আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

إسلام عمرو بن العاص وخالد بن الوليد وعثمان بن طلحة

পৃষ্ঠা - ৩২৫৮

বললাম, হে বাদশা, আপনি কি এটার সত্যতা সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছেন ? তিনি বললেন, “হীা, হে
আমর আমি এটা সম্পর্কে আল্লাহর কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছি ৷ সুতরাং তুমি আমার অনুকরণ কর এবং
তার আনুগত্য স্বীকার করে নাও ৷ কেননা, আল্লাহ্র শপথ ! তিনি সত্যের উপর রয়েছেন ৷ আর
যারা তীর বিরোধিতা করছে তাদের উপর তিনি জয়লাভ করবেন ৷ যেমন মুসা (আ) ফিরআওন ও
তার সৈন্যদলের উপর জয়লাভ করেছিলেন ৷ আমি বললাম, আপনি কি আমার ইসলামের বায়আত
গ্রহণ করবেন ? তিনি বললেন, “হ্যা, এবং এ বলে তীর হ স্ত প্রসারিত করেন ৷ আর আমাকে
ইসলামের বাইয়াত গ্রহণ করান ৷ এরপর তিনি একটি চিলিমচী চেয়ে পাঠালেন এবং আমার রক্ত
ধুয়ে দিলেন ৷ আর আমাকে উত্তম জামা-কাপড় পরতে দিলেন ৷ আমার কাপড়গুলো রক্তে রঞ্জিত
হয়ে গিয়েছিল ৷ আমি সেগুলো ফেলে দিলাম ৷ এরপর আমি আমার সাথীদের কাছে ফিরে
আসলাম ৷ তারা আমার পরনে নাজ্জাশী প্রদত্ত জামাকাপড় দেখতে পেয়ে খুশী হলো এবং বললাে,
তুমি কি তোমার বন্ধুর নিকট কাত্তিক্ষত বন্তুটি হাসিল করতে পেরেছ ? উত্তরে আমি তাদেরকে
বললাম, “প্রথমবারে তীর কাছে এ ব্যাপারে কথা বলাটা ভাল মনে করিনি ৷ পুনরায় তার কাছে
যাব ৷” তারা বলল, “তুমি যা ভাল মনে করে তইি করবে ৷ এরপর আমি তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন
হয়ে পড়লাম ৷ মনে হচ্ছে যেন আমি অন্য কোন দরকাবে কােথায়ও যাচ্ছি ৷ সুতরাং আমি জাহাজ
ঘাটের দিকে অগ্নসর হলাম, লক্ষ্য করলাম একটি জাহাজ যাত্রীতে পুর্ণ হয়ে গেছে ও ছেড়ে
যাচ্ছে ৷ আমি যাত্রীদের সাথে জাহাজে উঠলাম ৷ মাল্লারা জাহাজ ছেড়ে দিল ৷ যখন তারা
দু’পাহাড়ের মধ্যবর্তী একটি অবতরণস্থলে পৌছলো তখন আমি জাহাজ থেকে অবতরণ করলাম ৷
আমার সাথে আমার পথ-খরচের অর্থরুসম্পদ ছিল ৷ আমি একটি উট খরিদ করলাম এবং মদীনায়
উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়লাম ৷ মার্কয যাহ্ৱান নামক স্থানে গিয়ে আমি পৌছলাম ৷ তারপরেও
চলতে লাগলাম ৷ যখন আল-হুদা নামক স্থানে পৌছলাম তখন দেখি দুই ব্যক্তি আমার কিছুক্ষণ
পুর্বে সেখানে পৌছেছে এবং সেখানে অবতরণের ইচ্ছা পোষণ করছে ৷ তাদের একজন তাবুর
ভিতরে প্রবেশ করেছে এবং অন্য একজন দুইটি যান বাহনকে ধরে রয়েছে ৷ এরপর আমি
তাকিয়ে দেখি খালিদ ইবন ওয়ালীদকে ৷ তীকে বললাম, “কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছ ?
