ তাদের লক্ষ্য হলো শত্রুর মুকাবিলা করা ৷
মাআদ গোত্রের পক্ষ থেকে প্রতি দিনই আমাদের জন্যে আসছে পালমন্দ অথবা যুদ্ধের
হুমকি অথবা নিন্দাবাদ ৷
সে কারণে যারা আমাদের কুৎসা পায় ও নিন্দাবাদ করে , আমরা কাব্য-ছন্দ দ্বারা তাদের
প্রতিহত করার ফয়সালা নিই ৷ আর যখন যুদ্ধ-ক্ষেত্রে রক্ত-স্রোত প্রবাহিত হয় ৷ তখন আমরা
তাদেরকে তলোয়ার দ্বারা আঘাত করি ৷


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَرْمَلَةَ الْأَسْلَمِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «لَمَّا بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا صَنَعَ خِرَاشُ بْنُ أُمَيَّةَ قَالَ: " إِنَّ خِرَاشًا لَقَتَّالٌ» . وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ الْعَدَوِيِّ قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ عَمْرُو بْنُ الزُّبَيْرِ مَكَّةَ لِقِتَالِ أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، جِئْتُهُ فَقُلْتُ لَهُ: يَا هَذَا، إِنَّا كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ افْتَتَحَ مَكَّةَ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ، عَدَتْ خُزَاعَةُ عَلَى رَجُلٍ مِنْ هُذَيْلٍ فَقَتَلُوهُ وَهُوَ مُشْرِكٌ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِينَا خَطِيبًا فَقَالَ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، فَهِيَ حَرَامٌ مِنْ حَرَامِ اللَّهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، فَلَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يَسْفِكَ فِيهَا دَمًا، وَلَا يَعْضِدَ فِيهَا شَجَرًا، لَمْ تَحْلِلْ لِأَحَدٍ كَانَ قَبْلِي، وَلَا تَحِلُّ لِأَحَدٍ يَكُونُ بَعْدِي، وَلَمْ تُحْلِلْ لِي إِلَّا هَذِهِ السَّاعَةَ، غَضَبًا عَلَى أَهْلِهَا، أَلَا ثُمَّ قَدْ رَجَعَتْ كَحُرْمَتِهَا بِالْأَمْسِ، فَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ مِنْكُمُ الْغَائِبَ، فَمَنْ قَالَ لَكُمْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَاتَلَ فِيهَا. فَقُولُوا: إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَلَّهَا لِرَسُولِهِ، وَلَمْ يُحِلَّهَا لَكُمْ. يَا مَعْشَرَ خُزَاعَةَ، ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ عَنِ الْقَتْلِ فَلَقَدْ كَثُرَ إِنْ نَفَعَ، لَقَدْ قَتَلْتُمْ قَتِيلًا لَأَدِيَنَّهُ، فَمَنْ قُتِلَ بَعْدَ مَقَامِي هَذَا فَأَهْلُهُ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ، إِنْ شَاءُوا فَدَمُ قَاتِلِهِ، وَإِنْ شَاءُوا فَعَقْلُهُ ". ثُمَّ وَدَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ الرَّجُلَ الَّذِي قَتَلَتْهُ خُزَاعَةُ، فَقَالَ عَمْرٌو لِأَبِي شُرَيْحٍ:
পৃষ্ঠা - ৩৪৩৯
انْصَرِفْ أَيُّهَا الشَّيْخُ، فَنَحْنُ أَعْلَمُ بِحُرْمَتِهَا مِنْكَ، إِنَّهَا لَا تَمْنَعُ سَافِكَ دَمٍ، وَلَا خَالِعَ طَاعَةٍ، وَلَا مَانِعَ جِزْيَةٍ. فَقَالَ أَبُو شُرَيْحٍ: إِنِّي كُنْتُ شَاهِدًا، وَكُنْتَ غَائِبًا، وَقَدْ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُبَلِّغَ شَاهِدُنَا غَائِبَنَا، وَقَدْ أَبْلَغْتُكَ، فَأَنْتَ وَشَأْنُكَ» . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَبَلَغَنِي «أَنَّ أَوَّلَ قَتِيلٍ وَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ جُنَيْدِبُ بْنُ الْأَكْوَعِ، قَتَلَتْهُ بَنُو كَعْبٍ، فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِائَةِ نَاقَةٍ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ حُسَيْنٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: «لَمَّا فُتِحَتْ مَكَّةُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " كُفُّوا السِّلَاحَ، إِلَّا خُزَاعَةَ عَنْ بَنِي بَكْرٍ ". فَأَذِنَ لَهُمْ حَتَّى صَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ قَالَ: " كُفُّوا السِّلَاحَ ". فَلَقِيَ رَجُلٌ مِنْ خُزَاعَةَ رَجُلًا مِنْ بَنِي بَكْرٍ مِنْ غَدٍ بِالْمُزْدَلِفَةِ فَقَتَلَهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ خَطِيبًا فَقَالَ - فَرَأَيْتُهُ وَهُوَ مُسْنِدٌ ظَهْرَهُ إِلَى الْكَعْبَةِ قَالَ -: " إِنَّ أَعْدَى النَّاسِ عَلَى اللَّهِ مَنْ قَتَلَ فِي الْحَرَمِ، أَوْ قَتَلَ غَيْرَ قَاتِلِهِ، أَوْ قَتَلَ بِذُحُولِ الْجَاهِلِيَّةِ» وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ، وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا، وَقَدْ رَوَى أَهْلُ السُّنَنِ بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ، فَأَمَّا مَا فِيهِ مِنْ أَنَّهُ رَخَّصَ لِخُزَاعَةَ أَنْ تَأْخُذَ بِثَأْرِهَا مَنْ بَنِي بَكْرٍ إِلَى الْعَصْرِ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ، فَلَمْ أَرَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৪০

হে আবুসুফিয়ান ! তুমি আমার পক্ষ থেকে সে ব্যক্তির নিকট এ বার্তা পৌছে দাও যে পাশ
কাটিয়ে দুরে পড়ে আছে ৷

বার্তাটি এই যে, আমাদের তরবাবি তোমাকে দাসে পরিণত করে চুছড়েছে ৷ আর বনু
আবদুদদ৷ রের সর্দ৷ ৷রগণ পরিগণিত হয়েছে দাসরুপে ৷

তুমি মুহাম্মাদ (সা) এর নিন্দামুলক কবিতা ছড়িয়েছ আমির্ত নব পক্ষ থেকে জবাব দিয়েছি ৷
আল্লাহ্র নিকট এ জন্যে রয়েছে প্ৰতিদ৷ ৷ন ৷
ওহে তুমি আবু সুফিয়ান র্তার নিন্দা কর ৷ অথচ কোন দিক দিয়েই তুমি তার সমকক্ষ নও ৷
সুতরাং তোমাদের দুজনের মধ্যে নিকৃষ্টজন উত্কৃষ্টজনের জন্যে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারে ৷
তুমি এমন এক মহৎ ব্যক্তির নিন্দা করেছ, যিনি কল্যাণের প্রতীক পুতপবিত্র ও একনিষ্ঠ
বান্দা ৷ তিনি আল্লাহর একান্ত বিশ্বস্ত এবং দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করা যার স্বভাব ৷

জেনে রেখো, আমার পি৩ ৷ ও তার পিতা এবং আমার মান মর্যস্কো সবাকছু মুহাম্মাদ (সা) এর
মান ন-মর্যাদাকে তোমাদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্যে নিবেদিত ৷

আমার রসন৷ নিং সৃত কবিতা এমন এক শানিত তলােয়ার স্বরুপ যাতে কো ন ত্রুটি নেই ৷
এবং তা এমন এক সমুদ্র, যাতে বারবার বালতি মারলেওশু তার পানি ঘোলা করতে পারে না ৷ ইবন
হিশাম বলেন, হাসৃস৷ ন ইবন ছ৷ ৷বিত এ কবি৩ ৷টি মক্কা বিজয়ের পুর্বে আবৃত্তি করেছিলেন ৷

আমি বলি, এ কাসীদ৷ ৷র মধ্যে যা কিছু বলা হয়েছে তা ইবন হিশামের মম্ভব্যকে সমর্থন
করে ৷ আর কবিতায় উল্লিখিত আবু সুফিয়ান হচ্ছে হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিবের পুত্র আবু
সুফিয়ান ৷ ইবন হিশাম বলেনং আমার নিকট যুহরী সুত্রে এ কথা পৌছেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
যখন দেখলেন যে, মহিলারা তাদের ওড়না দিয়ে ঘোড়ার পায়ের ধুলাবালি বোড়ে দিচ্ছে, তখন
তিনি আবু বকরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসেন ৷ ইবন ইসহাক বলেনং আমর ইবন সালিম
খুয৷ ঈ যখন আন৷ স ইবন যুনায়ম দৃআলীর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাহায্য চেয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকট আবেদন করেন, তখন আনাস রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ওযর পেশ করে নিম্নোক্ত কবিতা
আবৃত্তি করেন :






৷ ,






إِلَّا فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَكَأَنَّهُ - إِنْ صَحَّ - مِنْ بَابِ الِاخْتِصَاصِ لَهُمْ مِمَّا كَانُوا أَصَابُوا مِنْهُمْ لَيْلَةَ الْوَتِيرِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَيَزِيدَ بْنِ هَارُونَ وَمُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْبَرْصَاءِ الْخُزَاعِيِّ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ «: لَا تُغْزَى هَذِهِ بَعْدَ الْيَوْمِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ بِهِ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. قُلْتُ: فَإِنْ كَانَ نَهْيًا، فَلَا إِشْكَالَ، وَإِنْ كَانَ نَفْيًا، فَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: مَعْنَاهُ عَلَى كُفْرِ أَهْلِهَا. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ، عَنْ أَبِيهِ مُطِيعِ بْنِ الْأَسْوَدِ الْعَدَوِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ «: لَا يُقْتَلُ قُرَشِيٌّ صَبْرًا بَعْدَ الْيَوْمِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» . وَالْكَلَامُ عَلَيْهِ كَالْأَوَّلِ سَوَاءً. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ «: وَبَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ افْتَتَحَ مَكَّةَ وَدَخَلَهَا،
পৃষ্ঠা - ৩৪৪১

১৷ ঢেএ্া ষ্

অর্থ : আপনি কি যে ব্যক্তি, যিনি মা’আদ গোত্রকে তাদের আচরণের সঠিক পথ দেখাচ্ছেন ?

বরং আল্লাহ্ই তাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন ৷ আর তিনি আপনাকে বলেছেন সাক্ষী
থাকুন ৷

কোন জ্জীই এমন কোন সওয়ারকে তার হাওদায় বহন করেনি যে মুহাম্মাদ (স) থেকে
অধিক পুণ্যবান এবং ওয়াদা পালনে অধিকতর নিষ্ঠ্যবান ৷

যে কল্যাণকর কাজে তার চাইতে অধিকতর উৎসাহদানকারী এবং তার চাইতে বেশী
বদান্যশীল ৷

যখন তিনি কোন মঙ্গলময়^ কাজের উদ্দেশ্যে বের হন, তখন এত দ্রুত অগ্রসর হন ৷ যেমন
দ্রুত চলে ভারতীয় তীক্ষ্ণ তলোয়ার ৷ এবং যিনি ইয়ামানী মুল্যবান চাদর নিজের কাজে ব্যবহার
করার পুর্বেই অন্যকে পরিধান করার জন্যে দান করেন ৷ আর দ্রুতপামী দামী ঘোড়া অপরকে দান
করতে খুবই পারঙ্গম ৷

জেনে রাখুন হে আল্লাহ্র রাসুল ! আপনি আমার উপর কর্তৃতুশীল ৷ আপনার পক্ষ থেকে
ঘোষিত সতর্কবাণী — সে তো হাতে হাতে পাওয়ারই শামিল ৷

জেনে নিন হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি সকল নিম্নভুমি ও উচ্চভুমির ঘরবাড়ির উপর
এককভাবে নিয়ন্ত্রণকারী ৷

আপনি জেনে রাখুন, ঘৃণিত আমরের দলভুক্ত লোকজন হচ্ছে সেই সব লোক যারা মিথ্যাবাদী
ও প্রতিশ্রুতি ভৎগকারী ৷

তারা আল্লাহর রাসুলকে এই সংবাদ দিয়েছে যে, আমি নাকি তার নিন্দাবাদ করেছি ৷ তা যদি
সত্য হতো তা হলে আমি নিজ হাতে নিজেকে রেত্রাঘাত কবতাম ৷ তবে এ কথা আমি বলেছি
যে, সেই সব কিশোরদের মায়েদের জন্যে দৃর্তাগ্য যারা পাহাড়ের পাদদেশে নিরুপায় ও সৌভাগ্য
বঞ্চিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে ৷

তাদেরকে হত্যা করেছে এমন সব লোক যারা তাদের রক্তপণ শোধ করতে পারবে না কোন
ক্রমেই (অথবা ওদের রক্তের সন মর্যাদাপুর্ণ নয় ৷) তাই আমি অশ্রু প্রবাহিত করছি ও শোক
প্রকাশ করছি ৷

