আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

قصة الشاة المسمومة

পৃষ্ঠা - ৩১৮৪

কে এ স বাদ দিল ? ” বাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আমার হাতে যা আছে এটা ই আমাকে সং বাদ
দিয়েছে অর্থাৎ বাশেব গােশত৷ ” মহিলাঢি বলল জী হ্যা রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “তুমি কেন এ
কাজটি করতে গেলে ?” মহিলাটি বলল, “আমি মনে করেছিলাম, আপনি যদি নবী হয়ে থাকেন
তাহলে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না আর যদি নবী না হয়ে থাকেন তাহলে
আমরা আপনার অনিষ্ট থেকে অব্যাহতি অর্জন করব ৷” রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) এ যহিলাটিকে ক্ষমা করে
দেন, তাকে কোন শাস্তি দেননি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহাবীদের মধ্যে হারা এ গোশত
থেয়েছিলেন তাদের কেউ কেউ মৃতু ভ্যু মুখে পতিত হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিষ মিশ্রিত বকরী
খাওয়ায় পিঠের উপরিভাগ থেকে রক্ত মােক্ষণ করান ৷ এক সাহাবী আবু হিন্দ (রা), একটি ছুরি ও
সিৎগার সাহায্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রক্ত মােক্ষণ করেন ৷ তিনি ছিলেন অন্যেসারের বনু বায়াদার
একজন আযাদকৃত দাস ৷

এরপর আবু দাউদ (ব) ওহব ইবন বাকিয়্যা আবু সালাম৷ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, “ খায়বারে এক ইয়াহুদী মহিলা একটি ভুন৷ বকবী হাদিয়৷ স্বরুপ প্রেরণ
করেছিলেন ৷ বাকী হাদীছ পুর্বরুপ জাবিরের হাদীছের ন্যায় বর্ণনা করেন ৷ এরপর আবু সালামা (রা )
বলেন, এরপর বিশর ইবন বারা ইবন মা’রুর (রা)-এর বিষক্রিয়ায় ইন্তিকাল করেন ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইয়াহুদী মহিলার কাছে লোক প্রেরণ করেন ও তাকে বলেন, তুমি এ কাজটি
কেন করলে ? ” এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) এ মহিলাটিকে হত্যা করার হুকুম দিয়েছিলেন ৷ এ হাদীছে
রক্ত মােক্ষণের কোন উল্লেখ নেই ৷

বায়হাকী (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, প্রথমে
যহিলাটিকে হত্যা হয়ত করা হয়নি ৷ এরপর যখন বিশর ইবন বার৷ ইনতিকাল করেন তখন তাকে
হত্যা করার হুকুম দেওয়া হয় ৷

বায়হাকী( ব ) আবদুর রহমান ইবন কা ৷’ব ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, একজন ইয়াহ্রদী মহিলা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে খায়বারে একটি ভুনা বকরী হাদিয়া
প্রেরণ করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, “এটা কি ? সে বলল, “হাদিয়৷ ৷” সে সাদকা
না বলার ব্যাপারে সতর্ক ছিল, কেননা, তাহলে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) খাবেন না ৷ রাবী বলেন, “এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং তার সাহাবীগণ তা থেকে খেলেন ৷ এরপর তিনি বলেন, খাওয়া থেকে
বিরত থাক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি বিষ মিশ্রিত করেছ ?
মহিলাটি বলল, “আপনাকে কে এ সংবাদটি দিল ? তিনি বললেন, এ হাড়টি, যা৩ তার হাতে ছিল ৷
মহিলাটি বলল, “জী হ্যা” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কেন ?” মহিলাটি বলল, নামি ইচ্ছে
করেছিলাম যে, যদি আপনি মিথুাক হন তাহলে আমরা আপনার উপদ্রব থেকে পরিত্রাণ পাব ৷ আর
যদি আপনি সত্যিক৷ ৷র নবী হন তাহলে এটা আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ৷ রাবী বলেন
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) পিঠের উপরিভ৷ ৷গ থেকে রক্ত মােক্ষণ করান এবং সাহাবায়ে কিরামকেও
এরুপ করতে হুকুম দেন ৷ সাহাবায়ে কিরামও রক্ত মোক্ষণ করান ৷ তবে তাদের একজন মারা
যান ৷ যুহরী (র ) বলেন, “মহিলাটি পরে মুসলমান হয়ে গিয়েছিল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটিকে
ক্ষমা করে দিয়েছিলেন ৷


