আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى ملوك الآفاق وكتبه إليهم

بعثه صلى الله عليه وسلم إلى المقوقس

পৃষ্ঠা - ৩৩৫১

ইবন ইসহাক বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু আমির ইবন লু’য়ীর সদস্য সালীত ইবন আমর
ইবন আ বদুদ (রা) কে ইয়ড়ামামার শাসনকর্তা হাওযা ইবন আলীর নিকট প্রেরণ করেন ৷ আর আলা
ইবন হাদরামী (রা) কে ওমানের শাসক জায়ফার ইবন আল-জালান্দি আল ইয দী এবংঅ ম্মআার ১
ইবন আল-জালা ৷ন্দি আল ইযদীর নিকট প্রেরণ করেন ৷

যাতুস সালাসিদ্বপ্ন্ব২ যুদ্ধ

হড়াফিয বাযহ কী মক্কা বিজয়ের পুর্বে এ যুদ্ধটির ঘটনা উল্লেখ করেন এবং মুসা ইবন উকবা ও
উরওয়া ইবন যুবায়র (রা) এর বরাতে তিনি বলেন যে, ত ৷রা দুইজন বলেছেন , “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সিরিয়া এলাকায় অবস্থিত বনু বালীও বনুকুযাআর বাসভুমির অন্তর্গত যাতুস সালাসিল নামক স্থানে
আমর ইবন আস (রা) কে প্রেরণ করেন ৷ উরওয়া ইবনুয যুবায়র (রা) বলেন, বনু বালী ছিল
আস ইবন ওয়ায়েলের মাতুল বংশ ৷ যখন আমর ইবন আস (রা) এর সেনাবাহিনী সেখানে
পৌছল, তখন তারা দুশমনের সং খ্যা অধিক হওয়ায় ভীত সস্ত্রস্ত হয়ে পড়েন ৷ র্তারা রাসুলুল্লাহ্

(না)-এর কাছে লোক প্রেরণ করে সাহায্য প্রার্থনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রথমদিকের
মুহাজিরগণকে যুদ্ধে যাবার জন্যে ডেকে পাঠালেন ৷ শীর্ষস্থানীয় মুহড়াজিরগণের একটি দল যার
মধ্যে আবু বকর এবং উমর (রা) ও ছিলেন, যুদ্ধে অংশ্যাহণের জন্যে সাড়া দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ্ (রা)-কে র্তাদের আমীর নিযুক্ত করলেন ৷ মুসা ইবন উকবা
বলেন, নতুন সৈন্যদল যখন আমর (রা)-এর কাছে আগমন করেন তখন তিনি বলেন, আমি
তোমাদের আমীর ৷ আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা)এর কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠিয়েছিলাম ৷ মুহাজিরগণ
বললেন, আপনি আপনার সাথীদের আমীর ৷ আর আবুউবায়দা (বা) মুহাজিরগণের আমীর ৷ আমর
(বা) বললেন, আপনারা আমার সাহায্যকারী ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে সাহায্য চেয়ে
পাঠিয়েছিলাম ৷ আবু উবায়দা (রা) ছিলেন নম্র, ভদ্র ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী ৷ তিনি এরুপ
পরিস্থিতি ৩লক্ষা করে বললেন “হে আমর ! তুমি জেনে রেখো, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে সর্বশেষ
নিদ্যেশ বলেছেন, যখন তুমি তোমার সাথীর কাছে পৌছবে, তখন তোমরা মিংল মিশে
থাকবে ৷” এখন তুমি যদিণ্ডু আমার কথা অমান্যও কর তবু আমি তোমার কথা মেনে চলব ৷
এভাবে আবুউবায়দা (বা) আমর ইবন আস (বা) এর নেতৃত্ব মেনে নিলেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক, মুহাম্মাদ ইবন আবদুর রহমান এর বরাতে বলেন , রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমর ইবন আসকে প্রেরণ করেন যাতে তিনি আরবদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন ৷
প্রকাশ থাকে যে, আস ইবন ওয়ায়েলের মা ছিলেন বনু বালী গোত্রের ৷ এজন্যই আমর ইবন
আস (রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উক্ত গোত্রে পাঠালেন যাতে তিনি ইসলামের স্বপক্ষে তাদের মন
জয় করতে পারেন ৷ তাই আমর (বা) বনু জুযামের জলাশয় সালাসিলের নিকট পৌছলেন ৷ এ
কুয়ার নামানুসারে এ যুদ্ধের নাম যাতুস সালাসিল হয়েছে ৷ রাবী বলেন, তিনি উক্ত জায়গায় পৌছে
শত্রু সৈন্যের আধিক্যে ভীত হয়ে পড়েন ৷ তাই তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে সাহায্য প্রার্থনা



