আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة الحديبية

পৃষ্ঠা - ৩০৬৭

হুদায়বিয়ার অভিযান

হিজ্জী ষষ্ঠ সনের যিলকাদ মাসে হুদায়ৰিয়ার অভিযান সংঘটিত হয় ৷ এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত
নেই ৷ ইমাম যুহ্রী, ইবন উমর (রা)-এর আযাদ কৃত গোলাম নাফি কাতাদা , মুসা ইবন উকবা
এবং মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক প্রমুখ এ মত পোষণ করেন ৷ ইবন লাহিয়া আবুল আসওয়াদ সুত্রে
উরওয়া থেকে বর্ণনা করেন যে, হিজরী ষষ্ঠ সালের যিলকাদ মাসে হুদায়বিয়ার ঘটনা ঘটে ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ওরওয়া সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযান মাসে
হুদায়বিয়ার উদ্দেশ্যে বের হন আর হুদায়বিয়ার সন্ধি হয় শাওয়াল মাসে ৷ উরওয়া সুত্রের এ বর্ণনা
নিতম্ভেই গরীব তথা বিরল পর্যায়ের ৷ ইমাম বুখারী (র) ও ইমাম মুসলিম (র) উতয়ে হুদবা
আনাস ইবন মালিক (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যিলকাদ মাসে : বার উমরা
করেন ৷ অবশ্য হন্থজ্জর সঙ্গে তিনি যে উমরা করেন তা এর ব্যতিক্রম ৷ তিনি হুদায়বিয়ার উমরা
করেন যিলকাদ মাসে, পরবর্তী বছরের উমরা করেন যিলকাদ মাসে এবং জিইরানা থেকে উমরা
করেন যিলকাদ মাসে ৷ এখানে তিনি হুনায়নের গনীমতের যাল বন্টন করেন ৷ আর এক উমরা
করেন হাজ্জা সঙ্গে ৷ এটা বুখারী শরীফের ভাষ্য ৷ ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) রমষান
এবং শাওয়াল এই দু মাস মদীনায় অবস্থান করেন এবং যিলকাদ মাসে উমরার উদ্দেশ্যে বের হন ৷
এ সময় যুদ্ধের অভিপ্রায় ফ্লিনা , ইবন হিশাম বলেন, এ সময় তিনি মদীনায় নুসায়লা ইবন
আবল্লোহ্ লায়হীকে আমীর নিযুক্ত করেন ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেদুঈন এবং তাদের আশপাশের গ্রামের
লোকদের প্রতি বের হওয়ার আহ্বান জানান ৷ বুন্মায়শের পক্ষ থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এ্যা আশংকা
ছিল যে, তারা তার সঙ্গে যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হবে বা বায়ভুল্লাহ্র যিয়ারত করতে তাকে বাধা দেবে; বিন্দু
গ্রামের অনেকেই বের হতে বিলম্ব করে ৷ ফলে মুহাজ্যি৷ এবং আনসারদের মধ্যে যারা রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সঙ্গে ছিলেন তাদেরকে নিয়ে তিনি বের হলেন ৷ গ্রামের কিছু লোকও তার সঙ্গে যোগ
দেয় ৷ তিনি সঙ্গে কুরবানীর পণ্ডও (হাদী) নিলেন এবং উমরার এহরামও বাধ্লেন যাতে যুদ্ধের
ব্যাপারে লোকেরা নিরাপদ হয়ে যায় এবং তারা একখাও জানতে পারে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কেবল

বায়ধুন্মাহ্র যিয়ারতের উদ্দেশ্যেই বের হয়েহ্নেষ্ক যুদ্ধের জন্য নয় ৷ বায়তৃল্লাহ্র মযদাি প্রকাশ বরোই
তার একমাত্র লক্ষ্য ৷

ইবন ইসহাক (র) মারওয়ান ইবনুল হাকাম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হুদায়বিয়ার বছর রাসুলুল্লাহ্
(না) বায়তৃল্লাহ্ যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে বের হন; যুদ্ধ ব্বার উদ্দেশ্যে নয়, হাদী বা বুম্মবার্নীর জন্য
তিনি ৭০টি পশুও সঙ্গে নেন ৷ তার সঙ্গে ছিল ৭শ লোক প্রতি দশ জনের জন্য ছিল ক্যুবানীর এক

একটা পশু ৷ অবশ্য জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (বা) বলতেন যে, হুদায়বিয়ার আমরা সঙ্গীরা ছিলাম
চৌদ্দ শত ৷


[غَزْوَةُ الْحُدَيْبِيَةِ] [عُمْرَةُ رَسُولِ اللَّهِ] وَقَدْ كَانَتْ فِي ذِي الْقَعْدَةِ سَنَةَ سِتٍّ بِلَا خِلَافٍ. وَمِمَّنْ نَصَّ عَلَى ذَلِكَ الزُّهْرِيُّ، وَنَافِعٌ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ، وقَتَادَةُ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، وَغَيْرُهُمْ، وَهُوَ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ لَهِيعَةَ،، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ أَنَّهَا كَانَتْ فِي ذِي الْقَعْدَةِ سَنَةَ سِتٍّ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ الْخَلِيلِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْحُدَيْبِيَةِ فِي رَمَضَانَ، وَكَانَتِ الْحُدَيْبِيَةُ فِي شَوَّالٍ» . وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا عَنْ عُرْوَةَ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ جَمِيعًا، عَنْ هُدْبَةَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أَخْبَرَهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ كُلُّهُنَّ، فِي ذِي الْقَعْدَةِ، إِلَّا الْعُمْرَةَ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ؛ عُمْرَةً مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ، وَعُمْرَةً مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ، وَعُمْرَةً مِنْ الْجِعْرَانَةِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ حَيْثُ قَسَمَ غَنَائِمَ حُنَيْنٍ وَعُمْرَةً مَعَ حَجَّتِهِ» . وَهَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ.
পৃষ্ঠা - ৩০৬৮

ইমাম যুহরী (র) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হয়ে চলতে চলতে উছফান নামক
স্থান পর্যন্ত পৌছলে বিশর ইবন সুফিয়ান কাবী (ইবন হিশাম-এর মতে বুসৃর ,ৰু ) তার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করে আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আপনার বের হওয়ার বিষয় কুরায়শরা জানতে
পেয়েছে; তাই তারা কম বয়সের উষ্ট্র সঙ্গে নিয়ে বাঘের চামড়া পরিধান করে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে
যীতুয়া’ উপত্যকায় অবস্থান গ্রহণ করছে ৷ তারা আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করছে যে, তারা কিছুতেই
আপনাকে প্রবেশ করতে দেরেনা ৷ আর তাদের অশ্বারােহী বাহিনীতেখালিদ ইবন ওয়ালীদ কুরাউল
গামীম’ পর্যন্ত এসে পৌছে গেছেন ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, হার কুরায়শ, যুদ্ধ তাদের
সর্বনাশ করেছে ৷ কী হতো যদি তারা আমার এবং আরবের সকল গোকের মধ্যে পথ উন্মুক্ত করে
দিতো ? তারা আমাদেরকে বিনাশ করতে সক্ষম হলে এটাইতো হয়ে তাদের কাম্য; পক্ষাস্তরে
আল্লাহ যদি আমাকে তাদের উপর বিজয় দান করেন তবে তারা বিপুল সংখ্যায় ইসলামে প্রবেশ
করতে পারতো ৷ আর ইসলামে প্রবেশ না করলে সর্বশক্তি নিণ্য়াজিত করে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হতো ৷
কুরায়শরা কি মনে করে ? আল্লাহ্র কসম, যে দীন সহকারে আল্পাহ্ আমাকে প্রেরণ করেছেন তার
জন্য আমি অব্যাহত ধারায় নিরলসভাবে জিহাদ চালিয়ে যাবাে যাবত না আল্লাহ আমাকে বিজয়
দান করেন অথবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে আমার গদনি ঘাড় থেকে ৷ আমি আল্লাহ্র রাস্তায় জীবন উৎসর্গ
করে দেবাে ৷ এরপর তিনি বললেন, যে পথে শত্রু সৈন্যরা অবস্থান নিয়েছে সে পথ ছাড়া ভিন্ন
পথে আমাদেরকে নিয়ে যেতে পারে এমন কোন পুরুষ কি আছে ? আবদৃল্লাহ্ ইবন আবু বকর
সুত্রে ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি বললাে : ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্!
আমি পারবো ৷ ফলে তিনি পাবর্ত্য অঞ্চলের দুর্গম কংকরময় পথ দিয়ে তাদেরকে নিয়ে চললেন ৷
এ দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করা ছিল মুসলমানদের জন্য এক কঠিন কাজ ৷ সে পথ থেকে বের
হয়ে সমতল ভুমিতে আগমন করলে রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেন : তোমরা সকলেই বলো :

আমরা আল্লাহ্র নিকট পানাহ চাই এবং তার কাছে তাওবা কবি তার দিকেই প্রত্যাবর্তন
করি ৷ তারা সকলে তা বললে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : এ হল যে হিত্তা (ক্ষমা) যা বনী
ইস্রাঈলের উপর পেশ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা তা বলেনি ৷ ইবন শিহাব যুহ্রী (র) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকজনকে নির্দেশ দান করেন মক্কার নিম্নভুমি থেকে হুদায়বিয়ায় আরােহণের
পথে সানৃয়াতুল মিরার’ হয়ে ডান দিকের আল-হিস্ এর পথ ধরে চলার জন্য ৷ তিনি বলেন,
মুসলিম বাহিনী এভাবেই অগ্রসর হয় ৷ কুরায়শ বাহিনী (মুসলিম) বাহিনীর (পথ পরিক্রমের) ধুলো
বালি দেখতে পেয়ে পথ পরিবর্তন করে দ্রুত কুরায়ণের নিকট প্রত্যবের্জা করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)
সে পথে বের হয়ে সানিয়াতুল মিরার’ উপনীত হলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উট বসে পড়ে ৷ তখন
লোকেরা বলে উষ্ট্র অবাধ হয়ে থেমে পড়েছে ৷ তিনি বললেন, না তা নয়, বরং হস্তিবাহিনীকে
যিনি বোধ করেছিলেন মক্কায় পৌছতে তিনি এ উষ্ট্রকেও রোধ করেছেন ৷ কুরায়শরা আজকের
দিনে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতি আমাকে আহ্বান জানালে আমি তাদেরকে সে সুযোগ
দেবো ৷ এরপর তিনি লোকজনকে বললেন, তেড়ামরা অবতরণ করো ৷ কেউ বললাে, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা)! এখানেতো পানি নেই ৷ তখন তিনি ভীরদান’ থেকে এবল্টা তীর বের করে


وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ رَمَضَانَ وَشَوَّالًا، وَخَرَجَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ مُعْتَمِرًا لَا يُرِيدُ حَرْبًا. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ نُمَيْلَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ اللَّيْثِيَّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَاسْتَنْفَرَ الْعَرَبَ وَمَنْ حَوْلَهُ مِنْ أَهْلِ الْبَوَادِي مِنَ الْأَعْرَابِ لِيَخْرُجُوا مَعَهُ، وَهُوَ يَخْشَى مِنْ قُرَيْشٍ الَّذِي صَنَعُوا، أَنْ يَعْرِضُوا لَهُ بِحَرْبٍ، أَوْ يَصُدُّوهُ عَنِ الْبَيْتِ، فَأَبْطَأَ عَلَيْهِ كَثِيرٌ مِنَ الْأَعْرَابِ، وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَمَنْ لَحِقَ بِهِ مِنَ الْعَرَبِ، وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ، وَأَحْرَمَ بِالْعُمْرَةِ؛ لِيَأْمَنَ النَّاسُ مِنْ حَرْبِهِ، وَلِيَعْلَمَ النَّاسُ أَنَّهُ إِنَّمَا خَرَجَ زَائِرًا لِهَذَا الْبَيْتِ، وَمُعَظِّمًا لَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ قَالَا: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ، يُرِيدُ زِيَارَةَ الْبَيْتِ لَا يُرِيدُ قِتَالًا، وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ سَبْعِينَ بَدَنَةً، وَكَانَ النَّاسُ سَبْعَمِائَةِ رَجُلٍ، وَكَانَتْ كُلُّ بَدَنَةٍ عَنْ عَشَرَةِ نَفَرٍ، وَكَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فِيمَا بَلَغَنِي يَقُولُ: كُنَّا أَصْحَابَ الْحُدَيْبِيَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً» . قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِعُسْفَانَ لَقِيَهُ بِشْرُ
পৃষ্ঠা - ৩০৬৯
بْنُ سُفْيَانَ الْكَعْبِيُّ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذِهِ قُرَيْشٌ قَدْ سَمِعَتْ بِمَسِيرِكَ، فَخَرَجُوا مَعَهُمُ الْعُوذُ الْمَطَافِيلُ، قَدْ لَبِسُوا جُلُودَ النُّمُورِ، وَقَدْ نَزَلُوا بِذِي طُوًى، يُعَاهِدُونَ اللَّهَ لَا تَدْخُلُهَا عَلَيْهِمْ أَبَدًا، وَهَذَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فِي خَيْلِهِمْ، قَدْ قَدَّمُوهَا إِلَى كُرَاعِ الْغَمِيمِ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا وَيْحَ قُرَيْشٍ! لَقَدْ أَكَلَتْهُمُ الْحَرْبُ! مَاذَا عَلَيْهِمْ لَوْ خَلَّوْا بَيْنِي وَبَيْنَ سَائِرِ الْعَرَبِ؛ فَإِنْ هُمْ أَصَابُونِي كَانَ ذَلِكَ الَّذِي أَرَادُوا، وَإِنْ أَظْهَرَنِي اللَّهُ عَلَيْهِمْ دَخَلُوا فِي الْإِسْلَامِ وَافِرِينَ، وَإِنْ لَمْ يَفْعَلُوا قَاتَلُوا وَبِهِمْ قُوَّةٌ، فَمَا تَظُنُّ قُرَيْشٌ؟ فَوَاللَّهِ لَا أَزَالُ أُجَاهِدُ عَلَى الَّذِي بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ حَتَّى يُظْهِرَهُ اللَّهُ أَوْ تَنْفَرِدَ هَذِهِ السَّالِفَةُ» . ثُمَّ قَالَ: مَنْ رَجُلٌ يَخْرُجُ بِنَا عَلَى طَرِيقٍ غَيْرِ طَرِيقِهِمُ الَّتِي هُمْ بِهَا؟ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ قَالَ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: فَسَلَكَ بِهِمْ طَرِيقًا وَعْرًا أَجْرَلَ بَيْنَ شِعَابٍ، فَلَمَّا خَرَجُوا مِنْهُ، وَقَدْ شَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَأَفْضَوْا إِلَى أَرْضٍ سَهْلَةٍ عِنْدَ مُنْقَطَعِ الْوَادِي، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «قُولُوا: نَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَنَتُوبُ إِلَيْهِ ". فَقَالُوا
পৃষ্ঠা - ৩০৭০

জনৈক ব্যক্তিকে দান করে কুয়ার নীচে পুতে দেয়ার জন্য বললে তিনি পুতে দেন ৷ ফলে তা থেকে
অবিরাম ধারায় পানি উথলে উঠতে থাকে ৷ যা থেকে লোকেরা তাদের উটকেও পানি পান করার ৷
ইবন ইসহাক (র ) আসলাম গোত্রের জনৈক বিজ্ঞ ব্যক্তির বরাতে বলেন যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্এ্যায়
তীর নিয়ে কুয়ােয় অবতরণকারী ব্যক্তি ছিলেন রাসুলের উষ্ট্র চালক নাজিয়া ইবন জুন্দুব ৷ পক্ষান্তরে
ইবন ইসহাক বলেন, কোন কোন ৰিজ্ঞজন মনে করেন যে, হযরত “ধারা ইবন আযিব বলতেন-
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর তীর নিয়ে কুপে অবতরণকারী ব্যক্তি ছিলাম আমি ৷ কোনটা সঠিক আল্পাহ্ই
তা ভাল জানেন ৷ ইবন ইসহাক প্রথম মতের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করে বলেন যে, আনসারদের
এক দাসী কুয়ার নিকট আসে ৷ তখন নাজিয়া কুয়ার নীচ থেকে পানি তুলছিল্ দেখে দাসী বলে ৷


হে পানি উত্তোলনকারী! আমার বালতি ভরে দাও ৷ আমি লোকদের দেখেছি তোমার প্রশংসা
করতে ৷ তারা তোমার সম্পর্কে ভাল বলে এবং তোমার শ্রেষ্ঠতু প্রকাশ করে ৷ দাসীর কবিতার
জবাবে নাজিয়া বলেন :


ইয়ামানী নারী আসে যে, আমি পানি উত্তোলন করছি আর আমার নাম নাজিয়া বিদঘুটে পানির
ফোটাধড়ারী অনেক ভর্চুসনাকারিণী আছে আমি যার নিন্দা করেছি খারাপ স্বভাব প্রকাশ কালে ৷

ইমাম যুহ্রী (র) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) সুস্থির হলে বুদায়ল ইবন ওয়ারাকা খুযায়ী তার
সম্প্রদায়ের কয়েকজন লোক নিয়ে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সমীপে উপস্থিত হন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সঙ্গে কথা বলে আগমনের হেতু জানতে চাইলে তিনি জানালেন যে , যুদ্ধ করার
অজ্যিায় নিয়ে তিনি আগমন করেননি; বরং তিনি এসেছেন ৰায়তুল্লাহ্ শরীফ যিয়ারত করতে এবং
তার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ৷ এরপর তিনি বিশ্ব ইবন সুফিয়ানকে যা বলেছিলেন
তাদেরকেও তাই বললেন ৷ তারা কুরায়শের নিকট ফিরে গিয়ে বলে :

হে কুরায়শের লোকেরা ! মুহাম্মাদের ব্যাপারে তোমরা তাড়াহুড়া করছো ৷ মুহাম্মাদতাে যুদ্ধ
করার উদ্দেশ্যে আসেননি ৷ তিনি এস্যেছন বারতুল্লাহ্ শরীফ যিয়ারতের অভিপ্রায় নিয়ে ৷ একথা
শুনে তারা তাকে দােষারোপ করে এবং তার প্রতি কটুক্তি করে ৷ তারা বলে : সে যদি যুদ্ধ করার
জন্য না-ও আসে তবু ও আমরা তাকে জোরপুর্বক প্রবেশ করতে দেবাে না এবং আরবদের মধ্যে
তার কথা প্রচার করতেও দেব না ৷ যুহ্রী বলেন, কাফিরমুশরিক নির্বিশেষে খুযাআ গোত্রের সমস্ত
লোক ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শুডাথী ৷ তারা তার কাছে মক্কার কোন কথা গোপন রাখতো না ৷
তিনি আরো বলেন যে, এরপর তারা বনু আমির ইবন লুয়াই এর মৃফরিয ইবন হাফ্স আখৃয়াফকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ তাকে আসতে দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেস , এ তো
দেখছিএকটি ৰিশ্বাসঘাতক ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি


