আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى ملوك الآفاق وكتبه إليهم

পৃষ্ঠা - ৩৩২৭

করবে না, কিন্তু আমি ছিলাম একজন সর্দার ও নেতৃস্থানীয় সম্মানিত ব্যক্তি ৷ কাজেই আমি মিথ্যা
বলাটাকে লজ্জাজনক মনে করলাম ৷ আমি আরো জানতাম যে, যিথ্যার মত সামান্য কিছু ত্রুটিও

যদি তারা আমার মধ্যে দেখতে পায়, তাহলে তারা এটা নিয়ে মক্কায় সমালোচনা করবে, এজন্যে
আ ৷মি মিথ্যা বলিনি ৷

তারপর সম্রাট জিজ্ঞেস করলেন, ৩৫ আমাদের মধ্যে যিনি নুবুওতের দা ৷বী করেছেন তার সম্বন্ধে
আমাকে বিস্তারিত সংবাদ পরিবেশন কর ৷ আবু সুফিয়ান বলেন, আমি তাকে খাটো করে
দেখাবার প্রয়াস পেলাম ৷ তা ই আমি বললাম, আপনার যা কিছু জান র দরকার মনে করেন, তা
জিজ্ঞেস করতে পারেন ৷ তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যেত তার বংশ মর্যাদা কেমন ? উত্তরে
আমি শুধুমাত্র বললাম, আমাদের মধ্যে তার বংশ মর্যাদা উত্তম ৷ তিনি ন্,ৱললেন আমাকে তুমি
সংবাদ দাও যে, তা ৷র পরিবারের মধ্যে পুর্বে কেউ এরুপ দ ৷বী করেছিল কি না ? তাহলে বুঝা যেত
যে, তিনি৩ তার অনুকরণ করছেন ৷’ আমি বললাম, না’ ৷ তিনি বললেন আমাকে সংবাদ দাও যে
তার কোন রাজত্ব ছিল কি না-য৷ তোমরা তার থেকে জােরপুর্বক ছিনিয়ে নয়েছ ? সুতরাং এটাকে
তোমাদের থেকে ফেরত নেবার জন্যে৩ তিনি নুবুওভ্রুত র দাবী করছেন ৷ আমি বললাম, না ৷ তিনি
বললেন, তাহলে তার অনুসারীদের ব্যাপারে আমাকে সংবাদ দাও যে তারা কারা ? অ৷ ৷মি বললাম ,
কিশোর , দুর্বল এবং নিঃস্ব গোত্রের লোকেরা ৷ তবে তাদের মধ্যে যারা ভদ্র ও উচ্চ বংশের তারা
তাকে বিশ্বাস করছেন৷ ৷ ’ তিনি বললেন, অড়ামাকে সংবাদ দাও যে, তার অনুসারীরা তাকে
ভালবাসে এব× সম্মান করে কি না ? নাকি তাকে ঘৃংা৷ করে কিৎবা তার থেকে পৃথক হয়ে যায় ?
আমি বললাম, এমন কোন অনুস৷ ৷রী তার নেই যেত তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ তিনি বললেন
এখন আমাকে তুমি তোমাদের ও তার মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের খবর দাও খতন আমি তাকে
বললাম, যুদ্ধ হচ্ছে একটি পানির বালতির ন্যায় কখনও আমাদের দখলে থাকে আবার কখনও
তার দখলে থাকে ৷ অর্থাৎ পালাক্রমে জয় পরাজয় চলছে ৷ ’ তিনি বললেন, আমাকে সংবাদ দাও
তিনি ওয়াদ৷ ভঙ্গ করেন কি ?’ আবু সুফিয়ান (রা) বললেন “তাকে ওয়াদ৷ ভৎগকারী হিসেবে
চিহ্নিত করার কোন সুযোগ না পেয়ে শুধুমাত্র বললাম, না৩ তবে আমরা তার সাথে একটি চুক্তির
মধ্যে আছি, এ ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা নেই যে, তিনি কোন প্রকার ওয়াদ৷ ভৎগ করবেন না ৷
আল্লাহর শপথ, রোম সম্রাট আমার এ কথার প্রতি কোন কর্ণপাতই করলেন না ৷ ’ আবুসুফিয়ান
র(া) বলেন, তারপর আব৷ র৩ তিনি কথা শুরু করলেন এব× বললেন তুমি বলেছ তিনি তোমাদের
মধ্যে উত্তম ব×শের সন্তান ৷ এরুপে আল্লাহ্ তা আলা নবীপণকে উত্তম ব ×শ হতে মনোনীত
করেন ৷ আমি ওে তামাকে প্রশ্ন করেছিলাম যে তার পরিবার পবিজনের মধ্যে কেউ কি তার মত
এরুপ দাবী করেছে ? তাহলে বুঝতাম যে, তিনিও অনুরুপ বলছেন ৷ তুমি বলেছ, না’ আবার
তোমাকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম৩ তার ৷কি কো ন রাজত্ব আছে যা তোমরা তার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছ
? সুতরা× তিনি তার রাজত্ব ফিরে পাবার জন্যে নুবুওয়াতের দাবী করছেন ৷ তুমি উত্তরে বলেছ
না ৷ তোমাকে আমি তার অনুসারীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছি ৷ উত্তরে তুমি বলেছ, তারা
কিশোর, দুর্বল ও নিঃস্ব গোছের লোকজন ৷ আর সকল যুগের নবীদের অনুসারীর৷ এরুপই
ছিলেন ৷ আবার আমি৫ তামাকে প্রশ্ন করেছি যে, যারা তার অনুসারী তারা কি ভাবে ভালবাসে
এবং সম্মান করে ? না তাকে ঘৃণা করে ও তার থেকে পৃথক হয়ে যায় ? তুমি বলেছ, যারা তার


[كِتَابُ بَعْثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مُلُوكِ الْآفَاقِ وَكَتْبِهِ إِلَيْهِمْ] [وَقْتُ إِرْسَالِ الرُّسُلِ إِلَى مُلُوكِ الْآفَاقِ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ كِتَابُ بَعْثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مُلُوكِ الْآفَاقِ وَكَتْبِهِ إِلَيْهِمْ يَدْعُوهُمْ، إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَإِلَى الدُّخُولِ فِي الْإِسْلَامِ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ ذَلِكَ فِي آخِرِ سَنَةِ سِتٍّ فِي ذِي الْحِجَّةِ، بَعْدَ عُمْرَةِ الْحُدَيْبِيَةِ. وَذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ هَذَا الْفَصْلَ فِي هَذَا الْمَوْضِعِ، بَعْدَ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَا خِلَافَ بَيْنَهُمْ أَنَّ بَدْءَ ذَلِكَ كَانَ قَبْلَ فَتْحِ مَكَّةَ وَبَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ، لِقَوْلِ أَبِي سُفْيَانَ لِهِرَقْلَ حِينَ سَأَلَهُ: هَلْ يَغْدِرُ؟ فَقَالَ: لَا، وَنَحْنُ مِنْهُ فِي مُدَّةٍ لَا نَدْرِي مَا هُوَ صَانِعٌ فِيهَا. وَفِي لَفْظٍ لِلْبُخَارِيِّ: وَذَلِكَ فِي الْمُدَّةِ الَّتِي مَادَّ فِيهَا أَبُو سُفْيَانَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: كَانَ ذَلِكَ مَا بَيْنَ الْحُدَيْبِيَةِ وَوَفَاتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَنَحْنُ نَذْكُرُ ذَلِكَ هَاهُنَا، وَإِنْ كَانَ قَوْلُ الْوَاقِدِيِّ مُحْتَمَلًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ
পৃষ্ঠা - ৩৩২৮

সাথী হয়েছে৩ তাদের কেউই তার থেকে পৃথক হয়ে যায়নি ৷ আর এরুপই হচ্ছে ঈমানের স্বাদ ৷
যদি একবার অম্ভরে প্রবেশ করে তাহলে তা বের হয়ে যায় না ৷ আমি তে তামাকে প্রশ্ন করেছি, তার
আর তোমাদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের খবর কী ? তুমি বলেছ,৩ তা একটি পানির বা লাতির ন্যায়
কিছুদিন এটা তোমাদের দখলে থাকে আবার কিছুদিন তার দখলে থাকে ৷ আর এরুপই হয়েছিল
নবীদের যুদ্ধ ৷ পরিণামে তাদেরই জয় হয় ৷ আ ৷মি প্রশ্ন করেছিলাম তিনি কি ওয়াদ৷ তংপ করেন ?
তুমি বলেছ, তিনি ওয়াদ৷ ভঙ্গ করেন না ৷ যদি আমার কাছে সব সত্য কথা বলে থাকে৷ তাহলে
মনে রেখো, তিনি আমার দৃপায়ের৩ তলা পর্যন্ত জয় করে নেবেন ৷ আমার ইচ্ছে হয় যে আমি যদি
তার কাছে পৌছতে পারি তাহলে তার পা ধুইয়ে দেই ৷ এরপর তিনি বললেন,তু মি তোমার
কাজে চলে যাও ৷ আবুসুফিয়ান (রা) বলেন, আমি দাড়িয়ে গেলাম এবং এক হাতকে অন্য হাত
দ্বারা আঘাত করলাম এবং বললাম , হে আল্লাহ্র বান্দাগণ ! চেয়ে দেখো , আবু কাবসার ছেলের
ব্যাপারটি কী পর্যন্ত পৌছে গেছে ৷ বনৃল আসফাবের (রোম) শাসকরাও তার দরুন তাদের
রাজত্বের জন্যে ভয় করছে ৷ ”
ইবন ইসহাক বলেন, যুহরী আমাকে বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর যুগের খৃক্টানদের এক
ধর্মযাজক আমাকে বলেছেন যে, দিহইয়৷ ইবন খলীফা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর একটি পত্র নিয়ে
রোমক সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে আগমন করেন ৷ পত্রের পাঠ ছিল নিম্নরুপ :

৷ ণ্৬শ্শৃ!
;,এে ৰু

পরমদাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে, মুহাম্মাদৃর রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে রোমের সম্রাট
হিরাক্লিয়াসের প্রতি ৷ যে হিদায়াতের পথ অনুসরণ করে তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক ৷ এরপর
ইসলাম গ্রহণ কর, নিরাপত্তা লাভ করবে ৷ তোমাকে আল্লাহ তাআলা দ্বিগুণ ছওয়াব দান করবেন ৷
আর তুমি যদি ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার কর, তাহলে তোমাকে কৃষক প্ৰজাদের গুনাহ্ ও
তোমার উপর বতাবে ৷ যখন তার কাছে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পত্র পৌছল, তখন তিনি এটা
পড়লেন এবং ধরে রাখলেন ৷ তারপর পত্রটি কােমরও উরুর মধ্যবর্তী জায়গায় হিফাযত করে
রাখলেন ৷ তারপর তিনি তার একজন রোমীয় বন্ধুর কাছে পত্র লিখলেন ৷৩ ৷র বন্ধুটি হিব্রুভ্য
জানতেন ৷ তার মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পক্ষ থেকে যে পত্রটি এসেছিল৩ ৷র অর্থ অনুধাবন
করে ৷ তারপর সে তার পত্রের উত্তরে লিখে যে,৩ তিনি সত্য নবী যার জন্যে অপেক্ষা করা হচ্ছে ৷
তার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই ৷ তাই তার অনুসরণ কর ৷

এরপর রোমের সম্রাট, রোমের শাসনকর্তাদেৱকে আদেশ দিলেন, তারা যেন তার সাম্রাজ্যের
দ্বাররুদ্ধ একটি প্রাসাদে সমবেত হয় ৷ প্রাসাদে আলোর ব্যবস্থা করা হয় ৷ আর তিনি দােতলার
একটি বারো থেকে তাদের প্ৰতি ৩দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন ৷ তিনি তাদেরকে অনেক ভয় করতেন ৷
এরপর তিনি বলেন, হে রােমানগণ ৷ আহমদের পক্ষ হতে আমার কাছে একটি পত্র এসেছে ৷
নিশ্চয়ই তিনি এমন একজন নবী আমরা যার অপেক্ষা করছি, যার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আমাদের কিভাবে

৫৮ —

وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ حَمَّادٍ الْمَعْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ قَبْلَ مَوْتِهِ إِلَى كِسْرَى وَقَيْصَرَ وَإِلَى النَّجَاشِيِّ، وَإِلَى كُلِّ جَبَّارٍ، يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ» ، وَلَيْسَ بِالنَّجَاشِيِّ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهِ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ، مِنْ فِيهِ إِلَى فِيَّ، قَالَ: كُنَّا قَوْمًا تُجَّارًا، وَكَانَتِ الْحَرْبُ قَدْ حَصَرَتْنَا حَتَّى نَهَكَتْ أَمْوَالَنَا، فَلَمَّا كَانَتِ الْهُدْنَةُ - هُدْنَةُ الْحُدَيْبِيَةِ - بَيْنَنَا وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ نَأْمَنْ أَنْ وَجَدْنَا أَمْنًا، فَخَرَجْتُ تَاجِرًا إِلَى الشَّامِ مَعَ رَهْطٍ مِنْ قُرَيْشٍ، فَوَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ بِمَكَّةَ امْرَأَةً وَلَا رَجُلًا إِلَّا وَقَدْ حَمَّلَنِي بِضَاعَةً، وَكَانَ وَجْهُ مَتْجَرِنَا مِنَ الشَّامِ غَزَّةَ مِنْ أَرْضِ فِلَسْطِينَ، فَخَرَجْنَا حَتَّى قَدِمْنَاهَا، وَذَلِكَ حِينَ ظَهَرَ قَيْصَرُ صَاحِبُ الرُّومِ عَلَى مَنْ كَانَ فِي بِلَادِهِ مِنَ الْفُرْسِ، فَأَخْرَجَهُمْ مِنْهَا، وَرَدَّ عَلَيْهِ صَلِيبَهُ الْأَعْظَمَ، وَقَدْ كَانَ اسْتَلَبُوهُ إِيَّاهُ، فَلَمَّا أَنْ بَلَغَهُ ذَلِكَ، وَقَدْ كَانَ مَنْزِلُهُ بِحِمْصَ مِنْ أَرْضِ الشَّامِ، فَخَرَجَ مِنْهَا يَمْشِي مُتَشَكِّرًا إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ،
পৃষ্ঠা - ৩৩২৯

রয়েছে এবং আমরা যাকে তার যুগ ও তার বিশেষ বিশেষ নিদর্শনসমুহের সাহায্যে সহত্তেইি
চিনতে পারি ৷ সুতরাং তোমরা সকলে মুসলমান হয়ে যাও এবং তার অনুসরণ কর ৷ তাহলে
তোমরা দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি লা ত করতে পারবে ৷ তখন তারা এবইি লোকের ন্যায় সমস্বরে
চীৎকাব করতে লাগল এবং প্রাসাদের দরজার দিকে ধাবিত হল ৷ তবে এগুলোকে তারা পিছন
থেকে বন্ধ দেখতে পেল ৷ সম্রাট তাতে ভড়কে গেলেন এবং বললেন, তাদেরকে আমার কাছে
ফিরিয়ে নিয়ে এসো ৷ তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল ৷ তখন তিনি তাদেরকে বললেন, “হে
রোমানগণ ! আমি কেবল তোমাদেরকে পবীক্ষার উদ্দেশ্যে এ কথাটি বলছি যেন তোমরা
তোমাদের ধর্মে কতটুকু দৃঢ় আছ৩ তা আচ করতে পারি ৷ এখন আমি কে ৷মাদেরকেএ অবস্থা
দেখে খুশী হলাম ৷” তখন তারা তার সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়ল ৷ তারপর তাদের জন্যে
প্রাসাদের দ্বার থােল৷ হল এবং তারা বের হয়ে গেল ৷

ইমাম বৃখারী (র) হিরাক্লিয়াসের সাথে আবু সুফিয়ান (রা) এর ন্হার্টনাটি কিছু বর্ধিত কলেবরে
বর্ণনা করেছেন ৷ আমি সহীহ্ বুখারীর উপস্থাপিত সনদ ও শব্দ উল্লেখ সহকারে ঘটনাটি বর্ণনা
করার আশা পোষণ করি ৷ যাতে দুই ঘটনার মধ্যে পুর্বাপর পার্থক্য ও এগুলোর মধ্যে সন্নিবেশিত
তথ্যাদি প্রকাশ পায় ৷

বুখারী (রা) সহীহ্ কিত৷ ৷রে ঈমান অধ্যায়ের পুর্বে৩ তার বর্ণনাটি উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি আবুল
ইয়ামান আল হ-াকাম আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা ৷করেন ৷ তিনি বলেছেন,
আবু সুফিয়ান (রা)ত তার কাছে বর্ণনা করেছেন নিশ্চয়ই রােমক সম্রাট হিরাক্লিয়াস তার কাছে
একজন লোককে প্রেরণ করেন ৷ তিনি কুরায়শের একটি ক ৷ফেলায় ছিলেন ৷ কাফেলার সদস্যগণ
ছিলেন সিরিয়ার ব্যবসায়ী ৷ আর সময়টি ছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবু সুফিয়ান (রা) ও
কুরায়শদের কাফিরদের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তির মেয়াদের মধ্যে ৷ তারা তখন সম্রাটের কাছে
আগমন করলেন ৷ সম্রাট তার সভা ৷সদবর্গ নিয়ে ইলিয়ায় অবস্থান করছিলেন ৷ সম্রাট আরবদেরকে
তার মজলিসে ডাকলেন ৷ আর তার পাশেই ছিল রোমের নেতৃতৃস্থুানীয় ব্যক্তিবর্গ ৷ এরপর
দোভা ষীকেও ডাকলেন ৷ তিনি প্রশ্ন করলেনং : তোমাদের মধ্যে কে ঐ লোকটির বংশের দিক দিয়ে
সর্বাধিক নিকটবর্তী যিনি নবী বলে দাবী করেছেন ? আবু সুফিয়ান (রা) বলেন, আমি বললাম ,
আমি বা শের দিক দিয়ে তাদের মধ্যে তার নিকটতম ৷ সম্রাট বললেন তাকে আমার আরো
নিকটে আনয়ন কর এবং তার সাথীদেরকেও নিকটে নিয়ে এসো ৩৩ তার পিছনের দিকে বসা ও ৷
এরপর তিনি দােত ৷ষীকে বললেন যে, তাদেরকে বলে দাও যে আমি তাকে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে
জিজ্ঞাসাব৷ ৷দ করব যিনি নবী বলে দা ৷বী করেন ৷ যদি সে আমার কা ছে মিথ্যা বলে তাহলে যেন তারা
আমাকে বলে দেয় যে, সে মিথ্যা বলছে ৷ আবু সুফিয়ান (রা) বলেন, আল্লাহর শপথ, যদি তারা
আমাকে মিথুাক বলে প্রচার করবে এরুপ আশংকা না থাকত, তাহলে আমি অবশ্যই মিথ্যা
বলতাম ৷ এরপর প্রথম যে প্রশ্নটি সম্রাট আমাকে করেছিলেন, তাহল যে, তোমাদের মধ্যে তার
ৎশ মর্যাদা কীরুগ ? আমি বললাম, তিনি আমাদের মধ্যে স্জ্রাম্ভ বংশের অধিকারী ৷ তিনি
বললেন, তার পুর্বে তোমাদের মধ্যে কি কেউ এরুপ নুবুওয়াণ্ডে র দাবী করেছিল ?’ আমি বললাম,
না’ ৷ তিনি বললেন,৩ তার পুর্বপুরুষদের মধ্যে কি কেউ রাজা ৷ছিল ? আমি বললাম, ’ান ৷ তিনি


