سنة سبع من الهجرة النبوية

পৃষ্ঠা - ৩১১০

প্রসঙ্গে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)-এর নির্দোষিতা প্রমাণ করে আয়াত নাযিল
হয় ৷ এ সম্পর্কে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ এ বছর উমরাতুল হুদায়বিয়া’ সংঘটিত হয়,
মুশরিকরা রাসুলুল্লাহ্ (সা )-কে উমরা পালন করতে বাধা দেয় এবং দশ বছরের জন্য যুদ্ধ বন্ধের
অঙ্গীকারসহ সন্ধি স্থাপিত হয় ৷ ফলে লোকেরা পরস্পরে নিরাপত্তা লাভ করে ৷ এ সময় কেউ
কারো উপর তরবারি উত্তোলন করবে না এবং কেউ কারো সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গও করবে না ৷ এ বিষয়ে
যথাস্থানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ এ বছর ও মুশরিকরা হাজ্জর তত্ত্বাবধান করে ৷

ওয়াকিদী বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ বছর যিলহজ্জ মাসে ৬ জন দৃতকে পত্রসহ বিভিন্ন রাজ
দরবারে প্রেরণ করেন, এরা হলেন ১ হাতির ইবন আবুবালতাআকে আলেকজাদ্রিয়ার শাসনকর্তা
মুকাওকিসের প্রতি ২ বদর সময়ে অংশ গ্রহণকারী শুজা ইবন ও হব ইবন আসাদ ইবন
জুযাইমাকে হারীস ইবন আবুশামির আল-গাসসানীর প্রতি ৷ অর্থাৎ ইনি ছিলেন আরবের খৃস্টানদের
বাদশাহ ৷ ৩ দিহ্ইয়া ইবন খলীফা আল-কালবীকে রোম ন্ম্রাট হিরাক্লিয়াসের প্রতি ৷ : আবদৃল্লাহ্
ইবন হুযায়ফা সাহমীকে পারস্য সম্রাট কিসৃরার প্রতি , ৫ হাওয়া ইবন আলী আল হানাফীর প্রতি
সালীত ইবন আমৃর আল-আমিরীকে এবং ৬ আবিসিনিয়ার ইথিওপিয়া খৃষ্টান শাসক নাজাশীর প্ৰতি
আমৃর ইবন উমাইয়া আদৃদিমারীকে ৷ ঐ নাজাশীর আসল নাম ছিল আসহামা ইবন হ্ব ৷

সপ্তম হিজরী সনের শুরুতে সংঘটিত খায়বর যুদ্ধ

মহান আল্লাহর বাণী আবদুর রহমান
ইবন আবু লায়লা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, এখানে : ,: ;£; বলে খায়বরকে বুঝানো
হয়েছে ৷ মুসা ইবন উকবা বলেন : রাসুল করীম (সা) হুর্দায়বিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন করে ২০ দিন
অথবা এর কাছাকাছি সময় মদীনায় অবস্থান করে খায়বরের উদ্দেশ্যে বের হন ৷ আর আল্লাহ্
তাআলা তার রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এ খায়বরের বিজয়েরই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ মুসা যুহ্রী
সুত্রে বর্ণনা করেন যে , হিজরী ষষ্ঠ সনে খায়বর বিজয় সম্পন্ন হয় ৷ আর বিশুদ্ধ মতে এ বিজয় হয়
সপ্তম হিজরীর শুরুতে ৷ যেমনটি আমরা এইমাত্র উল্লেখ করেছি ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুদায়বিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন করে যিলহাজ্জ্ব মাস এবং মুহাররম মাসের কিছু অং
মদীনায় অবস্থান করেন ৷ এরপর মুহাররম মাসের অবশিষ্ট দিনগুলােতে তিনি খায়বরের উদ্দেশ্যে
বের হন ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র মারওয়ান ও মিসওয়ার সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হুদাবিয়ার বছর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা প্রত্যাবর্তনের পথে মক্কা এবং মদীনায় মধ্যবর্তী স্থান রাসুলুল্লাহট্রু (সা) এর
প্রতি সুরা ফাত্হ নাযিল হয় ৷ যুলহাজ্জ মাসে তিনি মদীনায় পৌছান এবং খায়বরের পথে রওয়ানা
হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন ৷ খায়বরের পথে খায়বর ও পাতফান গোত্রের
মধ্যবর্তী স্থানে রাজী নামক উপত্যকায় তিনি যাত্রা বিরতি করেন ৷ পাতফানীরা খায়বরবাসীদের
সহায়তা করবে ৷ পরে বলে দিল তার আশংকা, তাই তিনি ভোর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে
তারপর তাদের নিকট গমন করেন ৷ হাফিয বায়হাকী (র) বলেন, সপ্তম হিজবীর প্রথম দিকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বহির্পত হওয়া সম্পর্কে এ মর্মের একটা বর্ণনা ওয়াকিদী থেকে বর্ণিত আছে ৷


[سَنَةُ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ] [غَزْوَةُ خَيْبَرَ] [وَقْتُهَا] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ سَنَةُ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ غَزْوَةُ خَيْبَرَ فِي أَوَّلِهَا قَالَ شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، فِي قَوْلِهِ: {وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا} [الفتح: 18] (الْفَتْحِ: 18) قَالَ: خَيْبَرَ وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: لَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ مَكَثَ بِالْمَدِينَةِ عِشْرِينَ يَوْمًا، أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى خَيْبَرَ، وَهِيَ الَّتِي وَعَدَهُ اللَّهُ إِيَّاهَا. وَحَكَى مُوسَى، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ افْتِتَاحَ خَيْبَرَ فِي سَنَةِ سِتٍّ. وَالصَّحِيحُ أَنَّ ذَلِكَ فِي أَوَّلِ سَنَةِ سَبْعٍ كَمَا قَدَّمْنَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ، حِينَ رَجَعَ مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ، ذَا الْحِجَّةِ وَبَعْضَ الْمُحَرَّمِ، ثُمَّ خَرَجَ فِي بَقِيَّةِ الْمُحَرَّمِ إِلَى خَيْبَرَ
পৃষ্ঠা - ৩১১১

আবদুল্লাহ ইবন ইদরীস ইবন ইসহাক থেকে আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, মুহাররম মাসের শেষের দিকে খায়বর বিজয় হয় এবং সযক্ষ্ম মাসের শেষের দিকে নবী করীম
(সা) মদীনায় ফিরে আসেন ৷ ইবন হিলাল বলেন, এ সময় রাসৃলুল্লাহ্ (সা) নুসায়লা ইবন
আবল্লোহ্ লায়হীকে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷

ইমাম আহমদ (র) আফ্ফান আবুহুরায়রা সুত্রে বর্ণনা যে, আবু হুরায়রা (র) তার
সম্প্রদায়ের কিছু লোকের সঙ্গে মদীনায় আগমন করেন ৷ নবী করীম (সা ) তখন খায়বরে ছিলেন ৷
তিনি সিবা ইবন উরফাতা পাতফানীকে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ করেন ৷ আবুহুরায়রা
(রা) বলেন :: আমি সিবার নিকট গিয়ে পৌছলাম, তখন তিনি ফজরের সালাতের প্রথম
রাকামাতে কাফ-হা-ইয়া-অইিন-সাদ এবং দ্বিতীয় রাকআতে ওয়াইলুললিল মুতাফ্ফিফীন সুরা পাঠ
করছিলেন ৷ তখন আমি মনে মনে বললা-স্র, অমুকের জন্য দাভাগ, যে মানুষের নিকট থেকে
যখন মেগে নেয়, তখন পুরাপুরি আদায় করে নেয়, আর যখন মানুষকে যোগ দেয় তখন কম
দেয় ৷ তিনি বলেন, আমীর নামায আদায় করে আমাদেরকে কিছু জিনিস দান করলে আমরা তা
নিয়ে খায়বর পৌছি ৷ নবী করীম (সা) তখন খায়বর বিজয় সম্পন্ন করেছেন ৷ তিনি মুসলমানদের
সঙ্গে কথা বলেন এবং গনীমতের সালে আমাদেরকেও শরীক করেন ৷

ইমাম বায়হাকী সুলায়মান ইবন হাবৃব বনুগিফারের একদল লোক থেকেও হাদীছটি
বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক (র) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) মদীনা থেকে খায়বরের পথে বের হয়ে
আসৃর পাহাড়ের পথে গমন করেন এবং তথায় একটা মসজিদ নির্মাণ করেন ৷ তারপর সাহ্বা’
নামক স্থানে আগমন করেন; এরপর তিনি সৈন্যদেরকে নিয়ে অগ্রসর হয়ে রাব্জী নামক উপত্যকায়
অবস্থান নেন ৷ সেখানে খায়বরবাসী এবং পাতফানীদের মধ্যস্থলে অবস্থান গ্রহণ করেন, যাতে
তাদের মধ্যে আঃরায় হন, যেন তারা খায়বরবাসীদেরকে সাহায্য করতে না পারে ৷ কারণ, তারা
ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিপরীতে খায়বরের য়াহ্রদীদের জন্য সাহায্যকারী ৷ আমি জানতে পেয়েছি
যে, পাতফানের ণ্লাকেরা যখন এটা জানতে পারে তখন একত্র হয়ে বের হয় যাতে রাসুলুল্পাহ্
(না)-এর বিরুদ্ধে য়াহ্রদীদেরকে সাহায্য করতে পারে ৷ তারা সৰেমাত্র এক মনযিল পথ অতিক্রম
করেই পেছনে সহা সম্পদ আর পরিবার-পরিজনের মধ্যে হৈ চৈ শ্রবণ করে তাদের ধারণা জানা
যে, মুসলমানরা পেছন থেকে তাদের উপর হামলা চালাচ্ছে ৷ তাই তারা পেছনে ফিরে এসে
নিজেদের সহায় সম্পদ আর পব্লিবার-পরিজ্যনর মধ্যে অবস্থান গ্রহণ করে এবং রহ্সুলুল্লাহ্ (না) ও
খায়বরের মধ্যে অতরায় হয়ে দাড়ায়নি ৷

ইমাম বুখারী (র) আবদৃল্লাহ্ ইবন মাসলামা বুশায়র সুত্রে বর্ণনা করেন যে, সৃওয়ায়দ
ইবন নৃমান তাকে জানান যে, খায়বরের বছরে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সঙ্গে বের হন ৷ এমন
কি খায়বরের নিকটবর্তী ’সাহ্বা নামক স্থানে পৌছে আসরের সালতে আদায় করে খাবার আমার
জন্য বললে কেবল ছাতৃ আনা হলো তিনি তা ভিজাতে বলেন ৷ তা ভিজানো হলে তিনি আহার
করেন এবং তার সঙ্গে আমরাও আহার করি ৷ এরপর মাগরিবের নমােয়ের জন্য দাড়িয়ে কুলি করে
ালাত আদায় করেন ৷ এজন্যে তিনি আর নতুন করে উয়ু করেননি ৷


وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ مَرْوَانَ وَالْمِسْوَرِ قَالَا: «انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ، فَنَزَلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْفَتْحِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فِي ذِي الْحِجَّةِ، فَأَقَامَ بِهَا حَتَّى سَارَ إِلَى خَيْبَرَ فِي الْمُحَرَّمِ، فَنَزَلَ بِالرَّجِيعِ؛ - وَادٍ بَيْنَ خَيْبَرَ وغَطَفَانَ - فَتَخَوَّفَ أَنْ تُمِدَّهُمْ غَطَفَانُ، فَبَاتَ حَتَّى أَصْبَحَ فَغَدَا إِلَيْهِمْ» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَبِمَعْنَاهُ رَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ عَنْ شُيُوخِهِ، فِي خُرُوجِهِ فِي أَوَّلِ سَنَةِ سَبْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ افْتِتَاحُ خَيْبَرَ فِي عَقِبِ الْمُحَرَّمِ، وَقَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ صَفَرٍ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ نُمَيْلَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ اللَّيْثِيَّ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا خُثَيْمٌ،
পৃষ্ঠা - ৩১১২
يَعْنِي ابْنَ عِرَاكٍ، عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ فِي رَهْطٍ مِنْ قَوْمِهِ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْبَرَ، وَقَدِ اسْتَخْلَفَ سِبَاعَ بْنَ عُرْفُطَةَ - يَعْنِي الْغَطَفَانِيَّ - عَلَى الْمَدِينَةِ. قَالَ: فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ يَقْرَأُ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى بِ {كهيعص} [مريم: 1] (مَرْيَمَ: 1) . وَفِي الثَّانِيَةِ: {وَيْلٌ لِلْمُطَفِّفِينَ} [المطففين: 1] (الْمُطَفِّفِينَ: 1) فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: وَيْلٌ لِفُلَانٍ، إِذَا اكْتَالَ اكْتَالَ بِالْوَافِي، وَإِذَا كَالَ كَالَ بِالنَّاقِصِ. قَالَ: فَلَمَّا صَلَّى زَوَّدَنَا شَيْئًا حَتَّى أَتَيْنَا خَيْبَرَ، وَقَدِ افْتَتَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ. قَالَ: فَكَلَّمَ الْمُسْلِمِينَ، فَأَشْرَكُونَا فِي سِهَامِهِمْ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ خُثَيْمِ بْنِ عِرَاكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ نَفَرٍ مِنْ بَنِي غِفَارٍ قَالُوا: إِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ. فَذَكَرَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى خَيْبَرَ، سَلَكَ عَلَى عِصْرٍ، فَبُنِيَ لَهُ فِيهَا مَسْجِدٌ، ثُمَّ عَلَى الصَّهْبَاءِ، ثُمَّ أَقْبَلَ بِجَيْشِهِ حَتَّى نَزَلَ بِهِ بِوَادٍ يُقَالُ لَهُ: الرَّجِيعُ. فَنَزَلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ غَطَفَانَ؛ لِيَحُولَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ أَنْ يُمِدُّوا أَهْلَ خَيْبَرَ - وَكَانُوا لَهُمْ مُظَاهِرِينَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
পৃষ্ঠা - ৩১১৩

ইমাম বুখারী (র) আবদুল্লাহ্ ইবন মাসলামা — সালাম! ইবনুল আকওয়া সুত্রে বর্ণনা
করেন : আমরা রাত্রিবেলা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে খায়বরের উদ্দেশ্যে বের হই ৷ তখন
আমাদের এক ব্যক্তি আমীরকে বললে! : হে আমীর ! তুমি কি আমাদ্যোকে তোমার কিছু ণ্শানাবে

না ? আর আমীর ছিলেন একজন কবি ৷ তখন তিনি বাহন থেকে অবতরণ করে লোকজনকে
উদ্বুদ্ধ করে হুদী পান গোনান :

ন্ট্রষ্ ৰুা

হে আল্লাহ্ ! তুমি না থাকলে আমরা হিদায়াত তথা সরল পথের সন্ধান পেতাম না , আমরা
সদকা করতাম না এবং সালাত আদায় কঃতোম না ৷ সুতরাং তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, যতদিন
আমরা জীবিত থাকি, তোমার তরে নিজেদের জান কুরৰান হোক ৷ নাযিল কর আমাদের উপর
শান্তি ও নিরাপত্তা ৷

আমরা যখন মুখোমুখি হবো তখন আমাদেরকে অবিচল রেখো ৷ আমাদের প্রতি হুৎকার
দেওয়া হলে আমরা তাকে তৃচ্ছ জ্ঞান করি ৷ চিৎকার দ্বারা আমাদের বিরুদ্ধে লোকজন জড়ো
বল্পা হয় ৷

পংক্তিগুলো শ্রবণ করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞাসা করলেন, কে এই হুদী’ গায়ক ? লোকেরা
জানানো : আমীর ইবনুল আকওয়া ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আল্লাহ্ তারপ্রতি রহম করুন ৷
তখন আমাদের মধ্যে একজন বললো : তার জন্য (শাহাদাত ) অবধারিত হয়ে গেছে ৷ ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আপনি তার দ্বারা (আরো কিছু কাল) আমাদেরকে যদি উপৃকত হওয়ার সুযোগ
দান করতেন ৷ আমরা খায়বর পৌছে তাদেরকে অবরোধ করে ফেলি ৷ এ সময় আমরা ক্ষুধায়
কাতর হয়ে পড়ি ৷ এরপর আল্লাহ্ তাআলা মুসলমানদেরকে খায়ররে বিজয় দান করেন ৷ যেদিন
খায়বর বিজয় হয় সেদিন বিকালে লোকেরা অনেকগুলো চুলো প্ৰজ্বলিত করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
জানতে চইিলেন : এসব কিসের আগুন ? কেন, কিসের জন্য এ আগুন জ্বালচ্ছে ? লোকেরা
বললেন : গোশত পাকাবার জন্য ৷ তিনি বললেন, কিসের ণ্গাশত ? বলা হল : গৃহপালিত গধোর
গোশৃত ৷ তখন নবী করীম (সা) বললেন : গোশৃত আর শুররা প্রবাহিত কর এবং (পাত্র) ভেঙ্গে
ৰেলে ৷ তখন এক ব্যক্তি বললো : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা ) ! আমরা কি তা প্রবাহিত করে পাত্র ধুয়ে
ফেলবাে ? নবী করীম (সা) বললেন ? এটাও হতে পারে ৷ লোকেরা যখন সারিবদ্ধ হয়ে দাড়ায়,
আর আমীর এর তলোয়ার ছিল খাট, তিনি এ খাট তরবারি দ্বারা ইয়াহ্রদীর পায়ের গোছায় আঘাত
করা শুরু করেন ৷ তরবারির আঘাত তার নিজের হাটুতে লাগে এবং এতেই আমীর এর মৃত্যু
হয় ৷ যখন তারা ফিরে আসছিলেন তখন (আমীর এর ভাই) সালমা বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাকে দেখে আমার হস্ত ধারণ করেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন : তোমার কি হয়েছে ? আমি
বললাম : আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোন ৷ লোকদের ধারণা আমীর এর সকল
আমল পণ্ড হয়ে গেছে ৷ তখন নবী করীম (সা) বললেন : যে ব্যক্তি এমন কথা বলে সে মিথ্যা


فَبَلَغَنِي أَنَّ غَطَفَانَ لَمَّا سَمِعُوا بِذَلِكَ جَمَعُوا، ثُمَّ خَرَجُوا لِيُظَاهِرُوا الْيَهُودَ عَلَيْهِ، حَتَّى إِذَا سَارُوا مَنْقَلَةً، سَمِعُوا خَلْفَهُمْ فِي أَمْوَالِهِمْ وَأَهْلِيهِمْ حِسًّا، ظَنُّوا، أَنَّ الْقَوْمَ قَدْ خَالَفُوا إِلَيْهِمْ، فَرَجَعُوا عَلَى أَعْقَابِهِمْ، فَأَقَامُوا فِي أَمْوَالِهِمْ وَأَهْلِيهِمْ، وَخَلَّوْا بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ خَيْبَرَ وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرٍ أَنَّ سُوَيْدَ بْنَ النُّعْمَانِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ «خَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ خَيْبَرَ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالصَّهْبَاءِ، وَهِيَ مِنْ أَدْنَى خَيْبَرَ، صَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ دَعَا بِالْأَزْوَادِ، فَلَمْ يُؤْتَ إِلَّا بِالسَّوِيقِ، فَأَمَرَ بِهِ فَثُرِّيَ، فَأَكَلَ وَأَكَلْنَا، ثُمَّ قَامَ إِلَى الْمَغْرِبِ فَمَضْمَضَ، ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ، فَسِرْنَا لَيْلًا، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لِعَامِرٍ: يَا عَامِرُ، أَلَا تُسْمِعُنَا مِنْ هُنَيْهَاتِكَ؟ وَكَانَ عَامِرٌ رَجُلًا شَاعِرًا، فَنَزَلَ يَحْدُو بِالْقَوْمِ، يَقُولُ: لَاهُمَّ لَوْلَا أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا ... وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَا
পৃষ্ঠা - ৩১১৪
فَاغْفِرْ فِدَاءً لَكَ مَا اتَّقَيْنَا ... وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لَاقَيْنَا وَأَلْقِيَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا ... إِنَّا إِذَا صِيحَ بِنَا أَبَيْنَا وَبِالصِّيَاحِ عَوَّلُوا عَلَيْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ هَذَا السَّائِقُ؟ " قَالُوا: عَامِرُ بْنُ الْأَكْوَعِ. قَالَ: " يَرْحَمُهُ اللَّهُ ". فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: وَجَبَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ، لَوْلَا أَمْتَعْتَنَا بِهِ. فَأَتَيْنَا خَيْبَرَ فَحَاصَرْنَاهُمْ حَتَّى أَصَابَتْنَا مَخْمَصَةٌ شَدِيدَةٌ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ فَتَحَهَا عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا أَمْسَى النَّاسُ مَسَاءَ الْيَوْمِ الَّذِي فُتِحَتْ عَلَيْهِمْ، أَوْقَدُوا نِيرَانًا كَثِيرَةً، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا هَذِهِ النِّيرَانُ؟ عَلَى أَيِّ شَيْءٍ تُوقِدُونَ؟ " قَالُوا: عَلَى لَحْمٍ. قَالَ: " عَلَى أَيِّ لَحْمٍ؟ " قَالُوا: لَحْمُ الْحُمُرِ الْإِنْسِيَّةِ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَهْرِيقُوهَا وَاكْسِرُوهَا ". فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَوَنُهْرِيقُهُا وَنَغْسِلُهَا؟ فَقَالَ: " أَوْ ذَاكَ ". فَلَمَّا تَصَافَّ النَّاسُ، كَانَ سَيْفُ عَامِرٍ قَصِيرًا، فَتَنَاوَلَ بِهِ سَاقَ يَهُودِيٍّ لِيَضْرِبَهُ، فَيَرْجِعُ ذُبَابُ سَيْفِهِ، فَأَصَابَ عَيْنَ رُكْبَةِ عَامِرٍ فَمَاتَ مِنْهُ، فَلَمَّا قَفَلُوا قَالَ سَلَمَةُ: رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ آخِذٌ
পৃষ্ঠা - ৩১১৫

বলে ৷ তার জন্য রয়েছে দুটি পুরস্কার ৷ এরপর তিনি দু আঙ্গুল একত্র করেন ৷ তিনি একজন
মুজাহিদের মতো জিহাদ করেছেন ৷ খুব কম আরবই পৃথিবীর বুকে আমিরের মতো পদক্ষেপে
বিচরণ করেছে ৷ ইমাম মুসলিম (র)ও এ হাদীছটি হাতিম ইবন ইসমাঈল প্রমুখের বরাতে ইয়াষীদ
ইবন আবু উবায়দ সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন ইসহাক আমীর ইবন আক্ওয়া এর কাহিনী
অন্যভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি মুহাম্মাদ ইবন ইব্রাহীম নাসৃর ইবন দৃহ্ব আসলামী সুত্রে
তিনি তদীয় পিতা থেকে ৷ তিনি ৱাসুলুল্লাহ্ (না)-কে খ্যয়বর সফরকালে আমীর ইবন আফওয়াকে
বলতে শুনেছেন আর ইনি ছিলেন সালামা ইবন আমীর ইবন আক্ওয়া এর চাচা, হে ইবনুল
আক্ওয়া! তুমি নীচে নেমে এসো এবং আমাদেরকে তোমার কিছু কবিতা শুনাও ৷ রাৰী বলেন,
তিনি নীচে নেমে রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে নিম্নোক্ত কবিতা শুনান :

আল্লাহ্র শপথ, আল্লাহ্ না থাকলে আমরা হিদায়াত পেতাম না ৷ আমরা সদকা করতাম না,
সালাত আদায় করতাম না ৷ আমরা এমন লোক যখন কোন জাতি আমাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার
করে আর বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় আমরা তা প্রতিরোধ করি ৷ সুতরাং তুমি আমাদের প্ৰতি শান্তি
ও নিরাপত্তা নাযিল কঃ৷ ৷ এবং আমাদ্যোকে অবিচল রাখ, যখন আমরা সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হই ৷
তার কবিতা শ্রবণ করে রাসুলুল্লাহ্ (না) বলেন : তোমার পালনকতা তোমার প্ৰতি রহম করুন,
দয়া করুন ৷ তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (না) ! আপনি যদি তার
দ্বারা আমাদেরকে (আরো কিছু সময়) উপকৃত হওয়ার সুযোগ দিতেন ৷ তার জন্য তো শাহাদত
অনিবার্য হয়ে গেছে ৷ খায়বরের দিন তিনি শহীদ হন ৷ ইমাম বৃখরী-এর মতো তিনিও তার মৃত্যুর
বর্ণনা উল্লেখ করেহ্নে৷ ৷
ইবন ইসহাক আতা ইবন আবু মারওয়ান আবুমাতাব ইবন আমৃর সুত্রে বর্ণনা করেন

যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বরে দাড়িয়ে সাহাবীদের উদ্দেশেদ্র বলেন, আর আমিও তাদের মধ্যে
ছিলাম, তোমরা সকলে দাড়াও ৷ এরপর তিনি বললেন :




এলাহী ! সপ্ত আকাশ এবং তা যার উপর ছায়া বিস্তার করে, সে সবের পালনকতা, ভুমি
এবং ভুমি যা কিছু ধারণ করে সে সবের পলনকতা, সমস্ত শয়তান আর শয়তানরা যাদ্যেশ্বকে
পােমরাহ করে তাদের পালনকতা, বায়ু আর ৰায়ু যেসব বস্তুকে উড়িয়ে নিয়ে যায সেসবের


بِيَدِي، قَالَ: " مَا لَكَ؟ " قُلْتُ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي، زَعَمُوا أَنَّ عَامِرًا حَبِطَ عَمَلُهُ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَذَبَ مَنْ قَالَهُ، إِنَّ لَهُ لَأَجْرَيْنِ - وَجَمَعَ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ - إِنَّهُ لَجَاهِدٌ مُجَاهِدٌ، قَلَّ عَرَبِيٌّ مَشَى بِهَا مِثْلَهُ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، وَغَيْرِهِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ، بِهِ نَحْوَهُ. وَيُرْوَى: " نَشَأَ بِهَا مِثْلَهُ ". قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَيُرْوَى: " قَلَّ عَرَبِيٌّ مُشَابِهًا مِثْلَهُ ". وَيَكُونُ مَنْصُوبًا عَلَى الْحَالِيَّةِ مِنْ نَكِرَةٍ، وَهُوَ سَائِغٌ؛ إِذَا دَلَّتْ عَلَى تَصْحِيحِ مَعْنًى، كَمَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ: " «فَصَلَّى وَرَاءَهُ رَجُلٌ قِيَامًا» ". وَقَدْ رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ عَامِرِ بْنِ الْأَكْوَعِ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ فَقَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ بْنِ نَصْرِ بْنِ دَهْرٍ الْأَسْلَمِيِّ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ «أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي مَسِيرِهِ إِلَى خَيْبَرَ لِعَامِرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩১১৬
الْأَكْوَعِ، وَهُوَ عَمُّ سَلَمَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْأَكْوَعِ: " انْزِلْ يَا ابْنَ الْأَكْوَعِ، فَخُذْ لَنَا مِنْ هَنَاتِكَ " قَالَ: فَنَزَلَ يَرْتَجِزُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْلَا اللَّهُ مَا اهْتَدَيْنَا ... وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَا إِنَّا إِذَا قَوْمٌ بَغَوْا عَلَيْنَا ... وَإِنْ أَرَادُوا فِتْنَةً أَبَيْنَا فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا ... وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لَاقَيْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَرْحَمُكَ رَبُّكَ ". فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: وَجَبَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ أَمْتَعْتَنَا بِهِ. فَقُتِلَ يَوْمَ خَيْبَرَ شَهِيدًا» ثُمَّ ذَكَرَ صِفَةَ قَتْلِهِ كَنَحْوِ مَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَرْوَانَ الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مُعَتِّبِ بْنِ عَمْرٍو «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَشْرَفَ عَلَى خَيْبَرَ قَالَ لِأَصْحَابِهِ وَأَنَا فِيهِمْ: " قِفُوا ". ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ وَمَا أَظْلَلْنَ، وَرَبَّ الْأَرَضِينَ وَمَا أَقْلَلْنَ، وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضْلَلْنَ، وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا أَذْرَيْنَ، فَإِنَّا نَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، وَخَيْرَ أَهْلِهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ أَهْلِهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، أَقْدِمُوا بِسْمِ اللَّهِ» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ৩১১৭

খায়বরে আলী ইবন আবু তালিব (রা) রাসুল করীম (সা) থেকে পেছনে পড়ে যান আর
সেদিন তার চোখে পীড়া ছিল ৷ তখন তিনি বললেন : আমি কি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পেছনে পড়ে
থাকবাে ? একথা বলে তিনি এসে নবী করীম (সা)-এর সঙ্গে যোগ দেন ৷ আমরা রাত্রি যাপন
করি, যে রাত্রে খায়বর বিজয় হয়, সেদিন ভোরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আগামী কাল আমি
এমন লোকের হাতে পতাকা দেবাে , আল্লাহ এবং তার রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যাকে ভালরাসেন (অথবা
তিনি বলেন আগামী কাল এমন ব্যক্তি পতাকা গ্রহণ করবেন) ৷ তার হাতে খায়বর বিজয় হবে
আমরা সকলেই খায়বর বিজেতা হওয়ার প্রত্যাশী ছিলাম ৷ বলা হলো : এই যে আলী (রা) !
রাসুলুল্লাহ্ (যা) তার হাতে পতাকা তুলে দেন আর তার হাতেই খায়বর বিজয় হয় ৷ ইমাম বুখারী
(র) ও ইমাম মুসলিম (র) কুতায়বার বরাতে হাতিম সুত্রেও হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম বুখারী
(র) কুতায়বা আবুহাযিম সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :

সাহ্ল ইবন সাদ আমাকে জানান যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারের দিন আমাকে বললেন :
আগামী কাল আমি এমন এক ব্যক্তির হাতে এ পতাকা তুলে দেবাে, যিনি আল্লাহ এবং তার
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ভালবাসেন এবং আল্লাহ ও তার রাসুলুল্লাহ্ (সা)ও যাকে ভালবাসেন ৷ তার
হাতে আল্লাহ খায়ররের বিজয় দান করবেন ৷ লোকেরা কানাখুষার মধ্যে রাত্রি যাপন করেন, কার
হাতে এ পতাকা দেয়া হয় কে জানে ৷ ভোরে লোকজন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট উপস্থিত হন ৷
সকলেই আশা পোষণ করেন ৷ এ পতাকা তাকে দেয়া হবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন,
আলী ইবন আবু তালিব কোথায় ? লোকেরা আরব করেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! তার চোখ
ব্যধিগ্রস্ত ৷ রাবী বলেন, লোক প্রেরণ করে তাকে ডেকে এনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার দৃচোখে মুখের
লালা লাগিয়ে তার জন্য দৃ’আ করলে তিনি এমন সুস্থ হয়ে উঠেন যেন কোন ব্যথাই ছিলনা ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) তার হাতে পতাকা তুলে দিলে হযরত আলী (রা) বললেন : তারা আমাদের মতো
(মুসলিম) না হওয়া পর্যন্ত আমি তাদের সঙ্গে লড়াই করে যাবো ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : ধীরে
সুন্থে তাদের দিকে এগিয়ে যাবে এবং তাদের আঙ্গিনড়ায় পৌছে ইসলামের দিকে তাদেরকে
আহ্বান জানাবে, তাদের উপর আল্লাহ্ তাঅড়ালার যে অধিকার বতায়, সে সম্পর্কে তাদেরকে
অবহিত করবে ৷ আল্লাহর শপথ, তোমার দ্বারা একজন লোকের হিদায়াত লাভ করা তোমার লাল
বর্ণের উটের মালিক হওয়ার চেয়ে অনেক উত্তম ৷ ইমাম মুসলিম (র) এবং ইমাম নাসাঈ (র)
উভয়ে কুতায়বা সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

সহীহ মুসলিম এবং বায়হাকীতে সুহায়ল ইবন আবু সালিহ তার পিতা সুত্রে ৷ তিনি হযরত
আবুহ্বাযরা (রা) থেকে বর্ণনা করেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : আমি আপামীকাল এমন এক ব্যক্তির হাতে এ পতাকা তুলে দেবাে,
যে আল্পাহ্ এবং তার রাসুলকে ভালবাসে এবং আল্লাহ্ ও তার রাসুলুল্লাহ্ (সা) যাকে ভালবাসেন
এবং তার হাতে অড়াল্লাহ্ (খায়বরের) বিজয় দান করবেন ৷ (একথা শ্রবণ করে) উমর (রা) বলেন,
কেবল সেদিনই আমার মনে নেতৃত্ব লাভের আকাত্তক্ষা জাগে ৷ রাসুল করীম (সা) হযরত আলী
(রা)-কে ডেকে এ বলে তাকে প্রেরণ করেন : যাও এবং লড়াই করতে থাক যতক্ষণ না আল্লাহ্
তোমার হাতে বিজয় দান করেন ৷ পেছনে ফিরে তড়াকাবেনা, এদিক সেদিক দেখবে না ৷ আলী


وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنِ الْعُطَارِدِيِّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَمِّعٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي مَرْوَانَ الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ، حَتَّى إِذَا كُنَّا قَرِيبًا وَأَشْرَفْنَا عَلَيْهَا، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلنَّاسِ: " قِفُوا ". فَوَقَفَ النَّاسُ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ، وَرَبَّ الْأَرَضِينَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ، وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضْلَلْنَ، فَإِنَّا نَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، وَخَيْرَ أَهْلِهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، وَشَرِّ أَهْلِهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، أَقْدِمُوا بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ» " قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا غَزَا قَوْمًا لَمْ يُغِرْ عَلَيْهِمْ حَتَّى يُصْبِحَ، فَإِنْ سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ، وَإِنْ لَمْ يَسْمَعْ أَذَانًا أَغَارَ، فَنَزَلْنَا خَيْبَرَ لَيْلًا، فَبَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا أَصْبَحَ لَمْ يَسْمَعْ أَذَانًا، فَرَكِبَ وَرَكِبْنَا مَعَهُ، وَرَكِبْتُ خَلَفَ أَبِي طَلْحَةَ، وَإِنَّ قَدَمِي لَتَمَسُّ قَدَمَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَقْبَلَنَا عُمَّالُ خَيْبَرَ غَادِينَ، قَدْ خَرَجُوا بِمَسَاحِيهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ، فَلَمَّا رَأَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْجَيْشَ، قَالُوا: مُحَمَّدٌ
পৃষ্ঠা - ৩১১৮
وَالْخَمِيسُ مَعَهُ. فَأَدْبَرُوا هُرَّابًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ".» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنَا هَارُونُ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، بِمِثْلِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى خَيْبَرَ لَيْلًا، وَكَانَ إِذَا أَتَى قَوْمًا بِلَيْلٍ لَمْ يَقْرَبْهُمْ حَتَّى يُصْبِحَ، فَلَمَّا أَصْبَحْ خَرَجَتِ الْيَهُودُ بِمَسَاحِيهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ، فَلَمَّا رَأَوْهُ قَالُوا: مُحَمَّدٌ وَاللَّهِ، مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ» تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «صَبَّحْنَا خَيْبَرَ بُكْرَةً، فَخَرَجَ أَهْلُهَا بِالْمَسَاحِي، فَلَمَّا بَصُرُوا بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: مُحَمَّدٌ
পৃষ্ঠা - ৩১১৯

(বা) জিজ্ঞেস করলেন : কে ৷নৃ বিষয়ে আমি৩ তাদের সঙ্গে জিহাদ করবো ? রাসুল করীম (সা)
বললেন৪ আল্পাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহ্র বান্দ৷ ও রাসুল-
যতক্ষণ তারা এ কথার সাক্ষ্য না দেয় ততক্ষণ তুমি তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ অব্যাহত রাখবে ৷

তারা একথা স্বীকার করে নিলে তারা তাদের জান মালের নিরাপত্তার অধিকারী হবে ৷ তবে কারো
অধিকার হরণ করলে৩ তার দন্ড ভোগ করতে হয়ে তাদের হিসাব অ ৷ল্লাহ্র হাতে ৩নস্ত ৷ এ হাদীছের
শব্দমা লা বুখা ৷রী শরীফের ৷

ইমাম আহমদ (র) মুসআব ইবন মিকদাম আবু সাঈদ খুদৃরী (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন
৪ আবু সাঈদ খুদরী (বা) বলেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) পতাকা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে বললেন : হক আদায় করে কে এ পতাকা
ধারণ করবে ? এক ব্যক্তি এগিয়ে এসে বললাে আমি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যাও ৷ অপর
এক ব্যক্তি এগিয়ে এলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : যাও ৷ এরপর নবী করীম (সা) বললেন : সে
সত্তার শপথ, যিনি মুহাম্মাদের মুখমণ্ডলকে গৌরবদীপ্ত করেছেন, এমন এক ব্যক্তিকে আমি এটা
দান করবো , যে পলায়ন করবে না ৷ এরপর তিনি বললেন : হে আলী ধারণ কর ৷ তিনি এগিয়ে
যান এবং আল্লাহ তার হাতে খায়বর ও ফাদাক এর বিজয় দান করেন ৷ বিজয়ের পর তিনি তথা
থেকে উন্নতমানের আজওয়া , খেজুর এবং শুকন৷ গোশ্ত নিয়ে আসেন ৷ ইমাম আহমদ
এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং এ হাদীছের সনদেও কোন ত্রুটি নেই, তার একজন
রাবী সম্পর্কে বি৩কি রয়েছে ৷ হাদীছটিতে কিছুটা বিরল বর্ণনাও রয়েছে ৷

ইউনুস ইবন বুকাইর আমৃর ইবনুল আক্ওয়৷ সুত্রে বর্ণনা করে বলেন যে, নবী করীম
(সা) আবু বকর (রা)-কে খায়বরের কোন এক দুর্গের প্রতি প্রেরণ করেন ৷ তিনি জিহাদ শেষে
ফিরে আসেন ৷ অনেক চেষ্টা করেও তা জয় করতে সক্ষম হননি ৷ এরপর উমর (রা)-ফে প্রেরণ
করেন ৷ তিনিও ব্যর্থ হয়ে ফিরে এলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আগামী কাল আমি এমন এক
ব্যক্তির হাতে পতাকা দেবাে , আল্লাহ্ এবং আল্লাহ্র রাসুলুল্লাহ্ (সা) যাকে ভালবাসেন এবং যিনি
আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলকে ভালবাসেন ৷ আল্লাহ তার হাতে বিজয় দান করবেন এবং৩ তিনি
পলায়নকা ৷রী নন ৷ সালমা বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবুতা তালিবকে ডাকেন ৷ তখন তার
চাে ৷খে অসুখ ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার দু চোখে লাল৷ দিয়ে বললেন০ পতাকা নিয়ে এগিয়ে যাও
যতক্ষণ না আল্লাহ্ তোমার হাতে বিজয় দান করেন ৷ আলী (রা) পতাকা নিয়ে বের হলেন দ্রুত
গতিতে চললেন আর আমরা তার পশ্চাতে পদাৎক অনুসরণ করছিলাম ৷ তিনি পাথরের ঢিবিতে
পতাকা গাড়লেন ৷ এটা ছিল দুর্গের নীচে ৷ এক ইয়াহুদী দুর্গের চুড়া থেকে মাথা তুলে দেখলে ৷
বললো০ কে তুমি ? তিনি বললেন০ আমি আলী ইবন আবুতা ৩ালিব ৷ তখন ইয়াহ্রদী বললো, মুসার
উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে (অর্থাৎ তাওরাত) তার শপথ করে বলছি, তোমরা জয়ী হয়ে ৷ আল্লাহ
তার হাতে বিজয় দান না করা পর্যন্ত তিনি সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করেননি ৷

ইমাম বায়হাকী (র) হাকিম আবদুল্লাহ্ ইবন বুরায়দা সুত্রে,৩ তিনি তদীয় পিতা সুত্রে
বর্ণনা করেন০ খায়বরের দিন আবু বকর (রা) পতাকা ধারণ করেন ৷ কিন্তু বিজয় অর্জন ছ৷ ৷ড়াই
তিনি প্র৩াবর্ভা করেন ৷ মাহমুদ ইবন মাসলামা শহীদ হলে লোকেরা ফিরে আসে ৷ ৩ খন রাসুল


وَاللَّهِ، مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ". قَالَ: فَأَصَبْنَا مِنْ لُحُومِ الْحُمُرِ، فَنَادَى مُنَادِي النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يَنْهَيَانِكُمْ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ؛ فَإِنَّهَا رِجْسٌ» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «لَمَّا أَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ، فَوَجَدَهُمْ حِينَ خَرَجُوا إِلَى زَرْعِهِمْ وَمَعَهُمْ مَسَاحِيهِمْ، فَلَمَّا رَأَوْهُ وَمَعَهُ الْجَيْشُ، نَكَصُوا فَرَجَعُوا إِلَى حِصْنِهِمْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ ". وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ قَرِيبًا مِنْ خَيْبَرَ بِغَلَسٍ، ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ". فَخَرَجُوا يَسْعَوْنَ فِي السِّكَكِ، فَقَتَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُقَاتِلَةَ، وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ، وَكَانَ فِي السَّبْيِ صَفِيَّةُ، فَصَارَتْ إِلَى دِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ، ثُمَّ صَارَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا. قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ لِثَابِتٍ: يَا أَبَا مُحَمَّدٍ، أَأَنْتَ قُلْتَ لِأَنَسٍ: مَا أَصْدَقَهَا؟ فَحَرَّكَ ثَابِتٌ رَأْسَهُ تَصْدِيقًا لَهُ» . تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ النَّهْيَ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৩১২০

করীম (সা) বললেন ৪ আপামীকাল আমি আমার পতাকা এমন এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করবো, যে
আল্লাহ এবং তার রাসুলুল্লাহ্ (সা)ন্কে ভালবাসে আর আল্লাহ এবং তার রাসুলও যাকে ভালবাসেন ৷
আল্লাহ তার হাতে বিজয় সুচিত না করা পর্যন্ত যে ব্যক্তি ফিরে আসবে না ৷ আগামীকাল বিজয়
নিশ্চিত এ আশায় আমরা প্রশান্ত চিত্তে রাত্রি যাপন করি ৷ তখন রাসৃলুল্লাহ্ (সা) ফজরের সালাত
আদায় করে পতাকা নিয়ে আসতে বলেন এবং নিজে দাড়িয়ে থাকেন ৷ রাসুল করীম (সা)-এর
নিকট যার কিছু মযদি৷ আছে সে-ই আশা পোষণ করে যে, সেই হবে রাসুলের কাডিক্ষত ব্যক্তি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট আমার যেটুকু স্থান আছে, তাতে আমি আশা পোষণ করি এবং মাথা
তুলে এগিয়ে যাই ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালিবকে তলব করেন ৷ তখন তিনি
চক্ষু পীড়ায় ভুগছিলেন ৷ রাবী বলেন, রাসুল করীম (সা) তার চোখে হাত বুলান আর তার হাতে

কা তুলে দেন ৷ তিনি বিজয় অর্জন করেন ৷ তখন আমি আবদুল্লাহ ইবন বৃরায়দাকে বলতে
শুনি, তিনি বলছিলেন, তিনি ছিলেন মারহাবকে হত্যাকারী ৷

ইবন ইসহাক সুত্রে ইউনুস বলেন যে, খায়বরের দৃর্পগুলাের মধ্যে সর্বপ্রথম নাএম’ দুর্গ জয়
করা হয় ৷ সেখানেই মাহমুদ ইবন মাসলামাকে শহীদ করা হয় ৷ উপর থেকে তার মাথায় যাতা
নিক্ষেপ করা হলে তাতে তিনি শহীদ হন ৷

ইমাম বায়হড়াকী (র) ইউনুস ইবন বুক৷ য়র আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দা সুত্রে৩ তিনি তার
পিত ৷ থেকে বর্ণনা করেনং রাসুলুল্লাহ্ (সা) কখনো কখনো মাথা ব্যথায় ১ আক্রান্ত হতেন ৷ তখন
দৃ একদিন ঘর থেকে বের হতেন না ৷ থায়বরেও তিনি মাথা ধরায় আক্রান্ত হন ৷ এ সময়ও তিনি
লোকজনের সম্মুখে উপস্থিত হননি ৷ হযরত আবু বকর (রা) বাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পতাকা নিয়ে
বের হন এবং তুমুল জিহাদ শেষে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এরপর হযরত উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্র (সা)
পতাকা ধারণ করে ভীব্রে জিহাদ করেন যা ছিল পুর্বের চেয়ে আরো অনেক কঠোর; কিন্তু তিনিও
ফিরে আসেন ৷ এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অব ৩করা হলেও তিনি বললেন, আগামী কাল
আমি এমন লোকের হাতে এ পতাকা তুলে দেবাে, যে আল্লাহ্ ও তার বা সুলকেভ ৩ালবাসে এবং
আল্লাহ্ ও তার রাসুলও যাকে ভালবাসেন ৷ আর যে ব্যক্তি শক্তি প্রয়ােপে উক্ত অঞ্চল জয় করবেন ৷
(রাসুলুল্লা হ্ (সা) যখন একথা বলেন) তখন সেখানে আলী (রা) ছিলেন না ৷ প্রতিটি কুরায়শী আর
প্রতিটি ব্যক্তি আশা পোষণ করেছিলেন যে, তিনিই হবেন যে ব্যক্তি ৷ প্রতু ৷ষে একটা উটে
আরোহণ করে হযরত আলী (বা) আগমন করে উট থেকে নেমে৩ তা বাধলেন ৷ এসময় তিনি
চক্ষুপীড়া য় ভুগছিলেন ৷ এ কারণে তার চক্ষুদ্বয়ে কাতা ৷রী কাপড় দ্বারা পট্টি বাধা ছিল ৷ রড়াসুলুল্লাহ্
(সা) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমার কী হয়েছে ? বললেন, চক্ষু ব্যথা করছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, আমার কাছে এসে৷ ৷ (তিনি কাছে এলে) রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার চোখে মুখের লালা
লাগান ৷ এরপর তার জীবনের অন্তিম দিন পর্যন্ত আর কখনো তিনি চক্ষু পীড়া ৷য় আক্রান্ত হননি ৷
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার হাতে পতাকা তুলে দিলে তিনি পতাকা নিয়ে রওয়ানা হন ৷ এসময়
তার পায়ে ছিল আরজুয়ড়ান এর লাল জুব্বা ৷ তিনি খায়বরে আগমন করলে দুর্গের অধিপতি
মারহাব বেরিয়ে আসে ৷ মারহাবের শিরে ছিল ইয়ামানী শিরস্ত্রাণ ৷ পাথরের কারুকার্য করা এ
শিরস্ত্রাণ তিনি মাথায় ব্যবহার করেন ৷ আর মুখে নিম্নোধৃত কবিতা আবৃত্তি করছিলেন :
১ মুলে মোঃ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে ৷ এর অর্থ আমার সামনের দিক বা উভয় দিকের ব্যথা ৷




طُرُقٍ تُذْكَرُ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ ". وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو طَاهِرٍ الْفَقِيهُ، أَنْبَأَنَا حَاجِبُ بْنُ أَحْمَدَ الطُّوسِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَمَّادٍ الْأَبْيَوَرْدِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْأَعْوَرِ الْمُلَائِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُ الْمَرِيضَ، وَيَتَّبِعُ الْجَنَائِزَ، وَيُجِيبُ دَعْوَةَ الْمَمْلُوكِ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ، وَكَانَ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ، وَالنَّضِيرِ عَلَى حِمَارٍ، وَيَوْمَ خَيْبَرَ عَلَى حِمَارٍ مَخْطُومٍ بِرَسَنِ لِيفٍ، وَتَحْتَهُ إِكَافٌ مِنْ لِيفٍ.» وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ بِتَمَامِهِ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ وَابْنُ مَاجَهْ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ سُفْيَانَ، وَعَنْ عَمْرِو بْنِ رَافِعٍ، عَنْ جَرِيرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ مُسْلِمٍ، وَهُوَ ابْنُ كَيْسَانَ الْمُلَائِيُّ الْأَعْوَرُ الْكُوفِيُّ، عَنْ أَنَسٍ، بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: لَا
পৃষ্ঠা - ৩১২১
نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِهِ، وَهُوَ يُضَعَّفُ. قُلْتُ: وَالَّذِي ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " عِنْدَ الْبُخَارِيِّ عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْرَى فِي زُقَاقِ خَيْبَرَ، حَتَّى انْحَسَرَ الْإِزَارُ، عَنْ فَخِذِهِ.» فَالظَّاهِرُ أَنَّهُ كَانَ يَوْمَئِذٍ عَلَى فَرَسٍ، لَا عَلَى حِمَارٍ. وَلَعَلَّ هَذَا الْحَدِيثَ - إِنْ كَانَ صَحِيحًا - مَحْمُولٌ عَلَى أَنَّهُ رَكِبَهُ فِي بَعْضِ الْأَيَّامِ وَهُوَ مُحَاصِرُهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْخُزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ قَالَ: نَظَرَ أَنَسٌ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَرَأَى طَيَالِسَةً، فَقَالَ: كَأَنَّهُمُ السَّاعَةَ يَهُودُ خَيْبَرَ
পৃষ্ঠা - ৩১২২


খায়বর জানে যে, আমি মারহাব ! অস্ত্রধারী অভিজ্ঞ নেতা আমি ৷ সিংহ ক্ষিপ্ত হয়ে যখন সম্মুখে
এগিয়ে আসে এবং বিজয়ীর হামলার ভয়ে যখন সে পিছনে সরে যায় ৷

এর জবাবে আলী (রা) হুৎকার দিয়ে আবৃত্তি করেন :

ম্ভ )দ্দৌ

ন্নে এে

আমি যে ব্যক্তি, যার নাম রেখেছেন তার মা হায়দর বলে ৷ :যন জঙ্গলের সিংহ আর কি ৷
শক্ত আমার পাকড়াও ৷ আমি তােমাদেরকে যেপে দেবাে এক সা এর বিনিময়ে এক মান্দারা
(এক বড় মাপের পরিমাণ বিশেষ) ৷

রাবী বলেন, এরপর উভয়ে সম্মুখ সময়ে অবতীর্ণ হন ৷ একে অন্যের উপর আঘাত হানেন ৷
হযরত আলী (বা) তার উপর এমন তবে আঘাত হানেন যা প্রস্তরকেও তা খানখান করে দেয় ৷ যা
মস্তক ভেদ করে মাড়ির দীত পর্যন্ত পৌছে ৷ এরপর তিনি খায়বর নগরী অধিকার করে নেন ৷

হাফিয বায্যার আব্বাদ ইবন ইয়াকুব ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে খায়বরের দিন হযরত
আবু বকর (রা) , হযরত উমর (রা) , অবশেষে হযরত আলী (রা) কে প্রেরণ করা এবং তার হাতে
খায়বর বিজয়ের কাহিনী বণ্টা করেছেন ৷ তবে তার বর্ণনার কিছুটা বৈকল্য আর অগ্ৰাহ্যতা রয়েছে
এবং তার সনদে এমন ব্যক্তিও রয়েছেন ৷ যিনি শিয়াবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷

ইমাম মুসলিম (র) এবং ইমাম বায়হড়াকী (র) হড়াদীছের শব্দমালা ইমাম বড়ায়হাকী ইকরিমা
ইবন আম্মার সালামা ইবনুল আক্ওয়া ৷ তিনি তার পিতা সুত্রে দীর্ঘ হড়াদীছ বর্ণনা করে
তাতে ফাজারা যুদ্ধ থেকে তাদের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গ উল্লেখপুবর্ক বলেন যে, আমরা তথায় তিন দিন
অবস্থান করে খায়বরের উদ্দেশ্যে বের হই ৷ রাবী বলেন যে, আমীর নিলোধৃত কবিতা আবৃত্তি
করতে করতে রাস্তায় বের হন ও

ণ্ট্রুএে ৷ ,

আল্লাহ্র কসম ! আপনি না থাকলে আমরা হিদায়াত পেতাম না, সাদাকা করতাম না, নামায

আদায় করতাম না ৷ আপনারা দয়া থেকে আমরা বিমুখ হতে পারি না ৷ সুতরাং আপনি আমাদের
প্রতি শান্তি নাযিল করুন ৷

আর আমরা যখন সম্মুখ সময়ে অবতীর্ণ হই তখন আমাদের পদ দৃঢ় ও স্থির রাখবেন ৷


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: «كَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ تَخَلَّفَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَيْبَرَ، وَكَانَ رَمِدًا فَقَالَ: أَنَا أَتَخَلَّفُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟! فَلَحِقَ بِهِ، فَلَمَّا بِتْنَا اللَّيْلَةَ الَّتِي فُتِحَتْ خَيْبَرُ قَالَ: " لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا - أَوْ: لَيَأْخُذَنَّ الرَّايَةَ غَدًا - رَجُلٌ يُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، يُفْتَحُ عَلَيْهِ ". فَنَحْنُ نَرْجُوهَا. فَقِيلَ: هَذَا عَلِيٌّ. فَأَعْطَاهُ، فَفُتِحَ عَلَيْهِ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَاتِمٍ، بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ قَالَ: «أَخْبَرَنِي سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ خَيْبَرَ " لَأُعْطِيَنَّ هَذِهِ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ". قَالَ: فَبَاتَ النَّاسُ يَدُوكُونَ لَيْلَتَهُمْ؛ أَيُّهُمْ يُعْطَاهَا؟ فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ غَدَوْا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كُلُّهُمْ يَرْجُو أَنْ يُعْطَاهَا، فَقَالَ: " أَيْنَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ؟ ". فَقَالُوا: هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، يَشْتَكِي عَيْنَيْهِ. قَالَ: فَأَرْسِلُوا إِلَيْهِ، فَأُتِيَ بِهِ، فَبَصَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَيْنَيْهِ وَدَعَا لَهُ، فَبَرِأَ حَتَّى كَأَنْ لَمْ يَكُنْ بِهِ وَجَعٌ، فَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُقَاتِلُهُمْ حَتَّى يَكُونُوا مِثْلَنَا؟
পৃষ্ঠা - ৩১২৩
فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " انْفُذْ عَلَى رِسْلِكَ حَتَّى تَنْزِلَ بِسَاحَتِهِمْ، ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَأَخْبِرْهُمْ بِمَا يَجِبُ عَلَيْهِمْ مِنْ حَقِّ اللَّهِ تَعَالَى فِيهِ، فَوَاللَّهِ لَأَنْ يَهْدِيَ اللَّهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمُرُ النَّعَمِ» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ والنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ قُتَيْبَةَ، بِهِ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " والْبَيْهَقِيِّ مِنْ حَدِيثِ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَيْهِ ". قَالَ عُمَرُ: فَمَا أَحْبَبْتُ الْإِمَارَةَ قَطُّ إِلَّا يَوْمَئِذٍ. فَدَعَا عَلِيًّا فَبَعَثَهُ، ثُمَّ قَالَ: " اذْهَبْ فَقَاتِلْ حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيْكَ، وَلَا تَلْتَفِتْ ". قَالَ عَلِيٌّ: عَلَى مَا أُقَاتِلُ النَّاسَ؟ قَالَ: " قَاتِلْهُمْ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ فَقَدْ مَنَعُوا مِنْكَ دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ» لَفْظُ الْبَيْهَقِيِّ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ، وَحُجَينُ بْنُ الْمُثَنَّى
পৃষ্ঠা - ৩১২৪

রাবী বলেন, কবিতা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কার কবিতা ? লোকেরা
বললো : আমীর নামক এক কবির ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : তোমার পালনকতা তোমাকে
ক্ষমা করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কারো জন্য বিশেষভাবে দৃআ করলে সে শাহাদাত লাভ করতো ৷
তখন উমর (রা) বললেন : আর এ সময় তিনি ছিলেন উটের পিঠে ৷ আরো কিছুকাল যদি আমীর
দ্বারা আমাদেরকে উপকৃত হতে দিতেন ৷ রাবী বলেন, আমরা যখন খায়বর আগমন করি তখন
মারহাব তরবান্বি উঠিয়ে নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করতে করতে বের হয় :


খায়বর জানে যে, আমি মারহাব, আমি অস্ত্র চালাই, আমি দক্ষ নেতা ৷ যখন যুদ্ধে এগিয়ে

এসে স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করে ৷ রাবী বলেন , তখন আমীর (রা) নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করে দ্বন্দু যুদ্ধের
ডাক দেন ?;

ণ্এেট্টএে ঠোএে (শ্লে ¢$fi ১এ-ং ধ্স্ট্ট)-ন্শ্ন্ঠ মোঃ এএ

খায়বর জানে যে, আমি আমীর, অস্ত্র চালনায় দক্ষ, যোদ্ধা , আমি যুদ্ধ করি; কিন্তু পেছনে
সরে যাইনা ৷

রাবী বলেন, এ কবিতা আবৃত্তি করতে করতে উভয়ে একে অপরকে তরবারি দ্বারা আঘাত
করতে থাকেন ৷ এক পর্যায়ে মারহাবের তলোয়ার আমীর এর চালের উপর পতিত হয় ৷ আমীর
তাকে নীচে থেকে আঘাত করতে উদ্যত হলে নিজের তলােয়ারের আঘাতে তার প্রধান শিরা কটিড়া
যায় এবং এর ফলে তার মৃত্যু ঘটে ৷ সালামা (বা) বলেন, আমি বাইরে এসে দেখি, রাসুল করীম
(না)-এর একদল সাহাবী বলড়াবলি করছেন আমীর এর আমল বরবাদ হয়ে গেছে ৷ আমীর
নিজেকে নিজে হত্যা করেছে ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট হাযির হই, তখন
আমি কাদছিলাম ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন তোমার হয়েছে কী ? আমি বললাম ? লোকেরা বলছে
আমীর এর আমল বরবাদ হয়ে গেছে ৷ তিনি জানতে চাইলেন , এমন কথা কে বলছে ? আমি
বললাম, আপনার একদল সাহাবী ৷ তিনি বললেন, ওরা মিথ্যা কথা বলছে ৷ বরং তার জন্য
রয়েছে দ্বিগুণ পুরস্কার ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোক প্রেরণ করে আলী (র)-কে ডেকে
পাঠান ৷ এ সময় তার চক্ষু পীড়া ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ?; আজ আমি এমন ব্যক্তির হাতে
পতাকা দোবা, যে আল্লাহ ও তার রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে তালরাসে ৷ রাবী বলেন, আমি আলী
(রা) কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে নিয়ে আসলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী (রা) এর চোখে তার
মুখের লালা লাগালে তিনি সুস্থ হন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না) তার হাতে পতাকা তুলে দেন ৷ এ সময়
মারহাব নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করতে করতে সম্মুখ সমরে প্রবৃত্ত হয় ?

