سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

পৃষ্ঠা - ২৯৬৮

সাদ ইবন যুআয এর পৌত্র ওয়াকিদ ইবন আমর আর তিনি ছিলেন অতিশয় সুদশ্নি ও দীর্ঘকায়
ব্যক্তি ৷ বলেন : আমি আনাস ইবন মালিক (রা)-এর নিকট গমন করি ৷ তিনি আমাকে জিজ্ঞেস
করলেন, ভুমি কে ? আমি বললাম, আমি ওয়াকিদ ইবন আমর ইবন সাদ ইবন যুআয ৷ তিনি
বললেন, তুমি তো সাদের সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যশীল, এরপর তিনি দীর্ঘক্ষণ ধরে র্কাদলেন এবং
বললেন, সাদের প্রতি আল্লাহ্র রহমত বর্ধিত হোক ! তিনি ছিলেন বিশালবপু এবং দীর্ঘকায় ব্যক্তি ৷
তারপর তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুমার (শাসক) উকায়দিরএর নিকট একটি বাহিনী প্রেরণ
করেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) সমীপে স্বর্ণ খচিত একটা রেশমী জুব্বা প্রেরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) জুব্বাটি পরে মিম্বরে আরোহণ করে কোন কথা না বলে ব’স পড়েন ৷ এরপর তিনি মিম্বর
থেকে নেমে আসেন ৷ লোকেরা জুব্বাটি স্পর্শ করে এবং দেখতে থাকে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, এতে তোমরা অবাক হচ্ছ ? জান্নড়াতে সাদ ইবন মুআযের রুমাল তোমরা যা দেখছ
তার চেয়ে অনেক সুন্দর ৷ ইমাম তিরমিযী ও ইমাম নসােঈ (র ) মুহাম্মাদ ইবন আমর-এর সুত্রে
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র) হাদীছটিকে হাণ্া৷ন্৷ সহীহ্ বলেছেন ৷

ইবন ইসহাক (র) সাআদ ইবন মুআয এর মৃত্যুতে আরশ আন্দোলিত হওয়ার কথা উল্লেখ
করার পর বলেন যে, এ সম্পর্কে জনৈক আনসারী ব্যক্তি নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন :

কোন মৃত্যু পথযাত্রীর জন্য আল্লাহ্র আরশ কম্পন ধরেনি, যা আমরা শ্রবণ করেছি ৷ একমাত্র
ব্যতিক্রম আবু আমর সাদ ৷
ইবন ইসহাক বলেন, হযরত সাদের লাশ বহনকালে তার মা অর্থাৎ কুবায়শা (মতাম্ভরে

কাবশা) বিনৃত রাফি ইবন যুআবিয়া ইবন উবায়দ ইবন ছালাবা আলমুদরিয়া আল-খাযয়াজিয়া
বলেন ষ্ক
াৰুঠ্ট্রু ণ্৷ ৰুাট্রু ট্রু
াৰুটুএ্ ৷ৰুৰুঢ়ট্রু ;;; টু ৷ট্রুট্রুর্টুট্রু
দুঃখ হয় মাসের জন্য সাদ জননীর
কর্তন আর বীধার কারণে ৷
নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব আর শ্রেষ্ঠত্বের কারণে
পরিপুর্ণ অশ্বারােহণের কারণে ৷
তার কারণে হয় সংযম আর সংবরণ,
সে কর্তন আর চুর্ণ করে মস্তক ৷
ইবন ইসহাক বলেন, (সাদ জননীর মুখে এ গােকগাথা শ্রবণ করে) রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :
ইবন যুআযের জন্য বিলাপকারিণী ছাড়া
সকল বিলাপকারিণীই মিছামিছি প্রশংসা করে বিলাপ করে ৷


وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ سَعِيدٍ، هُوَ ابْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ أُكَيْدِرَ دَوْمَةَ أَهْدَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُبَّةً، وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُنْهَى عَنِ الْحَرِيرِ فَلَبِسَهَا، فَعَجِبَ النَّاسُ مِنْهَا، فَقَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَمَنَادِيلُ سَعْدٍ فِي الْجَنَّةِ أَحْسَنُ مِنْ هَذِهِ» وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَإِنَّمَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ تَعْلِيقًا. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي وَاقِدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ - قَالَ مُحَمَّدٌ وَكَانَ وَاقِدٌ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ وَأَعْظَمِهِمْ وَأَطْوَلِهِمْ - قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فَقَالَ لِي: مَنْ أَنْتَ؟ قُلْتُ: أَنَا وَاقِدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ. فَقَالَ: إِنَّكَ بِسَعْدٍ لَشَبِيهٌ. ثُمَّ بَكَى وَأَكْثَرَ الْبُكَاءَ، وَقَالَ: رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَى سَعْدٍ، كَانَ مِنْ أَعْظَمِ النَّاسِ وَأَطْوَلِهِمْ. ثُمَّ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَيْشًا إِلَى أُكَيْدِرِ دَوْمَةَ، فَأَرْسَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجُبَّةٍ مِنْ دِيبَاجٍ، مَنْسُوجٍ فِيهَا الذَّهَبُ، فَلَبِسَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ أَوْ جَلَسَ فَلَمْ يَتَكَلَّمْ، ثُمَّ نَزَلَ فَجَعَلَ النَّاسُ يَلْمَسُونَ الْجُبَّةَ، وَيَنْظُرُونَ إِلَيْهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَتَعْجَبُونَ مِنْهَا، لَمَنَادِيلُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فِي الْجَنَّةِ أَحْسَنُ مِمَّا تَرَوْنَ» وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ والنَّسَائِيُّ مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৯৬৯
حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ،: بَعْدَ ذِكْرِ اهْتِزَازِ الْعَرْشِ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: وَمَا اهْتَزَّ عَرْشُ اللَّهِ مِنْ مَوْتِ هَالِكٍ ... سَمِعْنَا بِهِ إِلَّا لِسَعْدٍ أَبِي عَمْرٍو قَالَ: وَقَالَتْ أُمُّهُ - يَعْنِي كُبَيْشَةَ بِنْتَ رَافِعِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ الْخُدْرِيَّةَ الْخَزْرَجِيَّةَ - حِينَ احْتُمِلَ سَعْدٌ عَلَى نَعْشِهِ تَنْدُبُهُ: وَيْلُ امِّ سَعْدٍ سَعْدَا ... صَرَامَةً وَحَدَّا وَسُؤْدُدًا وَمَجْدَا ... وَفَارِسًا مُعَدَّا سُدَّ بِهِ مَسَدَّا ... يَقُدُّ هَامًا قَدَّا قَالَ: يَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ نَائِحَةٍ تَكْذِبُ إِلَّا نَائِحَةَ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ» . قُلْتُ: كَانَتْ وَفَاتُهُ بَعْدَ انْصِرَافِ الْأَحْزَابِ بِنَحْوٍ مِنْ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، وَكَانَ قُدُومُ الْأَحْزَابِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ كَمَا تَقَدَّمَ، فَأَقَامُوا قَرِيبًا مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৯৭০

আমি বলি , আহযাব যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের প্রায় ২৫ দিন পর হযরত সাদ (রা)-এর মৃত্যু
হয় ৷ কারণ, সম্মিলিত কাফির বাহিনীর আগমন ঘটে হিজরী পঞ্চম সালে, তা পুর্বেই উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ তারা প্রায় একমাস অবস্থান করেন ৷ অতঃপর রাসুলুল্লাহ বনু কুরায়যার অবরোধের
উদ্দেশ্যে বের হন এবং ২৫ দিন তা অব্যাহত রাখেন ৷ হযরত সাদের ফায়সালা সাপেক্ষে তারা
দুর্গ থেকে বেরিয়ে আসে ৷ এর স্বল্পকাল পর তিনি ইনতিকাল করেন ৷ তা তার মৃত্যুর ঘটনা
হিজরী ৫ম সালে যিলকদ মাসের শেষ দিকে বা যিলহজ্জ মাসের প্রথম দিকে ঘটে থাকবে ৷
আল্লাহ্ই ভাল জ নেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক এরুপই বলেছেন ৷ত তার মতে বনুকুরায়যার উপর
বিজয় লাভের ঘটনা ঘটে যিলকদের শে ষ এবং যিলহজ্জ মাসের শুরুন্থ৩ ৷ ৷তি ন আরো বলেন যে;
এ বছর মুশরিকরাই হহ্জ্জর তত্মবধানে ছিল ৷ ইবন ইসহাক বলেন , হযরত সাদের ইনতিকালে
হাসৃসান ইবন ছাবিত নিম্নোক্ত গােকগাথ৷ রচনা করেন :


)াব্লু ;,া১

মর্মার্থং আমার চক্ষু অশ্রুসিক্ত হয়েছে, আর সা দের জন্য অশ্রু বর্যণ করা তার জন্য সমীচীন
হয়েছে ৷

যুদ্ধের ময়দানে তিনি নিহত হয়েছেন তার জন্য চোখসমুহ অশ্রুসিক্ত সদা অশ্রুপাত করছে ৷

তিনি জীবন৷ দা ন করেছেন দয়াময়ের দীনের জন্যে ৷ তিনি শহীদদের সঙ্গে জান্নাতের ওয়ারিছ
হয়েছেন ৷ আর জান্না৩ ৷তী দলের প্রতিনিধিই ওে ৷ সবচেয়ে সম্মানিত প্রতিনিধি ৷

যদিও তুমি আমাদেরকে ছেড়ে গিয়েছ, ত্যাগ করেছ এবং আশ্রয় নিয়েছ অন্ধকার কবর
কুঠরীতে ৷

হে সা দ ! ভুমিতে ৩াআশ্রয় নিয়েছ উত্তম৷ ৷৷হতাদ হয়েছে ৷ উত্তম তুমি সত্যিই প্ৰশং সাহ ৷

বনু কুরায়যা গোত্র সম্পর্কে তোমার ফায়সালা অনুযায়ী ৷ আর তোমার নির্দেশ ছিল আল্লাহর
নির্দেশ অনুসারে ৷ আস্থার সঙ্গে তুমি ফায়সালা দান করেছ ৷

তাদের ব্যাপারে তোমার ফায়স৷ লা ছিল আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ৷ তোমাকে অঙ্গীকারের কথা
স্মরণ করালে তুমি তাদের ক্ষমা করনি ৷ কালের প্রবাহ তোমাকে তাদের মাঝে নিয়ে গেছে বটে;


شَهْرٍ، ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحِصَارِ بَنِي قُرَيْظَةَ فَأَقَامَ عَلَيْهِمْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، ثُمَّ نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدٍ، فَمَاتَ بَعْدَ حُكْمِهِ عَلَيْهِمْ بِقَلِيلٍ، فَيَكُونُ ذَلِكَ فِي أَوَاخِرِ ذِي الْقَعْدَةِ أَوْ أَوَائِلِ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ سَنَةِ خَمْسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَهَكَذَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: إِنَّ فَتْحَ بَنِي قُرَيْظَةَ كَانَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَصَدْرِ ذِي الْحِجَّةِ. قَالَ: وَوَلِيَ تِلْكَ الْحِجَّةَ الْمُشْرِكُونَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يَرْثِي سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: لَقَدْ سَجَمَتْ مِنْ دَمْعِ عَيْنِيَ عَبْرَةٌ ... وَحُقَّ لِعَيْنِي أَنْ تَفِيضَ عَلَى سَعْدٍ قَتِيلٌ ثَوَى فِي مَعْرَكٍ فُجِعَتْ بِهِ ... عُيُونٌ ذَوَارِي الدَّمْعِ دَائِمَةُ الْوَجْدِ عَلَى مِلَّةِ الرَّحْمَنِ وَارِثِ جَنَّةٍ ... مَعَ الشُّهَدَاءِ وَفْدُهَا أَكْرَمُ الْوَفْدِ فَإِنْ تَكُ قَدْ وَدَّعْتَنَا وَتَرَكْتَنَا ... وَأَمْسَيْتَ فِي غَبْرَاءَ مُظْلِمَةِ اللَّحْدِ
পৃষ্ঠা - ২৯৭১
فَأَنْتَ الَّذِي يَا سَعْدُ أُبْتَ بِمَشْهَدٍ ... كَرِيمٍ وَأَثْوَابِ الْمَكَارِمِ وَالْحَمْدِ بِحُكْمِكَ فِي حَيَّيْ قُرَيْظَةَ بِالَّذِي ... قَضَى اللَّهُ فِيهِمْ مَا قَضَيْتَ عَلَى عَمْدِ فَوَافَقَ حُكْمَ اللَّهِ حُكْمُكَ فِيهِمُ ... وَلَمْ تَعْفُ إِذْ ذُكِّرْتَ مَا كَانَ مِنْ عَهْدِ فَإِنْ كَانَ رَيْبُ الدَّهْرِ أَمْضَاكَ فِي الْأُلَى ... شَرَوْا هَذِهِ الدُّنْيَا بِجَنَّاتِهَا الْخُلْدِ فَنِعْمَ مَصِيرُ الصَّادِقِينَ إِذَا دُعُوا ... إِلَى اللَّهِ يَوْمًا لِلْوَجَاهَةِ وَالْقَصْدِ
পৃষ্ঠা - ২৯৭২


তারা ক্রয় করে নিয়েছে চিরন্তন জড়া ন্নড়াণ্ডে র পরিবর্তে এই দুনিয় জীবনকে ৷ কতই না চমৎকার
নেক্কারদের প্রত্যাবর্তন স্থল, যখন একদিন তাদেরকে ডাকা হবে আল্লাহ্র দিকে মর্যাদার সাথে ৷

খন্দক ও বনু কুরায়যার যুদ্ধ সংক্রান্ত কবিতাগুচ্ছ
ইমাম বুথারী (র) হাজ্জা জ ইবন মিনহাল বারা ই বন আঙিব সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
তিনি রাসুলে করীমকে হযরত হাসৃসানকে লক্ষ্য করে একথা বলতে শুনেছেন :

তুমি তাদের নিন্দা কর, জিব্রাঈলও এ ব্যাপারে ভোধার সঙ্গে আছেন ৷ বুখারী বলেন,
ইব্রাহীম ইবন৩ নতাহমান বারা ইবন আযিব সুত্রে বর্ণন করেন, বনুকুরায়যার যুদ্ধের দিন
নবী করীম (স ) হাসৃসান ইবন ছাবিতকে বলেন : তুমি মুশরিক :দর নিন্দা কর ৷ কারণ , জিবৃর ঈল
(আ) এ ব্যাপারে তোমার সঙ্গে আছেন ৷ বুখারী, মুসলিম এবহ নাসাঈ বিভিন্ন সুত্রে কোন রকম
বৃদ্ধি করা ছাড়া হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, ইবন ইসহাক (র) বলেন, বনু মুহারিব ইবন ফিহ্র
গোত্রীয় যিরার ইবনুল খাত্তাব ইবন মিরদাস খন্দক যুদ্ধ প্ৰ:ন্ন্সে বলেন, আমার মতে তখনো তিনি
ইসলাম গ্রহণ করেননি ৷ তিনি কবিতার ছন্দে বলেন :

ণ্দ্বুট্র
া১া
এেষ্গ্র
ঢুৰু,)া,;,; ৰুএ্যা১,১ ৷ৰুধু
এেৰু ,শ্রা প্রু গ্রান্

এ্যাএ
এেৰুগ্র১ ব্লু,!ও
দুন্, ; ৷ মোঃ ন্১১গু
১৩



[فِيمَا قِيلَ مِنَ الْأَشْعَارِ فِي الْخَنْدَقِ وَبَنِي قُرَيْظَةَ] فَصْلٌ (فِيمَا قِيلَ مِنَ الْأَشْعَارِ فِي الْخَنْدَقِ وَبَنِي قُرَيْظَةَ) قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، أَنَّهُ سَمِعَ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَسَّانَ: «اهْجُهُمْ - أَوْ هَاجِهِمْ - وَجِبْرِيلُ مَعَكَ» . قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَزَادَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ قُرَيْظَةَ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ: «اهْجُ الْمُشْرِكِينَ، فَإِنَّ جِبْرِيلَ مَعَكَ» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، وَمُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ شُعْبَةَ بِدُونِ الزِّيَادَةِ الَّتِي ذَكَرَهَا الْبُخَارِيُّ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: وَقَالَ ضِرَارُ بْنُ الْخَطَّابِ بْنِ مِرْدَاسٍ، أَخُو بَنِي مُحَارِبِ بْنِ فِهْرٍ فِي يَوْمِ الْخَنْدَقِ - قُلْتُ: وَذَلِكَ قَبْلَ إِسْلَامِهِ -: وَمُشْفِقَةٍ تَظُنُّ بِنَا الظُّنُونَا ... وَقَدْ قُدْنَا عَرَنْدَسَةً طَحُونًا
পৃষ্ঠা - ২৯৭৩
২৪৮ আল-যিদায়া ওয়ান নিহায়া

মর্মার্থ : অনেক দয়ালু আছেন, যারা আমাদের ব্যাপারে নানা ধারণা পোষণ করেন, আমরা
নেতৃত্ব দিয়েছি দর্প চুর্ণকাবী বাহিনীকে ৷

দর্শকদের সম্মুখে তার সদস্যরা উপ ত হলে তাদেরকে উহুদ পাহাড়সম মনে হতো ৷

তুমি৩া ৩াদের দেহগুলোকে বর্ম আচ্ছাদিত দেখতে পাবে, মযবুত বর্মা আ র উত্তম অশ্ব ও তীর-
ধনুকে সজ্জিত ৷ আমরা তাদের সঙ্গে এরুপ আচরণ করি যেন৩ারা বিভ্রাম্ভ অপরাধী ৷

যখন তারা হামলা চালায় আর আমরাও হামলা চাল ই, তখন তারাযেন পরিখার স্থানে
আমাদের সঙ্গে মুকাবিলা করছিল ৷ তারা এমন মানুষ যাদের মধ্যে আমরা একজন ও সদ্বুদ্ধি
পরিচালিত ব্যক্তি দেখতে পাইা না ৷ অথচ তারা বলে থাকে, আমরাক (নক্কার নই ? আমরা
এক মাস তাদেরকে অবরোধ করে রাখি, আ র আমরা ছিলাম তাদের উপর পাতাপশালী ৷

প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আমরা তাদের উপর হামলা চালাতাম তা স্ত্র সজ্জিত হয়ে অবিরাম
ধারায় ৷ আমাদের হাতে থাকতো ভীক্ষ্ণা ধারালো ৩রবারি ৷ এ গুলো ৰ্ দ্বারা আমরা কর্ভন করতাম
তাদের সিথিস্থল আর মাথার খুলিসমুহ ৷ নাঙ্গা ৩রবারি যখন রাত্রিকালে ণ্ালসে উঠে৩া ছিল যেন
৫কাষমুক্ত তলােওয়ারের চাকচিক্যসম ৷ তাতে তুমি আাকীক পাথরের উজ্জ্বলতা দেখতে পাবে ৷

পরিখা যদি না থাকতো এবং তারা সেখানে না থাকতো তবে আমরা তাদেরকে সম্পুর্ণ বিধ্বস্ত
করে দিতাম ৷

কিন্তু৩ তাদের মধ্যন্থলে অন্তরায় হয় পরিখা এবং তারা আমাদের ভয়ে তার আশ্রয় নিত

আমরা বিদায় নিলে তাতে কি ? আমরা তোমাদের গৃহের নিকট সা দকে রেখে এসেছি
রন্ধক’ হিসাবে ৷

আধার ঘনীভুত হলে তুমি বিলাালপকারিণীদেরকে সাদের জন্য বিলাপ করছে, শুনতে পাবে ৷
অচিরেই আমরা আবা র ফিরে আসবো যেমন আমরা আমাদের কাছে এসেছিলাম পরস্পরের