لِيُصَلِّيَ فِيهِ، تُبْسَطُ لَهُ الْبُسُطُ، وَتُطْرَحُ لَهُ عَلَيْهَا الرَّيَاحِينُ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى إِيلِيَاءَ فَصَلَّى بِهَا، فَأَصْبَحَ ذَاتَ غَدَاةٍ وَهُوَ مَهْمُومٌ، يُقَلِّبُ طَرَفَهُ إِلَى السَّمَاءِ، فَقَالَتْ بِطَارِقَتُهُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، لَقَدْ أَصْبَحْتَ مَهْمُومًا. فَقَالَ: أَجَلْ. فَقَالُوا: وَمَا ذَاكَ؟ فَقَالَ: أُرِيتُ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ أَنَّ مَلِكَ الْخِتَانِ ظَاهِرٌ. فَقَالُوا: وَاللَّهِ مَا نَعْلَمُ أُمَّةً مِنَ الْأُمَمِ تَخْتَتِنُ إِلَّا الْيَهُودَ، وَهُمْ تَحْتَ يَدَيْكَ وَفِي سُلْطَانِكَ، فَإِنْ كَانَ قَدْ وَقَعَ هَذَا فِي نَفْسِكَ مِنْهُمْ، فَابْعَثْ فِي مَمْلَكَتِكَ كُلِّهَا، فَلَا يَبْقَى يَهُودِيٌّ إِلَّا ضُرِبَتْ عُنُقُهُ، فَتَسْتَرِيحُ مِنْ هَذَا الْهَمِّ، فَإِنَّهُمْ فِي ذَلِكَ مِنْ رَأْيِهِمْ يُدَبِّرُونَهُ، إِذْ أَتَاهُمْ رَسُولُ صَاحِبِ بُصْرَى بِرَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ قَدْ وَقَعَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ مِنَ الْعَرَبِ مَنْ أَهْلِ الشَّاءِ وَالْإِبِلِ، يُحَدِّثُكَ عَنْ حَدَثٍ كَانَ بِبِلَادِهِ، فَاسْأَلْهُ عَنْهُ. فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِ، قَالَ لِتُرْجُمَانِهِ: سَلْهُ مَا هَذَا الْخَبَرُ الَّذِي كَانَ فِي بِلَادِهِ؟ فَسَأَلَهُ فَقَالَ: رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ مِنْ قُرَيْشٍ، خَرَجَ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، وَقَدِ اتَّبَعَهُ أَقْوَامٌ وَخَالَفَهُ آخَرُونَ، وَقَدْ كَانَتْ بَيْنَهُمْ مَلَاحِمُ فِي مَوَاطِنَ، فَخَرَجْتُ مِنْ بِلَادِي وَهُمْ عَلَى ذَلِكَ. فَلَمَّا أَخْبَرَهُ الْخَبَرَ قَالَ: جَرِّدُوهُ. فَإِذَا هُوَ مَخْتُونٌ، فَقَالَ: هَذَا وَاللَّهِ الَّذِي قَدْ أُرِيتُ، لَا مَا تَقُولُونَ، أَعْطِهِ ثَوْبَهُ، انْطَلِقْ لِشَأْنِكَ. ثُمَّ إِنَّهُ دَعَا صَاحِبَ شُرْطَتِهِ، فَقَالَ لَهُ: قَلِّبْ لِيَ الشَّامَ ظَهْرًا لِبَطْنٍ، حَتَّى تَأْتِيَ بِرَجُلٍ مِنْ قَوْمِ هَذَا أَسْأَلُهُ عَنْ شَأْنِهِ. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَوَاللَّهِ إِنِّي وَأَصْحَابِي لَبِغَزَّةَ، إِذْ هَجَمَ عَلَيْنَا، فَسَأَلَنَا: مِمَّنْ أَنْتُمْ؟ فَأَخْبَرْنَاهُ، فَسَاقَنَا إِلَيْهِ جَمِيعًا، فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ، قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَوَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ مِنْ رَجُلٍ قَطُّ أَزْعُمُ أَنَّهُ كَانَ أَدْهَى مِنْ ذَلِكَ الْأَغْلَفِ - يُرِيدُ هِرَقْلَ - قَالَ: فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৩৩০
أَيُّكُمْ أَمَسُّ بِهِ رَحِمًا؟ فَقُلْتُ: أَنَا. قَالَ: أَدْنُوهُ مِنِّي. قَالَ: فَأَجْلَسَنِي بَيْنَ يَدَيْهِ ثُمَّ أَمَرَ بِأَصْحَابِي، فَأَجْلَسَهُمْ خَلَفِي، وَقَالَ: إِنْ كَذَبَ فَرُدُّوا عَلَيْهِ. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَلَقَدْ عَرَفْتُ أَنِّي لَوْ كَذِبْتُ مَا رَدُّوا عَلَيَّ، وَلَكِنِّي كُنْتُ امْرَأً سَيِّدًا، أَتَكَرَّمُ وَأَسْتَحِي مِنَ الْكَذِبِ، وَعَرَفْتُ أَنَّ أَدْنَى مَا يَكُونُ فِي ذَلِكَ أَنْ يَرْوُوهُ عَنِّي، ثُمَّ يَتَحَدَّثُوا بِهِ عَنِّي بِمَكَّةَ، فَلَمْ أَكْذِبْهُ. فَقَالَ: أَخْبِرْنِي عَنْ هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي خَرَجَ فِيكُمْ. فَزَهَّدْتُ لَهُ شَأْنَهُ، وَصَغَّرْتُ لَهُ أَمْرَهُ، فَوَاللَّهِ مَا الْتَفَتَ إِلَى ذَلِكَ مِنِّي، وَقَالَ لِي: أَخْبِرْنِي عَمَّا أَسْأَلُكَ عَنْهُ مِنْ أَمْرِهِ. فَقُلْتُ: سَلْنِي عَمَّا بَدَا لَكَ؟ فَقَالَ: كَيْفَ نَسَبُهُ فِيكُمْ؟ فَقُلْتُ: مَحْضًا، مِنْ أَوْسَطِنَا نَسَبًا. قَالَ: فَأَخْبِرْنِي هَلْ كَانَ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ أَحَدٌ يَقُولُ مِثْلَ قَوْلِهِ، فَهُوَ يَتَشَبَّهُ بِهِ؟ فَقُلْتُ: لَا. قَالَ: فَأَخْبِرْنِي هَلْ كَانَ لَهُ مُلْكٌ فَاسْتَلَبْتُمُوهُ إِيَّاهُ، فَجَاءَ بِهَذَا الْحَدِيثِ لِتَرُدُّوهُ عَلَيْهِ؟ فَقُلْتُ: لَا. قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَتْبَاعِهِ مَنْ هُمْ؟ فَقُلْتُ: الْأَحْدَاثُ وَالضُّعَفَاءُ وَالْمَسَاكِينُ فَأَمَّا أَشْرَافُهُمْ وَذَوُو الْأَسْنَانِ فَلَا. قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَمَّنْ يَصْحَبُهُ، أَيُحِبُّهُ وَيَلْزَمُهُ، أَمْ يَقْلِيهِ وَيُفَارِقُهُ؟ قُلْتُ: قَلَّ مَا صَحِبَهُ رَجُلٌ فَفَارَقَهُ. قَالَ: فَأَخْبِرْنِي عَنِ الْحَرْبِ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ؟ فَقُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ৩৩৩১

বললেন, স্ন্তুাওবংশের লোকেরা তার অনুসরণ করে, না কি তাদের মধ্যকার দুর্বলরা ? আমি
বললাম, বরং দৃর্বলরা ই তার অনুসরণ করছে ৷ তিনি বললেন, তারা কি দিন দিন সং খ্যায় বাড়ছে,
না কমছে ?’ আমি বললাম, বরং ত ৷রা দিন দিন বাড়ছে’ ৷ তিনি বললেন, তাদের মধ্যে কি কেউ
তার ধর্মে প্রবেশ করার পর নারাজ হয়ে ধর্ম ছেড়ে দিচ্ছে ? ’ আমি বললাম ’না’ ৷ তিনি বললেন,
তোমরা ঐ ব্যক্তিকে নুবুওয়ারু তর দাবী করার পুর্বে মিথ্যার কোন অপবাদ দিতে পেরেছিলে ?’
আমি বললাম, না ৷ তিনি বললেন, সে কি ওয়াদা ভঙ্গ করে ? অ৷ ৷মি বললাম না’ , তবে আমরা
তার সাথে একটি চুক্তির মধ্যে আছি, জানিনা সে এটার মধ্যে কী করবে ? আবু সুফিয়ান বলেন,
উপরোক্ত বাক্যাত্শ ছাড়া ডআর আমি কিছুই৩ ৷ ৷র বিরুদ্ধে বলভ্রুন্ পাবিনি ৷ তিনি বললেন, তোমরা
কি তার সাথে যুদ্ধ করেছ ?’ আমি বললাম, হ্যা ৷ তিনি বললেন তাহলে তার সাথে যুদ্ধ করার
ফলাফল কী ? আমি বললাম, তার ও আমাদের মধ্যে সংঘ ঘটিত যুদ্ধটি বালতির ন্যায় ৷ কোন সময়
তা আমাদের হাতে আবার কোন সময় তার হাতে থাকে ৷ অর্থাৎ কোন সময় আমাদের আবার
কোন সময় তারই জয় হয় ৷ তিনি বললেন, তিনি তোমাদেরহ্রক কিসের আদেশ দেন ? আমি
বললাম, তিনি আমাদেরকে বলেন, তোমরা শুধুমাত্র এক আল্লাহর ইবাদত করবে ,তার সাথে
আর কাউকে শরীক করবে না ৷ আর তোমাদের পি৩ তুপুরুষের রীতিনীতি পরিহার কর ৷ তিনি
সালাত আদায় করা, সত্য কথা বলা, সৎ হওয়া, এবং আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখার জন্যে
আমাদেরকে নির্দেশ দেন ৷ দেভে ৷ষীকে সম্রাট বলেন, তুমি তাকে বলে দাও যে, তোমাকে আমি
তার বংশের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছি আর তুমি বলেছ যে, সে তোমাদের মধ্যে সল্লাও বংশের
অধিকারী, এরুপে বাসুলগণকে তাদের সম্প্রদায়ের সণ্ড্রাম্ভ বংশেই প্রেরণ করা হয়ে থাকে ৷ আমি
তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি যে, ঐ ব্যক্তির নুবুওয়াতের দ বীর পুর্বে কি তোমাদের মধ্যে কেউ
এরুপ দাবী করেছিল ? ’উওরে তুমি বলেছ যে, না ৷ তাই আমি বলব, যদি কেউ এই কথা আগে
বলে থাকতো তাহলে আমি বল৩ তাম, লোকটি তার পুর্বের লোকের কথা ৷র অনুসরণ করছে ৷ আমি
তোমাকে প্রশ্ন করেছি, ৷ তার পিতৃ পুরুষের মধ্যে কেউ কি রাজা ছিল ? তুমি উত্তরে বলেছ, না ৷
আমি বলব, যদি৩ তার পি৩ তৃপুরুষদের মধ্যে কেউ রাজা থাক তাহলে আমি বলতাম যে, সে৩ার
পিতৃপুরুষের রাজতৃ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে ৷ আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি যে, এ
নুবুওয়াতের দাৰীর পুর্বে৩ তাকে কি তোমরা মিথ্যার অপবাদ দিতে পেরেছিলে ? উওরে তুমি বলেছ,
না’ ৷ সুতরাং আমি বুঝতে ৩পেরেছি যে, তিনি মানুষের মধ্যে মিথ্যার প্রসা ৷র ঘটাননি,াই তিনি
আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করতে পারেন না ৷ আমি তোমাকে প্রশ্ন করেছি যে, তাদের মধ্যে
ক্ষমতাবান লোকেরা তার অনুসরণ করছে, না দুর্বল লোকেরা ? উওরে তুমি বলেছ, দুর্বল লোকেরা
তার অনুসরণ করছে ৷ আসলে দুবলব ই নবী রাসুলগণের অনুসরণকারী হয়ে থাকে ৷’ আমি
তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি যে, তার অনুসারীর৷ দিন দিন৷ বা ড়ছে, না কমছে ? উত্তরে তুমি উল্লেখ
করেছ যে, তারা সং খ্যায় দিন দিন বাড়ছে ৷ ঈমানের ব্যাপারটি এরকমই ৷ পরিপুংতাি অর্জন পর্যন্ত
তা বাড়তেই থাকে’ ৷ আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি যে, তাদের মধ্যে ধর্মের প্রতি৷ ন ৷রায হয়ে
কেউ ধর্ম৩ ত্যাগী হচ্ছে কি না ? আর উওরে তুমি উল্লেখ করেছ যে, না ৷ ঈমান বন্তুটি এরুপই যে,
যখন তার ছোয়া অন্তরে লাগে তখন সে আর বের হয় না ৷ আমি তে তামাকে প্রশ্ন করেছি যে, সে
কি ওয়াদা ঙ্গ করে ? উত্তরে তুমি উল্লেখ করেছ, না’ ৷ আসলে রাসুলগণ কােনদিনও ওয়াদ৷ ভঙ্গ


سِجَالٌ، يُدَالُ عَلَيْنَا وَنُدَالُ عَلَيْهِ. قَالَ: فَأَخْبِرْنِي هَلْ يَغْدِرُ؟ فَلَمْ أَجِدْ شَيْئًا أَغُرُّهُ بِهِ إِلَّا هِيَ، قُلْتُ: لَا، وَنَحْنُ مِنْهُ فِي مُدَّةٍ، وَلَا نَأْمَنُ غَدْرَهُ فِيهَا. فَوَاللَّهِ مَا الْتَفَتَ إِلَيْهَا مِنِّي. قَالَ: فَأَعَادَ عَلَيَّ الْحَدِيثَ، فَقَالَ: زَعَمْتَ أَنَّهُ مِنْ أَمْحَضِكُمْ نَسَبًا، وَكَذَلِكَ يَأْخُذُ اللَّهُ النَّبِيَّ إِذَا أَخَذَهُ، لَا يَأْخُذُهُ إِلَّا مِنْ أَوْسَطِ قَوْمِهِ، وَسَأَلْتُكَ هَلْ كَانَ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ أَحَدٌ يَقُولُ مِثْلَ قَوْلِهِ فَهُوَ يَتَشَبَّهُ بِهِ، فَقُلْتَ: لَا. وَسَأَلْتُكَ هَلْ كَانَ لَهُ مُلْكٌ فَاسْتَلَبْتُمُوهُ إِيَّاهُ، فَجَاءَ بِهَذَا الْحَدِيثِ لِتَرُدُّوا عَلَيْهِ مُلْكَهُ، فَقُلْتَ: لَا. وَسَأَلْتُكُ عَنْ أَتْبَاعِهِ، فَزَعَمْتَ أَنَّهُمُ الْأَحْدَاثُ وَالْمَسَاكِينُ وَالضُّعَفَاءُ، وَكَذَلِكَ أَتْبَاعُ الْأَنْبِيَاءِ فِي كُلِّ زَمَانٍ، وَسَأَلْتُكَ عَمَّنْ يَتَّبِعُهُ، أَيُحِبُّهُ وَيَلْزَمُهُ، أَمْ يَقْلِيهِ وَيُفَارِقُهُ، فَزَعَمْتَ أَنَّهُ قَلَّ مَنْ يَصْحَبُهُ فَيُفَارِقُهُ، وَكَذَلِكَ حَلَاوَةُ الْإِيمَانِ، لَا تَدْخُلُ قَلْبًا فَتَخْرُجُ مِنْهُ، وَسَأَلْتُكَ كَيْفَ الْحَرْبُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ، فَزَعَمْتَ أَنَّهَا سِجَالٌ، يُدَالُ عَلَيْكُمْ وَتُدَالُونَ عَلَيْهِ، وَكَذَلِكَ تَكُونُ حَرْبُ الْأَنْبِيَاءِ، وَلَهُمْ تَكُونُ الْعَاقِبَةُ، وَسَأَلْتُكَ هَلْ يَغْدِرُ، فَزَعَمْتَ أَنَّهُ لَا يَغْدِرُ، فَلَئِنْ كُنْتَ صَدَقْتَنِي، لَيَغْلِبَنَّ عَلَى مَا تَحْتَ قَدَمَيَّ هَاتَيْنِ، وَلَوَدِدْتُ أَنِّي عِنْدَهُ فَأَغْسِلُ عَنْ قَدَمَيْهِ. ثُمَّ قَالَ: الْحَقْ بِشَأْنِكَ، قَالَ: فَقُمْتُ وَأَنَا أَضْرِبُ إِحْدَى يَدَيَّ عَلَى الْأُخْرَى، وَأَقُولُ: يَا عِبَادَ اللَّهِ، لَقَدْ أَمِرَ أَمْرُ ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৩২

করেন না ৷ আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি যে, তিনি তোমাদেরকে কিসের নির্দেশ দেন !’ ভুমি
জবাব দিয়েছ যে, তিনি আদেশ দেন তোমরা আল্লাহ্র ইবাদত করবে, র্তার সাথে কাউকে
অং শীদার করবে না ৷ আর তিনি£ তামাদেরকে মুর্তিপুজা করতে নিষেধ করেন ৷ তিনি
তোমাদেরকে সালাত আদায় করতে, সত্য কথা বলতে এবং সৎ হতে আদেশ করেন ৷ তুমি যা
বলছ তা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তিনি আমার এ দুই পায়ের নীচের ভুমি পর্যন্ত অধিকার
করে নেবেন ৷ আমি জানতাম যে, তিনি আবির্ভুত হবেন, তার আমি ধারণাও করতে পারিনি যে,
তিনি তোমাদের মধ্য হতে হবেন ৷ আর আমি যদি জানতাম যে আমি তার কাছে পৌছতে
পারব, তাহলে তার সাথে সাক্ষাতের আপ্রাণ চেষ্টা করতাম ৷ আর যদি আমি তার কাছে
পৌছতে পারতাম, তাহলে আমি তার পদযুগল ধুয়ে দিতাম ৷ তারপর তিনি পত্রটি তলব
করলেন যা রাসুলুল্লাহ্ (সা) দেহ্ইয়া (রা)-এর মারফত বুসরার শাস্যাকর কাছে প্রেরণ
করেছিলেন ৷ আবার বুসরার শাসনকর্তা তা’ রোমের সম্রাট হিরা৷ক্লয়াসের কাছে হস্তান্তর
করেছিলেন ৷ পত্রে লিখা ছিল :

পরম দাতা পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি, মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর নিকট হতে রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের প্ৰতি ৷ যিনি হিদায়াতের অনুগত তার উপর শান্তি
বর্ধিত হোক ৷ এরপর আমি আপনাকে ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি ৷ ইসলাম গ্রহণ করুন এবং

নিরাপদ থাকুন ৷ আল্লাহ আপনাকে দ্বিগুণ পুণ্য দান করবেন ৷ আর যদি অন্যথা করেন তা হলে
৩া৷াপন র প্রজা কৃষককুলের পাপ আপনারই উপর বতাবে ৷

াং,,ব্লুড়ুন্ পুধ্ন্ এ,টুদ্বু’১
অর্থাৎ “ তুমি বল, হে কিতাবীগণ ! এস সে কথায় যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে সমান;
যেন আমরা আল্লাহ ব্যতীত করে৷ ইবাদত না ৷করি, কোন কিছুকেই তার শরীক না ৷করি এবং

আমাদের কেউ কা ৷উকেও আল্লাহ ব্যতীত প্ৰতিপ৷ ৷লক রুপে গ্রহণ না ৷করি ৷ যদি তারা মুখ ফিরিয়ে
নেয়, তবে বল, ভোমরা সাক্ষী থাক, আমরা মুসলিম ৷ ” (৩-অ ৷ল ইনরান৪ ৬৪)

আবু সুফিয়ান (রা) বলেন, যখন তিনি তার বক্তব্য এবং পত্র পা ৷ঠ শেষ করলেন, তখন তাদের
মধ্যে গোলমাল প্রচণ্ড আকার ধারণ করল এবং উচ্চস্বরে বাকবিতণ্ডা চলতে লাগল ৷ তখন
আমাদেরকে বের করে দেওয়া হল ৷ আমাদের বের হয়ে আসার পর আমি আমার সাথীদেরকে
বললাম , আবু কাবশার ছেলের ব্যাপারটিত বিরাট আকার ধারণ করেছে ৷ বনুল আসফারের সম্রাট


أَبِي كَبْشَةَ! أَصْبَحَ مُلُوكُ بَنِي الْأَصْفَرِ يَخَافُونَهُ فِي سُلْطَانِهِمْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي أُسْقُفٌّ مِنَ النَّصَارَى، قَدْ أَدْرَكَ ذَلِكَ الزَّمَانَ قَالَ: قَدِمَ دِحْيَةُ بْنُ خَلِيفَةَ عَلَى هِرَقْلَ بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى هِرَقْلَ عَظِيمِ الرُّومِ، سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، فَأَسْلِمْ تَسْلَمْ، وَأَسْلِمْ يُؤْتِكَ اللَّهُ أَجْرَكَ مَرَّتَيْنِ، فَإِنْ أَبَيْتَ فَإِنَّ إِثْمَ الْأَكَّارِينَ عَلَيْكَ» قَالَ: فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِ كِتَابُهُ وَقَرَأَهُ، أَخَذَهُ فَجَعَلَهُ بَيْنَ فَخِذِهِ وَخَاصِرَتِهِ، ثُمَّ كَتَبَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ رُومِيَّةَ، كَانَ يَقْرَأُ مِنَ الْعِبْرَانِيَّةِ مَا يَقْرَأُ، يُخْبِرُهُ عَمَّا جَاءَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ: إِنَّهُ النَّبِيُّ الَّذِي يُنْتَظَرُ لَا شَكَّ فِيهِ، فَاتَّبِعْهُ. فَأَمَرَ بِعُظَمَاءِ الرُّومِ، فَجُمِعُوا لَهُ فِي دَسْكَرَةِ مُلْكِهِ، ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَأُشْرِجَتْ عَلَيْهِمْ، وَاطَّلَعَ عَلَيْهِمْ مِنْ عِلِّيَّةٍ لَهُ وَهُوَ مِنْهُمْ خَائِفٌ، فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الرُّومِ، إِنَّهُ قَدْ جَاءَنِي كِتَابُ أَحْمَدَ، وَإِنَّهُ وَاللَّهِ النَّبِيُّ الَّذِي كُنَّا نَنْتَظِرُ وَنَجِدُ ذِكْرَهُ فِي كِتَابِنَا، نَعْرِفُهُ بِعَلَامَاتِهِ وَزَمَانِهِ، فَأَسْلِمُوا وَاتَّبِعُوهُ تَسْلَمْ لَكُمْ دُنْيَاكُمْ وَآخِرَتُكُمْ. فَنَخَرُوا
পৃষ্ঠা - ৩৩৩৩