০ি
তখন আলী (রা)ও নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করতে করতে এগিয়ে যান ?


قَالَا: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِصْمَةَ الْعِجْلِيُّ، سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ الرَّايَةَ فَهَزَّهَا، ثُمَّ قَالَ: " مَنْ يَأْخُذُهَا بِحَقِّهَا؟ " فَجَاءَ فُلَانٌ فَقَالَ: أَنَا. قَالَ: " أَمِطْ ". ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ، فَقَالَ: " أَمِطْ ". ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَالَّذِي كَرَّمَ وَجْهَ مُحَمَّدٍ، لَأُعْطِيَنَّهَا رَجُلًا لَا يَفِرُّ، هَاكَ يَا عَلِيُّ ". فَانْطَلَقَ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ خَيْبَرَ وَفَدَكَ، وَجَاءَ بِعَجْوَتِهِمَا، وَقَدِيدِهِمَا» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ لَا بَأْسَ بِهِ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِصْمَةَ - وَيُقَالُ: ابْنُ عُصَمَ - هَذَا يُكَنَّى بِأَبِي عَلْوَانَ الْعِجْلِيِّ، وَأَصْلُهُ مِنَ الْيَمَامَةِ، سَكَنَ الْكُوفَةَ، وَقَدْ وَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ، وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ لَا بَأْسَ بِهِ. وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: شَيْخٌ. وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَانَ فِي " الثِّقَاتِ "، وَقَالَ: يُخْطِئُ كَثِيرًا. وَذَكَرَهُ فِي " الضُّعَفَاءِ "، وَقَالَ: يُحَدِّثُ عَنِ الْأَثْبَاتِ مِمَّا لَا يُشْبِهُ حَدِيثَ الثِّقَاتِ، حَتَّى يَسْبِقَ إِلَى الْقَلْبِ أَنَّهَا مَوْهُومَةٌ أَوْ مَوْضُوعَةٌ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي بُرَيْدَةُ بْنُ سُفْيَانَ
পৃষ্ঠা - ৩১২৫
بْنِ فَرْوَةَ الْأَسْلَمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْأَكْوَعِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِلَى بَعْضِ حُصُونِ خَيْبَرَ، فَقَاتَلَ ثُمَّ رَجَعَ، وَلَمْ يَكُنْ فَتْحٌ، وَقَدْ جَهِدَ، ثُمَّ بَعَثَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَاتَلَ ثُمَّ رَجَعَ، وَلَمْ يَكُنْ فَتْحٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، وَيُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، لَيْسَ بِفَرَّارٍ ". قَالَ سَلَمَةُ: فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ أَرْمَدُ، فَتَفَلَ فِي عَيْنَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " خُذِ الرَّايَةَ وَامْضِ بِهَا، حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيْكَ ". فَخَرَجَ بِهَا وَاللَّهِ يَأْنِحُ، يُهَرْوِلُ هَرْوَلَةً، وَإِنَّا لَخَلْفَهُ نَتَّبِعُ أَثَرَهُ، حَتَّى رَكَزَ رَايَتَهُ فِي رَضْمٍ مِنْ حِجَارَةٍ تَحْتَ الْحِصْنِ، فَاطَّلَعَ يَهُودِيٌّ مِنْ رَأْسِ الْحِصْنِ فَقَالَ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ الْيَهُودِيُّ: عَلَيْتُمْ وَمَا أُنْزِلَ عَلَى مُوسَى. فَمَا رَجَعَ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ» . وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْحَاكِمُ، أَنْبَأَنَا الْأَصَمُّ، أَنْبَأَنَا الْعُطَارِدِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، أَخْبَرَنِي أَبِي قَالَ: لَمَّا
পৃষ্ঠা - ৩১২৬

হে১ এ্যা ট্রুষ্

আমি যে ব্যক্তি, মা যার নাম রেখেছে হায়দর ৷ আমি বনের ভয়াল-ভয়ংকর সিংহের মতে
আমি তাদেরকে ছা এর সাথে পুরাপুরি দেবাে ৷ এই বলে তিনি মারহাবের মাথায় তরবারি দ্বার
আঘাত হড়ানেন ৷ এতে তার মাথা দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় ৷ মারহার নিহত হয় ৷ দুর্গ জয় হয় ৷ এমনই
বর্ণিত আছে যে হযরত আলী (রা)-ই অভিশপ্ত মারহারের হত্যাকারী ৷

ইমাম আহমদ (র) হুসাইন আলী (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আলী (বা) বলেছেন
মারহাবকে হত্যা করে আমি তার মস্তক রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে হাযির করি ৷ পক্ষান্তরে মুস
ইবন উক্বা যুহ্রী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, মারহাবকে যিনি ,ত্যা করেছেন তিনি হলেন মুহাম্মাদ্
ইবন মাসলামা , ইমাম মুহাম্মাদ ইবন ইসহড়াকও অনুরুপ ন্ন্াত রক্তে করেছেন ৷ জাবির ইব্
আবদুল্পাহ্ সুত্রে বর্ণনা করে তিনি বলেন : মারহার ইয়াহুদী নিশ্নেক্তে কবিতা আবৃত্তি করে থাকে
দৃর্গ থেকে বহির্গত হয় :

ম্প্রঞ১ণ্ষ্
ষ্,াপ্রুা
;, ৷
খায়বরবাসী জ্ঞাত আছে যে, আমি মারহার ৷ আমি সশস্ত্র, অভিজ্ঞ ও বীর ৷ কখনো বশা দ্বার

আঘাত হানি , আবার কখনো আঘাত করি তরবারি দ্বারা ৷ সিংহ যখন ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসে তখ
সে আমার চারণভুমির নিকটেও ঘেষতে পারে না ৷

তার এ কবিতা শুনে কাব ইবন মালিক (রা) জবাবে বলেন :
এ্যাএস্পেপ্রুট্ট১মেংহ্নগ্রএে
খায়বর জানে যে, আমি কাব আমি দুঃখ-কষ্ট দুর করি , আমি বীর-কঠাের ৷ যখন যুদ্ধ শুর

হয় আর তীব্ৰরুপ নেয় ৷ আমার কাছে তলােয়ার, আকীক পাথরের ন্যায় মুল্যবান ও ধারালাে ৷

তা বিনাশ সাধন করবে তোমাদের, শেষ পর্যন্ত বিপদই সহজ মনে হবে ৷ সে তরবারি এমন্
এক ব্যক্তির হাতে আছে, যাতে কোন খুত নেই, নেই কোন ত্রুটি ৷ বর্থাংড়াকারী বলেন যে, মারহড়া
এ কবিতা আওড়াতে আওড়াতে বলছিল এমন কে আছে যে আমার সঙ্গে দ্বন্দুযুদ্ধে অবতীর্ণ হশ্চে
পারে ? তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কে এর মুকাবিলা করবে ? তখন মুহাম্মাদ ইবন মাসলান্
দাড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমি তার ঘুকাবিলা করতে প্রস্তুত ৷ আল্লাহর কলম, আগ্রি
ময্লুম ও প্রতিশোধপ্রাথী ৷ সে গতকাল আমার ভাইকে হত্যা করেছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা


كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ أَخَذَ اللِّوَاءَ أَبُو بَكْرٍ، فَرَجَعَ وَلَمْ يُفْتَحْ لَهُ، وَقُتِلَ مَحْمُودُ بْنُ مَسْلَمَةَ، فَرَجَعَ النَّاسُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَأَدْفَعَنَّ لِوَائِي غَدًا إِلَى رَجُلٍ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، لَنْ يَرْجِعَ حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ لَهُ ". فَبِتْنَا طَيِّبَةً نُفُوسُنَا أَنَّ الْفَتْحَ غَدًا، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْغَدَاةِ، ثُمَّ دَعَا بِاللِّوَاءِ وَقَامَ قَائِمًا، فَمَا مِنَّا مِنْ رَجُلٍ لَهُ مَنْزِلَةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا وَهُوَ يَرْجُو أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ الرَّجُلَ، حَتَّى تَطَاوَلْتُ أَنَا لَهَا، وَرَفَعْتُ رَأْسِي؛ لِمَنْزِلَةٍ كَانَتْ لِي مِنْهُ، فَدَعَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَهُوَ يَشْتَكِي عَيْنَيْهِ. قَالَ: فَمَسَحَهَا، ثُمَّ دَفَعَ إِلَيْهِ اللِّوَاءَ فَفُتِحَ لَهُ» . فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ بُرَيْدَةَ يَقُولُ: حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ كَانَ صَاحِبَ مَرْحَبٍ. قَالَ يُونُسُ: قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: كَانَ أَوَّلُ حُصُونِ خَيْبَرَ فَتْحًا حِصْنَ نَاعِمٍ، وَعِنْدَهُ قُتِلَ مَحْمُودُ بْنُ مَسْلَمَةَ، أُلْقِيَتْ عَلَيْهِ رَحًى مِنْهُ فَقَتَلَتْهُ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ مَسْلَمَةَ الْأَزْدِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رُبَّمَا أَخَذَتْهُ الشَّقِيقَةِ، فَيَلْبَثُ الْيَوْمَ وَالْيَوْمَيْنِ لَا يَخْرُجُ، فَلَمَّا نَزَلَ خَيْبَرَ أَخَذَتْهُ الشَّقِيقَةُ، فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَى النَّاسِ، وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ أَخَذَ رَايَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৩১২৭
نَهَضَ فَقَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا ثُمَّ رَجَعَ، فَأَخَذَهَا عُمَرُ فَقَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا هُوَ أَشَدُّ مِنَ الْقِتَالِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ رَجَعَ، فَأُخْبِرَ بِذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " لَأُعْطِيَنَّهَا غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، يَأْخُذُهَا عَنْوَةً ". وَلَيْسَ ثَمَّ عَلِيٌّ، فَتَطَاوَلَتْ لَهَا قُرَيْشٌ، وَرَجَا كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أَنْ يَكُونَ صَاحِبَ ذَلِكَ، فَأَصْبَحَ، وَجَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عَلَى بَعِيرٍ لَهُ حَتَّى أَنَاخَ قَرِيبًا، وَهُوَ أَرْمَدُ قَدْ عَصَبَ عَيْنَهُ بِشُقَّةِ بُرْدٍ قِطْرِيٍّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا لَكَ؟ " قَالَ: رَمِدْتُ بَعْدَكَ. قَالَ: " ادْنُ مِنِّي " فَتَفَلَ فِي عَيْنِهِ، فَمَا وَجِعَهَا حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ، ثُمَّ أَعْطَاهُ الرَّايَةَ فَنَهَضَ بِهَا، وَعَلَيْهِ جُبَّةُ أُرْجُوَانَ حَمْرَاءُ، قَدْ أُخْرِجَ خَمْلُهَا، فَأَتَى مَدِينَةَ خَيْبَرَ وَخَرَجَ مَرْحَبٌ صَاحِبُ الْحِصْنِ وَعَلَيْهِ مِغْفَرٌ يَمَانِيٌّ، وَحَجَرٌ قَدْ ثَقَبَهُ مِثْلَ الْبَيْضَةِ عَلَى رَأْسِهِ، وَهُوَ يَرْتَجِزُ وَيَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَرْحَبُ ... شَاكٍ سِلَاحِي بَطَلٌ مُجَرَّبُ إِذَا اللُّيُوثُ أَقْبَلَتْ تَلَهَّبْ ... وَأَحْجَمَتْ عَنْ صَوْلَةِ الْمُغَلَّبِ
পৃষ্ঠা - ৩১২৮

বললেন, তুমি তার দিকে এগিয়ে যাও ৷ত তারপর তিনি দু আ করলেন “হে আল্লাহ এ কাজে
তাকে সাহায্য কর ৷” তাদের একজন অপরজনের নিকটবর্তী হলে এক প্রকাণ্ড প্র৷ ৷চীন বৃক্ষ উভয়ের
মধ্যে অতরায় হয়ে দাড়ায় (যে প্রাচীন বৃক্ষ থেকে অনবরত আটা নিগর্ত হতো ৷ তাদের একজন
অপরজনের থেকে এ বৃক্ষের মাধ্যমে, আত্মরক্ষা করছিলেন ৷ আর অপরজন নিজ তরবারি দ্বারা
বৃক্ষের আড়াল করা অং শে আঘাত করছিলেন ৷ শেষ পর্যন্ত উভয়ে মুখোমুখি হলেন ৷ এভাবে
বৃক্ষটা৩ তাদের উভয়ের মধ্যে দণ্ডায়মান একজন লোকের মত হয়ে যায় ৷ তখন মারহাব মুহাম্মাদ
ইবন মাসলামার উপর তরবারি দ্বারা আঘাত হানে আর তিনি৷ ঢ ৷ল দ্বারা এ আঘাত ঠেকান ৷ তিনি
তাদের উপর থেকে তরবারি টেনে বের করে নিয়ে ত ৷র ৷উপর পাল্টা আঘাত হানেন এবং এভাবে
মারহাবকে হত্যা করেন ৷ ইমাম আহমদ (র) ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম সুত্রে তিনি তার পিতা
থেকে আর তিনি ইবন ইসহাক থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, কারো
কারো ধারণা, মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা মারহাবকে হত্যা করার সময় নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি
করেছিলেন ৷

এঠুব্রে গ্রিএএ্যা দ্বু ঞ

খায়বর জানে যে, আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আর মিষ্ট , যখন আমার অভিপ্রায় হয় ৷ আবার আমি
হলাহলও ৷ অনুরুপ জাবির প্রমুখ থেকে ওয়াকিদী বর্ণনা করেন যে, মুহাম্মাদ ইবন মাসলামাই ছিল
মারহাবের হত্যাকারী ৷ ওয়াকিদী (র) আরো উল্লেখ করেন যে, মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা
মারহাবের পদদ্বয় কর্তন করলে সে বলে আমার জীবন লীলাই সাঙ্গ করে দাও ৷ তখন তিনি
বলেন, না (এভাবে সহজে তোমাকে মরতে দেওয়া হবে না, বরং) মাহমুদ ইবন মাসলামা
যেভাবে মৃত্যুর স্বাদ উপভোগ করেছে, তােমাকেও সেভাবে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে ৷
এরপর হযরত আলী (বা) তার নিকট দিয়ে অতিক্রমকালে তিনি মারহাবের মস্তক কর্তন করেন ৷
তারপর তারা উভয়ে মারহাবের অস্ত্র-শস্ত্র সম্পর্কে বিবাদে প্রবৃত্ত হন ৷ তারা এ বিরোধ নিয়ে
রাসুল (সা) এর দরবারে উপস্থিত হলে রাসুল করীম (সা) মুহাম্মাদ ইবন মাসলামাকে মারহাবের
তরবারি শিরস্ত্রাণ, বর্ম ও বশা দান করেন ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, তার তরবারির উপর এ কবিতাটি
লেখা ছিল০ ং


এটা হল মারহাবের তলােয়ার, যে ব্যক্তি এর স্বাদ গ্রহণ করবে, সে বিনাশ হবে ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, মারহাবের মৃত্যুর পর তার ভাই ইয়াসির বেরিয়ে এসে বলে :
আমার সাথে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারে এমন কে আছে ? হিশাম ইবন উরওয়৷ ধারণা করেন
যে, যুবায়র (রা)ত ৷র সম্মুখে উপস্থিত হলে তার মা অ ৷বদৃল মুত্তালিব-এর কন্যা সাফিয়্যা বললেন ং
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমার সন্তান তো মারা পড়বে ৷ রাসুল করীম (সা) বললেন, না, বরং তোমার
পুত্র তাকে হত্যা করবে ইনশাআল্লাহ্৷ তারপর উভয়ে লড়াইয়ে প্রবৃত্ত হলে যুবায়র (রা) তাকে বধ
করেন ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, এরপর যুবায়রকে যখন বলা হতো, আল্লাহ্র শপথ, সেদিন
তোমার তরবারি ছিল খুব ধারালো ৷ তখন তিনি বলতেন : আল্লাহ্র কসম , তা ধারালো ছিল না,
বরং তরবারির উব্রে চাপে আমি তাকে বধ করেছি ৷


فَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَا الَّذِي سَمَّتْنِي أُمِّي حَيْدَرَهْ ... كَلَيْثِ غَابَاتٍ شَدِيدِ الْقَسْوَرَهْ أَكِيلُكُمْ بِالصَّاعِ كَيْلَ السَّنْدَرَهْ قَالَ: فَاخْتَلَفْنَا ضَرْبَتَيْنِ، فَبَدَرَهُ عَلِيٌّ بِضَرْبَةٍ، فَقَدَّ الْحَجَرَ وَالْمِغْفَرَ وَرَأْسَهُ، وَوَقَعَ فِي الْأَضْرَاسِ، وَأَخَذَ الْمَدِينَةَ» . وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَزَّارُ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ يَعْقُوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قِصَّةَ بَعْثِ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرَ يَوْمَ خَيْبَرَ، ثُمَّ بَعْثِ عَلِيٍّ، فَكَانَ الْفَتْحُ عَلَى يَدَيْهِ. وَفِي سِيَاقِهِ غَرَابَةٌ وَنَكَارَةٌ، وَفِي إِسْنَادِهِ مَنْ هُوَ مُتَّهَمٌ بِالتَّشَيُّعِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ والْبَيْهَقِيُّ وَاللَّفْظُ لَهُ، مِنْ طَرِيقِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ، عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا، وَذَكَرَ فِيهِ رُجُوعَهُمْ مِنْ غَزْوَةِ بَنِي فَزَارَةَ. قَالَ: فَلَمْ نَمْكُثْ إِلَّا ثَلَاثًا، حَتَّى خَرَجْنَا إِلَى خَيْبَرَ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩১২৯

রাসুল করীম (সা)-এর আযাদকৃত গোলাম আবু রাফে সুত্রে ইবন ইসহাক এর বরাতে
ইউনুস বর্ণনা করেন যে, আবুরাফে বলেন :

“রাসুল করীম (সা) আলী (রা) কে তার পতাকা দিয়ে যখন খায়বরে প্রেরণ করেন তখন তার
সঙ্গে আমরাও ছিলাম ৷ তিনি দুর্গের নিকটবর্তী হলে দুর্গের বাসিন্দারা বেরিয়ে তার কাছে আসে ৷
তিনি একা তাদের সঙ্গে লড়াই করেন ৷ জনৈক য়াহ্রদী তার প্ৰতি আঘাত হানলে তিনি তার হাত
থেকে ঢাল ছুড়ে ফেলে দিয়ে দুর্গের দরজাকে ঢাল বানিয়ে নেন আর তা দ্বারা প্রতিরোধ করেন ৷
দুর্গ জয় করা পর্যন্ত এ দরজা তার হাতে ছিল ৷ দুর্গের দরজা হাতে নিয়ে লড়াই করতে করতে
আল্লাহ তাকে বিজয় দান করেন ৷ তারপর তিনি হাত থেকে দরজাটি ছুড়ে ফেলে দেন ৷ আবু
রাফে বলেন, আমরা ৮জন লোক মিলে (যাদের মধ্যে আমি ছিলাম ৮ম ব্যক্তি) দরজাটা এক স্থান
থেকে অন্য স্থানে নেয়ার চেষ্টা চালিয়েও সক্ষম হইনি ৷ অবশ্য এর সনদে একজন অজ্ঞাতনামা
রাবী রয়েছেন ৷ সনদটি বিচ্ছিন্নও বটে ৷

অবশ্য হাফিয রায়হাকী (র)ও হাকিম (র) মুত্তলিব ইবন যিয়াদ শ্জাবিয় সুত্রে বর্ণনা করেনঃ

জাবির (রা) বলেন : খায়বরের দিন আলী (রা), একটা দরজা উত্তোলন করেন এবং
মুসলমানগণ তার উপর আরোহণ করে খড়ায়বর জয় করেন ৷ পরবর্তীতে : : জন লোক অনেক
চেষ্টা করেও দরজাটি উত্তোলন করতে পারেননি ৷ এ বর্ণনাতেও দুর্বলতা আছে ৷ এ ছাড়া এক দুর্বল
বর্ণনায় হযরত জাবির থেকে বর্ণিত আছে যে, ৭০ জন লোক চেষ্টা করেও দরজাটি (যথাস্থানে)
পুনঃস্থাপন করতে ব্যর্থ হন ৷ ইমাম বুখারী (র) মাকী ইবন ইব্রাহীম ইবন আবুউবায়দ
সুত্রে বর্ণনা করেন :

যে তিনি বলেছেন, সালামার পায়ের গােছায় আঘাতের চিহ্ন দেখে আমি জিজ্ঞাসা করি; আবু
মুসলিম ! এটা কিসের চিহ্ন ? জবাবে তিনি বললেন : এটা খড়ায়বরের দিন আঘাতের চিহ্ন ৷
লোকেরা বলাবলি করে যে, সালামা বুঝি মারাই পেল ৷ তখন আমি নবী করীম (সা)-এর খিদমতে

উপস্থিত হলে তিনি (আঘাতের স্থানে) তিনবার কু দিলে অদ্যাবধি আমি আর যে স্থানে ব্যথা
অনুভব করিনি ৷ ইমাম বুখারী (র) আবদুল্লাহ ইবন মাসলামা সহল সুত্রে বর্ণনা করেন :

যে , কোন এক যুদ্ধে নবী করীম (সা) এবং মুশরিকরা সম্মুখ যুদ্ধে প্রবৃত্ত হন ৷ উভয় পক্ষে
তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ উভয় পক্ষ নিজ নিজ সেনাদলের দিকে ধাবিত হয় ৷ আর মুসলমানদের মধ্যে
এমন একজন লোক ছিল, যে কোন মুশরিককে একা পেলে পেছন থেকে তরবারী দ্বারা আঘাত না
করে ছাড়তে৷ না ৷ কোন একজন বললাে , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! অমুক ব্যক্তি এমন কাজ করেছে যা
ইতিপুর্বে আমাদের মধ্যে আর কেউ করেনি? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : সে জাহান্নামী ৷ তখন
লোকেরা বললাে, সে যদি জাহান্নড়ামী হয় তবে আমাদের মধ্যে আর কে জান্নড়াতী হবে ? তখন
সকলের মধ্য থেকে একজন বললাে : আমি তার পেছনে লেগে থাকবাে; সে দ্রুত গমন করুক
আর ধীরে গতিতে, (সবাবস্থায়) আমি তার সঙ্গে থাকবাে ৷ আহত হয়ে লোকটি দ্রুত মৃত্যু কামনা
করল ৷ সে তরবারির হড়াতল মাটিতে স্থাপন করে এবং ধারালো অংশ বুকের সঙ্গে চেপে ধরে
সজােরে চাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ৷ তখন পেছনে লেগে থাকা লোকটি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর

নিকট এসে বললাে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহর রাসুল! তিনি জিজ্ঞেস করলেন :

৪ : ——

وَخَرَجَ عَامِرٌ، فَجَعَلَ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَوْلَا أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا ... وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَا وَنَحْنُ مِنْ فَضْلِكَ مَا اسْتَغْنَيْنَا ... فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لَاقَيْنَا قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ هَذَا الْقَائِلُ؟ " فَقَالُوا: عَامِرٌ. فَقَالَ: " غَفَرَ لَكَ رَبُّكَ ". قَالَ: وَمَا خَصَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَطُّ أَحَدًا بِهِ إِلَّا اسْتُشْهِدَ. فَقَالَ عُمَرُ وَهُوَ عَلَى جَمَلٍ: لَوْلَا مَتَّعْتَنَا بِعَامِرٍ. قَالَ: فَقَدِمْنَا خَيْبَرَ، فَخَرَجَ مَرْحَبٌ وَهُوَ يَخْطِرُ بِسَيْفِهِ وَيَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَرْحَبُ ... شَاكِي السِّلَاحِ بَطَلٌ مُجَرَّبُ إِذَا الْحُرُوبُ أَقْبَلَتْ تَلَهَّبُ قَالَ: فَبَرَزَ لَهُ عَامِرٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ يَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي عَامِرُ ... شَاكِي السِّلَاحِ بَطَلٌ مُغَامِرُ قَالَ: فَاخْتَلَفَا ضَرْبَتَيْنِ، فَوَقَعَ سَيْفُ مَرْحَبٍ فِي تُرْسِ عَامِرٍ، فَذَهَبَ يُسَفِّلُ لَهُ، فَرَجَعَ عَلَى نَفْسِهِ، فَقَطَعَ أَكْحَلَهُ وَكَانَتْ فِيهَا نَفْسُهُ. قَالَ سَلَمَةُ: فَخَرَجْتُ فَإِذَا نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُونَ: بَطَلَ عَمَلُ
পৃষ্ঠা - ৩১৩০
عَامِرٍ؛ قَتَلَ نَفْسَهُ. قَالَ: فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَبْكِي، فَقَالَ: " مَا لَكَ؟ " فَقُلْتُ: قَالُوا: إِنَّ عَامِرًا بَطَلَ عَمَلُهُ. فَقَالَ: " مَنْ قَالَ ذَلِكَ؟ " فَقُلْتُ: نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِكَ. فَقَالَ: " كَذَبَ أُولَئِكَ، بَلْ لَهُ الْأَجْرُ مَرَّتَيْنِ " قَالَ: وَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَدْعُوهُ وَهُوَ أَرْمَدُ، وَقَالَ: " لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ الْيَوْمَ رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ " قَالَ: فَجِئْتُ بِهِ أَقُودُهُ. قَالَ: فَبَصَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَيْنِهِ فَبَرَأَ، فَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ، فَبَرَزَ مَرْحَبٌ وَهُوَ يَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَرْحَبُ ... شَاكِي السِّلَاحِ بَطَلٌ مُجَرَّبُ إِذَا الْحُرُوبُ أَقْبَلَتْ تَلَهَّبُ قَالَ: فَبَرَزَ لَهُ عَلِيٌّ وَهُوَ يَقُولُ: أَنَا الَّذِي سَمَّتْنِي أُمِّي حَيْدَرَهْ ... كَلَيْثِ غَابَاتٍ كَرِيهِ الْمَنْظَرَهْ أُوفِيهِمُ بِالصَّاعِ كَيْلَ السَّنْدَرَهْ قَالَ: فَضَرَبَ مَرْحَبًا فَفَلَقَ رَأْسَهُ فَقَتَلَهُ، وَكَانَ الْفَتْحُ. هَكَذَا وَقَعَ فِي هَذَا السِّيَاقِ أَنَّ عَلِيًّا هُوَ الَّذِي قَتَلَ مَرْحَبًا الْيَهُودِيَّ، لَعَنَهُ اللَّهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ حَسَنٍ الْأَشْقَرُ، حَدَّثَنِي ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৩১৩১

ব্যাপার কী ? লোকটি রাসুল কবীম (সা) কে সকল কথা খুলে বললে তিনি বললেন : একজন
লোক মানুষের দৃষ্টিতে বাহ্যত৪ জান্নাতী ব্যক্তির ন্যায় আমল করে; কিন্তু আসলে সে জাহান্নামী;
পক্ষম্ভেরে অপর ব্যক্তি বাহ্য দৃষ্টিতে জাহান্নামীর মতো আমল করে; কিন্তু পরিণামে সে হবে
জান্নাতী ৷ ইমাম বুখারী (র) কুতায়বা সহল সুত্রেও হাদীছটি অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী
আবুল ইয়ামড়ান আবুহ্বায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন বলে :

“খায়বর (যুদ্ধে) আমরা উপস্থিত ছিলাম ৷ রাসুল কবীম (সা) ইসলামের দাবীদার তার জনৈক
সফর সঙ্গী সম্পর্কে বললেন : এ ব্যক্তি জাহান্নড়ামী ৷ যুদ্ধ ক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে লোকটি প্রচণ্ড লড়াই
করে ৷ লোকটি অনেক আঘাত পেল ৷ (রাসুল কবীম (সা) এর উক্তি সম্পর্কে) অনেকের সন্দিহড়ান
হওয়ার উপক্রম হল ৷ লোকটি আঘাতের প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলো ৷ সে তুণীরে হাত দিয়ে তা
থেকে কয়েকটি তীর বের করলো আর সেগুলোর দ্বারা নিজের জীবন নস্পে করলো ৷ ব্যাপারটা
অনেকের কাছে গুরুতর ঠেকলাে ৷ তারা রাসুল কবীম (সা) কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আল্লাহ্
তাআলা আপনার কথা সত্যে পরিণত করেছেন ৷ সেতে৷ নিজেকে যবাই করে আত্মহত্যা করছে ৷
তখন রাসুল কবীম (সা) বললেন : হে অমুক ৷ উঠে দাড়াও এবং ঘোষণা দাও যে, ঘুমিন ব্যক্তি
ব্যতীত অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না ৷ আর আল্লাহ তাআলা ফাসিক পাপাচারী ব্যক্তি
দ্বারাও দীনের সাহায্য করেন ৷ মুসা ইবন উকবা যুহ্রী সুত্রে জনৈক কৃষ্ণাঙ্গ দাসের কাহিনী উল্লেখ
করেছেন ৷ যাকে আল্লাহ্ একই সঙ্গে ঈমান এবং শাহাদতের দৌলতে ধন্য করেছেন ৷ অনুরুপ-
ভাবে ইরনু লাহিআ আবুল আসওয়াদ ও উরওয়া সুত্রেও এ কাহিনীটি বর্ণনা করেন : তা নিম্নরুপ :

“খায়বরবাসীদের নিকট র্জ্যনক কাফ্রী ক্রীতদাস এলো, যে ছিল তার মালিকের ছাপপালের
রাখাল ৷ সে যখন দেখতে পেলো যে, খায়বরবাসীরা অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে, তখন সে তাদেরকে
জিজ্ঞাসা করে তোমরা কী চড়াও ? তারা বললো : আমরা এ ব্যক্তির সঙ্গে লড়াই করবো, যে
নিজেকে নবী বলে দাবী করছে ৷ এতে তার মনে নবীর কথা জাগলো ৷ তাই সে বকবী নিয়ে রাসুল
কবীম (সা) এর সমীপে হাযির হলো ৷ জিজ্ঞেস করলো, আপনি কিসের দিকে আহ্বান জানান ?
তিনি বললেন : আমি তোমাকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানাই ৷ আমি এজন্য আহ্বান জানাই
যে, তুমি সাক্ষ্য দেবে অল্লোহ্ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ্ নেই আর আমি আল্লাহ্র রাসুল ৷ আর
তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করবে না ৷ রাবী বলেন, তখন গোলাম বললো, আমি যদি
একথার সাক্ষ্য দেই এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনি তাহলে আমি কি পাবো ? রাসুল কবীম (সা)
বললেন, একথার অৰিচল থেকে মৃত্যুবরণ করতে পারলে তুমি জড়ান্নাত লাভ করবে ৷ তখন
গোলামটি ঈমান এনে বললো : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ এসব বকরীতেড়া আমার নিকট আমানত ৷ তখন
রাসুল কবীম (সা) বললেন : এসব বকরীকে কংকর নিক্ষেপে আমাদের সৈন্যদলের আওতা
থেকে তাড়িয়ে দাও ৷ আল্লাহ্ তাআলড়া তোমার আমানত যথাস্থানে পৌছাবেন ৷ সে তাই করলো
আর বকরীগুলো তার মালিকের নিকট ফিরে পেল ৷ তখন য়াহ্রদী আচ করতে পারলো যে, তার
গোলামটি ইসলাম গ্রহণ করেছে ৷ তখন রাসুল কবীম (সা) দাড়িয়ে লোকদেরকে উপদেশ
দিলেন ৷ এরপর রাবী আলী (রা)-কে পতাকা দেন ৷ য়াহুদীদের দুর্গের নিকট হযরত আলী
(রা)-এর গমন এবং মারহাবকে হত্যড়া করার কথাও উল্লেখ করলেন ৷ সাথে সাথে আলীর সঙ্গে
মিলে সেই কৃষ্ণাঙ্গ দাসের লড়াই করা এবং তার মৃতদেহ মুসলিম সেনা ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া


قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، «عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: لَمَّا قَتَلْتُ مَرْحَبًا جِئْتُ بِرَأْسِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ الَّذِي قَتَلَ مَرْحَبًا هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ. وَكَذَلِكَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ، أَحَدُ بَنِي حَارِثَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «خَرَجَ مَرْحَبٌ الْيَهُودِيُّ مِنْ حِصْنِ خَيْبَرَ وَهُوَ يَرْتَجِزُ وَيَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَرْحَبُ ... شَاكِي السِّلَاحِ بَطَلٌ مُجَرَّبُ أَطْعَنُ أَحْيَانًا وَحِينًا أَضْرِبُ ... إِذَا اللُّيُوثُ أَقْبَلَتْ تَحَرَّبُ إِنَّ حِمَايَ لِلْحِمَى لَا يُقْرَبُ قَالَ: فَأَجَابَهُ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي كَعْبُ ... مُفْرِّجُ الْغَمَّا جَرِيءٌ صُلْبُ
পৃষ্ঠা - ৩১৩২
إِذْ شُبَّتِ الْحَرْبُ تَلَتْهَا الْحَرْبُ ... مَعِي حُسَامٌ كَالْعَقِيقِ عَضْبُ يَطَأْكُمُو حَتَّى يَذِلَّ الصَّعْبُ ... نُعْطِي الْجَزَاءَ أَوْ يَفِيءَ النَّهْبُ بِكَفِّ مَاضٍ لَيْسَ فِيهِ عَتْبُ قَالَ: وَجَعَلَ مَرْحَبٌ - وَهُوَ ابْنُ حِمْيَرَ - يَرْتَجِزُ، وَيَقُولُ: هَلْ مِنْ مُبَارِزٍ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ لِهَذَا؟ " فَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ: أَنَا لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا وَاللَّهِ الْمَوْتُورُ الثَّائِرُ، قَتَلُوا أَخِي بِالْأَمْسِ. فَقَالَ: " قُمْ إِلَيْهِ، اللَّهُمَّ أَعِنْهُ عَلَيْهِ ". قَالَ: فَلَمَّا دَنَا أَحَدُهُمَا مِنْ صَاحَبِهِ دَخَلَتْ بَيْنَهُمَا شَجَرَةٌ عُمْرِيَّةٌ، مِنْ شَجَرِ الْعُشَرِ، فَجَعَلَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا يَلُوذُ مِنْ صَاحِبِهِ بِهَا، كُلَّمَا لَاذَ بِهَا أَحَدُهُمَا اقْتَطَعَ صَاحِبُهُ بِسَيْفِهِ مَا دُونَهُ مِنْهَا، حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৩১৩৩

এসবই তিনি উল্লেখ করলেন ৷ লোকজনের ধারণা, রাসুল করীম (সা) সেনা ছাউনিতে উপস্থিত হন
এবং সাহাবীগণকে সেখানে প্রত ত্যক্ষ করেন ৷ তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তা আলা এ দাসকে
সম্মানিত করেছেন আর তাকে মঙ্গল ও কল্যাণের পথে পরিচালিত তকরেছেন ৷ সত্যিক৷ ৷র অর্থে
ইসলাম তার অন্তরে স্থান করে নিয়েছিল আর আমি তার শিয়রে দু’জন আয়তলোচনা হুর দেখতে
পেয়েছি ৷ হাফিয বায়হাকী (র) ইবন ওয়াহাব জাবির ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে বর্ণনা করেন

যে, খায়বর যুদ্ধে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে ছিলাম ৷ সৈন্যদের একটি ছোট দল রওয়ানা
হল ৷ তারা একজন লোককে পাকড়াও করলো, যার সঙ্গে বকরী ছিল ৷ লোকটি বকরীগুলাে
চরাচ্ছিল ৷ এভাবে কৃষ্ণাঙ্গ দাসের কাহিনীর মতে৷ কাহিনী উল্লেখ করে তাতে শেষে বললেন : সে
শহীদ হিসাবে মৃত্যু বরণ করে; অথচ সে আল্লাহকে একটা সিজদাও করেনি ৷

বায়হাকী (রা) মুহাম্মাদ ইবন মুহাম্মাদ — আনাস (বা) থেকে বংনাি করেন : জনৈক ব্যক্তি
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে আরয করল : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমি একজন
কৃষ্ণকায় কদাকার ব্যক্তি ৷ আমার কোন অর্থ-সম্পদ নেই ৷ আমি যদি এদের সঙ্গে লড়াই করতে
করতে মারা যাই তবে কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো ? রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা) বললেন, হা, তুমি
জান্নাতে যাবে ৷ লোকটি এগিয়ে এসে লড়াই করতে করতে জীবন দিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
লাশের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেনং আল্লাহ্৫৩ তোমার ঘুখমণ্ডল উজ্জ্বল করুন, তোমার আত্মাকে
পবিত্র করভ্রুন ৷ আ তোমার সম্পদ বর্ধিত করুন এবং বললেনং আমি তার দু জন আয়তলোচনা
হুর ত্রীকে তাকে নিয়ে বিবাদ করতে দেখেছি,৩ ৷ ৷রা তার দেহ আর জুব্বার মধ্যে কে আগে প্রবেশ

করবে এ ব্যাপারে ঝগড়া করছিল ৷ বায়হাকী (র) ইবন জুরায়জ — ইবনুল হাদ সুত্রে বর্ণনা
করেন :

জনৈক বেদুঈন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে ঈমান আনলে৷ , আনুগত্য প্রকাশ
করলো ৷ সে বললো, আমি আপনার সঙ্গে হিজরত করবো ৷ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ব্যাপারে
কোনও একজন সাহাবীকে ওসীয়ত করলেন ৷ খায়বর যুদ্ধ সংঘটিত হলে রাসুল করীম (সা)
গনীমতের মাল লাভ করেন এবং সে মাল বণ্টনকালে বণ্টনে তিনি তাকে অং শীদ৷ ৷র করলেন ৷
তাকে যে অংশ তিনি দিয়েছিলেন জনৈক সঙ্গী সাহাবীগণ ৷তা তার নিকট পৌছিয়ে দেয় ৷ লোকটি
বকরী চরাত ৷ লোকটি উপস্থিত হলে তার বন্ধু বা তাকে তার অংশ পৌছিয়ে দিল ৷ সে বললোং :
এটা কি? জবাবে তারা জান ৷,লাে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা ) তোমাকে এ অংশ দান করেছেন ৷ তখন লোকটি
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত হয়েত ৷র গনীমতে অংশ লাভের কথা নিশ্চিত করে বললো০ ং
আমি এ মাসের জন্য আপনার আনুগত্য নিশ্চিত হয়ে করিনি; বরং আমিতে৷ আপনার আনুগত্য
স্বীকার করেছি এজন্য যে, আমি এ দিকে তীর নিক্ষেপ করবো একথা বলে সে তীর দ্বারা গলার
দিকে ইশারা করে আর এভাবে মৃত্যু বরণ করে আমি জান্নাতে প্রবেশ করবো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, তোমার নিয়াতের যদি সত্য হয়ে থাকে তবে আল্লাহ তা পুরণ করবেন ৷ এরপর
দৃশমনের সঙ্গে লড়াই করার জন্য সকলেই রওয়ানা হলেন ৷ (লোকটিও তাদের সঙ্গে ছিল এবং
লড়াই এ জীবন দান করলো) ৷ লড়াই শেষে লোকটির মৃতদেহ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সমীপে
উপস্থিত করা হলো ৷ (দেখা গেল) সে যেখানে ইশার৷ করেছিল, সেখানেই ভীরের আঘাত


بَرَزَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا لِصَاحِبِهِ، وَصَارَتْ بَيْنَهُمَا كَالرَّجُلِ الْقَائِمِ، مَا فِيهَا فَنَنٌ، ثُمَّ حَمَلَ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ فَضَرَبَهُ فَاتَّقَاهُ بِالدَّرَقَةِ، فَوَقَعَ سَيْفُهُ فِيهَا، فَعَضَّتْ بِهِ فَأَمْسَكَتْهُ، وَضَرَبَهُ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ حَتَّى قَتَلَهُ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِنَحْوِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَزَعَمَ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّ مُحَمَّدًا ارْتَجَزَ حِينَ ضَرَبَهُ وَقَالَ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَاضِ ... حُلْوٌ إِذَا شِئْتُ وَسُمٌّ قَاضِ وَهَكَذَا رَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ جَابِرٍ وَغَيْرِهِ مِنَ السَّلَفِ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ هُوَ الَّذِي قَتَلَ مَرْحَبًا، وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ مُحَمَّدًا قَطَعَ رِجْلَيْ مَرْحَبٍ، فَقَالَ لَهُ: أَجْهِزْ عَلَيَّ. فَقَالَ: لَا، ذُقِ الْمَوْتَ كَمَا ذَاقَهُ مَحْمُودُ بْنُ مَسْلَمَةَ. فَمَرَّ بِهِ عَلِيٌّ وَقَطَعَ رَأْسُهُ، فَاخْتَصَمَا فِي سَلَبِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ سَيْفَهُ وَرُمْحَهُ وَمِغْفَرَهُ وَبَيْضَتَهُ. قَالَ: وَكَانَ مَكْتُوبًا عَلَى سَيْفِهِ: هَذَا سَيْفُ مَرْحَبْ ... مَنْ يَذُقْهُ يَعْطَبْ ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ أَخَا مَرْحَبٍ، وَهُوَ يَاسِرٌ، خَرَجَ بَعْدَهُ وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৩১৩৪
هَلْ مِنْ مُبَارِزٍ؟ فَزَعَمَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ أَنَّ الزُّبَيْرَ خَرَجَ لَهُ، فَقَالَتْ أُمُّهُ صَفِيَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: يَقْتُلُ ابْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: " بَلِ ابْنُكِ يَقْتُلُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ". فَالْتَقَيَا فَقَتَلَهُ الزُّبَيْرُ. قَالَ: فَكَانَ الزُّبَيْرُ إِذَا قِيلَ لَهُ: وَاللَّهِ إِنْ كَانَ سَيْفُكَ يَوْمَئِذٍ لَصَارِمًا. يَقُولُ: وَاللَّهِ مَا كَانَ صَارِمًا، وَلَكِنِّي أَكْرَهْتُهُ. وَقَالَ يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ بَعْضِ أَهْلِهِ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ عَلِيٍّ حِينَ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَايَتِهِ، فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْحِصْنِ خَرَجَ إِلَيْهِ أَهْلُهُ، فَقَاتَلَهُمْ، فَضَرَبَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ مِنْ يَهَودَ، فَطَرَحَ تُرْسَهُ مِنْ يَدِهِ، فَتَنَاوَلَ عَلِيٌّ بَابَ الْحِصْنِ، فَتَرَّسَ بِهِ عَنْ نَفْسِهِ، فَلَمْ يَزَلْ فِي يَدِهِ وَهُوَ يُقَاتِلُ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَلْقَاهُ مِنْ يَدِهِ، فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي فِي نَفَرٍ مَعِي - سَبْعَةٌ أَنَا ثَامِنُهُمْ - نَجْهَدُ عَلَى أَنْ نَقْلِبَ ذَلِكَ الْبَابَ، فَمَا اسْتَطَعْنَا أَنْ نَقْلِبَهُ. وَفِي هَذَا الْخَبَرِ جَهَالَةٌ وَانْقِطَاعٌ ظَاهِرٌ. وَلَكِنْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، وَالْحَاكِمُ مِنْ طَرِيقِ مُطَّلِبِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ عَلِيًّا حَمَلَ الْبَابَ يَوْمَ خَيْبَرَ حَتَّى صَعِدَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ فَافْتَتَحُوهَا وَأَنَّهُ جُرِّبَ بَعْدَ ذَلِكَ، فَلَمْ يَحْمِلْهُ أَرْبَعُونَ رَجُلًا. وَفِيهِ ضَعْفٌ أَيْضًا. وَفِي رِوَايَةٍ ضَعِيفَةٍ، عَنْ جَابِرٍ: ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৩১৩৫

লেগেছে ৷ তখন নবী বত্মীম (সা) বললেন : এ যে ব্যক্তি ? লোকেরা বললো , ত্মী হা ৷ তখন নবী
করীম (সা) বললেন, যে আল্লাহর সঙ্গে সত্য অঙ্গীকার করেছিল, আল্লাহ তার অঙ্গীকারকে সত্যে
পরিণত করেছেন ৷ লোকটিকে নবী করীম (সা) তার নিজের জুব্বা দ্বারা কাফন পরান এবং তার
লাশ সম্মুখে রেখে জানযাের নামায পড়ান এবং (সালাত শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মুখ থেকে) এ
দুআ স্পষ্ট শোনা গেল :

হে আল্লাহ! লোকটি তোমারই রান্দা ৷ তোমার রাস্তায় হিজরত করে বের হয়েছে ৷ শহীদ
হিসাবে সে মৃত্যুবরণ করেছে, আমি এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছি ৷

মুত্আ বিবাহ প্রভৃতি নিষিদ্ধ হওয়া

ইবন ইসহাক (র) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কাছে নিয়ে আসা গনীমতের মাল পর্যায়ক্রমে
গ্রহণ করতেন আর এক এক করে দুর্গ জয় করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বপ্রথম তাদের যে দুর্পটি
জয় করেন তা ছিল ’নাএম’ দুর্গ ৷ এ দুর্গের নিকটেই হত্যা করা হয় মাহমুদ ইবন মাসলামাহকে ৷
তাকে হত্যা করা হয় উপর থেকে মাতা নিক্ষেপ করে ৷ এরপর জয় করা হয় কামুস দুর্গ এটি ছিল
বনু আবুল হুকায়ক-এর দুর্গ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বরের য়াহুদীদের মধ্য থেকে অনেককে বন্দী
করেন ৷ এসব বন্দীদের মধ্যে সাফিয়্যা বিনৃত হুয়াই ইবন আখতাবও ছিলেন ৷ ইনি ছিলেন কিনানা
ইবন রবী ইবন আবুল হুকায়কের শ্রী ৷ সাফিয়্যার দু’জন চাচাতো বোনও ছিলেন বন্দীদের মধ্যে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত সাফিয়্যাকে নিজের জন্য পসন্দ করেন ৷ দিহ্ইয়া ইবন খলীফা আল-কালবী
(রা) হযরত সাফিয়্যার জন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে আবেদন জানিয়ে ছিলেন ৷ তিনি (সা)
হযরত সাফিয়্যাকে নিজের জন্য পসন্দ করেন আর দিহ্ইয়াকে দেন সাফিয়্যার দুই চাচাতো বোন ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেন, খায়বরের প্রচুর বন্দী মুসলমানদের হস্তগত হয় এবং লোকেরা সেদিন
গাধার গোশৃত ভক্ষণ করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পাধার গোশৃত ভক্ষণ করতে তাদেরকে নিষেধ করার
কথা ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন ৷ ইমাম ৰুখারী (র) গাধার গোস্ত ভক্ষণ করা নিষেধ-এ
পর্যায়ের হাদীছগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এবং অতি উত্তম সনদে সংকলন করেন ৷ প্রাচীন
যুগের ও পরবর্তীকালের অধিকাংশ আলিমের মতে গড়াধার গোশত ভক্ষণ করা হারাম ৷ চার ইমাম
এরও এ মত ৷ তবে হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) প্রমুখ কিছু সংখ্যক আলিম পাধার
গোশত খাওয়া বৈধ বলেছেন ৷ যে সব হাদীছে গধোর গোশত হারাম বলা হয়েছে, তারা এর বিভিন্ন
জবাবও দিয়েছেন ৷ যথা ভারবহনের কাজে পাধা ব্যবহার করা হয়, তখন পর্যন্ত থুমুস তথা এক-
পঞ্চমাৎশ বের করা হয়নি, অথবা পাধা নাপাক বস্তু আহার করে ৷ বিশুদ্ধ কথা এই যে, পাধা
মুলতই হারাম ৷ বিশুদ্ধ হাদীছে বণিতি আছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর ঘোষক ঘোষণা করেন :

