আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

معاملة النبي يهود خيبر

পৃষ্ঠা - ৩২১৩
৩৮৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

জিযিয়া অাদায়ের চুক্তিতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে তারাও সন্ধি স্থাপন করল ৷ তাদের সম্পদ
তাদের হ দুইে রয়ে গেল ৷ হযরত উমর (রা) এর যুগে৩ তিনি খায়বার ও ফাদা কের ইয়াহ্রদীদেরকে
ৰিতাড়িত করলেন ৷ কিন্তু ওয়াদিল করা ও তায়মার ইয়াহ্রদীদেরকে তিনি তাদের নিজ এলাকায়
থাকতে দিলেন ৷ কেননা, তাদের এলাকা পড়েছে সিরিয়ার ৷ আর ওয়াদিল কুরা ব্যতীত মদীনাব র
অন্যান্য এলাকা পড়েছে হিজায়ে ৷ হিজায ব্যতীত অন্যান্য এলাকা হচ্ছো সিরিয়ার অন্তর্গত ৷ রাবী
বলেন, খায়বারও ওয়াদিল কুরা জয় করার ও গনীমত লাভের পর রাসুলুল্লাহ্( ()সা মদীনায় ফেরত
আসেন ৷

ওয়াকিদী বলেন ইয়া কুব ইবন যুহাম্মাদ (র) উম্মু আম্মারা ( ধ্া তে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, জুরফ নামক জায়গা য় আমি রাসুলুহুাহ্ (সা) কে বলতে শুনোছ ৷ তািান বলেন, সফর
থেকে ফেরত আসা র কা লে ইশার সালাতের পর সৎ বাদ না দিয়ে তে তামরা তোমাদের শ্রীদের কাছে
যেয়ো না ৷ ’রাবী বলেন, গোত্রের একজন লোক রাত্রি রেলায়৩ারাত্রীর কাছে প্রবেশ করল এবং
তার অপসন্দনীয় জিনিস দেখতে পেল ৷ এরপর সে তার থেকে পৃথক রইল; কিন্তু তাকে ছেড়ে
গেল না ৷ ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংক কা দেখা দিল অথচ৩ তার এ ত্রীর গর্ভে তার সম্ভানাদি
ছিল আর সে ল্লীকে ভালবাসত ৷ বস্তুত সে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আদেশ অমান্য করায় অপ্রীতিকর
ঘটনার সম্মুখীন হল ৷

অধ্যায় : সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন খায়বার
জয় করেন তখন ইয়াহুদীদের সাথে এ শর্ভে চুক্তি করেন যে, উৎপাদিত শস্য ও খেজুর বাগান
থেকে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অর্ধেক প্রদান করবে ৷ এ হাদীছে আরো উল্লেখ রয়েছে যে, তারা
যাবতীয় সম্পদেও এরুপ চুক্তি করেছিল ৷ আবার এটাও উল্লেখ রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাদেরকে বলেছিলেন, যত তদিন ইচ্ছে আমরা তে তামাদেরকে থাকার অনুমতি দেব ৷ স্নান
গ্রন্থেসমুহে উল্লেখ রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফসল মুল্যায়নের সময় আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা
(রা) কে প্রেরণ করতেন এবং তিনি তাদের অৎশ নির্ধারণ করতেন ৷ মু৩ার যুদ্ধে আ ব দুপ্ল ৷ হ্ ইবন
রাওয়াহা শাহাদত বরণ করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জাব্বার ইবন সখরকে এ কাজের জন্য প্রেরণ
করতেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, আমি ইবন শিহাব যুহরী (রা) কে জিজ্ঞেস করলাম যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বা রের ইয়াহ্রদীদেরকে কিভারে তাদের থেজুর বাপানগুলো অর্পণ করেছিলেন ৷
তখন তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধের মাধ্যমে খায়বার জয় করেন ৷ খায়বার এমন
সম্পদের অন্তর্ভুক্ত ছিল যার মধ্য হতে আল্লাহ তাআালা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে এক পঞ্চমাৎশ দান
করেছেন এবং বাকী অংশ মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করার তাওফীক দিয়েছেন ৷ যুদ্ধের পর
যাদেরকে বিতাড়িত করার প্রয়োজন ছিল তাদেরকে বিতাড়িত করা হয় ৷ তাদেরকে ডেকে এনে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, “যদি তোমরা চাও তাহলে এ শতে আমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে
পার যে, উৎপাদিত ফল ফসলাদি৫ তামাদের ও আমাদের মধ্যে সমান সমান দুইভা গে বন্টন করা
হবে ৷ আর আমাদের যতদিন ইচ্ছে তোমাদেরকে আমরা এখানে থাকতে অনুমতি দেব ৷ তারা এ
প্রস্তাব মেনে নেয় এবং বর্গা চাষী হিসাবে এখানে অব হু৷ ন করে ৷ রাসুণুস্নাহু (সা) অ ৷ র দুপ্ল ৷ ২ ইবন