সহযোা৩গিা নিয়ে, আমরা আসবাে বনুকিনানার একদল সশস্ত্র সৈন্য নিয়ে বনের সিংহের মতো যে
নিজের বিচরণস্থুল সংরক্ষণ করে থাকে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বনুসালিমা গোত্রীয় কাব ইবন মালিক (বা) তার জবাবে বলেন :

গ্রাপ্রু;শু

ঞ্চিগু^-^-ক্ত হুএে ১এশ্এে এে এএষ্-^শঃশু১ এ ধ্ণ্৮^এ এ ;;র্তষ্প্

প্রু;া ওএ্




كَأَنَّ زُهَاءَهَا أُحُدٌ إِذَا مَا بَدَتْ أَرْكَانُهُ لِلنَّاظِرِينَا تَرَى الْأَبْدَانَ فِيهَا مُسْبِغَاتٍ ... عَلَى الْأَبْطَالِ وَالْيَلَبِ الْحَصِينَا وَجُرْدًا كَالْقِدَاحِ مُسَوَّمَاتٍ ... نَؤُمُّ بِهَا الْغُوَاةَ الْخَاطِئِينَا كَأَنَّهُمُ إِذَا صَالُوا وَصُلْنَا ... بِبَابِ الْخَنْدَقَيْنِ مُصَافِحُونَا أُنَاسٌ لَا نَرَى فِيهِمْ رَشِيدًا ... وَقَدْ قَالُوا أَلَسْنَا رَاشِدِينَا فَأَحْجَرْنَاهُمُ شَهْرًا كَرِيتًا ... وَكُنَّا فَوْقَهُمْ كَالْقَاهِرِينَا نُرَاوِحُهُمْ وَنَغْدُو كُلَّ يَوْمٍ ... عَلَيْهِمْ فِي السِّلَاحِ مُدَجَّجِينَا بِأَيْدِينَا صَوَارِمُ مُرْهَفَاتٌ ... نَقُدُّ بِهَا الْمَفَارِقَ وَالشُّئُونَا كَأَنَّ وَمِيضَهُنَّ مُعَرَّيَاتٍ ... إِذَا لَاحَتْ بِأَيْدِي مُصْلِتِينَا وَمِيضُ عَقِيقَةٍ لَمَعَتْ بِلَيْلٍ ... تَرَى فِيهَا الْعَقَائِقَ مُسْتَبِينَا
পৃষ্ঠা - ২৯৭৪

৷ ৰু,া নৃ
এে


অনেক নারী জানতে চায়, কী বিপদ পতিত হয়েছে তামাদের উপর ৷ তুমি উপস্থিত হলে
সেসব বিপদে আমাদেরকে ধৈর্যশীল দেখতে পেতে ৷ আল্লাহর উপর নির্ভর করে আমরা সবর
করেছি আমাদের উপর আপতিত বিপদে ৷ কারণ, আমরা তো দেখি না আল্লাহর কোন বিকল্প ৷

নবী ছিলেন আমাদের জন্য সত্যিকার সহায়ক ৷ ভীকে কেন্দ্র করেই তো আমরা হয়েছি সকল
সৃষ্টির সেরা ৷

আমরা লড়াই করি এমন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যারা যুলুম আর নাফরমানী করে ৷ শত্রুতায়
তারা আমাদেরকে লক্ষ্য বন্তু মনে করে ৷ তারা আমাদের দিকে ছুটে এলে আমরা তাদের সমুচিত
শিক্ষা ৫ইি ৷ আমরা এমন আঘাত হানি, যা তুরাকারী হানাদারদেরকে দ্রুত ঠেলে দেয় মৃত্যুর মুখে ৷
তুমি আমাদেরকে দেখতে পাবে পরিপুর্ণ বর্মসমুহের অভ্যন্তরে যা বিস্তীর্ণ পুকুরের ন্যায় প্রশস্ত ৷

আমাদের দক্ষিণ হস্তে রয়েছে হালকা শুভ্র তলােয়ার, যা দ্বারা আমরা প্রতিবিধান করি
অনিষ্টকারীদের তৎপবতড়ায়, পরিখার মুখে যেন সিংহ দাড়িয়ে আছে ৷

তাদের পানজা সিংহের ৰাসস্থুল সংরক্ষণ করে ৷

আমাদের অশ্বারােহীদল সকাল-সল্যা অত্রে সজ্জিত হয়ে শত্রুদলের উপর হামলা চালায়,

যেন আমরা সাহায্য করি আল্লাহ এবং মুহাম্মাদ (সা) এর যাতে আমরা পরিণত হই আল্লাহর
নিষ্ঠাবান বন্দোয় ৷ মক্কাবাসী এবং শত্রুদল , যারা ঐক্যবদ্ধ দল রুপে বেরিয়ে এসেছে, তারা যাতে
জানতে পারে যে, আল্লাহর কোন শরীক নেই, এবং তিনিই মু’মিনদের অভিভাবক ৷

তোমরা যদি মুর্থতাবশতঃ সাদকে হত্যা করে থাকে৷ ৷ তবে মনে রাখবে যে, আল্লাহ্
সবচেয়ে বেশী শক্তিশালী ৷ (তিনি এর বদলা নেবেন) ৷

অবিলম্বে আল্লাহ তাকে প্রবেশ করাবেন উত্তম উদ্যানে যা হবে পুণ্যবানদের আবাসস্থল ৷

যেমন তিনি তোমাদেরকে ফেরত পাঠিয়েছেন তোমাদের ক্রোধ ব্যর্থতড়াসহ অপদস্থু করে ৷
এমনই অপদস্থ যে, সেখানে কল্যাণ থেকে তোমরা হবে বঞ্চিত ৷ তখন তোমরা ধ্বংসের
নিকটবর্তী হয়ে পড়েছিলে ৷ ঝঞাবাযু দ্বারা যা আপতিত হয় তোমাদের উপর ৷ তোমরা তার নিচে

হয়ে পড়েছিলে দৃষ্টিহীন ৷

৩ ২ —

فَلَوْلَا خَنْدَقٌ كَانُوا لَدَيْهِ لَدَمَّرْنَا عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَا ... وَلَكِنْ حَالَ دُونَهُمُ وَكَانُوا بِهِ مِنْ خَوْفِنَا مُتَعَوِّذِينَا ... فَإِنْ نَرْحَلْ فَإِنَّا قَدْ تَرَكْنَا لَدَى أَبْيَاتِكُمْ سَعْدًا رَهِينَا ... إِذَا جَنَّ الظَّلَامُ سَمِعْتَ نَوْحَى عَلَى سَعْدٍ يُرَجِّعْنَ الْحَنِينَا ... وَسَوْفَ نَزُورُكُمْ عَمَّا قَرِيبٍ كَمَا زُرْنَاكُمُ مُتَوَازِرِينَا ... بِجَمْعٍ مِنْ كِنَانَةَ غَيْرِ عُزْلٍ كَأُسْدِ الْغَابِ إِذْ حَمَتِ الْعَرِينَا قَالَ: فَأَجَابَهُ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ أَخُو بَنِي سَلِمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: وَسَائِلَةٍ تُسَائِلُ مَا لَقِيَنَا ... وَلَوْ شَهِدَتْ رَأَتْنَا صَابِرِينَا صَبَرْنَا لَا نَرَى لِلَّهِ عِدْلًا ... عَلَى مَا نَابَنَا مُتَوَكِّلِينَا وَكَانَ لَنَا النَّبِيُّ وَزِيرَ صِدْقٍ ... بِهِ نَعْلُو الْبَرِيَّةَ أَجْمَعِينَا نُقَاتِلُ مَعْشَرًا ظَلَمُوا وَعَقُّوا ... وَكَانُوا بِالْعَدَاوَةِ مُرْصِدِينَا
পৃষ্ঠা - ২৯৭৫
نُعَالِجُهُمْ إِذَا نَهَضُوا إِلَيْنَا ... بِضَرْبٍ يُعْجِلُ الْمُتَسَرِّعِينَا تَرَانَا فِي فَضَافِضَ سَابِغَاتٍ ... كَغُدْرَانِ الْمَلَا مُتَسَرْبِلِينَا وَفِي أَيْمَانِنَا بِيضٌ خِفَافٌ ... بِهَا نَشْفِي مِرَاحَ الشَّاغِبِينَا بِبَابِ الْخَنْدَقَيْنِ كَأَنَّ أُسْدًا ... شَوَابِكُهُنَّ يَحْمِينَ الْعَرِينَا فَوَارِسُنَا إِذَا بَكَرُوا وَرَاحُوا ... عَلَى الْأَعْدَاءِ شُوسًا مُعْلِمِينَا لِنَنْصُرَ أَحَمَدًا وَاللَّهَ حَتَّى ... نَكُونَ عِبَادَ صِدْقٍ مُخْلِصِينَا وَيَعْلَمَ أَهْلُ مَكَّةَ حِينَ سَارُوا ... وَأَحْزَابٌ أَتَوْا مُتَحَزِّبِينَا بِأَنَّ اللَّهَ لَيْسَ لَهُ شَرِيكٌ ... وَأَنَّ اللَّهَ مَوْلَى الْمُؤْمِنِينَا فَإِمَّا تَقْتُلُوا سَعْدًا سَفَاهًا ... فَإِنَّ اللَّهَ خَيْرُ الْقَادِرِينَا سَيُدْخِلُهُ جِنَانًا طَيِّبَاتٍ ... تَكُونُ مُقَامَةً لِلصَّالِحِينَا كَمَا قَدْ رَدَّكُمْ فَلًّا شَرِيدًا ... بِغَيْظِكُمُ خَزَايَا خَائِبِينَا خَزَايَا لَمْ تَنَالُوا ثَمَّ خَيْرًا ... وَكِدْتُمْ أَنْ تَكُونُوا دَامِرِينَا
পৃষ্ঠা - ২৯৭৬

ইবন ইসহাক বলেন যে, খন্দকের দিন সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনুয্ যাবরী আসৃ সাহ্মী বলেন,

(অবশ্য আমি বলি যে, এটা তার ইসলামগ্নহণের পুর্বের রচনা) ৷

শ্রা


থাং এে ণ্ডাই

ধ্ন্া)ওশ্বা
ধ্,াগ্লু১১ ৷

ব্লেষ্

,;
ৰু-ণ্১এশ্ষ্-০ ধুষ্এে
র্গো


মোঃ ;ন্ণ্ম্



মর্মার্থ৪ অভিবাদন জ্ঞাপন কর তুমি সেসব নিবাসকে, কায়ু লের প্রবাহ আর ঘোর আপদ যাব
চিহ্ন মুছে ফেলেছে ৷

যেন ইয়াহুদীরা একেছে৩ তার চিহ্ন আর নকলামালা উবষ্ট্ৰর আবাসস্থল আরও তাবুর খুটি বাদ
দিয়ে ৷

পরিণত করেছে বিরান ময়দানে যেন কখনো তুমি , তাতে আনন্দ বিহার করনি সমবয়সী
বন্ধুদেরকে নিয়ে ৷

বাদ দাও অতীত দিনের স্মৃতির কথা, তাতাে করেছে সে স্থানকে একেবারেই জনমানবশুন্য
বিরান ৷

স্মরণ কর, তুমি সমকালীনদের নিবাসের কথা আর জ্ঞাপন কর৩ তাদের প্ৰতি কৃতজ্ঞতা গ্
কারণ, তারা সকলেই এসেছে তীর্থস্থান থেকে ৷

মক্কাভুমি থেকে তারা ছুটে এসেছে ইয়াছরিব অভিমুখে, গভীর অন্ধকার রজনীতে বিপুল

ৎখ্যক সৈন্য সামন্ত নিয়ে ৷


بِرِيحٍ عَاصِفٍ هَبَّتْ عَلَيْكُمْ ... فَكُنْتُمْ تَحْتَهَا مُتَكَمِّهِينَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزِّبَعْرَى السَّهْمِيُّ فِي يَوْمِ الْخَنْدَقِ قُلْتُ - وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ -: حَيِّ الدِّيَارَ مَحَا مَعَارِفَ رَسْمِهَا ... طُولُ الْبِلَى وَتَرَاوُحُ الْأَحْقَابِ فَكَأَنَّمَا كَتَبَ الْيَهُودُ رُسُومَهَا ... إِلَّا الْكَنِيفَ وَمَعْقِدَ الْأَطْنَابِ قَفْرًا كَأَنَّكَ لَمْ تَكُنْ تَلْهُو بِهَا ... فِي نِعْمَةٍ بِأَوَانِسٍ أَتْرَابِ فَاتْرُكْ تَذَكُّرَ مَا مَضَى مِنْ عِيشَةٍ ... وَمَحَلَّةٍ خَلَقِ الْمُقَامِ يَبَابِ وَاذْكُرْ بَلَاءَ مَعَاشِرٍ وَاشْكُرْهُمُ ... سَارُوا بِأَجْمَعِهِمْ مَنِ الْأَنْصَابِ أَنْصَابِ مَكَّةَ عَامِدِينَ لِيَثْرِبَ ... فِي ذِي غَيَاطِلَ جَحْفَلٍ جَبْجَابِ يَدَعُ الْحُزُونَ مَنَاهِجًا مَعْلُومَةً ... فِي كُلِّ نَشْزٍ ظَاهِرٍ وَشِعَابِ فِيهَا الْجِيَادُ شَوَازِبٌ مَجْنُوبَةٌ ... قُبُّ الْبُطُونِ لَوَاحِقُ الْأَقْرَابِ
পৃষ্ঠা - ২৯৭৭

পরিচিত পথ বাদ দিয়ে তারা এসেছে চড়াই-উৎবাই অতিক্রম করে ও গিরিপথ ধরে ৷
তাতে রয়েছে উত্তম উৎকৃষ্ট অশ্ব যেগুলােকে চালিত করা হচ্ছিল একই সঙ্গে ৷
এমন সব অশ্ব ক্ষীণ যেগুলোর উদর আর গতি যেগুলোর দ্রুত ৷

এক বাহিনীতে ছুটে চলে উয়ায়না তার পতাকা নিয়ে, আর আবু সুফিয়ান ছিলেন বাহিনী নেতা
রুপে ৷

এরা দুজন যেন দুই পুর্ণ চন্দ্র ৷ এরা দৃজনে পরিণত হয়েছে অভাবী আর পলড়াতকদের আশ্রয়
স্থলে ৷

তারা উপস্থিত হন মদীনায় এবং ব্যবহার করেন পরীক্ষিত ভীক্ষ্ণধার তরবারি ৷

এক মাস দশ দিন পর্যন্ত ওরা দাপট বিস্তার করে (রখেছিলেন মুহস্ফোদের উপরে, আর তার
সাহাবীরা ছিলেন লড়াইয়ের উত্তম সাথী ৷

তড়ারা ঘোষণা দেয় প্ৰস্থানের ঐ ভোরে যখন তোমরা বলেছিলে, আমরা ব্যর্থ লোকদের
কাছাকাছি পাঠিয়ে পৌছে গেছি ৷

পারিখা না হলে তারা সবাই নিহত হতেত্ত্ব, আর ক্ষুধার্ত পাখি নেকড়ের থােরাকে পরিণত
হতো ৷

ইবন ইসহাক বলেন যে, এর জবাবে হড়াসৃসান ইবন ছাবিত বলেন :


ন্ন্এে
ন্ ন্ধ্রুদ্বুন্নু
এেএ-স্রা মৌ
ঙ্এট্রু-শ্খু (১দ্দৌ

ছুহ্র এ্১াএ

ছুণ্প্রুন্নুদ্বু
গুষ্;ন্এ এ এেএ
£$,: £ল্গু ণ্এ্যা৷ র্জপু৷ ণ্শৌ৷ ;£ন্;ন্াএ
এএ-গ্র
ণ্ষ্ণ্ণ্:শ্এ
ণ্ধ্পুএে



مِنْ كُلِّ سَلْهَبَةٍ وَأَجْرَدَ سَلْهَبٍ ... كَالسِّيدِ بَادَرَ غَفْلَةَ الرُّقَّابِ جَيْشٌ عُيَيْنَةُ قَاصِدٌ بِلِوَائِهِ ... فِيهِ وَصَخْرٌ قَائِدُ الْأَحْزَابِ قَرْمَانِ كَالْبَدْرَيْنِ أَصْبَحَ فِيهِمَا ... غَيْثُ الْفَقِيرِ وَمَعْقِلُ الْهُرَّابِ حَتَّى إِذَا وَرَدُوا الْمَدِينَةَ وَارْتَدَوْا ... لِلْمَوْتِ كُلَّ مُجَرَّبٍ قَضَّابِ شَهْرًا وَعَشْرًا قَاهِرِينَ مُحَمَّدًا ... وَصِحَابَهُ فِي الْحَرْبِ خَيْرُ صِحَابِ نَادَوْا بِرِحْلَتِهِمْ صَبِيحَةَ قُلْتُمُ ... كِدْنَا نَكُونُ بِهَا مَعَ الْخُيَّابِ لَوْلَا الْخَنَادِقُ غَادَرُوا مِنْ جَمْعِهِمْ ... قَتْلَى لِطَيْرٍ سُغَّبٍ وَذِئَابِ قَالَ: فَأَجَابَهُ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: هَلْ رَسْمُ دَارِسَةِ الْمُقَامِ يَبَابِ ... مُتَكَلِّمٌ لِمُحَاوِرٍ بِجَوَابِ قَفْرٌ عَفَا رِهَمُ السَّحَابِ رُسُومَهُ ... وَهُبُوبُ كُلِّ مُطِلَّةٍ مِرْبَابِ وَلَقَدْ رَأَيْتُ بِهَا الْحُلُولَ يُزِينُهُمْ ... بِيضُ الْوُجُوهِ ثَوَاقِبُ الْأَحْسَابِ فَدَعِي الدِّيَارَ وَذِكْرَ كُلِّ خَرِيدَةٍ ... بَيْضَاءَ آنِسَةِ الْحَدِيثِ كَعَابِ
পৃষ্ঠা - ২৯৭৮

ন্ত্রেণ্শ্শ্ব৷ :ঞ,;হ্র,ব্লুহ্রা৷প্রু১ গ্রাদ্বু ব্রব্রধ্ £ এে থ্রোড্রু ড্রু
এটা কি বিরান প্রান্তারর বিলীয়মান চিহ্ন ? যা দিয়ে যাচ্ছে প্ৰশ্নকারীর জবাব ৷
এমনই বিরান সে প্রাম্ভর যে, মুষলধারার ক্রমাগত বৃষ্টি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে তার সকল
চিহ্ন ৷
আমি সেখানে দেখতে পেয়েছি উজ্জ্বল চেহারার রমণীদেরকে যাব্র্ধ্বদর বংশ উন্নত, যারা ছিল
আসরের শোভা ৷
ছেড়ে দাও তুমি সেসব ললনাদের আলোচনা, যাদের চেহারা সঘুজ্জ্বন আর যাদের বচন মধুর ৷
দুঃখ-কষ্টের অভিযোগ কর তুমি আল্লাহর নিকট, সেসব ক্রুদ্ধ ব্যক্তির, যারা যুলুম করেছে
রাসুলের উপর ৷
তারা ছুটে যায় তার দিকে সম্মিলিতভাবে এবং জড়ো করে শহরবাসী আর মরুচারী
বেদুঈনদের ৷
তাদের মধ্যে রয়েছে উয়ায়না আর আবু সুফিয়ান ইবন হারবের বাহিনী ৷ ভীষণ ক্রুদ্ধ তারা
সদল বলে ৷
শেষ পর্যন্ত তারা উপস্থিত হয় মদীনায় এবং তারা প্রয়াস পায় রাসুলকে হত্যার এবং গনীমত
লাভের ৷
তারা প্রত্যুষে চড়াও হয় আমাদের উপর; কিভু তাদেরকে পেছন বাম হটিয়ে দেয়া হয় তাদের
ক্ষোভসহ ৷ বিতাড়িত করা হয় তাদেরকে ঝৰুপ্রুহ্ব৷ বায়ু দ্বারা এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাহিনী দ্বারা ৷
এবং ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় তাদের দলকে ৷
মু’মিনদের যুদ্ধের জন্য আল্লাহ্ইতো যথেষ্ট, আর তিনি তাদেরকে দান করেন উত্তম প্রতিদান ৷
তাদের নিরড়াশ হওয়ার পর, তিনি ছিন্ন করে দেন তাদের দলকে ৷