ণ্এ৷ ৷ @ ৷


اجْتَمَعَ عَلَيْهِ سَبْعُونَ رَجُلًا، وَكَانَ جَهْدَهُمْ أَنْ أَعَادُوا الْبَابَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ قَالَ: «رَأَيْتُ أَثَرَ ضَرْبَةٍ فِي سَاقِ سَلَمَةَ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا مُسْلِمٍ، مَا هَذِهِ الضَّرْبَةُ؟ قَالَ: هَذِهِ ضَرْبَةٌ أَصَابَتْهَا يَوْمَ خَيْبَرَ، فَقَالَ النَّاسُ: أُصِيبَ سَلَمَةُ. فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَفَثَ فِيهِ ثَلَاثَ نَفَثَاتٍ، فَمَا اشْتَكَيْتُ حَتَّى السَّاعَةِ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلٍ قَالَ: «الْتَقَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُشْرِكُونَ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ فَاقْتَتَلُوا، فَمَالَ كُلُّ قَوْمٍ إِلَى عَسْكَرِهِمْ، وَفِي الْمُسْلِمِينَ رَجُلٌ لَا يَدَعُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ شَاذَّةً وَلَا فَاذَّةً إِلَّا اتَّبَعَهَا فَضَرَبَهَا بِسَيْفِهِ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا أَجْزَأَ أَحَدٌ مَا أَجْزَأَ فُلَانٌ. قَالَ: " إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ " فَقَالُوا: أَيُّنَا مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِنْ كَانَ هَذَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ؟ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: لَأَتَّبِعَنَّهُ، فَإِذَا أَسْرَعَ وَأَبْطَأَ كُنْتُ مَعَهُ. حَتَّى جُرِحَ فَاسْتَعْجَلَ الْمَوْتَ، فَوَضَعَ نِصَابَ سَيْفِهِ بِالْأَرْضِ وَذُبَابَهُ بَيْنَ ثَدْيَيْهِ، ثُمَّ تَحَامَلَ عَلَيْهِ فَقَتَلَ نَفْسَهُ. فَجَاءَ الرَّجُلُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ. قَالَ: " وَمَا ذَاكَ؟ " فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: " إِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ
পৃষ্ঠা - ৩১৩৬
الْجَنَّةِ - فِيمَا يَبْدُو لِلنَّاسِ - وَإِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، وَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ - فِيمَا يَبْدُو لِلنَّاسِ - وَإِنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ» رَوَاهُ أَيْضًا عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ يَعْقُوبَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلٍ فَذَكَرَ مِثْلَهُ أَوْ نَحْوَهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: «شَهِدْنَا خَيْبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِرَجُلٍ مِمَّنْ مَعَهُ يَدَّعِي الْإِسْلَامَ: " هَذَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ ". فَلَمَّا حَضَرَ الْقِتَالُ قَاتَلَ الرَّجُلُ أَشَدَّ الْقِتَالِ، حَتَّى كَثُرَتْ بِهِ الْجِرَاحَةُ، حَتَّى كَادَ بَعْضُ النَّاسِ يَرْتَابُ، فَوَجَدَ الرَّجُلُ أَلَمَ الْجِرَاحَةِ، فَأَهْوَى بِيَدِهِ إِلَى كِنَانَتِهِ، فَاسْتَخْرَجَ مِنْهَا أَسْهُمًا فَنَحَرَ بِهَا نَفْسَهُ، فَاشْتَدَّ رِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، صَدَّقَ اللَّهُ حَدِيثَكَ، انْتَحَرَ فُلَانٌ فَقَتَلَ نَفْسَهُ. فَقَالَ: " قُمْ يَا فُلَانُ، فَأَذِّنْ أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا مُؤْمِنٌ، وَأَنَّ اللَّهَ يُؤَيِّدُ الدِّينَ بِالرَّجُلِ الْفَاجِرِ» . وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ قِصَّةَ الْعَبْدِ الْأَسْوَدِ؛ الَّذِي رَزَقَهُ اللَّهُ الْإِيمَانَ وَالشَّهَادَةَ فِي سَاعَةٍ وَاحِدَةٍ، وَكَذَلِكَ رَوَاهَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ قَالَا: «وَجَاءَ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ أَسْوَدُ، مِنْ أَهْلِ خَيْبَرَ، كَانَ فِي غَنَمٍ لِسَيِّدِهِ، فَلَمَّا رَأَى أَهْلَ خَيْبَرَ قَدْ أَخَذُوا السِّلَاحَ سَأَلَهُمْ قَالَ: مَا تُرِيدُونَ؟ قَالُوا: نُقَاتِلُ هَذَا الرَّجُلَ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ. فَوَقَعَ فِي نَفْسِهِ ذِكْرُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَقْبَلَ
পৃষ্ঠা - ৩১৩৭

আল্লাহ্ এবং তার রাসুল (সা) তোমাদেরকে গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন ৷ কারণ,

তা নাপাক ৷ তাই তোমরা গাধার গোশত ফেলে দাও, (আর এ নির্দেশ জারী করার সময় গাধার
গোশত) ডেকচীতে টগবগ করে ফুটছিল ৷ কিতাবুল আহকাম-এ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক (ব) সালামা ইবন কারকারা জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ সুত্রে
বর্ণনা করেন, আর জাবির খায়বর যুদ্ধে শরীক ছিলেন না :

;, ৷
প্রুপু ;,১া
রাসুল করীম (সা) যখন সােকজনকে পাধার গোশত যেতে ধারণ করেন, যে সময় তিনি
তাদেরকে ঘোড়ার গোশত খাওয়ার অনুমতি দান করেন ৷ বৃখারী ও মুসলিম শরীফে এ হাদীছটি

হাম্মাদ ইবন যায়দ জাবির (রা) সুত্রে বর্ণিত হাদীছে এর সমর্থন পাওয়া যায় ৷ বৃখারী
শরীফের ভাষায় বর্ণিত হয়েছে :



খায়বরের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন ৷ তবে তিনি ঘোড়ার
গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন ৷ ইবন ইসহাক (র) আবদুল্লাহ্ ইবন আবু নাজীহ মাকহ্রল সুত্রে
বর্ণনা করেন :

নবী করীম (সা) সেদিন (খায়বরের দিন) চারটি বিষয় নিষেধ করেছেন : (১) যুদ্ধবন্দী
অন্তঃসত্ত্ব৷ নারীর সঙ্গে সঙ্গম (২) গাধার গোশত খাওয়া (৩) নখর বিশিষ্ট হিংস্র জন্তুর গোশত
খাওয়া এবং (৪) বন্টন করার আগে গনীমতের মাল বিক্রয় করা ৷
এ হাদীছটি মুরসাল পর্যায়ের ৷
ইবন ইসহাক (র) ইয়াযীদ ইবন আবুহাবীব হাসান সানআনী সুত্রে বর্ণনা করেন :
আমরা রুওয়াইফে ইবন ছাবিত আল-আনসারীর সঙ্গে মাগরিব দেশের এবল্টা জনপদে,

যাকে বলা হতো জিরবা’ লড়াই করি ৷ তিনি উক্ত জনপদ জয় করে সেখানে দাড়িয়ে ভাষণ দান
করেন ৷ ভাষণে তিনি বলেন :

লোক সকল ! আমি তোমাদের মধ্যে কেবল এমন কথা বলবো, যা আমি রাসুল করীম (সা)
কে বলতে শুনেছি ৷ খায়বরের দিন রাসুল করীম (সা) আমাদের মধ্যে দাড়িয়ে বলেন : আস্লাহ্
আর শেষ দিনে বিশ্বাস করে এমন কোন ব্যক্তির জন্য অপরের ক্ষেতে পানি সিঞ্চণ করা হালাল
নয় ৷ অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্ব৷ বন্দী দাসীর সঙ্গে সঙ্গত হওয়া বৈধ নয় ! আল্লাহ এবং শেষ দিনে বিশ্বাস করে
এমন কোন লোকের জন্য হড়ালাল নয় ঋতুস্রড়াব থেকে পবিত্র হওয়ার পুর্বে কোন বন্দী দাসীর সঙ্গে


بِغَنَمِهِ حَتَّى عَمَدَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِلَى مَا تَدْعُو؟ قَالَ: " أَدْعُوكَ إِلَى الْإِسْلَامِ؛ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنْ لَا تَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ ". قَالَ: فَقَالَ الْعَبْدُ: فَمَاذَا يَكُونُ لِي إِنْ شَهِدْتُ بِذَلِكَ وَآمَنْتُ بِاللَّهِ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْجَنَّةُ إِنْ مِتَّ عَلَى ذَلِكَ ". فَأَسْلَمَ الْعَبْدُ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ هَذِهِ الْغَنَمَ عِنْدِي أَمَانَةٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَخْرِجْهَا مِنْ عَسْكَرِنَا وَارْمِهَا بِالْحَصْبَاءِ، فَإِنَّ اللَّهَ سَيُؤَدِّي عَنْكَ أَمَانَتَكَ ". فَفَعَلَ فَرَجَعَتِ الْغَنَمُ إِلَى سَيِّدِهَا، فَعَرَفَ الْيَهُودِيُّ أَنَّ غُلَامَهُ قَدْ أَسْلَمَ. فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَعَظَ النَّاسَ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي إِعْطَائِهِ الرَّايَةَ عَلِيًّا، وَدُنُوِّهِ مِنْ حِصْنِ الْيَهُودِ وَقَتْلِهِ مَرْحَبًا، وَقُتِلَ مَعَ عَلِيٍّ ذَلِكَ الْعَبْدُ الْأَسْوَدُ، فَاحْتَمَلَهُ الْمُسْلِمُونَ إِلَى عَسْكَرِهِمْ، فَأُدْخِلَ فِي الْفُسْطَاطِ، فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اطَّلَعَ فِي الْفُسْطَاطِ، ثُمَّ اطَّلَعَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: " لَقَدْ أَكْرَمَ اللَّهُ هَذَا الْعَبْدَ وَسَاقَهُ إِلَى خَيْرٍ، قَدْ كَانَ الْإِسْلَامُ مِنْ نَفْسِهِ حَقًّا، وَقَدْ رَأَيْتُ عِنْدَ رَأْسِهِ اثْنَتَيْنِ مِنَ الْحَوَرِ الْعِينِ» ". وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ خَيْبَرَ، فَخَرَجَتْ سَرِيَّةٌ، فَأَخَذُوا إِنْسَانًا مَعَهُ غَنَمٌ يَرْعَاهَا، فَذَكَرَ نَحْوَ قِصَّةِ هَذَا الْعَبْدِ الْأَسْوَدِ، وَقَالَ فِيهِ: قُتِلَ شَهِيدًا وَمَا سَجَدَ لِلَّهِ سَجْدَةً.
পৃষ্ঠা - ৩১৩৮
ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَحْمِشٍ الْفَقِيهُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَزْهَرِ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَجُلًا أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي رَجُلٌ أَسْوَدُ اللَّوْنِ، قَبِيحُ الْوَجْهِ، مُنْتِنُ الرِّيحِ، لَا مَالَ لِي، فَإِنْ قَاتَلْتُ هَؤُلَاءِ حَتَّى أُقْتَلَ، أَدْخُلُ الْجَنَّةَ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". فَتَقَدَّمَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، فَأَتَى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مَقْتُولٌ، فَقَالَ: " لَقَدْ حَسَّنَ اللَّهُ وَجْهَكَ الطَّيِّبَ، وَطَيَّبَ رِيحَكَ، وَكَثَّرَ مَالَكَ " وَقَالَ: " لَقَدْ رَأَيْتُ زَوْجَتَيْهِ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ يَتَنَازَعَانِ جُبَّتَهُ عَنْهُ؛ يَدْخُلَانِ فِيمَا بَيْنَ جِلْدِهِ وَجُبَّتِهِ» . ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عِكْرِمَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ «أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَعْرَابِ جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَآمَنَ بِهِ وَاتَّبَعَهُ، فَقَالَ: أُهَاجِرُ مَعَكَ. فَأَوْصَى بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْضَ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا كَانَتْ غَزْوَةُ خَيْبَرَ غَنِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَسَمَهُ وَقَسَمَ لَهُ، فَأَعْطَى أَصْحَابَهُ مَا قَسَمَ لَهُ، وَكَانَ يَرْعَى ظَهْرَهُمْ، فَلَمَّا جَاءَ دَفَعُوهُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: مَا
পৃষ্ঠা - ৩১৩৯

সঙ্গত হওয়া ৷ আর আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাস করে এমন কোন ব্যক্তির জন্য বণ্টনের পুর্বে
গনীমতের মড়াল বিক্রি করা হালাল নয় ৷ আল্লাহ্ ও পরকালে বিশ্বাস করে এমন ব্যক্তির জন্য
মুসলমানদের গনীমতের পশুতে সওয়ার হয়ে তাকে দুর্বল করে ফেরত দেওয়া হালাল নয় ৷ এবং
আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস করে এমন কোন ব্যক্তির জন্য হালাল নয় যে, মুসলমানদের ধন ভাণ্ডার
থেকে বস্ত্র নিয়ে পরিধান করবে আর তা পুরাতন জীর্ণ-শীর্ণ করে ফেরত দিবে ৷ মুহাম্মাদ ইবন
ইসহাক (র) সুত্রে আবু দাউদ (র) এমনভাবেই হাদীছটি বর্ণনা করেরুছণ্ডুন ৷ তিরমিযী (র ) হাফ্স
ইবন উমর শায়রানী — রুয়াইফি ইব ন ছাবিত সুত্রে সংক্ষেপে হাদীছটি বর্ণনা করে এটি
হাসান পর্যায়ের বলে মন্তব্য করেছেন ৷ সহীহ্ ৰুখারীতে নাফি সুত্রে ইবন উমর (সা) থেকে বর্ণিত
আছে যে ,

খায়ররের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) গৃহপালিত গাধার পােশত খেতে নিষেধ করেছেন ৷ তিনি বসুন
থেতেও নিষেধ করেছেন ৷ ইবন হড়াযম আলী (বা) এবং শুরইিক ইবন হাম্বল (রা) এর মত উল্লেখ
করেছেন যে, তারা র্কাচা রসুন-পেয়াজ খাওয়া হারাম মনে করতেন ৷ আর তিরমিযী (র) এ দু’জন
মনীষী তা মাক্রুহ বলেছেন বলে উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন, বুখারী ও মুসলিম
শরীফে যুহ্রী আলী ইবন আবুতালির (বা) বর্ণিত হাদীছ--

ত্যুঃশ্রা ১

অর্থাৎ রাসুল করীম (সা) খায়বর (বিজয়ের) এর দিন মুতআ বিবাহ এবং গৃহ পালিত গাধার
গােশত খেতে নিষেধ করেছেন ৷ এ হাদীছ সম্পর্কে হাদীছ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা অনেক কথাবার্তা
বলেছেন ? বুখারী ও মুসলিম শরীফে মালিক প্রমুখের বরাতে যুহ্রী সুত্রে বর্ণিত হাদীছ অনুযায়ী
মুতআ বিবাহ হারাম ঘোষিত হয়েছিল খায়বরের দািনই ৷ কিন্তু দুটি কারণে এ অর্থ গ্রহণ করা
মুশকিল ৷ (এক) খায়বরের দিন মুতআ বিবাহের আদৌ কোন প্রয়োজনই ছিল না ৷ কারণ,
ভোগের জন্য সেখানে তখন নারীর অভাব ছিল না ৷ (দুই) মুসলিম শরীফে রবী ইবন সাবুরা সুত্রে
মড়াবাদ তার পিতা থেকে বর্ণিত হাদীছে বলা হয়েছে-

;, ৷
গো; গো;
াশ্১এ
রাসুল করীম (সা) মক্কা বিজয়ের দিন তাদেরকে মুতআ বিবাহের অনুমতি দিয়েছেন, এরপর
তা নিষিদ্ধ ঘোষণা না করা পর্যন্ত তিনি মক্কা ত্যাগ করেননি ৷ তারপর তিনি বলেন : আল্লাহ
তাআলা কিয়ামত পর্যন্ত কালের জন্য মুতআ বিবাহ হারাম করে দিয়েছেন ৷ এতে দেখা যায় যে,
তিনি আগে নিষেধ করেছেন, পরে অনুমতি দিয়েছেন, তারপর হারাম করা হয়েছে ৷ এতে করে

দৃ’দফা বাতিল বা রহিতকরণ সাব্যস্ত হয়, যা সুদুর পরাহত ৷ উপরন্তু ইমাম শাফিঈ প্রমাণ পেশ
করেন যে, কোন একটা বিষয় একবার মুবাহ করা হয়, পরবভীন্থিত তা হারাম করে আবার


هَذَا؟ قَالُوا: قَسْمٌ قَسَمَهُ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: مَا عَلَى هَذَا اتَّبَعْتُكَ، وَلَكِنِّي اتَّبَعْتُكَ عَلَى أَنْ أُرْمَى هَاهُنَا - وَأَشَارَ إِلَى حَلْقِهِ - بِسَهْمٍ فَأَمُوتَ فَأَدْخُلَ الْجَنَّةَ. فَقَالَ: " إِنْ تَصْدُقِ اللَّهَ يَصْدُقْكَ " ثُمَّ نَهَضُوا إِلَى قِتَالِ الْعَدُوِّ، فَأُتِيَ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحْمَلُ، وَقَدْ أَصَابَهُ سَهْمٌ حَيْثُ أَشَارَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هُوَ هُوَ؟ " قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: " صَدَقَ اللَّهَ فَصَدَقَهُ " وَكَفَّنَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جُبَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَدَّمَهُ فَصَلَّى عَلَيْهِ، فَكَانَ مِمَّا ظَهَرَ مِنْ صَلَاتِهِ: " اللَّهُمَّ هَذَا عَبْدُكَ خَرَجَ مُهَاجِرًا فِي سَبِيلِكَ، قُتِلَ شَهِيدًا، أَنَا عَلَيْهِ شَهِيدٌ» وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ نَصْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ بِهِ نَحْوَهُ. [فَتْحُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُصُونَ خَيْبَرَ] فَصْلٌ فَتْحُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُصُونَ خَيْبَرَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَتَدَنَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَمْوَالَ، يَأْخُذُهَا مَالًا مَالًا، وَيَفْتَتِحُهَا حِصْنًا حِصْنًا، وَكَانَ أَوَّلَ حُصُونِهِمْ فُتِحَ حِصْنُ نَاعِمٍ، وَعِنْدَهُ قُتِلَ مَحْمُودُ بْنُ مَسْلَمَةَ، أُلْقِيَتْ عَلَيْهِ رَحًى مِنْهُ فَقَتَلَتْهُ، ثُمَّ الْقَمُوصُ حِصْنُ بَنِي أَبِي الْحُقَيْقِ، وَأَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُمْ سَبَايَا؛ مِنْهُنَّ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيِّ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩১৪০
أَخْطَبَ، وَكَانَتْ عِنْدَ كِنَانَةَ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَبِي الْحُقَيْقِ، وَبِنْتَا عَمٍّ لَهَا، فَاصْطَفَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ لِنَفْسِهِ، وَكَانَ دِحْيَةُ بْنُ خَلِيفَةَ قَدْ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ، فَلَمَّا اصْطَفَاهَا لِنَفْسِهِ أَعْطَاهُ ابْنَتَيْ عَمِّهَا، قَالَ: وَفَشَتِ السَّبَايَا مِنْ خَيْبَرَ فِي الْمُسْلِمِينَ، وَأَكَلَ النَّاسُ لُحُومَ الْحُمُرِ. فَذَكَرَ نَهْيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُمْ عَنْ أَكْلِهَا. وَقَدِ اعْتَنَى الْبُخَارِيُّ بِهَذَا الْفَصْلِ؛ فَأَوْرَدَ النَّهْيَ عَنْهَا مِنْ طُرُقٍ جَيِّدَةٍ، وَتَحْرِيمُهَا مَذْهَبُ جُمْهُورِ الْعُلَمَاءِ سَلَفًا وَخَلَفًا، وَهُوَ مَذْهَبُ الْأَئِمَّةِ الْأَرْبَعَةِ. وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ السَّلَفِ - مِنْهُمُ ابْنُ عَبَّاسٍ - إِلَى إِبَاحَتِهَا وَتَنَوَّعَتْ أَجْوِبَتُهُمْ عَنِ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي النَّهْيِ عَنْهَا، فَقِيلَ: لِأَنَّهَا كَانَتْ ظَهْرًا يَسْتَعِينُونَ بِهَا فِي الْحَمُولَةِ، وَقِيلَ: لِأَنَّهَا لَمْ تَكُنْ خُمِّسَتْ بَعْدُ. وَقِيلَ: لِأَنَّهَا كَانَتْ تَأْكُلُ الْعَذِرَةَ. يَعْنِي جَلَّالَةً.
পৃষ্ঠা - ৩১৪১

মুবাহ এবং পুনরায় হারাম করা হয়েছে বলে জানা যায় না ৷ কেবল মুতআ বিবাহ এর ব্যতিক্রম ৷
এ ক্ষেত্রে ইমাম শাফিঈ (র) যে বিষয়কে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেছেন ৷ তা হল হাদীছদ্বয়ের
উপর তার অগাধ আস্থা ৷ এ সম্পর্কে ইতিপুর্বে আমরা আলোচনা করেছি ৷

সুহায়লী প্রমুখ কোন কোন প্রাথমিক যুগের মনীষীর বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন যে, তার দাবী
মতে মুতআ তিন দফা মুবাহ করা হয় এবং তিন দফা হারাম করা হয় ৷ অন্যরা বলেন যে, বার
দফা মুবাহ এবং হারাম করা হয় ৷ এটা তো কিছুতেই হতে পাৱৰুহ্ না ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
প্রথমে কখন মুতআ হারাম ঘোষণা করা হয় ৷ সে বিষয়ে মতভেদ দেখা যায় ৷ কেউ বলেন,
খায়বরে প্রথম হারাম করা হয় ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, উমরাতুপ্ল্ কাযায় আবার কারো কারো
মতে মক্কা বিজয়ের দিনে ৷ এ মতটাই স্পষ্ট ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, আওতাস যুদ্ধে ৷ আর এ
মতটি পুর্ববর্তী মতের নিকটবর্তী ৷ কেউ কেউ বলেন, তবুক যুদ্ধের দিন ৷ আবার কারো কারো
মতে বিদায় হকৃজ্জ ৷ আবু দাউদ এসব মত উল্লেখ করেছেন ৷ কোন কোন আলিম আলী (বা)
থেকে বর্ণিত হড়াদীছের জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন এই বলে যে, তাতে আগ-পর হয়ে গেছে ৷
অবশ্য ইমাম আহমদ (র) বর্ণিত হাদীছটি মাহ্যুফ তথা নিরাপদ ৷ এতে সুফিয়ান আলী
(বা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, আলী (রা) ইবন আব্বাস (বা) কে বলেন :

“রাসুল করীম (সা) খায়বরের দিনগুলোতে মুতআ বিবাহ এবং গৃহপালিত গাধার গোশত
থেতে নিষেধ করেছেন ৷ মুহাদ্দিসগণ বলেন যে, রাবী আমাদেরকে বিশ্বাস করাবার চেষ্টা করেছেন
যে, তার উক্তিতে উভয় বিষয়ের নিষেধাজ্ঞাটি খায়বর এর দিনের সাথে সম্পৃক্ত ৷ অথ৪ ব্যাপারটা
তা নয় ৷ এই যুদ্ধ গৃহপালিত গাধার গোশত নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কিত ৷ আর মুতআ বিবাহের
ব্যাপারে এ দিনের কোন সম্পর্ক নেই ৷ অবশ্য দুটি বিষয় একত্র করা হয়েছে এ কারণে যে, আলী
(বা) জানতে পেয়েছিলেন যে, ইবন আব্বাস (বা) মুতআ বিবাহ এবং গৃহপালিত পাধার গোশত
খাওয়া উভয়টাকে যুবাহ মনে করতেন বলে প্রসিদ্ধি রয়েছে ৷ তখন আঘীরুল মু’মিনীন আলী (বা)
ইবন আব্বাস (রা)-কে বললেন : আপনি ভুল বুঝেছেন ৷ রাসুল করীম (সা) থায়বরের দিন
মুতআ বিবাহ এবং গৃহপালিত পাধার গোশৃত নিষিদ্ধ করেছেন ৷ এ দুটি বিষয় মুবাহ এমন বিশ্বাস
থেকে হযরত ইবন আব্বাস (বা) যাতে প্রত্যাবর্তন করেন, সে জন্য তিনি দৃটোর কথা এক সঙ্গে
উল্লেখ করেছেন ৷ এ ব্যাখ্যার দিকেই ঝুকেছেন আমাদের শায়খ হাফিয আবুল হাজ্জাজ মিযমী ৷
আল্লাহ তাকে নিজ রহমত দ্বারা ঢেকে নিন ৷ আসীন! এতদ্সরুত্ত্বও ইবন আব্বাস (বা) গাধার
গোশৃত আর মুতআ বিবাহকে বৈধ জ্ঞান করা থেকে ফিরে আসেননি ৷ গাধার গোশতের ব্যাপারে
নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তড়াতাে তার বহন আর আরোহণের কাজে ব্যবহার হতো ৷
আর মুতআতাে কেবল সফরকালে প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে তার মতে মুবাহ ৷ স্বাচ্ছন্দা আর শ্রীর
উপস্থিতিতে তিনি মুতআ বিবাহকে হারাম মনে করতেন ৷ এ ব্যাপারে তার একদল অনুসারী
তাকে অনুসরণ করেন ৷ ইবন জুরাইজ এবং তৎপরবর্তী কাল পর্যন্ত হিজায়ের আলিম সমাজের
নিকট তার এ মতই ছিল প্রসিদ্ধ ৷ ইবন আব্বাস (রা)-এর মতের অনুরুপ একটা মত ইমাম
আহমদ ইবন হাম্বল থেকেও বর্ণিত আছে ৷ তবে এ বর্ণনাটি দুর্বল ৷ কোন কোন প্রন্থকার ইমাম
আহমদ ইবন হাম্বল থেকে অনুরুপ মত উদ্ধৃত করার চেষ্টা করেছেন ৷ কিন্তু তাও ঠিক নয় ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার স্থান কিতাবুল আহকাম ৷ আল্লাহ্রই
নিকট সাহায্য কামনা করছি ৷


وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ نُهِيَ عَنْهَا لِذَاتِهَا؛ فَإِنَّ فِي الْأَثَرِ الصَّحِيحِ أَنَّهُ نَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يَنْهَيَانِكُمْ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ؛ فَإِنَّهَا رِجْسٌ. فَأَكْفَئُوهَا وَالْقُدُورُ تَفُورُ بِهَا» . وَمَوْضِعُ تَقْرِيرِ ذَلِكَ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ ". قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي سَلَّامُ بْنُ كِرْكِرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ - وَلَمْ يَشْهَدْ جَابِرٌ خَيْبَرَ - «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ نَهَى النَّاسَ عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الْحُمُرِ أَذِنَ لَهُمْ فِي لُحُومِ الْخَيْلِ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ أَصْلُهُ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَيْبَرَ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ، وَرَخَّصَ فِي الْخَيْلِ» . لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مَكْحُولٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَاهُمْ يَوْمَئِذٍ عَنْ أَرْبَعٍ؛ عَنْ إِتْيَانِ الْحَبَالَى مِنَ النِّسَاءِ، وَعَنْ أَكْلِ الْحِمَارِ الْأَهْلِيِّ، وَعَنْ أَكْلِ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ، وَعَنْ بَيْعِ الْمَغَانِمِ حَتَّى تُقْسَمَ» . وَهَذَا مُرْسَلٌ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي مَرْزُوقٍ مَوْلَى تُجِيبَ، عَنْ حَنَشٍ الصَّنْعَانِيِّ قَالَ: «غَزَوْنَا مَعَ رُوَيْفِعِ بْنِ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيِّ
পৃষ্ঠা - ৩১৪২
الْمَغْرِبَ، فَافْتَتَحَ قَرْيَةً مِنْ قُرَى الْمَغْرِبِ يُقَالُ لَهَا: جَرْبَةُ. فَقَامَ فِينَا خَطِيبًا فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي لَا أَقُولُ فِيكُمْ إِلَّا مَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِينَا يَوْمَ خَيْبَرَ؛ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " لَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يَسْقِيَ مَاءَهُ زَرْعَ غَيْرِهِ " يَعْنِي إِتْيَانَ الْحَبَالَى مِنَ السَّبْيِ " وَلَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يُصِيبَ امْرَأَةً مِنَ السَّبْيِ حَتَّى يَسْتَبْرِئَهَا، وَلَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يَبِيعَ مَغْنَمًا حَتَّى يُقْسَمَ، وَلَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يَرْكَبَ دَابَّةً مِنْ فَيْءِ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى إِذَا أَعْجَفَهَا رَدَّهَا فِيهِ، وَلَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يَلْبَسَ ثَوْبًا مِنْ فَيْءِ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى إِذَا أَخْلَقَهُ رَدَّهُ فِيهِ» وَهَكَذَا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو دَاوُدَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، بِهِ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ رُوَيْفِعِ بْنِ ثَابِتٍ، مُخْتَصَرًا، وَقَالَ: حَسَنٌ.
পৃষ্ঠা - ৩১৪৩

ইবন ইসহাক (র) বলেন : এরপর রাসুল করীম (সা) দুর্গ আর গনীমতের মালের নিকটবর্তী
হন এবং সেসব এক এক করে হস্তগত করেন) ৷ আবদৃল্লাহ্ ইবন আবু বকর এর উদ্ধৃতি দিয়ে
আসলাম গোত্রের কতিপয় লোকের বরাতে তিনি বলেন যে, সে গোত্রের শাখা গোত্র বনু সহমের
কতিপয় লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট আগমন করে নিবেদন করে :

হে আল্লাহ্র রাসুল ! আমরা অভাব অনটনের শিকার ৷ এখন আমাদের হাতে কিছুই নেই ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যে তাদের কিছু দেবেন তাও আনছিল না ৷ তখন আল্লাহ্র নবী (সা) তাদের জন্য
দুআ করলেন, হে আল্লাহ্! তুমি তাদের অবস্থা জান, তাদের শক্তি বলতে কিছুই নেই আর আমার
হাতেও তাদেরকে দেয়ার মতো কিছুই নেই ৷ তাই তুমি তাদের হাতে ইয়াহ্রদীদের সবচেয়ে বড়
দুর্গের বিজয় দান কর ৷ খাদ্য ও চর্বির বিবেচনায় তাদের যে দুর্গটা সবচেয়ে সেরা, তা-ই তুমি
তাদেরকে জয় করতে দাও ৷ তাই প্রত্যুষে লোকেরা হামলা চালায় এবং ইয়াহুদীদেব সাদ ইবন
মুআয দুর্গ জয় করে নেয় ৷ খাদ্য আর চর্বি লাভের উৎসরুপে খায়বরে এর চেয়ে বড় দুর্গ আর
কাি না ৷

ইবন ইসহাক (রা) বলেন : রাসুল করীম (সা) যখন তাদের দুর্গ জয় করে নেন (এবং
গনীমতের মালও হস্তগত করেন) তখন ইয়াহুদীরা ওয়াতীহ ও সুলালিম দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করে ৷
আর এ দুর্পটি সবশেষে বিজিত হয় ৷ রাসুল করীম (সা) তেব দিন যা তার চেয়ে অধিককাল পর্যন্ত
এ দুর্গ অবরোধ করে রাখেন ৷ ইবন হিশাম (রা) বলেন :

খায়বরের দিন মুসলমানদের সংকেত ধ্বনি ছিল : ইয়া মনসুর আমিত আমিত ! ৷ঠু )

ইবন ইসহাক (র) বুরায়দা ইবন সুফিয়ান আবুল য়ুসৃর কাব ইবন আমর সুত্রে বর্ণনা
করেন :

একদিন সন্ধ্যস্বয় আমি খায়বরে রাসুল করীম (সা)-এর সঙ্গে ছিলাম ৷ এসময় কোন এক
ইয়াহুদীর ছাগপাল বাইরে থেকে দুর্গের দিকে আসছিল ৷ আর আমরা তখন তাদেরকে অবরুদ্ধ
করে রেখেছিলাম ৷ তখন রাসুল করীম (সা) বললেন : এমন কে আছে যে এ বকরীগুলাে থেকে
আমাদেরকে খাওয়াতে পারে ? আবুল য়ুসৃর বলেন, আমি নিবেদন করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি
এজন্য প্রস্তুত ৷ তিনি বললেন, যাও দেখি ৷ আমি তখন উট পাখির মতো ছুটে গেলাম ৷ রাসুল
করীম (না) আমার দিকে তাকিয়ে দুআ করলেন ?, হে আল্লাহ! তার দ্বারা আমাদেরকে উপকৃত
কর ৷ তিনি বলেন, আমি সেখানে যখন পৌছি তখন বকরীবপালের সামনের অংশ দুর্গের
অভ্যন্তরে প্রবেশ করছিল ৷ আমি পালের শেষ মাথা থেকে দুটো বকরী ধরে বগলদাবা করে রাসুল
করীম (না)-এর দরবারে এমনভাবে ছুটে আমি যেন আমার কাছে কিছুই নেই ৷ আমি বকরী দুটো
এনে রাসুল করীম (সা) এর সম্মুখে রাখি ৷ সাহাবীগণ বকরী দুটি যবাই করে আহারের ব্যবস্থা
করেন ৷ আর আবুল য়ুসৃর ছিলেন সকলের শেষে মৃত্যুবরণকারী রাসুল করীম (না)-এর
সাহাবীগণের অন্যতম ৷ এ হাদীছ বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি কেদে ফেলতেন ৷ তিনি বলেন,
সাহাবীগণ আমার দ্বারা উপকৃত হন ৷ শেষপর্যন্ত আমিই হলাম তাদের (অর্থাৎ সাহাবীদের) মধ্যে
সর্বশেষ ব্যক্তিদের অন্যতম ৷


وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «نَهَى يَوْمَ خَيْبَرَ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ وَعَنْ أَكْلِ الثُّومِ» . وَقَدْ حَكَى ابْنُ حَزْمٍ، عَنْ عَلِيٍّ وَشَرِيكِ بْنِ الْحَنْبَلِ، أَنَّهُمَا ذَهَبَا إِلَى تَحْرِيمِ الْبَصَلِ وَالثُّومِ النَّيِّئِ. وَالَّذِي نَقَلَهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْهُمَا الْكَرَاهَةُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَكَلَّمَ النَّاسُ فِي الْحَدِيثِ الْوَارِدِ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَالْحَسَنِ ابْنَيْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ أَبِيهِمَا، عَنْ أَبِيهِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ يَوْمَ خَيْبَرَ، وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ» . هَذَا لَفْظُ " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ وَغَيْرِهِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ وَهُوَ يَقْتَضِي تَقْيِيدَ تَحْرِيمِ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ بِيَوْمِ خَيْبَرَ وَهُوَ مُشْكِلٌ مِنْ وَجْهَيْنِ؛ أَحَدُهُمَا، أَنَّ يَوْمَ خَيْبَرَ لَمْ يَكُنْ ثَمَّ نِسَاءٌ يَتَمَتَّعُونَ بِهِنَّ؛ إِذْ قَدْ حَصَلَ لَهُمْ الِاسْتِغْنَاءُ بِالسِّبَاءِ عَنْ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ. الثَّانِي، أَنَّهُ قَدْ ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ أَبِيهِ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَذِنَ لَهُمْ فِي الْمُتْعَةِ زَمَنَ الْفَتْحِ، ثُمَّ لَمْ يَخْرُجْ مِنْ مَكَّةَ حَتَّى نَهَى عَنْهَا، وَقَالَ: " إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» فَعَلَى هَذَا يَكُونُ قَدْ نَهَى عَنْهَا ثُمَّ أَذِنَ فِيهَا، ثُمَّ حُرِّمَتْ، فَيَلْزَمُ النَّسْخُ مَرَّتَيْنِ، وَهُوَ بَعِيدٌ. وَمَعَ هَذَا فَقَدَ نَصَّ
পৃষ্ঠা - ৩১৪৪
الشَّافِعِيُّ عَلَى أَنَّهُ لَا يَعْلَمُ شَيْئًا أُبِيحَ ثُمَّ حُرِّمَ، ثُمَّ أُبِيحُ ثُمَّ حُرِّمَ، غَيْرَ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ، وَمَا حَدَاهُ عَلَى هَذَا - رَحِمَهُ اللَّهُ - إِلَّا اعْتِمَادُهُ عَلَى هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ، كَمَا قَدَّمْنَاهُ. وَقَدْ حَكَى السُّهَيْلِيُّ وَغَيْرُهُ، عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّهُ ادَّعَى أَنَّهَا أُبِيحَتْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، وَحُرِّمَتْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. وَقَالَ آخَرُونَ: أَرْبَعَ مَرَّاتٍ. وَهَذَا بَعِيدٌ جِدًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَاخْتَلَفُوا؛ أَيُّ وَقْتٍ أَوَّلُ مَا حُرِّمَتْ؟ فَقِيلَ: فِي خَيْبَرَ. وَقِيلَ: فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ. وَقِيلَ: فِي عَامِ الْفَتْحِ. وَهُوَ الَّذِي يَظْهَرُ، وَقِيلَ: فِي أَوْطَاسٍ. وَهُوَ قَرِيبٌ مِنَ الَّذِي قَبْلَهُ. وَقِيلَ: فِي تَبُوكَ. وَقِيلَ: فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ. وَقَدْ حَاوَلَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ أَنْ يُجِيبَ عَنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِأَنَّهُ وَقَعَ فِيهِ تَقْدِيمٌ وَتَأْخِيرٌ. وَإِنَّمَا الْمَحْفُوظُ فِيهِ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الْحَسَنِ وَعَبْدِ اللَّهِ ابْنَيْ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِمَا - وَكَانَ حَسَنٌ أَرْضَاهُمَا فِي أَنْفُسِهِمَا - «أَنَّ عَلِيًّا قَالَ لِابْنِ عَبَّاسٍ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ نِكَاحِ
পৃষ্ঠা - ৩১৪৫

হাফিয বায়হাকী তার দালাইল গ্রন্থে আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ্ আবু উছমান নাহদী বা
আবু কুলাবা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুল কবীম (সা) যখন খায়বরে পৌছেন তখন থেজুর
কাচা ছিল ৷ লোকেরা ছুটে গিয়ে কাচা থেজুর থেয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাসুল করীম (সা) এব
নিকট অনুযোগ করলে রাসুল (সা) বললেন : পুরাতন মশকে পানি শীতল করে প্রত্যুষে আল্লাহ্র
নাম নিয়ে পান করবে ৷ তারা তাই করেন এবং সুস্থ হন ৷ হাফিয বায়হাকী (র) আবদুর রহমান
ইবন রাফি সুত্রে অবিচ্ছিন্ন সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ এতে মাগরিব এবং ইশার মধ্যবর্তী
সময়ের উল্লেখ রয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (রা) আবদুল্লাহ ইবন মুগাফ্ফাল সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ খায়বরের দিন চর্বি ভর্তি একটি থলে ঝুলিয়ে রাখা হয় ৷ তা হাতে নিয়ে আমি বললাম,
আমি এখান থেকে কাউকে কিছু দেবাে না ৷ তিনি বলেন, আমি পেছনে ফিরে দেখি রাসুল
করীম (সা) মুচকি হাসছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আফ্ফান আবদৃল্লাহ্ ইবন মুগাফ্ফাল
সুত্রে বর্ণনা করেন :

“আমরা খায়বর প্রাসাদ অবরোধ করে রাখি, এ সময় আমাদের দিকে চর্বির একটা থলে
নিক্ষেপ করা হলে আমি গিয়ে তা হাতে নেই এবং তখন রাসুল করীম (সা) কে দেখতে পেয়ে
আমি লজ্জিত হই ৷ ইমাম বৃখারী ও মুসলিম (ব) শুবা সুত্রেও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ মুসলিম
(রা) শায়বান ইবন ফররুখ সুত্রে উছমান ইবন মুগীরার বরাতেও হাদীছটি বর্ণনা করেন ইবন
ইসহাক (ব) আবদুল্লাহ্ ইবন মুগাফ্ফাল মুযনী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, খায়বারের গনীমতের সাল
থেকে আমি এক থলে চর্বি কাধে নিয়ে আমার আস্তানা এবং বন্ধুদের নিকট গমন করি ৷
গনীমতের মাংলর দায়িত্শীল আমাকে পথে পেয়ে পাকড়াও করে নিয়ে যান এবং বলেন, এসো
এসব মুসলমানদের মধ্যে বন্টন করে দেই ৷ আমি বললাম , আল্লাহ্র কসম , আমি কিছুতেই তা
তোমাকে দেবো না ৷ তিনি আমার নিকট থেকে থলে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য টানাটানি করেন ৷ আমি
যখন এরকম করছিলাম তখন রাসুল করীম (সা) আমাদেরকে দেখে হাসলেন , আর গনীমতের
মালের দায়িত্শীলকে বললেন, তাকে যেতে দাও ৷ তিনি আমাকে ছেড়ে দিলে আমি তা নিয়ে ঘরে
ফিরে যাই এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে তা আহার করি ৷

য়াহুদীদের যৰাই করা জন্তুর চর্বি হারাম ইমাম মালিক (র) এর এ মতের বিরুদ্ধে জমহুর
আলিম এ হাদীছটিকে প্রমাণ হিসাবে পেশ করেন ৷ কারণ, আল্লাহ্তাআলা বলেছেন :

ণ্’ওস্র দুা ১ এএণ্এ ,;;বু,৷ ;>এ ৷ ’ণ্দ্রএ১

আর আহলি কিতুাবচদর খাদ্য তোমাদের জন্য হালাল ৷ ইমাম মালিক (রা)-এর জবাবে বলেন
যে, চর্বি খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত নয় ৷ উপরোক্ত হাদীছ থেকে প্রমাণ উপস্থাপন করাও বিচার সাপেক্ষ ৷
এমনও তো হতে পারে যে, তাদের জন্য হালাল পশু থেকে এ চর্বি নেয়া হয়েছিল ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷

এ হাদীছ দ্বারা এ প্রমাণও উপস্থাপন করা হয় যে, খাদ্য শস্যে খুমুস বা এক-পঞ্চমাংশ ধার্য
হয় না ৷ আবু দাউদ (ব) বর্ণিত মুহাম্মাদ ইবন আলা আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা সুত্রের
হাদীছ দ্বারা এমতের সমর্থন পাওয়া যায় ৷ এ হাদীছে উল্লেখ আছে :
;এও ট্রুএে
৪৫ —


الْمُتْعَةِ، وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ زَمَنَ خَيْبَرَ» قَالُوا: فَاعْتَقَدَ الرَّاوِي أَنَّ قَوْلَهُ: " خَيْبَرَ " ظَرْفٌ لِلْمَنْهِيِّ عَنْهُمَا، وَلَيْسَ كَذَلِكَ، إِنَّمَا هُوَ ظَرْفٌ لِلنَّهْيِ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ، فَأَمَّا نِكَاحُ الْمُتْعَةِ فَلَمْ يَذْكُرْ لَهُ ظَرْفًا، وَإِنَّمَا جَمَعَهُ مَعَهُ؛ لِأَنَّ عَلِيًّا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَلَغَهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَبَاحَ نِكَاحَ الْمُتْعَةِ، وَلُحُومَ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ، كَمَا هُوَ الْمَشْهُورُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيٌّ: إِنَّكَ امْرُؤٌ تَائِهٌ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَلُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ يَوْمَ خَيْبَرَ. فَجَمَعَ لَهُ النَّهْيَ لِيَرْجِعَ عَمَّا كَانَ يَعْتَقِدُهُ فِي ذَلِكَ مِنَ الْإِبَاحَةِ. وَإِلَى هَذَا التَّقْرِيرِ كَانَ مَيْلُ شَيْخِنَا الْحَافِظِ أَبِي الْحَجَّاجِ الْمِزِّيِّ، تَغَمَّدَهُ اللَّهُ بِرَحْمَتِهِ، آمِينَ. وَمَعَ هَذَا مَا رَجَعَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَمَّا كَانَ يَذْهَبُ إِلَيْهِ مِنْ إِبَاحَةِ الْحُمُرِ وَالْمُتْعَةِ، أَمَّا النَّهْيُ عَنِ الْحُمُرِ فَتَأَوَّلَهُ بِأَنَّهَا كَانَتْ حَمُولَتَهُمْ، وَأَمَّا الْمُتْعَةُ فَإِنَّمَا كَانَ يُبِيحُهَا عِنْدَ الضَّرُورَةِ فِي الْأَسْفَارِ، وَحَمَلَ النَّهْيَ عَلَى ذَلِكَ فِي حَالِ الرَّفَاهِيَةِ وَالْوِجْدَانِ، وَقَدْ تَبِعَهُ عَلَى ذَلِكَ طَائِفَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَأَتْبَاعِهِمْ، وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ مَشْهُورًا عَنْ عُلَمَاءِ الْحِجَازِ، إِلَى زَمَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، وَبَعْدَهُ. وَقَدْ حُكِيَ عَنِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ رِوَايَةٌ كَمَذْهَبِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَهِيَ ضَعِيفَةٌ، وَحَاوَلَ بَعْضُ مَنْ صَنَّفَ فِي الْخِلَافِ نَقْلَ رِوَايَةٍ عَنِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بِمِثْلِ ذَلِكَ، وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمَوْضِعُ تَحْرِيرِ ذَلِكَ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ " وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
পৃষ্ঠা - ৩১৪৬
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَدَنَّى الْحُصُونَ وَالْأَمْوَالَ، فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ بَعْضُ مَنْ أَسْلَمَ «أَنَّ بَنِي سَهْمٍ مِنْ أَسْلَمَ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَقَدْ جُهِدْنَا وَمَا بِأَيْدِينَا مِنْ شَيْءٍ. فَلَمْ يَجِدُوا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا يُعْطِيهِمْ إِيَّاهُ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ إِنَّكَ قَدْ عَرَفْتَ حَالَهُمْ، وَأَنْ لَيْسَتْ بِهِمْ قُوَّةٌ، وَأَنْ لَيْسَ بِيَدِي شَيْءٌ أُعْطِيهِمْ إِيَّاهُ، فَافْتَحْ عَلَيْهِمْ أَعْظَمَ حُصُونِهَا عِنْدَهُمْ، وَأَكْثَرَهَا طَعَامًا وَوَدَكًا " فَغَدَا النَّاسُ فَفُتِحَ عَلَيْهِمْ حِصْنُ الصَّعْبِ بْنِ مُعَاذٍ، وَمَا بِخَيْبَرَ حِصْنٌ كَانَ أَكْثَرَ طَعَامًا وَوَدَكًا مِنْهُ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حُصُونِهِمْ مَا افْتَتَحَ، وَحَازَ مِنَ الْأَمْوَالِ مَا حَازَ، انْتَهَوْا إِلَى حِصْنِهِمُ الْوَطِيحِ، وَالسُّلَالِمِ، وَكَانَ آخِرَ حُصُونِ خَيْبَرَ افْتِتَاحًا، فَحَاصَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَكَانَ شِعَارُهُمْ يَوْمَ خَيْبَرَ يَا مَنْصُورُ، أَمِتْ أَمِتْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بُرَيْدَةُ بْنُ سُفْيَانَ الْأَسْلَمِيُّ، عَنْ بَعْضِ
পৃষ্ঠা - ৩১৪৭


তিনি বলেন, আমি বললাম, রাসুল করীম (সা)-এর যুগে আপনারা কি খাদ্য শস্য থেকে
এক-পঞ্চমাংশ (খুমুস) বের করতেন ? জবাবে তিনি বলেন : খায়বরের দিন আমরা খাদ্য শস্য

লাভ করি ৷ একজন লোক এসে তার জন্য যতটুকু প্রয়োজন তা নিয়ে যেতেন ৷ ইমাম আবু দাউদ
(র) এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ হাদীছটি হাসান’ পর্যায়ের ৷

হযরত সাফিয়্যা বিন্ত হুয়ইি (রা)-এর ঘটনা

রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন বনুনযীর ইয়াহুদীদেরকে তাদের দৃষ্কর্মের জন্যে মদীনা থেকে বিতাড়িত
করেন তখন তাদের অধিকাংশই খায়বারে গিয়ে বসবাস শুরু করে ৷ তাদের মধ্যে ছিল হুয়াই
ইবন আখতার এবং আবুল হুকইিকের সন্তানরা ৷ আর তারা ছিল তাদের সম্প্রদায়ে ঐশ্বর্য ও
মর্যাদার অধিকারী ৷ তখন হযরত সাফিয়্যা ছিলেন অপ্রাপ্ত বয়স্কা ৷ তারপর যখন তার বিয়ের বয়স
হয় তখন তার একজন চাচাভাে ভাই র্তাকে বিয়ে করে ৷ তাদের বাসর হওয়ার কয়েক দিন পর
একদিন তিনিাপ্নে দেখেন যে, আকাশের চীদ যেন তার কোলে এসে পড়েছে ৷ তিনি তার এ
াপ্নের কথাামীর কাছে বর্ণনা করলে তারামী রেগে যায় এবং তাকে চপেটাঘাত করে এবং
বলে ইয়াসরিব অধিপতি তোমারামী হোক এটাইকি তুমি কামনা কর ? তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
খায়বারের বাসিন্দাদেরকে অবরোধ করে ফেললে এবং খায়বারের পতন ঘটলে হযরত সাফিয়্যা
(রা) কয়েদীদের অন্তর্ভুক্ত হন এবং তারামী নিহত হয় ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে নিজের
জন্যে পসন্দ করেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কর্তৃত্মধীনে এসে যান ৷ পবিত্রত৷ অর্জনের পর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর সাথে বাসর ঘর করতে গিয়ে তার ঢেহারায় উক্ত আঘাতের দাগ দেখতে পান
ও তার কারণ জিজ্ঞেস করেন ৷ তখন তিনি তীর উক্ত শুভাপ্নের কথা বলেন ও তারামীর
নির্যাতনের কথা বর্ণনা করেন ৷

ইমাম বুখারী (র) বলেন, আমাদেরকে সুলায়মান ইবন হার ব (র) আনাস ইবন
মালিক (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারের অতি নিকটে
অন্ধকার থাকতেই ফজরের সালাত আদায় করেন ৷ এরপর বলেন, “আল্লাহ মহান, খায়বার ধ্বংস
হয়ে যাবে, নিশ্চয়ই আমরা যখন কোন সম্প্রদায়ের আঙ্গিনায় হাযির হই তখন সতর্কীকৃতদের
প্রভাত হয় কতই না মন্দ ! এরপর খায়বারবাসীরা পরাজিত হয়ে এদিক্ সেদিক্ পলায়ন করতে
লাগল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যােদ্ধাদেরকে হত্যা এবং তাদের পরিবার-পরিজনদের বন্দী করার আদেশ
দেন ৷ বন্দীদের মধ্যে হযরত সাফিয়্যা বিন্ত হুয়াই (রা)-ও ছিলেন ৷ তিনি প্রথমে হযরত দিহ্ইয়া
কালবী (রা)-এর ভাগে পড়েন ৷ পরে অবশ্য রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর অংশে আসেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে আযাদ করে বিবাহ করেন এবং তার মুক্তিকেই মােহরানা সাব্যস্ত করেন ৷

মুসলিম (র) ও বিভিন্ন সনদে আনাস (বা) হতে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম বুখারী (র)
আদম অড়ানাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)