সে বলল, “মুহাম্মাদের কাছে লোকজন ইসলাম গ্রহণ করে চলছে ৷ সুরুচিপুর্ণ কেউ একটা বাকী
নেই ৷ আল্লাহর শপথ ! যদি আমি নিক্রিয় থাকি তাহলে মুহাম্মাদ (সা) আমাদেরকে এমনভাবে
ধরবে, যেমন হায়েনাকে তার গুহায় আটক করা হয় ৷” আমি বললাম , আল্লাহ্র শপথ ! আমিও
মুহাম্মাদ (না)-এর উদ্দেশ্যে যেতে এবং ইসলাম গ্রহণ করতে চাই ৷ উছমান ইবন তালহা (রা)
তাবু থেকে বের হয়ে আমাকে স্বাগত জানালেন ৷ আমরা সকলেই এ মানযিলে অবতরণ ও
অবস্থান করলাম ৷ এরপর আমরা একত্রে মদীনায় আগমন করলাম ৷ মদীনায় আমরা যত লোকের
সাথে সাক্ষাত করেছি আবু উতবা এর ন্যায় আর কেউ আমাদেরকে এত উচ্চস্বরে স্বাগত
জানায়নি ৷ দেখামাত্র তিনি উচ্চস্বরে ইয়া রাবাহ ! ইয়া রাবাহ ! ইয়া রাবাহ ! স্বাগতঃ ধ্বনি বলতে
লাগলেন ৷ তীর কথায় আমরা শুভ লক্ষণ মনে করলাম এবং অত্যন্ত খুশী হলাম ৷ এরপর তিনি
আমাদের দিকে তাকালেন এবং তাকে বলতে শুনলাম ৷ তিনি বলছিলেন, “এ দুজনের ইসলাম
গ্রহণের পর নেতৃত্ব মক্কায় চলে যাচ্ছে ৷ এ দুজন দ্বারা আমাকে এবং খালিদ ইবন ওয়ালিদকে
বুঝাতে চেয়েছিলেন ৷ তখন তিনি দৌড়িয়ে মসজিদে চলে গেলেন ৷ আমি ধারণা করলাম যে,


[سَنَةُ ثَمَانٍ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ] [إِسْلَامُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَعُثْمَانَ بْنِ طَلْحَةَ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ رَبِّ يَسِّرْ وَأَعِنْ بِحَوْلِكَ وَقُوَّتِكَ سَنَةُ ثَمَانٍ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ فَصْلٌ فِي إِسْلَامِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَعُثْمَانَ بْنِ طَلْحَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَكَانَ قُدُومُهُمْ أَوَائِلَ سَنَةِ ثَمَانٍ، عَلَى مَا سَيَأْتِي قَدْ تَقَدَّمَ طَرَفٌ مِنْ ذَلِكَ، فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ مَقْتَلِ أَبِي رَافِعٍ الْيَهُودِيِّ، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ خَمْسٍ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَإِنَّمَا ذَكَرَهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ هَاهُنَا بَعْدَ عُمْرَةِ الْقَضَاءِ، فَرَوَى مِنْ طَرِيقِ الْوَاقِدِيِّ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ كُنْتُ لِلْإِسْلَامِ مُجَانِبًا
পৃষ্ঠা - ৩২৫৯
مُعَانِدًا حَضَرْتُ بَدْرًا مَعَ الْمُشْرِكِينَ فَنَجَوْتُ، ثُمَّ حَضَرْتُ أُحُدًا فَنَجَوْتُ، ثُمَّ حَضَرْتُ الْخَنْدَقَ فَنَجَوْتُ، قَالَ: فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: كَمْ أُوضِعُ! وَاللَّهِ لَيَظْهَرَنَّ مُحَمَّدٌ عَلَى قُرَيْشٍ. فَلَحِقْتُ بِمَالِي بِالْوَهْطِ، وَأَقْلَلْتُ مِنَ النَّاسِ - أَيْ مِنْ لِقَائِهِمْ - فَلَمَّا حَضَرَ الْحُدَيْبِيَةُ، وَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصُّلْحِ، وَرَجَعَتْ قُرَيْشٌ إِلَى مَكَّةَ، جَعَلْتُ أَقُولُ: يَدْخُلُ مُحَمَّدٌ قَابِلًا مَكَّةَ بِأَصْحَابِهِ، مَا مَكَّةُ بِمَنْزِلٍ وَلَا الطَّائِفُ، وَلَا شَيْءَ خَيْرٌ مِنَ الْخُرُوجِ. وَأَنَا بَعْدُ نَاءٍ عَنِ الْإِسْلَامِ، وَأَرَى لَوْ أَسْلَمَتْ قُرَيْشٌ كُلُّهَا لَمْ أُسْلِمْ، فَقَدِمْتُ مَكَّةَ وَجَمَعْتُ رِجَالًا مِنْ قَوْمِي، وَكَانُوا يَرَوْنَ رَأْيِي، وَيَسْمَعُونَ مِنِّي، وَيُقَدِّمُونَنِي فِيمَا نَابَهُمْ، فَقُلْتُ لَهُمْ: كَيْفَ أَنَا فِيكُمْ؟ قَالُوا: ذُو رَأْيِنَا وَمِدْرَهُنَا فِي يُمْنِ نَقِيبَةٍ وَبَرَكَةِ أَمْرٍ، قَالَ: قُلْتُ: تَعْلَمُونَ أَنِّي وَاللَّهِ لَأَرَى أَمْرَ مُحَمَّدٍ أَمْرًا يَعْلُو الْأُمُورَ عُلُوًّا مُنْكَرًا، وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ رَأْيًا. قَالُوا: وَمَا هُوَ؟ قُلْتُ: نَلْحَقُ بِالنَّجَاشِيِّ فَنَكُونُ مَعَهُ، فَإِنْ يَظْهَرْ مُحَمَّدٌ كُنَّا عِنْدَ النَّجَاشِيِّ، فَنَكُونُ تَحْتَ يَدِ النَّجَاشِيِّ أَحَبُّ إِلَيْنَا مِنْ أَنْ نَكُونَ تَحْتَ يَدِ مُحَمَّدٍ، وَإِنْ تَظْهَرْ قُرَيْشٌ فَنَحْنُ مَنْ قَدْ عَرَفُوا، قَالُوا: هَذَا الرَّأْيُ. قَالَ: قُلْتُ: فَاجْمَعُوا مَا نَهْدِيهِ لَهُ. وَكَانَ أَحَبَّ مَا يُهْدَى إِلَيْهِ مِنْ أَرْضِنَا الْأَدَمُ، فَجَمَعْنَا أَدَمًا كَثِيرًا، ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى قَدِمْنَا عَلَى النَّجَاشِيِّ، فَوَاللَّهِ إِنَّا
পৃষ্ঠা - ৩২৬০

সম্ভবত তিনি আমাদের আগমনের সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর কাছে জানাবার জন্যে গিয়েছেন ৷
আমি যা ধারণা করেছিলাম তাই হল ৷ আমরা হাবৃরায় অবতরণ করলাম ও আমাদের উত্তম
পোষাক পরিধান করলাম ৷ এরপর আসরের সালাতের জন্যে আমান দেওয়া হয় ৷ আমরা রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর দিকে ধীর পদে অগ্রসর হলাম ৷ তার চেহারা ছিল উজ্জ্বল ৷ যুনলমানগণ চতৃর্কিংৰু থেকে
তাকে ঘিরে রেখেছেন ৷ আমাদের ইসলাম গ্রহণে তারা অতম্ভে খুশী হলেন ৷ এরপর খালিদ ইবন
ওয়ালীদ (রা) এগিয়ে আসলেন এবং বায়আত হলেন ৷ এরপর উছমান ইবন তালহা (রা) এগিয়ে
আসবেন ৷ তিনিও বায়আত হলেন ৷ এরপর আমি অগ্রসর হলাম ৷ আল্লাহ্র শপথ ৷ আমি তার
সামনে বসার পর তার দিকে লজ্জায় তাকাতে পারছিলাম না ৷ তারপর আমি বায়আত গ্রহণ কালাম
এ শর্তে যে, আমি পুর্বে যা গুনাহ করেছি তা ক্ষমা করে দেওয়া হবে, আর যা এখন করছি তার
জন্যে আমাকে কোন জবাবদিহি করতে হবে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “ইসলাম তার পুর্বের
সব কিছু মিটিয়ে দেয় আর হিজরতও তার পুর্বের সবকিছু মিটিয়ে দেয় ৷” আল্লাহর শপথ ৷ যতদিন
থেকে আমরা মুসলমান হয়েছি আমাদের দলের কাউকে দলীয় কাজে আমার ও খালিদ ইবন
ওয়ালীদ (রা)-এর ন্যায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেশী মর্যাদা দান করেননি ৷ এ মানৃযিলে আমরা হযরত
আবু বকর (রা)-এর সান্নিধ্যে ছিলাম এবং হযরত উমর (রা)-এর নিকটবর্তী ছিলাম ৷ তবে উমর