وَعَامَلَهُمْ عَلَيْهَا، فَلَمَّا بَلَغَ يَهُودَ تَيْمَاءَ مَا وَطِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ وَفَدَكَ وَوَادِي الْقُرَى، صَالَحُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْجِزْيَةِ، وَأَقَامُوا بِأَيْدِيهِمْ أَمْوَالَهُمْ، فَلَمَّا كَانَ عُمَرُ أَخْرَجَ يَهُودَ خَيْبَرَ وَفَدَكَ، وَلَمْ يُخْرِجْ أَهْلَ تَيْمَاءَ وَوَادِي الْقُرَى، لِأَنَّهُمَا دَاخِلَتَانِ فِي أَرْضِ الشَّامِ، وَيَرَى أَنَّ مَا دُونَ وَادِي الْقُرَى إِلَى الْمَدِينَةِ حِجَازٌ، وَمَا وَرَاءَ ذَلِكَ مِنَ الشَّامِ. قَالَ: ثُمَّ انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ بَعْدَ أَنْ فَرَغَ مِنْ خَيْبَرَ وَوَادِي الْقُرَى، وَغَنَّمَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أُمِّ عِمَارَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْجُرْفِ وَهُوَ يَقُولُ: «لَا تَطْرُقُوا النِّسَاءَ بَعْدَ صَلَاةِ الْعِشَاءِ قَالَتْ: فَذَهَبَ رَجُلٌ مِنَ الْحَيِّ، فَطَرَقَ أَهْلَهُ فَوَجَدَ مَا يَكْرَهُ، فَخَلَّى سَبِيلَهُ وَلَمْ يُهِجْهُ، وَضَنَّ بِزَوْجَتِهِ أَنْ يُفَارِقَهَا، وَكَانَ لَهُ مِنْهَا أَوْلَادٌ، وَكَانَ يُحِبُّهَا، فَعَصَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَأَى مَا يَكْرَهُ.» [مُعَامَلَةُ النَّبِيِّ يَهُودَ خَيْبَرَ] فَصْلٌ مُعَامَلَةُ النَّبِيِّ يَهُودَ خَيْبَرَ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا افْتَتَحَ خَيْبَرَ، عَامَلَ
পৃষ্ঠা - ৩২১৪
আল-বিদায়া ওয়ান ননিহায়া ৩৮৭