رِجَالِ بَنِي سَلِمَةَ، عَنْ أَبِي الْيَسَرِ كَعْبِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «إِنَّا لَمَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْبَرَ ذَاتَ عَشِيَّةٍ، إِذْ أَقْبَلَتْ غَنَمٌ لِرَجُلٍ مِنْ يَهُودَ، تُرِيدُ حِصْنَهُمْ وَنَحْنُ مُحَاصِرُوهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ رَجُلٌ يُطْعِمُنَا مِنْ هَذِهِ الْغَنَمِ؟ ". قَالَ أَبُو الْيَسَرِ: فَقُلْتُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " فَافْعَلْ ". قَالَ: فَخَرَجْتُ أَشْتَدُّ مِثْلَ الظَّلِيمِ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُوَلِّيًا قَالَ: " اللَّهُمَّ أَمْتِعْنَا بِهِ ". قَالَ: فَأَدْرَكْتُ الْغَنَمَ وَقَدْ دَخَلَتْ أَوَّلُهَا الْحِصْنَ، فَأَخَذْتُ شَاتَيْنِ مِنْ أُخْرَاهَا فَاحْتَضَنْتُهُمَا تَحْتَ يَدِي، ثُمَّ جِئْتُ بِهِمَا أَشْتَدُّ كَأَنَّهُ لَيْسَ مَعِي شَيْءٌ، حَتَّى أَلْقَيْتُهُمَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَبَحُوهُمَا فَأَكَلُوهُمَا، فَكَانَ أَبُو الْيَسَرِ مِنْ آخِرِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَوْتًا، وَكَانَ إِذَا حَدَّثَ هَذَا الْحَدِيثَ بَكَى، ثُمَّ قَالَ: أُمْتِعُوا بِي لَعَمْرِي، حَتَّى كُنْتُ مِنْ آخِرِهِمْ مَوْتًا» . وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": أَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ الْأَصْبَهَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدِ بْنُ الْأَعْرَابِيِّ، حَدَّثَنَا سَعْدَانُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، أَوْ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ قَدِمَ وَالثَّمَرَةُ خَضِرَةٌ، قَالَ: فَأَسْرَعَ النَّاسُ فِيهَا، فَحُمُّوا، فَشَكَوْا ذَلِكَ إِلَيْهِ، فَأَمَرَهُمْ أَنْ يُقَرِّسُوا الْمَاءَ فِي الشِّنَانِ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৩১৪৮
يَحْدِرُوا عَلَيْهِمْ بَيْنَ أَذَانَيِ الْفَجْرِ، وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ، فَفَعَلُوا ذَلِكَ فَكَأَنَّمَا نُشِطُوا مِنْ عُقُلٍ» . قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَوَيْنَاهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ مَوْصُولًا، وَعَنْهُ: بَيْنَ صَلَاتَيِ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى وَبَهْزٌ قَالَا: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُغَفَّلٍ، قَالَ: دُلِّيَ جِرَابٌ مِنْ شَحْمٍ يَوْمَ خَيْبَرَ. قَالَ: فَالْتَزَمْتُهُ، فَقُلْتُ: لَا أُعْطِي أَحَدًا مِنْهُ شَيْئًا. قَالَ: فَالْتَفَتُّ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَبَسَّمُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ: كُنَّا مُحَاصِرِينَ قَصْرَ خَيْبَرَ، فَأُلْقِيَ إِلَيْنَا جِرَابٌ فِيهِ شَحْمٌ، فَذَهَبْتُ آخُذُهُ، فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَحْيَيْتُ. وَقَدْ أَخْرَجَهُ صَاحِبَا " الصَّحِيحِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا عَنْ شَيْبَانَ بْنِ فَرُّوخَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بِهِ نَحْوَهُ.
পৃষ্ঠা - ৩১৪৯

সাফিয়্যা (রা)-কে কয়েদী হিসেবে গ্রহণ করেন, তিনি তাকে মুক্ত করে দেন এবং পরে বিবাহ
করেন ৷ একজন বিশিষ্ট বণ্টাড়াকারী ছাবিত (রা) হযরত আনাস (রা)কে জিজ্ঞেস করেন “তিনি
তার মােহরানা কী দিয়েছিলেন ?” উত্তরে হযরত আনাস (রা) বলেন, তিনি তার মুক্তিকেই
মোহরানা সাব্যস্ত করেছিলেন ৷ এ বর্ণনায় ইমাম বৃখারী (র) ছিলেন একক ৷

বৃখারী (র) আবদুল পাফ্ফার ও আহমদ ইবন ঈসা আনাস (রা ) হতে বর্ণনা করেন ৷ আনাস
(রা) বলেন, “আমরা খায়বারে আগমন করলাম ৷ যখন দৃর্গগুলো আমাদের হস্তগত হল, রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর কাছে সাফিয়্যা বিনৃত হুয়াইর গুণ-গরিমার কথা বর্ণনা করা হল ৷ তার স্বামী নিহত
হয়েছিল এবং তিনি ছিলেন সদ্য বিবাহিতা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে নিজের জন্যে পসন্দ করলেন ৷
তাকে নিয়ে বের হলেন এবং সুদ্দাস সাহ্বা নামক স্থানে পৌছার পর সাফিয়্যা (বা) পাক পবিত্র
হলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে র্তার বাসর হল ৷ এরপর খেজুর ও ঘি দিয়ে হাইস’ নামক এক
প্রকার খাদ্য তৈরি হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আনাস (রা)-কে বলৰ্লন, “তোমার আশে পাশে যারা
আছে তাদেরকে দস্তরখানে ডেকে এনে খেতে দাও ৷” আনাস (রা) বলেন, “এটাই ছিল হযরত
সাফিয়্যা (রা)-এর ওলীমা ৷ ” আনাস (রা) বলেন, এরপর আমরা মদীনায় দিকে রওয়ানা হলাম ৷
আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে তার পিছনে সাফিয়্যা (রা) এর একটি চাদর বিছাতে দেখেছিলাম ৷
এরপর তিনি উটের পার্শে বললেন, হযরত সাফিয়্যা (বা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হীটুতে ভর দিয়ে
উটে আরোহণ করেন ৷ এ বর্ণনড়াটিতেও ইমাম বৃখারী (র) একক ৷

বৃখারী (র) সাঈদ ইবন আবুমারয়াম আনাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আনাস (রা)
বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) থায়বার ও মদীনায় মধ্যবর্তী স্থানে তিন রাত অবস্থান করেন ৷ তিনি
সাফিয়্যা (রা)-এর সাথে বাসর ঘর করেন ৷ এরপর আমি মুসলমানদেরকে তার ওলীমার দাওয়াত
করলাম ৷ এ ওলীমার রুচি ও পােশতের কোন ব্যবস্থা ছিল না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলাল (রা)-কে
দস্তরখান বিছাতে হুকুম করলেন ৷ যখন দস্তরখান ৰিছান হল, তার মধ্যে খেজুর পনির ও ঘি রাখা
হল ৷ সাহাবীপণ বলারলি করতে লাগলেন, সাফিয়্যা (রা)-কে কি একজন উম্মুল ঘু’মিনীন হিসেবে
গণ্য করা হয়েছে, না কি একজন দাসী হিসেবে ? তারা বলারলি করতে লাগলেন, যদি তার
জন্যে পর্দার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তিনি হবেন একজন উম্মুল ঘু’মিনীন, আর যদি পর্দার ব্যবস্থা
না করা হয়, তাহলে তিনি একজন দাসী হিসেবে গণ্য হবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন রওয়ানা
হলেন, তার পিছনে সাফিয়্যার জন্যে স্থান করে দিলেন ও পর্দার ব্যবস্থা করে দিলেন ৷ এটিও
বুখারীর একক বর্ণনা ৷

আবু দাউদ (র) মুসাদ্দাদ আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ,
প্রথমত সাফিয়্যা (রা) দিহ্ইয়া কালবী (রা)-এর ভাগে পড়েন ৷ পরে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
জন্যে হয়ে যান ৷

আবু দাউদ (র) ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম আনাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন , খায়বারের দিন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে কয়েদীদেরকে আনা হল ৷ তখন বিশিষ্ট সাহাবী
দিহ্ইয়া কালবী উপস্থিত হয়ে বললেন, ইয়া রাসুলড়াল্লাহ্ ! কয়েদীদের মধ্য হতে আমাকে একজন
দাসী দান করুন ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যাও একজনকে নিয়ে যাও ৷ তখন তিনি সাফিয়্যা


وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ الْمُزَنِيِّ، قَالَ: أَصَبْتُ مِنْ فَيْءِ خَيْبَرَ جِرَابَ شَحْمٍ. قَالَ: فَاحْتَمَلْتُهُ عَلَى عُنُقِي إِلَى رَحْلِي وَأَصْحَابِي. قَالَ: فَلَقِيَنِي صَاحِبُ الْمَغَانِمِ الَّذِي جُعِلَ عَلَيْهَا، فَأَخَذَ بِنَاحِيَتِهِ، وَقَالَ: هَلُمَّ هَذَا حَتَّى نَقْسِمَهُ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ قَالَ: وَقُلْتُ: لَا وَاللَّهِ لَا أُعْطِيكَهُ. قَالَ: وَجَعَلَ يُجَاذِبُنِي الْجِرَابَ. قَالَ: فَرَآنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَصْنَعُ ذَلِكَ فَتَبَسَّمَ ضَاحِكًا، ثُمَّ قَالَ لِصَاحِبِ الْمَغَانِمِ: " لَا أَبَا لَكَ، خَلِّ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ " قَالَ: فَأَرْسَلَهُ، فَانْطَلَقْتُ بِهِ إِلَى رَحْلِي وَأَصْحَابِي فَأَكَلْنَاهُ. وَقَدِ اسْتَدَلَّ الْجُمْهُورُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَلَى الْإِمَامِ مَالِكٍ فِي تَحْرِيمِهِ شُحُومَ ذَبَائِحِ الْيَهُودِ - مَا كَانَ حَرَامًا عَلَيْهِمْ - عَلَى غَيْرِهِمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ؛ لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ: {وَطَعَامُ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حِلٌّ لَكُمْ} [المائدة: 5] (الْمَائِدَةِ: 5) قَالَ: لَكُمْ. قَالَ: وَلَيْسَ هَذَا مِنْ طَعَامِهِمْ. فَاسْتَدَلُّوا عَلَيْهِ بِهَذَا الْحَدِيثِ، وَفِيهِ نَظَرٌ، وَقَدْ يَكُونُ هَذَا الشَّحْمُ مِمَّا كَانَ حَلَالًا لَهُمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدِ اسْتَدَلُّوا بِهَذَا الْحَدِيثِ عَلَى أَنَّ الطَّعَامَ لَا يُخَمَّسُ. وَيَعْضُدُ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مُجَالِدٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩১৫০
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: قُلْتُ: هَلْ كُنْتُمْ تُخَمِّسُونَ الطَّعَامَ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: أَصَبْنَا طَعَامًا يَوْمَ خَيْبَرَ، فَكَانَ الرَّجُلُ يَجِيءُ، فَيَأْخُذُ مِنْهُ قَدْرَ مَا يَكْفِيهِ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ. تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ، وَهُوَ حَسَنٌ.
পৃষ্ঠা - ৩১৫১

বিনতে হুয়াইকে গ্রহণ করলেন ৷ তখন এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে এসে আরয
করলেন ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি বনুনাযীর ও বনুকুরায়যার সর্দার হুয়াই এর কন্যা সাফিয়্যাকে
দিহ্ইয়া কালবীর হাতে তুলে দিয়েছেন ৷ তিনি শুধু আপনারই যোগ্য ৷ হুয়ুর (সা) বলেন, দিহ্ইয়া
কালবীকে সাফিয়্যাসহ ডেকে নিয়ে এসো ৷ নবী করীম (সা) যখন তার দিকে নযর করলেন তখন
দিহ্ইয়া কালবী (রা)-কে বললেন, তুমি অন্য একটি বন্দিনীকে নিয়ে নাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাফিয়্যা (রা)-কে আযাদ করে দিলেন ও তাকে বিবাহ করলেন ৷ ইবন উলাইয়া (বা) হতেও
অনুরুপ বর্ণিত রয়েছে ৷

আবু দাউদ (র) মুহাম্মাদ ইবন খাল্লাদ বাহিলী আনড়াস (রা) সুত্রে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেন, দিহ্ইয়া কালবী (রা) এর অং শ একটি সুশ্ৰী দাসী পড়েছিল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে
সাতটি বন্দীর বিনিময়ে খরিদ করে নেন ৷ এরপর তাকে তিনি সত্ত্বজগােজের জন্য উম্মু সালামা
(রা)-এর কাছে সমর্পণ করেন ৷ রাবী হস্ফোদ (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা সাফিয়্যাকে উম্মু সালামা
(রা)-এর কাছে সমর্পণ করে দিলেন যাতে সেখানে তার ইদ্দতকাল অতিবাহিত হয় ৷ এটি আবু
দাউদের একক বর্ণনা ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন বনু আবুল হুকাইকের নিকট থেকে কামুস
নামক দৃর্গটি জয় করলেন তখন সাফিয়্যা (রা) বিনত হুয়াই ও তার সাথে অন্য একজন বন্দিনীকেও
রাসুল (না)-এর সামনে আনয়ন করা হল ৷ বিলাল (রা) উক্ত ইে জন মহিলাকে নিয়ে তাদের
নিহত আত্মীয়-াজনদের পাশ দিয়ে যড়াচ্ছিলেন ৷ সাফিয়্যা (বা) এর সাথী মহিলাঢি নিহত
ব্যক্তিদেরকে দেখে উচ্চারে র্কাদতে লাগল, মহিলাটি নিজেদের মুখে আঘাত করতে লাগল এবং
মাথায় ধুলি নিক্ষেপ করতে লাগল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বললেন, এই উচ্ছুৎখল নারীটিকে
এখান থেকে নিয়ে যাও ৷ কিন্তু সাফিয়্যা (রা)-কে দেখে হুয়ুর (সা) তার জন্যে হুয়ুরের পিছনে
বসার জায়গা করে দেন এবং তার জন্যে পর্দড়ার ব্যবস্থা করে দেন ৷ মুসলমড়ানপণ বুঝতে পারলেন
যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে নিজের জন্যে পসন্দ করেছেন ৷ সাফিয়্যার সঙ্গী ইয়াহুদী মহিলাটির কাণ্ড
দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলাল (রা)-কে লক্ষ্য করে বললেন, হে বিলাল তোমার নিকট হতে কি
রহমত ও মমতড়াবােধ লোপ পেয়ে গেছে যে, তুমি এ দুটি মহিলাকে তাদের সঙ্গীদের শবদেহ
দেখিয়ে রেড়াচ্ছ ? আর হযরত সাফিয়্যা (রা) যখন কিনানা ইবন রাবী ইবন আবুল হুকাইক এর
নব পরিণীতা ছিলেন তখন তিনিাপ্ন দেখেন যে, আকাশের চীদ যেন তার কোলে পতিত হচ্ছে ৷
তিনি তখন তারামীর কাছে এাপ্নটি ব্যক্ত করেন ৷ামী বলল, এটি তো, তোমার হিজড়ায়ের
শাসক মুহাম্মাদকে পাওয়ার আকাক্ষে৷ বৈ কিছু না ? এরপর সে তার চেহারায় আঘাত করে ফলে
তার চোখ নীলবর্ণ হয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে যখন তাকে পেশ করা হল তখন তার
চেহারায় আঘাতের চিহ্ন ছিল ৷ তিনি এ সম্বন্ধে তাকে জিজ্ঞেস করেন ৷ হযরত সাফিয়্যা (রা)
তখন তাকে বিস্তারিত জানালেন ৷

ইবন ইসহাক আরো বলেন, “কিনানা ইবন রাবীর নিকট বনুনযীরের বিপুল পরিমাণ সম্পদ
গচ্ছিত ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে তাকে পেশ করা হলে, সেই সম্পদ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্
(না) তাকে জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু সে সম্পদের কথা আীকার করল এবং এ সম্বন্ধে কোন কিছু


[قِصَّةُ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ] ذِكْرُ قِصَّةِ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ النَّضَرِيَّةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَكَانَ مِنْ شَأْنِهَا أَنَّهُ لَمَّا أَجْلَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَهُودَ بَنِي النَّضِيرِ مِنَ الْمَدِينَةِ - كَمَا تَقَدَّمَ - فَذَهَبَ عَامَّتُهُمْ إِلَى خَيْبَرَ، وَفِيهِمْ حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ وَبَنُو أَبِي الْحُقَيْقِ، وَكَانُوا ذَوِي أَمْوَالٍ وَشَرَفٍ فِي قَوْمِهِمْ، وَكَانَتْ صَفِيَّةُ إِذْ ذَاكَ طِفْلَةً دُونَ الْبُلُوغِ، ثُمَّ لَمَّا تَأَهَّلَتْ لِلتَّزْوِيجِ، تَزَوَّجَهَا بَعْضُ بَنِي عَمِّهَا، فَلَمَّا زُفَّتْ إِلَيْهِ وَأُدْخِلَتْ عَلَيْهِ بَنَى بِهَا، وَمَضَى عَلَى ذَلِكَ لَيَالٍ، رَأَتْ فِي مَنَامِهَا كَأَنَّ قَمَرَ السَّمَاءِ قَدْ سَقَطَ فِي حِجْرِهَا، فَقَصَّتْ رُؤْيَاهَا عَلَى ابْنِ عَمِّهَا، فَلَطَمَ وَجْهَهَا، وَقَالَ: أَتَتَمَنَّيْنَ مَلِكَ يَثْرِبَ أَنْ يَصِيرَ بَعْلَكِ. فَمَا كَانَ إِلَّا مَجِيءُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحِصَارُهُ إِيَّاهُمْ، فَكَانَتْ صَفِيَّةُ فِي جُمْلَةِ السَّبْيِ، وَكَانَ زَوْجُهَا فِي جُمْلَةِ الْقَتْلَى. وَلَمَّا اصْطَفَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَارَتْ فِي حَوْزِهِ وَمُلْكِهِ، كَمَا سَيَأْتِي وَبَنَى بِهَا بَعْدَ اسْتِبْرَائِهَا وَحِلِّهَا، وَجَدَ أَثَرَ تِلْكَ اللَّطْمَةِ فِي خَدِّهَا، فَسَأَلَهَا: " مَا شَأْنُهَا؟ " فَذَكَرَتْ لَهُ مَا كَانَتْ رَأَتْ مِنْ تِلْكَ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩১৫২

জানে না বলে ব্যক্ত করল ৷ এমন সময় এক ইয়াহুদী রাসুলের কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, যে
কিনানাকে প্রতিদিন সকালে একটি ধ্বংসাবশেষের আশে পাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) কিনানাকে বলেন, দেখ, তুমি বার বার অস্বীকার করছ, যদি প্রমাণিত হয় এবং তোমার কাছে
সম্পদ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তোমাকে এ অপরাধের জন্যে মৃত্যুদণ্ড দেব ৷ সে বলল, ঠিক
আছে ৷ “রাসুলুল্লাহ্ (সা) ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানটি খননের নির্দেশ দিলেন ৷ কিছু সম্পদ তাতে বের হয়ে
আসল ৷ এরপরও রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে অবশিষ্ট সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু সে
সম্পদ সমর্পণ করতে ৩অস্বীকৃতি জা ৷ল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুবায়র ইবনৃল আওয়াম (রা) কে তাকে
শাস্তি দেবার নির্দেশ দিলেন ৷ যুবায়র (রা) চকমকি দিয়ে তার বুকে ঘষতে লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) মুহাম্মাদ ইবন মাসলাম৷ (রা) এর কাছে তাকে সমর্পণ কারন ৷ যাতে তিনি তার ভাই মাহমুদ
ইবন মাসলামার হত্যার বদলে তাকে হত্যা করেন ৷
অধ্যায় : ইবন ইসহাক বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারবাসীদেবকে তাদের আল-ওয়াভীহ

এবং আস সুলালিম দুর্গদ্বয়ে অবরোধ করে রাখেন ৷ যখন তারা পরাজয় সম্পর্কে সুনিশ্চিত হল
তখন তারা আত্মসমর্পণ করল ও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইল ৷ রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা)৩ তা
মঞ্জুর করেন ৷ উপরোক্ত দুইটি দুর্গ ব্যতীত রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আশফাক্ক, আন-নাতাত ও
আল-কাভীরাসহ৩ তাদের সকল দুর্গের যাবতীয় সম্পদ অধিকার করে নেন ৷ যখন ফাদাকের
বাসিন্দা ৷র৷ খায়রারবাসীদের কৃতকর্ম ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গৃহীত সুব্যবস্থ র কথা শুনতে পেল,
তখন তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট দুত প্রেরণ করে নিজেরা আত্মসমর্পণ করল, প্রাণ ভিক্ষা

চাইল ও তাদের যাবতীয় সম্পদ তার হাতে অর্পণ করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তা ৷মঞ্জুর করলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) ও খায়ব৷ রবাসীদের মধ্যে সন্ধি স্থাপনকাবী ছিলেন বনু হারিছ৷ ৷র মিত্র মাহীস৷ ইবন
মাসউদ ৷ খায়বারের বাসিন্দার৷ যখন উপরোক্ত সুযোগ পেল তখন তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সাথে অর্ধেক শস্য ফসলের বিনিময়ে চাষাবাদের অনুমতি চাইল এবং বলল,আমরা আপনাদের
চাইতে টাষাবাদ সম্বন্ধে অধিক অভিজ্ঞ ও অধিক পরিশ্রমী ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের অর্ধেক
ফসলের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হলেন তার আরো শর্ত রইল যে, যখনি ইচ্ছা হুয়ুর (সা) তাদেরকে
উচ্ছেদ করতে পারবেন ৷ আর ফাদাকের বাসিন্দারাও অনুরুপ চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ হল ৷

অধ্যায় : দুর্গগুলোর পতন ও তথাকার জমিজম৷ বণ্টন

ঐতিহাসিক ওয়াকিদী বলেন, ইয়াহুদীর৷ যখন নায়িম দুর্গ ও আস সাব ইবন মুআয দুর্গ
ছেড়ে দিয়ে আয-যুবড়ায়র দুর্পে আশ্রয় নেয় তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাদেরকে তিন দিন অবরোধ করে
রাখেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) এর কাছে আয৷ ল নামী একজন ইয়াহুদী উপস্থিত হয়ে বলল , হে
আবুল কাসিম ! আমাকে প্রাণের নিরাপত্তা দেওয়া হলে আমি এমন একটি বিষয় সম্বন্ধে আপনাকে
অবগত করার যাহ৷ আন-নাতাত ও আশ শাক দুর্গদ্বয়ের বাসিন্দা ৷দের অনিষ্ট থেকে আপনাকে রক্ষা
করবে এবং আপনি তাদের সম্পর্কে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবেন ৷ আশ শাক দুর্গের রাসিন্দারা
আপনার ভয়ে অস্থির ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার এবং তার পরিবারবর্গের জান ৷নমালের
নিরাপত্তা দিলেন ৷ তখন ইয়াহ্রদী দো ৷কটি ত ৷কে বলল, “আপনি যদি তা ৷দেরকে এক মাসও এরুপে
অবরোধ করে রাখেন এতে তাদের কিইে অসুবিধা হবে না ৷ত তাদের রয়েছে যমীনের নিচে একটি


ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ قَرِيبًا مِنْ خَيْبَرَ بِغَلَسٍ ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ". فَخَرَجُوا يَسْعَوْنَ فِي السِّكَكِ، فَقَتَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُقَاتِلَةَ وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ، وَكَانَ فِي السَّبْيِ صَفِيَّةُ، فَصَارَتْ إِلَى دِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ، ثُمَّ صَارَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ - وَلَهُ طُرُقٌ - عَنْ أَنَسٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا آدَمُ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: «سَبَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ، فَأَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا، قَالَ ثَابِتٌ لِأَنَسٍ: مَا أَصْدَقَهَا؟ قَالَ: أَصْدَقَهَا نَفْسَهَا فَأَعْتَقَهَا» ، تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَفَّارِ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ. وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَمْرٍو مَوْلَى الْمُطَّلِبِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «قَدِمْنَا خَيْبَرَ فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْحِصْنَ، ذُكِرَ لَهُ جَمَالُ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ، وَقَدْ قُتِلَ زَوْجُهَا، وَكَانَتْ عَرُوسًا، فَاصْطَفَاهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِنَفْسِهِ،
পৃষ্ঠা - ৩১৫৩
فَخَرَجَ بِهَا حَتَّى بَلَغَ بِهَا سَدَّ الصَّهْبَاءِ حَلَّتْ، فَبَنَى بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ صَنَعَ حَيْسًا فِي نِطْعٍ صَغِيرٍ، ثُمَّ قَالَ لِي: " آذِنْ مَنْ حَوْلَكَ ". فَكَانَتْ تِلْكَ وَلِيمَتَهُ عَلَى صَفِيَّةَ، ثُمَّ خَرَجْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَوِّي لَهَا وَرَاءَهُ بِعَبَاءَةٍ، ثُمَّ يَجْلِسُ عِنْدَ بَعِيرِهِ فَيَضَعُ رُكْبَتَهُ وَتَضَعُ صَفِيَّةُ رِجْلَهَا عَلَى رُكْبَتِهِ حَتَّى تَرْكَبَ» تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي حُمَيْدٌ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا يَقُولُ: «أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ خَيْبَرَ وَالْمَدِينَةِ ثَلَاثَ لَيَالٍ، يُبْنَى عَلَيْهِ بِصَفِيَّةَ، فَدَعَوْتُ الْمُسْلِمِينَ إِلَى وَلِيمَتِهِ، وَمَا كَانَ فِيهَا مِنْ خُبْزٍ وَلَا لَحْمٍ، وَمَا كَانَ فِيهَا إِلَّا أَنْ أَمَرَ بِلَالًا بِالْأَنْطَاعِ فَبُسِطَتْ، فَأَلْقَى عَلَيْهَا التَّمْرَ وَالْأَقِطَ وَالسَّمْنَ، فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ: إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، أَوْ مَا مَلَكَتْ يَمِينُهُ؟ فَقَالُوا: إِنْ حَجَبَهَا فَهِيَ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنْ لَمْ يَحْجِبْهَا فَهِيَ مِمَّا مَلَكَتْ يَمِينُهُ. فَلَمَّا ارْتَحَلَ وَطَّأَ لَهَا خَلْفَهُ، وَمَدَّ الْحِجَابَ» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩১৫৪

পানির না না ৷ রাতের বেলায় ত ৷র৷ দুর্গ থেকে বের হয় এবং ঐ৷ ন ৷লা থেকে পানি পান করে তারা
পুনরায় তাদের দুবুর্গ ফিরে আসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাদের এই নল ৷টি বন্ধ করে দেয়৷ র নির্দেশ
দিলেন ৷ তখন তারা দুর্গ থেকে বের হয়ে তুমুল যুদ্ধ করে ৷ ঐদিন কিছু সষ্ খ্যক মুসলমান৷ ৷হীদ
হন এবং ইয়াহদীদের দশ জন নিহত ৩হয় ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না) এ দুর্গটি জয় করেন ৷ আর এটা ই ছিল
আন নাতাতে অবস্থিত দুর্গসমুবুহর সর্বশেষ দুর্গ ৷ ইয়াহদীর৷ তখন আশ শাক দুবুর্গ আশ্রয় নেয় ৷
আর আশ শাক এর কাছে ছিল অনেকগুলো দুর্গ ৷ এ দুর্গসমুহবু হত সব পথম যে দুর্গঢি আক্রমণ
করা হয় তার নাম ছিল উবাই দুর্গ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) একটি দুবুর্গর৷ কাছে অবস্থান যেন তার নাম
ছিল সামওযান ৷ এখানেও তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ ইয়াহদীদের মধ্য থেকে আযল নামক একজন যোদ্ধা
দুর্গ থেকে বের হয়ে আসে এবং দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আহ্বান জানায় ৷ তখন হুরাব ইবন মুনযির (রা)৩ ত৷ র
দিকে এগিয়ে যান এবং তলওয়াবুরর আঘাতে ইয়াহ্রদীর ডান হাতটির অর্ধেক পর্যন্ত কেটে
ফেলেন ৷ তখন ইয়াহ্রদীর তলওয়৷ ৷রটি পড়ে যায় ও সে পালিয়ে যায় হুবাব (রা)৩ ৷ তার পিছু ধাওয়া
করেন এবং তার গ্রীবা ধমনী কেটে দেন ৷ তখন অন্য একজন ইয়াহ্যা শু৷ দ্বদৃ যুদ্ধের জন্যে এগিয়ে
আসে ৷ একজন মুসলমান তার ঘুকাবিলায় এগিয়ে আসেন; কিন্তু ইয়াহুদী তাকে শহীদ করে
ফেলে ৷ এরপর ইয়াহুদীটির দিকে এগিয়ে গেলেন আবুদুজানা (রা) ৷ তিনি তাকে হত্যা করেন
খ্তার অস্ত্রশস্ত্র লাভ করেন ৷ এরপর ইয়াহদীর৷ দ্বন্দুযুদ্ধ পরিহার করে ৷ মুসলমানগণত তাকবীর
ধ্বনি দিলেন ৷ এরপর তা ৷ সামনের দুর্গটির প্রতি এগিয়ে যান ও দৃবুর্গ প্রবেশ করেন ৷ আবুদৃজা ৷না
(বা) ছিলেন সকলের অবুগ্র ৷৩ তারা দুবুর্গ নানারুপ আসবাবপত্র বকরী, খাবার সামগ্রী ইত্যাদি
পেলেন ৷ ইয়াহদীদের মধ্যে য ৷রা যুদ্ধ কবুরছিল৩ ৷র৷ সাধ্যমত আসববপত্র নিয়ে ভালুকের ন্যায় দুর্গ
হতে পলায়ন করল এবং আল শাক দুর্গের অধীনে আল-বাযাত দুবুর্গ আশ্রয় নিল ও অত্যন্ত দুর্ভেদ্য
প্রতিরোধ গড়ে তুলল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও সাহাবায়ে কিরামত তাদেরকে প্রতিহত করতে লাগলেন ৷
পরস্পর ভীর নিক্ষেপ শুরু হল এমনকি রাসুলুল্লাহ্ (না) ও সাহাবাগবুণর সাথে নিজ হাতে ভীর
নিক্ষেপ করবুত লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আঙ্গুবুলত তাদের তীরের আঘাত লাগে তখন তিনি
এক মুষ্টি পাথর হাতে নিয়ে তাদের দুর্গের দিকে নিক্ষেপ করলেন ৷ তা ৷বুত দুর্গঢি তাদেরকে নিয়ে
বুকবুপ উঠলও মাটির সাথে মিশে গেল ৷ মুসলমানগণ তাদেরকে পাকড়াও করলেন ৷ ওয়াকিদী
বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুবাসীবুদর দিকে এবং আবুল হুকাইকের দুইটি দুর্ভেদ্য দুর্গ
আল-ওয়াভী ও আসসুলালিম এর দিকে অগ্রসর হলেন ৷ ইয়াহদীর৷ এ দুর্গগুবুলাবুত অত্যন্ত মযবুত
প্রতিরোধ গড়ে তোলে ৷ আশ শ্-া৷ক দুবুষ্বি নিয়ন্ত্রণে অবস্থিত আন নাতাত দুবুর্গ এসে পরাজিত
ইয়াহদীর৷ একত্রিত হল ৷ আবারা তারাও অন্য ইয়াহদীদের সাথে মিলিত হয়ে আল কামুস ও আল
কাভীক দুবুর্গ আশ্রয় নিল ৷৩ তারা দুর্ভেদ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং তা ৷রা দুর্গ থেকে কােনক্রবুম
বের হচ্ছিল না বা এমন কি বাইরের দিকে উকিও মা ৷রছিল না ৷ অবশেষে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) ক্ষেপনাস্ত্র
স্থাপনের দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করলে ইয়াহদীর৷ যখন তাদের ধ্ব×স সম্বন্ধে নিশ্চিত হল এবং
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক তাদের অবরােবুধর ১ ৪দিন পুর্ণ হল, তখন ইবন আবুল হুকাইক বের হয়ে
আসল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে জীবন রক্ষা ও বন্দী হবার শর্তে সন্ধি স্থাপন করল ৷ আর
এটাও শর্ত হল যে, তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে নিজেদের জমিজমা, সম্পদ ও সোনা রুপা,
জভু-জাবুনায়ার সব কিছু হস্তান্তর করবে, তার যতদুর সম্ভব পোশাক পরিচ্ছদ ও খাবার দাবার


صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: صَارَتْ صَفِيَّةُ لِدِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ، ثُمَّ صَارَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «جُمِعَ السَّبْيُ - يَعْنِي بِخَيْبَرَ - فَجَاءَ دِحْيَةُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعْطِنِي جَارِيَةً مِنَ السَّبْيِ. قَالَ: " اذْهَبْ فَخُذْ جَارِيَةً ". فَأَخَذَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ، فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَعْطَيْتَ دِحْيَةَ - قَالَ يَعْقُوبُ: - صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ سَيِّدَةَ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ؟ مَا تَصْلُحُ إِلَّا لَكَ. قَالَ: " ادْعُ بِهَا ". فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " خُذْ جَارِيَةً مِنَ السَّبْيِ غَيْرَهَا ". وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا» ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَلَّادٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: وَقَعَ فِي سَهْمِ دِحْيَةَ جَارِيَةٌ جَمِيلَةٌ، فَاشْتَرَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَبْعَةِ أَرْؤُسٍ، ثُمَّ دَفَعَهَا إِلَى أُمِّ سُلَيْمٍ تَصْنَعُهَا وَتُهَيِّئُهَا. قَالَ حَمَّادٌ: وَأَحْسَبُهُ قَالَ: وَتَعْتَدُّ فِي بَيْتِهَا - صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ. تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ.
পৃষ্ঠা - ৩১৫৫
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقَمُوصَ - حِصْنَ بَنِي أَبِي الْحُقَيْقِ - أُتِيَ بِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ وَأُخْرَى مَعَهَا، فَمَرَّ بِهِمَا بِلَالٌ - وَهُوَ الَّذِي جَاءَ بِهِمَا - عَلَى قَتْلَى مِنْ قَتْلَى يَهُودَ، فَلَمَّا رَأَتْهُمُ الَّتِي مَعَ صَفِيَّةَ، صَاحَتْ، وَصَكَّتْ وَجْهَهَا، وَحَثَتِ التُّرَابَ عَلَى رَأْسِهَا، فَلَمَّا رَآهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " أَعْزِبُوا عَنِّي هَذِهِ الشَّيْطَانَةَ ". وَأَمَرَ بِصَفِيَّةَ فَحِيزَتْ خَلْفَهُ، وَأَلْقَى عَلَيْهَا رِدَاءَهُ، فَعَرَفَ الْمُسْلِمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِ اصْطَفَاهَا لِنَفْسِهِ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبِلَالٍ - فِيمَا بَلَغَنِي - حِينَ رَأَى بِتِلْكَ الْيَهُودِيَّةِ مَا رَأَى: " أَنُزِعَتْ مِنْكَ الرَّحْمَةُ يَا بِلَالُ حَتَّى تَمُرَّ بِامْرَأَتَيْنِ عَلَى قَتْلَى رِجَالِهِمَا ". وَكَانَتْ صَفِيَّةُ قَدْ رَأَتْ فِي الْمَنَامِ وَهِيَ عَرُوسٌ بِكِنَانَةَ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَبِي الْحُقَيْقِ، أَنَّ قَمَرًا وَقَعَ فِي حِجْرِهَا، فَعَرَضَتْ رُؤْيَاهَا عَلَى زَوْجِهَا، فَقَالَ: مَا هَذَا إِلَّا أَنَّكِ تَمَنَّيْنَ مَلِكَ الْحِجَازِ مُحَمَّدًا. فَلَطَمَ وَجْهَهَا لَطْمَةً خَضَّرَ عَيْنَهَا مِنْهَا. فَأُتِيَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِهَا أَثَرٌ مِنْهُ، فَسَأَلَهَا: " مَا هَذَا؟ " فَأَخْبَرَتْهُ الْخَبَرَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكِنَانَةَ بْنِ الرَّبِيعِ، وَكَانَ عِنْدَهُ كَنْزُ بَنِي النَّضِيرِ، فَسَأَلَهُ عَنْهُ، فَجَحَدَ أَنْ يَكُونَ يَعْلَمُ مَكَانَهُ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ، فَقَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي رَأَيْتُ كِنَانَةَ يَطِيفُ بِهَذِهِ الْخَرِبَةِ كُلَّ غَدَاةٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِكِنَانَةَ: " أَرَأَيْتَ إِنْ وَجَدْنَاهُ عِنْدَكَ أَقْتُلُكَ؟ " قَالَ: نَعَمْ. فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخَرِبَةِ فَحُفِرَتْ، فَأُخْرِجَ مِنْهَا بَعْضُ
পৃষ্ঠা - ৩১৫৬

নিজেরা বহন করে নিতে পারবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আরো বললেন, যদি তোমরা কোন কিছু

গোপন কর তাহলে তোমাদের সন্ধি তৎগ হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহ্

ও তার রাসুলের কোন জিয়া থাকবে না ৷ উপরোক্ত শর্তগুলাের উপরই তাদের সাথে সন্ধি
স্থাপিত হল ৷

ইবন কাহীর (র) বলেন, এ জন্যেই যখন তারা সম্পদ গোপন করল, মিথ্যা বলল এবং

বিশেষ করে বহু সম্পদে পরিপুর্ণ চামড়ার বড় থলেটি লুকিয়ে ফে লল তখন সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে,

তারা সন্ধি তৎগ করেছে ৷৩ তাই আবুল হুকাইকের পুত্রদ্বয়ও তার বংশের কতিপয় লোককে চুক্তি
ভৎগের কারণে হত্যা করা হল ৷

বায়হাকী (র) আবুল হাসান ইবন উমর (রা ) হত বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,

রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এমনড়াক তিনি তাদেরকে তাদের দৃর্গে
অবরোধ করে রাখেন ৷ তিনি তাদের জমিজমা, (ক্ষত খামার ও ণ্খজুর বাগান দখল করে নেন ৷

তারা তখন দেশাম্ভরিত হওয়ার শর্তে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সন্ধি করে ৷ তবে তারা
পোশাক পরিচ্ছদ ও খাবার দাবার যা তাদের বহনযোগে নিতে পারে তার অনুমতি দেওয়া
হয়েছিল ৷ আর সােনা রুপা ও হাতিয়ার সব কিছু রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে তারা সমর্পণ
করেছিল৩ ৷৩াদের প্রতি শর্ত অারােপ করা হয়েছিল যেন তারা কো ন কিছু গোপন না করে বা কোন
দ্রব্য না লুকায় ৷ যদি৩ারা কোন কিছু লুকায় বা গোপন করে তাহলে তাদের সাথে আর কোন
প্রকারের সন্ধি থাকবে না এবং৩ তাদেরকে আশ্রয় দেয়ার দায়িতৃও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর থাকবে না ৷
তা সত্বেও তারা একটি বড় চামড়ার থলে গোপন করল যার মধ্যে প্রচুর সম্পদ ও গহনাদি রাখা
হয়েছিল এবং তা বনুনাযীরকে বিতাড়িত করার সময় হুয়াই ইবন আখতা বের তত্ত্বাবধানে ছিল যা
সে তা খায়বারে নিয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুয়াইর নিয়ে যাওয়া খলে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল
যে, বনুনাযীর হতে প্রাপ্ত সম্পদ ভরা চামড়ার থলেটি সে কি করেছিল ? সে বলেছিল যে, দৈনন্দিন
খরচ ও যুদ্ধের ব্যয়ে তা নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, এত অল্প সময়ে
এত অধিক সম্পদ নিংশেষ হতে পারে না ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে যুবাযর (রা ) এর হাওলা
করলেন তিনি তাকে শাস্তি দিলেন ৷ এর পুর্বে হুয়াইকে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানে আনাগোনা করতে
দেখা গেল এবং একজন লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে হাযির হয়ে বলল, আমি হুয়াইকে
এখানে আনাগােনা করতে দেখেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আদেশক্রমে সাহাবায়ে কিরাম তথায়
গেলেন এবং ঘোজ করা র পর সেখা নে অর্থ সম্পদ ভরা চামড়ার থলেটি পেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এ বিশ্বাসঘা৩ কতার জন্যে আবুল হুকাইকের দুই পুত্রকে হত্যা করার হুকুম দিলেন ৷ তাদের মধ্যে
একজন ছিলেন সাফিয়্যা বিনৃত হুয়াই ইবন আখ৩াবের পুর্বামী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের
পরিবার পরিজনকে বন্দী করে ফেলেন এবং ওয়াদা তংগের জন্যে তাদের সম্পদ সাহাবায়ে
কিরামের মধ্যে বণ্টন করার আদেশ দিলেন ৷ ফলে তিনি খায়রার হতে৩াদেরকে বিতাড়িত
করতে মনস্থ করলেন তখন তারা বলল, হে মুহাম্মাদ ! আমাদেরকে এ যমীনে থাকতে দিন ৷
আমরা এ যমীনের উন্নতি সাধন করব এবং৩ তা উত্তমরুপে আবাদ করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও
সাহাবায়ে কিরামের কাছে কোন খাদ্যশস্য ছিলা না যার মাধ্যমে৩ তারা নিজেদের ভরংা পোষণ নির্বাহ


كَنْزِهِمْ، ثُمَّ سَأَلَهُ عَمَّا بَقِيَ، فَأَبَى أَنْ يُؤَدِّيَهُ، فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ فَقَالَ: " عَذِّبْهُ حَتَّى تَسْتَأْصِلَ مَا عِنْدَهُ " وَكَانَ الزُّبَيْرُ يَقْدَحُ بِزَنْدٍ فِي صَدْرِهِ حَتَّى أَشْرَفَ عَلَى نَفْسِهِ، ثُمَّ دَفَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ، فَضَرَبَ عُنُقَهُ بِأَخِيهِ مَحْمُودِ بْنِ مَسْلَمَةَ. [حِصَارُ رَسُولِ اللَّهِ أَهْلَ خَيْبَرَ] 1 - فَصْلٌ 1 قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَاصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ خَيْبَرَ فِي حِصْنَيْهِمُ الْوَطِيحِ وَالسُّلَالِمِ، حَتَّى إِذَا أَيْقَنُوا بِالْهَلَكَةِ، سَأَلُوهُ أَنَّ يُسَيِّرَهُمْ وَأَنْ يَحْقِنَ دِمَاءَهُمْ، فَفَعَلَ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ حَازَ الْأَمْوَالَ كُلَّهَا؛ الشِّقَّ، وَالنَّطَاةَ، وَالْكَتِيبَةَ، وَجَمِيعَ حُصُونِهِمْ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ ذَيْنِكَ الْحِصْنَيْنِ، فَلَمَّا سَمِعَ بِهِمْ أَهْلُ فَدَكَ قَدْ صَنَعُوا مَا صَنَعُوا، بَعَثُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَهُ أَنْ يُسَيِّرَهُمْ وَيَحْقِنَ دِمَاءَهُمْ، وَيُخَلُّوا لَهُ الْأَمْوَالَ، فَفَعَلَ، وَكَانَ مِمَّنْ مَشَى بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَهُمْ فِي ذَلِكَ مُحَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودٍ، أَخُو بَنِي حَارِثَةَ، فَلَمَّا نَزَلَ أَهْلُ خَيْبَرَ عَلَى ذَلِكَ، سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعَامِلَهُمْ فِي الْأَمْوَالِ عَلَى النِّصْفِ، وَقَالُوا: نَحْنُ أَعْلَمُ بِهَا مِنْكُمْ، وَأَعْمَرُ لَهَا. فَصَالَحَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى النِّصْفِ، عَلَى أَنَّا إِذَا شِئْنَا أَنْ نُخْرِجَكُمْ أَخْرَجْنَاكُمْ. وَعَامَلَ أَهْلَ فَدَكَ بِمِثْلِ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৩১৫৭

করবেন ৷ আর যমিন আবাদ করার মত পর্যাপ্ত সময়ও সাহাবায়ে কিরামের ছিল না ৷ তাই রাসুলুল্লাহ্
(সা) ইয়াহুদীদেরকে থায়বার এ শর্তে দান করলেন যে, তারা খেজুর ও প্রতিটি ফসলের অর্ধেক
ঘুসলমানদেরকে দিতে থাকবে ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) প্ৰতি বছর তাদের কাছে আসতেন
এবং অর্ধেক বর্গা ফসল তাদের থেকে আদায় করতেন ৷ একবার তারা আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা
(রা) এর বিরুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট নড়ালিশ করল ৷ অন্যদিকে তাকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা
করল ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ (রা) বললেন, হে আল্লাহর দৃশমনরা তোমরা আমাকে ঘুষ
দিতে চাও ? আল্লাহর শপথ, আমি তোমাদের কাছে এমন ব্যক্তির নিকট হতে এসেছি যিনি আমার
কাছে সৰ্বাধিক প্রিয় ৷ আর তোমরা আমার কাছে বানর ও শুকর থেকে অধিকতর নিকৃষ্ট ৷ এ
উৎকৃষ্টতা ও নিকৃষ্টতা কিন্তু তোমাদের উপর যুলুম করার জন্যে আমাকে কখনও প্ৰরোচিত করতে
পারে না ৷ তারা বলল, এ নীতির উপরই এ আসমান ও যমীন দণ্ডায়মান ও পরিচালিত ৷ রাবী
বলেন , এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফিয়্যা (রা)-এর চোখ নীল দেখতে গেলেন এবং প্রশ্ন করলেন,
হে সাফিয়্যা, তোমার চোখ নীল কেন ? তখন তিনি বললেন, ইবন আবুল হুকাইকের কোলে ছিল
আমার মাথা ৷ আর আমি ছিলাম নিদ্রাবত ৷ তখন আমি স্বপ্নে দেখলাম, চাদ যেন আমার কোলে
নেমে এল ৷ আমি তার কাছে এ স্বপ্নঢি বর্ণনা করলাম ৷ সে তখন এমন জোরে চপেটাঘাত করল
এবং বলল, তুমি কি ইয়াছরিব অধিপতির আকাভক্ষা করছ ? সাফিয়্যা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ছিলেন আমার অত্যন্ত অপসন্দের লোক ৷ কেননা, তিনি আমার স্বামী ও পিতার হত্যার কারণ
ছিলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সব সময় এ সম্বন্ধে আমার কাছে আলোচনা করতেন এবং
বলতেন, তোমার পিতা আমার বিরুদ্ধে সকল আরববাসীকে সংঘবদ্ধ করেছে এবং আমার সমুহ
ক্ষতি সাধন করেছে ৷ এরুপ বলতে বলতে কিছুদিন পর এ ক্ষোভ আমার অন্তর হতে চলে যায় ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার প্রত্যেক ন্তীকে প্ৰতি বছর ৮০ ওয়াসাক ১ খেজুর এবং ২০
ওয়াসাক যব বরাদ্ধ করতেন; কিন্তু যখন হযরত উমর (রা) এর যুগ আসল তখন ইয়াহুদীরা
মুসলমানদের সাথে ধোকাবড়াজি ও প্রতারণা শুরু করল ৷ তারা ইবন উমর (রা)-কে ঘরের ছাদ
থেকে ফেলে দিল, ফলে তার দু হাত ভেঙ্গে যায় ৷ তখন উমর (রা) বলেন, খায়বারের যমীনে
যাদের অংশ আছে আসুন তাদের মধ্যে আমি তা বণ্টন করে ৫স্টু ৷ তখন তিনি তা বণ্টন করে
দিলেন ৷ ইয়াহুদীদের সর্দার বলল, আমাদেরকে বিতাড়িত করবেন না, আমাদেরকে থাকতে
দিন ৷ যেভাবে রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও হযরত আবু বকর (বা) আমাদেরকে এখানে থাকতে
দিয়েছিলেন ৷ হযরত উমর (রা) বললেন, “তোমরা কি আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর কথা লংঘন
করতে দেখছ ? তােমরাই বরং দিন দিন সন্ধির শর্তসমুহ লংঘন করে যাচ্ছ ৷

হযরত উমর (রা) ইয়াহ্রদীদেরকে তাদের ষড়যত্রের দরুন বিতাড়িত করলেন এবং তাদের
জমিজমা হুদায়বিয়ার সন্ধিতে উপস্থিত মুজাহিদদের মধ্যে যারা খায়বারেও উপস্থিত ছিলেন তাদের
মধ্যে বণ্টন করলেন ৷

আবু দাউদ (র) উপরোক্ত রিওয়ায়েতটি হাম্মাদ ইবন সালামা থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা
করেন



১ এক ওয়াসাক ৬০ সা’ বা প্রায় দৃইশ কেজি ৷


[فَتْحُ حُصُونِ خَيْبَرَ] فَصْلٌ فِي فَتْحِ حُصُونِهَا وَقَسْمِ أَرْضِهَا قَالَ الْوَاقِدِيُّ: لَمَّا تَحَوَّلَتِ الْيَهُودُ مِنْ حِصْنِ نَاعِمٍ وَحِصْنِ الصَّعْبِ بْنِ مُعَاذٍ إِلَى قَلْعَةِ الزُّبَيْرِ، حَاصَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ يُقَالُ لَهُ: غَزَّالٌ. فَقَالَ: يَا أَبَا الْقَاسِمِ، تُؤَمِّنُنِي عَلَى أَنْ أَدُلَّكَ عَلَى مَا تَسْتَرِيحُ بِهِ مِنْ أَهْلِ النَّطَاةِ، وَتَخْرُجُ إِلَى أَهْلِ الشِّقِّ، فَإِنَّ أَهْلَ الشِّقِّ قَدْ هَلَكُوا رُعْبًا مِنْكَ؟ قَالَ: فَأَمَّنَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَهْلِهِ وَمَالِهِ، فَقَالَ لَهُ الْيَهُودِيُّ: إِنَّكَ لَوْ أَقَمْتَ شَهْرًا تُحَاصِرُهُمْ مَا بَالَوْا بِكَ، إِنَّ لَهُمْ تَحْتَ الْأَرْضِ دُبُولًا يَخْرُجُونَ بِاللَّيْلِ فَيَشْرَبُونَ مِنْهَا، ثُمَّ يَرْجِعُونَ إِلَى قَلْعَتِهِمْ. فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَطْعِ دُبُولِهِمْ، فَخَرَجُوا فَقَاتَلُوا أَشَدَّ الْقِتَالِ، وَقُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ نَفَرٌ، وَأُصِيبَ مِنَ الْيَهُودِ عَشَرَةٌ، وَافْتَتَحَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ آخِرَ حُصُونِ النَّطَاةِ، وَتَحَوَّلَ إِلَى الشِّقِّ، وَكَانَ بِهِ حُصُونٌ ذَوَاتُ عَدَدٍ، فَكَانَ أَوَّلَ حِصْنٍ بَدَأَ بِهِ مِنْهَا حِصْنُ أُبَيٍّ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَلْعَةٍ يُقَالُ لَهَا: سُمْوَانُ.
পৃষ্ঠা - ৩১৫৮
فَقَاتَلَ عَلَيْهَا أَهْلُ الْحِصْنِ أَشَدَّ الْقِتَالِ، فَخَرَجَ مِنْهُمْ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: عَزُولٌ، فَدَعَا إِلَى الْبَرَازِ، فَبَرَزَ إِلَيْهِ الْحُبَابُ بْنُ الْمُنْذِرِ، فَقَطَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى مِنْ نِصْفِ ذِرَاعِهِ، وَوَقَعَ السَّيْفُ مِنْ يَدِهِ، وَفَرَّ الْيَهُودِيُّ رَاجِعًا، فَاتَّبَعَهُ الْحُبَابُ فَقَطَعَ عُرْقُوبَهُ، وَبَرَزَ مِنْهُمْ آخَرُ، فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَقَتَلَهُ الْيَهُودِيُّ فَنَهَضَ إِلَيْهِ أَبُو دُجَانَةَ فَقَتَلَهُ وَأَخَذَ سَلَبَهُ، وَأَحْجَمُوا عَنِ الْبَرَازِ، فَكَبَّرَ الْمُسْلِمُونَ، ثُمَّ تَحَامَلُوا عَلَى الْحِصْنِ فَدَخَلُوهُ، وَأَمَامَهُمْ أَبُو دُجَانَةَ، فَوَجَدُوا فِيهِ أَثَاثًا وَمَتَاعًا وَغَنَمًا وَطَعَامًا، وَهَرَبَ مَنْ كَانَ فِيهِ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ، وَتَقَحَّمُوا الْجُدُرَ كَأَنَّهُمُ الظِّبَاءُ، حَتَّى صَارُوا إِلَى حِصْنِ النَّزَارِ بِالشِّقِّ، وَتَمَنَّعُوا أَشَدَّ الِامْتِنَاعِ، فَزَحَفَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ، فَتَرَامَوْا، وَرَمَى مَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ، حَتَّى أَصَابَ نَبْلُهُمْ ثِيَابَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. فَأَخَذَ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَفًّا مِنَ الْحَصَا فَرَمَى حِصْنَهُمْ بِهَا، فَرَجَفَ بِهِمْ حَتَّى سَاخَ فِي الْأَرْضِ، وَأَخَذَهُمُ الْمُسْلِمُونَ أَخْذًا بِالْيَدِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: ثُمَّ تَحَوَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ الْكَتِيبَةِ وَالْوَطِيحِ
পৃষ্ঠা - ৩১৫৯