তাকে ভয় করছে ৷ আবুসুফিয়ান (রা) বলেন, তখন হতে আমি দৃঢ় প্ৰ৩ ক্রয় পোষণ করেছিলাম
যে, ওঅচিরেই তিনি জয়ী হবেন ৷ এরপর আল্লাহ্ তা জানা আমাকে ইসলামের সুশীতল ছ৷ ৷য়াতলে
আশ্রয় দান করেন ৷ আবু সুফিয়ান (রা ) বলেন, ইলিয়ার শাসনকর্তা, হিরাক্লিয়াসের বন্ধু এবং
সিরিয়ার খৃণ্টানদের বিশপ ইবন নাতৃর বর্ণনা করেন, একদা রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস ইলিয়ায় এসে
রাত যাপন করলেন এবং ভোরে তিনি বিমর্ষ অবস্থায় ঘুম থেকে উঠেন ৷ চেহারা মলিন দেখে
যাজকদের কেউ কেউ বললেন, জাইাপনা ! আপনাকে চিন্তিত মনে হচ্ছে ! ইবন নাতুর বলেন,
হিরাক্লিয়াস একজন জ্যোতির্বিদ ছিলেন ৷ তিনি তারকারাজি পর্যহ্:বক্ষণ করে ভবিষ্যদ্বাণী করতেন ৷
তিনি তার সভাসদবর্গকে লক্ষ্য করে বললেন, তারকারাজি পর্যবেক্ষণ করে আমি দেখতে পাচ্ছি
যারা খাতনা করায় তাদের বাদশাহর আবির্ভাব হয়েছে ৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন জাতির লোকেরা
খাতনা করে থাকে ? সভাসদবর্গ বললেন, ইয়াহুদীর৷ ব্যতীত অন্য কেউ খাতনা করেন৷ ৷ আর
তাদের ব্যাপারে আপনার মিঃার কোন কা ৷রণ নেই ৷ কেননা, তারা একটি শক্তিশালী জা৩ ৷তি নয় ৷
আপনার ক্ষমতা দখল করার মত তাদের কোন শক্তি নেই ৷ আপনার রাজত্বের বিভিন্ন শহরে
নির্দেশ জারী করুন যেন তথাকা র ইয়াহ্রদীদেরকে হত্যা করা হয় ৷৩ তারা এরুপ চিন্তা ভ ৷বনায় ছিল
এমনি সময়ে হিরাক্লিয়াসের কাছে ’পাসসানের শাসনকর্তা র প্রেরিত একজন লোক এসে পৌছল ৷
যিনি রাসুলুল্লড়াহ্ (সা) সম্বন্ধে সংবাদ পরিবেশন করলেন ৷ হিরাক্লিয়াস যখন রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে
জানতে পারলেন তখন বললেন, তোমরা পরীক্ষা করে নাও এ দুতঢির খাতনা করানো আছে
কিনা ৷৷৩ তার পরীক্ষা ৷করে (দখল এবং সম্রাটকে সংবাদ দিল যে, দুতটি খা৩ তনাকৃত ৷ সম্রাট দুতকে
আরবদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷ দুত সং বাদ দিলেন আরবরা খাতন৷ করান ৷ হিরাক্লিয়াস
বলেন, ইনিই এ উম্মতের বাদশাহ এবং৩ তা ৷র আবির্ভাব ঘটেছে ৷ এরপর তিনি৩ তার এক রোমীয়
বন্ধুর কাছে একটি পত্র লিখেন, যিনি জ্ঞ ৷নে গরিমায় তার সমকক্ষ ছিলেন ৷ হিরড়াক্লিয়াস হিমৃস ভ্রমণ
করেন এবং হিমৃস পৌছ তই তিনি তার বন্ধু থেকে পত্র গেলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
আবির্ভ৷ ৷ব সম্পর্কে একই অভিমত জা নতে পারলেন ৷ তারপর হিরাক্লিয়াস রোমের প্রধানদেরকে
হিষ্স এ অবস্থিত একটি প্রাসাদে জমায়েত হবার জন্যে নির্দেশ প্রদান করেন ৷ প্রাসাদের
দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়ারও হুকুম দিলেন ৷ তাই দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হল ৷ তারপর
তিনি তাদের প্রতি দৃষ্টি দিলেন এবং বললেন, “হে রোমের বাসিন্দারা ! তোমরা যদি কল্যাণ ও
মুক্তি চাও এবং তোমাদের সাম্রাজ্য বহাল রাখতে চাও৩ তাহলে এ নবীর হাতে বায়আত গ্রহণ
কর ৷” তার এ ধরনের বক্তব্যে সবাই চীৎক৷ ৷র করে উঠল এবং বন্য গাধার ন্যায় দরজা র দিকে
ছুটে গিয়ে দরজা বন্ধ পেল ৷ যখন হিরাক্লিয়াস৩ তাদের অসদ্ভুষ্টি লক্ষ্য করলেন এবং তাদের ঈমান
আনা সম্পর্কে নিরাশ হলেন তখন বললেন, তাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে নিয়ে এস ৷ তিনি
বললেন, এইমা ৷ত্র যা বলেছি, তা কেবল তোমাদের ধর্মে তোমরা অটল আছ কিনা তা যাচাই করার
জন্যে ৷ হিরাক্লিয়াসের একথা শুনে সবাই তাকে সিজদ৷ করল এবং৩ তার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ
করল ৷ আর এটাই ছিল রোমের সম্রাট হিরাক্লিয়াসের সর্বশেষ অবস্থান ৷ ইমাম বুখারী (র) তার
কিতাবের বিভিন্ন জায়গায় এ হাদীছটি বিভিন্ন সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন মাজা ব্যতীত অন্যান্য
সিহাহ সৎকলকগণ আবু সুফিয়ান (রা) ও হিরাক্লিয়াসের ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷ আমার লিখিত
বুখারীর ব্যাখ্যা গ্রন্থে এই সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷


نَخْرَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، وَابْتَدَرُوا أَبْوَابَ الدَّسْكَرَةِ فَوَجَدُوهَا مُغْلَقَةً دُونَهُمْ، فَخَافَهُمْ وَقَالَ: رُدُّوهُمْ عَلَيَّ. فَرَدُّوهُمْ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهُمْ: يَا مَعْشَرَ الرُّومِ، إِنِّي إِنَّمَا قُلْتُ لَكُمْ هَذِهِ الْمَقَالَةَ أَخْتَبِرُكُمْ بِهَا، لِأَنْظُرَ كَيْفَ صَلَابَتُكُمْ فِي دِينِكُمْ، فَلَقَدْ رَأَيْتُ مِنْكُمْ مَا سَرَّنِي. فَوَقَعُوا لَهُ سُجَّدًا، ثُمَّ فُتِحَتْ لَهُمْ أَبْوَابُ الدَّسْكَرَةِ فَخَرَجُوا. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ قِصَّةَ أَبِي سُفْيَانَ مَعَ هِرَقْلَ بِزِيَادَاتٍ أُخَرَ، أَحْبَبْنَا أَنْ نُورِدَهَا بِسَنَدِهَا وَحُرُوفِهَا مِنَ " الصَّحِيحِ " لِيُعْلَمَ مَا بَيْنَ السِّيَاقَيْنِ مِنَ التَّبَايُنِ، وَمَا فِيهِمَا مِنَ الْفَوَائِدِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ قَبْلَ الْإِيمَانِ مِنْ " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ، أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّ هِرَقْلَ أَرْسَلَ إِلَيْهِ فِي رَكْبٍ مَنْ قُرَيْشٍ، وَكَانُوا تُجَّارًا بِالشَّامِ فِي الْمُدَّةِ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَادَّ فِيهَا أَبَا سُفْيَانَ وَكُفَّارَ قُرَيْشٍ، فَأَتَوْهُ وَهُمْ بِإِيلِيَاءَ، فَدَعَاهُمْ فِي مَجْلِسِهِ وَحَوْلَهُ عُظَمَاءُ الرُّومِ، ثُمَّ دَعَاهُمْ وَدَعَا بِالتُّرْجُمَانِ فَقَالَ: أَيُّكُمْ أَقْرَبُ نَسَبًا بِهَذَا الرَّجُلِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ؟ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَقُلْتُ: أَنَا أَقْرَبُهُمْ نَسَبًا. قَالَ: أَدْنَوْهُ مِنِّي، وَقَرِّبُوا أَصْحَابَهُ، فَاجْعَلُوهُمْ عِنْدَ ظَهْرِهِ. ثُمَّ قَالَ لِتُرْجُمَانِهِ: قُلْ لَهُمْ: إِنِّي سَائِلٌ هَذَا عَنْ هَذَا الرَّجُلِ، فَإِنْ كَذَبَنِي فَكَذِّبُوهُ. فَوَاللَّهِ لَوْلَا أَنْ يَأْثِرُوا عَنِّي كَذِبًا لَكَذَبْتُ عَنْهُ، ثُمَّ كَانَ أَوَّلَ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَنْ قَالَ: كَيْفَ نَسَبُهُ فِيكُمْ؟ قُلْتُ: هُوَ فِينَا ذُو نَسَبٍ. قَالَ: فَهَلْ قَالَ هَذَا الْقَوْلَ مِنْكُمْ أَحَدٌ قَطُّ
পৃষ্ঠা - ৩৩৩৪
قَبْلَهُ؟ قُلْتُ: لَا. قَالَ: فَهَلْ كَانَ مِنْ آبَائِهِ مِنْ مَلِكٍ؟ قُلْتُ: لَا. قَالَ: فَأَشْرَافُ النَّاسِ اتَّبَعُوهُ أَمْ ضُعَفَاؤُهُمْ؟ قُلْتُ: بَلْ ضُعَفَاؤُهُمْ. قَالَ: أَيَزِيدُونَ أَمْ يَنْقُصُونَ؟ قُلْتُ: بَلْ يَزِيدُونَ. قَالَ: فَهَلْ يَرْتَدُّ أَحَدٌ مِنْهُمْ سَخْطَةً لِدِينِهِ بَعْدَ أَنْ يَدْخُلَ فِيهِ؟ قُلْتُ: لَا. قَالَ: فَهَلْ كُنْتُمْ تَتَّهِمُونَهُ بِالْكَذِبِ قَبْلَ أَنْ يَقُولَ مَا قَالَ؟ قُلْتُ: لَا. قَالَ: فَهَلْ يَغْدِرُ؟ قُلْتُ: لَا، وَنَحْنُ مِنْهُ فِي مُدَّةٍ لَا نَدْرِي مَا هُوَ فَاعِلٌ فِيهَا. قَالَ: وَلَمْ تُمْكِنِّي كَلِمَةٌ أُدْخِلُ فِيهَا شَيْئًا غَيْرَ هَذِهِ الْكَلِمَةِ. قَالَ: فَهَلْ قَاتَلْتُمُوهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَكَيْفَ كَانَ قِتَالُكُمْ إِيَّاهُ؟ قُلْتُ: الْحَرْبُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ سِجَالٌ، يَنَالُ مِنَّا وَنَنَالُ مِنْهُ. قَالَ: مَاذَا يَأْمُرُكُمْ؟ قُلْتُ: يَقُولُ: اعْبُدُوا اللَّهَ وَحْدَهُ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، وَاتْرُكُوا مَا يَقُولُ آبَاؤُكُمْ، وَيَأْمُرُنَا بِالصَّلَاةِ وَالصِّدْقِ وَالْعَفَافِ وَالصِّلَةِ. فَقَالَ لِلتُّرْجُمَانِ: قُلْ لَهُ: سَأَلْتُكَ عَنْ نَسَبِهِ، فَزَعَمْتَ أَنَّهُ فِيكُمْ ذُو نَسَبٍ، وَكَذَلِكَ الرُّسُلُ تُبْعَثُ فِي نَسَبِ قَوْمِهَا، وَسَأَلْتُكَ هَلْ قَالَ أَحَدٌ مِنْكُمْ هَذَا الْقَوْلَ قَبْلَهُ، فَذَكَرْتَ أَنْ لَا، فَقُلْتُ: لَوْ كَانَ أَحَدٌ قَالَ هَذَا الْقَوْلَ قَبْلَهُ، لَقُلْتُ: رَجُلٌ يَتَأَسَّى بِقَوْلٍ قِيلَ قَبْلَهُ. وَسَأَلْتُكَ هَلْ كَانَ مِنْ آبَائِهِ مِنْ مَلِكٍ، فَذَكَرْتَ أَنْ لَا، فَلَوْ كَانَ مِنْ آبَائِهِ مِنْ مَلِكٍ، قُلْتُ: رَجُلٌ يَطْلُبُ مُلْكَ أَبِيهِ. وَسَأَلْتُكَ هَلْ كُنْتُمْ تَتَّهِمُونَهُ بِالْكَذِبِ قَبْلَ أَنْ يَقُولَ مَا قَالَ، فَذَكَرْتُ أَنْ لَا، فَقَدْ أَعْرِفُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِيَذَرَ الْكَذِبَ عَلَى النَّاسِ وَيَكْذِبَ عَلَى اللَّهِ. وَسَأَلْتُكَ أَشْرَافُ النَّاسِ اتَّبَعُوهُ أَمْ ضُعَفَاؤُهُمْ، فَذَكَرْتَ أَنَّ ضُعَفَاءَهُمُ اتَّبَعُوهُ، وَهُمْ أَتْبَاعُ الرُّسُلِ. وَسَأَلْتُكَ أَيَزِيدُونَ أَمْ يَنْقُصُونَ، فَذَكَرْتَ أَنَّهُمْ يَزِيدُونَ، وَكَذَلِكَ أَمْرُ الْإِيمَانِ حَتَّى يَتِمَّ، وَسَأَلْتُكَ أَيَرْتَدُّ أَحَدٌ مِنْهُمْ سَخْطَةً لِدِينِهِ بَعْدَ أَنْ يَدْخُلَ فِيهِ، فَذَكَرْتَ أَنْ لَا، وَكَذَلِكَ الْإِيمَانُ حِينَ تُخَالِطُ بَشَاشَتُهُ الْقُلُوبَ. وَسَأَلْتُكَ: هَلْ يَغْدِرُ، فَذَكَرْتَ أَنْ لَا، وَكَذَلِكَ الرُّسُلُ لَا تَغْدِرُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৩৫

ইবন লাহীআ ওরওয়া (রা)-এর সনবুদ বলেন, কুরায়শের কিছু ব্যবসায়ীবুক সাথে নিয়ে আবু
সুফিয়ান (বা) ইবনা হ বব ব্যবসা র উদ্দেশ্যে সিবিয়ায় যান ৷ এদিকে হিরাক্লিয়াসের কাছে রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর আবির্ভাব খবরও পৌছল ৷৩ তাই তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্বন্ধে জনানার বজন্যে আগ্রহ প্রকাশ
করেন এবং সিবিয়ায় তার একজন আরব শাসকের কাছে লোক প্রেরণ কবু ৱনও বলে পাঠান যে,
আরব থেকে কিছু সং খ্যক লোক যেন সিবিয়ায পাঠাবুনা হয় যাতে ক৩বুর তিনি তাদেরবুক রাসুলুল্লাহ্
(সা) সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তপাবুরন ৷ তিনি তখন তার কাছে ত্রিশ জন লোককে প্রেরণ
করেন ৷ তাদের মধ্যে একজন হলেন, আবু সুফিযান (বা) ইবন হারব ৷ তারা ইলিয়ার একটি
গির্জার হিরাক্লিয়াসের সাথে সাক্ষাত ৩করেন ৷ হিরাক্লিয়াসত তাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, আমি
তোমাদের কাছে লোক প্রেরণ কবুরছিা যা বুত তোমরা আমাকে মক্কার এ ল্যেকটি সম্পর্কে বিস্তারিত
ৎবাদ পরিবেশন কর ৷৩ তারা বলেন, লোকটি জ দুকব মিথুাক এবং বুস নবীন নয় ৷ তিনি বলেন,
বুতামরা আমাকে বল, তোমাদের মধ্যে কে তার সম্বন্ধে বেশী জা সে ও আাীয়তা র দিক দিয়ে কে
তার কাছে অধিকতর নিকটবর্তী ?৩ তারা বললেন, এই আবু সুফিয়ান (বা) তার চাচাবুতা ভাই ৷
তিনি তার সাথে যুদ্ধ করেছেন ৷ যখন তারা এরুপ বলল, তখন হিরাক্লিয়াস আবু সুফিয়ান ব্যতীত
সকলকে ঘর থেকে বুবর হয়ে যাওয়ার আদেশ দিলেন এবং আবু সুফিয়ান হবুত সংবাদ সংগ্রহের
জন্যে তাকে তার কাছে বসালেন এবং বললেন, হে আবু সুফিয়ানা তুমি আমাকে বিস্তারিত
সংবাদ জানাও ৷ আবু সুফিয়ান উত্তরে বললেন সে জা দৃকর ও মিথুাকষ্ট্ৰ ৷ হিবাক্লিয়াস বললেন,
আমি চাইনা বুয তুমি তাবুক পালি দাও ৷ তবুব তুমি আমাকে তোমাদের মধ্যে তার বা শ মর্যাদা
কী রুপ তা বল ৷ আবু সুফিয়ান (রা) বললেন, আল্লাহর শপথ সে কুরায়শ বং বুশর লোক ৷
হিরাক্লিয়াস বললেন, তার বুদ্ধি বিবেচনা কেমন ? আবু সুফিয়ান (বা) বললেন, তার বৃদ্ধির ঘাটতি
আমরা কখনও লক্ষ্য কবিনি ৷ হিরাক্লিয়াস বললেন, সে কি মিথ্যা শপথকারী, মিথুাক ও কাজে“-
কর্মে প্রতারণাকারী ? আবু সুফিয়ান বললেন, না ৷ আল্লাহর শপথ, তিনি কখনও এরুপ ছিলেন
না ৷ হিরাক্লিয়াস বললেন, সম্ভবত তিনি রাজতু বা উচ্চ পদমর্যাদা অর্জন করতে চান যা তার
পরিবারের কেউ পুর্বে অর্জন করেছিল ? আবু সুফিয়ান বললেন, ’না ৷ এরপর হিরাক্লিয়াস বললেন,
তােমাদের মধ্যে যারা তার অনুসরণ করে তাদের মধ্যে কি কেউ কোন দিন তোমাদের মধ্যে
আবার ফিরে এসেছে ? তিনি বললেন, না’ ৷ হিরাফ্লিয়াস আবার বললেন, তিনি যখন ওয়াদা
করেন তাকি তিনি কখনও ভঙ্গ করেন ? আবু সুফিয়ান বললেন, না’ ৷ তবুব আশংকা আছে এ
চুক্তির কাবুল ওয়াদা ভঙ্গ করতে পারেন ৷ হিরাক্লিয়াস বললেন, এ চুক্তিরা কা লে তোমরা কি নিয়ে
আশংকা করছ ? তিনি বললেন, “আমার সম্প্রদায়ের বুলাকজন৩ তার মিত্রের বিরুবুদ্ধ তাদের
মিত্রকে সাহায্য করেছে আর তিনি ঐসময় ছিলেন মদীনায় ৷ হিরাক্লিয়াস বললেন, এভাবে তোমরা
যদি প্রথম শুরু করে থাক তাহলে তো বুতামরাই চরম ওয়াদা ভঙ্গকারী ৷ আবু সুফিয়ান রাগান্বিত
হলেন এবং বললেন, “তিনি আমাদের বিরুবুদ্ধ মাত্র একবার জয়লাভ করেছেন আর ঐদিন আমি
অনৃপ ত ছিলাম, এটা ছিল বদবুরর দিন ৷ এরপর আমি তার বিরুদ্ধে দুই দুই বার তাদের ঘরে
গিয়ে লড়েছি ৷ মরালাবুশর পেট, কান, নাক ই৩াদি চিবুরছি, বিদীর্ণ করেছি ও কতন করেছি ৷”
হিরাক্লিয়াস বললেন, মি তাকে মিথুাক মনে কর, না স৩ তাবাদী মনে কর ? আবু সুফিয়ান
বললেন, বরং সে মিথুাক ৷ হিরাক্লিয়াস বললেন, যদি তোমাদের মধ্যে নবী এসে থাকেন তাহলে


