আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

سرية أخرى مع بشير بن سعد

سرية أخرى مع بشير بن سعد

سرية أخرى مع بشير بن سعد

পৃষ্ঠা - ৩২১৯

তখন সে বলল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ৷ত তার পরেও আমি তাকে হত্যা করলাম ৷ যখন আমরা
মদীনায় পৌছলাম এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে এ সম্বন্ধে অবগত করলাম,ত তিনি বললেন, হ
উসামা! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলার পরও তুমি কেন তাভ্রু হতা৷ করলে ? আমি বললাম, হে
আল্লাহর রাসুল ! সে প্রাণ র্বাচাবার জন্যে এ কালিমা পড়েছে ৷ তিনি বললেন, লা-ইলাহ৷ বলার
পরও তুমি যে তাকে হত্যা করলে তারপর তোমাকে কে রক্ষা করবে ? রাসুলুল্লাহ্ (স ) বার বার
এ কথাটি উচ্চ৷ ৷রণ করতে লাগলেন ৷ আমার মনে হচ্ছিল যে, এত তদিন মুসলমান না হয়ে আজকে
আমার মুসলমান হওয়াট৷ ভ ৷ল ছিল ৷ তাহলে আমিও তাকে হত্যা করতাম না ৷ এরপর আমি
বললাম, আমি আল্লাহর ক৷ ছে অঙ্গীকার করছি যে, যে ব্যক্তি লাইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্’ উচ্চারণ করবে
আমি কখনও এরুপ লোককে হত্যা করব না ৷ তিনি বললেন, আমার পরেও হে উসাম৷ ? আমি
বললাম, “জী হা৷, আপনার পরেও ৷”

ইমাম আহমদ (র) উসামা ইবন যাযদ (রা) এর বরাতে বণ্নি৷ করেন ৷ তিনি বলেন,
জুহায়ন৷ সম্প্রদায়ের আল-হুরুকাত গোত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে রাসৃলুল্লাহ্ (সা)
আমাদেরকে প্রেরণ করলেন ৷ আমরা শত্রুর ওখানে ভোর বেলায় পৌছলাম ৷ তাদের মধ্যে এমন
এক ব্যক্তি ছিল সে যখন দলের অগ্রগামী থাকত তখন যে আমাদের দিকে সকলের চেয়ে বেশী
দ্রুত অগ্রসর হতো আর যখন তারা পশ্চাদপসণন করত তখন সে পিছনে থেকে তাদেরকে
হিফ৷ ৷জত করত ৷ তাই এক আনসারী ভাই ও আমি তার উপর হামলা চালালাম ৷ তখন সে বলল,
লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ম৷ বুদ নেই ৷ আনস৷ ৷বী তাকে হত্যা করা
থেকে বিরত রইলেন; কিন্তু আমি তাকে হত্যা করলাম ৷ আমরা মদীনায় পৌছলাম তখন এ
সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে পৌছল ৷ তিনি বললেন “হে উসাম৷ ! তুমি কি তাকে লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার পরও হত্যা করেছ ?” আমি বললাম, “জী হব্রা, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ সে তো
কেবল হত্যা থেকে বীচার জ্যন্যই লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্ উচ্চারণ করেছিল ৷ তারপরও রাসুলুল্লাহ্
(সা) তাকে বললেন, তুমি কি তাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলার পর হত্যা করেছ ?” এরুপে তিনি
বারবার বাক্যটি বলতে খাকলেন ৷ এতে আমি মনে করতে লাপলাম যে , যদি আগে মুসলমান
না হয়ে ঐ দিনই মুসলমান হতাম তাহলে কতই না ভাল হত ৷

ইমাম বুখ৷ ৷রী এবং মুসলিমও অনুরুপ হাদীছ বংনাি করেছেন ৷

ইবন ইসহাক জুনদৃব ইবন মাকিস আল-জুহানী হতে বংনি৷ করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) পালিব ইবন আবদুল্লাহ আল-কালবী (রা) কে কাদীদে অবস্থানরত বনুমালুহ এর
বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে প্রেরণ করেন এবং তাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ পরিচালনার জন্যে
আদেশ দেন ৷ আর আমি এ ক্ষুদ্র সৈন্যদলের একজন সদস্য ছিলাম ৷ আমরা রওয়ান৷ হলাম এবং
যখন আমরা কাদীদে পৌছলাম তখন হারিছ ইবন মালিক ইবন আল-বায়সা আল-লাইহীব সাথে
সাক্ষাত করলাম ৷ আমরা তাকে গ্রেফতার করলাম ৷ সে বলল, আমি মুসলমান হওয়ার জন্যে
এসেছি ৷ পালিব ইবন আবদুল্লাহ্ (রা)ত তাকে বললেন, যদি তুমি মুসলমান হওয়ার জন্যেই এসে
থাক ত ৷হলে এটাতে ওে তামার কোন ক্ষতি নেই যে, আমরা৫ তোমাকে একদিন একরাত পর্যরেক্ষাণ
রাখব ৷ আর যদি অন্য কোন উদ্দেশ্যে এসে থাক সে ব্যাপারে আমাদেরকে তোমার সম্পর্কে
সুনিশ্চিত হতে হবে ৷ রাবী বলেন, পালিব (রা) তাকে বেধে ওখানে রেখে দিলেন এবং কয়েকজন


وَاقْتَحَمَ يُسَيْرٌ وَفِي يَدِهِ مِخْرَشٌ مِنْ شَوْحَطٍ، فَضَرَبَ بِهِ وَجْهَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، فَشَجَّهُ شَجَّةً مَأْمُومَةً، وَانْكَفَأَ كُلُّ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى رَدِيفِهِ فَقَتَلَهُ، غَيْرَ رَجُلٍ وَاحِدٍ مِنَ الْيَهُودِ أَعْجَزَهُمْ شَدًّا، وَلَمْ يُصَبْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَحَدٌ، وَبَصَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَجَّةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، فَلَمْ تَقِحْ وَلَمْ تُؤْذِهِ حَتَّى مَاتَ. [سَرِيَّةٌ أُخْرَى مَعَ بَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ] رَوَى مِنْ طَرِيقِ الْوَاقِدِيِّ بِإِسْنَادِهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَشِيرَ بْنَ سَعْدٍ فِي ثَلَاثِينَ رَاكِبًا إِلَى بَنِي مُرَّةَ فِي أَرْضِ فَدَكَ، فَاسْتَاقَ نَعَمَهُمْ، فَقَاتَلُوهُ وَقَتَلُوا عَامَّةَ مَنْ مَعَهُ، وَصَبَرَ هُوَ يَوْمَئِذٍ صَبْرًا عَظِيمًا، وَقَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ لَجَأَ إِلَى فَدَكَ، فَبَاتَ بِهَا عِنْدَ رَجُلٍ مِنَ الْيَهُودِ، ثُمَّ كَرَّ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَالِبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ كِبَارِ الصَّحَابَةِ، فَذَكَرَ مِنْهُمْ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، وَأَبَا مَسْعُودٍ الْبَدْرِيَّ، وَكَعْبَ بْنَ عُجْرَةَ، ثُمَّ ذَكَرَ مَقْتَلَ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ لِمِرْدَاسِ بْنِ نَهِيكٍ حَلِيفِ بَنِي مُرَّةَ، وَقَوْلُهُ حِينَ عَلَاهُ بِالسَّيْفِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَأَنَّ الصَّحَابَةَ لَامُوهُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৩২২০