আবুদাউদ (র) ইবন উমর (রা)-এর বর্ণনায় বলেন, যখন খায়বার বিজিত হল তখন
ইয়াহ্রদীরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে আবেদন করায় তিনিও তাদেরকে উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক
দেওয়ার শর্তে তাদেরকে সেখানে থাকতে দেন এবং বলেন, আমাদের যতদিন ইচ্ছে ততদিন
ভোমাদেরকে থাকতে দেব ৷ আর ইয়াহুদীরা এ শ ৷তে র উপর সেখানে অবস্থান করছিল ৷
খায়বারের প্রাপ্ত অর্ধেক খেজুরকে হুয়ুর (সা) দুই অং শে বণ্টন করতেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
থেকে এক পঞ্চমাৎশ গ্রহণ করতেন ৷ আর এ পঞ্চমাংশ থেকে কতার প্রতোক সহধর্মিণীকে
একশত ওয়াসাক খেজুর এবং ২০ ওয়াসাক যব বরাদ্দ করতেন ৷ হ্াখন উমর (রা) ইয়াহুদীদেরকে
তাদের ষড়যস্তের দরুন বিতাড়িত করতে মনন্থ করেন ৷ তখন তনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সহধর্মিণীপণকে বললেন, আপনাদের মধ্যে যারা চান যে, তাদেরকে মা থা৷ পিছু একশত ওয়াসাক
খেজুর বরাদ্দ করব তাকে তাই দেওয়া হবে ৷৩ তার জন্যে খেজুর গাছ য়মীন ও খেজুর গাছে পানি
দেওয়া ইত্যাদির জিম্ম৷ বতাবে ৷ আর তাকে উৎপন্ন শস্য হচত্ং: বশ ওয়াসাক যব দেওয়া হবে ৷
তাহলে তাকে তাই দেওয়া হবে ৷ আর যিনি চান যে, এক-পঞ্চমাৎপ হতে তার অংশ পৃথক করে
দেওয়া হবে ৷ তাহলে তাকে তাই দেওয়া হবে ৷

আবু দাউদ (র) মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর বর্ণনায় বলেন,
উমর (রা) বলেন, হে জনমণ্ডলী, আপনারা জেনে রাখুন, রাসুলুল্লাহ (সা) খায়বারের ইয়াহ্রদীদের
সাথে সন্ধি করেছিলেন এ শর্তে যে, যখন ইচ্ছে তখন তাদেরকে বিতাড়িত করা হবে ৷
ইয়াহ্রদীদের কাছে যার কোন সম্পদ পাওন৷ আছে সে যেন তাদের থেকে আদায় করে নেয় ৷
কেননা, আমি ইয়াহ্রদীদেরকে বিতাড়িত করব ৷ এরপর তিনি৩ তাদেরকে বিতাড়িত করলেন ৷

ইমাম বৃখারী (র) ইয়াহইয়৷ ইবন বুকায়র জুবায়র ইবন মু৩ তয়িম (রা) এর বর্ণনায়
বলেন যে, তিনি বলেছেন, আমি এবং উছমড়ান ইবন আফ্ফা ন (রা) একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
দরবারে হাযির হয়ে বললাম , আপনি বনু মুত্তালিবকে খায়বারের এক-পঞ্চমাংশ হতে দান করেছেন
কিন্তু আমাদেরকে দিলেন না অথচ তারাও আমরা আপনার সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একই
পর্যায়ের ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, নিঃসন্দেহে বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব অভিন্ন ৷ জুবায়র ইবন
মুর্তৃইম (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু আবদে শামস ও বনু নওফলের জন্য কোন কিছু বরাদ্দ
করেননি ৷ উপরোক্ত বর্ণনাটি বুখারীর একক বর্ণনা ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেন, “নিঃসন্দেহে বনু হাশিম ও বনু আবদে মুত্তালিব একই পর্যায়ের ৷” তারা আমাদের থেকে
জাহিলিয়্যাত ৎব৷ ইসলাম কো ন যুগেই বিচ্ছিন্ন হয় নাই ৷ শা ৷ফিঈ (র) বলেন, “বনু হ গ্রিা৷ম ও বনু
মুত্তালিবের সাথে আবু৩ তালিবের গিরিসৎকটে প্রবেশ করেছিল এবং তাদের জ হিলিয্যা
ইসলাম উভয় যুগে সাহায্য সহায়তা করেছিল ৷

ইবন কাহীর (র) বলেন, আবুতা ৩ালিব বনুআবদে শামস ও নওফলের কুৎস৷ পেয়েছেন ৷ তিনি
বলেছেন :

এে১১

অর্থাৎ আমাদের বিরোধিতা করার আল্লাহ যেন বনুআবদে শামস ও বনু নওফলকে বিলন্বে নয়
অতি শীঘ্র৷ ত ৷দের দুস্কর্মের জন্য শাস্তি প্রদান করেন ৷

৪ ৬ ——

وَالسُّلَالِمِ؛ حِصْنَيْ بَنِي أَبِي الْحُقَيْقِ، وَتَحَصَّنُوا أَشَدَّ التَّحَصُّنِ، وَجَاءَ إِلَيْهِمْ كُلُّ فَلٍّ كَانَ قَدِ انْهَزَمَ مِنَ النَّطَاةِ وَالشِّقِّ، فَتَحَصَّنُوا مَعَهُمْ فِي الْقَمُوصِ - وَهُوَ فِي الْكَتِيبَةِ، وَكَانَ حِصْنًا مَنِيعًا - وَفِي الْوَطِيحِ وَالسُّلَالِمِ، وَجَعَلُوا لَا يَطْلُعُونَ مِنْ حُصُونِهِمْ، حَتَّى هَمَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَنْصِبَ الْمَنْجَنِيقَ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا أَيْقَنُوا بِالْهَلَكَةِ - وَقَدْ حَصَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَةَ عَشَرَ يَوْمًا - نَزَلَ إِلَيْهِ ابْنُ أَبِي الْحُقَيْقِ، فَصَالَحَهُ عَلَى حَقْنِ دِمَائِهِمْ وَيُسَيِّرُهُمْ وَيُخَلُّونَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ مَا كَانَ لَهُمْ مِنَ الْأَرْضِ، وَالْأَمْوَالِ، وَالصَّفْرَاءِ وَالْبَيْضَاءِ، وَالْكُرَاعِ وَالْحَلْقَةِ، وَعَلَى الْبَزِّ، إِلَّا مَا كَانَ عَلَى ظَهْرِ الْإِنْسَانِ، يَعْنِي لِبَاسَهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «وَبَرِئَتْ مِنْكُمْ ذِمَّةُ اللَّهِ وَذِمَّةُ رَسُولِهِ إِنْ كَتَمْتُمْ شَيْئًا» ". فَصَالَحُوهُ عَلَى ذَلِكَ. قُلْتُ: وَلِهَذَا لَمَّا كَتَمُوا وَكَذَبُوا وَأَخْفَوْا ذَلِكَ الْمَسْكَ الَّذِي كَانَ فِيهِ أَمْوَالٌ جَزِيلَةٌ، تَبَيَّنَ أَنَّهُ لَا عَهْدَ لَهُمْ، فَقُتِلَ ابْنُ أَبِي الْحُقَيْقِ وَطَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِهِ، بِسَبَبِ نَقْضِ الْعُهُودِ مِنْهُمْ وَالْمَوَاثِيقِ.
পৃষ্ঠা - ৩১৬০
وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُقْرِئُ الْإِسْفَرَايِينِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ - فِيمَا يَحْسَبُ أَبُو سَلَمَةَ - عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاتَلَ أَهْلَ خَيْبَرَ حَتَّى أَلْجَأَهُمْ إِلَى قَصْرِهِمْ، فَغَلَبَ عَلَى الْأَرْضِ وَالزَّرْعِ وَالنَّخْلِ، فَصَالَحُوهُ عَلَى أَنْ يُجْلَوْا مِنْهَا، وَلَهُمْ مَا حَمَلَتْ رِكَابُهُمْ، وَلِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّفْرَاءُ وَالْبَيْضَاءُ، وَيَخْرُجُونَ مِنْهَا، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِمْ أَنْ لَا يَكْتُمُوا وَلَا يُغَيِّبُوا شَيْئًا، فَإِنْ فَعَلُوا فَلَا ذِمَّةَ لَهُمْ وَلَا عَهْدَ، فَغَيَّبُوا مَسْكًا فِيهِ مَالٌ وَحُلِيٌّ لِحُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ، وَكَانَ احْتَمَلَهُ مَعَهُ إِلَى خَيْبَرَ حِينَ أُجْلِيَتِ النَّضِيرُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمِّ حُيَيٍّ: " «مَا فَعَلَ مَسْكُ حُيَيٍّ الَّذِي جَاءَ بِهِ مِنَ النَّضِيرِ؟» " فَقَالَ: أَذْهَبَتْهُ النَّفَقَاتُ وَالْحُرُوبُ. فَقَالَ: " «الْعَهْدُ قَرِيبٌ وَالْمَالُ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ» ". فَدَفَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الزُّبَيْرِ، فَمَسَّهُ بِعَذَابٍ، وَقَدْ كَانَ حُيَيٌّ قَبْلَ ذَلِكَ دَخَلَ خَرِبَةٍ، فَقَالَ: قَدْ رَأَيْتُ حُيَيًّا يَطُوفُ فِي خَرِبَةٍ هَاهُنَا. فَذَهَبُوا فَطَافُوا فَوَجَدُوا الْمَسْكَ فِي الْخَرِبَةِ، فَقَتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنَيْ أَبِي الْحُقَيْقِ - وَأَحَدُهُمَا زَوْجُ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ - وَسَبَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءَهُمْ وَذَرَارِيَّهُمْ، وَقَسَمَ أَمْوَالَهُمْ بِالنَّكْثِ الَّذِي نَكَثُوا، وَأَرَادَ إِجْلَاءَهُمْ مِنْهَا، فَقَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، دَعْنَا
পৃষ্ঠা - ৩১৬১

বুখারী (র) হাসান ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা)-এর বর্ণনায় বলেন,
খায়বারের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতিটি ঘোড়ার জন্যে দুই অংশ এবং প্রত্যেক পদাতিক সৈনিকের
জন্য এক অ ×শ বরাদ্দ করেন ৷ উপরোক্ত হ দীছেব ব্যাথ্যায় নাফি (র) বলেন, কোন লোকের
সাথে যদি একটি ঘোড়া থাকেত তাহলে তার হবে৩ তিন অংশ ৷ আর যার সাথে ঘোড়া থাকবে না
তার হবে এক অংশ ৷

বুথারী (র) স ঈদ ইবন আবু মুত ত্ইম উমার ইবন খাত্তা ৷শ্ন (রা) এর সনদে বর্ণনা
করেন,৩ তিনি বলেন, “আমার প্রাণ যার হাতে রয়েছে তার শপথ করে বলছি, যদি আমার আশ×ক কা
না হত যে, মানুষকে আমি কপর্দকশুন্য পার, তাদের হাতে প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাব হবে
তাহলে আমার দ্বারা কোন একটি জনপদ বিজিত হবার সাথে সাথে আমি তা এমনভাবে
মুজাহিদগণের মধ্যে বণ্টন করে দিতাম যেরুপ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারের সম্পদ বণ্টন করে
দিয়েছিলেন ৷ তবে আমি তাদের জন্য গচ্ছিত রাখছি যাতে তা রন্ ভবিষ্যতে নিজেদের মধ্যে
প্রয়োজনে বণ্টন করে নিতে পারে ৷ বুখারী মালিক ও আবু দাউদ উমর (রা)-এর অন্য
একটি সুত্রেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ উপরোক্ত দুটি বর্ণনায় বুঝা যায় যে, খায়বারের সম্পদ
পুরাপুরি যোদ্ধাগণের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয়েছিল ৷

আবুদাউদ (র) ইবনে শিহাব (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, “আমার
কাছে এমর্মে হাদীছ পৌছেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধ করে খায়বার জয় করেন এবং যুদ্ধের পর
যাকে যেখানে থাকতে দেবার প্রয়োজন আছে মনে করেছেন, তাকে সেখানে থাকতে দিয়েছেন ৷
এই রিওয়ায়াতের প্রেক্ষিতে যুহরী (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারের সম্পদ হতে প্রথমত
এক-পঞ্চমাংশ পৃথক করেন ৷ এরপর অবশিষ্ট সম্পদ ঐ যুদ্ধে অংশ প্রহণকারীদের মধ্যে বন্টন
করে দেন ৷

ইবনে কাহীর (র) বলেন, যুহরী (র) এর উপরোক্ত মতামত টি সন্দেহাভীত নয় ৷ কেননা,
বিশুদ্ধ মতে , খায়বারের সমস্ত সম্পদ বণ্টন করা হয়নি; বর× তার অর্ধেক সম্পদ অংশ
প্রাহণক ৷রীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছিল যা পরে আসছে ৷ আর খায়বারের ঘটনা থেকে ইমাম
মালিক (র) ওত ৷র অনুসারিগণ প্রমাণ করেছেন যে বিজিত সম্পদের বণ্টন সম্পর্কে ইমাম পুর্ণ
ক্ষমতা রাখেন, যদি তিনি৷ চা ন তাহলে তাৎক্ষণিকভ৷ ৷বে বণ্টন করে দিতে পারেন, নতু বা ভবিষ্যতে
মুসলমানদের জনহিতকর ক জসমুহে খরচ করার জন্যে স×রক্ষণ করতেও পারেন ৷ আর যদি
তিনি চান তাহলে কিছু অং ×শ বর্তমানে বণ্টন করতে পারেন এবং অবশিষ্ট ভবিষ্যতের দুর্যোগ
মুক৷ ৷বিলা ও জনহি৩ তকর কাজের জন্যে রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ৷
আবুদাউদ (র) রবী ইবন সুলায়মান সহল ইবন আবুহাসমা (রা)-এর সনদে বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বারে প্রাপ্ত সম্পদকে প্রথমত দু’ভাগে ভাগ করেছেন এক ভাগ ভবিষ্যতের
দুর্যোগ মুকাবিলা ও জনহিতকর কর্মকাণ্ড আঞ্জাম দেয়ার জন্যে সংরক্ষণ করেন এবং অন্য ভাগ
মুসলমানদের মধ্যে বিতরণ করেন ও তাদের মধ্যে আঠার অংশে ভাগ করেন ৷ এ বর্ণনাটি আবু
দাউদ (র)-এর একক বর্ণনা ৷ এরপর তিনি মুরসাল হিস্যেব বাশীর ইবন ইয়াসার (বা) হতে বর্ণনা
করেন ৷ যে এক ভাগ দুর্যোগ মুকাবিলার জন্যে সংরক্ষণ করেছেন তা হচ্ছে আল-ওয়াতী,


نَكُونُ فِي هَذِهِ الْأَرْضِ نُصْلِحُهَا وَنَقُومُ عَلَيْهَا، وَلَمْ يَكُنْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا لِأَصْحَابِهِ غِلْمَانٌ يَقُومُونَ عَلَيْهَا، وَكَانُوا لَا يَفْرُغُونَ أَنْ يَقُومُوا عَلَيْهَا، فَأَعْطَاهُمْ خَيْبَرَ عَلَى أَنَّ لَهُمُ الشَّطْرَ مِنْ كُلِّ زَرْعٍ وَنَخِيلٍ وَشَيْءٍ مَا بَدَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ يَأْتِيهِمْ كُلَّ عَامٍ فَيَخْرُصُهَا عَلَيْهِمْ، ثُمَّ يُضَمِّنُهُمُ الشَّطْرَ، فَشَكَوْا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شِدَّةَ خَرْصِهِ، وَأَرَادُوا أَنْ يَرْشُوهُ، فَقَالَ: يَا أَعْدَاءَ اللَّهِ، تُطْعِمُونِي السُّحْتَ، وَاللَّهِ لَقَدْ جِئْتُكُمْ مِنْ عِنْدِ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ، وَلَأَنْتُمْ أَبْغَضُ إِلَيَّ مِنْ عِدَّتِكُمْ مِنَ الْقِرَدَةِ وَالْخَنَازِيرِ، وَلَا يَحْمِلُنِي بُغْضِي إِيَّاكُمْ وَحُبِّي إِيَّاهُ عَلَى أَنْ لَا أَعْدِلَ عَلَيْكُمْ. فَقَالُوا: بِهَذَا قَامَتِ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ. قَالَ: فَرَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَيْنِ صَفِيَّةَ خُضْرَةً، فَقَالَ: " يَا صَفِيَّةُ، مَا هَذِهِ الْخُضْرَةُ؟ " فَقَالَتْ: كَانَ رَأْسِي فِي حِجْرِ ابْنِ أَبِي الْحُقَيْقِ وَأَنَا نَائِمَةٌ، فَرَأَيْتُ كَأَنَّ قَمَرًا وَقَعَ فِي حِجْرِي، فَأَخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ فَلَطَمَنِي، وَقَالَ: تَتَمَنَّيْنَ مَلِكَ يَثْرِبَ؟! قَالَتْ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَبْغَضِ النَّاسِ إِلَيَّ؛ قَتَلَ زَوْجِي وَأَبِي، فَمَا زَالَ يَعْتَذِرُ إِلَيَّ وَيَقُولُ: " «إِنَّ أَبَاكِ أَلَّبَ عَلَيَّ الْعَرَبَ» " وَفَعَلَ وَفَعَلَ، حَتَّى ذَهَبَ ذَلِكَ مِنْ نَفْسِي، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِي كُلَّ امْرَأَةٍ مِنْ نِسَائِهِ ثَمَانِينَ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ كُلَّ عَامٍ، وَعِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ شَعِيرٍ، فَلَمَّا كَانَ فِي زَمَانِ عُمَرَ غَشُّوا الْمُسْلِمِينَ، وَأَلْقَوْا ابْنَ عُمَرَ مِنْ فَوْقِ بَيْتٍ فَفَدَعُوا يَدَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৩১৬২

আল-কাতীব৷ ও আস-সুলালিম দুর্গত্রয় ও এগুলোর সংলগ্ন এলাকা ৷ আর যে এক ভাগ
মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করেন তা হচ্ছে আশ-শাব ও আননাতাত দুষ্দ্বিয় ও এগুলোর সংলগ্ন
এলাকা ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর অংশও এ দৃর্ণদ্বয়ের সংলগ্ন এলাকায় অব ত ছিল ৷

আবুদাউদ (র) হুসায়ন ইবন আলী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কতিপয় সাহাবীর বরাতে
বলেন, “নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন খায়বার জয় করলেন তখন প্রাপ্ত সম্পদকে ৩৬ অংশে
বণ্টন করেন ৷ আবার প্রতি অংশকে একশত ভাগে বণ্টন ত্রুত্বাহ্বরন ৷ সমস্ত সম্পদের অর্ধেক
মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করেন ৷ অবশিষ্ট অর্ধেক ভবিষ্যতের দুর্যোগ, জনহিতকর কর্মকাণ্ড ও
বহিরাগত মেহমানদের আপ্যায়নের জন্যে স০ রক্ষা করেন ৷ উপরোক্ত রিওয়ায়ড়া৩ টিও আবু দ ৷উদ
(র)-এর একক বর্ণনা ৷

আবু দ ৷উদ (র) পুনরায় মুহাম্মাদ ইবন ঈস৷ মুজ ৷ম্মা ইবন হ বিছ ৩া৷-ল আনস৷ রী (যিনি
একজন প্রসিদ্ধ কারীও ছিলেন) এর বর্ণনায় বলেন, খায়বারের সম্পদ হুদায়বিয়ায় অংশ গ্রহণকারী
মুজ৷ ৷হিদদের মধ্যে বণ্টন করা হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স ) তা আঠার অংশে বণ্টন করেন ৷ আর সৈন্য
ৎখ্যা ছিল ১ ৫০ : তার মধ্যে ৩০০ জন ছিল ঘোড় সাওয়াব ৷ প্রতি অশ্বারোহীকে দু অংশ এবং
পদ৷ ৷তিককে এক অংশ প্রদান করা হয় ৷ এ বর্ণনাটিও আবু দ ৷উদ (র)-এর একক বর্ণনা ৷

ইমাম মালিক (র) যুহরী সাঈদ ইবন মৃসাব্যিব (র)-এর সনদে বলেন, “রাসুলুল্লাহ্

(সা ) খঃায়বারের কিছু অংশ যুদ্ধের মাধ্যমে জয় করেন ৷” আবু দ উদ (র) ইবন শিহড়াব যুহরী

(র) এর বরাতে বলেন, “খায়বারের কিছু অংশ যুদ্ধের মাধ্যমে জয় করা হয় আবার কিছু অংশ

সন্ধির মাধ্যমে হস্তগত হয় ৷ কাতীব৷ দৃর্গটির অধিক৷ ৷ৎশ এলাকা যুদ্ধের মাধ্যমে এবং কিছু অংশ

সন্ধির মাধ্যমে হস্তগত হয় ৷ ইমাম মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হয় কাতীব৷ কি : তখন তিনি
বলেন, তা হচ্ছে খায়বারের একটি ভুখণ্ড যেখানে রয়েছে চল্লিশ হাজার খেজুর গাছ ৷

বুখারী (র) মুহাম্মাদ ইবন বাশৃশার আইশা সিদ্দীকা (রা)-এর সনদে বলেন, তিনি
বলেছেন, যখন খায়বার জয় হয় তখন আমরা বললাম, এখন আমরা তৃপ্তি সহকারে খেজুর খেতে
পারব ৷

হাসান (র ) হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা ) সুত্রে বলেন , তিনি বলেছেন, “আমরা
থেজুরে আত্মতৃপ্ত হতে পারি না ৷ই যতক্ষণ না আমরা খায়বার জয় করতে পেরেছি ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহ ক বলেন, আশ-শাক ও আন নাত ৷ত ৷দৃর্গ দুটি মুসলমানদের মধ্যে বপ্টিত
হয় ৷ আশ শাকে ছিল তেব অংশ আর আননাতাতে ছিল পাচ অংশ ৷ এ মে৷ ৷ট আঠ৷ ৷র অংশকে
অড়াঠার৷ :০৩ অংশে বণ্টন করা হয় ৷ যারা হুদায়বিয়ায় সন্ধিতে উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে বণ্টন
করে দেওয়া হয়েছে ৷ তারা খায়বারে উপস্থিত থাকুন বা না থাকুন ৷ যেমন জা ৷বির ইবন আবদুল্লাহ
(বা) তিনি হুদায়বিয়ায় উপস্থিত ছিলেন; কিন্তু খায়বারে অনুপ ত ছিলেন ৷ তাকে অংশ দেয়া
হয়েছে তবে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) ব্যতীত অন্য কেউ খায়বারে অনুপস্থিত ছিলেন না বলে
জানা যায় ৷ হুদায়বিয়ায় উপস্থিত সৈনিকের সংখ্যা ছিল ১৪০০ তাদের সাথে ২০০ ঘোড়া, প্রত্যেক
ঘোড়াকে দেওয়া হয়েছিল দু অ০ শ ৷ প্রতি একশ ৷ত সৈনিককে আঠার ভাগের এক ভাগ দেওয়া
হয়েছিল ৷ ২০ : জন অশ্বারোহীকে তাদের ঘোড়ার জন্যে ৪০০ অংশ অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছিল ৷


فَقَالَ عُمَرُ: مَنْ كَانَ لَهُ سَهْمٌ بِخَيْبَرَ فَلْيَحْضُرْ حَتَّى نَقْسِمَهَا. فَقَسَمَهَا بَيْنَهُمْ. فَقَالَ رَئِيسُهُمْ: لَا تُخْرِجْنَا، دَعْنَا نَكُونُ فِيهَا كَمَا أَقَرَّنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ. فَقَالَ عُمَرُ لِرَئِيسِهِمْ: أَتُرَانِي سَقَطَ عَنِّي قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «كَيْفَ بِكَ إِذَا رَقَصَتْ بِكَ رَاحِلَتُكَ نَحْوَ الشَّامِ يَوْمًا ثُمَّ يَوْمًا ثُمَّ يَوْمًا؟» " وَقَسَمَهَا عُمَرُ بَيْنَ مَنْ كَانَ شَهِدَ خَيْبَرَ مِنْ أَهْلِ الْحُدَيْبِيَةِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مُخْتَصَرًا مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: عَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ فِي " كِتَابِهِ " فَقَالَ: وَرَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ قُلْتُ: وَلَمْ أَرَهُ فِي " الْأَطْرَافِ ". فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَحَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: «لَمَّا فُتِحَتْ خَيْبَرُ سَأَلَتْ يَهُودُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُقِرَّهُمْ، عَلَى أَنْ يَعْمَلُوا عَلَى النِّصْفِ مِمَّا
পৃষ্ঠা - ৩১৬৩
خَرَجَ مِنْهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أُقِرُّكُمْ فِيهَا عَلَى ذَلِكَ مَا شِئْنَا ".» فَكَانُوا عَلَى ذَلِكَ، وَكَانَ التَّمْرُ يُقْسَمُ عَلَى السُّهْمَانِ مِنْ نِصْفِ خَيْبَرَ، وَيَأْخُذُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخُمُسَ، وَكَانَ أَطْعَمَ كُلَّ امْرَأَةٍ مِنْ أَزْوَاجِهِ مِنَ الْخُمُسِ مِائَةَ وَسْقٍ مِنْ تَمْرٍ، وَعِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ شَعِيرٍ، فَلَمَّا أَرَادَ عُمَرُ إِخْرَاجَ الْيَهُودِ، أَرْسَلَ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُنَّ: مَنْ أَحَبَّ مِنْكُنَّ أَنْ أَقْسِمَ لَهَا نَخْلًا بِخَرْصِهَا مِائَةَ وَسْقٍ، فَيَكُونُ لَهَا أَصْلُهَا وَأَرْضُهَا وَمَاؤُهَا، وَمِنَ الزَّرْعِ مَزْرَعَةً عِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ شَعِيرٍ فَعَلْنَا، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ نَعْزِلَ الَّذِي لَهَا فِي الْخُمُسِ كَمَا هُوَ فَعَلْنَا. وَقَدْ رَوَى أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَلَ يَهُودَ خَيْبَرَ عَلَى أَنْ يُخْرِجَهُمْ إِذَا شَاءَ، فَمَنْ كَانَ لَهُ مَالٌ فَلْيَلْحَقْ بِهِ، فَإِنِّي مُخْرِجٌ يَهُودَ. فَأَخْرَجَهُمْ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ جُبَيْرَ بْنَ مُطْعِمٍ أَخْبَرَهُ قَالَ: «مَشَيْتُ أَنَا وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْنَا: أَعْطَيْتَ بَنِي الْمُطَّلِبِ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ وَتَرَكْتَنَا، وَنَحْنُ وَهُمْ بِمَنْزِلَةٍ وَاحِدَةٍ مِنْكَ. فَقَالَ: " إِنَّمَا بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ شَيْءٌ وَاحِدٌ ".» قَالَ جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ: وَلَمْ يَقْسِمِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبَنِي
পৃষ্ঠা - ৩১৬৪

অনুরুপতাবে বায়হাকী (র)ও সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ থেকে সালিহ্ ইবন কায়সানের বরাতে বর্ণনা
করেন যে, তারা ছিলেন ১৪০০ এবং তাদের সাথে ঘোড়া ছিল ২০০ ৷

গ্রন্থক৷ র বলেন, তাদের সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা)ও একটি ভাগ গ্রহণ করেছিলেন ৷ আশ-শাক
দুর্গের প্রথম ভাগটি দেওয়া হয়েছিল আসিম ইবন আদীকে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, “ক ভীবা দুর্গের সম্পদের মধ্যে এক পঞ্চমা-ৎশ ছিল আল্লাহর জন্যে,
এক অং শ ছিল আল্লাহর রাসুল (সা) এর জন্যে, এক এক অংশা নকট আত্মীয়, ইয়াভীম,
মিসকীন, মুস৷ ৷ফির, রাসুলের সহধর্বীগণের ভরণ পোষণ এবং ফাদাকরাসীদের সাথে সন্ধি স্থাপনে
য়ার ৷গুরুত্পুর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন ৷ তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মাহীসাহ ইবন মাসউদ
তা তবে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) ৩০ ওয়াসাক খেজুর এবং ত্রিশ ওয়াসাক (৬৩০০ কেজি) য়ব দিয়েছিলেন ৷
রাবী বলেন, তবে যে দুটি উপত্যকা দেওয়া হয়েছিল এগুলোর নাম হচ্ছে ওয়ার্দিস সারীর ও ওয়াদি
খাস ৷ এরপর ইবন ইসহাক ঐসব জমি জমার বিস্তারিত বর্ণনা দেন যা রাসুলুল্লাহ (সা) অন্যদের
জন্য বরাদ্দ করেছেন ৷ খায়বারের বণ্টন ও হিসাব রক্ষার দা ৷য়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন বনু স ৷লামার

জব্বার ইবন সখর ইবন উম ৷ইয়৷ ইবন খানস৷ এবং যায়দ ইবন ছাবিত (রা) ৷

গ্রন্থকার বলেন, “হযরত আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ খেজুরের ফসল ও ভাগ নির্ধারণের দায়িত্বে
নিযুক্ত ছিলেন ৷ তিনি দুই বছর এ মুল্যায়নের কাজে নিয়োজিত ছিলেন ৷ মুতার যুদ্ধে তিনি শাহাদত
বরণ করলে জাব্বার ইবন ছখর (রা) কে এই পদে নিযুক্ত করা হয় ৷

বুখারী (র) ইসমাঈল আবু সাঈদ খুদরী (রা) ও আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একবার এক ব্যক্তিকে খায়বারের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ তখন তিনি ওখান
থেকে উৎকৃষ্ট ধরনের খেজুর নিয়ে আসেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, খায়বারের সব খেজুর কি
এরুপ ? তিনি উত্তরে বলেন , না’ ৷ আল্লাহর কসম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমরা সাধারণ দুই সা এর
খেজুরের পরিবর্তে এক সা উৎকৃষ্ট খেজুর এনেছি ৷ কিৎর৷ খারাপ খেজুর এবং ৩ সা এর
পরিবর্তে ২ সা নিয়ে এসেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন , “এরুপ করােনা , সমস্ত খেজুর দিরহামের
পরিবর্তে বিক্রি করে ফেল, এরপর দিরহাম দিয়ে ভাল খেজুর খরিদ কর ৷

বুখারী (র) অন্য সনদে দাওয়ার্দী আবু সাঈদ খুদরী (রা) ও আবুহুরায়রা (রা) সুত্রে
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আনসারদের মধ্য হতে বনু আদীর এক ব্যক্তিকে খায়বারে পাঠান ও
তথাকার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ আবার তিনি অন্য এক সনদেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

গ্রন্থকার বলেন, “খায়বারে বণ্টনকৃত অন্যান্য মুসলমানের মত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অংশ্
এবং ফাদাকের সমস্ত অংশ হচ্ছে খায়বারের এক বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ ইয়াহ্রদীরা অত্যন্ত ভীত হয়ে
পড়ায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সন্ধি করে ৷ বনুনাযীরের প্রচুর সম্পদ যার জন্যে মুসলমানগণ
কো ন যুদ্ধ বিগ্রহ করেননি তাও ছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ সম্পদ, তার থেকে
তিনি৩ ৷র পরিবারের বা ৷র্ষিক ভরণ পোষণের জন্যে সম্পদ পৃথক করে রাখতেন ৷ এরপর অবশিষ্ট
সম্পদ আল্লাহর সম্পদ হিসেবে মুসলমানদের অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ ও জনহিতকর কাজে খরচ করা হত ৷
যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করেন, ফাতিমা (বা) এবং উন্মুল মু’মিনীনগণ কিত্বা সকলেই
ধারণা করতে লাগলেন, তারা এসব সম্পদ রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত হবেন


عَبْدِ شَمْسٍ وَبَنِي نَوْفَلٍ شَيْئًا. تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. وَفِي لَفْظٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «إِنَّ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ شَيْءٌ وَاحِدٌ، إِنَّهُمْ لَمْ يُفَارِقُونَا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ» . قَالَ الشَّافِعِيُّ: دَخَلُوا مَعَهُمْ فِي الشِّعْبِ، وَنَاصَرُوهُمْ فِي إِسْلَامِهِمْ وَجَاهِلِيَّتِهِمْ. قُلْتُ: وَقَدْ ذَمَّ أَبُو طَالِبٍ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ وَبَنِي نَوْفَلٍ حَيْثُ يَقُولُ: جَزَى اللَّهُ عَنَّا عَبْدَ شَمْسٍ وَنَوْفَلًا عُقُوبَةَ شَرٍّ عَاجِلًا غَيْرَ آجِلِ وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابِقٍ، ثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَيْبَرَ لِلْفَرَسِ سَهْمَيْنِ وَلِلرَّاجِلِ سَهْمًا» . قَالَ: فَسَّرَهُ نَافِعٌ فَقَالَ: إِذَا كَانَ مَعَ الرَّجُلِ فَرَسٌ، فَلَهُ ثَلَاثَةُ أَسْهُمٍ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ فَرَسٌ، فَلَهُ سَهْمٌ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي زَيْدٌ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ: أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَوْلَا أَنْ أَتْرُكَ آخِرَ النَّاسِ بَبَّانًا لَيْسَ لَهُمْ شَيْءٌ، مَا فُتِحَتْ عَلَيَّ قَرْيَةٌ إِلَّا قَسَمْتُهَا
পৃষ্ঠা - ৩১৬৫
كَمَا قَسَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ، وَلَكِنِّي أَتْرُكُهَا خِزَانَةً لَهُمْ يَقْتَسِمُونَهَا. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، وَأَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بِهِ. وَهَذَا السِّيَاقُ يَقْتَضِي أَنَّ خَيْبَرَ بِكَمَالِهَا قُسِمَتْ بَيْنَ الْغَانِمِينَ. وَقَدْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: «بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ عَنْوَةً بَعْدَ الْقِتَالِ، وَنَزَلَ مَنْ نَزَلَ مِنْ أَهْلِهَا عَلَى الْجَلَاءِ بَعْدَ الْقِتَالِ» . وَبِهَذَا قَالَ الزُّهْرِيُّ: «خَمَّسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ ثُمَّ قَسَمَ سَائِرَهَا عَلَى مَنْ شَهِدَهَا» . وَفِيمَا قَالَهُ الزُّهْرِيُّ نَظَرٌ، فَإِنَّ الصَّحِيحَ أَنَّ خَيْبَرَ جَمِيعَهَا لَمْ تُقْسَمْ، وَإِنَّمَا قُسِمَ نِصْفُهَا بَيْنَ الْغَانِمِينَ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، وَقَدِ احْتَجَّ بِهَذَا مَالِكٌ وَمَنْ تَابَعَهُ عَلَى أَنَّ الْإِمَامَ مُخَيَّرٌ فِي الْأَرَاضِي الْمَغْنُومَةِ، إِنْ شَاءَ قَسَمَهَا، وَإِنْ شَاءَ أَرْصَدَهَا
পৃষ্ঠা - ৩১৬৬
আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩৬৫

কিন্তুত তাদের কাছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ঐ হাদীছটি পৌবুছনি, যাতে তিনি ববুলবুছনং : :,;;
অর্থাৎ আমরা নবীগণ কাউকে
উত্তরা ধিকা বী করিনা আমরা যা বুছবুড় যাই৩ সবই সাদাক কা৷ ফাতিমা (রা), নবী সহধর্মিণীগণ এবং
আব্বাস (রা) যখন তাদের অংশ দাবী করেন ৷ আর আবু বকর (রা) বুক তাদের অংশ সমর্পণ
করার জন্যে অনুরোধ জানান তখন আবু বকর (রা) তাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপরোক্ত
বাণীটি অবগতি করান যাতে তিনি তাদেরকে যাদেরকে ভরণ পোষণ করতেন আামিও তাদের ভরণ
পোষণ করে যার ৷ আল্লাহ্র শপথ, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আত্মীয় স্কজন আমার কাবুছ আত্মীয়তার
বন্ধন সুদৃঢ় রাখার ক্ষেত্রে আমার আত্মীয়-াজন থেকে অধিক প্রিয় ৷ আবু বকর (রা) এর এ মন্তব্য
ছিল যথার্থ ৷ কেননা, তিনি ছিলেন বুনককার , অত্যন্ত নায়পরায়ণ এবং সত্যের অনুসারী ৷ আব্বাস
(রা) ও আলী (রা), হযরত ফাতিমা (রা)-এর মাধ্যমে এ হক দাবী করেছিলেন ৷ তারা যখন
উত্তরাধিকারী হতে পারলেন না তখন তারা চাইবুলন যেন এ সাদকা সম্পদের তত্ত্বাবধান তারা
করতে পারেন ৷ এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেসব ক্ষেত্রে এ সম্পদ খরচ করতেন তারাও যেন অনুরুপ
খরচ করতে পারেন, কিন্তু হযরত আবু বকর (বা) তাদের এ দাবীও অগ্রাহ্য করেন এবং তিনি তার
জন্যে সমীচীন মনে করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেভাবে খরচ করতেন তিনিও সেভাবে খরচ
করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আরোপিত রীতি তিনি কো নরুপে লংঘন করবেন না ৷ এ ব্যাপারে
তখন ফাতিমা (রা) খলীফার সাথে রাগাম্বিত ও ব্যথিত হ্ন ৷ আসলে এটা তার জন্যে শোভনীয়
ছিল না ৷ তিনি এবং ঘুসলমানগণ আবু বকর (রা)-এর মান-মর্যাদা ও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে
তার সম্পর্ক সম্বন্ধে সম্যক অবগত ছিলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায় ও ইনতিকাবুলর
পর ইসলামের কীরুপ সাহায্য-সহায়তা করেছেন তা তার ও মুসলমানগবুণর করো অজানা ছিল
না ৷ ছয়মাস পর ফাতিমা (রা) ইনতিকাল করেন ৷ এরপর আলী (রা) খলীফার প্রতি তার বায়আত
নবায়ন করেন ৷ উমর (রা) এর যুগে আলী (রা) ও আব্বাস (রা) তাদের কাছে এ সাদকার পুর্ণ
দাযিতু প্ৰদা বুনর জন্যে খলীফাবুক অনুরোধ জানান এবং কিছু সংখ্যক প্রবীণ সাহাবীদের মাধ্যবুম
খলীফার উপর চাপ সৃষ্টি করেন ৷ ৩ খন উমর (রা)৩ তাদেরকে এ দায়িতু প্রদানের সম্মত হলেন ৷
আর এটা সম্ভব হয়েছিল খলীফার কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়া এবং ইসলামী রাবুষ্ট্ৰর বিন্তুতি ও জন
সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ৷ কিন্তু এ ব্যাপারে আলী (রা) তার চাচা আব্বাস (রা)-এর উপর প্রভাব
বিস্তার করেন এবং পরব৩ ত দৃজনই উমর (রা)-এর কাছে মুকাদ্দমা পেশ করেন ও তাদের
মতবিরোধ নিরসন কল্পে তাদের মধ্যে দায়িত্ব অর্পণ করার লবুক্ষ্য সুপারিশ করার জন্যে একজন
প্রবীণ সাহাবীবুক উদ্বুদ্ধ করেন ৷ যাতে তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ রণ্টনকৃত সম্পদের প্রতিই শুধু
লক্ষ্য রাখবেন অন্যজবুনর সম্পদের প্রতি দৃষ্টি দেবেন না ৷ কিন্তু উমর (রা) এটার কঠোর
বিরোধিতা করেন এবং আশংকা ব্যক্ত করেন যে, এটা পরবর্তীতে উত্তরাধিকার বণ্টবুনর রুপ ধারণ
করবে ৷ তিনি বললেন, “আপনারা দৃই জনই একত্রে এ সম্পদের বুদখাশুনা করেন, যদি আপনারা
অপরাগ হয়ে পড়েন তাহলে আমার কাবুছ৩ তা ফিরিয়ে দেবেন ৷ ঐ সত্তার শপথ, য র হুকুবুম
আসমান ও যমীন পরিচালিত ৩হবুয় থাকে ৷ আমি এ ব্যাপারে এটা ব্যতীত অন্য কোন সিদ্ধান্ত
দেবনা ৷ ” তারা ও তাদের পরে তাদের সন্তান-সম্ভতিগণ আব্বাসীয় যুগ পর্যন্ত এভাবে এ সম্পত্তির
দেখাশুনা করতে থাকেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেরুপ বনু নাযীবুরর পরিত্যক্ত সম্পদ, ফাদাবুকর


لِمَصَالِحِ الْمُسْلِمِينَ، وَإِنْ شَاءَ قَسَمَ بَعْضَهَا وَأَرْصَدَ بَعْضَهَا لِمَا يَنُوبُهُ فِي الْحَاجَاتِ وَالْمَصَالِحِ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، ثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، حَدَّثَنِي سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ: «قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ نِصْفَيْنِ، نِصْفًا لِنَوَائِبِهِ وَحَاجَتِهِ، وَنِصْفًا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، قَسَمَهَا بَيْنَهُمْ عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا» . تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ. ثُمَّ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ مُرْسَلًا، فَعَيَّنَ نِصْفَ النَّوَائِبِ، الْوَطِيحَ وَالْكَتِيبَةَ وَالسُّلَالِمَ وَمَا حِيزَ مَعَهَا، وَنِصْفَ الْمُسْلِمِينَ، الشِّقَّ وَالنَّطَاةَ وَمَا حِيزَ مَعَهُمَا، وَسَهْمُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا حِيزَ مَعَهُمَا. وَقَالَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، مَوْلَى الْأَنْصَارِ، عَنْ رِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَمَّا ظَهَرَ عَلَى خَيْبَرَ فَقَسَمَهَا عَلَى سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ سَهْمًا، جَمَعَ كَلُّ سَهْمٍ مِائَةَ سَهْمٍ، فَكَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِلْمُسْلِمِينَ النِّصْفَ مِنْ ذَلِكَ وَعَزَلَ النِّصْفَ الثَّانِي لِمَنْ نَزَلَ بِهِ مِنَ الْوُفُودِ وَالْأُمُورِ وَنَوَائِبِ النَّاسِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ.
পৃষ্ঠা - ৩১৬৭

সম্পদ ও খায়বারে প্রাপ্ত রা সুলুল্লাহ্ (সা) এর অংশ খরচ করেছেন তারাও অনুরুপ খরচ করতে
থাকেন ৷

অযোদ্ধাদের দান প্রসঙ্গে

দাস ও ত্রীলােকদের মধ্যে যারা খায়বারে অংশ গ্রহণ করেছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে

গনীমতের সাল হতে কিছু সম্পদ প্রদান করেছিলেন; কিন্তু তাদেরকে সৈনিকদের ন্যায় যথারীতি
ৎশ প্রদান করেননি ৷

আবু দাউদ (রা) আহমদ ইবন হাম্বল আবুল লাহামের আযাদকৃত দাস উমায়র (রা)
সুত্রে বলেন, “আমি আমার মুনীবের সাথে খায়বার যুদ্ধে অংশ গ্রহণ কারহ্নিনাম ৷ উপস্থিত সকলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে আমার প্রশংসা করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে অনুমতি দিলেন ৷
তখন আমি একটি তরবারি ঝুলিয়ে নিলাম; কিন্তু আমি ছিলাম আমার মুনীবের ভৃত্য ৷ তাই
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বখশিস স্বরুপ কিছু দান করলেন ৷

তিরমিযী (র ) এবং নাসাঈ (ব)-ও এ হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ তিরমিযী (র) এ হাদীছটি হাসান

ও সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইবন মাজাও আলী ইবন মুহাম্মাদ সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে কিছু সংখ্যক শ্ৰীলোক খায়বার
অভিযানে অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাদেরকে ফাই (বিনা যুদ্ধে লব্দ সম্পদ) হতে
কিছু দান করেন; কিন্তু তাদেরকে সৈনিকদের ন্যায় যথারীতি অংশ প্রদান করেননি ৷ তিনি আরো
বলেন, সুলায়মান ইবন সুহায়ম বনুগিফারের একজন মহিলার ররাতে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, বনু গিফারের অন্যান্য মহিলাদের সাথে আমিও রাসুলুল্লাহ্ (না) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে
বললাম , “ইয়া রড়াসুলাল্লাহ, ! আমরা আপনার সাথে খায়বারের এ অভিযানে অংশ গ্রহণের জন্যে
বের হতে আগ্রহী, যাতে করে আমরা জখমীদের সেবা করতে পারি এবং সাধ্যমত আমরা
মুসলমানদের সাহায্য করতে পারি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ধ্দু৷ ৷ দ্ভব্র)ট্রু ;;রু অর্থাৎ তাদেরকে
অনুমতি দিলেন, বললেন, তােমাদেরকে আল্লাহ বরকত দান করুন ! মহিলাটি বললেন, “আমরা
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে বের হলাম ৷ তিনি আরো বললেন, “আমি ছিলাম অপ্রাপ্ত বয়স্কা ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে তার সওয়ারীর পিছনে বসিয়ে নিলেন ৷ তিনি বলেন, “সকালের দিকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাওয়ারী হতে অবতরণ করলেন ৷ আমিও তার সওয়ারীর পিছন থেকে অবতরণ
করলাম ৷ সাথে সাথে আমি তাতে ঋতৃস্রড়ারের চিহ্ন দেখতে পেলাম ৷ আর এটাই ছিল আমার
প্রথম ঋতুস্রাব ৷ তিনি বলেন, তখন আমি উষ্টীর দিকে সংকােচিত হতে লাগলাম এবং অত্যন্ত
লজ্জাবাে ধ করতে লাগলড়াম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন আমার জড়সড় অবস্থা ও আমার রক্ত দেখতে
পেলেন, তখন বললেন, তোমার কী হয়েছে ? মনে হয় ঋতুবতী হয়েছ ৷ আমি বললাম, “জী
ইভ্রা ৷” তিনি বললেন, “প্রথমত নিজকে সামলিয়ে নাও ৷ এরপর এক পাত্র পানি নাও এবং পানিতে
কিছু লবণ ঢেলে দাও ৷ এরপর এ লবণ পানি দিয়ে সওয়ারীর গদীটা ধুয়ে ফেল ৷ এরপর পুনরায়
তুমি সওয়ারীতে উঠ ৷ ” তিনি বলেন, যখন আল্লাহ তড়াআলা খায়বারের বিজয় দান করলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদেরকে ফাই (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) থেকে কিছু কিছু দান করলেন এবং


قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، ثَنَا مُجَمِّعُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ مُجَمِّعِ بْنِ يَزِيدَ الْأَنْصَارِيُّ، سَمِعْتُ أَبِي يَعْقُوبَ بْنِ مُجَمِّعٍ يَقُولُ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَمِّهِ مُجَمِّعِ بْنِ جَارِيَةَ الْأَنْصَارِيِّ - وَكَانَ أَحَدَ الْقُرَّاءِ الَّذِينَ قَرَءُوا الْقُرْآنَ - قَالَ: قُسِمَتْ خَيْبَرُ عَلَى أَهْلِ الْحُدَيْبِيَةِ، فَقَسَمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا، وَكَانَ الْجَيْشُ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ، فِيهِمْ ثَلَاثُمِائَةِ فَارِسٍ، فَأَعْطَى الْفَارِسَ سَهْمَيْنِ، وَأَعْطَى الرَّاجِلَ سَهْمًا. تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ. وَقَالَ مَالِكٌ: عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ افْتَتَحَ بَعْضَ خَيْبَرَ عَنْوَةً. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ. ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: قُرِئَ عَلَى الْحَارِثِ بْنِ مِسْكِينٍ وَأَنَا شَاهِدٌ، أَخْبَرَكُمُ ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنْ خَيْبَرَ بَعْضُهَا كَانَ عَنْوَةً، وَبَعْضُهَا صُلْحًا، وَالْكَتِيبَةُ أَكْثَرُهَا عَنْوَةً، وَفِيهَا صُلْحٌ. قُلْتُ لِمَالِكٍ: وَمَا الْكَتِيبَةُ؟ قَالَ: أَرْضُ خَيْبَرَ، وَهِيَ أَرْبَعُونَ أَلْفَ عَذْقٍ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَالْعَذْقُ: النَّخْلَةُ. وَالْعِذْقُ: الْعُرْجُونُ. وَلِهَذَا قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا حَرَمِيٌّ، ثَنَا شُعْبَةُ، ثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩১৬৮
عُمَارَةُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: لَمَّا فُتِحَتْ خَيْبَرُ قُلْنَا: الْآنَ نَشْبَعُ مِنَ التَّمْرِ. حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، ثَنَا قُرَّةُ بْنُ حَبِيبٍ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: مَا شَبِعْنَا - يَعْنِي مِنَ التَّمْرِ - حَتَّى فَتَحْنَا خَيْبَرَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: كَانَتِ الشَّقُّ وَالنَّطَاةُ فِي سُهْمَانِ الْمُسْلِمِينَ، الشَّقُّ ثَلَاثَةَ عَشَرَ سَهْمًا، وَنَطَاةُ خَمْسَةُ أَسْهُمٍ، قَسَمَ الْجَمِيعَ عَلَى أَلْفٍ وَثَمَانِمِائَةِ سَهْمٍ، وَدَفَعَ ذَلِكَ إِلَى مَنْ شَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ، مَنْ حَضَرَ خَيْبَرَ وَمَنْ غَابَ عَنْهَا، وَلَمْ يَغِبْ عَنْ خَيْبَرٍ مِمَنْ شَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ إِلَّا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، فَضَرَبَ لَهُ بِسَهْمِهِ. قَالَ: وَكَانَ أَهْلُ الْحُدَيْبِيَةِ أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ، وَكَانَ مَعَهُمْ مِائَتَا فَرَسٍ، لِكُلِّ فَرَسٍ سَهْمَانِ، فَصُرِفَ إِلَى كُلِّ مِائَةِ رَجُلٍ سَهْمٌ مِنْ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا، وَزِيدَ الْمِائَتَا فَارِسٍ أَرْبَعَمِائَةِ سَهْمٍ لِخُيُولِهِمْ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ أَنَّهُمْ كَانُوا أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ، وَمِائَتَا فَرَسٍ. قُلْتُ: وَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمْ بِسَهْمٍ، وَكَانَ أَوَّلَ سَهْمٍ مِنْ سُهْمَانِ الشِّقِّ مَعَ عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَتِ الْكَتِيبَةُ خُمُسًا لِلَّهِ تَعَالَى، وَسَهْمَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَهْمَ ذَوِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ، وَطُعْمَةَ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَطُعْمَةَ أَقْوَامٍ مَشَوْا فِي صُلْحِ أَهْلِ فَدَكَ، مِنْهُمْ مُحَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودٍ، أَقْطَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثِينَ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ، وَثَلَاثِينَ وَسْقًا مِنْ شَعِيرٍ. قَالَ: وَكَانَ وَادِيَاهَا اللَّذَانِ قُسِّمَتْ عَلَيْهِ يُقَالُ لَهُمَا: وَادِي السُّرَيْرِ وَوَادِي خَاصٍ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ تَفَاصِيلَ الْإِقْطَاعَاتِ مِنْهَا فَأَجَادَ وَأَفَادَ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قَالَ: وَكَانَ الَّذِي وَلِيَ قِسْمَتَهَا وَحِسَابَهَا جَبَّارُ بْنُ صَخْرِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ خَنْسَاءَ، أَخُو بَنِي سَلَمَةَ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. قُلْتُ: وَكَانَ الْأَمِيرُ عَلَى خَرْصِ نَخِيلِ خَيْبَرَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، فَخَرَصَهَا سَنَتَيْنِ، ثُمَّ لَمَّا قُتِلَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - كَمَا سَيَأْتِي فِي يَوْمِ مُؤْتَةَ - وَلِي بَعْدَهُ جَبَّارُ بْنُ صَخْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ بْنِ سُهَيْلٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَ رَجُلًا عَلَى خَيْبَرَ، فَجَاءَ بِتَمْرٍ جَنِيبٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩১৬৯

আমার গলায় যে হারটি দেখতে পাচ্ছো, তা তিনিই আমাকে দান করেছিলেন এবং নিজ হাতে
তিনি এটা আমার গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আল্লাহর শপথ, এ হারটি কখনও আমি হাতছড়াড়া
করবো না ৷ উল্লেখ থাকে যে, সত্যিই মৃত্যু পর্যন্ত এ হারটি তার গলায়ই ছিল ৷ তিনি ওসীয়ত
করে যান, যেন এ হারটিও তার সাথে দাফন করা হয় ৷ তিনি বলেন, যখনি তিনি হায়েয থেকে
পবিত্রতা অর্জন করতেন তখনি পানির সাথে লবণ মিশাতেন এবং শেষ পর্যন্ত একথা ওসীয়ত
করেন যে, তার যখন মৃত্যুর পর গোসল দেওয়া হবে তখনও যেন পানিতে লবণ দেওয়া হয় ৷

উপরোক্ত হাদীছটি আহমদ এবং আবুদাউদ ও মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক হতে বর্ণনা করেন ৷

“আমাদের ওস্তাদ আবুল হাজ্জাজ আল মিঘৃষী বলেন, ওয়াকিদী উমাইয়া ৰিনত আবুস
সালতের সনদে রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷
ইমাম আহমদ (র) হাসান ইবন মুসা হাশরাজ ইবন যিয়াদের দাদী সুত্রে বর্ণনা করেন,

