আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

وفاة سعد بن معاذ

পৃষ্ঠা - ২৯৫৯

-কে যাতায় নিক্ষেপে হত্যা করেছিল ৷ একারণে রাসুল করীম (না) তাকে হত্যা করেন ৷ ইবন
ইসহাক অন্যত্র এ মহিলার নাম উল্লেখ করেছেন নাবাতা বলে ৷ সে ছিল হাকাম আল-কুরয়ীর ত্রী ৷

ইবন ইসহাক আরো বলেন : রাসুল করীম (সা) খুমুস তথা এক পঞ্চমাৎশ বের করার পর
বনু কুরায়যাব সম্পদ, নারী এবং সম্ভানদেরকে মুসলমানদের মধ্যে বন্টন করে দেন ৷ তিনি
অশ্বারােহীর জন্য তিন অংশ দু’ অংশ অশ্বের আর একাৎশ অশ্বারােহীর এবং একাৎশ করে
পদাতিকের দান করেন ৷ তখন অশ্ব ছিল ৩৬ টি ৷ ইবন ইসহাক বলেন, এই প্রথম বারের মতো
গনীমতের মালে দৃই অংশ দান ও খুমুস বা এক-পঞ্চমাংশ সংরক্ষণের রীতি প্রবর্তিত হয় ৷

ইবন ইসহাক আরো বলেন, রাসুল করীম (সা) বনুকুরায়যার বন্দীদ্ভ:দরকে সাযা দিয়ে সাঈদ
ইবন যায়দকে নাজ্বদে প্রেরণ করে তার বিনিময়ে অশ্ব ও অস্ত্র ক্রয় করেন ৷ রাসুল করীম (সা ) বনু
কুরায়যাব নারীদের মধ্যে রায়হানা বিনৃত আমৃর ইবন খানাকাকে নিজের জন্য পসন্দ করেন ৷ এ
মহিলাটি ছিলেন বনু আমৃর ইবন কুরায়যা গোত্রের ৷ তিনি আন্ভ্যু রাসুল করীম (না)-এর
মালিকানাধীন ছিলেন ৷ রাসুল করীম (সা) তার কাছে ইসলাম পোপ করলে তিনি প্রথমে বিরত
থাকেন ৷ পরবর্তীতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ রাসুল করীম (সা) অত্যন্ত আনন্দিত হন ৷ তাকে
মুক্ত করে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলে তিনি রাসুলুল্লাহ্র সুবিধার কথা বিবেচনা করে একজন
দাসীরুপে থাকাই পসন্দ করেন ৷ রাসুল করীম (না)-এর ইনতিকাল পর্যন্ত তিনি তার কাছেই
ছিলেন ৷ তারপর ইবন ইসহাক খন্দক যুদ্ধের কাহিনী প্রসঙ্গে সুরা আহযাবের প্রথম দিকের আয়াত
সম্পর্কে আলোচনা করেন ৷ সুরা আহযাবের তাফসীরে এ বিষয়ে আমরা বিশদ আলোচনা করছি ৷
সমস্ত প্রশংসা আর সভুষ্টি আল্লাহর জন্য ৷

ইবন ইসহাক বলেন : বনু কুরায়যাব যুদ্ধের দিন মুসলমানদের মধ্যে খাল্লাদ ইবন সুওয়ায়দ
ইবন সালাবা ইবন আমৃর আল-খাষ্ৱাজী শাহাদত বরণ করেন ৷ এক মহিলা তার প্রতি যাতা
নিক্ষেপ করলে তিনি প্রচণ্ড আঘাত পান ৷ মুসলমানরা মনে করেন যে, রাসুল করীম (সা)
বলেছেন : হযরত খড়াল্লাদের জন্য রয়েছে দুজন শহীদের পুরস্কার ৷ আমি বলি : প্রস্তর নিক্ষেপকারী
মহিলা ছাড়া বনুকুরায়যার মধ্যে অন্য কোন নারীকে হত্যা করা হয়নি ৷ এ ঘটনা ইতিপুর্বেও উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বনু কুরায়যাব অবরোধকালে আবু সিনান ইবন মিহসান ইবন হুরসান
ইনতিকাল করেন এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয় ৷ ইনি ছিলেন বনুআসাদ ইবন খুযায়মার
লোক ৷ আজও সেখানেই তার কবর রয়েছে ৷

হযরত সা দ ইবন মুআয (রা)-এর ইনতিকাল

পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, অভিশপ্ত হিব্বান ইবন আরিকা সাদ ইবন মুআয (রা) এর
প্রতি তীর নিক্ষেপ করলে তা তার বাহুর প্রধান শিরায় বিদ্ধ হয় ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আগুন
দাণালে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় ৷ এসময় সাদ (রা) আল্লাহর দরবারে দুআ করেন যা ইতিপুর্বে
উল্লিখিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং বনু কুরায়যাব মধ্যেকার চুক্তিসমুহ তারা ভঙ্গ করে এবং
রাসুলুল্লাহ্র বিরুদ্ধে মুশরিক দলের প্রতি ঝুকে পড়ে ৷ সম্মিলিত কাফির বাহিনী যখন দুরে চলে যায়
এবং বনু কুরায়যা কালিমা লিপ্ত বদনে দুনিয়া ও আখিরাতের ক্ষয়ক্ষতিসহ নিজেদের আবাসন্থলে


[وَفَاةُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ] ٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ حِبَّانَ بْنَ الْعَرِقَةِ، لَعَنَهُ اللَّهُ، رَمَاهُ بِسَهْمٍ فَأَصَابَ أَكْحَلَهُ، فَحَسَمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيًّا بِالنَّارِ، فَاسْتَمْسَكَ الْجُرْحُ، وَكَانَ سَعْدٌ قَدْ دَعَا اللَّهَ أَنْ لَا يُمِيتَهُ حَتَّى يُقِرَّ عَيْنَهُ مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ وَذَلِكَ حِينَ نَقَضُوا مَا كَانَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعُهُودِ وَالْمَوَاثِيقِ وَالذِّمَامِ، وَمَالُوا عَلَيْهِ مَعَ الْأَحْزَابِ، فَلَمَّا ذَهَبَ الْأَحْزَابُ وَانْقَشَعُوا عَنِ الْمَدِينَةِ وَبَاءَتْ بَنُو قُرَيْظَةَ بِسَوَادِ الْوَجْهِ وَالصَّفْقَةِ الْخَاسِرَةِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَسَارَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُحَاصِرَهُمْ، كَمَا تَقَدَّمَ، فَلَمَّا ضَيَّقَ عَلَيْهِمْ وَأَخَذَهُمْ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ أَنَابُوا إِلَى أَنْ يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَحْكُمَ فِيهِمْ بِمَا أَرَاهُ اللَّهُ، فَرَدَّ الْحُكْمَ فِيهِمْ إِلَى رَئِيسِ الْأَوْسِ، وَكَانُوا حُلَفَاءَهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَهُوَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ، فَرَضُوا بِذَلِكَ، وَيُقَالُ: بَلْ نَزَلُوا ابْتِدَاءً عَلَى حُكْمِ سَعْدٍ؛ لِمَا يَرْجُونَ مِنْ حُنُوِّهِ عَلَيْهِمْ وَإِحْسَانِهِ وَمَيْلِهِ إِلَيْهِمْ، وَلَمْ يَعْلَمُوا بِأَنَّهُمْ أَبْغَضُ إِلَيْهِ مِنْ أَعْدَادِهِمْ مِنَ الْقِرَدَةِ وَالْخَنَازِيرِ؛ لِشِدَّةِ إِيمَانِهِ وَصِدِّيقِيَّتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ فِي خَيْمَةٍ فِي الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، فَجِيءَ بِهِ عَلَى حِمَارٍ
পৃষ্ঠা - ২৯৬০

ফিরে আসে ৷ ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বনুকুরায়যাকে অবরোধ করার জন্য রাসুল করীম
(সা) তাদের অভিমুখে রওয়ানা হয়েছিলেন ৷ রাসুল করীম (সা) ঘেরাও করে (৩ তাদের জীবন)

ৎকীর্ণ করে তুললে রাসুল করীম (সা) এর নির্দেশাঅনুযায়ী লারা দুর্গ থেকে বেরিয়ে আসতে
সম্মত হয় ৷ অাল্লাহ্র নির্দেশ অনুযায়ী রাসুল করীম (সা) তাদের ব্যাপারে যে নির্দেশা দা ন করবেন ৷
তারা বতা মেনে নিতে রাষী হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের ব্যাপারে ফায়সালা করার দায়িতৃ আওস
গোত্রপতি ৩হযরত সা দের উপর ন্যস্ত করেন ৷ কা রণ, জাহিলী ব্যু; গ আওস গোাত্র ছিল বনুকুরা য়যার
মিত্র পক্ষ ৷ এতে বনু কুরায়যাও সম্মত হয় ৷ আবার কারো রারাে মতে হযরত সা দকে সালিশ
নিযুক্ত করার জন্যে৩ তারইি প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ কারণ, তা বাতারা ?াক্ষ থেকে দয়াও অনৃগ্রহের আশা
পোষণ করতো ৷ কারণ, তার ঈমানের দৃঢ়তা ও সতাবাদীতার আলোকে তারা এমনটি মনে
করতো না যে, তিনি তাদেরকে শুকর আর বানরের চেয়ে নিকৃষ্ট মনে করবেন ৷

সাদ (রা) মসজিদে নববীতে একটা ৩ন্বু৫৩ অ ব স্থু৷ ন কন্হৃছিখেন ৷ রাসুপুল্লাহু (সা) তার নিকট
পয়গায প্রেরণ করলে অসুস্থতা র কারণে তাকে গাধায় সওয়ার করে আনা হয় ৷ আর গাধার পৃষ্ঠের
পালান ছিল নরম গদি বিশিষ্ট ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর তাবুর নিকটবর্তী হলে৩ তিনি উপস্থিত
লোকজনকে তার উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান হওয়ার নির্দেশ দেন ৷ কারো কারো মতে , তার এই
দণ্ডায়মান হওয়া ছিল অসুস্থতার কারণে; আবার কারো কারো মতে এটা ছিল বিবাদীদের দৃষ্টিতে
তার মযাদা প্রকাশের উদ্দেশ্যে ৷ যাতে তার নির্দেশ তাদের কাছে অধিকতর কার্যকর হয় ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

সাদ ইবন মুআয (বা) যখন বনুনযীরের ব্যাপারে হত্যা এবং বন্দী করার হুকুম জারী করেন
এবং আল্লাহ তাআলা তার চক্ষু শীতল এবং অন্তর প্রশান্ত করেন এবং তিনি মসজিদে নববীতে
তার থীমায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সান্নিধ্যে তিনি ফিরে আসেন, তখন তিনি শাহাদত কামনা করে
আল্লাহর নিকট দৃআ করেন ৷ আল্লাহ্ তার মনোবাঞ্চা পুর্ণ করেন ৷ এরপর তার ক্ষতস্থান থেকে
পুনরায় রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে ৷ শেষ পর্যন্ত এর ফলেই তার ইনতিকাল হয় ৷ মহান আল্লাহ তার
প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন ৷

ঐতিহাসিক ইবন ইসহাক বলেন : বনুকুরায়যার বিষয়টি নিষ্পন্ন হলে সাদ ইবন ঘৃআয এর
আঘাত থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং এর ফলে তিনি শাহাদতের মৃত্যু বরণ করেন ৷

ইবন ইসহাক মুআয ইবন রিফাআ আয্-যারকীর সুত্রে নির্ভরযোগ্য রাবীর উদ্ধৃতি দিয়ে
বলেন যে, রাত্রিকালে হযরত সাদ ইনতিকাল করলে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম মাথায় রেশমী
পাগড়ি আগমন করে বলেন ? হে মুহাম্মাদ ! এ মৃত ব্যক্তি কে ? যার জন্য অড়াসমানের দরজা
উন্মুক্ত হয়েছে এবং আরশ প্রকম্পিত হয়েছে ? তিনি বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) চাদর
টানতে হযরত সাদের দিকে দ্রুত গমন করে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান ৷ আল্লাহ
তারঙুপ্ৰতি৩ ৩ষ্ট থাকুন ৷ আর হাফিয বায়হাকী (র) তার দাল লাইল গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, হাফিয
আবুআবদুল্লাহ্ জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেন? জিবরাঈল আল ইহিস সালাম
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট আগমন করে বলেন : মৃত্যুবরণকারী এ নেক্কার ব্যক্তিঢি কে ? যার
জন্য আসমানের দ্বার উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং যার জন্য আরশ প্রকম্পিত হয়েছে ? তিনি বলেন,
৩১