এটা ছিল আমাদের মহান দাতা আল্লাহর সাহায় ৷ আর শীতল করেন তিনি মুহাম্মাদ ও তার
সাহাবীদের চোখ ৷

আর লাঞ্ছিত করেন সকল সত্য প্রত্যাখ্যানকারী সংশয়বাদীকে ৷
যাদের হৃদয়সমুহ চরম বিদ্বেষী ও কৃফরীর সংশয়ে ডুবে রয়েছে ৷
যাদের পরিধেয় নয় পরিচ্ছন্ন ৷ দৃভাগ্য তাদের অম্ভরে আসন গেড়ে বসেছে ৷
কুফরী কালের শেষ প্রবাহ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, তার ইবন মালিকও তার জবাবে বলেন :

;া১ধ্১শ্ব


وَاشْكُ الْهُمُومَ إِلَى الْإِلَهِ وَمَا تَرَى ... مِنْ مَعْشَرٍ ظَلَمُوا الرَّسُولَ غِضَابِ سَارُوا بِجَمْعِهِمُ إِلَيْهِ وَأَلَّبُوا ... أَهْلَ الْقُرَى وَبِوَادِيَ الْأَعْرَابِ جَيْشٌ عُيَيْنَةُ وَابْنُ حَرْبٍ فِيهِمُ ... مُتَخَمِّطُونَ بِحَلْبَةِ الْأَحْزَابِ حَتَّى إِذَا وَرَدُوا الْمَدِينَةَ وَارْتَجَوْا ... قَتْلَ الرَّسُولِ وَمَغْنَمَ الْأَسْلَابِ وَغَدَوْا عَلَيْنَا قَادِرِينَ بِأَيْدِهِمْ ... رُدُّوا بِغَيْظِهِمُ عَلَى الْأَعْقَابِ بِهُبُوبِ مُعْصِفَةٍ تُفَرِّقُ جَمْعَهُمْ ... وَجُنُودِ رَبِّكَ سَيِّدِ الْأَرْبَابِ فَكَفَى الْإِلَهُ الْمُؤْمِنِينَ قِتَالَهُمْ ... وَأَثَابَهُمْ فِي الْأَجْرِ خَيْرَ ثَوَابِ مِنْ بَعْدِ مَا قَنَطُوا فَفَرَّقَ جَمْعَهُمْ ... تَنْزِيلُ نَصْرِ مَلِيكِنَا الْوَهَّابِ وَأَقَرَّ عَيْنَ مُحَمَّدٍ وَصِحَابِهِ ... وَأَذَلَّ كُلَّ مُكَذِّبٍ مُرْتَابِ عَاتِي الْفُؤَادِ مُوَقَّعٍ ذِي رِيبَةٍ ... فِي الْكُفْرِ لَيْسَ بِطَاهِرِ الْأَثْوَابِ عَلِقَ الشَّقَاءُ بِقَلْبِهِ فَفُؤَادُهُ ... فِي الْكُفْرِ آخِرَ هَذِهِ الْأَحْقَابِ قَالَ: وَأَجَابَهُ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَيْضًا فَقَالَ: أَبْقَى لَنَا حَدَثُ الْحُرُوبِ بَقِيَّةً ... مِنْ خَيْرِ نِحْلَةِ رَبِّنَا الْوَهَّابِ
পৃষ্ঠা - ২৯৭৯
.. بَيْضَاءَ مُشْرِفَةِ الذُّرَى وَمَعَاطِنًا حُمَّ الْجُذُوعِ غَزِيرَةَ الْأَحْلَابِ ... كَاللُّوبِ يُبْذَلُ جَمُّهَا وَحَفِيلُهَا لِلْجَارِ وَابْنِ الْعَمِّ وَالْمُنْتَابِ ... وَنَزَائِعًا مِثْلَ السِّرَاحِ نَمَى بِهَا عَلَفُ الشَّعِيرِ وَجَزَّةُ الْمِقْضَابِ ... عَرِيَ الشَّوَى مِنْهَا وَأَرْدَفَ نَحْضَهَا جُرْدَ الْمُتُونِ وَسَائِرِ الْآرَابِ ... قَوْدًا تَرَاحُ إِلَى الصِّيَاحِ إِذَا غَدَتْ فِعْلَ الضِّرَاءِ تَرَاحُ لِلْكَلَّابِ ... وَتَحُوطُ سَائِمَةَ الدِّيَارِ وَتَارَةً تُرْدِي الْعِدَا وَتَئُوبُ بِالْأَسْلَابِ ... حُوشَ الْوُحُوشِ مُطَارَةً عِنْدَ الْوَغَى عُبْسَ اللِّقَاءِ مُبِينَةَ الْإِنْجَابِ ... عُلِفَتْ عَلَى دَعَةٍ فَصَارَتْ بُدَّنًا دُخْسَ الْبَضِيعِ خَفِيفَةَ الْأَقْصَابِ ...
পৃষ্ঠা - ২৯৮০

এেএ্ঠেও
ঠুএ; ঠে-ৰুগুএ
ন্ধ্রুণ্১ “fl
ণ্দ্বু
ঞ ংশুএে মোঃ এও ন্স্ওন্
ষ্ন্ন্১১শ্রা

ও,এে, ফুণ্ন্ন্;ওএ
মোঃ
;,স্পে;ৰু
লোঃ
(এে খোএ
এ দ্বুর্মুাঞর্দু;
র্টন্রু’ও
ত্রৈ)ৰুএ

উক্ত কবিতায় তিনি যুদ্ধের বিশদ বর্ণনা দেওয়ার পর বলেন :
যুদ্ধের ঘটনা আমাদের জন্য অবশিষ্ট ব্লেখেছে আমাদের পালনকর্তা মহান দাতার উত্তম দান ৷

সুউচ্চ প্রাসাদ আর ফলদায়ক ফলের বাগানসমুহ ৷

, আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ আর হিদায়াত পুত-পবিত্র

যবান পবিত্র বংশের ব্যক্তির মাধ্যমে ৷

তা আমাদের সম্মুখে উপস্থাপন করা হয় ৷ আর আমরা পসন্দ করি তার চর্চা-আংলাচনা

আহযাবের ঘটনার পর, যা ঘটেছিল ৷

ক্যুঢয়শ আর সম্মিলিত বহিনীর কাফিরদের প্রতি ৷
এমন সব জ্ঞানের কথা, অপরাধীরা যাকে নিজেদের ধারণা মতে অকল্যম্পোকর মনে করে ৷


.. يَغْدُونَ بِالزَّغْفِ الْمُضَاعَفِ شَكُّهُ وَبِمُتْرَصَاتٍ فِي الثِّقَافِ صِيَابِ ... وَصَوَارِمٍ نَزَعَ الصَّيَاقِلُ عَلْبَهَا وَبِكُلِّ أَرْوَعَ مَاجِدِ الْأَنْسَابِ ... يَصِلُ الْيَمِينَ بِمَارِنٍ مُتَقَارِبٍ وُكِلَتْ وَقِيعَتُهُ إِلَى خَبَّابِ ... وَأَغَرَّ أَزْرَقَ فِي الْقَنَاةِ كَأَنَّهُ فِي طُخْيَةِ الظَّلْمَاءِ ضَوْءُ شِهَابِ ... وَكَتِيبَةٍ يَنْفِي الْقِرَانَ قَتِيرُهَا وَتَرُدُّ حَدَّ قَوَاحِزِ النُّشَّابِ ... جَأْوَى مُلَمْلِمَةٍ كَأَنَّ رِمَاحَهَا فِي كُلِّ مَجْمَعَةٍ ضَرِيمَةُ غَابِ ... تَأْوِي إِلَى ظِلِّ اللِّوَاءِ كَأَنَّهُ فِي صَعْدَةِ الْخَطِّيِّ فَيْءُ عُقَابِ ... أَعْيَتْ أَبَا كَرْبٍ وَأَعْيَتْ تُبَّعًا وَأَبَتْ بَسَالَتُهَا عَلَى الْأَعْرَابِ ...
পৃষ্ঠা - ২৯৮১


কিন্তু বুদ্ধিমানরা অনুধাবন করেন তার সঠিক মর্ম ৷ কুরায়শরা এসেছে,

আপন প্রতুং৷ উপর বিজয়ী হওয়ার বাসনা নিয়ে; কিভু যে ব্যক্তি বিজয়ীর উপর জয়ী হতে চায় ,

তাকে তো বরণ করতে হয় চরম পরাজয় ৷

ইবন হিশাম বলেন, আস্থাতাজন এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র সুত্রে বলেন যে,
এ কবিতাটি শ্রবণ করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :

হে কাব ! তোমার এ কবিতার জন্য আল্লাহ্ (তামার প্রশংসা করেছেন ৷ আমি বলি, এ
কবিতায় যে কুরায়শদেরকে সাহীনা’ বলে অতি ত করা হয়েছে তার কারণ হচ্ছে আরবরা
তাদেরকে এ নামেই অতি ত করতো ৷ তাদের গরম খাবারের জন্য , ফ সাধারণতঃ অন্যান্য
মরুচারীরা আহার করতে পােতানা ৷ আল্লাহ্ই ভাল জনেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, কাব ইবন মালিক আরো আবৃত্তি করেন :


এ৩-এ্যা ষ্ট্র ট্টহৃ
এ)ট্র গোশ্রন্থে
&;)) পেট্রশ্১
এএ্যা
স্পেণ্
ন্টো
ষ্ন্নুপুপু
এ১-ঠো & )¢“
¢§;”
া১াএ

ধ্ণ্ন্
;১এে প্লু
ৰু৩এট্টণ্গ্রা
৷ দেএেএ্






.. وَمَوَاعِظٌ مِنْ رَبِّنَا نُهْدَى بِهَا بِلِسَانِ أَزْهَرَ طَيِّبِ الْأَثْوَابِ ... عُرِضَتْ عَلَيْنَا فَاشْتَهَيْنَا ذِكْرَهَا مِنْ بَعْدِ مَا عُرِضَتْ عَلَى الْأَحْزَابِ ... حِكَمًا يَرَاهَا الْمُجْرِمُونَ بِزَعْمِهِمْ حَرَجًا وَيَفْهَمُهَا ذَوُو الْأَلْبَابِ ... جَاءَتْ سَخِينَةُ كَيْ تُغَالِبَ رَبَّهَا . فَلَيُغْلَبَنَّ مُغَالِبُ الْغَلَّابِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: حَدَّثَنِي مَنْ أَثِقُ بِهِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ لَمَّا سَمِعَ مِنْهُ هَذَا الْبَيْتَ: «لَقَدْ شَكَرَكَ اللَّهُ يَا كَعْبُ عَلَى قَوْلِكَ هَذَا» . قُلْتُ: وَمُرَادُهُ بِسَخِينَةَ قُرَيْشٌ، وَإِنَّمَا كَانَتِ الْعَرَبُ تُسَمِّيهِمْ بِذَلِكَ لِكَثْرَةِ أَكْلِهِمُ الطَّعَامَ السُّخْنَ، الَّذِي لَا يَتَهَيَّأُ لِغَيْرِهِمْ غَالِبًا مِنْ أَهْلِ الْبَوَادِي. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ أَيْضًا: مَنْ سَرَّهُ ضَرْبٌ يُمَعْمِعُ بَعْضُهُ ... بَعْضًا كَمَعْمَعَةِ الْأَبَاءِ الْمُحْرَقِ فَلْيَأْتِ مَأْسَدَةً تَسُنُّ سُيُوفَهَا ... بَيْنَ الْمَذَادِ وَبَيْنَ جِزْعِ الْخَنْدَقِ
পৃষ্ঠা - ২৯৮২



আনন্দ দান করে যে ব্যক্তিকে প্রচণ্ড যুদ্ধের নিনড়াদ, যেন তা পাংত্র আগুন লাগার শব্দ আরকি !
তারা যেন হাযির হয় আমাদের কর্মক্ষেত্রে, যে তার তলেড়ায়ারে শান দেয় মামাম আর
খন্দকের মধ্যবর্তী স্থানে ৷

যারা অভ্যস্ত নামকরা বীর হত্যার, যারা নিজেদের জীবন সমর্পণ করেছে দিগস্তের প্রভুর

উদ্দেশ্যে ৷

আল্লাহ্ সাহায্য করেছেন তার নবীকে এ দল দ্বারা, আর তিনিতাে তীর বন্দোর প্রতি অত্যন্ত

সদয় ৷
আমরা শত্রুর মুখোমুখি হই বিশাল বাহিনী নিয়ে , যা তাড়িয়ে দেয় বিশাল বাহিনীকে প্রাচ্যের
প ত চুড়া জয় করার মতো !

দৃশমনের তবে আমরা প্রস্তুত রাখি দীর্ঘ দেহী অশ্ব, যা গোলাবের মতো লাল; আর সাদা কাল

মিশ্রিত বর্ণের ৷

তা ছুটে নিয়ে যায় অশ্বারােহীকে , উরৈ গতিতে,

কারণ, বীর-বাহাদুর যুদ্ধের দিন ভোর বেলা কুয়াশা জনিত কাদামাটিতে যেন সিংহ আর কি ৷

তারা সত্যিকার বিশ্বস্ত, ধুলোর তলে, বর্শা নিয়ে বীর-বাহাদুর ব্যক্তিদেরকে মৃত্যুর স্বাদ

আস্বাদন করার ৷

যুদ্ধের জন্যে সে সব অশ্বকে আল্লাহ্ ভৈতয়ার রাখার হুকুম করেছেন, আর আল্লাহভাে হলেন

সর্বোত্তম তাওফীক দাতা ৷

যাতে তারা উত্তেজিত করে তোলে দৃশমনকে ,

আর সুরক্ষিত করে নেয় নিজেদের আবাসস্থলাক , ফলে ভেড়ে আসে শক্ত সমর্থ অশ্বরাজি ৷

আর দৃশমনের মুকাবিলা কালে আল্লাহ আমাদের

সাহায্য করেন তীর পক্ষ থেকে প্রদত্ত শক্তি আর ধৈর্য দ্বারা ৷ কারণ, তিনিতাে মহা শক্তিধর ৷

আমরা মান্য করি আমাদের নবীর নির্দেশ আর

সাড়া দেই তীর আহ্বানে, কষ্ট সাধ্য কাজের ভরে ৷ তিনি আহ্বান জানালে আমরা পশ্চাৎপদ

হৃইনা ৷

যুদ্ধকালে তিনি যখন ডাক দেন আমরা তাতে সাড়া দেই, আমরা তুমুল যুদ্ধের সময় ছুটে যাই

সেখানে ৷

নবীর বাণী মেনে চলে যেজন ( সেতো পরম পুণ্যবান) ৷

কারণ, তিনিতাে আমাদের মধ্যে মান্যবর , তিনিই তো নেতা , আর তিনিই তো সত্য !

এভাবে তিনি আমাদের সাহায্য করেন, প্রকাশ করেন আমাদের মান-মর্যাদা,

আর তা অর্জন করায় তিনি দয়া করে আমাদেরকে সাহায্য করেন ৷


دَرِبُوا بِضَرْبِ الْمُعْلِمِينَ وَأَسْلَمُوا ... مُهَجَاتِ أَنْفُسِهِمْ لِرَبِّ الْمَشْرِقِ فِي عُصْبَةٍ نَصَرَ الْإِلَهُ نَبِيَّهُ ... بِهَمُ وَكَانَ بِعَبْدِهِ ذَا مَرْفَقِ فِي كُلِّ سَابِغَةٍ يَحُطُّ فُضُولُهَا ... كَالنَّهْيِ هَبَّتْ رِيحُهُ الْمُتَرَقْرِقِ بَيْضَاءَ مُحْكَمَةً كَأَنَّ قَتِيرَهَا ... حَدَقُ الْجَنَادِبِ ذَاتَ شَكٍّ مُوثَقِ جَدْلَاءَ يَحْفِزُهَا نِجَادُ مُهَنَّدٍ ... صَافِي الْحَدِيدَةِ صَارِمٍ ذِي رَوْنَقِ تِلْكُمْ مَعَ التَّقْوَى تَكُونُ لِبَاسَنَا ... يَوْمَ الْهِيَاجِ وَكُلَّ سَاعَةِ مَصْدَقِ نَصِلُ السُّيُوفَ إِذَا قَصَرْنَ بِخَطْوِنَا ... قُدُمًا وَنُلْحِقُهَا إِذَا لَمْ تَلْحَقِ فَتَرَى الْجَمَاجِمَ ضَاحِيًا هَامَاتُهَا ... بَلْهَ الْأَكُفَّ كَأَنَّهَا لَمْ تُخْلَقِ نَلْقَى الْعَدُوَّ بِفَخْمَةٍ مَلْمُومَةٍ ... تَنْفِي الْجُمُوعَ كَقَصْدِ رَأَسِ الْمُشْرِقِ
পৃষ্ঠা - ২৯৮৩
.. وَنُعِدُّ لِلْأَعْدَاءِ كُلَّ مُقَلَّصٍ وَرْدٍ وَمَحْجُولِ الْقَوَائِمِ أَبْلَقِ ... تَرْدِي بِفُرْسَانٍ كَأَنَّ كُمَاتَهُمْ عِنْدَ الْهِيَاجِ أُسُودُ طَلٍّ مُلْثِقِ ... صُدُقٍ يُعَاطُونَ الْكُمَاةَ حُتُوفَهُمْ تَحْتَ الْعَمَايَةِ بِالْوَشِيجِ الْمُزْهِقِ ... أَمَرَ الْإِلَهُ بِرَبْطِهَا لِعَدُوِّهِ فِي الْحَرْبِ إِنَّ اللَّهَ خَيْرُ مُوَفِّقِ ... لِتَكُونَ غَيْظًا لِلْعَدُوِّ وَحُيَّطًا لِلدَّارِ إِنْ دَلَفَتْ خُيُولُ النُّزَّقِ ... وَيُعِينُنَا اللَّهُ الْعَزِيزُ بِقُوَّةٍ مِنْهُ وَصِدْقِ الصَّبْرِ سَاعَةَ نَلْتَقِي ... وَنُطِيعُ أَمْرَ نَبِيِّنَا وَنُجِيبُهُ وَإِذَا دَعَا لِكَرِيهَةٍ لَمْ نُسْبَقِ ... وَمَتَى يُنَادِ إِلَى الشَّدَائِدِ نَأْتِهَا وَمَتَى نَرَى الْحَوْمَاتِ فِيهَا نُعْنِقِ ... مَنْ يَتَّبِعْ قَوْلَ النَّبِيِّ فَإِنَّهُ فَينَا مُطَاعُ الْأَمْرِ حَقُّ مُصَدَّقِ ... فَبِذَاكَ يَنْصُرُنَا وَيُظْهِرُ عِزَّنَا وَيُصِيبُنَا مِنْ نَيْلِ ذَاكَ بِمِرْفَقِ. إِنَّ الَّذِينَ يُكَذِّبُونَ مُحَمَّدًا ... كَفَرُوا وَضَلُّوا عَنْ سَبِيلِ الْمُتَّقِي
পৃষ্ঠা - ২৯৮৪