আর আপনি এই সংবাদ দিয়েছেন যে, আবৃদ ইবন আবদুল্লাহ, মুহাব্বিদের কন্যা যুওয়ায়ব,


قَامَ عَلَى الصَّفَا يَدْعُو وَقَدْ أَحْدَقَتْ بِهِ الْأَنْصَارُ، فَقَالُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ: أَتُرَوْنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ أَرْضَهُ وَبَلَدَهُ يُقِيمُ بِهَا؟ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ دُعَائِهِ قَالَ: " مَاذَا قُلْتُمْ؟ " قَالُوا: لَا شَيْءَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَلَمْ يَزَلْ بِهِمْ حَتَّى أَخْبَرُوهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَعَاذَ اللَّهِ، الْمَحْيَا مَحْيَاكُمْ، وَالْمَمَاتُ مَمَاتُكُمْ» . وَهَذَا الَّذِي عَلَّقَهُ ابْنُ هِشَامٍ قَدْ أَسْنَدَهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ فِي " مُسْنَدِهِ " فَقَالَ: ثَنَا بَهْزٌ وَهَاشِمٌ، قَالَا: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، وَقَالَ هَاشِمٌ: حَدَّثَنِي ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَبَاحٍ، قَالَ: «وَفَدَتْ وُفُودٌ إِلَى مُعَاوِيَةَ أَنَا فِيهِمْ وَأَبُو هُرَيْرَةَ، وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ، فَجَعَلَ بَعْضُنَا يَصْنَعُ لِبَعْضٍ الطَّعَامَ. قَالَ: وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُكْثِرُ مَا يَدْعُونَا - قَالَ هَاشِمٌ: يُكْثِرُ أَنْ يَدْعُوَنَا - إِلَى رَحْلِهِ. قَالَ: فَقُلْتُ: أَلَا أَصْنَعُ طَعَامًا فَأَدْعُوهُمْ إِلَى رَحْلِي؟ قَالَ: فَأَمَرْتُ بِطَعَامٍ يُصْنَعُ، وَلَقِيتُ أَبَا هُرَيْرَةَ مِنَ الْعِشَاءِ. قَالَ: قُلْتُ: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، الدَّعْوَةُ عِنْدِي اللَّيْلَةَ. قَالَ: أَسَبَقْتَنِي؟! - قَالَ هَاشِمٌ: قُلْتُ: نَعَمْ - قَالَ: فَدَعَوْتُهُمْ فَهُمْ عِنْدِي. قَالَ: فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَلَّا أُعْلِمُكُمْ بِحَدِيثٍ مِنْ حَدِيثِكُمْ يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ؟ قَالَ: فَذَكَرَ فَتْحَ مَكَّةَ. قَالَ: أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ مَكَّةَ. قَالَ: فَبَعَثَ الزُّبَيْرَ عَلَى إِحْدَى الْمُجَنِّبَتَيْنِ، وَبَعَثَ خَالِدًا عَلَى الْمُجَنِّبَةِ الْأُخْرَى، وَبَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ عَلَى الْحُسَّرِ، وَأَخَذُوا بَطْنَ الْوَادِي، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كَتِيبَتِهِ. قَالَ: وَقَدْ وَبَّشَتْ قُرَيْشٌ أَوْبَاشَهَا
পৃষ্ঠা - ৩৪৪২

কুলছুম ও সুলমা এদের সকলকে নির্মুল করার জন্যে আপনি চেষ্টা করছেন ৷ এতে আমার চক্ষু
যদি অশ্রু নড়াও বহায় তবে আমার অন্তর তাে ব্যথিত হবেই ৷

আর সুলমা ও তার ভাইদের কথা বলছি যে সুলমার সমতুল্য কোন লোকই হতে পারে না ৷
রাজা-বাদশাহরা কি কখনও দাসদের মত হয় ?

ষ্ আমি কোন অপরাধ সংঘটিত করিনি এবং কাউকে হত্যাও করিনি ৷ আপনি বাস্তব জগতকে
উদঘাটন করুন ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন বুজায়র ইবন যুহায়র ইবন সুলমা নিম্নোক্ত কবিতা
আবৃত্তি করেন ::

এএ
এ্এেৰুা৷ ৷
-ম্বীশ্রোষ্
৷ এ
এ ৷

অর্থ : বিজয়ের দিন প্রত্যুষকালে মুযায়না ও বনু খুফাফ গোত্রের লোকজন সাত সকালে

তাদের বসতি এলাকার প্রতিটি রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলো ৷
শ্রেষ্ঠ নবীর মক্কা বিজয়ের দিন আমরা হালকা ধরনের তলােয়ার দ্বারা তাদেরকে আঘাত

করেছি ৷

প্রভাত বেলায়ই আমরা তাদের উপর বাপিয়ে পড়লাম সুলায়ম গোত্রের সাত শ’ ও বনু
উছমানের পুর্ণ এক হাজার লোক নিয়ে, তাদের উপর তলােয়ারের আঘাতে, বর্শার ঘেড়াচড়ায় ও
হালকা তীর নিক্ষেপে আমরা তাদের স্কন্ধসমুহ রক্তাক্ত করে দিলাম ৷

পালক বিশিষ্ট তীরের ফলক বাট থেকে বেরিয়ে যখন দ্রুত বেগে শত্রু বুহ্য ভেদ করে যড়াচ্ছিল
তখন তুমি তার শন শন আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলে ৷

সাে জা ও পরিপাটি করা বল্লমগুলাে নিয়ে অশ্বগুলাে যখন তাদের মাঝে চক্কর কটিছিল তখন
আমরা খুবই উৎফুল্ল বোধ করছিলাম ৷

তারপর আমরা আমাদের কাৎগ্রিত গনীমতের মাল নিয়ে প্রত্যাবর্তন করলাম ৷ পক্ষাম্ভরে
তারা লাঞ্ছিত অপমানিত হয়ে ফিরে গেল ৷


قَالَ: قَالُوا: نُقَدِّمُ هَؤُلَاءِ، فَإِنْ كَانَ لَهُمْ شَيْءٌ كُنَّا مَعَهُمْ، وَإِنْ أُصِيبُوا أَعْطَيْنَاهُ الَّذِي سُئِلْنَا. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَنَظَرَ فَرَآنِي فَقَالَ: " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ ". فَقُلْتُ: لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: " اهْتِفْ لِي بِالْأَنْصَارِ، وَلَا يَأْتِينِي إِلَّا أَنْصَارِيٌّ ". فَهَتَفْتُ بِهِمْ، فَجَاءُوا فَأَطَافُوا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَتَرَوْنَ إِلَى أَوْبَاشِ قُرَيْشٍ وَأَتْبَاعِهِمْ؟ " ثُمَّ قَالَ بِيَدَيْهِ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى: " احْصُدُوهُمْ حَصْدًا حَتَّى تُوَافُونِي بِالصَّفَا ". قَالَ: فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَانْطَلَقْنَا، فَمَا يَشَاءُ أَحَدٌ مِنَّا أَنْ يَقْتُلَ مِنْهُمْ مَا شَاءَ، وَمَا أَحَدٌ مِنْهُمْ يُوَجِّهُ إِلَيْنَا مِنْهُمْ شَيْئًا. قَالَ: فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُبِيحَتْ خَضْرَاءُ قُرَيْشٍ، لَا قُرَيْشَ بَعْدَ الْيَوْمِ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ أَغْلَقَ بَابَهُ فَهُوَ آمِنٌ وَمَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ ". قَالَ: فَغَلَّقَ النَّاسُ أَبْوَابَهُمْ. قَالَ: وَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْحَجَرِ فَاسْتَلَمَهُ ثُمَّ طَافَ بِالْبَيْتِ. قَالَ: وَفِي يَدِهِ قَوْسٌ، آخِذٌ بِسِيَةِ الْقَوْسِ. قَالَ: فَأَتَى فِي طَوَافِهِ عَلَى صَنَمٍ إِلَى جَنْبِ الْبَيْتِ يَعْبُدُونَهُ. قَالَ: فَجَعَلَ يَطْعَنُ بِهَا فِي عَيْنِهِ وَيَقُولُ: جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ. قَالَ: ثُمَّ أَتَى الصَّفَا فَعَلَاهُ حَيْثُ يَنْظُرُ إِلَى الْبَيْتِ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ، فَجَعَلَ يَذْكُرُ اللَّهَ بِمَا شَاءَ أَنْ يَذْكُرَهُ وَيَدْعُوَهُ. قَالَ: وَالْأَنْصَارُ تَحْتَهُ. قَالَ: يَقُولُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: أَمَّا الرَّجُلُ فَأَدْرَكَتْهُ رَغْبَةٌ فِي قَرْيَتِهِ وَرَأْفَةٌ بِعَشِيرَتِهِ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَجَاءَ الْوَحْيُ، وَكَانَ إِذَا جَاءَ لَمْ يَخْفَ عَلَيْنَا، فَلَيْسَ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ يَرْفَعُ طَرْفَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৩৪৪৩
يَقْضِيَ. قَالَ هَاشِمٌ: فَلَمَّا قَضَى الْوَحْيُ رَفْعَ رَأْسَهُ، ثُمَّ قَالَ: " يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ، أَقُلْتُمْ: أَمَا الرَّجُلُ فَأَدْرَكَتْهُ رَغْبَةٌ فِي قَرْيَتِهِ وَرَأْفَةٌ بِعَشِيرَتِهِ؟ " قَالُوا: قُلْنَا ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " فَمَا اسْمِي إِذًا؟! كَلَّا، إِنِّي عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، هَاجَرْتُ إِلَى اللَّهِ وَإِلَيْكُمْ، فَالْمَحْيَا مَحْيَاكُمْ وَالْمَمَاتُ مَمَاتُكُمْ ". قَالَ: فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَبْكُونَ وَيَقُولُونَ: وَاللَّهِ مَا قُلْنَا الَّذِي قُلْنَا إِلَّا الضِّنَّ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُصَدِّقَانِكُمْ وَيَعْذِرَانِكُمْ» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، زَادَ النَّسَائِيُّ: وَسَلَّامِ بْنِ مِسْكِينٍ، وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الْأَنْصَارِيِّ نَزِيلِ الْبَصْرَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي - يَعْنِي بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ - «أَنَّ فَضَالَةَ بْنَ عُمَيْرِ بْنِ الْمُلَوَّحِ، يَعْنِي اللَّيْثِيَّ، أَرَادَ قَتْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عَامَ الْفَتْحِ، فَلَمَّا دَنَا مِنْهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَفَضَالَةُ؟ " قَالَ: نَعَمْ، فَضَالَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " مَاذَا كُنْتَ تُحَدِّثُ بِهِ نَفْسَكَ؟ " قَالَ: لَا شَيْءَ، كُنْتُ أَذْكُرُ اللَّهَ.
পৃষ্ঠা - ৩৪৪৪

আমরা অতি সন্তুষ্ট চিত্তে আল্লাহ্র রাসুলকে আমাদের পক্ষ থেকে অং গীকার প্রদান করলাম ৷
সেই ভয়াল দিয়ে তারা আমাদের পারস্পরিক কথাবার্তা শুনেই পালিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ
নিয়েছিলা ৷ম ৷

ইবন হিশাম বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আব্বাস ইবন মিরদাস সুলামী নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি
করেন :

ব্লে স্

অর্থ৪ মুহাম্মাদ (সা) এর মক্কা বিজয়ের দিন আমাদের এক হাজার চিহ্নিত বীর যােদ্ধার
পদভা রে মক্কাভুমি প্রকস্পিত হয় ৷
তারা আল্লাহ্র রাসুলকে সাহায্য করে ও তার নিদর্শনসমুহ প্রত্যক্ষ করে ৷ আর যুদ্ধের দিন
তা ৷দ্দের নিশানগুলাে সবার আগে ছিল ৷
যে সংকীর্ণ স্থানে তাদের পা দৃঢ়ভ ৩াবে জমে যেত সেখানে (শত্রুদের) মাথার খুলি কদৃর
খােলে নির্মিত মটকার মত পড়ে থাকত ৷
ইত৪পুর্বে এসব যোদ্ধাদের পদচারণা নজ্বদ ভুমিতেও হয়েছে ৷ এরপর মিশমিশে কালো
হিজাজ ভুমিও তাদের অবস্থান কামনা করেছে ৷
আল্লাহ্ র্তীকে হিজাযে ক্ষমতাসীন করেছেন এবং তলোয়ারের ফায়সালা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা এ
ভুমিকে আমাদের পদানত করে দিয়েছে ৷
তারা শাসন ক্ষমতার যোগ, মর্যাদার অধিকারী, সদাচারী, আতিথেয়তা ও বদান্যতায় তারা
অভ্যস্ত ৷
ইবন হিশাম আব্বাস ইবন মিরদাসের ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে একটি ঘটনা এভাবে উল্লেখ
করেছেন যে, তার পিতা মিরদাস একটি পাথরের মুর্তির পুজা করতো ৷ মুর্তিটির নাম ছিল যিমার ৷
মিরদাসের মৃত্যু সময় উপস্থিত হলে সে তার পুত্র আব্বাসকে ঐ মুর্তির ব্যাপারে যত্ন শীল থাকা র
উপদেশ দিয়ে যায় ৷ একদা আব্বাস মুর্তিটির সেবায় নিয়োজিত ছিলেন ৷ হঠাৎ মুর্তির পেটের মধ্য
থেকে বেরিয়ে আ ৷সা এক আওয়াজ তিনি শুনতে পান ৷ আওয়াজের মধ্যে নিম্নের কবিতাটি ছিল০ ং

ধ্ান্ড্রুপ্রুা৷ ৰুাঙ্


৬৮ ——

قَالَ: فَضَحِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: " اسْتَغْفِرِ اللَّهَ ". ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ عَلَى صَدْرِهِ، فَسَكَنَ قَلْبُهُ، فَكَانَ فَضَالَةُ يَقُولُ: وَاللَّهِ مَا رَفَعَ يَدَهُ عَنْ صَدْرِي حَتَّى مَا مِنْ خَلْقِ اللَّهِ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْهُ. قَالَ فَضَالَةُ: فَرَجَعْتُ إِلَى أَهْلِي، فَمَرَرْتُ بِامْرَأَةٍ كُنْتُ أَتَحَدَّثُ إِلَيْهَا فَقَالَتْ: هَلُمَّ إِلَى الْحَدِيثِ. فَقَالَ: لَا. وَانْبَعَثَ فَضَالَةُ يَقُولُ: قَالَتْ هَلُمَّ إِلَى الْحَدِيثِ فَقُلْتُ لَا ... يَأْبَى عَلَيْكِ اللَّهُ وَالْإِسْلَامُ أَوَمَا رَأَيْتِ مُحَمَّدًا وَقَبِيلَهُ ... بِالْفَتْحِ يَوْمَ تَكَسَّرُ الْأَصْنَامُ لَرَأَيْتِ دِينَ اللَّهِ أَضْحَى بَيِّنًا ... وَالشِّرْكَ يَغْشَى وَجْهَهُ الْإِظْلَامُ » قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ: «خَرَجَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ يُرِيدُ جُدَّةَ لِيَرْكَبَ مِنْهَا إِلَى الْيَمَنِ، فَقَالَ عُمَيْرُ بْنُ وَهْبٍ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، إِنَّ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ سَيِّدُ قَوْمِهِ، وَقَدْ خَرَجَ هَارِبًا مِنْكَ لِيَقْذِفَ نَفْسَهُ فِي الْبَحْرِ، فَأَمِّنْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْكَ. فَقَالَ: " هُوَ آمِنٌ ". فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَأَعْطِنِي آيَةً يَعْرِفُ بِهَا أَمَانَكَ. فَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِمَامَتَهُ الَّتِي دَخَلَ فِيهَا مَكَّةَ، فَخَرَجَ بِهَا عُمَيْرُ حَتَّى أَدْرَكَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يَرْكَبَ فِي الْبَحْرِ، فَقَالَ: يَا صَفْوَانُ، فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي، اللَّهَ اللَّهَ فِي نَفْسِكَ أَنْ تُهْلِكَهَا، هَذَا أَمَانٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ جِئْتُكَ بِهِ، قَالَ: وَيْلَكَ! اعْزُبْ عَنِّي فَلَا تُكَلِّمْنِي. قَالَ: أَيْ صَفْوَانُ، فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي،
পৃষ্ঠা - ৩৪৪৫

