আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة ذات السلاسل

পৃষ্ঠা - ৩৩৫৪

আদায় করেছ ? তিনি বললেন, যে বস্তুটি আমার গোসল করার মধ্যে অম্ভরায় সৃষ্টি করেছিল আমি
এ সম্বন্ধে তাকে সংবাদ দিলাম এবং বললাম , আমি শুনেছি আল্লাহ তাআল৷ ইরশাদ করেন ও ৰুাট্রু
র্চু^ং ধ্ ণ্ব্লুন্ ট্রু,াহু ইএ৷ ৷ ৰুড্রু ৷ ংণ্’দ্বুট্রু’ন্দ্বু৷ ৷স্পো অর্থাৎ এবং তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে
হত্যা করবে না ৷ আল্লাহ তেমািদের প্রতি পরম দয়ালু ৷ (৪ নিসা হ্র ২৯) রাসুলুল্লাহ্ (সা) হেসে
দিলেন ৷ তাকে আর কিছু বললেন না ৷

মুহাম্মাদ ইবন সালামা আমর ইবন আস (রা) এর আযাদকুত দাস আবু করেন (বা)
হতে অনুরুপ হাদীছ বর্ণনা করতে গিয়ে অতিরিক্ত বলেন, “এরপর তিনি লজ্জান্থান ধৌত করেন,
সালাতের জন্যে উয়ু করেন এবং উপস্থিত সাহাবায়ে কিরামকে দিয়ে সালাত আদায় করেন ৷ এ
বর্ণনায় তিনি তায়াম্মুমের কথা উল্লেখ করেননি ৷ তবে আবু দাউদের বর্ণনায় তায়াম্মুমের উল্লেখ
আছে ৷

ওয়ড়াকিদী আবু বকর ইবন হাযাম (রা) হতে বর্ণনা কদ্:রন, তিনি বলেন, যুদ্ধ থেকে
ফেরত আসার পথে অত্যন্ত ঠাণ্ডা রাতে সেনাপতি আমর ইবন আস (বা ) এর স্বপ্নদোষ হয় ৷ তিনি
তার সাথীদেরকে বললেন, আমার স্বপ্নদোষ হয়েছে তোমরা কী বল ? যদি আমি গোসল করি,
তাহলে আমার মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ৷ তারপর তিনি পানি আনিয়ে লজ্জাস্থান বৌত
করলেন, উয়ু করলেন এবং তায়াম্মুমও করলেন ৷ তারপর তাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন,
তারপর সর্বপ্রথম আওফ ইবন মালিক (রা) কে সংবাদ বাহকরুপে মদীনায় প্রেরণ করেন ৷ আওফ
(বা) বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে ভোর রাতে সাক্ষাত করলাম ৷ তিনি ঘরে স ৷লাত
আদায় করছিলেন ৷ সালাত শেষে আমিও তাকে স৷ লা৷ম দিলাম ৷ তিনি বললেন, “ (ক ? আওফ ইবন
মালিক (বা) নাকি ? আমি বললাম , “জী হা” ৷ “আমি আ ওফ ইবন মালিক ইয়া রড়াসুলাল্লাহ্ ৷
তিনি বললেন, যবাইকারী আওফ ? ’শু উত্তরে আমি বললাম, জী ই৷ ৷ এরপর তিনি অতিরিক্ত আর
কিছু বলেননি ৷ তারপর বললেন, তারপর সংবাদ কী ? “আমি আমাদের সফরকালে যে যে ঘটনা
ঘটেছিল, আবু উবায়দা (বা) ও আমর ইবন আস (রা ) এর মধ্যে মতবিরোধ এবং আবু ওবায়দা
(বা ) কর্তৃক আনুগত্য স্বীকার ইত্যাদি সবিস্তারে বর্ণনা করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আবু
উবায়দা ইবনুল জাবৃরাহ এর প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষণ করুন ! রাবী বলেন, এরপর আমি সংবাদ
দিলাম যে, আমর (রা) জানাবাত অবস্থায় ণ্লাকজনকে নিয়ে সালাত আদায় করেছেন ৷ তার কাছে
পানি ছিল ৷ তিনি শুধুমাত্র লজ্জান্থান ধৌত করেন এবং উয়ু করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নীরব
থাকলেন ৷ যখন আমর (বা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আগমন করেন ৷ তখন তিনি তাকে তার
সালাত সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন ৷ তখন তিনি বললেন, যে সত্তা আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ
করেছেন তার শপথ, যদি আমি সেদিন গোসল করতাম৩ তাহলে আমি মারা যেতাম ৷ এ ধরনের
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর আমি কোন দিন দেখিনি ৷ আল্লাহ্৩ তা জানা ইরশাদ করেনং : ৷প্রুাশু ১াগ্লু