ذَلِكَ، فَقَالَ: " وَاللَّهِ إِنَّهَا لَلْحِطَّةُ الَّتِي عَرَضَتْ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَمْ يَقُولُوهَا ".» قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ فَقَالَ: " «اسْلُكُوا ذَاتَ الْيَمِينِ» ". بَيْنَ ظَهْرَيِ الْحَمْضِ فِي طَرِيقٍ تُخْرِجُهُ عَلَى ثَنِيَّةِ الْمُرَارِ، مَهْبِطِ الْحُدَيْبِيَةِ مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ. قَالَ: فَسَلَكَ الْجَيْشُ ذَلِكَ الطَّرِيقَ، فَلَمَّا رَأَتْ خَيْلُ قُرَيْشٍ قَتَرَةَ الْجَيْشِ قَدْ خَالَفُوا عَنْ طَرِيقِهِمْ، رَكَضُوا رَاجِعِينَ إِلَى قُرَيْشٍ، وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا سَلَكَ فِي ثَنِيَّةِ الْمُرَارِ بَرَكَتْ نَاقَتُهُ، فَقَالَ النَّاسُ: خَلَأَتْ. فَقَالَ: " «مَا خَلَأَتْ، وَمَا هُوَ لَهَا بِخُلُقٍ، وَلَكِنْ حَبَسَهَا حَابِسُ الْفِيلِ عَنْ مَكَّةَ، لَا تَدْعُونِي قُرَيْشٌ الْيَوْمَ إِلَى خُطَّةٍ يَسْأَلُونَنِي فِيهَا صِلَةَ الرَّحِمِ، إِلَّا أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا» ". ثُمَّ قَالَ لِلنَّاسِ: " انْزِلُوا ". قِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا بِالْوَادِي مَاءٌ نَنْزِلُ عَلَيْهِ. فَأَخْرَجَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ، فَأَعْطَاهُ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِهِ، فَنَزَلَ بِهِ فِي قَلِيبٍ مِنْ تِلْكَ الْقُلُبِ، فَغَرَزَهُ فِي جَوْفِهِ، فَجَاشَ بِالرَّوَاءِ، حَتَّى ضَرَبَ النَّاسُ عَنْهُ بِعَطَنٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ، عَنْ رِجَالٍ مِنْ أَسْلَمَ، أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৩০৭১
الَّذِي نَزَلَ فِي الْقَلِيبِ بِسَهْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَاجِيَةُ بْنُ جُنْدُبٍ، سَائِقُ بُدْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ زَعَمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ كَانَ يَقُولُ: أَنَا الَّذِي نَزَلْتُ بِسَهْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. ثُمَّ اسْتَدَلَّ ابْنُ إِسْحَاقَ لِلْأَوَّلِ بِأَنَّ جَارِيَةً مِنَ الْأَنْصَارِ جَاءَتِ الْبِئْرَ، وَنَاجِيَةُ فِي أَسْفَلِهِ يَمِيحُ، فَقَالَتْ: يَا أَيُّهَا الْمَائِحُ دَلْوِي دُونَكَا ... إِنِّي رَأَيْتُ النَّاسَ يَحْمَدُونَكَا يُثْنُونَ خَيْرًا وَيُمَجِّدُونَكَا فَأَجَابَهَا فَقَالَ: قَدْ عَلِمَتْ جَارِيَةٌ يَمَانِيَهْ ... أَنِّي أَنَا الْمَائِحُ وَاسْمِي نَاجِيهْ وَطَعْنَةٍ ذَاتِ رَشَاشٍ وَاهِيَهْ ... طَعَنْتُهَا عِنْدَ صُدُورِ الْعَادِيَهْ قَالَ الزُّهْرِيُّ فِي حَدِيثِهِ: فَلَمَّا اطْمَأَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَتَاهُ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ، فِي رِجَالٍ مِنْ خُزَاعَةَ، فَكَلَّمُوهُ وَسَأَلُوهُ مَا الَّذِي جَاءَ بِهِ، فَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ لَمْ يَأْتِ يُرِيدُ حَرْبًا، وَإِنَّمَا جَاءَ زَائِرًا لِلْبَيْتِ وَمُعَظِّمًا لِحُرْمَتِهِ. ثُمَّ قَالَ لَهُمْ نَحْوًا مِمَّا قَالَ لِبِشْرِ بْنِ سُفْيَانَ، فَرَجَعُوا إِلَى قُرَيْشٍ فَقَالُوا: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنَّكُمْ تَعْجَلُونَ عَلَى مُحَمَّدٍ، إِنَّ مُحَمَّدًا لَمْ يَأْتِ لِقِتَالٍ، إِنَّمَا جَاءَ زَائِرًا لِهَذَا الْبَيْتِ.
পৃষ্ঠা - ৩০৭২

তাকে সে কথাই বলেন যা বলেছিলেন বুদাইল এবং তার সঙ্গীদেরকে ৷ সে কুরাইশের নিকট
ফিরে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কথা তাদেরকে জানালে তারা হুলায়স ইবন আলকামা অথবা
ইবন সবানকে প্রেরণ করে ৷ এ হুলায়স ছিল আছাবশী তথা কুরায়শ রচ্ছিত হ্মেত্রেগুলির দলপতি ৷
সে ছিল বনুল হড়ারিস ইবন আব্দ মানাত ইবন কিনানার অন্যতম সদস্য ৷ তাকে দেখে রাসুলুল্পাহ্
(সা) বললেন :

;;ন্

এ ব্যক্তি এমন এক গোষ্ঠির সদস্য যারা এক আল্পাহ্কে স্বীকার করে (অর্থাৎ, তাওহীদে
বিশ্বাসী) ৷ তোমরা কুরবানীর পশু তার সম্মুখে নিয়ে এলো যাতে যে তা দেখতে পায় ৷ তার সম্মুখে
কুরবানীর জন্য উপস্থিত করা হলো ৷ সে দেখতে পােলা যে, ওগুলো উপত্যকার ধার ঘেষে তার
সম্মুখে উপস্থিত হচ্ছে ৷ ওগুলোর গলায় রয়েছে মালা ৷ অবস্থান স্থল ণ্;থকে দুরে দীর্ঘ সময় আটক
থাকার কারণে সে গুলো শীর্ণকায় হয়ে গিয়েছে ৷ এ অবস্থা দেখে সে রৰুসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে না
গিয়ে কুরায়শের নিকট ফিরে আসে এবং যা দেখতে পেয়েছে তাদের কাছে তা বলে ৷ তখন
কুরায়শের ণ্লাকেরা তাকে বলে : বসে পড়াে, তৃমিতো নিছক এক বেদুইন ৷ কোন জ্ঞান ধ্যান

নেই ৷ আবদুল্লাহ্ ইবন আবু বকরের উদ্ধৃতি দিয়ে ইবন ইসহড়াক (র) বলেন ; তবে হুলায়স ক্রুদ্ধ
হয়ে বলে :

হে কুরায়শ সম্প্রদায়! আল্লাহর শপথ এ কথায় আমরা তোমাদের সঙ্গে চুক্তি করিনি এবং
একথায় আমরা তোমাদের মিত্র হইনি যে, কোন ব্যক্তি বায়তুল্লাহ্র যিয়ারত এবং তার প্রতি সম্মান
প্রদর্শনের জন্য আগমন করলে তাকে বাধা দেয়া হবে ৷ হুলায়সের জীবন যার হাতে নিহিত তার
শপথ করে বলছি, মুহাম্মাদ এবং তার অভীষ্ঠ বিষয়ের মধ্যে তোমরা অম্ভরায় হয়ো না ৷ অন্যথায়
আমি সকল আহাবীশকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে চলে যাবো ৷ একথা শুনে তারা বলে : একটু
অপেক্ষা কর, আমরা তাদের নিকট থেকে এমন অঙ্গীকার গ্রহণ করি , যাতে আমরা সন্তুষ্ট হতে
পারি ৷

যুহ্রী (র) আরো বলেন : এরপর কুরায়শের লোকেরা উরওয়া ইবন মাসউদ সাকাফীকে
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ তিনি রওয়ানা হওয়ার আগে কুরায়শকে উদ্দেশ্য করে
বলেনঃ

হে কুরায়শের লোকেরা ! আমি দেখতে পাচ্ছি যে, তোমরা যাকে মুহন্মোদের নিকট প্রেরণ
কর, সে ফিরে এলে তোমরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহড়ার কর এবং উষ্মড়া প্রকাশ কর ৷ তোমরা জান যে,
তোমরা পিতৃস্থানীয় আর আমি সন্তান তৃল্য ৷ আর উরওয়া ছিলেন সুবায়আ ৰিনৃত আব্দ শামসের
সন্তান ৷ তোমাদের বিবাদ সম্পর্কে আমি শুনতে পেয়েছি ৷ আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা আমাকে
মান্য করে তাদেরকে একত্র করেছি এবং তোমাদের কাছে তাদেরকে নিয়ে এসেছি (তোমাদের
সাহায্যের জন্য) এমনকি আমি নিজে তোমাদের সমবেদনায় এগিয়ে এসেছি ৷ উরওয়ার এসব
কথা শুনে তারা বললো, তুমি যথার্থই বলেছ ৷ তোমার সম্পর্কে আমাদের কোন অভিযোগ নেই ৷
এরপর তিনি বের হয়ে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট গিয়ে তার সম্মুখে আসন গ্রহণ করে বললেন :


فَاتَّهَمُوهُمْ وَجَبَّهُوهُمْ وَقَالُوا: وَإِنْ كَانَ جَاءَ وَلَا يُرِيدُ قِتَالًا؛ فَوَاللَّهِ لَا يَدْخُلُهَا عَلَيْنَا عَنْوَةً أَبَدًا، وَلَا تُحَدِّثُ بِذَلِكَ عَنَّا الْعَرَبُ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَكَانَتْ خُزَاعَةُ عَيْبَةَ نُصْحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ مُسْلِمُهَا وَمُشْرِكُهَا، لَا يُخْفُونَ عَنْهُ شَيْئًا كَانَ بِمَكَّةَ. قَالَ: ثُمَّ بَعَثُوا إِلَيْهِ مِكْرَزَ بْنَ حَفْصِ بْنِ الْأَخْيَفِ، أَخَا بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقْبِلًا قَالَ: " «هَذَا رَجُلٌ غَادِرٌ» ". فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَلَّمَهُ، قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوًا مِمَّا قَالَ لِبُدَيْلٍ وَأَصْحَابِهِ، فَرَجَعَ إِلَى قُرَيْشٍ فَأَخْبَرَهُمْ بِمَا قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ بَعَثُوا إِلَيْهِ الْحُلَيْسَ بْنَ عَلْقَمَةَ، أَوِ ابْنَ زَبَّانَ، وَكَانَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدَ الْأَحَابِيشِ، وَهُوَ أَحَدُ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ مَنَاةَ بْنِ كِنَانَةَ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «إِنَّ هَذَا مِنْ قَوْمٍ يَتَأَلَّهُونَ، فَابْعَثُوا بِالْهَدْيِ فِي وَجْهِهِ حَتَّى يَرَاهُ» ". فَلَمَّا رَأَى الْهَدْيَ يَسِيلُ عَلَيْهِ مِنْ عُرْضِ الْوَادِي فِي قَلَائِدِهِ، قَدْ أَكَلَ أَوْبَارَهُ مِنْ طُولِ الْحَبْسِ عَنْ مَحِلِّهِ، رَجَعَ إِلَى قُرَيْشٍ، وَلَمْ يَصِلْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ إِعْظَامًا لِمَا رَأَى، فَقَالَ لَهُمْ ذَلِكَ. قَالَ: فَقَالُوا لَهُ: اجْلِسْ، فَإِنَّمَا أَنْتَ أَعْرَابِيٌّ لَا عِلْمَ لَكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ الْحُلَيْسَ غَضِبَ عِنْدَ ذَلِكَ وَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، وَاللَّهِ مَا عَلَى هَذَا حَالَفْنَاكُمْ، وَلَا عَلَى هَذَا عَاقَدْنَاكُمْ، أَيُصَدُّ عَنْ بَيْتِ اللَّهِ مَنْ جَاءَهُ مُعَظِّمًا لَهُ؟! وَالَّذِي نَفْسُ الْحُلَيْسِ بِيَدِهِ لَتُخَلُّنَّ بَيْنَ مُحَمَّدٍ وَبَيْنَ مَا جَاءَ لَهُ، أَوْ
পৃষ্ঠা - ৩০৭৩
لَأَنْفِرَنَّ بِالْأَحَابِيشِ نَفْرَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ. قَالُوا: مَهْ، كُفَّ عَنَّا يَا حُلَيْسُ حَتَّى نَأْخُذَ لِأَنْفُسِنَا مَا نَرْضَى بِهِ. قَالَ الزُّهْرِيُّ فِي حَدِيثِهِ: ثُمَّ بَعَثُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُرْوَةَ بْنَ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيَّ، فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ مَا يَلْقَى مِنْكُمْ مَنْ بَعَثْتُمُوهُ إِلَى مُحَمَّدٍ إِذَا جَاءَكُمْ؛ مِنَ التَّعْنِيفِ، وَسُوءِ اللَّفْظِ، وَقَدْ عَرَفْتُمْ أَنَّكُمْ وَالِدٌ وَأَنِّي وَلَدٌ - وَكَانَ عُرْوَةُ لِسُبَيْعَةَ بِنْتِ عَبْدِ شَمْسٍ - وَقَدْ سَمِعْتُ بِالَّذِي نَابَكُمْ، فَجَمَعْتُ مَنْ أَطَاعَنِي مِنْ قَوْمِي، ثُمَّ جِئْتُكُمْ، حَتَّى آسَيْتُكُمْ بِنَفْسِي. قَالُوا: صَدَقْتَ، مَا أَنْتَ عِنْدَنَا بِمُتَّهَمٍ. فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَجَمَعْتَ أَوْشَابَ النَّاسِ، ثُمَّ جِئْتَ بِهِمْ إِلَى بَيْضَتِكَ لِتَفُضَّهَا بِهِمْ، إِنَّهَا قُرَيْشٌ قَدْ خَرَجَتْ مَعَهَا الْعُوذُ الْمَطَافِيلُ، قَدْ لَبِسُوا جُلُودَ النُّمُورِ، يُعَاهِدُونَ اللَّهَ، لَا تَدْخُلُهَا عَلَيْهِمْ عَنْوَةً أَبَدًا، وَايْمُ اللَّهِ لَكَأَنِّي بِهَؤُلَاءِ قَدِ انْكَشَفُوا عَنْكَ غَدًا. قَالَ: وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: امْصُصْ بَظْرَ اللَّاتِ، أَنَحْنُ نَنْكَشِفُ عَنْهُ؟! قَالَ: مَنْ هَذَا يَا مُحَمَّدُ؟ قَالَ: " هَذَا ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ ". قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْلَا يَدٌ كَانَتْ لَكَ عِنْدِي لَكَافَأْتُكَ بِهَا، وَلَكِنْ هَذِهِ بِهَا. قَالَ: ثُمَّ جَعَلَ يَتَنَاوَلُ لِحْيَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُكَلِّمُهُ. قَالَ: وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ وَاقِفٌ
পৃষ্ঠা - ৩০৭৪

মুহাম্মাদ ! তুমি কিছু বখাটে লোক একত্র করে তাদেরকে নিয়ে নিজ গোত্রের সর্বনাশের
আয়োজন করেছ ৷ কুরায়শের লোকজন তাদের সস্তানাদি নিয়ে ময়দানে সমবেত হয়েছে ৷ তারা
বাঘের চামড়া পরিধান করেছে ৷ তারা আল্পাহ্র নামে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে, তুমি শক্তি প্রয়োগ
করে কিছুতেই মক্কায় প্রবেশ করতে সক্ষম হবে না ৷ আল্লাহ্র শপথ, আজ যারা তোমার চতুর্দিকে
জড়ো হয়েছে কাল তারা সকলেই উধাও হয়ে যাবে ৷ রাসুলুল্লাহ্র (সা) পিছনে ছিলেন হযরত আবু
বকর সিদ্দীক (রা) ৷ উরওয়ার বক্তব্য শুনে তিনি বললেন :

লাত দেবীর অঙ্গ বিশেষ চুষতো ৷ আমরা কি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গ ত্যাগ করে চলে
“যাবো? উরওয়া জানতে চায়, হে মুহাম্মাদ ! ইনি কে ? রাসৃলুল্লাহ্ (সা) জানালেন এ হলো আবু
কৃহাফার পুত্র ৷ উরওয়া বললে : আল্লাহ্র কসম, আমার প্রতি আপনার অনুগ্নহ না থাকলে আমি
অবশ্যই আপনার কথার জবাব দিতাম ৷ কিন্তু অনুগ্রহের কারণে জবাব দিলাম না ৷ যুহ্রী (র)
বলেন : এরপর উরওয়া কথা বলতে গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দাড়ি মৃবারক স্পর্শ করেন ৷ মুগীরা
ইবন শুবা তখন অস্ত্র হাতে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পেছনে দাড়িয়ে ছিলেন ৷ যুহ্রী (র) বলেন :
উরওয়া রাসুল (না)-এর দাড়ি মুৰারকে হাত রেখে কথা বলার সময় হাত নাড়লে হযরত মুগীরা
(বা) তার হাতে ঠোকর দিয়ে বলতেন : তোমার হাত সরাও নতুবা তা আর তোমার দিকে ফিরে
আসবে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখের উপর এভাবে হাত নাড়াবে না ৷ তখন উরওয়া বলে : দুঃখ
হয় তোমার জন্য , তুমি কতটা হঠকারী আর বদমেজায! এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) মৃদু হাসলে
উরওয়া জিজ্ঞেস করেন, মুহাম্মাদ ! এ কে ? তিনি বললেন, এ তোমার ভাতিজা মুপীরা ইবন শুবা ৷
উরওয়া বললেন, হে দাগাবাজ৷ আমিভাে গতকালই তোমার দাপাবাজীর হাত ধুয়ে দিয়েছিলাম ৷
যুহ্রী (র) বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (সা) তার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলেন, যেমনভাবে তিনি বলেছেন
তার পুর্বেকার সঙ্গীদেরকে ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে একথাও জানিয়ে দেন যে, তিনি যুদ্ধ
করার উদ্দেশ্যে আগমন করেননি ৷ তখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সম্মুখ থেকে সরে আমার
জন্য উঠে দাড়ান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সড়াহাবীগণ তার সঙ্গে কেমন আচরণ করেন এ সময় তিনি
দুরে দাড়িয়ে তা পর্যবেক্ষণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উবু করলে তারা ছুটে এসে তার উয়ুর পানি
নিয়ে নিতেন (মাটিতে পড়তে দিতেন না), তিনি থুথু ফেললো , সাহাবীগণ ছুটে এসে তাও তুলে
নিতেন এবং তার চুল-দাড়ির কোন পশম খসে পড়লে তাও তারা ছুটে এসে লুফে নিতেন ৷

তিনি কুরায়শের নিকট প্রত্যাবর্তন করে বললেন :

হে কুরায়শ সম্প্রদায় ! আমি কিসৃরা, কায়সর এবং নজােশীর মতো সম্রাটদের দরবার ঘুরে
এসেছি ৷ ত্মাল্লাহ্র শপথ ! আমি কখনো কোন সম্রাটকে তার লোকজনের এমন মযদাির আসনে
দেখতে পাইনি, যেমনটি দেখতে পেয়েছি মুহাম্মাদকে তার সঙ্গীদের মধ্যে ৷ তারা কোন অবন্থায়ই
তাকে ত্যাগ করে চলে যাবে না , তোমরা এখন নিজেরাই মত স্থির কর , কী করবে ৷ কোন কোন
ওয়াকিফহাল মহলের উদ্ধৃতি দিয়ে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেন ?,

রাসুলুল্লাহ্ (সা) খারাশ ইবন উমইিয়া খুযায়ীকে ডেকে তার উট সালাব এর পিঠে সওয়ার
করিয়ে কুরায়শের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আগমনের মুল পয়পাম পৌছাবার জন্য প্রেরণ
করেন ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উটনীকে বধ করে এবং খারাশকেও হত্যা করতে উদ্যত হলে
আহাবীশরা তাকে রক্ষা করে ৷ তখন তারা তাকে ছেড়ে দেয় ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি রাসুলুল্লাহ্


عَلَى رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَدِيدِ. قَالَ: فَجَعَلَ يَقْرَعُ يَدَهُ، إِذَا تَنَاوَلَ لِحْيَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَقُولُ: اكْفُفْ يَدَكَ عَنْ وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَبْلَ أَلَّا تَصِلَ إِلَيْكَ. قَالَ: فَيَقُولُ عُرْوَةُ: وَيْحَكَ، مَا أَفَظَّكَ وَأَغْلَظَكَ! قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ: مَنْ هَذَا يَا مُحَمَّدُ؟ قَالَ: " هَذَا ابْنُ أَخِيكَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ " قَالَ: أَيْ غُدَرُ، وَهَلْ غَسَلْتَ سَوْءَتَكَ إِلَّا بِالْأَمْسِ؟! . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: أَرَادَ عُرْوَةُ بِقَوْلِهِ هَذَا، أَنَّ الْمُغِيرَةَ قَبْلَ إِسْلَامِهِ قَتَلَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا، مِنَ بَنِي مَالِكٍ مِنْ ثَقِيفٍ، فَتَهَايَجَ الْحَيَّانِ مِنْ ثَقِيفٍ؛ بَنُو مَالِكٍ رَهْطُ الْمَقْتُولِينَ، وَالْأَحْلَافُ رَهْطُ الْمُغِيرَةِ، فَوَدَى عُرْوَةُ الْمَقْتُولِينَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ دِيَةً، وَأَصْلَحَ ذَلِكَ الْأَمْرَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَكَلَّمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِنَحْوٍ مِمَّا كَلَّمَ بِهِ أَصْحَابَهُ، وَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ لَمْ يَأْتِ يُرِيدُ حَرْبًا، فَقَامَ مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ رَأَى مَا يَصْنَعُ بِهِ أَصْحَابُهُ، لَا يَتَوَضَّأُ إِلَّا ابْتَدَرُوا وَضُوءَهُ، وَلَا يَبْصُقُ بُصَاقًا إِلَّا ابْتَدَرُوهُ، وَلَا يَسْقُطُ مِنْ شِعْرِهِ شَيْءٌ إِلَّا أَخَذُوهُ، فَرَجَعَ إِلَى قُرَيْشٍ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنِّي قَدْ جِئْتُ كِسْرَى فِي مُلْكِهِ، وَقَيْصَرَ فِي مُلْكِهِ، وَالنَّجَاشِيَّ فِي مُلْكِهِ، وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ مَلِكًا فِي قَوْمِهِ قَطُّ مِثْلَ مُحَمَّدٍ فِي أَصْحَابِهِ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ قَوْمًا لَا يُسْلِمُونَهُ لِشَيْءٍ أَبَدًا، فَرَوْا رَأْيَكُمْ.
পৃষ্ঠা - ৩০৭৫