হাবশী লোককে তার সাথে রেখে গেলেন ও তাকে পাহার৷ (করার জন্যে বললেন আর যদি কোন
প্রকার খিয়ানত করে তাহলে তার গর্দান উড়িয়ে দেরারও অনুমতি দিলেন ৷ রাবী বলেন “আমরা
বাতনে কাদীদ’ নামক স্থানে আসরের পর পৌছলাম ৷ সেখানে অভিযান চালাবার জন্যে আমার
সাথীর৷ আমাকে একটি টিলায় পৌছ৷ ৷র লক্ষে৷ প্রেরণ করেন ৷ আমিও টিলায় উঠা ৷র ইচ্ছা পোষণ
করি যাতে করে আমি কারা পানি নিয়ে আসে তা প্রত্যক্ষ করতে পারি ৷ টিলায় উঠে মুখ নিচের
দিকে দিয়ে তথায় আমি শুয়ে পড়লাম ৷ তখন ছিল সুর্যাস্তলগ্ন ৷ শত্রুপক্ষের একজন লোক ঘর
থেকে বের হয়ে আসল এবং আমাকে টিলায় উপর নিচের দিকে মুখ করে ণ্ডইয়ে থ ৷কতে দেখল;
কিন্তু মানুষ বলে সে নিশ্চিত হতে পারলােনা ৷ তাই সেত ৷৩র শ্রীকে বলল, “আমি ঐ টিলায় উপর
যেন একটি মানুষের ছায়া দেখতে পাচ্ছি যা দিনের প্রথম ভাগে দেখি নাই ন্ লক্ষ্য কর কোন
কুকুরত নয় যা তোমার হাড়ি পাত্র থেকে কিছু থেয়ে নিয়েছে” মহিলাটি খোজ নিল এবং বলল,
“না আমার কোন জিনিস হারানো যায়নি বা কোন কিছু কোন প্রাণী থেয়ে নিয়েছে বলেও মনে হচ্ছে
না ৷ লোকটি তার স্তীকে একটি ধনুক ও কোষ হতে ৩দৃইটি তীর প্রদান করার জন্যে নির্দেশ দিল ৷
মহিলা তার হাতে দুইটি তীর তুলে দিল ৷ সে আমার পাজর লক্ষ্য করে একটি তীর নিক্ষেপ
করল, কিৎব৷ রাবী বলেন সে আমার কপাল লক্ষ্য করে একটি তীর নিক্ষেপ করল ৷ আমি তীরটি
আমার শরীর থেকে বের করে নিলাম এবং পাশে রেখে দিলাম ৷ আর কোন প্রকার নড়াচড়া
করলাম না ৷ এরপর সে আমার দিকে দ্বিতীয় তীরটি নিক্ষেপ করল এবং তা আমার বাহুতে বিদ্ধ
হল ৷ আমি এটাও খুলে নিলাম এবং পাশে রেখে দিলাম: কিন্তু কোন নড়াচড়া করলাম না ৷ সে
তার ত্রীকে বলল, আমার দুই দুইটি তীরই তাকে আঘাত করেছে ৷ যদি কোন সন্দেহের বস্তু হত
তাহলে অবশ্যই যে নড়াচড়া করত ৷ যখন ভোর হবে তখন তুমি আমার তীরগুলাে খোজ করে
আনবে ৷ কুকুরের জন্যে আমরা এগুলো অযথ৷ ফেলে রাখব না ৷ গালিব (বা) বলেন, “(
আমাকে প্রচুর সময় দিল ৷ এমনকি যখন তাদের হৈচৈ থেমে গেল তারা দৃধপান করল, মদ পান
করল, নীরব হয়ে পড়ল এবং রাতের একাং ×শ কেটে (পল ৷ তখন আমরা তাদের উপর আক্রমণ
চালালাম ৷ তাদেরকে হত্যা করলাম, তাদের পশুপালকে হাকিয়ে নিয়ে আসতে লাগলাম এবং
আমরা এগুলো নিয়ে ফেরত আমার জন্যে রওয়ান৷ হলাম ৷ এমন সময় বিষয়টি জানাজানি হয়ে
গেলে তাদের সম্প্রদায়ের বাকী লোকজন আমাদের দিকে ছুটে আসল ৷ রাবী বলেন আমরা অতি
দ্রুত দৌড়াতে লাগলাম ৷ হারিছ ইবন মালিক ইবন আল-বারসা ও তার সাথীর স ৷ক্ষাত পেলাম ৷
তাকে আমাদের সাথে নিয়ে নিলাম ৷ লোকজনের হৈচৈ আমাদের কা নে পৌছতে লাগল ৷ তারা
এত অধিক সংখ্যায় আসছিল যে, তাদের মুকাবিল৷ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না ৷ যখন
তাদের মধ্যেও আমাদের মধ্যে শুধুমাত্র কাদীদের উপত্যকা ৷র দুরৎ বিরাজমান ছিল ৷ তখন আল্লাহ

