আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

سرية شجاع بن وهب الأسدي إلى نفر من هوازن

পৃষ্ঠা - ৩২৬৮

নিযুক্ত করেন ৷ আর বলেন, “যদি যায়দ (রা) শহীদ হয় তাহলে জাফর ইবন আবু তালিব (রা)
নেতৃত্ব দেবে ৷ আর যদি জাফর (বা) শহীদ হয়, তাহলে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) নেতৃত্ব
দান করবে ৷ লোকজন প্রস্তুতি নিতে লাগলেন এবং বের হবার চুড়ান্ত উদ্যোগ গ্রহণ করলেন ৷
সংখ্যায় তারা ছিলেন তাি হাজার ৷

ওয়াকিদী — হাকাম (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “নু’মান ইবন ফিনৃহাস
নামক ইয়াহ্রদী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসল এবং তার সামনে লোকজনের সাথে বসল ৷
তিনি বললেন, “যায়দ ইবন হারিছা (রা)-কে সৈন্যদলের আমীর নিযুক্ত করা হল ৷ যদি যায়দ (বা)
শহীদ হয়ে যায় তাহলে জাফর ইবন আবু তালিব (রা) আমীর হবে ৷ আর যদি জাফর (বা)
শাহাদত বরণ করে তাহলে আবল্লোহ্ ইবন রাওয়াহা (বা) আমীর হবে ৷ আর যদি আবদুল্লাহ ইবন
রাওয়াহা (রা) শাহাদত বরণ করে তাহলে মুসলমানগণ নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে একজনকে
আমীর নির্ধারণ করবে ৷” নু’মান বলে উঠল, ণ্হ আবুল কাসিম ! তুমি যদি নবী হও, তাহলে তুমি
যাদের নাম উল্লেখ করেছ, কম হোক আর বেশী হোক, তারা সকলেই শাহাদত বরণ করবে ৷
ফেপ্সনা, বনু ইসরাঈলের নবীগণ যখনই জাতির কাছে কোন কোন ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করতেন
এবং বলতেন যে, অমুক অমুক শাহাদত বরণ করবে তারা শাহাদত বরণ করতেন ৷ একশ’ জনের
ব্যাপারে এরুপ মন্তব্য করলে তাদের সকলেই শহীদ হতেন ৷ এরপর যায়দ (রা)-কে লক্ষ্য করে
ইয়াহুদী আেকটি বলল, “হে যায়দ ! জেনে রেখো মুহাম্মাদ যদি নবী হয়ে থাকেন তাহলে তুমি
কােনদিনও আর ফিরে আসবে না ৷ যায়দ (রা) বলেন, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি অবশ্যই
একজন সত্য নবী এবং পুণ্যবান ৷” এটি ৰায়হাকীর বর্ণনা ৷

ইবন ইসহাক বলেন, “যখন সৈন্যদলের রওয়ানা হবার সময় ঘনিয়ে আসল, লোকজন
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিয়োগপ্রাপ্ত আমীরদের বিদায় দিলেন ও তাদের প্ৰতি সালাম বিনিময়
করলেন ৷ অন্যান্যদের সাথে আবল্লোহ ইবন রাওয়াহা (রা) যখন বিদায় নিলেন তখন তিনি র্কাদতে
লাগলেন ৷ লোকজন তন্কে জিজ্ঞেস ক্যাল, আপনি কেন র্কাদছেন হে ইবন রাওয়াহা ? উত্তরে তিনি
বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমার কাছে দুনিয়ার কোন মমতা নেই কিৎবা তোমাদের প্রতিও আমার
কোন আকর্ষণ নেই; কিতৃ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে কিতাবুল্পাহর একটি আয়াত পড়তে শুনেছি
যার মধ্যে জাহান্নামের উল্লেখ রয়েছে ৷ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : ৷’ ,:, ষ্৷ ৷ ,’£ং , ,
অর্থাৎ “এবং তোমাদের প্রত্যেকেই এটার (আহন্ন্নৰুমেরর্চু উপর
দিয়ে অতিক্রম করবে, এটা তোমার প্রতিপালরেদ্ম অনিবার্য সিদ্ধান্ত ৷” অথচ আমি জানি না কেমন
করে আমি সেখান থেকে উঠে আসর ৷ তখন মুসলমানগণ বলেন, আল্লাহ তোমাদের মঙ্গল
করপ্স, শত্রু থেকে হিফাযত ৰ্ব্রুন্ এবং আমাদের মাঝে তােমাদেরকে আল্লাহ তাআলা নিরাপদে
ফিরিয়ে নিয়ে আসুন ! এরপর আবদুঃব্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) কবিতার হুন্দে বলেন :

