আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

تزويجه عليه السلام بزينب بنت جحش

পৃষ্ঠা - ৩০১১

জানা নেই তোমার এ কর্ম আমাকে ঘৃণা করে করেছ, না কি আমার শ্রেষ্ঠতৃ আর ভালবাসার
কারণে ৷ তখন এর জবাবে উষ্মে হাবীবা বলেছিলেন শুা;
এ,;ন্ ,া, বরং এটা রাসুল করীম (সা) এর বিছানা, আর আপনি মুশরিক ৷ জবাবে আবু
সুফিয়ান বলেছিলেন
আল্লাহর কসম, হে তনয়া মোর, আমার (নিকট থােক আসার) পর ণ্তামাকে দেখছি মন্দ
স্পর্শ করেছে ৷ ইবন হাযম এর মতে এ বর্ণনাটি একটা জাল বর্ণনা ৷ ইকরিমা ইবন আমার এর
রচয়িতা ৷ অবশ্য ইবন হায্মের এমতের সমর্থন আর কেউই করেননি ৷ অন্যদের মতে আবু
সুফিয়ান বিবাহ নবায়ন করতে চেয়েছিলেন মাত্র ৷ কারণ, পিতার অনুমতি ছাড়া বিবাহ তার অপমান
হয় ৷ আবার কারো কারো মতে, আবু সুফিয়ান বিশ্বাস করে নেন যে, তার ইসলাম গ্রহণের ফলে
কন্যার বিবাহ বাতিল হয়ে গেছে ৷ এ ব্যাখ্যাগুলাের সরগুলিই দুর্বল ৷ তবে সবেত্তিম ব্যাখ্যা এই
যে, আবু সুফিয়ান তার অপর এক কন্যাকে রাসুল করীম (সা) এর নিকট বিবাহ দেয়ার অতিপ্রায়
করেছিলেন ৷ কারণ, তিনি এটাকে নািজঃ৷ জন্য মর্যাদার কাজ মনে করতেন ৷ এ ব্যাপারে তিনি
উষ্মে হাবীবার সাহথ্যেও চেয়েছিলেন যেমনটি বুখারী মুসলিমে বর্ণিত আছে ৷ অবশ্য তাকে উষ্মে
হাবীবা নামকরণ করা বর্ণনাকারীর ভ্রম মাত্র ৷ আমি এ প্রসঙ্গে এক একক বর্ণনার উল্লেখ করেছি ৷
আবু উবায়দ কাসিম ইবন সাল্লাম বলেন, হিজরী ৪৪ সালে উম্মে হাবীবা ইনতিকাল করেন ৷ আর
আবু বকর ইবন আবু খায়সামা বলেন, ঘুআবিয়ার এক বছর পুর্বে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ হিজরী
৬০ সনের রজব মাসে মুআৰিয়া ইনতিকাল করেন ৷

যয়নব বিন্ত জাহান এর সঙ্গে নবী কয়ীম (না)-এর বিবাহ

তার বত্শধারা এরকম উম্মুল মু’মিনীন যয়নব বিনৃত জাহান ইবন রিয়ার ইবন ইয়াসির ইবন
সুবৃরা ইবন মুররা ইবন কাবীর ইবন গানম ইবন দৃদান ইবন আসাদ ইবন খুযায়ম৷ আর আসাদিয়া ৷
তার মা ছিলেন আবদুল মুত্তালিবের কন্যা এবং রাসুল করীম (সা)এর ফুফু উমায়মা ৷ ইতিপুর্বে
তিনি ছিলেন রাসুল করীম (না)-এর আযাদ করা গোলাম যায়দ ইবন হারিছার বিবাহ বন্ধনে ৷
কাতাদা ওয়াকিদী এবং কোন কোন মদীনাবাসীর মতে রাসুল করীম (সা) হিজরী ৫ম সনে তাকে
বিবাহ করেন ৷ তাদের কেউ কেউ বলেছেন, তা ন্ধি যিলকাদ মাসে ৷ হাফিয বয়েহাকী (র) বলেন,
বনুক্যুায়যা যুদ্ধের পর রাসুল বল্পীম (সা) তাকে বিবাহ করেন ৷ পক্ষম্ভেরে বদীফা ইবন খাইয়্যাত,
আবুউবায়দা মামার ইরনুল মুসান্ন৷ এবং ইবন মান্দাহ বলেন যে, রাসুল রল্পীম (সা) হিজ্জী তৃতীয়
সনে যয়নব বিনৃত জাহাশকে বিবাহ করেন, প্রথম উক্তিটি সবচেয়ে পেশী প্রসিদ্ধ ৷ ইবন জারীর
তাবারীসহ একাধিক ঐতিহাসিক এ মত সমর্থন করেন ৷ একাধিক ঘুফাসৃসির ফকীহ্ এবং
ঐতিহাসিক নবী করীম (সা) কতুকিত তাকে বিবাহ করার সম্পর্কে একটা ঘটনার উল্লেখ করেছেন
ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (বা) তীর মুসনাদ গ্রন্থে তা বর্ণনা করেছেন, অজ্ঞ মুর্থরা যাতে এর কদর্য
না করতে পারে সে কারণে আমরা এখানে ইচ্ছা করেই তা উদ্ধৃত বলা থেকে বিরত থাকলাম ৷

মহান আল্লাহ তীর মহাগ্নন্থে বলেন :


াপুস্ষ্কেএ


[تَزْوِيجُهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ] [قِصَّةُ زَيْنَبَ مَعَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ] ِ بْنِ رِئَابِ بْنِ يَعْمَرَ بْنِ صَبِرَةَ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَبِيرِ بْنِ غَنْمِ بْنِ دُودَانَ بْنِ أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ الْأَسَدِيَّةِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، وَهِيَ بِنْتُ أُمَيْمَةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَمَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ عِنْدَ مَوْلَاهُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ قَتَادَةُ وَالْوَاقِدِيُّ، وَبَعْضُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ: تَزَوَّجَهَا عَلَيْهِ السَّلَامُ سَنَةَ خَمْسٍ. زَادَ بَعْضُهُمْ: فِي ذِي الْقَعْدَةِ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: تَزَوَّجَهَا بَعْدَ بَنِي قُرَيْظَةَ. وَقَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ مَعْمَرُ بْنُ الْمُثَنَّى وَابْنُ مَنْدَهْ: تَزَوَّجَهَا سَنَةَ ثَلَاثٍ. وَالْأَوَّلُ أَشْهَرُ، وَهُوَ الَّذِي سَلَكَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ التَّارِيخِ. وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ وَالْفُقَهَاءِ وَأَهْلِ التَّارِيخِ فِي سَبَبِ تَزْوِيجِهِ إِيَّاهَا عَلَيْهِ السَّلَامُ، حَدِيثًا ذَكَرَهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ فِي
পৃষ্ঠা - ৩০১২


