আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

من شهد خيبر

পৃষ্ঠা - ৩১৭১

জা ফর ইৰ্ন আবু তালিব ও হাবশায় হিজরতকারী
মুসলমানদের প্রত্যত্বগমণের বিবরণ

ৰুখারী (র) বলেন, মুহাম্মাদ ইবনুল আলা আবুমুসা আশআরী (রা)-এর সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, “আমরা যখন ইয়ামানে ছিলাম তখন রাসুলুল্পাহ (না)-এর নবুয়ত প্রাপ্তির
খবর আমাদের কাছে পৌছে ৷ তাই আমরা তার কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়লাম ৷
আমার আরো দুইজন ভাই ছিল ৷ তাদের একজনের নাম আবুবুরদাহ্ এবং অন্য জনের নাম আবু
রুহম ৷ আমি ছিলাম সকলের ছোট ৷ আমরা ৫২ জন কিৎবা ৫৩ জন একই সম্প্রদায়ের লোক
ছিলাম ৷ আমরা নৌযানে আরোহণ করলাম ৷ নৌযানে আমরা হাবশার (বর্তমান ইথিওপিয়ার)
নাজ্জাশী বাদশাহর দরবারে পৌছলাম ৷ আমরা জাফর ইবন আবুতালিব (না)-এর সাথে সাক্ষাৎ
করলাম ও তার সাথে দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করলাম ৷ পরে আমরা সকলে মিলে রওয়ানা
হলাম এবং খায়বার বিজয়ের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে এসে মিলিত হলাম ৷ কিছু সংখ্যক
লোক আমাদের নৌযান আরোহীদেরকে লক্ষ্য করে বলতে লাপলেন যে, আমরা তোমাদের পুর্বে
হিজরত করেছি ৷ আমাদের সাথে যারা পৌছলেন তাদের মধ্য হতে আসমা বিনৃত উমাইস (বা)
একদিন উম্মুল মু’মিনীন হযরত হাফসা (রা)-এর ঘরে সাক্ষাতের জন্য গেলেন ৷ নাজ্জাশীর দেশে
হিজরতকারিণীদের মধ্যে আসমা (রা) ছিলেন অন্যতম ৷ একদা উমর (রা) হাফসা (বা) এর ঘরে
ঢুকলেন তখন আসমা (রা) ছিলেন হাফসা (রা) এর কাছে উপবিষ্ট ৷ আসমাকে দেখে উমর (রা)
বললেন, ইনি কে ? হাফসা (রা) বলেন, “ইনি আসমা বিনতে উমাইসা (বা) ৷ “ উমর (রা)
বললেন, এটা কি এ হাবশীয়৷ বাহরীয়া ? (অর্থাৎ সমুদ্র পথে হাবশা ভ্রমণকারিণী) ৷ আসমা (রা)
বললেন, “জী হয়” ৷ উমর (রা) বললেন, আমরা তোমাদের পুর্বে হিজরত করেছি ৷ সুতরাং
আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার ৷ এ উক্তিতে আসমা রাপাম্বিত
হলেন এবং বললেন, “কখনও না, আল্লাহর শপথ, আপনারা রাসুলুল্লাহ (সা) এর সংগে ছিলেন ৷
তিনি আপনাদের মধ্যকার ক্ষুধার্তকে খাবার প্রদান করতেন এবং আপনাদের অজ্ঞদেরকে নসীহত
করতেন ৷ অন্যদিকে আমরা ছিলাম দুরতম অপরিচিত দেশ হাবশায় ৷ আর এটা ছিল শুধুমাত্র
আল্লাহ ও রাসুলের পথে সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি কোন কিছু পানাহড়ার করব না
যতক্ষণ না আপনি যা বলেছেন তা আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট উত্থাপন করব, আমি তাকে
তা’ জিজ্ঞেস করব ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি মিথ্যা বলব না, বাক্যে কোন প্রকার তারতম্য করব না
এবং অতিরিক্তও কিছু বলব না ৷ যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাশরীফ ভানেলেন ৷ আসমা (বা) বললেন,
হে আল্লাহর নবী (সা) ! উমর (রা) এরুপ এরুপ বলেছেন ৷ হুয়ুর (সা) বললেন : তুমি তাকে কী
বলেছ ? তিনি বললেন, আমি এরুপ এরুপ বলেছি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “তোমাদের
চেয়ে আমার কাছে অন্য কেউ বেশী হকদার বা প্রিয় নয় ৷ তার এবং তার সাথীদের জন্যে হল
একটি মাত্র হিজরত আর নৌযানে ভ্রমণকারী তোমাদের জন্যে হল দুটি হিজরত ৷” আসমা (রা)
বলেন, “এরপর আবু মুসা আশআরী (রা) ও অন্যান্য নৌযান ভ্রমণকারীদের দেখলাম তারা দলে
দলে আমার কাছে এসে এ কথোপকথন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করতেন ৷ তাদের কাছে দুনিয়ার কোন
জিনিসই রাসুলুল্লাহ (না)-এর এ উক্তির ন্যায় এত আনন্দদায়ক ও এত তাৎপর্যবহ ছিল না ৷ আবু