মারা অস্বীকার করে (নবী) মুহাম্মাদ (না)-কে ;
তারাতাে কুফরী করেছে আর দুরে সরে গেছে মৃত্তাকীদের পথ থেকে ৷
ইবন ইস্হাক কাব ইবন মালিকের আরো কবিতা উল্লেখ করেন :
ব্লুা৷প্রু;
পেএ fl
ম্পোএ <ট্রুা৷ ৷ ষ্ঠাং )“;; ণ্প্পুষ্; প্রুা; ৷১া
মর্মার্থ : শত্রুদলের লোকেরা জানতে পেরেছে যখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে একত্র হয়েছে

এবং আমাদের দীনকে লক্ষ্য স্থলে পরিণত করেছে ৷

যা আমরা বিসর্জন দেবাে না ৷ কায়েস ইবন পায়লান এর দল আমাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ
হয়েছে তালি বাজিয়েছে; কিন্তু খন্দক দেখতে পেয়ে কি ঘটতে যাচ্ছে তা তারা ঠাহর করে উঠতে
পারেনি ৷

তারা আমাদেরকে ৰ্বাধা দেয় আমাদের দীন থেকে, আর আমরা তাদেরকে বীধা দেই কৃফ্রী
থেকে; আর দয়াময় আল্লাহভাে দ্ৰষ্টা এবং শ্রোতা ৷

তারা যখন কোন স্থানে আমাদের বিরুদ্ধে উষ্মড়া প্রকাশ করে তখন আল্লাহ্ তার পক্ষ থেকে
আমাদেরকে সাহায্য করেন ৷

আমাদের জন্য এটা আল্লাহ্র হিফাযত ও দয়া আর আল্লাহ্ যাকে হিফাযত করেন না, তার
ৎসভাে অনিবার্য ৷
আল্লাহ্ আমাদেরকে সত্য দীনের প্রতি হিদায়াত করেছেন, এবং তা আমাদের জন্যে মনোনীত
করেছেন ৷
আর আল্লাহতাে হলেন সকল কতার শ্রেষ্ঠ কতা ৷
ইবন হিশাম বলেন, এ পংক্তিগুলো তার একটি দীর্ঘ কাসীদার অন্তর্ভুক্ত ৷ ইবন ইসহাক
বলেন, বনুকুরায়যার যুদ্ধ প্রসঙ্গে হাসৃসান ইবন ছাবিত এ কবিতাগুলো আবৃত্তি করেন :
স্পো৷ ৷ গোব্লে


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ أَيْضًا: لَقَدْ عَلِمَ الْأَحْزَابُ حِينَ تَأَلَّبُوا ... عَلَيْنَا وَرَامُوا دِينَنَا مَا نُوَادِعُ أَضَامِيمُ مِنْ قَيْسِ بْنِ عَيْلَانَ أَصْفَقَتْ ... وَخِنْدِفَ لَمْ يَدْرُوا بِمَا هُوَ وَاقِعُ يَذُودُونَنَا عَنْ دِينِنَا وَنَذُودُهُمْ ... عَنِ الْكُفْرِ وَالرَّحْمَنُ رَاءٍ وَسَامِعُ إِذَا غَايَظُونَا فِي مَقَامٍ أَعَانَنَا ... عَلَى غَيْظِهِمْ نَصْرٌ مِنَ اللَّهِ وَاسِعُ وَذَلِكَ حِفْظُ اللَّهِ فِينَا وَفَضْلُهُ ... عَلَيْنَا وَمَنْ لَمْ يَحْفَظِ اللَّهُ ضَائِعُ هَدَانَا لِدِينِ الْحَقِّ وَاخْتَارَهُ لَنَا ... وَلِلَّهِ فَوْقَ الصَّانِعِينَ صَنَائِعُ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَهَذِهِ الْأَبْيَاتُ فِي قَصِيدَةٍ لَهُ. يَعْنِي طَوِيلَةً. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فِي مَقْتَلِ بَنِي قُرَيْظَةَ: لَقَدْ لَقِيَتْ قُرَيْظَةُ مَا سَآهَا ... وَمَا وَجَدَتْ لِذُلٍّ مِنْ نَصِيرِ أَصَابَهُمُ بَلَاءٌ كَانَ فِيهِ ... سِوَى مَا قَدْ أَصَابَ بَنِي النَّضِيرِ
পৃষ্ঠা - ২৯৮৫


বনুকুরায়যা তার শব্দ পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে লাস্থনাকালে তারা পায়নি কোন সাহায্যকারী ৷
বনু নযীরের আপদ ছাড়া আরো আপদ তাঃদঃ উপর আপতিত হয়েছে ৷

প্রতৃষে রাসুল (সা) তাদের নিকট আগমন করেন ৷ তিনি ছিলেন উজ্জা চাদের মত ষ্

তার সাথে অশ্বরাজি যারা অত্থারোহীকে নিয়ে ছুটে যায় ঈগল পাখির মতো ৷

আমরা তাদেরকে ছেড়ে এসেছি এমন অবস্থায় যে, তারা ণ্কান ব্যাপারেই সফল হয়নি ৷

সেখানে তাদের প্রচুর রক্ত ঝরে যায় : তারা ছিল ন্হৃরশ্যেয়ী পাখি উড়ছিল তাদের উপর,
হঠকাবী পাপিষ্ঠ ব্যক্তি এভাবেই পাপের শাস্তি পায় ৷

এমন উপদেশ দ্বারা কুরায়শকে তুমি সতর্ক কর, আল্লাহ্র পক্ষ থেকে, যদি সে গ্রহণ করে
আমার উপদেশ ৷

বনু কুরায়ষা প্রসঙ্গে ইবন ইসহাক হাসৃসান ইবন ছাবিত আরো একটি কবিতা উল্লেখ করেন :
স্পো

কুরায়শের সাহায্যার্থে তারা চুক্তিবদ্ধ হয় তাদের শহরে তাদের জন্য সেই কোন
সাহায্যকরীি ৷

তাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল ; কিন্তু তারা তা ৰিনাশ করেছে তাওরাতের ব্যাপারে
তারাতেন্ চরম অন্ধ ৷

তোমরা কুরআন অস্বীকার করছ, অথচ তােমরাভাে স্বীকার করেস্লি সতর্ককারী রাসুলের
বাণী মেনে নেয়ার কথা ৷

তাইত্যে লাঞ্ছিত হয়েছে বনু লুয়ইির নেতাদের বৃয়ইিরার খেজুর বাগানে অগ্নিশাস্তির
মাধ্যমে

আবু সুফিয়ান ইবনুল হারিস ইবন আবদ্বা মুত্তালিব এর জং!বে বলেন :
এস্পো ণ্স্র ণ্প্-ন্-^ন্ক্রোত্রে গ্রহ্নএ


غَدَاةَ أَتَاهُمُ يَهْوِي إِلَيْهِمْ ... رَسُولُ اللَّهِ كَالْقَمَرِ الْمُنِيرِ لَهُ خَيْلٌ مُجَنَّبَةٌ تَعَادَى ... بِفُرْسَانٍ عَلَيْهَا كَالصُّقُورِ تَرَكْنَاهُمْ وَمَا ظَفِرُوا بِشَيْءٍ ... دِمَاؤُهُمُ عَلَيْهَا كَالْعَبِيرِ فَهُمْ صَرْعَى تَحُومُ الطَّيْرُ فِيهِمُ ... كَذَاكَ يُدَانُ ذُو الْعِنْدِ الْفَجُورِ فَأَنْذِرْ مِثْلَهَا نُصْحًا قُرَيْشًا ... مِنَ الرَّحْمَنِ إِنْ قَبِلَتْ نَذِيرِي قَالَ: وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ أَيْضًا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ: تَفَاقَدَ مَعْشَرٌ نَصَرُوا قُرَيْشًا ... وَلَيْسَ لَهُمْ بِبَلْدَتِهِمْ نَصِيرُ هُمُ أُوتُوا الْكِتَابَ فَضَيَّعُوهُ ... وَهُمْ عُمْيٌ مِنَ التَّوْرَاةِ بُورُ كَفَرْتُمْ بِالْقُرَانِ وَقَدْ أُتِيتُمْ ... بِتَصْدِيقِ الَّذِي قَالَ النَّذِيرُ فَهَانَ عَلَى سَرَاةِ بَنِي لُؤَيٍّ ... حَرِيقٌ بِالْبُوَيْرَةِ مُسْتَطِيرُ فَأَجَابَهُ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ: أَدَامَ اللَّهُ ذَلِكَ مِنْ صَنِيعٍ ... وَحَرَّقَ فِي طَوَائِفِهَا السَّعِيرُ سَتَعْلَمُ أَيُّنَا مِنْهَا بِنُزْهٍ ... وَتَعْلَمُ أَيَّ أَرْضَيْنَا تَضِيرُ
পৃষ্ঠা - ২৯৮৬

এহেন কর্মকাণ্ড আল্লাহ্ স্থায়ী করুন এবং তাদের দলের মধ্যে অগ্নি প্রজ্বলিত করুন ৷

অদুর ভবিষ্যতে জানতে পারবে আমাদের মধ্যে কে তা থেকে দুরে ; আরো জানতে পারবে
আমাদের মধ্যে কোন পথের ভুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷

খেজ্জা বাগানে যদি থাকতো অশ্বারােহী তবে তারা বলভাে ণ্তামশ্রদের জন্যে কোন স্থান নেই,
সুতরাং ণ্তামরা চলে যাও ৷

আমি বলি , আবু সুফিয়ান ইবনুল হারিছ ইসলাম গ্রহণ করার পুর্বে এ কবিতা রচনা করেন ৷ এ
কবিতার কিছু অংশ সহীহ্ বুশারীতে উল্লিখিত হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে ইবন ইসহৰুক জাবাল ইবন
জাওয়াল সালাবীর কবিতার সে জবাব হযরত হাসৃসান ইবন ছাবিত দিয়েছিলেন তাও উল্লেখ
করেছেন ৷ আমরা এখানে ইচ্ছাকৃত ভাবেই তা বাদ দিয়েছি ৷ হযরত সাদ ইবন মুআযু এবং বনু
বুন্মায়যার যুদ্ধের অন্য যারা শাহাদত বরণ করেছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে হ্লাগান ইবন ছাবিত রচিত
নিম্নের কবিতাগুলো ইবন ইসহাক উল্লেখ করোছা :

৫ক্টএ শ্ন ৷
দ্রষ্)ৰুট্রু১দ্
ব্লু,ান্াফ্র ধৃ৷ এ্ঙ্গৃা
(শ্শুটীণ্ ণ্-ণ্;ক্তই


,ব্লুদ্বুা ,

হে মোর জাতির ণ্ল্যাকঃদ্র, শোন, কপান্সের লিখন কি ফ্লেউ খণ্ডন করতে পারে ৷ পারে কি
কেউ সুখের দিনংহ্রলো ফিরিয়ে আনতে ?

অতীত দিনের কথা আমি স্মরণ করেছি ফলে ডুবে যায় মন আর চক্ষু থেকে গড়িয়ে পড়ে
অশ্রুমলো ৷ ’

দুঃখের ঘনঘটা আমাকে স্মরণ করার বন্ধু আর শহীদদের স্মৃতি , যারা গত হয়েছে ৰু

তাগ্লুদঃ মধ্যে ভুফায়েল আর রাফেও ছিল ৷ ছিল সাদও, তারাতো জান্নহ্বত লাভ করেছে আর
তাদের ভুমিতে! বিরান পড়ে আছে ;;


فَلَوْ كَانَ النَّخِيلُ بِهَا رِكَابًا ... لَقَالُوا لَا مُقَامَ لَكُمْ فَسِيرُوا قُلْتُ: وَهَذَا قَالَهُ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " بَعْضُ هَذِهِ الْأَبْيَاتِ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ جَوَابَ حَسَّانَ فِي ذَلِكَ لِجَبَلِ بْنِ جَوَّالٍ الثَّعْلَبِيِّ، تَرَكْنَاهُ قَصْدًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ أَيْضًا يَبْكِي سَعْدًا وَجَمَاعَةً مِمَّنِ اسْتُشْهِدَ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ: أَلَا يَا لَقَوْمِي هَلْ لِمَا حُمَّ دَافِعُ ... وَهَلْ مَا مَضَى مِنْ صَالِحِ الْعَيْشِ رَاجِعُ تَذَكَّرْتُ عَصْرًا قَدْ مَضَى فَتَهَافَتَتْ ... بَنَاتُ الْحَشَا وَانْهَلَّ مِنِّي الْمَدَامِعُ صَبَابَةُ وَجْدٍ ذَكَّرَتْنِيَ إِخْوَةً ... وَقَتْلَى مَضَى فِيهَا طُفَيْلٌ وَرَافِعُ وَسَعْدٌ فَأَضْحَوْا فِي الْجِنَانِ وَأَوْحَشَتْ ... مَنَازِلُهُمْ فَالْأَرْضُ مِنْهُمْ بَلَاقِعُ وَفَوْا يَوْمَ بَدْرٍ لِلرَّسُولِ وَفَوْقَهُمْ ... ظِلَالُ الْمَنَايَا وَالسُّيُوفُ اللَّوَامِعُ دَعَا فَأَجَابُوهُ بِحَقٍّ وَكُلُّهُمْ ... مُطِيعٌ لَهُ فِي كُلِّ أَمْرٍ وَسَامِعُ فَمَا نَكَلُوا حَتَّى تَوَالَوْا جَمَاعَةً ... وَلَا يَقْطَعُ الْآجَالَ إِلَّا الْمَصَارِعُ
পৃষ্ঠা - ২৯৮৭
لِأَنَّهُمُ يَرْجُونَ مِنْهُ شَفَاعَةً ... إِذَا لَمْ يَكُنْ إِلَّا النَّبِيُّونَ شَافِعُ فَذَلِكَ يَا خَيْرَ الْعِبَادِ بَلَاؤُنَا ... إِجَابَتُنَا لِلَّهِ وَالْمَوْتُ نَاقِعُ لَنَا الْقَدَمُ الْأُولَى إِلَيْكَ وَخَلْفُنَا ... لِأَوَّلِنَا فِي مِلَّةِ اللَّهِ تَابِعُ وَنَعْلَمُ أَنَّ الْمُلْكَ لِلَّهِ وَحْدَهُ ... وَأَنَّ قَضَاءَ اللَّهِ لَا بُدَّ وَاقِعُ
পৃষ্ঠা - ২৯৮৮

বদর যুদ্ধের দিন তারা ৰিশ্বস্ততা প্রদর্শন করেছে রাসুল (সা)এর সঙ্গে ৷ আর তাদের মাথার
উপরে ঝুলত্যি মৃত্যুর ছায়া আর উজ্জ্বব তরবারী ৷

রাসুল তাদেরকে আদেশ করেন আর তারা সাড়া দেন, সাতাৰুন্ত্র ডাকে, প্রতিটি ব্যাপারে তারা
সকলেই ছিলেন রাসুলের অনুগত এবং বাধ্য ৷

ভয়ে তারা ফিরে যায়নি, শেষ পর্যন্ত তারা নিজেদ্যে৷ দলে মিশে যায় আর নির্ধারিত আয়ুকে
কেবল মৃভ্যুই কর্তন করতে পারে ৷

কারণ তারা নবীজির শাফাআতের আশা পোষণ করে, যখন নৰীরা ছাড়া আর (কান
সু’পারিশকারী থাকবেন না ৷

তাই হে আল্লাহ্র নেক বন্দোরা ! এটইি ছিল আমাদের পরীক্ষা আর আমরা সাড়া দেই আল্লাহ্
সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ৷ আমাদেরকে মেনে নিতে হবে আল্লাহ্র দ্বন্কুম, আর মৃত্যুতে! অবধারিত ৷

তোমার পাং;নই আমাদের প্রথম পদক্ষেপ , আর আমাদের পশ্চাতে রয়েছে আল্লাহ্র দীনের
তার আমাংদ্যা অ ননকারীরা ৷

আমরা জানি যে, রাজত্ব কর্তৃত্ব কেবলমাত্র আল্লাহ্র , আর আল্লাহ্র সিদ্ধম্ভে অবশ্যই কার্যকরী
হবে ৷ আবল্লোহ্ আবল্লোহ্

আবু রাফি ইয়াহ্রদীর হত্যার ঘটনা

ইবন ইসহাক (র বলেন : খন্দক যুদ্ধে এবং বনু কুরায়যার ঘটনার পর আবু রাফি“ সালাম
ইবন আবুল হুকায়ক ছিল রাসুল (না)-এর বিরুদ্ধে যারা সম্মিলিত বাহিনীকে একত্র করে তাদের
অন্যতম ৷ ণ্ডহুদ যুদ্ধের পুর্বে আওস গোত্রের ণ্লাবেল্পা কাব ইবন আশরাফকে হত্যা করে ৷ তখন
খাবৃরজে পেহ্বত্রের ণ্লাকেরন্ সালাম ইবন আবুল ছ<ন্নায়ককে হত্যা করার জন্য রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
অনুমতি প্রার্থনা করে ৷ সে অবস্থান করছিল থায়বরে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে অনুমতি দান
করেন ৷ ইবন ইসহাক (র) মুহাম্মাদ ইবন যুহরীর সুত্রে আবদৃল্লাহ্ ইবন কাব ইবন মালিক-এর
উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আল্লাহ্ তাআলা রাসুল (না)-এর নিমিত্ত এমন ব্যবস্থা করে দেন যে,
আনস!রদের দুটি গােত্রই আওস এবং খাবৃরাজ রাসুল (সা)এর সাহায্য সহযোগিতার ব্যাপারে
প্রতািযাগিতা করতো, আণ্ডস গোত্র কোন কার্য সাধন করলে খাঘৃরাজ গোত্রের লোকেরা বলতে! :
আল্পাহ্র কসম! এরা যেন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আমাদের চেয়ে অগ্রগামী না হয়ে যায় ৷
ওদের মত কিছু একটা না করা পর্যন্ত তারা থামতো না ৷ আর বনু খাঘৃরাজের কোন ব্যক্তি ভাল
কিছু করলে আওস গোত্রের লোকেরা অনুরুপ করার সুস্থযাগের অপেক্ষায় থাকতো ৷

ইবন ইসহাক (র) আরো বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে রিদ্বেষ ও শত্রুত৷ পাষণেৱ
অপরাধে আওস ণ্গাত্রের লোকেরা কাব ইবন আশরফোক হত্যা করলে খাষ্রাজ গোত্রের
লোকেরা বলে আল্লাহ্র শপথ, তারা কখনো আমাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না ৷ কোন লোক
কাব ইবন আশরাফের মতো রাসুল (না)-এর প্ৰতি শক্রচা ও বিদ্বেষ পোষণ করে , সে বিষয়ে
তারা ভাবতে থাকে ৷ এ প্রসঙ্গে তারা খ্যাঃবরে অবস্থানরত ইব ন আবুল হুকায়ক সম্পর্কে আলোচনা
করে ৷ ন্৮ব্লকে হত্যা করার জন্য তারা রাসুল (সা)এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন ৷ তিনি