[قِصَّةُ الشَّاةِ الْمَسْمُومَةِ] ذِكْرُ قِصَّةِ الشَّاةِ الْمَسْمُومَةِ، وَمَا كَانَ مِنَ الْبُرْهَانُ الَّذِي ظَهَرَ عِنْدَهَا قَالَ الْبُخَارِيُّ: رَوَاهُ عُرْوَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي سَعِيدٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «لَمَّا فُتِحَتْ خَيْبَرُ أُهْدِيَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةٌ فِيهَا سُمٌّ» . هَكَذَا أَوْرَدَهُ هَاهُنَا مُخْتَصَرًا. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا لَيْثٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «لَمَّا فُتِحَتْ خَيْبَرُ أُهْدِيَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةٌ فِيهَا سُمٌّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اجْمَعُوا لِي مَنْ كَانَ هَاهُنَا مِنَ الْيَهُودِ ". فَجَمَعُوا لَهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي سَائِلُكُمْ عَنْ شَيْءٍ، فَهَلْ أَنْتُمْ صَادِقِيَّ عَنْهُ؟ " قَالُوا: نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ. فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ أَبُوكُمْ؟ قَالُوا: أَبُونَا فُلَانٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَذَبْتُمْ، بَلْ أَبُوكُمْ فُلَانٌ ". قَالُوا:
পৃষ্ঠা - ৩১৮৫
صَدَقْتَ وَبَرَرْتَ. فَقَالَ: " هَلْ أَنْتُمْ صَادِقِيَّ عَنْ شَيْءٍ إِنْ سَأَلْتُكُمْ عَنْهُ؟ " قَالُوا: نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ، وَإِنْ كَذَبْنَاكَ عَرَفْتَ كَذِبَنَا، كَمَا عَرَفْتَهُ فِي أَبِينَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ أَهْلُ النَّارِ؟ " فَقَالُوا: نَكُونُ فِيهَا يَسِيرًا، ثُمَّ تَخْلُفُونَا فِيهَا. فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَاللَّهِ لَا نَخْلُفُكُمْ فِيهَا أَبَدًا ". ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: " هَلْ أَنْتُمْ صَادِقِيَّ عَنْ شَيْءٍ سَأَلْتُكُمْ؟ " فَقَالُوا: نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ. فَقَالَ: " هَلْ جَعَلْتُمْ فِي هَذِهِ الشَّاةِ سُمًّا؟ " فَقَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: " مَا حَمَلَكُمْ عَلَى ذَلِكَ؟ ". قَالُوا: أَرَدْنَا إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا أَنْ نَسْتَرِيحَ مِنْكَ، وَإِنْ كُنْتَ نَبِيًّا لَمْ يَضُرَّكَ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي الْجِزْيَةِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، وَفِي الْمُغَازِي أَيْضًا، عَنْ قُتَيْبَةَ كِلَاهُمَا عَنِ اللَّيْثِ، بِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «
পৃষ্ঠা - ৩১৮৬

ইবন লাহীয়াহ — — যুহ্রী (র) হতে উল্লেখ করেন যে, যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বার জয়
করলেন যারা নিহত হওয়ার তারা নিহত হলেন ৷ যয়নাব বিনৃত হারিছ ইয়াহ্দী মহিলা সাফিয়্যা
(রা) কে একটি বিষ মিশ্রিত ভুন৷ বকবী হাদিয়া পাঠাল ৷ মহিলাটি ছিল খায়বারের বীর মারহাবের
ভাতিজী ৷ সে সামনের রানে বেশী বিষ মিশ্রিত করেছিল, কেননা , সে জেনে নিয়েছিল যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সামনের পায়ের পােশত বেশী পসন্দ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফিয়্যা (রা)-এর
ঘরে চুকলেন তার সাথে ছিলেন বিশর ইবন বারা ইবন মা’রুর ৷ তিনি ছিলেন বনু সালামার
একজন ৷ তাদের কাছে ভুন৷ বকরীটি পেশ করা হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সামনের পায়ের রান থেকে
র্দাত দিয়ে কিছু গোশত কেটে খেলেন ৷ বিশ্ব (বা) ও একটি হাড় নিলেন এবং তার থেকে দীত
দিয়ে কিছু গোশত থেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন লুকমাঢি গিলে ৷হৰুলেন বিশর ইবন বারাও তার
মুখে যা ছিল তা গিলে ফেললেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তৎক্ষণাৎ বলে উঠলেন, তোমরা খাওয়া থেকে
বিরত থাক ৷ বকরীর টুকরাটি আমাকে সং বাদ দিচ্ছে যে এটার মধ্যে মৃত্যু নিহিত রয়েছে ৷ বিশর
ইবন আল বারা (রা) বলেন, “ঐ সত্তা র শপথ, যিনি আপনাকে মর্যাদা দান করেছেন আমি আমার
খাবারের মধ্যে এটা টের পেয়েছিলাম, কিন্তু আমি আমার খাবার এ ভয়ে ফেলে দেইনি যে হয়ত
এতে আপনি বিরক্তিবােধ করবেন ৷ এরপর আ পনার মুখে যা ছিল তা আপনি গিলে ফেললে আমি
তা থেকে বিরত থাকতে পারিনি, যদিও আমি ঢেয়েছিলাম যে আপনি যেন তা না পিলেন, যার
মধ্যে মৃত্যু নিহিত রয়েছে ৷ বিশর (রা) নিজ স্থান থেকে উঠে র্দাড়াতে পারলেন না, তার গায়ের
রং সবুজ চাদরের আকার ধারণ করল ৷ ১ তবে ব্যথা আর তাকে বেশী সময় দিলন৷ ৷ তিনি যেন
আর নড়াচড়া করতে পারছেন না এবং তিনি চলে পড়লেন ৷