১ অন্য বর্ণনায় তার নাম আবদ বলে উল্লিখিত হয়েছে ৷
২ একে যাতুস সুলাসিলও বলা হয়ে থাকে ৷ — সম্পাদকদ্বয় ৷


[بَعْثُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمُقَوْقِسِ] ِ صَاحِبِ مَدِينَةِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ وَاسْمُهُ جُرُيْجُ بْنُ مِينَا الْقِبْطِيُّ قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ حَاطِبَ بْنَ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى الْمُقَوْقِسِ صَاحِبِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ، فَمَضَى بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِ، فَقَبِلَ الْكِتَابَ، وَأَكْرَمَ حَاطِبًا وَأَحْسَنَ نُزُلَهُ، وَسَرَّحَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَهْدَى لَهُ مَعَ حَاطِبٍ كُسْوَةً، وَبَغْلَةً بِسَرْجِهَا، وَجَارِيَتَيْنِ، إِحْدَاهُمَا أَمُّ إِبْرَاهِيمَ، وَأَمَّا الْأُخْرَى فَوَهَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ الْعَبْدِيِّ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. ثُمَّ رُوِيَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ، قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمُقَوْقِسِ مَلِكِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ. قَالَ: فَجِئْتُهُ بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنْزَلَنِي فِي مَنْزِلِهِ وَأَقَمْتُ عِنْدَهُ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَيَّ وَقَدْ جَمَعَ بِطَارِقَتَهُ، وَقَالَ: إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ كَلَامٍ، فَأُحِبُّ أَنْ تَفْهَمَ عَنِّي، قَالَ: قُلْتُ: هَلُمَّ. قَالَ: أَخْبِرْنِي عَنْ صَاحِبِكَ، أَلَيْسَ هُوَ نَبِيًّا؟ قُلْتُ: بَلَى، هُوَ رَسُولُ اللَّهِ. قَالَ: فَمَا لَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৫২

করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু উবায়দা ইবন জাররাহ্ (রা) কে শীর্ষস্থানীয় মুহাজিরগণ সহ প্রেরণ
করলেন ৷ তাদের মধ্যে আবু বকর (রা) ও উমর (রা) ও ছিলেন ৷ বিদায়কালে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আবু উবায়দা (রা) কে বলে দিয়েছিলেন তোমরা পরস্পর ম৩ বিরোধ করােন৷ ৷ এরপর আবু
উবায়দা (রা) রওয়ানা হলেন এবং যখন আমর (রা) এর কাছে পৌছলেন তখন আমর (রা)
বললেন, আপনি আমাকে সাহায্য করতে এসেছেন ৷ আবুউবায়দ৷ (রা) তাকে বললেন, না, বরং