(সা)-এর নিকট ফিরে আসতে সক্ষম হন ৷ নির্ভরযেগ্যে রাৰী থেকে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে ইবন
ইসহাক (র) বর্ণনা করেন যে, কুরায়শরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বাহিনীকে নিরীক্ষণ করার জন্য
৪ :৫০ জনের একটা দলকে প্রেরণ করে ৷ তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কোন
সাহাবীকে আক্রমণ করা ৷ তাদেরকে পাকড়াও করে রাসুলুল্লাহ্ ( সা )এর দরবারে হাযির করা হলে
তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে তাদেরকে মুক্ত করে দেন ৷ অথচ তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বাহিনীর
প্ৰতি প্রস্তর এবং তীরে নিক্ষেপ করেজ্যি ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)
-কে ডেকে কুরায়শের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্পের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা)--এর পয়গাম পৌছিয়ে দিতে
বললে তিনি আরয করলেনৰু ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) আমার জীবনের ব্যাপারে কুরায়শকে আমি
হুমকি মনে করি ৷ আর মক্কায় বনু আদীর মধ্যে এমন কেউ নেই যে আমাকে রক্ষা করতে পারে ৷
আর কুরায়শরা আমার প্রতি কতটা ক্ষুদ্ধ আর রুষ্ট তাতো আপনি জানেনই ৷ তবে আমি এমন এক
ব্যক্তির কথা আপনাকে বলবো যিনি আমার চেয়েও বেশী মযক্ষোশীল ৷ তিনি হচ্ছেন উছমান ইবন
আফ্ফান (রা) ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে ডেকে আবু সুফিয়ান প্রমুখ কুরায়শী নেতৃবৃন্দের নিকট
প্রেরণ করেন তাদেরকে একথা জানিয়ে দেয়ার জন্য যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) যুদ্ধ করার জন্য আগমন
করেননি, বরং তিনি আগমন করেছেন বায়তৃল্লাহ্র যিয়ারত এবং তৎপ্রতি সম্মান প্রদর্শানব জন্য ৷
হযরত উছমান (বা) মক্কার পথে রওয়ানা হয়ে যান ৷ মক্কায় প্রবেশকালে অথবা তার কিছু আগে
আবান ইবন সাঈদ ইবনুল আস এর সঙ্গে তার সাক্ষাত হয় ৷ তিনি তার বাহনের সম্মুখে তাকে
বসান এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পয়গাম পৌছানাের পর্যন্ত তাকে নিরাপত্তা দান করেন ৷ এরপর
হযরত উছমান (রা) আবু সুফিয়ান প্রমুখ কুরায়শ নেতৃবৃন্দের নিকট গমন করেন এবং তাদের
নিকট রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পয়গাম পৌছান ৷ তারা তার বক্তব্য শুনে বললো তুমি যাই ইচ্ছা কর
তা হলে আল্লাহর ঘরের তাওয়াফ করতে পার ৷ তিনি বললেন : রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাওয়াফ না করা
পর্যন্ত আমিতে৷ তাওয়াফ করতে পারিনা ৷ এ সময় কুরায়শরা হযরত উছমান (রা) কে আটক
করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং মুসলমানদের নিকট খবর পৌছে যে, হযরত উছমান (রা)-কে হত্যা
করা হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক (র) হযরত আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর (রা) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন
যে, হযরত উছমান (রা) নিহত হয়েছেন একথা রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর নিকট পৌছলে রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেন : তাদের থেকে বদলা না নিয়ে আমরা ফিরে যাবো না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকলকে
বায়আত করার জন্য আহ্বান জানান ৷ একটা গাছের তলায় অনুষ্ঠিত এই বায়আতকে বায়অড়াতে
রিদওয়ান’ বলা হয় ৷ (লাকেরা বলাবলি করতে) রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের কাছ থেকে আমৃত্যু লড়ে
যাওয়ার বায়আত গ্রহণ করেন ৷ আর জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) বলভ্রুতন : রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাদের নিকট থেকে আমৃত্যু লড়বার বায়আত গ্রহণ করেননি : বরং তিনি বায়আত গ্রহণ
করেছিলেন যে, আমরা যেন পলায়ন করি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের নিকট থেকে এ মর্মে
বায়আত গ্রহণ করেন ৷ বনু সালিমার জাদ্ ইবন কায়স ছাড়া মজলিসে উপস্থিত কেউই এ বায়আত
গ্রহণ থেকে পিছিয়ে থাকেননি ৷ এ সম্পর্কে হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (বা) বলেন, আল্লাহ্র
কলম, আমি যেন দেখতে পাচ্ছি জাদ তার উদ্রীর আড়ালে ণ্লাকজন থেকে লুকাচ্ছেন ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট খবর আসে যে, উছমান (রা)-এর ব্যাপারে যা বলা হয়েছে তা গুজব
মাত্র ৷ ইবন হিশাম ওয়াকী সুত্রে শাবীর বরাতে বর্ণনা করেন যে, বায়আতৃর রিদওয়ানে

৪ :

قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا خِرَاشَ بْنَ أُمَيَّةَ الْخُزَاعِيَّ، فَبَعَثَهُ إِلَى قُرَيْشٍ بِمَكَّةَ، وَحَمَلَهُ عَلَى بَعِيرٍ لَهُ، يُقَالُ لَهُ: الثَّعْلَبُ. لِيُبَلِّغَ أَشْرَافَهُمْ عَنْهُ مَا جَاءَ لَهُ، فَعَقَرُوا بِهِ جَمَلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَرَادُوا قَتْلَهُ، فَمَنَعَهُ الْأَحَابِيشُ، فَخَلَّوْا سَبِيلَهُ، حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ قُرَيْشًا كَانُوا بَعَثُوا أَرْبَعِينَ رَجُلًا مِنْهُمْ أَوْ خَمْسِينَ، وَأَمَرُوهُمْ أَنْ يُطِيفُوا بِعَسْكَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ لِيُصِيبُوا لَهُمْ مِنْ أَصْحَابِهِ أَحَدًا، فَأُخِذُوا أَخْذًا، فَأُتِيَ بِهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعَفَا عَنْهُمْ وَخَلَّى سَبِيلَهُمْ، وَقَدْ كَانُوا رَمَوْا فِي عَسْكَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحِجَارَةِ وَالنَّبْلِ، ثُمَّ دَعَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ لِيَبْعَثَهُ إِلَى مَكَّةَ، فَيُبَلِّغَ عَنْهُ أَشْرَافَ قُرَيْشٍ مَا جَاءَ لَهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَخَافُ قُرَيْشًا عَلَى نَفْسِي، وَلَيْسَ بِمَكَّةَ مِنْ بَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبٍ أَحَدٌ يَمْنَعُنِي، وَقَدْ عَرَفَتْ قُرَيْشٌ عَدَاوَتِي إِيَّاهَا وَغِلْظَتِي عَلَيْهَا، وَلَكِنِّي أَدُلُّكَ عَلَى رَجُلٍ أَعَزَّ بِهَا مِنِّي، عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، فَبَعَثَهُ إِلَى أَبِي سُفْيَانَ وَأَشْرَافِ قُرَيْشٍ، يُخْبِرُهُمْ أَنَّهُ لَمْ يَأْتِ لِحَرْبٍ، وَإِنَّمَا جَاءَ زَائِرًا لِهَذَا الْبَيْتِ وَمُعَظِّمًا لِحُرْمَتِهِ، فَخَرَجَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ، فَلَقِيَهُ أَبَانُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ حِينَ دَخَلَ مَكَّةَ، أَوْ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَهَا، فَحَمَلَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ أَجَارَهُ حَتَّى بَلَّغَ رِسَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَانْطَلَقَ عُثْمَانُ حَتَّى أَتَى أَبَا سُفْيَانَ
পৃষ্ঠা - ৩০৭৬
وَعُظَمَاءَ قُرَيْشٍ، فَبَلَّغَهُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَرْسَلَهُ بِهِ، فَقَالُوا لِعُثْمَانَ حِينَ بَلَّغَ رِسَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ: إِنْ شِئْتَ أَنْ تَطُوفَ بِالْبَيْتِ فَطُفْ. قَالَ: مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ حَتَّى يَطُوفَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَاحْتَبَسَتْهُ قُرَيْشٌ عِنْدَهَا، فَبَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمِينَ أَنَّ عُثْمَانَ قَدْ قُتِلَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حِينَ بَلَغَهُ أَنَّ عُثْمَانَ قَدْ قُتِلَ: " «لَا نَبْرَحُ حَتَّى نُنَاجِزَ الْقَوْمَ» ". وَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْبَيْعَةِ، فَكَانَتْ بَيْعَةُ الرِّضْوَانِ تَحْتَ الشَّجَرَةِ، فَكَانَ النَّاسُ يَقُولُونَ: بَايَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمَوْتِ. وَكَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُبَايِعْنَا عَلَى الْمَوْتِ، وَلَكِنْ بَايَعَنَا عَلَى أَلَّا نَفِرَّ. فَبَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسُ، وَلَمْ يَتَخَلَّفْ عَنْهُ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ حَضَرَهَا، إِلَّا الْجَدُّ بْنُ قَيْسٍ، أَخُو بَنِي سَلِمَةَ، وَكَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ لَاصِقًا بِإِبِطِ نَاقَتِهِ، قَدْ ضَبَأَ إِلَيْهَا، يَسْتَتِرُ مِنَ النَّاسِ، ثُمَّ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الَّذِي ذُكِرَ مِنْ أَمْرِ عُثْمَانَ بَاطِلٌ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَذَكَرَ وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ أَنَّ أَوَّلَ مَنْ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ أَبُو سِنَانٍ الْأَسَدِيُّ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي مَنْ أَثِقُ بِهِ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ بِإِسْنَادٍ لَهُ، عَنِ ابْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩০৭৭

সর্বপ্রথম যিনি বায়আত গ্রহণ করেন তিনি ছিলেন আবু সিনান আল-আসাদী ৷ নির্জ্যযোগ্য রাবীর
বরাতে ইবন উমর সুত্রে ইবন হিশাম বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে হযরত উছমান (বা)
এর পক্ষ থেকে বায়আত গ্রহণ করেন এবং তার নিজের এক হাতের উপর অপর হাত স্থাপন
করেন, যে সনদে ইবন হিশাম এ হাদীছটি বর্ণনা করেন তা দুর্বল; তবে হাদীছটি দুর্বল হলেও বুখারী
এবং মুসলিমের রিওয়ায়াতে ব্যাপারটি সমর্থিত ৷ যুহ্রী (র)-এর বরাতে মুহাম্মাদ ইবন ইসহড়াক
বলেন যে ; এরপর কুরায়শ বনু আমির ইবন লুয়াই-এর অন্যতম সদন৷ সুহায়ল ইবন আমৃরকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে প্রেরণ করে এবং তাকে বলে দেয় যে, মুহাম্মাদ এর নিকট গমন
করে তার সঙ্গে সন্ধি কর ৷ সন্ধিতে একথা অন্তর্ভুক্ত থাকবে যে, এ বছর (ওমরা না করেই)
তাদেরকে ফিরে যেতে হবে ৷ আল্লাহর কলম, আরবে এ কথা যেন বলাবলি না হয় যে, মুহাম্মাদ
জোরপুর্বক মক্কায় প্রবেশ করেছেন ৷ সুহায়ল ইবন আমৃরকে আগমন করতে দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেন, সন্ধির উদ্দেশ্যে তারা এ ব্যক্তিকে প্রেরণ করেছে, সুহায়ল রম্পুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে
দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেন ৷ দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর তারা সন্ধির ব্যাপারে ঐকমতেব্রু
পৌছেন ৷ কথাবার্তা কেবল পাকাপাকি হয়ে যায় সন্ধিপত্র লেখা বাকী ছিল এমন সময় উমর (রা)
আবু বকর (রা)এর নিকট ছুটে যান এবং বলেন : আবু বকর তিনি কি আল্লাহ্র রাসুল নন ? আবু
বকর বললেন, অবশ্যই ৷ উমর বললেন, আমরা কি মুসলিম নই ? আবু বকর বললেন,
নিঃসন্দেহে ৷ উমর (রা) আবার বললেন, তারা কি মুশরিক নয় ! তিনি বললেন, এতে কােনই
সন্দেহ নেই; উমর বললেন, তাহলে দীনের ব্যাপারে আমরা কেন হীনতা স্বীকার করে নেবাে ?
তখন আবু বকর (রা) বললেন, হে উমর ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আনুগত্য শক্তভাবে অবলম্বন কর ৷
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্পাহ্র রাসুল ৷ উমর (রা) বললেন, আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি
আল্লাহ্র রাসুল ৷ এরপর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট হাযির হয়ে আরব করলেন; ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আপনি কি আল্লাহ্র রাসুল নন ? তিনি বললেন, অবশ্যই ৷ উমর বললেন, আমরা
কি মুসলিম নই ! জবাবে তিনি বললেন, অবশ্যই ৷ তিনি বললেন, তারা কি যুশরিক নয়? রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, অবশ্যই; এবার উমর (রা) বললেন, তবে কেন আমরা দীনের ব্যাপারে এ দীনতা-
হীনতা মেনে নেবাে ? তিনি বললেন, আমি আল্লাহ্র বন্দো ও রাসুল, আমি আল্লাহ্র নির্দেশের
বিরুদ্ধাচরণ করতে পারি না এবং আল্লাহ্, কিছুতেই আমার বিনাশ সাধন করবেন না, উমর (রা)
বলতেন, সেদিন আমি যেসব কড়া কথা বলেছি সে ভয়ে আমি অব্যাহতভাবে নামায পড়ি, রোযা
রাখি, সদকা করি, দাস মুক্ত করতে থাকি ৷ শেষ পর্যন্ত আমি কল্যাণ লাভের আশা করি ৷

ইবন ইসহড়াক (র ) বলেন : এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালিবকে ডেকে এনে
বললেন, লেখ, বিসমিল্লাহির রাহমড়ানির রাহীম ; সুহায়ল বললেন , এটা কি, আমি জানি না , তবে
বিসমিকা আল্লাহুম্মা (শ্লো ৷ ৷ ষ্ঠাং); হে আল্লাহ্! তোমার নামে’ লিখ, তখন রাসৃলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, লেখ বিসমিকা আল্লাহুম্মা ৷ আলী (রা) তাই লিখলেন, এরপর বললেন , লেখ-


এ হচ্ছে সে চুক্তিপত্র যাতে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (মা) এবং সুহায়ল ইবন আমর একমত
হয়েছেন ৷ সুহায়ল বললেন, আমি যদি আপনাকে আল্লাহর রাসুল বলেই স্বীকার করতাম, তাহলে


مُلَيْكَةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَايَعَ لِعُثْمَانَ، فَضَرَبَ بِإِحْدَى يَدَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى» . وَهَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ هِشَامٍ بِهَذَا الْإِسْنَادِ ضَعِيفٌ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ". قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: قَالَ الزُّهْرِيُّ: ثُمَّ بَعَثَتْ قُرَيْشٌ سُهَيْلَ بْنَ عَمْرٍو أَخَا بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالُوا: ائْتِ مُحَمَّدًا وَصَالِحْهُ، وَلَا يَكُنْ فِي صُلْحِهِ إِلَّا أَنْ يَرْجِعَ عَنَّا عَامَهُ هَذَا، فَوَاللَّهِ لَا تَتَحَدَّثُ الْعَرَبُ أَنَّهُ دَخَلَهَا عَنْوَةً أَبَدًا. فَأَتَاهُ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقْبِلًا قَالَ: " قَدْ أَرَادَ الْقَوْمُ الصُّلْحَ حِينَ بَعَثُوا هَذَا الرَّجُلَ ". فَلَمَّا انْتَهَى سُهَيْلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَكَلَّمَ فَأَطَالَ الْكَلَامَ وَتَرَاجَعَا، ثُمَّ جَرَى بَيْنَهُمَا الصُّلْحُ، فَلَمَّا الْتَأَمَ الْأَمْرُ وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا الْكِتَابُ، وَثَبَ عُمَرُ فَأَتَى أَبَا بَكْرٍ، فَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ، أَلَيْسَ بِرَسُولِ اللَّهِ؟! قَالَ: بَلَى. قَالَ: أَوَلَسْنَا بِالْمُسْلِمِينَ؟! قَالَ: بَلَى. قَالَ: أَوَلَيْسُوا بِالْمُشْرِكِينَ؟! قَالَ: بَلَى. قَالَ: فَعَلَامَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا؟! قَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا عُمَرُ، الْزَمْ غَرْزَهُ، فَإِنِّي أَشْهَدُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ. قَالَ عُمَرُ: وَأَنَا أَشْهَدُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ. ثُمَّ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَسْتَ بِرَسُولِ اللَّهِ؟! قَالَ: " بَلَى ". قَالَ: أَوَلَسْنَا بِالْمُسْلِمِينَ؟! قَالَ: " بَلَى " قَالَ: أَوَلَيْسُوا بِالْمُشْرِكِينَ؟! قَالَ: " بَلَى " قَالَ: فَعَلَامَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا؟! قَالَ: " «أَنَا
পৃষ্ঠা - ৩০৭৮
عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، لَنْ أُخَالِفَ أَمْرَهُ وَلَنْ يُضَيِّعَنِي» " فَكَانَ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: مَا زِلْتُ أَصُومُ، وَأَتَصَدَّقُ، وَأُصَلِّي، وَأُعْتِقُ، مِنَ الَّذِي صَنَعْتُ يَوْمَئِذٍ؛ مَخَافَةَ كَلَامِي الَّذِي تَكَلَّمْتُ يَوْمَئِذٍ، حَتَّى رَجَوْتُ أَنْ يَكُونَ خَيْرًا. قَالَ: ثُمَّ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: " اكْتُبْ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ". قَالَ: فَقَالَ سُهَيْلٌ: لَا أَعْرِفُ هَذَا، وَلَكِنِ اكْتُبْ: بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اكْتُبْ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ " فَكَتَبَهَا. ثُمَّ قَالَ: " اكْتُبْ: هَذَا مَا صَالَحَ عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ سُهَيْلَ بْنَ عَمْرٍو ". قَالَ: فَقَالَ سُهَيْلٌ: لَوْ شَهِدْتُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ لَمْ أُقَاتِلْكَ، وَلَكِنِ اكْتُبِ اسْمَكَ وَاسْمَ أَبِيكَ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اكْتُبْ: هَذَا مَا صَالَحَ عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ سُهَيْلَ بْنَ عَمْرٍو "؛ اصْطَلَحَا عَلَى وَضْعِ الْحَرْبِ عَنِ النَّاسِ عَشْرَ سِنِينَ، يَأْمَنُ فِيهِنَّ النَّاسُ، وَيَكُفُّ بَعْضُهُمْ عَنْ بَعْضٍ، عَلَى أَنَّهُ مَنْ أَتَى مُحَمَّدًا مِنْ قُرَيْشٍ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهِ رَدَّهُ عَلَيْهِمْ، وَمَنْ جَاءَ قُرَيْشًا مِمَّنْ مَعَ مُحَمَّدٍ لَمْ يَرُدُّوهُ عَلَيْهِ، وَأَنَّ بَيْنَنَا عَيْبَةً مَكْفُوفَةً، وَأَنَّهُ لَا إِسْلَالَ وَلَا إِغْلَالَ، وَأَنَّهُ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَدْخُلَ فِي عَقْدِ مُحَمَّدٍ وَعَهْدِهِ دَخَلَ فِيهِ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَدْخُلَ فِي عَقْدِ قُرَيْشٍ وَعَهْدِهِمْ دَخَلَ فِيهِ - فَتَوَاثَبَتْ خُزَاعَةُ فَقَالُوا: نَحْنُ فِي عَقْدِ مُحَمَّدٍ وَعَهْدِهِ. وَتَوَاثَبَتْ بَنُو بَكْرٍ فَقَالُوا: نَحْنُ فِي عَقْدِ قُرَيْشٍ وَعَهْدِهِمْ - وَأَنَّكَ تَرْجِعُ عَامَكَ هَذَا، فَلَا تَدْخُلُ عَلَيْنَا مَكَّةَ، وَأَنَّهُ إِذَا كَانَ عَامٌ قَابِلٌ خَرَجْنَا عَنْكَ، فَدَخَلْتَهَا بِأَصْحَابِكَ، فَأَقَمْتَ فِيهَا ثَلَاثًا، مَعَكَ سِلَاحُ
পৃষ্ঠা - ৩০৭৯