মোঃ

অর্থ : সুলায়ম গোত্রের সকল শাখা-গোত্রকে জানিয়ে দাও যে, যিমড়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে
এবং মসজিদবাসীরা জীবন লাভ করেছে ৷

মরিয়মের পুত্র (ঈসা (আ)-এর পর কুরায়শ গোত্রের যে ব্যক্তি নৃবুওয়ত ও হিদায়াতের
উত্তরাধিকারী হয়েছেন, তিনি সঠিক পথের উপর আছেন ৷

যিমার ধ্বংস হয়েছে অথচ নবী ঘুহান্মড়াদের নিকট কিতাব নাযিল হওয়ার পুর্বে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত
তার উপাসনা করা হয়েছে ৷

ইবন হিশাম বলেন, এরপর আব্বাস যিমার মুর্তিটি পুড়িয়ে ফেলেন নবী করীম (সা) এর
নিকট উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এ ঘটনা ইতিপুর্বে জিনদের অদৃশ্য আওয়াজ ও আকৃতি
পরিবর্তন সংক্রান্ত অধ্যায়ে বিস্তারিতভড়াবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সমস্ত প্রশংসা ও অনুগ্রহ
আল্লাহ্রই ৷

মক্কা বিজয়ের পর খালিদ ইবন ওয়ালীদকে বনু জুযায়মা ইবন কিনানার উদ্দেশেব্রু
প্রেরণ

ইবন ইসহাক বলেন, হাকীম ইবন হাকীম ইবন আববাদ ইবন হানীফ আমার নিকট আবুজাফর
মুহাম্মাদ ইবন আলী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, মক্কা বিজয় হয়ে গেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) খালিদ ইবন
ওলীদকে আল্লাহর পথে আহ্বানকারীরুপে প্রেরণ করেন; যোদ্ধা হিসেবে প্রেরণ করেননি ৷ তার
সাথে তখন সুলায়ম ইবন মনসুর, মুদলিজ ইবন মুর্রা প্রভৃতি আরব পােত্রসমুহও ছিল ৷ তারা
গিয়ে বনু জুযায়মা ইবন আমির ইবন অড়াবৃদ মানাত ইবন কিনানার উপর চড়াও হয় ৷ ঐ গোত্রের
লোকজন তাকে আসতে দেখে অস্ত্রধারণ করে ৷ তখন খালিদ বললাে, তোমরা অস্ত্র সংবরণ কর ৷

ইবন ইসহাক বলেন : বনু জুযায়মার কোন কোন বিজ্ঞ আলিম আমার নিকট বর্ণনা করেছেন,
খালিদ যখন আমাদেরকে অস্ত্র সংবরণের নির্দেশ দেয়, তখন আমাদের গোত্রের জাহ্দাম নামক
এক ব্যক্তি বলে উঠলাে : হে বনু জুযায়মা ! তোমাদের সর্বনাশ হবে, এ যে খালিদ ! আল্লাহ্র
কসম , অস্ত্র সংবরণ করলেই বন্দী হতে হবে ৷ আর বন্দী হওয়ার পরই তোমাদের গর্দান কাটা
হবে ৷ আল্লাহ্র কসম ! আমি কিছুতেই অস্ত্র সংবরণ করবো না ৷ তখন তার গোত্রের কিছু লোক
তাকে ধরে নিয়ে বললো , হে জাহ্দাম ! তুমি কি চাও, আমাদের রক্ত প্রবাহিত হোক ? লোকজন
ইসলাম গ্রহণ করেছে ৷ যুদ্ধ থেমে গেছে এবং মানুষ নিরাপদ হয়ে গেছে ৷ গোত্রের লোকজন
তাকে এ বিষয়ে পীড়াপীড়ি করতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত তার অস্ত্রপাতি কেড়ে নেয় এবং গোটা
সম্প্রদায় খালিদের কথামত অস্ত্র সংবরণ করে ৷ ইবন ইসহাক বলেন : হাকীম ইবন হাকীম আমার
নিকট আবু জাফর সুত্রে বর্ণনা করেন : যখন তারা অস্ত্র সংবরণ করলো তখন খালিদের নির্দেশে
তাদের বেধে ফেলা হলে৷ ৷ তারপরে তালায়ারের মুখে তাদের অনেককেই হতা৷ করা হল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট যখন এ সংবাদ পৌছল্যে, তখন তিনি তার হস্তদ্বয় আকাশের দিকে
উঠিয়ে বললেন :




أَفْضَلُ النَّاسِ وَأَبَرُّ النَّاسِ وَأَحْلَمُ النَّاسِ وَخَيْرُ النَّاسِ ابْنُ عَمِّكَ، عِزُّهُ عِزُّكَ وَشَرَفُهُ شَرَفُكَ وَمُلْكُهُ مُلْكُكَ. قَالَ: إِنِّي أَخَافُهُ عَلَى نَفْسِي. قَالَ: هُوَ أَحْلَمُ مِنْ ذَلِكَ وَأَكْرَمُ. فَرَجَعَ مَعَهُ حَتَّى وَقَفَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ صَفْوَانُ: إِنَّ هَذَا يَزْعُمُ أَنَّكَ قَدْ أَمَّنْتَنِي. قَالَ: " صَدَقَ " قَالَ: فَاجْعَلْنِي بِالْخِيَارِ فِيهِ شَهْرَيْنِ. قَالَ: " أَنْتَ بِالْخِيَارِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ» . ثُمَّ حَكَى ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ «أَنْ فَاخِتَةَ بَنَتَ الْوَلِيدِ امْرَأَةَ صَفْوَانَ، وَأُمَّ حَكِيمٍ بِنْتَ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ امْرَأَةَ عِكْرِمَةَ بْنِ أَبِي جَهْلٍ [أَسْلَمَتَا] وَقَدْ ذَهَبَتْ وَرَاءَهُ إِلَى الْيَمَنِ، فَاسْتَرْجَعَتْهُ فَأَسْلَمَ، فَلَمَّا أَسْلَمَا أَقَرَّهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَهُمَا بِالنِّكَاحِ الْأَوَّلِ.» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: رَمَى حَسَّانُ ابْنَ الزِّبَعْرَى وَهُوَ بِنَجْرَانَ بِبَيْتٍ وَاحِدٍ مَا زَادَ عَلَيْهِ: لَا تَعْدَمَنْ رَجُلًا أَحَلَّكَ بُغْضُهُ ... نَجْرَانَ فِي عَيْشٍ أَحَذَّ لَئِيمِ فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ الزِّبَعْرَى، خَرَجَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ، وَقَالَ حِينَ أَسْلَمَ: يَا رَسُولَ الْمَلِيكِ إِنَّ لِسَانِي ... رَاتِقٌ مَا فَتَقْتُ إِذْ أَنَا بُورُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৪৬

“হে আল্লাহ ! খালিদ ইবন ওয়ালীদ যা কিছু করেছে৩ তার সাথে আমি সম্পর্কহীনতা ঘোষণা
করছি” ৷

ইবন ইসহাক বলেন৪ আমার নিকট কো ন কো ন আলিম বর্ণনা করেছেন যে, গোত্রের এক
ব্যক্তি ছুটে এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ঘটনার বিবরণ জ ৷নালো ৷ র ৷সুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাকে জিজ্ঞেস
করলেন, কেউ কি খ৷ লিদকে এ কাজে বাধা দেয়নি ? ল্যেকটি বললো, হ্যা, দিয়েছে একজন ফর্সা
চেহারা বিশিষ্ট লোক বাধা দিয়েছিল ৷ কিন্তু খালিদ তাকে এক ধমক দিলে সে চুপ হয়ে যায় ৷
তাছাড়া আরও একজন দীর্ঘকায় লোকও তাকে কঠিনভাবে বাধা দেয় এবং উভয়ের মধ্যে৩ তীব্র
বাক-বিতডা হয় ৷ এ সময় উমার ইবন খাত্তাব বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লতু ! এদের মধ্যে প্রথমজন
আমার পুত্র আবদুল্লাহ, আর দ্বিতীয় জন আবুহুযায়ফার যুক্ত গোলাম সালিম ৷

ইবন ইসহাক বলেন৪ হাকীম ইবন হা ৷কীম আবু জাফর সুত্রে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন ৷
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু৩ তালিবকে ডেকে ন্থল্যলন্ ৷, হে আলী ! ভুমি ঐসব
সম্প্রদায়ের নিকট যাও এবং৩ ৷ তাদের বিষয়টিভ তালকরে দেখ ৷ তারপর তা ৷হিলী যুগের রীতি নীতিকে
তামার পদতলে মথিত কর ৷ আ ৷লী বের হয়ে গেলেন এবং৩ তাদের কাছে উপস্থিত হলেন ৷ তিনি
তার সাথে রাসুলুল্পাহ্ (সা) প্রদত্ত অর্থ-সস্পদও নিয়ে গেলেন ৷ তিনি ঐ অর্থ দ্বারা তাদের রক্তপণ
আদায় করলেন ও নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্পদের ক্ষতিপুরণ দিলেন ৷ এমন কি কুকুরের পানি খাওয়া
পাত্রের ক্ষতিপুরণ গোধ করলেন ৷৩ তাদের রক্তপণ ও মাসের ক্ষতিপুরণ দেওয়ার পরও তার হাতে
প্রচুর অর্থ অবশিষ্ট থেকে যায় ৷ তখন আলী (রা)৩ তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের আর কারও
রক্তপণ বা সম্পদের ক্ষতিপুরণ বাকী আছে কি ? ত ৷রা বললো , জী, না’ ৷ ৩ খন তিনি বললেন :
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দেয়া দায়িত্ব পালনে সতর্কতা স্বরুপ “এই অবশিষ্ট মালও আমি তােমাদেরকে
দিয়ে যাচ্ছি ৷” এ বিষয়টা তিনিও জানেন না, তােমরাও জান না ৷ তারপর তিনি সে রকমই করলেন
এবং কাজ শেষে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ফিরে এসে বিস্তারিতভাবে সবকিছু জানালেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ সাে) বললেন : মোঃ ৷ এ মোঃ ৷ তৃমি ঠিক করেছ এবং বেশ করেছ ৷ তারপর
রাসুলুল্লাহ্ (না) কিবলাঘুখী হয়ে দীড়ালেন এবং দু’হাত অনেক উধের্ব তুলে ধরলেন, এমন কি তীর
উভয় বগলের নীচের অং শ দেখা যাচ্ছিল ৷ আর তিনি তখন বলছিলেন “হে আল্লাহ ! খালিদ
ইবন ওয়ালীদ যে কান্ড করেছে৩ তা থেকে আপনার কাছে আমার সম্পর্কহীনতার কথা ঘোষণা
করছি ৷ এরুপ তিনি তিনবা ৷র বললেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : কেউ কেউ খালিদকে এ ব্যাপারে নির্দোষ মনে করেন ৷ তারা বলেন,
খালিদ এ কথা বলেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন হুযাফা সাহমী আমাকে না বলা পর্যন্ত আমি যুদ্ধে লিপ্ত
হইনি ৷ কেননা, আবদুল্লাহ ইবন হুযাফা আমাকে বলেছিল যে তারা যদি ইসলাম গ্রহণ করতে
অস্বীকার করে তবে তু তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে ৷ ইবন হিশাম বলেন আবু আমর মাদীনী
বলেছেন, খালিদ ইবন ওয়ালীদ ঐ সম্প্রদায়ের নিকট পৌছলে তারা বলেছিল আমরা ধর্মান্তরিত
হয়েছি ৷ আমরা ধর্মান্তরিত হয়েছি ৷ (অর্থাৎ সাবেয়ী গ্রহণ করেছি) ১ , এ বর্ণনাটি মুরসাল ও
যুনকাতি (সনদ বিচ্ছিন্ন) ৷

১ মুল কিতারের পাদটীকায় এর অর্থ দেয়৷ হয়েছে, “আমরা সাবেঈ ধর্মে প্রত্যাবর্তন করেছি ৷ সম্পাদক