তাআল৷ পানির ঢল প্রেরণ করলেন ৷ বর্তমানে কি×বা অতীতে তও কোন প্রকার বৃষ্টির অস্তিত্ব দেখা
যায়নি ৷ পানির এ ঢলের জন্যে কেউ আর সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারল না ৷ আমরা
তাদেরকে থ’ হয়ে র্দ৷ ড়িয়ে থাকতে দেখতে পেলাম ৷ আর তারাও আমাদেরকে দণ্ডায়মান অবস্থায়
দেখতে পেল ৷ তারা ৷শুধু আমাদের দিকে৩ ৷কিয়ে ছিল ৷ সামনে তাঃাসর হওয়া কারো পক্ষে সম্ভব
ছিল না ৷ শত্রু পক্ষের জন্তু আনোয়ার ও অন্যান্য সম্পদসহ অনাপথে দ্রুত রাস্তার দিকে আমরা
অগ্রসর হলাম ৷ শত্রুকে পিছনে ফেলে আমরা দ্রুত গতিতে মদীনায় চলে আসলাম ৷


ذَلِكَ حَتَّى سُقِطَ فِي يَدِهِ وَنَدِمَ عَلَى مَا فَعَلَ. وَقَدْ ذَكَرَ هَذِهِ الْقِصَّةَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ شَيْخٍ مِنْ بَنِي سَلَمَةَ، عَنْ رِجَالٍ مِنْ قَوْمِهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ غَالِبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْكَلْبِيَّ إِلَى أَرْضِ بَنِي مُرَّةَ، فَأَصَابَ مِرْدَاسَ بْنَ نَهِيكٍ حَلِيفًا لَهُمْ مِنَ الْحُرَقَةِ، قَالَ: فَقَتَلَهُ أُسَامَةُ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أُسَامَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أُسَامَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: «أَدْرَكْتُهُ أَنَا وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ - يَعْنِي مِرْدَاسَ بْنَ نَهِيكٍ - فَلَمَّا شَهَرْنَا عَلَيْهِ السِّلَاحَ قَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. فَلَمْ نَنْزِعْ عَنْهُ حَتَّى قَتَلْنَاهُ، فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرْنَاهُ، فَقَالَ: " يَا أُسَامَةُ، مَنْ لَكَ بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟ " فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا قَالَهَا تَعَوُّذًا مِنَ الْقَتْلِ. قَالَ: " فَمَنْ لَكَ يَا أُسَامَةُ بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟ " فَوَالَّذِي بَعَثَهُ بِالْحَقِّ مَا زَالَ يُرَدِّدُهَا عَلَيَّ حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنَّ مَا مَضَى مِنْ إِسْلَامِي لَمْ يَكُنْ، وَأَنِّي أَسْلَمْتُ يَوْمَئِذٍ وَلَمْ أَقْتُلْهُ. فَقُلْتُ: إِنِّي أُعْطِي اللَّهَ عَهْدًا أَنْ لَا أَقْتُلُ رَجُلًا يَقُولُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَبَدًا. فَقَالَ: " بَعْدِي يَا أُسَامَةُ ". فَقُلْتُ: بَعَدَكَ» . قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ، أَنْبَأَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانِ قَالَ: سَمِعْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ يُحَدِّثُ قَالَ: «بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْحُرَقَةِ مِنْ جُهَيْنَةَ. قَالَ: فَصَبَّحْنَاهُمْ، وَكَانَ مِنْهُمْ رَجُلٌ إِذَا أَقْبَلَ الْقَوْمُ كَانَ مِنْ أَشَدِّهِمْ
পৃষ্ঠা - ৩২২১