আমি আম র সৈন্যদল নিয়ে আছি আর আপনি আপন র ৷সৈন্যদল নিয়ে আছেন ৷ আবু উবায়দা (রা)
ছিলেন নরম, সরল ও ভদ্র মেযাজের ৷ পার্থিব আধিপতেব্রর ব্যাপারটি ছিল তার কাছে গৌণ ৷
এরপর আমর (রা) তাকে বললেন, আপনি আমার সাহায্যকারী ৷ আবু উবায়দা (রা) বললেন, হে
আমর ৷ নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বলে দিয়েছেন, “ তোমরা মতবিরোধ করবে না ৷ ” তাই
আপনি আমার কথা অমান্য করলেও আমি আপনার কথা মেনে চলব ৷ আমর তখন তাকে
বললেন, “আমি আপনার আমীর ৷ আর আ৷পনি আমার সাহায্যকা৷ ৷রী ৷ আবু ট্টবায়দ৷ (রা) বললেন,
“তাহলে আপনিই নেতৃতৃ গ্রহণ করুন ৷” তারপর আমর ইবন আস মুসলমানদের নামাখে
ইমামতি ক৩রতে থাকেন ৷

ওয়াকিদী ইয়াযীদ ইবন রুমান হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নিশ্চয়ই যখন আবু
উবায়দা ৷(রা) আমর ইবন আস (রা) এর সাথে যোগ দেন তখন তাদের সৈন্য সং খ্যা দাড়িয়ে
ছিল ৫০০ তে ৷ তারা দিনরাত সফর করে বনু বালীর এলাকা ও তত্সংলপ্ন এলাকা অতিক্রম
করেছিলেন ৷ যখনই তারা কোন জায়গায় গিয়ে পৌছতেন তখনই শুনতে পেতেন যে, শত্রু
সেনারা কিছুক্ষণ আগেও এখানেই অবস্থান করছিল ৷৩ তারা মুসলিম সেনাদের উপস্থিতি আচ
করতে পেরেই পালিয়ে যেতে৷ ৷ এরুপে তারা বনু বালীর এলাকা র শেষ প্রান্তে উবৃরা ও বালর্কীন
অঞ্চলে পৌছে একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদলের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয় ৷ আর এ সংঘর্ষ কিছু সময় পর্যন্ত
চলতে থাকে ৷ তারপর কিছুক্ষণ উভয় বাহিনী তীর বিনিময় করে ৷ ঐদিন আমির ইবন রাবীয়া ভাল
হয়ে যায় ও তার একটি হাত হারান ৷ মুসলমানগণ কাফিরদের উপর হামলা করেন ও তাদেরকে
পরাজিত করেন ৷ শত্রুসেনারা পরাজিত হয়ে পলায়ন করে ও ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ৷ সেখানে যা কিছু
পাওয়া গেল আমর (রা) তা সবই দখল করে নেন ৷ সেখানে মুসলিম সৈন্যরা কিছু দিন অবস্থান
করেন ৷ যখনই কোন জায়গায় শত্রু সেনা জমায়েত হয়েছে বলে খবর আসত সেখানেই তারা
ঝটিক৷ অভিযান৷ চ ৷লাতেন ও তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিতেন ৷ তারা চতৃর্দিকেতাদের অশ্বারোহী
সৈন্যদের পাঠাতেন ৷ তারা গনীমতের পশুপাল নিয়ে আসতেন ও এগুলো যব ই করে থেতেন ৷
এর অতিরিক্ত তারা ওখানে আর কিছু লাভ করতে পারেননি ৷ বণ্টন করার মত কোন প্রকার
গনীমত পাওয়া যায়নি ৷

আবুদাউদ (র) আমর ইবন আস (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যাতুস

সালাসিল যুদ্ধে অত্যন্ত ঠাণ্ডা রাতে আমর স্বপ্নদোষ হয় ৷ যদি গোসল করি তাহলে জীবন নাশের
ভয় ছিল ৷ তাই আমি তায়াম্মুম করলাম ৷৩ তারপর আমার সাথীদেরকে নিয়ে ফজরের সালাত

আদায় করলাম ৷ আমার সঙ্গীগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত করলেন ৷ তখন

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আমর ! তুমি কি অপবিত্র অরস্থায়৩ তোমার সাথীদের নিয়ে সালাত