ঘুণ্১ন্ ণ্ব্লুপ্রু ৷< ন্থএ৷ ৷ ৷ ণ্ব্লুন্ ৷ অর্থাৎ এবং তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে হত্যা

করবে না ৷ নিশ্চয়ই আ ল্লাহ্ তা আলা তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু ৷ (৪ নিসাং : ২৯) ৷

রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এতে হেসে দিলেন ৷ আর এর অতিরিক্ত কোন কিছু বলেছেন
বলে আমাদের কাছে কোন প্রমাণ নেই ৷


[غَزْوَةُ ذَاتِ السَّلَاسِلِ] ذَكَرَهَا الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ هَاهُنَا قَبْلَ غَزْوَةِ الْفَتْحِ، فَسَاقَ مِنْ طَرِيقِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَا: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ إِلَى ذَاتِ السَّلَاسِلِ مِنْ مَشَارِفِ الشَّامِ فِي بَلِيٍّ، وَعَبْدِ اللَّهِ وَمَنْ يَلِيهِمْ مِنْ قُضَاعَةَ - قَالَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ: بَنُو بَلِيٍّ أَخْوَالُ الْعَاصِ بْنِ وَائِلٍ - فَلَمَّا صَارَ إِلَى هُنَاكَ خَافَ مِنْ كَثْرَةِ عَدُوِّهِ، فَبَعَثَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَمِدُّهُ، فَنَدَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ، فَانْتَدَبَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ سَرَاةِ الْمُهَاجِرِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عَمْرٍو قَالَ: أَنَا أَمِيرُكُمْ، وَأَنَا أَرْسَلْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْتَمِدُّهُ بِكُمْ. فَقَالَ الْمُهَاجِرُونَ: بَلْ أَنْتَ أَمِيرُ أَصْحَابِكَ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ أَمِيرُ الْمُهَاجِرِينَ. فَقَالَ عَمْرٌو: إِنَّمَا أَنْتُمْ مَدَدٌ أُمْدِدْتُهُ. فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَكَانَ رَجُلًا حَسَنَ الْخُلُقِ لَيِّنَ الشِّيمَةِ، قَالَ: تَعَلَّمْ يَا عَمْرُو أَنَّ آخِرَ مَا عَهِدَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ قَالَ: «إِذَا قَدِمْتَ عَلَى صَاحِبِكَ فَتَطَاوَعَا» وَإِنَّكَ إِنْ عَصَيْتَنِي لَأُطِيعَنَّكَ.
পৃষ্ঠা - ৩৩৫৫

ইবন ইসহাক আওফ ইবন মালিক আল আশজাঈ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “যে যুদ্ধে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আমর ইবনুল আস (রা)-কে প্রেরণ করেছিলেন যে যুদ্ধে আমি
অংশগ্রহণ করেছিলাম ৷ তা হচ্ছে যাতৃস সড়ালাসিলের যুদ্ধ ৷ আমি আবু বকর (বা) এবং উমর
(রা)-এরও সঙ্গী ছিলাম ৷ তারপর আমি এমন একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে আগমন করলাম যারা
একটি উট যবাই করেছে; কিন্তু চামড়া পৃথক করা ও গোশত টুকরা টুকরা করা তারা জানতো না ৷
আমি ছিলাম একজন দক্ষ কসাই ৷ আমি তাদেরকে রললাম, তোমরা কি আমাকে এক-দশমাংশ
গোশত প্রদান করবে ? আমি তোমাদের মধ্যে গোশৃত কেটে রণ্টন করে দেবাে ৷ ’ তারা বলল,
হী৷ ৷ এরপর আমি ছুরি হাতে নিলাম এবং গোশত বানিয়ে দিলাম ও একাৎশ আমি নিলাম ৷
আমার সাথীদের কাছে এ পােশত নিয়ে আসলাম, রান্না করলাম ও আমরা সকলে মিলে তা
থেলাম ৷ আবু বকর (বা) ও উমর (রা) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, এ গোশত তুমি কােখেকে
পেলে হে আওফ ? উত্তরে আমি তাদেরকে সব খুলে রললাম ৷ দুই জন্ৰুই বললেন, না, আল্লাহ্র
শপথ, তুমি আমাদেরকে এ গোশত (খতে দিয়ে ভাল কাজ করনি ৷ তারপর তারা পেটের ভিতর
হতে গোশত বের করার জন্যে বমি করতে চেষ্টা করলেন ৷ এ সফর থেকে যখন লোকজন
ফেরত আসল তাদের মধ্যে আমি ছিলাম প্রথম ব্যক্তি ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাত
করলাম ৷ তিনি তখন তার ঘরে সালাতে রত ছিলেন ৷ সালাতাস্তে আমি রললাম, আস্সালাঘু
আলাইকুম ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ওয়া রাহ্মাতৃল্পাহ ওয়া বারাকাতৃহু ৷ তিনি বললেন, কে আওফ ইবন
মালিক নাকি ? আমি বললাম , জী হী৷ , আপনার প্রতি আমার মাতাপিতা কুরবান হোন ৷ তখন তিনি
বললেন, যবাইকারী আওফ ? এরপর তিনি আর কিছু অতিরিক্ত বললেন না ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক অন্য এক একাধিক রাবী বিচ্ছিন্ন সনদে অনুরুপ বংনাি করেন ৷