আবু দাউদ (র) গালিব ইবন আবদুঃাড়াহ্কে আবদুল্লাহ ইবন পালিব বলে, বর্ণনা করেছেন তবে
শুদ্ধ হল পালিব ইবন আবদুল্লাহ (রা) ৷ ওয়াকিদী অন্য সনদেও এ হাদীছটি বপ্টা৷ করেছেন ৷ তিনি
তাতে পালিব ইবন আবদুল্লাহর সাথে ত্রিশজন সাহাবী থাকার কথা উল্লেখ করেছেন ৷

বায়হার্কী (র) ওয়াকিদীর বরাতে বাশীর ইবন সাদের অভিযানের বর্ণনা দিয়েছেন ৷ এ
সৈন্যদলটি খায়বার সংলগ্ন এলাকায় প্রেরণ করা হয়েছিল ৷ এ ক্ষুদ্রদলের সদস্যগণ আরবের
একদল শত্রুর মৃকাবিলা করেন এবং প্রচুর গনীমত লাভ করেন ৷ রাসলুল্লাহ্ (সা) আবু বকর (রা)
ও উমর (রা) এর পরামর্শ অনুযায়ী বাশীর ইবন স৷ দ (রা) এর নেতৃত্বে তিনশত লোকের একটি
বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ হুসাইল ইবন নাবীর৷ (রা) ছিলেন তাদের পথ প্রদর্শক ৷ ওয়াকিদী বলেন,
“তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ও খায়বারে পথ প্রদর্শক ছিলেন ৷

আবু হড়াদরড়াদ (না)-এর অভিযান

ইউনুস (র) আবুহাদরাদ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ ৷হ্ণ্ননি বলেন, “আমার সম্প্রদায়ের
একটি মহিলাকে আমি বিয়ে করলাম, তার মহর স্থির হয় দুইশ’ দিরহাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্
(স৷ ) এর কাছে এসে আমার বিয়ের জন্যে সাহায্য প্রার্থনা করলাম ৷ তিনি বললেন, মোহরানা
কত দিচ্ছ ? আমি বললাম, “দৃইশত দিরহাম ৷ রাসুলুল্লা হ্ (সা) বললেন, সুবাহানাল্লাহ, আল্লাহর
শপথ যদি তুমি তোমার কো ন উপত কো থেকেও এ মহর নিতে পারতে তাহলেওভো তুমি তার
থেকে বেশী মােহরান৷ দিতে পা ৷রতে না ৷ আল্লাহর শপথ, বর্তমানে আমার কাছে এমন সম্পদ নেই
যে তোমাকে আমি সাহায্য করতে পারি ৷ আবুহাদরাদ (রা) বলেন, “আমি কয়েকদিন অপেক্ষা
করলাম ৷ এরপর জিশাম ইবন মুআবিয়া নামী এক বড় গোত্রের এক ব্যক্তি, যার নাম ছিল
রিফ৷ আ ইবন কায়স অথবা কায়স ইবন রিফ৷ আ ও তার সাথীর৷ তার সম্প্রদায়ের জনপােষ্ঠিকে
নিয়ে মাঠে নেমে সমাবেশ করে এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে প্রস্তুতি ৩নেয় ৷
জিশাম গোত্রে সে ছিল অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তি ও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ৷ আবু হাদরাদ (বা ) বলেন,
“আ আল্লাহ্র রাসুল (সা) আমাকে ও আরো দুইজন মুসলমান ভাইকে ডাকলেন এবং নির্দেশ দিলেন,

