سنة خمس من الهجرة النبوية

غزوة الخندق

পৃষ্ঠা - ২৮৬৯

তাকে তার সাথীদের সম্পর্কে জাি,জ্ঞস করেন ৷ সে বলে যে, ওরা সবাই পুর্বের দিন এলাকা ছেড়ে
পালি য় গিয়েছে ৷ রাসুলুলাহ (না) তাকে ইসলাম গ্রহণের প্রস্তাব দিলেন, যে ইসলাম গ্রহণ করে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (স ) মদীনায় ফিরে এলেন ৷

ওয়াকিদী বলেন রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) দুমাতুল জানদা ল অভিযানে ৷ররিয়েছিলেন ৫ম হিজরীর
রবীউ ল আখের মাসে ৷ ওয়াকিদী এও বলেন যে ওই মাসেই স৷ দ ইবন উবাদ৷ ৷(রা) এর মা
ইনতিকাল ৷করেন ৷ তখন স৷ দ (রা) রাসৃলুল্লাহ্( সা)-এর সাথেই ছি?ণ্ষ্ান ৷

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী তার জামি গ্রন্থে বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন বাশৃশার সাঈদ
ইবন মুসাব্যিব (র) থেকে বংনাি করেন যে, সাদ (বা) এর ম যখন মারা যান তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) মদীনায় ছিলেন না ৷ মদীনায় প্রত্যাবর্তনের পর তিনি মরহুমার জাল নামায আদায় করেন ৷
মৃত্যুর একমাস পর তিনি এই নামায আদায় করেন ৷ এটি একটি উত্তম ঘুরসাল পদ্ধতির হাদীছ ৷
এতে প্ৰ৩ ভীয়মান হয় যে নাসুলুল্ল হ (না) এই যুদ্ধ উপলক্ষে প্রায়এ ক পান বা ততোধিক সময়
মদীনায় অনুপস্থিত ছিলেন ৷ যেমনটি ওয়াকিদী বলেছেন ৷

খন্দক বা আহযাবের যুদ্ধ

এ প্ৰসংণে আল্লাহু তা আ ল৷ সুরা আহয়াধেয় প্ৰথ ৷ দিকের আয়া৩ ওগুলো অবতীর্ণ করেন ৷
আল্লাহ তাআলা বলেন &


অর্থাং হে মুমিনগণ ৷ তোমরা তোমাদের প্ৰতি অল্লোহ্র অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যখন
শত্রুবাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল এবং আমি ওদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম
ঝঞা বার এবং এক বাহিনী যা তোমরা দেখনি ৷ তোমরা য৷ কর আল্লাহ্ তার সম্যক দ্রষ্ট৷ ৷ যখন
ওরা তোমাদের বিরুদ্ধে সমাণত হয়েছিল ডচ্চ অঞ্চল ংনিম্ন অঞ্চল হতে তোমাদের চক্ষু
বিম্ফারিত হয়েছিল , তোমাদের প্রাণ হয়ে পড়েছিল কণ্ঠাণত এবং তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানাবিধ
ধারণা পোষণ ৷করছিলে ৷ তথাং ম’মিনগণ পরীক্ষিদ্ হয়েছিল এবং তারা ভীযণভাবে প্রকম্পিত
হয়েছিল এবং মুনাফিকরা ও যাদের অম্ভার ছিল বাধিত তারা বলছিল আল্লাহ্ এবং তার রাসুল
আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা প্রতারণা ব্যভীত কিছুই নয় ৷ এবং ওদের একদল
বলেছিল হে ইয়াছরিররাসী ৷ এখানে তোমাদের কোন স্থান নেই, তোমরা ফিরে চল এবং ওদের
মধ্যে একদল নবীর নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে বলছিল, আমাদের বাড়ী ঘর অরক্ষিত ৷ অথচ
ওগুলো অরক্ষিত :ি ল না অ৷ ৷-সরু’৷ পলায়ন করাই ছিল ওদের উদ্দেশ্য ৷ যদি শত্রুর৷ নগরীর বিভিন্ন
দিক হতে প্রবেশ করে ওদের৫ক’ বািদ্রাহের জ্যনা প্ৰরোচিত করত ন্ব্রার৷ অবশ্য তা-ই করে বসত,
তারা তাতে কাল ধিলম্ব করত না ৷ এরাতাে পুর্বেই আল্লাহ্র সাথে অৎগীকার করেছিল যে, এরা
পৃষ্ঠ প্ৰদশ্নি করে, পালাবে না শ্ আল্লাহর সাথে কত অত্গীকার সম্বন্ধে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে ৷
বলুন, তোমাদের কোন লাভ হবে না যদি তোমরা মৃত্যু অথবা হত্যার ভয়ে পলায়ন কর এবং


[غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ] [وَقْتُهَا] ِ وَهِيَ غَزْوَةُ الْأَحْزَابِ وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهَا صَدْرَ سُورَةِ " الْأَحْزَابِ " فَقَالَ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ جَاءَتْكُمْ جُنُودٌ فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا وَجُنُودًا لَمْ تَرَوْهَا وَكَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا إِذْ جَاءُوكُمْ مِنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الْأَبْصَارُ وَبَلَغَتِ الْقُلُوبُ الْحَنَاجِرَ وَتَظُنُّونَ بِاللَّهِ الظُّنُونَ هُنَالِكَ ابْتُلِيَ الْمُؤْمِنُونَ وَزُلْزِلُوا زِلْزَالًا شَدِيدًا وَإِذْ يَقُولُ الْمُنَافِقُونَ وَالَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا غُرُورًا وَإِذْ قَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ يَا أَهْلَ يَثْرِبَ لَا مُقَامَ لَكُمْ فَارْجِعُوا وَيَسْتَأْذِنُ فَرِيقٌ مِنْهُمُ النَّبِيَّ يَقُولُونَ إِنَّ بُيُوتَنَا عَوْرَةٌ وَمَا هِيَ بِعَوْرَةٍ إِنْ يُرِيدُونَ إِلَّا فِرَارًا وَلَوْ دُخِلَتْ عَلَيْهِمْ مِنْ أَقْطَارِهَا ثُمَّ سُئِلُوا الْفِتْنَةَ لَآتَوْهَا وَمَا تَلَبَّثُوا بِهَا إِلَّا يَسِيرًا وَلَقَدْ كَانُوا عَاهَدُوا اللَّهَ مِنْ قَبْلُ لَا يُوَلُّونَ الْأَدْبَارَ وَكَانَ عَهْدُ اللَّهِ مَسْئُولًا قُلْ لَنْ يَنْفَعَكُمُ الْفِرَارُ إِنْ فَرَرْتُمْ مِنَ الْمَوْتِ أَوِ الْقَتْلِ وَإِذًا لَا تُمَتَّعُونَ إِلَّا قَلِيلًا قُلْ مَنْ ذَا الَّذِي يَعْصِمُكُمْ مِنَ اللَّهِ إِنْ أَرَادَ بِكُمْ سُوءًا أَوْ أَرَادَ بِكُمْ رَحْمَةً وَلَا يَجِدُونَ لَهُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا قَدْ يَعْلَمُ اللَّهُ الْمُعَوِّقِينَ مِنْكُمْ وَالْقَائِلِينَ لِإِخْوَانِهِمْ هَلُمَّ إِلَيْنَا وَلَا يَأْتُونَ الْبَأْسَ إِلَّا قَلِيلًا أَشِحَّةً عَلَيْكُمْ فَإِذَا جَاءَ الْخَوْفُ رَأَيْتَهُمْ يَنْظُرُونَ إِلَيْكَ تَدُورُ أَعْيُنُهُمْ كَالَّذِي يُغْشَى عَلَيْهِ مِنَ الْمَوْتِ فَإِذَا ذَهَبَ الْخَوْفُ سَلَقُوكُمْ بِأَلْسِنَةٍ حِدَادٍ أَشِحَّةً عَلَى الْخَيْرِ أُولَئِكَ لَمْ يُؤْمِنُوا فَأَحْبَطَ اللَّهُ أَعْمَالَهُمْ وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرًا يَحْسَبُونَ الْأَحْزَابَ لَمْ يَذْهَبُوا وَإِنْ يَأْتِ الْأَحْزَابُ يَوَدُّوا لَوْ أَنَّهُمْ بَادُونَ فِي الْأَعْرَابِ يَسْأَلُونَ عَنْ أَنْبَائِكُمْ وَلَوْ كَانُوا فِيكُمْ مَا قَاتَلُوا إِلَّا قَلِيلًا لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا وَلَمَّا رَأَى الْمُؤْمِنُونَ الْأَحْزَابَ قَالُوا هَذَا مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَصَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَمَا زَادَهُمْ إِلَّا إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا لِيَجْزِيَ اللَّهُ الصَّادِقِينَ بِصِدْقِهِمْ وَيُعَذِّبَ الْمُنَافِقِينَ إِنْ شَاءَ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا وَرَدَّ اللَّهُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِغَيْظِهِمْ لَمْ يَنَالُوا خَيْرًا وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ وَكَانَ اللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزًا وَأَنْزَلَ الَّذِينَ ظَاهَرُوهُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ صَيَاصِيهِمْ وَقَذَفَ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ فَرِيقًا تَقْتُلُونَ وَتَأْسِرُونَ فَرِيقًا وَأَوْرَثَكُمْ أَرْضَهُمْ وَدِيَارَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ وَأَرْضًا لَمْ تَطَئُوهَا وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرًا} [الأحزاب: 9] (الْأَحْزَابِ: 9 - 27) ،
পৃষ্ঠা - ২৮৭০