عَنْهَا فَادْفَعَاهَا إِلَيَّ، وَالَّذِي تَقُومُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ بِأَمْرِهِ لَا أَقْضِي فِيهَا قَضَاءً غَيْرَ هَذَا. فَاسْتَمَرَّا فِيهَا، وَمَنْ بَعْدَهُمَا مِنْ وَلَدِهِمَا إِلَى أَيَّامِ بَنِي الْعَبَّاسِ، تُصْرَفُ فِي الْمَصَارِفِ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْرِفُهَا فِيهَا، أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ وَفَدَكَ، وَسَهْمُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَيْبَرَ. [مَنْ شَهِدَ خَيْبَرَ] فَصْلٌ مَنْ شَهِدَ خَيْبَرَ وَأَمَّا مَنْ شَهِدَ خَيْبَرَ مِنَ الْعَبِيدِ وَالنِّسَاءِ، فَرَضَخَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا مِنَ الْغَنِيمَةِ، وَلَمْ يُسْهِمْ لَهُمْ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، ثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، حَدَّثَنِي عُمَيْرٌ مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ قَالَ: «شَهِدْتُ خَيْبَرَ مَعَ سَادَتِي، فَكَلَّمُوا فِيَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَرَ بِي فَقُلِّدْتُ سَيْفًا، فَإِذَا أَنَا أَجُرُّهُ، فَأُخْبِرَ أَنِّي مَمْلُوكٌ، فَأَمَرَ لِي بِشَيْءٍ مِنْ خُرْثِيِّ الْمَتَاعِ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ الْمُفَضَّلِ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩১৭২
الْمُهَاجِرِ عَنْ قُنْفُذٍ، عَنْ عُمَيْرٍ، بِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَشَهِدَ خَيْبَرَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءً، فَرَضَخَ لَهُنَّ، وَلَمْ يَضْرِبْ لَهُنَّ بِسَهْمٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ سُحَيْمٍ، عَنْ أُمَيَّةَ بِنْتِ أَبِي الصَّلْتِ، عَنِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي غِفَارٍ قَدْ سَمَّاهَا لِي، قَالَتْ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نِسْوَةٍ مِنْ بَنِي غِفَارٍ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ أَرَدْنَا أَنْ نَخْرُجَ مَعَكَ إِلَى وَجْهِكَ هَذَا - وَهُوَ يَسِيرُ إِلَى خَيْبَرَ - فَنُدَاوِي الْجَرْحَى، وَنُعِينُ الْمُسْلِمِينَ بِمَا اسْتَطَعْنَا. فَقَالَ: " عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ ". قَالَتْ: فَخَرَجْنَا مَعَهُ. قَالَتْ: وَكُنْتُ جَارِيَةً حَدَثَةً، فَأَرْدَفَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَقِيبَةِ رَحْلِهِ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ لَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الصُّبْحِ وَأَنَاخَ، وَنَزَلْتُ عَنْ حَقِيبَةِ رَحْلِهِ. قَالَتْ: وَإِذَا بِهَا دَمٌ مِنِّي، وَكَانَتْ أَوَّلَ حَيْضَةٍ حِضْتُهَا. قَالَتْ: فَتَقَبَّضْتُ إِلَى النَّاقَةِ وَاسْتَحْيَيْتُ. فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بِي، وَرَأَى الدَّمَ، قَالَ: " مَا لَكِ؟ لَعَلَّكِ نَفِسْتِ؟ " قَالَتْ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " فَأَصْلِحِي مِنْ نَفْسِكِ، ثُمَّ خُذِي إِنَاءً مِنْ مَاءٍ، فَاطْرَحِي فِيهِ مِلْحًا، ثُمَّ اغْسِلِي مَا أَصَابَ الْحَقِيبَةَ مِنَ الدَّمِ، ثُمَّ عُودِي لِمَرْكَبِكِ ". قَالَتْ: فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ خَيْبَرَ، رَضَخَ لَنَا مِنَ الْفَيْءِ، وَأَخَذَ هَذِهِ الْقِلَادَةَ الَّتِي تَرَيْنَ فِي عُنُقِي، فَأَعْطَانِيهَا وَعَلَّقَهَا بِيَدِهِ فِي عُنُقِي، فَوَاللَّهِ لَا
পৃষ্ঠা - ৩১৭৩