তো আর আপনার সঙ্গে যুদ্ধ করতাম না, বরং আপনার এবং আপনার পিতার নাম লিখুন! তখন
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, লেখ ৷

এ হলো সেসব শর্ত, যাতে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্ এবং সুহায়ল ইবন আমর চুক্তিবদ্ধ
হয়েছেন, (১) উভয় পক্ষের মধ্যে দশ বছর পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ থাকবে ৷ এসময় লোকেরা নিরাপদে
নিরুপদ্রবে জীবন-যাপন করবে, একে অন্যের উপর আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকবে, (২)
কুরায়শের কোন লোক তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া মুহাম্মাদ এর নিবল্ট আগমন করলে তিনি
তাকে ফেরত পাঠাবেন , বিন্দু মুহন্মোদের সঙ্গীসাথীদের মধ্য থেকে কেউ কুরায়শের নিকট চলে
আসলে তারা তাকে ফেরত দিবে না ৷ (৩) আমরা আমাদের কোন পক্ষ অপর পক্ষকে যুদ্ধের জন্য
প্রকাশ্যে বা গোপনে যুদ্ধের উস্কানী দেবে না ৷ (৪ ) যার ইচ্ছা মুহাম্মাদ এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে
পারবে আর যার ইচ্ছা কুরায়শদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে : সে মতে বনু থুযাআ মুহাম্মাদ
(সা) এর সঙ্গে এবং বকর কুরায়শের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় ৷

;া; এে; ); পুপ্রুাদ্ব৷ ণ্া; ;,াদ্বু ৷১৷ ণ্১! প্
াগ্লুরু
াদ্১াট্র

(৫) এ বছর মুসলমানগণ মক্কায় প্রবেশ না করেই ফিরে যাবেন, (৬) আগামী বছর কুরায়শরা
মুসলমানদের জন্য পথ উন্মুক্ত করে দেবে, মুহাম্মাদ সঙ্গি-সাথী নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করতে পারবেন

এবং (৭) সেখানে তিন দিন অবস্থান করতে পারবেন ৷ (৮) তখন পথিক সুলভ কােষবদ্ধ তরবারি
ছাড়া অন্য কোন অস্ত্র সাথে থাকবে না ৷

যুহ্য়ী (র) বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (মা) এবং সুহায়ল ইবন আমর এর চুক্তিপত্র লিখা হচ্ছে এমন
সময় সুহায়ল ইবন আমর এর পুত্র আবু জন্দল লোহার বেড়ি পরিহিত অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এর সম্মুখে উপস্থিত হন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না) যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাতে বিজয় সম্পর্কে সাহাবীগণের মনে কোন সন্দেহ
সংশয় ছিল না, তইি তারা যখন সন্ধি স্থাপন ও ফিরে যাওয়ার শর্ত মেনে নেয়া এবং রাসুলুল্পাহ্
(সা)-এর ধৈর্য-ভৈস্থর্য প্রত্যক্ষ করলেন, তখন তারা এমন মর্মাহ্ত হন যে , তাদের জীবন নাশের
উপক্রম হয় ৷ সুহায়ল আবু জন্দলকে দেখে তার দিকে এগিয়ে যান, তাকে চপেটাঘাত করেন
এবং আমার প্রান্ত ধরে বলেন : হে মুহাম্মাদ ৷ এর আগমনের পুর্বেই আপনার ও আমার মধ্যে
সন্ধিশর্ত চুড়ান্ত হয়ে গিয়েছে ৷ রাসুলল্লাহ (সা ) বললেন : যথার্থ ৷ সুহায়ল আবু জন্দলকে টেনে

হেচড়ে কুরায়শদের কাছে নিয়ে যেতে শুরু করে ৷ এ সময় আবু জন্দল উচ্চস্বরে ফরিয়াদ করে
বলছিলো :

হে মুসলিম সমাজ ! আমাকে কি মুশরিকদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে ? তারা আমাকে
ধর্মচুত করতে প্রয়াস পাবে ৷ এ অবস্থা দেখে সাহাবীগণের মর্যযাতনা আরো বৃদ্ধি গেলো ৷ তখন


الرَّاكِبِ؛ السُّيُوفُ فِي الْقُرُبِ، لَا تَدْخُلُهَا بِغَيْرِهَا. قَالَ: فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْتُبُ الْكِتَابَ هُوَ وَسُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو، إِذْ جَاءَ أَبُو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو يَرْسُفُ فِي الْحَدِيدِ، قَدِ انْفَلَتَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ خَرَجُوا وَهُمْ لَا يَشُكُّونَ فِي الْفَتْحِ؛ لِرُؤْيَا رَآهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَوْا مَا رَأَوْا مِنَ الصُّلْحِ وَالرُّجُوعِ، وَمَا تَحَمَّلَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفْسِهِ، دَخَلَ عَلَى النَّاسِ مِنْ ذَلِكَ أَمْرٌ عَظِيمٌ، حَتَّى كَادُوا يَهْلِكُونَ، فَلَمَّا رَأَى سُهَيْلٌ أَبَا جَنْدَلٍ، قَامَ إِلَيْهِ فَضَرَبَ وَجْهَهُ، وَأَخَذَ بِتَلْبِيبِهِ، وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، قَدْ لَجَّتِ الْقَضِيَّةُ بَيْنِي وَبَيْنَكَ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَكَ هَذَا. قَالَ: " صَدَقْتَ " فَجَعَلَ يَنْتُرُهُ بِتَلْبِيبِهِ وَيَجُرُّهُ، يَعْنِي لِيَرُدَّهُ إِلَى قُرَيْشٍ، وَجَعَلَ أَبُو جَنْدَلٍ يَصْرُخُ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، أُرَدُّ إِلَى الْمُشْرِكِينَ يَفْتِنُونِنِي فِي دِينِي؟ ! فَزَادَ ذَلِكَ النَّاسَ إِلَى مَا بِهِمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «يَا أَبَا جَنْدَلٍ اصْبِرْ وَاحْتَسِبْ، فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلٌ لَكَ وَلِمَنْ مَعَكَ مِنَ الْمُسْتَضْعَفِينَ فَرَجًا وَمَخْرَجًا، إِنَّا قَدْ عَقَدْنَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ صُلْحًا، وَأَعْطَيْنَاهُمْ عَلَى ذَلِكَ وَأَعْطَوْنَا عَهْدَ اللَّهِ، وَإِنَّا لَا نَغْدِرُ بِهِمْ» ". قَالَ: فَوَثَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مَعَ أَبِي جَنْدَلٍ يَمْشِي إِلَى جَنْبِهِ وَيَقُولُ: اصْبِرْ يَا أَبَا جَنْدَلٍ، فَإِنَّمَا هُمُ الْمُشْرِكُونَ، وَإِنَّمَا دَمُ أَحَدِهِمْ دَمُ كَلْبٍ. قَالَ: وَيُدْنِي قَائِمَ السَّيْفِ مِنْهُ. قَالَ: يَقُولُ عُمَرُ: رَجَوْتُ أَنْ يَأْخُذَ السَّيْفَ فَيَضْرِبَ أَبَاهُ. قَالَ: فَضَنَّ الرَّجُلُ بِأَبِيهِ، وَنَفَذَتِ الْقَضِيَّةُ. فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْكِتَابِ، أَشْهَدَ عَلَى الصُّلْحِ رِجَالًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَرِجَالًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ؛ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ،
পৃষ্ঠা - ৩০৮০
وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَمِكْرَزُ بْنُ حَفْصٍ - وَهُوَ يَوْمَئِذٍ مُشْرِكٌ - وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَكَتَبَ، وَكَانَ هُوَ كَاتِبَ الصَّحِيفَةِ. وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُضْطَرِبًا فِي الْحِلِّ، وَكَانَ يُصَلِّي فِي الْحَرَمِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الصُّلْحِ قَامَ إِلَى هَدْيِهِ فَنَحَرَهُ، ثُمَّ جَلَسَ فَحَلَقَ رَأْسَهُ، وَكَانَ الَّذِي حَلَقَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ خِرَاشُ بْنُ أُمَيَّةَ بْنِ الْفَضْلِ الْخُزَاعِيُّ، فَلَمَّا رَأَى النَّاسُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَحَرَ، وَحَلَقَ تَوَاثَبُوا يَنْحَرُونَ وَيَحْلِقُونَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «حَلَقَ رِجَالٌ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَصَّرَ آخَرُونَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَرْحَمُ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ". قَالُوا: وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " يَرْحَمُ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ". قَالُوا: وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " يَرْحَمُ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ". قَالُوا: وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " وَالْمُقَصِّرِينَ ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَلِمَ ظَاهَرْتَ التَّرْحِيمَ لِلْمُحَلِّقِينَ دُونَ الْمُقَصِّرِينَ؟ قَالَ: " لَمْ يَشُكُّوا» . وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ: حَدَّثَنِي مُجَاهِدٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْدَى عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ - فِي هَدَايَاهُ - جَمَلًا لِأَبِي جَهْلٍ، فِي رَأْسِهِ بُرَّةٌ
পৃষ্ঠা - ৩০৮১

রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দেখে বললেন : হে আবু জন্দল ! ধৈর্য ধারণ কর আর ছাওয়াবের আশা
পোষণ কর ৷ কারণ আল্লাহ তোমার জন্য তোমার অন্যান্য দুর্বল সঙ্গীদের মুক্তি ব্যবস্থা করবেন ৷
আমরা এইমাত্র কুরায়শ সম্প্রদায়ের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়েছি আর তারাও আমাদের সঙ্গে আল্লাহর
নামে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ৷ আমরা তাদের সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করতে পারিনা ৷

রাবী বলেন যে, উমর ইবনুল খাত্তাব তখন ছুটে নিয়ে আবু জন্দলের পাশাপাশি ইাটতে
থাকেন ৷ এ সময় তিনি বলছিলেন :

হে আবু জন্দল ! ধৈর্য ধারণ কর, তারাভাে মুশরিক, তাদের রক্তাতা কুকুরের রক্ত তুলা ৷
হযরত উমর (রা) এর সবে তলোয়ারও ছিল ৷ তিনি বলেন, আমি আশা করছিলাম আবু জন্দল
তরবারি থানা নিয়ে তার পিতার গর্দানে মারবেন ৷ আবুজন্দল পিতার প্ৰতি দুর্বলতা প্রকাশ করে
এবং চুক্তিটি কার্যকর হয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) চুক্তিপত্র লিপিবদ্ধ করা; সম্পন্ন করে মুসলমান
এবং যুশরিকদের মধ্যে কয়েকজনকে সাক্ষী রাখেন ৷ মুসলমানদের মধ্যে সাক্ষী ছিলেন আবু বকর
সিদ্দিক (রা), উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) , আবদুর রহমান ইবন আওফ, আবদুল্লাহ ইবন সুহায়ল
ইবন আমর , সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস ৷ আর মুশরিকদের মধ্যে মাহমুদ ইবন মাসৃলামা ও মুকরিয
ইবন হাফস তখনো তিনি মুশরিক ছিলেন ৷ আর হযরত আলী ইবন আবু তালিব চুক্তিপত্রটি
লিপিবদ্ধ করেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে সময় হেরেম এলাকার বাইরে তাবু খাটান এবং হেরেমে নামায আদায়
করতেন, চুক্তিপত্র সম্পাদন শেষে তিনি কুরবানীর পশু গুলির দিকে এগিয়ে যান এবং পশু জবইি
করেন ৷ তারপর বসে মস্তক মুণ্ডন করেন ৷ আর এ দিন তার মস্তক মুণ্ডনের কার্য সম্পাদন করেন
খারাপ ইবন উমাইয়া ইবন ফযল খুযায়ী ৷ লোকেরা যখন দেখলো যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরবানী
করে মস্তক মুণ্ডন করেছেন তখন তারা সকলেও উঠে যান এবং কুরবানী ও মস্তক মুণ্ডন করেন ৷
ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন আবুনাজীহ ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হুদায়বিয়ার
দিন কিছু লোক হলফ করেন অর্থাৎ মাথা মুণ্ডন করেন আর কিছু লোক কসর করেন অর্থাৎ চুল
ছোট করে ছুাটেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃআ করলেন ও


তারা মস্তক মুণ্ডন করেছে তাদের প্রতি আল্লাহ্ রহম করুন, সাহাবীগণ বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! মাথা ছুটিইিকারীদের কী হবে ? তখন তিনি বললেন, আল্লাহ মস্তক মুণ্ডনকারীদের
প্রতি রহম করুন ! আল্লাহ মস্তক মুণ্ডনকারীদের প্রতি রহম করুন ! ! আল্লাহ মস্তক মুণ্ডনকারীদের
প্রতি রহম করুন!!! চতৃর্থবার বললো, চুল হীটাইকারীদের প্রতিও আল্লাহ্ রহম করুন ৷ তখন
সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসুলড়াল্লাহ্! তাহলে আপনি কেন মস্তক মুণ্ডনকড়ারীদের জন্য
রহমতের দুআ পরপর করলেন, চুল কর্তাকােরীদেরকে বাদ দিয়ে ? রাসুল (সা) বললেন : যারা
মস্তক মুণ্ডন করেছে, ইহরাম খোলার ব্যাপারে তাদের মনে কোন রকম সন্দেহ সংশয় ছিল না ৷
আবদুল্লাহ ইবন আবু নাজীহ মুজাহিদ সুত্রে হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুদায়বিয়ার বছর কুরবানীর পশুর মধ্যে আবু জাহলের উটও অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন ৷
মাথায় ছিল রৌপাের কুণ্ডলী, তিনি এ কাজ করেন, যাতে কাফিরদের অম্ভর্জুালা সৃষ্টি হয় ৷


مِنْ فِضَّةٍ؛ لِيَغِيظَ بِذَلِكَ الْمُشْرِكِينَ. هَذَا سِيَاقُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، لِهَذِهِ الْقِصَّةِ، وَفِي سِيَاقِ الْبُخَارِيِّ - كَمَا سَيَأْتِي - مُخَالَفَةٌ فِي بَعْضِ الْأَمَاكِنِ لِهَذَا السِّيَاقِ، كَمَا سَتَرَاهَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ. وَلْنُورِدْهَا بِتَمَامِهَا، وَنَذْكُرْ مَا فِي الْأَحَادِيثِ الصِّحَاحِ وَالْحِسَانِ مَا فِيهِ شَاهِدٌ، فِي كُلِّ مَوْطِنٍ بِحَسَبِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ، وَهُوَ الْمُسْتَعَانُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ، فَأَصَابَنَا مَطَرٌ ذَاتَ لَيْلَةٍ، فَصَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَقَالَ: " أَتَدْرُونَ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ؟ " قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَقَالَ: " قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: أَصْبَحَ مِنْ عِبَادِي مُؤْمِنٌ بِي وَكَافِرٌ بِي؛ فَأَمَّا مَنْ قَالَ: مُطِرْنَا بِرَحْمَةِ اللَّهِ، وَبِرِزْقِ اللَّهِ، وَبِفَضْلِ اللَّهِ. فَهُوَ مُؤْمِنٌ بِي كَافِرٌ بِالْكَوْكَبِ، وَأَمَّا مَنْ قَالَ: مُطِرْنَا بِنَجْمِ كَذَا. فَهُوَ مُؤْمِنٌ بِالْكَوْكَبِ كَافِرٌ بِي» وَهَكَذَا رَوَاهُ فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ مِنْ " صَحِيحِهِ " وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ. وَقَدْ رَوَى عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ.
পৃষ্ঠা - ৩০৮২

হুদায়ৰিয়ায় সন্ধি সম্পর্কে এ হল মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র)-এর বর্ণনা, বৃখারী (র)-এর
বর্ণনায় কোন কোন ক্ষেত্রে জ্যিতা রয়েছে, যা আমরা পরে দেখতে পাবাে ইনশাআল্লাহ! ইমাম
বুখারীর পুর্ণ বর্ণনা আমরা উল্লেখ করবো এবং তাতে সহীহ্ এবং হাসান হাদীছও অন্তর্ভুক্ত করবো ৷
ইনৃশাআল্লাহ্া

ইমাম বুখারী (র) খালিদ ইবন মাখলাদ যায়দ ইবন খালিদ সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :

হুদায়ৰিয়ায় বছরে আমরা রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সঙ্গে বের হলাম ৷ সে রাত্রে বৃষ্টি বর্ধিত হয় ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফজরের সালাত আদায় করে আমাদের দিকে মুখ করে বললেন : তোমরা কি
জান, তোমাদের পালনকতা কী বলেছেন ৷ আমরা বললাম আল্লাহ; এবং তার রাসুলই সবচেয়ে
ভাল জানেন ৷ তখন তিনি বলেন, আল্লাহ বলেছেন : আমার বন্দোদ্যে মধ্যে কিছু লোক সকালে
আমার প্ৰতি ঈমানদার হয়েছে আর কিছু হয়েছে আমার প্রতি কাকিং৷ ৷বঈমান ৷ণ্ংতাদেব মধ্যে যারা
বলেছে যে, আল্লা হ্ব রহমত বরকত আর ফসলে বৃষ্টি বর্ধিত হয়েছে তারা আমার প্রতি ঈমানদার
আর নক্ষত্রের প্রতি অবিশ্বাসী ৷ আর যারা বলে যে, অমুক নক্ষত্রের দ্বারা আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত
হয়েছে ৷ সে নক্ষত্রে বিশ্বাসী জ্যি আমাতে অবিশ্বাসী ৷ ইমাম বৃখারী (র) তার সহীহ গ্রন্থের
একাধিক স্থানে হাদীছটি উদ্ধৃত করোছা ৷ ইমাম মুসলিমও ইমাম যুহ্রী থেকে বিজ্যি সুত্র হাদীছটি
বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম যুহ্রী (র) থেকে উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদৃল্লাহ্র মারফত হযরত আবু
হ্বায়রাও হাদীছটি বর্ণনা করেহ্নেষ্ক ৷

ইমাম বুখারী (র) উবায়দৃল্পাহ্ ইবন মুসা বারা সুত্রে বর্ণনা করে বলেন ৷ তােমরাতো
মক্কা বিজয়বেইি আসল বিজয় মনে করে থাক আর ফতেহ মকা’ অবশ্যই বিজয় ছিল ৷ তবে
আমরা হুদায়ৰিয়ায় সব্ধির দিন বায়আতৃর রিদওয়ানকে বিজয় মনে করি ৷ নবী করীম (না)-এর
সঙ্গে আমরা ১৪০০ সঙ্গী ছিলাম আর হুদায়ৰিয়ায় ছিল একটা কুয়া ৷ আমরা কুয়৷ থেকে পানি
উত্তোলন করি এবং এমন কি তাতে এক ফোটা পানিও অবশিষ্ট ছিল না ৷ নবী করীম (সা) এ
সম্পর্কে জানতে পেরে সেখানে আগমন করেন এবং কুয়ার কিনারায় বসে পানির একটা পাত্র
আনতে বলেন এবং সে পানি দিয়ে উযু করেন কুলি করেন তার দুআ করেন ও সে পানি কুয়ায়
ফেলে দেন ৷ এরপর কিছুক্ষণ আমরা অপেক্ষা করলাম ৷ তারপর কুয়৷ আমাদের এবং আমাদের
সওয়ারীর জন্য প্রয়েজ্জীয় পানি সরবরাহ করলো ৷ ইমাম বুখরীি এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেন্ ৷ ৷

আর ইবনইসহাক আল্লাহ্তাআলার বাণী ৰুশ্ ড্রুাট্রুৰু;শু সম্পর্কে
বলেন যে, এখানে ৷ ৰু,ও এে তথা নিকট বিজয় অর্থ হুদায়ৰিয়ার সর্ষি ৷ আর যুহ্রী (র)
বলেন, ইসলামে ইতিপুর্বে এর চেয়ে বড় বিজয় সাধিত হয়নি ৷ যেখানে দৃদল মুগােমুখী হতো
সেখানেই যুদ্ধ হতো সন্ধি স্থাপিত হলে অস্ত্র সংরক্ষিত হলো লোকেরা শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ
করলো ৷ একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ৷ মেলামেশা করে ৷ পরস্পরে আলাপ-আলোচনা
লেতে থাকে যাদের জ্ঞান-বুদ্ধি ছিল তারা ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা শুনে ইসলাম গ্রহণ ক্যতো ৷
ইতিপুর্বে যেসব লোক ইসলাম গ্রহণ করেছিল তাদ্যে৷ সম পরিমাণ বা ততোধিক ব্যক্তি এ দৃবছরে
ইসলাম গ্রহণ করে ৷ যুহ্রী (র) যা বলেছেন তার প্রমাণ এই যে, হযরত জাবির (বা) এর উক্তি
মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১৪শ সাহাবীর সঙ্গে হুদায়ৰিয়ায় উদ্দেশ্যে বের হন ৷ পক্ষাম্ভরে দুবহ্ব পর
মক্কা বিজয় কালে তিনি ১০ হাজার সঙ্গী নিয়ে বের হন ৷