৬০ —

حَيْثُ كَانَ هَكَذَا، لَمْ يَدْعُ عَلَى قَوْمِهِ حَيْثُ أَخْرَجُوهُ مِنْ بَلَدِهِ إِلَى غَيْرِهَا؟ قَالَ: فَقُلْتُ: عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، أَلَيْسَ تَشَهَدُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: بَلَى. قُلْتُ: فَمَا لَهُ حَيْثُ أَخَذَهُ قَوْمُهُ، فَأَرَادُوا أَنْ يَصْلُبُوهُ، أَلَّا يَكُونَ دَعَا عَلَيْهِمْ بِأَنْ يُهْلِكَهُمُ اللَّهُ حَتَّى رَفَعَهُ اللَّهُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا؟ فَقَالَ لِي: أَنْتَ حَكِيمٌ، قَدْ جَاءَ مِنْ عِنْدِ حَكِيمٍ، هَذِهِ هَدَايَا أَبْعَثُ بِهَا مَعَكَ إِلَى مُحَمَّدٍ، وَأُرْسِلُ مَعَكَ بِبَذْرَقَةٍ يُبَذْرِقُونَكَ إِلَى مَأْمَنِكَ. قَالَ: فَأَهْدَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ جَوَارٍ، مِنْهُنَّ أُمُّ إِبْرَاهِيمَ بْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَاحِدَةٌ وَهَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي جَهْمِ بْنِ حُذَيْفَةَ الْعَدَوِيِّ، وَوَاحِدَةٌ وَهَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيِّ، وَأَرْسَلَ إِلَيْهِ بِطُرْفٍ مِنْ طُرَفِهِمْ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّهُ أَهْدَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ جَوَارٍ، إِحْدَاهُنَّ مَارِيَةُ أَمُّ إِبْرَاهِيمَ، وَالْأُخْرَى سِيرِينُ الَّتِي وَهَبَهَا لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ حَسَّانَ. قُلْتُ: وَكَانَ فِي جُمْلَةِ الْهَدِيَّةِ غُلَامٌ أَسْوَدُ خَصِيٌّ، اسْمُهُ مَأْبُورُ، وَخُفَّانِ سَاذَجَانِ أَسْوَدَانِ، وَبَغْلَةٌ بَيْضَاءُ اسْمُهَا الدُّلْدُلُ، وَكَانَ مَأْبُورُ هَذَا خَصِيًّا، وَلَمْ يَعْلَمُوا بِأَمْرِهِ بَادِيَ الْأَمْرِ، فَصَارَ يَدْخُلُ عَلَى مَارِيَةَ، كَمَا كَانَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৫৩
مِنْ عَادَاتِهِمْ بِبِلَادِ مِصْرَ، فَجَعَلَ بَعْضُ النَّاسِ يَتَكَلَّمُ فِيهِمَا بِسَبَبِ ذَلِكَ، وَلَا يَعْلَمُونَ بِحَقِيقَةِ الْحَالِ، وَأَنَّهُ خَصِيٌّ، حَتَّى قَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ الَّذِي أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ بِقَتْلِهِ، فَوَجَدَهُ خَصِيًّا فَتَرَكَهُ، وَالْحَدِيثُ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ ". قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَلِيطَ بْنَ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ وُدٍّ، أَخَا بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، إِلَى هَوْذَةَ بْنِ عَلِيٍّ صَاحِبِ الْيَمَامَةِ وَبَعَثَ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ، إِلَى الْمُنْذِرِ بْنِ سَاوَى، أَخِي بَنِي عَبْدِ الْقَيْسِ، صَاحِبِ الْبَحْرَيْنِ، وَعَمْرَو بْنَ الْعَاصِ إِلَى جَيْفَرِ بْنِ الْجُلُنْدَى وَعَمَّارِ بْنِ الْجُلُنْدَى الْأَزْدِيَّيْنِ صَاحِبَيْ عُمَانَ.