যুহ্রী বলেন, জাবির (রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঐদিন রক্ত মোক্ষণ করান ৷ বনুবায়াদা
এর একজন দাস ত৷ ৷কে ছুরি ও সিংগার সাহায্যে রক্ত মােক্ষণ করেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তিন
বছর জীবিত ছিলেন ৷ আ র এ ব্যথায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷ তিনি বলরুত ন খায়বারের দিন আমি
যে বকরীটির গোশত থেয়েছিলাম তার ব্যথা আমি প্রায়ই অনুভব করতাম এমনকি মৃতার সময়
এর কারণে যেন আমার হৃদয় হতে শ্যেগিত স্রোতোবাহী ধমনীটি ছিড়ে গেছে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্
(সা) শাহাদতের মৃত্যুবরণ করেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, খায়বারের যুদ্ধে যখন রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) জয়লাভ করে স্বস্থির
নিঃশ্বাস ফেললেন, তখন সাল্লাম ইবন মিশকামের ত্রী যয়নাব বিনৃত হারিছ রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) এর
কাছে একটি ভুন৷ বকবী হাদিয়া স্বরুপ প্রেরণ করল ৷ রকরীর কোন অংশটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকট অধিকতর প্রিয় যে তা জানতে চেয়েছিল ৷ তখন তাকে বলা হয়েছিল সামনের পায়ের রান ৷
তাই যে তাতে বেশী বিষ মিশ্রিত করেছিল ৷ এরপর গোটা বকরীতে বিষ মিশ্রিত করল এবং তা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে নিয়ে আসল ৷ যখন সে বকরীটি তার সামনে রাখল তখন তিনি
সামনের পায়ের রানটি উঠিয়ে তার থেকে এক টুকরা চিরালেন; কিন্তু তা গিললেন ন৷ ৷ আর তার
সাথে ছিলেন বিশর ইবন বারা ইবন মারুর ৷ তিনিও তারই মত ৩বকরীর সামনের পায়ের রান
থেকে কিছু গােশত নিলেন,ত তবে বিশর (রা)৩ তা পিলে ফেললেন ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) তা মুখ

১ বাংলা পরিভাষায় বিযক্রিয়ার প্রভাবকে নীিল বলা হলেও আরবী পরিভাষায় খাযর বা সবুজ শব্দটি
ব্যবহৃত হয়ে থাকে ৷ সম্পাদকদ্বয় ৷




أَنَّ امْرَأَةً مِنَ الْيَهُودِ أَهْدَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةً مَسْمُومَةً، فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: " أَمْسِكُوا، فَإِنَّهَا مَسْمُومَةٌ " وَقَالَ لَهَا: مَا حَمَلَكِ عَلَى مَا صَنَعْتِ؟ قَالَتْ: أَرَدْتُ أَنْ أَعْلَمَ، إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا فَسَيُطْلِعُكَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَإِنْ كُنْتَ كَاذِبًا أُرِيحُ النَّاسَ مِنْكَ. قَالَ: فَمَا عَرَضَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ هَارُونِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سُلَيْمَانَ، بِهِ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ نَحْوَ ذَلِكَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُرَيْجٌ، ثَنَا عَبَّادٌ، عَنْ هِلَالٍ - هُوَ ابْنُ خَبَّابٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ امْرَأَةً مِنَ الْيَهُودِ أَهَدَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةً مَسْمُومَةً، فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَقَالَ: " مَا حَمَلَكِ عَلَى مَا صَنَعْتِ؟ " قَالَتْ: أَحْبَبْتُ - أَوْ أَرَدْتُ - إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا فَإِنَّ اللَّهَ سَيُطْلِعُكَ عَلَيْهِ، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ نَبِيًّا أُرِيحُ النَّاسَ مِنْكَ. قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا احْتَجَمَ. قَالَ: فَسَافَرَ مَرَّةً، فَلَمَّا أَحْرَمَ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَاحْتَجَمَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ حَسَنٌ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، «عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ امْرَأَةً يَهُودِيَّةً أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَاةٍ مَسْمُومَةٍ، فَأَكَلَ مِنْهَا، فَجِيءَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ، قَالَتْ: أَرَدْتُ لِأَقْتُلَكَ. فَقَالَ: " مَا
পৃষ্ঠা - ৩১৮৭
كَانَ اللَّهُ لِيُسَلِّطَكِ عَلَيَّ ". أَوْ قَالَ: " عَلَى ذَلِكَ ". قَالُوا: أَلَا نَقْتُلُهَا؟ قَالَ: " لَا " قَالَ: أَنَسٌ فَمَا زِلْتُ أَعْرِفُهَا فِي لَهَوَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ: قَالَ كَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ «أَنَّ يَهُودِيَّةً مِنْ أَهْلِ خَيْبَرَ سَمَّتْ شَاةً مَصْلِيَّةً، ثُمَّ أَهْدَتْهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الذِّرَاعَ، فَأَكَلَ مِنْهَا، وَأَكَلَ رَهْطٌ مِنْ أَصْحَابِهِ مَعَهُ، ثُمَّ قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ ". وَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَرْأَةِ، فَدَعَاهَا فَقَالَ لَهَا: " أَسَمَمْتِ هَذِهِ الشَّاةَ؟ " قَالَتِ الْيَهُودِيَّةُ: مَنْ أَخْبَرَكَ؟ قَالَ: " أَخْبَرَتْنِي هَذِهِ الَّتِي فِي يَدِي ". وَهِيَ الذِّرَاعُ. قَالَتْ: نَعَمْ. قَالَ: " فَمَا أَرَدْتِ بِذَلِكَ؟ " قَالَتْ: قُلْتُ: إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا فَلَنْ تَضُرَّكَ، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ نَبِيًّا اسْتَرَحْنَا مِنْكَ. فَعَفَا عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يُعَاقِبْهَا، وَتُوَفِّيَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ أَكَلُوا مِنَ الشَّاةِ، وَاحْتَجَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى كَاهِلِهِ، مِنْ أَجْلِ الَّذِي
পৃষ্ঠা - ৩১৮৮