(রা) খালিদ (রা)-এর ক্ষেত্রে মৃদু ভর্ণসনকােরীর ন্যায় ছিলেন ৷ ওয়াকিদীর ওস্তাদ আবক্যু হামীদও
আমর ইবন আন-আস (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

আল্পামা ইবন কাহীর (র) বলেন, মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকও অনুরুপভাৰে আমর ইবন
আল আস (বা) হতে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আবু রাফি নিহত হবার পর ৫ম হিজরীতে সংঘটিত
ঘটনাদিরও একটি বর্ণনা দেন ৷ তবে ওয়াকিদীর বর্ণনা বিস্তারিত ও অধিকতর প্রাণবন্ত ৷ তিনি আমর
(রা) খালিদ (রা) ও উছমান ইবন তালহা (রা)-এর আগমনের তারিখ ৮ম হিজরীর সফর মাসের ১
তারিখ বলে উল্লেখ করেছেন ৷ মুসলিম শরীফে হযরত আমর (না)-এর ইসলাম গ্রহণ, রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর সাথে সুমধুর ব্যবহার এবং মৃত্যুর অবস্থা ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতিকালের পর
কর্তব্য সম্পাদ্দাকালে ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্যে অনুশোচনা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে ৷

খালিদ ইবন ওয়ালীদ (না)-এর ইসলাম গ্রহণ

ওয়াকিদী খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আল্লাহ্
তাআলা যখন আমার প্রতি কল্যাণের ইচ্ছা করলেন, তখন আমার অতরে ইসলামের প্ৰতি
ভালবাসা ঢেলে দিলেন ও আমাকে সঠিক পথ অবলম্বনের তাওফীক দিলেন ৷ মনে মনে আমি
বলতে লাগলাম, মুহাম্মাদ (না)-এর সব ঘটনাইতে৷ অবলােকন করলাম প্রতেকটি ঘটনাতেই
তিনি সষ্ণাকাম ৷ তবে আমি কেন ভ্রান্ত পথে চলুছি ? মুহাম্মাদ (সা) অবশ্য অচিরেই জয়লাভ
করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন হুদায়ৰিয়ায় আগমন করেন তখন আমি মুশরিকদ্যেশ্ব সৈন্য ৷লােক
নিয়ে উসফানে যইি ৷ সেখানে রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও তার সাহাবীদের সাথে আমাদের সাক্ষাত হয় ৷
আমি তার মুকাবিলায় র্দাড়ালায এবং তার সামনে বীধার সৃষ্টি করলাম তখন তিনি আমাদের
সামনেই তার সাহাবীগণকে নিয়ে যুহরের সালাত আদায় করেন ৷ আমরা তখন তাদের উপর
হামলা করতে মনস্থ করলাম; কিন্তু তিনি আমাদের প্রতি হামলার আগ্রহ প্রকাশ করলেন না ৷ আর


لِعِنْدَهُ إِذْ جَاءَ عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيُّ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ بَعَثَهُ بِكِتَابٍ كَتَبَهُ، يُزَوِّجُهُ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ ثُمَّ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ، فَقُلْتُ لِأَصْحَابِي: هَذَا عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ، وَلَوْ قَدْ دَخَلْتُ عَلَى النَّجَاشِيِّ فَسَأَلْتُهُ إِيَّاهُ فَأَعْطَانِيهِ فَضَرَبْتُ عُنُقَهُ، فَإِذَا فَعَلْتُ ذَلِكَ سَرَرْتُ قُرَيْشًا، وَكُنْتُ قَدْ أَجَزَأْتُ عَنْهَا حِينَ قَتَلْتُ رَسُولَ مُحَمَّدٍ. فَدَخَلْتُ عَلَى النَّجَاشِيِّ فَسَجَدْتُ لَهُ كَمَا كُنْتُ أَصْنَعُ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِصَدِيقِي، أَهْدَيْتَ لِي مِنْ بِلَادِكِ شَيْئًا؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ أَيُّهَا الْمَلِكُ، أَهْدَيْتُ لَكَ أَدَمًا كَثِيرًا. ثُمَّ قَدَّمْتُهُ فَأَعْجَبَهُ، وَفَرَّقَ مِنْهُ شَيْئًا بَيْنَ بَطَارِقَتِهِ، وَأَمَرَ بِسَائِرِهِ فَأُدْخِلَ فِي مَوْضِعٍ، وَأَمَرَ أَنْ يُكْتَبَ وَيُحْتَفَظَ بِهِ، فَلَمَّا رَأَيْتُ طِيبَ نَفْسِهِ قُلْتُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ رَجُلًا خَرَجَ مِنْ عِنْدِكَ، وَهُوَ رَسُولُ عَدُوٍّ لَنَا قَدْ وَتَرَنَا، وَقَتَلَ أَشْرَافَنَا وَخِيَارَنَا، فَأَعْطِنِيهِ فَأَقْتُلَهُ. فَغَضِبَ مِنْ ذَلِكَ، وَرَفَعَ يَدَهُ فَضَرَبَ بِهَا أَنْفِي ضَرْبَةً ظَنَنْتُ أَنَّهُ كَسَرَهُ، فَابْتَدَرَ مَنْخَرَايَ، فَجَعَلْتُ أَتَلَقَّى الدَّمَ بِثِيَابِي، فَأَصَابَنِي مِنَ الذُّلِّ مَا لَوِ انْشَقَّتْ بِيَ الْأَرْضُ دَخَلْتُ فِيهَا، فَرَقًا مِنْهُ. ثُمَّ قُلْتُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، لَوْ ظَنَنْتُ أَنَّكَ تَكْرَهُ مَا قُلْتُ مَا سَأَلَتُكَ. قَالَ: فَاسْتَحْيَا وَقَالَ: يَا عَمْرُو، تَسْأَلُنِي أَنْ أُعْطِيَكَ رَسُولَ مَنْ يَأْتِيهِ النَّامُوسُ الْأَكْبَرُ الَّذِي كَانَ يَأْتِي مُوسَى، وَالَّذِي كَانَ يَأْتِي عِيسَى لِتَقْتُلَهُ؟! قَالَ عَمْرُو: فَغَيَّرَ اللَّهُ قَلْبِي عَمَّا كُنْتُ عَلَيْهِ، وَقُلْتُ فِي نَفْسِي: عَرَفَ هَذَا الْحَقَّ الْعَرَبُ وَالْعَجَمُ وَتُخَالِفُ أَنْتَ؟! ثُمَّ قُلْتُ: أَتَشْهَدُ أَيُّهَا الْمَلِكُ بِهَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ، أَشْهَدُ بِهِ عِنْدَ اللَّهِ يَا عَمْرُو، فَأَطِعْنِي وَاتَّبِعْهُ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُ لَعَلَى الْحَقِّ،
পৃষ্ঠা - ৩২৬১
وَلَيَظْهَرَنَّ عَلَى مَنْ خَالَفَهُ، كَمَا ظَهَرَ مُوسَى عَلَى فِرْعَوْنَ وَجُنُودِهِ. قُلْتُ: أَتُبَايِعُنِي لَهُ عَلَى الْإِسْلَامِ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَبَسَطَ يَدَهُ فَبَايَعَنِي عَلَى الْإِسْلَامِ، ثُمَّ دَعَا بِطَسْتٍ، فَغَسَلَ عَنِّي الدَّمَ وَكَسَانِي ثِيَابًا، وَكَانَتْ ثِيَابِي قَدِ امْتَلَأَتْ بِالدَّمِ فَأَلْقَيْتُهَا، ثُمَّ خَرَجْتُ عَلَى أَصْحَابِي، فَلَمَّا رَأَوْا كِسْوَةَ النَّجَاشِيِّ سُرُّوا بِذَلِكَ وَقَالُوا: هَلْ أَدْرَكْتَ مِنْ صَاحِبِكَ مَا أَرَدْتَ؟ فَقُلْتُ لَهُمْ: كَرِهْتُ أَنْ أُكَلِّمَهُ فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ، وَقُلْتُ: أَعُودُ إِلَيْهِ. فَقَالُوا: الرَّأْيُ مَا رَأَيْتَ. قَالَ: فَفَارَقْتُهُمْ وَكَأَنِّي أَعْمِدُ لِحَاجَةٍ، فَعَمَدْتُ إِلَى مَوْضِعِ السُّفُنِ، فَأَجِدُ سَفِينَةً قَدْ شُحِنَتْ تُدْفَعُ. قَالَ: فَرَكِبْتُ مَعَهُمْ وَدَفَعُوهَا، حَتَّى انْتَهَوْا إِلَى الشُّعَيْبَةِ، وَخَرَجْتُ مِنَ السَّفِينَةِ وَمَعِي نَفَقَةٌ، فَابْتَعْتُ بَعِيرًا، وَخَرَجْتُ أُرِيدَ الْمَدِينَةَ، حَتَّى مَرَرْتُ عَلَى مَرِّ الظَّهْرَانِ، ثُمَّ مَضَيْتُ، حَتَّى إِذَا كُنْتُ بِالْهَدَةِ، فَإِذَا رَجُلَانِ قَدْ سَبَقَانِي بِغَيْرِ كَثِيرٍ يُرِيدَانِ مَنْزِلًا، وَأَحَدُهُمَا دَاخِلٌ فِي الْخَيْمَةِ، وَالْآخَرُ يُمْسِكُ الرَّاحِلَتَيْنِ. قَالَ: فَنَظَرْتُ فَإِذَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ قَالَ: قُلْتُ: أَيْنَ تُرِيدُ؟ قَالَ: مُحَمَّدًا، دَخَلَ النَّاسُ فِي الْإِسْلَامِ، فَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ بِهِ طَعْمٌ، وَاللَّهِ لَوْ أَقَمْتُ لَأُخِذَ بِرِقَابِنَا كَمَا يُؤْخَذُ بِرَقَبَةِ الضَّبُعِ فِي مَغَارَتِهَا. قُلْتُ: وَأَنَا وَاللَّهِ قَدْ أَرَدْتُ مُحَمَّدًا، وَأَرَدْتُ الْإِسْلَامَ. فَخَرَجَ عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ فَرَحَّبَ بِي، فَنَزَلْنَا جَمِيعًا فِي الْمَنْزِلِ، ثُمَّ تُرَافَقْنَا حَتَّى أَتَيْنَا
পৃষ্ঠা - ৩২৬২

এটাতে ছিল মহাকল্যাণ ৷ তবে তিনি আমাদের মনোভাব আচ করতে পেরে তার সাথীবর্পকে নিয়ে
আসরের সালাত, সালাতে-খাওফ’ হিসেবে আদায় করলেন ৷ এটা আমাদের মাঝে একটা
আলোড়ন সৃষ্টি করল ৷ আমি মনে মনে বললাম ইনি তাে অত্যন্ত সুরক্ষিত মনে হচ্ছে ৷ তাই
আমরা সরে র্দহ্ড়ালাম ৷ তিনিও আমাদের সেনাবাহিনীর গতিপথ থেকে অন্য দিকে ফিরলেন ও ডান
দিকের রাস্তা ধরলেন ৷ যখন তিনি হুদায়বিয়ায় কুরায়শদের সাথে সন্ধি করলেন এবং কুরায়শরা
র্তাকে এবার চলে যেতে ও পরের বছর আগমন করতে অনুমতি দিল তখন আমি মনে মনে
বললাম, এখন আর কি বাকী থাকল ? এখন আমি কোথায় যাব ? নাজ্জাশীর কাছে ? তিনিত
মুহাম্মাদের আনুগত্য অবলম্বন করেছেন এবং মুহাম্মাদের সাহাবীপণ তীর কাছে নিরাপদে রয়েছেন ৷
তাহলে কি হিরাক্লিয়াসের কাছে চলে যাব ? তাহলেত নিজ ধর্ম পরিতা৷গ করে খৃণ্টান কিংবা
ইয়াহ্রদী হতে হবে ৷ তাহলে কি আমি অনারব দেশে বসবাস করব ? অথবা আমার দেশেই আমি
অবশিষ্ট লোকদের সাথে থেকে যাবো ? এরুপ চিন্তা ভাবনার মধ্যে আমি দিন কাটাতে লাগলাম ৷
এর মধ্যে কাযার উমরা পালনের জন্য রাসুলুল্পাহ্ (না) মক্কা প্রবেশ করলেন ৷ আমি আত্মগােপন
করলাম ৷ তীর প্রবেশ করার দৃশ্যটি আমি অবলোকন করলাম না ৷ আমার ভাই ওয়ালীদ ইবন
ওয়ালীদ রাসৃলুল্লাহ্ (সা )-এর সাথে কন্যার উমরা পালন করার জন্যে মক্কা প্রবেশ করে ৷ সে
আমার খোজ করল; কিন্তু সে আমাকে গেল না ৷ এরপর সে আমাকে একটি পত্র লিখল ৷ পত্রটি
ছিল নিম্নরুপ ? পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহ্র নামে শুরু করছি ৷ বাদ সংবাদ এই; ইসলামকে
প্রত্যাখ্যান করার তোমার অভিমত ও সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত অবাক বোধ করছি ৷ তোমার
বুদ্ধিমত্তার আশ্রয় গ্রহণ কর ৷ ইসলামের মত ব্যাপার কি কারো কাছে অবিদিত থাকতে পারে ?