সেক্ষেত্রে তোমাদেরকে সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে ৷ বলে দিন, কে তোমাদেরকে আল্লাহ
হতে রক্ষা করবে ৷ যদি তিনি তোমাদের অমংগল ইচ্ছা করেন এবং তিনি যদি তোমাদেরকে
অনুগ্রহ করতে ইচ্ছা করেন কে তোমাদের ক্ষতি করবে ? ওরা আল্লাহ ব্যতীত নিজেদের কোন
অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না ৷ আল্লাহ অবশ্যই জানেন তোমাদের মধ্যে কারা তোমাদেরকে
যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে বাধা দেয় এবং তাদের ভ্রাতৃবর্গকে বলে “আমাদের সংগে এস ৷ ” ওরা
অল্পই যুদ্ধে অংশ নেয় তোমাদের ব্যাপারে কৃপণতাবশত যখন বিপদ আসে তখন আপনি
দেখবেন মৃত্যু ভয়ে মুচ্ছড্রির ব্যক্তির ন্যায় চক্ষু উল্টিয়ে ওরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ কিন্তু
যখন বিপদ চলে যায় তখন ওরা বনের লালসায় তোমাদেরকে ভীক্ষ্ণ ভাষায় বিদ্ধ করে ৷ ওরা ঈমান
আসে নাই, এজন্যে আল্লাহ ওদের কার্যাবলী নিম্ফল করেছেন এবং আল্লাহর পক্ষে তা সহজ ৷ ওরা
মনে করে , সম্মিলিত বাহিনী চলে যায়নি ৷ যদি সম্মিলিত বাহিনী আবার এসে পড়ে, তখন ওরা
কামনা করবে যে, ভাল হত যদি ওরা যাযাবর মরুবাসীদের নাথে থেকে তোমাদের সংবাদ নিত ৷
ওরা তোমাদের সাথে অবস্থান করলেও ওরা যুদ্ধ অল্পই করত ; ণ্তামাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও
আখিরাতকে ভয় করে এবং আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্যে রাসুলুল্লাহ (না)-এর মধ্যে
রয়েছে উত্তম আদর্শ ৷ ঘু’মিনগণ যখন সম্মিলিত বাহিনীকে দেখল ওরা বলে উঠল , এটি তো তাই
আল্লাহ ও তার রাসুল যার প্রতিশ্রুতি আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তার রাসুল সতাই
বলেছেন ৷ আর এতে তাদের ঈমান ও আনুগত্যই বৃদ্ধি পেল ৷ মু’মিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর
সাথে তাদের কৃত অংপীকার পুর্ণ করেছে, ওদের কেউ কেউ শাহাদত বরণ করেছে ৷ ওদের কেউ
কেউ প্রভীক্ষায় রয়েছে, তারা তাদের অংপীকারে কোন পরিবর্তন করেনি ৷ কারণ, আল্লাহ
সতবােদীদেরকে পুরস্কৃত করেন ৷ সতবােদিতার জন্যে এবং তার ইচ্ছা হলে ঘুনাফিকদেরকে শাস্তি
দেন অথবা ওদেরকে ক্ষমা করেন ৷ আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু ৷ আল্লাহ কাফিরদেরকে
ক্রুদ্ধাবন্থায় বিফল মনােরথ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য করলেন ৷ যুদ্ধে মু’মিনদের জন্যে আল্লাহ্ই
যথেষ্ট ৷ আল্লাহ সর্বশক্তিমান পরাক্রমশালী ৷ কিতাবীদের মধ্যে যারা ওদেরকে সাহায্য করেছিল
তাদেরকে তিনি তাদের দুর্গ থেকে অবতরণে বাধ্য করলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার
করলেন; এখন তোমরা ওদের কতককে হত্যা করছ এবং কতককে করছ বন্দী, এবং তিনি
তােমাদেরকে অধিকারী করলেন ওদের ভুমি, ঘববাড়ী ও ধন-সম্পদের এবং এমন ভুমির যা
তোমরা এখনও পদানত করনি, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷ (৩৩-আহযাব : ৯-২ ৭ ৷)

উপরোক্ত আয়াতগুলাের প্ৰতেকেটি সম্পর্কে আমরা তাফসীর গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷ এখানে আমরা সংশ্লিষ্ট যুদ্ধ সম্পর্কিত বিষয়গুলো
আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷

খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৫ম হিজরীর শাওয়াল মাসে ৷ ইবন ইসহড়াক, উবওয়া ইবন যুরায়র ,
কাতাদ৷ , বায়হাকী এবং প্রাচীন ও আধুনিক যুগের বহু উলামা-ই-কিরাম এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দলীল
প্রমাণ পেশ করেছেন ৷ মুসা ইবন উক্বা যুহরী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে : র্থ হিজরীর শাওয়াল মাসে ৷ আহমদ ইবন হাম্বল (র) মুসা ইবন
দাউদের বরাতে ইমাম মালিক থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন যে, বায়হাকী (র ) বলেন, মুলত


وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى كُلِّ مِنْ هَذِهِ الْآيَاتِ الْكَرِيمَاتِ فِي " التَّفْسِيرِ "، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَلْنَذْكُرْ هَاهُنَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْقِصَّةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ. وَقَدْ كَانَتْ غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ مِنَ الْهِجْرَةِ. نَصَّ عَلَى ذَلِكَ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وقَتَادَةُ، والْبَيْهَقِيُّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ، سَلَفًا وَخَلَفًا.
পৃষ্ঠা - ২৮৭১
وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: ثُمَّ كَانَتْ وَقْعَةُ الْأَحْزَابِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ. وَكَذَلِكَ قَالَ الْإِمَامُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، فِيمَا رَوَاهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ دَاوُدَ، عَنْهُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَلَا اخْتِلَافَ بَيْنَهُمْ فِي الْحَقِيقَةِ لِأَنَّ مُرَادَهُمْ أَنَّ ذَلِكَ بَعْدَ مُضِيِّ أَرْبَعِ سِنِينَ وَقَبْلَ اسْتِكْمَالِ خَمْسٍ. وَلَا شَكَّ أَنَّ الْمُشْرِكِينَ لَمَّا انْصَرَفُوا عَنْ أُحُدٍ وَاعَدُوا الْمُسْلِمِينَ إِلَى بَدْرٍ الْعَامَ الْقَابِلَ، فَذَهَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ كَمَا تَقَدَّمَ فِي شَعْبَانَ سَنَةَ أَرْبَعٍ، وَرَجَعَ أَبُو سُفْيَانَ بِقُرَيْشٍ لِجَدْبِ ذَلِكَ الْعَامِ، فَلَمْ يَكُونُوا لِيَأْتُوا إِلَى الْمَدِينَةِ بَعْدَ شَهْرَيْنِ، فَتَعَيَّنَ أَنَّ الْخَنْدَقَ فِي شَوَّالٍ مِنْ سَنَةِ خَمْسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ صَرَّحَ الزُّهْرِيُّ بِأَنَّ الْخَنْدَقَ كَانَتْ بَعْدَ أُحُدٍ بِسَنَتَيْنِ، وَلَا خِلَافَ أَنَّ أُحُدًا فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ، إِلَّا عَلَى قَوْلِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ أَوَّلَ التَّارِيخِ مِنْ مُحَرَّمِ السَّنَةِ التَّالِيَةَ لِسَنَةِ الْهِجْرَةِ، وَلَمْ يَعُدُّوا الشُّهُورَ الْبَاقِيَةَ مِنْ سَنَةِ الْهِجْرَةِ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ إِلَى آخِرِهَا، كَمَا حَكَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، وَبِهِ قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَسَوِيُّ، وَقَدْ صَرَّحَ بِأَنَّ بَدْرًا فِي الْأُولَى، وَأُحُدًا فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ، وَبَدْرًا الْمَوْعِدَ فِي شَعْبَانَ سَنَةَ ثَلَاثٍ، وَالْخَنْدَقَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ. وَهَذَا
পৃষ্ঠা - ২৮৭২

এখানে কোন ভৈবপরী৩ ত নেই ৷ কারণ,ারাত : র্থ হিজরী বলে এ কথা বুঝিয়েছেন যে, যুদ্ধটি
ৎঘটিত হয়েছে হিজরী : র্থ বছর পুর্ণ হবার পর এবং ৫ম বছর পুর্ণ হবার পুর্বে ৷

এটা নিশ্চিত যে উহুদ যুদ্ধ থেকে প্ৰতাবর্তনের সময় মুশরিকরা পরবর্তী বছর পুনরায় বদর
প্রান্তরে যুদ্ধের আগাম ঘোষণা দিয়ে গিয়েছিল ৷ সেই যুতাবিক রাসুলুন্ব: হ্ ( সা) তার সাহাবীগণকে
নিয়ে : র্থ হিজরীর শা বান মাসে বদর প্ৰাম্ভরে উপস্থিত ৩হন ৷ আর দুর্ভিক্ষের বাহানা দিয়ে আবু
সুফিয়ান তার কুরায়শী বাহিনী নিয়ে মক্কায় ফিরে যায় ৷ এ পরিস্থিতিতে মাত্র দু” মাস পর তাদের
মদীনা আক্রমণ করা সম্ভব ছিলনা ৷ ফলে এটি নিশ্চিতভারে জা না (গল <য, পরবর্তী বছরের অর্থাৎ
৫ম হিজরীর শাওয়াল সালে তারা মদীনা আক্রমণের জন্যে এসেছিল ৷