রাওয়াহা (রা)-কে প্রেরণ করতেন এবং তিনি ন্যায্যভাবে ফল-ফসলাদি বন্টন করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) এর ওফাতের পর আবুবকর (রা)৩ ংা ৩ার ওফাত পর্যন্ত তাদেরকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে
যে চুক্তি হয়েছিল সে চুক্তি মুত তাবিক থাকতে ৩দেন ৷ উমর (রা) ওত গুার থিলাফতের প্ৰথমাংশে
তাদেরকে পুর্বের ন্যায় থাকতে দেন; কিন্তু যখন এ হাদীছটি৩ারানিকট পৌছল যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) অস্তিমা ায্যায় বলেছেন, “আরব উপদ্বীপে দু’ ধর্ম একত্রে থাকবে ন ৷ উমর (বা) এ হাদীছটি
সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে তা শুদ্ধ বলে তার কাছে প্রমাণিত হয় ৷ তখন তিনি ইয়াহদীদের নিকট
বলে পাঠালেন , “আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে বিতাড়িত করার জন্যে আমাকে অনুমতি
দিয়েছেন এবং আমার কাছে এ হাদীছটি পৌছেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা বলেছেন “আরব উপদ্বীপে
দুটি ধর্ম একত্রে থাকবে না ৷ কারো সং পে যদি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কোন অঙ্গীকার থাকে তাহলে
সে যেন তা আমার কাছে এসে পেশ করে, আমি যে অঙ্গীকার বপুরণ করব ৷ আর যার কাছে এরুপ
কোন ওয়াদা অঙ্গীকার নেই, সে যেন দেশতাগের জন্যে তৈ র্বীাহ হয়ে যায় ৷ সুতরাং যাদের কাছে
কোন অঙ্গীকার ছিল না তাদেরকে উমর (রা) দেশাম্ভবিত করলেন ৷

গ্রন্থকার বলেন, তিনশ’ বছর পর খায়বারের ইয়াহুদীরা দাবী করতে লাগল যে, তাদের কাছে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর লিখিত একটি চুক্তিনামা আছে যাতে লিখা রয়েছে যে, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ইয়াহুদীদের থেকে জিযিয়া মওকুফ করে দিয়েছেন ৷” তথাকথিত এই চুক্তিনামার কারণে কিছু
থেকে আলিম প্রভাবিত হয়ে মত প্রকাশ করেছেন যে, ইয়াহুদীদের উপর থেকে জিযিয়া রহিত
করা হয়েছে ৷

ইমাম শাফিঈ (র) এর অনুসারীদের মধ্যে এরুপ অভিমত অবলম্বনকারীদের অন্যতম হলেন
শেখ আবুআলী ইবন খায়রুন ৷ অথচ এই অঙ্গীকার নামাটি ভৃয়া , বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ৷ একটি
াতন্ত্র পুস্তকে এই তথাকথিত চুক্তি নামাটি ভুয়া হবার বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করা হয়েছে ৷

অনেক আলেম তাদের গ্রন্থ দি ৩এ তথাকথিত অঙ্গীকারনামা নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা
করেছেন যেমন ইরনুস সাব্বাগত তার কিতাব মাসাইলে এবং শেখ আবু হামিদ তার ব্যাখ্যা গ্রন্থে এ
বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন ৷ ইরনুল মাসৃলামা এটা বাতিল প্রমাণ করার জন্যে একটিাতন্ত্র
পুস্তিকা লিখেছেন ৷ ইয়াহুদীরা সাতশ’ বছর পর এ নিয়ে আন্দোলন শুরু করে এবং একটি কিতাব
প্রকাশ করে ৷ যার মধ্যে তাদের তথাকথিত চুক্তিনামা সন্নিবেশিত রয়েছে ৷ এটা সম্বন্ধে আমি
যখন অবগত হলাম তখন এটা পরীক্ষা নিরীক্ষাকরে দেখলাম যে, এটা মিথ্যা ৷ কেননা,
চুক্তিনামায় সাদ ইবন ঘুআয় (রাএসাক্ষী রয়েছেন ৷ অথচ সাদ ইবন মু আয় (রা) খায়বারের
পুর্বেই ইনতিকাল করেছিলেন ৷ এটার মধ্যে মু আাবিয়া ইবন আবু সুফিয়ানের সাক্ষ্য রয়েছে অথচ
তিনি ঐ সময় মুসলমানই হননি ৷ চুক্তি নামা র শেষে লেখক রয়েছেন আালী ইবন আবৃত তালিব,
এটাও ভুল ৷ আর এটার মধ্যে জিযিয়া মওকুফের কথা আছে অথচ সে সময় জিযিয়ার প্রচলনই
হয়নি ৷ কেননা, এটা প্রথম যখন প্ৰবত ন করা হয় তখন নাজরানবাসীদের থেকে তা প্রথম গ্রহণ
করা হয় ৷ ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেন যে,৩ তারা ৯ম হিজরীর দিকে এসেছিলেন ৷ আল্লাহ
তাআলা অধিক জ্ঞাত ৷