وَسَأَلْتُكَ بِمَا يَأْمُرُكُمْ، فَذَكَرْتَ أَنَّهُ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، وَيَنْهَاكُمْ عَنْ عِبَادَةِ الْأَوْثَانِ، وَيَأْمُرُكُمْ بِالصَّلَاةِ وَالصِّدْقِ وَالْعَفَافِ، فَإِنْ كَانَ مَا تَقُولُ حَقًّا، فَسَيَمْلِكُ مَوْضِعَ قَدَمَيَّ هَاتَيْنِ، وَقَدْ كُنْتُ أَعْلَمُ أَنَّهُ خَارِجٌ، لَمْ أَكُنْ أَظُنُّ أَنَّهُ مِنْكُمْ، فَلَوْ أَعْلَمُ أَنِّي أَخْلُصُ إِلَيْهِ، لَتَجَشَّمْتُ لِقَاءَهُ، وَلَوْ كُنْتُ عِنْدَهُ، لَغَسَلْتُ عَنْ قَدَمَيْهِ. ثُمَّ دَعَا بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي بَعَثَ بِهِ مَعَ دِحْيَةَ إِلَى عَظِيمِ بُصْرَى، فَدَفَعَهُ إِلَى هِرَقْلَ، فَإِذَا فِيهِ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ عَبْدِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى هِرَقْلَ عَظِيمِ الرُّومِ، سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أَدْعُوكَ بِدِعَايَةِ الْإِسْلَامِ، أَسْلِمْ تَسْلَمْ، يُؤْتِكَ اللَّهُ أَجْرَكَ مَرَّتَيْنِ، فَإِنْ تَوَلَّيْتَ فَإِنَّ عَلَيْكَ إِثْمُ الْأَرِيسِيِّينَ، وَ: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُولُوا اشْهَدُوا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ} [آل عمران: 64] (آلِ عِمْرَانَ: 64) » قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَلَمَّا قَالَ مَا قَالَ، وَفَرَغَ مِنْ قِرَاءَةِ الْكِتَابِ، كَثُرَ عِنْدَهُ الصَّخَبُ، وَارْتَفَعَتِ الْأَصْوَاتُ، وَأُخْرِجْنَا، فَقُلْتُ لِأَصْحَابِي حِينَ أُخْرِجْنَا: لَقَدْ أَمِرَ أَمْرُ ابْنِ أَبِي كَبْشَةَ! إِنَّهُ يَخَافُهُ مَلِكُ بَنِي الْأَصْفَرِ! فَمَا زِلْتُ مُوقِنًا أَنَّهُ سَيَظْهَرُ، حَتَّى أَدْخَلَ اللَّهُ عَلَيَّ الْإِسْلَامَ. قَالَ: وَكَانَ ابْنُ النَّاطُورِ -
পৃষ্ঠা - ৩৩৩৬
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৪৬৩

তোমরা তাকে হত্যা করো না ৷ কেননা, এ কাজটি বেশী বেশী করে করেছে ইয়াহদীরা ৷ এরপর
আবু সুফিয়া ন তার ঘরে ফিরে না ন ৷

এ বর্ণনায় বিরলতা পরিলক্ষিত হয় ৷ তবে এর মধ্যে অনেক তথ্য রয়েছে যা ইবন ইসহাক বা
বুথা খারীর বর্ণনায় নেই ৷ মুসা ইবন উকবার বর্ণনা এ বর্ণনার কাছাকাছি ৷

ইবন জারীর তার ইতিহাস গ্রন্থে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের বরা ৷৩ বলেন, তিনি কিছু জ্ঞানী
লোকের বরাতে বলেছেন, যখন দেহইয়াতু ল কালবী (বা ) রাসুলুল্লাহ (সা) এর পত্র নিয়ে
হিরাক্লিয়াসের কাছে আগমন করলেন তখন তিনি বললেন, “আল্লাহর শ প্াথ, আমি জানি যে,
নিশ্চয়ই তোমাদের সাথী একজন প্রেরিত নবী (সা) ৷ যার জন্যে আমরা প্রভীক্ষারত ৷ আমাদের
কিভাবে তার বর্ণনা রয়েছে ৷ কিন্তু আমি রোমানদের পক্ষ থেকে আমার প্রাণের আশং কা করছি ৷
তা না হলে আমি অবশ্যই তার আনুগত্যাীকার করতাম ৷ ণ্ডুাণ্ মএখন বিশপ য়াগাতিরের কাছে
যাও এবং তার কাছে তোমাদের সাথীর কথা উল্লেখ করো ৷ আল্লাহর শপথ, রোম দেশে তিনি
আমার চেয়ে বড় এবং তার কথা আমার কথার চাইতে তাদের কাছে বেশী গ্রহণযাোগ্য ৷ গিয়ে
দেখ, তোমাকে তিনি কী বলেন ? রাবী বলেন, দেহইয়া (রা)৩ তার কাছেও তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর
বার্তা এবংদ দাওয়াত সম্পর্কে তাকে বিস্তারিত অবহিত করেন ৷ যাপাতির বললেন, আল্লাহর শপথ,
তোমার সাথী একজন প্রেরিত নবী, তার গুণাবলী সম্বন্ধে আমরা অবগত রয়েছি ৷ আমাদের
আসমানী কিভাবে আমরা তার নাম পেয়েছি ৷ত তারপর তিনি ঘরের ভিতর গেলেন ৷৩ তার পরিহিত
কালো কাপড় ছেড়ে সাদা পোশাক পরিধান করলেন ৷ এরপর তার লাঠিটা হাতে নিলেন এবং
রোমের একটি গির্জায় আগমন করলেন ও বললেন, “হে রোমের বাসিন্দাগণ ! আহমদ (না)-এর
পক্ষ হতে আমাদের কাছে একটি পত্র এসেছে যার মাধ্যমে আমাদেরকে আল্লাহর দিকে আহ্বান
করা হয়েছে ৷ আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ্ ব্যতীত কো ন মাবুদ নেই এবং আহমদ আল্লাহর
বান্দা এবং তার রাসুল ৷” রাবী বলেন, “উপস্থিত রোমানরা তার উপর একত্রে ঝাপিয়ে পড়ল,
তাকে মারতে লাগল, এমনকি তারা তাকে হত্যা করে ফেলল ৷ এরপর দেহইয়া কালবী (রা)
হিরাক্লিয়াসের কাছে প্রত্যাবর্তন করেন ও তাকে এ বিষয়ে অবহিত করেন ৷ হিরাক্লিয়াস বললেন,
দেখুন, আপনাকেও বলেছি যে, তারা আমার প্রাণ নাশ করে ফেলবে তাদের এ আশংকা করছি ৷
য়াগাতির তাদের কাছে আমার চাইতে অধিক শ্রদ্ধাবান ছিলেন এবং আমার কথার চাইতে তার
কথার দাম তাদের কাছে বেশী ছিল ৷

তাবারানী (র) দেহ্ইয়া কালবী (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে একটি পত্রসহ রোমের সম্রাটের কাছে প্রেরণ করেন ৷ আমি দরজায়
দাড়িয়ে দারওয়ানকে বললাম, আল্লাহ্র রাসুলের দুতের জন্যে অনুমতি প্রার্থনা কর ৷ সে সম্রাটের
কাছে ভিতরে গেল এবং সংবাদ দিল যে, প্রাসাদের দরজ্যয় এক ব্যক্তি র্দা ড়িয়ে আছেন এবং তিনি

তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দুত বলে পরিচয় দিচ্ছেন ৷ এ সং বাদ শুনে ভিতরের লোকজন ভীত

হয়ে পড়ল ৷ সম্র ট বললেন, তাকে ভিতরে আসতে দাও ৷’ আমাকে ভিতরে নেয়া হল ৷ তার
কাছে তার সভাসদবর্গহাযির ছিলেন ৷ আমি তার কাছে পত্রটি সমর্পণ করলাম ৷ পত্রে লিখা ছিল ং
পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে ঘুহাষ্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ হতে রোমের শাসনকতা কায়সার এর


صَاحِبُ إِيلِيَاءَ وَهِرَقْلَ - سُقُفًّا عَلَى نَصَارَى الشَّامِ، يُحَدِّثُ أَنَّ هِرَقْلَ حِينَ قَدِمَ إِيلِيَاءَ أَصْبَحَ يَوْمًا خَبِيثَ النَّفْسِ، فَقَالَ بَعْضُ بَطَارِقَتِهِ، قَدِ اسْتَنْكَرْنَا هَيْئَتَكَ. قَالَ ابْنُ النَّاطُورِ: وَكَانَ هِرَقْلُ حَزَّاءً يَنْظُرُ فِي النُّجُومِ، فَقَالَ لَهُمْ حِينَ سَأَلُوهُ: إِنِّي رَأَيْتُ حِينَ نَظَرْتُ فِي النُّجُومِ مَلِكَ الْخِتَانِ قَدْ ظَهَرَ، فَمَنْ يَخْتَتِنُ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ؟ قَالُوا: لَيْسَ يَخْتَتِنُ إِلَّا الْيَهُودُ، فَلَا يُهِمَّنَّكَ شَأْنُهُمْ، وَاكْتُبْ إِلَى مَدَائِنِ مُلْكِكَ فَلْيَقْتُلُوا مَنْ فِيهِمْ مِنَ الْيَهُودِ. فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى أَمْرِهِمْ، أَتَى هِرَقْلُ بِرَجُلٍ أَرْسَلَ بِهِ مَلِكُ غَسَّانَ، يُخْبِرُ عَنْ خَبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا اسْتَخْبَرَهُ هِرَقْلُ قَالَ: اذْهَبُوا فَانْظُرُوا أَمُخْتَتِنٌ هُوَ أَمْ لَا؟ فَنَظَرُوا إِلَيْهِ، فَحَدَّثُوهُ أَنَّهُ مُخْتَتِنٌ. وَسَأَلَهُ عَنِ الْعَرَبِ، فَقَالَ: هُمْ يَخْتَتِنُونَ. فَقَالَ هِرَقْلُ: هَذَا مُلْكُ هَذِهِ الْأُمَّةِ قَدْ ظَهَرَ. ثُمَّ كَتَبَ هِرَقْلُ إِلَى صَاحِبٍ لَهُ بِرُومِيَّةَ، وَكَانَ نَظِيرَهُ فِي الْعِلْمِ، وَسَارَ هِرَقْلُ إِلَى حِمْصَ، فَلَمْ يَرِمْ حِمْصَ حَتَّى أَتَاهُ كِتَابٌ مِنْ صَاحِبِهِ، يُوَافِقُ رَأْيَ هِرَقْلَ عَلَى خُرُوجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَّهُ نَبِيٌّ، فَأَذِنَ هِرَقْلُ لِعُظَمَاءِ الرُّومِ فِي دَسْكَرَةٍ لَهُ بِحِمْصَ، ثُمَّ أَمَرَ بِأَبْوَابِهَا فَغُلِّقَتْ ثُمَّ اطَّلَعَ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الرُّومِ، هَلْ لَكُمْ فِي الْفَلَاحِ وَالرُّشْدِ، وَأَنْ يَثْبُتَ لَكُمْ مُلْكُكُمْ، فَتُبَايِعُوا لِهَذَا النَّبِيِّ. فَحَاصُوا حَيْصَةَ حُمْرِ الْوَحْشِ إِلَى الْأَبْوَابِ، فَوَجَدُوهَا قَدْ غُلِّقَتْ، فَلَمَّا رَأَى هِرَقْلُ نَفْرَتَهُمْ، وَأَيِسَ مِنَ الْإِيمَانِ قَالَ: رُدُّوهُمْ عَلَيَّ. وَقَالَ: إِنِّي إِنَّمَا قُلْتُ مَقَالَتِي آنِفًا
পৃষ্ঠা - ৩৩৩৭

প্রতি ৷ তখন সম্রাটের নীলাভ চোখ বিশিষ্ট পৌর বর্ণের জনৈক ভাতিজা চীৎকার দিয়ে বলতে
লাগল, আজকে এ পত্রটি পড়বেন না; কেননা, পত্র প্রেরক পত্রের শুরুতে নিজের নাম উল্লেখ
করেছে ৷ আর রোমের সম্রাট কথাটি না লিখে রোমের শাসনকর্তা লিখা হয়েছে ৷ রাবী বলেন,
“পরে তিনি পত্রটি পড়লেন এবং যখন পত্র পড়া শেষ হল তখন তিনি সভাসদবর্গকে বের হয়ে
যেতে বললেন ৷ তারা বের হয়ে গেলে আমার কাছে লোক প্রেরণ করলেন ৷ আমি প্রবেশ
করলাম ৷ আমাকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করলেন আর আমি তাকে বিস্তারিত সংবাদ দিলাম ৷ এরপর
তিনি প্রধান বিশপের কাছে লোক প্রেরণ করেন ৷ তিনি আসলেন ৷ তিনি ছিলেন তাদের
পরামর্শদাতা ৷ তার কথা ও পরামর্শ তারা মান্য করতো ৷ যখন তিনি পত্রঢি পড়লেন তখন তিনি
বললেন, আল্লাহ্র শপথ, তিনিও ঐ ব্যক্তি যার সম্বন্ধে মুসা ও ঈসা (আ) অমাদেরকে সুসমাচার
দিয়ে গেছেন ৷ আর যার জন্যে আমরা প্রতীক্ষারত ৷ কায়সার বললেন, তাহলে আপনি আমাদেরকে
কী নির্দেশ দিচ্ছেন ? বিশপ বললেন, তবে আ ত তাকে সত্য বলে ঘিশ্বাস্ করি এবং আমি তার
অনুসারী ৷ কায়সার বললেন, আমিও জানি যে, তিনি এরুপই ৷ তবে আমি তা করতে পারছি না ৷
যদি আমি তা করি, তাহলে আমার রাজত্ব চলে যাবে এবং রোমানরা আমাকে হত্যা করবে ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক, থালিদ ইবন ইয়াসারের বরাতে সিরিয়ার একজন প্রবীণ অধিবাসী হতে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সম্বন্ধে হিরাক্লিয়াসের কাছে যখন সংবাদ পৌছল,
তখন তিনি সিরিয়া ভুমি থেকে কনষ্টান্টিনিপলে চলে যেতে মনস্থ করেন ৷ তার প্রাক্কালে রোমের
বাসিন্দাদের জমায়েত করে তিনি বললেন, “হে রোমের বাসিন্দার৷ ! আমি তোমাদের কাছে একটি
বিষয় উপস্থাপন করছি ৷ তোমরা আরো মনোযোগ সহকারে শোন ! তারা বলল, “বলুন, তা কী ?”
তিনি বললেন, আল্লাহ্র শপথ, তোমরা জান যে , ইনি একজন প্রেরিত নবী ৷ আমাদের কাছে তার
যে সমস্ত গুণ বর্ণনা করা হয়েছে এগুলোর মাধ্যমে আমরা তাকে চিনতে পেরেছি ৷ চল, আমরা
সকলে তার অনুসরণ করি , তাহলে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি লাভ করব ৷” তারা বলল,
আমরা আররদের অধীনস্থ হয়ে পড়ব অথচ আমাদের দেশ তাদের চেয়ে বড় দেশ এবং জনসংখ্যা
তাদের থেকে অধিক আর আমাদের শহর তাদের থেকে অনেক দুরবর্তী ৷ তিনি বললেন, তা’হলে
চল, আমরা তাকে বার্ষিক জিযিয়া কর প্রদান করি তাহলে তার আক্রোশহ্রাস পাবে ৷ আর এর
বিনিময়ে তার আক্রমণ থেকে আমরা শান্তিতে থাকতে পারব ৷ তারা বলল, “আমরা আররদেরকে
খারাজ বা কর দেব এবং আমাদের থেকে তা তারা গ্রহণ করবে অথচ আমরা তাদের চেয়ে
জনসংখ্যার দিক দিয়ে অধিক, দেশ হিসাবে তাদের দেশ থেকে বড় এবং শহর হিসেবে অধিক
সুরক্ষিত ? না, তা হতে পারে না ৷ আল্লাহর শপথ, আমরা কোন দিনও এরুপ করব না ৷”
হিরাক্লিয়াস বললেন, তা’হলে চল, আমরা তার সাথে এ মর্মে সন্ধি করি যে, আমরা মুহাম্মাদ
(না)-কে (দক্ষিণ সিরিয়া) ভুখণ্ড ছেড়ে দেব এবং তিনি আমাদেরকে শামে (উক্ত সিরিয়ার)
থাকতে দেবেন ৷ রাবী বলেন, ঐসময়কার সিরিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল ফিলিস্তীন, জর্দান, দামেস্ক,
হিম্স ও সীমান্তবর্তী গিরিপথের এ পার ৷ গিরিপথের বাইরের অংশ ছিল তখনকার শাম ৷ এরপর
তারা বলল, আমরা মুহাম্মাদ (না)-কে সিরিয়ার ভুখণ্ড ছেড়ে দেব অথচ আপনি জানেন সিরিয়ার
ভুখণ্ডঢি শামেরই অংশ ৷ আমরা এটা কোন দিনও ছাড়বাে না ৷ যখন তারা তার কাছে অস্বীকৃতি
জানাল, তখন তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ, তোমরা তোমাদের শহরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে


أَخْتَبِرُ بِهَا شِدَّتَكُمْ عَلَى دِينِكُمْ، فَقَدْ رَأَيْتُ. فَسَجَدُوا لَهُ وَرَضُوا عَنْهُ، فَكَانَ ذَلِكَ آخِرَ شَأْنِ هِرَقْلَ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَرَوَاهُ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، وَيُونُسُ وَمَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ كَثِيرَةٍ فِي " صَحِيحِهِ " بِأَلْفَاظٍ يَطُولُ اسْتِقْصَاؤُهَا. وَأَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ، إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ، مِنْ طُرُقٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ مُطَوَّلًا فِي أَوَّلِ شَرْحِنَا لِصَحِيحِ الْبُخَارِيِّ بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَذَكَرْنَا فِيهِ مِنَ الْفَوَائِدِ وَالنُّكَتِ الْمَعْنَوِيَّةِ وَاللَّفْظِيَّةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ قَالَ: خَرَجَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ إِلَى الشَّامِ تَاجِرًا فِي نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ، وَبَلَغَ هِرَقْلَ شَأْنُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرَادَ أَنْ يَعْلَمَ مَا يُعْلَمُ مِنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَرْسَلَ إِلَى صَاحِبِ الْعَرَبِ الَّذِي بِالشَّامِ فِي مُلْكِهِ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَبْعَثَ إِلَيْهِ بِرِجَالٍ مِنَ الْعَرَبِ يَسْأَلُهُمْ عَنْهُ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ ثَلَاثِينَ رَجُلًا، مِنْهُمْ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فِي كَنِيسَةِ إِيلِيَاءَ الَّتِي فِي جَوْفِهَا، فَقَالَ هِرَقْلُ: أَرْسَلْتُ إِلَيْكُمْ لِتُخْبِرُونِي عَنْ هَذَا الَّذِي بِمَكَّةَ مَا أَمْرُهُ؟ قَالُوا: سَاحِرٌ كَذَّابٌ، وَلَيْسَ بِنَبِيٍّ. قَالَ: فَأَخْبِرُونِي بِأَعْلَمِكُمْ بِهِ وَأَقْرَبِكُمْ مِنْهُ رَحِمًا؟ قَالُوا: هَذَا أَبُو سُفْيَانَ ابْنُ عَمِّهِ،
পৃষ্ঠা - ৩৩৩৮
وَقَدْ قَاتَلَهُ. فَلَمَّا أَخْبَرُوهُ ذَلِكَ، أَمَرَ بِهِمْ فَأُخْرِجُوا عَنْهُ، ثُمَّ أَجْلَسَ أَبَا سُفْيَانَ فَاسْتَخْبَرَهُ، قَالَ: أَخْبِرْنِي يَا أَبَا سُفْيَانَ، فَقَالَ: هُوَ سَاحِرٌ كَذَّابٌ. فَقَالَ هِرَقْلُ: إِنِّي لَا أُرِيدُ شَتْمَهُ، وَلَكِنْ كَيْفَ نَسَبُهُ فِيكُمْ؟ قَالَ: هُوَ وَاللَّهِ مِنْ بَيْتِ قُرَيْشٍ. قَالَ: كَيْفَ عَقْلُهُ وَرَأْيُهُ؟ قَالَ: لَمْ نَعِبْ لَهُ عَقْلًا وَلَا رَأْيًا قَطُّ. قَالَ هِرَقْلُ: هَلْ كَانَ حَلَّافًا كَذَّابًا مُخَادِعًا فِي أَمْرِهِ؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ مَا كَانَ كَذَلِكَ. قَالَ: لَعَلَّهُ يَطْلُبُ مُلْكًا أَوْ شَرَفًا كَانَ لِأَحَدٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ قَبْلَهُ؟ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: لَا، ثُمَّ قَالَ: مَنْ يَتَّبِعُهُ مِنْكُمْ هَلْ يَرْجِعُ إِلَيْكُمْ مِنْهُمْ أَحَدٌ؟ قَالَ: لَا. قَالَ هِرَقْلُ: هَلْ يَغْدِرُ إِذَا عَاهَدَ؟ قَالَ: لَا، إِلَّا أَنْ يَغْدِرَ مُدَّتَهُ هَذِهِ. فَقَالَ هِرَقْلُ: وَمَا تَخَافُ مِنْ مُدَّتِهِ هَذِهِ؟ قَالَ: إِنَّ قَوْمِي أَمَدُّوا حُلَفَاءَهُمْ عَلَى حُلَفَائِهِ وَهُوَ بِالْمَدِينَةِ. قَالَ هِرَقْلُ: إِنْ كُنْتُمْ أَنْتُمْ بَدَأْتُمْ فَأَنْتُمْ أَغْدَرُ. فَغَضِبَ أَبُو سُفْيَانَ وَقَالَ: لَمْ يَغْلِبْنَا إِلَّا مَرَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا يَوْمَئِذٍ غَائِبٌ - وَهُوَ يَوْمُ بَدْرٍ - ثُمَّ غَزَوْتُهُ مَرَّتَيْنِ فِي بُيُوتِهِمْ، نَبْقُرُ الْبُطُونَ، وَنُجَدِّعُ الْآذَانَ وَالْفُرُوجَ. فَقَالَ هِرَقْلُ: أَكَاذِبًا تَرَاهُ أَمْ صَادِقًا؟ فَقَالَ: بَلْ هُوَ كَاذِبٌ. فَقَالَ: إِنْ كَانَ فِيكُمْ نَبِيٌّ، فَلَا تَقْتُلُوهُ، فَإِنَّ أَفْعَلَ النَّاسِ لِذَلِكَ الْيَهُودُ. ثُمَّ رَجَعَ أَبُو سُفْيَانَ. فَفِي هَذَا السِّيَاقِ غَرَابَةٌ، وَفِيهِ فَوَائِدُ لَيْسَتْ عِنْدَ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَلَا الْبُخَارِيِّ. وَقَدْ أَوْرَدَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ " قَرِيبًا مِمَّا ذَكَرَهُ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ ": حَدَّثَنَا ابْنُ حُمَيْدٍ، ثَنَا سَلَمَةُ، ثَنَا مُحَمَّدُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৩৯