ঘুহরী স্পষ্ট বলেছেন যে, উহুদ যুদ্ধের দু’ বছর পর খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এতে কারো
াদ্বমত নেই যে, উহুদ যুদ্ধ সৎঘ টিতহয়েছিল ৩য় হিজরী সনের শাওয়াল মাচস ৷ অবশ্য কেউ কেউ
বলে থাকেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর হিজরভ্রুতর পরবর্তীমুহাররম মাস থেকে হিজবী সন গণনা
শুরু হয় ৷ তারা হিজরস্তু৩ তর বছরের রবীউল আওয়াল হতে ৩যিলহজ্জ মাস পর্যন্ত এই মাসগুলোকে
গণনায় আনয়ন করেন না ৷ বায়হাকী এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ফাসাবী এই
মতের সমর্থক ৷ এই দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি সুস্পষ্টভা বে বলেন যে, বদরের যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছে
১ম হিজরীতে, উহুদ ২য় হিজরীতে, বদর-ই ছানী ততীয় হিজরীর শা বান মাসে এবং খন্দকের যুদ্ধ
ৎযটিত হয় : র্থ হিজরী সনে ৷ ১ম হিজরীর মাস গুলো বাদ দিয়ে হিজরী সন গণনা করাটা জমহুর
তথা অধিকাৎশ ইমামের ঐক্যবদ্ধ অডিমবু৩ তর বিরোধী ৷৷ কারণ এটা সুপ্ৰসিদ্ধ যে হযরত ৩উমর
ইবন খঃা তোর (রা) )হিজরতের ১লা যুহাররম কে হিজবী বর্ষপঞ্জির পথম দিবস হিসেবে নির্ধারণ
করেছিলেন ৷ অন্যদিকে ইমাম মালিক (র) হিজররুত তর বছরের রবীউল আওয়াল মাস থেকে হিজরী
সনের সুচনা বলে মত প্রকাশ করেছেন ৷ ফলে হিজরী সনের সুচনাসষ্পর্কে তিনটি অভিমত
বিদ্যমান ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
বিশুদ্ধ মত হলো জমহুরের অভিমত যে, উহুদ যুদ্ধ তত য় হিজরীর শাওয়াল মাসে এবং
খন্দকের যুদ্ধ ৫ম হিজরীর শাওয়াল সালে সংঘটিত হয় ৷ তবে সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে
উবায়দুল্লাহ্ভ্রু সুএে এানাফি থেকে বর্ণিত যে, ইবন উমর (রা) বলেছেন উহুদ যুদ্ধের সময় আমার
বয়স ছিল ১৪ বছর ৷ যুদ্ধে অং শ গ্রহণের জন্যে আমি নিজেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পেশ
করলে তিনি আমাকে ৩াণুনা৩ পেনান ৷ খস্পাকের যুদ্ধের সময় আমি নিজেকে তীর নিকট পেশ
করি ৷ তখন আমার বয়স ১৫ বছর ৷ তিনি এবার আমাকে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দিলেন ৷ ইবন
উমর (রা) এর এ বক্তব্য সম্পর্কে উলামা-ই-কিরাম বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন ৷ এ প্রসৎগে বায়হাকী
বলেছেন যে, উহুদ যুদ্ধের দিবসে তিনি যখন নিজেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট পােণ করেছেন
তখন তার চৌদ্দতম বছর মাত্র শুরু হয়েছিল ৷ আর খন্দকের যুদ্ধের দিবসে যখন তিনি নিজেকে
পেশ করেছিলেন তখন তীর বয়স ১৫ বছর পুর্ণ হওয়ার শেষ পর্যায়ে ছিল ৷
আমি বলি, এমন ব্যাথ্যাও দেয়া যায় যে, খন্দকের যুদ্ধের দিলে তিনি যখন নিজেকে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট পেশ করেছিলেন তখন তীর বয়স ১৫ বছর পুর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৷ সাধারণতঃ ১৫
বছর পুর্ণ হলে বালকদেরকে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দেয়া হত ৷ ১৫ বছরের অধিক হবার জন্যে




مُخَالِفٌ لِقَوْلِ الْجُمْهُورِ؛ فَإِنَّ الْمَشْهُورَ أَنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ جَعَلَ أَوَّلَ التَّارِيخِ مِنْ مُحَرَّمِ سَنَةِ الْهِجْرَةِ. وَعَنْ مَالِكٍ: مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ الْهِجْرَةِ. فَصَارَتِ الْأَقْوَالُ ثَلَاثَةً. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالصَّحِيحُ قَوْلُ الْجُمْهُورِ أَنَّ أُحُدًا فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ، وَأَنَّ الْخَنْدَقَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهِ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: «عُرِضْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ وَأَنَا ابْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً فَلَمْ يُجِزْنِي، وَعُرِضْتُ عَلَيْهِ يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَأَنَا ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ فَأَجَازَنِي» . فَقَدْ أَجَابَ عَنْهَا جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ، مِنْهُمُ الْبَيْهَقِيُّ بِأَنَّهُ عُرِضَ يَوْمَ أُحُدٍ فِي أَوَّلِ الرَّابِعَةَ عَشْرَةَ، وَيَوْمَ الْأَحْزَابِ فِي أَوَاخِرِ الْخَامِسَةَ عَشْرَةَ. قُلْتُ: وَيَحْتَمِلُ أَنَّهُ أَرَادَ أَنَّهُ لَمَّا عُرِضَ عَلَيْهِ يَوْمَ الْأَحْزَابِ، كَانَ قَدِ اسْتَكْمَلَ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةَ، الَّتِي يُجَازُ لِمِثْلِهَا الْغِلْمَانُ، فَلَا يَبْقَى عَلَى هَذَا زِيَادَةٌ عَلَيْهَا. وَلِهَذَا لَمَّا بَلَّغَ نَافِعٌ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ: إِنَّ هَذَا لَفَرْقٌ بَيْنَ الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ. ثُمَّ كَتَبَ بِهِ إِلَى الْآفَاقِ. وَاعْتَمَدَ عَلَى ذَلِكَ جُمْهُورُ
পৃষ্ঠা - ২৮৭৩

অনুমতি আটকে থাকত না ৷ এ জন্যে নাফি যখন এই হাদীছ উমর ইবন আবদুল আযীযের নিকট
পাঠান তখন এই মন্তব্য করেছিলেন যে, নাবালক ও সাবালকের মধ্যে সীমা নির্ধারণকারী মানদণ্ড
হল এটি ৷ত তারপর তিনি এই হাদীছ ও এই মন্তব্য সব জায়গায় পীছিয়ে দেন ৷ জমহুব তথা
অধিকাৎশ আলিম এটাকেই নির্ভরযোগ্য অভিমত বলে গ্রহণ করেক্ষ্রুহৃহুন ৷ আল্লাহ্ইত ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক ও প্রমুখ খন্দকের যুদ্ধের ঘটনা এভাবেই উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন ইসহাক
বলেছেন, তারপর কথা হল ৫ম হিজরী সনের শাওয়াল মানেই ন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এ
প্ৰসংগে আমার নিকট বংনাি করেছেন উবায়দুল্লাহ্ ইবন কাব ইবন মালিক থেকে ৷ আরো বংনাি
করেছেন, মুহাম্মাদ ইবন কা’ব কুরাযী, যুহরী, আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদ৷ এবং আবদুল্লাহ
ইবন আবুবকর প্রমুখ ৷ত তাদের কেউ এমন তথ্য বর্ণনা করেছেন য সনাের বর্ণনায় নেই ৷ তবে
তারা সকলে বলেছেন, খন্দক যুদ্ধের পটভুমি এই যে, ইয়াহদী <নতা সালাম ইবন আবুল হুকায়ক
নয়রী, হুয়৷ ৷ই ইবন আখতার, কিনান৷ ইবন রা ৷বী ইবন আবুল হুকায়ক, হাওয৷ ইবন কায়স ওয়া ৷ইলী
এবং আবু আম্মার ওয়াইলীর নেতৃত্বে বনু নবীর ও বনু ওয়াইল পত্রের কতিপয় লেকে মিলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর বিরুদ্ধে একটি (জ ট বাধে ৷ তারা একসময় মক্কায় কুরায়শদের নিকট
উপ ত হয় ৷ তার৷ কুরায়শীদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (সাৰু)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণের আহ্বান
জানায় ৷ তারা আশ্বাস দিয়ে বলে যে, মুহাম্মাদ (সা) কে সমুলে উৎখাত না করা পর্যন্ত আমরা
তোমাদের সাথে থাকবই ৷ কুরায়শী লোকেরা তাদেরকে বলল, হে ইয়াহদী সম্প্রদায় ! আমরা
এবং ঘুহ৷ ম্মাদ (সা) যে বিষয়ে মতভেদ করছি তা সৃষ্টি হওয়ার পুর্বেকা র কিতাবের তোমরা অনুস৷ ৷রী
এবং তোমরা তখনও জ্ঞা ৷নবান ছিলে, আচ্ছা তোমরা ৷ই বল আমাদের ধর্ম ভ ৷,ল না কি মুহাম্মাদের
(সা) ধর্ম ? ইয়াহদী জোটের লোকেরা বলল, ওে ৷মাদের ধর্মই ররৎ৩ার ধর্মের চাইতে উত্তম ৷
তোমরা ৷ই সব্লু৩ তার অধিকতর নিকটবর্তী, সকল ইয়াহ্রদীদের সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআল৷ বলেন :

;ন্হ্রন্ওৰুএে ৷১ ণ্ত্রা
শ্ষ্ ; শ্ ৷০ষ্ ব্ল : শ্ :ষ্ধ্শ্০ ; শ্ ণ্াশ্ ! ষ্ষ্ৰুণ্শ্ষ্ন্, শ্০০প্টেশ্
৷ ঠুষ্টুার্মু
আপনি কিত ৷দেরকে দেখেননি যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল ৷ তারা আল্লাহ
ব্যতীত অন্যান্য উপাসে৷ বিশ্বাস করে ৷ তারা ক ফিবদেব সম্বন্ধে বলে, এদেরই পথ ঘুমিনদের

চেয়ে প্রকৃষ্টত র ৷ এরাই তারা যাদেরকে আল্লাহ লা নত করেছেন ৷ এবং আল্লাহ যাকে লা নত
করেন আপনি তার জন্যে কখনো কোন সাহায্যক৷ ৷বী পাবেন না ৷ (৪ নিস৷ ৫ ১ ৫২) ৷

তাদের উত্তর শুনে কুরায়শরা মহা খুশী ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তাবে
সানন্দে রাষী হয়ে গেল ৷ তারা সকলে একমত হল এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে লাগল ৷ এরপর
ইয়াহদী দল পাতফান গোত্রের নিকট যায় ৷ তাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ
নিতে প্ৰরোচিত করে ৷ নিজেরা এই যুদ্ধে অংশ নেবে বলে প্রতিশ্রুতি তারা পাতফানীদেরকে
দেয় ৷ কুরায়শরা যে যুদ্ধে শরীক হবে সে সৎবাদও তারা জানান ৷ পাতফড়ানীরা তাদের সাথে
একাত্মত৷ ঘোষণা করল ৷