থেকে ফেলে দিয়ে বললেন এ হাড়টি আমাকে সং বাদ দিচ্ছে যে তার মধ্যে বিষ মিশ্রিত করা
হয়েছে ৷ এরপর মহিলাটিকে রাসুলুল্লাহ (সা ) ড ৷কলেন এবং জিজ্ঞেস করায় সেত তা স্বীকার করল ৷
তিনি বললেন, “তুমি এ কা ৷জটি কেন করলে ?” মহিলাটি বলল “আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে আমার
মর্যাদা সম্পর্কে আপনি জানেন ৷৩ তাই একজন নেত্রী হিসাবে আমি ইচ্ছে পোষণ করেছিলাম যে,
যদি আপনি মিথ্যাবাদী হন তাহলে আমি আপন র অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাব ৷ আর যদি আপনি সত্যি
সত্যি নবী হন তাহলে আপনাকে এ ব্যাপারে সংবাদ দেয়া হবে ৷ রাবী বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে ক্ষমা করে দেন ৷ আর বিশ ৷র (বা ) বকরীর গোশত খাওয়ার কা ৷রণে ইনতি৷ ক ৷ল করেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন মারওয়ান ইবন উছমান ইবন আবু সাঈদ আল মুয়াল্লাহ তাকে বলেছেন
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে রোগ শয্যায় মৃতু ত্যুবরণ করেন তথায বিশর ইবন বাবা ইবন
মা কর এর ভগ্নি উপস্থিত হলে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, হে বিশরের বোন ! ণ্৷ মুহতে আমি
বো ধ করতেছি যে, খায়বারে তোমার ভইিয়ের সাথে যে বকরীর পােশত থাে:হ্বাছিলাম তার কারণে
যেন, আমার ধমনী ছিড়ে গেছে ৷” রাবী বলেন, মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহর রাসুল
(সা) আল্লাহ প্রদত্ত নবুওয়াতের সৃমহান মর্যাদার সাথে সাথে এভাবে শাহাদতের মর্যাদাও লাভ
করেছিলেন ৷

হাফিয আবু বকর আল-বাঘৃযার (র) হিলাল ইবন বিশর আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা )
সুত্রেও ঘটনাটি বংনাি করেছেন ৷ এতে অতিরিক্ত আছে এরপর তিনি হাত বাড়ালেন এবং সকলকে
বললেন, “আল্লাহর নামে খাও ৷ ” রাবী বলেন, আমরা আল্লাহর নাম নিয়ে যেলাম ৷ আমাদের
কারো কোন ক্ষতি হয় নাই ৷

গ্রন্থকার বলেন, এ বংনািয় বেশ কিছু বিরল ও অগ্রহণযোগ্য ব্যাপার রয়েছে ৷ আল্লাহ
তাআলাই অধিক জ্ঞাত ৷

ওয়াকিদী উল্লেখ করেন, উয়ায়ন৷ ইবন হিসৃন মুসলমান হওয়ার পুর্বে রাসুলুল্লাহ (সা) খায়বার
অবরোধ করে রয়েছেন স্বপ্ন দেখে , রাসুলুল্লাহ (সা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করার আশা পোষণ
করছিল ৷ যখন সে খায়বারে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর কাছে আগমন করল তখন দেখল যে, তিনি
খায়বার জয় করে ফেলেছেন ৷ সে বলল, হে মুহাম্মাদ ! আমার মিত্র খায়বারবাসীদের কাছ থেকে
তুমি যে পনীমত অর্জন করেছ৩ তা আমাকে দিয়ে দাও ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে বললেন, তোমার
স্বপ্ন তোমাকে প্ৰতারিত করেছে ৷ সে য৷ দেথেছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার বর্ণনা পেশ করেন ৷
এরপর উয়ায়না ফিরে যায় ৷ তখন হারিছ ইবন আউফের সাথে তার সাক্ষাত হল ৷ হারিছ বললেন
আমি কি তোমাকে বলিনি যে, “তুমি ভুল করছ ৷ আল্লাহ্র শপথ! মুহাম্মাদ পুর্ব দিগন্ত হতে
পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত জয় করবেন ৷ ইয়াহুদীরা আমাদেরকে পৃর্বে এ ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে ৷৩ তাই
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আবু রাফি সাল্লাম ইবন আবুল হুকাইককে বলতে শুনেছি ৷ সে
বলেছে, “আমরা নবুওয়াতের ব্যাপারে ঘুহাম্মাদকে হিৎসা করছি ৷ কেননা, তার মাধ্যমে হারুন
(আ)-এর বংশ থেকে নবুওয়াত বের হয়ে গেল ৷ তিনি নিশ্চয়ই একজন প্রেরিত মহাপুরুষ ৷ আর
ইয়াহ্রদীরা এ ব্যাপারে আমার কথা মান্য করছে না ৷ আমাদের জন্যে তার পক্ষ হতে দুটি হত্যাযজ্ঞ
রয়েছে একটি ইয়াছরিবে এবং অপরটি খায়বারে ৷ হারিছ বলেন, আমি সাল্লামকে আরো