إِذْ أُبَارِي الشَّيْطَانَ فِي سَنَنِ الْ ... غَيِّ وَمَنْ مَالَ مَيْلَهُ مَثْبُورُ آمَنَ اللَّحْمُ وَالْعِظَامُ لِرَبِّي ... ثُمَّ قَلْبِي الشَّهِيدُ أَنْتَ النَّذِيرُ إِنَّنِي عَنْكَ زَاجِرٌ ثَمَّ حَيًّا ... مِنْ لُؤَيٍّ وَكُلُّهُمْ مَغْرُورُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزِّبَعْرَى أَيْضًا حِينَ أَسْلَمَ: مَنَعَ الرُّقَادَ بَلَابِلٌ وَهُمُومُ ... وَاللَّيْلُ مُعْتَلِجُ الرِّوَاقِ بَهِيمُ مِمَّا أَتَانِي أَنَّ أَحْمَدَ لَامَنِي ... فِيهِ فَبِتُّ كَأَنَّنِي مَحْمُومُ يَا خَيْرَ مَنْ حَمَلَتْ عَلَى أَوْصَالِهَا ... عَيْرَانَةٌ سُرُحُ الْيَدَيْنِ غَشُومُ إِنِّي لَمُعْتَذِرٌ إِلَيْكَ مِنَ الَّذِي ... أَسْدَيْتُ إِذْ أَنَا فِي الضَّلَالِ أَهِيمُ أَيَّامَ تَأْمُرُنِي بِأَغْوَى خُطَّةٍ ... سَهْمٌ وَتَأْمُرَنِي بِهَا مَخْزُومُ وَأَمُدُّ أَسْبَابَ الرَّدَى وَيَقُودُنِي ... أَمْرُ الْغُوَاةِ وَأَمْرُهُمْ مَشْئُومُ فَالْيَوْمَ آمَنَ بِالنَّبِيِّ مُحَمَّدٍ ... قَلْبِي وَمُخْطِئُ هَذِهِ مَحْرُومُ مَضَتِ الْعَدَاوَةُ وَانْقَضَتْ أَسْبَابُهَا ... وَدَعَتْ أَوَاصِرُ بَيْنَنَا وَحُلُومُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৪৭
فَاغْفِرْ فِدًى لَكَ وَالِدَايَ كِلَاهُمَا ... زَلَلِي فَإِنَّكَ رَاحِمٌ مَرْحُومُ وَعَلَيْكَ مِنْ عِلْمِ الْمَلِيكِ عَلَامَةٌ ... نُورٌ أَغَرُّ وَخَاتَمٌ مَخْتُومُ أَعْطَاكَ بَعْدَ مَحَبَّةٍ بُرْهَانَهُ ... شَرَفًا وَبُرْهَانُ الْإِلَهِ عَظِيمُ وَلَقَدْ شَهِدْتُ بِأَنَّ دِينَكَ صَادِقٌ ... حَقٌّ وَأَنَّكَ فِي الْعِبَادِ جَسِيمُ وَاللَّهُ يَشْهَدُ أَنَّ أَحْمَدَ مُصْطَفًى ... مُسْتَقْبَلٌ فِي الصَّالِحِينَ كَرِيمُ قَرْمٌ عَلَا بُنْيَانُهُ مِنْ هَاشِمٍ ... فَرْعٌ تَمَكَّنَ فِي الذُّرَا وَأُرُومُ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَبَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ يُنْكِرُهَا لَهُ. قُلْتُ: كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزِّبَعْرَى السَّهْمِيُّ مِنْ أَكْبَرِ أَعْدَاءِ الْإِسْلَامِ، وَمِنَ الشُّعَرَاءِ الَّذِينَ اسْتَعْمَلُوا قُوَاهُمْ فِي هِجَاءِ الْمُسْلِمِينَ، ثُمَّ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْهِ بِالتَّوْبَةِ وَالْإِنَابَةِ وَالرُّجُوعِ إِلَى الْإِسْلَامِ وَالْقِيَامِ بِنَصْرِهِ وَالذَّبِّ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৩৪৪৮

ইমাম আহমদ বলেন : আমার নিকট আবদুর রাঘৃযাক আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খালিদ ইবন ওলীদকে আমার যতদুর মনে
পড়ে জুযায়মা গোত্রে প্রেরণ করেন ৷ তিনি সে গোত্রের লে ৷কজনকে ইসলাম গ্রহণ করার আহ্বান
জানান কিন্তু তারা স্পষ্টভাবে এ কথা বলেনি যে, আমরা ইসলাম গ্রহণ করলাম’ বরং তারা এ
কথা বলে যে, আমরা ধর্মান্তরিত হলাম ৷ আমরা ধর্মান্তরিত ৩হলাম ৷ ফলে খালিদ তাদেরকে বন্দী
ও হত্যা করার জন্যে পাকড়াও করেন ৷ ইবন উমর (রা ) বলেন, খালিদ আমাদের প্রত্যেকের কাছে
একজন করে বন্দীকে তুলে দেন ৷ পরের দিন সকাল বেলা আমাদের প্ৰতেককে নিজ নিজ
বব্দীকে হত্যা করার নির্দেশ দেন ৷ জবাবে আমি বললাম, আল্লাহর কলম আমি আমার বন্দীকে
হত্যা করবো না এবং আমার য ৷রা ভক্ত আছে তা ৷রাও কেউ৩ তাদের বন্দীবে হত্যা করবে না ৷ ইবন
উমার (রা) বলেন, এরপর সকলে নবী করীম (সা) এর কাছে ৷ফরে এসে খালিদের কর্মকাণ্ড
সবিস্তারেড় তাকে জানায় ৷ তখন নবী করীম (সা) দুহাত ৩উঠিয়ে দুআ করেন, : “হে আল্লাহ্ !
খালিদ যে কাজ করেছে৩ তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷ এ কথা টি রাসুলুল্লাহ্ (সা) দু বার
বলেন ৷ বুখারী ও নাসাঈ আবদুর রাবযাক সুত্রে, আবদুল্লাহ ইবন উমার (বা ) থেকে এ হাদীছঢি
অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন ০; খালিদ যখন তার কর্মকাণ্ড শুরু করেন, যে দৃশ্য
দেখে জাহ্দাম বলেছিল, ওহে বনী জ্বযায়মা ! লড়াই বৃথ৷ গেল, তোমরা এখন যে অবস্থায়
পড়েছ আমি পুর্বেই সে ব্যাপারে তােমাদেরকে সতর্ক করেছিলাম ৷

ইবন ইসহাক বলেন০ আমার নিকট এ স০ বাদ পৌছেছে যে, ঐ দিনের ঘটনার ব্যাপারে
খালিদ ও আবদুর রহমান ইবন আওফের মধ্যে কথা ক৷ ৷টাকাটি হয় ৷ আবদুর রহমান খালিদকে
বলেছিলেন, তুমি ইসলামের মধ্যে এসে একটা জাহিলী যুগের কাজ করলে ৷ জবাবে খালিদ
বলেন : আমি তোমার পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছি ৷ আবদুর রহমান বললেন, তুমি মিথ্যা
বলছে৷ ৷ আমার পিতার হত্যাকারীকে তো আমি হত্যা করেছি ৷ তুমি বরং তোমার চাচ৷ ফাকিহ
ইবন মুগীরার হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছে৷ ৷ এ বিতণ্ডা শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি
করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট যখন এ সংবাদ পৌছলাে তখন তিনি বললেন :

প্রু১
“ ধীরে , খালিদ ! ধীরে ৷ আমার সাহাবীদের ব্যাপারে সাবধান আল্লাহ্র কসম , যদি তোমার

কাছে উহুদ পরিমাণও স্বর্ণ থাকে, আর তা তুমি আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দাও, তা হলেও তুমি
আমার সাহাবীদের এক সকাল কিৎবা এক বিকালের পুণ্য লাভেও সমর্থ হবে না ৷ ”

তারপর ইবন ইসহাক খালিদ ও আবদুর রহমানের মধ্যকার দ্বরুন্দুর মুল ঘটনা উল্লেখ করেন ৷
তিনি বলেন ঘ্র তিন ব্যক্তি যথা : ( ১ ) খালিদ ইবন ওয়ালীদের চাচা ফাকিহ ইবন মুপীর৷ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন উমার ইবন মাখবুম, (২) আওফ ইবন আবদ আওফ ইবন আবদুল হারিছ ইবন
যুহ্রা ৷ আওফের সাথে তার পুত্র আবদুর রহমানও ছিল (৩) আফ্ফান ইবন আবুল আস ইবন
উমাইয়৷ ইবন আবদে শাম্স ৷ আফফানের সাথে তার পুত্র উছমানও ছিল ৷ উক্ত তিন ব্যক্তি


[مَا قِيلَ مِنَ الشِّعْرِ يَوْمَ الْفَتْحِ] فَصْلٌ مَا قِيلَ مِنَ الشِّعْرِ يَوْمَ الْفَتْحِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ جَمِيعُ مَنْ شَهِدَ فَتْحَ مَكَّةَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَشْرَةَ آلَافٍ، مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ سَبْعُمِائَةٍ، وَيَقُولُ بَعْضُهُمْ: أَلْفٌ. وَمِنْ بَنِي غِفَارٍ أَرْبَعُمِائَةٍ، وَمِنْ أَسْلَمَ أَرْبَعُمِائَةٍ، وَمِنْ مُزَيْنَةَ أَلْفٌ وَثَلَاثَةُ نَفَرٍ، وَسَائِرُهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ وَالْأَنْصَارِ وَحُلَفَائِهِمْ وَطَوَائِفِ الْعَرَبِ مِنْ تَمِيمٍ وَقَيْسٍ وَأَسَدٍ. وَقَالَ عُرْوَةُ وَالزُّهْرِيُّ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: كَانَ الْمُسْلِمُونَ يَوْمَ الْفَتْحِ الَّذِينَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِمَّا قِيلَ مِنَ الشِّعْرِ فِي يَوْمِ الْفَتْحِ قَوْلُ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ عَفَتْ ذَاتُ الْأَصَابِعِ فَالْجِوَاءُ ... إِلَى عَذْرَاءَ مَنْزِلُهَا خَلَاءُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৪৯
دِيَارٌ مِنْ بَنِي الْحَسْحَاسِ قَفْرٌ ... تُعَفِّيهَا الرَّوَامِسُ وَالسَّمَاءُ وَكَانَتْ لَا يَزَالُ بِهَا أَنِيسٌ ... خِلَالَ مُرُوجِهَا نَعَمٌ وَشَاءُ فَدَعْ هَذَا وَلَكِنْ مَنْ لِطَيْفٍ ... يُؤَرِّقُنِي إِذَا ذَهَبَ الْعِشَاءُ لِشَعْثَاءَ الَّتِي قَدْ تَيَّمَتْهُ ... فَلَيْسَ لِقَلْبِهِ مِنْهَا شِفَاءُ كَأَنَّ خَبِيئَةً مِنْ بَيْتِ رَأْسٍ ... يَكُونُ مِزَاجَهَا عَسَلٌ وَمَاءُ إِذَا مَا الْأَشْرِبَاتُ ذُكِرْنَ يَوْمًا ... فَهُنَّ لَطَيِّبِ الرَّاحِ الْفِدَاءُ نُوَلِّيهَا الْمَلَامَةَ إِنْ أَلَمْنَا ... إِذَا مَا كَانَ مَغْثٌ أَوْ لِحَاءُ وَنَشْرَبُهَا فَتَتْرُكُنَا مُلُوكًا ... وَأُسْدًا مَا يُنَهْنِهُنَا اللِّقَاءُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৫০

বাণিজের উদ্দেশ্যে ইয়ামানে গমন করে ৷ বাণিজ্য শেষে তার৷ দেশের দিকে প্রত্যাবর্তন করে ৷
বনু জুযায়মার এক ব্যক্তি ইয়ামড়ানেগ্ গিয়ে মারা যায় ৷ তার মালামাল ওয়াবিছদেব নিকট পৌছে
দেওয়া র জন্যে ঐ তিন জন সাথে করে নিয়ে আসে ৷ত তারা মান নিয়ে জুযায়মা গোত্রে পৌছলে ঐ
মৃত ব্যক্তির ওয়া ৷রিছদের নিকট অর্পণ ৷করার পুর্বেই একই গোত্রের খ৷ লিদ ইবন হিশাম নামের এক
ব্যক্তি উক্ত মালামালের দাবী করে ৷ কিন্তু তারা তাকে মাল দিতে অস্বীকার করে ৷ ফলে উভয়ের
মধ্যে সংঘর্ষ ৰ্বাধে ৷ সংঘর্ষে আওফ ও ফাকিহ নিহত হয় এবং তাদের দৃ’জনের অর্থ-সম্পদ ও
তারা লুট করে নিয়ে যায় ৷ আওফের পুত্র আবদুর রহমান তার পিতার ঘাতক খালিদ ইবন
হিশামকে হত্যা করেত তার প্রতিশোধ নেন ৷ আফ্ফান ও তার পুত্র উছমান প্রাণে বেচে যান এবং
পালিয়ে মক্কায় চলে আসেন ৷ কুরায়শরা এ ঘটনা ৷র প্রতিশে ৷ ধ নেয়ার জন্যে বনু জুযায়মা র বিরুদ্ধে
যুদ্ধের পরিকল্পনা করে ৷ বনু জুযায়মা কুরায়শদের নিকট এই মর্মে ওযর পেশ করে সংবাদ পাঠায়
যে, আমাদের গোটা গোত্র ও নেতৃবৃন্দ তোমাদের লোকদের সংগে সংঘর্ষ ৰ্বাধায়নি ৷ তারা নিহত
দৃ’কুরায়শীর বক্তপণ পরিশোধ করে এবং তাদের অর্থসম্পদও ফিরিয়ে দেয় ৷ এভাবে একটি
ঘনায়মান যুদ্ধের অবসান ঘটে ৷

এ কারণেই খালিদ ইবন ওয়ালীদ আবদুর রহমান ইবন আওফকে বলেছিলেন, তোমার
পিতাকে বনু জুযায়মা হত্যা করেছিল, আজ আ ৷মি সেই হত আর প্ৰতিশোধ নিলাম ৷ আর আবদুর
রহমান তার জবাবে বলেছিলেন, আমার পিতার হত্যার প্রতিশোধ আমিই নিয়েছি এবং পিতার
ঘাতককে আমিই হত্যা করেছি ৷ খালিদ ইবন ওয়ালীদের দাবির প্রতিবাদ করে আবদুর রহমান
বলেন যে, সেতাে তার চাচা ফাকিহ ইবন মুগীরার হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছে ৷ কেননা, বনু
জুযায়মা তার চাচাকে হত্যা করে ও মালামাল কেড়ে নেয় ৷