[مَقْتَلُ أَبِي رَافِعٍ] عَبْدُ اللَّهِ - وَيُقَالُ: سَلَّامُ - بْنُ أَبِي الْحَقِيقِ الْيَهُودِيُّ، لَعَنَهُ اللَّهُ، وَكَانَ فِي قَصْرٍ لَهُ فِي أَرْضِ خَيْبَرَ وَكَانَ تَاجِرًا مَشْهُورًا بِأَرْضِ الْحِجَازِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا انْقَضَى شَأْنُ الْخَنْدَقِ وَأَمْرُ بَنِي قُرَيْظَةَ، وَكَانَ سَلَّامُ بْنُ أَبِي الْحَقِيقِ - وَهُوَ أَبُو رَافِعٍ - فِيمَنْ حَزَّبَ الْأَحْزَابَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتِ الْأَوْسُ قَبْلَ أُحُدٍ قَدْ قَتَلَتْ كَعْبَ بْنَ الْأَشْرَفِ، فَاسْتَأْذَنَ الْخَزْرَجُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَتْلِ سَلَّامِ بْنِ أَبِي الْحَقِيقِ وَهُوَ بِخَيْبَرَ، فَأَذِنَ لَهُمْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: وَكَانَ مِمَّا صَنَعَ اللَّهُ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ هَذَيْنِ الْحَيَّيْنِ مِنَ الْأَنْصَارِ؛ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ، كَانَا يَتَصَاوَلَانِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَصَاوُلَ الْفَحْلَيْنِ، لَا تَصْنَعُ الْأَوْسُ شَيْئًا فِيهِ غَنَاءٌ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا قَالَتِ الْخَزْرَجُ: وَاللَّهِ لَا يَذْهَبُونَ بِهَذِهِ فَضْلًا عَلَيْنَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي الْإِسْلَامِ. فَلَا يَنْتَهُونَ حَتَّى يُوقِعُوا مِثْلَهَا، وَإِذَا فَعَلَتِ الْخَزْرَجُ شَيْئًا قَالَتِ الْأَوْسُ
পৃষ্ঠা - ২৯৮৯

অনুমতি দান করেন ৷ তদনুযায়ী খাঘৃরাজ গোত্রের বনু সালিমা শাখা থেকে পাচ জন লোক বেরিয়ে
পড়েন ৷ এরা হলেন, আবদ্বপ্লাহ্ ইবন আতীক, মাসৃউদ ইবন সিনান, আবদুল্লাহ ইবন উনাইস; আবু
কাতাদা হন্রিছ ইবন রিবৃঈ এবং আসলাম গোত্র থেকে তাদের মিত্র খিযাঈ ইবন আসলামী ৷ এরা
হত্যার উদ্দেশ্যে বর্হিগত হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবদুল্লাহ ইবন আভীকা,ক দল নেতা নিযুক্ত করে
কোন নারী এবং শিশুকে হত্যা করতে নিষেধ করে দেন ৷ তারা যখারীতি বর্হিপত হন এবং
খায়বরে পদার্পন করে রাত্রি বেলা ইবন আবুল হুকায়কের বাড়ীর চৌহদ্দীতে পৌছে সেখানকার
বাসিন্দাদের পমনাপমনের পথ বন্ধ করে দেন ৷ ইবন ইসহাক (র ) বলেন যে, সে ছিল তার ঘরের
উপর তলায় ৷ উপরে আরােহণের খেজুর গাছ নির্মিত সিড়ি ছিল ৷ তারা সিড়ি বোয় উপরে উঠে
অনুমতি চাইলে তার শ্রী বের হয়ে জিজ্ঞাসা করে ৷ কে তোমরা ? তারা বলেন : আমরা আরবের
কতিপয় লোক ৷ আমরা এসেছি খাদ্যের খোজে ৷ সে বললো : এই তো অেমাংদ্য সাহেব,
ভেতরে প্রবেশ করে তার কাছে যাও ৷ আমরা ভেতরে প্রবেশ করলে গেলোঃযাগের আশংকার সে
তেভ্য থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন : তা লক্ষ্য করে তার ন্তী চিৎকার
জুড়ে দেয় ৷ আমরা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে বিছানায় তার জীবন-লীলা সাঙ্গ করি ৷ আমরা তরবারির
আঘাতে তাকে বধ করেছিলাম ৷ আল্লাহ্র কসম, রাত্রির অন্ধকারে কেবল তার শুভ্র দেহ
পরিলক্ষিত হচ্ছিল তা যেন জ্জি সাদা বঙ্গের রিচুবতী চ!দর ৷ তিনি বলেন, তার ন্তী চিৎকার জুড়ে
দিল ৷ আমাদের কোন ব্যক্তি তলেয়োর উচিয়ে তার দিকে ছুটে যায় ৷ বিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নিষেধের কথা স্মরণ করে সে হাত গুটিয়ে (নয় ৷ ৱাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিষেধ বাণী না থাকলে
আমরা রাত্রিকালেই তার কাজও সারা করতাম ৷ তিনি বলেন : আমরা তরৰারি দ্বারা তার উপর
হামলা চালাবার পর আবদুল্লাহ ইবন উনাইস তার উদরে তরৰারি স্থাপন করে তা বিদীর্ণ করে
ফেলেন ৷ এ সময় তিনি বলছিলেন ব্যস হয়েছে ৷ বসে হয়েছে ৷ তিনি আরো বলেন যে, আমরা
বেরিয়ে নিচে নেমে আসি ৷ আবদুল্লাহ ইবন আডীক ছিলেন ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তি ৷ তিনি সিড়ি
থেকে পড়ে যান এ ৎ এতে এতে মারাত্মক আঘাত পান ৷ আমরা তাকে বয়ে নিয়ে পানির একটা
নালায় প্রবেশ করি ৷ তারা আগুন প্রজ্জ্বলিত করে চারিদিকে হান্য হয়ে আমাদেরকে খুজতে থাকে ;
তারা নিরাশ হয়ে ফিরে যায় ৷ তারা যখন ফিরে যায় তখন তার প্রাণ যায় যায় দশা ৷ তিনি বলেন,
তখন আমরা বললাম, আমরা কি করে জানবাে যে, আল্লাহ্ব দৃশমন মারা গেছে ৷ তখন আমাদের
মধ্যে একজন বললো, আমি যাচ্ছি, পরিস্থিতি যাচাই করে ণ্তাম্যাদরকে অবহিত করবো ৷ তিনি
বলেন, ণ্লাকটি গিয়ে ণ্লাকজঃনর সাথে মিশে যায় এবং ফিরে এসে আমার যে, আমি তার শ্রী
এবং আরো কিছু লোককে তার আশে পাশে দেখতে পাই ৷ এরা সকলেই কাি ইয়াহ্রদী ৷ তার ব্রীর
হাতে একটি বাতি ছিল ৷ সে নিহত ব্যক্তির চেহারার দিকে তাকিয়ে সমবেত স্পোকজনকে বলতাি
আল্লাহর শপথ! আমি আবদুল্লাহ্ ইবন আভীক এর কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়েছি ৷ তারপর আমি নিজের
ধরেণাকে মিথ্যা ঠাউরে মনে মনে বলি : ইবন আভীক এখানে গামা থেকে কেমন করে আসবে ৷
তারপর সে অগ্নসর হয়ে তার চেহরোর দািক তাকিয়ে বলে য়াহ্রদীৰুদঃ উপাস্যের শপথ, সে নিহত
হয়েছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি আমার নিক্কজ্যা ত্তন্যে এর চেয়ে শ্রুতিমধুর কোন কথা শুনিনি ৷
তিনি বলেন, এরপর তিনি আমাদের নিকট আগমন করে আমাদেরকে সংবাদ দিলে আমরা
আমাদের সঙ্গীকে বয়ে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট সাক্ষাৎ করতে যাই এবং আল্লাহ্র


مِثْلَ ذَلِكَ. قَالَ: وَلَمَّا أَصَابَتِ الْأَوْسُ كَعْبَ بْنَ الْأَشْرَفِ فِي عَدَاوَتِهِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتِ الْخَزْرَجُ: وَاللَّهِ لَا يَذْهَبُونَ بِهَا فَضْلًا عَلَيْنَا أَبَدًا. قَالَ: فَتَذَاكَرُوا مَنْ رَجُلٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْعَدَاوَةِ كَابْنِ الْأَشْرَفِ، فَذَكَرُوا ابْنَ أَبِي الْحَقِيقِ، وَهُوَ بِخَيْبَرَ، فَاسْتَأْذَنُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَتْلِهِ، فَأَذِنَ لَهُمْ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ مِنَ الْخَزْرَجِ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ خَمْسَةُ نَفَرٍ، عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَتِيكٍ، وَمَسْعُودُ بْنُ سِنَانٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ، وَأَبُو قَتَادَةَ الْحَارِثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، وَخُزَاعِيُّ بْنُ أَسْوَدَ، حَلِيفٌ لَهُمْ مِنْ أَسْلَمَ، فَخَرَجُوا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَتِيكٍ، وَنَهَاهُمْ أَنْ يَقْتُلُوا وَلِيدًا أَوِ امْرَأَةً، فَخَرَجُوا، حَتَّى إِذَا قَدِمُوا خَيْبَرَ أَتَوْا دَارَ ابْنِ أَبِي الْحَقِيقِ لَيْلًا، فَلَمْ يَدَعُوا بَيْتًا فِي الدَّارِ إِلَّا أَغْلَقُوهُ عَلَى أَهْلِهِ. قَالَ: وَكَانَ فِي عُلِّيَّةٍ، لَهُ إِلَيْهَا عَجَلَةٌ. قَالَ: فَأَسْنَدُوا إِلَيْهَا حَتَّى قَامُوا عَلَى بَابِهِ، فَاسْتَأْذَنُوا، فَخَرَجَتْ إِلَيْهِمُ امْرَأَتُهُ فَقَالَتْ: مَنْ أَنْتُمْ؟ قَالُوا: أُنَاسٌ مِنَ الْعَرَبِ نَلْتَمِسُ الْمِيرَةَ. قَالَتْ: ذَاكُمْ صَاحِبُكُمْ فَادْخُلُوا عَلَيْهِ. قَالَ: فَلَمَّا دَخَلْنَا أَغْلَقْنَا عَلَيْنَا وَعَلَيْهِ الْحُجْرَةَ؛ تَخَوُّفًا أَنْ يَكُونَ دُونَهُ مُجَاوَلَةٌ تَحُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ. قَالَ: فَصَاحَتِ امْرَأَتُهُ، فَنَوَّهَتْ بِنَا، فَابْتَدَرْنَاهُ وَهُوَ عَلَى فِرَاشِهِ بِأَسْيَافِنَا، فَوَاللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২৯৯০
مَا يَدُلُّنَا عَلَيْهِ فِي سَوَادِ اللَّيْلِ إِلَّا بَيَاضُهُ، كَأَنَّهُ قُبْطِيَّةٌ مُلْقَاةٌ. قَالَ: فَلَمَّا صَاحَتْ بِنَا امْرَأَتُهُ جَعَلَ الرَّجُلُ مِنَّا يَرْفَعُ عَلَيْهَا سَيْفَهُ، ثُمَّ يَذْكُرُ نَهْيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَكُفُّ يَدَهُ، وَلَوْلَا ذَلِكَ لَفَرَغْنَا مِنْهَا بِلَيْلٍ. قَالَ: فَلَمَّا ضَرَبْنَاهُ بِأَسْيَافِنَا، تَحَامَلَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ بِسَيْفِهِ فِي بَطْنِهِ حَتَّى أَنْفَذَهُ وَهُوَ يَقُولُ: قَطْنِي قَطْنِي. أَيْ حَسْبِي حَسْبِي. قَالَ: وَخَرَجْنَا، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَتِيكٍ رَجُلًا سَيِّئَ الْبَصَرِ. قَالَ: فَوَقَعَ مِنَ الدَّرَجَةِ، فَوُثِئَتْ يَدُهُ وَثْئًا شَدِيدًا، وَحَمَلْنَاهُ حَتَّى نَأْتِيَ بِهِ مَنْهَرًا مِنْ عُيُونِهِمْ فَنَدْخُلَ فِيهِ، فَأَوْقَدُوا النِّيرَانَ، وَاشْتَدُّوا فِي كُلِّ وَجْهٍ يَطْلُبُونَنَا، حَتَّى إِذَا يَئِسُوا رَجَعُوا إِلَى صَاحِبِهِمْ فَاكْتَنَفُوهُ وَهُوَ يَقْضِي. قَالَ: فَقُلْنَا: كَيْفَ لَنَا بِأَنْ نَعْلَمَ بِأَنَّ عَدُوَّ اللَّهِ قَدْ مَاتَ؟ قَالَ: فَقَالَ رَجُلٌ مِنَّا: أَنَا أَذْهَبُ فَأَنْظُرُ لَكُمْ. فَانْطَلَقَ حَتَّى دَخَلَ فِي النَّاسِ، قَالَ: فَوَجَدْتُهَا - يَعْنِي امْرَأَتَهُ - وَرِجَالُ يَهُودَ حَوْلَهُ، وَفِي يَدِهَا الْمِصْبَاحُ تَنْظُرُ فِي وَجْهِهِ وَتُحَدِّثُهُمْ وَتَقُولُ: أَمَا، سَمِعْتُ صَوْتَ ابْنِ عَتِيكٍ ثُمَّ أَكْذَبْتُ نَفْسِي وَقُلْتُ: أَنَّى ابْنُ عَتِيكٍ بِهَذِهِ الْبِلَادِ؟ ثُمَّ أَكَبَّتْ عَلَيْهِ تَنْظُرُ فِي وَجْهِهِ، فَقَالَتْ: فَاظَ وَإِلَهِ
পৃষ্ঠা - ২৯৯১

দৃশমনকে হত্যার সুসংবাদ তাকে দেই ৷ তাকে হত্যা কে করেছে এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে
মতবিরোধ দেখা দেয় এবং আমাদের প্রতোকেই তাকে হত্যা করার দাবী করে ৷ ইবন ইসহাক
(র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন : আমার নিকট তোমাদের তলোয়ার নিয়ে এসো ৷ আমরা
তরবারি হাযির করলে তিনি আবাল্লোহ্ ইবন উনইিসের তলোয়ারের দিকে তাকিয়ে বললেন : আমি
দেখছি এর তরবারিটিই তাকে হত্যা করেছে আর তাতে আহার্যের চিহ্ন রয়েছে ৷ ইবন ইসহাক
(র) বলেন, এ প্রসঙ্গে হাস্সান ইবন ছাবিত নিম্নের কবিতা রচনা করেন :

মোঃ

হে হুকায়কের পুত্র! ওহে আশরফের পুত্র ! সাবাস সে দলকে যাদের দেখা তোমরা পেয়েছো ৷

তারাতাে তোমাদের কাছে গিয়েছিল রাতের বেলা হালকা তরবারি নিয়ে দর্পভরে ৷

গভীর বনের সিৎহের মতো ; শেষ পর্যন্ত তারা আগমন করে তোমাদের দেশের চৌহ্দ্দীতে,

আর তীক্ষ্ণধার তালায়ার দ্বারা সাঙ্গ করে তোমাদের জীবন লীলা ৷

নবীর দীনকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে, যেকোন ভয়ংকর আঘাতকে তৃচ্ছ জ্ঞান করে ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) এ রকমই উল্লেখ করেছেন ৷ ইমাম বৃখারী ইসহাক ইবন নসর
বারা ইবন আষিব সুত্রে বর্ণনা করেন :

আবু রাফি য়াহ্রদীকে হত্যা করার জন্য রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ছোট্ট একটি
দলকে প্রেরণ করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন আত্তীক রাতের বেলা তার ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায়
তাকে হত্যা করেন ৷ ইমাম বৃখারী (র) ইউসুফ ইবন মুসা বারা সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :

ইমাম বৃখারী (র) ইউসুফ ইবন মুসা বারা সুত্রে বলেন ; রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) কতিপয়
আনসারী ব্যক্তিকে আবুরাফি য়াহ্রদীর প্রতি প্রেরণ করেন এবং আবদুল্লাহ ইবন আতিক (রা)-কে
তাদের আমীর নিযুক্ত করেন ৷ এ লোকটি রাসুল (সা ) কে কষ্ট দিত এবং তীর বিরুদ্ধে
লোকদেরকে প্ররােচিত করতো, হিজাযের একটি দুর্গে সে অবস্থান করতো, তারা যখন দুর্গের
নিকট পৌছেন ৷ তখন সুর্য অস্ত গিয়েছে এবং লোকজন তাদের পশুপাল নিয়ে বাড়ী ফিরেছে ৷
আবদুল্লাহ বললেন : তোমরা এখানেই অবস্থান কর ৷ আমি যাচ্ছি দারােয়ানকে কৌশলে ভুলিয়ে
ভেতরে প্রবেশ করার উপায় বের করা যায় কিনা দেখি ৷ তিনি এগিয়ে যান এবং দরজার কাছে
গিয়ে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন যেন তিনি প্রস্রাব করার জন্য বসেছেন ৷ ইতোমধ্যে
লোকেরা ভেতরে প্রবেশ করে আর দারোয়ান চিৎকার করে বলে : হে আল্লাহর বান্দা তুমি
ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে প্রবেশ কর ৷ কারণ, আমি দরজা বন্ধ করতে যাচ্ছি, তাই আমি
ভেতরে প্রবেশ করে আত্মগােপন করে থাকি ৷ সকলে ভেতরে প্রবেশ করলে সে দরজা বন্ধ করে
চাবিগুলো এক স্থানে ঝুলিয়ে রাখেন ৷ বর্ণনকােরী বলেন, আমি উঠে দীড়াই এবং চাবিগুলো নিয়ে
দরজা থুলি ৷ আর আবুরাফির বাড়ীতে রাতের বেলা গল্পের আসর জমতে৷ এবং সে বাস করতো