তিনি বলেন, “খড়ায়বার অভিযানে আমিও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর শংগী ছিলাম ৷ আর আমি ছয়জন
রমণীর ষষ্ঠা মহিলা ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন টের পেলেন যে, তার সাথে মহিলারা রয়েছেন,
আমাদের কাছে লোক পাঠালেন ও আমাদেরকে ডাকলেন ৷ তার কাছে উপ ত হয়ে তাকে আমরা
রাপাৰিত দেখতে পেলাম ৷ তিনি বললেন, “তোমরা কেন এসেছো এবং তোমরা করে হুকুমে
এসেছো ? আমরা বললড়াম , “আমরা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে এসেছি ৷ আমরা যােদ্ধাদেরকে তীর
কুড়িয়ে দেবাে , ছাতু খাওয়ার এবং আমাদের সাথে রয়েছে আহতদেব জন্যে ঔষধপত্র ৷ আমরা
পযল গইিব , এভাবে আমরা আল্লাহর পথে সাহায্য সহায়তা করব ৷ রাবী বলেন, “এভাবে মহিলারা
অনুমতি নিলেন ও জিহাদের ময়দানে গেলেন ৷ উক্ত মহিলাটি বলেন, “আল্লাহ তাআলা যখন
আমাদেরকে খায়বারের বিজয় দান করলেন তখন পুরুষদের অংশের ন্যায় আমাদেরকেও অংশ
দেওয়া হয় ৷ ” রাবী বলেন, আমি তখন বললাম , হে দাদী ! তোমাদেরকে যা দেওয়া হয়েছিল, তা
কী ? বললেন, “খেজুর ৷

গ্রন্থকার বলেন, মহিলাদেরকে অস্থাবর সম্পদ থেকে কিছু দেওয়া হয়েছিল তবে তাদেরকে
পুরুষ সৈনিকদের ন্যায় কোন জমি অংশরুপে দেয়া হয়নি ৷ আল্লাহ্ই অধিক জ্ঞাত ৷

হাফিয বায়হড়াকী (র) আবদুল্লাহ ইবন উনাইস এর বরাতে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সংগে খায়বার অভিযানে বের হয়েছিলাম ৷ আমার সাথে ছিল
আমার গর্তবতী ত্রী ৷ রাস্তায় তার সন্তান তুমিষ্ঠ হয় ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে এ সংবাদ দিলে
তিনি তখন আমাকে বললেন, তার জন্যে খেজুর ভিজিয়ে রাখ, যখন ভাল করে ভিজবে তখন
তাকে সে পানি পান করতে বল ৷ সে অনুরুপ করল ৷ ফলে পরবর্তীতে সে কোন প্রকার অসুবিধার
সম্মুখীন হয়নি ৷ যখন আমরা খায়বার জয় করলাম হুয়ুর (সা) মহিলাদেরকে কিছু দান করলেন ৷
তিনি তাদেরকে গনীমতের পুর্ণ অংশ প্রদান করেন নাই ৷ আমার শ্রী ও সদ্য ভুমিষ্ঠ সন্তানকেও
কিছু উপহারস্বরুপ দেওয়া হল ৷ রাবী আবদুস সালাম বলেন, সন্তানটি ছেলে ছিল না মেয়ে , তা
আমার জানা নেই ৷


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كُلُّ تَمْرِ خَيْبَرَ هَكَذَا؟ " قَالَ: لَا وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا لَنَأْخُذُ الصَّاعَ مِنْ هَذَا بِالصَّاعَيْنِ، وَالصَّاعَيْنِ بِالثَّلَاثَةِ. فَقَالَ: " لَا تَفْعَلْ، بِعِ الْجَمْعَ بِالدَّرَاهِمِ، ثُمَّ ابْتَعْ بِالدَّرَاهِمِ جَنِيبًا» . قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ وَأَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ أَخَا بَنِي عَدِيٍّ مِنَ الْأَنْصَارِ إِلَى خَيْبَرَ وَأَمَّرَهُ عَلَيْهَا. وَعَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ مِثْلَهُ. قُلْتُ: كَانَ سَهْمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي أَصَابَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ مِمَّا قَسَمَ بِخَيْبَرَ وَفَدَكَ بِكَمَالِهَا - وَهِيَ طَائِفَةٌ كَبِيرَةٌ مِنْ أَرْضِ خَيْبَرَ نَزَلُوا مِنْ شِدَّةِ رُعْبِهِمْ مِنْهُ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ فَصَالَحُوهُ - وَأَمْوَالَ بَنِي النَّضِيرِ، الْمُتَقَدِّمَ ذِكْرُهَا، مِمَّا لَمْ يُوجِفِ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ بِخَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ، فَكَانَتْ هَذِهِ الْأَمْوَالُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً، وَكَانَ يَعْزِلُ مِنْهَا نَفَقَةَ أَهْلِهِ لِسَنَةٍ، ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ، يَصْرِفُهُ فِي الْكُرَاعِ وَالسِّلَاحِ وَمَصَالِحِ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا مَاتَ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، اعْتَقَدَتْ فَاطِمَةُ وَأَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَوْ أَكْثَرَهُنَّ - أَنَّ هَذِهِ الْأَرَاضِيَ تَكُونُ مَوْرُوثَةً عَنْهُ، وَلَمْ يَبْلُغْهُنَّ مَا ثَبَتَ عَنْهُ مِنْ قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَحْنُ مَعْشَرَ الْأَنْبِيَاءِ لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَاهُ فَهُوَ صَدَقَةٌ ". وَلَمَّا طَلَبَتْ فَاطِمَةُ وَأَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْعَبَّاسُ نَصِيبَهُمْ مِنْ ذَلِكَ، وَسَأَلُوا الصِّدِّيقَ أَنْ يُسَلِّمَهُ
পৃষ্ঠা - ৩১৭০
إِلَيْهِمْ، ذَكَرَ لَهُمْ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ ".» وَقَالَ: أَنَا أَعُولُ مَنْ كَانَ يَعُولُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهِ لَقَرَابَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ أَصِلَ مِنْ قَرَابَتِي. وَصَدَقَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، فَإِنَّهُ الْبَارُّ الرَّاشِدُ فِي ذَلِكَ، التَّابِعُ لِلْحَقِّ، وَطَلَبَ الْعَبَّاسُ وَعَلِيٌّ - عَلَى لِسَانِ فَاطِمَةَ، إِذْ قَدْ فَاتَهُمُ الْمِيرَاثُ - أَنْ يَنْظُرَا فِي هَذِهِ الصَّدَقَةِ، وَأَنْ يَصْرِفَا ذَلِكَ فِي الْمَصَارِفِ الَّتِي كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْرِفُهَا فِيهَا، فَأَبَى عَلَيْهِمُ الصِّدِّيقُ ذَلِكَ، وَرَأَى أَنَّ حَقًّا عَلَيْهِ أَنْ يَقُومَ فِيمَا كَانَ يَقُومُ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْ لَا يَخْرُجَ مِنْ مَسْلَكِهِ وَلَا عَنْ سُنَنِهِ. فَتَغَضَّبَتْ فَاطِمَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ، وَوَجَدَتْ فِي نَفْسِهَا بَعْضَ الْمَوْجِدَةِ، وَلَمْ يَكُنْ لَهَا ذَلِكَ، وَالصِّدِّيقُ مَنْ قَدْ عَرَفَتْ هِيَ وَالْمُسْلِمُونَ مَحِلَّهُ وَمَنْزِلَتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقِيَامَهُ فِي نُصْرَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَيَاتِهِ وَبَعْدَ وَفَاتِهِ، فَجَزَاهُ اللَّهُ عَنْ نَبِيِّهِ وَعَنِ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ خَيْرًا، وَتُوُفِّيَتْ فَاطِمَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ، ثُمَّ جَدَّدَ عَلِيٌّ الْبَيْعَةَ بَعْدَ ذَلِكَ، فَلَمَّا كَانَ أَيَّامُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، سَأَلُوهُ أَنْ يُفَوِّضَ أَمْرَ هَذِهِ الصَّدَقَةِ إِلَى عَلِيٍّ، وَالْعَبَّاسِ، وَثَقَّلُوا عَلَيْهِ بِجَمَاعَةٍ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ، فَفَعَلَ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ذَلِكَ، وَذَلِكَ لِكَثْرَةِ أَشْغَالِهِ وَاتِّسَاعِ مَمْلَكَتِهِ وَامْتِدَادِ رَعِيَّتِهِ، فَتَغَلَّبُ عَلَى عَلِيٍّ عَمُّهُ الْعَبَّاسُ فِيهَا، ثُمَّ تَسَاوَقَا يَخْتَصِمَانِ إِلَى عُمَرَ، وَقَدَّمَا بَيْنَ أَيْدِيهِمَا جَمَاعَةً مِنَ الصَّحَابَةِ، وَسَأَلَا مِنْهُ أَنْ يَقْسِمَهَا بَيْنَهُمَا، فَيَنْظُرَ كُلٌّ مِنْهُمَا فِيمَا لَا يَنْظُرُ فِيهِ الْآخَرُ. فَامْتَنَعَ عُمَرُ مِنْ ذَلِكَ أَشَدَّ الِامْتِنَاعِ، وَخَشِيَ أَنْ تَكُونَ هَذِهِ الْقِسْمَةُ تُشْبِهُ قِسْمَةَ الْمَوَارِيثِ، وَقَالَ: انْظُرَا فِيهَا وَأَنْتُمَا جَمِيعٌ، فَإِنْ عَجَزْتُمَا
পৃষ্ঠা - ৩১৭১

জা ফর ইৰ্ন আবু তালিব ও হাবশায় হিজরতকারী
মুসলমানদের প্রত্যত্বগমণের বিবরণ

ৰুখারী (র) বলেন, মুহাম্মাদ ইবনুল আলা আবুমুসা আশআরী (রা)-এর সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, “আমরা যখন ইয়ামানে ছিলাম তখন রাসুলুল্পাহ (না)-এর নবুয়ত প্রাপ্তির
খবর আমাদের কাছে পৌছে ৷ তাই আমরা তার কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়লাম ৷
আমার আরো দুইজন ভাই ছিল ৷ তাদের একজনের নাম আবুবুরদাহ্ এবং অন্য জনের নাম আবু
রুহম ৷ আমি ছিলাম সকলের ছোট ৷ আমরা ৫২ জন কিৎবা ৫৩ জন একই সম্প্রদায়ের লোক
ছিলাম ৷ আমরা নৌযানে আরোহণ করলাম ৷ নৌযানে আমরা হাবশার (বর্তমান ইথিওপিয়ার)
নাজ্জাশী বাদশাহর দরবারে পৌছলাম ৷ আমরা জাফর ইবন আবুতালিব (না)-এর সাথে সাক্ষাৎ
করলাম ও তার সাথে দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করলাম ৷ পরে আমরা সকলে মিলে রওয়ানা
হলাম এবং খায়বার বিজয়ের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে এসে মিলিত হলাম ৷ কিছু সংখ্যক
লোক আমাদের নৌযান আরোহীদেরকে লক্ষ্য করে বলতে লাপলেন যে, আমরা তোমাদের পুর্বে
হিজরত করেছি ৷ আমাদের সাথে যারা পৌছলেন তাদের মধ্য হতে আসমা বিনৃত উমাইস (বা)
একদিন উম্মুল মু’মিনীন হযরত হাফসা (রা)-এর ঘরে সাক্ষাতের জন্য গেলেন ৷ নাজ্জাশীর দেশে
হিজরতকারিণীদের মধ্যে আসমা (রা) ছিলেন অন্যতম ৷ একদা উমর (রা) হাফসা (বা) এর ঘরে
ঢুকলেন তখন আসমা (রা) ছিলেন হাফসা (রা) এর কাছে উপবিষ্ট ৷ আসমাকে দেখে উমর (রা)
বললেন, ইনি কে ? হাফসা (রা) বলেন, “ইনি আসমা বিনতে উমাইসা (বা) ৷ “ উমর (রা)
বললেন, এটা কি এ হাবশীয়৷ বাহরীয়া ? (অর্থাৎ সমুদ্র পথে হাবশা ভ্রমণকারিণী) ৷ আসমা (রা)
বললেন, “জী হয়” ৷ উমর (রা) বললেন, আমরা তোমাদের পুর্বে হিজরত করেছি ৷ সুতরাং
আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার ৷ এ উক্তিতে আসমা রাপাম্বিত
হলেন এবং বললেন, “কখনও না, আল্লাহর শপথ, আপনারা রাসুলুল্লাহ (সা) এর সংগে ছিলেন ৷
তিনি আপনাদের মধ্যকার ক্ষুধার্তকে খাবার প্রদান করতেন এবং আপনাদের অজ্ঞদেরকে নসীহত
করতেন ৷ অন্যদিকে আমরা ছিলাম দুরতম অপরিচিত দেশ হাবশায় ৷ আর এটা ছিল শুধুমাত্র
আল্লাহ ও রাসুলের পথে সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি কোন কিছু পানাহড়ার করব না
যতক্ষণ না আপনি যা বলেছেন তা আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট উত্থাপন করব, আমি তাকে
তা’ জিজ্ঞেস করব ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি মিথ্যা বলব না, বাক্যে কোন প্রকার তারতম্য করব না
এবং অতিরিক্তও কিছু বলব না ৷ যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাশরীফ ভানেলেন ৷ আসমা (বা) বললেন,
হে আল্লাহর নবী (সা) ! উমর (রা) এরুপ এরুপ বলেছেন ৷ হুয়ুর (সা) বললেন : তুমি তাকে কী
বলেছ ? তিনি বললেন, আমি এরুপ এরুপ বলেছি ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “তোমাদের
চেয়ে আমার কাছে অন্য কেউ বেশী হকদার বা প্রিয় নয় ৷ তার এবং তার সাথীদের জন্যে হল
একটি মাত্র হিজরত আর নৌযানে ভ্রমণকারী তোমাদের জন্যে হল দুটি হিজরত ৷” আসমা (রা)
বলেন, “এরপর আবু মুসা আশআরী (রা) ও অন্যান্য নৌযান ভ্রমণকারীদের দেখলাম তারা দলে
দলে আমার কাছে এসে এ কথোপকথন সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করতেন ৷ তাদের কাছে দুনিয়ার কোন
জিনিসই রাসুলুল্লাহ (না)-এর এ উক্তির ন্যায় এত আনন্দদায়ক ও এত তাৎপর্যবহ ছিল না ৷ আবু


عَنْهَا فَادْفَعَاهَا إِلَيَّ، وَالَّذِي تَقُومُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ بِأَمْرِهِ لَا أَقْضِي فِيهَا قَضَاءً غَيْرَ هَذَا. فَاسْتَمَرَّا فِيهَا، وَمَنْ بَعْدَهُمَا مِنْ وَلَدِهِمَا إِلَى أَيَّامِ بَنِي الْعَبَّاسِ، تُصْرَفُ فِي الْمَصَارِفِ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْرِفُهَا فِيهَا، أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ وَفَدَكَ، وَسَهْمُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَيْبَرَ. [مَنْ شَهِدَ خَيْبَرَ] فَصْلٌ مَنْ شَهِدَ خَيْبَرَ وَأَمَّا مَنْ شَهِدَ خَيْبَرَ مِنَ الْعَبِيدِ وَالنِّسَاءِ، فَرَضَخَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا مِنَ الْغَنِيمَةِ، وَلَمْ يُسْهِمْ لَهُمْ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، ثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، حَدَّثَنِي عُمَيْرٌ مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ قَالَ: «شَهِدْتُ خَيْبَرَ مَعَ سَادَتِي، فَكَلَّمُوا فِيَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَرَ بِي فَقُلِّدْتُ سَيْفًا، فَإِذَا أَنَا أَجُرُّهُ، فَأُخْبِرَ أَنِّي مَمْلُوكٌ، فَأَمَرَ لِي بِشَيْءٍ مِنْ خُرْثِيِّ الْمَتَاعِ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ الْمُفَضَّلِ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩১৭২
الْمُهَاجِرِ عَنْ قُنْفُذٍ، عَنْ عُمَيْرٍ، بِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَشَهِدَ خَيْبَرَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءً، فَرَضَخَ لَهُنَّ، وَلَمْ يَضْرِبْ لَهُنَّ بِسَهْمٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ سُحَيْمٍ، عَنْ أُمَيَّةَ بِنْتِ أَبِي الصَّلْتِ، عَنِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي غِفَارٍ قَدْ سَمَّاهَا لِي، قَالَتْ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نِسْوَةٍ مِنْ بَنِي غِفَارٍ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ أَرَدْنَا أَنْ نَخْرُجَ مَعَكَ إِلَى وَجْهِكَ هَذَا - وَهُوَ يَسِيرُ إِلَى خَيْبَرَ - فَنُدَاوِي الْجَرْحَى، وَنُعِينُ الْمُسْلِمِينَ بِمَا اسْتَطَعْنَا. فَقَالَ: " عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ ". قَالَتْ: فَخَرَجْنَا مَعَهُ. قَالَتْ: وَكُنْتُ جَارِيَةً حَدَثَةً، فَأَرْدَفَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَقِيبَةِ رَحْلِهِ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ لَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الصُّبْحِ وَأَنَاخَ، وَنَزَلْتُ عَنْ حَقِيبَةِ رَحْلِهِ. قَالَتْ: وَإِذَا بِهَا دَمٌ مِنِّي، وَكَانَتْ أَوَّلَ حَيْضَةٍ حِضْتُهَا. قَالَتْ: فَتَقَبَّضْتُ إِلَى النَّاقَةِ وَاسْتَحْيَيْتُ. فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بِي، وَرَأَى الدَّمَ، قَالَ: " مَا لَكِ؟ لَعَلَّكِ نَفِسْتِ؟ " قَالَتْ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " فَأَصْلِحِي مِنْ نَفْسِكِ، ثُمَّ خُذِي إِنَاءً مِنْ مَاءٍ، فَاطْرَحِي فِيهِ مِلْحًا، ثُمَّ اغْسِلِي مَا أَصَابَ الْحَقِيبَةَ مِنَ الدَّمِ، ثُمَّ عُودِي لِمَرْكَبِكِ ". قَالَتْ: فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ خَيْبَرَ، رَضَخَ لَنَا مِنَ الْفَيْءِ، وَأَخَذَ هَذِهِ الْقِلَادَةَ الَّتِي تَرَيْنَ فِي عُنُقِي، فَأَعْطَانِيهَا وَعَلَّقَهَا بِيَدِهِ فِي عُنُقِي، فَوَاللَّهِ لَا
পৃষ্ঠা - ৩১৭৩

বুরদ৷ (রা ) বলেন, “আসমা (রা ) বলেছেন, আমি আবুমুসা (রা)-কে দেখেছি, তিনি এ হাদীছঢি
বার বার আমার কাছ থেকে শুনতেন ৷ আবু বুরদ৷ (রা) , আবু মুসা (বা) এর বরাতে বলেন, নবী
করীম (সা) বলেছেন, যখন রাত হয় তখন কুরআন তিলত্বওয়াতের আওয়ায দ্বারা আশআরী
বন্ধুদের আওয়ায অমি চিনতে পারি এবং রাতের বেলায় কুরআনত তিলাওয়াতের আওয়ায দ্বার
আমিত তাদের ঘরবাড়ি চিনতে পারি যদিও আমি তাদের য়র রাড়ি দিনের রেল য দেখি নাই ৷ তাদের
মধ্যে একজন আছে হাকীম ইবন হিযাম ৷ যখন সে দুশমহ্রন্ৰুার ঘুক৷ ৷বিলা করে তখন সে শত্রুকে
বলে, নিশ্চয়ই আমার সংগীরা তোমাদেরকে মুকাবিলার আঘাত সহ্য করতে অপেক্ষা করার জন্যে
নির্দেশ দিচ্ছে ৷ ”

অনুরুপভাবে ইমাম মুসলিম আবু কুরায়ব এবং আবদুল্লাহ ইবন বারাদের মাধ্যমে আবু উসামা
থেকে বর্ণনা করেন ৷

ইমাম বুখারী (র) ইসহাক ইবন ইবরাহীম ণ্ আবু মুসা (র) সুত্রে বলেন ৷ তিনি
বলেছেন, “খায়বার বিজয়ের পর আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর দরবারে উপস্থিত হলাম ৷ তিনি
আমাদেরকে অংশ দিলেন; কিন্তু আমাদের ব্যতীত অনুপস্থিত অন্য কাউকে অং শ প্ৰদান করেননি ৷
উপরোক্ত বর্ণনাটি ইমাম বুখারী (র)-এর একক বর্ণনা ৷৷ আবু দা ৷উদ (র ) এবং তিবিমিষী (র ) ও
অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক উল্লেখ করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমর ইবন উমাইয়৷ আদ-
দিমারীকে নাজ্জ ৷শীর কাছে প্রেরণ করে সাহাবায়ে কিরামের যারা এখনও সেখানে বাকী ছিলেন
তাদেরকে ডেকে পাঠান ৷ সুতরাংত তার৷ জা ফর (রা) এর সাথে আগমন করেন তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা ) খায়বার জয় করে ফেলেছেন ৷ রাবী বলেন, সৃফিয়ান ইবন উয়াইন৷ আশ শা’বী
(রা) এর বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন “জা ফর ইবন আবুত তালিব (বা ) খায়বার বিজয়ের
দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট আগমন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তার কপালে চুম্বন করেন ও
তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন, “ ৷ল্লাহব শপথ! আমি জা ৷৷নি না, (কানৃট৷ আমার কাছে অধিক
খুশীর বস্তু, খায়বার বিজয়, না কি জা ফরের আগমন ৷ অনুরুপ সুফিয়ান ছাওরী জ বিব
(বা) এর বরাতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন খায়বার হতে তমদীনায়অ ৷গমন
করেন, তখন জাফর (রা)ও হাবশা হতে আগমন করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার সাথে মুলাকাত
করেন এবং তার কপালে চুম্বন করেন ৷ আর বলেন , আল্লাহর শপথ ! আমি জানি না, দুয়ের মধ্যে
কোনটা আমার কাছে অধিকতর খুশীর বিষয়, খায়বারের বিজয়, না কি জাফরের আগমন !
এরপর ইমাম বাযহাকী (র) জাবির (রা ) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যখন জাফর
ইবন আবু তালিব (রা) হা ৷বশা থেকে আগমন করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷
যখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি তদৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন তখন তিনি তার সন্মানার্থে এক পায়ে
হাটতে লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার দু কপালে চুম্বন করেন ৷ পুনরায় বা ৷ইহাকী (র) বলেন,
“উপরোক্ত হাদীছের সনদে এমন এক ব্যক্তি রয়েছেন, যিনি সুফিয়ান ছাওরীর কাছে সুপরিচিত নন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মক্কাবাসীদের মধ্যকার র্ষার৷ জাফর (রা) )-এর সাথে খায়বার আগমনে

বিলম্ব করেছিলেনত ৷রা ছিলেন ১৬ জন ৷ তাদের ওত র্শীরুদর শ্ৰীদের নাম নিম্নে বর্ণনা করা হলং :

৪ ৭

تُفَارِقُنِي أَبَدًا. وَكَانَتْ فِي عُنُقِهَا حَتَّى مَاتَتْ، ثُمَّ أَوْصَتْ أَنْ تُدْفَنَ مَعَهَا. قَالَتْ: وَكَانَتْ لَا تَطَّهَّرُ مِنْ حَيْضِهَا إِلَّا جَعَلَتْ فِي طَهُورِهَا مِلْحًا، وَأَوْصَتْ بِهِ أَنْ يُجْعَلَ فِي غُسْلِهَا حِينَ مَاتَتْ وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ، مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ. قَالَ شَيْخُنَا أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ فِي " أَطْرَافِهِ ": وَرَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سُحُيْمٍ، عَنْ أُمِّ عَلِيٍّ بِنْتِ أَبِي الْحَكَمِ، عَنْ أُمَيَّةَ بِنْتِ أَبِي الصَّلْتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا رَافِعُ بْنُ سَلَمَةَ الْأَشْجَعِيُّ، حَدَّثَنِي حَشْرَجُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ أَبِيهِ، قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزَاةِ خَيْبَرَ وَأَنَا سَادِسَةُ سِتِّ نِسْوَةٍ. قَالَتْ: فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ مَعَهُ نِسَاءٌ. قَالَتْ: فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا فَدَعَانَا. قَالَتْ: فَرَأَيْنَا فِي وَجْهِهِ الْغَضَبَ، فَقَالَ: " مَا أَخْرَجَكُنَّ، وَبِأَمْرِ مَنْ خَرَجْتُنَّ؟ " قُلْنَا: خَرَجْنَا نُنَاوِلُ السِّهَامَ، وَنَسْقِي السَّوِيقَ، وَمَعَنَا دَوَاءٌ لِلْجَرْحَى، وَنَغْزِلُ الشَّعْرَ فَنُعِينُ بِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ. قَالَ: " قُمْنَ فَانْصَرِفْنَ ". قَالَتْ: فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ خَيْبَرَ أَخْرَجَ لَنَا سِهَامًا كَسِهَامِ الرِّجَالِ. فَقُلْتُ لَهَا: يَا جَدَّةُ، وَمَا الَّذِي أَخْرَجَ لَكُنَّ؟ قَالَتْ: تَمْرًا» . قُلْتُ: إِنَّمَا أَعْطَاهُنَّ مِنَ الْحَاصِلِ، فَأَمَّا أَنَّهُ أَسْهَمَ لَهُنَّ فِي الْأَرْضِ كَسِهَامِ
পৃষ্ঠা - ৩১৭৪
الرِّجَالِ فَلَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَفِي كِتَابِي، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ الْأَصْبَهَانِيَّ أَخْبَرَهُ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْجَهْمِ، ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْفَرَجِ، ثَنَا الْوَاقِدِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ مُوسَى بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، قَالَ: «خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ، وَمَعِي زَوْجَتِي وَهِيَ حُبْلَى، فَنَفِسَتْ فِي الطَّرِيقِ، فَأَخْبَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِيَ: " انْقَعْ لَهَا تَمْرًا، فَإِذَا انْغَمَرَ بَلُّهُ، فَامْرُثْهُ لِتَشْرَبَهُ ". فَفَعَلْتُ، فَمَا رَأَتْ شَيْئًا تَكْرَهُهُ» ، فَلَمَّا فَتَحْنَا خَيْبَرَ أَجْدَى النِّسَاءَ، وَلَمْ يُسْهِمْ لَهُنَّ، فَأَجْدَى زَوْجَتِي وَوَلَدِي الَّذِي وُلِدَ قَالَ عَبْدُ السَّلَامِ: لَسْتُ أَدْرِي غُلَامٌ أَوْ جَارِيَةٌ.
পৃষ্ঠা - ৩১৭৫

১ জা ফর ইবন আবু৩ তালির আল হ শিমী ও তার শ্রী আসম৷ বিনত উমাইস (বা) ৷ তার পুত্র
আবদুল্লাহ যিনি হাবশায় জন্মগ্রহণ করেন ৷

২ খালিদ ইবন সাঈদ ইবন আল আল ইবন উম৷ ইয়৷ ইবন অ বদে ণ্া৷মস (রা) ৷৩ তার ত্রী
উমাইনা১ বিনত থালফ ইবন স৷ দ,৩ তার পুত্র সাঈদ যিনি হাবশায় জনাগ্নহণ করেন ৷
ও তার মাতা বিনত খালিদ, তার ভাই আমর ইবন সাঈদ (রা)৷

৪ মুঅড়াবঈব ইবন আবু ফাতিমা ৷ তিনি সাঈদ ইবন আল অসে এর পরিবারের সাথে
ছিলেন ৷

৫ আবু মুসা আল-অম্পেআরী আবদুল্লাহ ইবন কায়স (বা) , ইনি উতবা ইবন রাবীআর
পরিবারের মিত্র ছিলেন ৷

৬ আসওয়াদ ইবন নওফল ইবন থুয়ায়লিদ ইবন আসাদুল আসাদী

৭ জাহ্ম ইবন কায়স ইবন আবদু সুরাহ্বীল আল-আবদারী , তীর স্বী উম্মু হারমাল৷ বিন্ত
আবদুল আসওয়াদ যিনি হাবশায় মারা যান ৷ তার এক ছেলে আমর , এক মেয়ে খুযাইম৷ , দু’জনই
হাবশায় মারা যান ৷

৮ আমির ইবন আবু ওয়াক্কাস আয-যুহরী (বা) ৷

৯ উতবা ইবন মাসউদ (রা) হুযায়ল গোত্রের মিত্র ৷

১০ হারিছ ইবন থালিদ ইবন সখর আ৩ তায়মী, তার ত্রী রী৩ তা বিনত হারিছ (বা) ৷

১ ১ উছমান ইবন রা ৷বী আ ইবন আহব৷ ন আল-জুমাহী ৷

১ ২ মাহ্যীয়া ইবন জুয়৷ যুবায়দী, বনু ছাহমের মিত্র ৷

১৩ মা’মার ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন নুদলা আল-আদয়ী ৷

১৪ আবু হাতির ইবন আমর ইবন আরদে শামৃস ৷

১৫ মালিক ইবন রাবীআ ইবন কায়স ইবন আরদে শাম্স আল আমিরী , তার শ্রী আমৃরাহ
বিনত সাদী (বা) ৷

১৬ হারিছ ইবন আবদু শামস ইবন লাকীত আল-ফিহরী (রা) ৷

গ্রন্থকা র (র) বলেন, ইবন ইসহাক ঐ সকল আশআরীর নাম উল্লেখ করেননি যার৷ আবু মুসা
আল আশআরী ও তার দুই ভাই আবু বুরদা ও আবু রুহম এবং তার চাচা আবু আমরের সাথে
ছিলেন; বরং তিনি আবু মুসা আল আশআবী ব্যতীত অন্য কোন আশআরীর উল্লেখ করেননি,
এমনকি তার চাইতে বয়ােজেষ্ঠ তার দুই ভাইয়েরও কোন উল্লেখ করেননি ৷ অথচ সহীহ

বুখারীতে তাদের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে ৷ সম্ভবত ইবন ইসহাক এ সম্পর্কে আবু মুসা
(রা) এর হা ৷দীছ সম্বন্ধে অবগত ছিলেন না ৷ আল্লাহ্ত ৷লাই অধিক জ্ঞা ৷ত ৷

রাবী বলেন, দুটি জাহাজের মধ্যে৩ তাদের সাথে ঐ মুসলিম মহিলারাও ছিলেন যাদের স্বামীগণ

সেখানে ইনতিকাল করেছিলেন ৷ ইমাম বুখারী (র) এ সম্পর্কে বহু চমৎকার তথ্য পরিবেশন
করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমাদেরকে আলী ইবন আবদুল্লাহ্ (র) আমরাস৷ ইবন



১ ইসাব৷ গ্রন্থে৩ তার নাম উমায়ম৷ বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷


[ذِكْرُ قُدُومِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ] ٍ وَمَنْ كَانَ بَقِيَ بِالْحَبَشَةِ مِمَنْ هَاجَرَ إِلَيْهَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَمَنِ انْضَمَّ إِلَيْهِمْ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ، عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُخَيِّمٌ بِخَيْبَرَ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: بَلَغَنَا مَخْرَجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ بِالْيَمَنِ، فَخَرَجْنَا مُهَاجِرِينَ إِلَيْهِ أَنَا وَأَخَوَانِ لِي، أَنَا أَصْغَرُهُمْ، أَحَدُهُمَا أَبُو بُرْدَةَ، وَالْآخَرُ أَبُو رُهْمٍ - إِمَّا قَالَ: فِي بِضْعٍ. وَإِمَّا قَالَ: فِي ثَلَاثَةٍ وَخَمْسِينَ، أَوِ اثْنَيْنِ وَخَمْسِينَ رَجُلًا مِنْ قَوْمِي - فَرَكِبْنَا سَفِينَةً، فَأَلْقَتْنَا سَفِينَتُنَا إِلَى النَّجَاشِيِّ بِالْحَبَشَةِ، فَوَافَقْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَأَقَمْنَا مَعَهُ حَتَّى قَدِمْنَا جَمِيعًا، فَوَافَقْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ، فَكَانَ أُنَاسٌ مِنَ النَّاسِ يَقُولُونَ لَنَا - يَعْنِي لِأَهْلِ السَّفِينَةِ -: سَبَقْنَاكُمْ بِالْهِجْرَةِ. وَدَخَلَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ، وَهِيَ مِمَنْ قَدِمَ مَعَنَا، عَلَى حَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَائِرَةً، وَقَدْ كَانَتْ هَاجَرَتْ إِلَى النَّجَاشِيِّ فِيمَنْ هَاجَرَ، فَدَخَلَ عُمَرُ عَلَى حَفْصَةَ، وَأَسْمَاءُ عِنْدَهَا، فَقَالَ عُمَرُ حِينَ رَأَى أَسْمَاءَ: مَنْ هَذِهِ؟ قَالَتْ: أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ قَالَ عُمَرُ:
পৃষ্ঠা - ৩১৭৬
الْحَبَشِيَّةُ هَذِهِ؟ الْبَحْرِيَّةُ هَذِهِ؟ قَالَتْ أَسْمَاءُ: نَعَمْ. قَالَ: سَبَقْنَاكُمْ بِالْهِجْرَةِ، فَنَحْنُ أَحَقُّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْكُمْ. فَغَضِبَتْ وَقَالَتْ: كَلَّا وَاللَّهِ، كُنْتُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُطْعِمُ جَائِعَكُمْ، وَيَعِظُ جَاهِلَكُمْ، وَكُنَّا فِي دَارِ - أَوْ فِي أَرْضِ - الْبُعَدَاءِ وَالْبُغَضَاءِ بِالْحَبَشَةِ، وَذَلِكَ فِي اللَّهِ وَفِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَايْمُ اللَّهِ لَا أَطْعَمُ طَعَامًا وَلَا أَشْرَبُ شَرَابًا حَتَّى أَذْكُرَ مَا قُلْتَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَسْأَلُهُ، وَوَاللَّهِ لَا أَكْذِبُ وَلَا أَزِيغُ وَلَا أَزِيدُ عَلَيْهِ. فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، إِنَّ عُمَرَ قَالَ كَذَا وَكَذَا، قَالَ: " فَمَا قُلْتِ لَهُ؟ " قَالَتْ: قَلْتُ كَذَا وَكَذَا قَالَ: " «لَيْسَ بِأَحَقَّ بِي مِنْكُمْ، وَلَهُ وَلِأَصْحَابِهِ هِجْرَةٌ وَاحِدَةٌ، وَلَكُمْ أَنْتُمْ أَهْلَ السَّفِينَةِ هِجْرَتَانِ» ". قَالَتْ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى وَأَصْحَابَ السَّفِينَةِ يَأْتُونِي أَرْسَالًا يَسْأَلُونِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، مَا مِنَ الدُّنْيَا شَيْءٌ هُمْ بِهِ أَفْرَحُ وَلَا أَعْظَمُ فِي أَنْفُسِهِمْ مِمَّا قَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ أَبُو بُرْدَةَ: قَالَتْ أَسْمَاءُ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَبَا مُوسَى، وَإِنَّهُ لَيَسْتَعِيدُ هَذَا الْحَدِيثَ مِنِّي. وَقَالَ أَبُو بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَأَعْرِفُ أَصْوَاتَ رُفْقَةِ الْأَشْعَرِيِّينَ بِالْقُرْآنِ، حِينَ يَدْخُلُونَ بِاللَّيْلِ، وَأَعْرِفُ مَنَازِلَهُمْ مِنْ أَصْوَاتِهِمْ بِالْقُرْآنِ بِاللَّيْلِ، وَإِنْ كُنْتُ لَمْ أَرَ مَنَازِلَهُمْ حِينَ نَزَلُوا بِالنَّهَارِ، وَمِنْهُمْ حَكِيمٌ، إِذَا لَقِيَ الْعَدُوَّ - أَوْ قَالَ: الْخَيْلَ - قَالَ لَهُمْ: إِنَّ أَصْحَابِي يَأْمُرُونَكُمْ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৩১৭৭

সাঈদ এর সনরুদ বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (রা) রাসুলুল্লাহ্ ( সা) এর দরবারে
উপস্থিত হয়ে খায়বারের গনীমতের অংশ চা ছিলেন ৷ তখন বনু সাঈদ ইবন আলআশের এক ব্যক্তি
বলল, তাকে গনীমতের অংশ দেবেন না ৷ খনত আবু হুরায়রা (বা) বলেন, “এ লোকটি প্রসিদ্ধ
সাহাবী ইবন কুকালের হতাকা ৷রী ৷ ” তখন লোকটি বলল, “এ লিক্লিকে সাপঢির আগমনে আমি
অবাক হচ্ছি ৷ যাল নামক পর্বতের চুড়া হতে নেমে এসেছে ৷ এটা বুখারী (র)-এর একক বর্ণনা৷

বুখারী (বা) বলেন আমবাসা ইবন সাঈদের বরাতে ঘুবায়দী (র) বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “আবু হুরায়রা (রা) সাঈদ ইবনুল আসকে সংবাদ দেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মদীনা হতে নজদের দিকে আবানকে একটি অভিযানের দায়িত্ব দিয়ে পাঠালেন ৷ আবু হুরায়রা (রা)
বলেন, খায়বার জয়ের পর আবান এবং তার সাথিপণ খায়বারে রাসুলুরুম্রড়াহ্ (সা)এর সাথে সাক্ষাৎ
করেন ৷ এসময় তাদের ঘোড়া র দড়ি ছিল থেজুরের পাতায় নিঃবত ৷ আবু হুরায়রা ( বা) বলেন,
আমি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) কে বাংলায়, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! তাদেরকে ন্াৰীমতের কোন অংশ দেবেন
না ৷ ” আবান তখন বলে উঠলেন : “এ ব্যাপারে তুমি কেন কথা বলছ ? হে খরগােস ! তুমিত
যাল নামক পর্বতের চুড়া হতে নেমে এসেছ ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “ হে আধান, তুমি বসে
পড় ৷ ’রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে কোন অংশ দিলেন না ৷

এ হাদীছটি আবু দাউদ (ব) ষুবাইদী থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

এরপর ইমাম বুখারী (ব) সাঈদ ইবন আমর (বা) এর সনদে বলেন, আধান ইবন
সাঈদ (রা ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসলেন এবং সালাম দিলেন ৷ আবু হুরায়রা (বা) বলে
উঠলেন, ইয়৷ বাসুলাল্লাহ্ ! এ ব্যক্তিটিই ইবন কুকালের হতাকােরী ৷ আবান (বা) আবু হুরায়রা
(রা) কে বললেন, হে থেরগােস, তোমাকে নিয়ে অবাক হতে হয়, বলে নামক পর্বতের চুড়া হতে
তুমি নেমে এসে ঐ লোকটির মৃতু রে জন্যে তুমি আমাকে দায়ী ঠাওরাচ্ছে৷ ! অথচ আল্লাহ্
তাআলা আমার হাতে তাকে শাহাদতের মর্যাদা দান করেছেন এবং আমাকে তার হাতে
অপমানিত করার দায় থেকে রক্ষা করেছেন ? ইমাম বুখারী (র) এককভারে এ বর্ণনাটি পেশ
করেছেন এবং জিহাদের অধ্যায়ে হুমায়দী (রা)-এর হাদীছ বর্ণনা করার পর আবুহুরায়রা (রা)-এর
বরাতে বলেন , অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সুফিয়ান থেকেও আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে
অনুরুপ হাদীছ বর্ণিত রয়েছে ৷ লক্ষণীয় যে, এ হাদীছের মধ্যে আবু হুরায়রা (বা ) হতে স্পষ্টভাবে
বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি খায়বার যুদ্ধে উপ ত ছিলেন না ৷ এ অভিযানের বিবরণের শুরুতে তা
উল্লেখ করা হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (র) আবুহুরায়রা (বা) হতে বণ্টা৷ করেন ৷ তিনি বলেন, খায়বার
বিজয়ের পর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আগমন করেন এবং মুসলমানদের সাথে এ
ব্যাপারে কথা বলেন ৷ তাতে মুসলমানগণ তাকে তাদের পনীমতের অংশে অন্তভুক্ত করেন ৷

ইমাম আহমদ (ব) আমার ইবন আবুঅ৷ ৷ম্মার (বা )-এর বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, যে যুদ্ধে গনীমত পাওয়া ৷গিয়েছে এরুপ যে কোন যুদ্ধেই আমি অ×শ নিয়েছি, বাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাকে গনীমতের অংশ দিয়েছেন ৷ কিন্তু খায়বার যুদ্ধে দেন ন ই ৷ কেননা ৷,হুদায়বিয়া
সন্ধিতে যারা উপস্থিত ছিলেন৩ ৷দেরই জন্যে খায়বায়ের গনীমত স০ ×বক্ষিত ছিল ৷


تَنْظُرُوهُمْ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَرَّادٍ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، ثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: «قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ أَنِ افْتَتَحَ خَيْبَرَ، فَقَسَمَ لَنَا وَلَمْ يَقْسِمْ لِأَحَدٍ لَمْ يَشْهَدِ الْفَتْحَ غَيْرَنَا» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ وَصَحَّحَهُ مِنْ حَدِيثِ بُرَيْدٍ، بِهِ. وَقَدْ ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيَّ إِلَى النَّجَاشِيِّ، يَطْلُبُ مِنْهُ مَنْ بَقِيَ مِنْ أَصْحَابِهِ بِالْحَبَشَةِ، فَقَدِمُوا صُحْبَةَ جَعْفَرٍ وَقَدْ فَتَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَذَكَرَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الْأَجْلَحِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، «أَنَّ جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ خَيْبَرَ، فَقَبَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَالْتَزَمَهُ، وَقَالَ: " مَا أَدْرِي بِأَيِّهِمَا أَنَا أُسَرُّ، بِفَتْحِ خَيْبَرَ أَمْ بِقُدُومِ جَعْفَرٍ؟» وَهَكَذَا رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ৩১৭৮
الْأَجْلَحِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ مُرْسَلًا. وَأَسْنَدَ الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ حَسَنِ بْنِ حُسَيْنٍ الْعُرَنِيِّ، عَنِ الْأَجْلَحِ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَيْبَرَ قَدِمَ جَعْفَرٌ مِنَ الْحَبَشَةِ، فَتَلَقَّاهُ وَقَبَّلَ جَبْهَتَهُ وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَدْرِي بِأَيِّهِمَا أَفْرَحُ، بِفَتْحِ خَيْبَرَ أَمْ بِقُدُومِ جَعْفَرٍ» . ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ أَبِي إِسْمَاعِيلَ الْعَلَوِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَيْرُوتِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي طَيْبَةَ، حَدَّثَنِي مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الرُّعَيْنِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ، تَلَقَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا نَظَرَ جَعْفَرٌ إِلَيْهِ حَجَلَ - قَالَ مَكِّيٌّ: يَعْنِي مَشَى عَلَى رِجْلٍ وَاحِدَةٍ، إِعْظَامًا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَبَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ. ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فِي إِسْنَادِهِ مَنْ لَا يُعْرَفُ إِلَى الثَّوْرِيِّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ الَّذِينَ تَأَخَّرُوا مَعَ جَعْفَرٍ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ إِلَى أَنْ
পৃষ্ঠা - ৩১৭৯

গ্রন্থকার বলেন, “আবুহুরায়রা (রা) ও আবুঘুসা (রা) হুদায়বিয়৷ ও খায়বারের মধ্যবর্তী সময়ে
বাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে আগমন করেছিলেন ৷ ইমাম বুখারী (ব ) আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ
আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বংনাি করেন ৷ তিনি বলেন, “আমরা খায়বার বজয় করি; কিন্তু আমরা তাতে
স্বর্ণ ও রৌপোর কোন গনীমত লাভ করিনি ৷ আমরা গনীমত লাভ করেছি উট,গ্ গরু, আসবাবপত্র
ও রাগ-বাপিচা ৷ এরপর আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে ও যা৷দল করায় যাই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
-এর সাথে মিদআম নামক তার এক দাস ছিল ৷ বনুদাবীবের এক ব্যক্তি ওরাসুলুল্লাহ ( না) কেত
উপচৌকন স্বরুপ দিয়েছিলেন ৷ সে রাসুলুল্লাহ (সা) এর উটের গদি নামাবার সময় একটি তীর
এসে তার উপর পড়ল এবং যে তাতে মারা যায় ৷ জনতা তাকোহীদ জ্ঞানে অঙিনন্দিত করল,
কিভু রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, কখনও না ৷ কেননা, খ যবারেব দিন যে গনীমত বণ্টনের পুর্বেই
একটি চাদর চুরি করেছিল ৷ এ চা ৷দরটি তার উপর আগুন ঝরাচ্ছে৷ একথা শোনার পর কেউ কেউ
জুতার একটি ফিতা কিৎব৷ দুটি ফিতা নিয়ে হাযির হয়ে বহুন্ারুত লাগল, “এ জিনিসটি আমি
নিয়েছিলাম ৷” বাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “এটি জাহান্নামের একটিাইৰুতা বা দুইটি ফিত৷ ৷”

বিষ মিশ্রিত বকরীর ঘটনা ও নবুওয়াতের জলজ্যাম্ভ প্রমাণ

বুথারী (র) বলেন, উরওয়৷ (র) উম্মুল মু’মিনীন আইশ৷ (রা)-এর মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা)
হতে বর্ণনা করেছেন ৷ অপর সনদে তিনি আবুহুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, খায়বার বিজয় কালে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে একটি বিষ মিশ্রিত ভোন৷ বকবী হাদীয়া
স্বরুপ দেওয়া হয়েছিল ৷ এরুপে তিনি ঘটনাটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেশ করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) হাজ্জাজ — আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বংনি৷ করেন ৷ তিনি বলেন,
“যখন খায়বার বিজয় হয় তখন রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে একটি বিষ মিশ্রিত ভোন৷ বকবী হ৷ ৷দিয়া
দেওয়া হয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, এখানে যত ৩ইয়াহদী আছে সকলকে আমার কাছে ডেকে
নিয়ে আস ৷ তাদের সকলকে সমবেত করা হলে বাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি তোমাদেরকে
কিছু প্রশ্ন করব , তোমরা কি সত্য বলবে ? তারা বলল, “হী৷ , হে আবুল কাসিম !” বাসুলুল্লাহ (সা)
তাদেরকে বললেন, “ (শ্তামাদের পিতা কে ? তারা বলল, অমুক আমাদের পিতা ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন, তোমরা মিথ্যা বলেছ; বরং তোমাদের পিতা হচ্ছে অমুক ব্যক্তি ৷ তারা বলল, “আপনি
যথার্থ বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তামরা কি আম৷ ৷র সাথে সত ৷ কথা বলবে, যদি আমি
তোমাদেরকে আরো একটি কথা জিজ্ঞেস করি ? তারা বলল, জী হ্যা হে আবুল কাসিম ৷ আর
আমরা যদি মিথ্যা বলি তাহলেও আপনি আমাদের মিথ্যা বুঝতে পারবেন ৷ যেমন আমাদের পিতা
সম্বন্ধে মিথ্যা উক্তিটি আপনি বুঝতে পেরেছেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “জাহান্নামের
বাসিন্দা কারা ?ত তারা বলল, আমরা কিছু দিনের জন্যে জাহান্নামে থাকব ৷ এরপর আপনারা ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমরা কখনো তোমাদের পরে জাহান্নামে
থাকবন৷ ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ ( সা) তাদেরকে বললেন, “৫৩ আেরা কি আমার কাছে সত্য কথা
বলবে যদি আ ৷মি তোমাদেরকে আরো একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি ? ” তারা বলল, জী হ্যা হে আবুল
কাসিম ! তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “এ বকরীতে কি তোমরা বিষ প্রয়োগ করেছ ? তারা


قَدِمُوا مَعَهُ خَيْبَرَ سِتَّةَ عَشَرَ رَجُلًا وَسَرَدَ أَسْمَاءَهُمْ وَأَسْمَاءَ نِسَائِهِمْ وَهُمْ، جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الْهَاشِمِيُّ، وَامْرَأَتُهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ، وَابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ، وُلِدَ بِالْحَبَشَةِ، وَخَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَامْرَأَتُهُ أَمِينَةُ بِنْتُ خَلَفِ بْنِ أَسْعَدَ، وَوَلَدَاهُ سَعِيدٌ وَأَمَةُ بِنْتُ خَالِدٍ، وُلِدَا بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ، وَأَخُوهُ عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَمُعَيْقِيبُ بْنُ أَبِي فَاطِمَةَ، وَكَانَ إِلَى آلِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ. قَالَ: وَأَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ، حَلِيفُ آلِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَأَسْوَدُ بْنُ نَوْفَلِ بْنِ خُوَيْلِدِ بْنِ أَسَدٍ الْأَسَدِيُّ، وَجَهْمُ بْنُ قَيْسِ بْنِ عَبْدِ شُرَحْبِيلِ الْعَبْدَرِيُّ، وَقَدْ مَاتَتِ امْرَأَتُهُ أُمُّ حَرْمَلَةَ بِنْتُ عَبْدِ الْأَسْوَدِ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ، وَابْنُهُ عَمْرٌو وَابْنَتُهُ خُزَيْمَةُ مَاتَا بِهَا، رَحِمَهُمُ اللَّهُ، وَعَامِرُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ الزُّهْرِيُّ، وَعُتْبَةُ بْنُ مَسْعُودٍ، حَلِيفٌ لَهُمْ مِنْ هُذَيْلٍ، وَالْحَارِثُ بْنُ خَالِدِ بْنِ صَخْرٍ التَّيْمِيُّ، وَقَدْ هَلَكَتْ بِهَا امْرَأَتُهُ رَيْطَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ، رَحِمَهَا اللَّهُ، وَعُثْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ أُهْبَانَ الْجُمَحِيُّ، وَمَحْمِيَةُ بْنُ جَزْءٍ الزُّبَيْدِيُّ حَلِيفُ بَنِي سَهْمٍ، وَمَعْمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَضْلَةَ الْعَدَوِيُّ، وَأَبُو حَاطِبِ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَمَالِكُ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ الْعَامِرِيَّانِ، وَمَعَ مَالِكٍ هَذَا امْرَأَتُهُ عَمْرَةُ بِنْتُ السَّعْدِيِّ، وَالْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ قَيْسِ بْنِ لَقِيطٍ الْفِهْرِيُّ. قُلْتُ: وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ إِسْحَاقَ أَسْمَاءَ الْأَشْعَرِيِّينَ الَّذِينَ كَانُوا مَعَ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، وَأَخَوَيْهِ أَبَا بُرْدَةَ وَأَبَا رُهْمٍ، وَعَمَّهَ أَبَا عَامِرٍ، بَلْ لَمْ يَذْكُرْ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৩১৮০
الْأَشْعَرِيِّينَ غَيْرَ أَبِي مُوسَى، وَلَمْ يَتَعَرَّضْ لِذِكْرِ أَخَوَيْهِ وَهُمَا أَسَنُّ مِنْهُ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " وَكَأَنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، لَمْ يَطَّلِعْ عَلَى حَدِيثِ أَبِي مُوسَى فِي ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ: وَقَدْ كَانَ مَعَهُمْ فِي السَّفِينَتَيْنِ نِسَاءٌ، مِنْ نِسَاءِ مَنْ هَلَكَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ هُنَالِكَ. وَقَدْ حَرَّرَ هَاهُنَا شَيْئًا كَثِيرًا حَسَنًا. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا سُفْيَانُ، سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ وَسَأَلَهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَنْبَسَةُ بْنُ سَعِيدٍ، «أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ - يَعْنِي أَنْ يَقْسِمَ لَهُ - فَقَالَ بَعْضُ بَنِي سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ: لَا تُعْطِهِ. فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ هَذَا قَاتِلُ ابْنِ قَوْقَلٍ. فَقَالَ: وَاعْجَبًا لِوَبْرٍ تَدَلَّى مِنْ قَدُومِ الضَّأْنِ!» تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَيُذْكَرُ عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عَنْبَسَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يُخْبِرُ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩১৮১

বলল, “জী হীড়া ৷ ” রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কেন তোমরা এ কাজটি করতে গেলে ? তারা
বলল, “আমরা এটা এ উদ্দেশ্যে করেছিলাম যে, যদি আপনি মিথ্যাবাদী হয়ে থাকেন তাহলে
আমরা আপনার করল থেকে পরিত্রাণ পার আর যদি আপনি সত্য নবী হা;য় থাকেন, তাহলে এটা
আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ৷ ”

উপরোক্ত হাদীছটি ইমাম বুথারী (র) জিঘৃইয়া অধ্যায়ে আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ এবং মাপাযী
অধ্যায়ে কুতায়বা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