নিজেদেরকে সফলকাম বলে ভাবতে পসন্দ করছো, এর বেশি আর কিছু নয় ৷ রাবী বলেন,
“এরপর তিনি তার একটি খচ্চরে সওয়ার হয়ে রওয়ানা দিলেন ৷ সীমান্ত গিরিপথের নিকটে এসে
তিনি সিবিয়৷ ভুখণ্ডের দিকে মুখ করে বললেন ং ন্টিা; ;; , ং, ওে , ৷ ৷;া; ণ্১াট্রু৷ ৷
& ৷ শু৷ ৷ হে সিবিয়৷ ভুমি ! তোমার উপর রহমত বর্ধিত হো তোমাকে বিদায়ী সালাম
এরপর দ্রুত চলতে লাগলেন এবং কনষ্ট৷ ন্টিনিপা ৷ল শহরে প্রবেশ করলেন ৷ আল্লাহই অধিক জ্ঞা ত

সিরিয়ার আরব খৃক্টান শাসনকর্তার নিকট পত্র প্রেরণ

ইবন ইসহাক বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু আসাদ ইবন খুযায়মা গোতত্রের শুজা ইবন
ওছারকে পত্র সহ দামেস্কের শাসনকর্তা মুনযির ইবন হাবিছ ইবন আবু শুমর গাসৃসানীর কাছে
প্রেরণ করেন ৷

ওয়াকিদী বলেন, পত্রটি ছিল এরুপ : যে হিদায়াতের পথ অনুসরণ করবে ও ঈমান গ্রহণ
করবে তার প্রতি সালাম ৷ আমি তোমাকে আহ্বান করছি তুমি যেন এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
স্থাপন কর, যার কোন অংশীদার নেই ৷ তাহলে তোমার রাজ্য তোমার কাছেই থাকবে ৷ শুজা
তার কাছে গেলেন এবং পত্রটি পড়ে শুনালেন ৷ তখন সে বলল, কে আমার রাজ্য ছিনিয়ে নেবে ?
আমি অচিরেই তার দিকে রওয়ানা দিচ্ছি ৷

পারস্য সম্রাট কিসৃরার কাছে পত্র প্রেরণ

ইমাম বুখারী (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার পত্রসহ এক ব্যক্তিকে কিসৃরার কাছে প্রেরণ করেন এবং আদেশ করেন যেন পত্রটি বাহরায়-
নের শাসনকর্তাকে দেওয়া হয় ৷ বাহরায়নের শাসনকর্তা পত্রটি কিসৃরার কাছে হস্তান্তর করেন ৷
যখন কিসৃরা পত্রটি পড়ল সে পত্রটি ছিড়ে ফেলে ৷ রাবী বলেন, সম্ভবত ইবনুল মুস৷ ৷ইয়িব বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা)৩ ৷ তাদের প্রতি অভিশাপ দিয়েছিলেন, তারা যেন একেবারে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় ৷

আবদুল্লাহ ইবন ওহব আবদুর রহমান ইবন আবদুল কা ৷য়ীর বরাতে বলেন, “একদিন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা দেয়ার জন্যে মিম্বরে দীড়ালেন ৷ তারপর আল্লাহর প্রশংসা করলেন,
তাশাহ্হুদ পাঠ করলেন এবং বললেন, অনারব দেশের রাজাদের কাছে আমি তোমাদের কাউকে
কাউকে পত্র সহকারে প্রেরণ করতে চাই ৷ তোমরা আমার সাথে এ ব্যাপারে কোন মতবিরোধ
করবেনা যেরুপ বনু ইসরাঈল ঈসা ইবন মবিয়ম (আ)-এর সাথে করে ছিল ৷ মুহাজিরগণ উত্তরে
বললেন, হে আল্লাহর রাসুল ! আমরা কখনও আপনার সাথে কোন ব্যাপারে মতবিরোধ করব না ৷
সুতরাং আপনি আমাদেরকে আদেশ করুন এবং প্রেরণ করুন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তখন সুজা ইবন
ওহব (রা) কে কিসৃরার কাছে প্রেরণ করেন ৷ কিসৃরা তার দরবার হল সাজানাের জন্যে হুকুম
দিল ৷৩ তারপর পারস্যের প্রধানদেরকে দরবারে প্রবেশের অনুমতি দিল ৷ এরপর সে সুজা ৷ইবন
ওহবকে প্রবেশের অনুমতি দিল ৷ তিনি প্রবেশ করার পর তার থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পত্র
হস্তগত করার জন্যে কিসৃরা অন্য একজনকে আদেশ দিল; কিন্তু সুজা ইবন ওহব (বা ) বললেন,
না আমি অন্যের হাতে পত্র দেব না ৷ আমি শুধু আপনার হাতেই অর্পণ ৷করবাে, যেমনটি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে আদেশ করেছেন ৷ কিসৃরা তখন বলল, একে আমার কাছে নিয়ে

৫৯ ——

بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّ هِرَقْلَ قَالَ لِدِحْيَةَ بْنِ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيِّ حِينَ قَدِمَ عَلَيْهِ بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّ صَاحِبَكَ نَبِيٌّ مُرْسَلٌ، وَأَنَّهُ الَّذِي كُنَّا نَنْتَظِرُ وَنَجِدُهُ فِي كِتَابِنَا، وَلَكِنِّي أَخَافُ الرُّومَ عَلَى نَفْسِي، وَلَوْلَا ذَلِكَ لَاتَّبَعْتُهُ، فَاذْهَبْ إِلَى ضَغَاطِرَ الْأُسْقُفِّ، فَاذْكُرْ لَهُ أَمْرَ صَاحِبِكُمْ، فَهُوَ وَاللَّهِ فِي الرُّومِ أَعْظَمُ مِنِّي، وَأَجْوَزُ قَوْلًا عِنْدَهُمْ مِنِّي، فَانْظُرْ مَاذَا يَقُولُ لَكَ؟ قَالَ: فَجَاءَهُ دِحْيَةُ، فَأَخْبَرَهُ بِمَا جَاءَ بِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى هِرَقْلَ، وَبِمَا يَدْعُو إِلَيْهِ، فَقَالَ ضَغَاطِرُ: صَاحِبُكَ وَاللَّهِ نَبِيٌّ مُرْسَلٌ نَعْرِفُهُ بِصِفَتِهِ، وَنَجِدُهُ فِي كِتَابِنَا بِاسْمِهِ ثُمَّ دَخَلَ وَأَلْقَى ثِيَابًا كَانَتْ عَلَيْهِ سُودًا، وَلَبِسَ ثِيَابًا بَيَاضًا، ثُمَّ أَخَذَ عَصَاهُ فَخَرَجَ عَلَى الرُّومِ فِي الْكَنِيسَةِ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الرُّومِ، إِنَّهُ قَدْ جَاءَنَا كِتَابٌ مِنْ أَحْمَدَ، يَدْعُونَا فِيهِ إِلَى اللَّهِ، وَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ أَحْمَدَ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ. قَالَ: فَوَثَبُوا إِلَيْهِ وَثْبَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَضَرَبُوهُ حَتَّى قَتَلُوهُ. قَالَ: فَلَمَّا رَجَعَ دِحْيَةُ إِلَى هِرَقْلَ، فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ، قَالَ: قَدْ قُلْتُ لَكَ: إِنَّا نَخَافُهُمْ عَلَى أَنْفُسِنَا، فَضَغَاطِرُ وَاللَّهِ كَانَ أَعْظَمَ عِنْدَهُمْ، وَأَجْوَزَ قَوْلًا مِنِّي. وَقَدْ رَوَى الطَّبَرَانِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَحْيَى بْنِ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ دِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৩৪০

এসো ৷ ’ তিনি নিকটে গেলেন এবং তাকে পত্রটি হস্তান্তর করলেন ৷ তারপর কিসৃরা হীরাহবাসী
তীর এক সচিবকে ডাকলেন ৷ সে পত্রটি পড়ে শুনাল ৷ পত্রে লিখা ছিল : আবদৃল্লাহ্র পুত্র ও
আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ এর পক্ষ হতে পারস্যের শাসনকর্তা কিসৃরার নিকট ৷ রাবী বলেন, পত্রের
শুরুতে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নাম দেখে সে রাগান্বিত হল, পর্জে উঠল এবং পত্রের মধ্যে কী আছে
তা জানার পুর্বেই পত্রটি ছিড়ে ফেলল এবং সুজা (রা)-কে দরবার থেকে বের করে দেওয়ার
হুকুম দিল ৷ তিনি এরুপ অবস্থা লক্ষ্য করে সাওয়ারী চড়ে চলে গেলেন ৷ তারপর তিনি বলেন,
আল্লাহ্র শপথ, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পত্র পৌছে দেওয়ার পর আমার আর কোন ভাবনা রইল
না যে, আমি কোন পথে যাবো ৷ রাবী বলেন, কিসৃরার রাগ পড়ে গেলে সুজাকে ডাকার জন্য সে
লোক প্রেরণ করে; কিন্তু তাকে আর খুজে পাওয়া যায়নি ৷ হীরা নামক ন্থান পর্যন্ত লোক পাঠানো
হল; কিন্তু তিনি তা অতিক্রম করে চলে গিয়েছিলেন ৷ সুজা যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর কাছে
আগমন করেন তখন কিস্রার দরবারে সংঘটিত ঘটনা সম্পর্কে রাসৃলুল্লাহ্ (না)-কে অবগত
করলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পত্র ছিড়ে ফেলার কথাটিও তিনি উঘ্নে;ক্ট্রাখ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, কিসৃরা তার সাম্রাজ্যকেই টুকরো টুকরো করে দিল ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক — — আবুসালামা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) আবদুল্লাহ ইবন হুযাফাকে তার পত্র সহকারে কিসরার নিকট প্রেরণ করেন ৷ যে তা পাঠ
করে ছিড়ে ফেলে ৷ এ খবর যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর কাছে পৌছল তখন তিনি বললেন, “ সে
তার নিজের সাম্রাজ্যকেই ছিড়ে ফেলেছে ৷ ”

ইবন জারীর যায়দ ইবন আবু হাবীব থেকে বণ্নাি করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) আবদুল্লাহ ইবন হুযাফা ইবন কায়স ইবন আদী ইবন সাঈদ ইবন সাহাম (রা ) কে তার পত্র
সহকারে পারস্য সম্রাট কিসৃরা ইবন হুরমুয এর কাছে প্রেরণ করেন ৷ তাতে লিখা ছিল :

নৌ ণ্মৈং
গ্শ্

পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহ্র নামে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে পারস্য সম্রাট কিস্রার
প্রতি ৷ যে হিদায়াতের পথ অনুসরণ করে, আল্লাহ্ ও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে,
সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই ৷ তিনি এক, তার কোন অংশীদার নেই ৷
মুহাম্মাদ (সা) তার বান্দা ও রাসুল, তার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক ৷ আমি তোমাকে আল্লাহ্র প্রতি
আহ্বান করছি, আমি আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুল সমস্ত জনগণের প্রতি , যাতে আমি জীবিতকে ভয়
দেখাতে পারি এবং কাফিরদের উপর আল্লাহ্ তাআলার বাণী বাস্তবে পরিণত হয় ৷ যদি তুমি
ইসলাম কবুল কর শান্তি পাবে ৷ আর যদি অস্বীকার কর তাহলে অগ্নিপুজকদের পাপ তোমার উপর
বর্তাবে ৷ রাবী বলেন, যখন সম্রাট পত্রটি পড়ল অমনি ছিড়ে ফেলল ৷ আর বলল, যে আমার দাস
হয়ে আমার উদ্দেশ্যে এভাবে লিখে ? তারপর সম্রাট ইয়ামানে নিয়োজিত তার প্রতিনিধি বাযামকে
পত্র লিখে হুকুম দিল “হিজাযের লোকটির কাছে দুইজন শক্তিশালী লোককে পাঠাও , বাবা তাকে


قَيْصَرَ صَاحِبِ الرُّومِ بِكِتَابٍ، فَقُلْتُ: اسْتَأْذِنُوا لِرَسُولِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأُتِيَ قَيْصَرُ فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ عَلَى الْبَابِ رَجُلًا يَزْعُمُ أَنَّهُ رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ. فَفَزِعُوا لِذَلِكَ، وَقَالَ: أَدْخِلْهُ. فَأَدْخَلَنِي عَلَيْهِ وَعِنْدَهُ بَطَارِقَتُهُ، فَأَعْطَيْتُهُ الْكِتَابَ فَإِذَا فِيهِ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى قَيْصَرَ صَاحِبِ الرُّومِ» فَنَخَرَ ابْنُ أَخٍ لَهُ أَحْمَرُ أَزْرَقُ سَبِطٌ، فَقَالَ: لَا تَقْرَأِ الْكِتَابَ الْيَوْمَ، فَإِنَّهُ بَدَأَ بِنَفْسِهِ، وَكَتَبَ صَاحِبَ الرُّومِ، وَلَمْ يَكْتُبْ مَلِكَ الرُّومِ، قَالَ: فَقُرِئَ الْكِتَابُ حَتَّى فُرِغَ مِنْهُ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ فَخَرَجُوا مِنْ عِنْدِهِ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَيَّ، فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ، فَسَأَلَنِي فَأَخْبَرْتُهُ، فَبَعَثَ إِلَى الْأُسْقُفِّ فَدَخَلَ عَلَيْهِ، وَكَانَ صَاحِبَ أَمْرِهِمْ، يَصْدُرُونَ عَنْ رَأْيِهِ وَعَنْ قَوْلِهِ، فَلَمَّا قَرَأَ الْكِتَابَ قَالَ الْأُسْقُفُّ: هُوَ وَاللَّهِ الَّذِي بَشَّرَنَا بِهِ مُوسَى وَعِيسَى، الَّذِي كُنَّا نَنْتَظِرُ. قَالَ قَيْصَرُ: فَمَا تَأْمُرُنِي؟ قَالَ الْأُسْقُفُّ: أَمَّا أَنَا فَإِنِّي مُصَدِّقُهُ وَمُتَّبِعُهُ. فَقَالَ قَيْصَرُ: أَعْرِفُ أَنَّهُ كَذَلِكَ، وَلَكِنْ لَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَفْعَلَ، إِنْ فَعَلْتُ ذَهَبَ مُلْكِي وَقَتَلَنِي الرُّومُ. وَبِهِ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ قُدَمَاءِ أَهْلِ الشَّامِ قَالَ: لَمَّا أَرَادَ هِرَقْلُ الْخُرُوجَ مِنْ أَرْضِ الشَّامِ إِلَى الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ، لِمَا بَلَغَهُ مِنْ أَمْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ الرُّومَ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الرُّومِ، إِنِّي عَارِضٌ عَلَيْكُمْ أُمُورًا، فَانْظُرُوا فِيمَا أَرَدْتُ بِهَا. قَالُوا: مَا هِيَ؟ قَالَ: تَعْلَمُونَ وَاللَّهِ أَنَّ هَذَا الرَّجُلَ لَنَبِيٌّ مُرْسَلٌ، نَجِدُهُ فِي كِتَابِنَا، نَعْرِفُهُ بِصِفَتِهِ الَّتِي وُصِفَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৪১
لَنَا، فَهَلُمَّ فَلْنَتَّبِعْهُ، فَتَسْلَمَ لَنَا دُنْيَانَا وَآخِرَتُنَا. فَقَالُوا: نَحْنُ نَكُونُ تَحْتَ أَيْدِي الْعَرَبِ، وَنَحْنُ أَعْظَمُ النَّاسِ مُلْكًا، وَأَكْثَرُهُمْ رِجَالًا، وَأَقْصَاهُمْ بَلَدًا؟! قَالَ: فَهَلُمَّ أُعْطِيهِ الْجِزْيَةَ كُلَّ سَنَةٍ، أَكْسِرُ عَنِّي شَوْكَتَهُ، وَأَسْتَرِيحُ مِنْ حَرْبِهِ بِمَا أُعْطِيهِ إِيَّاهُ. قَالُوا: نَحْنُ نُعْطِي الْعَرَبَ الذُّلَّ وَالصَّغَارَ بِخَرْجٍ يَأْخُذُونَهُ مِنَّا، وَنَحْنُ أَكْثَرُ النَّاسِ عَدَدًا، وَأَعْظَمُهُمْ مُلْكًا، وَأَمْنَعُهُمْ بَلَدًا؟! لَا وَاللَّهِ لَا نَفْعَلُ هَذَا أَبَدًا. قَالَ: فَهَلُمَّ فَلْأُصَالِحْهُ عَلَى أَنْ أُعْطِيَهُ أَرْضَ سُورِيَةَ، وَيَدَعَنِي وَأَرْضَ الشَّامِ - قَالَ: وَكَانَتْ أَرْضُ سُورِيَةَ، فِلَسْطِينَ، وَالْأُرْدُنَّ، وَدِمَشْقَ، وَحِمْصَ، وَمَا دُونَ الدَّرْبِ مِنْ أَرْضِ سُورِيَةَ، وَمَا كَانَ وَرَاءَ الدَّرْبِ عِنْدَهُمْ فَهُوَ الشَّامُ - فَقَالُوا: نَحْنُ نُعْطِيهِ أَرْضَ سُورِيَةَ وَقَدْ عَرَفْتَ أَنَّهَا سُرَّةُ الشَّامِ؟ ! لَا نَفْعَلُ هَذَا أَبَدًا. فَلَمَّا أَبَوْا عَلَيْهِ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَتَوَدُّنَّ أَنَّكُمْ قَدْ ظَفِرْتُمْ، إِذَا امْتَنَعْتُمْ مِنْهُ فِي مَدِينَتِكُمْ. قَالَ: ثُمَّ جَلَسَ عَلَى بَغْلٍ لَهُ فَانْطَلَقَ، حَتَّى إِذَا أَشْرَفَ عَلَى الدَّرْبِ، اسْتَقْبَلَ أَرْضَ الشَّامِ، ثُمَّ قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكِ يَا أَرْضَ سُورِيَةَ تَسْلِيمَ الْوَدَاعِ. ثُمَّ رَكَضَ حَتَّى دَخَلَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৩৪২