أَكَلَ مِنَ الشَّاةِ، حَجَمَهُ أَبُو هِنْدٍ بِالْقَرْنِ، وَالشَّفْرَةِ وَهُوَ مَوْلَى لِبَنِي بَيَاضَةَ مِنَ الْأَنْصَارِ» . ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، ثَنَا خَالِدٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْدَتْ لَهُ يَهُودِيَّةٌ بِخَيْبَرَ شَاةً مَصْلِيَّةً، نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ، قَالَ: فَمَاتَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ، فَأَرْسَلَ إِلَى الْيَهُودِيَّةِ، فَقَالَ: " «مَا حَمَلَكِ عَلَى الَّذِي صَنَعْتِ؟» " فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ، فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُتِلَتْ. وَلَمْ يَذْكُرْ أَمْرَ الْحِجَامَةِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَوَيْنَاهُ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: وَيُحْتَمَلُ أَنَّهُ لَمْ يَقْتُلْهَا فِي الِابْتِدَاءِ، ثُمَّ لَمَّا مَاتَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ أَمَرَ بِقَتْلِهَا. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ امْرَأَةً يَهُودِيَّةً أَهْدَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةً مَصْلِيَّةً بِخَيْبَرَ، فَقَالَ: " مَا هَذِهِ؟ " قَالَتْ: هَدِيَّةٌ. وَحَذِرَتْ أَنْ تَقُولَ: صَدَقَةٌ. فَلَا يَأْكُلُ. قَالَ: فَأَكَلَ وَأَصْحَابُهُ، ثُمَّ قَالَ: " أَمْسِكُوا ". ثُمَّ قَالَ
পৃষ্ঠা - ৩১৮৯
لِلْمَرْأَةِ: " هَلْ سَمَمْتِ هَذِهِ الشَّاةَ؟ " قَالَتْ: مَنْ أَخْبَرَكَ هَذَا؟ قَالَ: " هَذَا الْعَظْمُ ". لِسَاقِهَا، وَهُوَ فِي يَدِهِ. قَالَتْ: نَعَمْ. قَالَ: " لِمَ؟ " قَالَتْ: أَرَدْتُ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا أَنْ نَسْتَرِيحَ مِنْكَ، وَإِنْ كُنْتَ نَبِيًّا لَمْ يَضُرَّكَ. قَالَ: فَاحْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْكَاهِلِ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ فَاحْتَجَمُوا، وَمَاتَ بَعْضُهُمْ» . قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَأَسْلَمَتْ، فَتَرَكَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: هَذَا مُرْسَلٌ، وَلَعَلَّهُ قَدْ يَكُونُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ حَمَلَهُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَذَكَرَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، وَكَذَلِكَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالُوا: «لَمَّا فَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ، وَقَتَلَ مِنْهُمْ مَنْ قَتَلَ، أَهْدَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ الْحَارِثِ الْيَهُودِيَّةُ - وَهِيَ ابْنَةُ أَخِي مَرْحَبٍ - لِصَفِيَّةَ شَاةً مَصْلِيَّةً وَسَمَّتْهَا، وَأَكْثَرَتْ فِي الْكَتِفِ وَالذِّرَاعِ، لِأَنَّهُ بَلَغَهَا أَنَّهُ أَحَبُّ أَعْضَاءِ الشَّاةِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى صَفِيَّةَ، وَمَعَهُ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ، وَهُوَ أَحَدُ بَنِي سَلَمَةَ، فَقَدَّمَتْ إِلَيْهِمُ الشَّاةَ الْمَصْلِيَّةَ، فَتَنَاوَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَتِفَ، وَانْتَهَشَ مِنْهَا، وَتَنَاوَلَ بِشْرٌ عَظْمًا فَانْتَهَشَ مِنْهُ، فَلَمَّا اسْتَرَطَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لُقْمَتَهُ، اسْتَرَطَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ مَا فِي فِيهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ، فَإِنَّ كَتِفَ هَذِهِ الشَّاةِ يُخْبِرُنِي أَنِّي نُعِيتُ فِيهَا ".
পৃষ্ঠা - ৩১৯০
’ ণ্


বললাম , তিনি কি গোটা ভু-খণ্ডের অধিপতি হবেন ? সে বলল, “ইব্রুা, যে তাওরাত মুসা (আ)-এর
উপর নাযিল হয়েছে এটা তারই বাণী, তবে আমি চাইন৷ যে ইয়াহ্রদীরা এ বিষয়ে আমার এ বক্তব্য
অবগত হোক ৷

সালড়াত কাযা হওয়ার ঘটনা

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যখন খায়বার বিজয় সম্পন্ন করলেন তখন ওয়াদিল্
করার দিকে অগ্রসর হলেন এবং সেখানকার বাসিন্দাদেরকে কয়েক রাত অবরোধ করে রাখলেন ৷
এরপর তিনি মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন ৷ ইবন ইসহাক মিদৃআমের ঘটান৷ বর্ণনা করেন ৷ (কমন
করে বিক্ষিপ্ত তীর তার পায়ে লেগেছিল এবং সে নিহত হলো ৷ জনগণ বল:ত লাগল তার জন্যে
শাহাদত শুভ হোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কখনো না ৷ যে সত্তাব হাতে আমার জান, তার
শপথ করে বলছি, থায়বারেব দিন গনীমত বিতরগ্নের পুর্বে একটি চাদর গোপন করেছিল ৷ এটার
দরুন তার উপর অগ্নি প্রজ্বলিত হতে থাকবে ৷