স্মরণ কর, আল্লাহ যার প্ৰতি অনুগ্রহ করেছেন এবং তৃমিও যার প্ৰতি অনুগ্নহ করেছ, তুমি
তাকে বলছিলে তুমি তোমার শ্রীর সাথে সম্পর্ক বজায় বার এবং আল্লাহকে ভয় কর ৷ তুমি
তোমার অন্তরে যা গোপন করছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করছেন, তুমি লোক ভয় করছ; অথচ
আল্লাহকেই ভয় করা তোমার পক্ষে অধিকতর সংগত ৷ এরপর যায়দ যখন তার (যয়নবের) সঙ্গে
বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করলো ৷ তখন আমি তোমাকে তার সঙ্গে পরিণয় সুত্রে আবদ্ধ কঃলাম ৷ যাতে
মু’মিনদের পােষ্য পুক্রাণ নিজ ত্রীর সাথে বিবাহ সুত্র ছিন্ন করলে সেসব নারীকে বিবাহ করার
মু’মিনদের কোন বিব্ল না হয় ৷ আর আল্লাহর আদেশ কার্যকর হয়েই থাকে ৷ আল্লাহ মুমিনের জন্য
যা বিধিসম্মত করেছেন, তা করতে তার জন্য কোন বাধা নেই ৷ পুর্বে যেসব নবী অতীত হয়ে
গেছে, তাদের ক্ষেত্রেও এটাই ছিল আল্লাহর বিধান ৷ আল্লাহর বিধান নৃনির্ধারিত ৷ (৩৩ আহযাব :
৩ ৭ ৩৮)

এ সম্পর্কে আমরা তাফসীর গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করছি ৷ এখানে ধ্৷ ৷ ণ্ ৷ ব্লু;এ ৷

ব্ৰু,; অর্খাত্যার প্রতি আল্লাহ অনুগ্নহ করেছেন ৷ অর্থ রাসুল করীম (না)-এর আযাদকৃত গোলাম
যায়দ ইবন হারিসা ৷ ইসলাম দ্বারা আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন আর রাসুল করীম (সা)তীর
প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, তাকে মুক্ত করে এবং তীর কাছে আপন ফুফাংতা বোন যয়নব বিনৃত
জাহাশকে বিবাহ দিয়ে যুকাতিল ইবন হিব্বান বলেন : যায়দ ইবন হারিছা যয়নব বিনৃত জাহাশকে
মোহরানা হিসাবে ১০ দীনার ৬০ দিরহাম, ১টা দােপটো , একটি বড় চাদর, একটি জামা এবং ৬০
মুদ খেজুর দান করেন ৷ যয়নব যায়দের কাছে প্রায় এক বছর বা এক বছরের কিছু বেশী সময়
অবস্থান করেন, তারপর তাদের মধ্যে মনােমালিন্য সৃষ্টি হয়, স্বামী রাসুল করীম (না)-এর নিকট
অভিযোগ নিয়ে এলে রাসুল করীম (সা) তাকে বললেন : তৃমি তোমার শ্রীর সাথে সম্পর্ক বজায়
রাখ এবং আল্লাহ্কে ভয় ক্যা ৷ আল্লাহ্ বলেন, আর তুমি
অত্তার যা গোপন বহ্বছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করতে চান ৷ আলী ইবন হসইিন যয়নুল আবেদীন ও
সুদ্দী বলেন ঙ্ক অন্মোহ্ জানতেন যে, তিনি নবী করীম (না)-এর অন্যতম শ্রী হবেন ৷ এটাই ছিল
নবী করীম (না)-এর অত্তরে ৷ অতীত মনীষীদের অনেকে এখানে অনেক অদ্ভুত কধাবাতা
বশ্যেছন, এগুলো প্রশ্নক্লডীত নয় ৷ সেসব আমরা পরিহার করেছি ৷ আল্লাহ্তাআসা বলেন :

এে

(যায়দ যখন যয়নৰের সাথে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করলো তখন আমি তাকে তোমার সাথে
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দিলাম ৷) এটা এভাবে যে, যায়দ তাকে তশোক দিলেন, তার তালাক্যেশ্ব
ইদ্দত পুর্ণ হলে রাসুল করীম (সা) য়ণায়ীতি নিজে তাকে বিবাহ করার পয়পাম পাঠান এবং তিনি
নিজেই যয়নবকে বিবাহ করেন ৷ আর যিনি এ বিবাহ সম্পন্ন করিয়ে দেন তিনি হৰ্হ্মা ৰাবধুস্
অশোর্মীন নিজেই ৷ সহীহ বুখাৰীৰুত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে এ মর্মে হাদীহ বর্ণিত আছে ৷
হাদীহে উল্লেখ আছে :

যে তােমাদেরকে বিবাহ দিয়েছেন তোমাদের পরিবারের সোকজন অভিভাবকরা, আর আমার
বিবাহ সম্পন্ন করেছেন মহান আল্লাহ সপ্ত আকাশের উপরে যয়নব বিনত জাহাশ নবী করীম
(সা)এর অন্যান্য শ্রীদের উপর গৌরব করে একথা ৰশতেন ৷ ঈসা ইবন তুহমান সুত্রে অন্যেস
(বা)এর অপর এক বনািয় আছে :