২৪ ——

الْعُلَمَاءِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذَا سِيَاقُ الْقِصَّةِ مِمَّا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ: قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ كَانَتْ غَزْوَةُ الْخَنْدَقِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ، فَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، وَمَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ وَالزُّهْرِيُّ وَعَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَغَيْرُهُمْ مِنْ عُلَمَائِنَا، وَبَعْضُهُمْ يُحَدِّثُ مَا لَا يُحَدِّثُ بَعْضٌ، قَالُوا: إِنَّهُ كَانَ مِنْ حَدِيثِ الْخَنْدَقِ أَنَّ نَفَرًا مِنَ الْيَهُودِ - مِنْهُمْ: سَلَّامُ بْنُ أَبِي الْحَقِيقِ النَّضَرِيُّ، وَحُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ النَّضَرِيُّ، وَكِنَانَةُ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ أَبِي الْحَقِيقِ، وَهَوْذَةُ بْنُ قَيْسٍ الْوَائِلِيُّ، وَأَبُو عَمَّارٍ الْوَائِلِيُّ، فِي نَفَرٍ مِنَ بَنِي النَّضِيرِ وَنَفَرٍ مِنْ بَنِي وَائِلٍ، وَهُمُ الَّذِينَ حَزَّبُوا الْأَحْزَابَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - خَرَجُوا حَتَّى قَدِمُوا عَلَى قُرَيْشٍ مَكَّةَ، فَدَعَوْهُمْ إِلَى حَرْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالُوا: إِنَّا سَنَكُونُ مَعَكُمْ عَلَيْهِ، حَتَّى نَسْتَأْصِلَهُ. فَقَالَتْ لَهُمْ قُرَيْشٌ: يَا مَعْشَرَ يَهُودَ، إِنَّكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ الْأَوَّلِ وَالْعِلْمِ بِمَا أَصْبَحْنَا نَخْتَلِفُ فِيهِ نَحْنُ وَمُحَمَّدٌ، أَفَدِينُنَا خَيْرٌ أَمْ دِينُهُ؟ قَالُوا: بَلْ دِينُكُمْ خَيْرٌ مِنْ دِينِهِ وَأَنْتُمْ أَوْلَى بِالْحَقِّ مِنْهُ. 5 فَهُمُ الَّذِينَ أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِمْ: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُوا نَصِيبًا مِنَ الْكِتَابِ يُؤْمِنُونَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوتِ وَيَقُولُونَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا هَؤُلَاءِ أَهْدَى مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا سَبِيلًا أُولَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ وَمَنْ يَلْعَنِ اللَّهُ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ نَصِيرًا} [النساء: 51] الْآيَاتِ
পৃষ্ঠা - ২৮৭৪
(النِّسَاءِ 51 52) . فَلَمَّا قَالُوا ذَلِكَ لِقُرَيْشٍ سَرَّهُمْ وَنَشِطُوا لِمَا دَعَوْهُمْ إِلَيْهِ مِنْ حَرْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاجْتَمَعُوا لِذَلِكَ وَاتَّعَدُوا لَهُ، ثُمَّ خَرَجَ أُولَئِكَ النَّفَرُ مِنْ يَهُودَ حَتَّى جَاءُوا غَطَفَانَ مِنْ قَيْسِ عَيْلَانَ، فَدَعَوْهُمْ إِلَى حَرْبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَخْبَرُوهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ مَعَهُمْ عَلَيْهِ، وَأَنَّ قُرَيْشًا قَدْ تَابَعُوهُمْ عَلَى ذَلِكَ وَاجْتَمَعُوا مَعَهُمْ فِيهِ، فَخَرَجَتْ قُرَيْشٌ وَقَائِدُهَا أَبُو سُفْيَانَ، وَخَرَجَتْ غَطَفَانُ وَقَائِدُهَا عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ، فِي بَنِي فَزَارَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ عَوْفِ بْنِ أَبِي حَارِثَةَ الْمُرِّيُّ، فِي بَنِي مُرَّةَ، وَمِسْعَرُ بْنُ رُخَيْلَةَ بْنِ نُوَيْرَةَ بْنِ طَرِيفِ بْنِ سُحْمَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هِلَالِ بْنِ خُلَاوَةَ بْنِ أَشْجَعَ بْنِ رَيْثِ بْنِ غَطَفَانَ فِيمَنْ تَابَعَهُ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ أَشْجَعَ. فَلَمَّا سَمِعَ بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا أَجْمَعُوا لَهُ مِنَ الْأَمْرِ، ضَرَبَ الْخَنْدَقَ عَلَى الْمَدِينَةِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ يُقَالُ إِنَّ الَّذِي أَشَارَ
পৃষ্ঠা - ২৮৭৫

যথা সময়ে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে কুরায়শরা উয়ায়না ইবন হিসান ইবন হুযায়ফা ইবন বদর
-এর নেতৃত্বে পাতফানীরা ও ফাযাবীরা, হারিছ ইবন আওফ ইবন আবু হারিছা মুররী এর নেতৃত্বে
বনু মুররা গোত্রের লোকজন এবং মিসআর ইবন রুখড়ায়লা ইবন নুওয়ায়রা এর নেতৃত্বে আশজাঈ
গোত্রের লোকেরা যুদ্ধের জন্যে বের হয় ৷ ওদের আগমন ও পরিকল্পিত যুদ্ধ প্রন্তুতির সংবাদ শুনে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনার সীমানায় পরিখা (খন্দক) খননের নির্দেশ দিলেন ৷ ইবন হিশাম বলেন,
পরিখা থননের পরামর্শ দিয়েছিলেন হযরত সালমান ফাবেসী (রা ) ৷

তাবারী ও সুহায়লী বলেন, যুদ্ধে সর্ব প্রথম পরিখা খনন করেছিল , মনুচেহ্র ইবন ঈরাজ ইবন
আফবীদুন ৷ সে ছিল মুসা (আ)-এর যুগের লোক ৷ ইবন ইসহাক বলেন, মুসলমড়ানদেরকে এ
ছাওযাবের কাজে উৎসাহিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজেও পরিখা খননে অংশ নেন ৷ মুসলিম
সৈনম্পোণ তার সাথে পরিখা খনন করেন ৷ মুনাফিকদের একটি দল শারিরীক দৃর্বলতার অজুহাতে এ
কাজ থেকে বিরত থাকে ৷ তাদের কতক আবার রাসুলুল্লাহ্ (ৰুন্ন্দ্)এ্যা অনুমতি ও অবগতি
ব্যতিবেকে চুপিসারে পালিয়ে যায় ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা আয়াত নাযিল করে বলেন :

তারাই মু’মিন যারা আল্লাহ্ এবং তার রাসুলের প্রতি ঈমান আসে এবং রাসুলের সাথে
সামষ্টিক ব্যাপারে একত্র হলে তার অনুমতি ব্যতীত সরে পড়েনা ৷ যারা আপনার অনুমতি প্রার্থনা
করে তারাই আল্লাহ্ এবং তার রাসুলে বিশ্বাসী ৷ অতএব, তারা তাদের কোন কাজে বাইরে যাবার
জন্যে আপনার অনুমতি চাইলে তাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছা আপনি অনুমতি দেবেন এবং তাদের
জন্যে আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থাংড়া করবেন ৷ আল্লাহ্ ক্ষমাশীল , পরম দযালু ৷ রাসুলের অড়াহ্বানকে
তোমরা (তামাদের একে অপরের প্রতি আহ্বানের ন্যায় গণ্য করো না , তোমাদের মধ্যে যারা চুপি
চুপি সরে পড়ে আল্লাহ্ তাদেরকে জানেন ৷ সুতরাং যারা তার আদেশের বিরোধিতা করে তারা
সতর্ক থাকুক যে, বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হয়ে তাদের উপর কঠিন
শাস্তি ৷ জেনে রেখো, আকাশরাজি ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা আল্লাহ্রই ৷ তোমরা যাতে
ব্যাপৃত তিনি তা জানেন, যেদিন তারা তার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে সেদিন তিনি তাদেরকে জানিয়ে
দেবেন, তারা যা করত ৷ আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ ৷ (২৪ নুর : ৬২-৬৪ ) ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মুসলিম সৈন্যগণ পরিখা খনন করতে লেগে গেলেন এবং উত্তমভাবে
তা সম্পন্ন করলেন ৷ জনৈক মুসলমানকে উপলক্ষ করে তারা কবিতা ও আবৃত্তি করেছিলেন ৷
ল্যেকটির নাম ছিল জুআঈল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নামকরণ করেন আমর ৷ তখন মুসলমানগণ
নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করলেন :

৪১১ ১১ ,,ন্ওঞ ১ব্লে১ ৷বুন্ন্হ্ন,ন্ান্ন্১ট্ব্ল ,ণ্হ্১ পু>:ণ্ ’০শু১
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নাম রাখলেন আমর ৷ প্রথমে তার নাম ছিল জুআঈল ৷ এক সময় সে
ফকীর মিসকীন ও অভাবীদের সাহায্যকারী ছিল ৷

কবিতা আবৃত্তি করতে গিয়ে ওার৷ যখন আম র৷ ণ্৷ উচ্চারণ করতেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ও
তাদের সাথে আমরান উচ্চারণ করতেন ৷ তারা যখন যাহরান” উচ্চারণ করতেন তখন তিনিও
“যাহরান” উচ্চারণ করতেন ৷