অতঃপর ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর আযাদকৃত গোলাম নাফি


يَهُودَهَا عَلَيْهَا عَلَى شَطْرِ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا مِنْ تَمْرٍ أَوْ زَرْعٍ» . وَقَدْ وَرَدَ فِي بَعْضِ أَلْفَاظِ هَذَا الْحَدِيثِ: عَلَى أَنْ يَعْمَلُوهَا مِنْ أَمْوَالِهِمْ. وَفِي بَعْضِهَا: وَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نُقِرُّكُمْ فِيهَا مَا شِئْنَا ". وَفِي " السِّيَرِ " أَنَّهُ كَانَ يَبْعَثُ عَلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ، يَخْرُصُهَا عَلَيْهِمْ عِنْدَ اسْتِوَاءِ ثِمَارِهَا، ثُمَّ يُضَمِّنُهُمْ إِيَّاهُ، فَلَمَّا قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ بِمُؤْتَةَ، بَعَثَ جَبَّارَ بْنَ صَخْرٍ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَمَوْضِعُ تَحْرِيرِ أَلْفَاظِهِ وَبَيَانِ طُرُقِهِ كِتَابُ الْمُزَارَعَةِ مِنْ كِتَابِ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِهِ الثِّقَةُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: سَأَلْتُ ابْنَ شِهَابٍ: كَيْفَ كَانَ إِعْطَاءُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَهُودَ خَيْبَرَ نَخْلَهُمْ؟ فَأَخْبَرَنِي «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ عَنْوَةً بَعْدَ الْقِتَالِ، وَكَانَتْ خَيْبَرُ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ، خَمَّسَهَا وَقَسَمَهَا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَنَزَلَ مَنْ نَزَلَ مِنْ أَهْلِهَا عَلَى الْجَلَاءِ بَعْدَ الْقِتَالِ، فَدَعَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " إِنْ شِئْتُمْ دَفَعْتُ إِلَيْكُمْ هَذِهِ الْأَمْوَالَ، عَلَى أَنْ تَعْمَلُوهَا وَتَكُونُ ثِمَارُهَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ، فَأُقِرُّكُمْ مَا أَقَرَّكُمُ اللَّهُ ". فَقَبِلُوا وَكَانُوا عَلَى ذَلِكَ يَعْمَلُونَهَا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْعَثُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ فَيَقْسِمُ ثَمَرَهَا، وَيَعْدِلُ عَلَيْهِمْ فِي الْخَرْصِ، فَلَمَّا تَوَفَّى اللَّهُ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَقَرَّهَا
পৃষ্ঠা - ৩২১৫

আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যুবায়র ইবনুল আওয়াম (বা) ,
মিকদাদ ইবন আসওদ (রা) ও আমি খায়বারে অবস্থিত আমাদের সহায় সম্পদ দেখাশুনার জন্যে
সেখানে গেলাম ৷ আমরা যখন খায়বারে পৌছলাম তখন নিজ নিজ সম্পদের তত্ত্বাবধানে বের
হলাম ৷ তিনি বলেন, “আমি যখন আমার বিছা ৷নায় শুয়েছিলাম তখন আৰু ৷ র উপর হামলা করা হয়
এবং আমার দুটো হাতের কজি ক্নুই থেকে স্থানচ্যুত হয়ে যায় ৷ আমি আমার সাথীদের লক্ষ্য
করেজোরে চিৎকার করলে তারা আমার কাছে ছুটে আসলেন এবং আমাকে প্রশ্ন করলেন, কে
তোমার এরুপ অবস্থা করেছে ? আমি বললাম, আমি জানি না’ ৷ তখন তারা আমার হাত ঠিক
করে দিলেন এবং আমাকে উমর (রা) এর নিকট নিয়ে আসলেন ৷ তিনি তখন বলরু ন,“এটা
খায়বারের ইয়াহুদীদের কারসাজি ৷ ” এরপর খুত্ব৷ দেয়ার জন্যে জনগণের সামনে দীড়ালেন এবং
বললেন, “উপস্থিত শ্রো৩ তামণ্ডলী ! আপনারা জানেন যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা) ইয়াহ্রদীদের সাথে এ
শর্ভে চুক্তি করেছিলেন যে, যখন আমরা চাইব তখন আমরা তাদেরকে বিত ত করতে পারব ৷
তারা আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) এর উপর যুলুম করেছে ৷ তারা তার হ্৷ ন্গুলো মুচড়ে দিয়েছে ৷
পুর্বেও তারা এক আনসারী ভাইয়ের উপর যুলুম করেছিল ৷ এটা যে তাদের কারসাজি তাতে কোন
সন্দেহ নেই ৷ কেননা, তারা ছাড়া ৷সেখানে আমাদের কোন শত্রু নেই ৷ যদি কারো খায়বারে কোন
মাল পাওন৷ থাকে সে যেন তা আদায় করে নেয়; কেননা, আমি ইয়াহুদীদের বিতাড়িত করব ৷
এরপর তিনি তাদেরকে বিতাড়িত করেন ৷

খায়বারে উমর (রা)-এর অংশ ছিল তবে তিনি তা আল্লাহ্র রাস্তায় ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন

এবং ওয়াকফে শর্ত রেখেছিলেন যার দিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইৎগিত করেছেন ৷ সহীহ্ ৰুখারী ও

মুসলিমে তার উল্লেখ রয়েছে ৷ তিনি শত করেছিলেন যে, ওয়াকফ সম্মতিতে নজরদারী করবেন
তার ছেলে মেয়েদের মধ্যে সর্বাধিক পুণ্যবানর৷ ক্রমানুসারে ৷

হাফিয বায়হাকী তার দালায়েল গ্রন্থে বলেন, “খায়বার বিজয়ের পর ও উমরাতৃল কাযার
মধ্যবর্তী সময়ে কয়েকটি ক্ষুদ্র অভিযানের বর্ণনা সন্নিবেশিত হয়েছে যদিও কোন কােনটির সুনির্দিষ্ট
তারিখ সম্পর্কে যুদ্ধ সংক্রান্ত ইতিহাসবেত্তাদের কাছে স্পষ্ট নয় ৷

বনু ফাযারা-এর প্রতি আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর অভিযান

ইমাম আহমদ (র) সালামা (বা) হতে ৩বর্ণন৷ করেন ৷ তিনি বলেন, “আমরা আবু
বকর ইবন আবু কুহাফ৷ (রা) এর সাথে বের হলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাকে আমাদের আমীর
নিযুক্ত করেন ৷ আমরা বনু ফ ৷যারার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলাম ৷ আমরা যখন জলাশয়ের নিকটবর্তী
হলাম, তখন আবু বকর (রা) এর নির্দেশে আমরা শুয়ে পড়লাম ৷ এরপর যখন আমরা ফজরের
সালাত আদায় করলাম তখন আবু বকর (রা) এর হুকুমে আমরা আক্রমণ করলাম ৷ যারা
আমাদের দিকে পানির জন্যে আসতেছিল৩ তাদেরকে হত্যা করলাম ৷ রাবী (সালামা) বলেন,
অত০পর আমি তাকিয়ে দেখলাম লোকজন তাদের পরিব৷ ৷ব পরিজন নিয়ে পাহাড়ের দিকে ধাবিত
হচ্ছে ৷ আ ৷মি তাদের ৷পছু নিলাম ৷ আ ৷মি আশংক ৷করলাম তারা আমার পুর্বে পাহাড়ে পৌছে৷ বা যে
ও হাতছাড়৷ হয়ে যাবে ৷ তাই আমি তাদের দিকে তীর নিক্ষেপ করতে লাগলাম ৷ তীর গিয়ে