৩৫

" مُسْنَدِهِ " تَرَكْنَا إِيرَادَهُ قَصْدًا؛ لِئَلَّا يَضَعَهُ بَعْضُ مَنْ لَا يَفْهَمُ عَلَى غَيْرِ مَوْضِعِهِ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ: {وَإِذْ تَقُولُ لِلَّذِي أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَأَنْعَمْتَ عَلَيْهِ أَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ وَاتَّقِ اللَّهَ وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللَّهُ مُبْدِيهِ وَتَخْشَى النَّاسَ وَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ تَخْشَاهُ فَلَمَّا قَضَى زَيْدٌ مِنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا لِكَيْ لَا يَكُونَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ حَرَجٌ فِي أَزْوَاجِ أَدْعِيَائِهِمْ إِذَا قَضَوْا مِنْهُنَّ وَطَرًا وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ مَفْعُولًا - مَا كَانَ عَلَى النَّبِيِّ مِنْ حَرَجٍ فِيمَا فَرَضَ اللَّهُ لَهُ سُنَّةَ اللَّهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِنْ قَبْلُ وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَقْدُورًا} [الأحزاب: 37 - 38] (الْأَحْزَابِ: 37 38) . وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، فَالْمُرَادُ بِالَّذِي أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ هَاهُنَا زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ بِالْإِسْلَامِ، وَأَنْعَمَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْعِتْقِ، وَزَوَّجَهُ بِابْنَةِ عَمَّتِهِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَ مُقَاتِلُ بْنُ حَيَّانَ: وَكَانَ صَدَاقُهُ لَهَا عَشَرَةَ دَنَانِيرَ وَسِتِّينَ دِرْهَمًا، وَخِمَارًا، وَمِلْحَفَةً، وَدِرْعًا، وَخَمْسِينَ مُدًّا مِنْ طَعَامٍ، وَعَشَرَةَ أَمْدَادٍ مِنْ تَمْرٍ، فَمَكَثَتْ عِنْدَهُ قَرِيبًا مِنْ سَنَةٍ أَوْ فَوْقَهَا، ثُمَّ وَقَعَ بَيْنَهُمَا، فَجَاءَ زَوْجُهَا يَشْكُوهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَهُ: " اتَّقِ اللَّهَ وَأَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ " قَالَ اللَّهُ: {وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللَّهُ مُبْدِيهِ} [الأحزاب: 37]
পৃষ্ঠা - ৩০১৩


যয়নব নবী করীম (সা) এর স্তীদের উপর গৌরব করে বলতেনাঃ আল্লাহ তাআলা আসমান
থেকে আমার বিবাহের ব্যবস্থা করেহ্নে৷ এবং তার প্রসঙ্গেই পদার আয়াত নাযিল হয়েছেং

র্দু)ৰুএৰু চ্ৰু-ন্শু

প্

“হে মু মিনগণ ! তােমাদেরকে অনুমতি না দেয়া হলে তোমরা আহড়ার্য প্রযুক্তির জন্য
অপেক্ষা না করে তোজনের জন্য নবী গৃহে প্রবেশ করবে না ৷ তবে তােমাদেরকে আহ্বান করা
হলে প্রবেশ করবে এবং তোজন শেষে দাড়িয়ে পড়বে; কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়বে না ৷
(৩৩-আহযাব : ৫৩)

ইমাম বারহাকী (র) হাম্মাদ ইবন যায়দ আমার (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ ষায়দ
যয়নব সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে এলে রাসুল করীম (সা) তাকে বলেন, আল্লাহ্কে ভয় কর এবং
তোমার স্তীর সঙ্গে বিবাহ সম্পর্ক বজায় রাখ ৷ আনাস (রা) বলেন : রাসুল করীম (সা) আদৌ
কোন কিছু গোপন করে থাকলে অবশ্যই তিনি এ আয়াতঢি গোপন করতেন ৷ যয়নব তো নবী
করীম (সা) এর অন্যান্য শ্রীগণের উপর গৌরব করে বলতেনপ্ত বুতামাদের অভিভাবকরা
তেমােদের বিবাহের ব্যবস্থা করেছেন, আর মহান আল্পাহ্ সপ্ত আসমানের উপর থেকে আমার
বিবাহ সম্পন্ন করেছেন ৷ এরপর তিনি বলেন :

ইমাম বুখারী (র) আহমদ হগ্যেদ ইবন যায়দ সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ অতঃপর
ইমাম ৰারহাকী (র) আফফান আনাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ যায়দ (বা) যয়নবের
বিরুদ্ধে অডিংযগে নিয়ে রাসুন করীম (না)-এর নিকট উপস্থিত হলে নবী করীম (সা) তাকে
বললেন
ৰুা ণ্ণ্ডে ! তুমি অন্তার এমন বিষয় গোপন রাখছ যা আন্মাহ্ প্রকাশ করে দিচ্ছেন ৷ অতঃপর
ইমাম বুখাবী (র) মুহাম্মাদ ইবন আবদুর রহীম শাবী সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ আমি তিনটি
বিষয় আপনার নিকট পেশ রব্রছি, আপনার ন্তীদের মধ্যে কেউ আপনার নিকট এমন তিনটি বিষয়
উপস্থাপন করতে পারে না ৷ আমার এবং আপনার দাদা এক অর্থাৎ আবদুল মুত্তালিব ৷ কারণ, তিনি
নবী করীম (না)-এর পিতার পিতা, আর যয়নবের মা উমইিমার পিতা ছিলেন আবদ্যুন মুত্তালিব ৷
আর মহান আল্লাহ্ আসমাংন আপনার সঙ্গে আমার বিবাহ সম্পন্ন করে দিয়েছেন ৷ এ বিবাহ সম্পন্ন
করার কাজে দুতের ভুমিকা পালন করেছেন ফেঢািতা জিবৃরাঈল আলইিহিন সালাম ইমাম
আহমদ (র) হাণিম আনাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন :
ইমাম আহমদ (র) বলেন : “যরনৰের ইদ্দত সমাপ্ত হলে নবী করীম (সা) ষারদকে বলেন :
তুমি যরনবের নিকট গিয়ে আমার কথা আগােম্পো কর ৷ তিনি তার কাছে পেলেন; এসময় যয়নব


" قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ زَيْنُ الْعَابِدِينَ، وَالسُّدِّيُّ: كَانَ اللَّهُ قَدْ أَعْلَمَهُ أَنَّهَا سَتَكُونُ مِنْ أَزْوَاجِهِ، فَهُوَ الَّذِي كَانَ فِي نَفْسِهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَقَدْ تَكَلَّمَ كَثِيرٌ مِنَ السَّلَفِ هَاهُنَا بِآثَارٍ غَرِيبَةٍ، وَبَعْضُهَا فِيهِ نَظَرٌ، تَرَكْنَاهَا قَصْدًا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا قَضَى زَيْدٌ مِنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا} [الأحزاب: 37] وَذَلِكَ أَنَّ زَيْدًا طَلَّقَهَا، فَلَمَّا انْقَضَتْ عِدَّتُهَا، بَعَثَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُهَا إِلَى نَفْسِهَا، ثُمَّ تَزَوَّجَهَا، وَكَانَ الَّذِي زَوَّجَهَا مِنْهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى، كَمَا ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ كَانَتْ تَفْخَرُ عَلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَقُولُ: زَوَّجَكُنَّ أَهَالِيكُنَّ، وَزَوَّجَنِيَ اللَّهُ مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَاوَاتٍ. وَفِي رِوَايَةٍ مِنْ طَرِيقِ عِيسَى بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَتْ زَيْنَبُ تَفْخَرُ عَلَى نِسَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَقُولُ: أَنْكَحَنِيَ اللَّهُ مِنَ السَّمَاءِ. وَفِيهَا أُنْزِلَتْ آيَةُ الْحِجَابِ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ} [الأحزاب: 53] الْآيَةَ (الْأَحْزَابِ: 53) وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «جَاءَ زَيْدٌ يَشْكُو زَيْنَبَ، فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " اتَّقِ اللَّهَ، وَأَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ» قَالَ أَنَسٌ: فَلَوْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَاتِمًا شَيْئًا لَكَتَمَ هَذِهِ،
পৃষ্ঠা - ৩০১৪