বন্তুতপক্ষে খালিদ ও আবদুর রহমান প্রকৃত ব্রকেই নিজ নিজ ধারণার সঠিক ছিলেন ৷ তর্কের
ক্ষেত্রে এ জা ৷ভীয় বক্তব্য স্বাভাবিক ৷ কেননা, এ যুদ্ধে খালিদের উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের ও
মুসলমানদের সাহায্য করা যদিও তার ঐ পদক্ষেপটি ছিল ভ্যুন ৷ এ ছাড়া খালিদ মনে করেছিলেন
যে, বনুজুযায়মার৷ “ধমা ম্ভরিত হয়েছি ৷ ধর্মান্তরিত হয়েছি” (াএ্া১ ৷এ্) বলে ইসলামকে
হেয় প্রতিপন্ন করছে ৷ এ কথার দ্বারা তার৷ ইসলাম গ্রহণ করেছে, খালিদ তা বুঝতে পারেন নি ৷
সে কারণে তিনি তাদের বিপুল সং খ্যক লোককে হত্যা করেন এর০ অবশিষ্টদের বন্দী করেন ৷
আবার বন্দী ৷দেব মধ্যে বেশীরভাগকে পরে হত্যা করে ফেলেন ৷ এতদৃসত্বেও বাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে সেনাধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণ করেননি ,বরং পরবর্তী অভিযানের জন্যেও তাকে এ
পদেই বহাল রাখেন ৷ অবশ্য তার এ তৎপরতার জন্যেও তিনি তা ৷ল্লাহ্র নিকট নিজের দায়িত্ব মুক্তির
কথা ব্যক্ত করেন ৷ অপর দিকে ত ৷র ভুলের জন্যে রক্তপণ ও আর্থিক ক্ষতিপুরণ প্রদান করেন ৷
রাষ্ট্র প্রধান বা সেনা প্রধানের ভুলের ক্ষতিপুরণ তার নিজের অর্থ থেকে যাবে না, বায়তৃল-মাল
থেকে দেওয়া হবে ৷ এ ব্যাপাঝেউলামাদেব এক অ০ শের মত হল বায়তুল সাল থেকে দেওয়া
হবে ৷ খালিদের উপরোক্ত ঘটনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) কত র্তৃক ক্ষতিপুরণ আদায় করা ঐ সব আলিমের
মতের পক্ষে বলিষ্ঠ দলীল ৷ রিদ্দার যুদ্ধে খালিদ ইবন ওয়ালীদ মালিক ইবন নুওয়ায়রাকে হত্যা
করে তার শ্রী উম্মে তামীমকে নিজে গ্রহণ করলে উমার ইবন খাত্তাব (রা) খলীফ৷ আবু বকর


عَدِمْنَا خَيْلَنَا إِنْ لَمْ تَرَوْهَا ... تُثِيرُ النَّقْعَ مَوْعِدُهَا كَدَاءُ يُنَازِعْنَ الْأَعِنَّةَ مُصْغِيَاتٍ ... عَلَى أَكْتَافِهَا الْأَسَلُ الظِّمَاءُ تَظَلُّ جِيَادُنَا مُتَمَطِّرَاتٍ ... يُلَطِّمُهُنَّ بِالْخُمُرِ النِّسَاءُ فَإِمَّا تُعْرِضُوا عَنَّا اعْتَمَرْنَا ... وَكَانَ الْفَتْحُ وَانْكَشَفَ الْغِطَاءُ وَإِلَّا فَاصْبِرُوا لِجَلَادِ يَوْمٍ ... يُعِزُّ اللَّهُ فِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَجِبْرِيلٌ رَسُولُ اللَّهِ فِينَا ... وَرُوحُ الْقُدْسِ لَيْسَ لَهُ كِفَاءُ وَقَالَ اللَّهُ قَدْ أَرْسَلْتُ عَبْدًا ... يَقُولُ الْحَقَ إِنْ نَفَعَ الْبَلَاءُ شَهِدْتُ بِهِ فَقُومُوا صَدِّقُوهُ ... فَقُلْتُمْ لَا نَقُومُ وَلَا نَشَاءُ وَقَالَ اللَّهُ قَدْ سَيَّرْتُ جُنْدًا ... هُمُ الْأَنْصَارُ عُرْضَتُهَا اللِّقَاءُ لَنَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مِنْ مَعَدٍّ ... سِبَابٌ أَوْ قِتَالٌ أَوْ هِجَاءُ فَنُحْكِمُ بِالْقَوَافِي مَنْ هَجَانَا ... وَنَضْرِبُ حِينَ تَخْتَلِطُ الدِّمَاءُ أَلَا أَبْلِغْ أَبَا سُفْيَانَ عَنِّي ... مُغَلْغَلَةً. فَقَدْ بَرِحَ الْخَفَاءُ بِأَنَّ سُيُوفَنَا تَرَكَتْكَ عَبْدًا ... وَعَبْدَ الدَّارِ سَادَتُهَا الْإِمَاءُ هَجَوْتَ مُحَمَّدًا فَأَجَبْتُ عَنْهُ ... وَعِنْدَ اللَّهِ فِي ذَاكَ الْجَزَاءُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৫১
أَتَهْجُوهُ وَلَسْتَ لَهُ بِكُفْءٍ ... فَشَرُّكُمَا لِخَيْرِكُمَا الْفِدَاءُ هَجَوْتَ مُبَارَكًا بَرًّا حَنِيفًا ... أَمِينَ اللَّهِ شَيْمَتُهُ الْوَفَاءُ أَمَنْ يَهْجُو رَسُولَ اللَّهِ مِنْكُمْ ... وَيَمْدَحُهُ وَيَنْصُرُهُ سَوَاءُ فِإِنَّ أَبِي وَوَالِدَهُ وَعِرْضِي ... لِعِرْضِ مُحَمَّدٍ مِنْكُمْ وِقَاءُ لِسَانِي صَارِمٌ لَا عَيْبَ فِيهِ ... وَبَحْرِي لَا تُكَدِّرُهُ الدِّلَاءُ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: قَالَهَا حَسَّانُ قَبْلَ الْفَتْحِ. قُلْتُ: وَالَّذِي قَالَهُ مُتَوَجِّهٌ، لِمَا فِي أَثْنَاءِ هَذِهِ الْقَصِيدَةِ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ، وَأَبُو سُفْيَانَ الْمَذْكُورُ فِي الْبَيْتِ هُوَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَبَلَغَنِي عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ: «لَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النِّسَاءَ يُلَطِّمْنَ الْخَيْلَ بِالْخُمُرِ، تَبَسَّمَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ أَنَسُ بْنُ زُنَيْمٍ الدُّئِلِيُّ، يَعْتَذِرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا كَانَ قَالَ فِيهِمْ عَمْرُو بْنُ سَالِمٍ الْخُزَاعِيُّ - يَعْنِي لَمَّا جَاءَ يَسْتَنْصِرُ عَلَيْهِمْ، كَمَا تَقَدَّمَ -: أَأَنْتَ الَّذِي تُهْدَى مَعَدٌّ بِأَمْرِهِ ... بَلِ اللَّهُ يَهْدِيهِمْ وَقَالَ لَكَ اشْهَدِ وَمَا حَمَلَتْ مِنْ نَاقَةٍ فَوْقَ رَحْلِهَا ... أَبَرَّ وَأَوْفَى ذِمَّةً مِنْ مُحَمَّدِ
পৃষ্ঠা - ৩৪৫২

সিদ্দীক (বা) এর নিকট খ৷ লিদের অপসারণ দ বি করেন এবং বলেন৪ ৷দ্বুগ্র থ্রেপ্রু ঙ্;, ৷
-ত ৷র তরবাবির মধ্যে যুলুম আছে ৷ কিন্তু খলীফা আবুবকর (রা) তাকে অপসারণ করেননি এবং
বলেন০ : ৰু, হ্রস্পে ৷ শু ৫ ৰু৷ ৷ এ এে ৷ ১া — যে তরবারি আল্লাহ্ মুশরিকদের
উপর কােষমুক্ত করেছেন, সে৩ তরবারি অ ৷মি কোষবদ্ধ করবো না ৷
ইবন ইসহাক বলেনং : আমা র নিকট ইয়া কুব ইবন উতবা ইবন মুগীরা ইবন আখনাস যুহরীর

সুত্রে ইবন আবু হাদরাদ আসলামী থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, একদা আমি খালিদ ইবন
ওয়ালীদের অশ্বারোহী বাহিনীর মধ্যে ছিলাম ৷ তখন আমার সমবয়সী বনু জুযায়মার এক যুবক-
যার হাত দু’পাছি রশি দিয়ে ঘাড়ের সাথে বাধা এবং তার থেকে তার দ্রেই কতিপয় মহিলা
সমবেত, এ অবস্থায় সে আমাকে সম্বোধন করে বললো : ওহে যুবক ৷ ন্ভ্রা৷মি বললাম, তুমি কি
চাও ? সে বললো, তুমি কি এই রশি ধরে আমাকে ঐ মহিলাদের কাছে নিয়ে যেতে পার ? তাদের
কাছে আমার কিছু প্রয়োজন আছে ৷ প্রয়োজন শেষে তুমি আবার ৰু মামাকে ফিরিয়ে আনবে ৷
তারপরে তোমাদের যা মনে চ ৷য় ৷তাই করবে ৷ আ ৷মি বললাম, আল্লাহ্র কলম, তৃমি যা চা ৷৷৩ইছো

তা একেবারে মামুলী ব্যাপার ৷ এরপর আমি রশি ধরে৩ তাকে নিয়ে গেলাম এব০ মহিলাদের
সামনে হাযির করলাম ৷ যে সেখানে দ৷ ৷ড়িয়ে বললো :


“আমার জীবনের শেষ প্রান্তে দা ৷ড়িয়ে তুমি শা ৷স্তিতে থ৷ ৷ক হে হুবায়শ ৷”

;:প্রুওা৷,া৷এ প্রুস্পে৷ হুব্লুৰুা৷ ;fl:: ড্রু ন্নুা: ট্রুাৰুন্১ ০ ;,৷ ৰুত্রু গু৷ ছুা , ণ্এ্ ৷
স্ট্ট
এএএে
এট্ট ৷ ,
ড্রুপ্রুট্রু০ ৷ৰু ৷ ট্রু,প্রুদ্বুন্ ;, ৷ ১৷ ৷াপ্রু৷ ৷ ন্; র্দুা £এে :স্পো ৷ প্লুাএ্ধ্রু০ ৷ ঞন্ন্
অর্থং (হায়রে হুবায়শ !)তু মি কি লক্ষ্য করনি, অ মি যখনই৫ আমাদেরকে খুজেছি, তখনই

পেয়েছি হয় হিলিয়ায়, না হয় পেয়েছি খাওয়ানিকে ৷

ঐ প্রেমিক কি কিছু পাওয়ার যোগ্য হয়নি, যে অন্ধকার রাত্রে ও প্রচন্ড গরমে সফরের কষ্ট
বরণ করেছে ?

আমার কোন অপরাধ নেই ৷ কেননা আমার লোকজন যখন একত্রে ছিল, তখন আমি
বলেছিলাম কোন একটা বিপদ ঘটার আগেই তুমি প্রেমের বদলা দাও ৷

আমি আরও বলেছিলাম আমাকে তুমি তা ৷৷লবাস র বিনিময় দাও, দুর্যোগ এসে দুরত্ব সৃষ্টি
ক ৷র আগেই ৷ কেননা, বিরহী বন্ধুর কারণে নিজ পরিবারের কর্তাও দুরে চলে যায় ৷

কেননা, আমি গোপন আমানত ফীস করে দিয়ে খিয়ানত করিনি ৷ আর তোমার পরে আর

কান সুন্দরীকে আমার চক্ষু( তোমার চেয়ে আকর্ষণীয় পায়নি ৷


أَحَثَّ عَلَى خَيْرٍ وَأَسْبَغَ نَائِلًا ... إِذَا رَاحَ كَالسَّيْفِ الصَّقِيلِ الْمُهَنَّدِ وَأَكْسَى لِبُرْدِ الْخَالِ قَبْلَ ابْتِذَالِهِ ... وَأَعْطَى لِرَأْسِ السَّابِقِ الْمُتَجَرِّدِ تَعَلَّمْ رَسُولَ اللَّهِ أَنَّكَ مُدْرِكِي ... وَأَنْ وَعِيدًا مِنْكَ كَالْأَخْذِ بِالْيَدِ تَعَلَّمْ رَسُولَ اللَّهِ أَنَّكَ قَادِرٌ ... عَلَى كُلِّ صِرْمٍ مُتْهِمِينَ وَمُنْجِدِ تَعَلَّمْ بِأَنَّ الرَّكْبَ رَكْبَ عُوَيْمِرٍ ... هُمُ الْكَاذِبُونَ الْمُخْلِفُو كُلِّ مَوْعِدِ وَنَبَّوْا رَسُولَ اللَّهِ أَنِّي هَجَوْتُهُ ... فَلَا حَمَلَتْ سَوْطِي إِلَيَّ إِذَنْ يَدِي سِوَى أَنَّنِي قَدْ قُلْتُ وَيْلُ امِّ فِتْيَةٍ ... أُصِيبُوا بِنَحْسٍ لَا بِطَلْقٍ وَأَسْعُدِ أَصَابَهُمُ مَنْ لَمْ يَكُنْ لِدِمَائِهِمْ ... كِفَاءً فَعَزَّتْ عَبْرَتِي وَتَبَلُّدِي وَإِنَّكَ قَدْ أَخْفَرْتَ إِنْ كُنْتَ سَاعِيًا ... بِعَبْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنَةِ مَهْوَدِ
পৃষ্ঠা - ৩৪৫৩
ذُؤَيْبٌ وَكُلْثُومٌ وَسَلْمَى تَتَابَعُوا ... جَمِيعًا فَإِنْ لَا تَدْمَعِ الْعَيْنُ أَكْمَدِ وَسَلْمَى وَسَلْمَى لَيْسَ حَيٌّ كَمِثْلِهِ ... وَإِخْوَتُهُ وَهَلْ مُلُوكٌ كَأَعْبُدِ فَإِنِّيَ لَا دِينًا فَتَقْتُ وَلَا دَمًا ... هَرَقْتُ تَبَيَّنْ عَالِمَ الْحَقِّ وَاقْصِدِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ بُجَيْرُ بْنُ زُهَيْرِ بْنِ أَبِي سُلْمَى فِي يَوْمِ الْفَتْحِ: نَفَى أَهْلَ الْحَبَلَّقِ كُلَّ فَجٍّ ... مُزَيْنَةُ غُدْوَةً وَبَنُو خُفَافِ ضَرَبْنَاهُمْ بِمَكَةَ يَوْمَ فَتْحِ النَّ ... بِيِّ الْخَيْرِ بِالْبِيضِ الْخِفَافِ صَبَحْنَاهُمْ بِسَبْعٍ مِنْ سُلَيْمٍ ... وَأَلْفٍ مِنْ بَنِي عُثْمَانَ وَافِ نَطَأْ أَكْتَافَهُمْ ضَرْبًا وَطَعْنًا ... وَرَشْقًا بِالْمُرَيَّشَةِ اللِّطَافِ تَرَى بَيْنَ الْصُفُوفِ لَهَا حَفَيْفًا ... كَمَا انْصَاعَ الْفُوَاقُ مِنَ الرِّصَافِ فَرُحْنَا وَالْجِيَادُ تَجُولُ فِيهِمْ ... بِأَرْمَاحٍ مُقَوَّمَةِ الثِّقَافِ فَأُبْنَا غَانِمِينَ بِمَا اشْتَهَيْنَا ... وَآبُوا نَادِمِينَ عَلَى الْخِلَافِ
পৃষ্ঠা - ৩৪৫৪
وَأَعْطَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ مِنَّا ... مَوَاثِقَنَا عَلَى حُسْنِ التَّصَافِي وَقَدْ سَمِعُوا مَقَالَتَنَا فَهَمُّوا ... غَدَاةَ الرَّوْعِ مِنَّا بِانْصِرَافِ وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَالَ عَبَّاسُ بْنُ مِرْدَاسٍ السُّلَمِيُّ فِي فَتْحِ مَكَّةَ: مِنَّا بِمَكْةَ يَوْمَ فَتْحِ مُحَمَّدٍ ... أَلْفٌ تَسِيلُ بِهِ الْبِطَاحُ مُسَوَّمُ نَصَرُوا الرَّسُولَ وَشَاهَدُوا آيَاتِهِ ... وَشِعَارُهُمْ يَوْمَ اللِّقَاءِ مُقَدَّمُ فِي مَنْزِلٍ ثَبَتَتْ بِهِ أَقْدَامُهُمْ ... ضَنْكٍ كَأَنَّ الْهَامَ فِيهِ الْحَنْتَمُ جَرَّتْ سَنَابِكَهَا بِنَجْدٍ قَبْلَهَا ... حَتَّى اسْتَقَامَ لَهَا الْحِجَازُ الْأَدْهَمُ اللَّهُ مَكَّنَهُ لَهُ وَأَذَلَّهُ ... حُكْمُ السُّيُوفِ لَنَا وَجَدٌّ مِزْحَمُ عَوْدُ الرِّيَاسَةِ شَامِخٌ عِرْنِينُهُ ... مُتَطَلِّعٌ ثُغَرَ الْمَكَارِمِ خِضْرِمُ وَذَكَرَ ابْنُ هِشَامٍ فِي سَبَبِ إِسْلَامِ عَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ، أَنَّ أَبَاهُ كَانَ يَعْبُدُ صَنَمًا مِنْ حِجَارَةٍ يُقَالُ لَهُ: ضِمَارٌ. فَلَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ أَوْصَاهُ بِهِ، فَبَيْنَمَا هُوَ
পৃষ্ঠা - ৩৪৫৫