বায়হাকী আওফ ইবন মালিক (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আওফ
ইবন মালিক (বা) বলেন , আমি গোশত সংগ্রহের বিষয়টি উমর (রা)-এর কাছে উত্থাপন করলাম ৷
তিনি এ সম্বন্ধে আমাকে জিজ্ঞেস করার আমি তাকে বিস্তারিত জানালাম ৷ তিনি বললেন, তু
তোমার পরিশ্রমের পারিশ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে তাড়াহুড়া করেছ ৷ (অর্থাৎ বিষয়টির বৈধ্তা সম্বন্ধে
তোমার কাউকে জিজ্ঞেস করে সঠিক পন্থা অবলম্বন করা উচিত ছিল ৷ এখন যা করেছ, তা বৈধ
নয় ৷” সুতরাং তিনি আর এ গোশত খেলেন না ৷

হাফিয বায়হাকী আমর ইবন আস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাকে যাতৃস সালাসিল বাহিনীর সেনাপতি হিসেবে প্রেরণ করেন ৷ সেনাবাহিনীর মধ্যে আবু
বকর ধুরা) এবং উমর (রা)ও ছিলেন ৷ আমি মনে মনে তাবলাম, আবু বকর (রা) ও উমর
(রা)-কে সেনাপতি না করে আমাকে সেনাপতি করেছেন সম্ভবত সকলের চাইতে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর কাছে আমার মর্যাদাই বেশী ৷ তাই তার কাছে আমি আগমন করলাম এবং তার সামনে
রসলাম ও রললাম, হে আল্লাহ্র রাসুল ! আপনার কাছে প্রিয়তম ব্যক্তিটি কে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন আইশা ৷ আমি বললাম , আমি আপনার পরিবার সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করছিনা ৷ তখন তিনি
বললেন, আইশার পিতা ৷ ’ আমি বললাম, এরপর কে ? ’ তিনি বললেন, উমর ৷ আমি বললাম,
তারপর ? এভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করলেন ৷ তিনি বললেন,
এরপর মনে মনে বলতে লাগৃলাম, আর কােনদিন এ ধরনের প্রশ্ন করব না ৷ ’