ধরে নিয়ে আসবে ৷ ” এরপর বাযাম তার হিসাব রক্ষক ও সচিবকে পারস্যের পত্র সহকারে প্রেরণ
করলো এবং তার সাথে খরথুস্রা নামী পারস্যের একটি লোককে প্রেরণ করলো ৷ তাদের
দৃইজনের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে একটি পত্র লিখে যার মধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এ
দুজনের সাথে কিসরা সম্রাটের কাছে আগমন করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ অন্যদিকে বাযাম আবু
যুওয়াহকে বলেছিলেন, ঐ ব্যক্তির শহরে তুমি আগমন করবে তার সাথে তুমি কথা বলবে এবং
তার সম্বন্ধে বিস্তারিত খবর নিয়ে আসবে ৷ ইতে ৷মধ্যে পুর্বের প্রেরিত দু ব্যক্তি বের হয়ে গেল এবং
ন্৷ তায়েভ্রুফ গিয়ে পৌছল ৷ তারা তা ৷য়েফের ভুখণ্ডে কুরায়শের এক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করল এবং
তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল ৷ সে বলল যে, তিনি মদীনায় আছেন ৷ তায়েফবাসী
ও কুরায়ণের উল্লিখিত ব্যক্তি আগত্তুক দুই জনকে পেয়ে খুবই খুশী হল এবং একে অন্যকে
বলতে লাগল, শুভ সংবাদ গ্রহণ কর, কেননা, সম্রাট কিসরা তাকে লক্ষষ্ বন্তুতে পরিণত করেছেন,
এটা ই ঐ ব্যক্তির শায়েস্তা হবার জন্যে যথেষ্ট ৷ উক্ত দুই ব্যক্তি তায়েফ থেকে বের হয়ে মদীনায়
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর কাছে আগমন করল ৷ আবু যুওয়াহ রাসুচ্পুহু; ৷ ন্ ( সা )-এর সাথে কথা বলল
এবংস ৎবাদ দিল যে, শাহানশা হ রাজ৷ ৷ধিরাজ কিসরা শাসনকতা বাবামের কাছে পত্র লিখেছেন ৷
পত্রে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছেত তিনি যেন আপনার কাছে এমন কোন ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন
যে আপনাকে নিয়েত ৷র কাছে যাবে ৷ আর আমাকে পাঠানো হয়েছে যেন আপনি আমার সাথে
চলেন ৷ যদি আপনি তা করেন তাহলে তিনি সম্রাটের কাছে পত্র লিখবেন যাতে করে আপনার
উপকা ৷র হয় ৷ আর এটা ই অ পানার মঙ্গলের জন্যে যথেষ্ট ৷ অন্যদিকে যদি আপনি যেতে অস্বীকার
করেন, তাহলে আপনি ইতোমধ্যে জেনে নিয়েছেন যে এটা হবে আপনার আপনার সম্প্রদায় ও
দেশের জন্যে মারাত্মক বিপর্যয় ও ধ্বংসের কারণ ৷ তারা দু’ জন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে
আগমন করলেন ৷ তারা দুজনই দাড়ি মুণ্ডিত ছিল এবং বড় গৌফধারী ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাদের দিকে বিরুপ দৃষ্টিতে দেখলেন এবং বললেন, সর্বনাশ, কে তোমাদেরকে এরুপ করতে
বলেছে ?” তারা বলল , “আমাদের মনিব কিসরা আমাদেরকে এরুপ করতে বলেছেন ৷ ”
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “কিন্তু আমার প্রতিপালক দাড়ি বৃদ্ধি করতে ও পৌফ ছুাটতে হুকুম
দিয়েছেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তে ৷মরা ফিরে যাও আপামীকাল আবার এসে৷ ৷ ”
রাবী বলেন, আসমান থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে সংবাদ আসল যে, আল্লাহ তা জানা
কিসৃরার বিরুদ্ধে তার ছেলে শিরওয়েহকে আধিপত্য দা ন করেছেন ৷ সে তার পিতাকে অমুক
মাসে ও অমুক রাতে হত্যা করেছে ৷ রাবী বলেন, তাদের দৃ জনকে ডেকে এ সংবাদটি দিলেন ৷
তারা বললো, “আপনি কি জানেন আপনি কী বলছেন ? আমরা আপনার প্ৰতিশোধ (নব, তবে
হালকাভাবে ৷ আমরা আপনার এ মন্তব্যের ব্যাপারে কি শাসনকর্তা বাযামকে অবহিত করবো
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হীা তোমরা আমার পক্ষ থেকে তাকে এ সম্পর্কে জানিয়ে দাও ৷ আর
তাকে তোমরা বলে দাও আমার প্রচারিত ধর্ম ও আধিপত্য কিসরা ৷র মত খ্যাতি লাভ করবে এবং
পৃথিবীর আনাচে-কানাচে পৌছবে ৷ আবার তোমরা তাকে বল, যদি তুমি ইসলাম কবুল কর
তাহলে তোমার রাজত্ব ও আধিপতাণ্ তামার হাতেই থাকতে দেওয়া হবে ৷ এরপর খরখুসরা কে
একটি স্বর্ণারীপ্য খচিত কমরবন্দ দেওয়া হল আর তা তিনি কোন এক রাজার পক্ষ থেকে

১ টীকা ও বর্ণনান্তরে বাবুয়েহ বা বাবুইয়া আছে ৷ শ্সম্পাদক




[إِرْسَالُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَلِكِ الْعَرَبِ مِنَ النَّصَارَى بِالشَّامِ] ذِكْرُ إِرْسَالِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَلِكِ الْعَرَبِ مِنَ النَّصَارَى بِالشَّامِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، ثُمَّ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شُجَاعَ بْنَ وَهْبٍ، أَخَا بَنِي أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، إِلَى الْمُنْذِرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي شَمِرٍ الْغَسَّانِيِّ، صَاحِبِ دِمَشْقَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَتَبَ مَعَهُ: «سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى وَآمَنَ بِهِ، وَأَدْعُوكَ إِلَى أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، يَبْقَى لَكَ مُلْكُكَ» فَقَدِمَ شُجَاعُ بْنُ وَهْبٍ فَقَرَأَهُ عَلَيْهِ فَقَالَ: وَمَنْ يَنْتَزِعُ مُلْكِي؟ إِنِّي سَأَسِيرُ إِلَيْهِ. [بَعْثُهُ إِلَى كِسْرَى مِلْكِ الْفُرْسِ] ذِكْرُ بَعْثِهِ إِلَى كِسْرَى مِلْكِ الْفُرْسِ رَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بِكِتَابِهِ مَعَ رَجُلٍ إِلَى كِسْرَى، وَأَمَرَهُ أَنْ يَدْفَعَهُ إِلَى عَظِيمِ الْبَحْرَيْنِ فَدَفَعَهُ عَظِيمُ الْبَحْرَيْنِ إِلَى كِسْرَى، فَلَمَّا قَرَأَهُ كِسْرَى مَزَّقَهُ. قَالَ: فَحَسِبْتُ أَنَّ ابْنَ الْمُسَيَّبِ قَالَ: فَدَعَا عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُمَزَّقُوا كُلَّ مُمَزَّقٍ» . وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৪৩

উপচৌকন স্বরুপ প্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ উপরোক্ত দুই ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবার থেকে বের
হয়ে বাযামের কাছে আগমন করল এবং তাকে বিস্তা বিত ঘটনা জান ল ৷ বাযাম বললেন অ ৷ল্লাহ্র
শপথ, এটা কোন রাজা-বাদশার কথা নয় ৷ তিনি নিশ্চয়ই আমার মতে একজন নবী যেমন৩ তিনি
নিজে বলেছেন ৷ আর তিনি যা বলছেনত তা অবশ্যই বা ৷স্তবায়িত হবে ৷ আর এ খবরটি যদি সত
হয়ে থাকে তাহলে৩ তিনি সত্যিক৷ ৷র প্রেরিত রাসুল ৷ আর তার সং বাদ যদি সত্যি না হয়, তাহলে
আমরা তার সম্পর্কে একটি সিদ্ধান্ত নেব ৷ কিছুদিনের মধ্যে বাযামের কাছে শিরওয়ের পত্র
পৌছল ৷ তাতে লিখিত ছিল আমি কিস্রাকে হ৩ ত্য৷ করেছি ৷ আর তা করেছি কেবল
পারস্যবাসীদের স্বার্থেই ৷ কেননা, তিনি পারস্যের সজ্রান্ত লোকদেরকে ও সীমান্ত পাহারাদারদেরকে
নির্বিচারে হত্যা করেছেন ৷ তোমার কাছে যখন আমার এ পত্রটি পীছ£ ৷ তখন তুমি তোমার
লোকদের থেকে আমার আনুগতাের শপথ গ্রহণ করবে ৷ আর ঐ ব্যক্তির কাছে গমন করবে যার
ব্লুকাছ কিসৃরা পত্র লিখেছিলেন ৷ এ ব্যাপারে তোমার কাছে আমার পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত

তাকে আর কোন প্রকার বিরত করবে না ৷ বাযামের কাছে যখন শিরওয়ের পত্র পৌছল তখন তিনি
বলতে লাগলেন, নিশ্চয়ই ইনি আল্লাহর রাসুল ৷ এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং
ইয়ামানস্থ পারসিক কর্মকর্তারা সকলে ইসলাম কবুল করে নিলেন ৷ রাবী বলেন, বাবুইয়া বাযামকে
বলেছিল , আমি তার মত এত প্রতাপশালী কোন ব্যক্তির সাথে আজ পর্যন্ত কথা বলি নাই ৷ বাযাম
তাকে বললেন, তার সাথে কি কোন সাত্রী থাকে ? সে বললো, না’ ৷

ওয়াকিদী বলেন, ৭ম হিজরীর জুমাদ৷ ল আখির৷ মাসের তের৩ তারিখে রাত্রির দ্বিতীয় প্ৰহরে
কিসৃর৷ তার ছেলের হাতে নিহত হয় ৷

আমি বলি, কোন কোন কবির কবিতায় দিক নির্দেশনা পাওয়া যায় যে, মুহাররম সালে তাকে
হত্যা করা হয়েছিল ৷ একজন কবি বলেন :

“তারা কিস্রাকে রাঃ৩ তর বেলায় নিষিদ্ধ মাসে হ৩ ত্যা করেছিল ৷ হত্যাকারিগণ তাকে ফেলে
গেল ৷ তার দাফন কাফনে তারা কোন প্রকার প্রতিবন্ধকত৷ সৃষ্টি করেনি ৷”

আবর কবিদের কোন একজন বলেন : কিসৃরাকে তার পুত্ররা তলোয়ার দ্বারা এমনভাবে টুক্রা
টুক্র৷ করে হত্যা করেছিল যেমন কসাই মাৎসকে টুক্রা টুক্র৷ করে থাকে ৷ এমন একদিন তার
জন্যে মৃত্যু প্রকাশ পেল যেদিন প্রত্যেক গ৩বির্তীই তার গর্ভস্থিত সন্তানকে প্রসব করে থাকে ৷
(অর্থাৎ এ রাত টি ৫তর৩ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ ১৪৩ তারিখ যাকে আরবী ভায যায় লাইভ
তামাম’ বলা হয় ৷ আবার দৃংখের বা৩ ও বলা হয় ৷

হাফিয বায়হাকী আবু বকর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “একদিন
পারস্যের এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আগমন করে ৷ তিনি তাকে বললেন, “আমার
রব্ব গতকাল রাত তােমা র মনিবকে হত্যা করেছেন ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে জনৈক ব্যক্তি
বললেন, “তার কন্যা নাকি৩ তার উত্তরাধিকারী হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “ঐ সম্প্রদায়
সফলকাম হবে না, যাদের রান্থীয় কর্ণধার হবে শ্রী লোক ৷

বায়হাকী বলেন, দিহইয়৷ কালট্রুবীর বর্ণনায় এসেছে যে, যখন তিনি কায়সারের নিকট থেকে
ফেরত আসলেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে কিসৃরার দুতদেরকে দেখতে পেলেন ৷


بْنُ عَبْدٍ الْقَارِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى الْمِنْبَرِ خَطِيبًا، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَتَشَهَّدَ ثُمَّ قَالَ: " أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَبْعَثَ بَعْضَكُمْ إِلَى مُلُوكِ الْأَعَاجِمِ، فَلَا تَخْتَلِفُوا عَلَيَّ كَمَا اخْتَلَفَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ عَلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ". فَقَالَ الْمُهَاجِرُونَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا لَا نَخْتَلِفُ عَلَيْكَ فِي شَيْءٍ أَبَدًا فَمُرْنَا وَابْعَثْنَا. فَبَعَثَ شُجَاعَ بْنَ وَهْبٍ إِلَى كِسْرَى، فَأَمَرَ كِسْرَى بِإِيوَانِهِ أَنْ يُزَيَّنَ، ثُمَّ أَذِنَ لِعُظَمَاءِ فَارِسَ ثُمَّ أَذِنَ لِشُجَاعِ بْنِ وَهْبٍ، فَلَمَّا أَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ أَمَرَ كِسْرَى بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُقْبَضَ مِنْهُ، فَقَالَ شُجَاعُ بْنُ وَهْبٍ: لَا، حَتَّى أَدْفَعَهُ أَنَا إِلَيْكَ كَمَا أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ كِسْرَى: ادْنُهْ. فَدَنَا فَنَاوَلَهُ الْكِتَابَ، ثُمَّ دَعَا كَاتِبًا لَهُ مِنْ أَهْلِ الْحِيرَةِ فَقَرَأَهُ، فَإِذَا فِيهِ: " مِنْ مُحَمَّدٍ عَبْدِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى كِسْرَى عَظِيمِ فَارِسَ " قَالَ: فَأَغْضَبَهُ حِينَ بَدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَفْسِهِ، وَصَاحَ وَغَضِبَ وَمَزَّقَ الْكِتَابَ قَبْلَ أَنْ يَعْلَمَ مَا فِيهِ، وَأَمَرَ بِشُجَاعِ بْنِ وَهْبٍ فَأُخْرِجَ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَعَدَ عَلَى رَاحِلَتِهِ، ثُمَّ سَارَ، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ مَا أُبَالِي عَلَى أَيِّ الطَّرِيقَيْنِ أَكُونُ إِذْ أَدَّيْتُ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: وَلَمَّا ذَهَبَ عَنْ كِسْرَى سَوْرَةُ غَضَبِهِ بَعَثَ إِلَى شُجَاعٍ، لِيَدْخُلَ عَلَيْهِ، فَالْتُمِسَ فَلَمْ يُوجَدْ، فَطُلِبَ إِلَى الْحِيرَةِ فَسَبَقَ، فَلَمَّا قَدِمَ شُجَاعٌ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَهُ بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ كِسْرَى وَتَمْزِيقِهِ لِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَزَّقَ كِسْرَى مُلْكَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৪৪
وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ «، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حُذَافَةَ بِكِتَابِهِ إِلَى كِسْرَى، فَلَمَّا قَرَأَهُ مَزَّقَهُ، فَلَمَّا بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَزَّقَ مُلْكَهُ» . وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حُمَيْدٍ، ثَنَا سَلَمَةُ، ثَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، قَالَ: وَبَعَثَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حُذَافَةَ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ سَعْدِ بْنِ سَهْمٍ إِلَى كِسْرَى بْنِ هُرْمُزَ مَلِكِ فَارِسَ وَكَتَبَ مَعَهُ: " «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى كِسْرَى عَظِيمِ فَارِسَ، سَلَامٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى، وَآمَنَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَشَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَأَدْعُوكَ بِدُعَاءِ اللَّهِ، فَإِنِّي أَنَا رَسُولُ اللَّهِ إِلَى النَّاسِ كَافَّةً، لِأُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَيًّا، وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ، فَإِنْ تُسْلِمْ تَسْلَمْ، وَإِنْ أَبَيْتَ فَإِنَّ إِثْمَ الْمَجُوسِ عَلَيْكَ» ". قَالَ: فَلَمَّا قَرَأَهُ شَقَّهُ، وَقَالَ: يَكْتُبُ إِلَيَّ بِهَذَا وَهُوَ عَبْدِي؟! قَالَ: ثُمَّ كَتَبَ كِسْرَى إِلَى بَاذَامَ، وَهُوَ نَائِبُهُ عَلَى الْيَمَنِ، أَنِ ابْعَثْ إِلَى هَذَا الرَّجُلِ بِالْحِجَازِ رَجُلَيْنِ مِنْ عِنْدِكَ جَلْدَيْنِ فَلْيَأْتِيَانِي بِهِ. فَبَعَثَ بَاذَامُ قَهْرَمَانَهُ، وَكَانَ كَاتِبًا حَاسِبًا بِكِتَابِ فَارِسَ، وَبَعَثَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৪৫

কিসরা সানৃআর শাসককে লিখেছিলেন, ওে তামার বাজে যে লোকটির আবির্ভাব হয়েছে এবৎ
আমাকে তার প্রচারিত ধর্ম গ্রহণ করার জন্যে আহ্বান জানিয়েছে ৷ তার ঘোজখবর নাও এবং

তাকে দমন করার চেষ্টা ৷কর; নচেৎ তোমার বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ত তাই ঐ
শাসনকর্তা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে লোক প্রেরণ করে ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) দুতদের লক্ষ্য করে
বলেন, “ তোমাদের যিনি প্রেরণ করেছেন তাকে সংবাদ দাও যে, গতরাত আমার রব্ব তার
মনিবকে হত্যা করেছেন ৷’ ’বা স্তরে তাই ঘটেছে বলে পরে তা র ৷ জানতে পায় ৷

ইমাম বায়হাকী আবুহুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “একদিন সা’দ
(বা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে উপস্থিত হন ৷ বাসুলুল্লাহ্ (সা) ববলন, “সা’দের কাছে নিশ্চয়ই
কোন সৎবাদ আছে ৷ সা’দ (বা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ কিসরা ধ্বংস হয়েছে ৷” বাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, কিসরার প্রতি লা নত ৷ সে পারস্যের প্রথম নিহত ব্যক্তি ৷ এরপর আরবদের পালা

আমি বলি বলা বা হল, ইয়ামানের শাসক বাযামের পক্ষ <ৰুখন্ক যে দুই ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর দরবারে এসেছিল যাদের কাছে তিনি কিসরার নিহত হওয়ার সংবাদ দিয়েছিলেন, ঐ
সংবাদটি যখন দেশ দেশান্তরে প্রচারিত হল, তখন হযরত সা’দ ইবন আবু ওক্কাস (রা)-ই প্রথম
তা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ওনান ৷ বায়হাকী (বা) এভাবেই ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন ৷

তারপর বায়হাকী (র ) আবু সালাম৷ ইবন আবদুর রহমানের বরাতে বলেন, কিসরা
যখন তার প্রাসাদে বসবাস করছিল তখন তার কাছে সত্যের বাণী বিভিন্নভাবে পৌছতে থাকে ৷
একদিন সে এক আগন্তুকের উপস্থিতিতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ৷ আগন্তুকের হাতে ছিল একটি
লাঠি ৷ কিসরাকে লক্ষ্য করে আগন্তুক বলল, “হে কিসরা ! এ লাঠি তোমার মাথায় ভাঙ্গার পুর্বে
কি তুমি ইসলাম গ্রহণ করবে ? কিসরা বললেন, হী৷ , আপনি আমার মাথায় লাঠি মারবেন না ৷
আগভৃক চলে গেলেন ৷ কিসরা দারোয়ানকে ডেকে বললেন, “ এ আগন্তুককে আমার কাছে
আমার জন্যে কে অনুমতি দিল ? তারা বলল, “আপনার কাছেতো কেউ আসেনি ৷” কিসরা
বললেন, “তোমরা মিথ্যা বলছ ৷” রাবী বলেন, “কিসরা তাদের উপর রাপাষিত হলো ৷ তাদেরকে
কঠোরভাবে ধমক দিল ৷ তারপর তাদেরকে ক্ষমা করে দিল ৷ যখন বছর শেষ হবার পথে, পুনরায়
ঐ ব্যক্তি লাঠি নিয়ে আগমন করলেন এবৎ বললেন, হে কিসরা ! তোমার মাথায় এ লাঠিভ ৷ঙ্গার
পুর্বে কি তুমি ইসলাম গ্রহণ করবে ? উত্তরে কিসরা বলল, “হ্যা, আপনি আমার মাথায় লাঠি
মারবেন না ৷ এবারও আগন্তুক চলে গেলেন ৷ কিসরা দারোয়ানদের ডেকে প্রথমবারের ন্যায় ধমক
দিল ও তাদের প্রতি অত্যন্ত রাগাম্বিত হল ৷ পরবর্তী বছর যখন আসল, তখন আগন্তুক ও লাঠি
নিয়ে পুর্বের ন্যায় আগমন করলেন এবৎ বললেন, হে কিসরা ৷ তোমার মাথায় এ লাঠি মারার
পুর্বে তুমি ইসলাম গ্রহণ করবে ? তখন কিসরা বললেন, না, লাঠি মারবেন না, না ৷লাঠি মারবেন
ন৷ ৷ কিন্তু আগন্তুকত তার মাথায় লাঠি মা রলেন ৷ এরপর আল্লাহ তা আলা ৷কিসরাকে ধ্বংস করে
দিলেন ৷