তবে সমাজ সম্প্রদায়ের কারণে ভালবাসার কখনও বা সাময়িকভাবে ডাটা পড়তে পারে ৷ তবে
উভয় দিক থেকে ভালবাসা থাকলে কোন অসুবিধা হয় না ৷

কবিতা শোনার পর মহিলাটি বললোং আমি ৫৩ তা মাঝে মাঝে বিরতিসহ উনিশ বছর এবং
বিরতিহীনভা ৷৫ব আট বছর যাবত তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি ৷ আবু হাদরাদ বলেন, আমি
৫লাকটিকে সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলাম ও৩ার গর্দান উড়িয়ে দিলাম ৷

ইবন ইসহাক বলেনং আবু ফারাস ইবন আবু সুনৃবুল৷ আসলাযী ব্ওর কতিপয় প্রত্যক্ষদর্শী
শায়খের উদ্ধৃতি ৩দিয়ে আমার নিকট বর্ণনা করেন, ঐ যুবকটির পর্দা ন যখন উড়িয়ে দেয়৷ হচ্ছিল,
তখন তার সেই প্রেমিকা সেখানে দ৷ ৷ড়ি৫য় তা’ প্রত্যক্ষ করছিল ৷ তারপর সে তার ৫প্ৰমি৫কর উপর
উপুড় হয়ে পড়ে এবং তাকে চুম্বন করতে করতে সেও সেখানে প্রাণ বিসর্জন দেয় ৷ হাফিয
বায়হাকী হুমায়দী সুত্রে — ইসাম মুযায়নী থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না)
কোন অভিযানে সৈন্য প্রেবণকা৫ল উপদেশ দিতেন যে, কোথাও ৷ৰুপ্কান মসজিদ দেখলে কিৎবা
কোন যুয়ায্যিনের আযান শুনতে পেলে তথাকার কাউ৫কও হত্যা করবে না ৷ একবা৫রর ঘটনা ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে এক অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ যাত্রাকালে তিনি আমাদেরকে অনুরুপ
নির্দেশ দিলেন ৷ আমরা তিহামা ৷ব দি৫ক৷ য ৷ত্রা করলাম ৷ পথিমধ্যে দেখলাম একজন পুরুষ একটি
মহিলা কা৫ফলার পশ্চাতে ৩ছুটছে ৷ আমরা তাকে ডেকে বললাম, ও৫হ, ইসলাম গ্রহণ কর ! সে
বললো, ইসলাম কী ? আমরা তাকে ইসলামের ব্যাখ্যা জানালে ৫স৩ তা ৷বুঝতে ব্যর্থ হলো ৷ যে
আমাদের কাছে জিজ্ঞেস করলো ৷ ৫৩ামর৷ যা কর, আমি যদি৩ ৷ ৷ন৷ করি ৫তব আমার কী হবে ?
আমরা বললাম, তা হলে আমরা তোমাকে হত্যা করবো ৷ তখন সে বললো, আমাকে ঐ মহিলা
কা৫ফলার সাথে মিলিত হওয়ার এবন্টু অবকাশ দেবেন কি ? আমরা বললাম, হীা, তোমাকে
অবকাশ দেওয়া হলো ৷ তবে তুমি যেতে থাক ৷ আমরাও তোমার কাছে আসছি ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, ৫লাকটি যেতে ৫য৫ত মহিলা কা৫ফলার নাগাল ৫পল ৷ সেত তাদের একজনকে উদ্দেশ্য
করে বললো : তুমি সু৫খ থাক, আমার
আবু ফুরিয়ে যাওয়ার পুর্বে ৷ অপরজন বললো , বিরতিসহ উনিশ বছর এবং বিরতিহীন আট বছর
(এর প্রেম বিনিময় নিয়ে) তুমিও শান্তি৫ত থাক ৷ বংনািকারী এরপর উপরোল্লিখিত কবিতা চোৰুগ্লু
এ এ৫১;৷ ৷ ষ্ ন্ন্ন্ ন্া৷ , ১৷ ৷ পর্যন্ত উল্লেখ করলেন ৷ এরপর ৫লাকটি সেখান থেকে ফিরে
এসে আমাদেরকে বললোং : এবার তোমাদের যা ইচ্ছা ৷করতে পার ৷ আমরা তখন অগ্রসর হয়ে
তার গর্দান উড়িয়ে দিলাম ৷ এ সময় ঐ মহিলাটিার হাওদ৷ থেকে বেরিয়ে এসে ৫লাকটির
দেহের উপর উপুড় হয়ে পড়লো এবং এ অবস্থায়ই৩ ৷ তার মৃত্যু হয়ে গেল ৷ এরপর ইমাম বায়হাকী
আবুআবদৃর রহমান নাসাঈ সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) একবার এক অভিযানে একটি ক্ষুদ্র সেনর্দুাদল প্রেরণ করেন ৷ সে অভিযানে তারা প্রচুর
পনীমত লাভ করেন ৷ আটককৃত বন্দীদের মধ্যে এমন একজন লোক ছিল , যে মুসলিম সৈন্যদের
নিকট নিবেদন করলো, আমি তোমাদের শত্রুপক্ষের লোক নই ৷ আমি এখানকার এক মহিলা৫ক
ভালবাসি৩ ৷৩ার সাথে মিলিত হওয়া র উদ্দেশ্যে এখানে এসেছি ৷ সুতরাং আমাকে একটু অবকাশ
দাও, আমি তাকে শেষ বারের মত একটি বার দেখে আমি ৷ তারপরে তোমাদের যা মনে চায় তা


يَوْمًا يَخْدِمُهُ إِذْ سَمِعَ صَوْتًا مِنْ جَوْفِهِ وَهُوَ يَقُولُ: قُلْ لِلْقَبَائِلِ مِنْ سُلَيْمٍ كُلِّهَا ... أَوْدَى ضِمَارُ وَعَاشَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ إِنَّ الَّذِي وَرِثَ النُّبُوَّةَ وَالْهُدَى ... بَعْدَ ابْنِ مَرْيَمَ مِنْ قُرَيْشٍ مُهْتَدِي أَوْدَى ضِمَارُ وَكَانَ يُعْبَدُ مَرَّةً ... قَبْلَ الْكِتَابِ إِلَى النَّبِيِّ مُحَمَّدِ قَالَ: فَحَرَّقَ عَبَّاسٌ ضِمَارًا، ثُمَّ لَحِقَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ. وَقَدْ تَقَدَّمَتْ هَذِهِ الْقِصَّةُ بِكَمَالِهَا فِي بَابِ هَوَاتِفِ الْجَانِّ، مَعَ أَمْثَالِهَا وَأَشْكَالِهَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ৩৪৫৬
[بَعْثَةُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ بَعْدَ الْفَتْحِ] بَعْثُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ بَعْدَ الْفَتْحِ إِلَى بَنِي جَذِيمَةَ مِنْ كِنَانَةَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي حَكِيمُ بْنُ حَكِيمِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ حِينَ افْتَتَحَ مَكَّةَ دَاعِيًا، وَلَمْ يَبْعَثْهُ مُقَاتِلًا، وَمَعَهُ قَبَائِلُ مِنَ الْعَرَبِ، سُلَيْمُ بْنُ مَنْصُورِ وَمُدْلِجُ بْنُ مُرَّةَ، فَوَطِئُوا بَنِي جَذِيمَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ كِنَانَةَ، فَلَمَّا رَآهُ الْقَوْمُ أَخَذُوا السِّلَاحَ، فَقَالَ خَالِدٌ: ضَعُوا السِّلَاحَ، فَإِنَّ النَّاسَ قَدْ أَسْلَمُوا» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مَنْ بَنِي جَذِيمَةَ قَالَ: لَمَّا أَمَرَنَا خَالِدٌ أَنْ نَضَعَ السِّلَاحَ، قَالَ رَجُلٌ مِنَّا - يُقَالُ لَهُ: جَحْدَمٌ -: وَيَلَكُمُ يَا بَنِي جَذِيمَةَ، إِنَّهُ خَالِدٌ، وَاللَّهِ مَا بَعْدَ وَضْعِ السِّلَاحِ إِلَّا الْإِسَارُ، وَمَا بَعْدَ الْإِسَارِ إِلَّا ضَرْبُ الْأَعْنَاقِ، وَاللَّهِ لَا أَضَعُ سِلَاحِي أَبَدًا. قَالَ: فَأَخَذَهُ رِجَالٌ مِنْ قَوْمِهِ، فَقَالُوا: يَا جَحْدَمٌ، أَتُرِيدُ أَنْ تَسْفِكَ دِمَاءَنَا؟ إِنَّ النَّاسَ قَدْ أَسْلَمُوا
পৃষ্ঠা - ৩৪৫৭

করো ৷ বর্ণনাকারী বলেন, দেখা গেল লোকটি গিয়ে এক দীর্ঘকায় সুন্দরী মহিলাকে উদ্দেশ্য করে
বলছে : ওহে হুবায়শ ! “তুমি শাস্তিতে থাক, আমার আয়ু শেষ হওয়ার পুর্বে ৷ ” এরপর সে এ
জাতীয় অর্থবােধক কবিতার দু’টি পংক্তি আবৃত্তি করলো ৷ তখন মহিলাটি তার জবাবে বললো :
হীড়া , আমি তো তোমাকে আমার জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছি ৷ এরপর মুসলিম সেনারা তার নিকট
এগিয়ে গিয়ে তার গর্দান উড়িয়ে দিল ৷ তখন মহিলাটি দৌড়ে এসে নিহত লোকটির উপর উপুড়
হয়ে পড়লাে এবং একবার অথবা দুবায় চিৎকার ধ্বনি দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লাে ৷ অভিযান
শেষে মুসলিম সেনাগণ ফিরে এসে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট এ ঘটনা ব্যক্ত করলে তিনি
বললেন : তোমাদের মধ্যে কি একজন দয়ার্দ্র হৃদয় লোকও নেই ?”