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: «تَعُدُّونَ أَنْتُمُ الْفَتْحَ فَتْحَ مَكَّةَ وَقَدْ كَانَ فَتْحُ مَكَّةَ فَتْحًا، وَنَحْنُ نَعُدُّ الْفَتْحَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ، كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً، وَالْحُدَيْبِيَةُ بِئْرٌ، فَنَزَحْنَاهَا فَلَمْ نَتْرُكْ فِيهَا قَطْرَةً، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَاهَا فَجَلَسَ عَلَى شَفِيرِهَا، ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ مِنْ مَاءٍ، فَتَوَضَّأَ ثُمَّ مَضْمَضَ وَدَعَا، ثُمَّ صَبَّهُ فِيهَا، فَتَرَكْنَاهَا غَيْرَ بَعِيدٍ، ثُمَّ إِنَّهَا أَصْدَرَتْنَا مَا شِئْنَا نَحْنُ وَرِكَابَنَا» . انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {فَجَعَلَ مِنْ دُونِ ذَلِكَ فَتْحًا قَرِيبًا} [الفتح: 27] (الْفَتْحِ: 27) . صُلْحُ الْحُدَيْبِيَةِ قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَمَا فُتِحَ فِي الْإِسْلَامِ فَتْحٌ قَبْلَهُ كَانَ أَعْظَمَ مِنْهُ، إِنَّمَا كَانَ الْقِتَالُ حَيْثُ الْتَقَى النَّاسُ، فَلَمَّا كَانَتِ الْهُدْنَةُ، وَضَعَتِ الْحَرْبُ أَوْزَارَهَا، وَأَمِنَ النَّاسُ كُلُّهُمْ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَالْتَقَوْا فَتَفَاوَضُوا فِي الْحَدِيثِ وَالْمُنَازَعَةِ، فَلَمْ يُكَلَّمْ أَحَدٌ فِي الْإِسْلَامِ - يَعْقِلُ شَيْئًا - إِلَّا دَخَلَ فِيهِ، وَلَقَدْ دَخَلَ فِي تَيْنَكِ السَّنَتَيْنِ مِثْلُ مَنْ كَانَ دَخَلَ فِي الْإِسْلَامِ قَبْلَ ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَالدَّلِيلُ عَلَى مَا قَالَهُ الزُّهْرِيُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ إِلَى الْحُدَيْبِيَةِ فِي أَلْفٍ وَأَرْبَعِمِائَةِ رَجُلٍ فِي قَوْلِ جَابِرٍ، ثُمَّ خَرَجَ عَامَ فَتْحِ مَكَّةَ بَعْدَ ذَلِكَ بِسَنَتَيْنِ فِي عَشَرَةِ آلَافٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩০৮৩
حُصَيْنٌ، عَنْ سَالِمٍ عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «عَطِشَ النَّاسُ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ رَكْوَةٌ، فَتَوَضَّأَ مِنْهَا، ثُمَّ أَقْبَلَ النَّاسُ نَحْوَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا لَكُمْ؟ " قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَيْسَ عِنْدَنَا مَا نَتَوَضَّأُ بِهِ وَلَا نَشْرَبُ إِلَّا مَا فِي رَكَوْتِكَ. قَالَ: فَوَضَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فِي الرَّكْوَةِ، فَجَعَلَ الْمَاءُ يَفُورُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ كَأَمْثَالِ الْعُيُونِ. قَالَ: فَشَرِبْنَا وَتَوَضَّأْنَا. فَقُلْنَا لِجَابِرٍ: كَمْ كُنْتُمْ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: لَوْ كُنَّا مِائَةَ أَلْفٍ لَكَفَانَا، كُنَّا خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَابِرٍ، بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قُلْتُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ: بَلَغَنِي أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ كَانَ يَقُولُ: كَانُوا أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً. فَقَالَ لِي سَعِيدٌ: حَدَّثَنِي جَابِرٌ: كَانُوا خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً، الَّذِينَ بَايَعُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ. تَابَعَهُ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا قُرَّةُ، عَنْ قَتَادَةَ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ عَمْرٌو: سَمِعْتُ جَابِرًا، قَالَ: «قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ أَنْتُمْ خَيْرُ أَهْلِ
পৃষ্ঠা - ৩০৮৪

৩১৮ ন্ আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া

ইমাম বুখারী ইউসুফ ইবনঈ সা — জাবির সুত্রে বর্ণনা করেনং হুদায়বিয়ার দিন লোকেরা
পিপাসায় কাতর হন ৷ একটা পাত্রে রাসৃলুল্লাহ্ (সা) এর সম্মুখে কিছু পানি ছিল ৷ তিনি তা থেকে
উয়ু করলেন ৷ এরপর লোকেরা তার দিকে এগিয়ে আসেন ৷ তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কী ব্যাপার ?
ণ্তামাদের কী হয়েছে : তারা বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা ) ! আমাদের কাছে উয়ু করার মতো
পানি নেই ৷ পান করার মতো কোন পানিও নেই আমাদের কাছে ৷ আপনার পাত্রে যা আছে কেবল
এতটুকু ছাড়া ৷ তখন নবী করীম (সা) পানির পাত্রে হাত রাখলেন ৷ শুক্ষুাতে তা থেকে ফোয়ারার
মতো পানি উথলে উঠতে থাকে ৷ রাবী বলেন, আমরা পান করলাম ৷ উয়ু করলাম ৷ জাবিরকে
আমরা জিজ্ঞাসা করলাম ৷ সেদিন আপনারা কত লোক ছিলেন ? তিনি বলেন, আমরা ১৫শ লোক
ছিলাম, তবে আমরা যদি সংখ্যায় এক লাখ হতাম তাহলেও তা আমাদের সকলের জন্য যথেষ্ট
হতো ৷ বুখারী (র) এবং মুসলিম জ্যি সুত্রেও জাবির থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী (র)
সালত ইবন মুহাম্মাদ জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তারা ছিলেন চৌদ্দশ
জন ৷ সাঈদ বলেন, জাবির আমাকে বলেন যে যারা হুদায়বিয়ার দিন বায়আত করেছেন তারা
ছিলেন পনের শ’ ৷ ইমাম আবু দাউদ এর সমর্থক হাদীছ বর্ণনা করেন ৷ হাদীছঢি বৃখাবীর (র)
একক বর্ণনা ৷ বুখারী আলী ইবন আবদুল্লাহ জাবির সুত্রে বর্ণনা করেন যে , হুদায়বিয়ার দিন
রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদেরকে বলেন : তোমরা পৃথিবীর সেরা মানব গোষ্ঠি ৷ আমরা হ্নিাম চৌদ্দশ
জন ৷ আজ যদি আমার দৃষ্টিশক্তি থাকতো তবে বৃক্ষের স্থানটি তােমাদেরকে দেখাতাম ৷ বুখারী
(র) ও মুসলিম (র) সুফিয়ান ইবন উয়াইনা সুত্রেও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুপভাবে যায়দ
ইবন সাদ জাবির সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করে বলেন : হাতিবের এক গােলাম রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট অভিযোগ করে বলে : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা)! হাতিব নিশ্চিত জাহান্নামে যাবে ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : তুমি মিথ্যা বলছ , বদর আর হুদায়বিয়ায় উপ ত ছিল এমন লোক
জাহান্নামে যাবে না ৷ মুসলিম (র) হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ মুসলিম (র) ভিন্ন সুত্রে জাবির থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, উষ্মে মুবাশৃার আমাকে জানান যেৰু তিনি রাসুল করীম (না)-কে
হাফসাকে (রা) লক্ষ্য করে বলতে শুনেছেন ::

;গোা
(৮ওগ্রা
ৰু১এি
বৃক্ষের সাথী যারা বৃক্ষের নীচে বায়আত গ্রহণ করেছেন ইনশাআল্লাহ্ তাদের কেউ জাহান্নামে
প্রবেশ করবে না ৷ তখন হাফনা বললেন ইয়া রাসুলাল্লা হ ঠিক : তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাফসাকে

নৃদুতৎসনা করলেন ৷ হাফসা বললেনং ৷এ্’া,াটু ১া ণ্ছুট্রুট্রুৰুট্রু, ৷ব্লু তোমাদের প্ৰত্যেককেই তা
অতিক্রম করতে হবে ৷ (১৯ মারয়ামঃ ৭ ১) তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেনং আল্পাহ্ তা আলা


الْأَرْضِ. وَكُنَّا أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ، وَلَوْ كُنْتُ أُبْصِرُ الْيَوْمَ لَأَرَيْتُكُمْ مَكَانَ الشَّجَرَةِ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ: «، أَنَّ عَبْدًا لِحَاطِبٍ جَاءَ يَشْكُوهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَيَدْخُلَنَّ حَاطِبٌ النَّارَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَذَبْتَ لَا يَدْخُلُهَا؛ فَإِنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَعِنْدَ مُسْلِمٍ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا يَقُولُ: «أَخْبَرَتْنِي أُمُّ مُبَشِّرٍ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ عِنْدَ حَفْصَةَ: لَا يَدْخُلُ أَحَدٌ النَّارَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ، الَّذِينَ بَايَعُوا تَحْتَهَا. فَقَالَتْ حَفْصَةُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَانْتَهَرَهَا، فَقَالَتْ حَفْصَةُ: {وَإِنْ مِنْكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا} [مريم: 71] (مَرْيَمَ: 71) . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَدْ قَالَ تَعَالَى: {ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتَّقَوْا وَنَذَرُ الظَّالِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا} [مريم: 72] (مَرْيَمَ: 72) » . قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى قَالَ: كَانَ أَصْحَابُ الشَّجَرَةِ أَلْفًا وَثَلَاثَمِائَةٍ، وَكَانَتْ أَسْلَمُ ثُمُنَ الْمُهَاجِرِينَ. تَابَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩০৮৫
أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ. هَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مُعَلَّقًا، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ شُعْبَةَ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ شُمَيْلٍ، كِلَاهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ مَرْوَانَ وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَا: «خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْيَ، وَأَشْعَرَ، وَأَحْرَمَ مِنْهَا» . تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَسَيَأْتِي هَذَا السِّيَاقُ بِتَمَامِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَذِهِ الرِّوَايَاتِ كُلَّهَا مُخَالِفَةٌ لِمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ ابْنُ إِسْحَاقَ؛ مِنْ أَنَّ أَصْحَابَ الْحُدَيْبِيَةِ كَانُوا سَبْعَمِائَةٍ، وَهُوَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، إِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ تَفَقُّهًا مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِهِ؛ مِنْ حَيْثُ إِنَّ الْبُدْنَ كُنَّ سَبْعِينَ بَدَنَةً، وَكُلٌّ مِنْهَا عَنْ عَشَرَةٍ، عَلَى اخْتِيَارِهِ، فَيَكُونُ الْمُهِلُّونَ سَبْعَمِائَةٍ، وَلَا يَلْزَمُ أَنْ يُهْدِيَ كُلُّهُمْ، وَلَا أَنْ يُحْرِمَ كُلُّهُمْ أَيْضًا؛ فَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ طَائِفَةً مِنْهُمْ، فِيهِمْ أَبُو قَتَادَةَ، وَلَمْ يُحْرِمْ أَبُو قَتَادَةَ حَتَّى قَتَلَ ذَلِكَ الْحِمَارَ الْوَحْشِيَّ، فَأَكَلَ مِنْهُ هُوَ وَأَصْحَابُهُ، وَحَمَلُوا مِنْهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ، فَقَالَ: «أَمِنْكُمْ أَحَدٌ أَمَرَهُ أَنْ يَحْمِلَ عَلَيْهَا، أَوْ أَشَارَ إِلَيْهَا؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَكُلُوا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِهَا» .
পৃষ্ঠা - ৩০৮৬

বলেছেনং ন্; পরে আমি
মুত্তাকীদেরকে নজােত দেবাে আর যড়ালির্ঘদেরকে সেখানে নিক্ষেপ করবো নতজানু অবস্থায় (১৯
মারয়ামং : ৭২) বুখ৷ ৷রী (ব) উবায়দুল্লাহ্ ইবন মু আয আবদুল্লাহ্ ইবন আবুআওফা সুত্রে
বলেন যে, বৃক্ষের তলায় বায়আত গ্রহণকারী ছিলেন ১৩শ আর আসলাম গোত্র ছিল মুহাজিরদের
এক অষ্টমাংশ ৷ মুহাম্মাদ ইবন বাশৃশার সুত্রে ইমাম আবু দাউদ (র) তার সমর্থনে হাদীছ বর্ণনা
করেন ৷ অনুরুপভাবে বুখঃারী (র) আবদুঃা৷হ্ সুত্রে সনদবিহীনভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ মুসলিম
(র)ও একাধিক সুত্রে শুবা থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ এ্যাত্ায় বুথারী (র) আলী ইবন আরদুল্লাহ্
সাফওয়ান ও যিসৃওয়ার ইবন মাখরাম৷ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷;

৷ ব্লু,১
এএে fl

হুদায়বিয়ার বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তেবশ-এর বেশী সঙ্গী নিয়ে বের হন ৷ যুল হুলারফায় পৌছে
হাদী’কে কালাদা পরান, চিহ্নিত করেন এবং সেখান থেকে ইহ্রাম বাধেন ৷ বুখারী (র)
এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ পুর্ণ বর্ণনা পরে আসছে ৷

ষোদ্দা কথা এই যে, এইসব বর্ণনা ইবন ইসহাকের সেই মতের বিপরীত যাতে তিনি
বলেছিলেন যে, হুদারবিয়ার সঙ্গীদের সংখ্যা সাতশ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷ হতে পারে যে, তিনি
নিজের বিবেচনা অনুসারে একথা বলে থাকবেন ৷ কারণ, সেদিন কৃরবানী উষ্ট্ৰ ছিল ৭০টি ৷ দশ
জনের পক্ষ থেকে ১টি করে উষ্ট্র কুরবানী করা হলে ৭০ × ১ : ৭শ হয় ৷ এটাও নয় যে, তাদের
প্রাত্যকেই এক একটি হাদী কুরবানী করবেন এবং প্রতোকেই ইহ্রাম বাধবেন ৷ কারণ, প্রমাণ
আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুদায়বিয়ার সাথীদের একটা দলকে প্রেরণ করেন, যে দলে আবু
কাতদােও ছিলেন ৷ আবুকাতাদা ইহ্রাম বাধেননি ৷ এমনকি একটা বন্য পাধা বধ করে তিনি আর
তার সঙ্গীরা আহার করেন এবং পথে গা ধার গোস্তের কিছু অংশ রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর জন্যও নিয়ে
যান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জ্যিাসা করেন : তোমাদের কেউ কি ভাবে শিকার করতে উদ্বুদ্ধ করেছে
বা শিকারের প্রতি ইঙ্গিত করেছে ৷ সকলেই বললেন : না ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :
খাবার যা অবশিষ্ট রয়েছে তোমরা আহার করতে পার ৷ বুখারী (র) শুবা ইবন রবী
আবদুল্লাহ ইবন আবু কাতাদা সুত্রে৩ তিনি তার পিত ৷ থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, হুদায়বিয়ার বহ্ব
আমরা নবী করীম (সা) এর সঙ্গে রওয়ানা হই ৷ আমার সঙ্গীরা ইহ্রাম বাধেন বিন্তু আমি ইহ্রাম
বাধিনি ৷ বুখারী (র) মুহ৷ ম্মাদ ইবন রাফি সাঈদ ইবন ঘুসায়্যাব সুত্রে তিনি তার পিতা সুত্রে
বর্ণনা ৷করেন যে, আমি যে বৃক্ষটি দেখেছি; ৰিত্ত্ব পরবর্তীকালে এসে৩ তা আর চিনতে পারিনি ৷ মুসা
মুসায়ব্রাব সুত্রে বলেনঃ বৃক্ষের নীচে যারা বায়আত করেন তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম ৷ পরবর্তী
বহ্ব সেখানে গিয়ে আর সেটি ঠিক চেনা যায়নি ৷ ইমাম বুখারী (র ) মাহমুদ তারিক ইবন
আবদুর রহমান সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন যে, আমি হব্লুজ্জর পথে এক দল লোকের নিকট
দিয়ে গমন করি তারা তখন নামায আদায় করছিল ৷ আমি জিজ্ঞাসা করলাম ৷ এটা কোন


وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ قَالَ: «انْطَلَقْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ، فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ أُحْرِمْ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُ الشَّجَرَةَ، ثُمَّ أَتَيْتُهَا بَعْدُ فَلَمْ أَعْرِفْهَا. حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا طَارِقٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ مِمَّنْ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ، فَرَجَعْنَا إِلَيْهَا الْعَامَ الْمُقْبِلَ، فَعَمِيَتْ عَلَيْنَا. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا: حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ طَارِقِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: انْطَلَقْتُ حَاجًّا، فَمَرَرْتُ بِقَوْمٍ يُصَلُّونَ، فَقُلْتُ: مَا هَذَا الْمَسْجِدُ؟ قَالُوا: هَذِهِ الشَّجَرَةُ، حَيْثُ بَايَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ. فَأَتَيْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ سَعِيدٌ: حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ كَانَ فِيمَنْ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ. قَالَ: فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ نَسِينَاهَا فَلَمْ نَقْدِرْ عَلَيْهَا. ثُمَّ قَالَ سَعِيدٌ: إِنَّ أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَعْلَمُوهَا
পৃষ্ঠা - ৩০৮৭
وَعَلِمْتُمُوهَا أَنْتُمْ؟! فَأَنْتُمْ أَعْلَمُ! . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ وَأَبِي عَوَانَةَ وَشَبَابَةَ، عَنْ طَارِقٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْحَرَّةِ وَالنَّاسُ يُبَايِعُونَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْظَلَةَ، فَقَالَ ابْنُ زَيْدٍ: عَلَى مَا يُبَايِعُ ابْنُ حَنْظَلَةَ النَّاسَ؟ قِيلَ لَهُ: عَلَى الْمَوْتِ. فَقَالَ: لَا أُبَايِعُ عَلَى ذَلِكَ أَحَدًا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَكَانَ شَهِدَ مَعَهُ الْحُدَيْبِيَةَ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ قَالَ: قُلْتُ لِسَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ: «عَلَى أَيِّ شَيْءٍ بَايَعْتُمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ؟ قَالَ: عَلَى الْمَوْتِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ.
পৃষ্ঠা - ৩০৮৮

মসজিদ? জবাবে তারা বলা ৷ : এটা যে বৃক্ষ, যেখানে নবী করীম (সা) বায়আতুর রিযওয়ানের
বায়আত গ্রহণ করেছিলেন ৷ সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাবের নিকট গমন করে এ সম্পর্কে তাকে
অবহিত করলে তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে বলেছেন যে, বৃক্ষের তলায় রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট যারা বায়আত করেছেন ৷ তিনিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ তিনি বলেন, কিন্তু
পরবর্তী বছর আমরা যে বৃক্ষটি আমাদের কাছে অপরিচিত হয়ে যায় আঃহ্ররা আর তা চিনতে সক্ষম
হইনি ৷ সাঈদ আরো বলেন ; রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গীরা বৃক্ষঢি চিনতে পারতেন না ৷ আর
তোমরা তা চিনতে পারলে ৷ তবে কি তোমরা বেশী জান ? বৃখারী ও সৃন্ষ্গ্রিন্াগ্ (র) হাদীছটি ছাওরী
তারিক সুত্রেও বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী (র) সাঈদ আব্বাদ ইবন তামীম
সুত্রে বর্ণনা করেন : হারবার দিন ল্যেবেরাে আবল্লোহ্ইবন হানযালার হাতে ন্া৷য়আত গ্রহণ করছিল,
তখন ইবন যায়দ বলেন : ইবন হানযালা কিসের উপর লোকদের নিকট থেকে বায়আত নিচ্ছেন ৷
কেউ বললো : মৃত্যুর উপর ৷ তখন তিনি বললেন : রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পর এ বিষয়ে আমি
কারো নিকট থেকে বায়আত গ্রহণ করবো না ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সঙ্গে হুদায়বিয়ায় হাযির
ছিলেন ৷ বুখারী (র) ও মুসলিম (র) আমৃর ইবন ইয়াহ্ইয়া সুত্রেও হাদীছঢি বর্ণনা করেন ৷ বুখারী
(র) কুতায়বা ইবন সাঈদ আবুউবায়দ সুত্র উদ্ধৃত করে বলেন যে, আমি সালামা ইবনুল
আক্ওয়াকে জিজ্ঞেস করলাম : ন্দায়ৰিয়ার দিন আপনার! কিসের উপর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
বায়আত করেছিলেন ৷ তিনি বললেন, মৃত্যুর উপর ৷ মুসলিম (র) ও য়াযীদ ইবন আবু উবায়দ সুত্রে
হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ সহীহ্ মুসলিমে সালামা থেকে বর্ণিত যে, তিনি তিনবার বায়আত করেন,
শুরুতে মধ্যখানে এবং শেষে সহীহ্ গ্রন্থে মাকিল ইবন ইয়াসার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি
রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর চেহারা থেকে বৃক্ষের ডালসমুহ সরাচ্ছিলেন যখন ভি লোকজন থেকে
বায়আত গ্রহণ করছিলেন ৷ আর এ দিন সর্ব প্রথম যিনি রাসুলুল্লাহ্ (স ৷) এর নিকট বায়আত গ্রহণ
করেন ৷ তিনি হলেন আবু সিনান ৷ আর এ আবু সিনান হলেন উক্কাশা ইবন মিহ্সান এর ভইি
ওয়াহাব ইবন মিহ্সান ৷ ভিন্ন মতে সিনান ইবন আবু সিনান ৷

