আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

السرية التي قتل فيها محلم بن جثامة عامر بن الأضبط

পৃষ্ঠা - ৩২২৫

প্ৰতি ৩ক্রুদ্ধ হবেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ (সা) যদি তোমাদের প্রতি লা’নত করেন তাহলে৩ তার লানতের
দরুন আল্লাহ তা আলা তোমাদের প্ৰতি লা’নত করবেন ৷ তোমরা তাকে যেমন করেই হোক
বাসুলুল্ল হ (সা) এর কাছে রক্তপণ গ্রহণ করার জন্যে নিয়ে আস; অন্যথায় বনু নতামীমের
৫০জনকে দাড় করিয়ে আমি সাক্ষ্য দিতে বলবো যে নিহত ব্যক্তিটি কাফির ছিল, সে কোন দিনও
এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করেনি ৷ কাজেই তা র হত্যার জন্যে রক্তপণ দেয়া দরকার হবেনা ৷ তার
এ কথায় তারা রক্তপণ নিতে রাযী হয় ৷

এ বংনািটি বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক হাসান রসরী (র) হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, মিহলাম যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে বললেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে বললেন, “তুমি কি তাকে নিরাপত্তা দেয়ার পরও হত্যা করেছ ০” এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার জন্যে রদ দৃ আ করলেন ৷ হ সান রসরী (র) বলেন, “আল্লাহর শপথ এরপর মিহলাম মাত্র
সাতদিন বেচে ছিলেন ৷ মৃত্যুর পর তাকে মাটি উপরে নিক্ষেপ করে দিয়েছিল ৷ এরপর মিহলামের
আত্মীয়াজন আবার তাকে দাফন করল; কিছু; এবারও তাকে মাটি উপরে নোক্ষেপ করল ৷ এরপর
তারা আবার তাকে মাটিতে দাফন করল, কিন্তু এবারও তাকে মাটি নিক্ষেপ করে দিল ৷ এরপর
তারা তার উপর কুচি পাথর দিয়ে তাকে চাপা দিল ৷ এ সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে পৌছার
পর তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ভুমি তার থেকে অধিক খারাপ লোককেও বুকে ধারণ করে রয়েছে;
কিন্তু আল্লাহ তা আলার ইচ্ছে হচ্ছে তোমাদের লোকদের বেলায় সংঘটিত ঘটনা দ্বারা
তােমাদেরকে শিক্ষা দেওয়া ৷

ইবন জ বীর ইবন উমর (বা) হতে ৩বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা)
মিহলাম ইবন জুছামাকে একটি দলের দাযিতৃ দিয়ে অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ পথিমধ্যে আমির
ইবন আল আযবাত সৈনাদলের সাথে মুলাকাত তকরেন ও ইসলামী কায়দায় সালাম দেন ৷ তবে
তাদের মধ্যে জাহিলিয়াতে র যুগে মনােমালিন্য ছিল বিধায় মিহলাম আমিরের প্রতি তীর নিক্ষেপ
করে তাকে হত্যা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে এ সংবাদ পৌছল ৷৩ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ
ব্যাপারে যীমা০ সার জন্যে উয়ায়না এবং আক্রা এর সাথে আলোচনা করেন ৷ আক্রা (বা ) বলেন,
হে আল্লাহর রাসুল ! আজকে এ ঘটনা ঘটছে, কাল আবার অন্যটা ঘটবে ৷ এরুপ চলতে
থাকবে ৷ তাই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন ৷ উয়ায়না বলে উঠলেন০ : “না, আল্লাহর শপথ, এ
ব্যাপারে কোন মীমাংসা নেই যত তক্ষণ না আমাদের রমণীরা যেরুপ কষ্ট পেয়েছে৩ তাদের রমণীরাও
তদ্রুপ কষ্ট পায় ৷ এরপর মিহলাম দুটো চাদরে নিজেকে আচ্ছাদিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
সামনে জড়সড় অবস্থায় বললেন যাতে রাসুল (সা) তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷ কিন্তু
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আল্লাহ তাআলা তোমাকে ক্ষমা না করুন ’ তখন তিনি নিজ চাদর
দিয়ে অশ্রুজল মুছতে ঘুছতে উঠো দা ড়ালেন এবং সাত দিন না যেতে তই তিনি ইনতিকাল করলেন ৷