تَحْتَهُ إِكَافٌ قَدْ وُطِّئَ تَحْتَهُ لِمَرَضِهِ، وَلَمَّا قَارَبَ خَيْمَةَ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَنْ هُنَاكَ بِالْقِيَامِ لَهُ، قِيلَ: لِيَنْزِلَ مِنْ شِدَّةِ مَرَضِهِ. وَقِيلَ: تَوْقِيرًا لَهُ بِحَضْرَةِ الْمَحْكُومِ عَلَيْهِمْ؛ لِيَكُونَ أَبْلَغَ فِي نُفُوذِ حُكْمِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَلَمَّا حَكَمَ فِيهِمْ بِالْقَتْلِ وَالسَّبْيِ وَأَقَرَّ اللَّهُ عَيْنَهُ وَشَفَى صَدْرَهُ مِنْهُمْ وَعَادَ إِلَى خَيْمَتِهِ مِنَ الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ صُحْبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دَعَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَكُونَ لَهُ شَهَادَةٌ، وَاخْتَارَ اللَّهُ لَهُ مَا عِنْدَهُ، فَانْفَجَرَ جُرْحُهُ مِنَ اللَّيْلِ، فَلَمْ يَزَلْ يَخْرُجُ مِنْهُ الدَّمُ حَتَّى مَاتَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، فَلَمَّا انْقَضَى شَأْنُ بَنِي قُرَيْظَةَ انْفَجَرَ بِسَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ جُرْحُهُ، فَمَاتَ مِنْهُ شَهِيدًا، حَدَّثَنِي مُعَاذُ بْنُ رِفَاعَةَ الزُّرَقِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ شِئْتُ مِنْ رِجَالِ قَوْمِي أَنَّ جِبْرِيلَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قُبِضَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ، مُعْتَجِرًا بِعِمَامَةٍ مِنْ إِسْتَبْرَقٍ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، مَنْ هَذَا الْمَيِّتُ الَّذِي فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَاهْتَزَّ لَهُ الْعَرْشُ؟ قَالَ: فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيعًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ إِلَى سَعْدٍ فَوَجَدَهُ قَدْ مَاتَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، حَدَّثَنَا أَبِي، وَشُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ قَالَا: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৯৬১
الْهَادِ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَنْ هَذَا الْعَبْدُ الصَّالِحُ الَّذِي مَاتَ فَفُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَتَحَرَّكَ لَهُ الْعَرْشُ؟ قَالَ: فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ قَالَ: فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَبْرِهِ وَهُوَ يُدْفَنُ، فَبَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ إِذْ قَالَ: " سُبْحَانَ اللَّهِ " مَرَّتَيْنِ. فَسَبَّحَ الْقَوْمُ. ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ " فَكَبَّرَ الْقَوْمُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَجِبْتُ لِهَذَا الْعَبْدِ الصَّالِحِ، شُدِّدَ عَلَيْهِ فِي قَبْرِهِ حَتَّى كَانَ هَذَا حِينَ فُرِّجَ لَهُ» . وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ والنَّسَائِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِسَعْدٍ يَوْمَ مَاتَ وَهُوَ يُدْفَنُ: " سُبْحَانَ اللَّهِ لِهَذَا الْعَبْدِ الصَّالِحِ الَّذِي تَحَرَّكَ لَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ، وَفُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ، شُدِّدَ عَلَيْهِ، ثُمَّ فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُعَاذُ بْنُ رِفَاعَةَ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «لَمَّا دُفِنَ سَعْدٌ وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَبَّحَ النَّاسُ مَعَهُ، ثُمَّ كَبَّرَ فَكَبَّرَ النَّاسُ مَعَهُ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مِمَّ سَبَّحْتَ؟ قَالَ: " لَقَدْ تَضَايَقَ عَلَى هَذَا الْعَبْدِ الصَّالِحِ قَبْرُهُ حَتَّى فَرَّجَهُ اللَّهُ عَنْهُ» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ،
পৃষ্ঠা - ২৯৬২


তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হয়ে হযরত সাদ (রা)-এর লাশ দেখতে পান ৷ বাবী বলেন, তার
দাফনের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কবরের পাশে বলেন ৷ সেখানে বলে তিনি দুবার সুবহানাল্লাহ্
বললে (উপস্থিত) লোকজনও সুবহানাল্লাহ বললেন ৷ এরপর বাসুলুল্লাহ (সা) আল্লাহ আকবার,

আল্লাহ আকবার বললে উপস্থিত লোকজনও আল্লাহ আকবার’ বলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন :

মোঃ

এ নেক্ক৷ র ব্যক্তিটির জন্য আ মি সত্যিই বিস্মিত ৷ কবরে৩ার প্রতিণ্; ক দ্ৰাকডি আরোপ করা
হয় ৷ শেষ পর্যন্ত তার কবর প্রশস্ত করা হলে আ তাকবীর ধ্বনি দ্দেই ৷

ইমাম আহমাদ এবং ইমাম নাসাঈ (র) ইয়াযীদ ইবন আবদুল্লাহ প্রমুখ সুত্রে জাবির (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, সাদ (রা)-এর মৃত্যুর দিন তার দাফনকালে রম্পুলুল্লাহ (সা) বলেন :

এ নেক্ক৷ র লোক্টির জন্য অবাক হতে হয়; যার জন্য দয়াময় আল্লাহ্ তাআলার আরশ
প্ৰকম্পিত হয় এবং আসমানেব দ্ব৷ রসমুহ উন্মুক্ত হয় ৷৩ তার জন্যে কবর সংকীর্ণ করার পর আল্লাহ
তাকে প্রশস্ত করেছেন ৷ ইমাম মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক মু আয ইবন রিফাআ জ৷ ৷বির ইবন
আবদুল্লাহ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷

সাদ (রা)-কে যখন দাফন করা হয়, তখন আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সঙ্গে ছিলাম ৷ তখন
তিনি সুবহান ৷ল্লাহ বললে লোকেরাও তার সঙ্গে সুবহ ৷৷নাল্ল হ্ বলেন ৷ অতঃপর তিনি আল্লা হু আকবার
বললে লোকেরাও তার সাথে আল্লাহ আকবার বলেন ৷ তখন উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, ইয়া
রাসুল৷ ল্লাহ! আপনি কী কারণে সুবহানাল্লাহ বললেন ? জবাবে তিনি বললেন, এ নেক্ক৷ র লোকটির
জন্য কবর সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল ৷ শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তার জন্য কবরকে প্রশস্ত করে দেন ৷ ইমাম
আহমদ (র) হযরত সাদের পুত্র ইব্রাহীম সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ইবন হিশাম বলেন, এ
হাদীছের বক্তব্য হযরত অইিশা (রা) থেকে বর্ণিত হাদীছের অনুরুপ ৷ যাতে তিনি বলেন :


রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনং অর্থাৎ কবর একবার চাপ দিবে, যদি কোন ব্যক্তি এ থেকে নিকৃতি
পেতে৷ তা হলে সা দ ইবন মুআয তা অবশ ৷ই পাে৩ ন ৷ ইমাম আহমদ (র) ইয়াহয়া সুত্রে — —
— হযরত আইশ৷ (রা) থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ হযরত আ ৷ইশ ৷৷ (রা) বলেন৪ রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন :

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেনুং : কবরের ছুাপ আছে; তা থেকে কেউ রক্ষা পেলে সা’ দ ইবন মুআয
রক্ষা পেতেন ৷ এ হাদীছটি গ্রন্থদ্বয় বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধ ৷ তবে ইমাম
আহমদ (র) হাদীছটি গুন্দার আইশা (রা) সুত্রেও বর্ণনা করেছেন ৷ হাফিয বায্যার নাফি

সুত্রে ইবন উমর (রা)-এর বরাতেও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ হাফিয বাবযার আবদুল আল৷ সুত্রে
ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :


عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِهِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَمَجَازُ هَذَا الْحَدِيثِ قَوْلُ عَائِشَةَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِلْقَبْرِ ضَمَّةً، لَوْ كَانَ أَحَدٌ مِنْهَا نَاجِيًا لَكَانَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ» . قُلْتُ: وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ لِلْقَبْرِ ضَغْطَةً وَلَوْ كَانَ أَحَدٌ نَاجِيًا مِنْهَا لَنَجَا سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ» وَهَذَا الْحَدِيثُ سَنَدُهُ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ " إِلَّا أَنَّ الْإِمَامَ أَحْمَدَ رَوَاهُ عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ إِنْسَانٍ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَزَّارُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى
পৃষ্ঠা - ২৯৬৩
بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ هَبَطَ يَوْمَ مَاتَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ إِلَى الْأَرْضِ لَمْ يَهْبِطُوا قَبْلَ ذَلِكَ وَلَقَدْ ضَمَّهُ الْقَبْرُ ضَمَّةً» قَالَ: ثُمَّ بَكَى نَافِعٌ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ لَكِنْ قَالَ الْبَزَّارُ: رَوَاهُ غَيْرُهُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ مُرْسَلًا. ثُمَّ رَوَاهُ الْبَزَّارُ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سَيْفٍ، عَنْ أَبِي عَتَّابٍ، عَنْ مِسْكِينِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ نَزَلَ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ مَا وَطِئُوا الْأَرْضَ قَبْلَهَا» وَقَالَ حِينَ دُفِنَ: «سُبْحَانَ اللَّهِ لَوِ انْفَلَتَ أَحَدٌ مِنْ ضَغْطَةِ الْقَبْرِ لَانْفَلَتَ مِنْهَا سَعْدٌ» . قَالَ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: اهْتَزَّ الْعَرْشُ لِحُبِّ لِقَاءِ اللَّهِ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ. قَالَ: فَقَالَ: إِنَّمَا يَعْنِي السَّرِيرَ.
পৃষ্ঠা - ২৯৬৪

সাদ ইবন মুআয যে দিন ইনতিকা ৷ল করেন সেদিন সত্তর হাজার ফেরেশতা পৃথিবীতের
অবতরণ করেছিলেন যারা ইতিপুর্বে কে ৷নদিন যমীনে অবতরণ করেননি ৷ কবর তাকে এক দফা
চাপ দেয় ৷ এ হাদীছটি বর্ণনা করে রাবী নাফি কাদতে শুরু করেন ৷ এটি একটি উত্তম সনদ ,
তবে বায্যার বলেন যে, উবায়দুল্পাহ্র মাধ্যমে নাফি সুত্রে অন্যরাও মুরসালরুপে হাদীছটি বর্ণনা
করেন ৷ তারপর বাঘৃযার সুলায়মান ইবন সাইফ ইবন উমর সুত্রে বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন :

সাদ ইবন মুআয-এর মৃভ্যুতের ৭০ হাজার ফেরেশতা অবতরণ করেন; যারা ইতিপুর্বে
পৃথিবীতে কােনদিন পদার্পণ করেননি ৷ দাফনকালে তিনি বলেন, সুবহানাল্লাহ্! কবরের আমার আর
চাপ থেকে কেউ মুক্তি গেলে তা পেতেন সাদ ইবন ঘুআয ৷ হাফিয বাঘৃযার ইসমাঈল ইবন
হাফ্স ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, সাদের সঙ্গে আল্লাহর সাক্ষাতের আগ্রহে
(আল্লাহর) আরশ স্পন্দিত হয় ৷ বলা হয় যে, এখানে আরমা অর্থ আসন ৷ কুরআন মজীদে (হযরত
ইউসুফ আ সম্পর্কে) বলা হয়েছে যে, প্রু)৷ ৷ শু,া; ণ্ , ন্ ৷ ,:;“ (তিনি তার পিতামাতাকে
আরশে তোলেন ( ১ ২-ইউসুফ : আয়াত ১০০) এখানেও আরশ অর্থ আসন, রাবী বলেন যে, এতে
আসনের স্তম্ভগুলো আলগা হয়ে যায় ৷ রাবী ইবন উমর (রা) বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাদের
করবে প্রবেশ করে কিছু সময় সেখানে কাটান ৷ তিনি কবর থেকে বেরিয়ে আসলে তাকে জিজ্ঞেস
করা হলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! বিলন্বের হেতু কি ? জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :

কবরে সাদকে প্রচণ্ড চাপ দেয়া হয় ৷ আমি আল্লাহর নিকট দুঅ৷ করলে তার কবর প্রশস্ত করা
হয় ৷ হাফিয বাঘৃযার বলেন, এ হাদীছের সনদে আতা ইবনৃস সাইব একক রাবী ৷ আমি বলি, তার
সম্পর্কে অনেক সমালোচনা রয়েছে ৷ ইমাম বায়হাকী (র) কবরে হযরত সাদের উপর চাপের
বর্ণনা উল্লেখ করার পর এটিকে গরীব তথা অপ্রসিদ্ধ বর্ণনা বলে মন্তব্য করেছেন ৷ এতে ততিনি
হাফিয আবু আবদৃল্লাহ্র বরাতে ৩আবুল আব্বাস উমাইয়া ইবন আবদুল্লাহ হযরত সা দের
পরিবারের কোন সদস্যকে জিজ্ঞেস করেন এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ ( না) এর কোন উক্তি
আপনাদের নিকট পৌছেছে কি ? তারা বলেন, আমাদেরকে বলা হয়েছে যে, এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি বলেন৪ এটুঠু ৷ ;-,; এএোষ্৷ ৷ ;; ;; ১ ,:;;; ,াবু

তিনি প্রস্তাব শেষে পবিত্রত৷ অর্জনের ব্যাপারে কিছুটা শিথিলতা করতেন ৷ ইমাম বুখারী (র)
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্ন৷ জাবির সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমি নবী করীম (না)-কে বলতে
শুনেছি৪

০০০০০০

স৷ দ ইবন মু আয়ের মৃত্যুতে আরশ প্রকম্পিত হয়েছে ৷ আ মাশ সুত্রে জা ৷বির (রা) থেকে
অনুরুপ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে ৷ তখন জনৈক ব্যক্তি জাবির (রা) কে প্রশ্ন করে তবে যে বারা
ইবন আযিব বলেছেন : ন্ ,৷ ৷ ১গ্রা ৷ আসন প্রকম্পিত হয়েছে ৷ জবাবে জাবির (রা) বললেন,
এ দুই সম্প্রদায় (অর্থাৎ আওস এবং খায্রাজ)-এর মধ্যে রেষারেষি ছিল ৷ আমি নবী করীম
(না)-কে বলতে শুনেছি, সাদ ইবন মুআয এর মৃত্যুতে দয়াময় (আল্লাহ্)-এর আরশ কেপে
উঠেছে ৷ ইমাম মুসলিম এবং ইবন মাজা ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷


{وَرَفَعَ أَبَوَيْهِ عَلَى الْعَرْشِ} [يوسف: 100] (يُوسُفَ: 1) قَالَ: تَفَسَّخَتْ أَعْوَادُهُ. قَالَ: «وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْرَهُ فَاحْتُبِسَ، فَلَمَّا خَرَجَ قِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا حَبَسَكَ؟ قَالَ: " ضُمَّ سَعْدٌ فِي الْقَبْرِ ضَمَّةً، فَدَعَوْتُ اللَّهَ فَكَشَفَ عَنْهُ» قَالَ الْبَزَّارُ: تَفَرَّدَ بِهِ عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ. قُلْتُ: وَهُوَ مُتَكَلَّمٌ فِيهِ. وَقَدْ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ بَعْدَ رِوَايَتِهِ ضَمَّةَ سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي الْقَبْرِ، أَثَرًا غَرِيبًا فَقَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ سَأَلَ بَعْضَ أَهْلِ سَعْدٍ: مَا بَلَغَكُمْ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا؟ فَقَالُوا: «ذُكِرَ لَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: " كَانَ يُقَصِّرُ فِي بَعْضِ الطُّهُورِ مِنَ الْبَوْلِ» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُسَاوِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «سَمِعْتُ النَّبِيَّ
পৃষ্ঠা - ২৯৬৫
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " اهْتَزَّ الْعَرْشُ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ» وَعَنِ الْأَعْمَشِ، حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ، فَقَالَ رَجُلٌ لِجَابِرٍ: فَإِنَّ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ يَقُولُ: اهْتَزَّ السَّرِيرُ. فَقَالَ: إِنَّهُ كَانَ بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَيَّيْنِ ضَغَائِنُ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اهْتَزَّ عَرْشُ الرَّحْمَنِ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ عَمْرٍو النَّاقِدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ، وَابْنُ مَاجَهْ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، كِلَاهُمَا عَنِ الْأَعْمَشِ، بِهِ. وَلَيْسَ عِنْدَهُمَا زِيَادَةُ قَوْلِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ جَابِرٍ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَجِنَازَةُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ: «اهْتَزَّ لَهَا عَرْشُ الرَّحْمَنِ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ وَالتِّرْمِذِيُّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ غَيْلَانَ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، بِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৯৬৬

ইমাম আহমদ (র) আবদুর রাঘৃযাক সুত্রে ইবন দ্ভ;রোয়জ থেকে বর্ণনা করেন যে , জাবির ইবন
আবদুল্লাহ্কে বলেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, এ সময় সাদ ইবন মুআষের
লাশ তাদের সম্মুখে ছিল ৷ সাদ ইবন মুআযের লাশের জন্য দয়াময় আল্লাহর আরশ প্রকম্পিত
হয়েছে ৷ ইমাম মুসলিম (র) আবৃদ ইবন হুমায়দ সুত্রে এবং ইমাম তিরমিযী (র) মাহমুদ ইবন
পায়লান সুত্রে আর উভয়ে আবদুর রায্যাক সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম আহমদ (র)
ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ সুত্রে আবু নায্রার বরাতে বর্ণনা করেন যে , আমি আবু সাঈদকে নবী করীম