وَوُضِعَتِ الْحَرْبُ، وَأَمِنَ النَّاسُ. فَلَمْ يَزَالُوا بِهِ حَتَّى نَزَعُوا سِلَاحَهُ، وَوَضَعَ الْقَوْمُ سِلَاحَهُمْ لِقَوْلِ خَالِدٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي حَكِيمُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ قَالَ: «فَلَمَّا وَضَعُوا السِّلَاحَ أَمَرَ بِهِمْ خَالِدٌ عِنْدَ ذَلِكَ، فَكُتِفُوا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى السَّيْفِ، فَقَتَلَ مَنْ قَتَلَ مِنْهُمْ، فَلَمَّا انْتَهَى الْخَبَرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ» . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: حَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ «انْفَلَتَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَلْ أَنْكَرَ عَلَيْهِ أَحَدٌ؟ " فَقَالَ: نَعَمْ، قَدْ أَنْكَرَ عَلَيْهِ رَجُلٌ أَبْيَضُ رَبْعَةٌ، فَنَهَمَهُ خَالِدٌ، فَسَكَتَ عَنْهُ، وَأَنْكَرَ عَلَيْهِ رَجُلٌ آخَرُ طَوِيلٌ مُضْطَرِبٌ، فَرَاجَعَهُ فَاشْتَدَّتْ مُرَاجَعَتُهُمَا، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَمَّا الْأَوَّلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَابْنِي عَبْدُ اللَّهِ، وَأَمَّا الْآخَرُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৫৮
فَسَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي حَكِيمُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، قَالَ: ثُمَّ «دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: " يَا عَلِيُّ، اخْرُجْ إِلَى هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ، فَانْظُرْ فِي أَمْرِهِمْ، وَاجْعَلْ أَمْرَ الْجَاهِلِيَّةِ تَحْتَ قَدَمَيْكَ ". فَخَرَجَ عَلِيٌّ حَتَّى جَاءَهُمْ وَمَعَهُ مَالٌ قَدْ بَعَثَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَدَى لَهُمُ الدِّمَاءَ وَمَا أُصِيبَ لَهُمْ مِنَ الْأَمْوَالِ حَتَّى إِنَّهُ لَيَدِي مِيلَغَةَ الْكَلْبِ، حَتَّى إِذَا لَمْ يَبْقَ شَيْءٌ مِنْ دَمٍ وَلَا مَالٍ إِلَّا وَدَاهُ، بَقِيَتْ مَعَهُ بَقِيَّةٌ مِنَ الْمَالِ، فَقَالَ لَهُمْ عَلِيٌّ حِينَ فَرَغَ مِنْهُمْ: هَلْ بَقِيَ لَكُمْ دَمٌ أَوْ مَالٌ لَمْ يُودَ لَكُمْ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَإِنِّي أُعْطِيكُمْ هَذِهِ الْبَقِيَّةَ مِنْ هَذَا الْمَالِ احْتِيَاطًا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا لَا نَعْلَمُ وَلَا تَعْلَمُونَ. فَفَعَلَ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ، فَقَالَ: " أَصَبْتَ وَأَحْسَنْتَ ". ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ قَائِمًا شَاهِرًا يَدَيْهِ، حَتَّى إِنَّهُ لَيُرَى مَا تَحْتَ مَنْكِبَيْهِ يَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ " ثَلَاثَ مَرَّاتٍ.» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ قَالَ بَعْضُ مَنْ «يَعْذُرُ خَالِدًا: إِنَّهُ قَالَ: مَا قَاتَلْتُ حَتَّى أَمَرَنِي بِذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُذَافَةَ السَّهْمِيُّ وَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ
পৃষ্ঠা - ৩৪৫৯
أَمَرَكَ أَنْ تُقَاتِلَهُمْ لِامْتِنَاعِهِمْ مِنَ الْإِسْلَامِ» . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: قَالَ أَبُو عَمْرٍو الْمَدِينِيُّ: لَمَّا أَتَاهُمْ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ قَالُوا: صَبَأْنَا صَبَأْنَا. وَهَذِهِ مُرْسَلَاتٌ وَمُنْقَطِعَاتٌ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، ثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى بَنِي - أَحْسَبُهُ قَالَ - جَذِيمَةَ. فَدَعَاهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَلَمْ يُحْسِنُوا أَنْ يَقُولُوا: أَسْلَمْنَا. فَجَعَلُوا يَقُولُونَ: صَبَأْنَا صَبَأْنَا. وَجَعَلَ خَالِدٌ بِهِمْ أَسْرًا وَقَتْلًا. قَالَ: وَدَفَعَ إِلَى كُلِّ رَجُلٍ مِنَّا أَسِيرًا، حَتَّى إِذَا أَصْبَحَ يَوْمًا أَمَرَ خَالِدٌ أَنْ يَقْتُلَ كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا أَسِيرَهُ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ: فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَا أَقْتُلُ أَسِيرِي، وَلَا يَقْتُلُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِي أَسِيرَهُ. قَالَ: فَقَدِمُوا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرُوا لَهُ صَنِيعَ خَالِدٍ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ خَالِدٌ " مَرَّتَيْنِ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ نَحْوَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ قَالَ لَهُمْ جَحْدَمٌ لَمَّا رَأَى مَا يَصْنَعُ بِهِمْ خَالِدٌ: يَا بَنِي جَذِيمَةَ، ضَاعَ الضَّرْبُ، قَدْ كُنْتُ حَذَّرْتُكُمْ مَا وَقَعْتُمْ فِيهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ «: وَقَدْ كَانَ بَيْنَ خَالِدٍ وَبَيْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ - فِيمَا بَلَغَنِي -
পৃষ্ঠা - ৩৪৬০

উয্যা মুর্তি ধ্বংসে খালিদ ইবন ওয়ালীদকে প্রেরণ

ইবন জারীর বলেন : উযযা মুর্তিকে ধ্বংস করা হয়েছিল ঐ বছরের রমযান মাস শেষ হওয়ার
পাচ দিন অবশিষ্ট থাকতে ৷ ইবন ইসহাক বলেন : মক্কা বিজয়ের পর উযযা মুর্তি ৎস করার
জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) খালিদ ইবন ওয়ালীদকে প্রেরণ করেন ৷ নাখলা নামক স্থানে একটি মন্দিরে
উঘৃযা বিগ্রহ স্থাপিত ছিল ৷ কুরায়শ, কিনানা ও মুদার গোত্র এর পুজা করতো ৷ এবং সেবাযতু ও
পাহারাদারীর দায়িতু ছিল বনুহাশিমের মিত্র ও বনুসুলায়মের শাথাঃগাত্র বনু শায়বানের উপর ৷
সুলামী দারোয়ান যখন খালিদ ইবন ওলীদের আগমনবার্তা শুনতে £প্াল, তখন সে তার তলে ৷য়ার

যেতে যেতে সে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করলো :

৷ এা;ব্লু; ত্ন্ ৷ প্রু৷ ষ্টু; ৷র্কু ৷

অর্থ : হে উয্যা ! তুমি খালিদের উপর প্রচণ্ড আঘাত হান, যাতে সে পংগু হয়ে যায় ৷ আর
ঘোমটা ফেলে দিয়ে চাদর পেচিয়ে লও ৷

হে উঘৃযা ! তুমি যদি খালিদকে হত্যা করতে না পার, তবে দ্রুত পাশের বোঝা র্কাধে নিয়ে
ফিরে এসো ; অথবা নাসারা-ধর্মগ্রহণ কর ৷

খালিদ যখন সেখানে পৌছলেন, তখন মুর্তিকে সম্পুর্ণ ধ্বংস করে তবে ছাড়লেন এবং কাজ
সম্পাদন করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ফিরে এলেন ৷ ওয়াকিদী ও প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ
লিখেছেন, রমযান মাস শেষ হওয়ার পাচ দিন বাকি থাকতে খালিদ উয্যা ধ্বংস করার জন্যে গমন
করেন ৷ ধ্বংস-ক্রিয়া সম্পন্ন করে ফিরে আসেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অবহিত করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি সেখানে কী দেখলে ? খালিদ বললেন, কিছুই
দেখিনি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে পুনরায় সেখানে যেতে নির্দেশ দিলেন ৷ খালিদ যখন
দ্বিতীয়বার সেখানে গেলেন, তখন দেখলেন, ঐ মন্দিরের মধ্য থেকে কৃষ্ণকায় কোকড়ান
এলােকেশী এক মহিলা তলোয়ার উচু করে বেরিয়ে আসছে এবং কবিতার ছন্দে বলছে :

াৰু
ষ্ প্রুদ্বু
“হে উবৃযা ! আমি তোমার অবাধ্যতার ঘোষণা দিচ্ছি ৷ তোমার পবিত্রতার ঘোষণা দিচ্ছি না ৷

আমি প্রত্যক্ষ করলাম, আল্পাহ্ তোমাকে কিভাবে অপদস্থু করেছেন ৷”
৬৯




كَلَامٌ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: عَمِلْتَ بِأَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ فِي الْإِسْلَامِ؟ فَقَالَ: إِنَّمَا ثَأَرْتُ بِأَبِيكَ. فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: كَذَبْتَ، قَدْ قَتَلْتُ قَاتِلَ أَبِي، وَلَكِنَّكَ ثَأَرْتَ بِعَمِّكَ الْفَاكِهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ. حَتَّى كَانَ بَيْنَهُمَا شَرٌّ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَهْلًا يَا خَالِدُ، دَعْ عَنْكَ أَصْحَابِي، فَوَاللَّهِ لَوْ كَانَ لَكَ أُحُدٌ ذَهَبًا ثُمَّ أَنْفَقْتَهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، مَا أَدْرَكْتَ غَدْوَةَ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِي وَلَا رَوْحَتَهُ» . ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ الْفَاكِهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ، عَمِّ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، فِي خُرُوجِهِ هُوَ وَعَوْفِ بْنِ عَبْدِ عَوْفِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ بْنِ زُهْرَةَ، وَمَعَهُ ابْنُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَعَفَّانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَمَعَهُ ابْنُهُ عُثْمَانُ فِي تِجَارَةٍ إِلَى الْيَمَنِ، وَرُجُوعِهِمْ وَمَعَهُمْ مَالٌ لِرَجُلٍ مِنْ بَنِي جَذِيمَةَ كَانَ هَلَكَ بِالْيَمَنِ، فَحَمَلُوهُ إِلَى وَرَثَتِهِ، فَادَّعَاهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: خَالِدُ بْنُ هِشَامٍ. وَلَقِيَهُمْ بِأَرْضِ بَنِي جَذِيمَةَ فَطَلَبَهُ مِنْهُمْ قَبْلَ أَنْ يَصِلُوا إِلَى أَهْلِ الْمَيِّتِ، فَأَبَوْا عَلَيْهِ، فَقَاتَلَهُمْ فَقَاتَلُوهُ، حَتَّى قُتِلَ عَوْفٌ وَالْفَاكِهُ وَأُخِذَتْ أَمْوَالُهُمَا، وَقَتَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَاتِلَ أَبِيهِ خَالِدَ بْنَ هِشَامٍ، وَفَرَّ مِنْهُمْ عَفَّانُ وَمَعَهُ ابْنُهُ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ، فَهَمَّتْ قُرَيْشٌ بِغَزْوِ بَنِي جَذِيمَةَ، فَبَعَثَتْ بَنُو جَذِيمَةَ يَعْتَذِرُونَ إِلَيْهِمْ بِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ عَنْ مَلَأٍ مِنْهُمْ، وَوَدَوْا لَهُمُ الْقَتِيلَيْنِ وَأَمْوَالَهُمَا، وَوَضَعُوا الْحَرْبَ بَيْنَهُمْ. يَعْنِي فَلِهَذَا قَالَ خَالِدٌ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ: إِنَّمَا ثَأَرْتُ بِأَبِيكَ. يَعْنِي حِينَ قَتَلَتْهُ بَنُو جَذِيمَةَ، فَأَجَابَهُ بِأَنَّهُ قَدْ أَخَذَ ثَأْرَهُ وَقَتَلَ قَاتِلَهُ، وَرَدَّ عَلَيْهِ بِأَنَّهُ إِنَّمَا ثَأَرَ
পৃষ্ঠা - ৩৪৬১
بِعَمِّهِ الْفَاكِهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ حِينَ قَتَلُوهُ وَأَخَذُوا أَمْوَالَهُ، وَالْمَظْنُونُ بِكُلٍّ مِنْهُمَا أَنَّهُ لَمْ يَقْصِدْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ، وَإِنَّمَا يُقَالُ هَذَا فِي وَقْتِ الْمُخَاصَمَةِ، فَإِنَّمَا أَرَادَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ نُصْرَةَ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ، وَإِنْ كَانَ قَدْ أَخْطَأَ فِي أَمْرٍ، وَاعْتَقَدَ أَنَّهُمْ يَنْتَقِصُونَ الْإِسْلَامَ بِقَوْلِهِمْ: صَبَأْنَا صَبَأْنَا. وَلَمْ يَفْهَمْ عَنْهُمْ أَنَّهُمْ أَسْلَمُوا، فَقَتَلَ طَائِفَةً كَثِيرَةً مِنْهُمْ وَأَسَرَ بَقِيَّتَهُمْ، وَقَتَلَ أَكْثَرَ الْأَسْرَى أَيْضًا، وَمَعَ هَذَا لَمْ يَعْزِلْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَلِ اسْتَمَرَّ بِهِ أَمِيرًا، وَإِنْ كَانَ قَدْ تَبَرَّأَ مِنْهُ فِي صَنِيعِهِ ذَلِكَ، وَوَدَى مَا كَانَ جَنَاهُ خَطَأً فِي دَمٍ أَوْ مَالٍ، فَفِيهِ دَلِيلٌ لِأَحَدِ الْقَوْلَيْنِ بَيْنَ الْعُلَمَاءِ فِي أَنَّ خَطَأَ الْإِمَامِ يَكُونُ فِي بَيْتِ الْمَالِ لَا فِي مَالِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلِهَذَا لَمْ يَعْزِلْهُ الصِّدِّيقُ حِينَ قَتَلَ مَالِكَ بْنَ نُوَيْرَةَ أَيَّامَ الرِّدَّةِ، وَتَأَوَّلَ عَلَيْهِ مَا تَأَوَّلَ حِينَ ضَرَبَ عُنُقَهُ وَاصْطَفَى امْرَأَتَهُ أُمَّ تَمِيمٍ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: اعْزِلْهُ، فَإِنَّ فِي سَيْفِهِ رَهَقًا. فَقَالَ الصِّدِّيقُ: لَا أَغْمِدُ سَيْفًا سَلَّهُ اللَّهُ عَلَى الْمُشْرِكِينَ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ الْأَخْنَسِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي حَدْرَدٍ الْأَسْلَمِيِّ قَالَ: كُنْتُ يَوْمَئِذٍ فِي خَيْلِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، فَقَالَ فَتًى مِنْ بَنِي جَذِيمَةَ، وَهُوَ فِي سِنِّي، وَقَدْ جُمِعَتْ يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ بِرُمَّةٍ، وَنِسْوَةٌ مُجْتَمِعَاتٌ غَيْرَ بَعِيدٍ مِنْهُ: يَا فَتَى، فَقُلْتُ: مَا تَشَاءُ؟ قَالَ: هَلْ
পৃষ্ঠা - ৩৪৬২