بِهِ سَلْمَانُ. قَالَ الطَّبَرِيُّ وَالسُّهَيْلِيُّ: أَوَّلُ مَنْ حَفَرَ الْخَنَادِقَ مِنُوشِهْرُ بْنُ إِيرَجَ بْنِ أَفْرِيدُونَ، وَكَانَ فِي زَمَنِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَعَمِلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرْغِيبًا لِلْمُسْلِمِينَ فِي الْأَجْرِ، وَعَمِلَ فِيهِ الْمُسْلِمُونَ، وَتَخَلَّفَ طَائِفَةٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ يَعْتَذِرُونَ بِالضَّعْفِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْسَلُّ خُفْيَةً بِغَيْرِ إِذْنِهِ وَلَا عِلْمِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِي ذَلِكَ قَوْلَهُ تَعَالَى: {إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَإِذَا كَانُوا مَعَهُ عَلَى أَمْرٍ جَامِعٍ لَمْ يَذْهَبُوا حَتَّى يَسْتَأْذِنُوهُ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَأْذِنُونَكَ أُولَئِكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ فَإِذَا اسْتَأْذَنُوكَ لِبَعْضِ شَأْنِهِمْ فَأْذَنْ لِمَنْ شِئْتَ مِنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمُ اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ لَا تَجْعَلُوا دُعَاءَ الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَاءِ بَعْضِكُمْ بَعْضًا قَدْ يَعْلَمُ اللَّهُ الَّذِينَ يَتَسَلَّلُونَ مِنْكُمْ لِوَاذًا فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ أَلَا إِنَّ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ قَدْ يَعْلَمُ مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ وَيَوْمَ يُرْجَعُونَ إِلَيْهِ فَيُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوا وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ} [النور: 62] (النُّورِ: 62 64) قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَعَمِلَ الْمُسْلِمُونَ فِيهِ حَتَّى أَحْكَمُوهُ، وَارْتَجَزُوا فِيهِ بِرَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يُقَالُ لَهُ: جُعَيْلٌ. سَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمْرًا، فَقَالُوا فِيمَا يَقُولُونَ:
পৃষ্ঠা - ২৮৭৬

বুখারী (র) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ আনাস (বা) সুত্রে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) পরিখ৷ এলাকায় গমন করলেন ৷ তিনি সেখানে দেখতে পেলেন যে, শীতকালের ভোর
বেলায় আনসার ও মুহাজিরগণ পরিখ৷ খনন করছেন ৷ র্তাদের পক্ষ হয়ে কাজ করে দেয়ার মত
কোন দাস র্তাদের ছিল না ৷ র্তাদের দুঃখ কষ্ট ও ক্ষুধা দেখে তিনি দুআ করে বললেন,


হে আল্লাহ ! আখিরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন ৷ আপনি আনস৷ র ও মুহাজিরদেরকে ক্ষমা
করে দিন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দৃআর জবাবে র্তারা বললেন ঘ্র


আমরা মুহাম্মাদ (সা) এর হাতে বায় আত করেছি এবং মঙ্গীকার করেছি যে যত দিন বেচে
থাকর জিহ৷ ৷দ করেই যাব ৷

সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে শুব৷ আনাস (বা) সুত্রে অনুরুপ হাদীছ বর্ণিত আছে ৷
ইমাম মুসলিম (র) হাম্মাদ আনাস (বা) সুত্রে অনুরুপ উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম বুখারী (র)
বলেছেন, আবুমামার আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, মদীনার সীমানায়

আনসার ও মৃহাজিরগণ পরিখ৷ খনন করছিলেন, নিজেদের পিঠে করে তারা মাটি বহন করছিলেন,
এবং এ কবিতা আবৃত্তি করছিলেন :

া’;টু’৷ ৷ৰু,ট্রু;ঠুাট্রু ট্রু,ট্রু;এ ৷ ;,শ্ট্রু
আমরা মুহাম্মাদ (সা) এর হাতে বায় আত করেছি এ বিষয়ে যে য়৩ তদিন বেচে থাকি
ইসলামের পথে অবিচল ও অটল থাকর ৷
তাদের কবিতার জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :

ণ্

স্পোা৷৷ ৷

বর্ণনাকা বী বলেন, পরিখ৷ খননের এই কষ্টময় সময়ে র্তাদের খাদ্য হিসেবে আজলা ভরে য়ব

আনা হতে৷ আর দুর্গন্ধযুক্ত চর্বি মিশি ৷য়ে তা দিয়ে তাদের জন্যে খাদ্য তৈরী করা হত ৷ সেই স্বল্প

পরিমাণ খাদ্য র্ত৷ ৷দের সম্মুখে রাখা হত ৷ অথচ তারা সকলে তখন অভুক্ত তদুপরি ওই খাদ্য গলায়
আটকে যেত এবং ৷দুর্গন্ধময়ও ছিল ৷

বুখারী বলেন, কুতায়ব৷ ইবন সাঈদ সাহ্ল ইবন সাদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে খন্দকের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম ৷ মুসলিম মুজাহিদগণ
পরিখ৷ খনন করছিল ৷ আমরা কাধে বয়ে মাটি সরাচ্ছিলাম ৷ এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন :

ইমাম মুসলিম (রা) কানবী সুত্রে আবদুল আযীয থেকে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷


سَمَّاهُ مِنْ بَعْدِ جُعَيْلٍ عَمْرًا ... وَكَانَ لِلْبَائِسِ يَوْمًا ظَهْرَا «وَكَانُوا إِذَا قَالُوا عَمْرَا. قَالَ مَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَمْرَا " وَإِذَا قَالُوا: ظَهْرَا. قَالَ لَهُمْ: " ظَهْرَا ".» . وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ حُمَيْدٍ، سَمِعْتُ أَنَسًا، قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْخَنْدَقِ، فَإِذَا الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ يَحْفِرُونَ فِي غَدَاةٍ بَارِدَةٍ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ عَبِيدٌ يَعْمَلُونَ ذَلِكَ لَهُمْ، فَلَمَّا رَأَى مَا بِهِمْ مِنَ النَّصَبِ وَالْجُوعِ قَالَ: " اللَّهُمَّ إِنَّ الْعَيْشَ عَيْشُ الْآخِرَةِ فَاغْفِرْ لِلْأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ فَقَالُوا مُجِيبِينَ لَهُ: نَحْنُ الَّذِينَ بَايَعُوا مُحَمَّدًا ... عَلَى الْجِهَادِ مَا بَقِينَا أَبَدَا » وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَنَسٍ، نَحْوَهُ وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ بِنَحْوِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৮৭৭
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: جَعَلَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ يَحْفِرُونَ الْخَنْدَقَ حَوْلَ الْمَدِينَةِ وَيَنْقُلُونَ التُّرَابَ عَلَى مُتُونِهِمْ، وَيَقُولُونَ: نَحْنُ الَّذِينَ بَايَعُوا مُحَمَّدًا ... عَلَى الْجِهَادِ مَا بَقِينَا أَبَدَا قَالَ: يَقُولُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُجِيبُهُمْ: «اللَّهُمَّ إِنَّهُ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الْآخِرَةِ، فَبَارِكْ فِي الْأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ» قَالَ: يُؤْتَوْنَ بِمِلْءِ كَفِّي مِنَ الشَّعِيرِ، فَيُصْنَعُ لَهُمْ بِإِهَالَةٍ سَنِخَةٍ تُوضَعُ بَيْنَ يَدَيِ الْقَوْمِ وَالْقَوْمُ جِيَاعٌ، وَهِيَ بَشِعَةٌ فِي الْحَلْقِ، وَلَهَا رِيحٌ مُنْتِنٌ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْخَنْدَقِ، وَهُمْ يَحْفِرُونَ، وَنَحْنُ نَنْقُلُ التُّرَابَ عَلَى أَكْتَادِنَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اللَّهُمَّ لَا عَيْشَ إِلَّا
পৃষ্ঠা - ২৮৭৮

বুখারী বলেছেন, মুসলিম ইবন ইব্রাহীম বার৷ ইবন আযিব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে খন্দক যুদ্ধে মাটি সরিয়েছেন ৷ তাতে তার পবিত্র পেটও
ধুলায়িত হয়ে পড়ে ৷ তিনি তখন নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করছিলেন :

া৷;া৷;১ ৰুাট্রু ৷ছুট্রুব্রা৷;; ৰুাট্রু — ৷ছুপু ট্ট্রুর্দুণ্ড্রাট্রু হুদু৷ ৷ রুাটু৷ «fl ৷)
আল্লাহর কসম , আল্লাহ্র দয়া না থাকলে আমরা হিদায়াত ণ্পতাম না ৷ আমরা সাদকাও
করতাম না ৷ নামাযও পড়তাম না ৷

া৷াৰু৷ ১৷ ব্লুা৷দ্বুরু৷ পুাদ্বু;া৷

হে আল্লাহ ! আপনি আমাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করুন এবং আমরা যখন শত্রুর মুখোমুখি
হব, তখন আমাদেরকে সুদৃঢ় ও অবিচল রাখুন :

র্চুটু প্রুৰু৷ ৰুৰুৰুন্ ; ৷র্টুা৷ৰু৷ ৷ট্র৷ ৷ৰুং “: ৷ৰু;ছু;ঠু ংাছুন্ ষ্’া’১া৷ , ৷
হে আল্লাহ ! শত্রুরা আমাদের প্ৰতি সীমালং ×ঘন করেছে ৷ ওরা যখনই কোন ফিতনা ফাসাদ
সৃষ্টির চেষ্টা ৷করেছে তখনই আমরা তা প্রতিরোধ করি ৷ প্ৰ৩ ৷৷খ্যান করি ৷ রাসুলুলুড়াহ্ (সা) ৷ ৷

শব্দ উচ্চারণ করার সময় উচ্চস্বরে ৷ ৷ ৷ ৷ বলছিলেন ৷ মুসলিম (র) ওশু বা সুত্রে এ
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

এরপর ইমাম বুখারী (র) বলেছেন, আহমদ ইবন উছমান প্রমুখ এবং বাবা (রা) থেকে, বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেছেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিখ৷ খনন করেছিলেন ৷ আমি
তাকে দেখেছি যে, তিনি পরিখার মাটিগুলে৷ অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ এক পর্যায়ে এমন হল যে,
মাটির আবরণে তীর পবিত্র পেটের চামড়া ঢেকে গেল ৷৩ তার শরীরে প্রচুর সোম ছিল ৷ আমি
শুনেছি, তিনি মাটি বহন করেছিলেন আর আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ বিরচিত এই কবিতা পা ৷ঠ
করছিলেন :

ৰুা”,৷ ন্বুা৷া

শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্

এখুবু)