আটা খামীর করছিলেন ৷ যায়দ (রা) বলেন, তাকে দেখে আমার অম্ভরে তার মহত্তের ছাপ মুদ্রিত

করেছেন ৷ তাই আমি তার দিকে পিঠ দিয়ে পেছনে ফিরে আমি এবং বলি ও ম্যানর , সুসংবাদ গ্রহণ
কর ৷ তোমার কথা স্মরণ করে রাসুল করীম (সা) আমাকে প্রেরণ করেছেন ৷ তিনি বললেন :
মহান রবের সঙ্গে পরামর্শ না করে আমি কোন কাজ করি না ৷ এরপর তিনি নামাযের স্থানের দিকে
গমন করলে কুরআন মব্জীদ নাযিল হল এবং রাসুল করীম (চ্ন্দ্বা) আগমন করে অনুমতি না নিয়েই
ভেতরে প্রবেশ করলেন ৷ আনাস (বা) বলেন : রাসুল করীম (যা) যয়নবের সাথে বাসর সম্পন্ন
করলে আমরা সেখানে ওলীমা উপলক্ষে গোশৃতকটি আহার কান্ই ৷ কিছু লোক বের হয়ে যায় এবং
কিছু লোক বসে বসে কথা বলতে থাকে ৷ এরা খাবারের পর গল্প করছিল ৷ রাসুল করীম (সা)
বের হলেন, আমিও তার অনুসরণ করলাম ৷ তিনি এক এক করে ত্রীগণের হুজরড়ায় গমন করে
সালাম জানালে তারা আরব করলেন ও ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ অৰুণ্পনার নবরধুকে কেমন পেলেন ৷
আমার স্মরণ নেই এ সময় আমি তাকে খবর দিয়েছি আর লোকজন বের হয়ে ণ্গছে, না অন্য
কেউ ৷ তাকে এ খবর দিয়েছিল ৷ রাবী আনাস (রা) বলেনঃ তিনি গৃহে প্রবেশ করলে আমিও তার
সঙ্গে প্রবেশ করি ৷ তখন তিনি আমার এবং তার ম ধ্যন্থলে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন ৷ এ সময় পদার
আয়াত নাযিল হলে বিধান অনুমতি
লোকদেরকে অবহিত করেন৷ ইমাম মুসলিম (র) এবং ইমাম নাসাঈ (র) সুলায়মান ইবন মুগীরা
সুত্রে হাদীছঢি বর্ণনা করেছে৷ ৷


فَكَانَتْ تَفْخَرُ عَلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَقُولُ: زَوَّجَكُنَّ أَهَالِيكُنَّ، وَزَوَّجَنِيَ اللَّهُ مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَاوَاتٍ. ثُمَّ قَالَ: رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَحْمَدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدِّمِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَفَّانَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «جَاءَ زَيْدٌ يَشْكُو إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمْسِكْ عَلَيْكَ أَهْلَكَ» فَنَزَلَتْ: {وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللَّهُ مُبْدِيهِ} [الأحزاب: 37] ثُمَّ قَالَ: رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحِيمِ، عَنْ مُعَلَّى بْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ حَمَّادٍ مُخْتَصَرًا. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنَا ابْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مُغِيرَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: «كَانَتْ زَيْنَبُ تَقُولُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي لَأَدِلُّ عَلَيْكَ بِثَلَاثٍ مَا مِنْ نِسَائِكَ امْرَأَةٌ تَدِلُّ بِهِنَّ؛ أَنَّ جَدِّي وَجَدَّكَ وَاحِدٌ - تَعْنِي عَبْدَ الْمُطَّلِبِ؛ فَإِنَّهُ أَبُو أَبِي النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو أُمِّهَا أُمَيْمَةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - وَأَنِّي أَنْكَحَنِيكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنَ السَّمَاءِ وَأَنَّ السَّفِيرَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمٌ - يَعْنِي ابْنَ الْقَاسِمِ أَبَا النَّضْرِ -
পৃষ্ঠা - ৩০১৫
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، «عَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَمَّا انْقَضَتْ عِدَّةُ زَيْنَبَ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِزَيْدٍ: " اذْهَبْ فَاذْكُرْهَا عَلَيَّ " فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَاهَا وَهِيَ تُخَمِّرُ عَجِينَهَا. قَالَ: فَلَمَّا رَأَيْتُهَا، عَظُمَتْ فِي صَدْرِي، حَتَّى مَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَنْظُرَ إِلَيْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَهَا، فَوَلَّيْتُهَا ظَهْرِي، وَنَكَصْتُ عَلَى عَقِبَيَّ وَقُلْتُ: يَا زَيْنَبُ، أَبْشِرِي، أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُكِ. قَالَتْ: مَا أَنَا بِصَانِعَةٍ شَيْئًا حَتَّى أُؤَامِرَ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ. ثُمَّ قَامَتْ إِلَى مَسْجِدِهَا، وَنَزَلَ الْقُرْآنُ، وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ عَلَيْهَا بِغَيْرِ إِذَنٍ. قَالَ أَنَسٌ: وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا حِينَ دَخَلَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَطْعَمَنَا عَلَيْهَا الْخُبْزَ وَاللَّحْمَ، فَخَرَجَ النَّاسُ، وَبَقِيَ رِجَالٌ يَتَحَدَّثُونَ فِي الْبَيْتِ بَعْدَ الطَّعَامِ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاتَّبَعْتُهُ، فَجَعَلَ يَتَّبَّعُ حُجَرَ نِسَائِهِ يُسَلِّمُ عَلَيْهِنَّ، وَيَقُلْنَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ وَجَدْتَ أَهْلَكَ؟ فَمَا أَدْرِي أَنَا أَخْبَرْتُهُ أَنَّ الْقَوْمَ قَدْ خَرَجُوا، أَوْ أُخْبِرَ. قَالَ: فَانْطَلَقَ حَتَّى دَخَلَ الْبَيْتَ، فَذَهَبْتُ أَدْخُلُ مَعَهُ، فَأَلْقَى السِّتْرَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ، وَنَزَلَ الْحِجَابُ وَوُعِظَ الْقَوْمُ بِمَا وُعِظُوا بِهِ {لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ} [الأحزاب: 53] الْآيَةَ» . وَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ. 5
পৃষ্ঠা - ৩০১৬