فَسَلَّمَ أَبُو عُبَيْدَةَ الْإِمَارَةَ لِعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحُصَيْنِ التَّمِيمِيُّ قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ يَسْتَنْفِرُ الْعَرَبَ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَذَلِكَ أَنَّ أُمَّ الْعَاصِ بْنِ وَائِلٍ كَانَتْ مِنْ بَنِي بَلِيٍّ، فَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ يَسْتَأْلِفُهُمْ بِذَلِكَ، حَتَّى إِذَا كَانَ عَلَى مَاءٍ بِأَرْضِ جُذَامَ يُقَالُ لَهُ: السَّلَاسِلُ. وَبِهِ سُمِّيَتْ تِلْكَ الْغَزْوَةُ ذَاتَ السَّلَاسِلِ. قَالَ: فَلَمَّا كَانَ عَلَيْهِ وَخَافَ، بَعَثَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَمِدُّهُ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ فِي الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ، فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، «وَقَالَ لِأَبِي عُبَيْدَةَ حِينَ وَجَّهَهُ: " لَا تَخْتَلِفَا» ". فَخَرَجَ أَبُو عُبَيْدَةَ، حَتَّى إِذَا قَدِمَ عَلَيْهِ قَالَ لَهُ عَمْرٌو: إِنَّمَا جِئْتَ مَدَدًا إِلَيَّ. فَقَالَ لَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ: لَا، وَلَكِنِّي عَلَى مَا أَنَا عَلَيْهِ، وَأَنْتَ عَلَى مَا أَنْتَ عَلَيْهِ. وَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ رَجُلًا لَيِّنًا سَهْلًا، هَيِّنًا عَلَيْهِ أَمْرُ الدُّنْيَا، فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: أَنْتَ مَدَدِي. فَقَالَ لَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ: يَا عَمْرُو، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَالَ لِي: " «لَا تَخْتَلِفَا» ". وَإِنَّكَ إِنْ عَصَيْتَنِي أَطَعْتُكَ. فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: فَإِنِّي أَمِيرٌ عَلَيْكَ، وَإِنَّمَا أَنْتَ مَدَدٌ لِي قَالَ: فَدُونَكَ. فَصَلَّى عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ بِالنَّاسِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ لَمَّا آبَ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَصَارُوا خَمْسَمِائَةٍ، فَسَارُوا اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৫৬
حَتَّى وَطِئَ بِلَادَ بَلِيٍّ وَدَوَّخَهَا، وَكُلَّمَا انْتَهَى إِلَى مَوْضِعٍ بَلَغَهُ أَنَّهُ قَدْ كَانَ بِهَذَا الْمَوْضِعِ جَمْعٌ، فَلَمَّا سَمِعُوا بِكَ تَفَرَّقُوا، حَتَّى انْتَهَى إِلَى أَقْصَى بِلَادِ بَلِيٍّ وَعُذْرَةَ وَبِلْقَيْنَ، وَلَقِيَ فِي آخِرِ ذَلِكَ جَمْعًا لَيْسَ بِالْكَثِيرِ، فَاقْتَتَلُوا سَاعَةً، وَتَرَامُوا بِالنَّبْلِ، وَرُمِيَ يَوْمَئِذٍ عَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ وَأُصِيبَ ذِرَاعُهُ، وَحَمَلَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِمْ فَهَرَبُوا، وَأَعْجَزُوا هَرَبًا فِي الْبِلَادِ وَتَفَرَّقُوا، وَدَوَّخَ عَمْرٌو مَا هُنَاكَ، وَأَقَامَ أَيَّامًا لَا يَسْمَعُ لَهُمْ بِجَمْعٍ وَلَا مَكَانٍ صَارُوا فِيهِ، وَكَانَ يَبْعَثُ أَصْحَابَ الْخَيْلِ فَيَأْتُونَ بِالشَّاءِ وَالنَّعَمِ، فَكَانُوا يَنْحَرُونَ وَيَذْبَحُونَ، وَلَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ، وَلَمْ تَكُنْ غَنَائِمُ تُقْسَمُ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، ثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، ثَنَا أَبِي، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، «عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: احْتَلَمْتُ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ فِي غَزْوَةِ ذَاتِ السَّلَاسِلِ، فَأَشْفَقْتُ إِنِ اغْتَسَلْتُ أَنْ أَهْلَكَ. قَالَ: فَتَيَمَّمْتُ ثُمَّ صَلَّيْتُ بِأَصْحَابِي الصُّبْحَ، فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " يَا عَمْرُو، صَلَّيْتَ بِأَصْحَابِكَ وَأَنْتَ جُنُبٌ؟ " قَالَ: فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي مَنَعَنِي مِنَ الِاغْتِسَالِ وَقُلْتُ: إِنِّي سَمِعْتُ اللَّهَ يَقُولُ: {وَلَا تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا} [النساء: 29]
পৃষ্ঠা - ৩৩৫৭

এ হাদীছটি সহীহ্ বুখারী এবং সহীহ্ মুসলিমেও অনুরুপ বর্ণিত রয়েছে ৷

আমর (বা) বলেন, এরপর আমি চুপ করে গেলাম , এই তার যে, আমার নাম না সর্বশেষে
তিনি উল্লেখ করেন ৷