বুখারীতে ইবন ইসহাকের অনুরুপ বর্ণনা পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ইমাম আহমদ (র) — যায়িদ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রা ) হতে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণের মধ্য হতে আশজা গোত্রের এক ব্যক্তি খায়বারের দিন
নিহত হয় ৷ এ সম্বন্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-(ক অবগত করা হলে তিনি বলেন, তোমাদের সাথীর
জন্যে (তামরাই জানাযার সালাত আদায় করো ৷ তাতে অনেরেইি বিমর্ষ হয়ে পড়লেন ৷ হুযুর
(সা ) বললেন, তোমাদের এ সাথীটি আল্লাহ্র সম্পদ আত্মসাৎ করেছে ৷ আমরা তার বিছানাপত্র
তল্লাশী করলাম ৷ তার মধ্যে ইয়াহ্রদীদের একটি হার পাওয়া গেল যার মুল্য ছিল মাত্র দুই
দিরহাম ৷ আবু দাউদ (র ) এবং ইমাম নড়াসাঈ (র ) ও ইয়াহয়া ইবন সাঈদ আল কাত্তানের মাধ্যমে
অনুরুপ বংনি৷ করেন ৷

ইমাম বায়হার্কী (র) উল্লেখ করেন যে, খায়বার থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে বনু ফাযারা মনস্থু করল এবং এজন্যে তারা সৈন্য সমাবেশ
করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এ সম্পর্কে অবগত হয়ে একটি সুনির্দিষ্ট স্থানে মৃকাবিলার জন্যে নিজেদের
প্রস্তুতি সম্পর্কে সংবাদ জানাবার জন্যে একজন দুত পাঠালেন ৷ যখন তারা মুসলমানদের প্রস্তুতি
সম্পর্কে নিশ্চিত হল তখন তারা যে যেভাবে পারল পালিয়ে প্রাণ বীচাল ৷

ইমাম বায়হাকী (র) আরো বলেন যে, মদীনায় পথে সাদ্দুস-সড়াহ্বা নামক এক জায়গায় যখন
হযরত সাফিয়্যা (রা) পবিত্রত৷ অর্জন করলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (না) তার সাথে বাসর করলেন
হাইস দ্বারা ওলীমা করলেন এবং সেখানে তার সাথে তিন রাত্রি যাপন করলেন ৷ হযরত সাফিয়্যা
(রা) মুসলমান হলেন, রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে আযাদ করে দিলেন ৷ তাকে ব্যিয় করলেন এবং
তার মুক্তিকে মােহরান৷ সাব্যস্ত করলেন ৷ তিনি যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সফর সৎগী ছিলেন
তখন রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে নিজের পিছনে বসিয়ে দেন এবং তার জন্যে পর্দার ব্যবস্থা করে দেন ৷
এতে মুসলমানগণ বুঝতে পারলেন যে, তিনি তখন একজন উম্মুল মু’মিনীন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক তার সীরাত গ্রন্থে আরো উল্লেখ করেন যে, খায়বার কিৎবা খায়বারেব
৪৮ —


فَقَالَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ: وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لَقَدْ وَجَدْتُ ذَلِكَ فِي أَكْلَتِي الَّتِي أَكَلْتُ، فَمَا مَنَعَنِي أَنْ أَلْفِظَهَا إِلَّا أَنِّي أَعْظَمْتُكَ أَنْ أُنَغِّصَكَ طَعَامَكَ، فَلَمَّا أَسَغْتَ مَا فِي فِيكَ، لَمْ أَرْغَبْ بِنَفْسِي عَنْ نَفْسِكَ، وَرَجَوْتُ أَنْ لَا تَكُونَ اسْتَرَطْتَهَا وَفِيهَا نَعْيٌ. فَلَمْ يَقُمْ بِشْرٌ مِنْ مَكَانِهِ حَتَّى عَادَ لَوْنُهُ كَالطَّيْلَسَانِ، وَمَاطَلَهُ وَجَعُهُ، حَتَّى كَانَ لَا يَتَحَوَّلُ حَتَّى يُحَوَّلَ» قَالَ الزُّهْرِيُّ: قَالَ جَابِرٌ: «وَاحْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ، حَجَمَهُ مَوْلَى بَنِي بَيَاضَةَ بِالْقَرْنِ وَالشَّفْرَةِ، وَبَقِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَهُ ثَلَاثَ سِنِينَ، حَتَّى كَانَ وَجَعُهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، فَقَالَ: " مَا زِلْتُ أَجِدُ مِنَ الْأَكْلَةِ الَّتِي أَكَلْتُ مِنَ الشَّاةِ يَوْمَ خَيْبَرَ عِدَادًا، حَتَّى كَانَ هَذَا أَوَانَ انْقِطَاعِ أَبْهَرِي» ". فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهِيدًا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: «فَلَمَّا اطْمَأَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْدَتْ لَهُ زَيْنَبُ بِنْتُ الْحَارِثِ امْرَأَةُ سَلَّامِ بْنِ مِشْكَمٍ شَاةً مَصْلِيَّةً، وَقَدْ سَأَلَتْ: أَيُّ عُضْوٍ أَحَبُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقِيلَ لَهَا: الذِّرَاعُ، فَأَكْثَرَتْ فِيهَا مِنَ السُّمِّ، ثُمَّ سَمَّتْ سَائِرَ الشَّاةِ، ثُمَّ جَاءَتْ بِهَا، فَلَمَّا وَضَعَتْهَا بَيْنَ يَدَيْهِ، تَنَاوَلَ الذِّرَاعِ، فَلَاكَ
পৃষ্ঠা - ৩১৯১
مِنْهَا مُضْغَةً فَلَمْ يُسِغْهَا، وَمَعَهُ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ، قَدْ أَخَذَ مِنْهَا كَمَا أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَّا بِشْرٌ فَأَسَاغَهَا، وَأَمَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَفَظَهَا، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ هَذَا الْعَظْمَ يُخْبِرُنِي أَنَّهُ مَسْمُومٌ ". ثُمَّ دَعَا بِهَا، فَاعْتَرَفَتْ، فَقَالَ: " مَا حَمَلَكِ عَلَى ذَلِكَ؟ " قَالَتْ: بَلَغْتَ مِنْ قَوْمِي مَا لَمْ يَخْفَ عَلَيْكَ فَقُلْتُ: إِنْ كَانَ كَذَّابًا اسْتَرَحْتُ مِنْهُ، وَإِنْ كَانَ نَبِيًّا فَسَيُخْبَرُ قَالَ: فَتَجَاوَزَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَاتَ بِشْرٌ مِنْ أَكْلَتِهِ الَّتِي أَكَلَ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَرْوَانُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَالَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ - وَدَخَلَتْ عَلَيْهِ أُمُّ بِشْرِ بْنِ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ -: " يَا أُمَّ بِشْرٍ، إِنَّ هَذَا الْأَوَانَ وَجَدْتُ انْقِطَاعَ أَبْهَرِي مِنَ الْأَكْلَةِ الَّتِي أَكَلْتُ مَعَ أَخِيكِ بِخَيْبَرَ ".» قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: الْأَبْهَرُ: الْعِرْقُ الْمُعَلَّقُ بِالْقَلْبِ. قَالَ: فَإِنْ كَانَ الْمُسْلِمُونَ لَيَرَوْنَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ شَهِيدًا، مَعَ مَا أَكْرَمَهُ اللَّهُ بِهِ مِنَ النُّبُوَّةِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا هِلَالُ بْنُ بِشْرٍ وَسُلَيْمَانُ بْنُ سَيْفٍ
পৃষ্ঠা - ৩১৯২

পথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফিয়্যা (রা)-এর সাথে বাসর করলেন, আনাস বিন মালিক (বা)-এর মাতা
উম্মে সুলায়ম বিনৃত মিলহ ন (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্যে সাফিয়্যা (রা) কে সাজান, চুল
আচড়িয়ে দেন ও (বশভুষায় সজ্জিত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাকে নিয়ে একটি তাবুতে রাত
যাপন করেন ৷ আবু অাইযুব আনসারী (রা ) তরবারি হাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে সারারাত পাহারা
দেন ৷ ভোরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন তাকে তার জায়গায় দেখলেন তখন তিনি বললেন, হে আবু
আইয়ুব ! কী ব্যাপার ? তিনি বললেন এ মহিলা সম্পর্কে আপনার বাপারে আমি শঙ্কিত ছিলাম ৷
কেননা, আপনি তার পিতা,ামী ও তার সম্প্রদায়কে হত্যার নির্দেশাদয়েছিলেনঃ ৷ আর তিনি অল্প
কদিন আগেও অমুসলিম ছিলেন এজন্য আমি শঙ্কিত ছিলাম ৷ স হাশ্বায়ে কিরাম (বা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন , হে আল্লাহ্ ৷ আপনি আবু আইয়ুবকে হিফাযত করুন যেভাবে তিনি রাত
জেগে জেগে আমাকে হিফাযত করেছেন ৷

এরপর মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, সাঈদ ইবন মুসাইয়িৎ (র) এ)-র বরাতে যুহরী (র)
আমাকে খাযবার থেকে প্রতব্রাবর্তনের সময় ফজরের সালাত আদায় বটুা৩াত সাহাবায়ে কিরামেব
নিদ্রায় মগ্ন হয়ে পড়ার বিষয়টি আমাকে অবহিত করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ই সর্বপ্রথম সজাগ হন
এবং বলেন, হে বিলাল, “তুমি কী করলে ? ” বিলাল (রা) বলেন, ইয়া বাসুলাল্লাহ্ (সা ) যে রুিদা
আপনাকে কাবু করেছে তা আমাকে ও কাবু করে কেলেছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেন, “তুমি
যথার্থাং বলেছ” ৷ এরপর কিছুক্ষণ আবার উট ইাকানাে হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অবতরণ করলেন,
উয়ু করলেন এবং যথারীতি ফজরের সালাত আদায় করলেন ৷

এ হাদীছটি যুহরী হতে ইমাম মালিক (র) ও অন্য সনদে মুরসাল রুপে বংনাি করেছেন ৷

আবু দাউদ (র) ও আবু হুরায়রা (রা)-এর বরাতে এ ঘটনাটি অনুদৃঘটিত বর্ণনা
করেন, তাতে অতিরিক্ত আছে ; সালাত সমাপ্তির পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেনং হু১£০;ন্ ৰু ন্ট্রুন্
(ছুার্মু,দ্বুট্রু ৷ট্রু ৷ ৷শুাহ্লাৰু অর্থাৎ যদি কেউ কোন সালাত পড়তে ভুলে যায় তাহলে যখনই স্মরণ
হবে তখনই যে তা আদায় করে নেবে ৷ কেননা, আল্লাহ্ তাআলা কুবআনুল কারীমে ইরশাদ
করেনং :§ ,$;fl ল্গুপ্রুা৷ ৷ ণ্ ৷ , অর্থাৎ আমার স্মরণার্থো সালাত কায়েম কর ৷ (২০ তাহা : ১৪)