তাকে মাটিতে দাফন করা হলে মাটি তাকে উপরের দিকে নিক্ষেপ করে ৷ মিহলামের আত্মীয়-
াজনরা রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে এসে এ সংবাদ দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, নিশ্চয়ই মাটি
তোমাদের সাথীর চেয়েও নিকৃষ্টতর লোককে বুকে ধারণ করে রয়েছে ৷ কিন্তু আল্লাহ তাআলা
তােমাদেরকে তোমাদের কারো শাস্তির মাধ্যমে উত্তম শিক্ষা প্রদান করে থাকেন ৷ এরপর তাকে


سَيْفَهُ فَجَعَلَهُ فِي عُنُقِهِ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَتَيَقَّنَنَّ أَمْرَ رَاعِينَا، وَلَقَدْ أَصَابَهُ شَرٌّ. فَقَالَ نَفَرٌ مِمَّنْ مَعَهُ: وَاللَّهِ لَا تَذْهَبُ، نَحْنُ نَكْفِيكَ. فَقَالَ: لَا يَذْهَبُ إِلَّا أَنَا. قَالُوا: فَنَحْنُ مَعَكَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا يَتْبَعُنِي مِنْكُمْ أَحَدٌ. وَخَرَجَ حَتَّى يَمُرَّ بِي، فَلَمَّا أَمْكَنَنِي نَفَحْتُهُ بِسَهْمٍ، فَوَضَعْتُهُ فِي فُؤَادِهِ، فَوَاللَّهِ مَا تَكَلَّمَ، فَوَثَبْتُ إِلَيْهِ فَاحْتَزَزْتُ رَأْسَهُ، ثُمَّ شَدَدَتُ نَاحِيَةَ الْعَسْكَرِ وَكَبَّرْتُ، وَشَدَّ صَاحِبَايَ وَكَبَّرَا، فَوَاللَّهِ مَا كَانَ إِلَّا النِّجَاءُ مِمَنْ كَانَ فِيهِ، عِنْدَكَ عِنْدَكَ، بِكُلِّ مَا قَدَرُوا عَلَيْهِ مِنْ نِسَائِهِمْ وَأَبْنَائِهِمْ وَمَا خَفَّ مَعَهُمْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ، وَاسْتَقْنَا إِبِلًا عَظِيمَةً وَغَنَمًا كَثِيرَةً، فَجِئْنَا بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجِئْتُ بِرَأْسِهِ أَحْمِلُهُ مَعِي، فَأَعْطَانِي مِنْ تِلْكَ الْإِبِلِ ثَلَاثَةَ عَشَرَ بَعِيرًا فِي صَدَاقِي، فَجَمَعْتُ إِلَيَّ أَهْلِي. [السَرِيَّةُ الَّتِي قَتَلَ فِيهَا مُحَلِّمُ بْنُ جَثَّامَةَ عَامِرَ بْنَ الْأَضْبَطِ] ِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَدْرَدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى إِضَمٍ فِي نَفَرٍ
পৃষ্ঠা - ৩২২৬
مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِنْهُمْ، أَبُو قَتَادَةَ الْحَارِثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، وَمُحَلِّمُ بْنُ جَثَّامَةَ بْنِ قَيْسٍ، فَخَرَجْنَا حَتَّى إِذَا كُنَّا بِبَطْنِ إِضَمٍ، مَرَّ بِنَا عَامِرُ بْنُ الْأَضْبَطِ الْأَشْجَعِيُّ عَلَى قَعُودٍ لَهُ، مَعَهُ مُتَيِّعٌ لَهُ، وَوَطْبٌ مِنْ لَبَنٍ، فَسَلَّمَ عَلَيْنَا بِتَحِيَّةِ الْإِسْلَامِ، فَأَمْسَكْنَا عَنْهُ، وَحَمَلَ عَلَيْهِ مُحَلِّمُ بْنُ جَثَّامَةَ فَقَتَلَهُ لِشَيْءٍ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ، وَأَخَذَ بِعِيرَهُ وَمُتَيِّعَهُ، فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرْنَاهُ الْخَبَرَ، فَنَزَلَ فِينَا الْقُرْآنُ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَى إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا تَبْتَغُونَ عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَعِنْدَ اللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٌ كَذَلِكَ كُنْتُمْ مِنْ قَبْلُ فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فَتَبَيَّنُوا إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا} [النساء: 94] (النِّسَاءِ: 94) وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَعْقُوبَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَدْرَدٍ، عَنْ أَبِيهِ فَذَكَرَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، سَمِعْتُ زِيَادَ بْنَ ضُمَيْرَةَ بْنِ سَعْدٍ الضَّمْرِيَّ يُحَدِّثُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ وَجَدِّهِ، قَالَ
পৃষ্ঠা - ৩২২৭