তোমরা এ লোকটির খোজে যাও, তার সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আস ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাদেরকে একটি দুর্বল উন্থী দিলেন ৷ এটার উপরে আমাদের একজন সওয়ার হল ৷ দৃর্বলতার
কারণে যে তাকে নিয়ে হ টণ্ডে পারছিল না ৷ লোকজন তাকে পেছন থেকে হাত ৩দিয়ে ধাক্কা
দিচ্ছিল ৷ পরে সে চলতে লাগল ৷ বাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “এটার উপর চড়ে তোমরা গম্ভব্য
স্থলে পৌছবে ৷ আবু হাদরাদ (রা) বলেন, “আমরা বের হয়ে পড়লাম ৷ আমাদের সাথে ছিল
আমাদের হাতিয়ার, তীর, বর্শা ও৩ তলোয়ার ৷ সুর্যাস্তের সময় আমরা উক্ত সমাবেশের নিকট
পৌছলাম এবং একপার্শে ওৎপেতে রইলাম ৷ আমার অন্য দুই সাথীকে সমাবেশের অন্য দিকে
ওৎপাতার জন্যে নির্দেশ দিলাম ৷ আমি তাদেরকে বললাম , যখন তোমরা আমাকে তাকবীর বলতে
শুনবে ও আক্রমণ করতে দেখবে তখন তোমরা তাকবীর বলবে ও আমার সাথে সাথে আক্রমণ
করবে ৷ আল্লাহর শপথ, আমরা যে কোন প্রকার সুযোগ পাবার জন্যে এরুপে অপেক্ষা করছিলাম ৷
রাত নামার পরও আমরা অপেক্ষা করছিলাম এমনকি এশার অন্ধকার কিছুটা ঘনীভুত হতে লাগল ৷
তাদের ছিল একটি রাখাল ৷ সে কোন কাজে শহরে গিয়েছিল ; কিন্তু ফিরে আসতে দেরী করছিল ৷

৫০ —

عَلَيْنَا، وَإِذَا أَدْبَرُوا كَانَ حَامِيَتَهُمْ. قَالَ: فَغَشَيْتُهُ أَنَا وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَلَمَّا تُغَشَّيْنَاهُ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. فَكَفَّ عَنْهُ الْأَنْصَارِيُّ وَقَتَلْتُهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " يَا أُسَامَةُ، أَقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟ " قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا كَانَ مُتَعَوِّذًا مِنَ الْقَتْلِ. قَالَ: فَكَرَّرَهَا عَلَيَّ حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ أَسْلَمْتُ إِلَّا يَوْمَئِذٍ» وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ هُشَيْمٍ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عُتْبَةَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْجُهَنِيِّ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ مَكِيثٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَالِبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْكَلْبِيَّ، كَلْبَ لَيْثٍ، إِلَى بَنِي الْمُلَوِّحِ بِالْكَدِيدِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يُغِيرَ عَلَيْهِمْ،» وَكُنْتُ فِي سَرِيَّتِهِ، فَمَضَيْنَا حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْقَدِيدِ، لَقِينَا الْحَارِثَ بْنَ مَالِكِ بْنِ الْبَرْصَاءِ اللَّيْثِيَّ، فَأَخَذْنَاهُ فَقَالَ: إِنِّي إِنَّمَا جِئْتُ لِأُسْلِمَ. فَقَالَ لَهُ غَالِبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: إِنْ كُنْتَ إِنَّمَا جِئْتَ لِتُسْلِمَ، فَلَا يَضُرُّكَ رِبَاطُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، وَإِنْ كُنْتَ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ اسْتَوْثَقْنَا مِنْكَ. قَالَ: فَأَوْثَقَهُ رِبَاطًا وَخَلَّفَ عَلَيْهِ رُوَيْجِلًا أَسْوَدَ كَانَ مَعَنَا، وَقَالَ: امْكُثْ مَعَهُ حَتَّى نَمُرَّ عَلَيْكَ، فَإِنْ نَازَعَكَ فَاحْتَزَّ رَأْسَهُ. وَمَضَيْنَا حَتَّى أَتَيْنَا بَطْنَ الْكَدِيدِ، فَنَزَلْنَا عَشِيَّةً بَعْدِ الْعَصْرِ، فَبَعَثَنِي أَصْحَابِي إِلَيْهِ، فَعَمَدْتُ إِلَى تَلٍّ يُطْلِعُنِي عَلَى الْحَاضِرِ فَانْبَطَحْتُ عَلَيْهِ، وَذَلِكَ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ، فَخَرَجَ
পৃষ্ঠা - ৩২২২

