আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

سرية ابن أبي العوجاء السلمي إلى بني سليم

পৃষ্ঠা - ৩২৫৬

৮শ্ম হিজরীর ঘটনাবলী
’ঞ:ট্টপ্ও১ রুৰুধ্ংপ্রু

আমর ইবনুল আস, খালিদ ইৰ্ন আলওয়ালীদ ও উছমান ইবন তাল্হার ইসলাম
গ্রহণ

ইবন ইসহাকের বরাতে পঞ্চম হিজরীর ঘটনাবলীর আলোচনায় এর ৰুসাংশিক বর্ণনা দেওয়া
হয়েছে ৷

হাফিয বায়হাকী — আমর ইবনুল আস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “আমি
ছিলাম ইসলামের প্রতি বৈরী ভাবাপন্ন ৷ মুশরিকদের পক্ষে বদবে উপ ত ছিলাম; কিন্তু সে যুদ্ধে
প্রাণে রক্ষা পেয়ে যাই ৷ এরপর উহুদে অংশ নেই এখানেও রক্ষা পেয়ে যাই ৷ এরপর খন্দকের
যুদ্ধে হাযির হই ৷ তখনও বেচে যাই ৷ মনে মনে বলতে লাগলাম, কত আর অপমানিত হব ৷
আল্লাহ্র শপথ ! মুহাম্মাদ কুরায়শদের উপর অবশ্যই বিজয় লাভ করবেন ৷ তখন আমার যা কিছু
আছে তা নিয়ে কয়েক সদস্যের একটি ক্ষুদ্র দলের সাথে মিশে গেলাম এবং লোকজনের সাথে
দেখা সাক্ষাৎ করাও কমিয়ে দিলাম ৷ যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) হুদায়বিয়া গমন করলেন ও সন্ধি করে
ফিরলেন এবং কুরায়শরাও মক্কায় প্রতাবর্তন করল, তখন আমি বলতে লাগলাম , “আগামী বছর
মুহাম্মাদ (সা) তীর সাহাবীদেরকে নিয়ে বিজয়ীর বেশে মক্কা প্রবেশ করবেন ৷ তাই মক্কা বা তারেক
কোথায়ও অবস্থানের জন্য অনুকুল থাকবে না ৷ ইসলামের জন্যে বেরিয়ে পড়াই এখন উত্তম ৷
আর আমি বুঝি ইসলাম থেকে বহু পিছনে পড়ে রয়েছি ৷ আবার মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যদি
কুরায়শরা সকলেই মুসলমান হয়ে যায় তাহলেও আমি মুসলমান হব না ৷ তাই আমি মক্কা আগমন
করলাম এবং আমার গোত্রের কিছু লোককে একত্রিত করলাম ৷ আর তারাও আমার সিদ্ধান্তে
একাত্মতা ঘোষণা করল ৷ তারা আমার অত্যন্ত অনুগত ছিল ৷ আর কোন সমস্যা দেখা দিলে তারা
আমাকেই পুরোভাগে রাখতাে ৷ একদিন তাদেরকে আমি বললাম, তোমরা আমাকে তোমাদের
মাঝে কিরুপ মনে কর ? তারা বলল, “আপনি আমাদের মাঝে বুদ্ধিমান এবং জীবন রক্ষার এবং
সাফল্য অর্জনে আপনিই আমাদের প্রধান ৷ ” তিনি বলেন, “আমি তাদেরকে বললাম , আল্লাহ্র
শপথ, মুহাম্মাদের ব্যাপারটি এখন আমাদের কাছে অতিশয় গুরুত্বপুর্ণ এবং তার ব্যাপারটি
আমাদের সমস্ত কাজ কারবারকে দারুণ প্রভাবিত করছে ৷ সুতরাং আমি তোমাদের কাছে একটি
প্রস্তাব রাখতে চাই ৷ তারা বলল, সেটা কী ? আমি বললাম, চল, আমরা নাজ্জাশীর সাথে যোগ
দেই এবং তার সাথে আমরা থাকি ৷ যদি মুহাম্মাদ বিজয় লাভ করেন, তাহলে আমরা নাজ্জাশীর
কাছে থাকর এবং নাজ্জাশীর অধীনে থাকর যা আমাদের জন্যে মুহাম্মদের অধীনে থাকার চাইতে