যয়নবের ওলীমা উপলক্ষে পদবি বিধান নাযিল হয়

উম্মাহাতু ল মু মিনীনদের ইয্যত আবরু রক্ষার উদ্দোশ্য যয়নব ৰিনৃভ জাহাশের বিবাহের
ভোজ উপলক্ষে পদৰি বিধান নাযিল হয় উমর ইবনুল খাত্তাবের অভিপ্রায় অনুযায়ী ৷ ইমাম বুখারী
(র) মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্ রাকক্লাশী আনাস (রা) ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন :

যয়নব বিন্ত জাহাশের বিবাহ উপলক্ষে রাসুল করীম (সা) লোকজনকে নিমস্ত্রণ করেন ৷
দোবেরাে খাওয়া দাওয়া শেষে বসে গল্প জুড়ে দেয় ৷ রাসুল লীেম (সা) দাড়াৰার জন্য প্রস্তুত হলেও
ণ্লাকেরা উঠে দাড়ালেন না ৷ এ অবস্থা দেখে তিনি দাড়ালেন, তাকে দাড়াতে দেখে যে কেউ কেউ
দাড়ালেন; জ্যি তিনজানর এটা ক্ষুঘ্র দল বসেই থাকল ৷ রাসুল করীম (সা) ভেতরে প্রবেশ করার
জন্য আগমন করেন, তখনো তারা বসে আছেন ৷ এরপর তারা উঠে প্রন্থান করেন ৷ আমি এসে
তাদের চলে যাওয়ার কথা নবী করীম (সা)-কে জানইি ৷ তখন তিনি এসে গৃহে প্রবেশ কালে
আমিও প্রবেশ করার জন্য উদ্যত হই ৷ তখন তিনি তার এবং আমার মধ্যখানে পদা ঝুলিয়ে দেন ৷
এ সময় আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেন :

ধ্ ’ ’ é ’

ইমাম বুখারী (র) অন্যত্র এবং ইমাম মুসলিম ও নাসাঈ (র) বিজ্যি সুত্রে মু তামির থেকেও

হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুণডাবে ইমাম বুখারী (র) আইউব আনাস (রা) থেকেও
এককভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছে৷ ৷
ইমাম বৃখারী (র) আবু মামার আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা করে বলেন ৭

যয়নব বিনত আহাশ্যে৷ সঙ্গে নবী করীম (না)-এর বিবাহ উপলক্ষে মোঃট্রুতরুটি দ্বারা ভোজের
আয়েজেন করা হয় ৷ দোকজনকে ডেকে আনার জন্য আমাকে প্রেরণ করা হয় ৷ একদল আসেন
এবং আহার করে চশে যান, আবার অন্য দল আসেন আর আহার করে চলে যান ৷ আমি পােক
জনকে ডাকতে থাকি ৷ শেষ পর্যন্ত ডাকার জন্য কাউকে না পেয়ে আমি বললাম, হে আল্লাহ্র নবী !
ডাকার জন্য আমি আর কাউকে পাজ্জি৷ ৷ তিনি বলবেন : ধ্াদ্য তুলে নাও ৷ তখনো তিনজনের
একটা দল গৃহে বসে কখাৰাতা বলমিঃন ৷ নবী করীম (যা) বের হয়ে অইিশা (রা)-এর হুজ্জার
উপস্থিত হয়ে বললেন : আসৃসালমুে আলইিকুম ওয়া রাহমাভুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ৷ হে আহণি
যাতে! তিনি ত্তবােবে বললেন : ওয়া আলইিকুমুস সালামু ওয়া রাহমাতুল্পাহি ওয়া বারাকাতুহু ৷
আল্লাহ্ তাআল৷ আপনাকে ৰরকত মণ্ডিত করুন ৷ আপনার নববধুকে কেমন পেলেন ব্রু আল্লাহ্
আপনাকে বৱকত দান করুন ৷এভাবে প্রত্যেক ব্রীর হজ্বরায় গমন করে তাদের প্রতি সাশাম


[نُزُولُ آيَةِ الْحِجَابِ] ذِكْرُ نُزُولِ آيَةِ الْحِجَابِ صَبِيحَةَ عُرْسِهَا الَّذِي وَلِيَ اللَّهُ عَقْدَ نِكَاحِهِ فَنَاسَبَ نُزُولُ الْحِجَابِ فِي هَذَا الْعُرْسِ صِيَانَةً لَهَا وَلِأَخَوَاتِهَا مِنْ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ وَذَلِكَ وَفْقَ الرَّأْيِ الْعُمَرِيِّ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو مِجْلَزٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: لَمَّا تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ دَعَا الْقَوْمَ فَطَعِمُوا ثُمَّ جَلَسُوا يَتَحَدَّثُونَ، فَإِذَا هُوَ يَتَهَيَّأُ لِلْقِيَامِ فَلَمْ يَقُومُوا، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَامَ، فَلَمَّا قَامَ، قَامَ مَنْ قَامَ، وَقَعَدَ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ، وَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَدْخُلَ فَإِذَا الْقَوْمُ جُلُوسٌ، ثُمَّ إِنَّهُمْ قَامُوا فَانْطَلَقُوا، فَجِئْتُ فَأَخْبَرْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ قَدِ انْطَلَقُوا، فَجَاءَ حَتَّى دَخَلَ
পৃষ্ঠা - ৩০১৭

দিলেন এবং আইশা (রা)-এর হুজরায় গিয়ে যেমন বলেন অন্যদের হুজরায় গিয়েও তেমনি
বললেন এবং তারাও আইশা (রা)-এর মতোই জবাব দিলেন ৷ এরপর নবী করীম (সা) ফিরে
আসেন, তখনো তিনজনের দলটি গৃহে কথাবাতায় রত ছিল ৷ আর নবী করীম (সা) ছিলেন ভীষণ
লাজুক প্রকৃতির ৷ তিনি আইশা (রা)-এর হুওরোর উদ্দেশ্যে গমন করেন ৷ এরপর আমি অথবা
অন্য কেউ তাকে বললো যে, লোকজন চলে গেছে ৷ তখন তিনিও বের হলেন ৷ তিনি এক পা
গৃহের দরজার চৌকাঠের ভেতরে দিয়েছেন অপর পা তখনো বাইরে ৷ এ সময় তিনি আমার এবং
তার মধ্যস্থুলে পদাঝুলিয়ে দিলেন এবং পদার আয়াতও নাযিল হয় ৷ ইমাম বুখারী (র) এককভাবে
এ সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুপভাবে তিনি আবদৃল্লাহ্ ইবন বুকাইর ইবন
আনাস সুত্রেও হাদীছটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ এতে ৩ ব্যক্তির স্থলে ২ ব্যক্তির উল্লেখ
আছে ৷ মহান আল্লাহ্ই সবচেয়ে ভাল জানেন ৷