তার৷ তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল ৷ রিফাআ ইবন কায়স উঠে র্দাড়াল ৷ তার তলােয়ার ঘাড়ে ঝুলিয়ে
নিল এবং বলল, আল্লাহর শপথ, আমি আমাদের রাখালের ব্যাপারটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাই ৷
সে বোধ হয় কোন বিপদে পড়েছে ৷” তার কয়েকজন সাথী বলল, “আল্লাহর শপথ, তুমি যারেনা
আমরাই যথেষ্ট ৷” তখন সে বলল, “না, আমিই যাব ৷” তারা বলল, তাহলে আমরা তোমার সাথে
যাব ৷” সে বলল, “আল্লাহ্র শপথ, তোমরা কেউ আমার সংগে আসবেন৷ ৷” একথা বলে সে
এক কী বের হল ৷ আবু হাদবাদ (বা) বলেন, “যখন সে আমার কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিল এবং
আমার পুরাপুরি নাগালে পৌছে গেল, তখন আমি তার বুকে৩ ভীর নিক্ষেপ করলাম ৷ আল্লাহর
শপথ, সে কোন কিছু উচ্চারণ করা র পুর্বেই ঢলে পড়ল ৷ এমনি সময় আমি তার দিকে লাফ দিয়ে
গেলাম এবং তার মাথাটি কেটে ফেললাম ৷ এরপর আমি তাকবী ৷ব দিলাম ও তাদের প্রতি
আক্রমণ পরিচালনা করলাম ৷ আমার সাথীদ্বয়গু তাকবীর বললেন এবং আক্রমণ পরিচালনা
করলেন ৷ আল্লাহর শপথ, এখানে যার বাছিল সকলেই তাদের কাছে যা কিছু সম্পদ ছিলত বিয়ে ও
পরিবার পরিজন নিয়ে আত্মসমর্পণ করল ৷ আমরা বড় বড় উন্নীও বহু বকরী হাকিয়ে নিয়ে
আসলাম ৷ আর গনীমতে তর মালামাল ও রিফা আ ইবন কায়সের কর্তিত মাথা নিয়ে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর দরবারে উপস্থিত হলাম ৷ ঐসব উষ্টীর মধ্য হতে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আমার মােহরানা
আদায়ের জন্যে আমাকে তেরটি উদ্রী দান করলেন ৷ আমি মােহরান৷ আদায় করে আমার শ্ৰীকে
ঘরে উঠিয়ে নিলাম ৷

মিহলাম ইৰ্ন জুছামা যে ক্ষুদ্র যুদ্ধে আমির ইৰ্ন আল-আয্ৰাতকে হত্যা করেছিল

ইবন ইসহাক আবু হ দবাদ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন “ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
কয়েকজন ঘুসলমানসহ আমাকে আযাম নামক স্থানে প্রেরণ করেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন আবু
কাতাদা আল-হারিছ ইবন রিবৃয়ী (বা) এবং মিহলাম ইবন জ্বছাম৷ ইবন কায়স ৷ আমরা যখন
বাতনে আযাম নামক স্থানে পৌছলাম আমির ইবন আল-আঘৃবাত ইবন আল-আশজায়ী’ এর সাথে
আমাদের সাক্ষাত হল ৷ তার সাথে ছিল একটি আসন এবং দুধের একটি বড় মশক ৷ সে
আমাদেরকে ইসলামী কায়দায় সালাম দিল ৷৩ তাই আমরা তার প্রতি হামলা করা থেকে বিরত
রইলাম, কিভু মিহলাম ইবন জুছামাত তার উপর হামলা করলেন এবং তাকে হত্যা করলেন ৷
তাদের এ দৃ’ জনের মধ্যে মনােমালিন্য ছিল ৷ তিনি তার উটও অন্যান্য পরিত্যক্ত সামগ্রী গনীমত
হিসেবে লাভ করেন ৷ আমরা যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে ফিরে আসলাম এবং তাকে এ

; #’