[سَرِيَّةُ ابْنِ أَبِي الْعَوْجَاءِ السُّلَمِيِّ إِلَى بَنِي سُلَيْمٍ] [رَدُّ زَيْنَبَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ عَلَى زَوْجِهَا أَبِي الْعَاصِ] فَصْلٌ سَرِيَّةُ ابْنِ أَبِي الْعَوْجَاءِ السُّلَمِيِّ إِلَى بَنِي سُلَيْمٍ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ هَاهُنَا سَرِيَّةَ ابْنِ أَبِي الْعَوْجَاءِ السُّلَمِيِّ إِلَى بَنِي سُلَيْمٍ، ثُمَّ سَاقَ بِسَنَدِهِ عَنِ الْوَاقِدِيِّ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: لَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عُمْرَةِ الْقَضِيَّةِ، رَجَعَ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ سَنَةِ سَبْعٍ، فَبَعَثَ ابْنَ أَبِي الْعَوْجَاءِ السُّلَمِيَّ فِي خَمْسِينَ رَجُلًا، فَخَرَجَ إِلَى بَنِي سُلَيْمٍ، وَكَانَ عَيْنُ بَنِي سُلَيْمٍ مَعَهُ، فَلَمَّا فَصَلَ مِنَ الْمَدِينَةِ، خَرَجَ الْعَيْنُ إِلَى قَوْمِهِ، فَحَذَّرَهُمْ وَأَخْبَرَهُمْ، فَجَمَعُوا جَمْعًا كَثِيرًا، وَجَاءَهُمُ ابْنُ أَبِي الْعَوْجَاءِ وَالْقَوْمُ مُعِدُّونَ، فَلَمَّا أَنْ رَآهُمْ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَأَوْا جَمْعَهُمْ، دَعَوْهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَرَشَقُوهُمْ بِالنَّبْلِ وَلَمْ يَسْمَعُوا قَوْلَهُمْ، وَقَالُوا: لَا حَاجَةَ لَنَا إِلَى مَا دَعَوْتُمْ إِلَيْهِ، فَرَمَوْهُمْ سَاعَةً، وَجَعَلَتِ الْأَمْدَادُ تَأْتِي، حَتَّى أَحْدَقُوا بِهِمْ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، فَقَاتَلَ الْقَوْمُ قِتَالًا شَدِيدًا، حَتَّى قُتِلَ عَامَّتُهُمْ، وَأُصِيبَ ابْنُ أَبِي الْعَوْجَاءِ بِجِرَاحَاتٍ كَثِيرَةٍ، فَتَحَامَلَ حَتَّى رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ بِمَنْ بَقِيَ مَعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ فِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنْ شَهْرِ صَفَرٍ سَنَةَ ثَمَانٍ.
পৃষ্ঠা - ৩২৫৭