সাগর সৈকতে প্রেরিত আবু উবায়দা (রা)এর অভিযান১

ইমাম মালিক (র) জাবির (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাগর সৈকতের দিকে একটি সেনাদল প্রেরণ করেন ৷ র্তাদের আমীর ছিলেন আবু উবায়দা ইবনুল
জাবৃরাহ্ (বা) ৷ সেনাবাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল তিন শ’ ৷ আমিও তাদের মধ্যে ছিলাম ৷ আমরা ঘর
থেকে বের হলাম বটে; কিন্তু রাস্তায় এসে আমাদের পাথেয় শেষ হয়ে যায় ৷ সেনাবাহিনীর সকল
সদস্য তাদের কাছে রক্ষিত খাবার সেনাপতি আবু ওবায়দা (রা)-এর আদেশ মুতাবিক তার কাছে
জমা দিলেন ৷ সেনাপতি প্রতিদিন কিছু কিছু করে সেনা সদস্যদেরকে খাবার দিতে লাগলেন ৷
খাবার ফুরিয়ে পেলে দৈনিক মাথা পিছু শুধু মাত্র একটি খেজুর বণ্টন শুরু হ্ল্ ৷ পরবর্তী রাবী
জাবির (রা)-কে জিজ্ঞেস করলেন, একটি খেজুর দিয়ে আপনাদের কীভাবে চলত ? তিনি বললেন,
যখন খাবার শেষ হয়ে গেল, তখন এই একটি ৫খজুরও আর জুটলনা ৷ তারপর আমরা সাগর
সৈকতে পেলাম এবং আমরা পাহাড়ের ন্যায় একটি সামুদ্রিক মাছ দেখতে পেলাম ৷

রাবী বলেন, সেনাবাহিনী এটাকে আঠার দিন যাবত খেলেন ৷ তারপর একদিন আবুউবায়দা
(বা) মাছটির পাজরের দুইটি বৃহৎ হাড় নিয়ে দীড় করাতে নির্দেশ দিলেন ৷ এ দুটো হাড়ের নিচ
দিয়ে একজন সৈনিক তার সাওয়ারী নিয়ে পার হয়ে গেল, কিন্তু এ দুটো হাড়কে স্পর্শ করল না ৷

সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে অনুরুপ বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ তবে তাদের ভাষায় জাবির
(রা)-এর ভাষ্য নিম্নরুপ : “রাসুল (সা) আমাদেরকে তিনশ’ অশ্বারোহী সহ এক অভিযানে প্রেরণ
করেন ৷ আমাদের আমীর ছিলেন আবুউবায়দা ইবনুল জাবৃরাহ্ (বা) ৷ আমরা কুরায়শদের একটি
কাফেলার অপেক্ষায় ছিলাম ৷ এরপর আমরা অত্যন্ত ক্ষুধার্ত হয়ে পড়লাম ৷ খাদ্যের অভাবে আমরা
গাছের পাতা যেতে বাধ্য হলাম ৷ তাই এই সেনাবাহিনীকে খাবৃতের যুদ্ধ বলা হয় ৷ ২ রাবী বলেন,
এক ব্যক্তি প্রথম দিন তিনটি উট যবেহ করলেন, দ্বিতীয় দিন আরো তিনটি উট যবেহ করলেন
এবং তৃতীয় দিন আরো তিনটি উট যবেহ করলেন ৷ এরপর আবু ওবায়দা (যা) তাকে উট ঘবাই
করতে নিষেধ করলেন ৷ রাবী বলেন, সাগর থেকে একটি বিশাল মাছ উঠে আসল, যাকে বলা
হয় আম্বর ৷ এই মাছটি আমরা ১৫ দিন পর্যন্ত থেলাম এবং আমরা তার থেকে তেল সংগ্রহ করে
শরীরে মাখলাম ৷ ফলে আমাদের শরীর সুস্থ হয়ে উঠল ৷ এরপর পাজরের অস্থির ঘটনা বর্ণনা করা
হয় ৷ উপরোক্ত হাদীছের মধ্যে উল্লিখিত, “আমরা কুরায়শদের একটি কাফেলার অপেক্ষায় ছিলাম’
এ বাক্যটির দ্বারা বুঝা যায় যে, এ অভিযান প্রেরণের ঘটনাটি ছিল হুদায়বিয়ার পুর্বেকার ঘটনা ৷
আল্লাহ তাআলা অধিক পরিজ্ঞাত ৷ যে ব্যক্তিটি উট যবেহ করেছিলেন তার নাম ছিল কায়স ইবন
সাদ ইবন উবায়দা (রা) ৷