ইমাম শাফিঈ (র) আবুহুরায়রা (বা) হতে তাবর্ণন ৷করেন ৷ তিনি বললেন, বাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, বত মান কিসরা ধ্বংস হবার পর আর কো ন কিসরা হবে না এবং বর্তমান কায়সার
ধ্বংস হবার পর আর কোন কায়সার হবে না ৷ যে সভার হাতে আমার জান, তার শপথ করে


مَعَهُ رَجُلًا مِنَ الْفُرْسِ يُقَالُ لَهُ: خُرْخَرَةُ. وَكَتَبَ مَعَهُمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُهُ أَنْ يَنْصَرِفَ مَعَهُمَا إِلَى كِسْرَى، وَقَالَ لِأَبَاذَوَيْهِ: ائْتِ بِلَادَ هَذَا الرَّجُلِ وَكَلِّمْهُ وَأْتِنِي بِخَبَرِهِ. فَخَرَجَا حَتَّى قَدِمَا الطَّائِفَ، فَوَجَدَا رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ فِي أَرْضِ الطَّائِفِ، فَسَأَلُوهُ عَنْهُ فَقَالَ: هُوَ بِالْمَدِينَةِ. وَاسْتَبْشَرَ أَهْلُ الطَّائِفِ - يَعْنِي وَقُرَيْشٌ بِهِمَا - وَفَرِحُوا، وَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: أَبْشِرُوا، فَقَدْ نَصَبَ لَهُ كِسْرَى مَلِكُ الْمُلُوكِ، كُفِيتُمُ الرَّجُلَ. فَخَرَجَا حَتَّى قَدِمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَلَّمَهُ أَبَاذَوَيْهِ فَقَالَ: شَاهِنْشَاهُ مَلِكُ الْمُلُوكِ كِسْرَى، قَدْ كَتَبَ إِلَى الْمَلِكِ بَاذَامَ يَأْمُرُهُ أَنْ يَبْعَثَ إِلَيْكَ مَنْ يَأْتِيهِ بِكَ، وَقَدْ بَعَثَنِي إِلَيْكَ لِتَنْطَلِقَ مَعِي، فَإِنْ فَعَلْتَ كَتَبَ لَكَ إِلَى مَلِكِ الْمُلُوكِ يَنْفَعُكَ وَيَكُفُّهُ عَنْكَ، وَإِنْ أَبَيْتَ فَهُوَ مَنْ قَدْ عَلِمْتَ، فَهُوَ مُهْلِكُكَ وَمُهْلِكُ قَوْمِكَ وَمُخَرِّبُ بِلَادِكَ. وَدَخَلَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ حَلَقَا لِحَاهُمَا وَأَعْفَيَا شَوَارِبَهُمَا، فَكَرِهَ النَّظَرَ إِلَيْهِمَا، وَقَالَ: " «وَيْلَكُمَا! مَنْ أَمَرَكُمَا بِهَذَا؟! " قَالَا: أَمَرَنَا رَبُّنَا. يَعْنِيَانِ كِسْرَى، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَلَكِنَّ رَبِّي أَمَرَنِي بِإِعْفَاءِ لِحْيَتِي وَقَصِّ شَارِبِي ". ثُمَّ قَالَ: " ارْجِعَا حَتَّى تَأْتِيَانِي غَدًا ". قَالَ: وَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخَبَرُ مِنَ السَّمَاءِ، بِأَنَّ اللَّهَ قَدْ سَلَّطَ عَلَى كِسْرَى ابْنَهُ شِيرَوَيْهِ، فَقَتَلَهُ فِي شَهْرِ كَذَا وَكَذَا، فِي لَيْلَةِ كَذَا وَكَذَا، مِنَ اللَّيْلِ، سُلِّطَ عَلَيْهِ ابْنُهُ شِيرَوَيْهِ فَقَتَلَهُ. قَالَ: فَدَعَاهُمَا
পৃষ্ঠা - ৩৩৪৬
فَأَخْبَرَهُمَا فَقَالَا: هَلْ تَدْرِي مَا تَقُولُ؟! إِنَّا قَدْ نَقَمْنَا عَلَيْكَ مَا هُوَ أَيْسَرُ مِنْ هَذَا، فَنَكْتُبُ عَنْكَ بِهَذَا وَنُخْبِرُ الْمَلِكَ بَاذَامَ؟ قَالَ: " نَعَمْ أَخْبِرَاهُ ذَلِكَ عَنِّي، وَقُولَا لَهُ: إِنَّ دِينِي وَسُلْطَانِي سَيَبْلُغُ مَا بَلَغَ مُلْكُ كِسْرَى، وَيَنْتَهِي إِلَى مُنْتَهَى الْخُفِّ وَالْحَافِرِ، وَقُولَا لَهُ: إِنْ أَسْلَمْتَ أَعْطَيْتُكَ مَا تَحْتَ يَدَيْكَ، وَمَلَّكْتُكَ عَلَى قَوْمِكَ مِنَ الْأَبْنَاءِ ". ثُمَّ أَعْطَى خُرْخَرَةَ مِنْطَقَةً فِيهَا ذَهَبٌ وَفِضَّةٌ كَانَ أَهْدَاهَا لَهُ بَعْضُ الْمُلُوكِ، فَخَرَجَا مِنْ عِنْدِهِ حَتَّى قَدِمَا عَلَى بَاذَامَ فَأَخْبَرَاهُ الْخَبَرَ، فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا هَذَا بِكَلَامِ مَلِكٍ، وَإِنِّي لَأَرَى الرَّجُلَ نَبِيًّا كَمَا يَقُولُ، وَلَيَكُونَنَّ مَا قَدْ قَالَ، فَلَئِنْ كَانَ هَذَا حَقًّا فَإِنَّهُ نَبِيٌّ مُرْسَلٌ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فَسَنَرَى فِيهِ رَأْيَنَا. فَلَمْ يَنْشَبْ بَاذَامُ أَنْ قِدِمَ عَلَيْهِ كِتَابُ شِيرَوَيْهِ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي قَدْ قَتَلْتُ كِسْرَى، وَلَمْ أَقْتُلْهُ إِلَّا غَضَبًا لِفَارِسَ، لِمَا كَانَ اسْتَحَلَّ مِنْ قَتْلِ أَشْرَافِهِمْ وَنَحْرِهِمْ فِي ثُغُورِهِمْ، فَإِذَا جَاءَكَ كِتَابِي هَذَا فَخُذْ لِيَ الطَّاعَةَ مِمَنْ قِبَلَكَ، وَانْطَلِقْ إِلَى الرَّجُلِ الَّذِي كَانَ كِسْرَى قَدْ كَتَبَ فِيهِ، فَلَا تُهِجْهُ حَتَّى يَأْتِيَكَ أَمْرِي فِيهِ. فَلَمَّا انْتَهَى كِتَابُ شِيرَوَيْهِ إِلَى بَاذَامَ قَالَ: إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ لَرَسُولٌ. فَأَسْلَمَ وَأَسْلَمَتِ الْأَبْنَاءُ مِنْ فَارِسَ مَنْ كَانَ مِنْهُمْ بِالْيَمَنِ. قَالَ: وَقَدْ قَالَ بَاذَوَيْهِ لِبَاذَامَ: مَا كَلَّمْتُ أَحَدًا أَهْيَبَ عِنْدِي مِنْهُ. فَقَالَ لَهُ بَاذَامُ: هَلْ مَعَهُ شُرَطٌ؟ قَالَ: لَا» . قَالَ الْوَاقِدِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ: وَكَانَ قَتْلُ كِسْرَى عَلَى يَدَيِ ابْنِهِ شِيرَوَيْهِ لَيْلَةَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৪৭

বলছি, “তোমরা তাদের গুপ্তধন পরবর্তীতে আল্লাহর রাস্তায় দান করবে ৷” ১ মুসলিম (র) ও
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম শাফিঈ (র) আরো বলেন, “যখন কিসৃরার কাছ রড়াসুলুল্লাহ্
(সা ) এর পত্র উপস্থাপন করা হল , যে তা ছিড়ে ফেলে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তখন বললেন, তার
সাম্রাজ্যও এরুপ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে ৷ অন্য দিকে কায়সার রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পত্রের প্রতি সম্মান
প্ৰদশ্নি করেছিলেন, পত্রটিকে মিশৃক আম্বরের কৌটোয পুরে রেখেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তার সাম্রাজ্য টিকে থাকবে ৷

ইমাম শাফিঈ (র) ও অন্যান্য উলামায়ে কিরাম বলেন, “আরব কাফিররা যখন ব্যবসার
উদ্দেশ্যে সিরিয়া ও ইরাক অড়াসত তখন তাদের মধ্যে যারা সুযোগ <;পন্ৰুদুদ্র মুসলমান হয়ে যেত ৷
ইরাক ও সিরিয়ার মাধ্যমে আরব কাফিররা তাদের জনবলশু ৷স পাওয়ার ভীতি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্
(সা )-এর কাছে অনুযোগ করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “যখন কিসৃরা ধ্বংস হয়ে যাবে,
তারপর আর কোন কিসরা হবে না এবং যখন কায়সার ধ্বংস হয়ে যাবে তারপর আর কোন
কায়সার জন্ম নেবে না ৷” রাবী বলেন, “কালক্রমে কিসৃরাদের রাজত্ব চিরদিনের জন্যে বিলুপ্ত হয়ে
গেল ৷ আর সিরিয়া থেকে কায়সারদের রাজতৃও চিরদিনের জন্যে একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গেল ,
যদিও কিছুদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পত্রের সম্মান করায় তার দৃআর বরকতে টিকে ছিল ৷ আল্লাহ্ই
অধিক পরিজ্ঞাত ৷

এখানে একটি বড় শুভ সংবাদ এই যে, রোমান রাজত্ব আর কোন দিনও সিরিয়া ভুখণ্ডে
প্রতিষ্ঠিত হবে না ৷ যিনি (রামের উপদ্বীপটিসহ সিরিয়ার শাসনকর্তা হন তাকে আরবরা কায়সার
বলে ৷ যিনি পারস্যের শাসনকর্তা হন তাকে আরবরা কিসরা বলে ৷ যিনি হৰেশার শাসনকর্তা হন
তাকে আরবরা নাজাশী বলে ৷ যিনি আলেকজাদ্রিয়ার শাসনকর্তা হন তাকে আরবরা মুকাওকিস
বলে ৷ যিনি মিসরের শাসনকর্তা হন তাকে আরবরা ফিরআউন বলে এবং হিন্দুস্থানের যিনি
শাসনকর্তা হন তাকে আরবরা বাতলীমুস’ বলে ৷ এরুপে এগুলি ব্যতীত অন্যান্য দেশের অন্যান্য
নাম তাদের কাছে ছিল সুপরিচিত ৷ অন্যত্র এ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷

মুসলিম জাবির ইবন সামুরা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ
করেন : “মুসলমানদের একটি দল কিসৃরার শুভ্র প্রাসাদে সুরক্ষিত সুপ্ত সম্পদ অধিকার করবে ৷
অন্য একটি সনদেও জারির ইবন সামুরা হতে অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে এটাতে অতিরিক্ত
রয়েছে, জাবির ইবন সামুরা বলেন, “মুসলমানদের এ দলের মধ্যে আমার পিতা ও আমি ছিলাম
এবং আমাদের ভাগে পড়েছিল এক হাজার দিরহাম ৷

আলেকজাদ্রিয়ার শাসনকর্তা মুকাওকিস জুরায়জ ইবন মীনা আল-কিবতীর কাছে
পত্র প্রেরণ

ইউনুস ইবন বুকায়র আবদুল্লাহ ইবন আবদুল কাবীর বর্ণনায় বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
হাতির ইবন আবু বালতাআ (রা) কে আলেকজাদ্রিয়ার শাসনকর্তা মুকাওকিস এর কাছে পত্র
সহকারে প্রেরণ করেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর পত্রটিকে চুম্বন করলেন, হাতির ইবন আবু

১ এ উক্তিতে আর কোন কিসরা বা কায়সার হবে না বলতে তাদের মত এত প্রতাপশালী শাসক আর
হবে না বুঝানো হয়েছে ৷ সম্পাদকদ্বয় ৷




الثُّلَاثَاءِ، لِعَشْرِ لَيَالٍ مَضَيْنَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى مِنْ سَنَةِ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، لِسِتِّ سَاعَاتٍ مَضَتْ مِنْهَا. قُلْتُ: وَفِي شِعْرِ بَعْضِهِمْ مَا يُرْشِدُ أَنَّ قَتْلَهُ كَانَ فِي شَهْرٍ حَرَامٍ، وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ الشُّعَرَاءِ: قَتَلُوا كِسْرَى بِلَيْلٍ مُحْرِمًا ... فَتَوَلَّى لَمْ يُمَتَّعْ بِكَفَنْ وَقَالَ بَعْضُ شُعَرَاءِ الْعَرَبِ: وَكِسْرَى إِذْ تَقَاسَمُهُ بَنُوهُ ... بِأَسْيَافٍ كَمَا اقْتُسِمَ اللِّحَامُ تَمَخَّضَتِ الْمَنُونُ لَهُ بِيَوْمٍ ... أَنَى وَلِكُلِّ حَامِلَةٍ تَمَامُ وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ «، أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ فَارِسَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ رَبِّي قَدْ قَتَلَ اللَّيْلَةَ رَبَّكَ» ". قَالَ: وَقِيلَ لَهُ - يَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: إِنَّهُ قَدِ اسْتَخْلَفَ ابْنَتَهُ. فَقَالَ: " «لَا يُفْلِحُ قَوْمٌ تَمْلِكُهُمُ امْرَأَةٌ» ". قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرُوِيَ فِي حَدِيثِ دِحْيَةَ بْنِ خَلِيفَةَ، أَنَّهُ لَمَّا رَجَعَ مِنْ عِنْدِ قَيْصَرَ وَجَدَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رُسُلَ عَامِلِ كِسْرَى، وَذَلِكَ أَنَّ كِسْرَى بَعَثَ، يَتَوَعَّدُ صَاحِبَ صَنْعَاءَ، وَيَقُولُ لَهُ: أَلَا تَكْفِينِي أَمْرَ رَجُلٍ قَدْ ظَهَرَ بِأَرْضِكَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৪৮
يَدْعُونِي إِلَى دِينِهِ؟ لَتَكْفِيَنَّهُ أَوْ لَأَفْعَلَنَّ بِكَ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ، فَقَالَ لِرُسُلِهِ: " «أَخْبِرُوهُ أَنَّ رَبِّي قَدْ قَتَلَ رَبَّهُ اللَّيْلَةَ» ". فَوَجَدُوهُ كَمَا قَالَ. قَالَ: وَرَوَى دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ نَحْوَ هَذَا. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «أَقْبَلَ سَعْدٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " إِنَّ فِي وَجْهِ سَعْدٍ خَبَرًا " فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَ كِسْرَى، فَقَالَ: " لَعَنَ اللَّهُ كِسْرَى، أَوَّلُ النَّاسِ هَلَاكًا فَارِسُ ثُمَّ الْعَرَبُ» . قُلْتُ: الظَّاهِرُ أَنَّهُ لَمَّا أَخْبَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَلَاكِ كِسْرَى لِذَيْنِكَ الرَّجُلَيْنِ، يَعْنِي الْأَمِيرَيْنِ اللَّذَيْنِ قَدِمَا مِنْ نَائِبِ الْيَمَنِ بَاذَامَ، فَلَمَّا جَاءَ الْخَبَرُ بِوَفْقِ مَا أَخْبَرَ بِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَشَاعَ فِي الْبِلَادِ، وَكَانَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ أَوَّلَ مَنْ سَمِعَ، جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ بِوَفْقِ إِخْبَارِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهَكَذَا بِنَحْوِ هَذَا التَّقْدِيرِ ذَكَرَهُ الْبَيْهَقِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ كِسْرَى بَيْنَمَا هُوَ فِي دَسْكَرَةِ مُلْكِهِ بُعِثَ لَهُ - أَوْ قُيِّضَ لَهُ - عَارِضٌ يَعْرِضُ عَلَيْهِ الْحَقَّ فَلَمْ يَفْجَأْ كِسْرَى إِلَّا بِرَجُلٍ يَمْشِي وَفِي يَدِهِ عَصًا، فَقَالَ: يَا كِسْرَى، هَلْ لَكَ فِي الْإِسْلَامِ قَبْلَ أَنْ أَكْسِرَ هَذِهِ الْعَصَا؟ فَقَالَ كِسْرَى: نَعَمْ، لَا تَكْسِرْهَا، فَوَلَّى الرَّجُلُ، فَلَمَّا ذَهَبَ، أَرْسَلَ كِسْرَى إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৩৪৯

বালত৷ আ (রা) কে সম্মান করলেন, তাকে উত্তম আতিথ্য প্রদান করলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)
উত্তম উপচৌকনসহ তাকে বিদায় দিলেন ৷ হা৩ ৷তিব ইবন আবুব৷ ল্ত আ (রা) এর সাথে রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর জন্যে প্রেরিত উপচৌকন সামগ্রীর মধ্যে ছিল বস্ত্র, জীনসহ একটি খচ্চর এবং দুইজন
দাসী একজন নবী তনয় ইব্রাহীম এর আম্মা ৷ দ্বিতীয় জনকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুহাম্মাদ ইবন
কায়স আল-আবদীকে দান করেন ৷
বড়ায়হাকী হাতির ইবন আবু বাল্তাআ (রা) হব্৩ বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে আলেকজাদ্রিয়৷ ৷র শাসনকর্তা মুকাওকিসের নিকট প্রেরণ করেন ৷ আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পত্র নিয়ে তার কাছে গেলাম ৷ তিনি আমাকে ৩ার বাড়ীতে থাকতে দিলেন
এবং আমি সেখানে অবস্থান করলাম৷ তারপর তিনি আমার কাছে লোক পাঠালেন এবং তার
সভাসদবর্গকে জমায়েত হবার আদেশ দিলেন ৷ এরপর আমাকে বললেন, আ ৷৫মি তামাকে একটি
কথা জিজ্ঞেস করব ৷ আমি চাই যে,তু মি আমার কাছে এটা ৷ ব্যাখ্যা দান করবে ৷ আমি বললাম,
বলুন’ ! তিনি আমাকে বললেন, তুমি আমাকে তোমার কর্তা সম্বন্ধে বল তিনি কি একজন নবী
নন ন্’ আমি বললাম, তিনি নিশ্চয়ই আ ল্লাহর রাসুল ৷ ’ তিনি বললেন, “তা ৷র সম্প্রদ৷ য়ের কাছে তার
সম্মান নেই কেন ?৩ তারা কেন নিজেদের দেশ হতে তাকে বের করেদিল ?” তিনি বললেন, আমি
বললাম, “আপনি কি সাক্ষ্য দেনন৷ যে, ঈস৷ (আ) একজন নবী ছিলেন ?” তিনি বললেন, হ্যা ৷
আমি বললাম, “তার সম্প্রদায়ের লোকেরা তার কোন মর্যাদা দিলনা তারা তাকে পাকড়া ও করতে
চেয়েছিল ৷ তবে শুলে চড়াতে মনন্থ করেছিল; কিন্তু তাদেরকে ধ্বংস করার জন্যে ৩া৷প্লাহ
তাআলার দরবারে তিনি কোন অভিশাপ দিলেন কেন ? বরং শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তাকে
প্রথম আসমানে উঠিয়ে নিলেন ৷ তিনি আমাকে বললেন, তুমি বিজ্ঞ ব্যক্তি এবং তুমি বিজ্ঞজনের
কাছ থেকেই এসেছ ৷ এ সামান্য উপচৌকন আমি তোমার সাথে মুহাম্মাদ (না)-এর জন্য প্রেরণ
করছি ৷ আর তোমার সাথে আমার কয়েকজনসান্থীকে প্রেরণ করছি যাতে তারা তোমাকে তোমার
নিরাপদ জায়গায় পৌছিয়ে দেয় ৷ ’ রাবী বলেন, “তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে তিনটি দাসী
প্রেরণ করেছিলেন৩ ৷৩াদের মধ্যে একজন হলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ-র ছেলে ইবরাহীমেব৷ ম৩ ৷তা৷
আর একজন দা ৷সী রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাসৃসা ৷ন ইবন ছাবিত আনসা বীকে৷ দা ন করেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর কাছে একটি উত্তম খচ্চরও প্রেরণ করেছিলেন ৷
ইবন ইসহাকের বর্ণনায় চারটি দা ৷সীর উল্লেখ রয়েছে ৷৩ তাদের একজন হলেন মারিয়া (রা)
ইবরাহীমের মাতা ৷ অন্য একজন হলে সীরীন যাকে হানৃসান ইবন ছ৷ ৷বিত ( রা)-কে দান করেন
তার গর্ভে আবদুর রহমান ইবন হাসৃসান জন্ম নেন ৷
এ উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল একটি থােজ৷ দাস যার নাম ছিল মাবুর , দুটি নকশাবিহীন
কালো সোজা, একটি সাদা খচ্চর যার নাম দৃলদুল ৷ মাবুর যে থােজ৷ ছিলেন এ ব্যাপারটি কেউই
জানতন৷ ৷ তিনি হযরত মারিয়া (বা) এর ঘরে অবাধে যাতায়াত করতেন ৷ যেমনটি মিসরে এরুপ
অবাধ প্রবেশের প্রচলন ছিল ৷ এজন্য কেউ কেউ তাদের দুজন সম্বন্ধে নানারুপ কটুক্তি করতে
লাগল অথচ তারা প্রকৃত ঘটনা জা নতন৷ ৷ কেউ কেউ বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু
তালিব (রা) কে তাকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু আলী (রা) থােজ৷ দেখতে পেয়ে
তাকে ছেড়ে দিলেন ৷ সহীহ্ মুসলিমেও এ ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায় ৷




