আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

حصار رسول الله أهل خيبر

পৃষ্ঠা - ৩১৫৬

নিজেরা বহন করে নিতে পারবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরো বললেন, যদি তোমরা কোন কিছু

গোপন কর তাহলে তোমাদের সন্ধি তৎগ হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহ্

ও তার রাসুলের কোন জিয়া থাকবে না ৷ উপরোক্ত শর্তগুলাের উপরই তাদের সাথে সন্ধি
স্থাপিত হল ৷

ইবন কাহীর (র) বলেন, এ জন্যেই যখন তারা সম্পদ গোপন করল, মিথ্যা বলল এবং

বিশেষ করে বহু সম্পদে পরিপুর্ণ চামড়ার বড় থলেটি লুকিয়ে ফে লল তখন সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে,

তারা সন্ধি তৎগ করেছে ৷৩ তাই আবুল হুকাইকের পুত্রদ্বয়ও তার বংশের কতিপয় লোককে চুক্তি
ভৎগের কারণে হত্যা করা হল ৷

বায়হাকী (র) আবুল হাসান ইবন উমর (রা ) হত বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,

রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এমনড়াক তিনি তাদেরকে তাদের দৃর্গে
অবরোধ করে রাখেন ৷ তিনি তাদের জমিজমা, (ক্ষত খামার ও ণ্খজুর বাগান দখল করে নেন ৷

তারা তখন দেশাম্ভরিত হওয়ার শর্তে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সন্ধি করে ৷ তবে তারা
পোশাক পরিচ্ছদ ও খাবার দাবার যা তাদের বহনযোগে নিতে পারে তার অনুমতি দেওয়া
হয়েছিল ৷ আর সােনা রুপা ও হাতিয়ার সব কিছু রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে তারা সমর্পণ
করেছিল৩ ৷৩াদের প্রতি শর্ত অারােপ করা হয়েছিল যেন তারা কো ন কিছু গোপন না করে বা কোন
দ্রব্য না লুকায় ৷ যদি৩ারা কোন কিছু লুকায় বা গোপন করে তাহলে তাদের সাথে আর কোন
প্রকারের সন্ধি থাকবে না এবং৩ তাদেরকে আশ্রয় দেয়ার দায়িতৃও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর থাকবে না ৷
তা সত্বেও তারা একটি বড় চামড়ার থলে গোপন করল যার মধ্যে প্রচুর সম্পদ ও গহনাদি রাখা
হয়েছিল এবং তা বনুনাযীরকে বিতাড়িত করার সময় হুয়াই ইবন আখতা বের তত্ত্বাবধানে ছিল যা
সে তা খায়বারে নিয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুয়াইর নিয়ে যাওয়া খলে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল
যে, বনুনাযীর হতে প্রাপ্ত সম্পদ ভরা চামড়ার থলেটি সে কি করেছিল ? সে বলেছিল যে, দৈনন্দিন
খরচ ও যুদ্ধের ব্যয়ে তা নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, এত অল্প সময়ে
এত অধিক সম্পদ নিংশেষ হতে পারে না ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে যুবাযর (রা ) এর হাওলা
করলেন তিনি তাকে শাস্তি দিলেন ৷ এর পুর্বে হুয়াইকে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানে আনাগোনা করতে
দেখা গেল এবং একজন লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে হাযির হয়ে বলল, আমি হুয়াইকে
এখানে আনাগােনা করতে দেখেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আদেশক্রমে সাহাবায়ে কিরাম তথায়
গেলেন এবং ঘোজ করা র পর সেখা নে অর্থ সম্পদ ভরা চামড়ার থলেটি পেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এ বিশ্বাসঘা৩ কতার জন্যে আবুল হুকাইকের দুই পুত্রকে হত্যা করার হুকুম দিলেন ৷ তাদের মধ্যে
একজন ছিলেন সাফিয়্যা বিনৃত হুয়াই ইবন আখ৩াবের পুর্বামী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের
পরিবার পরিজনকে বন্দী করে ফেলেন এবং ওয়াদা তংগের জন্যে তাদের সম্পদ সাহাবায়ে
কিরামের মধ্যে বণ্টন করার আদেশ দিলেন ৷ ফলে তিনি খায়রার হতে৩াদেরকে বিতাড়িত
করতে মনস্থ করলেন তখন তারা বলল, হে মুহাম্মাদ ! আমাদেরকে এ যমীনে থাকতে দিন ৷
আমরা এ যমীনের উন্নতি সাধন করব এবং৩ তা উত্তমরুপে আবাদ করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও
সাহাবায়ে কিরামের কাছে কোন খাদ্যশস্য ছিলা না যার মাধ্যমে৩ তারা নিজেদের ভরংা পোষণ নির্বাহ


كَنْزِهِمْ، ثُمَّ سَأَلَهُ عَمَّا بَقِيَ، فَأَبَى أَنْ يُؤَدِّيَهُ، فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ فَقَالَ: " عَذِّبْهُ حَتَّى تَسْتَأْصِلَ مَا عِنْدَهُ " وَكَانَ الزُّبَيْرُ يَقْدَحُ بِزَنْدٍ فِي صَدْرِهِ حَتَّى أَشْرَفَ عَلَى نَفْسِهِ، ثُمَّ دَفَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ، فَضَرَبَ عُنُقَهُ بِأَخِيهِ مَحْمُودِ بْنِ مَسْلَمَةَ. [حِصَارُ رَسُولِ اللَّهِ أَهْلَ خَيْبَرَ] 1 - فَصْلٌ 1 قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَاصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ خَيْبَرَ فِي حِصْنَيْهِمُ الْوَطِيحِ وَالسُّلَالِمِ، حَتَّى إِذَا أَيْقَنُوا بِالْهَلَكَةِ، سَأَلُوهُ أَنَّ يُسَيِّرَهُمْ وَأَنْ يَحْقِنَ دِمَاءَهُمْ، فَفَعَلَ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ حَازَ الْأَمْوَالَ كُلَّهَا؛ الشِّقَّ، وَالنَّطَاةَ، وَالْكَتِيبَةَ، وَجَمِيعَ حُصُونِهِمْ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ ذَيْنِكَ الْحِصْنَيْنِ، فَلَمَّا سَمِعَ بِهِمْ أَهْلُ فَدَكَ قَدْ صَنَعُوا مَا صَنَعُوا، بَعَثُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَهُ أَنْ يُسَيِّرَهُمْ وَيَحْقِنَ دِمَاءَهُمْ، وَيُخَلُّوا لَهُ الْأَمْوَالَ، فَفَعَلَ، وَكَانَ مِمَّنْ مَشَى بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَهُمْ فِي ذَلِكَ مُحَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودٍ، أَخُو بَنِي حَارِثَةَ، فَلَمَّا نَزَلَ أَهْلُ خَيْبَرَ عَلَى ذَلِكَ، سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعَامِلَهُمْ فِي الْأَمْوَالِ عَلَى النِّصْفِ، وَقَالُوا: نَحْنُ أَعْلَمُ بِهَا مِنْكُمْ، وَأَعْمَرُ لَهَا. فَصَالَحَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى النِّصْفِ، عَلَى أَنَّا إِذَا شِئْنَا أَنْ نُخْرِجَكُمْ أَخْرَجْنَاكُمْ. وَعَامَلَ أَهْلَ فَدَكَ بِمِثْلِ ذَلِكَ.