হাফিয বায়হার্কীর উদ্ধৃত জাবির (রা)-এর বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে ৷ আমাদের পাথেয়

১ একে সীকুল বাহার অভিযান বলা হয়ে থাকে ৷ সম্পাদকদ্বয়
২ খাবত অর্থ গাছের পাতা ৷




(النِّسَاءِ: 29) فَضَحِكَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا» . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ كَانَ عَلَى سَرِيَّةٍ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِهِ، قَالَ: فَغَسَلَ مَغَابِنَهُ وَتَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ، ثُمَّ صَلَّى بِهِمْ. فَذَكَرَ نَحْوَهُ، وَلَمْ يَذْكُرِ التَّيَمُّمَ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَرَوَى هَذِهِ الْقِصَّةَ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، وَقَالَ فِيهِ: فَتَيَمَّمَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَفْلَحُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رُقَيْشٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ قَالَ: «كَانَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ حِينَ قَفَلُوا، احْتَلَمَ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ كَأَشَدَّ مَا يَكُونُ مِنَ الْبَرْدِ، فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: مَا تَرَوْنَ؟ قَدْ وَاللَّهِ احْتَلَمْتُ، فَإِنِ اغْتَسَلْتُ مُتُّ. فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ، وَغَسَلَ فَرْجَهُ وَتَيَمَّمَ، ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى بِهِمْ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ بَعَثَ عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ بَرِيدًا، قَالَ عَوْفٌ: فَقَدِمْتُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৫৮
عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي السَّحَرِ وَهُوَ يُصَلِّي فِي بَيْتِهِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ؟ " فَقُلْتُ: عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " صَاحِبُ الْجَزُورِ؟ " قُلْتُ: نَعَمْ. وَلَمْ يَزِدْ عَلَى هَذَا بَعْدَ ذَلِكَ شَيْئًا، ثُمَّ قَالَ: " أَخْبِرْنِي ". فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا كَانَ مِنْ مَسِيرِنَا، وَمَا كَانَ مِنْ أَبِي عُبَيْدَةَ وَعَمْرٍو، وَمُطَاوَعَةُ أَبِي عُبَيْدَةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ ". قَالَ: ثُمَّ أَخْبَرْتُهُ أَنَّ عَمْرًا صَلَّى بِالنَّاسِ وَهُوَ جُنُبٌ وَمَعَهُ مَاءٌ، لَمْ يَزِدْ عَلَى أَنْ غَسَلَ فَرْجَهُ وَتَوَضَّأَ، فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَدِمَ عَمْرٌو عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَهُ عَنْ صَلَاتِهِ، فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ، إِنِّي لَوِ اغْتَسَلْتُ لَمِتُّ، وَلَمْ أَجِدْ بَرْدًا قَطُّ مِثْلَهُ، وَقَدْ قَالَ تَعَالَى: {وَلَا تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا} [النساء: 29] قَالَ: فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَبْلُغْنَا أَنَّهُ قَالَ شَيْئًا» . وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، «عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ قَالَ: كُنْتُ فِي الْغَزْوَةِ الَّتِي بَعَثَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، وَهِيَ غَزْوَةُ ذَاتِ السَّلَاسِلِ، فَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ، فَمَرَرْتُ بِقَوْمٍ وَهُمْ عَلَى جَزُورٍ قَدْ نَحَرُوهَا، وَهُمْ لَا يَقْدِرُونَ عَلَى أَنْ يُعَضُّوهَا، وَكُنْتُ امْرَأً جَازِرًا، فَقُلْتُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৫৯

ছিল কেবল এক ঝুড়ি খেজুর ৷ এছ ৷ড়৷ আমাদের খাওয়ার মতে ৷ কোন কিছুই ছিলনা ৷৩ তাই আবু
উবায়দা (রা) আমাদেরকে একটি একটি খেজুর দৈনিক খেতে দিতেন ৷ আমরা ঐ একটি খেজুর
চুষতে থাকতাম যেমন শিশুরা করে থাকে ৷ তারপর আমি পানি পান করতাম ৷ এতে আমাদের
একটি দিবারাত চলে যেত ৷ আর আমরা আমাদের লাঠি৷ দ্ব ৷র৷ গাছের পাতায় পাতায় আঘাত
করতাম ৷ সেই পাতা ৷পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখতাম ৷ এরপর আমরা উক্ত পাতা খেতাম ৷ রাবী
বলেন, এরপর আমরা সাগরের তীরে চলে গেলাম এবং বিরাট বালির ন্তুপের ন্যায় একটি প্রকাণ্ড

