আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

فيما وقع من الحوادث فى السنة السادسة

পৃষ্ঠা - ৩১০৮

হিজরী ষষ্ঠ সালে সংঘটিত অন্য ঘটনাবলী

এ বছর হুদায়বিয়ার দিনগুলোতে হজ্জ ফরয হওয়া সম্বলিত আয়াত নাযিল হয় ৷ ইমাম শাফিঈ
(র) এটা সপ্রমাণ করেন ৷ আল্লাহ্ বলেন :

ব্লু৷ ওদ্বুট্রুট্রুা৷ঠু চু-র্ম্প ৷ ;ৰুশ্ংৰু
“তোমরা আল্লাহ্র জন্য হজ্জ ও উমরা পরিপুর্ণ কর ৷ (২ : >%»;;) ৷ এ কারণে ইমাম শাফিঈ
(র)-এর মতে হজ্জ তাৎক্ষণিকভাবে ফরয নয় বরং বিলন্বে আদায় করলেও চলবে ৷ কারণ, নবী
করীম (না) হিজরী ১০ সনে ছাড়া আর কোন হজ্জ করেননি ৷ পক্ষাতরে অন্যান্য তিন ইমাম-
ইমাম মালিক (র) ইমাম আবুহানীফা (র) এবং ইমাম আহমদ (র) )-এ্যা মতে সামথবািন ব্যক্তির
উপর তাৎক্ষণিকতাবে হজ্জ ফরয হয়ে যায় ৷ তাদের মতে উপরোক্ত আয়াত দ্বারা তাৎক্ষণিকভাবে
হজ্জ ফরয হওয়া প্রমাণ হয় না ৷ তাদের মতে উপরোক্ত আরবে; দ্বারা হজ্জ শুরু করার পর তা

সমাপ্ত করইি কেবল প্রমাণিত হয় ৷ ইমামত্রয়ের যুক্তি-প্রমাণের অনেকাংশ আমরা আমাদের রচিত
তাফসীর গ্রন্থে সবিস্তারে আলোচনা করেছি ৷

একই বছর মুসলিম নারীদের মুশরিক পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে ৷ বিশেষ করে
হুদায়বিয়া ৷র বছরে সষ্প৷ ৷দিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, আমাদের মধ্য থেকে যে কেউ তোমার
কাছে আসবে সে তোমার ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকলেও তুমি অবশ্যই তাকে আমাদের নিকট
ফেরত দেবে ৷ এ চুক্তি সম্পাদনের পর আল্লাহ্৩ তা জানা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন :



« ৩ ; (« : ; শ্


-হে মুমিনগণ মুমিন নাবীরা তোমাদের নিকট হিজরত করে আসলে তাদেরকে তোমরা
পরীক্ষা করবে ৷৩ তাদের ঈমান সম্পর্কে আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা
মু মিন তবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবে না ৷ মু’মিন নারীগণ কা ৷ফিরদের জন্য
হালাল নয়, আর কাফির পুরুষগণও মু’মিন নারীদের জন্য হালাল নয় ৷ কাফিররা যা কিছু ব্যয়
করেছে তাদেরকে তা ফেরত দেবে ৷ তারপর তোমরা তাদেরকে বিবাহ করলে তোমাদের কোন
অপরাধ হবে না যদি তোমরা তাদেরকে তাদের মহর দাও ৷ তোমরা কাফির নারীদের সঙ্গে
দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রাখবে না ৷ তোমরা যা কিছু ব্যয় করেছ তা ফেরত চাইবে এবং কাফিররা
যা ব্যয় করেছে তারা তা ফেরত চাইবে ৷ এটাই আল্লাহ্র হুকুম; তিনি তোমাদের মধ্যে ফায়সালা
করেন ৷ আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ প্ৰজ্ঞাময় ৷ তোমাদের শ্রীদের মধ্যে যদি কেউ হাত ৩ছাড়া হয়ে কাফিরদের
নিকট থেকে যায় আর তোমাদের যদি সুযোগ আসে তখন যাদের শ্রী হাতছাড়া হয়ে গেছে
তাদেরকে তারা যা ব্যয় করেছে তার সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করবে ৷ আল্লাহ্কে ভয় কর, যার প্রতি
তোমরা ঈমান এনেছো ৷ (৬০ মুমতাহানা ১০)

একই বছরে মুরাইসী অভিযান পরিচালিত হয় ১ যাতে অপবাদ আরােপের ঘটনা ঘটে ৷ এ
১ টীকা : ইতিহাসে এটা বনী ঘুস্তালিক যুদ্ধ নামেও পরিচিত ৷ সম্পাদক