বুরদ৷ (রা ) বলেন, “আসমা (রা ) বলেছেন, আমি আবুমুসা (রা)-কে দেখেছি, তিনি এ হাদীছঢি
বার বার আমার কাছ থেকে শুনতেন ৷ আবু বুরদ৷ (রা) , আবু মুসা (বা) এর বরাতে বলেন, নবী
করীম (সা) বলেছেন, যখন রাত হয় তখন কুরআন তিলত্বওয়াতের আওয়ায দ্বারা আশআরী
বন্ধুদের আওয়ায অমি চিনতে পারি এবং রাতের বেলায় কুরআনত তিলাওয়াতের আওয়ায দ্বার
আমিত তাদের ঘরবাড়ি চিনতে পারি যদিও আমি তাদের য়র রাড়ি দিনের রেল য দেখি নাই ৷ তাদের
মধ্যে একজন আছে হাকীম ইবন হিযাম ৷ যখন সে দুশমহ্রন্ৰুার ঘুক৷ ৷বিলা করে তখন সে শত্রুকে
বলে, নিশ্চয়ই আমার সংগীরা তোমাদেরকে মুকাবিলার আঘাত সহ্য করতে অপেক্ষা করার জন্যে
নির্দেশ দিচ্ছে ৷ ”

অনুরুপভাবে ইমাম মুসলিম আবু কুরায়ব এবং আবদুল্লাহ ইবন বারাদের মাধ্যমে আবু উসামা
থেকে বর্ণনা করেন ৷

ইমাম বুখারী (র) ইসহাক ইবন ইবরাহীম ণ্ আবু মুসা (র) সুত্রে বলেন ৷ তিনি
বলেছেন, “খায়বার বিজয়ের পর আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর দরবারে উপস্থিত হলাম ৷ তিনি
আমাদেরকে অংশ দিলেন; কিন্তু আমাদের ব্যতীত অনুপস্থিত অন্য কাউকে অং শ প্ৰদান করেননি ৷
উপরোক্ত বর্ণনাটি ইমাম বুখারী (র)-এর একক বর্ণনা ৷৷ আবু দা ৷উদ (র ) এবং তিবিমিষী (র ) ও
অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক উল্লেখ করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমর ইবন উমাইয়৷ আদ-
দিমারীকে নাজ্জ ৷শীর কাছে প্রেরণ করে সাহাবায়ে কিরামের যারা এখনও সেখানে বাকী ছিলেন
তাদেরকে ডেকে পাঠান ৷ সুতরাংত তার৷ জা ফর (রা) এর সাথে আগমন করেন তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা ) খায়বার জয় করে ফেলেছেন ৷ রাবী বলেন, সৃফিয়ান ইবন উয়াইন৷ আশ শা’বী
(রা) এর বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন “জা ফর ইবন আবুত তালিব (বা ) খায়বার বিজয়ের
দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট আগমন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তার কপালে চুম্বন করেন ও
তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন, “ ৷ল্লাহব শপথ! আমি জা ৷৷নি না, (কানৃট৷ আমার কাছে অধিক
খুশীর বস্তু, খায়বার বিজয়, না কি জা ফরের আগমন ৷ অনুরুপ সুফিয়ান ছাওরী জ বিব
(বা) এর বরাতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন খায়বার হতে তমদীনায়অ ৷গমন
করেন, তখন জাফর (রা)ও হাবশা হতে আগমন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার সাথে মুলাকাত
করেন এবং তার কপালে চুম্বন করেন ৷ আর বলেন , আল্লাহর শপথ ! আমি জানি না, দুয়ের মধ্যে
কোনটা আমার কাছে অধিকতর খুশীর বিষয়, খায়বারের বিজয়, না কি জাফরের আগমন !
এরপর ইমাম বাযহাকী (র) জাবির (রা ) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যখন জাফর
ইবন আবু তালিব (রা) হা ৷বশা থেকে আগমন করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷
যখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি তদৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন তখন তিনি তার সন্মানার্থে এক পায়ে
হাটতে লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার দু কপালে চুম্বন করেন ৷ পুনরায় বা ৷ইহাকী (র) বলেন,
“উপরোক্ত হাদীছের সনদে এমন এক ব্যক্তি রয়েছেন, যিনি সুফিয়ান ছাওরীর কাছে সুপরিচিত নন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মক্কাবাসীদের মধ্যকার র্ষার৷ জাফর (রা) )-এর সাথে খায়বার আগমনে