মাছ সাগরের তীরে আমাদের জন্যে ভেসে আসল ৷ এটার নিবল্ট এসে দেখি এটা একটি বিরাট
প্রাণী যাকে বলা হয় আম্বর ৷ আবু উবায়দা (রা) বললেন, এটাতো মৃত তাই এটা খাওয়া যাবে না ৷
এরপর তিনি বললেন, “না বরং আমরা আল্লাহর রাসুল (সা) এর দুত, আমরা আল্লাহ্র রাস্তায়
রয়েছি আর আমরা নিরুপায় অবস্থায় আছি, কাজেই তোমরা তা খেতে পর ৷ রাবী বলেন, আমরা
এখানে প্রায় একমাস অবস্থান করলাম ৷ আমরা ছিলাম তিনশ’ জন ৷ আমরা মোটা তাজা হয়ে
গেলাম ৷ মাছের চোখের উপরিতাগ থেকে আমরা মটকার সাহাব:হ্বা৷ তেল সংগ্রহ করতাম ৷ আর
প্রতিদিন একটি র্ষাড়ের পরিমাণ অংশ কেটে নেয়া হত ৷ আবু উবায়দ৷ (রা) আমাদের মধ্য হতে
তেব জনকে মাছের চোখের উপর বসিয়ে দিলেন এবং পাজরের হাড়গুলে৷ হতে একটি হাড় হাতে
নিলেন ও দাড় করালেন ৷ত তারপর সবচেয়ে বড় সাওয়ারীটিকে তার নীচে দিয়ে যাবার আদেশ
দিলেন ৷ আমরা তা থেকে কিছু অংশ রান্না করে পাথেয় হিসেবে সংগে নিলাম ৷ যখন আমরা
মদীনায় আগমন করলাম তখন রাসুল (সা) এর দরবারে হাযির হয়ে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলাম ৷
তিনি বললেন, আল্লাহ্ তাআলা দয়া করে তোমাদের জন্যে খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ৷
ত তার কিছু অংশ কি তোমাদের কাছে আছে এবং আমাকে খেতে দিতে পার দ্রা রা ৷বী বলেন, আমরা
কিছু অং শ তার খিদমতে পেশ করলাম এবং৩ তিনি তা খেলেন ৷ ইমাম মুসলিম ও উপরের

হাদীছটি জাবির আনসা ৷রী (রা)-এর বরাতে উল্লেখ করেছেন ৷

উপরোল্লিখিত অধিকাংশ হাদীছের আলোকে বুঝা যায় যে, অভিযানটি ছিল হুদায়বিয়া সন্ধির
পুর্বেকার ঘটনা ৷ কিন্তু ইমাম বায়হাকীর অনুকরণেত তা এখানে উল্লেখ করা হল ৷ কেননা, তিনি এ
ঘটনাটি মুত তা যুদ্ধের পর ও মক্কা বিজয়ের পুর্বে উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ্৩ তা আলাই অধিক
পরিজ্ঞাত ৷

ইমাম বুখারী (র) মুতা যুদ্ধের পর জুহায়ন৷ গোত্রের হরুকাত এলাকায় উসাম৷ ইবন যায়দ
(রা)-এব অভিযানের বর্ণনার পরে উল্লেখ করেছেন ৷ উসাম৷ (রা) বলেন, “রাসুলুল্পাহ্ (সা)
আমাদেরকে হুরুকাত এলাকার অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ আমরা ভোর বেলায় শত্রুর উপর হামলা
করি ও তাদেরকে পরাজিত করি ৷ আমিও আমার এক আনসারী ভাই দুশমনদের এক লোককে
আক্রমণ করি ৷ যখন তাকে আমরা করে করে ফেললাম তখন লোকটি বলে উঠলং ৰু৷ ৷ ন্থএ ৷ ১া
ধ্া৷ ৷ আনসারী তাই তাকে আঘাত করা থেকে নিবৃত্ত থাকলেন; কিন্তু আমি বর্শা নিক্ষেপ করে
তাকে হত্যা করলাম ৷ যখন আমরা মদীনায় ফিরে এলাম তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে ঘটনা টি
উল্লেখ করা হলেও তিনি বললেন, হে উসাম৷ ৷ তুমি কি তাকে ধ্দু৷ ৷ ১৷ ৷ এ ৷ ১৷ বলার পরও হত্যা
করেছ ? আমি বললাম, যে ছিল তা ৷শ্রয়গ্রহণকাবী অর্থাৎ এটা ছিল তার আত্মরক্ষার একটি অজুহাত