তারা সকলে মিলে পাহাড়ে রেখে আসে এবং তার উপরে পাথর চাপা দিয়ে দেয় ৷ এ পটভুমিতে
নিম্নবর্ণিত আয়াত টি অবতীর্ণ হয়ং ধ্া৷ ৷ ধ্া প্রু১ ট্রুন্ছুট্রু)ঠুহ্নন্ ৷ ; ৷ );০ ৷ )ন্;৷ ৷ ৷ৰুট্রুা £


ব্লুাখু ৷ ৷ ) অর্থাৎ হে মু’মিনগণ ! তৌমরা যখন আল্লাহর পথে যাত্রা করবে তখন পরীক্ষা

গ্রন্থকার বলেন বায়হান্ কী প্রমুখ সুত্রে এ ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে এবং অত্র আঘাতের শানে
নুয়ুল হিসেবে এ ঘটনাটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে; কিন্তু এগুলাের্ধ্ব ৩মিহলাম ও আমিরের নাম
উল্লিখিত হয়নি ৷

আবদুল্লাহ ইবন হুযাফ৷ আস-সাহমীর অভিযান

সহীহ্ বুখাবী ও মুসলিমে আ মাশ (র) হযরত আলী ইবন আবু৩ তালিব (বা) হতে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা এক আনসারীকে একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদলের
নেতৃতৃ দান করেন এবং সৈন্যদলের সদস্যদেরকে নির্দেশ দেন যেন তারা তার কথা শুনে ও তার
আনুগত্য করে ৷ রাবী বলেন “তিনি কোন ব্যাপারে সৈন্যদের প্ৰতি রাগাম্বিত হন এবং তাদেরকে
তার জন্যে কাঠ জমা করার নির্দেশ দেন ৷ তারা কাঠ জমা করলেন ৷ তখন তিনি তাদেরকে তাতে
আগুন ধরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন ৷ তারা তা করলেন ৷ এবার তিনি তাদেরকে বললেন,
তৈ“ামাদেরকে আমার কথা শুনার ও আনুগত্য করার জন্যে কি রাসুলুল্লাহ্ (সা) নির্দেশ দেন
ই? ” ত ৷রা বললেন, “জী, হয় ৷” তখন তিনি বললেন, “ তোমরা এ আগুনে ঝাপ দাও ” রাবী
বলেন, তখন তারা একে অন্যের দিকে তাকাতে লাগলেন এবং বললেন, আমরা আগুন থেকে
রাচার জন্যেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সুশীত তল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছি ৷ রাবী বলেন, এরই মধ্যে
নেতার রাগ পড়ে যায় এবং আগুনও নিতে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে ফিরে এসে তারা
যখন এ ঘটনাটি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অবগত করলেন, তখন তিনি বললেন, যদি তারা
তাদের নেতার কথায় এ আগুনে ঝাপ দিত তাহলে তারা কোন দিনও এ আগুন থেকে বের হতে
সক্ষম হতন৷ ৷ এ্))৷ ৷ ১ ড্রু:া৷ এ্ ৷ @ ৷ কেননা, আনুগত্য হয় শুধুমাত্র পণ্যের কাজে ৷
হযরত ইবন আব্বাস (রা) এর মাধ্যমেও সহীহ্ বুখারী এবং সহীহ্ মুসলিমে এ ঘটনাটির
উল্লেখ রয়েছে ৷

গ্রন্থকার বলেন, “এ ঘটনা টি সম্পর্কে আমার তাফসীরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷

উমরাতৃল কাযা
হুদায়বিয়৷ সন্ধির সময় বাধাপ্রাপ্ত ও স্থগিত উমরাটি সপ্তম হিজরীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আদায়
করেন ৷
এ উমরাকে উমরা ল কিসাসও বলা হয় ৷ সুহাইলী (র) এ অভিমতকে প্রাধান্য দিয়েছেন ৷
কেউ কেউ উমরাতু ল কাযিয়্যা নামেও এ উমরাকে অভিহিত করেছেন ৷ আল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ

করেনং পু)০ঢু০০ব্লু াঢু০ ) ন্৷ ৷ ) অর্থাৎ সমস্ত পবিত্র বিষয় যার অবমাননা নিষিদ্ধ তার জন্যে
কিসাস ৷ কেননা, কোন বন্তুর পবিত্রতা উভয় পক্ষের সমভাবে রক্ষণীয় ৷ (২-বাকারাং : ১৯৪) ৷


- وَكَانَا شَهِدَا حُنَيْنًا - قَالَ:» فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الظُّهْرِ، فَقَامَ إِلَى ظِلِّ شَجَرَةٍ، فَقَعَدَ فِيهِ، فَقَامَ إِلَيْهِ عُيَيْنَةُ بْنُ بَدْرٍ يَطْلُبُ بِدَمِ عَامِرِ بْنِ الْأَضْبَطِ الْأَشْجَعِيِّ، وَهُوَ سَيِّدُ قَيْسٍ، وَجَاءَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ يَرُدُّ عَنْ مُحَلِّمِ بْنِ جَثَّامَةٍ وَهُوَ سَيِّدُ خِنْدِفٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْمِ عَامِرٍ: " هَلْ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِنَّا الْآنَ خَمْسِينَ بَعِيرًا وَخَمْسِينَ إِذَا رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ؟ " فَقَالَ عُيَيْنَةُ بْنُ بَدْرٍ وَاللَّهِ لَا أَدَعُهُ حَتَّى أُذِيقَ نِسَاءَهُ مِنَ الْحُزْنِ مِثْلَ مَا أَذَاقَ نِسَائِي. فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي لَيْثٍ يُقَالُ لَهُ: ابْنُ مُكَيْتِلٍ. وَهُوَ قَصْدٌ مِنَ الرِّجَالِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا أَجِدُ لِهَذَا الْقَتِيلِ مَثَلًا فِي غُرَّةِ الْإِسْلَامِ إِلَّا كَغَنَمٍ وَرَدَتْ فَرُمِيَتْ أُولَاهَا فَنَفَرَتْ أُخْرَاهَا، اسْنُنِ الْيَوْمَ وَغَيِّرْ غَدًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَلْ لَكَمَ أَنْ تَأْخُذُوا خَمْسِينَ بَعِيرًا الْآنَ وَخَمْسِينَ إِذَا رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ؟ " فَلَمْ يَزَلْ بِهِمْ حَتَّى رَضُوا بِالدِّيَةِ، فَقَالَ قَوْمُ مُحَلِّمِ بْنِ جَثَّامَةَ: ائْتُوا بِهِ حَتَّى يَسْتَغْفِرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَجَاءَ رَجُلٌ طُوَالٌ ضَرْبَ اللَّحْمِ، فِي حُلَّةٍ قَدْ تَهَيَّأَ فِيهَا لِلْقَتْلِ، فَقَامَ بَيْنَ يَدَيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ لَا تَغْفِرْ لِمُحَلِّمٍ ". قَالَهَا ثَلَاثًا، فَقَامَ وَإِنَّهُ لَيَتَلَقَّى دُمُوعَهُ بِطَرَفٍ ثَوْبِهِ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: زَعَمَ قَوْمُهُ
পৃষ্ঠা - ৩২২৮
أَنَّهُ اسْتَغْفَرَ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ الْأَحْمَرِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ضُمَيْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ وَعَمِّهِ، فَذَكَرَ بَعْضَهُ. وَالصَّوَابُ كَمَا رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدِ بْنِ ضُمَيْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ وَجَدِّهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدِ بْنِ ضُمَيْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ وَجَدَهُ، بِنَحْوِهِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ أَنَّهُ قَالَ: لَمْ يَقْبَلُوا الدِّيَةَ حَتَّى قَامَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ فَخَلَا بِهِمْ وَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قَيْسٍ، سَأَلَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَتِيلًا تَتْرُكُونَهُ لِيُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ النَّاسِ فَمَنَعْتُمُوهُ إِيَّاهُ، أَفَأَمِنْتُمْ أَنْ يَغْضَبَ عَلَيْكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَغْضَبَ اللَّهُ لِغَضَبِهِ، أَوْ يَلْعَنَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَلْعَنَكُمُ اللَّهُ بِلَعْنَتِهِ لَكُمْ، وَاللَّهِ لَتُسْلِمُنَّهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ لَآتِيَنَّ بِخَمْسِينَ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ كُلُّهُمْ يَشْهَدُونَ أَنَّ الْقَتِيلَ كَافِرٌ مَا صَلَّى قَطُّ، فَلَأَطُلَّنَّ دَمَهُ. فَلَمَّا قَالَ ذَلِكَ لَهُمْ، أَخَذُوا الدِّيَةَ. وَهَذَا مُنْقَطِعٌ مُعْضَلٌ.
পৃষ্ঠা - ৩২২৯