উঠে ৷ ইমাম নাসাঈ (র) ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম সুত্রে ইয়াহ্য়ার বরাতে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
ইমাম আহমদ (র) আবদুল ওয়াহহড়াব সুত্রে আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে এ মর্মে
হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম (র) ও ভিন্ন সুত্রে আবদুল ওয়াহ্হাবের বরাতে হাদীছটি
বর্ণনা করেন ৷ বায়হাকী (রা মুতামির ইবন সুলড়ায়মান হাসান বসঘী (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে ,
সাদ ইবন মুআয এর রুহের আগমনের আনন্দে দয়াময় আল্লাহর ত্ম্যরশ কেপে উঠে ৷ হাফিয
রাঘৃযার (র) যুহায়র ইবন মুহাম্মাদ আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে , হযরত সাদের
লাশ বহন করে আনা হলে বনু কুরায়যার তীর ফয়সালার জন্যে অসন্তুষ্ট মুনাফিকরা বলে উঠে,
কতইনা হালকা তার লাশ, এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ণ্ক জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, না,
বরং ফেরেশতড়াগণ তার লাশ বহন করছেন ৷ হড়াদীছটির সনদ উত্তম ৷

বুখাবী (র) মুহাম্মাদ ইবন রায্যার আবু ইসহড়াক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমি বারা
ইবন আযিবকে বলতে শুনেছি :

টু,ঠু এদু ঠু’৷ গ্লুট্রুই
বারা ইবন আযিব বলেন, নবী করীম (না)-এর দরবারে একটা রেশমী এক জোড়া কাপড়
উপহার স্বরুপ এলে লোকজন তা স্পর্শ করে এবং তার মসৃণতা দেখে বিম্ময় প্রকাশ করে ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এটা কোমল দেখে তোমরা বিস্মিত বোধ করছ ? সাদ ইবন মুআযের
রুমাল এর চেয়েও উত্তম এবং কোমল ৷ অতঃপর তিনি বলেন, কাতাদা এবং যুহবী হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷ আমরা আনাস (রা) কে নবী করীম (সা) থেকে হাদীছটি বর্ণনা করতে শুনেছি ৷ ইমাম
আহমদ (র) আবদুল ওয়াহ্হাব আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, দুমার
উকায়দির নবী করীম (না)-এর দরবারে একটা জুব্বা হাদিয়া স্বরুপ প্রেরণ করেন, আর এটা ছিল
রেশম ব্যবহার হারাম হওয়ার পুর্বের ঘটনা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জুব্বাটি পরিধান করলে লোকেরা
বিস্মিত হয় ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : সে সভার শপথ, র্যার হাতে আমার জীবন, জান্নাতে
সাদের রুমাল এর চাইতে সুন্দর ৷

হাদীছটির সনদ বুখড়ারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী হলেও মুহাদ্দিসগণ হাদীছটি বর্ণনা করেননি ৷
তবে ইমাম বুখারী সাদৰিহীনভাবে হাদীছটি উল্লেখ করেছেন, ইমাম আহমদ (র) ইয়াযীদ


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، حَدَّثَنَا أَبُو نَضْرَةَ، سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اهْتَزَّ الْعَرْشُ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يَحْيَى، بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ سَعِيدٍ، قَالَ قَتَادَةُ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ - وَجِنَازَتُهُ مَوْضُوعَةٌ -: «اهْتَزَّ لَهَا عَرْشُ الرَّحْمَنِ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرُّزِّيِّ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ، بِهِ وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ قَالَ: اهْتَزَّ عَرْشُ الرَّحْمَنِ فَرَحًا بِرُوحِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ২৯৬৭
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «لَمَّا حُمِلَتْ جِنَازَةُ سَعْدٍ قَالَ الْمُنَافِقُونَ: مَا أَخَفَّ جِنَازَتَهُ. وَذَلِكَ لِحُكْمِهِ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ، فَسُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: لَا، وَلَكِنَّ الْمَلَائِكَةَ كَانَتْ تَحْمِلُهُ» إِسْنَادٌ جَيِّدٌ. فَائِدَةٌ: قَالَ الشَّيْخُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: حَدِيثُ اهْتِزَازِ الْعَرْشِ ثَابِتٌ مُتَوَاتِرٌ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: رَوَاهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ؛ مِنْهُمْ جَابِرٌ، وَأَبُو سَعِيدٍ، وَأُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ، وَرُمَيْثَةُ بِنْتُ عَمْرٍو. قَالَ: وَهُوَ مَحْمُولٌ عَلَى الْحَقِيقَةِ؛ لِأَنَّ الْعَرْشَ لَا يَمْتَنِعُ عَلَيْهِ الْحَرَكَةُ وَالِاهْتِزَازُ. قَالَ: وَمَا رُوِيَ عَنْ مَالِكٍ مِنْ تَضْعِيفِهِ لِهَذَا الْحَدِيثِ، وَتَوْهِينِهِ لِلتَّحَدُّثِ بِهِ، فَلَعَلَّهُ لَمْ يَصِحَّ عَنْهُ ذَلِكَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ يَقُولُ: «أُهْدِيَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُلَّةُ حَرِيرٍ، فَجَعَلَ أَصْحَابُهُ يَمَسُّونَهَا، وَيَعْجَبُونَ مِنْ لِينِهَا، فَقَالَ: " أَتَعْجَبُونَ مِنْ لِينِ هَذِهِ، لَمَنَادِيلُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ خَيْرٌ مِنْهَا أَوْ أَلْيَنُ» ثُمَّ قَالَ: رَوَاهُ قَتَادَةُ وَالزُّهْرِيُّ، سَمِعْنَا أَنَسًا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ২৯৬৮