لَهُمْ: تُعْطُونِي مِنْهَا عَشِيرًا عَلَى أَنْ أُقَسِّمَهَا بَيْنَكُمْ؟ قَالُوا: نَعَمْ. فَأَخَذْتُ الشَّفْرَةَ، فَجَزَّأْتُهَا مَكَانِي، وَأَخَذْتُ مِنْهَا جُزْءًا فَحَمَلْتُهُ إِلَى أَصْحَابِي، فَاطَّبَخْنَاهُ وَأَكَلْنَاهُ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ: أَنَّى لَكَ هَذَا اللَّحْمُ يَا عَوْفُ؟ فَأَخْبَرْتُهُمَا فَقَالَا: لَا وَاللَّهِ مَا أَحْسَنْتَ حِينَ أَطْعَمْتَنَا هَذَا. ثُمَّ قَامَا يَتَقَيَّآنِ مَا فِي بُطُونِهِمَا مِنْهُ، فَلَمَّا أَنْ قَفَلَ النَّاسُ مِنْ ذَلِكَ السَّفَرِ، كُنْتُ أَوَّلَ قَادِمٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجِئْتُهُ وَهُوَ يُصَلِّي فِي بَيْتِهِ فَقُلْتُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. فَقَالَ: " أَعَوْفُ بْنُ مَالِكٍ؟ " فَقُلْتُ: نَعَمْ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي. فَقَالَ: " صَاحِبُ الْجَزُورِ؟ " وَلَمْ يَزِدْنِي عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا» هَكَذَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، وَهُوَ مُنْقَطِعٌ بَلْ مُعْضَلٌ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ لَهِيعَةَ وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ لَقِيطٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ هِدْمٍ، أَظُنُّهُ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: فَعَرَضْتُهُ عَلَى عُمَرَ فَسَأَلَنِي عَنْهُ، فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: قَدْ تَعَجَّلْتَ أَجْرَكَ. وَلَمْ يَأْكُلْهُ. ثُمَّ حَكَى عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ مِثْلَهُ، وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ أَبَا بَكْرٍ، وَتَمَامُهُ كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৬০
وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ الْأَصَمُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي طَالِبٍ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، ثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، «سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ يَقُولُ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى جَيْشِ ذَاتِ السَّلَاسِلِ، وَفِي الْقَوْمِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَحَدَّثْتُ نَفْسِي أَنَّهُ لَمْ يَبْعَثْنِي عَلَى أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ إِلَّا لِمَنْزِلَةٍ لِي عِنْدَهُ. قَالَ: فَأَتَيْتُهُ حَتَّى قَعَدْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَنْ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَيْكَ؟ قَالَ: " عَائِشَةُ ". قُلْتُ: إِنِّي لَسْتُ أَسْأَلُكَ عَنْ أَهْلِكِ. قَالَ: " فَأَبُوهَا " قُلْتُ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: " عُمَرُ " قُلْتُ: ثُمَّ مَنْ؟ حَتَّى عَدَّدَ رَهْطًا، قَالَ: قُلْتُ فِي نَفْسِي: لَا أَعُودُ أَسْأَلُ عَنْ هَذَا» . وَهَذَا الْحَدِيثُ مُخَرَّجٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ خَالِدِ بْنِ مِهْرَانَ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، وَاسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَلٍّ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ عَلَى جَيْشِ ذَاتِ السَّلَاسِلِ، فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ: أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: " عَائِشَةُ " قُلْتُ: فَمِنَ الرِّجَالِ؟ قَالَ: " أَبُوهَا " قُلْتُ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: " ثُمَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ " فَعَدَّ رِجَالًا.» وَهَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ عَمْرٌو: فَسَكَتُّ مَخَافَةَ أَنْ يَجْعَلَنِي فِي آخِرِهِمْ.