يَهُودَ. فَمَا سَمِعْتُ كَلِمَةً كَانَتْ أَلَذَّ عَلَى نَفْسِي مِنْهَا. قَالَ: ثُمَّ جَاءَنَا فَأَخْبَرَنَا الْخَبَرَ، فَاحْتَمَلْنَا صَاحِبَنَا وَقَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرْنَاهُ بِقَتْلِ عَدُوِّ اللَّهِ، وَاخْتَلَفْنَا عِنْدَهُ فِي قَتْلِهِ، كُلُّنَا يَدَّعِيهِ. قَالَ: فَقَالَ: " هَاتُوا أَسْيَافَكُمْ " فَجِئْنَا بِهَا، فَنَظَرَ إِلَيْهَا، فَقَالَ لِسَيْفِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ: " هَذَا قَتَلَهُ، أَرَى فِيهِ أَثَرَ الطَّعَامِ " قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فِي ذَلِكَ: لِلَّهِ دَرُّ عِصَابَةٍ لَاقَيْتَهُمْ ... يَا ابْنَ الْحَقِيقِ وَأَنْتَ يَا ابْنَ الْأَشْرَفِ يَسْرُونَ بِالْبِيضِ الْخِفَافِ إِلَيْكُمُ ... مَرَحًا كَأُسْدٍ فِي عَرِينٍ مُغْرِفِ حَتَّى أَتَوْكُمْ فِي مَحَلِّ بِلَادِكُمْ ... فَسَقَوْكُمْ حَتْفًا بِبِيضٍ ذُفَّفِ مُسْتَبْصِرِينَ لِنَصْرِ دِينِ نَبِيِّهِمْ ... مُسْتَصْغِرِينَ لِكُلِّ أَمْرٍ مُجْحِفِ هَكَذَا أَوْرَدَ هَذِهِ الْقِصَّةَ الْإِمَامُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَهْطًا إِلَى أَبِي رَافِعٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَتِيكٍ بَيْتَهُ لَيْلًا وَهُوَ نَائِمٌ فَقَتَلَهُ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى،
পৃষ্ঠা - ২৯৯২
عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِي رَافِعٍ الْيَهُودِيِّ رِجَالًا مِنَ الْأَنْصَارِ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَتِيكٍ، وَكَانَ أَبُو رَافِعٍ يُؤْذِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيُعِينُ عَلَيْهِ، وَكَانَ فِي حِصْنٍ لَهُ بِأَرْضِ الْحِجَازِ، فَلَمَّا دَنَوْا مِنْهُ وَقَدْ غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَرَاحَ النَّاسُ بِسَرْحِهِمْ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ لِأَصْحَابِهِ: اجْلِسُوا مَكَانَكُمْ، فَإِنِّي مُنْطَلِقٌ وَمُتَلَطِّفٌ لِلْبَوَّابِ؛ لَعَلِّي أَنْ أَدْخُلَ. فَأَقْبَلَ حَتَّى دَنَا مِنَ الْبَابِ، ثُمَّ تَقَنَّعَ بِثَوْبِهِ كَأَنَّهُ يَقْضِي حَاجَتَهُ، وَقَدْ دَخَلَ النَّاسُ، فَهَتَفَ بِهِ الْبَوَّابُ: يَا عَبْدَ اللَّهِ، إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ أَنْ تَدْخُلَ فَادْخُلْ، فَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُغْلِقَ الْبَابَ. فَدَخَلْتُ فَكَمَنْتُ، فَلَمَّا دَخَلَ النَّاسُ أَغْلَقَ الْبَابَ، ثُمَّ عَلَّقَ الْأَغَالِيقَ عَلَى وَدٍّ. قَالَ: فَقُمْتُ إِلَى الْأَقَالِيدِ فَأَخَذْتُهَا فَفَتَحْتُ الْبَابَ، وَكَانَ أَبُو رَافِعٍ يُسْمَرُ عِنْدَهُ، وَكَانَ فِي عَلَالِيَّ لَهُ، فَلَمَّا ذَهَبَ عَنْهُ أَهْلُ سَمَرِهِ، صَعِدْتُ إِلَيْهِ، فَجَعَلْتُ كُلَّمَا فَتَحْتُ بَابًا أَغْلَقْتُ عَلَيَّ مِنْ دَاخِلٍ، فَقُلْتُ: إِنَّ الْقَوْمَ نَذِرُوا بِي لَمْ يَخْلُصُوا إِلَيَّ حَتَّى أَقْتُلَهُ. فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِ، فَإِذَا هُوَ فِي بَيْتٍ مُظْلِمٍ وَسْطَ عِيَالِهِ، لَا أَدْرِي أَيْنَ هُوَ مِنَ الْبَيْتِ، قُلْتُ: أَبَا رَافِعٍ. قَالَ: مَنْ هَذَا؟ فَأَهْوَيْتُ نَحْوَ الصَّوْتِ فَأَضْرِبُهُ ضَرْبَةً بِالسَّيْفِ وَأَنَا دَهِشٌ، فَمَا أَغْنَيْتُ شَيْئًا، وَصَاحَ فَخَرَجْتُ مِنَ الْبَيْتِ، فَأَمْكُثُ غَيْرَ بَعِيدٍ، ثُمَّ دَخَلْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ২৯৯৩

উপর তলায় ৷ আসরের ণ্,লাকজন বিদায় নিলে আমি উপরে আরোহণ করি এবং একটা একটা
করে দরজা থােলামাত্র ভেতর ৷;থকে বন্ধ করতে থাকি ৷ আমি মনে মনে বনিঃ লোকজন আমার
ব্যাপারে জানতে পারলেও তারা আমার নিকট পৌছার পুর্বেই, আমি তাকে হত্যা করে ফেনবাে ৷

অবন্শ্ ৷ষে আমি তার কাছে পৌছে গেলাম সেছিল একটা অন্ধকারাহে স্বজন পরিৰেষ্টিতা
আমি জানতাম না গৃহের কোথায় যে আছে ৷ আমি আবু র ৷ফি কে তার নাম ধরে ডাক দিলাম ৷ সে
জিজ্ঞাসা করলো, কে ? আমি আওয়ায ত্তানই সেদিকে ছুটে যাই এরখ্ তলেৰুরারা৷র ৷ তাকে
আঘাত করি ৷ আমি ছিলাম বিচলিত ৷ আমার আঘাতে কোন কাজ হলোন৷ ৷ সে চিৎকার দিলে
আমি ঘর থেকে বের হলাম ৷ কিছুক্ষণ বাইরে অবস্থান করে আমি পুনরায় ৷ত্ইতবে প্ারুরশ করি ৷
আমি রললামং আবুবাফি: এটা কিসের আওয়ায! সে রললাে০ ং ৷ট্টতর্লরার ম য়ের জন্য দুর্তোগ,
এক ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে তরবারি দিয়ে আমাকে আঘাত করেছে রাণ্ান্ বলেন আমি তাকে
সজ্যেরে আঘাত কবি, কিন্তু তাতে ও সে মারা যায়নি ৷ এরপর আমি তররারা ফশ্া৷ রু ৷র পেটে
স্থাপন করি, যা পিঠ পর্বত ভেদ করে যায় ৷ তখন আমি বুঝতে পারলা ৷ যে আমি ণ্>৷ কে হত্যা
করতে পােরছি ৷ এরপর আমি এক এক করে সবগুলো দরজা খুলে কক্ষের সিড়ি পর্যন্ত পীছি, ৷
আমি সিড়িতে পা স্থাপন করি ৷ আমি ধারণা করলাম যে, আমি শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌছেছি ৷ র্চাদর্নী
রাতে সিড়ি থেকে পড়ে যাই এবং এর ফলে আমার পায়ের নলা ভেঙ্গে যায় ৷ আমি পাগড়ি দিয়ে
পা বেধে নেই ৷ আমি ইাটতে ছুাটতে সিড়িাত পৌছে সেখানে বসে পান্ষ্ট্র ; আমি মনে মনে বলি,
তার হত্যা সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্বত আমি এখান থেকে আজ রা£ত বের হবােন৷ ৷ ণ্ভারে
মােরণ ডাক দিলে মৃত্যু স বাদ দানকারী দেয়ালে আরোহণ করে ঘোষণা দেয় যে, আমি
হিজাযবাসীদের সাহায্যকারী আবু রাবি চ মারা যাওয়ার কথা ঘোষণা করাছ কথা শুনে আমি
আমার বন্ধুদের নিকট গিয়ে তাদেরকে বলি, রক্ষা পেয়েছি ৷ আল্লাহ্৩ ত৷ আলা আবু রাফি কে ধ্বংস
করেছেন ৷ আমি নবী (সা) এর নিকটগ্ গিয়ে তাকে গোটা ইতিবৃত্ত অবহিত করলে তিনি বা নন
তোমার পা বাড়াও ৷ আমি প৷ বড়ো লে৩ তিনি তাতে হাত বুলান ৷ এতে আমার মনে হলো যেন পারে
কোন কষ্টই ছিল না ৷

ইমাম বুখারী ৷ র) আহমদ ইবন উসমান ৷ আবু ইসহাক সুত্রে অনুরুপ হাদীহু বর্ণনা করেন ৷
এতে বলা হয়েছে :

ইমাম বুখারী (য়) বার৷ সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসারাম একদল
লোকসহ আবদুল্লাহ ইবন উতবা এবং আবদুল্লাহ ইবন আভীককে আবু রাফি এর প্রতি প্রেরণ
করেন ৷ তীরা অগ্রসর হয়ে দুর্গ পর্যন্ত পৌছেন ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন আভীক তাদেরকে
বললেনঃ তোমরা এখানে অবস্থান কর , আমি গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো ৷ তদনুষায়ী আমি
ভেতরে প্রবেশ করার ফন্দি আটি ৷ এ সময় তাদের একটা গাধ্৷ থাে য়া যায় ৷ তার৷ ম৷ লো নিয়ে
গাধার খোজে বের হয় ৷ আমার আশংকা হলো, তারা আমাকে চিনে ফেলতে পারে ৷ তাই আমি
মস্তক আবৃত করে বসে পড়ি, যেন আমি প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরণ করার জন্য বসেছি আর কি
তখন দারোয়ান বললোং যে ভেতরে প্রবেশ করতে চায়, প্রবেশ করুক ৷ দরজা বন্ধ করার
আগেই তাকে প্রবেশ করতে হবে ৷ তাই আমি ভেতরে প্রবেশ করে দুর্গের দরজার নিকটে গাধার


مَا هَذَا الصَّوْتُ يَا أَبَا رَافِعٍ؟ فَقَالَ: لِأُمِّكَ الْوَيْلُ، إِنَّ رَجُلًا فِي الْبَيْتِ ضَرَبَنِي قَبْلُ بِالسَّيْفِ. قَالَ: فَأَضْرِبُهُ ضَرْبَةً أَثْخَنَتْهُ وَلَمْ أَقْتُلْهُ، ثُمَّ وَضَعْتُ ضَبِيبَ السَّيْفِ فِي بَطْنِهِ، حَتَّى أَخَذَ فِي ظَهْرِهِ، فَعَرَفْتُ أَنِّي قَتَلْتُهُ، فَجَعَلْتُ أَفْتَحُ الْأَبْوَابَ بَابًا بَابًا حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى دَرَجَةٍ لَهُ فَوَضَعْتُ رِجْلِي، وَأَنَا أَرَى أَنِّي قَدِ انْتَهَيْتُ إِلَى الْأَرْضِ، فَوَقَعْتُ فِي لَيْلَةٍ مُقْمِرَةٍ، فَانْكَسَرَتْ سَاقِي فَعَصَبْتُهَا بِعِمَامَةٍ، حَتَّى انْطَلَقْتُ حَتَّى جَلَسْتُ عَلَى الْبَابِ، فَقُلْتُ: لَا أَخْرُجُ اللَّيْلَةَ حَتَّى أَعْلَمَ أَقَتَلْتُهُ. فَلَمَّا صَاحَ الدِّيكُ، قَامَ النَّاعِي عَلَى السُّورِ فَقَالَ: أَنْعِي أَبَا رَافِعٍ تَاجِرَ أَهْلِ الْحِجَازِ. فَانْطَلَقْتُ إِلَى أَصْحَابِي، فَقُلْتُ: النَّجَاءَ، فَقَدْ قَتَلَ اللَّهُ أَبَا رَافِعٍ. فَانْتَهَيْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَدَّثْتُهُ فَقَالَ لِي: " ابْسُطْ رِجْلَكَ " فَبَسَطْتُ رِجْلِي فَمَسَحَهَا، فَكَأَنَّمَا لَمْ أَشْتَكِهَا قَطُّ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ الْأَوْدِيُّ، حَدَّثَنَا شُرَيْحٌ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ الْبَرَاءَ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِي رَافِعٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَتِيكٍ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُتْبَةَ فِي نَاسٍ مَعَهُمْ، فَانْطَلَقُوا حَتَّى دَنَوْا مِنَ الْحِصْنِ فَقَالَ لَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَتِيكٍ امْكُثُوا أَنْتُمْ حَتَّى أَنْطَلِقَ أَنَا فَأَنْظُرَ، قَالَ: فَتَلَطَّفْتُ حَتَّى أَدْخُلَ الْحِصْنَ، فَفَقَدُوا
পৃষ্ঠা - ২৯৯৪
حِمَارًا لَهُمْ، فَخَرَجُوا بِقَبَسٍ يَطْلُبُونَهُ. قَالَ: فَخَشِيتُ أَنْ أُعْرَفَ. قَالَ: فَغَطَّيْتُ رَأْسِي، وَجَلَسْتُ كَأَنِّي أَقْضِي حَاجَةً، فَقَالَ الْبَوَّابُ: مَنْ أَرَادَ أَنْ يَدْخُلَ فَلْيَدْخُلْ قَبْلَ أَنْ أُغْلِقَهُ. فَدَخَلْتُ ثُمَّ اخْتَبَأْتُ فِي مَرْبِطِ حِمَارٍ عِنْدَ بَابِ الْحِصْنِ، فَتَعَشَّوْا عِنْدَ أَبِي رَافِعٍ، وَتَحَدَّثُوا حَتَّى ذَهَبَتْ سَاعَةٌ مِنَ اللَّيْلِ، ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى بُيُوتِهِمْ، فَلَمَّا هَدَأَتِ الْأَصْوَاتُ وَلَا أَسْمَعُ حَرَكَةً، خَرَجْتُ، قَالَ: وَرَأَيْتُ صَاحِبَ الْبَابِ حَيْثُ وَضَعَ مِفْتَاحَ الْحِصْنِ فِي كَوَّةٍ، فَأَخَذْتُهُ فَفَتَحْتُ بِهِ بَابَ الْحِصْنِ. قَالَ: قُلْتُ: إِنْ نَذِرَ بِيَ الْقَوْمُ انْطَلَقْتُ عَلَى مَهَلٍ، ثُمَّ عَمَدْتُ إِلَى أَبْوَابِ بُيُوتِهِمْ فَغَلَّقْتُهَا عَلَيْهِمْ مِنْ ظَاهِرٍ، ثُمَّ صَعِدْتُ إِلَى أَبِي رَافِعٍ فِي سُلَّمٍ، فَإِذَا الْبَيْتُ مُظْلِمٌ، قَدْ طَفِئَ سِرَاجُهُ، فَلَمْ أَدْرِ أَيْنَ الرَّجُلُ؟ فَقُلْتُ: يَا أَبَا رَافِعٍ، قَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: فَعَمَدْتُ نَحْوَ الصَّوْتِ فَأَضْرِبُهُ وَصَاحَ، فَلَمْ تُغْنِ شَيْئًا. قَالَ: ثُمَّ جِئْتُ كَأَنِّي أُغِيثُهُ، فَقُلْتُ: مَا لَكَ يَا أَبَا رَافِعٍ؟ وَغَيَّرْتُ صَوْتِي. قَالَ: أَلَا أُعْجِبُكَ، لِأُمِّكَ الْوَيْلُ، دَخَلَ عَلَيَّ رَجُلٌ فَضَرَبَنِي بِالسَّيْفِ. قَالَ: فَعَمَدْتُ إِلَيْهِ أَيْضًا فَأَضْرِبُهُ أُخْرَى فَلَمْ تُغْنِ شَيْئًا، فَصَاحَ وَقَامَ أَهْلُهُ، ثُمَّ جِئْتُ وَغَيَّرْتُ صَوْتِي كَهَيْئَةِ الْمُغِيثِ، فَإِذَا هُوَ مُسْتَلْقٍ عَلَى ظَهْرِهِ، فَأَضَعُ السَّيْفَ فِي بَطْنِهِ ثُمَّ أَنْكَفِئُ عَلَيْهِ، حَتَّى سَمِعْتُ صَوْتَ الْعَظْمِ، ثُمَّ خَرَجْتُ دَهِشًا، حَتَّى أَتَيْتُ السُّلَّمَ أُرِيدُ أَنْ أَنْزِلَ، فَأَسْقُطُ مِنْهُ، فَانْخَلَعَتْ رِجْلِي، فَعَصَبْتُهَا ثُمَّ أَتَيْتُ أَصْحَابِي أَحْجُلُ، فَقُلْتُ: انْطَلِقُوا فَبَشِّرُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنِّي لَا أَبْرَحُ حَتَّى أَسْمَعَ النَّاعِيَةَ. فَلَمَّا كَانَ فِي وَجْهِ الصُّبْحِ صَعِدَ النَّاعِيَةُ فَقَالَ: أَنْعَى
পৃষ্ঠা - ২৯৯৫

আস্তাবলে লুকিয়ে থাকি ৷ দুর্গের লোকেরা আবুরাফি’,এর নিকটে আহার করে এবং রাতের কিছু
সময় অবধি গল্পগুজর করে ৷ তারপর তারা নিজ নিজ গৃহে ফিরে যায় ৷ যখন কোলাহল থেমে
গেল এবং আমি কোন সাড়াপব্দ শুনতে পেলাম না তখন আমি বের হলাম ৷ তিনি বলেন, আমি
দারোয়ানকে কোথায় সে দুর্গের চাবি ব্লেখেছে তা লক্ষ্য করি ৷ আমি সেখান থেকে চাবি নিয়ে
দুর্গের দরজা খুনি ৷ আমি মনে মনে বলি ৷ কেউ আমাকে দেখে ফেললে আমি তৎক্ষণাৎ রেরিয়ে
পড়বাে ৷ এরপর গৃহের দরজার দিকে এগিয়ে বাইরে থেকে তা বন্ধ করে দেবো ৷ এরপর সিড়ি
যেয়ে উপরে উঠে আমি আবুরাফি এর কাছে পৌছি ৷ অন্ধকার গৃহ, বাতি নিবে গেছে ৷ লোকটি
কোথায়, তা আমি ঠাহর করতে পারছিলাম না ৷ আমি তার নাম ধরে ডাক দিলাম, হে আবুরাফি!
সে বলে, কে ৷ আমি আওয়াযের দিকে এগিয়ে যাই এবং তাকে আঘাত করি ৷ কিন্তু আঘাতে
কোন কাজ হলো না ৷ সে চিৎকার করে ৷ ব্যর্থ চিৎকার ৷ তারপর আমি তার শুভার্থী সেজে তার
কাছে যইি ৷ আমি বলি, আবুরাফি ৷ তোমার কী হয়েছে৷ আমি তখন আ ওযায় বদলে ফেলি ৷ সে
বলে, না, তোমার জন্য আমাকে অবাক হতে হয় ৷ তোমার নামের জন্য ধ্বং স ৷ এক ব্যক্তি আমার
গৃহে প্রবেশ করে তরৰারি দ্বারা আঘাত করেছে ৷ তিনি বলেন, পুনরায় আমি তার দিকে এগিয়ে
যাই ৷ পুনরায়৩ তার উপর আঘাত হানি ৷ কিংফু এবারও আঘাতে কোন কাজ হলো না সে চিৎকার
জুড়ে দেয় এবং তার পরিবারের লোকজন জেগে উঠে ৷ তারপর আমি কণ্ঠস্বর পরিরজ্ঞা করে
শুভাথীর মতো এগিয়ে যইি ৷ দােখ, সে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে ৷ আমি তার পেটের উপর অস্ত্র স্থাপন
করি এবং তার উপর প্রচন্ড চাপ দেই ৷ যাতে তার পৃষ্ঠদেশের হাড়ের আওয়ায শুনতে পাই ৷
এরপর আমি ব্যতিব্যস্ত হয়ে বেরিয়ে পড়ি এবং নিচে নড়ামার উদ্দেশ্যে সিড়ির কাছে গমন করি ৷
সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আমার পা ভেঙ্গে যায় ৷ আমি পা বেধে খােড়াতে খােড়াতে আমার বন্ধুদের
কাছে আমি এবং তাদেরকে বলি : তোমরা যাও এবং নবী করীম (সা) কে সুসং বাদ দাও
আমিতো মৃত্যুর সংবাদ না শোনা পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করবো ৷ প্রভ্যুষে মৃত্যু সংবাদ
ঘোষণাকারী প্ৰাচীরে আরোহণ করে বলেং; আমি আবু রাফি এর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করছি ৷
তিনি বলেন, সাথে সাথে আমি উঠে দাড়াই এবং রওয়ানা হয়ে পড়ি ৷ এ সময় আমার পারে কোন
ব্যথা ছিলন৷ ৷ আমার বন্ধুরা রাসুল করীম (না)-এর নিকট পৌছার পুর্বেই আমি পথিমধ্যেই
তাদেরকে গিয়ে ধরতে সমর্থ হই আর আমি রাসুল করীম (সা) কে এ সুসংবাদ দান করি ৷
এসব বিস্তারিত বিবরণ দানের ক্ষেত্রে সিহাহ্ সিত্তাহ্ তথা ৬টি বিশুদ্ধ হাদীছ গ্রন্থের মধ্যে
ইমাম ৰুখারী (র) একক বৈশিাষ্ট্যর অধিকারী ৷
ইমাম যুহরী (র) উবাই ইবন কাব সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুল কবীম (না) যখন মিম্বরে