এরপর খালিদ ঐ মন্দিরও ধ্বংস করে দেন, যাতে উঘৃযার বিগ্রহ ছিল এবং মন্দিরের মালপত্র
যা ছিল সব কিছু নিয়ে আসেন ৷ খালিদ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে সমস্ত ঘটনা শুনালে তিনি
বললেন : ৷ হলো উঘৃযা, তার পুজা আর কখনও হবে না ৷ ইমাম
বায়হাকী মুহাম্মাদ ইবন আবু বকর ফকীহ আবুৎ তুফায়ল থেকে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ্
(সা) মক্কা বিজয়ের পর থালিদ ইবন ওলীদকে নাখলায় প্রেরণ করেন ৷ কারণ, তথায় উয্যা মুর্তি
স্থাপিত ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নির্দেশ পেয়ে তিনি সেখানে গমন করেন ৷ সে মুর্তি তিনটি
মুল্যবান কাঠের পায়ার উপর স্থাপিত ছিল ৷ খালিদ ঐ পায়াগুলি কেটে দেন এবং যে ছাদের নীচে
মুর্তি ছিল সে ছাদও ধ্বসিয়ে দেন ৷ এরপর তিনি সেখান থেকে এতড়াবর্তন করে রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে সবকিছু অবহিত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে বললেন, পুন্ রায় ফিরে যাও, তুমি
কিছুই করতে পারনি ৷ সুতরাং খালিদ আবার সেখানে ফিরে পেলেন ৷ উঘৃয৷ মুর্ডিং সেবায়েতগণ
খালিদকে দেখেই ভীত বিহ্বল হয়ে পাহাড়ে গিয়ে উঠলাে ৷ পালাবার ন্সময় তারা বলতে লাগলো :
ওহে উয্যা ! ওকে নিশ্চল করে দাও ৷ ওকে অন্ধ করে দাও ৷ যদি তা না পার , তবে নিজে লাঞ্ছিত
হয়ে মরে যাও ৷ রাবী বলেন, খালিদ মুর্তির কাছে পৌছলে দেখেন, এক উলংগ এলোকেশী নারী,
মাটি খুড়ে খুড়ে মাথায় ও মুখে মাখছে ৷ খালিদ তাকে তলোয়ারের আঘাতে হত্যা করলেন ৷
তারপর তিনি ফিরে এসে নবী করীম (না)-কে ঘটনা জানালে তিনি বললেন : এটাই প্রকৃত
উযযা ৷


أَنْتَ آخِذٌ بِهَذِهِ الرُّمَّةِ، فَقَائِدِي إِلَى هَؤُلَاءِ النِّسْوَةِ حَتَّى أَقْضِيَ إِلَيْهِنَّ حَاجَةً، ثُمَّ تَرُدَّنِي بَعْدُ، فَتَصْنَعُوا بِي مَا بَدَا لَكُمْ؟ قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ لَيَسِيرٌ مَا طَلَبْتَ. فَأَخَذْتُ بِرُمَّتِهِ فَقُدْتُهُ بِهَا، حَتَّى وَقَفْتُهُ عَلَيْهِنَّ فَقَالَ: اسْلَمِي حُبَيْشْ عَلَى نَفَدِ الْعَيْشْ: أَرَيْتُكِ إِذْ طَالَبْتُكُمْ فَوَجَدْتُكُمْ ... بِحَلْيَةَ أَوْ أَلْفَيْتُكُمْ بِالْخَوَانِقِ أَلَمْ يَكُ أَهْلًا أَنْ يُنَوَّلَ عَاشِقٌ ... تَكَلَّفَ إِدْلَاجَ السُّرَى وَالْوَدَائِقِ فَلَا ذَنْبَ لِي قَدْ قُلْتُ إِذْ أَهْلُنَا مَعًا ... أَثَيِبِي بِوُدٍّ قَبْلَ إِحْدَى الصَّفَائِقِ أَثِيبِي بِوُدٍّ قَبْلَ أَنْ تَشْحَطَ النَّوَى ... وَيَنْأَى الْأَمِيرُ بِالْحَبِيبِ الْمُفَارِقِ فَإِنِّيَ لَا ضَيَّعْتُ سِرَّ أَمَانَةٍ ... وَلَا رَاقَ عَيْنِي عَنْكِ بَعْدَكِ رَائِقُ سِوَى أَنَّ مَا نَالَ الْعَشِيرَةَ شَاغِلٌ ... عَنِ الْوُدِّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ التَّوَامُقُ قَالَتْ: وَأَنْتَ فَحُيِّيتَ عَشْرَا، وَتِسْعًا وَتْرَا، وَثَمَانِيًا تَتْرَى. قَالَ: ثُمَّ انْصَرَفْتُ بِهِ، فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ، قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي أَبُو فِرَاسِ
পৃষ্ঠা - ৩৪৬৩
بْنُ أَبِي سُنْبُلَةَ الْأَسْلَمِيُّ، عَنْ أَشْيَاخٍ مِنْهُمْ، عَمَّنْ كَانَ حَضَرَهَا مِنْهُمْ، قَالُوا: فَقَامَتْ إِلَيْهِ حِينَ ضُرِبَتْ عُنُقُهُ فَأَكَبَّتْ عَلَيْهِ، فَمَا زَالَتْ تُقَبِّلُهُ حَتَّى مَاتَتْ عِنْدَهُ. وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْحُمَيْدِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ مُسَاحِقٍ، أَنَّهُ «سَمِعَ رَجُلًا مَنْ مُزَيْنَةَ يُقَالُ لَهُ: ابْنُ عِصَامٍ. عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً قَالَ: إِذَا رَأَيْتُمْ مَسْجِدًا أَوْ سَمِعْتُمْ مُؤَذِّنًا فَلَا تَقْتُلُوا أَحَدًا قَالَ: فَبَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَرِيَّةٍ وَأَمَرَنَا بِذَلِكَ، فَخَرَجْنَا قِبَلَ تِهَامَةَ، فَأَدْرَكْنَا رَجُلًا يَسُوقُ بِظَعَائِنَ، فَقُلْنَا لَهُ: أَسْلِمْ. فَقَالَ: وَمَا الْإِسْلَامُ؟ فَأَخْبَرْنَاهُ بِهِ، فَإِذَا هُوَ لَا يَعْرِفُهُ، قَالَ: أَفَرَأَيْتُمْ إِنْ لَمْ أَفْعَلْ، مَا أَنْتُمْ صَانِعُونَ؟ قَالَ: قُلْنَا: نَقْتُلُكَ. فَقَالَ: فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْظَرِيَّ حَتَّى أُدْرِكَ الظَّعَائِنَ؟ قَالَ: قُلْنَا: نَعَمْ، وَنَحْنُ مُدْرِكُوكَ. قَالَ: فَأَدْرَكَ الظَّعَائِنَ فَقَالَ: اسْلَمِي حُبَيْشْ قَبْلَ نَفَادِ الْعَيْشْ. فَقَالَتِ الْأُخْرَى: اسْلَمْ عَشْرَا، وَتِسْعًا وَتْرَا، وَثَمَانِيًا تَتْرَى، ثُمَّ ذَكَرَ الشِّعْرَ الْمُتَقَدِّمَ إِلَى قَوْلِهِ: وَيَنْأَى الْأَمِيرُ بِالْحَبِيبِ الْمُفَارِقِ . ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْنَا فَقَالَ: شَأْنُكُمْ. قَالَ: فَقَدَّمْنَاهُ، فَضَرَبْنَا عُنُقَهُ. قَالَ: فَانْحَدَرَتِ الْأُخْرَى مِنْ هَوْدَجِهَا، فَحَنَّتْ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَتْ» . ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ النَّسَائِيِّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ
পৃষ্ঠা - ৩৪৬৪
بْنِ حَرْبٍ الْمَرْوَزِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ سَرِيَّةً فَغَنِمُوا، وَفِيهِمْ رَجُلٌ فَقَالَ لَهُمْ: إِنِّي لَسْتُ مِنْهُمْ، إِنِّي عَشِقْتُ امْرَأَةً فَلَحِقْتُهَا، فَدَعُونِي أَنْظُرْ إِلَيْهَا نَظْرَةً، ثُمَّ اصْنَعُوا بِي مَا بَدَا لَكُمْ. قَالَ: فَإِذَا امْرَأَةٌ أَدْمَاءُ طَوِيلَةٌ، فَقَالَ لَهَا: اسْلَمِي حُبَيْشْ قَبْلَ نَفَادِ الْعَيْشْ. ثُمَّ ذَكَرَ الْبَيْتَيْنِ بِمَعْنَاهُمَا. قَالَ: فَقَالَتْ: نَعَمْ فَدَيْتُكَ. قَالَ: فَقَدَّمُوهُ فَضَرَبُوا عُنُقَهُ، فَجَاءَتِ الْمَرْأَةُ فَوَقَعَتْ عَلَيْهِ، فَشَهِقَتْ شَهْقَةً أَوْ شَهْقَتَيْنِ ثُمَّ مَاتَتْ، فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرُوهُ الْخَبَرَ، فَقَالَ: أَمَا كَانَ فِيكُمْ رَجُلٌ رَحِيمٌ؟» .
পৃষ্ঠা - ৩৪৬৫

মক্কায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অবস্থান-কাল

মক্কা বিজয়ের পর রমযান মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখানেই কাটান ৷ এ
সময়ে তিনি যে নামায কসর পড়েন ও রােযা রাখেননি এ ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমত নেই ৷ এটা
সেসব আলেমদের মতের স্বপক্ষে দলীল যীরা বলেন, মুসাফির যাঈ কোথাও অবস্থান (ইকামত)
করার দৃঢ় সংকল্প না করে, তবে আঠার দিন পর্যন্ত যে নামায কসর করতে পারবে ৷ অবশ্য এ
আলিমদের আর একটি মত যথাস্থানে লিপিবদ্ধ আছে ৷ ইমাম বখারী আবু নৃআয়ম আনাস
ইবন মালিক সুত্রে বণ্নাি করেন, তিনি বলেন : আমরা রাসুলুল্লাহ্ সাট্রুা-এর সাথে দশ দিন অবস্থান
করেছিলাম ৷ এ সময়ে তিনি নামায়ে কসর করতেন ৷ সিহাহ্সিতাং অন্যান্য সংকলকগণ ইয়াহ্য়া
ইবন আবুইসহাক হাদরামী আল-বসরী সুত্রে আনাস (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ধুখারী
আবদান ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) (মক্কায়) উনিশ দিন
অবস্থান করেন এবং দৃরাকআত করে নামায আদায় করেন ৷ এ হাদীছ বুখারী অন্য সুত্রেও বর্ণনা
করেছেন ৷ বুখারী ও আবু হুসায়ন উত্তরে এবং আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজা এ হাদীছটি
আসিম ইবন সুলায়মান ইবন আব্বাস সুত্রে কিছুটা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন ৷ তবে আবু
দাউদের ভাবে অবস্থানকাল সতের দিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আহমদ ইবন ইউনুস
ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : আমরা কোন এক সফরে রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর সাথে উনিশ দিন একই স্থানে অবস্থান করি ৷ তখন আমরা নামায়ে কসর করেছি ৷ ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, এ কারণেই আমরা যখন কোন স্থানে উনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান করি তখন
নামায কসর পড়ি ৷ কিভু উনিশ দিনের বেশী অবস্থান করলে নামায পুরোপুরি পড়ি ৷ আবু দাউদ
ইব্রাহীম ইবন মুসা ইমরান ইবন হুসায়ন সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন : আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে থেকে যুদ্ধ করেছি ৷ মক্কা বিজয়ে তীর সাথে থেকেছি ৷ তিনি তথায়
আঠার রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন ৷ এ সময়ে তিনি দৃরাকআত করে নামায পড়েছেন ৷ তার চেয়ে
বেশী পড়েননি ৷ তিনি পরিষ্কার বলে দিতেন : “হে মক্কার অধিবাসীরা ! তোমরা নামায চার
রাকআত পড় ৷ আমরা তাে মুসাফির ৷” ইমাম তিরমিযী এ হাদীছ আলী ইবন যায়দ ইবন জ্বাদআন
থেকে অনুরুপ বংনাি করে মন্তব্য করেছেন যে, এ হাদীছ হাসান পর্যায়ের ৷ এরপর ইমাম তিরমিযী
এ হাদীছ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক যুহরী আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে
বনাি করেন ৷ তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা বিজয়ের পর সেখানে পনের রাত অবস্থান
করেন এবং নামায়ে কসর করেন ৷ এরপর তিরমিযী বলেন, এ হাদীছ ইবন ইসহাক থেকে
একাধিক রাবী বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তারা কেউ ইবন আব্বাসের উল্লেখ করেননি ৷ ইবন ইদরীস
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক থেকে, তিনি যুহরী ও মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন হুসায়ন , আসিম ইবন আমর
ইবন কাতাদা, অড়াবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর, আমর ইবন শুআয়ব ও আরও কতিপয় রাবী থেকে
রক্ষা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় পনের রাত অবস্থান করেন ৷


[بَعْثُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ لِهَدْمِ الْعُزَّى] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَكَانَ هَدْمُهَا لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ عَامَئِذٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: «ثُمَّ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى الْعُزَّى، وَكَانَتْ بَيْتًا بِنَخْلَةَ يُعَظِّمُهُ قُرَيْشٌ وَكِنَانَةُ وَمُضَرُ، وَكَانَ سَدَنَتُهَا وَحُجَّابُهَا مِنْ بَنِي شَيْبَانَ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ حُلَفَاءُ بَنِي هَاشِمٍ، فَلَمَّا سَمِعَ حَاجِبُهَا السُّلَمِيُّ بِمَسِيرِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ إِلَيْهَا عَلَّقَ سَيْفَهُ عَلَيْهَا، ثُمَّ اشْتَدَّ فِي الْجَبَلِ الَّذِي هِيَ فِيهِ وَهُوَ يَقُولُ: أَيَا عُزَّ شُدِّي شَدَّةً لَا شَوَى لَهَا ... عَلَى خَالِدٍ أَلْقِي الْقِنَاعَ وَشَمِّرِي أَيَا عُزَّ إِنْ لَمْ تَقْتُلِي الْمَرْءَ خَالِدًا ... فَبُوئِي بِإِثْمٍ عَاجِلٍ أَوْ تَنَصَّرِي قَالَ: فَلَمَّا انْتَهَى خَالِدٌ إِلَيْهَا هَدَمَهَا، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ «أَنَّهُ لَمَّا قَدِمَهَا خَالِدٌ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ فَهَدَمَهَا، وَرَجَعَ فَأَخْبَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَا رَأَيْتَ؟ قَالَ: لَمْ أَرَ