রায়হাকী (র) আবুআবদুল্লাহ হাফিয — — আবুহুরায়র৷ (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “একজন ইযাহুদী রমণী রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে একটি বিষ মিশ্রিত বকরী হাদিয়া স্বরুপ
দিয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাহাবীপণকে বললেন, “ এটা খ;শ্ওয়া থােহুৰু বিরত থাক ৷ কেননা,
এটাতে বিষ মিশ্রিত রয়েছে ৷” এবং রমণীটিকে বললেন, “তুমি <কন এটা করতে গেলে ?
রমণীটি বলল, “আমি আপনাকে পরীক্ষার মাধ্যমে জানবার ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম ৷ যদি আপনি
সত্য সত্য নবী হয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহ তাআলা আপনাকে এ ব্যাপারে সংবাদ দেবেন ৷ আর
যদি আপনি মিথ্যারাদী হন তাহলে আমি জনগণকে আপনার অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাবার ব্যবস্থা
করতে পারবো ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে আর কিছু বললেন না ৷

আবু দাউদ (র) ও ইমাম রায়হাকী (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) ওরায়হ ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ তবে
এতে অতিরিক্ত আছে এরপর হতে যখনই রাসুলুল্লড়াহ্ (সা ) কোন প্রকার বিষক্রিয়া অনুভব করতেন
তখনই রক্ত মোক্ষণ করাতেন ৷ একবার তিনি উমরা আদায়ের জন্যে বের হন ৷ যখন তিনি ইহরাম
র্বাধেন তখনই বিয়ের ক্রিয়া অনুভব করতে লাপলেন, তখন তিনি রক্ত মােক্ষণ করালেন ৷ ইমাম
আহমদ (র) এককভাবে এ রর্ণনাটি পেশ করেন ৷

ইমাম বুখারী ও মুসলিম ণ্ড’বা আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “একজন য়াহ্রদী মহিলা একটি বিষমিশ্রিত বকরী সহকারে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
সাক্ষাত করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বকরীর গোশত খান এবং তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন ৷
সে বলল, “আমি (চয়েছিলাম আপনাকে হত্যা করার জন্যে ৷ রাসুণুদ্বুত্রাহু (সা) বল ণে ন “আং;া৷হু
তাআলা কোন দিনও তোমাকে আমার উপর প্রভাব বিস্তার করতে দোবন না ৷ সাহাবায়ে কিরাম
বললেন, “আমরা কি ৩াকে হত৷ করব ?” রাসুপুপ্লাহু (সা) রলপেন, “না” আনম্পে (বা) বলেন,
“আমি সব সময়ই রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আলজিভে এ বিষক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতাম ৷









ইমাম আবু দাউদ (র) সুলায়মান ইবন দাউদ জাৰিব ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “খায়বারের একজন ইয়াহ্রদী মহিলা একটি ভুনা বকরীতে বিষ মিশায়
ও পরে তা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে হাদিয়া স্বরুপ পাঠায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি সামনের
রানের গোশত নিলেন ও খেলেন এবং তার সাহাবীরা কয়েকজন খেলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাহাবাপণকে বললেন, “ তোমরা হাত গুটিয়ে নাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটিকে ডেকে পড়াঠালেন
এবং তাকে বললেন, “তুমি কি এ বকরীতে বিষ মিশিয়েছ ? য়াহ্রদী মহিলাটি বলল, “আপনাকে


أَبَانَ عَلَى سَرِيَّةٍ مَنِ الْمَدِينَةِ قِبَلَ نَجِدٍ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَقَدِمَ أَبَانُ وَأَصْحَابُهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْبَرَ بَعْدَمَا افْتَتَحَهَا، وَإِنَّ حُزُمَ خَيْلِهِمْ لَلِيفٌ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَا تَقْسِمْ لَهُمْ. فَقَالَ أَبَانُ: وَأَنْتَ بِهَذَا يَا وَبْرُ تَحَدَّرَ مِنْ رَأْسِ ضَالٍ؟! فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا أَبَانُ، اجْلِسْ ". وَلَمْ يَقْسِمْ لَهُمْ» وَقَدْ أَسْنَدَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا الْحَدِيثَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيِّ، بِهِ نَحْوَهُ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنِي جَدِّي - وَهُوَ سَعِيدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ - «أَنَّ أَبَانَ بْنَ سَعِيدٍ أَقْبَلَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا قَاتِلُ ابْنِ قَوْقَلٍ. فَقَالَ أَبَانُ لِأَبِي هُرَيْرَةَ: وَاعْجَبًا لَكَ، وَبْرٌ تَرَدَّى مِنْ قَدُومِ ضَالٍ! تَنْعَى عَلَيَّ امْرَأً أَكْرَمَهُ اللَّهُ بِيَدِي، وَمَنَعَهُ أَنْ يُهِينَنِي بِيَدِهِ» ؟! هَكَذَا رَوَاهُ مُنْفَرِدًا بِهِ هَاهُنَا. وَقَالَ فِي الْجِهَادِ: حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩১৮২
عَنْبَسَةَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِخَيْبَرَ بَعْدَمَا افْتَتَحَهَا، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَسْهِمْ لِي. فَقَالَ بَعْضُ آلِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ: لَا تَقْسِمْ لَهُ. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا قَاتِلُ ابْنِ قَوْقَلٍ» . الْحَدِيثَ. قَالَ سُفْيَانُ: حَدَّثَنِيهِ السَّعِيدِيُّ - يَعْنِي عَمْرَو بْنَ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ - عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِهَذَا. فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ التَّصْرِيحُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِأَنَّهُ لَمْ يَشْهَدْ خَيْبَرَ وَتَقَدَّمَ فِي أَوَّلِ هَذِهِ الْغَزْوَةِ، رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ طَرِيقِ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَنَّهُ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَمَا افْتَتَحَ خَيْبَرَ فَكَلَّمَ الْمُسْلِمِينَ، فَأَشْرَكُونَا فِي أَسْهَامِهِمْ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رُوحٌ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: مَا شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَغْنَمًا قَطُّ إِلَّا قَسَمَ لِي، إِلَّا خَيْبَرَ، فَإِنَّهَا كَانَتْ لِأَهْلِ الْحُدَيْبِيَةِ خَاصَّةً. قُلْتُ: وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَأَبُو مُوسَى، جَاءَا بَيْنَ الْحُدَيْبِيَةِ وَخَيْبَرَ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي ثَوْرٌ، حَدَّثَنِي سَالِمٌ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: «افْتَتَحْنَا خَيْبَرَ فَلَمْ نَغْنَمُ ذَهَبًا وَلَا فِضَّةَ، إِنَّمَا
পৃষ্ঠা - ৩১৮৩
غَنِمْنَا الْإِبِلَ، وَالْبَقَرَ، وَالْمَتَاعَ، وَالْحَوَائِطَ، ثُمَّ انْصَرَفْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى وَادِي الْقُرَى، وَمَعَهُ عَبْدٌ لَهُ يُقَالُ لَهُ: مِدْعَمٌ. أَهْدَاهُ لَهُ بَعْضُ بَنِي الضُّبَيْبِ، فَبَيْنَمَا هُوَ يَحُطُّ رَحْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَهُ سَهْمٌ عَائِرٌ، حَتَّى أَصَابَ ذَلِكَ الْعَبْدَ، فَقَالَ النَّاسُ: هَنِيئًا لَهُ الشَّهَادَةُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَلَّا، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ الشَّمْلَةَ الَّتِي أَصَابَهَا يَوْمَ خَيْبَرَ، لَمْ تُصِبْهَا الْمَقَاسِمُ، لَتَشْتَعِلُ عَلَيْهِ نَارًا ". فَجَاءَ رَجُلٌ حِينَ سَمِعَ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشِرَاكٍ أَوْ شِرَاكَيْنِ فَقَالَ: هَذَا شَيْءٌ كُنْتُ أَصَبْتُهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " شِرَاكٌ أَوْ شِرَاكَانِ مِنْ نَارٍ» .
পৃষ্ঠা - ৩১৮৪

কে এ স বাদ দিল ? ” বাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আমার হাতে যা আছে এটা ই আমাকে সং বাদ
দিয়েছে অর্থাৎ বাশেব গােশত৷ ” মহিলাঢি বলল জী হ্যা রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন “তুমি কেন এ
কাজটি করতে গেলে ?” মহিলাটি বলল, “আমি মনে করেছিলাম, আপনি যদি নবী হয়ে থাকেন
তাহলে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না আর যদি নবী না হয়ে থাকেন তাহলে
আমরা আপনার অনিষ্ট থেকে অব্যাহতি অর্জন করব ৷” রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) এ যহিলাটিকে ক্ষমা করে
দেন, তাকে কোন শাস্তি দেননি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহাবীদের মধ্যে হারা এ গোশত
থেয়েছিলেন তাদের কেউ কেউ মৃতু ভ্যু মুখে পতিত হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিষ মিশ্রিত বকরী
খাওয়ায় পিঠের উপরিভাগ থেকে রক্ত মােক্ষণ করান ৷ এক সাহাবী আবু হিন্দ (রা), একটি ছুরি ও
সিৎগার সাহায্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রক্ত মােক্ষণ করেন ৷ তিনি ছিলেন অন্যেসারের বনু বায়াদার
একজন আযাদকৃত দাস ৷

এরপর আবু দাউদ (ব) ওহব ইবন বাকিয়্যা আবু সালাম৷ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, “ খায়বারে এক ইয়াহুদী মহিলা একটি ভুন৷ বকবী হাদিয়৷ স্বরুপ প্রেরণ
করেছিলেন ৷ বাকী হাদীছ পুর্বরুপ জাবিরের হাদীছের ন্যায় বর্ণনা করেন ৷ এরপর আবু সালামা (রা )
বলেন, এরপর বিশর ইবন বারা ইবন মা’রুর (রা)-এর বিষক্রিয়ায় ইন্তিকাল করেন ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইয়াহুদী মহিলার কাছে লোক প্রেরণ করেন ও তাকে বলেন, তুমি এ কাজটি
কেন করলে ? ” এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) এ মহিলাটিকে হত্যা করার হুকুম দিয়েছিলেন ৷ এ হাদীছে
রক্ত মােক্ষণের কোন উল্লেখ নেই ৷

বায়হাকী (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, প্রথমে
যহিলাটিকে হত্যা হয়ত করা হয়নি ৷ এরপর যখন বিশর ইবন বার৷ ইনতিকাল করেন তখন তাকে
হত্যা করার হুকুম দেওয়া হয় ৷

বায়হাকী( ব ) আবদুর রহমান ইবন কা ৷’ব ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, একজন ইয়াহ্রদী মহিলা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে খায়বারে একটি ভুনা বকরী হাদিয়া
প্রেরণ করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, “এটা কি ? সে বলল, “হাদিয়৷ ৷” সে সাদকা
না বলার ব্যাপারে সতর্ক ছিল, কেননা, তাহলে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) খাবেন না ৷ রাবী বলেন, “এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং তার সাহাবীগণ তা থেকে খেলেন ৷ এরপর তিনি বলেন, খাওয়া থেকে
বিরত থাক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি বিষ মিশ্রিত করেছ ?
মহিলাটি বলল, “আপনাকে কে এ সংবাদটি দিল ? তিনি বললেন, এ হাড়টি, যা৩ তার হাতে ছিল ৷
মহিলাটি বলল, “জী হ্যা” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কেন ?” মহিলাটি বলল, নামি ইচ্ছে
করেছিলাম যে, যদি আপনি মিথুাক হন তাহলে আমরা আপনার উপদ্রব থেকে পরিত্রাণ পাব ৷ আর
যদি আপনি সত্যিক৷ ৷র নবী হন তাহলে এটা আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না ৷ রাবী বলেন
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) পিঠের উপরিভ৷ ৷গ থেকে রক্ত মােক্ষণ করান এবং সাহাবায়ে কিরামকেও
এরুপ করতে হুকুম দেন ৷ সাহাবায়ে কিরামও রক্ত মোক্ষণ করান ৷ তবে তাদের একজন মারা
যান ৷ যুহরী (র ) বলেন, “মহিলাটি পরে মুসলমান হয়ে গিয়েছিল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) মহিলাটিকে
ক্ষমা করে দিয়েছিলেন ৷


[قِصَّةُ الشَّاةِ الْمَسْمُومَةِ] ذِكْرُ قِصَّةِ الشَّاةِ الْمَسْمُومَةِ، وَمَا كَانَ مِنَ الْبُرْهَانُ الَّذِي ظَهَرَ عِنْدَهَا قَالَ الْبُخَارِيُّ: رَوَاهُ عُرْوَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي سَعِيدٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «لَمَّا فُتِحَتْ خَيْبَرُ أُهْدِيَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةٌ فِيهَا سُمٌّ» . هَكَذَا أَوْرَدَهُ هَاهُنَا مُخْتَصَرًا. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا لَيْثٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «لَمَّا فُتِحَتْ خَيْبَرُ أُهْدِيَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةٌ فِيهَا سُمٌّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اجْمَعُوا لِي مَنْ كَانَ هَاهُنَا مِنَ الْيَهُودِ ". فَجَمَعُوا لَهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي سَائِلُكُمْ عَنْ شَيْءٍ، فَهَلْ أَنْتُمْ صَادِقِيَّ عَنْهُ؟ " قَالُوا: نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ. فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ أَبُوكُمْ؟ قَالُوا: أَبُونَا فُلَانٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كَذَبْتُمْ، بَلْ أَبُوكُمْ فُلَانٌ ". قَالُوا:
পৃষ্ঠা - ৩১৮৫
صَدَقْتَ وَبَرَرْتَ. فَقَالَ: " هَلْ أَنْتُمْ صَادِقِيَّ عَنْ شَيْءٍ إِنْ سَأَلْتُكُمْ عَنْهُ؟ " قَالُوا: نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ، وَإِنْ كَذَبْنَاكَ عَرَفْتَ كَذِبَنَا، كَمَا عَرَفْتَهُ فِي أَبِينَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ أَهْلُ النَّارِ؟ " فَقَالُوا: نَكُونُ فِيهَا يَسِيرًا، ثُمَّ تَخْلُفُونَا فِيهَا. فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَاللَّهِ لَا نَخْلُفُكُمْ فِيهَا أَبَدًا ". ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: " هَلْ أَنْتُمْ صَادِقِيَّ عَنْ شَيْءٍ سَأَلْتُكُمْ؟ " فَقَالُوا: نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ. فَقَالَ: " هَلْ جَعَلْتُمْ فِي هَذِهِ الشَّاةِ سُمًّا؟ " فَقَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: " مَا حَمَلَكُمْ عَلَى ذَلِكَ؟ ". قَالُوا: أَرَدْنَا إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا أَنْ نَسْتَرِيحَ مِنْكَ، وَإِنْ كُنْتَ نَبِيًّا لَمْ يَضُرَّكَ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي الْجِزْيَةِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، وَفِي الْمُغَازِي أَيْضًا، عَنْ قُتَيْبَةَ كِلَاهُمَا عَنِ اللَّيْثِ، بِهِ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «
পৃষ্ঠা - ৩১৮৬

ইবন লাহীয়াহ — — যুহ্রী (র) হতে উল্লেখ করেন যে, যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বার জয়
করলেন যারা নিহত হওয়ার তারা নিহত হলেন ৷ যয়নাব বিনৃত হারিছ ইয়াহ্দী মহিলা সাফিয়্যা
(রা) কে একটি বিষ মিশ্রিত ভুন৷ বকবী হাদিয়া পাঠাল ৷ মহিলাটি ছিল খায়বারের বীর মারহাবের
ভাতিজী ৷ সে সামনের রানে বেশী বিষ মিশ্রিত করেছিল, কেননা , সে জেনে নিয়েছিল যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সামনের পায়ের পােশত বেশী পসন্দ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফিয়্যা (রা)-এর
ঘরে চুকলেন তার সাথে ছিলেন বিশর ইবন বারা ইবন মা’রুর ৷ তিনি ছিলেন বনু সালামার
একজন ৷ তাদের কাছে ভুন৷ বকরীটি পেশ করা হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সামনের পায়ের রান থেকে
র্দাত দিয়ে কিছু গোশত কেটে খেলেন ৷ বিশ্ব (বা) ও একটি হাড় নিলেন এবং তার থেকে দীত
দিয়ে কিছু গোশত থেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন লুকমাঢি গিলে ৷হৰুলেন বিশর ইবন বারাও তার
মুখে যা ছিল তা গিলে ফেললেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তৎক্ষণাৎ বলে উঠলেন, তোমরা খাওয়া থেকে
বিরত থাক ৷ বকরীর টুকরাটি আমাকে সং বাদ দিচ্ছে যে এটার মধ্যে মৃত্যু নিহিত রয়েছে ৷ বিশর
ইবন আল বারা (রা) বলেন, “ঐ সত্তা র শপথ, যিনি আপনাকে মর্যাদা দান করেছেন আমি আমার
খাবারের মধ্যে এটা টের পেয়েছিলাম, কিন্তু আমি আমার খাবার এ ভয়ে ফেলে দেইনি যে হয়ত
এতে আপনি বিরক্তিবােধ করবেন ৷ এরপর আ পনার মুখে যা ছিল তা আপনি গিলে ফেললে আমি
তা থেকে বিরত থাকতে পারিনি, যদিও আমি ঢেয়েছিলাম যে আপনি যেন তা না পিলেন, যার
মধ্যে মৃত্যু নিহিত রয়েছে ৷ বিশর (রা) নিজ স্থান থেকে উঠে র্দাড়াতে পারলেন না, তার গায়ের
রং সবুজ চাদরের আকার ধারণ করল ৷ ১ তবে ব্যথা আর তাকে বেশী সময় দিলন৷ ৷ তিনি যেন
আর নড়াচড়া করতে পারছেন না এবং তিনি চলে পড়লেন ৷

যুহ্রী বলেন, জাবির (রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঐদিন রক্ত মোক্ষণ করান ৷ বনুবায়াদা
এর একজন দাস ত৷ ৷কে ছুরি ও সিংগার সাহায্যে রক্ত মােক্ষণ করেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তিন
বছর জীবিত ছিলেন ৷ আ র এ ব্যথায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷ তিনি বলরুত ন খায়বারের দিন আমি
যে বকরীটির গোশত থেয়েছিলাম তার ব্যথা আমি প্রায়ই অনুভব করতাম এমনকি মৃতার সময়
এর কারণে যেন আমার হৃদয় হতে শ্যেগিত স্রোতোবাহী ধমনীটি ছিড়ে গেছে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্
(সা) শাহাদতের মৃত্যুবরণ করেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, খায়বারের যুদ্ধে যখন রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) জয়লাভ করে স্বস্থির
নিঃশ্বাস ফেললেন, তখন সাল্লাম ইবন মিশকামের ত্রী যয়নাব বিনৃত হারিছ রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) এর
কাছে একটি ভুন৷ বকবী হাদিয়া স্বরুপ প্রেরণ করল ৷ রকরীর কোন অংশটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকট অধিকতর প্রিয় যে তা জানতে চেয়েছিল ৷ তখন তাকে বলা হয়েছিল সামনের পায়ের রান ৷
তাই যে তাতে বেশী বিষ মিশ্রিত করেছিল ৷ এরপর গোটা বকরীতে বিষ মিশ্রিত করল এবং তা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে নিয়ে আসল ৷ যখন সে বকরীটি তার সামনে রাখল তখন তিনি
সামনের পায়ের রানটি উঠিয়ে তার থেকে এক টুকরা চিরালেন; কিন্তু তা গিললেন ন৷ ৷ আর তার
সাথে ছিলেন বিশর ইবন বারা ইবন মারুর ৷ তিনিও তারই মত ৩বকরীর সামনের পায়ের রান
থেকে কিছু গােশত নিলেন,ত তবে বিশর (রা)৩ তা পিলে ফেললেন ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) তা মুখ

১ বাংলা পরিভাষায় বিযক্রিয়ার প্রভাবকে নীিল বলা হলেও আরবী পরিভাষায় খাযর বা সবুজ শব্দটি
ব্যবহৃত হয়ে থাকে ৷ সম্পাদকদ্বয় ৷




أَنَّ امْرَأَةً مِنَ الْيَهُودِ أَهْدَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةً مَسْمُومَةً، فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: " أَمْسِكُوا، فَإِنَّهَا مَسْمُومَةٌ " وَقَالَ لَهَا: مَا حَمَلَكِ عَلَى مَا صَنَعْتِ؟ قَالَتْ: أَرَدْتُ أَنْ أَعْلَمَ، إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا فَسَيُطْلِعُكَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَإِنْ كُنْتَ كَاذِبًا أُرِيحُ النَّاسَ مِنْكَ. قَالَ: فَمَا عَرَضَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ هَارُونِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سُلَيْمَانَ، بِهِ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ نَحْوَ ذَلِكَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُرَيْجٌ، ثَنَا عَبَّادٌ، عَنْ هِلَالٍ - هُوَ ابْنُ خَبَّابٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ امْرَأَةً مِنَ الْيَهُودِ أَهَدَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةً مَسْمُومَةً، فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَقَالَ: " مَا حَمَلَكِ عَلَى مَا صَنَعْتِ؟ " قَالَتْ: أَحْبَبْتُ - أَوْ أَرَدْتُ - إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا فَإِنَّ اللَّهَ سَيُطْلِعُكَ عَلَيْهِ، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ نَبِيًّا أُرِيحُ النَّاسَ مِنْكَ. قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا احْتَجَمَ. قَالَ: فَسَافَرَ مَرَّةً، فَلَمَّا أَحْرَمَ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَاحْتَجَمَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ حَسَنٌ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، «عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ امْرَأَةً يَهُودِيَّةً أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَاةٍ مَسْمُومَةٍ، فَأَكَلَ مِنْهَا، فَجِيءَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ، قَالَتْ: أَرَدْتُ لِأَقْتُلَكَ. فَقَالَ: " مَا
পৃষ্ঠা - ৩১৮৭
كَانَ اللَّهُ لِيُسَلِّطَكِ عَلَيَّ ". أَوْ قَالَ: " عَلَى ذَلِكَ ". قَالُوا: أَلَا نَقْتُلُهَا؟ قَالَ: " لَا " قَالَ: أَنَسٌ فَمَا زِلْتُ أَعْرِفُهَا فِي لَهَوَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ: قَالَ كَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ «أَنَّ يَهُودِيَّةً مِنْ أَهْلِ خَيْبَرَ سَمَّتْ شَاةً مَصْلِيَّةً، ثُمَّ أَهْدَتْهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الذِّرَاعَ، فَأَكَلَ مِنْهَا، وَأَكَلَ رَهْطٌ مِنْ أَصْحَابِهِ مَعَهُ، ثُمَّ قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ ". وَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَرْأَةِ، فَدَعَاهَا فَقَالَ لَهَا: " أَسَمَمْتِ هَذِهِ الشَّاةَ؟ " قَالَتِ الْيَهُودِيَّةُ: مَنْ أَخْبَرَكَ؟ قَالَ: " أَخْبَرَتْنِي هَذِهِ الَّتِي فِي يَدِي ". وَهِيَ الذِّرَاعُ. قَالَتْ: نَعَمْ. قَالَ: " فَمَا أَرَدْتِ بِذَلِكَ؟ " قَالَتْ: قُلْتُ: إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا فَلَنْ تَضُرَّكَ، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ نَبِيًّا اسْتَرَحْنَا مِنْكَ. فَعَفَا عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يُعَاقِبْهَا، وَتُوَفِّيَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ أَكَلُوا مِنَ الشَّاةِ، وَاحْتَجَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى كَاهِلِهِ، مِنْ أَجْلِ الَّذِي
পৃষ্ঠা - ৩১৮৮

থেকে ফেলে দিয়ে বললেন এ হাড়টি আমাকে সং বাদ দিচ্ছে যে তার মধ্যে বিষ মিশ্রিত করা
হয়েছে ৷ এরপর মহিলাটিকে রাসুলুল্লাহ (সা ) ড ৷কলেন এবং জিজ্ঞেস করায় সেত তা স্বীকার করল ৷
তিনি বললেন, “তুমি এ কা ৷জটি কেন করলে ?” মহিলাটি বলল “আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে আমার
মর্যাদা সম্পর্কে আপনি জানেন ৷৩ তাই একজন নেত্রী হিসাবে আমি ইচ্ছে পোষণ করেছিলাম যে,
যদি আপনি মিথ্যাবাদী হন তাহলে আমি আপন র অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাব ৷ আর যদি আপনি সত্যি
সত্যি নবী হন তাহলে আপনাকে এ ব্যাপারে সংবাদ দেয়া হবে ৷ রাবী বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে ক্ষমা করে দেন ৷ আর বিশ ৷র (বা ) বকরীর গোশত খাওয়ার কা ৷রণে ইনতি৷ ক ৷ল করেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন মারওয়ান ইবন উছমান ইবন আবু সাঈদ আল মুয়াল্লাহ তাকে বলেছেন
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে রোগ শয্যায় মৃতু ত্যুবরণ করেন তথায বিশর ইবন বাবা ইবন
মা কর এর ভগ্নি উপস্থিত হলে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, হে বিশরের বোন ! ণ্৷ মুহতে আমি
বো ধ করতেছি যে, খায়বারে তোমার ভইিয়ের সাথে যে বকরীর পােশত থাে:হ্বাছিলাম তার কারণে
যেন, আমার ধমনী ছিড়ে গেছে ৷” রাবী বলেন, মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহর রাসুল
(সা) আল্লাহ প্রদত্ত নবুওয়াতের সৃমহান মর্যাদার সাথে সাথে এভাবে শাহাদতের মর্যাদাও লাভ
করেছিলেন ৷

হাফিয আবু বকর আল-বাঘৃযার (র) হিলাল ইবন বিশর আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা )
সুত্রেও ঘটনাটি বংনাি করেছেন ৷ এতে অতিরিক্ত আছে এরপর তিনি হাত বাড়ালেন এবং সকলকে
বললেন, “আল্লাহর নামে খাও ৷ ” রাবী বলেন, আমরা আল্লাহর নাম নিয়ে যেলাম ৷ আমাদের
কারো কোন ক্ষতি হয় নাই ৷

গ্রন্থকার বলেন, এ বংনািয় বেশ কিছু বিরল ও অগ্রহণযোগ্য ব্যাপার রয়েছে ৷ আল্লাহ
তাআলাই অধিক জ্ঞাত ৷

ওয়াকিদী উল্লেখ করেন, উয়ায়ন৷ ইবন হিসৃন মুসলমান হওয়ার পুর্বে রাসুলুল্লাহ (সা) খায়বার
অবরোধ করে রয়েছেন স্বপ্ন দেখে , রাসুলুল্লাহ (সা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করার আশা পোষণ
করছিল ৷ যখন সে খায়বারে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর কাছে আগমন করল তখন দেখল যে, তিনি
খায়বার জয় করে ফেলেছেন ৷ সে বলল, হে মুহাম্মাদ ! আমার মিত্র খায়বারবাসীদের কাছ থেকে
তুমি যে পনীমত অর্জন করেছ৩ তা আমাকে দিয়ে দাও ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে বললেন, তোমার
স্বপ্ন তোমাকে প্ৰতারিত করেছে ৷ সে য৷ দেথেছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার বর্ণনা পেশ করেন ৷
এরপর উয়ায়না ফিরে যায় ৷ তখন হারিছ ইবন আউফের সাথে তার সাক্ষাত হল ৷ হারিছ বললেন
আমি কি তোমাকে বলিনি যে, “তুমি ভুল করছ ৷ আল্লাহ্র শপথ! মুহাম্মাদ পুর্ব দিগন্ত হতে
পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত জয় করবেন ৷ ইয়াহুদীরা আমাদেরকে পৃর্বে এ ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে ৷৩ তাই
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আবু রাফি সাল্লাম ইবন আবুল হুকাইককে বলতে শুনেছি ৷ সে
বলেছে, “আমরা নবুওয়াতের ব্যাপারে ঘুহাম্মাদকে হিৎসা করছি ৷ কেননা, তার মাধ্যমে হারুন
(আ)-এর বংশ থেকে নবুওয়াত বের হয়ে গেল ৷ তিনি নিশ্চয়ই একজন প্রেরিত মহাপুরুষ ৷ আর
ইয়াহ্রদীরা এ ব্যাপারে আমার কথা মান্য করছে না ৷ আমাদের জন্যে তার পক্ষ হতে দুটি হত্যাযজ্ঞ
রয়েছে একটি ইয়াছরিবে এবং অপরটি খায়বারে ৷ হারিছ বলেন, আমি সাল্লামকে আরো


أَكَلَ مِنَ الشَّاةِ، حَجَمَهُ أَبُو هِنْدٍ بِالْقَرْنِ، وَالشَّفْرَةِ وَهُوَ مَوْلَى لِبَنِي بَيَاضَةَ مِنَ الْأَنْصَارِ» . ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، ثَنَا خَالِدٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْدَتْ لَهُ يَهُودِيَّةٌ بِخَيْبَرَ شَاةً مَصْلِيَّةً، نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ، قَالَ: فَمَاتَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ، فَأَرْسَلَ إِلَى الْيَهُودِيَّةِ، فَقَالَ: " «مَا حَمَلَكِ عَلَى الَّذِي صَنَعْتِ؟» " فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ، فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُتِلَتْ. وَلَمْ يَذْكُرْ أَمْرَ الْحِجَامَةِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَوَيْنَاهُ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: وَيُحْتَمَلُ أَنَّهُ لَمْ يَقْتُلْهَا فِي الِابْتِدَاءِ، ثُمَّ لَمَّا مَاتَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ أَمَرَ بِقَتْلِهَا. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ امْرَأَةً يَهُودِيَّةً أَهْدَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةً مَصْلِيَّةً بِخَيْبَرَ، فَقَالَ: " مَا هَذِهِ؟ " قَالَتْ: هَدِيَّةٌ. وَحَذِرَتْ أَنْ تَقُولَ: صَدَقَةٌ. فَلَا يَأْكُلُ. قَالَ: فَأَكَلَ وَأَصْحَابُهُ، ثُمَّ قَالَ: " أَمْسِكُوا ". ثُمَّ قَالَ
পৃষ্ঠা - ৩১৮৯
لِلْمَرْأَةِ: " هَلْ سَمَمْتِ هَذِهِ الشَّاةَ؟ " قَالَتْ: مَنْ أَخْبَرَكَ هَذَا؟ قَالَ: " هَذَا الْعَظْمُ ". لِسَاقِهَا، وَهُوَ فِي يَدِهِ. قَالَتْ: نَعَمْ. قَالَ: " لِمَ؟ " قَالَتْ: أَرَدْتُ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا أَنْ نَسْتَرِيحَ مِنْكَ، وَإِنْ كُنْتَ نَبِيًّا لَمْ يَضُرَّكَ. قَالَ: فَاحْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْكَاهِلِ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ فَاحْتَجَمُوا، وَمَاتَ بَعْضُهُمْ» . قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَأَسْلَمَتْ، فَتَرَكَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: هَذَا مُرْسَلٌ، وَلَعَلَّهُ قَدْ يَكُونُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ حَمَلَهُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَذَكَرَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، وَكَذَلِكَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالُوا: «لَمَّا فَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ، وَقَتَلَ مِنْهُمْ مَنْ قَتَلَ، أَهْدَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ الْحَارِثِ الْيَهُودِيَّةُ - وَهِيَ ابْنَةُ أَخِي مَرْحَبٍ - لِصَفِيَّةَ شَاةً مَصْلِيَّةً وَسَمَّتْهَا، وَأَكْثَرَتْ فِي الْكَتِفِ وَالذِّرَاعِ، لِأَنَّهُ بَلَغَهَا أَنَّهُ أَحَبُّ أَعْضَاءِ الشَّاةِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى صَفِيَّةَ، وَمَعَهُ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ، وَهُوَ أَحَدُ بَنِي سَلَمَةَ، فَقَدَّمَتْ إِلَيْهِمُ الشَّاةَ الْمَصْلِيَّةَ، فَتَنَاوَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَتِفَ، وَانْتَهَشَ مِنْهَا، وَتَنَاوَلَ بِشْرٌ عَظْمًا فَانْتَهَشَ مِنْهُ، فَلَمَّا اسْتَرَطَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لُقْمَتَهُ، اسْتَرَطَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ مَا فِي فِيهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ، فَإِنَّ كَتِفَ هَذِهِ الشَّاةِ يُخْبِرُنِي أَنِّي نُعِيتُ فِيهَا ".
পৃষ্ঠা - ৩১৯০
’ ণ্


বললাম , তিনি কি গোটা ভু-খণ্ডের অধিপতি হবেন ? সে বলল, “ইব্রুা, যে তাওরাত মুসা (আ)-এর
উপর নাযিল হয়েছে এটা তারই বাণী, তবে আমি চাইন৷ যে ইয়াহ্রদীরা এ বিষয়ে আমার এ বক্তব্য
অবগত হোক ৷

সালড়াত কাযা হওয়ার ঘটনা

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যখন খায়বার বিজয় সম্পন্ন করলেন তখন ওয়াদিল্
করার দিকে অগ্রসর হলেন এবং সেখানকার বাসিন্দাদেরকে কয়েক রাত অবরোধ করে রাখলেন ৷
এরপর তিনি মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন ৷ ইবন ইসহাক মিদৃআমের ঘটান৷ বর্ণনা করেন ৷ (কমন
করে বিক্ষিপ্ত তীর তার পায়ে লেগেছিল এবং সে নিহত হলো ৷ জনগণ বল:ত লাগল তার জন্যে
শাহাদত শুভ হোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কখনো না ৷ যে সত্তাব হাতে আমার জান, তার
শপথ করে বলছি, থায়বারেব দিন গনীমত বিতরগ্নের পুর্বে একটি চাদর গোপন করেছিল ৷ এটার
দরুন তার উপর অগ্নি প্রজ্বলিত হতে থাকবে ৷

বুখারীতে ইবন ইসহাকের অনুরুপ বর্ণনা পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ইমাম আহমদ (র) — যায়িদ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রা ) হতে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণের মধ্য হতে আশজা গোত্রের এক ব্যক্তি খায়বারের দিন
নিহত হয় ৷ এ সম্বন্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-(ক অবগত করা হলে তিনি বলেন, তোমাদের সাথীর
জন্যে (তামরাই জানাযার সালাত আদায় করো ৷ তাতে অনেরেইি বিমর্ষ হয়ে পড়লেন ৷ হুযুর
(সা ) বললেন, তোমাদের এ সাথীটি আল্লাহ্র সম্পদ আত্মসাৎ করেছে ৷ আমরা তার বিছানাপত্র
তল্লাশী করলাম ৷ তার মধ্যে ইয়াহ্রদীদের একটি হার পাওয়া গেল যার মুল্য ছিল মাত্র দুই
দিরহাম ৷ আবু দাউদ (র ) এবং ইমাম নড়াসাঈ (র ) ও ইয়াহয়া ইবন সাঈদ আল কাত্তানের মাধ্যমে
অনুরুপ বংনি৷ করেন ৷

ইমাম বায়হার্কী (র) উল্লেখ করেন যে, খায়বার থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে বনু ফাযারা মনস্থু করল এবং এজন্যে তারা সৈন্য সমাবেশ
করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এ সম্পর্কে অবগত হয়ে একটি সুনির্দিষ্ট স্থানে মৃকাবিলার জন্যে নিজেদের
প্রস্তুতি সম্পর্কে সংবাদ জানাবার জন্যে একজন দুত পাঠালেন ৷ যখন তারা মুসলমানদের প্রস্তুতি
সম্পর্কে নিশ্চিত হল তখন তারা যে যেভাবে পারল পালিয়ে প্রাণ বীচাল ৷

ইমাম বায়হাকী (র) আরো বলেন যে, মদীনায় পথে সাদ্দুস-সড়াহ্বা নামক এক জায়গায় যখন
হযরত সাফিয়্যা (রা) পবিত্রত৷ অর্জন করলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (না) তার সাথে বাসর করলেন
হাইস দ্বারা ওলীমা করলেন এবং সেখানে তার সাথে তিন রাত্রি যাপন করলেন ৷ হযরত সাফিয়্যা
(রা) মুসলমান হলেন, রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে আযাদ করে দিলেন ৷ তাকে ব্যিয় করলেন এবং
তার মুক্তিকে মােহরান৷ সাব্যস্ত করলেন ৷ তিনি যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সফর সৎগী ছিলেন
তখন রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে নিজের পিছনে বসিয়ে দেন এবং তার জন্যে পর্দার ব্যবস্থা করে দেন ৷
এতে মুসলমানগণ বুঝতে পারলেন যে, তিনি তখন একজন উম্মুল মু’মিনীন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক তার সীরাত গ্রন্থে আরো উল্লেখ করেন যে, খায়বার কিৎবা খায়বারেব
৪৮ —


فَقَالَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ: وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لَقَدْ وَجَدْتُ ذَلِكَ فِي أَكْلَتِي الَّتِي أَكَلْتُ، فَمَا مَنَعَنِي أَنْ أَلْفِظَهَا إِلَّا أَنِّي أَعْظَمْتُكَ أَنْ أُنَغِّصَكَ طَعَامَكَ، فَلَمَّا أَسَغْتَ مَا فِي فِيكَ، لَمْ أَرْغَبْ بِنَفْسِي عَنْ نَفْسِكَ، وَرَجَوْتُ أَنْ لَا تَكُونَ اسْتَرَطْتَهَا وَفِيهَا نَعْيٌ. فَلَمْ يَقُمْ بِشْرٌ مِنْ مَكَانِهِ حَتَّى عَادَ لَوْنُهُ كَالطَّيْلَسَانِ، وَمَاطَلَهُ وَجَعُهُ، حَتَّى كَانَ لَا يَتَحَوَّلُ حَتَّى يُحَوَّلَ» قَالَ الزُّهْرِيُّ: قَالَ جَابِرٌ: «وَاحْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ، حَجَمَهُ مَوْلَى بَنِي بَيَاضَةَ بِالْقَرْنِ وَالشَّفْرَةِ، وَبَقِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَهُ ثَلَاثَ سِنِينَ، حَتَّى كَانَ وَجَعُهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، فَقَالَ: " مَا زِلْتُ أَجِدُ مِنَ الْأَكْلَةِ الَّتِي أَكَلْتُ مِنَ الشَّاةِ يَوْمَ خَيْبَرَ عِدَادًا، حَتَّى كَانَ هَذَا أَوَانَ انْقِطَاعِ أَبْهَرِي» ". فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهِيدًا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: «فَلَمَّا اطْمَأَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْدَتْ لَهُ زَيْنَبُ بِنْتُ الْحَارِثِ امْرَأَةُ سَلَّامِ بْنِ مِشْكَمٍ شَاةً مَصْلِيَّةً، وَقَدْ سَأَلَتْ: أَيُّ عُضْوٍ أَحَبُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقِيلَ لَهَا: الذِّرَاعُ، فَأَكْثَرَتْ فِيهَا مِنَ السُّمِّ، ثُمَّ سَمَّتْ سَائِرَ الشَّاةِ، ثُمَّ جَاءَتْ بِهَا، فَلَمَّا وَضَعَتْهَا بَيْنَ يَدَيْهِ، تَنَاوَلَ الذِّرَاعِ، فَلَاكَ
পৃষ্ঠা - ৩১৯১
مِنْهَا مُضْغَةً فَلَمْ يُسِغْهَا، وَمَعَهُ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ، قَدْ أَخَذَ مِنْهَا كَمَا أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَّا بِشْرٌ فَأَسَاغَهَا، وَأَمَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَفَظَهَا، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ هَذَا الْعَظْمَ يُخْبِرُنِي أَنَّهُ مَسْمُومٌ ". ثُمَّ دَعَا بِهَا، فَاعْتَرَفَتْ، فَقَالَ: " مَا حَمَلَكِ عَلَى ذَلِكَ؟ " قَالَتْ: بَلَغْتَ مِنْ قَوْمِي مَا لَمْ يَخْفَ عَلَيْكَ فَقُلْتُ: إِنْ كَانَ كَذَّابًا اسْتَرَحْتُ مِنْهُ، وَإِنْ كَانَ نَبِيًّا فَسَيُخْبَرُ قَالَ: فَتَجَاوَزَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَاتَ بِشْرٌ مِنْ أَكْلَتِهِ الَّتِي أَكَلَ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَرْوَانُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَالَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ - وَدَخَلَتْ عَلَيْهِ أُمُّ بِشْرِ بْنِ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ -: " يَا أُمَّ بِشْرٍ، إِنَّ هَذَا الْأَوَانَ وَجَدْتُ انْقِطَاعَ أَبْهَرِي مِنَ الْأَكْلَةِ الَّتِي أَكَلْتُ مَعَ أَخِيكِ بِخَيْبَرَ ".» قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: الْأَبْهَرُ: الْعِرْقُ الْمُعَلَّقُ بِالْقَلْبِ. قَالَ: فَإِنْ كَانَ الْمُسْلِمُونَ لَيَرَوْنَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ شَهِيدًا، مَعَ مَا أَكْرَمَهُ اللَّهُ بِهِ مِنَ النُّبُوَّةِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا هِلَالُ بْنُ بِشْرٍ وَسُلَيْمَانُ بْنُ سَيْفٍ
পৃষ্ঠা - ৩১৯২

পথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফিয়্যা (রা)-এর সাথে বাসর করলেন, আনাস বিন মালিক (বা)-এর মাতা
উম্মে সুলায়ম বিনৃত মিলহ ন (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্যে সাফিয়্যা (রা) কে সাজান, চুল
আচড়িয়ে দেন ও (বশভুষায় সজ্জিত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাকে নিয়ে একটি তাবুতে রাত
যাপন করেন ৷ আবু অাইযুব আনসারী (রা ) তরবারি হাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে সারারাত পাহারা
দেন ৷ ভোরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন তাকে তার জায়গায় দেখলেন তখন তিনি বললেন, হে আবু
আইয়ুব ! কী ব্যাপার ? তিনি বললেন এ মহিলা সম্পর্কে আপনার বাপারে আমি শঙ্কিত ছিলাম ৷
কেননা, আপনি তার পিতা,ামী ও তার সম্প্রদায়কে হত্যার নির্দেশাদয়েছিলেনঃ ৷ আর তিনি অল্প
কদিন আগেও অমুসলিম ছিলেন এজন্য আমি শঙ্কিত ছিলাম ৷ স হাশ্বায়ে কিরাম (বা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন , হে আল্লাহ্ ৷ আপনি আবু আইয়ুবকে হিফাযত করুন যেভাবে তিনি রাত
জেগে জেগে আমাকে হিফাযত করেছেন ৷

এরপর মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, সাঈদ ইবন মুসাইয়িৎ (র) এ)-র বরাতে যুহরী (র)
আমাকে খাযবার থেকে প্রতব্রাবর্তনের সময় ফজরের সালাত আদায় বটুা৩াত সাহাবায়ে কিরামেব
নিদ্রায় মগ্ন হয়ে পড়ার বিষয়টি আমাকে অবহিত করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ই সর্বপ্রথম সজাগ হন
এবং বলেন, হে বিলাল, “তুমি কী করলে ? ” বিলাল (রা) বলেন, ইয়া বাসুলাল্লাহ্ (সা ) যে রুিদা
আপনাকে কাবু করেছে তা আমাকে ও কাবু করে কেলেছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেন, “তুমি
যথার্থাং বলেছ” ৷ এরপর কিছুক্ষণ আবার উট ইাকানাে হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অবতরণ করলেন,
উয়ু করলেন এবং যথারীতি ফজরের সালাত আদায় করলেন ৷

এ হাদীছটি যুহরী হতে ইমাম মালিক (র) ও অন্য সনদে মুরসাল রুপে বংনাি করেছেন ৷

আবু দাউদ (র) ও আবু হুরায়রা (রা)-এর বরাতে এ ঘটনাটি অনুদৃঘটিত বর্ণনা
করেন, তাতে অতিরিক্ত আছে ; সালাত সমাপ্তির পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেনং হু১£০;ন্ ৰু ন্ট্রুন্
(ছুার্মু,দ্বুট্রু ৷ট্রু ৷ ৷শুাহ্লাৰু অর্থাৎ যদি কেউ কোন সালাত পড়তে ভুলে যায় তাহলে যখনই স্মরণ
হবে তখনই যে তা আদায় করে নেবে ৷ কেননা, আল্লাহ্ তাআলা কুবআনুল কারীমে ইরশাদ
করেনং :§ ,$;fl ল্গুপ্রুা৷ ৷ ণ্ ৷ , অর্থাৎ আমার স্মরণার্থো সালাত কায়েম কর ৷ (২০ তাহা : ১৪)

মুসলিম (র) ও টআবদুল্লাহ ইবন ওহাব হতে অনুরুপ বর্ণনাকরেন এবং এ বর্ণনায় ও
খায়বাব থেকে প্ৰতাবর্তনের সময় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে উল্লেখ রয়েছে ৷
শুবা (র) ইবন মাসউদ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন , আসলে এ ঘটনাটি

ঘটেছিল হুদায়বিয়া থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় ৷ আর বিলাল (রা)-ই পাহারায় রত ছিলেন বলে
উল্লেখ রয়েছে ৷ অপর বর্ণনায় আছে, এ ঘটনায় পাহারারত ছিলেন ইবন মাসউদ (রা) নিজে ৷
উপরোক্ত বিরোধু নিরসনকল্পে ইমাম বায়হাকী (র) বলেন, এরুপ ঘটনা দুই বারও ঘটে
থাকতে পারে ৷
ওয়াকিদী আবু কাতাদা (রা)এর বরাতে বলেন যে সাহাবায়ে কিরাম তাবুক যুদ্ধ থেকে
প্রত্যাবর্তনের সময় এ ঘটনাটি ঘটে ৷ জাফর ইবন সুলায়মান ইবন মাসউদ (রা ) থেকে
বংনাি করেন যে, সাহাবায়ে কিরাম তাবুক হতে প্রত্যাবর্তনের সময় এ ঘটনা ঘটে ৷


الْحَرَّانِيُّ قَالَا: ثَنَا أَبُو عَتَّابٍ سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ: «أَنَّ يَهُودِيَّةً أَهْدَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةً سَمِيطًا، فَلَمَّا بَسَطَ الْقَوْمُ أَيْدِيَهُمْ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمْسِكُوا فَإِنَّ عُضْوًا مِنْ أَعْضَائِهَا يُخْبِرُنِي أَنَّهَا مَسْمُومَةٌ ". فَأَرْسَلَ إِلَى صَاحِبَتِهَا: " أَسَمَمْتِ طَعَامَكِ؟ " قَالَتْ: نَعَمْ. قَالَ: " مَا حَمَلَكِ عَلَى ذَلِكَ؟ " قَالَتْ: إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا أَنْ أُرِيحَ النَّاسَ مِنْكَ، وَإِنْ كُنْتَ صَادِقًا عَلِمْتُ أَنَّ اللَّهَ سَيُطْلِعُكَ عَلَيْهِ. فَبَسَطَ يَدَهُ وَقَالَ: " كُلُوا بِسْمِ اللَّهِ ". قَالَ: فَأَكَلْنَا وَذَكَرْنَا اسْمَ اللَّهِ، فَلَمْ يَضُرَّ أَحَدٌ مِنَّا» ثُمَ قَالَ: لَا يُرْوَى عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي نَضْرَةَ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. قُلْتُ: وَفِيهِ نَكَارَةٌ وَغَرَابَةٌ شَدِيدَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ عُيَيْنَةَ بْنَ حِصْنٍ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ رَأَى فِي مَنَامِهِ رُؤْيَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَاصِرٌ خَيْبَرَ، فَطَمِعَ مِنْ رُؤْيَاهُ أَنْ يُقَاتِلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَظْفَرُ بِهِ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ وَجَدَهُ قَدِ افْتَتَحَهَا، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَعْطِنِي مَا غَنِمْتَ مِنْ حُلَفَائِي - يَعْنِي أَهْلَ خَيْبَرَ - فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «كَذَبَتْ رُؤْيَاكَ» ". وَأَخْبَرَهُ بِمَا رَأَى، فَرَجَعَ عُيَيْنَةُ، فَلَقِيَهُ الْحَارِثُ بْنُ عَوْفٍ فَقَالَ: أَلَمْ أَقُلْ إِنَّكَ تُوضِعُ فِي غَيْرِ شَيْءٍ؟! وَاللَّهِ لَيَظْهَرَنَّ مُحَمَّدٌ عَلَى مَا
পৃষ্ঠা - ৩১৯৩
بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، وَإِنَّ يَهُودَ كَانُوا يُخْبِرُونَنَا بِهَذَا، أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ أَبَا رَافِعٍ سَلَّامَ بْنَ أَبِي الْحُقَيْقِ يَقُولُ: إِنَّا لَنَحْسُدُ مُحَمَّدًا عَلَى النُّبُوَّةِ حَيْثُ خَرَجَتْ مِنْ بَنِي هَارُونَ، إِنَّهُ لَمُرْسَلٌ، وَيَهُودُ لَا تُطَاوِعُنِي عَلَى هَذَا، وَلَنَا مِنْهُ ذِبْحَانِ، وَاحِدٌ بِيَثْرِبَ، وَآخَرُ بِخَيْبَرَ، قَالَ الْحَارِثُ: قُلْتُ لِسَلَّامٍ: يَمْلِكُ الْأَرْضَ؟! قَالَ: نَعَمْ وَالتَّوْرَاةِ الَّتِي أُنْزِلَتْ عَلَى مُوسَى، وَمَا أُحِبُّ أَنْ تَعْلَمَ يَهُودُ بِقَوْلِي فِيهِ.
পৃষ্ঠা - ৩১৯৪

এরপর বায়হাকী (র) সালাত আদায়ের পুর্বে নিদ্রায় মছুা হওয়ার বিষয়ে আওফ নামী এক
রেদুঈন ও এক মহিলার ঘটনা বর্ণনা করেন এবং কেমন করে পুর্ণ সেনাদল এ দুজন থেকে পানি
সংগ্রহ করে তৃপ্তি সহকারে পানি পান করেছিল অথচ তাদের দুজনের পানি একটু ও হ্রাস পায়নি
তা ও উল্লেখ করেন ৷ পুনরায়ত তিনি মুসলিম বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ এর মধ্যে
সালাত আদায় না করে জ্বিায় মগ্ন থাকা ও উয়ুর পাত্রে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার উল্লেখ রয়েছে ৷ আবদুর
রায্যাক মামার-কাতাদা সুত্রেও এটি বর্ণনা করেছেন ৷

বুখারী (রা) আবুমুসা আল আশআারী (রা) এর বরাতে বলেন তিনি বলেছেন, যখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বার অভিযানে বের হলেন এবং লোকজন একটি ময়দানের নিকটবর্তী হলেন
তখন তারা উচ্চারে অাল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লা ল্লাহ্ ধ্বনি দি ”ত লাগলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, “তোমরা তোমাদের নিজেদের প্ৰতি তসদয় হও, তোমরা কোান বধিরকে কিৎবা অনুপস্থিত
সত্তাকে ডাকছ না ৷ তোমরা যাকে ডাতকছ তিনি সর্বশ্রোতা এবং তিনি নিকটেই, তিনি তোমাদের
সাথেই আছেন ৷ রাবী বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) )এ-র সাওয়াণ্াশ্বর পিছনে ছিলাম ৷ তিনি আমাকে
বলতে শুনলেন আমি বলছিলাম ণ্এো ১া ৷ ওঠুদ্বু ১াএ ট্রুপ্রু ন্ ১া অথাং কারো কোন শক্তি সামর্থ
নেই আল্লাহ্ প্রদত্ত তওফীক ব্যতীত ত৷ তিনি আমাকে বললেন, হে আবদুল্লাহ ইবন কায়স ৷ আমি
বললাম, আমি উপস্থিত হে আপ্লা হুর রাসুল রা সুপুথ্রা হ (সা) রলণে ন “আমি কি তোমাকে এমন
একটি কথা বলব, যা জান্নাতের একটি গুপ্ততাণ্ডার ম্ব” আমি বললাম, “জী হ্যা, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
আপনার জন্যে আমার পিতা ও মাতা কুরবান হোন তিনি বললেন, তা হচ্ছেং হ্া , ,াটুন্ !