উপবিষ্ট ছিলেন তখন তারা আগমন করেন ৷ রাসুল করীম (না) বলে উঠলেন : :, প্রু৷ ৷ , ;াণ্ ৷

চেহারাগুলো সফল হয়েছে ৷ অথর্ধৎ তারা সফলকাম হয়ে ফিরে এসেছে ৷ তিনি বললেন ং পেং

ণ্া ,, ণ্া৷; এ৷ ৷ ষ্া ণ্ ধ্া৷ ৷ ,াস্পো, ৷ াধ্ধ্, হে অ ল্লাহ্র নবী (সা ) আপনার চেহারা সফল
হোক ৷ তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি তাকে হত্যা করেছ ৷৩ তারা বললেন, জী হা ৷ তিনি
বললেন, আমার কাছে তরবারি নিয়ে এসো ৷ তিনি কোষ থেকে তরবারি বের করে সেখানে
রাসৃলুল্লাহ (সা) বললেন, হ৷ ৷ এ হলো তরবা ৷বি ধারে তার আহার্যের চিহ্ন রয়েছে ৷


أَبَا رَافِعٍ. قَالَ: فَقُمْتُ أَمْشِي مَا بِي قَلَبَةٌ، فَأَدْرَكْتُ أَصْحَابِي قَبْلَ أَنْ يَأْتُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَشَّرْتُهُ» . تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ بِهَذِهِ السِّيَاقَاتِ مِنْ بَيْنِ أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ. قُلْتُ: يَحْتَمِلُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَتِيكٍ لَمَّا سَقَطَ مِنْ تِلْكَ الدَّرَجَةِ، انْفَكَّتْ قَدَمُهُ، وَانْكَسَرَتْ سَاقُهُ، وَوُثِئَتْ رِجْلُهُ وَيَدُهُ، فَلَمَّا عَصَبَهَا اسْتَكَنَّ مَا بِهِ؛ لِمَا هُوَ فِيهِ مِنَ الْأَمْرِ الْبَاهِرِ، وَلَمَّا أَرَادَ الْمَشْيَ أُعِينَ عَلَى ذَلِكَ؛ لِمَا هُوَ فِيهِ مِنَ الْجِهَادِ النَّافِعِ، ثُمَّ وَصَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتَقَرَّتْ نَفْسُهُ، ثَاوَرَهُ الْوَجَعُ فِي رِجْلِهِ، فَلَمَّا بَسَطَ رِجْلَهُ وَمَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَهَبَ مَا كَانَ بِهَا مِنْ بَأْسٍ فِي الْمَاضِي، وَلَمْ يَبْقَ بِهَا وَجَعٌ يُتَوَقَّعُ حُصُولُهُ فِي الْمُسْتَقْبَلِ، جَمْعًا بَيْنَ هَذِهِ الرِّوَايَةِ وَالَّتِي تَقَدَّمَتْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. هَذَا وَقَدْ ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ " مِثْلَ سِيَاقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَسَمَّى الْجَمَاعَةَ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَيْهِ كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ ثُمَّ قَالَ: قَالَ الزُّهْرِيُّ: قَالَ ابْنُ كَعْبٍ: فَقَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ২৯৯৬
وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ: " أَفْلَحَتِ الْوُجُوهُ ". قَالُوا: أَفْلَحَ وَجْهُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " أَقَتَلْتُمُوهُ؟ ". قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: " نَاوِلْنِي السَّيْفَ ". فَسَلَّهُ فَقَالَ: " أَجَلْ هَذَا طَعَامُهُ فِي ذُبَابِ السَّيْفِ
পৃষ্ঠা - ২৯৯৭

আমি বলি, হতে পারে আবন্মোহ্ ইবন আতীক যখন সিড়ি থেকে পড়ে যান তখন তার পায়ের
জোড়া স্থানচ্যুত হয় , গোড়ালি ভেঙ্গে যায় এবং পায়েও মােচড় লাগে; কিন্তু যখন তা বেধে দেয়া
হয় তখন ব্যথা দুর হয়ে যায় এবং চলাচলে আর কোন কষ্ট অবশিষ্ট থাকেনি ৷ কারণ , ব্যাপারটি
খুবই স্বাভাবিক এবং অতি স্পষ্ট ৷ তিনি যখন হীটা-চলার অভিপ্রায় করেন তখন এজন্য তাকে
সাহায্য করা হয় ৷ কারণ, এর মধ্যে নিহিত রয়েছে কল্যাণকর জিহাদ ৷ তারপর তিনি যখন রাসুল
করীম (না)-এর নিকট পৌছেন এবং তিনি স্বস্থি ফিরে পান তখন পুনরায় ব্যথা ফিরে আসে এবং
তিনি পা ছড়িয়ে দিলে রাসুল করীম (না) তাতে হাত বুলিয়ে দেন ৷ ফলে অসুবিধা দুর হয়ে যায়
এবং ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে এমন বথােও আর অবশিষ্ট জ্জি না ৷ এভা৷:ব উভয় বর্ণনার মধ্যে
সামঞ্জস্য সাধিত হয় ৷ আল্লাহ-ই ভাল জানেন ৷ মুসা ইবন উক্বা তদীয় মগাষী’ গ্রান্থ ইবন
ইসহাক অনুরুপ বর্ণনা করেছেন এবং ইব্রাহীম ও আবু উবায়দের মড়াতা তিনিও তাদের এ
অভিযানে অংশ গ্রহণকারী সাহাবীগা;ণর নাম উল্লেখ করেছেন ৷

খালিদ ইবন সুফিরান হুযালনী হত্যার ঘটনা

হাফিয বায়হাকী (র) দালাইল গ্রন্থে আবু রাফি এর হত্যার ঘটনা উল্লেখ করার পর ইমাম
আহমদ (র)-এর বরাতে ইয়াকুব আবদুল্লাহ ইবন উনাইস তদীয় পিতা সুত্রে বর্ণনা করে
বলেন

রাসুল করীম (সা) আমাকে ডেকে বললেন : আমি জানতে পেয়েছি যে, খালিদ ইবন
সুফিয়ান ইবন নাবীহ্ হুযালী আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হওয়ার জন্য লোকজনকে সমবেত
করেছে ৷ এখন সে উরানা’ নামক স্থানে অবস্থান করছে ৷ তুমি সেখানে গিয়ে তাকে হত্যা কর ৷
তিনি নিবেদন করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমার জন্য তার কিছু বৈৰিষ্ট্য উল্লেখ করুন যাতে আমি
তাকে চিনতে পারি ৷ তিনি বললেন, তুমি যখন তাকে দেখবে, তখন লক্ষ্য করবে যে, সে কম্পন
ব্যাধিতে আক্রান্ত আছে ৷ তিনি বলেন, আমি তলওয়ার কােষবদ্ধ করে উরানায় তার কাছে গিয়ে
পৌছি ৷ তখন ছিল আসরের নামায়ের সময় ৷ রাসুল (না) তার কম্পনের যে বর্ণনা দেন, আমি
তাকে তেমনটিই পেলাম ৷ তখন যে স্তীদেরকে নিয়ে বাসন্থানের সন্ধানে ছুটাছুটি করছিল ৷ আমি
তার দিকে এগিয়ে যাই ৷ আমার আশংকা হয় যে, আমার এবং তার মধ্যে ধস্তাধ্স্তি হতে পারে ৷
যা আমাকে যথাসময়ে সালাত আদায় থেকে বিরত রাখতে পারে ৷ তাই আমি তার দিকে হাটতে
হাটতে ইশাৱায় সালাত আদায় করলাম ৷ মাথার ইশাৱায় আমি রুকু সিজদা আদায় করছিলাম ৷
আমি তার কাছে পৌছলে সে জিজ্ঞেস করলো কে ৷ আমি বললাম, আমি একজন আরব ৷ এ
ব্যক্তির উপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে আপনার লোকজন সমবেত করার কথা শুনতে পেয়ে এ
উদ্দেশ্যে আপনার কাছে এসেছি ৷ সে বললো, হ্যা, আমিতো সে চেষ্টায় প্রবৃত্ত আছি ৷ আমি কিছু
দুর তার সঙ্গে অগ্রসর হই ৷ সুযোগ বুঝে আমি তরবারি চালিয়ে তাকে হত্যা করি এবং তার
ত্রীদেরকে সেখানে ফেলে রেখে বেরিয়ে আসি ৷ তার ত্রীরা তার জন্য বিলাপ করছিল ৷ আমি রাসুল
করীম (সা)এর নিকট এগিয়ে গেলে আমাকে দেখে তিনি বলেন : ৰুৰু,পু ৷ াদ্বু ৷ চেহারা এতো
দেখছি সফল হোক ৷ কর্ম সিদ্ধ হয়েছেত ? তিনি বলেন, আমি বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আমি
তাকে হত্যা করেছি ৷ তিনি বললেন, সত্য বলছ ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ আমার পাশে দাড়ালেন এবং


[مَقْتَلُ خَالِدِ بْنِ سُفْيَانَ ابْنِ نُبَيْحٍ الْهُذَلِيِّ] ذَكَرَهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " تِلْوَ مَقْتَلِ أَبِي رَافِعٍ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «دَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " إِنَّهُ قَدْ بَلَغَنِي أَنَّ خَالِدَ بْنَ سُفْيَانَ بْنِ نُبَيْحٍ الْهُذَلِيَّ يَجْمَعُ لِيَ النَّاسَ لِيَغْزُوَنِي وَهُوَ بِعُرَنَةَ، فَأْتِهِ فَاقْتُلْهُ " قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، انْعَتْهُ لِي حَتَّى أَعْرِفَهُ. قَالَ: " إِذَا رَأَيْتَهُ وَجَدْتَ لَهُ قُشَعْرِيرَةً ". قَالَ: فَخَرَجْتُ مُتَوَشِّحًا سَيْفِي حَتَّى وَقَعْتُ عَلَيْهِ، وَهُوَ بِعُرَنَةَ مَعَ ظُعُنٍ يَرْتَادُ لَهُنَّ مَنْزِلًا، وَحِينَ كَانَ وَقْتُ الْعَصْرِ، فَلَمَّا رَأَيْتُهُ وَجَدْتُ مَا وَصَفَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْقُشَعْرِيرَةِ، فَأَقْبَلْتُ نَحْوَهُ، وَخَشِيتُ أَنْ يَكُونَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ مُجَاوَلَةٌ تَشْغَلُنِي عَنِ الصَّلَاةِ، فَصَلَّيْتُ وَأَنَا أَمْشِي نَحْوَهُ أُومِئُ بِرَأْسِي لِلرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ فَلَمَّا انْتَهَيْتُ إِلَيْهِ قَالَ: مَنِ الرَّجُلُ؟ قُلْتُ: رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ سَمِعَ
পৃষ্ঠা - ২৯৯৮
بِكَ وَبِجَمْعِكَ لِهَذَا الرَّجُلِ، فَجَاءَكَ لِذَلِكَ، قَالَ: أَجَلْ، إِنَّا فِي ذَلِكَ. قَالَ: فَمَشَيْتُ مَعَهُ شَيْئًا حَتَّى إِذَا أَمْكَنَنِي حَمَلْتُ عَلَيْهِ السَّيْفَ حَتَّى قَتَلْتُهُ، ثُمَّ خَرَجْتُ وَتَرَكْتُ ظَعَائِنَهُ مُكِبَّاتٍ عَلَيْهِ، فَلَمَّا قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَآنِي قَالَ: " أَفْلَحَ الْوَجْهُ " قَالَ: قُلْتُ: قَتَلْتُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: " صَدَقْتَ ". قَالَ: ثُمَّ قَامَ مَعِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ فِي بَيْتِهِ فَأَعْطَانِي عَصًا فَقَالَ: " أَمْسِكْ هَذِهِ عِنْدَكَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُنَيْسٍ " قَالَ: فَخَرَجْتُ بِهَا عَلَى النَّاسِ، فَقَالُوا: مَا هَذِهِ الْعَصَا؟ قَالَ: قُلْتُ: أَعْطَانِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَنِي أَنْ أُمْسِكَهَا. قَالُوا: أَوَلَا تَرْجِعُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَسْأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ؟ قَالَ: فَرَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لِمَ أَعْطَيْتَنِي هَذِهِ الْعَصَا؟ قَالَ: " آيَةٌ بَيْنِي وَبَيْنَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، إِنَّ أَقَلَّ النَّاسِ الْمُتَخَصِّرُونَ يَوْمَئِذٍ ". قَالَ: فَقَرَنَهَا عَبْدُ اللَّهِ بِسَيْفِهِ، فَلَمْ تَزَلْ مَعَهُ حَتَّى إِذَا مَاتَ أُمِرَ بِهَا فَضُمَّتْ فِي كَفَنِهِ، ثُمَّ دُفِنَا جَمِيعًا» ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ آدَمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ بَعْضِ وَلَدِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ - أَوْ قَالَ: عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৯৯৯

আমাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গৃহে প্রবেশ করলেন ৷ আমার হাতে একটা লাঠি দিয়ে বললেন : হে
আবদুল্লাহ্ ইবন উনাইস! এটি তোমার কাছে রাখবে ৷ তিনি বলেন, লাঠিটি নিয়ে জনসমক্ষে
উপস্থিত হলে লোকজন জিজ্ঞেস করে , এ লাঠির ব্যাপারটি কি ? আমি বললাম : রাসুল (সা)
আমাকে এটি দিয়ে বলেছেন যে, এটি তোমার কাছে রাখবে তারা বললো : তুমি কি রাসুল
করীম (না)-এর কাছে ফিরে নিয়ে এ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করবে না ? তিনি বলেন, আমি
রাসুল করীম (সা)-এর নিকট ফিরে গিয়ে আরয করলাম : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমাকে কেন এটি
দিয়েছেন ? তিনি বললেন, কিয়ামতের দিন এ লাঠি তোমার আর আমার মধ্যে নিদর্শন হবে,
সেদিন খুব কম লোকই এমন সৌভাগ্য লাভ করবে ৷ যারা এরুপ লহৃঠির উপর ভর করে আসবে ৷
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ এ লাঠিটি আমৃভ্যু তার তরবারির সঙ্গে রাখেন ৷ এটি কাফনের সঙ্গে যুক্ত
করা হয় এবং একই সাথে দুটিই দাফন করা হয় ৷ ইমাম আহমদ (র) ইয়াহ্ইয়া ইবন আদম —
আবদুল্লাহ ইবন উনাইস সুত্রে হাদীছটি বনাি করেছেন ঞান্; ইমাম আবু দাউদ (র) আবুমামার
আবদুল্লাহ ইবন উমাইস তদীয় পিতার সুত্রে অনুরুপভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
অনুরুপভাবে হাকিম বায়হাকী (র) ও মুহাম্মাদ ইবন সালামা আবদুল্লাহ ইবন উনইিস সুত্রে
হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ উপরন্তু উরওয়া ইবন যুবায়র এবং মুসা ইবন উকবাও তদীয় মাগাযী গ্রন্থে
মুরসালভাবে ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন হিশামের বর্ণনা মতে আবদুল্লাহ্ ইবন উনাইস খালিদ ইবন সুফিয়ানের হত্যা সম্পর্কে
নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন :



ঞ-এে প্রুএ্যা ;)ৰুএ ষ্া এ্যা১

আমি ইবন ছাওরকে উদ্রী শাবকের ন্যায় পতিত ছেড়ে এসেছি, আর তার চার পাশে

বিলাপরতা নারীরা বস্ত্র বিদীর্ণ করছিল ৷

আমি তার উপর হামলা চালাই হিন্দুস্তানী চকচকে তরবারি দ্বারা তার আর আমার পশ্চাতে

ছিল রমণীকুল ৷

আমি তাকে বলছিলাম যখন তরবারি তার মস্তক চুর্ণ করছিল, আমি হলাম উনাইস তনয়,

অশ্বারোহী কুলীন বংশের সন্তান ৷

আমি এমন লোকের সন্তান, যাকে মর্যাদা দানে কালের প্রবাহ কোন কার্পণ্য করেনি, আমি

ণ্এষ্এ-ষ্ন্
হুব্রা;প্রু
শ্রো
;এস্ত,

প্রশস্ত আঙ্গিনা বিশিষ্ট ঘরের সন্তান আমি নই কৃপণ ৷




أُنَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَرَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ فَذَكَرَهُ. وَقَدْ ذَكَرَ نَحْوَهُ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِمَا " مُرْسَلَةً فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ فِي قَتْلِهِ خَالِدَ بْنَ سُفْيَانَ: تَرَكْتُ ابْنَ ثَوْرٍ كَالْحُوَارِ وَحَوْلَهُ ... نَوَائِحُ تَفْرِي كُلَّ جَيْبٍ مُقَدَّدِ تَنَاوَلْتُهُ وَالظُّعْنُ خَلْفِي وَخَلْفَهُ ... بِأَبْيَضَ مِنْ مَاءِ الْحَدِيدِ مُهَنَّدِ عَجُومٍ لِهَامِ الدَّارِعِينَ كَأَنَّهُ ... شِهَابُ غَضًى مِنْ مُلْهِبٍ مُتَوَقِّدِ أَقُولُ لَهُ وَالسَّيْفُ يَعْجُمُ رَأْسَهُ ... أَنَا ابْنُ أُنَيْسٍ فَارِسًا غَيْرَ قُعْدُدِ أَنَا ابْنُ الَّذِي لَمْ يُنْزِلِ الدَّهْرُ قَدْرَهُ ... رَحِيبُ فَنَاءِ الدَّارِ غَيْرُ مُزَنَّدِ
পৃষ্ঠা - ৩০০০
وَقُلْتُ لَهُ خُذْهَا بِضَرْبَةِ مَاجِدِ حَنِيفٍ عَلَى دِينِ النَّبِيِّ مُحَمَّدِ ... وَكُنْتُ إِذَا هَمَّ النَّبِيُّ بِكَافِرٍ سَبَقْتُ إِلَيْهِ بِاللِّسَانِ وَبِالْيَدِ قُلْتُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسِ بْنِ أَسْعَدَ بْنِ حَرَامٍ، أَبُو يَحْيَى الْجُهَنِيُّ، صَحَابِيٌّ مَشْهُورٌ كَبِيرُ الْقَدْرِ، كَانَ فِيمَنْ شَهِدَ الْعَقَبَةَ، وَشَهِدَ أُحُدًا وَالْخَنْدَقَ وَمَا بَعْدَ ذَلِكَ، وَتَأَخَّرَ مَوْتُهُ بِالشَّامِ إِلَى سَنَةِ ثَمَانِينَ عَلَى الْمَشْهُورِ وَقِيلَ: تُوُفِّيَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ فَرَّقَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَخَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ أَبِي عِيسَى الْأَنْصَارِيِّ، الَّذِي رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ دَعَا يَوْمَ أُحُدٍ بِإِدَاوَةٍ فِيهَا مَاءٌ، فَخَنَثَ فَمَهَا وَشَرِبَ مِنْهَا، كَمَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ، مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ. ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ يَصِحُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ الْعُمَرِيُّ ضَعِيفٌ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩০০১

আমি তাকে বললাম, মর্যাদাবানেৱ আঘাত গ্রহণ কর ৷

যে নবী মুহাম্মাদ (না)-এর দীনের জন্য সদা প্রন্তুত ৷

নবী যখন কোন কাফিরকে হত্যার সং কল্প করেন;