বায়হার্কী (র) তার৷ দাল লাইল গ্রন্থে বলেছেন, আ ৷লী ইবন আহমদ সালমান (বা) থকে
বর্ণনা করেন ৷ র ৷সুলুল্লাহ্ (সা ) পরিখ৷ খননে অংশ গ্রহণ করেন এবং তখন তিনি এ কবিতা আবৃত্তি
করেছেন :


শ্০শ্শ্ ণ্শ্০ :

আরম্ভ করছি আল্লাহর নামে ৷ তার দয়ায় আমরা হিদায়াত পেয়েছি ৷ আমরা যদি তাকে ছাড়া
অন্য কারো ইরাদত করতাম তবে নিঃসন্দেহে আমরা হতভাপ্য হয়ে যেতাম ৷


عَيْشُ الْآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنِ الْقَعْنَبِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْقُلُ التُّرَابَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ حَتَّى أَغْمَرَ بَطْنَهُ - أَوِ اغْبَرَّ بَطْنُهُ - يَقُولُ: وَاللَّهِ لَوْلَا اللَّهُ مَا اهْتَدَيْنَا ... وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَا فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا ... وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لَاقَيْنَا إِنَّ الْأُلَى قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا ... إِذَا أَرَادُوا فِتْنَةً أَبَيْنَا وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهُ: " أَبَيْنَا أَبَيْنَا» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ يُحَدِّثُ قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْأَحْزَابِ وَخَنْدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَأَيْتُهُ يَنْقُلُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৮৭৯
تُرَابِ الْخَنْدَقِ حَتَّى وَارَى عَنِّي التُّرَابُ جِلْدَةَ بَطْنِهِ، وَكَانَ كَثِيرَ الشِّعْرِ، فَسَمِعْتُهُ يَرْتَجِزُ بِكَلِمَاتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ، وَهُوَ يَنْقُلُ مِنَ التُّرَابِ يَقُولُ: اللَّهُمَّ لَوْلَا أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا ... وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَا فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا ... وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لَاقَيْنَا إِنَّ الْأُلَى قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا ... وَإِنْ أَرَادُوا فِتْنَةً أَبَيْنَا ثُمَّ يُمَدُّ صَوْتَهُ بِآخِرِهَا» . وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ الْفَضْلِ الْبَلْخِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُسَيَّبُ بْنُ شَرِيكٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَرَبَ فِي الْخَنْدَقِ وَقَالَ: بِسْمِ اللَّهِ وَبِهِ هُدِينَا وَلَوْ عَبَدْنَا غَيْرَهُ شَقِينَا يَا حَبَّذَا رَبًّا وَحَبَّ دِينًا» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ২৮৮০

আহ ৷ কতই না ভাল প্রভু ! আহ! কতই না ভাল দীন ৷ এই সনদের এটি একক বর্ণনা ৷ ইমাম
আহমদ বলেন, সুলায়মান হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ মুজাহিদগণ পরিখা
খনন করছিল তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন :

হু;ড্রুপ্রুঢু,পুৰুদ্বু৷ ৷, ,শু>৷ ৷ ৰু ৷ “ ঢু; ;,গ্রা৷ ;;; ছু৷ র্বৃ,টু ; ন্৷ ট্রুচুৰুা৷া
হে আল্লাহ! পরকালের কল্যাণ ব্যতীত প্রকৃত কোন কল্যাণ (নই ৷ আপনি আনসার ও
মুহড়াজিরদেরকে পরিংত্তদ্ধ করে দিন ৷ বুখারী ও মুসলিম তাদের সহীহ গ্নন্থদ্বয়ে এ হাদীছটি গুনদার
সুত্রে শুবা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, পরিখা খননকালে এমন কতক ঘটনা ঘটেছে বলে আমার নিকট হড়াদীছ
পৌছেছে যে ঘটনাওলাের মধ্যে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ৷ষ্ণ্ক্ষথীয় বিষয় রয়েছে ৷ সে ঘটনা
গুলোতে প্রমাণ রয়েছে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সত্যায়নের এবং তার নুবুওয়াতের যথার্থতার ৷
উপস্থিত মুসলমানগণ ওহী সব ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন ৷ তার একটি এই হযরত জাবির (রা )
বর্ণনা করেছেন যে, একটি পরিখা খনন করার সময় তারা একটি কঠিন শিলা খন্ডের মুখোমুখি
হন ৷ কোন কুঠার ও শাবল দ্বারা তা ভাঙ্গা যাচ্ছিল না ৷ তারা বিষয়টি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
জানালেন ৷ তিনি এক পাত্র পানি আনতে বললেন ৷ তিনি ওই পানিতে তার পবিত্র মুখের থু থু
মিশিয়ে তারপর দৃআ করলেন ৷ তারপর ওই পাথরে পানিটুকু ছিটিয়ে দিলেন ৷ সেখানে যারা
উপস্থিত ছিল তারা বলল যে, যে মহান সত্তা তাকে সত্য রাসুলরুপে প্রেরণ করেছেন তার কলম ,
ওইপাথর একেবারেই নরম হয়ে গেল ৷ এমনকি তা বালুর ঢিবিতে পরিণত হল ৷ তারপর আর
কোন কুঠার কিৎরা রেলচার আঘাত ব্যর্থ হয়নি ৷ ইবন ইসহাক এভাবে হযরত জাবির (রা) থেকে
সনদ ছাড়া এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

বুখারী (র ) বলেছেন, খড়াল্লাদ ইবন ইয়াহ্য়া আয়মান সুত্রে বলেছেন যে, তিনি বলেন, আমি
হযরত জাবির (রা) এর নিকট এসেছিলাম ৷ তখন তিনি আমাকে বললেন যে, খন্দক যুদ্ধের দিনে
আমরা পরিখা খনন করছিলাম ৷ আমাদের সামনে পড়ল একটি কঠিন শিলাখণ্ড ৷ লোকজন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে তাকে ঘটনা জানান ৷ তিনি বললেন, আমি নিজে ওই পরিখড়াতে
নামব ৷ তিনি উঠলেন ৷ তার পেটে পাথর বাধা ছিল ৷ তিনদিন আমরা কোন খাবার খেতে পাইনি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) শাবল হাতে নিলেন ৷ তারপর ওই শিলাখণ্ডে আঘাত করলেন ৷ সেটি বালির ঢিবি
বালির স্তুপের ন্যায় হয়ে গেলে ৷ হযরত জাবির (রা) বলেন, আমি তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নিকট আরয করলাম যে, আমাকে একটু বাড়ী যাবার অনুমতি দিন ৷ তিনি অনুমতি দিলেন ৷ বাড়ী
গিয়ে আমি আমার ত্রীকে বললাম, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এতই ক্ষুধার্ত ও করুণ অবস্থায়
দেখে এসেছি যে, আমি আর ধৈর্য ধারণ করতে পারছিলাম না ৷ তোমার নিকট কি কোন খাদ্য দ্রব্য
আছে ? সে বলল, আমার নিকট সামান্য বর ও একটি বকরীর বাচ্চা আছে ৷ আমি ওটি যবাই
করলাম ৷ সে যবগুলো পিষে নিল ৷ আমরা পাতিলে গোশত ঢেলে রান্না চডিয়ে দিলাম ৷ আমি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এলাম ৷ তখন আটাগুলো পৃথক করার খামীরের পর্যায়ে ছিল এবং


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ، وَهُمْ يَحْفِرُونَ الْخَنْدَقَ: " اللَّهُمَّ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الْآخِرَةِ فَأَصْلِحِ الْأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَةَ» " وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ فِي حَفْرِ الْخَنْدَقِ أَحَادِيثُ بَلَغَتْنِي، فِيهَا مِنَ اللَّهِ تَعَالَى عِبْرَةٌ فِي تَصْدِيقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَحْقِيقِ نُبُوَّتِهِ، عَايَنَ ذَلِكَ الْمُسْلِمُونَ؛ فَمِنْ ذَلِكَ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ «كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّهُ اشْتَدَّتْ عَلَيْهِمْ فِي بَعْضِ الْخَنْدَقِ كُدْيَةٌ، فَشَكَوْهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَا بِإِنَاءٍ مِنْ مَاءٍ، فَتَفَلَ فِيهِ، ثُمَّ دَعَا بِمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَ بِهِ، ثُمَّ نَضَحَ الْمَاءَ عَلَى تِلْكَ الْكُدْيَةِ، فَيَقُولُ مَنْ حَضَرَهَا: فَوَالَّذِي بَعَثَهُ بِالْحَقِّ لَانْهَالَتْ حَتَّى عَادَتْ كَالْكَثِيبِ مَا تَرُدُّ فَأْسًا وَلَا مِسْحَاةً» هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ مُنْقَطِعًا، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ২৮৮১