ন্া৷ ন্ খুা ওট্রুত্তন্ ৷
অন্যান্যরাও আবু মুসা (বা) হতে এ রিওয়ায়াতটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে বিশুদ্ধ
মতে এ ঘটনাটি খায়বার থেকে প্রত্যাবর্তন করার সময় ঘটেছিল ৷ কেননা, আবু মুসা (রা)

খায়বার বিজয়ের পর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাত করেছিলেন ৷ যেমনটি পুর্বেই বলা
হয়েছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় যে, খায়বার বিজয়ের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইবন
লাকীম আল-আবসী (রা)-কে কিছু গৃহপালিত ইাস-মুরপী দান করেন ৷ সফর মাসে খায়বার বিজয়
হয়েছিল ৷ ইবন লাকীম খায়বার বিজয় সম্বন্ধে নিম্নোক্ত কবিতাণ্ডলো রচনা করেন এবং বলেন,

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তরফ থেকে অস্ত্রশংস্ত্র সজ্জিত বহু সংখ্যক সাহসী ও দক্ষ সৈন্য কর্তৃক
নাতাত দুর্গআক্রমণ করা হল ৷ যখন আমি মুসলিম সৈন্যদের আগমনের কথা শুনলাম তখন
খায়বার পতনের ব্যাপারে সুনিশ্চিত হলাম ৷ সৈনাদলের মাঝখানে ছিল আসলাম ও গিফার গোত্রের
লোকজন ৷ আমর ইবন যুরআ গোত্রের লোকজনের সন্নিকটে মুসলিম সেনাদলের রাত পােহাল ৷
আশ-শাক দৃর্গটির বাসিন্দারা ভীত-সন্ত্রস্থ হয়ে দিনের আলো সরুত্ত্বও অন্ধকার দেখতে লাগল ৷
খায়রারের বিস্তীর্ণ এলাকা র পতন ঘটাল মুসলিম সেনা দল এবং তা তারা দখল করে নিলেন ৷ আর
গৃহপালিত মুরগী ছাড়া ভোর বেলায় আর কোন শব্দই পাওয়াযাচ্ছিল না ৷ আবদুল আশহাল কিৎবা
বনু নাজ্জার এবং মুহাজির সেনাদল প্রতিটি দুর্গ অবরোধ করে নিল ৷৩ তারা লোহার বর্ম পরিহিত
থাকায় নিজেদেরকে সুরক্ষিত ভেবে পলায়নের কোন কল্পনাই করেননি ৷ খায়বারবাসীরা বুঝতে




[قِصَّةُ مِدْعَمٍ وَنَوْمِ بِلَالٍ عَنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ] فَصْلٌ قِصَّةُ مِدْعَمٍ وَنَوْمِ بِلَالٍ عَنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَيْبَرَ، انْصَرَفَ إِلَى وَادِي الْقُرَى، فَحَاصَرَ أَهْلَهَا لَيَالِيَ، ثُمَّ انْصَرَفَ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ ثُمَّ ذَكَرَ مِنْ قِصَّةِ مِدْعَمٍ، وَكَيْفَ جَاءَهُ سَهْمٌ غَارِبٌ فَقَتَلَهُ، وَقَالَ النَّاسُ: هَنِيئًا لَهُ الشَّهَادَةُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «كَلَّا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِنَّ الشَّمْلَةَ الَّتِي أَخَذَهَا يَوْمَ خَيْبَرَ، لَمْ تُصِبْهَا الْمَقَاسِمُ، لَتَشْتَعِلُ عَلَيْهِ نَارًا» " وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " نَحْوَ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَيَأْتِي ذِكْرُ قِتَالِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِوَادِي الْقُرَى. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، «أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَشْجَعَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُوُفِّيَ يَوْمَ خَيْبَرَ، فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ ". فَتَغَيَّرَ وُجُوهُ النَّاسِ مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: " إِنَّ صَاحِبَكُمْ غَلَّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ". فَفَتَّشْنَا مَتَاعَهُ، فَوَجَدْنَا خَرَزًا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৩১৯৫
خَرَزِ يَهُودَ مَا يُسَاوِي دِرْهَمَيْنِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ - زَادَ أَبُو دَاوُدَ: وَبِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ - وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ،، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، بِهِ. وَقَدْ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ أَنَّ بَنِي فَزَارَةَ أَرَادُوا أَنْ يُقَاتِلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرْجِعَهُ مِنْ خَيْبَرَ، وَتَجَمَّعُوا لِذَلِكَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ يُوَاعِدُهُمْ مَوْضِعًا مُعَيَّنًا، فَلَمَّا تَحَقَّقُوا ذَلِكَ، هَرَبُوا كُلَّ مَهْرَبٍ، وَذَهَبُوا مِنْ طَرِيقِهِ كُلَّ مَذْهَبٍ. وَتَقَدَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا حَلَّتْ صَفِيَّةُ مِنَ اسْتِبْرَائِهَا، دَخَلَ بِهَا بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: سَدُّ الصَّهْبَاءِ. فِي أَثْنَاءِ طَرِيقِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَأَوْلَمَ عَلَيْهَا بِحَيْسٍ، وَأَقَامَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ يُبْنَى عَلَيْهِ بِهَا، وَأَسْلَمَتْ، فَأَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا، وَجَعَلَ عِتَاقَهَا صَدَاقَهَا، وَكَانَتْ إِحْدَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، كَمَا فَهِمَهُ الصَّحَابَةُ لَمَّا مَدَّ عَلَيْهَا الْحِجَابَ وَهُوَ مُرْدِفُهَا وَرَاءَهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ فِي " السِّيرَةِ " قَالَ: لَمَّا أَعْرَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِصَفِيَّةَ بِخَيْبَرَ، أَوْ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ، وَكَانَتِ الَّتِي جَمَّلَتْهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَشَّطَتْهَا، وَأَصْلَحَتْ مِنْ أَمْرِهَا أُمُّ سُلَيْمٍ بِنْتُ مِلْحَانَ، أُمُّ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَبَاتَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قُبَّةٍ لَهُ، وَبَاتَ أَبُو أَيُّوبَ مُتَوَشِّحًا سَيْفَهُ، يَحْرُسُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيُطِيفُ بِالْقُبَّةِ حَتَّى أَصْبَحَ، فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَانَهُ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩১৯৬

ইয়াহ্রদীর৷ এরুপ অবস্থা দেখে ভিড়ের মধ্যে সংগােপনে ও অনেকের অলক্ষেব্র পলায়ন করল ৷

খায়বারের শহীদগণ

যেসব সাহাবী থায়বারে শাহাদতবরণ করেন , ইবন ইসহাক প্রমুখের বর্ণনা অনুযায়ী নিম্নে
র্তাদের নামের তালিকা প্রদত্ত হলো ৷

মুহাজিরের মধ্যে : বনু উমাইয়ার আযাদকৃত দাস রাবী“অ৷ ইবন আকছাম ইবন সাখবারা
আল-আসাদী (রা ) , বনু উমাইয়ার মিত্র সাকীফ ইবন আমর (বা ) এবং রিফাআ ইবন মাসরুহ্
(রা) , বনু আমাদের মিত্র ও তাদের বোনের ছেলে, সাদ ইবন লায়ছ ণ্পাত্রের আবদুল্লাহ্ ইবন
হুবায়ব ইিবন উহাইব ইবন সুহাইম ইবন গাবার৷ (বা) ৷

আনসারদের মধ্যে : বিশৃর ইবন আল-বারা ইবন মারুর (বা ) ৷ যিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সাথে বিষ মিশ্রিত বকরীর গোশত খাওয়ার পর শাহাদত বরণ করেন ৷ ফুযায়ল ইবন নুমান ভীরা
উভয়েই সুলায়ম গোত্রের লোক ছিল ৷ মাসউদ ইবন সাদ (ইবন কায়স ইবন খালিদ ইবন আমির
ইবন যুরায়ক আয় যুরাকী (রা ) , মাহমুদ ইবন মাসলাম৷ আল-আশহালী (রা ) , আবু যীয়াহ্ হারিছা
ইবন ছাবিত ইবন নৃমান আল-আমর ৷ (বা ) , হ্ারিহ ইবন হয় :ি র (রা), উরওয়৷ ইবন মৃবৃর৷ ইবন
সুরাকা (বা ) , আউস আল-ফারিদ (বা) , আনীফ ইবন হাবীব (রা) , ছা ত ইবন আসল৷ (বা) ,
তাল্হা (বা ) আমার৷ ইবন উকবা (বা) তীর নিক্ষিপ্ত হওয়ায় শহীদ) আমির ইবন আকওয়৷ (রা)
সালাম৷ ইবন আমর ইবন আক্ওয়৷ (বা) (ইাটুতে নিজ ৩রবারীর আঘা৩ লাপায় নিহত) রাথাল
সাহাবী আসওদ (বা) যা র বিবরণ শুধু ইবন ইসহা ৷ক পেশ করেছেন ৷

ইবন ইসহাক আরো বলেন, খায়বারে শাহাদত বরণকারী র্ষাদের কথা ইবন শিহাব যুহবী
উল্লেখ করেছেন৩ তারা হচ্ছেন€ বনু যুহ্রার মাসউদ ইবন রাবী আ (বা ) আনসারদের মধ্যেশু
আমর ইবন আউফ গোত্রের আওস ইবন কাতাদ৷ (রা) ৷



হাজ্জাজ ইবন ইলাত আল-বাহযী (রা)-এর ঘটনা

ইবন ইসহাক বলেন, খায়বার বিজয়ের পর হাজ্জ জ ইবন ইলাত আস-সালামী আল-বাহষী
বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্শু আবুতা ৷ল্হার কন্যা আমার শ্রী উ ঘু শায়বার কাছে মক্কায় আমার প্রচুর
সম্পদ গচ্ছিত রয়েছে ৷ আবার দ্রীর কাছে রয়েছে স্বীয় সন্তান মুওয়াওয়ায ইবন হাজ্জাজ ৷ আর
মক্কার ব্যবসায়ীদের কাছে রয়েছে আমার পাওনা বিভিন্ন ধরনের মালপত্র ৷ সুতবাংঅ আমাকে
অনুমতি দেন অ মি যেন আমার সম্পদ তাদের থেকে উদ্ধার করতে পারি ৷ এ ব্যাপারে হয়ত
আমার কিছু ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়ার দরকার হতে পারে ৷ এরুপ করার অনুমতি আমাকে দিন !
রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তাকে সে অনুমতি দিলেন ৷ হাজ্জাজ বলেন, এরপর আমি বেরিয়ে পড়লাম এবং
মক্কার আল-বাইদা পাহাড়ের র্ঘাটিতে পৌছে দেখি কুরায়শের কিছু সংখ্যক লোক খবর সংগ্রহের
জন্যে জড় হয়ে রয়েছে ৷ তা ৷র৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্বন্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন করছে ৷ তবে তারা জানতাে যে,
তিনি খায়বার অভিযানে বের হয়েছেন৷ আর তারা এটাও জান তা যে, খায়বার হিজাযের একটি


" مَا لَكَ يَا أَبَا أَيُّوبَ؟ " قَالَ: خِفْتُ عَلَيْكَ مِنْ هَذِهِ الْمَرْأَةِ، وَكَانَتِ امْرَأَةً قَدْ قَتَلْتَ أَبَاهَا وَزَوْجَهَا وَقَوْمَهَا، وَكَانَتْ حَدِيثَةَ عَهْدٍ بِكُفْرٍ، فَخِفْتُهَا عَلَيْكَ. فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «اللَّهُمَّ احْفَظْ أَبَا أَيُّوبَ كَمَا بَاتَ يَحْفَظُنِي» ". ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فَذَكَرَ نَوْمَهُمْ عَنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ مَرْجِعَهُمْ مِنْ خَيْبَرَ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا، فَقَالَ: " مَاذَا صَنَعْتَ بِنَا يَا بِلَالُ؟ " قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ. قَالَ: " صَدَقْتَ ". ثُمَّ اقْتَادَ نَاقَتَهُ غَيْرَ كَثِيرٍ، ثُمَّ نَزَلَ فَتَوَضَّأَ، وَصَلَّى كَمَا كَانَ يُصَلِّيهَا قَبْلَ ذَلِكَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ مَالِكٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ مُرْسَلًا. وَهَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ، فَسَارَ لَيْلَةً، حَتَّى إِذَا أَدْرَكَنَا الْكَرَى عَرَّسَ، وَقَالَ لِبِلَالٍ: " اكْلَأْ لَنَا اللَّيْلَ ". قَالَ: فَغَلَبَتْ بِلَالًا عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ، فَلَمْ يَسْتَيْقِظِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا بِلَالٌ، وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، حَتَّى ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا، فَفَزِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: " يَا بِلَالُ! " قَالَ: أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا، ثُمَّ تَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
পৃষ্ঠা - ৩১৯৭
وَأَمَرَ بِلَالًا فَأَقَامَ لَهُمُ الصَّلَاةَ، وَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ، فَلَمَّا أَنْ قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ: " مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ: {وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِلذِّكْرَى} [طه: 14] » ) (طه: 14) قَالَ يُونُسُ: وَكَانَ ابْنُ شِهَابٍ يَقْرَأُهَا كَذَلِكَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ حَرْمَلَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ، بِهِ. وَفِيهِ: أَنَّ ذَلِكَ كَانَ مَرْجِعَهُمْ مِنْ خَيْبَرَ. وَفِي حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ مَرْجِعَهُمْ مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ، فَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ أَنَّ بِلَالًا هُوَ الَّذِي كَانَ يَكْلَؤُهُمْ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ هُوَ الَّذِي كَانَ يَكْلَؤُهُمْ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: فَيُحْتَمَلُ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ مَرَّتَيْنِ. قَالَ: وَفِي حَدِيثِ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَأَبِي قَتَادَةَ نَوْمُهُمْ عَنِ الصَّلَاةِ، وَفِيهِ حَدِيثُ الْمِيضَأَةِ، فَيَحْتَمِلُ أَنَّ ذَلِكَ إِحْدَى هَاتَيْنِ الْمَرَّتَيْنِ، أَوْ مَرَّةٌ ثَالِثَةٌ. قَالَ: وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ فِي حَدِيثِ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ مَرْجِعَهُمْ مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ. قَالَ: وَرَوَى زَافِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ
পৃষ্ঠা - ৩১৯৮
أَنَّ ذَلِكَ كَانَ مَرْجِعَهُمْ مِنْ تَبُوكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ أَوْرَدَ الْبَيْهَقِيُّ مَا رَوَاهُ صَاحِبُ " الصَّحِيحِ " مِنْ قِصَّةِ عَوْفٍ الْأَعْرَابِيِّ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ فِي قِصَّةِ نَوْمِهِمْ عَنِ الصَّلَاةِ، وَقِصَّةِ الْمَرْأَةِ صَاحِبَةِ السَّطِيحَتَيْنِ، وَكَيْفَ أَخَذُوا مِنْهُمَا مَاءً رَوَى الْجَيْشَ بِكَمَالِهِ، وَلَمْ يَنْقُصْ ذَلِكَ مِنْهُمَا شَيْئًا. ثُمَّ ذَكَرَ مَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، وَهُوَ حَدِيثٌ طَوِيلٌ وَفِيهِ نَوْمُهُمْ عَنِ الصَّلَاةِ، وَتَكْثِيرُ الْمَاءِ مِنْ تِلْكَ الْمِيضَأَةِ. وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: «لَمَّا غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ - أَوْ قَالَ: لَمَّا تَوَجَّهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ أَشْرَفَ النَّاسُ عَلَى وَادٍ، فَرَفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّكْبِيرِ: اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْبَعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ، إِنَّكُمْ لَا تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلَا غَائِبًا، إِنَّكُمْ
পৃষ্ঠা - ৩১৯৯
تَدْعُونَ سَمِيعًا قَرِيبًا وَهُوَ مَعَكُمْ ". وَأَنَا خَلْفَ دَابَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَمِعَنِي وَأَنَا أَقُولُ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ. فَقَالَ: " يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ ". قُلْتُ: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى كَلِمَةٍ مِنْ كَنْزِ الْجَنَّةِ؟ ". قُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي. قَالَ: " لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ» وَقَدْ رَوَاهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَلٍّ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدَيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ. وَالصَّوَابُ أَنَّهُ كَانَ مَرْجِعَهُمْ مِنْ خَيْبَرَ، فَإِنَّ أَبَا مُوسَى إِنَّمَا قَدِمَ بَعْدَ فَتْحِ خَيْبَرَ، كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيمَا بَلَغَنِي، قَدْ أَعْطَى ابْنَ لَقِيمٍ الْعَبْسِيَّ حِينَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ مَا بِهَا مِنْ دَجَاجَةٍ أَوْ دَاجِنٍ، وَكَانَ فَتْحُ خَيْبَرَ فِي صَفَرٍ، فَقَالَ ابْنُ لَقِيمٍ فِي فَتْحِ خَيْبَرَ: رُمِيَتْ نَطَاةُ مِنَ الرَّسُولِ بِفَيْلَقٍ ... شَهْبَاءَ ذَاتِ مَنَاكِبٍ وَفَقَارِ وَاسْتَيْقَنَتْ بِالذُّلِّ لَمَّا شُيِّعَتْ ... وَرِجَالُ أَسْلَمَ وَسْطَهَا وَغِفَارِ
পৃষ্ঠা - ৩২০০
صَبَحَتْ بَنِي عَمْرِو بْنِ زُرْعَةَ غُدْوَةٌ ... وَالشَّقُّ أَظْلَمَ أَهْلُهُ بِنَهَارِ جَرَّتْ بِأَبْطَحِهَا الذُّيُولَ فَلَمْ تَدَعْ ... إِلَّا الدَّجَاجَ تَصِيحُ بِالْأَسْحَارِ وَلِكُلِّ حِصْنٍ شَاغِلٌ مِنْ خَيْلِهِمْ ... مِنْ عَبْدِ الَاشْهَلِ أَوْ بَنِي النَّجَّارِ وَمُهَاجِرِينَ قَدَ اعْلَمُوا سِيمَاهُمُ ... فَوْقَ الْمَغَافِرِ لَمْ يَنُوا لِفَرَارِ وَلَقَدْ عَلِمْتُ لَيَغْلِبَنَّ مُحَمْدٌ ... وَلَيَثْوِيَنَّ بِهَا إِلَى أَصْفَارِ فَرَّتْ يَهُودٌ عِنْدَ ذَلِكَ فِي الْوَغَى ... تَحْتَ الْعَجَاجِ غَمَائِمَ الْأَبْصَارِ [مَنِ اسْتُشْهِدَ بِخَيْبَرَ مِنَ الصَّحَابَةِ] فَصْلٌ مَنِ اسْتُشْهِدَ بِخَيْبَرَ مِنَ الصَّحَابَةِ عَلَى مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَغَيْرُهُ مِنْ أَصْحَابِ الْمُغَازِي فَمِنْ خَيْرِ الْمُهَاجِرِينَ، رَبِيعَةُ بْنُ أَكْثَمَ بْنِ سَخْبَرَةَ الْأَسَدِيُّ، مَوْلَى بَنِي أُمَيَّةَ، وَثَقِيفُ بْنُ عَمْرٍو، وَرِفَاعَةُ بْنُ مَسْرُوحٍ، حُلَفَاءُ بَنِي أُمَيَّةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩২০১
بْنُ الْهُبَيْبِ بْنِ أُهَيْبِ بْنِ سُحَيْمِ بْنِ غِيَرَةَ، مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ لَيْثٍ، حَلِيفُ بَنِي أَسَدٍ وَابْنُ أُخْتِهِمْ. وَمِنَ الْأَنْصَارِ، بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ - مِنْ أَكْلَةِ الشَّاةِ الْمَسْمُومَةِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا تَقَدَّمَ - وَفُضَيْلُ بْنُ النُّعْمَانِ السَّلَمِيَّانِ، وَمَسْعُودُ بْنُ سَعْدِ بْنِ قَيْسِ بْنِ خَلَدَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ زُرَيْقٍ الزُّرَقِيُّ، وَمَحْمُودُ بْنُ مَسْلَمَةَ الْأَشْهَلِيُّ، وَأَبُو ضَيَّاحِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ النُّعْمَانِ الْعَمْرِيُّ، وَالْحَارِثُ بْنُ حَاطِبٍ، وَعُرْوَةُ بْنُ مُرَّةَ بْنِ سُرَاقَةَ، وَأَوْسٌ الْفَائِدُ، وَأُنَيْفُ بْنُ حَبِيبٍ، وَثَابِتُ بْنُ أَثْلَةَ، وَطَلْحَةُ، وَعُمَارَةُ بْنُ عُقْبَةَ رُمِيَ بِسَهْمٍ فَقَتَلَهُ، وَعَامِرُ بْنُ الْأَكْوَعِ، أَصَابَهُ طَرَفُ سَيْفِهِ فِي رُكْبَتِهِ فَقَتَلَهُ، رَحِمَهُ اللَّهُ كَمَا تَقَدَّمَ، وَالْأَسْوَدُ الرَّاعِي. وَقَدْ أَفْرَدَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَاهُنَا قِصَّتَهُ، وَقَدْ أَسْلَفْنَاهَا فِي أَوَائِلِ الْغَزْوَةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ৩২০২
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَمِمَّنِ اسْتُشْهِدَ بِخَيْبَرَ - فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ شِهَابٍ - مِنْ بَنِي زُهْرَةَ، مَسْعُودُ بْنُ رَبِيعَةَ، حَلِيفٌ لَهُمْ مِنَ الْقَارَةِ، وَمِنَ الْأَنْصَارِ ثُمَّ مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، أَوْسُ بْنُ قَتَادَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ.
পৃষ্ঠা - ৩২০৩

ছিল তিনি বের করে নিয়েছেন এবং সমুদয় সম্পদ তার ও তার সাহাবীগণের আয়ত্তে এসে গেছে ৷
আব্বাস (র৷ ) বললেন, তুমি কি ঠিক বলছ হে হাজ্জাজ ? তিনি বললেন, আমি বললড়াম, হীা
আল্লাহর শপথ! তবে এটা গোপন রাখবেন ৷ আমি ইতোমধ্যে মুসলমান হয়ে গেছি ৷ আর এখানে
এসেছি শুধু আমার সষ্পদগুলে৷ নিয়ে যাওয়ার জন্যে ৷ এরপর তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন ৷ আবার
বলে গেলেন, আল্লাহর শপথ, যখন তিনদিন চলে যাবে, তখন আপনি যেভাবে পসন্দ ব্যক্ত করতে
পারেন ৷ হাজ্জাজ বলেন, যখন তৃতীয় দিন এল, আব্বাস (বা) এক জোড়া নতুন কাপড় গায়ে
সুগন্ধি যেখে একটি লাঠি হাতে কা’বা শরীফে এসে তাওয়াফ করলেন ৷ কুরায়শগণ যখন তাকে
দেখতে পেয়ে বলে উঠল, “হে আবুল ফযল ! আল্লাহর শপথ, এমন বিপদে এত ধৈর্য ? আব্বাস
(বা) জবাব দিলেন, “কখনও না, তোমর৷ যে আল্লাহর শপথ করেছ, তার শপথ করে আমি
বলছি৪ মুহাম্মাদ (স৷ ) খায়বার জয় করেছেন এবং তাদের রাজকন্যার বর রুপে বাসর উদযাপন
করেছেন ৷ তাদের সম্পদ দখল করে নিয়েছেন ৷ আর এখন সমগ্র সম্পদ তার ও তার সাহাবীদের
আয়ত্তে এসে গেছে ৷ তারা বলল, কে তোমাকে এ খবর দিয়েছে ? তিনি বললেন, তােমাদেরকে
যে খবর দিয়েছিল সে আবার আমাকে এ খবর দিয়েছে ৷ সে তোমাদের এখানে মুসলমান হয়ে
এসেছিল তার মালপত্র উদ্ধারের জন্যে ৷ সে এখন মুহাম্মাদ ও তার সাহাবীদের সাথে মিলিত
হওয়ার জন্যে চলে গেছে ৷ সে তার সাথেই থাকবে ৷ তারা বলতে লাগল, আল্লাহর বান্দাদের
সাহায্যে এগিয়ে আসুন ৷ আল্লাহর দৃশমন পালিয়ে গেছে ৷৩ তবে আল্লাহর শপথ, যদি আমরা তার
সম্বন্ধে জানতাম তাহলে তারও আমাদের মধ্যে অনেক কিছু হয়ে যেত ৷ হাজ্জাজ বলেন, তারা
কিছুদিনের মধ্যে এ সম্বন্ধে বিস্তারিত সংবাদ পেয়ে গেল ৷ এরুপে ইবন ইসহাক এ ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন
সনদে বংনি৷ করেন ৷ অবশ্য ইমাম আহমদ পুর্ণ সনদসহ ঘটনাটি বংনাি করেছেন যা নিম্নরুপ :
তাতে অতিরিক্ত আছে হাজ্জাজ বলেন, এ খবর মক্কায় প্রচারিত হলে মুসলমানগণ চুপচাপ হয়ে
গেলেন আর মুশরিকগণ আনন্দস্ফুর্তি করতে লাগল ৷ হাজ্জাজ বলেন, এ খবর আব্বাস (রা) এর
কাছে পৌছলে তিনি মর্মাহত হলেন এমনকি র্দাড়াতেও পারলেন না ৷ মা’মার (বা) বলেন,

আমাকে মিকসাম (র) স বাদ দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, আব্বাস (রা)ত তার কুছাম নামী
এক সম্ভানকে চিং হয়ে বুকের উপর রাখলেন এবং কবিতার ছন্দে বলতে লাগলেন, কুছাম আমার
আদরের সন্তান, সুঘ্রাণযুক্ত নাসিকার প্রতীক, সে আমার সন্তান, ধারণাকারীর ধারণার সে
ঐশ্বর্যশালী ৷

ছাবিত (বা) আনাস (রা) এর বরাতে বংনি৷ করেন, তিনি বলেন, এরপর আব্বাস (বা) তার
একটি গোলামকে হ জ্জাজ ইবন ইলাং তর কাছে বলে পাঠালেন, র্সবনাশ তুমি এ কী সং বাদ নিয়ে
এসেছ, আল্লাহ তাআল৷ যা ওয়াদ৷ করেছেন তা তোমার আনীত স বাদ হতে উত্তম ৷ হাজ্জাজ
ইবন ইলাত গোলামটিকে বললেন, আবুল ফযলকে আমার সালাম দেবে এবং বলবে৩ তার বাড়ির
কো ন একটি জা ৷য়গ৷ যেন খালি করে রাখেন ৷ কেননা, আমিত তার কাছে কিছু গোপন কথা বলব যা
তাকে আনন্দ দেবে ৷ গোলামটি ফিরে গিয়ে বলল, হে আবুল ফযল, সৃসংবাদ গ্রহণ করুন ৷
হাজ্জাজ বলেন, এটা শুনে আব্বাস (বা) থুশীতে লাফ দিয়ে উঠলেন এবং গোলামের কপালে চুমু
খেলেন ৷ হাজ্জাজ যা বলেছিলেন গোলামটি তা হুবহু তার পুনরাবৃত্তি করল ৷ তখন আব্বাস (রা)
গো ৷লামটিকে আযাদ করে দিলেন ৷ এরপর আব্বাস (রা) এর কাছে হাজ্জাজ আসলেন এবং সব বাদ


[خَبَرُ الْحَجَّاجِ بْنِ عِلَاطٍ الْبَهْزِيِّ] ُّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا فُتِحَتْ خَيْبَرُ، كَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَجَّاجُ بْنُ عِلَاطٍ السُّلَمِيُّ ثُمَّ الْبَهْزِيُّ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لِي بِمَكَّةَ مَالًا عِنْدَ صَاحِبَتِي أُمِّ شَيْبَةَ بِنْتِ أَبِي طَلْحَةَ - وَكَانَتْ عِنْدَهُ، لَهُ مِنْهَا مُعَرِّضُ بْنُ الْحَجَّاجِ - وَمَالًا مُتَفَرِّقًا فِي تُجَّارِ أَهْلِ مَكَّةَ، فَأْذَنْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَأَذِنَ لَهُ، فَقَالَ: إِنَّهُ لَا بُدَّ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ أَقُولَ. قَالَ: " قُلْ ". قَالَ الْحَجَّاجُ: فَخَرَجْتُ حَتَّى إِذَا قَدِمْتُ مَكَّةَ، وَجَدْتُ بِثَنِيَّةِ الْبَيْضَاءِ رِجَالًا مِنْ قُرَيْشٍ يَسْتَمِعُونَ الْأَخْبَارَ، وَيَسْأَلُونَ عَنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ بَلَغَهُمْ أَنَّهُ قَدْ سَارَ إِلَى خَيْبَرَ، وَقَدْ عَرَفُوا أَنَّهَا قَرْيَةُ الْحِجَازِ، رِيفًا وَمَنَعَةً وَرِجَالًا، وَهُمْ يَتَجَسَّسُونَ الْأَخْبَارَ مِنَ الرُّكْبَانِ، فَلَمَّا رَأَوْنِي قَالُوا: الْحَجَّاجُ بْنُ عِلَاطٍ - قَالَ: وَلَمْ يَكُونُوا عَلِمُوا بِإِسْلَامِي - عِنْدَهُ وَاللَّهِ الْخَبَرُ، أَخْبِرْنَا يَا أَبَا مُحَمَّدٍ، فَإِنَّهُ قَدْ بَلَغَنَا أَنَّ الْقَاطِعَ قَدْ سَارَ إِلَى خَيْبَرَ، وَهِيَ بَلَدُ يَهُودَ وَرِيفُ الْحِجَازِ. قَالَ: قُلْتُ: قَدْ بَلَغَنِي ذَلِكَ، وَعِنْدِي مِنَ
পৃষ্ঠা - ৩২০৪
الْخَبَرِ مَا يَسُرُّكُمْ. قَالَ: فَالْتَبَطُوا بِجَنْبَيْ نَاقَتِي يَقُولُونَ: إِيهٍ يَا حَجَّاجُ. قَالَ: قُلْتُ: هُزِمَ هَزِيمَةً لَمْ تَسْمَعُوا بِمِثْلِهَا قَطُّ، وَقَدْ قُتِلَ أَصْحَابُهُ قَتْلًا لَمْ تَسْمَعُوا بِمِثْلِهِ قَطُّ، وَأُسِرَ مُحَمَّدٌ أَسْرًا، وَقَالُوا: لَا نَقْتُلُهُ حَتَّى نَبْعَثَ بِهِ إِلَى مَكَّةَ، فَيَقْتُلُوهُ بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ بِمَنْ كَانَ أَصَابَ مِنْ رِجَالِهِمْ. قَالَ: فَقَامُوا وَصَاحُوا بِمَكَّةَ، وَقَالُوا: قَدْ جَاءَكُمُ الْخَبَرُ، وَهَذَا مُحَمَّدٌ، إِنَّمَا تَنْتَظِرُونَ أَنْ يُقْدَمَ بِهِ عَلَيْكُمْ، فَيُقْتَلَ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ، قَالَ: قُلْتُ: أَعِينُونِي عَلَى جَمْعِ مَالِي بِمَكَّةَ وَعَلَى غُرَمَائِي، فَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَقْدِمَ خَيْبَرَ، فَأُصِيبَ مِنْ فَلِّ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ قَبْلَ أَنْ يَسْبِقَنِي التُّجَّارُ إِلَى مَا هُنَالِكَ. قَالَ: فَقَامُوا فَجَمَعُوا لِي مَا كَانَ لِي كَأَحَثِّ جَمْعٍ سَمِعْتُ بِهِ. قَالَ: وَجِئْتُ صَاحِبَتِي فَقُلْتُ: مَالِي - وَكَانَ عِنْدَهَا مَالٌ مَوْضُوعٌ - فَلَعَلِّي أَلْحَقُ بِخَيْبَرَ فَأُصِيبَ مِنْ فُرَصِ الْبَيْعِ قَبْلَ أَنْ يَسْبِقَنِي التُّجَّارُ. قَالَ: فَلَمَّا سَمِعَ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ الْخَبَرَ وَجَاءَهُ عَنِّي، أَقْبَلَ حَتَّى وَقَفَ إِلَى جَنْبِي وَأَنَا فِي خَيْمَةٍ مِنْ خِيَامِ التُّجَّارِ، فَقَالَ: يَا حَجَّاجُ، مَا هَذَا الَّذِي جِئْتَ بِهِ؟! قَالَ: قُلْتُ: وَهَلْ عِنْدَكَ حِفْظٌ لِمَا وَضَعْتُ عِنْدَكَ؟ قَالَ: نَعَمْ.
পৃষ্ঠা - ৩২০৫

দিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বার জয় করার পর পনীমত হিসেবে সমুদয় সম্পদ লাভ করেছেন
এবং তাদের সম্পদে আল্লাহ্ তাআলার অংশও নির্ধারিত করেছেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) সাফিয়্যা
বিনৃত হুয়৷ ৷ইকে নিজের জন্যে রেখে দিয়েছেন ৷ তিনিও ;ৰু ৷কে আযাদ করে দিয়ে ইখতিয়ার দিয়েছেন
যে, তিনি ইচ্ছে করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ত্রীরু হতে ৩পারেন কিষ্রা নিজের পরিবার পরিজনের
সাথে মিলিত হতে ৩পারেন ৷ কিন্তু তিনি আয়াদ হবার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর শ্ৰী হওয়াকেই পছন্দ
করেছেন ৷ হাজ্জাজ বলেন, কিন্তু আমি এখানে আমার সম্পদ সলোঃহর জন্যে এসেছি যাতে আমি
এগুলো নিয়ে যেতে পারি ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে অনুমতি নািয়ছি যেন, প্রয়োজনে যা ইচ্ছে
তা বলতে পারি ৷ আপনি এ সংবাদটি তিনদিন গোপন রাখবেন ৷ এর পর যেভাবে ইচ্ছে তা প্রকাশ
করতে পারেন ৷ হাজ্জাজ বলেন, আসবাবপত্র, সােনারুপ৷ যা তার স্তীর কাছে ছিল তা সে একত্র
করে হাজ্জাজকে অর্পণ করল ৷ এরপর তিনি এগুলো নিয়ে ঘুত প্ৰতা৷বর্তন করলেন ৷ যখন
তিনদিন শেষ হল আব্বাস (রা) হাজ্জাজের শ্ৰীর নিকট আগমন করলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন,
“তোমার স্বামী কী করেছে ? ” তখন সে সংবাদ দিল যে, তারাট্টম্ব৷ ৷অন্মুক দিন চলে গেছে ৷ আর
বলল, “হে আবুল ফযল, তোমাকে যেন আল্লাহ চিন্তিত না করেন ৷ তোমার কাছে যে সংবাদ
পৌছেছে এটা আমাদেরকে ও আহত করেছে ৷” আব্বাস (রা) বলেন, “হীা, আল্লাহ যেন আমাকে
চিন্তায়ুক্ত না করেন ৷ তবে আল্লাহর প্রশংসা এজন্যে যে আ ৷মি যা পছন্দ করেছিলামত ৷ই হয়েছে ৷
আল্লাহ্ তার রাসুলকে খায়বারে বিজয় দান করেছেন ৷ তথায় তাদের যমীনে আল্লাহর তা’ আলার
অংশ নির্ধারিত করা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফিয়ব্র৷ (রা) কে নিজের জন্যে পছন্দ করেছেন ৷
তোমার ইচ্ছে হলে তুমি তোমার স্বামীর সাথে গিয়ে মিলিত হতে পার ৷” মহিলা বলেন, “আমার
ধারণা, আল্লাহর শপথ, তুমি সতবােদী ৷ ” তিনি বললেন, ”হ্যা , আমি সত্যবাদী ৷ আমি যা সংবাদ
দিয়েছি ব্যাপারটিও সত্য ৷” এরপর তিনি কুরায়শের বৈঠকখানায় গমন করেন ৷ যখন তিনি তাদের
অতিক্রম করছিলেন তখন তারা বলে, “ হে আবুল ফযল , তুমি যেন সুখে থাক ৷ ” তিনি বলেন,
“আলহামদৃলিল্লাহ, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সৃখেই রেখেছেন ৷ হাজ্জাজ ইবন ইলাত (রা)
আমাকে সংবাদ দিয়েছে যে, আল্লাহ তাআল৷ তার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হাতে খায়বারের বিজয়
দান করেছেন এবং তিনি খায়বারে আল্লাহ্ তাআলার অংশ নির্ধারণ করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাফিয়্যা (রা) কে নিজের জন্যে নির্বাচন করেছেন ৷ সে আমাকে অনুরোধ করেছিল এ সংবাদটি
যেন আমি তিনদিন পর্যন্ত গোপন রাখি ৷ আর সে এসেছিল তার সম্পদ এবং এখানে যা ৷কিছু আছে
তা নিয়ে যাওয়ার জন্যে ৷ত তারপর যে চলে গেছে ৷ রাবী বলেন, যে দুঃখক্লেশ মুসলমানদের
ব্যথিত করছিল তা এবার মুশরিকদের অম্ভরে বির্ধতে লাগল ৷ মুসলমানদের যারা ঘরে লুকিয়ে
ছিল , আব্বাস (রা) শুভ স ×বাদ নিয়ে আসায় তারা ঘর থেকে বের হয়ে পড়লেন ৷ মোট কথা,
আব্বাস (রা) মুসলমানদের যে শুভ স×বাদ দিলেন তাতে মুসলমানগণ অত্যন্ত খুশী হলেন,
মুসলমানদের যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট রেদন৷ মুশরিকদের অম্ভরে গিয়ে বিদ্ধ হয় ৷ উক্ত হাদীছটি নাসাঈ
ব্যতীত সিহাহ্ সিত্তার অন্য কোন সংকলক রিওয়ায়াত করেননি ৷ বায়হাকী (র ) বিভিন্ন সনদে
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷
অনুরুপ মুসা ইবন উক্বা তার মাগাযী গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, কৃরায়শদের মধ্যে ছিল রেচা
-কেন৷ ও জমি বন্ধক দেয়ার ও নেয়ার বড় প্রতিযোগিতা ৷ তাদের মধ্যে কেউ কেউ রাজি ধরেছিল


قَالَ: قُلْتُ: فَاسْتَأْخِرْ عَنِّي حَتَّى أَلْقَاكَ عَلَى خَلَاءٍ، فَإِنِّي فِي جَمْعِ مَالِي كَمَا تَرَى، فَانْصَرَفَ عَنِّي حَتَّى أَفْرُغَ. قَالَ: حَتَّى إِذَا فَرَغْتُ مِنْ جَمْعِ كَلِّ شَيْءٍ كَانَ لِي بِمَكَّةَ، وَأَجْمَعْتُ الْخُرُوجَ، لَقِيتُ الْعَبَّاسَ فَقُلْتُ: احْفَظْ عَلَيَّ حَدِيثِي يَا أَبَا الْفَضْلِ، فَإِنِّي أَخْشَى الطَّلَبَ، ثَلَاثًا، ثُمَّ قُلْ مَا شِئْتَ. قَالَ: أَفْعَلُ. قُلْتُ: فَإِنِّي وَاللَّهِ لَقَدْ تَرَكْتُ ابْنَ أَخِيكَ عَرُوسًا عَلَى بِنْتِ مَلِكِهِمْ - يَعْنِي صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ - وَقَدِ افْتَتَحَ خَيْبَرَ، وَانْتَثَلَ مَا فِيهَا، وَصَارَتْ لَهُ وَلِأَصْحَابِهِ. قَالَ: مَا تَقُولُ يَا حَجَّاجُ؟ ! قَالَ: قُلْتُ: إِي وَاللَّهِ، فَاكْتُمْ عَنِّي، وَلَقَدْ أَسْلَمْتُ، وَمَا جِئْتُ إِلَّا لِآخُذَ مَالِيَ، فَرَقًا مِنْ أَنْ أُغْلَبَ عَلَيْهِ، فَإِذَا مَضَتْ ثَلَاثٌ فَأَظْهِرْ أَمْرَكَ، فَهُوَ وَاللَّهِ عَلَى مَا تُحِبُ قَالَ: حَتَّى إِذَا كَانَ الْيَوْمُ الثَّالِثُ، لَبِسَ الْعَبَّاسُ حُلَّةً لَهُ وَتَخَلَّقَ وَأَخْذَ عَصَاهُ، ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى أَتَى الْكَعْبَةَ فَطَافَ بِهَا، فَلَمَّا رَأَوْهُ قَالُوا: يَا أَبَا الْفَضْلِ، هَذَا وَاللَّهِ التَّجَلُّدُ لِحَرِّ الْمُصِيبَةِ. قَالَ: كَلَّا وَاللَّهِ الَّذِي حَلَفْتُمْ بِهِ، لَقَدِ افْتَتَحَ مُحَمَّدٌ خَيْبَرَ، وَتُرِكَ عَرُوسًا عَلَى بِنْتِ مَلِكِهِمْ، وَأَحْرَزَ أَمْوَالَهُمْ وَمَا فِيهَا، وَأَصْبَحَتْ لَهُ وَلِأَصْحَابِهِ. قَالُوا: مَنْ جَاءَكَ بِهَذَا الْخَبَرِ؟! قَالَ: الَّذِي جَاءَكُمْ بِمَا جَاءَكُمْ بِهِ، وَلَقَدْ دَخَلَ عَلَيْكُمْ مُسْلِمًا وَأَخَذَ مَالَهُ، فَانْطَلَقَ لِيَلْحَقَ بِمُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ فَيَكُونُ مَعَهُ. فَقَالُوا: يَا لِعِبَادِ اللَّهِ، انْفَلَتَ عَدُوُّ اللَّهِ، أَمَا وَاللَّهِ لَوْ عَلِمْنَا لَكَانَ لَنَا وَلَهُ شَأْنٌ. قَالَ: وَلَمْ يَنْشَبُوا أَنْ جَاءَهُمُ الْخَبَرُ بِذَلِكَ. هَكَذَا
পৃষ্ঠা - ৩২০৬
ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذِهِ الْقِصَّةَ مُنْقَطِعَةً. وَقَدْ أَسْنَدَ ذَلِكَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ فَقَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، ثَنَا مَعْمَرٌ، سَمِعْتُ ثَابِتًا يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَمَّا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ، قَالَ الْحَجَّاجُ بْنُ عِلَاطٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لِي بِمَكَّةَ مَالًا، وَإِنَّ لِي بِهَا أَهْلًا، وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ آتِيَهُمْ، أَفَأَنَا فِي حِلٍّ إِنْ أَنَا نِلْتُ مِنْكَ أَوْ قُلْتُ شَيْئًا؟ فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَقُولَ مَا شَاءَ، فَأَتَى امْرَأَتَهُ حِينَ قَدِمَ فَقَالَ: اجْمَعِي لِي مَا كَانَ عِنْدَكِ، فَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَشْتَرِيَ مِنْ غَنَائِمِ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ، فَإِنَّهُمْ قَدِ اسْتُبِيحُوا وَأُصِيبَتْ أَمْوَالُهُمْ. قَالَ: وَفَشَى ذَلِكَ بِمَكَّةَ، فَانْقَمَعَ الْمُسْلِمُونَ وَأَظْهَرَ الْمُشْرِكُونَ فَرَحًا وَسُرُورًا. قَالَ: وَبَلَغَ الْخَبَرُ الْعَبَّاسَ فَعُقِرَ وَجَعَلَ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَقُومَ. قَالَ مَعْمَرٌ: فَأَخْبَرَنِي عُثْمَانُ الْجَزَرِيُّ، عَنْ مِقْسَمٍ قَالَ: فَأَخَذَ ابْنًا لَهُ يُقَالُ لَهُ: قُثَمُ. وَاسْتَلْقَى وَوَضَعَهُ عَلَى صَدْرِهِ وَهُوَ يَقُولُ: حَيَّ قُثَمْ حَيَّ قُثَمْ ... شَبِيهُ ذِي الْأَنْفِ الْأَشَمْ
পৃষ্ঠা - ৩২০৭
نَبِيِّ ذِي النِّعَمْ ... يُرْغِمُ مَنْ رَغِمْ قَالَ ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ: ثُمَّ أَرْسَلَ غُلَامًا لَهُ إِلَى الْحَجَّاجِ بْنِ عِلَاطٍ: وَيْلَكَ! مَا جِئْتَ بِهِ وَمَاذَا تَقُولُ؟! فَمَا وَعَدَ اللَّهُ خَيْرٌ مِمَّا جِئْتَ بِهِ! فَقَالَ الْحَجَّاجُ بْنُ عِلَاطٍ لِغُلَامِهِ: أَقْرِئْ عَلَى أَبِي الْفَضْلِ السَّلَامَ، وَقُلْ لَهُ فَلْيَخْلُ لِي فِي بَعْضِ بُيُوتِهِ لِآتِيَهُ، فَإِنَّ الْخَبَرَ عَلَى مَا يَسُرُّهُ. فَجَاءَ غُلَامُهُ، فَلَمَّا بَلَغَ بَابَ الدَّارِ قَالَ: أَبْشِرْ يَا أَبَا الْفَضْلِ. قَالَ: فَوَثَبَ الْعَبَّاسُ فَرِحًا حَتَّى قَبَّلَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، فَأَخْبَرَهُ مَا قَالَ الْحَجَّاجُ فَأَعْتَقَهُ. قَالَ: ثُمَّ جَاءَهُ الْحَجَّاجُ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِ افْتَتَحَ خَيْبَرَ وَغَنِمَ أَمْوَالَهُمْ، وَجَرَتْ سِهَامُ اللَّهِ فِي أَمْوَالِهِمْ، وَاصْطَفَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ وَاتَّخَذَهَا لِنَفْسِهِ، وَخَيَّرَهَا أَنْ يُعْتِقَهَا وَتَكُونُ زَوْجَةً، أَوْ تَلْحَقَ بِأَهْلِهَا، فَاخْتَارَتْ أَنْ يُعْتِقَهَا وَتَكُونَ زَوْجَتَهُ. قَالَ: وَلَكِنِّي جِئْتُ لِمَالٍ كَانَ لِي هَاهُنَا أَرَدْتُ أَنْ أَجْمَعَهُ فَأَذْهَبَ بِهِ، فَاسْتَأْذَنْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَذِنَ لِي أَنْ أَقُولَ مَا شِئْتُ، فَأَخْفِ عَلَيَّ ثَلَاثًا، ثُمَّ اذْكُرْ مَا بَدَا لَكَ. قَالَ: فَجَمَعَتِ امْرَأَتُهُ مَا كَانَ عِنْدَهَا مِنْ حُلِيٍّ وَمَتَاعٍ، فَجَمَعَتْهُ وَدَفَعَتْهُ إِلَيْهِ، ثُمَّ اسْتَمَرَّ بِهِ، فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ثَلَاثٍ أَتَى الْعَبَّاسُ امْرَأَةَ الْحَجَّاجِ، فَقَالَ: مَا فَعَلُ زَوْجُكِ؟ فَأَخْبَرَتْهُ أَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৩২০৮

যে, মুহাম্মাদ ও তার সাহাবীগণ জয় লাভ করবে, আবার কেউ কেউ বলতেছিল যে, দুই মিত্রদল ও
খায়বারের ইয়াহ্রদীরা জয় লাভ করবে ৷ হাজ্জাজ ইবন ইলাত আস-সালামী ও আল-বাহ্যী মুসলমান
হয়ে গিয়েছিলেন এবং খায়বার বিজয়ের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন ৷
আবদুদৃ দার ইবন কুসাইর বংশের উম্মে শায়বা ছিল তার ত্রী ৷ হাজ্জাজ (রা) ছিলেন বিশাল সম্পদের
মালিক, বনু সুলায়মের যমীনের খনি তার মালিকানাধীন ছিল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যখন থায়বার
বিজয় করলেন মক্কায় অবস্থিত তার সমুদয় সম্পদ সংগ্রহের ল্যক্ষা মক্কা যাওয়ার জন্যে হাজ্জাজ
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে অনুমতি চান, রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে অনুমতি দেন যেমন পুর্বে বর্ণিত
হয়েছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, খায়বারের যুদ্ধে করি হাস্সান যে কথিত পাঠ করেছিলেন তার মধ্যে
কয়েকটি নিম্নে প্রদত্ত হল ৷

“খায়বারবাসীরা তাদের অর্জিত থেত খামার ও খেজুর বাগান রক্ষার জন্যে যে যুদ্ধ করেছিল
তা ছিল অত্যন্ত খারাপ ৷ কেননা, এটা ছিল ইসলামী সেনাদন্বলর বিরুদ্ধে লড়াই ৷ তারা ইসলামী
রুসনাদলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করাকে অপসন্দ করেছিল ৷ তাই তাদের প্রতিরাে ধ ব্যবস্থা
একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল ৷ আর তারা অপমানজনক মন্দ কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল ৷
তারা কি মৃত্যু থেকে পলায়ন করতে চায় প্ মৃত্যু অনিবার্য ৷ তবে তাদের জানা উচিত যে,
অপমানের মৃত্যু প্রশংসার যোগ্য নয় ৷

ইবন হিশাম , আবুযায়দ আল-আনসারী (বা) হতে কাব ইবন মালিক রচিত নিম্নবর্ণিত যে,
কবিতাগুলো উদ্ধৃত করেছেন তার মর্মার্থ নিম্নরুপ :

আমরা খায়বার ও তার আশে পাশের এলাকায় অবতরণ করলাম ৷ আমাদের সাথে ছিলেন
পাথেয় বিহীন সাহসী যুবাদল , যারা প্রয়োজনে হন দানশীল ও শক্তিশালী এবং প্রতিটি যুদ্ধ ক্ষেত্রে
শত্রুর উপর তড়িত গতিতে ঝাপিয়ে পড়েন, প্রতিটি শীত মৌসুমে বিরাট খাদ্য ভাণ্ডারের
আয়োজক হন, তারা উচ্চমান সম্পন্ন তরবারি পরিচালনায় বিশেষ পারদর্শী , তারা যে যুদ্ধে শাহাদত
বরণের সুযোগ খুজে পান যে যুদ্ধকে সাফল্যরুপে অত্যন্ত প্রশংসার চোখে দেখেন ৷ আল্লাহর
কাছে র্তারা শাহাদতের আশা করেন এবং শাহাদতকে প্রশংসার যোগ্য ও সাফল্য মনে করেন,
বিশ্বনবী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মর্যাদা অক্ষুগ্ন রাখার জন্যে তারা জীবনবাজি রাখেন এবং মুখে ও
হাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ হতে শত্রুকে প্ৰতিরো ধ করেন , প্রতিটি কাজের অনিষ্ট থেকে
হিফাযত করার লক্ষেব্র রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে তারা সাহায্য সহায়তা করার জন্যে সর্বদা প্রস্তুত
থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবন রক্ষা করার জন্যে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর আনীত অদৃশ্য খবরাখবরকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে বিশ্বাস করেন এই উদ্দেশ্যে যাতে
ভবিষ্যতের মান মর্যাদা , সফলতা রক্ষা পায় ৷

ওয়াদিল কুরায় গমন, ইয়াহ্রদীদেরকে অবরোধ ও তাদের সাথে সন্ধি স্থাপন
ওয়াকিদী বলেন, আবদুর রহমান ইবন আবদুল আযীয আবু হুরায়রা (রা) হতে বনাি


ذَهَبَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا، وَقَالَتْ: لَا يُحْزِنُكَ اللَّهُ يَا أَبَا الْفَضْلِ، لَقَدْ شَقَّ عَلَيْنَا الَّذِي بَلَغَكَ. قَالَ: أَجَلْ، لَا يُحْزِنُنِي اللَّهُ، وَلَمْ يَكُنْ بِحَمْدِ اللَّهِ إِلَّا مَا أَحْبَبْنَا، فَتَحَ اللَّهُ خَيْبَرَ عَلَى رَسُولِهِ، وَجَرَتْ فِيهَا سِهَامُ اللَّهِ، وَاصْطَفَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ لِنَفْسِهِ، فَإِنْ كَانَتْ لَكِ حَاجَةٌ فِي زَوْجِكِ فَالْحَقِي بِهِ. قَالَتْ: أَظُنُّكَ وَاللَّهِ صَادِقًا قَالَ: فَإِنِّي صَادِقٌ، وَالْأَمْرُ عَلَى مَا أَخْبَرْتُكِ. ثُمَّ ذَهَبَ حَتَّى أَتَى مَجَالِسَ قُرَيْشٍ، وَهُمْ يَقُولُونَ إِذَا مَرَّ بِهِمْ: لَا يُصِيبُكَ إِلَّا خَيْرٌ يَا أَبَا الْفَضْلِ. قَالَ: لَمْ يُصِبْنِي إِلَّا خَيْرٌ بِحَمْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي الْحَجَّاجُ بْنُ عِلَاطٍ أَنَّ خَيْبَرَ فَتَحَهَا اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ، وَجَرَتْ فِيهَا سِهَامُ اللَّهِ، وَاصْطَفَى صَفِيَّةَ لِنَفْسِهِ، وَقَدْ سَأَلَنِي أَنْ أُخْفِيَ عَلَيْهِ ثَلَاثًا، وَإِنَّمَا جَاءَ لِيَأْخُذَ مَالَهُ وَمَا كَانَ لَهُ مِنْ شَيْءٍ هَاهُنَا، ثُمَّ يَذْهَبُ. قَالَ: فَرَدَّ اللَّهُ الْكَآبَةَ الَّتِي كَانَتْ بِالْمُسْلِمِينَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ، وَخَرَجَ الْمُسْلِمُونَ وَمَنْ كَانَ دَخَلَ بَيْتَهُ مُكْتَئِبًا حَتَّى أَتَى الْعَبَّاسَ، فَأَخْبَرَهُمُ الْخَبَرَ، فَسُرَّ الْمُسْلِمُونَ وَرَدَّ مَا كَانَ مِنْ كَآبَةٍ أَوْ غَيْظٍ أَوْ حُزْنٍ عَلَى الْمُشْرِكِينَ. وَهَذَا الْإِسْنَادُ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخَرِّجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ سِوَى النَّسَائِيِّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، بِهِ نَحْوَهُ. وَرَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ مَحْمُودِ بْنِ غَيْلَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ. وَرَوَاهُ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ثَوْرٍ، عَنْ