বিলম্ব করেছিলেনত ৷রা ছিলেন ১৬ জন ৷ তাদের ওত র্শীরুদর শ্ৰীদের নাম নিম্নে বর্ণনা করা হলং :

৪ ৭

تُفَارِقُنِي أَبَدًا. وَكَانَتْ فِي عُنُقِهَا حَتَّى مَاتَتْ، ثُمَّ أَوْصَتْ أَنْ تُدْفَنَ مَعَهَا. قَالَتْ: وَكَانَتْ لَا تَطَّهَّرُ مِنْ حَيْضِهَا إِلَّا جَعَلَتْ فِي طَهُورِهَا مِلْحًا، وَأَوْصَتْ بِهِ أَنْ يُجْعَلَ فِي غُسْلِهَا حِينَ مَاتَتْ وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ، مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ. قَالَ شَيْخُنَا أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ فِي " أَطْرَافِهِ ": وَرَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سُحُيْمٍ، عَنْ أُمِّ عَلِيٍّ بِنْتِ أَبِي الْحَكَمِ، عَنْ أُمَيَّةَ بِنْتِ أَبِي الصَّلْتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا رَافِعُ بْنُ سَلَمَةَ الْأَشْجَعِيُّ، حَدَّثَنِي حَشْرَجُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ أَبِيهِ، قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزَاةِ خَيْبَرَ وَأَنَا سَادِسَةُ سِتِّ نِسْوَةٍ. قَالَتْ: فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ مَعَهُ نِسَاءٌ. قَالَتْ: فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا فَدَعَانَا. قَالَتْ: فَرَأَيْنَا فِي وَجْهِهِ الْغَضَبَ، فَقَالَ: " مَا أَخْرَجَكُنَّ، وَبِأَمْرِ مَنْ خَرَجْتُنَّ؟ " قُلْنَا: خَرَجْنَا نُنَاوِلُ السِّهَامَ، وَنَسْقِي السَّوِيقَ، وَمَعَنَا دَوَاءٌ لِلْجَرْحَى، وَنَغْزِلُ الشَّعْرَ فَنُعِينُ بِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ. قَالَ: " قُمْنَ فَانْصَرِفْنَ ". قَالَتْ: فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ خَيْبَرَ أَخْرَجَ لَنَا سِهَامًا كَسِهَامِ الرِّجَالِ. فَقُلْتُ لَهَا: يَا جَدَّةُ، وَمَا الَّذِي أَخْرَجَ لَكُنَّ؟ قَالَتْ: تَمْرًا» . قُلْتُ: إِنَّمَا أَعْطَاهُنَّ مِنَ الْحَاصِلِ، فَأَمَّا أَنَّهُ أَسْهَمَ لَهُنَّ فِي الْأَرْضِ كَسِهَامِ
পৃষ্ঠা - ৩১৭৪
الرِّجَالِ فَلَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَفِي كِتَابِي، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ الْأَصْبَهَانِيَّ أَخْبَرَهُ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْجَهْمِ، ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْفَرَجِ، ثَنَا الْوَاقِدِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ مُوسَى بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، قَالَ: «خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ، وَمَعِي زَوْجَتِي وَهِيَ حُبْلَى، فَنَفِسَتْ فِي الطَّرِيقِ، فَأَخْبَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِيَ: " انْقَعْ لَهَا تَمْرًا، فَإِذَا انْغَمَرَ بَلُّهُ، فَامْرُثْهُ لِتَشْرَبَهُ ". فَفَعَلْتُ، فَمَا رَأَتْ شَيْئًا تَكْرَهُهُ» ، فَلَمَّا فَتَحْنَا خَيْبَرَ أَجْدَى النِّسَاءَ، وَلَمْ يُسْهِمْ لَهُنَّ، فَأَجْدَى زَوْجَتِي وَوَلَدِي الَّذِي وُلِدَ قَالَ عَبْدُ السَّلَامِ: لَسْتُ أَدْرِي غُلَامٌ أَوْ جَارِيَةٌ.