أَبُو بَكْرٍ بِأَيْدِيهِمْ، عَلَى الْمُعَامَلَةِ الَّتِي عَامَلَهُمْ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى تُوُفِّيَ، ثُمَّ أَقَرَّهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ صَدْرًا مِنْ إِمَارَتِهِ، ثُمَّ بَلَغَ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي وَجَعِهِ الَّذِي قَبَضَهُ اللَّهُ فِيهِ: " لَا يَجْتَمِعَنَّ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ دِينَانِ " فَفَحَصَ عُمَرُ عَنْ ذَلِكَ حَتَّى بَلَغَهُ الثَّبَتُ، فَأَرْسَلَ إِلَى يَهُودَ فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ أَذِنَ لِي فِي إِجْلَائِكُمْ، وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لَا يَجْتَمِعَنَّ فِي جَزِيرَةِ الْعَرَبِ دِينَانِ " فَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ عَهْدٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلْيَأْتِنِي بِهِ أُنْفِذْهُ لَهُ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ عَهْدٌ فَلْيَتَجَهَّزْ لِلْجَلَاءِ. فَأَجْلَى عُمَرُ مِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ عَهْدٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» قُلْتُ: قَدِ ادَّعَى يَهُودُ خَيْبَرَ فِي أَزْمَانٍ مُتَأَخِّرَةٍ بَعْدَ الثَّلَاثِمِائَةِ، أَنَّ بِأَيْدِيهِمْ كِتَابًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيهِ أَنَّهُ وَضَعَ الْجِزْيَةَ عَنْهُمْ، وَقَدِ اغْتَرَّ بِهَذَا الْكِتَابِ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ، حَتَّى قَالَ بِإِسْقَاطِ الْجِزْيَةِ عَنْهُمْ، مِنَ الشَّافِعِيَّةِ الشَّيْخُ أَبُو عَلِيٍّ خَيْرُونَ، وَهُوَ كِتَابٌ مُزَوَّرٌ مَكْذُوبٌ مُفْتَعَلٌ لَا أَصْلَ لَهُ، وَقَدْ بَيَّنْتُ بُطْلَانَهُ مِنْ وُجُوهٍ عَدِيدَةٍ فِي كِتَابٍ مُفْرَدٍ، وَقَدْ تَعَرَّضَ لِذِكْرِهِ وَإِبْطَالِهِ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَصْحَابِ فِي كُتُبِهِمْ، كَابْنِ الصَّبَّاغِ فِي " شَامِلِهِ "، وَالشَّيْخِ أَبِي حَامِدٍ فِي " تَعْلِيقَتِهِ " وَصَنَّفَ فِيهِ ابْنُ الْمُسْلِمَةِ جُزْءًا مُنْفَرِدًا لِلرَّدِّ عَلَيْهِ وَقَدْ تَحَرَّكُوا بِهِ بَعْدَ السَّبْعِمِائَةِ، وَأَظْهَرُوا كِتَابًا فِيهِ نُسْخَةُ مَا ذَكَرَهُ الْأَصْحَابُ فِي كُتُبِهِمْ، وَقَدْ وَقَفْتُ عَلَيْهِ، فَإِذَا هُوَ مَكْذُوبٌ، فَإِنَّ فِيهِ شَهَادَةَ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ،، وَقَدْ كَانَ مَاتَ
পৃষ্ঠা - ৩২১৬