শ্



[سَرِيَّةُ شُجَاعِ بْنِ وَهْبٍ الْأَسَدِيِّ إِلَى نَفَرٍ مِنْ هَوَازِنَ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شُجَاعَ بْنَ وَهْبٍ فِي أَرْبَعَةٍ وَعِشْرِينَ رَجُلًا إِلَى جَمْعٍ مِنْ هَوَازِنَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يُغِيرَ عَلَيْهِمْ، فَخَرَجَ وَكَانَ يَسِيرُ اللَّيْلَ وَيَكْمُنُ النَّهَارَ، حَتَّى صَبَّحَهُمْ غَارِّينَ، وَقَدْ أَوْعَزَ إِلَى أَصْحَابِهِ أَنْ لَا يُمْعِنُوا فِي الطَّلَبِ، فَأَصَابُوا نَعَمًا كَثِيرًا وَشَاءً، فَاسْتَاقُوا ذَلِكَ حَتَّى قَدِمُوا الْمَدِينَةَ، فَكَانَتْ سِهَامُهُمْ خَمْسَةَ عَشَرَ بَعِيرًا، كُلَّ رَجُلٍ. وَزَعَمَ غَيْرُهُ أَنَّهُمْ أَصَابُوا سَبْيًا أَيْضًا، وَأَنَّ الْأَمِيرَ اصْطَفَى مِنْهُ جَارِيَةً وَضِيئَةً، ثُمَّ قَدِمَ أَهْلُوهُمْ مُسْلِمِينَ، فَشَاوَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمِيرَهُمْ فِي رَدِّهِنَّ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: نَعَمْ. فَرَدُّوهُنَّ، وَخَيَّرَ الَّتِي عِنْدَهُ فَاخْتَارَتِ الْمُقَامَ عِنْدَهُ.
পৃষ্ঠা - ৩২৬৯
وَقَدْ تَكُونُ هَذِهِ السَّرِيَّةُ هِيَ الْمَذْكُورَةُ فِيمَا رَوَاهُ الشَّافِعِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، «عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ سَرِيَّةً قِبَلَ نَجْدٍ، فَكَانَ فِيهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قَالَ: فَأَصَبْنَا إِبِلًا كَثِيرًا، فَبَلَغَتْ سِهَامُنَا اثْنَيْ عَشَرَ بَعِيرًا، وَنَفَّلَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعِيرًا بَعِيرًا» . أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ، وَمِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، بِنَحْوِهِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً إِلَى نَجْدٍ، فَخَرَجْتُ فِيهَا، فَأَصَبْنَا نَعَمًا كَثِيرًا، فَنَفَّلَنَا أَمِيرُنَا بَعِيرًا بَعِيرًا لِكُلِّ إِنْسَانٍ، ثُمَّ قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَسَمَ بَيْنِنَا غَنِيمَتَنَا، فَأَصَابَ كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا اثْنَيْ عَشَرَ بَعِيرًا بَعْدَ الْخُمُسِ، وَمَا حَاسَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالَّذِي أَعْطَانَا صَاحِبُنَا، وَلَا عَابَ عَلَيْهِ مَا صَنَعَ، فَكَانَ لِكُلٍّ مِنَّا ثَلَاثَةَ عَشَرَ بَعِيرًا بِنَفْلِهِ» .