চুলার উপর পাতিলের গোশত রান্না হয়ে আসছিল ৷ আমি বললাম , ইয়৷ রাসুলাল্পাহ্! আমার
বাড়ীতে সামান্য খাবার আছে ৷ আপনি চলুন ৷ সাথে এক দু’জন লোক নেয়া যায় ৷ তিনি বললেন,
খাদ্যের পরিমাণ কতটুকু ? আমি পরিমাণ বললাম, তিনি বললেন, ভাল, ভাল , তড়াতে৷ অনেক
বেশী ৷ তুমি তোমার প্রীকে গিয়ে বল, আমি না আশা পর্যন্ত যেন চুলা থেকে পাতিল না নামায় আর
তন্দুর থেকে রুটি বের না করে ৷ এদিকে তিনি সবাইকে বললেন, চল , সকলে আস ৷ তাতে
মুহাজির এবং আনসার উপস্থিত সবাই যাত্রা করলেন ৷ হযরত জাবির (বা) তার শ্ৰীর নিকট গিয়ে
বললেন, হায় কপাল ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) আনসার, মুহাজির এবং তাদের সাদুণ যারা আছে সবাইকে
নিয়ে যাত্রা করেছেন ৷ তার শ্রী বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছিলেন ?
আমি বললাম, হা জিজ্ঞেস করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, সকলে সুশৃৎখঃলভাবে ভেতরে
প্রবেশ কর ৷ কোন প্রকারের হুড়ােহুড়ি না হয় ৷ এবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বহস্তে রুটি ভেঙ্গে তাতে
গোশত দিয়ে এক একজন করে দিতে লাগলেন ৷ একেক বার নেয়ার পর তিনি পাতিল ও চুলাে
ঢেকে রাখছিলেন ৷ এভাবে দিচ্ছিলেন আর ঢেকে রাখছিলেন ৷ রুটি ভেঙ্গে দিতে দিতে এবং
গােশতের পাতিল থেকে গোশত তুলে দিতে দিতে একে একে সকলের তৃপ্তি সহকারে খাওয়া
হয়ে গেল ৷ তবু কিছু খাবার অবশিষ্ট রয়ে গেল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জাবির (রা)-এর ন্তীকে বললেন,
এটা তুমি খাও এবং অন্যকে উপহার হিসেবে দাও ৷ কারণ, আশে পাশের লোকজন অভুক্ত আছে ৷
এই বর্ণনা ইমাম বুখারী (র) একাই উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র ) উকী জাবির
(রা) সুত্রে কঠিন শিলাখও এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পবিত্র পােট পাথর বাধার ঘটনা বর্ণনা
করেছেন ৷ বায়হাকী (র) দালাইল গ্রন্থে হাকিম জাবির (বা) সুত্রে কঠিন শিলাখণ্ড এবং
খাদ্য তৈরীরও পরিরেশনের ঘটনা উদ্ধৃত করেছেন ৷ তার বংনািটি ইমাম বুখারী (র) এর বনাি
অপেক্ষা দীর্ঘ ও পুণঙ্গি ৷ ওই বর্ণনায় আছে যে, খাবারের পরিমাণ সম্পর্কে অবগত হবার পর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) উপস্থিত সকল মুসলমানকে বললেন, সবাই জাবির (বা) এর বাড়ী চল ৷ সবাই
যাত্রা করলেন ৷ জাবির (বা) বলেন, আমি তাতে এত বেশী লজ্জিত হয়ে পড়েছিলাম যা আল্লাহ
ছাড়া কেউ জানে না ৷ আমি মনে মনে বললাম , হায় ৷ আমার এক সা (৩৫ সের প্রায়) য়ব ও
একটি ছোট্ট বকরীর বাচ্চার তৈরী খাবারের জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিরাট জামাত নিয়ে আসছেন ৷
আমি আমার শ্রীর নিকট গিয়ে বললাম , এবার তোমার লজ্জা পাওয়ার পালা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খন্দক
যুদ্ধে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে তোমার বাড়ীতে আসছেন ৷ শ্রী বলল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি আপনাকে
খাদ্যের পরিমাণ জিজ্ঞেস করেছেন ? আমি বললাম, হা, জিজ্ঞেস করেছেন ৷ সে বলল, তবে
আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন ৷ আমরা তো আমাদের নিকট যা আছে তা জানিয়ে দিয়েছি ৷
তার কথায় আমার প্রচন্ড দুশ্চিভার অবসান হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাড়ী এলেন ৷ আমার ত্রীকে
বললেন, তুমি রুটি পােশতের ব্যাপারটি আমার হাতে ছেড়ে দাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) রুটি ভেঙ্গে
ভেঙ্গে আর পাতিল থেকে গোশত তুলে তুলে দিচ্ছিলেন ৷ রুটি নেয়ার পর চুলা এবং গোশত
নেয়ার পর পাতিল ঢেকে রাখছিলেন ৷ তিনি এভাবে সবাইকে খাদ্য পরিবেশন করছিলেন ৷ এক
পর্যায়ে সবারই তৃপ্তির সাথে খাওয়া শেষ হল ৷ চুলা ও পাতিলে শুরুতে যা খাবার ছিল এখন তার
চাইতে আরো বেশী অবশিষ্ট থাকল ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) জাবির (রা ) এর ত্রীকে বললেন, এবার তু


وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ: حَدَّثَنَا خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَتَيْتُ جَابِرًا فَقَالَ: إِنَّا يَوْمَ الْخَنْدَقِ نَحْفِرُ، فَعَرَضَتْ كَيْدَةٌ شَدِيدَةٌ، فَجَاءُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: هَذِهِ كُدْيَةٌ عَرَضَتْ فِي الْخَنْدَقِ. فَقَالَ: «أَنَا نَازِلٌ " ثُمَّ قَامَ وَبَطْنُهُ مَعْصُوبٌ بِحَجَرٍ، وَلَبِثْنَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ لَا نَذُوقُ ذَوَاقًا، فَأَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمِعْوَلَ فَضَرَبَ، فَعَادَ كَثِيبًا أَهْيَلَ أَوْ أَهْيَمَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي إِلَى الْبَيْتِ. فَقُلْتُ لِامْرَأَتِي: رَأَيْتُ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا مَا كَانَ فِي ذَلِكَ صَبْرٌ، فَعِنْدَكِ شَيْءٌ؟ قَالَتْ: عِنْدِي شَعِيرٌ وَعَنَاقٌ. فَذَبَحَتِ الْعَنَاقَ، وَطَحَنَتِ الشَّعِيرَ، حَتَّى جَعَلْنَا اللَّحْمَ فِي الْبُرْمَةِ، ثُمَّ جِئْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالْعَجِينُ قَدِ انْكَسَرَ، وَالْبُرْمَةُ بَيْنَ الْأَثَافِيِّ قَدْ كَادَتْ أَنْ تَنْضَجَ، فَقُلْتُ: طُعَيِّمٌ لِي، فَقُمْ أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَرَجُلٌ أَوْ رَجُلَانِ. قَالَ: " كَمْ هُوَ؟ " فَذَكَرْتُ لَهُ، فَقَالَ: " كَثِيرٌ طَيِّبٌ، قُلْ لَهَا لَا تَنْزِعِ الْبُرْمَةَ وَلَا
পৃষ্ঠা - ২৮৮২
الْخُبْزَ مِنَ التَّنُّورِ حَتَّى آتِيَ ". فَقَالَ: " قُومُوا " فَقَامَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ قَالَ: وَيْحَكِ، جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَمَنْ مَعَهُمْ. قَالَتْ: هَلْ سَأَلَكَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. فَقَالَ: " ادْخُلُوا وَلَا تَضَاغَطُوا " فَجَعَلَ يَكْسِرُ الْخُبْزَ، وَيَجْعَلُ عَلَيْهِ اللَّحْمَ، وَيُخَمِّرُ الْبُرْمَةَ وَالتَّنُّورَ إِذَا أَخَذَ مِنْهُ، وَيُقَرِّبُ إِلَى أَصْحَابِهِ، ثُمَّ يَنْزِعُ، فَلَمْ يَزَلْ يَكْسِرُ الْخُبْزَ وَيَغْرِفُ حَتَّى شَبِعُوا، وَبَقِيَ بَقِيَّةٌ، قَالَ: " كُلِي هَذَا وَأَهْدِي، فَإِنَّ النَّاسَ أَصَابَتْهُمْ» مَجَاعَةٌ تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ أَيْمَنَ الْحَبَشِيِّ مَوْلَى بَنِي مَخْزُومٍ، عَنْ جَابِرٍ بِقِصَّةِ الْكُدْيَةِ وَرَبْطِ الْحَجَرِ عَلَى بَطْنِهِ الْكَرِيمِ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ بِقِصَّةِ الْكُدْيَةِ وَالطَّعَامِ، وَطُولُهُ أَتَمُّ مِنْ رِوَايَةِ الْبُخَارِيُّ؛ قَالَ فِيهِ: «لَمَّا عَلِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِقْدَارِ الطَّعَامِ قَالَ لِلْمُسْلِمِينَ جَمِيعًا: " قُومُوا إِلَى جَابِرٍ " فَقَامُوا، قَالَ: فَلَقِيتُ مِنَ الْحَيَاءِ مَا لَا يَعْلَمُهُ إِلَّا اللَّهُ، وَقُلْتُ: جَاءَ بِالْخَلْقِ عَلَى صَاعٍ مِنْ شَعِيرٍ وَعَنَاقٍ! وَدَخَلْتُ عَلَى امْرَأَتِي أَقُولُ: افْتَضَحْتِ؛ جَاءَكِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ২৮৮৩

নিজে খাও এবং প্রতিবেশীদেরকে হাদিয়া স্বরুপ দাও ৷ সে দিন পুর্ণ দিবস সে নিজে থেয়েছে এবং
প্রতিবেশীদেরকে দান করেছে ৷

আবু বকর ইবন আবু শায়বা হযরত জাবির সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ সেটি
আরো দীর্ঘ ওই হাদীছের শেষ দিকে আছে যে, তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, তার বাড়ীতে
উপস্থিত মুজাহিদদের সংখ্যা ৮০০; অথচ তিনি বলেছেন ৩০ : ৷ ইউনুস ইবন বুকায়র
জাবির (রা) সুত্রে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তিনি খাবার সম্পর্কিত হাদীছটি উল্লেখ করেছেন ৷
তিনি উদ্ধৃত করেছেন যে, উপস্থিত লোকজনের সংখ্যা ছিল ৩০০ ৷

এরপর ইমাম বুখাবী (র) বলেছেন, আমর ইবন আলী জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা)
সুত্রে বলেছেন, পবিখা যখন খনন করা হচ্ছিল তখন আমি রাসুলুল্লহ্ (সা) এর মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষুধার
আলামত দেখতে প ই ৷ আ ৷মি আমার ত্রীর নিকট ফিরে আসি ৷ আমি তাকে বলি “ তামার নিকট
কি কোন খাবার আছে ? আমি তো রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত অবস্থায় রেখে এসেছি ৷ সে
আমাকে একটি থলে বের করে দিল ৷৩ তার মধ্যে ছিল এক স৷ ৷ ৩ ৫ সের প্রায়) যব ৷ আর
আমাদের একটি ছোট্ট বকরী ছিল ৷ আমি বকরীটি যবাই করে দিলাম ৷ সে যবগুলে৷ পষে আটা