বুখারী (র) সুজা ইবনুল ওলীদ নাফি সুত্রে বর্ণনা করেন যে, লোকেরা বলাবলি করে
যে, ইবন উমর উমর (রা)-এর পুর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছেন ৷ আসলে ব্যাপার কিন্তু তা নয় ৷ তবে
হুদায়বিয়ার দিন উমর (বা) তার পুত্র আবদুল্পাহকে জনৈক আনসারীর নিকট থেকে তার একটা
ঘোড়া আনার জন্য প্রেরণ করেন, যাতে করে তাতে নওয়াব হয়ে তনি যুদ্ধ করতে পারেন ৷ আর
এ সময় রাসুলুল্পাহ্ (সা) গাছের নিকট বায়আত গ্রহণ করছিলেন ৷ আর উমর (বা) এ সম্পর্কে
জানতেন না ৷ তাই আবদৃল্লাহ্ রাসুলুল্লাহ্র হাতে বায়আত করেন ৷ এরপর তিনি হযরত উমরঝে
সঙ্গে নিয়ে এলে তিনি রাসুল (না)-এর নিকট বায়আত করেন ৷ এর ফলে লোকেরা বলাবলি করে
যে, ইবন উমর হযরত উমর (রা)এর পুর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছেন ৷ হিশাম ইবন আমার ওলীদ
ইবন মুসলিম — ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হদায়বিয়ার দিন লোকেরা রাসুলুল্লাহ্
(সা)শ্এর সঙ্গে বৃক্ষের নীচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ৷ হঠাৎ মোঃ মনে হয় যে , লোকেরা রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে ৰেষ্টন করে রেখেছেন ৷ তখন হযরত উমর (রা) বললেন, হে আবদুল্লাহ ! দেখ তো কী
অবস্থা, লোকেরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে রেষ্টন করে আছে ৷ তিনি দেখতে পেলেন লোকেরা বায়য়াত
করছে, তখন তিনিও বায়আত করেন ৷ এরপর তিনি উমর (রা)-এর নিকট ফিরে গেলে তিনিও
বেরিয়ে এসে বায়আত করলেন, এ সুত্রদ্ব-য় থেকে বুখারী (পুর) এককতাবে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷


وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ سَلَمَةَ أَنَّهُ بَايَعَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ؛ فِي أَوَائِلِ النَّاسِ وَوَسَطِهِمْ وَأَوَاخِرِهِمْ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ كَانَ آخِذًا بِأَغْصَانِ الشَّجَرَةِ عَنْ وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُبَايِعُ النَّاسَ. وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ أَبُو سِنَانٍ، وَهُوَ وَهْبُ بْنُ مِحْصَنٍ، أَخُو عُكَّاشَةَ بْنِ مِحْصَنٍ، وَقِيلَ: سِنَانُ بْنُ أَبِي سِنَانٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنِي شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ، سَمِعَ النَّضْرَ بْنَ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا صَخْرُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: إِنَّ النَّاسَ يَتَحَدَّثُونَ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَسْلَمَ قَبْلَ عُمَرَ، وَلَيْسَ كَذَلِكَ، وَلَكِنْ عُمَرُ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ أَرْسَلَ عَبْدَ اللَّهِ إِلَى فَرَسٍ لَهُ، عِنْدَ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، أَنْ يَأْتِيَ بِهِ لِيُقَاتِلَ عَلَيْهِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَايِعُ عِنْدَ الشَّجَرَةِ وَعُمَرُ لَا يَدْرِي بِذَلِكَ، فَبَايَعَهُ عَبْدُ اللَّهِ، ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى الْفَرَسِ، فَجَاءَ بِهِ إِلَى عُمَرَ، وَعُمَرُ يَسْتَلْئِمُ لِلْقِتَالِ، فَأَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَايِعُ تَحْتَ الشَّجَرَةِ. قَالَ: فَانْطَلَقَ فَذَهَبَ مَعَهُ حَتَّى بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهِيَ الَّتِي يَتَحَدَّثُ النَّاسُ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَسْلَمَ قَبْلَ عُمَرَ. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ
পৃষ্ঠা - ৩০৮৯
الْعُمَرِيُّ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ تَفَرَّقُوا فِي ظِلَالِ الشَّجَرِ، فَإِذَا النَّاسُ مُحْدِقُونَ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ، انْظُرْ مَا شَأْنُ النَّاسِ قَدْ أَحْدَقُوا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَوَجَدَهُمْ يُبَايِعُونَ، فَبَايَعَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى عُمَرَ، فَخَرَجَ فَبَايَعَ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَيْنِ الْوَجْهَيْنِ.
পৃষ্ঠা - ৩০৯০

উমরাভুল হুদায়ৰিয়া : বুখারীর বর্ণনা

বুখারী (র) কিতাবুল মাগাযীতে আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ মিসৃওয়ার ইবন মাখৃরামা ও
মাৱওয়ান ইবন হকােম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, ভীরা উভয়ে বলেন যে , হুদাব্রিয়ার বছর রাসুলুক্ট্রণ্াহ্
(সা) তের শতাধিক সাহাবীকে সঙ্গে নিয়ে বের হন, যুল হুলায়ফছু ’ নামক স্থানে পৌছে তিনি
হাদী’ তথা কুরবানীর পশুকে কালাদা পরানৰু চিহ্নিত করেন এবং সেখান থেকে উমরার ইহ্রাম
ৰ্বাধেন এবং খুযাআ গোত্র থেকে একজন গুপ্তচর প্রেরণ করেন ৷ নবী করীম (সা) চলতে থাকেন
তিনি গাদীর আল-আশতাত’ নামক স্থানে পৌছলে গুপ্তচর তার কাছে এসে বলে :

কুরায়শরা আপনার বিরুদ্ধে সোকবল সমবেত করেছে তারা আপনার বিরুদ্ধে আহাবীশ
দেরকেও একত্র করেছে, তারা আপনার সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবং বায়ভু-ল্লাহয় গমন করতে আপনাবেঃ

তোমরা কি মনে কর, যারা আমাদেরকে বায়তুল্লাহ্র যিয়ারত করতে বাধা দেয় আমি তাদের
পরিবার ও সন্তানদের দিকে এগিয়ে নিয়ে হামলা চালাবাে ? তারা আমাদের নিকট এলে আল্লাহ
তাতা৷লা মুশরিকদের একটা দলকে ধ্বংস করে দেবেন অন্যথায় আমরা তাদেরকে যুদ্ধে বিপর্যস্ত
অবস্থায় ছেড়ে আসব্যে, তখন আবু বকর (রা) বললেন : ইয়া রাসুল্মল্লাহ্ (সা)! আপনিতাে
বায়তুল্লাহ্ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, আমরা কাউকে হত্যা করতে চাই না ৷ কারো সঙ্গে
যুদ্ধ করতে চাই না ৷ আপনি যে লক্ষোই মনোনিবেশ করুন, তবে কেউ আমাদেরকে বাধা দিলে
আমরা তার সঙ্গে লড়াই করবো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, তাহলে আল্লাহ্র নাম নিয়ে
তোমরা সম্মুখে অগ্রসর হও ! বুখারী এখানে এ পর্যন্ত বর্ণনা করেছোদ্ভ, এরচোয় বেশী কিছু উল্লেখ
করেননি ৷ বুখারী (র) কিতাবুশ শুরুত তথা জিহ দের শর্ত অধ্যাৰ্হৃদ্র আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ — ণ্
মিসওয়ার ইবন মাখৃরামা ও মারওয়ান ইবনুন হাকাম সুত্রে বর্ণনা করেন :

হুদায়ৰিয়ার দিনগুলোতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বইির্প৩ হলেন ৷ তিনি তখনো পথে ৷ এমন সময়
রাসৃলুরাহ্ (সা) বললেন : খালিদ ইবন ওয়লীেদ কুরায়শ দলের অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে অগ্রগামী
দলরুপে গামীম’ নামক স্থানে আছে ৷ সুতরাং তোমরা ডান দিকের পথ ধরে অগ্রসর হও ৷ রাবীদ্বয়
বন্ল্াম আল্লাহ্র কসম, খানিদ তাদের সম্পর্কে জানতে পারেনি ৷ যতক্ষণ না তারা সৈন্যদের চলার
ধুলা তারা দেখতে পায় ৷ তখন খালিদ কুরায়শকে সতর্ক করার জন্য ছুটে যায় ৷ নবী করীম্ (সা )
পথ চলা অব্যাহত রাখেন ৷ তিনি যখন ’ছানিয়া’ নামক স্থানে পৌছেন, যেখান থেকে নিচে ন্া৷মতে
হয়, সেখানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উটনী বসে পড়ে তখন লোকেরা ওঠ ওষ্ঠ বলে তাকে ড়াবার
চেষ্টা চালান, কিন্তু উটনীঢি বসেই থাকে, লোকজন বলাবলি করতে থাকেন যে, কাসওয়া অবাধ্য
হয়ে বসে পড়েছে ৷ তখন রাসুল (সা) বললেন # কাসওয়া বসে ণড়েনি, আর এটা তার স্বভ্যবও
নয়; বরং যিনি হাতিকে রোধ করেছিলেন তিনি কাসওয়াকেও রোধ করেছেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেন , ক্রারশর৷ যদি আমার নিকট এমন কিছু দাবী করে, যাতে তারা আল্লাহ্র নিদর্শনরাজির
সম্মান রক্ষা করবে তবে আমি তাদেরকে তা বোঝা ৷ এরপর তিনি উটনীকে হাকালে সে উঠলাে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সেখান থেকে সরে গিয়ে দুরবর্তী ভ্রুদাহুাৰিয়ায় এমন একটা হজােযর নিকট অবস্থান
গ্রহণ করেন ৷ যেখানে সামান্য পানি আছে : সেখানে যে সামান্য প্া৷নি জ্যি৷ লোকজন তা তুলে
৪ ১


[سِيَاقُ الْبُخَارِيِّ لِعُمْرَةِ الْحُدَيْبِيَةِ] ذِكْرُ سِيَاقِ الْبُخَارِيِّ لِعُمْرَةِ الْحُدَيْبِيَةِ قَالَ فِي كِتَابِ الْمَغَازِي: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ حِينَ حَدَّثَ هَذَا الْحَدِيثَ، حَفِظْتُ بَعْضَهُ، وَثَبَّتَنِي مَعْمَرٌ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ، قَالَا: «خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْيَ وَأَشْعَرَهُ، وَأَحْرَمَ مِنْهَا بِعُمْرَةٍ، وَبَعَثَ عَيْنًا لَهُ مِنْ خُزَاعَةَ، وَسَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِغَدِيرِ الْأَشْطَاطِ أَتَاهُ عَيْنُهُ، قَالَ: إِنَّ قُرَيْشًا قَدْ جَمَعُوا لَكَ جُمُوعًا، وَقَدْ جَمَعُوا لَكَ الْأَحَابِيشَ، وَهُمْ مُقَاتِلُوكَ وَصَادُّوكَ عَنِ الْبَيْتِ وَمَانِعُوكَ. فَقَالَ: " أَشِيرُوا أَيُّهَا النَّاسُ عَلَيَّ، أَتَرَوْنَ أَنْ أَمِيلَ إِلَى عِيَالِهِمْ، وَذَرَارِيِّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَصُدُّونَا عَنِ الْبَيْتِ؟ فَإِنْ يَأْتُونَا كَانَ اللَّهُ قَدْ قَطَعَ عَيْنًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَإِلَّا تَرَكْنَاهُمْ مَحْرُومِينَ ". قَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، خَرَجْتَ عَامِدًا لِهَذَا الْبَيْتِ لَا تُرِيدُ قَتْلَ أَحَدٍ وَلَا حَرْبَ أَحَدٍ، فَتَوَجَّهْ لَهُ، فَمَنْ صَدَّنَا عَنْهُ قَاتَلْنَاهُ، قَالَ: " امْضُوا عَلَى اسْمِ اللَّهِ» هَكَذَا رَوَاهُ هَاهُنَا وَوَقَفَ وَلَمْ يَزِدْ شَيْئًا عَلَى هَذَا.
পৃষ্ঠা - ৩০৯১

নেন ৷ সেখানে যের্টুকু পানি ছিল তা নিঃশেষিত হল তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা )এর নিকট পিপাসার
অভিযোগ করেন ৷ তখন তিনি তৃণীর থেকে একটা তীর বের করে তা সেখানে রাখতে বলেন ৷
আল্লাহর কসম, সেখান থেকে পানি উথলে উঠে, যাতে তারা তা থেকে তৃপ্ত হতে পারেন ৷

তারা সেখানে অবস্থান কালে বুদায়ল ইবন ওয়ারাকা খুযায়ী তার স্বগােত্রীয় কয়েকজন
লোকসহ সেখান উপস্থিত হন ৷ তিহামার এ গোত্রটি ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কল্যাণকামী ৷
বুদায়ল বলেন : আমি কাব ইবন লুয়ইি এবং আমির ইবন লুয়ইিকে হুদায়বিয়ার কুপের নিকট
দেখে এসেছি ৷ তাদের সঙ্গে তাদের পরিবারের লোকজনও রয়েছে ৷ তারা আপনার সঙ্গে যুদ্ধ
করে বয়েতৃল্পাহ্র যিয়ারত থেকে আপনাকে বাধা দিতে উদ্যত ৷ তখন রসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন :
আমরাভাে কারো সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য আসিনি, আমরা এসেছি উমর করার উদ্দেশ্যে ৷ আর
যুদ্ধতে৷ কুরায়শদেরাক পেয়ে বসেছে ৷ তারা চাইলে আমি তাদেরকে সময় দিতে পারি, যাতে
তারা আমার এবং অন্যান্য লোকদের মধ্যে অন্তরায় না হয় ৷ আমি যদি বিজয়ী হই, তারা ইচ্ছা
করলে ঐ দীনে প্রবেশ করবে, যাতে অন্যান্য লোকেরা প্রবেশ করেছে আর তা যদি না হয় তবে
তাে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেল ৷ আর যদি তারা একান্তই অস্তরায় সৃষ্টি করে তা হলে যে
সত্তার হাতে আমার জীবন, তার শপথ করে বলছি ৷ এ বিষয়ে আমি তাদের সঙ্গে লড়ইি চালিয়ে
যাবো, যতক্ষণ আমার গদনি বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায় এবং আল্লাহর নির্দেশ কার্যকর হয়ে যায় ৷ তখন
বুদায়ল বলে : আপনি যা বললেন, আমি তাদের কাছে তা পৌছিয়ে দেবাে ৷ তিনি রওয়ানা হয়ে
কুরায়শের নিকট গমন করে বলেছেন ৷ আমরা সে লোকের নিকট থেকে আসছি এবং তিনি যা
বলেছেন আমরা তা শুনেছি ৷ তোমরা শুনতে চাইলে আমরা তােমাদেরকে শুনাতে পারি ৷ তখন
তাদের মধ্যকার বোকা লোকেরা বললো : তুমি আমাদেরকে সে লোকের কথা শুনাবে আমাদের
তাতে কোন কাজ সেই ৷ কিন্তু তাদের মধ্যেকার প্রাজ্ঞ লোকের বললো ;; বল সে কি বলেছে ৷
বুদায়ল বললো : আমি তাকে এরুপ এরুপ বলতে শুনেছি ৷ একথা বলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যা
বলেছেন : তিনি তাদ্যোকে তা শুনালেন ৷ তার কথা শুনে উরওয়া ইবন মাসৃউদ সাকাফী দাড়িয়ে
বলে : হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা ! আমি কি পিতৃস্থানীয় নই ৷ তারা বললো : হা ৷ আবার
তিনি বললেন : তোমরা কি সন্তান তৃল্য নও ? তারা বললো : হা ৷ তিনি বললেন : তবে তোমরা
কি আমার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ কর ? তারা বললো, না , তোমার বিরুদ্ধে আমাদের কোন
অতািযাগ নেই ৷ তিনি বললেন : তোমরা কি জাননা যে, আমি উকাযবাসীদের সাহায্যের জন্য
ডেকেছি তার! এগিয়ে আসতে অস্বীকার করলে আমি আমার লোকজন এবং অনুগতদেরকে
ডাকি, তারা বললো, আপনি ঠিক বলেছেন ৷ তখন তিনি বললেন : এ ল্যেকটি তোমাদের নিকট
হিদায়াত ও বলাশ্ণের পথ উপস্থাপন করেছে ৷ তোমরা তা মেনে নাও ৷ তোমরা বললে আমি তার
নিকট যেতে পারি ৷ তারা সকলে বললো, হা তার কাছে যাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ নিকট গিয়ে উরওয়া তার
সঙ্গে কথা বলেন ৷ নবী করীম (সা) বুদায়লকে যা বলেছিলেন, উরওয়াকেও অনুরুপ কথা
বললেন ৷ এ সময় উঃৰ্ওয়া বলেন :

হে মুহাম্মাদ ! তোমার কি মনে হয় ? তুমি কি তোমার নিজের সম্প্রদায়ের সর্বনাশ সাধন
করতে চাও ? তুমি কি ইতিপুর্বে (কান আরব সম্পর্কে শুনেছ, যে নিজের (ল্যকজনের বিনাশ
সাধনের জন্য উদাত হয়েছে? অন্যথায় আমি এমন মুখ দেখতে পাচ্ছি, তোমার পেছনে আমি