তাদের এবং পাহাড়ের মধ্যবর্তী জায়গায় পড়ল ৷ তাদের অগ্রগতি রুদ্ধ হয়ে গেল ৷ আমি
তাদেরকে হাকিয়ে আবু বকর (রা) এর নিকট জলাশয়ের নিকট নিয়ে আসলাম ৷ তাদের মধ্যে
ছিল ফাযার৷ গোত্রের একজন মহিলা ৷৩ তার মাথার উপরে ছিল চামড়৷ র একটি তা ৷বী টুকরাত ৷৩
সাথে ছিল তার একটি অ৩ তাম্ভ সুন্দরী কন্যা ৷৩ তার সুন্দরী কন্যাটিকে আবু বকর (বা) গনীম৩
হিসাবে আমাকে দান করেন ৷ আমি তাকে উপভোগ না করেই মদীনায় পৌছলাম ৷ এরপর আমি

রাত যাপন করলাম; কিভু তখনও আমি তাকে উপভো গ করলাম না ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে
বাজারে আমার দেখা হয় ৷ তিনি আমাকে বলেন , হে সালামা তুমি আমাকে মেয়েটি দিয়ে দাও ৷’
আমি বললাম, আল্লাহ্র শপথ, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! মেয়েটি আমার খুবই পসন্দ হয়েছে; কিন্তু
এখনও আমি তাকে উপভোগ করিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিরুত্তর রইলেন এবং চলে গেলেন ৷
পরদিন বাজারে আবার রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর সাথে আমার সাক্ষাত হয় ৷ তিনি বললেন, হে সালাম৷ !
তুমি আমাকে (ময়েটি দিয়ে দা ও ৷ আমি বললাম আল্লাহরাথ ৷ ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা ) মেয়েটি
আমার খুব পসন্দ হয়েছে তবে আমি এখনও তাকে উপভোগ রর্গবা ৷ ৷ আমার কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্
(সা) নিরুত্তর রইলেন এবং চলে গেলেন ৷ পরদিন আবার তার সাথে বাজারে আমার দেখা হয় ৷
তিনি বললেন, হে সালামা মেয়েটি আমাকে দান কর ৷ আল্লাহ্৩ তোমার পিতার মঙ্গল করুন ৷
আমি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) আল্লাহর শপথ, আমি এখনও তাকে উপভোগ করিনি ৷ ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) যে এখন হতে আপনারই ৷ রাবী বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাকে মক্কাবাসীদের
কাছে প্রেরণ করেন ৷ তাদের হাতে ছিল বেশ কয়েকজন মুসলিম কয়েদী আটক ৷ এ মহিলাটিকে
তিনি তাদের মুক্তিপণ রুপে দান করলেন ও তাদের মুক্ত করে আনলেন ৷ ইমাম মুসলিম এবং
বায়হ কী এটি বর্ণনা ৷করেছেন ৷

হযরত উমর (না)-এর অভিযান

বায়হাকী (র) ওয়াকিদী (র) এর বরাতে বর্ণনা করেন, একদিন বাসুলুল্ল হ (সা) ত্রিশজন
আরোহীসহ উমর (বা ) কে চার ম ইল দুরে অবস্থিত তৃরব৷ নামক জায়গায় অভিযানে প্রেরণ
করেন ৷ তার সাথে ছিল বনু হিলালের একজন পথপ্ৰদর্শক ৷ তারা রাত্রে ভ্রমণ করতেন এবং
দিনের বেলায় শত্রুর জন্যে ওৎপেতে থাকতেন ৷ যখন তারা শত্রুর এলাকায় পৌছলেন তখন
শত্রুরা পালিয়ে যায় ৷ উমর (রা) মদীনায় ফিরে আসলেন ৷ রাস্তায় তাকে কেউ কেউ বললেন,
“আপনি কি খায়বার গোত্রের সাথে যুদ্ধ করবেন ?” তিনি বললেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) শুধুমাত্র
হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে তাদের এলাকায় আমাদেরকে যুদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷

ইয়াসীর ইবন রিযাম ইয়াহুদীর বিরুদ্ধে প্রেরিত আবদুল্লাহ ইবন
রাওয়াহার অভিযান
বায়হাকী যুহ্রী (র)-এর বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ত্রিশজন
আরোহীসহ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ (রা)-কে ইয়াসীর ইবন রিযাম ইয়াহ্রদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার
জন্যে প্রেরণ করেন ৷ তারা খায়বারে তার কাছে পৌছলেন ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
সংবাদ পৌছে ছিল, সে বনু পাতফানকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে সংঘবদ্ধ


قَبْلَ زَمَنِ خَيْبَرَ وَفِيهِ شَهَادَةُ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَلَمْ يَكُنْ أَسْلَمَ يَوْمَئِذٍ، وَفِي آخِرِهِ: وَكَتَبَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَهَذَا لَحْنٌ وَخَطَأٌ، وَفِيهِ وَضْعُ الْجِزْيَةِ، وَلَمْ تَكُنْ شُرِعَتْ بَعْدُ، فَإِنَّهَا إِنَّمَا شُرِعَتْ أَوَّلَ مَا شُرِعَتْ وَأُخِذَتْ مِنْ أَهْلِ نَجْرَانَ وَذَكَرُوا أَنَّهُمْ وَفَدُوا فِي حُدُودِ سَنَةِ تِسْعٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي نَافِعٌ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: خَرَجْتُ أَنَا وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَالْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ إِلَى أَمْوَالِنَا بِخَيْبَرَ نَتَعَاهَدُهَا، فَلَمَّا قَدِمْنَا تَفَرَّقْنَا فِي أَمْوَالِنَا. قَالَ: فَعُدِيَ عَلَيَّ تَحْتَ اللَّيْلِ وَأَنَا نَائِمٌ عَلَى فِرَاشِي فَفُدِعَتْ يَدَايَ مِنْ مِرْفَقَيَّ، فَلَمَّا اسْتَصْرَخْتُ عَلَى صَاحِبَيَّ، فَأَتَيَانِي فَسَأَلَانِي: مَنْ صَنَعَ هَذَا بِكَ؟ فَقُلْتُ: لَا أَدْرِي. فَأَصْلَحَا مِنْ يَدِي، ثُمَّ قَدِمَا بِي عَلَى عُمَرَ، فَقَالَ: هَذَا عَمَلُ يَهُودَ. ثُمَّ قَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عَامَلَ يَهُودَ خَيْبَرَ عَلَى أَنَّا نُخْرِجُهُمْ إِذَا شِئْنَا، وَقَدْ عَدَوْا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، فَفَدَعُوا يَدَيْهِ كَمَا بَلَغَكُمْ، مَعَ عَدْوَتِهِمْ عَلَى الْأَنْصَارِيِّ قَبْلَهُ، لَا نَشُكُّ أَنَّهُمْ كَانُوا أَصْحَابَهُ، لَيْسَ لَنَا هُنَاكَ عَدُوٌّ غَيْرُهُمْ، فَمَنْ كَانَ لَهُ مَالٌ مِنْ خَيْبَرَ فَلْيَلْحَقْ بِهِ، فَإِنِّي مُخْرِجٌ يَهُودَ. فَأَخْرَجَهُمْ. قُلْتُ: كَانَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ سَهْمُهُ الَّذِي بِخَيْبَرَ، وَقَدْ كَانَ وَقَفَهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَشَرَطَ فِي الْوَقْفِ مَا أَشَارَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا هُوَ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَشَرَطَ أَنْ يَكُونَ النَّظَرَ فِيهِ لِلْأَرْشَدِ فَالْأَرْشَدِ مِنْ بَنَاتِهِ وَبَنِيهِ.