حُجَّابِهِ فَقَالَ: مَنْ أَذِنَ لِهَذَا الرَّجُلِ عَلَيَّ؟ فَقَالُوا: مَا دَخَلَ عَلَيْكَ أَحَدٌ. فَقَالَ: كَذَبْتُمْ. قَالَ: فَغَضِبَ عَلَيْهِمْ وَتَهَدَّدَهُمْ، ثُمَّ تَرَكَهُمْ. قَالَ: فَلَمَّا كَانَ رَأْسُ الْحَوْلِ، أَتَى ذَلِكَ الرَّجُلُ وَمَعَهُ الْعَصَا، قَالَ: يَا كِسْرَى، هَلْ لَكَ فِي الْإِسْلَامِ قَبْلَ أَنْ أَكْسِرَ هَذِهِ الْعَصَا؟ قَالَ: نَعَمْ، لَا تَكْسِرْهَا. فَلَمَّا انْصَرَفَ عَنْهُ دَعَا حُجَّابَهُ، قَالَ لَهُمْ كَالْمَرَّةِ الْأُولَى، فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الْمُسْتَقْبَلُ أَتَاهُ ذَلِكَ الرَّجُلُ، مَعَهُ الْعَصَا، فَقَالَ لَهُ: هَلْ لَكَ يَا كِسْرَى فِي الْإِسْلَامِ قَبْلَ أَنْ أَكْسِرَ هَذِهِ الْعَصَا؟ فَقَالَ: لَا تَكْسِرْهَا. فَكَسَرَهَا، فَأَهْلَكَ اللَّهُ كِسْرَى عِنْدَ ذَلِكَ. وَقَالَ الْإِمَامُ الشَّافِعِيُّ: أَنْبَأَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «إِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لِتُنْفَقَنَّ كُنُوزُهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» ". أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، بِهِ. قَالَ الشَّافِعِيُّ: «وَلَمَّا أُتِيَ كِسْرَى بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَزَّقَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَمَزَّقَ مُلْكُهُ» ". وَحَفِظْنَا أَنَّ قَيْصَرَ أَكْرَمَ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৩৫০
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَضَعَهُ فِي مِسْكٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثَبَتَ مُلْكُهُ» . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَغَيْرُهُ مِنَ الْعُلَمَاءِ: «وَلَمَّا كَانَتِ الْعَرَبُ تَأْتِي الشَّامَ وَالْعِرَاقَ لِلتِّجَارَةِ، فَأَسْلَمَ مَنْ أَسْلَمَ مِنْهُمْ، شَكَوْا خَوْفَهُمْ مِنْ مَلِكَيِ الْعِرَاقِ وَالشَّامِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " إِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ» قَالَ: فَبَادَ مُلْكُ الْأَكَاسِرَةِ بِالْكُلِّيَّةِ، وَزَالَ مُلْكُ قَيْصَرَ عَنِ الشَّامِ بِالْكُلِّيَّةِ، وَإِنْ ثَبَتَ لَهُمْ مُلْكٌ فِي الْجُمْلَةِ بِبَرَكَةِ دُعَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُمْ حِينَ عَظَّمُوا كِتَابَهُ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: وَفِي هَذَا بِشَارَةٌ عَظِيمَةٌ بِأَنَّ مُلْكَ الرُّومِ لَا يَعُودُ أَبَدًا إِلَى أَرْضِ الشَّامِ، وَكَانَتِ الْعَرَبُ تُسَمِّي قَيْصَرَ لِمَنْ مَلَكَ الشَّامَ مَعَ الْجَزِيرَةِ مِنَ الرُّومِ، وَكِسْرَى لِمَنْ مَلَكَ الْفُرْسَ، وَالنَّجَاشِيَّ لِمَنْ مَلَكَ الْحَبَشَةَ، وَالْمُقَوْقِسَ لِمَنْ مَلَكَ الْإِسْكَنْدَرِيَّةَ وَفِرْعَوْنَ لِمَنْ مَلَكَ مِصْرَ كَافِرًا، وَبَطْلَيْمُوسَ لِمَنْ مَلَكَ الْهِنْدَ، وَلَهُمْ أَعْلَامُ أَجْنَاسٍ غَيْرُ ذَلِكَ، وَقَدْ ذَكَرْنَاهَا فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى مُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ وَغَيْرِهِ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَتَفْتَحَنَّ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ كُنُوزَ كِسْرَى فِي الْقَصْرِ الْأَبْيَضِ» وَرَوَى أَسْبَاطٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَزَادَ: وَكُنْتُ أَنَا وَأَبِي فِيهِمْ، فَأَصَبْنَا مِنْ ذَلِكَ أَلْفَ دِرْهَمٍ.
পৃষ্ঠা - ৩৩৫১

ইবন ইসহাক বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু আমির ইবন লু’য়ীর সদস্য সালীত ইবন আমর
ইবন আ বদুদ (রা) কে ইয়ড়ামামার শাসনকর্তা হাওযা ইবন আলীর নিকট প্রেরণ করেন ৷ আর আলা
ইবন হাদরামী (রা) কে ওমানের শাসক জায়ফার ইবন আল-জালান্দি আল ইয দী এবংঅ ম্মআার ১
ইবন আল-জালা ৷ন্দি আল ইযদীর নিকট প্রেরণ করেন ৷

যাতুস সালাসিদ্বপ্ন্ব২ যুদ্ধ

হড়াফিয বাযহ কী মক্কা বিজয়ের পুর্বে এ যুদ্ধটির ঘটনা উল্লেখ করেন এবং মুসা ইবন উকবা ও
উরওয়া ইবন যুবায়র (রা) এর বরাতে তিনি বলেন যে, ত ৷রা দুইজন বলেছেন , “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সিরিয়া এলাকায় অবস্থিত বনু বালীও বনুকুযাআর বাসভুমির অন্তর্গত যাতুস সালাসিল নামক স্থানে
আমর ইবন আস (রা) কে প্রেরণ করেন ৷ উরওয়া ইবনুয যুবায়র (রা) বলেন, বনু বালী ছিল
আস ইবন ওয়ায়েলের মাতুল বংশ ৷ যখন আমর ইবন আস (রা) এর সেনাবাহিনী সেখানে
পৌছল, তখন তারা দুশমনের সং খ্যা অধিক হওয়ায় ভীত সস্ত্রস্ত হয়ে পড়েন ৷ র্তারা রাসুলুল্লাহ্

(না)-এর কাছে লোক প্রেরণ করে সাহায্য প্রার্থনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রথমদিকের
মুহাজিরগণকে যুদ্ধে যাবার জন্যে ডেকে পাঠালেন ৷ শীর্ষস্থানীয় মুহড়াজিরগণের একটি দল যার
মধ্যে আবু বকর এবং উমর (রা) ও ছিলেন, যুদ্ধে অংশ্যাহণের জন্যে সাড়া দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ্ (রা)-কে র্তাদের আমীর নিযুক্ত করলেন ৷ মুসা ইবন উকবা
বলেন, নতুন সৈন্যদল যখন আমর (রা)-এর কাছে আগমন করেন তখন তিনি বলেন, আমি
তোমাদের আমীর ৷ আমি রাসুলুল্পাহ্ (সা)এর কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠিয়েছিলাম ৷ মুহাজিরগণ
বললেন, আপনি আপনার সাথীদের আমীর ৷ আর আবুউবায়দা (বা) মুহাজিরগণের আমীর ৷ আমর
(বা) বললেন, আপনারা আমার সাহায্যকারী ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে সাহায্য চেয়ে
পাঠিয়েছিলাম ৷ আবু উবায়দা (রা) ছিলেন নম্র, ভদ্র ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী ৷ তিনি এরুপ
পরিস্থিতি ৩লক্ষা করে বললেন “হে আমর ! তুমি জেনে রেখো, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে সর্বশেষ
নিদ্যেশ বলেছেন, যখন তুমি তোমার সাথীর কাছে পৌছবে, তখন তোমরা মিংল মিশে
থাকবে ৷” এখন তুমি যদিণ্ডু আমার কথা অমান্যও কর তবু আমি তোমার কথা মেনে চলব ৷
এভাবে আবুউবায়দা (বা) আমর ইবন আস (বা) এর নেতৃত্ব মেনে নিলেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক, মুহাম্মাদ ইবন আবদুর রহমান এর বরাতে বলেন , রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমর ইবন আসকে প্রেরণ করেন যাতে তিনি আরবদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন ৷
প্রকাশ থাকে যে, আস ইবন ওয়ায়েলের মা ছিলেন বনু বালী গোত্রের ৷ এজন্যই আমর ইবন
আস (রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উক্ত গোত্রে পাঠালেন যাতে তিনি ইসলামের স্বপক্ষে তাদের মন
জয় করতে পারেন ৷ তাই আমর (বা) বনু জুযামের জলাশয় সালাসিলের নিকট পৌছলেন ৷ এ
কুয়ার নামানুসারে এ যুদ্ধের নাম যাতুস সালাসিল হয়েছে ৷ রাবী বলেন, তিনি উক্ত জায়গায় পৌছে
শত্রু সৈন্যের আধিক্যে ভীত হয়ে পড়েন ৷ তাই তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে সাহায্য প্রার্থনা



১ অন্য বর্ণনায় তার নাম আবদ বলে উল্লিখিত হয়েছে ৷
২ একে যাতুস সুলাসিলও বলা হয়ে থাকে ৷ — সম্পাদকদ্বয় ৷


[بَعْثُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمُقَوْقِسِ] ِ صَاحِبِ مَدِينَةِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ وَاسْمُهُ جُرُيْجُ بْنُ مِينَا الْقِبْطِيُّ قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ حَاطِبَ بْنَ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى الْمُقَوْقِسِ صَاحِبِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ، فَمَضَى بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِ، فَقَبِلَ الْكِتَابَ، وَأَكْرَمَ حَاطِبًا وَأَحْسَنَ نُزُلَهُ، وَسَرَّحَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَهْدَى لَهُ مَعَ حَاطِبٍ كُسْوَةً، وَبَغْلَةً بِسَرْجِهَا، وَجَارِيَتَيْنِ، إِحْدَاهُمَا أَمُّ إِبْرَاهِيمَ، وَأَمَّا الْأُخْرَى فَوَهَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ الْعَبْدِيِّ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. ثُمَّ رُوِيَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ، قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمُقَوْقِسِ مَلِكِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ. قَالَ: فَجِئْتُهُ بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنْزَلَنِي فِي مَنْزِلِهِ وَأَقَمْتُ عِنْدَهُ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَيَّ وَقَدْ جَمَعَ بِطَارِقَتَهُ، وَقَالَ: إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ كَلَامٍ، فَأُحِبُّ أَنْ تَفْهَمَ عَنِّي، قَالَ: قُلْتُ: هَلُمَّ. قَالَ: أَخْبِرْنِي عَنْ صَاحِبِكَ، أَلَيْسَ هُوَ نَبِيًّا؟ قُلْتُ: بَلَى، هُوَ رَسُولُ اللَّهِ. قَالَ: فَمَا لَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৫২

করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু উবায়দা ইবন জাররাহ্ (রা) কে শীর্ষস্থানীয় মুহাজিরগণ সহ প্রেরণ
করলেন ৷ তাদের মধ্যে আবু বকর (রা) ও উমর (রা) ও ছিলেন ৷ বিদায়কালে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আবু উবায়দা (রা) কে বলে দিয়েছিলেন তোমরা পরস্পর ম৩ বিরোধ করােন৷ ৷ এরপর আবু
উবায়দা (রা) রওয়ানা হলেন এবং যখন আমর (রা) এর কাছে পৌছলেন তখন আমর (রা)
বললেন, আপনি আমাকে সাহায্য করতে এসেছেন ৷ আবুউবায়দ৷ (রা) তাকে বললেন, না, বরং

আমি আম র সৈন্যদল নিয়ে আছি আর আপনি আপন র ৷সৈন্যদল নিয়ে আছেন ৷ আবু উবায়দা (রা)
ছিলেন নরম, সরল ও ভদ্র মেযাজের ৷ পার্থিব আধিপতেব্রর ব্যাপারটি ছিল তার কাছে গৌণ ৷
এরপর আমর (রা) তাকে বললেন, আপনি আমার সাহায্যকারী ৷ আবু উবায়দা (রা) বললেন, হে
আমর ৷ নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বলে দিয়েছেন, “ তোমরা মতবিরোধ করবে না ৷ ” তাই
আপনি আমার কথা অমান্য করলেও আমি আপনার কথা মেনে চলব ৷ আমর তখন তাকে
বললেন, “আমি আপনার আমীর ৷ আর আ৷পনি আমার সাহায্যকা৷ ৷রী ৷ আবু ট্টবায়দ৷ (রা) বললেন,
“তাহলে আপনিই নেতৃতৃ গ্রহণ করুন ৷” তারপর আমর ইবন আস মুসলমানদের নামাখে
ইমামতি ক৩রতে থাকেন ৷

ওয়াকিদী ইয়াযীদ ইবন রুমান হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নিশ্চয়ই যখন আবু
উবায়দা ৷(রা) আমর ইবন আস (রা) এর সাথে যোগ দেন তখন তাদের সৈন্য সং খ্যা দাড়িয়ে
ছিল ৫০০ তে ৷ তারা দিনরাত সফর করে বনু বালীর এলাকা ও তত্সংলপ্ন এলাকা অতিক্রম
করেছিলেন ৷ যখনই তারা কোন জায়গায় গিয়ে পৌছতেন তখনই শুনতে পেতেন যে, শত্রু
সেনারা কিছুক্ষণ আগেও এখানেই অবস্থান করছিল ৷৩ তারা মুসলিম সেনাদের উপস্থিতি আচ
করতে পেরেই পালিয়ে যেতে৷ ৷ এরুপে তারা বনু বালীর এলাকা র শেষ প্রান্তে উবৃরা ও বালর্কীন
অঞ্চলে পৌছে একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদলের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয় ৷ আর এ সংঘর্ষ কিছু সময় পর্যন্ত
চলতে থাকে ৷ তারপর কিছুক্ষণ উভয় বাহিনী তীর বিনিময় করে ৷ ঐদিন আমির ইবন রাবীয়া ভাল
হয়ে যায় ও তার একটি হাত হারান ৷ মুসলমানগণ কাফিরদের উপর হামলা করেন ও তাদেরকে
পরাজিত করেন ৷ শত্রুসেনারা পরাজিত হয়ে পলায়ন করে ও ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ৷ সেখানে যা কিছু
পাওয়া গেল আমর (রা) তা সবই দখল করে নেন ৷ সেখানে মুসলিম সৈন্যরা কিছু দিন অবস্থান
করেন ৷ যখনই কোন জায়গায় শত্রু সেনা জমায়েত হয়েছে বলে খবর আসত সেখানেই তারা
ঝটিক৷ অভিযান৷ চ ৷লাতেন ও তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিতেন ৷ তারা চতৃর্দিকেতাদের অশ্বারোহী
সৈন্যদের পাঠাতেন ৷ তারা গনীমতের পশুপাল নিয়ে আসতেন ও এগুলো যব ই করে থেতেন ৷
এর অতিরিক্ত তারা ওখানে আর কিছু লাভ করতে পারেননি ৷ বণ্টন করার মত কোন প্রকার
গনীমত পাওয়া যায়নি ৷

আবুদাউদ (র) আমর ইবন আস (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যাতুস

সালাসিল যুদ্ধে অত্যন্ত ঠাণ্ডা রাতে আমর স্বপ্নদোষ হয় ৷ যদি গোসল করি তাহলে জীবন নাশের
ভয় ছিল ৷ তাই আমি তায়াম্মুম করলাম ৷৩ তারপর আমার সাথীদেরকে নিয়ে ফজরের সালাত

আদায় করলাম ৷ আমার সঙ্গীগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত করলেন ৷ তখন

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আমর ! তুমি কি অপবিত্র অরস্থায়৩ তোমার সাথীদের নিয়ে সালাত

৬০ —

حَيْثُ كَانَ هَكَذَا، لَمْ يَدْعُ عَلَى قَوْمِهِ حَيْثُ أَخْرَجُوهُ مِنْ بَلَدِهِ إِلَى غَيْرِهَا؟ قَالَ: فَقُلْتُ: عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، أَلَيْسَ تَشَهَدُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: بَلَى. قُلْتُ: فَمَا لَهُ حَيْثُ أَخَذَهُ قَوْمُهُ، فَأَرَادُوا أَنْ يَصْلُبُوهُ، أَلَّا يَكُونَ دَعَا عَلَيْهِمْ بِأَنْ يُهْلِكَهُمُ اللَّهُ حَتَّى رَفَعَهُ اللَّهُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا؟ فَقَالَ لِي: أَنْتَ حَكِيمٌ، قَدْ جَاءَ مِنْ عِنْدِ حَكِيمٍ، هَذِهِ هَدَايَا أَبْعَثُ بِهَا مَعَكَ إِلَى مُحَمَّدٍ، وَأُرْسِلُ مَعَكَ بِبَذْرَقَةٍ يُبَذْرِقُونَكَ إِلَى مَأْمَنِكَ. قَالَ: فَأَهْدَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ جَوَارٍ، مِنْهُنَّ أُمُّ إِبْرَاهِيمَ بْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَاحِدَةٌ وَهَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي جَهْمِ بْنِ حُذَيْفَةَ الْعَدَوِيِّ، وَوَاحِدَةٌ وَهَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيِّ، وَأَرْسَلَ إِلَيْهِ بِطُرْفٍ مِنْ طُرَفِهِمْ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّهُ أَهْدَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ جَوَارٍ، إِحْدَاهُنَّ مَارِيَةُ أَمُّ إِبْرَاهِيمَ، وَالْأُخْرَى سِيرِينُ الَّتِي وَهَبَهَا لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ حَسَّانَ. قُلْتُ: وَكَانَ فِي جُمْلَةِ الْهَدِيَّةِ غُلَامٌ أَسْوَدُ خَصِيٌّ، اسْمُهُ مَأْبُورُ، وَخُفَّانِ سَاذَجَانِ أَسْوَدَانِ، وَبَغْلَةٌ بَيْضَاءُ اسْمُهَا الدُّلْدُلُ، وَكَانَ مَأْبُورُ هَذَا خَصِيًّا، وَلَمْ يَعْلَمُوا بِأَمْرِهِ بَادِيَ الْأَمْرِ، فَصَارَ يَدْخُلُ عَلَى مَارِيَةَ، كَمَا كَانَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৫৩
مِنْ عَادَاتِهِمْ بِبِلَادِ مِصْرَ، فَجَعَلَ بَعْضُ النَّاسِ يَتَكَلَّمُ فِيهِمَا بِسَبَبِ ذَلِكَ، وَلَا يَعْلَمُونَ بِحَقِيقَةِ الْحَالِ، وَأَنَّهُ خَصِيٌّ، حَتَّى قَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ الَّذِي أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ بِقَتْلِهِ، فَوَجَدَهُ خَصِيًّا فَتَرَكَهُ، وَالْحَدِيثُ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ ". قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَلِيطَ بْنَ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ وُدٍّ، أَخَا بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، إِلَى هَوْذَةَ بْنِ عَلِيٍّ صَاحِبِ الْيَمَامَةِ وَبَعَثَ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ، إِلَى الْمُنْذِرِ بْنِ سَاوَى، أَخِي بَنِي عَبْدِ الْقَيْسِ، صَاحِبِ الْبَحْرَيْنِ، وَعَمْرَو بْنَ الْعَاصِ إِلَى جَيْفَرِ بْنِ الْجُلُنْدَى وَعَمَّارِ بْنِ الْجُلُنْدَى الْأَزْدِيَّيْنِ صَاحِبَيْ عُمَانَ.