আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

سرية أبي حدرد إلى الغابة

পৃষ্ঠা - ৩২২৩

দিলে ইহজীবনের সম্পদের আকাৎখায় তাকে বলবেনা, তুমি মু মিন নও কারণ, তা ৷ল্লাহ্র নিকট
অনায়াসলভ্য সম্পদ প্রচুর রয়েছে ৷ তােমরাও পুর্বে এরুপই ছিলে, এরপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি
অনুগ্রহ করেছেন ৷ সুতরাং তোমরা যাচাই করে নেবে ৷ তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে

সবিশেষ অবহিত ৷” ( : নিসাং , ৯৪)

ইমা ৷ম আহমদ (র) ও আবু হ দব দ (বা) হতে ৩এরুপ রংনাি করেন ৷

ইবন ইসহাক ষুবায়র (রা) ও তার পিতা আওয়াম (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তারা
উভয়ে হুনায়ন যুদ্ধে যোগদান করেন এবং বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন যুহরের স ৷লাত আদায়
করেন ৷ এরপর তিনি একটি গাছের ছায়ায় গিয়ে বলেন ৷ তখন উয়ায়না ইবন বদর, রাসুলুল্লাহ্
(সা )-এর কাছে এসে নিহত আমির ইবন আল-আযরাত আল আশজ৷ ৷ঈ এর রক্তপণ দাবী করে
কেননা, সে ছিল আমিরের মুনির ৷ তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) রলেন, “তোমরা কি এখন ৫০টি উট
গ্রহণ করতে এবং মদীনায় প্রত্যাব৩ নের পর বাকী ৫ :টি উট্রি গ্রহণ করতে রাযী আছ ?” উয়ায়না
ইবন বদর বলেন, “আল্লাহর শপথ, আমি তার সাথে কোন আপোস করব না ৷ যতক্ষণ না তার
রমণীরা ঐরুপ কষ্ট ভোগ করবে যেরুপ আমাদের রমণীরা কষ্ট ভোগ করেছে ৷ বনু লায়ছের এক
ব্যক্তি যাকে ইবন মুকায়াতিল বলা হয়, আবার সে আকারেও খাট ছিল ৷ সে বলতে লাগল, “হে
আল্লাহর রাসুল ! ইসলামের ছত্রছায়ায় প্রতারণার ক্ষেত্রে তাদের উপমা দেয়৷ চলে এমন কতগুলো
বকরীর সাথে যেগুলো পানি পান করতে এসে এদের অ্যাভাগে যেগুলো রয়েছে এরা পানি পান
করে আর পশ্চাতেরগুলে৷ পালিয়ে যায় ৷ অর্থাৎ তাদের মধ্যে কোন প্রকার একত৷ কিৎবা সহয়োগি
তার মনোভাব নেই ৷ আজকে এক প্রকার ঘটনা ঘটায়, পরদিন আবার অন্যরুপ ঘটনা ঘটাবে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “ তোমরা কি এখন ৫ :টি উট গ্রহণ করতে এবং মদীনায় প্রত্যাবর্তনের
পর বাকী ৫ :টি উট গ্রহণ করতে রাযী আছ ? এরুপ অনেকবার অনৃরোধের পর যে তা গ্রহণ
করতে রাযী হল ৷ মিহলাম ইবন জুছামার লোকজন বলতে লাগল, “চল, আমরা মিহলামকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে নিয়ে যাই ৷ যাতে তিনি তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা ৷করেন ৷ রাবী বলেন,
একজন দীর্ঘকায়, সুস্বাস্থ্যবান এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত চাদর পরিহিত ব্যক্তি এসে রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সামনে দীড়াল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন , “হে আল্লাহ ! মিহলামকে মাফ করবেন
না “এ কথাটি তিনি তিনবার বলেন ৷ লোকটি দাড়িয়ে রইল এবং কাপড় দিয়ে অশ্রু যুছতে ছিল ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, “মিহলামের লোকেরা মনে করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
পরবর্তীতে তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ৷ উপরোক্ত বর্ণনার ন্যায় আবু দাউদ ও ইবন মাজা
বিভিন্ন সনদে এ ঘটনাটি বর্ণনা করেন ৷

ইবন ইসহাক, আবু নয়র সালিম হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমিরের
লোকজন রক্তপণ কবুল করেন নাই যতক্ষণ পর্যন্ত না আকরা ইবন হাবিস (বা) তাদের সাথে
একাম্ভে আলোচনা করেন ৷ আকর৷ (বা) বলেন, “(হ কায়সের বং ×শধরগণ ! রাসুলুল্লাহ (সা)
তোমাদের মধ্যে মীমাং সার খাতিরে তে ৷মাদেরকে বলেছেন, একটি নিহত ব্যক্তির হত্যার জন্যে
রক্তপণ গ্রহণ করতে, আর তোমার তার কথা অমান্য করছ ৷ তোমরা কি চিন্তা করে দেখছ যে,
যদি রাসুলুল্লাহ্ (সা)তে তামাদের প্রতি ৩ক্রুদ্ধ হন, তাহলে তার ক্রোধের কারণে আল্লাহ তোমাদের