সাদ ইবন যুআয এর পৌত্র ওয়াকিদ ইবন আমর আর তিনি ছিলেন অতিশয় সুদশ্নি ও দীর্ঘকায়
ব্যক্তি ৷ বলেন : আমি আনাস ইবন মালিক (রা)-এর নিকট গমন করি ৷ তিনি আমাকে জিজ্ঞেস
করলেন, ভুমি কে ? আমি বললাম, আমি ওয়াকিদ ইবন আমর ইবন সাদ ইবন যুআয ৷ তিনি
বললেন, তুমি তো সাদের সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যশীল, এরপর তিনি দীর্ঘক্ষণ ধরে র্কাদলেন এবং
বললেন, সাদের প্রতি আল্লাহ্র রহমত বর্ধিত হোক ! তিনি ছিলেন বিশালবপু এবং দীর্ঘকায় ব্যক্তি ৷
তারপর তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুমার (শাসক) উকায়দিরএর নিকট একটি বাহিনী প্রেরণ
করেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) সমীপে স্বর্ণ খচিত একটা রেশমী জুব্বা প্রেরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) জুব্বাটি পরে মিম্বরে আরোহণ করে কোন কথা না বলে ব’স পড়েন ৷ এরপর তিনি মিম্বর
থেকে নেমে আসেন ৷ লোকেরা জুব্বাটি স্পর্শ করে এবং দেখতে থাকে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, এতে তোমরা অবাক হচ্ছ ? জান্নড়াতে সাদ ইবন মুআযের রুমাল তোমরা যা দেখছ
তার চেয়ে অনেক সুন্দর ৷ ইমাম তিরমিযী ও ইমাম নসােঈ (র ) মুহাম্মাদ ইবন আমর-এর সুত্রে
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র) হাদীছটিকে হাণ্া৷ন্৷ সহীহ্ বলেছেন ৷

ইবন ইসহাক (র) সাআদ ইবন মুআয এর মৃত্যুতে আরশ আন্দোলিত হওয়ার কথা উল্লেখ
করার পর বলেন যে, এ সম্পর্কে জনৈক আনসারী ব্যক্তি নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন :

কোন মৃত্যু পথযাত্রীর জন্য আল্লাহ্র আরশ কম্পন ধরেনি, যা আমরা শ্রবণ করেছি ৷ একমাত্র
ব্যতিক্রম আবু আমর সাদ ৷
ইবন ইসহাক বলেন, হযরত সাদের লাশ বহনকালে তার মা অর্থাৎ কুবায়শা (মতাম্ভরে

কাবশা) বিনৃত রাফি ইবন যুআবিয়া ইবন উবায়দ ইবন ছালাবা আলমুদরিয়া আল-খাযয়াজিয়া
বলেন ষ্ক
াৰুঠ্ট্রু ণ্৷ ৰুাট্রু ট্রু
াৰুটুএ্ ৷ৰুৰুঢ়ট্রু ;;; টু ৷ট্রুট্রুর্টুট্রু
দুঃখ হয় মাসের জন্য সাদ জননীর
কর্তন আর বীধার কারণে ৷
নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব আর শ্রেষ্ঠত্বের কারণে
পরিপুর্ণ অশ্বারােহণের কারণে ৷
তার কারণে হয় সংযম আর সংবরণ,
সে কর্তন আর চুর্ণ করে মস্তক ৷
ইবন ইসহাক বলেন, (সাদ জননীর মুখে এ গােকগাথা শ্রবণ করে) রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :
ইবন যুআযের জন্য বিলাপকারিণী ছাড়া
সকল বিলাপকারিণীই মিছামিছি প্রশংসা করে বিলাপ করে ৷


وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ سَعِيدٍ، هُوَ ابْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ أُكَيْدِرَ دَوْمَةَ أَهْدَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُبَّةً، وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُنْهَى عَنِ الْحَرِيرِ فَلَبِسَهَا، فَعَجِبَ النَّاسُ مِنْهَا، فَقَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَمَنَادِيلُ سَعْدٍ فِي الْجَنَّةِ أَحْسَنُ مِنْ هَذِهِ» وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَإِنَّمَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ تَعْلِيقًا. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي وَاقِدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ - قَالَ مُحَمَّدٌ وَكَانَ وَاقِدٌ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ وَأَعْظَمِهِمْ وَأَطْوَلِهِمْ - قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فَقَالَ لِي: مَنْ أَنْتَ؟ قُلْتُ: أَنَا وَاقِدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ. فَقَالَ: إِنَّكَ بِسَعْدٍ لَشَبِيهٌ. ثُمَّ بَكَى وَأَكْثَرَ الْبُكَاءَ، وَقَالَ: رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَى سَعْدٍ، كَانَ مِنْ أَعْظَمِ النَّاسِ وَأَطْوَلِهِمْ. ثُمَّ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَيْشًا إِلَى أُكَيْدِرِ دَوْمَةَ، فَأَرْسَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجُبَّةٍ مِنْ دِيبَاجٍ، مَنْسُوجٍ فِيهَا الذَّهَبُ، فَلَبِسَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ أَوْ جَلَسَ فَلَمْ يَتَكَلَّمْ، ثُمَّ نَزَلَ فَجَعَلَ النَّاسُ يَلْمَسُونَ الْجُبَّةَ، وَيَنْظُرُونَ إِلَيْهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَتَعْجَبُونَ مِنْهَا، لَمَنَادِيلُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فِي الْجَنَّةِ أَحْسَنُ مِمَّا تَرَوْنَ» وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ والنَّسَائِيُّ مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৯৬৯
حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ،: بَعْدَ ذِكْرِ اهْتِزَازِ الْعَرْشِ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: وَمَا اهْتَزَّ عَرْشُ اللَّهِ مِنْ مَوْتِ هَالِكٍ ... سَمِعْنَا بِهِ إِلَّا لِسَعْدٍ أَبِي عَمْرٍو قَالَ: وَقَالَتْ أُمُّهُ - يَعْنِي كُبَيْشَةَ بِنْتَ رَافِعِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ الْخُدْرِيَّةَ الْخَزْرَجِيَّةَ - حِينَ احْتُمِلَ سَعْدٌ عَلَى نَعْشِهِ تَنْدُبُهُ: وَيْلُ امِّ سَعْدٍ سَعْدَا ... صَرَامَةً وَحَدَّا وَسُؤْدُدًا وَمَجْدَا ... وَفَارِسًا مُعَدَّا سُدَّ بِهِ مَسَدَّا ... يَقُدُّ هَامًا قَدَّا قَالَ: يَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ نَائِحَةٍ تَكْذِبُ إِلَّا نَائِحَةَ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ» . قُلْتُ: كَانَتْ وَفَاتُهُ بَعْدَ انْصِرَافِ الْأَحْزَابِ بِنَحْوٍ مِنْ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، وَكَانَ قُدُومُ الْأَحْزَابِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ كَمَا تَقَدَّمَ، فَأَقَامُوا قَرِيبًا مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৯৭০