অনেকগুণে ভাল ৷ আর যদি কুরায়শরা জয়লাভ করে, তাহলে আমরা যে তাদের সংগে আছি এটা
তো তারা জানেই ৷ তারা সমস্বরে বলল, এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ৷ আমি আবার বললাম, চল
যাওয়ার কালে নাজ্জার্শীর দরবারে আমাদের দেশ হতে কিছু উপচৌকন নিয়ে যাই ৷ আমাদের দেশ
থেকে যেসব হাদিয়া সাধারণত ঐ দেশে যায় এগুলোর মধ্যে চামড়াই হল প্রধান ও তার কাছে
অতিপ্রিয় ৷ এই সিদ্ধান্ত মৃত তাবিক আমরা বহু চা ৷মড়৷ সংগ্রহ করলাম এবং বের হয়ে পড়লাম ও
নাজ্জাশীর ওখানেগ্ গিয়ে পৌছলাম ৷ আল্লাহর শপথ, আমরা যখন তার কাছে পৌছলাম, তখন
সেখানে ছিল আমর ইবন উমাইয়া আদ দিমারী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাকে একটি পত্র সহকারে
নাজ্জাশীর নিকট প্রেরণ করেছিলেন তাতে আবু সুফিয়ান (রা) এর কন্যা উম্মে হাবীবার বিয়ের
প্রভাব ছিল ৷ তারপর তিনি নাজ্জাশীর কাছে গেলেন এবং পরে বের হয়ে আসলেন ৷ আমি আমার
সাথীদেরকে বললাম, ইনি হচ্ছেন আমর ইবন উমাইয়া আদ-দিমারী ৷ যদি আমি কিছুক্ষণ পুর্বে
নাজ্জাশীর কাছে প্রবেশ করতে পারতাম এবং তাকে বলতে পারতাম তাহলে তিনি তাকে আমার
হাতে সােপর্দ করতেন এবং আমি তাকে হত্যা করতে পারতাম ৷ যদি আমি তা করতে পারতাম ৷
তাহলে কুরায়শরা আমাদের প্রতি প্রসন্ন হত ৷ আমি তাদের থেকে বাহব৷ পেতাম এবং মুহাম্মাদের
দুতকে হত্যা করতে পারতাম ৷ এরপর আমি নাজ্জাশীর কাছে প্রবেশ করলাম এবং আমাদের প্রথা
অনুযায়ী তাকে সিজদা করলাম ৷ তিনি বললেন স্বাগতম স্বাগতম হে আমার বন্ধু ! তোমার দেশ
হতে কি কোন হাদিয়া নিয়ে এসেছ ? আমি বললাম, জী হ্যা রাজন ! আপনার জন্য অনেকগুলো
চামড়া হাদিয়া স্বরুপ নিয়ে এসেছি ৷ত তারপর এগুলো আমি তার কাছে পেশ করলাম ৷ তিনি
এগুলো খুবই পসন্দ করলেন এবং তার সভাসদদের মধ্যেও কিছুটা ভাগ করে দিলেন ৷ আর
বাকীগুলাে একটি স্থানে রাখতে বলেন এবং তালিকাভুক্ত করে সংরক্ষণের জন্যে নির্দেশ দিলেন ৷
যখন আমি তাকে পােশ মেজাষে দেখতে পেলাম তখন বললাম, রাজন ! আমি একটি লোককে
দেখতে পেলাম আপনার কাছ থেকে বের হয়ে গেল ৷ যে আমাদের শত্রুর দুত ৷ সেই শত্রু
আমাদের উপর যুলুম করেছে এবং আমাদের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে হত্যা করেছে ৷ তাই
লোকটাকে আমার হাতে তুলে দিন যাতে করে আমি তাকে হত্যা করতে পারি ৷ এ কথা শুনে
নাজ্জাশী রেগে গেলেন এবং আমার উপর হাত উঠালেন ৷ তিনি আমার নাকে এত জোরে আঘাত
করলেন যে, আমার মনে হয়েছিল যেন তা তে ঙ্গে গেছে ৷ নাক দিয়ে জোরে রক্ত পড়তে লাপল ৷
আর আমি আমার কাপড় দ্বারা তা মুছতে লাগলাম ৷ আমি এত অপমানিত বোধ করলাম যে, যদি
আমার জরু ন ভুমি বিদীর্ণ হয়ে যেত তাহলে আমি মাটির ভিতর ঢুকে পড়তাম ৷ এরপর আমি
বললাম, হে রাজন ! যদি আমি ধারণা করতে পারতাম যে, আমি যা “বলেছি তাতে আপনি ক্ষুদ্ধ
হবেন, তাহলে আমি কোনদিনও এ কথা মুখে উচ্চারণ করতাম না ৷ নাজ্জাশী তাতে একটু লজ্জিত
হলেন এবং বললেন, হে আমর ! তুমি আমার কাছে আবেদন করছ এমন লোকের দুতকে হত্যা
করার জন্যে, তোমার হাতে তুলে দেয়ার জন্যে যার কাছে নামুসে-আকবর’ আসা যাওয়া করেন ৷
যেমন৩ তিনি আসা যাওয়া করতেন হযরত মুসা (আ) এর কাছে এবং যিনি হযরত ৩ঈসা (আ) এর
কাছেও আসতেন ৷ আমর বলেন এরপর আল্লাহ তা মালা আমার অন্তরে যা কিছু ছিল তা
পরিবর্তন করে দিলেন ৷ আমি আমার নিজেকে সম্বোধন করে বলতে লাপলাম আরব ও অনারব
সকলেই যে সত্যটি উপলব্ধি করেছে তুমি তার বিরোধিতা করহু ৷ এরপর আমি বাদশাকে


[رَدُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنَتَهُ زَيْنَبَ عَلَى زَوْجِهَا أَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ] فَصْلٌ رَدُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنَتَهُ زَيْنَبَ عَلَى زَوْجِهَا قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - يَعْنِي سَنَةَ سَبْعٍ - رَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنَتَهُ زَيْنَبَ عَلَى زَوْجِهَا أَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ - وَقَدْ قَدَّمْنَا الْكَلَامَ عَلَى ذَلِكَ - وَفِيهَا قَدِمَ حَاطِبُ بْنُ أَبِي بَلْتَعَةَ مِنْ عِنْدِ الْمُقَوْقِسِ وَمَعَهُ مَارِيَةُ وَسِيرِينُ، وَقَدْ أَسْلَمَتَا فِي الطَّرِيقِ، وَغُلَامٌ خَصِيٌّ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: «وَفِيهَا اتَّخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْبَرَهُ دَرَجَتَيْنِ وَمَقْعَدَهُ. قَالَ: وَالثَّبَتُ عِنْدَنَا أَنَّهُ عُمِلَ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ» .