ইমাম বুখরীি (র) বলেন ; ইব্রাহীম ইবন তুহমান -আনাস (রা) সুত্রেও অনুরুপ হাদীছ
বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আবু হাতিম আনাস ইবন মালিক সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
এভাবে রাসুল করীম (সা) তার কোন এক ন্তীর জন্য ভোজের আয়োজন করেন ৷ এ উপলক্ষে
উম্মে সুলায়ম (ঘি এবং খেজুর সংযোগে প্রস্তুতকৃত এক প্রকার সুস্বাদৃ আহার্য (হায়স) প্রস্তুত
করেন ৷ তা একটা পাত্রে ঢেলে আমাকে দিয়ে বলেন, রাসুল করীম (সা)-এর নিকট নিয়ে গিয়ে
বলবে যে, আমাদের পক্ষ থেকে তার জন্য এটা মামুলী হাদিয়া মাত্র ৷আমি তা নিয়ে এসে বললাম ,
ইয়া রাসৃলাল্লাহ্! এটি উম্মে সুলায়ম আপনার কাছে পাঠিয়েছেন ৷ সালাম দিয়ে বলেছেন, এটি
আপনার জন্য সামান্য হাদীয়া ৷ আনাস বলেন, তখন লোকজন খুব অনটনে ছিল ৷ তিনি সেটির
দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন, ঘরের এক কোণে রেখে দাও ৷ এরপর আমাকে ডেকে বললেন : অমুক
অমুক ব্যক্তিকে ডেকে আন ৷ এসময় তিনি অনেক ব্যক্তির নাম ধরে বললেন ও মুসলমানদের
মধ্যে যার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাকেই দাওয়াত দেবে ৷ আমি ফিরে এসে দেখি যয়নবের ঘর, সুফ্ফা
এবং হুজরাসমুহ সবই লোকে লোকারণ্য ৷ রাবী বলেন, আমি রললাম , হে আবু উসমান ৷ তাদের
ত্থ্যা কত ছিল ? তিনি বললেন : তিনশর কিছু বেশী হয়ে ৷ আনাস (রা) বলেন : রাসুল করীম
(সা) আমাকে বললেন, খাবার নিয়ে এসো ৷ আমি নিয়ে এলে তিনি তাতে হাত রাখেন দৃআ করেন
এবং বলেন, মাশআল্পাহ্৷ তিনি বললেন, দশজন দশজন কারে বৃত্তাকারে বলবে, বিসমিল্লাহ্ বলে
প্রতেব্রকে নিজের পাশ থেকে আহার করবে ৷ তারা বিসমিল্লাহ্ বলে আহার করা শুরু করেন এবং
সকলেই আহার করলে তিনি আমাকে বললেন, খাদ্য তুলে রাখ ৷ তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি
এসে পাত্রটি উঠিয়ে নিলাম, তখন আমি পাত্রের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম না যে, যখন আমি
স্থাপন করি তখন খাদ্য বেশী ছিল, না যখন তুলে রাখি তখন ?

রাবী বলেন, কিছু লোক সকলে চলে যাওয়ার পরও রাসুল (না)-এর গৃহে বসে বসে গল্প
করেছিলেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নববধু দেয়ালের দিকে মুখ করে বসে রয়েছিলেন ৷ তাদের
দীর্ঘ আলাপ চারিতায় রাসুল (সা) বিব্রত বোধ করেন ৷ আর তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশী
লজ্জাশীল ৷ রাসুলের কষ্ট হচ্ছে এটা লোকেরা বুঝতে পারলে তারাও কষ্ট পেতেন ৷ অবশেষে
রাসুলুল্পাহ্ (সা) উঠে দাড়ান, হুজরাবাসী ত্রীদেরকে সালাম জানান ৷ রাসুলুল্লাহ্ এসে গেছেন এটা


فَذَهَبْتُ أَدْخُلُ، فَأَلْقَى الْحِجَابَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ} [الأحزاب: 53] الْآيَةَ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ وَمُسْلِمٌ والنَّسَائِيُّ، مِنْ طُرُقٍ عَنْ مُعْتَمِرٍ. ثُمَّ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مُنْفَرِدًا بِهِ مِنْ حَدِيثِ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ، بِنَحْوِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «بُنِيَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ بِخُبْزٍ وَلَحْمٍ، فَأُرْسِلْتُ عَلَى الطَّعَامِ دَاعِيًا، فَيَجِيءُ قَوْمٌ فَيَأْكُلُونَ وَيَخْرُجُونَ، ثُمَّ يَجِيءُ قَوْمٌ فَيَأْكُلُونَ وَيَخْرُجُونَ، فَدَعَوْتُ حَتَّى مَا أَجِدُ أَحَدًا أَدْعُوهُ، فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، مَا أَجِدُ أَحَدًا أَدْعُوهُ. قَالَ: " فَارْفَعُوا طَعَامَكُمْ ". وَبَقِيَ ثَلَاثَةُ رَهْطٍ يَتَحَدَّثُونَ فِي الْبَيْتِ، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَانْطَلَقَ إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ فَقَالَ: " السَّلَامُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ " قَالَتْ: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، كَيْفَ وَجَدْتَ أَهْلَكَ، بَارَكَ اللَّهُ لَكَ؟ فَتَقَرَّى حُجَرَ نِسَائِهِ كُلِّهِنَّ، يَقُولُ لَهُنَّ كَمَا يَقُولُ لِعَائِشَةَ، وَيَقُلْنَ لَهُ كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ، ثُمَّ رَجَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا رَهْطٌ ثَلَاثَةٌ فِي الْبَيْتِ يَتَحَدَّثُونَ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَدِيدَ الْحَيَاءِ، فَخَرَجَ مُنْطَلِقًا نَحْوَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ، فَمَا أَدْرِي آخْبَرْتُهُ،
পৃষ্ঠা - ৩০১৮
أَمْ أُخْبِرَ أَنَّ الْقَوْمَ خَرَجُوا؟ فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي أُسْكُفَّةِ الْبَابِ دَاخِلَةً وَأُخْرَى خَارِجَةً أَرْخَى السِّتْرَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ، وَأُنْزِلَتْ آيَةُ الْحِجَابِ» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. ثُمَّ رَوَاهُ مُنْفَرِدًا بِهِ أَيْضًا، عَنْ إِسْحَاقَ هُوَ ابْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَكْرٍ السَّهْمِيِّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، بِنَحْوِ ذَلِكَ وَقَالَ: رَجُلَانِ. بَدَلَ ثَلَاثَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَدْ قَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُظَفَّرِ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «أَعْرَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَعْضِ نِسَائِهِ فَصَنَعَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ حَيْسًا ثُمَّ وَضَعَتْهُ فِي تَوْرٍ، فَقَالَتْ: اذْهَبْ بِهَذَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخْبِرْهُ أَنَّ هَذَا مِنَّا لَهُ قَلِيلٌ. قَالَ أَنَسٌ: وَالنَّاسُ يَوْمَئِذٍ فِي جَهْدٍ فَجِئْتُ بِهِ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩০১৯