তোমার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন ৷ আমাকে বলেছেন, খালিদ কোথায়
? আমি প্রতি উত্তরে বলেছি, আল্লাহ তাকে আমার তাওফীক দেবেন ৷ তিনি বলেনঃ, তার মত
লোক কি ইসলামকে উপেক্ষা করতে পারে ? নিজের শৌর্য-বীর্যের মােহ ও অহংকার ছেড়ে যদি
সে মুসলমানদের সাথে মিশে যেত তাহলে এটা তার জান্য মঙ্গলজনক হত ৷ আর আমরা তাকে
অন্যের চাইতে বেশী মর্যাদা দিতাম ৷” হে আমার ভাই ! তোমার যেসব সুযোগ সুবিধা চলে (গছে
সে সবের ক্ষতি পুষিয়ে নাও ৷”

খালিদ ইবন ওয়ালীদ (বা) বলেন, “যখন আমার ভাইয়ের পত্র আমার হ্স্তগত হন, তখন
আমি ঘর থেকে বের হবার উৎসাহ পেলাম ৷ ইসলামের প্ৰতি আমার আগ্নহ বৃদ্ধি পেল ৷ আমরা
সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রশ্ন আমাকে আরো বেশী খুশী করে ৷ আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি
যেন একটি অনুর্বর ও সংর্কীর্ণ ভুমিতে অবস্থান করছি ৷ এরপর আমি একটি বিস্তীর্ণ চির সবুজ
ভুমিতে নেমে এসেছি ৷ আমি মনে মনে বললাম, এটা একটি স্বপ্ন বটে ৷ যখন আমি মদীনায়
আসলাম, মনে করলাম যে, আমি আবু বকর (রা)-এর কাছে এ স্বপ্নের কথা উল্লেখ করব ৷ আবু
বকর (রা) বললেন, “ তোমার বিস্তীর্ণ সবুজ ভুমিতে নেমে আসার অর্থ হচ্ছে, ইসলামের সুশীতল
ছায়াতলে তোমার আশ্রয় নেয়ার জন্যে আল্লাহ্ তোমাকে পথ প্রদর্শন করেছেন ৷ আর সংকীপতার
অর্থ হচ্ছে তোমার শেরেকী ও কুফরীতে লিপ্ত থাকা ৷” খালিদ বলেন, “যখন আমি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর কাছে যাওয়ার সুদৃঢ় সিদ্ধান্ত নিলাম তখন ভাবলাম, রাসৃলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে যেতে ত্’ক


الْمَدِينَةَ، فَمَا أَنْسَى قَوْلَ رَجُلٍ لَقِينَاهُ بِبِئْرِ أَبِي عِنَبَةَ يَصِيحُ: يَا رَبَاحُ، يَا رَبَاحُ، يَا رَبَاحُ فَتَفَاءَلْنَا بِقَوْلِهِ وَسُرِرْنَا، ثُمَّ نَظَرَ إِلَيْنَا فَأَسْمَعُهُ يَقُولُ: قَدْ أَعْطَتْ مَكَّةُ الْمُقَادَةَ بَعْدَ هَذَيْنِ. فَظَنَنْتُ أَنَّهُ يَعْنِينِي وَيَعْنِي خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، وَوَلَّى مُدْبِرًا إِلَى الْمَسْجِدِ سَرِيعًا، فَظَنَنْتُ أَنَّهُ بَشَّرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُدُومِنَا، فَكَانَ كَمَا ظَنَنْتُ، وَأَنَخْنَا بِالْحَرَّةِ، فَلَبِسْنَا مِنْ صَالِحِ ثِيَابِنَا، ثُمَّ نُودِيَ بِالْعَصْرِ، فَانْطَلَقْنَا حَتَّى اطَّلَعْنَا عَلَيْهِ وَإِنَّ لِوَجْهِهِ تَهَلُّلًا، وَالْمُسْلِمُونَ حَوْلَهُ قَدْ سُرُّوا بِإِسْلَامِنَا، فَتَقَدَّمَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَبَايَعَ، ثُمَّ تَقَدَّمَ عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ فَبَايَعَ، ثُمَّ تَقَدَّمْتُ، فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ جَلَسْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَمَا اسْتَطَعْتُ أَنْ أَرْفَعَ طَرَفِي إِلَيْهِ حَيَاءً مِنْهُ. قَالَ: فَبَايَعْتُهُ عَلَى أَنْ يُغْفَرَ لِي مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِي، وَلَمْ يَحْضُرْنِي مَا تَأَخَّرَ فَقَالَ: «إِنَّ الْإِسْلَامَ يَجُبُّ مَا كَانَ قَبْلَهُ، وَالْهِجْرَةَ تَجُبُّ مَا كَانَ قَبْلَهَا» قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا عَدَلَ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِهِ فِي أَمْرٍ حَزَبَهُ مُنْذُ أَسْلَمْنَا، وَلَقَدْ كُنَّا عِنْدَ أَبِي بَكْرٍ بِتِلْكَ الْمَنْزِلَةِ، وَلَقَدْ كُنْتُ عِنْدَ عُمَرَ بِتِلْكَ الْحَالَةِ، وَكَانَ عُمَرُ عَلَى خَالِدٍ كَالْعَاتِبِ. قَالَ عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ شَيْخُ الْوَاقِدِيِّ: فَذَكَرْتُ هَذَا الْحَدِيثَ لِيَزِيدَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩২৬৩
أَبِي حَبِيبٍ، فَقَالَ: أَخْبَرَنِي رَاشِدٌ مَوْلَى حَبِيبِ بْنِ أَبِي أَوْسٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ مَوْلَاهُ حَبِيبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ نَحْوَ ذَلِكَ. قُلْتُ: كَذَلِكَ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ رَاشِدٍ، عَنْ مَوْلَاهُ حَبِيبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ مِنْ فِيهِ. فَذَكَرَ مَا تَقَدَّمَ فِي سَنَةِ خَمْسٍ بَعْدَ مَقْتَلِ أَبِي رَافِعٍ. وَسِيَاقُ الْوَاقِدِيِّ أَبْسَطُ وَأَحْسَنُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ شَيْخِهِ عَبْدِ الْحَمِيدِ: فَقُلْتُ لِيَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ: وَقَّتَ لَكَ مَتَى قَدِمَ عَمْرٌو وَخَالِدٌ؟ قَالَ: لَا، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: قَبْلَ الْفَتْحِ. قُلْتُ: فَإِنَّ أَبِي أَخْبَرَنِي أَنَّ عَمْرًا وَخَالِدًا وَعُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ قَدِمُوا لِهِلَالِ صَفَرٍ سَنَةَ ثَمَانٍ. وَسَيَأْتِي عِنْدَ وَفَاةِ عَمْرٍو مِنْ " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مَا يَشْهَدُ لِسِيَاقِ إِسْلَامِهِ، وَكَيْفِيَّةِ حُسْنِ صُحْبَتِهِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُدَّةَ حَيَاتِهِ، وَكَيْفَ مَاتَ وَهُوَ يَتَأَسَّفُ عَلَى مَا كَانَ مِنْهُ فِي مُدَّةِ مُبَاشَرَتِهِ الْإِمَارَةَ بَعْدَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَصِفَةُ مَوْتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.