আমি বলি , আহযাব যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের প্রায় ২৫ দিন পর হযরত সাদ (রা)-এর মৃত্যু
হয় ৷ কারণ, সম্মিলিত কাফির বাহিনীর আগমন ঘটে হিজরী পঞ্চম সালে, তা পুর্বেই উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ তারা প্রায় একমাস অবস্থান করেন ৷ অতঃপর রাসুলুল্লাহ বনু কুরায়যার অবরোধের
উদ্দেশ্যে বের হন এবং ২৫ দিন তা অব্যাহত রাখেন ৷ হযরত সাদের ফায়সালা সাপেক্ষে তারা
দুর্গ থেকে বেরিয়ে আসে ৷ এর স্বল্পকাল পর তিনি ইনতিকাল করেন ৷ তা তার মৃত্যুর ঘটনা
হিজরী ৫ম সালে যিলকদ মাসের শেষ দিকে বা যিলহজ্জ মাসের প্রথম দিকে ঘটে থাকবে ৷
আল্লাহ্ই ভাল জ নেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক এরুপই বলেছেন ৷ত তার মতে বনুকুরায়যার উপর
বিজয় লাভের ঘটনা ঘটে যিলকদের শে ষ এবং যিলহজ্জ মাসের শুরুন্থ৩ ৷ ৷তি ন আরো বলেন যে;
এ বছর মুশরিকরাই হহ্জ্জর তত্মবধানে ছিল ৷ ইবন ইসহাক বলেন , হযরত সাদের ইনতিকালে
হাসৃসান ইবন ছাবিত নিম্নোক্ত গােকগাথ৷ রচনা করেন :


)াব্লু ;,া১

মর্মার্থং আমার চক্ষু অশ্রুসিক্ত হয়েছে, আর সা দের জন্য অশ্রু বর্যণ করা তার জন্য সমীচীন
হয়েছে ৷

যুদ্ধের ময়দানে তিনি নিহত হয়েছেন তার জন্য চোখসমুহ অশ্রুসিক্ত সদা অশ্রুপাত করছে ৷

তিনি জীবন৷ দা ন করেছেন দয়াময়ের দীনের জন্যে ৷ তিনি শহীদদের সঙ্গে জান্নাতের ওয়ারিছ
হয়েছেন ৷ আর জান্না৩ ৷তী দলের প্রতিনিধিই ওে ৷ সবচেয়ে সম্মানিত প্রতিনিধি ৷

যদিও তুমি আমাদেরকে ছেড়ে গিয়েছ, ত্যাগ করেছ এবং আশ্রয় নিয়েছ অন্ধকার কবর
কুঠরীতে ৷

হে সা দ ! ভুমিতে ৩াআশ্রয় নিয়েছ উত্তম৷ ৷৷হতাদ হয়েছে ৷ উত্তম তুমি সত্যিই প্ৰশং সাহ ৷

বনু কুরায়যা গোত্র সম্পর্কে তোমার ফায়সালা অনুযায়ী ৷ আর তোমার নির্দেশ ছিল আল্লাহর
নির্দেশ অনুসারে ৷ আস্থার সঙ্গে তুমি ফায়সালা দান করেছ ৷

তাদের ব্যাপারে তোমার ফায়স৷ লা ছিল আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ৷ তোমাকে অঙ্গীকারের কথা
স্মরণ করালে তুমি তাদের ক্ষমা করনি ৷ কালের প্রবাহ তোমাকে তাদের মাঝে নিয়ে গেছে বটে;


شَهْرٍ، ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحِصَارِ بَنِي قُرَيْظَةَ فَأَقَامَ عَلَيْهِمْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، ثُمَّ نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدٍ، فَمَاتَ بَعْدَ حُكْمِهِ عَلَيْهِمْ بِقَلِيلٍ، فَيَكُونُ ذَلِكَ فِي أَوَاخِرِ ذِي الْقَعْدَةِ أَوْ أَوَائِلِ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ سَنَةِ خَمْسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَهَكَذَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: إِنَّ فَتْحَ بَنِي قُرَيْظَةَ كَانَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَصَدْرِ ذِي الْحِجَّةِ. قَالَ: وَوَلِيَ تِلْكَ الْحِجَّةَ الْمُشْرِكُونَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يَرْثِي سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: لَقَدْ سَجَمَتْ مِنْ دَمْعِ عَيْنِيَ عَبْرَةٌ ... وَحُقَّ لِعَيْنِي أَنْ تَفِيضَ عَلَى سَعْدٍ قَتِيلٌ ثَوَى فِي مَعْرَكٍ فُجِعَتْ بِهِ ... عُيُونٌ ذَوَارِي الدَّمْعِ دَائِمَةُ الْوَجْدِ عَلَى مِلَّةِ الرَّحْمَنِ وَارِثِ جَنَّةٍ ... مَعَ الشُّهَدَاءِ وَفْدُهَا أَكْرَمُ الْوَفْدِ فَإِنْ تَكُ قَدْ وَدَّعْتَنَا وَتَرَكْتَنَا ... وَأَمْسَيْتَ فِي غَبْرَاءَ مُظْلِمَةِ اللَّحْدِ
পৃষ্ঠা - ২৯৭১
فَأَنْتَ الَّذِي يَا سَعْدُ أُبْتَ بِمَشْهَدٍ ... كَرِيمٍ وَأَثْوَابِ الْمَكَارِمِ وَالْحَمْدِ بِحُكْمِكَ فِي حَيَّيْ قُرَيْظَةَ بِالَّذِي ... قَضَى اللَّهُ فِيهِمْ مَا قَضَيْتَ عَلَى عَمْدِ فَوَافَقَ حُكْمَ اللَّهِ حُكْمُكَ فِيهِمُ ... وَلَمْ تَعْفُ إِذْ ذُكِّرْتَ مَا كَانَ مِنْ عَهْدِ فَإِنْ كَانَ رَيْبُ الدَّهْرِ أَمْضَاكَ فِي الْأُلَى ... شَرَوْا هَذِهِ الدُّنْيَا بِجَنَّاتِهَا الْخُلْدِ فَنِعْمَ مَصِيرُ الصَّادِقِينَ إِذَا دُعُوا ... إِلَى اللَّهِ يَوْمًا لِلْوَجَاهَةِ وَالْقَصْدِ