النُّفَيْلِيُّ - فَذَهَبْنَا سِرَاعًا حَتَّى أَسْنَدْنَا بِهَا فِي الْمَسْلَكِ، ثُمَّ حَدِرْنَا عَنْهُ حَتَّى أَعْجَزْنَا الْقَوْمَ بِمَا فِي أَيْدِينَا. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، فَقَالَ فِي رِوَايَتِهِ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ غَالِبٍ. وَالصَّوَابُ غَالِبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ هَذِهِ الْقِصَّةَ بِإِسْنَادٍ آخَرَ، وَقَالَ فِيهِ: وَكَانَ مَعَهُ مِنَ الصَّحَابَةِ مِائَةٌ وَثَلَاثُونَ رَجُلًا. ثُمَّ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْوَاقِدِيِّ سَرِيَّةَ بَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ أَيْضًا إِلَى نَاحِيَةِ خَيْبَرَ، فَلَقُوا جَمْعًا مِنَ الْعَرَبِ، وَغَنِمُوا نَعَمًا كَثِيرًا، وَكَانَ بَعْثُهُ فِي هَذِهِ السَّرِيَّةِ بِإِشَارَةِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَكَانَ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثَلَاثُمِائَةِ رَجُلٍ، وَدَلِيلُهُ حُسَيْلُ بْنُ نُوَيْرَةَ، وَهُوَ الَّذِي كَانَ دَلِيلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ. [سَرِيَّةُ أَبِي حَدْرَدٍ إِلَى الْغَابَةِ] قَالَ يُونُسُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ: كَانَ مِنْ حَدِيثِ قِصَّةِ أَبِي حَدْرَدٍ
পৃষ্ঠা - ৩২২৪
وَغَزْوَتِهِ إِلَى الْغَابَةِ مَا حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي حَدْرَدٍ قَالَ: تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنْ قَوْمِي فَأَصْدَقْتُهَا مِائَتَيْ دِرْهَمٍ. قَالَ: فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْتَعِينُهُ عَلَى نِكَاحِي فَقَالَ: " كَمْ أَصْدَقْتَ؟ " فَقُلْتُ: مِائَتَيْ دِرْهَمٍ. فَقَالَ: " سُبْحَانَ اللَّهِ! وَاللَّهِ لَوْ كُنْتُمْ تَأْخُذُونَهَا مِنْ وَادٍ مَا زَادَ، وَاللَّهِ مَا عِنْدِي مَا أُعِينُكَ بِهِ ". فَلَبِثْتُ أَيَّامًا، ثُمَّ أَقْبَلَ رَجُلٌ مِنْ جُشَمَ بْنِ مُعَاوِيَةَ يُقَالُ لَهُ: رِفَاعَةُ بْنُ قَيْسٍ، أَوْ قَيْسُ بْنُ رِفَاعَةَ. فِي بَطْنٍ عَظِيمٍ مِنْ جُشَمَ، حَتَّى نَزَلَ بِقَوْمِهِ وَمَنْ مَعَهُ بِالْغَابَةِ، يُرِيدُ أَنْ يَجْمَعَ قَيْسًا عَلَى مُحَارَبَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ ذَا اسْمٍ وَشَرَفٍ فِي جُشَمَ. قَالَ: فَدَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجُلَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ: " اخْرُجُوا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ حَتَّى تَأْتُوا مِنْهُ بِخَبَرٍ وَعِلْمٍ ". وَقَدَّمَ لَنَا شَارِفًا عَجْفَاءَ، فَحَمَلَ عَلَيْهِ أَحَدُنَا، فَوَاللَّهِ مَا قَامَتْ بِهِ ضَعْفًا، حَتَّى دَعَمَهَا الرِّجَالُ مِنْ خَلْفِهَا بِأَيْدِيهِمْ، حَتَّى اسْتَقَلَّتْ وَمَا كَادَتْ، وَقَالَ: " تَبَلَّغُوا عَلَى هَذِهِ " فَخَرَجْنَا وَمَعَنَا سِلَاحُنَا مِنَ النَّبْلِ وَالسُّيُوفِ، حَتَّى إِذَا جِئْنَا قَرِيبًا مِنَ الْحَاضِرِ مَعَ غُرُوبِ الشَّمْسِ، فَكَمَنْتُ فِي نَاحِيَةٍ، وَأَمَرْتُ صَاحِبَيَّ فَكَمَنَا فِي نَاحِيَةٍ أُخْرَى مِنْ حَاضِرِ الْقَوْمِ، وَقُلْتُ لَهُمَا: إِذَا سَمِعْتُمَانِي قَدْ كَبَّرْتُ وَشَدَدْتُ فِي الْعَسْكَرِ فَكَبِّرَا وَشُدَّا مَعِي. فَوَاللَّهِ إِنَّا لَكَذَلِكَ نَنْتَظِرُ أَنْ نَرَى غِرَّةً أَوْ نَرَى شَيْئًا، وَقَدْ غَشِيَنَا اللَّيْلُ حَتَّى ذَهَبَتَ فَحْمَةُ الْعِشَاءِ، وَقَدْ كَانَ لَهُمْ رَاعٍ قَدْ سَرَّحَ فِي ذَلِكَ الْبَلَدِ، فَأَبْطَأَ عَلَيْهِمْ وَتَخَوَّفُوا عَلَيْهِ، فَقَامَ صَاحِبُهُمْ رِفَاعَةُ بْنُ قَيْسٍ، فَأَخَذَ