মুসলিম (র) ও টআবদুল্লাহ ইবন ওহাব হতে অনুরুপ বর্ণনাকরেন এবং এ বর্ণনায় ও
খায়বাব থেকে প্ৰতাবর্তনের সময় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে উল্লেখ রয়েছে ৷
শুবা (র) ইবন মাসউদ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন , আসলে এ ঘটনাটি

ঘটেছিল হুদায়বিয়া থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় ৷ আর বিলাল (রা)-ই পাহারায় রত ছিলেন বলে
উল্লেখ রয়েছে ৷ অপর বর্ণনায় আছে, এ ঘটনায় পাহারারত ছিলেন ইবন মাসউদ (রা) নিজে ৷
উপরোক্ত বিরোধু নিরসনকল্পে ইমাম বায়হাকী (র) বলেন, এরুপ ঘটনা দুই বারও ঘটে
থাকতে পারে ৷
ওয়াকিদী আবু কাতাদা (রা)এর বরাতে বলেন যে সাহাবায়ে কিরাম তাবুক যুদ্ধ থেকে
প্রত্যাবর্তনের সময় এ ঘটনাটি ঘটে ৷ জাফর ইবন সুলায়মান ইবন মাসউদ (রা ) থেকে
বংনাি করেন যে, সাহাবায়ে কিরাম তাবুক হতে প্রত্যাবর্তনের সময় এ ঘটনা ঘটে ৷


الْحَرَّانِيُّ قَالَا: ثَنَا أَبُو عَتَّابٍ سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ: «أَنَّ يَهُودِيَّةً أَهْدَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةً سَمِيطًا، فَلَمَّا بَسَطَ الْقَوْمُ أَيْدِيَهُمْ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمْسِكُوا فَإِنَّ عُضْوًا مِنْ أَعْضَائِهَا يُخْبِرُنِي أَنَّهَا مَسْمُومَةٌ ". فَأَرْسَلَ إِلَى صَاحِبَتِهَا: " أَسَمَمْتِ طَعَامَكِ؟ " قَالَتْ: نَعَمْ. قَالَ: " مَا حَمَلَكِ عَلَى ذَلِكَ؟ " قَالَتْ: إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا أَنْ أُرِيحَ النَّاسَ مِنْكَ، وَإِنْ كُنْتَ صَادِقًا عَلِمْتُ أَنَّ اللَّهَ سَيُطْلِعُكَ عَلَيْهِ. فَبَسَطَ يَدَهُ وَقَالَ: " كُلُوا بِسْمِ اللَّهِ ". قَالَ: فَأَكَلْنَا وَذَكَرْنَا اسْمَ اللَّهِ، فَلَمْ يَضُرَّ أَحَدٌ مِنَّا» ثُمَ قَالَ: لَا يُرْوَى عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي نَضْرَةَ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. قُلْتُ: وَفِيهِ نَكَارَةٌ وَغَرَابَةٌ شَدِيدَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ عُيَيْنَةَ بْنَ حِصْنٍ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ رَأَى فِي مَنَامِهِ رُؤْيَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَاصِرٌ خَيْبَرَ، فَطَمِعَ مِنْ رُؤْيَاهُ أَنْ يُقَاتِلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَظْفَرُ بِهِ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ وَجَدَهُ قَدِ افْتَتَحَهَا، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَعْطِنِي مَا غَنِمْتَ مِنْ حُلَفَائِي - يَعْنِي أَهْلَ خَيْبَرَ - فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «كَذَبَتْ رُؤْيَاكَ» ". وَأَخْبَرَهُ بِمَا رَأَى، فَرَجَعَ عُيَيْنَةُ، فَلَقِيَهُ الْحَارِثُ بْنُ عَوْفٍ فَقَالَ: أَلَمْ أَقُلْ إِنَّكَ تُوضِعُ فِي غَيْرِ شَيْءٍ؟! وَاللَّهِ لَيَظْهَرَنَّ مُحَمَّدٌ عَلَى مَا
পৃষ্ঠা - ৩১৯৩
بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، وَإِنَّ يَهُودَ كَانُوا يُخْبِرُونَنَا بِهَذَا، أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ أَبَا رَافِعٍ سَلَّامَ بْنَ أَبِي الْحُقَيْقِ يَقُولُ: إِنَّا لَنَحْسُدُ مُحَمَّدًا عَلَى النُّبُوَّةِ حَيْثُ خَرَجَتْ مِنْ بَنِي هَارُونَ، إِنَّهُ لَمُرْسَلٌ، وَيَهُودُ لَا تُطَاوِعُنِي عَلَى هَذَا، وَلَنَا مِنْهُ ذِبْحَانِ، وَاحِدٌ بِيَثْرِبَ، وَآخَرُ بِخَيْبَرَ، قَالَ الْحَارِثُ: قُلْتُ لِسَلَّامٍ: يَمْلِكُ الْأَرْضَ؟! قَالَ: نَعَمْ وَالتَّوْرَاةِ الَّتِي أُنْزِلَتْ عَلَى مُوسَى، وَمَا أُحِبُّ أَنْ تَعْلَمَ يَهُودُ بِقَوْلِي فِيهِ.