দেখতে পেয়ে তারা বুঝতে পারেন যে, ব্যাপারটা রাসুলের নিকট কষ্টকর ঠেকেছে ৷ তারা
তাড়াতাড়ি বের হয়ে পড়েন ৷ তখন রাসুল করীম (সা) উপস্থিত হয়ে পদাটানিয়ে দেন এবং গৃহে
প্রবেশ করেন ৷ আমি তখন হুজরায় ৷ রাসুল (সা) স্বল্প সময় হুজরায় অবস্থান করেন ৷ এ সময়
আল্লাহ্ তাআলা কুরআন নাযিল করেন এবং নিম্নোক্ত আয়াত তলাওয়াত করতে করতে রাসুল
করীম (সা) ণ্ররিয়ে আসেন :

গ্লু,াৰু

)

(

আনাস (রা) বলেন৪ রাসুল করীম (সা) সকলের আগে এ আয়াতগুলো আমাকে পাঠ করে
শুনান এবং কালের বিবেচনায় আমিই এ আয়া তগুলোর সর্বপ্রথম শ্রোতা ৷ মুসলিম (র), তিবমিযী
(র) এবং নাসাঈ (র) এরা সকলেই সুলায়মান সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা কারছেন এবং র্তিরমিযী (র)
হাদীছটিকে হাসান-সহীহ্ বলে অভিহিত করেছেন ৷ অনুরুপভারে মুসলিম ও ভিন্ন সুত্রে হাদীছটি
বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী (র ) , তিরমিযী (র) এবং নাসাঈ (র) ও বিভিন্ন সুত্রে আবুল বাশার
আহমাসী কুফীর বরাতে আনাস (রা) থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন এবং ইবন আবু হড়াতিম আবু
নাঘৃরা আল আবদীর বরাতে আনাস (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম ইবন জারীর (র)
আম্র ইবন সাঈদ সুত্রে এবং ইমাম যুহরী (র) আনাস (রা) সুত্রেও অনুরুপভারে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷

আমি বলি, যয়নব বিনত জাহাশ (রা) ছিলেন সর্বপ্রথম হিজরতকা রিণী ন ৷রীগণের অন্যতম

এবং তিনি প্রচুর দান খয়রাত করতেন ৷ তার পুর্ব নাম ছিল বাররা, নবী করীম (সা) তার নামকরণ

করেন যয়নব ৷ তার কুনিয়াত বা উপনাম ছিল উম্মুল হিকাম অর্থাৎ জ্ঞা নবুদ্ধির জননী ৷৩ তার
সম্পর্কে উম্মুল মু’মিনীন আইশা সিদ্দীকা (বা) মন্তব্য করেন :

ষ্ঠাং ষ্া ষ্

দীনের ক্ষেত্রে উৎকর্ষে, তাকওয়ড়ায়, সত্য ভাষণে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং
আমানতদারী ও দান থয়রাতের ক্ষেত্রে যয়নব বিনত জাহাশের চেয়ে উত্তম কোন রমণী আমি
কখনো দেখিনি ৷ বিশুদ্ধ প্রন্থদ্বয় অর্থাৎ বুখারী ও মুসলিমে প্রমাণিত হয়েছে এবং ইফ্ক তথা
অপবাদ আরোপের ঘটনা সম্পর্ক হাদীছে আসছে যে, আইশা (রা) বলেন ও

রাসুল করীম (সা) আমার সম্পর্কে যয়নবকে জিজ্ঞাসা করেন ৷ অথচ নবী করীম (না)-এর
ত্রীদের মধ্যে একমাত্র তিনিই আমার সাথে প্রতিদ্বজ্বিতা করতেন ৷ আল্পাহ্ ভীতির কারণে আল্লাহ্
তাকে রক্ষা করেছেন ৷ তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমিতো আমার চক্ষু কর্ণ হিফাযত
করছি ৷ তার সম্পর্কে ভাল ছাড়া কিছুইভাে আমার জানা নেই ৷

আর মুসলিম (ইবন হাজ্জাজ) তার সহীহ্ গ্রন্থে মাহমুদ ইবন পায়লান আইশা সুত্রে
বর্ণনা করেন ৷