তখন আমি আর যবান তথা কাজেও কথায় তার দিকে এগিয়ে যাই ৷

আমি বলি, আবদুল্লাহ ইবন উনইিস ইবন হারাম আবু ইয়াহ্ইয়া আল-জুহানী ছিলেন মহান
মর্যাদার অধিকারী মশহুর সাহাবী ৷ যেসব সাহাবী আকাবার বায়আত, উহুদ খন্দক ও পরবর্তী
যুদ্ধসমুহে অংশ গ্রহণ করেছিলেন, ইনি ছিলেন তাদের অন্যত তম ৷ প্রসিদ্ধ উক্তি অনুযায়ী ৮০
হিজরীতে সিরিয়ার তিনি ইনতিকাল করেন ৷ অবশ্য কারো কারো মতে তিনি ৫৪ হিজরীতে
ইনতিকাল করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলাই ভাল জানেন ৷ আলী ইবন যুবায়র এবং খলীফা ইবন
খাইয়্যাত পুর্বোক্ত আবদুল্লাহ ইবন উনইিস আবু ইয়াহ্ইয়া এবং আবদুল্লাহ ইবন উনইিস আবু ঈসা
আনসারীর মধ্যে পার্থক্য করেছেন ৷ আর এই আবুঈসা আনসারী সেই সাহাবী যিনি রাসুল (সা)
থেকে এ মর্মে হাদীছ বর্ণনা করেন যে, রাসুল করীম (সা) উহুদ যুদ্ধের দিন একটি পাত্রে পানি
আনতে বলেন ৷ তিনি পাত্রের মুখ খুলে পানি পান করেন ৷ ইমাম আবু দাউদ (র) এবং ইমাম
তিরমিযী (র) হাদীছটি আবল্লোহ্ আল উমরী সুত্রে ঈসা ইবন আবদুল্লাহ ইবন উনইিস তদীয় পিতার
বরাতে বর্ণনা করেছেন ৷ অবশ্য ইমাম তিরমিষীর মতে এ হাদীছের সনদ বিশুদ্ধ নয় এবং
আবদুল্লাহ আল-উমরী স্মৃতি তশক্তির দিক থেকে একজন দুর্বল রাবী ৷

হাবশা অধিপতি নাজাশীর সঙ্গে আমর ইবনুল আসের ঘটনা

আবু রাফি ইয়াহুদীর হত্যার ঘটনার পর মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক আমর ইবন আস এর
য়বানীতে উদ্ধৃত ৩করে বলেন : খন্দক যুদ্ধের দিন আমরা যখন প্রতাবর্তন করি তখন আমি
কুর৷ ৷ইশের কতিপয় সমমনা ব্যক্তিকে সমবেত করে বললাম , আল্লাহর শপথ, তোমরা জানলে,
মুহাম্মাদের অনাকা ৷গ্রিত উন্নতি লাভ করছে ৷ আর এ ব্যাপারে আমি একটা বিষয় স্থির করেছি: যে
বিষয়ে ওে ৷মাদের মতামত কী ? তারা জা নতে চাইলো; তৃমি কী স্থির করেছ ? তিনি বললেন যে,
আমরা নাজাশীর কাছে গিয়ে সেখানে অবস্থান করবো, মুহাম্মাদ (সা) আমাদের জাতির উপর
জয়লাভ করলে আমরা নাজাশীর নিকটেই থেকে যাবো ৷ আর আমাদের জন্য মুহাম্মাদের অধীনে
থাকার চেয়ে নাজাশীর অধীনে থাকা অধিকতর প্রিয় আর যদি আমাদের জাতি জয়ী হয় তবেতাে
সকলেই জানবে যে, আমরা কারা ৷ এমতাবস্থায় তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কল্যাণ ছাড়া
অকল্যাণ হবেন৷ ৷ একথা শুনে সকলেই বলে উঠলো; এটা হলো একটা কথার মত কথা ৷ আমি
বাংলায় : তাহলে নাজাশীকে উপচৌকন সামগ্রী সংগ্নহ কর ! আমাদের দেশ থেকে সবচেয়ে প্রিয়
যে বন্তুটা উপহার হিসাবে দেয়৷ যায়, তা হলো চামড়া, আমরা তার জন্য অনেক চামড়া সংগ্রহ
করলাম ৷ আমরা এসব উপহার সামগ্রী নিয়ে যখন তার দরবারে পৌছি যেমন সেখানে উপস্থিত
ছিলেন আমর ইবন উমাইয়৷ দিসারী ৷ রাসুল (সা) জাফর এবং তীর সঙ্গীদের ব্যাপারে একে
নাজাশীর দরবারে প্রেরণ করেন ৷ তিনি দরবারে প্রবেশ করে বেরিয়ে গেলে আ ৷মি আমার সঙ্গীদের
বললামচ এ হচ্ছেন আমর ইবন উমাইয়৷ ৷ আ ৷মি যদি নাজ৷ ৷শীব দরবারে উপস্থিত হয়েও তার নিকট
চেয়ে নেই ৷ আর তিনি তাকে আমার হাতে অর্পণ করেন তাহলে আমি তার গ্বার্দান উড়িয়ে দোবা ৷


[قِصَّةُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ مَعَ النَّجَاشِيِّ بَعْدَ وَقْعَةِ الْخَنْدَقِ] ِ، وَإِسْلَامِهِ عَلَى يَدَيْهِ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، بَعْدَ مَقْتَلِ أَبِي رَافِعٍ: وَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ رَاشِدٍ مَوْلَى حَبِيبِ بْنِ أَبِي أَوْسٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي أَوْسٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، مِنْ فِيهِ، قَالَ: «لَمَّا انْصَرَفْنَا يَوْمَ الْأَحْزَابِ عَنِ الْخَنْدَقِ، جَمَعْتُ رِجَالًا مِنْ قُرَيْشٍ كَانُوا يَرَوْنَ رَأْيِي، وَيَسْمَعُونَ مِنِّي، فَقُلْتُ لَهُمْ: تَعْلَمُونَ وَاللَّهِ أَنِّي أَرَى أَمْرَ مُحَمَّدٍ يَعْلُو الْأُمُورَ عُلُوًّا مُنْكَرًا، وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَمْرًا، فَمَا تَرَوْنَ فِيهِ؟ قَالُوا: وَمَا رَأَيْتَ؟ قَالَ: رَأَيْتُ أَنْ نَلْحَقَ بِالنَّجَاشِيِّ فَنَكُونَ عِنْدَهُ، فَإِنْ ظَهَرَ مُحَمَّدٌ عَلَى قَوْمِنَا كُنَّا عِنْدَ النَّجَاشِيِّ، فَإِنَّا أَنْ نَكوُنَ تَحْتَ يَدَيْهِ أَحَبُّ إِلَيْنَا مِنْ أَنْ نَكُونَ تَحْتَ يَدَيْ مُحَمَّدٍ، وَإِنْ ظَهَرَ قَوْمُنَا فَنَحْنُ مَنْ قَدْ عَرَفُوا، فَلَنْ يَأْتِيَنَا مِنْهُمْ إِلَّا خَيْرٌ قَالُوا: إِنَّ هَذَا لَرَأْيٌ. قُلْتُ: فَاجْمَعُوا لَنَا مَا نُهْدِي لَهُ. وَكَانَ أَحَبَّ مَا يُهْدَى إِلَيْهِ مِنْ أَرْضِنَا الْأَدَمُ، فَجَمَعْنَا لَهُ أَدَمًا كَثِيرًا، ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى قَدِمْنَا عَلَيْهِ، فَوَاللَّهِ إِنَّا لَعِنْدَهُ، إِذْ جَاءَهُ عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيُّ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ بَعَثَهُ إِلَيْهِ فِي شَأْنِ جَعْفَرٍ وَأَصْحَابِهِ. قَالَ: فَدَخَلَ عَلَيْهِ ثُمَّ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ. قَالَ: فَقُلْتُ لِأَصْحَابِي: هَذَا عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ، لَوْ
পৃষ্ঠা - ৩০০২
قَدْ دَخَلْتُ عَلَى النَّجَاشِيِّ فَسَأَلْتُهُ إِيَّاهُ فَأَعْطَانِيهِ فَضَرَبْتُ عُنُقَهُ، فَإِذَا فَعَلْتُ ذَلِكَ رَأَتْ قُرَيْشٌ أَنِّي قَدْ أَجْزَأْتُ عَنْهَا حِينَ قَتَلْتُ رَسُولَ مُحَمَّدٍ. قَالَ: فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَسَجَدْتُ لَهُ كَمَا كُنْتُ أَصْنَعُ. فَقَالَ: مَرْحَبًا بِصَدِيقِي، هَلْ أَهْدَيْتَ لِي مِنْ بِلَادِكَ شَيْئًا؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ أَيُّهَا الْمَلِكُ، قَدْ أَهْدَيْتُ لَكَ أَدَمًا كَثِيرًا. قَالَ: ثُمَّ قَرَّبْتُهُ إِلَيْهِ، فَأَعْجَبَهُ وَاشْتَهَاهُ، ثُمَّ قُلْتُ لَهُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ رَجُلًا خَرَجَ مِنْ عِنْدِكَ وَهُوَ رَسُولُ رَجُلٍ عَدُوٍّ لَنَا، فَأَعْطِنِيهِ لِأَقْتُلَهُ؛ فَإِنَّهُ قَدْ أَصَابَ مِنْ أَشْرَافِنَا وَخِيَارِنَا. قَالَ: فَغَضِبَ ثُمَّ مَدَّ يَدَهُ، فَضَرَبَ بِهَا أَنْفَهُ ضَرْبَةً ظَنَنْتُ أَنَّهُ قَدْ كَسَرَهُ، فَلَوِ انْشَقَّتِ الْأَرْضُ لَدَخَلْتُ فِيهَا فَرَقًا مِنْهُ. ثُمَّ قُلْتُ لَهُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، وَاللَّهِ لَوْ ظَنَنْتُ أَنَّكَ تَكْرَهُ هَذَا مَا سَأَلْتُكَهُ. قَالَ: أَتَسْأَلُنِي أَنْ أُعْطِيَكَ رَسُولَ رَجُلٍ يَأْتِيهِ النَّامُوسُ الْأَكْبَرُ الَّذِي كَانَ يَأْتِي مُوسَى لِتَقْتُلَهُ؟! قَالَ: قُلْتُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، أَكَذَاكَ هُوَ؟ قَالَ: وَيْحَكَ يَا عَمْرُو! أَطِعْنِي وَاتَّبِعْهُ، فَإِنَّهُ وَاللَّهِ لَعَلَى الْحَقِّ وَلَيَظْهَرَنَّ عَلَى مَنْ خَالَفَهُ، كَمَا ظَهَرَ مُوسَى بْنُ عِمْرَانَ عَلَى فِرْعَوْنَ وَجُنُودِهِ. قَالَ: قُلْتُ: أَفَتُبَايِعُنِي لَهُ عَلَى الْإِسْلَامِ؟ قَالَ: نَعَمْ فَبَسَطَ يَدَهُ فَبَايَعْتُهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، ثُمَّ خَرَجْتُ عَلَى أَصْحَابِي وَقَدْ حَالَ رَأْيِي عَمَّا كَانَ عَلَيْهِ، وَكَتَمْتُ أَصْحَابِي إِسْلَامِي، ثُمَّ خَرَجْتُ عَامِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُسْلِمَ، فَلَقِيتُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، وَذَلِكَ قُبَيْلَ الْفَتْحِ، وَهُوَ مُقْبِلٌ مِنْ مَكَّةَ فَقُلْتُ: أَيْنَ أَبَا سُلَيْمَانَ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدِ اسْتَقَامَ الْمِيسَمُ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَنَبِيٌّ،
পৃষ্ঠা - ৩০০৩

আর আমি এ কাজ করলে কুরায়শররু দেখতে পারে যে, আমি মুহম্মেক্লোর দুতকে হত্যা করে
তাদের পক্ষ থেকেই কাজ করেছি ৷ তিনি বলেন, আমি নজােশীর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাকে
সিজ্বদা করি, যেমন আমি ইতিপুর্বে করতাম , নজােশী আমাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে জানতে চর্দ্রইলেন,
তোমার দেশ থেকে আমার জন্য কি কোন উপহার সামগ্রী এনেছ ? আমি বললাম : জহ্বহাপনা !
এসেছি বটে ৷ উপহার সামগ্রী হিসাবে আপনার জন্যে অনেক চামড়া নিয়ে এসেছি ৷ আমি কাছে
গিয়ে তা উপস্থাপন করলে তিনি তা খুব পসন্দ করেন এরপর আমি আরয করলাম, জহোপনা ৷
আমি এইমাত্র দেখতে পেলাম যে, জনৈক ব্যক্তি আপনার দরকার থেকে বেরিয়ে গেল ৷ সে
ল্যেকটি এমন এক ব্যক্তির দুত, যে আমাদের দৃশমন ৷ আপনি তাকে আমার হাতে ন্যস্ত করুন,
আমি অবশ্যই তাকে হত্যা করবো ৷ কারণ, যে আমাদের গণ্যমান্য ভদ্র ব্যক্তিদেরকে আহত ও
নিহত করেছে ৷ তিনি বলেন, এতে নাজাশী ক্ষুব্ধ হল এবং নিজ হস্তে আমার নাকে আঘাত
করেন ৷ এমন সাজারে আঘাত করেন, যাতে আমার ধারণা জণ্ন্ম যে , হয়তো আমার নাক ভেঙ্গে
(গছে ৷ এতে আমার মনের এমন অবস্থা দাড়ায় যে, মাটি ফেটে পেলে আমি তাতে প্রবেশ
করতাম ৷ অতঃপর আমি বললাম, জাহীপনা ৷ আমি যদি জানতাম যে, একথা আপনার পছন্দ
হবেনা তাহলে আমি এমন আবদার করতাম না, তারপর নাজাশী বললেন : তুমি কি এমন ব্যক্তির
দুতকে হত্যা করার জন্য আমার নিকট দাবী জানাচ্ছ, যার কাছে এমন ফেরেস্তা আগমন করেন,
যিনি আগমন করতেন মুসা (আ)-ন্এর নিকট ? আমি বললাম, জাহীপনা, সত্যিই কি তিনি এমন
মর্যাদাবান ? নাজাশী বললেন, হে আমৃর৷ দুঃখ তোমার জন্য, আমার কথা গােন এবং তার
আনুগত্য কর ৷ কারণ, আল্লাহর শপথ, তিনি অবশ্যই সতেদ্রর উপর রয়েছেন ৷ প্রতি পক্ষের উপর
তিনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন, যেমন মুসা ইবন ইমরান বিজয়ী হয়েছিলেন ফিরাউন এবং তার
বাহিনীর উপর ৷ আমি আরয করলাম আপনি কি তার জন্য আমার নিকট থেকে ইসলামের জন্য
বায়য়াত গ্রহণ করবেন প্ তিনি বললেন, হী ৷ অতঃপর তিনি হস্ত প্রসারিত করলে আমি তার হাতে
ইসলামের উপর বায়য়াত করলাম, আমি বের হয়ে বন্ধুদের নিকট আসলাম ৷ তখন আমার পুর্ব
মত পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু আমি বন্ধুদের নিকট আমার ইসলাম গ্রহণের কথা গোপন
রাখি ৷ এবং ইসলাম গ্রহণ করার অতিঃণয়ে রাসুল (সা)-এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে পড়ি ৷ খালিদ
ইবন ওয়ালীদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয় ৷ তিনি মক্কা থেকে আগমন করছিলেন আর এটা মক্কা
বিজয়ের পুর্বের কথা ৷ আমি বললাম , হে আবু সুলড়ায়মান ! কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা ? তিনি বললেন,
আল্লাহর কসম, পথতাে স্পষ্ট হয়ে গেছে, তিনিতাে আল্লাহর নবী (সা) আর আমিতাে যাচ্ছি
ইসলাম গ্রহণ করার জন্য ৷ তাহলে আর কতকাল ইতস্তত করে কাটাবাে ? আমি বললাম, আল্লাহর
কসম , আমিওতে৷ এসেছি ইসলাম গ্রহণ করার জন্যই ৷ তাই আমরা মদীনায় নবী করীম (না) এর
খিদমতে উপস্থিত হলাম ৷ আমার পুর্বেই খালিদ ইবন ওলীদ এগিয়ে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷
তিনি বায়আত করলে আমি নিকটে গিয়ে বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি আমার অপরাধসমুহ
ক্ষমা করবেন এ শর্তে আমি আপনার নিকট বায়আত করছি ৷ ভবিষ্যৎ গুনাহের কথা আমি
বলছিনা ৷ তখন রাসুল (সা) বললেন : হে আমর ! তুমি বায়আত কর; কারণ, ইসলাম অতীত পাপ
মােচন করে , আর হিজরত অতীত পাপ মােচন করে ৷ তিনি বলেন, অতঃপর আমি বায়আত করে
চলে আসি ৷ ইবন ইসহাক (ব) বলেন, আমার আস্থাভাজন এমন রাবী আমাকে জানিয়েছেন,


أَذْهَبُ وَاللَّهِ فَأُسْلِمُ، فَحَتَّى مَتَى؟ قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ مَا جِئْتُ إِلَّا لِأُسْلِمَ. قَالَ: فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَقَدَّمَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَأَسْلَمَ وَبَايَعَ، ثُمَّ دَنَوْتُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أُبَايِعُكَ عَلَى أَنْ تَغْفِرَ لِي مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِي، وَلَا أَذْكُرُ مَا تَأَخَّرَ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا عَمْرُو، بَايِعْ فَإِنَّ الْإِسْلَامَ يَجُبُّ مَا كَانَ قَبْلَهُ وَإِنَّ الْهِجْرَةَ تَجُبُّ مَا كَانَ قَبْلَهَا " قَالَ: فَبَايَعْتُهُ ثُمَّ انْصَرَفْتُ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ حَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ كَانَ مَعَهُمَا، أَسْلَمَ حِينَ أَسْلَمَا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الزِّبَعْرَى السَّهْمِيُّ: أَنْشُدُ عُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ حِلْفَنَا ... وَمُلْقَى نِعَالِ الْقَوْمِ عِنْدَ الْمُقَبَّلِ وَمَا عَقَدَ الْآبَاءُ مِنْ كُلِّ حِلْفَةٍ ... وَمَا خَالِدٌ مِنْ مِثْلِهَا بِمُحَلَّلِ أَمِفْتَاحَ بَيْتٍ غَيْرِ بَيْتِكَ تَبْتَغِي ... وَمَا تَبْتَغِي مِنْ بَيْتِ مَجْدٍ مُؤَثَّلٍ فَلَا تَأْمَنَنَّ خَالِدًا بَعْدَ هَذِهِ ... وَعُثْمَانَ جَاءَا بِالدُّهَيْمِ الْمُعَضَّلِ قُلْتُ: كَانَ إِسْلَامُهُمْ بَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَذَلِكَ أَنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ كَانَ يَوْمَئِذٍ
পৃষ্ঠা - ৩০০৪
فِي خَيْلِ الْمُشْرِكِينَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، فَكَانَ ذِكْرُ هَذَا الْفَصْلِ فِي إِسْلَامِهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ أَنْسَبَ، وَلَكِنْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ تَبَعًا لِلْإِمَامِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى؛ لِأَنَّ أَوَّلَ ذَهَابِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ إِلَى النَّجَاشِيِّ كَانَ بَعْدَ وَقْعَةِ الْخَنْدَقِ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ ذَهَبَ فِي بَقِيَّةِ سَنَةِ خَمْسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.