তৃতীয় নাম < ;এ ৷ ;;ৰু;,; মীমাংসার উমরা ৷ কেননা, হুদায়বিয়ার সন্ধিতে মীমাংসা করা
হয়েছিল যে, এ বছর ঘুসলমানগণ উমরা না করেই মদীনায় ফিরে যাবেন এবং পরের বছর তারা
উমরা পালনের উদ্দেশ্যে কােষবদ্ধ অস্ত্র সহকারে মক্কা প্রবেশ করতে পারবেন ৷ আর তারা তিন
দিনের বেশি মক্কায় অবস্থান করতে পারবেন না ৷ এই উমরা- এর কথা : ৮নং সুরা
আল ফা৩ ৷তিহ এর ২৭তম আয়াত ৷ আল্লাহ তড়াআ লা ইরশাদ করেনং হ্;াট্রু;:) ই;া৷ ! ৰুর্মু;ট্রুণ্১ ৰু;ব্লুট্রুা
ট্রুছুঠুপ্রুটুটু ৰুদ্ভু শ্ট্রু!ঙ্ ৷ল্গুৰু;৷ ৷
অর্থাৎ নিশ্চয়ই আল্লাহ তার রাসুলের স্বপ্ন বা ৷স্তবায়িত ৩করেছেন, আল্লাহর ইচ্ছার তোমরা অবশ্যই
মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে কেউ কেউ মস্তক মুণ্ডিত করবে, কেউ কেউ কেশ
কর্তন করবে ৷ তোমাদের কোন ভয় থাকবে না ৷ আল্লাহ জানেন বা তোমরা জাননা ৷ এছাড়াও
তিনিণ্ আমাদেরকে দিয়েছেন এক সদ্য বিজয় অর্থাৎ খায়বারের বিজয় ৷

প্রন্থকার (র) বলেন, “আমা ৷রত তাফসীরে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি” ৷

উমর (রা ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলেছিলেন, আপনি কি আমাদেরকে বলেননি যে, আমরা
কাবা ঘরে আগমন করব এবং তার তওয়াফ করব ? রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন “হ্যা, তবে আমি
কি তোমাকে বলেছিলাম যে এ বছরই তুমি আগমন করবে এবং৩ তার তওয়াফ করবে ? উমর
(রা) বললেন, ত্মী না’ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, নিশ্চয়ই তুমি পরবর্তী বছর এখানে আগমন
করবে এবং তার তওয়াফ করবে ৷ আর এ কথাটিই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়হাে
(রা) এর কবিতায় এবং উপরেক্তে আয়াতে ৷ কাযার ওমরাহ পালনের দিন যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মক্কায় প্রবেশ করছিলেন তখন তিনি৩ ড়ার সামনে নিম্ন বর্ণিত কবিতাটি আবৃত্তি করেন :

# এে
অর্থাৎ হে কড়াফিরের গোষ্ঠি, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রাস্তা থেকে সরে পড় ৷ আজকে আমরা
তেড়ামাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যে যেমন আমরা
তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি তীর উপর অবতীর্ণ বাণীকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে ৷ কাযার ওমরাহ
ছিল রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর দেখা স্বপ্নের বাস্তবায়ন ৷ আর এ বাস্তবায়ন ছিল ভোরের আলোর ন্যায়
স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট ৷
ইবন ইসহাক বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন খায়বার হতে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন তখন
তথায় রবিউল আউয়াল, রবিউছ ছানী , জুমাদাল উলা , জুমাদাল উখরা , রজব , শাবান , রমযান ও
শাওয়াল মাস পর্যন্ত অবস্থান করেন ৷ এ ক্যয়ক মাসে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সৈন্যদল

প্রেরণ করেন ৷ এরপর যুলকাদা মাসে তিনি গত বছরের একই মাসে মক্কার কাফিরগণ কর্তৃক
বাধাপ্রাপ্ত উমরা আদায় করার জ্যন্য ঘর থেকে বের হলেন ৷ ইবন হিশড়াম বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)


وَقَدْ رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ، عَمَّنْ لَا يَتَّهِمُ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، «أَنَّ مُحَلِّمًا لَمَّا جَلَسَ بَيْنَ يَدَيْهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، قَالَ لَهُ: " أَمَّنْتَهُ بِاللَّهِ ثُمَّ قَتَلْتَهُ؟! " ثُمَّ دَعَا عَلَيْهِ. قَالَ الْحَسَنُ: فَوَاللَّهِ مَا مَكَثَ مُحَلِّمٌ إِلَّا سَبْعًا حَتَّى مَاتَ، فَلَفَظَتْهُ الْأَرْضُ، ثُمَّ دَفَنُوهُ، فَلَفَظَتْهُ الْأَرْضُ، ثُمَّ دَفَنُوهُ، فَلَفَظَتْهُ الْأَرْضُ، فَرَضَمُوا عَلَيْهِ مِنَ الْحِجَارَةِ حَتَّى وَارَوْهُ، فَبَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " إِنَّ الْأَرْضَ لَتَطَّابَقُ عَلَى مَنْ هُوَ شَرٌّ مِنْهُ، وَلَكِنَّ اللَّهَ أَرَادَ أَنْ يَعِظَكُمْ فِي حُرْمِ مَا بَيْنَكُمْ بِمَا أَرَاكُمْ مِنْهُ» . وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُحَلِّمَ بْنَ جَثَّامَةَ مَبْعَثًا، فَلَقِيَهُمْ عَامِرُ بْنُ الْأَضْبَطِ فَحَيَّاهُمْ بِتَحِيَّةِ الْإِسْلَامِ - وَكَانَتْ بَيْنَهُمْ حِنَةٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ - فَرَمَاهُ مُحَلِّمٌ بِسَهْمٍ فَقَتَلَهُ، فَجَاءَ الْخَبَرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَكَلَّمَ فِيهِ عُيَيْنَةُ وَالْأَقْرَعُ، فَقَالَ الْأَقْرَعُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، سُنَّ الْيَوْمَ وَغَيِّرْ غَدًا. فَقَالَ عُيَيْنَةُ: لَا وَاللَّهِ حَتَّى تَذُوقَ نِسَاؤُهُ مِنَ الثُّكْلِ مَا ذَاقَ نِسَائِي. فَجَاءَ مُحَلِّمٌ فِي بُرْدَيْنِ، فَجَلَسَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَسْتَغْفِرَ لَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا غَفَرَ اللَّهُ لَكَ ".
পৃষ্ঠা - ৩২৩০
فَقَامَ وَهُوَ يَتَلَقَّى دُمُوعَهُ بِبُرْدَيْهِ، فَمَا مَضَتْ لَهُ سَابِعَةٌ حَتَّى مَاتَ، فَدَفَنُوهُ فَلَفَظَتْهُ الْأَرْضُ، فَجَاءُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: " إِنَّ الْأَرْضَ تَقْبَلُ مَنْ هُوَ شَرٌّ مِنْ صَاحِبِكُمْ، وَلَكِنَّ اللَّهَ أَرَادَ أَنْ يَعِظَكُمْ مِنْ حُرْمَتِكُمْ ". ثُمَّ طَرَحُوهُ بَيْنَ صَدَفَيْ جَبَلٍ، فَأَلْقَوْا عَلَيْهِ مِنَ الْحِجَارَةِ، وَنَزَلَتْ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا} [النساء: 94] الْآيَةَ» وَقَدْ ذَكَرَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَرَوَاهُ شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ نَحْوَ هَذِهِ الْقِصَّةِ، إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يُسَمِّ مُحَلِّمَ بْنَ جَثَّامَةَ، وَلَا عَامِرَ بْنَ الْأَضْبَطِ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ بِنَحْوِ هَذِهِ الْقِصَّةِ، وَقَالَ: وَفِيهِ نَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا} [النساء: 94] الْآيَةَ. قُلْتُ: وَقَدْ تَكَلَّمْنَا فِي سَبَبِ نُزُولِ هَذِهِ الْآيَةِ وَمَعْنَاهَا فِي " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ الْكِفَايَةُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.