ঘটনা সম্পর্কে জানালাম তখন আমাদের মাঝে অবতীর্ণ হল১০ ৷ ৷ ৷ ৷ ,ঞা ৷ ;,;; ৷ ৷হ্ৰুাৰু

;,এ এছুছুট্রুট্রুছু১
,

তোমরা যখন আল্লাহর পথে যাত্র ৷ ত্রকরবে তখন যাচাই করে নেবে এবং কেউ তোমাদের সালাম


رَجُلٌ مِنْهُمْ، فَنَظَرَ فَرَآنِي مُنْبَطِحًا عَلَى التَّلِّ، فَقَالَ لِامْرَأَتِهِ: إِنِّي لَأَرَى سَوَادًا عَلَى هَذَا التَّلِّ مَا رَأَيْتُهُ فِي أَوَّلِ النَّهَارِ، فَانْظُرِي لَا تَكُونُ الْكِلَابُ اجْتَرَّتْ بَعْضَ أَوْعِيَتِكِ؟ فَنَظَرَتْ فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا أَفْقِدُ مِنْهَا شَيْئًا. قَالَ: فَنَاوِلِينِي قَوْسِي وَسَهْمَيْنِ مِنْ نَبْلِي. فَنَاوَلَتْهُ، فَرَمَانِي بِسَهْمٍ فِي جَبِينِي - أَوْ قَالَ: فِي جَنْبِي - فَنَزَعْتُهُ فَوَضَعْتُهُ وَلَمْ أَتَحَرَّكْ، ثُمَّ رَمَانِي بِالْآخَرِ فَوَضَعَهُ فِي رَأْسِ مَنْكِبِي، فَنَزَعْتُهُ فَوَضَعْتُهُ وَلَمْ أَتَحَرَّكْ، فَقَالَ لِامْرَأَتِهِ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ خَالَطَهُ سَهْمَايَ، وَلَوْ كَانَ رَبِيئَةً لَتَحَرَّكَ، فَإِذَا أَصْبَحْتِ فَابْتَغِي سَهْمَيَّ فَخُذِيهِمَا، لَا تَمْضُغُهُمَا عَلَيَّ الْكِلَابُ. قَالَ: فَأَمْهَلْنَا، حَتَّى إِذَا رَاحَتْ رَوَايِحُهُمْ، وَحَتَّى احْتَلَبُوا وَعَطَّنُوا وَسَكَنُوا، وَذَهَبَتْ عَتَمَةٌ مِنَ اللَّيْلِ، شَنَنَّا عَلَيْهِمُ الْغَارَةَ فَقَتَلْنَا وَاسْتَقْنَا النَّعَمَ، وَوَجَّهْنَا قَافِلِينَ بِهِ، وَخَرَجَ صَرِيخُ الْقَوْمِ إِلَى قَوْمِهِمْ بِقُرْبِنَا. قَالَ: وَخَرَجْنَا سِرَاعًا حَتَّى نَمُرَّ بِالْحَارِثِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْبَرْصَاءِ وَصَاحِبِهِ، فَانْطَلَقْنَا بِهِ مَعَنَا، وَأَتَانَا صَرِيخُ النَّاسِ، فَجَاءَنَا مَا لَا قِبَلَ لَنَا بِهِ، حَتَّى إِذَا لَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ إِلَّا بَطْنُ الْوَادِي مِنْ قُدَيْدٍ، بَعَثَ اللَّهُ مِنْ حَيْثُ شَاءَ مَاءً، مَا رَأَيْنَا قَبْلَ ذَلِكَ مَطَرًا وَلَا حَالًا، وَجَاءَ بِمَا لَا يَقْدِرُ أَحَدٌ أَنْ يُقْدِمَ عَلَيْهِ، فَلَقَدْ رَأَيْتُهُمْ وُقُوفًا يَنْظُرُونَ إِلَيْنَا، مَا يَقْدِرُ أَحَدٌ مِنْهُمْ أَنْ يُقْدِمَ عَلَيْهِ وَنَحْنُ نَجِدُّ بِهَا أَوْ نَحْدُوهَا - شَكَّ