[فِيمَا وَقَعَ مِنَ الْحَوَادِثِ فَى السَّنَةِ السَّادِسَةِ] فَصْلٌ فِيمَا وَقَعَ مِنَ الْحَوَادِثِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ؛ فِيهَا نَزَلَ فَرْضُ الْحَجِّ، كَمَا قَرَّرَهُ الشَّافِعِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ} [البقرة: 196] (الْبَقَرَةِ: 196) وَلِهَذَا ذَهَبَ إِلَى أَنَّ الْحَجَّ عَلَى التَّرَاخِي لَا عَلَى الْفَوْرِ؛ لِأَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَحُجَّ إِلَّا فِي سَنَةِ عَشْرٍ. وَخَالَفَهُ الثَّلَاثَةُ؛ مَالِكٌ وَأَبُو حَنِيفَةَ وَأَحْمَدُ فَعِنْدَهُمْ أَنَّ الْحَجَّ يَجِبُ عَلَى كُلِّ مَنِ اسْتَطَاعَهُ عَلَى الْفَوْرِ، وَمَنَعُوا أَنْ يَكُونَ الْوُجُوبُ مُسْتَفَادًا مِنْ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ} [البقرة: 196] وَإِنَّمَا فِي هَذِهِ الْآيَةِ الْأَمْرُ بِالْإِتْمَامِ بَعْدَ الشُّرُوعِ فَقَطْ، وَاسْتَدَلُّوا بِأَدِلَّةٍ قَدْ أَوْرَدْنَا كَثِيرًا مِنْهَا عِنْدَ تَفْسِيرِ هَذِهِ الْآيَةِ مِنْ كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ "، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، بِمَا فِيهِ الْكِفَايَةُ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ حُرِّمَتِ الْمُسْلِمَاتُ عَلَى الْمُشْرِكِينَ؛ تَخْصِيصًا لِعُمُومِ مَا وَقَعَ بِهِ الصُّلْحُ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ عَلَى أَنَّهُ: لَا يَأْتِيكَ مِنَّا أَحَدٌ، وَإِنْ كَانَ عَلَى دِينِكَ، إِلَّا رَدَدْتَهُ عَلَيْنَا. فَنَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ اللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِهِنَّ فَإِنْ عَلِمْتُمُوهُنَّ مُؤْمِنَاتٍ فَلَا تَرْجِعُوهُنَّ إِلَى الْكُفَّارِ لَا هُنَّ حِلٌّ لَهُمْ وَلَا هُمْ يَحِلُّونَ لَهُنَّ} [الممتحنة: 10] الْآيَةَ (الْمُمْتَحَنَةِ: 1) . وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَتْ غَزْوَةُ الْمُرَيْسِيعِ، الَّتِي كَانَ فِيهَا قِصَّةُ الْإِفْكِ، وَنُزُولُ بَرَاءَةِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، كَمَا تَقَدَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৩১০৯
وَفِيهَا كَانَتْ عُمْرَةُ الْحُدَيْبِيَةِ، وَمَا كَانَ مِنْ صَدِّ الْمُشْرِكِينَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَيْفَ وَقَعَ الصُّلْحُ بَيْنَهُمْ عَلَى وَضْعِ الْحَرْبِ بَيْنَهُمْ عَشْرَ سِنِينَ، يَأْمَنُ فِيهِنَّ النَّاسُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَعَلَى أَنَّهُ لَا إِغْلَالَ وَلَا إِسْلَالَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ كُلُّ ذَلِكَ مَبْسُوطًا فِي أَمَاكِنِهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَوَلِيَ الْحَجَّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْمُشْرِكُونَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْهَا بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةَ نَفَرٍ مُصْطَحِبِينَ؛ حَاطِبَ بْنَ أَبِي بَلْتَعَةَ، إِلَى الْمُقَوْقِسِ صَاحِبِ الْإِسْكَنْدَرِيَّةِ، وَشُجَاعَ بْنَ وَهْبٍ، مِنْ بَنِي أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ - شَهِدَ بَدْرًا - إِلَى الْحَارِثِ بْنِ أَبِي شِمْرٍ الْغَسَّانِيِّ، يَعْنِي مَلِكَ عَرَبِ النَّصَارَى بِالشَّامِ، وَدِحْيَةَ بْنَ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيَّ، إِلَى قَيْصَرَ، وَهُوَ هِرَقْلُ مَلِكُ الرُّومِ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ حُذَافَةَ السَّهْمِيَّ إِلَى كِسْرَى مَلِكِ الْفُرْسِ، وَسَلِيطَ بْنَ عَمْرٍو الْعَامِرِيَّ إِلَى هَوْذَةَ بْنِ عَلِيٍّ الْحَنَفِيِّ، وَعَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيَّ، إِلَى النَّجَاشِيِّ مَلِكِ النَّصَارَى بِالْحَبَشَةِ، وَهُوَ أَصْحَمَةُ ابْنُ أَبْجَرَ.