وَقَالَ فِي كِتَابِ الشَّهَادَاتِ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، أَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ،، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، يُصَدِّقُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا حَدِيثَ صَاحِبِهِ، قَالَا: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ بِالْغَمِيمِ، فِي خَيْلٍ لِقُرَيْشٍ طَلِيعَةً، فَخُذُوا ذَاتَ الْيَمِينِ ". فَوَاللَّهِ مَا شَعَرَ بِهِمْ خَالِدٌ حَتَّى إِذَا هُمْ بِقَتَرَةِ الْجَيْشِ، فَانْطَلَقَ يَرْكُضُ نَذِيرًا لِقُرَيْشٍ، وَسَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالثَّنِيَّةِ الَّتِي يُهْبَطُ عَلَيْهِمْ مِنْهَا بَرَكَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، فَقَالَ النَّاسُ: حَلْ حَلْ. فَأَلَحَّتْ، فَقَالُوا: خَلَأَتِ الْقَصْوَاءُ، خَلَأَتِ الْقَصْوَاءُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا خَلَأَتِ الْقَصْوَاءُ، وَمَا ذَاكَ لَهَا بِخُلُقٍ، وَلَكِنْ حَبَسَهَا حَابِسُ الْفِيلِ ". ثُمَّ قَالَ: " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَسْأَلُونِي خُطَّةً يُعَظِّمُونَ فِيهَا حُرُمَاتِ اللَّهِ إِلَّا أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا ". ثُمَّ زَجَرَهَا فَوَثَبَتْ، فَعَدَلَ عَنْهُمْ حَتَّى نَزَلَ بِأَقْصَى الْحُدَيْبِيَةِ، عَلَى ثَمَدٍ قَلِيلِ الْمَاءِ يَتَبَرَّضُهُ النَّاسُ تَبَرُّضًا، فَلَمْ يُلَبِّثْهُ النَّاسُ حَتَّى نَزَحُوهُ، وَشُكِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَطَشَ، فَانْتَزَعَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهُ فِيهِ، فَوَاللَّهِ مَازَالَ
পৃষ্ঠা - ৩০৯২
يَجِيشُ لَهُمْ بِالرِّيِّ حَتَّى صَدَرُوا عَنْهُ، فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ الْخُزَاعِيُّ، فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ خُزَاعَةَ - وَكَانُوا عَيْبَةَ نُصْحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَهْلِ تِهَامَةَ - فَقَالَ: إِنِّي تَرَكْتُ كَعْبَ بْنَ لُؤَيٍّ، وَعَامِرَ بْنَ لُؤَيٍّ نَزَلُوا أَعْدَادَ مِيَاهِ الْحُدَيْبِيَةِ، مَعَهُمُ الْعُوذُ الْمَطَافِيلُ وَهُمْ مُقَاتِلُوكَ وَصَادُّوكَ عَنِ الْبَيْتِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّا لَمْ نَجِئْ لِقِتَالِ أَحَدٍ، وَلَكِنْ جِئْنَا مُعْتَمِرِينَ، وَإِنَّ قُرَيْشًا قَدْ نَهَكَتْهُمُ الْحَرْبُ وَأَضَرَّتْ بِهِمْ، فَإِنْ شَاءُوا مَادَدْتُهُمْ مُدَّةً، وَيُخَلُّوا بَيْنِي وَبَيْنَ النَّاسِ، فَإِنْ أَظْهَرْ، فَإِنْ شَاءُوا أَنْ يَدْخُلُوا فِيمَا دَخَلَ فِيهِ النَّاسُ فَعَلُوا، وَإِلَّا فَقَدْ جَمُّوا، وَإِنْ هُمْ أَبَوْا، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأُقَاتِلَنَّهُمْ عَلَى أَمْرِي هَذَا حَتَّى تَنْفَرِدَ سَالِفَتِي، وَلَيَنْفُذَنَّ أَمْرُ اللَّهِ ". قَالَ بُدَيْلٌ: سَأُبَلِّغُهُمْ مَا تَقُولُ. فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَى قُرَيْشًا، فَقَالَ: إِنَّا قَدْ جِئْنَاكُمْ مِنْ عِنْدِ هَذَا الرَّجُلِ، وَسَمِعْنَاهُ يَقُولُ قَوْلًا، فَإِنْ شِئْتُمْ أَنْ نَعْرِضَهُ عَلَيْكُمْ فَعَلْنَا. فَقَالَ سُفَهَاؤُهُمْ: لَا حَاجَةَ لَنَا أَنْ تُخْبِرَنَا عَنْهُ بِشَيْءٍ. وَقَالَ ذَوُو الرَّأْيِ مِنْهُمْ: هَاتِ مَا سَمِعْتَهُ يَقُولُ. قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ كَذَا وَكَذَا فَحَدَّثَهُمْ بِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَامَ عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ فَقَالَ: أَيْ قَوْمِ، أَلَسْتُمْ بِالْوَالِدِ؟ قَالُوا: بَلَى. قَالَ: أَوَ لَسْتُ بِالْوَلَدِ؟ قَالُوا: بَلَى. قَالَ: فَهَلْ تَتَّهِمُونِي؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي اسْتَنْفَرْتُ أَهْلَ عُكَاظٍ، فَلَمَّا بَلَّحُوا عَلَيَّ جِئْتُكُمْ بِأَهْلِي وَوَلَدِي وَمَنْ أَطَاعَنِي؟ قَالُوا: بَلَى.
পৃষ্ঠা - ৩০৯৩

এমনসব লোক জড়ো হতে দেখছি ৷ যারা তোমাকে ত্যাগ করে চলে যাবে ৷ তখন হযরত আবু
বকর (রা) তাকে বললেন : তুমি লাত দেবীর অঙ্গ বিশেষ চুষগে (তুমি কি মনে কর) তাকে ত্যাগ
করে আমরা পলায়ন করবো ? তার কথা শ্রবণ করে উরওয়৷ জানতে চায় লোকটি কে ? লোকেরা
জানায়, ইনি আবু বকর ৷ উরওয়৷ বলেন, আমার প্রতি যদি ণ্তামার অনুগ্রহ না থাকতো, যার
প্রতিদান এখ্যনা আমি দিতে পারিনি৩ ৷ তাহলে আমি তে তামার কথার জবাব দিতাম ৷ রাবী বলেন,

উরওয়া নবী করীম (না)-এর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন ৷ এ সময়ও তিনি রাসুল (না)-এর দাড়ি
মুবারকে হাত রাখেন তখর মুগীরা ইবন শুব৷ রাসুলুল্লাহ্ ৷সা)-এর থিংনে দন্ডায়মান ৷ তার হাতে
ছিল তলোয়ার, মাথায় শিরস্ত্রাণ ৷ উরওয়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দা রুঢ়র দিকে হাত বাড়ালে মুগীরা
তার বাট দ্বারা আঘাত করে বললেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দা৷ড় মুবারক থেকে হাত সরাও ৷
তখন উরওয়া মাথা তুলে বলেন, এ লোকটি কে : লোকেরা বলে ’ মুগীর৷ ইবন শুবা ৷ উরওয়া
বলেনষ্ ং হে বিশ্বাসঘাত ক তোর বিশ্বাসঘাতকতার মাশুল বি আমি ৷দয়ে যাচ্ছি না ? জাহিলী যুগে
একদা মুগীরা ইবন শু বা কিছু লোকের সঙ্গে চলছিল ৷ তিনি রুশ্ ৷দ্:দংাকে হত্যা করে তাদের সম্পদ
নিয়ে পালিয়ে আসেন ৷ পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললে৷ : আমি তোমার
ইসলাম গ্রহণ মেনে নিচ্ছি, বিতু৷ তোমার সম্পদের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷

এরপর উরওয়া রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাহাবীদেরকে গভীর দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করেন ৷ তিনি
দেখতে পান যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর থুথু কোন সাহাবীর হাতে পড়লে তিনি তা মুখে আর গায়ে
মেখে নেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে কোন নির্দেশ দান করলে তারা তা পালন করার জন্য ছুটে
যান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উয়ুকরলে তার উযুর পানি নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় লেগে যান এবং
তিনি কথা বললেত তারা নিজেদের আওয়ায নিচু করে তা শুনেন এবং তার সম্মানার্থে তারা তার
দিকে সরাসরি তাকান না ৷ উরওয়া তার সম্মানার্থে তারা তার দিকে সরাসরি তাকাল না ৷ উরওয়া
তার কুরায়শদের নিকট ফিরে গিয়ে বললেন : আল্লাহর কসম, আমি রাজা রাদা৷হদের দরবারে
প্রতিনিধি হিসাবে গিয়েছি ৷ কায়সার কিসরা এবং নজােশীর দরবারেও আমি উপস্থিত হয়েছি ৷ আমি
কোন রজ্যে-বাদশাহ্যক তার সঙ্গী-সাখীদের এত তাযীম বম্মাত দেখিনি যত সম্মান করতে দেখেছি
মুহাম্মাদকে তার সাথীদের ৷ এরপর তিনি পুর্বোক্ত কথাগুলো উল্লেখ করেন ৷ অবশেষে তিনি বলেন
যে, তিনি তোমাদের সম্মুখে আলোকমালা উপস্থাপন করেছেন, তোমরা তা মেনে নাও ৷

তারপর বনু কিনানার জনৈক ব্যক্তি বলে ৷ তোমরা আমাকে যেতে দাও, আমি তার কাছে
যইি ৷ সকলে বলে : যাও! লোকটি রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এবং তার সাহাৰীদ্দের নিকট উপস্থিত হলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দেখে বললেন : এতো অমুক ব্যক্তি, এমন এক সম্প্রদায়ের সাথে তার
সম্পর্ক, যারা কুরবানীর পশ্যুক সম্মান করে ৷ তার সম্মুখে কুরবার্নীর পশু হাযির কর ৷ কুরবানীর পশু
হাযির করা হলে লোবেল্পা লাব্বায়িক লাব্বায়িক উচ্চারণ করে তাকে অভর্বৃথন৷ জানায় ৷ এ অবস্থা
দেখে লোকটি বলে উঠে, সুবহানাল্লাহ্৷ এমন লোকদেবকে বায়ত ল্লাহ্ থেকে বাধা দেওয়া সমীচীন
নয় ৷ সঙ্গীদের নিকট প্রত্যাবর্তন করে লোকটি বলে, আমি কুরবানীর পশু দেখেছি সেগুলোকে
মালা পৱানো হয়েছে এবং চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ আমার মনে হয়, বায় তুল্লাহ্ যিয়ারভে তাদেরকে
বাধা দেয়া উচিত হবে না ৷


قَالَ: فَإِنَّ هَذَا قَدْ عَرَضَ لَكُمْ خُطَّةَ رُشْدٍ اقْبَلُوهَا وَدَعُونِي آتِهِ. فَقَالُوا: ائْتِهِ. فَأَتَاهُ، فَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوًا مِنْ قَوْلِهِ لِبُدَيْلٍ، فَقَالَ عُرْوَةُ عِنْدَ ذَلِكَ: أَيْ مُحَمَّدُ، أَرَأَيْتَ إِنِ اسْتَأْصَلْتَ أَمْرَ قَوْمِكَ، هَلْ سَمِعْتَ بِأَحَدٍ مِنَ الْعَرَبِ اجْتَاحَ أَهْلَهُ قَبْلَكَ؟ وَإِنْ تَكُنِ الْأُخْرَى، فَإِنِّي وَاللَّهِ لَا أَرَى وُجُوهًا، وَإِنِّي لَأَرَى أَشْوَابًا مِنَ النَّاسِ خَلِيقًا أَنْ يَفِرُّوا وَيَدَعُوكَ. فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ: امْصُصْ بَظْرَ اللَّاتِ، أَنَحْنُ نَفِرُّ عَنْهُ وَنَدَعُهُ؟ قَالَ: مَنْ ذَا؟ قَالُوا: أَبُو بَكْرٍ. قَالَ: أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْلَا يَدٌ كَانَتْ لَكَ عِنْدِي لَمْ أَجْزِكَ بِهَا، لَأَجَبْتُكَ. قَالَ: وَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكُلَّمَا تَكَلَّمَ أَخَذَ بِلِحْيَتِهِ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ قَائِمٌ عَلَى رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ السَّيْفُ وَعَلَيْهِ الْمِغْفَرُ، فَكُلَّمَا أَهْوَى عُرْوَةُ بِيَدِهِ إِلَى لِحْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَرَبَ يَدَهُ بِنَعْلِ السَّيْفِ، وَقَالَ لَهُ: أَخِّرْ يَدَكَ عَنْ لِحْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَرَفَعَ عُرْوَةُ رَأْسَهُ فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالُوا: الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَقَالَ: أَيْ غُدَرُ، أَلَسْتُ أَسْعَى فِي غَدْرَتِكَ؟ وَكَانَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ صَحِبَ قَوْمًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَتَلَهُمْ وَأَخَذَ أَمْوَالَهُمْ، ثُمَّ جَاءَ فَأَسْلَمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَّا الْإِسْلَامُ فَأَقْبَلُ، وَأَمَّا الْمَالُ فَلَسْتُ مِنْهُ فِي شَيْءٍ ". ثُمَّ إِنَّ عُرْوَةَ جَعَلَ يَرْمُقُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَيْنَيْهِ، قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا تَنَخَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُخَامَةً إِلَّا وَقَعَتْ فِي كَفِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ، فَدَلَّكَ بِهَا وَجْهَهُ وَجِلْدَهُ، وَإِذَا
পৃষ্ঠা - ৩০৯৪
أَمَرَهُمُ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ، وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلَى وَضُوئِهِ، وَإِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ، وَمَا يُحِدُّونَ إِلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيمًا لَهُ. فَرَجَعَ عُرْوَةُ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: أَيْ قَوْمِ، وَاللَّهِ لَقَدْ وَفَدْتُ عَلَى الْمُلُوكِ؛ وَفَدْتُ عَلَى قَيْصَرَ وَكِسْرَى وَالنَّجَاشِيِّ، وَاللَّهِ إِنْ رَأَيْتُ مَلِكًا قَطُّ يُعَظِّمُهُ أَصْحَابُهُ مَا يُعَظِّمُ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ مُحَمَّدًا، وَاللَّهِ إِنْ تَنَخَّمَ نُخَامَةً إِلَّا وَقَعَتْ فِي كَفِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ فَدَلَّكَ بِهَا وَجْهَهُ وَجِلْدَهُ، وَإِذَا أَمَرَهُمُ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ، وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلَى وَضُوئِهِ، وَإِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ، وَمَا يُحِدُّونَ النَّظَرَ إِلَيْهِ تَعْظِيمًا لَهُ، وَإِنَّهُ قَدْ عَرَضَ عَلَيْكُمْ خُطَّةَ رُشْدٍ فَاقْبَلُوهَا. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ: دَعُونِي آتِهِ. فَقَالُوا: ائْتِهِ. فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذَا فُلَانٌ، وَهُوَ مِنْ قَوْمٍ يُعَظِّمُونَ الْبُدْنَ فَابْعَثُوهَا لَهُ ". فَبُعِثَتْ لَهُ، وَاسْتَقْبَلَهُ النَّاسُ يُلَبُّونَ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! مَا يَنْبَغِي لِهَؤُلَاءِ أَنْ يُصَدُّوا عَنِ الْبَيْتِ. فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ قَالَ: رَأَيْتُ الْبُدْنَ قَدْ قُلِّدَتْ وَأُشْعِرَتْ، فَمَا أَرَى أَنْ يُصَدُّوا عَنِ الْبَيْتِ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: مِكْرَزُ بْنُ حَفْصٍ. فَقَالَ: دَعُونِي آتِهِ. قَالُوا: ائْتِهِ. فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَذَا مِكْرَزٌ، وَهُوَ رَجُلٌ فَاجِرٌ ". فَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَيْنَمَا هُوَ يُكَلِّمُهُ إِذْ جَاءَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو» . قَالَ مَعْمَرٌ: فَأَخْبَرَنِي أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ أَنَّهُ «لَمَّا جَاءَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ
পৃষ্ঠা - ৩০৯৫

এরপর তাদের এক ব্যক্তি যাকে বলা হয় মুকরিয ইবন হাফ্স দাড়িয়ে বলে, আমাকে তার
নিকট যেতে দাও ৷ সকলেই বললো, ঠিক আছে, যাও ৷ সে উপস্থিত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, এতো মুকরিয্ ৷ একজন পাপাচারী লোক! লোকটি রাসুলুল্লাক্ট্র (সা)-এর সঙ্গে কথা
বলছিল, এমন সময় সুহায়ল ইবন আমর উপস্থিত হন ৷ মামার ইকরামা সুত্রে বলেন যে,
সুহায়ল ইবন আম্র উপস্থিত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : তোমাদের জন্য ব্যাপারটা সহজ করা
হয়েছে ৷ মামার বলেন, ঘৃহরী বলেন, সুহায়ল এসে বলেন, চলুন আমরা আমাদের এবং
আপনাদের মধ্যে চুক্তি লিপিবদ্ধ করি ৷ তখন নবী (সা) লেখক ডাকালেন এবং তাকে বললেন :
লেখ বিসৃমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ৷ সুহায়ল বলে উঠলেন : আল্লাহ্র কনম , রহমান কি আমরা
তো আমি না ৷ বরং তুমি লেখ বিসৃমিকা আল্লাহুমা ৷ তখন মুসলমানরা বললেন, আল্লাহর কসম ,
আমরা বিসৃমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ছাড়া অন্য কিছু লিখবাে না ৷ তখন নবী করীম (সা)
বললেন : বিসমিকা আল্লাহুষ্মইি লিখ ৷ এরপর বললেন : এ হল যে চুক্তি যাতে মুহঙ্গোদুর
রাসুলুল্লাহ্ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৷ এতে সুহায়ল আপত্তি জানিয়ে বলেন ং আল্লাহ্র কসম, আমরা
আপনাকে যদি রাসুল বলে স্বীকার কঃতোম তাহলে তো আপনাকে বায়তৃল্লাহ্ যিয়ারত করতে বাধা
দিতামনা, আপনার সঙ্গে আমরা যুদ্ধও করতাম না, বরং আপনি মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ লিখুন ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :


আল্পাহ্র কলম ! তোমরা আমাকে অস্বীকার করলেও আমি অবশ্যই আল্লাহ্র রাসুল, (হে
আলী !) তুমি লেখ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ৷

এরপর যুহরী আবু জন্দলের পায়ে শিকলসহ আগমন, তাকে ফেরত দান এবং রাসৃলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে উত্তপ্ত বাক্য ৰিনিময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার বর্ণনা ইতিপুর্বেও দেয়া
হয়েছে ৷

তারপর যুহ্রী (র) বলেন, হযরত উমর (রা) বলেন, এ ( সব কড়াকড়া ) কথার জন্য
পরবর্তীকালে আমি অনেক আমল করেছি (যাতে আল্লাহ তাআলা আমার সেসব গুনাহ মাফ
করেন) ৷ যুহ্রী (র) আরো বর্ণনা করেন যে, চুক্তিপত্র লিপিবদ্ধ করার কাজ সম্পন্ন হলে রাসুলুল্লাহ্
(না) তার সাহাবীগণকে বললেন : তোমরা ওঠ৷ কুরবানী কর, তারপর মাথা মুণ্ডন কর, তিনি
বলেন, আল্লাহর শপথ, রাসুল (সা) একথা তিনবার না বলা পর্যন্ত সাহাবীদের কেউই উঠে
র্দাড়াননি ৷ এরপর রাসুল (সা) হযরত উষ্মে সালামা (রা)-এর নিকট গিয়ে তার কাছে ণ্লকােদঃ এ
আচরণের কথা উল্লেখ করেন ৷ তখন উষ্মে সালাম! বলেন : হে আল্লাহর নবী ! আপনি কি এটা
পসন্দ করেন ৷ আপনি নিজে বের হোন, কাংরা সঙ্গে কোন কথা না বলে নিঃজঃ পশু যবাই করুন
এবং £ক্ষীরকারকে ডেকে নিজের মাথা ঘুশুন করুন ৷ তিনি বের হলে কারো সঙ্গে কথা না বলেই
এটা করলেন ৷ নিজের পশু যবাহ করলেন এবং গৌরকারকে ভো:ক মাথা মুপ্তন করান, সাহাবীগণ
এটা দেখে উঠে র্দাড়ালেন এবং সকলে কুরবানী করলেন ৷ সাহার্নীশণ একজন অন্যজংনর মাথা
মুপ্ত-ন করেন ৷ এ সময় ক্ষেতে-দৃত্নখে সাহাৰীগণের এমন অবস্থা হয়েছিল, যেন একজন


رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَقَدْ سَهُلَ لَكُمْ مِنْ أَمْرِكُمْ» قَالَ مَعْمَرٌ: قَالَ الزُّهْرِيُّ فِي حَدِيثِهِ: فَجَاءَ سُهَيْلٌ فَقَالَ: هَاتِ اكْتُبْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ كِتَابًا. فَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَاتِبَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اكْتُبْ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ". فَقَالَ سُهَيْلٌ: أَمَّا الرَّحْمَنُ، فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي مَا هُوَ، وَلَكِنِ اكْتُبْ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ، كَمَا كُنْتَ تَكْتُبُ. فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ: وَاللَّهِ لَا نَكْتُبُهَا إِلَّا بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اكْتُبْ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ ". ثُمَّ قَالَ: " هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ". فَقَالَ سُهَيْلٌ: وَاللَّهِ لَوْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ مَا صَدَدْنَاكَ عَنِ الْبَيْتِ وَلَا قَاتَلْنَاكَ، وَلَكِنِ اكْتُبْ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَاللَّهِ إِنِّي لَرَسُولُ اللَّهِ وَإِنْ كَذَّبْتُمُونِي، اكْتُبْ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ". قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَذَلِكَ لِقَوْلِهِ: " لَا يَسْأَلُونِي خُطَّةً يُعَظِّمُونَ فِيهَا حُرُمَاتِ اللَّهِ، إِلَّا أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا ". فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَلَى أَنْ تُخَلُّوا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْبَيْتِ فَنَطُوفُ بِهِ ". قَالَ سُهَيْلٌ: وَاللَّهِ لَا تَتَحَدَّثُ الْعَرَبُ أَنَّا أُخِذْنَا ضُغْطَةً، وَلَكِنْ ذَلِكَ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ، فَكَتَبَ، فَقَالَ سُهَيْلٌ: وَعَلَى أَنَّهُ لَا يَأْتِيكَ مِنَّا رَجُلٌ، وَإِنْ كَانَ عَلَى دِينِكَ، إِلَّا رَدَدْتَهُ إِلَيْنَا. قَالَ الْمُسْلِمُونَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! كَيْفَ يُرَدُّ إِلَى الْمُشْرِكِينَ وَقَدْ جَاءَ مُسْلِمًا. فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ أَبُو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو يَرْسُفُ فِي قُيُودِهِ، وَقَدْ خَرَجَ مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ حَتَّى رَمَى بِنَفْسِهِ بَيْنَ أَظْهُرِ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ سُهَيْلٌ: هَذَا يَا مُحَمَّدُ، أَوَّلُ مَنْ أُقَاضِيكَ عَلَيْهِ أَنْ تَرُدَّهُ إِلَيَّ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّا لَمْ نَقْضِ الْكِتَابَ بَعْدُ ". قَالَ: فَوَاللَّهِ إذًا لَمْ أُصَالِحْكَ عَلَى شَيْءٍ أَبَدًا. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَأَجِزْهُ لِي ". قَالَ: مَا أَنَا بِمُجِيزِهِ لَكَ. قَالَ: " بَلَى، فَافْعَلْ ". قَالَ: مَا أَنَا بِفَاعِلٍ. قَالَ مِكْرَزٌ: بَلْ قَدْ أَجَزْنَاهُ لَكَ. قَالَ أَبُو جَنْدَلٍ: أَيْ مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، أُرَدُّ إِلَى الْمُشْرِكِينَ وَقَدْ جِئْتُ
পৃষ্ঠা - ৩০৯৬
مُسْلِمًا؟ أَلَا تَرَوْنَ مَا قَدْ لَقِيتُ؟! - وَكَانَ قَدْ عُذِّبَ عَذَابًا شَدِيدًا فِي اللَّهِ - قَالَ: فَقَالَ عُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: أَلَسْتَ نَبِيَّ اللَّهِ حَقًّا؟ قَالَ: " بَلَى ". قُلْتُ: أَلَسْنَا عَلَى الْحَقِّ، وَعَدُوُّنَا عَلَى الْبَاطِلِ؟ قَالَ: " بَلَى ". قُلْتُ: فَلِمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا إِذَنْ؟! . قَالَ: " إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَلَسْتُ أَعْصِيهِ وَهُوَ نَاصِرِي ". قُلْتُ: أَوَلَسْتَ كُنْتَ تُحَدِّثُنَا أَنَّا سَنَأْتِي الْبَيْتَ فَنَطُوفُ بِهِ؟ قَالَ: " بَلَى، فَأَخْبَرْتُكَ أَنَّا نَأْتِيهِ الْعَامَ؟ " قَالَ: قُلْتُ: لَا. قَالَ: " فَإِنَّكَ آتِيهِ وَمُطَوِّفٌ بِهِ ". قَالَ: فَأَتَيْتُ أَبَا بَكْرٍ فَقُلْتُ: يَا أَبَا بَكْرٍ، أَلَيْسَ هَذَا نَبِيَّ اللَّهِ حَقًّا؟ قَالَ: بَلَى. قُلْتُ: أَلَسْنَا عَلَى الْحَقِّ، وَعَدُوُّنَا عَلَى الْبَاطِلِ؟ . قَالَ: بَلَى. قَالَ: قُلْتُ: فَلِمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا إِذَنْ؟ قَالَ: أَيُّهَا الرَّجُلُ، إِنَّهُ لَرَسُولُ اللَّهِ، وَلَيْسَ يَعْصِي رَبَّهُ، وَهُوَ نَاصِرُهُ، فَاسْتَمْسِكْ بِغَرْزِهِ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُ عَلَى الْحَقِّ. قُلْتُ: أَلَيْسَ كَانَ يُحَدِّثُنَا أَنَّا سَنَأْتِي الْبَيْتَ وَنَطُوفُ بِهِ؟ قَالَ: بَلَى، أَفَأَخْبَرَكَ أَنَّكَ تَأْتِيهِ الْعَامَ؟ فَقُلْتُ: لَا. قَالَ: فَإِنَّكَ آتِيهِ وَمُطَوِّفٌ بِهِ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: قَالَ عُمَرُ: فَعَمِلْتُ لِذَلِكَ أَعْمَالًا. قَالَ: «فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَضِيَّةِ الْكِتَابِ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: " قُومُوا فَانْحَرُوا ثُمَّ احْلِقُوا ". قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا قَامَ مِنْهُمْ رَجُلٌ حَتَّى قَالَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَلَمَّا لَمْ يَقُمْ مِنْهُمْ أَحَدٌ دَخَلَ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ، فَذَكَرَ لَهَا مَا لَقِيَ مِنَ النَّاسِ، فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَتُحِبُّ ذَلِكَ؟ اخْرُجْ ثُمَّ لَا تُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُمْ كَلِمَةً حَتَّى تَنْحَرَ بُدْنَكَ، وَتَدْعُوَ حَالِقَكَ فَيَحْلِقَكَ. فَخَرَجَ فَلَمْ يُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُمْ حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ؛ نَحَرَ
পৃষ্ঠা - ৩০৯৭

অপরজনকে হত্যা করবেন, এরপর মুমিন নারীগণ রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করলে
আল্লাহ্ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন :


১াএ

হে মুমিনগণ ! তোমাদের নিকট মুমিন নারীরা হিজরত করে আগমন করলে তোমরা
তাদেরকে পরীক্ষা করবে, আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন ৷ যদি তোমরা
জানতে পার যে, তারা মু’মিন৩ তবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবে না ৷ মু’মিন
নারীগণ কাফিরদের জন্যে বৈধ নয় এবং কাফির পুরুষগণ মুমিন নারীদের জন্য বৈধ নয় ৷ কাফির
পুরুষরা যা ব্যয় করেছে তাদেরকে তা ফেরত দেবে ৷ এরপর তোমরা তাদেরকে বিবাহ করলে
তোমাদের কোন অপরাধ হবেনা ৷ যদি তোমরা তাদেরকে মহ্র দাও ৷ তোমরা কাফির নারীদের
সঙ্গে দাম্পতা সম্পর্ক বজায় রাখবে না ৷ (৬০ মুমতাহানা : ১০)

এ আয়াত নাযিল হলে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) জাহিলী যুগের তার দুজন শ্ৰীকে

তালাক দেন ৷ তার তালাক দেয়া দুজন ন্তীর একজনকে বিবাহ করেন মুআৰিয়া ইবন আবু সুফিয়ান
আর অপরজনকে বিবাহ করেন সাফওয়ান ইবন উমাইয়্যা ৷ এরপর নবী করীম (সা) মদীনায়
প্রত্যাবর্তন করলে কুরায়শের একজন পুরুষ আবু বসীর যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করলে কুরায়শরা তাকে ফেরত নেয়ার জন্য দুজন লোক
প্রেরণ করে ৷ তারা সম্পাদিত চুক্তির কথা স্মরণ করালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরায়শী মুসলিম ব্যক্তি
তথা আবুবাসীরকে তাদের হাতে তুলে দেন ৷ তাকে নিয়ে তারা মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় ৷
যুল হুলায়ফা নামক স্থানে পৌছে তারা খেজুর খেতে বসে ৷ তাদের একজনকে আবু বাসীর
বললেন আল্লাহর কলম আমি দেখছি, তোমার তলোয়ার খানা খুব চমৎকার, তার কথা শুনে
লোকটি খাপ থেকে তরবারি বের করে বলেং হা আল্লাহর কলম, আসলেই তরবারিটা চমৎকার ৷
আমি বারবার তা পরীক্ষা করে দেখেছি ৷ তখন আবুবাসীর বলেনং দেখি, তলোয়ারটা আমাকে
দেখাও তো! যে তা দেখতে দিলে তিনি তরবারির আঘাতে তাকে হত্যা করেন ৷ অপরজন
পলায়ন করে দৌড়ে মসজিদে নববীতে উপস্থিত হয় ৷ তাকে দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :
নিশ্চয়ই সে ভীতিপ্রদ কিছু দেখতে ৩পােয়ছে ৷ সে নবী করীম (সা) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলে ং
আমার সঙ্গী নিহত হয়েছে, আল্লাহর কলম, আমিও হত্যার শিক৷ ৷র হবো, ইতে ৷মধ্যে আবুবাসীরও
রাসুল (না)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরয করে :

হে আল্লাহর নবী ! আল্লাহ্র কলম, আপনি আপনার চুক্তির শর্ত পালনের দায়িত্ব পুর্ণ
করেছেন ৷ আপনি আমাকে কুরায়শ মুশরিকদের নিকট ফেরত দিয়েছিলেন আল্লাহ্ তাআলা
তাদের কবল থেকে আমাকে নাজাত দিয়েছেন ৷ তখন নবী করীম (সা) বলেন : সর্বনাশ , সেতো
যুদ্ধের আগুন উস্কে দিচ্ছে, যদি তার সঙ্গে অন্য কেউ থাকতো ৷ এ কথা শ্রবণ করে আবু বাসীর
বুঝতে পারেন যে, রাসুল (না) তাকে আবারও কুরায়শদের নিকট ফেরত পাঠাবেন ৷ তিনি সেখান


بُدْنَهُ وَدَعَا حَالِقَهُ فَحَلَقَهُ، فَلَمَّا رَأَوْا ذَلِكَ قَامُوا فَنَحَرُوا، وَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَحْلِقُ بَعْضًا، حَتَّى كَادَ بَعْضُهُمْ يَقْتُلُ بَعْضًا غَمًّا. ثُمَّ جَاءَهُ نِسْوَةٌ مُؤْمِنَاتٌ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ} [الممتحنة: 10] حَتَّى بَلَغَ {بِعِصَمِ الْكَوَافِرِ} [الممتحنة: 10] (الْمُمْتَحَنَةِ: 1) فَطَلَّقَ عُمَرُ يَوْمَئِذٍ امْرَأَتَيْنِ كَانَتَا لَهُ فِي الشِّرْكِ، فَتَزَوَّجَ إِحْدَاهُمَا مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَالْأُخْرَى صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ ثُمَّ رَجَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَجَاءَهُ أَبُو بَصِيرٍ - رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ - وَهُوَ مُسْلِمٌ، فَأَرْسَلُوا فِي طَلَبِهِ رَجُلَيْنِ فَقَالُوا: الْعَهْدَ الَّذِي جَعَلْتَ لَنَا. فَدَفَعَهُ إِلَى الرَّجُلَيْنِ، فَخَرَجَا بِهِ حَتَّى بَلَغَا ذَا الْحُلَيْفَةِ، فَنَزَلُوا يَأْكُلُونَ مِنْ تَمْرٍ لَهُمْ، فَقَالَ أَبُو بَصِيرٍ لِأَحَدِ الرَّجُلَيْنِ: وَاللَّهُ إِنِّي لِأَرَى سَيْفَكَ هَذَا يَا فُلَانُ جَيِّدًا. فَاسْتَلَّهُ الْآخَرُ فَقَالَ: أَجَلْ وَاللَّهِ إِنَّهُ لَجَيِّدٌ، لَقَدْ جَرَّبْتُ بِهِ، ثُمَّ جَرَّبْتُ بِهِ، ثُمَّ جَرَّبْتُ. فَقَالَ أَبُو بَصِيرٍ: أَرِنِي أَنْظُرْ إِلَيْهِ. فَأَمْكَنَهُ مِنْهُ، فَضَرَبَهُ بِهِ حَتَّى بَرَدَ، وَفَرَّ الْآخَرُ حَتَّى أَتَى الْمَدِينَةَ، فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ يَعْدُو، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ رَآهُ: " لَقَدْ رَأَى هَذَا ذُعْرًا ". فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قُتِلَ وَاللَّهِ صَاحِبِي وَإِنِّي لَمَقْتُولٌ. فَجَاءَ أَبُو بَصِيرٍ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، قَدْ وَاللَّهِ أَوْفَى اللَّهُ ذِمَّتَكَ، قَدْ رَدَدْتَنِي إِلَيْهِمْ، ثُمَّ أَنْجَانِي اللَّهُ مِنْهُمْ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَيْلُ امِّهْ، مِسْعَرَ حَرْبٍ، لَوْ كَانَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৩০৯৮
أَحَدٌ ". فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ عَرَفَ أَنَّهُ سَيَرُدُّهُ إِلَيْهِمْ، فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى سَيْفَ الْبَحْرِ. قَالَ: وَيَنْفَلِتُ مِنْهُمْ أَبُو جَنْدَلِ بْنُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، فَلَحِقَ بِأَبِي بَصِيرٍ، فَجَعَلَ لَا يَخْرُجُ مِنْ قُرَيْشٍ رَجُلٌ قَدْ أَسْلَمَ إِلَّا لَحِقَ بِأَبِي بَصِيرٍ، حَتَّى اجْتَمَعَتْ مِنْهُمْ عِصَابَةٌ، فَوَاللَّهِ مَا يَسْمَعُونَ بِعِيرٍ خَرَجَتْ لِقُرَيْشٍ إِلَى الشَّامِ إِلَّا اعْتَرَضُوا لَهَا فَقَتَلُوهُمْ وَأَخَذُوا أَمْوَالَهُمْ، فَأَرْسَلَتْ قُرَيْشٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُنَاشِدُهُ اللَّهَ وَالرَّحِمَ لَمَا أَرْسَلَ إِلَيْهِمْ، فَمَنْ أَتَاهُ فَهُوَ آمِنٌ، فَأَرْسَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَهُوَ الَّذِي كَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ عَنْهُمْ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ بَعْدِ أَنْ أَظْفَرَكُمْ عَلَيْهِمْ} [الفتح: 24] حَتَّى بَلَغَ {الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ} [الفتح: 26] (الْفَتْحِ: 24 26) . وَكَانَتْ حَمِيَّتُهُمْ أَنَّهُمْ لَمْ يُقِرُّوا أَنَّهُ نَبِيُّ اللَّهِ، وَلَمْ يُقِرُّوا بِبِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، وَحَالُوا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْبَيْتِ.» فَهَذَا السِّيَاقُ فِيهِ زِيَادَاتٌ وَفَوَائِدُ حَسَنَةٌ لَيْسَتْ فِي رِوَايَةِ ابْنِ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، فَقَدْ رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ جَمَاعَةٌ؛ مِنْهُمْ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَمَعْمَرٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ مَرْوَانَ وَمِسْوَرٍ، فَذَكَرَ الْقِصَّةَ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي أَوَّلِ كِتَابِ الشُّرُوطِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ৩০৯৯

থেকে বের হয়ে সীফুল বাহ্র তথা সমুদ্র উপকুলীয় অঞ্চলে গমন করেন ৷ যুহ্রী (র) বলেন :
এরপর আবু জুন্দল ইবন সুহায়ল ইবন আমৃরও সেখান থেকে ছুটে এসে আবু বাসীর এর সঙ্গে
যোগ দিয়ে দেন ৷ কুরায়শদের নিকট থেকে কোন মুসলমান পালিয়ে আসলে তিনিও আবুবাসীর
এর জোটে যোগ দিতেন ৷ এভাবে তাদের একটা দল গড়ে উঠে ৷

কুরায়শের কোন বাণিজ্য কাফেল৷ শাম দেশের উদ্দেশ্যে গমন করছে, শুনতে পেলে তারা
পথরোধ করে তাদেরকে হত্যা করে তাদের ধন-সম্পদ হস্তগত করতেন ৷ এ অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে
কুরায়শরা নবী করীম (সা)এর প্রতি আল্লাহ এবং আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে আবেদন জানায়-
কুরায়শদের মধ্য থেকে যে আপনার কাছে আগমন করে সে নিরাপদ ৷ সে মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাদের নিকট পয়গাম পাঠালে আল্লাহ তাআল৷ আ য়াত নাযিল করেন :


তিনি মক্কা উপত্যকায় ওদের হস্ত তোমাদের থেকে এবং ৫তামাদের হস্ত ওদের থেকে
নিবারণ করেছেন ওদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করার পর ৷ তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ তা
দেখেন ৷ ওরাইতে৷ কুফরী করেছিল এবং তােমাদেরকে মাসজিদুল হারাম থেকে নিবৃত্ত করেছিল
এবং বাধা দিয়েছিল কুরবানীর জন্য আবদ্ধ পশুগুলোকে যথাস্থানে পৌছতে ৷ যদি এমন কতক
মু’মিন নারী পুরুষ না থাকতো যাদেরকে তোমরা জাননা (তবে তোমাদেরকে যুদ্ধের আদেশ
দেওয়া হতো) তোমরা তাদেরকে পদদলিত করতে অজ্ঞাতসারে ৷ ফলে তাদের কারণে তোমরা
ক্ষতিগ্রস্ত হতে ৷ (যুদ্ধের নির্দেশ হয় নাই এজন্য যে,) তিনি যাকে ইচ্ছা নিজ অনুগ্রহ দান করবেন ৷
যদি তারা পৃথক হতো আমি তাদের মধ্যে কাফিরদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিতাম ৷ যখন কাফিররা
তাদের অন্তরে পোষণ করতে৷ গোত্রীয় অহমিকা অজ্ঞত৷ যুগের অহমিকা (৪৮ ফাত্হ :
২৪ ২৬) আর তাদের গোত্রীয় অহমিকা ছিল এই যে, তারা রাসুল করীম (সা) কে আল্লাহর নবী
বলে স্বীকার করেনি ৷ বিসৃমিল্লাহ্ শিখাও মেনে নিতে পারেনি এবং বায় তুল্লাহ্ যিয়ারতের পথে
অম্ভরায় হয়ে দাড়িয়েছিল ৷ এ বর্ণনায় এমনসব অতিরিক্ত বিষয় এবং চমৎকার শিক্ষণীয় জিনিষ
আছে যা ইবন ইসহাকের বর্ণনায় নেই ৷

বুখারী (র) কিও তাবুল শুরুত এর শুরুতে ইয়ইিয়া ইবন বুকায়র মিসওয়ার ইবন
মাখৃরামা সুত্রে রাসুল (না)-এর কতিপয় সাহা ৷বী থেকে গোটা কাহিনী বর্ণনা করেছেন ৷ আর এটাই
অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ ক ৷রণ হুদায়বিয়ার দিন মারওয়ান ও মিসওয়ার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন ৷ আর
এটা স্পষ্ট যে তারা হাদীছটি সাহাবীদের নিকট থেকে গ্রহণ করেছেন ৷

বুখারী (র) হাসান ইবন ইসহাক আবু ওয়াইল সুত্রে বর্ণনা করেন যে , সুহায়ল ইবন
হুনায়ফ সিফ্ফীন যুদ্ধ থেকে ফিরে এলে (যুদ্ধের) খবরাখবর নেয়ার জন্য আমরা তার কাছে গেলে
তিনি বলেনং : তে তামরা নিজের মতামতের যথার্থ জ্ঞা ৷ন করবে না ৷ হুদায়বিয়ার সন্ধির দিনে আবু
জুন্দলের ঘটনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করার সাধ্য থাকলে আমি অবশ্যই তা
করতাম ৷ কিন্তু আল্লাহ্ এবং তার রাসুলুল্লাহ্ (সা) ই তো সবচেয়ে ভাল জানেন ৷ ইতিপুর্বে কোন
ভয়ংকর ইস্যুতে যখনই আমরা কাধে তরবারি তুলে নিয়েছি এবং জিহাদে প্রবৃত্ত হয়েছি ৷ তখনই


اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ الْقِصَّةَ. وَهَذَا هُوَ الْأَشْبَهُ؛ فَإنَّ مَرْوَانَ، وَمِسْوَرًا كَانَا صَغِيرَيْنِ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُمَا أَخَذَاهُ عَنِ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابِقٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، سَمِعْتُ أَبَا حَصِينٍ قَالَ: قَالَ أَبُو وَائِلٍ: لَمَّا قَدِمَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ مِنْ صِفِّينَ أَتَيْنَاهُ نَسْتَخْبِرُهُ، فَقَالَ: اتَّهِمُوا الرَّأْيَ، فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي يَوْمَ أَبِي جَنْدَلٍ وَلَوْ أَسْتَطِيعُ أَنْ أَرُدَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْرَهُ لَرَدَدْتُ، وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، وَمَا وَضَعْنَا أَسْيَافَنَا عَلَى عَوَاتِقِنَا لِأَمْرٍ يُفْظِعُنَا إِلَّا أَسْهَلْنَ بِنَا إِلَى أَمْرٍ نَعْرِفُهُ قَبْلَ هَذَا الْأَمْرِ، مَا نَسُدُّ مِنْهَا خُصْمًا إِلَّا انْفَجَرَ عَلَيْنَا خُصْمٌ، مَا نَدْرِي كَيْفَ نَأْتِي لَهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسِيرُ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسِيرُ مَعَهُ لَيْلًا، فَسَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَنْ شَيْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩১০০
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا عُمَرُ، نَزَّرْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، كُلُّ ذَلِكَ لَا يُجِيبُكَ. قَالَ عُمَرُ: فَحَرَّكْتُ بَعِيرِي ثُمَّ تَقَدَّمْتُ أَمَامَ الْمُسْلِمِينَ، وَخَشِيتُ أَنْ يَنْزِلَ فِيَّ قُرْآنٌ، فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِي، قَالَ: فَقُلْتُ: لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ، فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ: " لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيَّ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ لَهِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ". ثُمَّ قَرَأَ: {إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا} [الفتح: 1] (الْفَتْحِ 1) » . قُلْتُ: وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى سُورَةِ " الْفَتْحِ " بِكَمَالِهَا فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَكْتُبَ ذَلِكَ هُنَا فَلْيَفْعَلْ.