بَعَثَتْ بِهَذَا أُمُّ سُلَيْمٍ إِلَيْكَ، وَهِيَ تُقْرِئُكَ السَّلَامَ وَتَقُولُ: أَخْبِرْهُ أَنَّ هَذَا مِنَّا لَهُ قَلِيلٌ. فَنَظَرَ إِلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: " ضَعْهُ ". فَوَضَعْتُهُ فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ، ثُمَّ قَالَ: " اذْهَبْ فَادْعُ لِي فُلَانًا وَفُلَانًا ". فَسَمَّى رِجَالًا كَثِيرًا. قَالَ: " وَمَنْ لَقِيتَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ " فَدَعَوْتُ مَنْ قَالَ لِي، وَمَنْ لَقِيتُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَجِئْتُ وَالْبَيْتُ وَالصُّفَّةُ وَالْحُجْرَةُ مَلْأَى مِنَ النَّاسِ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا عُثْمَانَ، كَمْ كَانُوا؟ قَالَ: كَانُوا زُهَاءَ ثَلَاثِمِائَةٍ. قَالَ أَنَسٌ: فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " جِئْ بِهِ ". فَجِئْتُ بِهِ إِلَيْهِ، فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهِ وَدَعَا، وَقَالَ: " مَا شَاءَ اللَّهُ " ثُمَّ قَالَ: " لِيَتَحَلَّقْ عَشَرَةٌ عَشَرَةٌ وَيُسَمُّوا، وَلْيَأْكُلْ كُلُّ إِنْسَانٍ مِمَّا يَلِيهِ ". فَجَعَلُوا يُسَمُّونَ وَيَأْكُلُونَ حَتَّى أَكَلُوا كُلُّهُمْ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْفَعْهُ ". قَالَ: فَجِئْتُ فَأَخَذْتُ التَّوْرَ فَنَظَرْتُ، فَمَا أَدْرِي أَهُوَ حِينَ وَضَعْتُهُ أَكْثَرَ أَمْ حِينَ رَفَعْتُهُ. قَالَ: وَتَخَلَّفَ رِجَالٌ يَتَحَدَّثُونَ فِي بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَزَوْجُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي دَخَلَ بِهَا مَعَهُمْ مُوَلِّيَةٌ وَجْهَهَا إِلَى الْحَائِطِ، فَأَطَالُوا الْحَدِيثَ، فَشَقُّوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ أَشَدَّ النَّاسِ حَيَاءً، وَلَوْ عَلِمُوا كَانَ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ عَزِيزًا، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجَ فَسَلَّمَ عَلَى حُجَرِهِ وَعَلَى نِسَائِهِ، فَلَمَّا رَأَوْهُ قَدْ جَاءَ ظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ ثَقَّلُوا عَلَيْهِ، ابْتَدَرُوا الْبَابَ فَخَرَجُوا، وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَرْخَى السِّتْرَ، وَدَخَلَ الْبَيْتَ وَأَنَا فِي الْحُجْرَةِ، فَمَكَثَ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩০২০
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ يَسِيرًا، وَأَنْزَلَ اللَّهُ الْقُرْآنَ، فَخَرَجَ وَهُوَ يَقْرَأُ هَذِهِ الْآيَةَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُوا وَلَا مُسْتَأْنِسِينَ لِحَدِيثٍ إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي النَّبِيَّ فَيَسْتَحْيِي مِنْكُمْ وَاللَّهُ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَنْ تَنْكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ أَبَدًا إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا - إِنْ تُبْدُوا شَيْئًا أَوْ تُخْفُوهُ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا} [الأحزاب: 53 - 54] (الْأَحْزَابِ: 53 54) . قَالَ أَنَسٌ: فَقَرَأَهُنَّ عَلَيَّ قَبْلَ النَّاسِ، وَأَنَا أُحَدَّثُ النَّاسِ بِهِنَّ عَهْدًا.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الْجَعْدِ أَبَى عُثْمَانَ، بِهِ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الْبُخَارِيُّ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ بَيَانٍ أَبِي بِشْرٍ الْأَحْمَسِيِّ الْكُوفِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، بِنَحْوِهِ. وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نَضْرَةَ الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، بِنَحْوِهِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ،
পৃষ্ঠা - ৩০২১

তিনি বলেন : রাসুল করীম (সা) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যার হস্ত সবচেয়ে দরাজ সে
সকলের আগে আমার সঙ্গে মিলিত হয়ে ৷ তিনি বলেন, আমরা মেপে দেখতাম, আমাদের মধ্যে
কার হাত সবচেয়ে বেশী লম্বা ৷ তিনি আগে বলেন : যয়নবের হাত ছিল সবচেয়ে লম্বা ৷ কারণ,
তিনি নিজ হাতে কাজ করতেন এবং দান-খয়রাত করতেন ! ইমাম মুসলিম (র) এককভাবে
হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷

ওয়াকিদী প্রমুখ সীরাত , মাপাযী ও ইতিহাস গ্রন্থ কার বলেন রু; যয়নব বিনৃত জাহাশ হিজধী ২০
সালে ইনতিকাল করেন ৷ আমীরুল মুমিনীন উমর ইবনুল খত্তোব (বা) তার জানাযার নামাযে
ইমামতি করেন এবং জান্নাতুল বাকীতে তাকে দাফন করা হয় ৷ আর তিনি হলেন সর্বপ্রথম মহিলা
যার জন্য প্রথম জানাযায় খাটিয়ার ব্যবস্থা করা হয় ৷


مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، وَمِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، بِنَحْوِ ذَلِكَ. قُلْتُ: كَانَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الْأُوَلِ وَكَانَتْ كَثِيرَةَ الْخَيْرِ وَالصَّدَقَةِ، وَكَانَ اسْمُهَا أَوَّلًا بَرَّةَ فَسَمَّاهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ وَكَانَتْ تُكَنَّى بِأُمِّ الْحَكَمِ، قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: مَا رَأَيْتُ امْرَأَةً قَطُّ خَيْرًا فِي الدِّينِ مِنْ زَيْنَبَ، وَأَتْقَى لِلَّهِ وَأَصْدَقَ حَدِيثًا وَأَوْصَلَ لِلرَّحِمِ وَأَعْظَمَ أَمَانَةً وَصَدَقَةً. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " - كَمَا سَيَأْتِي فِي حَدِيثِ الْإِفْكِ - عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: «وَسَأَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِّي زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ، وَهِيَ الَّتِي كَانَتْ تُسَامِينِي مِنْ نِسَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعَصَمَهَا اللَّهُ بِالْوَرَعِ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَحْمِي سَمْعِي وَبَصَرِي، مَا عَلِمْتُ إِلَّا خَيْرًا.» وَقَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ فِي " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى السِّينَانِيُّ، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَسْرَعُكُنَّ لُحُوقًا بِي أَطْوَلُكُنَّ يَدًا " قَالَتْ: فَكُنَّا نَتَطَاوَلُ أَيُّنَا أَطْوَلُ يَدًا. قَالَتْ: فَكَانَتْ زَيْنَبُ أَطْوَلَنَا يَدًا؛ لِأَنَّهَا كَانَتْ تَعْمَلُ بِيَدِهَا وَتَتَصَدَّقُ» انْفَرَدَ بِهِ مُسْلِمٌ.
পৃষ্ঠা - ৩০২২
قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ مِنْ أَهْلِ السِّيَرِ وَالْمَغَازِي وَالتَّوَارِيخِ: تُوُفِّيَتْ سَنَةَ عِشْرِينَ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَصَلَّى عَلَيْهَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَدُفِنَتْ بِالْبَقِيعِ، وَهِيَ أَوَّلُ امْرَأَةٍ صُنِعَ لَهَا النَّعْشُ.