বানিয়ে নিল ৷ সে তার কাজ শেষ করল, আমি আমার কাজ শেষ করলাম ৷ বকরীর গোশত কেটে
আমি পাতিলে রাখলাম ৷ত তারপর আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম ৷ শ্রী বলল,
দেখুন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সাথে যারা আছেন সবাইকে এনে আমাকে লজ্জা দিবেন না ৷ আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট এলাম ৷ তার কানে কানে রললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমাদের
এক সা পরিমাণ যব ছিল ৷ সেগুলো আমরা গিয়েছি ৷ ছোট্ট একটা বকরী ছিল ৷ সেটি যবাই
করেছি ৷ আপনি অল্প কয়েকজন লোক নিয়ে যেহেরবানী করে আসুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উচ্চস্বরে
সবাইকে ডেকে বললেন, হে খন্দকে উপস্থিত লোকজন ! জাবির (রা) তোমাদের জন্যে খাবার
তৈরী করেছে ৷ সুতরাং তোমরা সকলে চল ৷ তিনি আমাকে বললেন যে, আমি না আসা পর্যন্ত
তোমরা চুলার উপর থেকে পাতিল নামারে না এবং খামার দিয়ে রুটি বানাবে না ৷

আমি আমার বাড়ীতে এলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকজন নিয়ে এসে পৌছলেন ৷ আমি আমার
ত্রীর নিকট উপস্থিত হলাম ৷ সে আমাকে দোষারুপ করে বলল, আপনি কী করলেন ? আমি
বললাম, তুমি যেভাবে বলতে বলেছিলে আমি সেভ৷ ৷রেই বলেছি ৷ সে আ টা৷গুলো বের করে দিল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) তার মধ্যে পবিত্র মুখের লাল৷ মিশিয়ে দিলেন এবং বরকওে র দৃ আ করলেন ৷
তারপর গোশতের পাতিলে লাল৷ মিশিয়ে বরকতের দু আ করলেন ৷ত তারপর বললেন, রুটি
বানাতে পারদর্শী একজন লোক ডেকে আন ৷ সে তোমার সাথে রুটি বানাবে ৷ আর তুমি প৷ ৷তিল
থেকে (পয়ালা ভর্তি করে গোশত ৩পরিবেশন করবে ৷ পাতিল কিন্তু চুলা থেকে নামাবে না ৷ তারা
ছিলেন ১০০০ জন, জ বিব (বা) বলেন, আমি কসম করে বলছি তারা সকলেই থেয়েছিলেন ৷
সবাই চলে যাওয়ার পরও ওই পাতিলে পুর্বের মত ই গোশত টগবগ করছিল ৷ আর আমাদের
আটাও ওে তমনি থা কল, যেমনটি পুর্বে ছিল ৷

ইমাম মুসলিম (বা) এই হাদীছ হাজ্জা জ ইবন শাইর সুত্রে আবু আসিম থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক এই হাদীছটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে কোন কোন বিষয়ে তিনি


بِالْخَنْدَقِ أَجْمَعِينَ. فَقَالَتْ: هَلْ كَانَ سَأَلَكَ كَمْ طَعَامُكَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ فَقَالَتْ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: فَكَشَفَتْ عَنِّي غَمًّا شَدِيدًا. قَالَ: فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " خُذِي وَدَعِينِي مِنَ اللَّحْمِ ". وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَثْرُدُ وَيَغْرِفُ اللَّحْمَ، ثُمَّ يُخَمِّرُ هَذَا وَيُخَمِّرُ هَذَا، فَمَا زَالَ يُقَرِّبُ إِلَى النَّاسِ حَتَّى شَبِعُوا أَجْمَعِينَ، وَيَعُودُ التَّنُّورُ وَالْقِدْرُ أَمْلَأَ مَا كَانَا، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كُلِي وَأَهْدِي " فَلَمْ تَزَلْ تَأْكُلُ وَتُهْدِي يَوْمَنَا أَجْمَعَ» . وَقَدْ رَوَاهُ كَذَلِكَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمُحَارِبِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، بِهِ، وَأَبْسَطَ أَيْضًا، وَقَالَ فِي آخِرِهِ: وَأَخْبَرَنِي أَنَّهُمْ كَانُوا ثَمَانِمِائَةٍ أَوْ قَالَ: ثَلَاثَمِائَةٍ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، فَذَكَرَ الْقِصَّةَ بِطُولِهَا فِي الطَّعَامِ فَقَطْ، وَقَالَ: وَكَانُوا ثَلَاثَمِائَةٍ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ «: لَمَّا حُفِرَ الْخَنْدَقُ رَأَيْتُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمَصًا فَانْكَفَأْتُ إِلَى امْرَأَتِي، فَقُلْتُ: هَلْ عِنْدَكِ شَيْءٌ؟ فَإِنِّي رَأَيْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمَصًا شَدِيدًا.
পৃষ্ঠা - ২৮৮৪

একক বর্ণনাকারী হয়ে গিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন, সাঈদ ইবন মীনা হাদীছ বর্ণনা করেছেন জাবির
ইবন আবদুল্লাহ (বা) থেকে ৷ তিনি বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে খন্দকের যুদ্ধে
অংশ নিয়ে পরিখ৷ খনন করছিলাম ৷ আমার একটি ছোট্ট ক্ষীণকায় বকরী ছিল ৷ আমি মনে মনে
বললাম, যদি এটি দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর জন্যে একটু খাবার তৈরী করতে পারতাম তবে
ভালই হত ৷ আমি আমার ত্রীকে নির্দেশ দিলাম ৷ যে আমাদের জন্যে কিছু য়ব পিয়ে নিল ৷ তা
দিয়ে আমাদের জন্যে রুটি তৈরী করল ৷ আমি বকরীটি য়বাই করলাম ৷ যে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর
জন্য ভাজ৷ করে নিল ৷ সন্ধ্য৷ হয়ে এল এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাড়ী ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন ৷
জাবির (বা) বলেন, তখন আমরা দিনভর পরিখ৷ খনন করতাম ৷ আর সন্ধ্য৷ হলে বাড়ী ফিরে
যেতাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমলের ছোট্ট একটি বকরী
ছিল, আমরা সেটি দিয়ে আপনার জন্যে একটু খাবারের ব্যবস্থা করেছি ৷ সাথে যবের অল্প কয়টা
রুটিরও ব্যবস্থা রয়েছে ৷ আমি আশা করছি যে, আপনি আমার সাথে অমাদের বাড়ী যাবেন ৷
জাবির (বা) বলেন, আমি মনে করেছিলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা ) একাই আমার সঙ্গে আসবেন ৷ কিন্তু
আমি যখন তাকে একথা বললাম , তখন তিনি বললেন, হা, মার এবং তিনি জনৈক ঘোয়ককে
ঘোষণা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ সে চীৎকার করে ঘোষণা দিচ্ছিল যে, আপনারা সকলে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)-এর বাড়ী চলুন ৷ জাবির (বা) বলেন, আমি তখন
“ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন” পাঠ করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ (সা ) এলেন ৷ তার সাথে
সকলেই এলেন ৷ তিনি বসলেন ৷ আমরা খাবারগুলো তার সম্মুখে উপস্থিত করলাম ৷ তিনি
বরকরুতর দুআ করলেন ৷ ৰিসৃমিল্লাহ্ পাঠ করলেন ৷ তারপর নিজে খেলেন এবং লোকজনকে
খাবার দিতে লাগলেন ৷ একদলের খাওয়া শেষ হলে৩ তারা চলে মাচ্ছিল ৷ অপর দল আসছিল ৷
অবশেষে খন্দক যুদ্ধে মারা ৷ই উপস্থিত ছিলেন তারা সকলেই খ৷ ৷ওয়৷ দাওয়৷ করে বিদায় নিলেন ৷
এটি অবাক ব্যাপার যে, ইমাম আহমদ (র) এটি সাঈদ ইবন মীন৷ জাবির (বা) সুত্রে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, সাঈদ ইবন মীন৷ বলেছেন যে , তিনি
হাদীছ গুনেছেন যে, বাশীর ইবন সাদের কন্যা যিনি নুমান ইবন বাশীরের বোন ছিলেন ৷ তিনি
বলেছেন, আমার মা আমরাহ্ বিনৃত বাওয়াহা ৷ আমাকে ডেকে আমার কাপড়ে দুযুঠে৷ খেজুর দিয়ে
বললেন, প্রিয় কন্যা ! তুমি এগুলো নিয়ে তোমার বাবা ও মামা আব্দুল্লাহ ইবন রাওয়াহার নিকট
যাও ৷ এগুলো দিয়ে তারা খ৷ ৷রারের কা জ সেরে নিবেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন আমি ওগুলো নিই এবং
তাদের উদ্দেশ্যে৷ মাত্র ত্রাকরি ৷ পথে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সাথে আমার দেখা হয় ৷ আমি আমার বাবা
ও মামাকে খুজছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, এই যে, ছোট্ট যেয়ে, এদিকে আস, তোমার
সাথে কী ? আ ৷মি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! এটি খেজুর, আমার মা এগুলো পাঠিয়েছেন আমার
পিতা বাশীর ইবন সা দ এবং আমার মামা আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহার জন্যে ৷৩ তাবা এগুলো দিয়ে
নাশত৷ সেরে নিবেন ৷ তিনি বললেন, এগুলো আমাকে দাও ৷ আ৩মি ৩র পবিত্র হাতের দু তালুতে
তা ঢেলে দিলাম ৷ তাতে তার আজলা তরেনি ৷ তিনি একটি কাপড় আনতে নির্দেশ দিলেন ৷
কাপড়টি বিছানাে হল ৷৩ তারপর তিনি কাপড়ের উপর থেজুরগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলেন ৷ সেগুলো
কাপড়ের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল৷ তারপর জনৈক ব্যক্তিকে বললেন খন্দকের যুদ্ধে উপস্থিত
সকলকে ডেকে বল যেন সব৷ ৷ই নাশত৷ খেতে আসে ৷ সব ই তার নিকট সমবেত হলেন ৷ সকলে


فَأَخْرَجَتْ إِلَيَّ جِرَابًا فِيهِ صَاعٌ مِنْ شَعِيرٍ، وَلَنَا بُهَيْمَةٌ دَاجِنٌ فَذَبَحْتُهَا، وَطَحَنَتْ، فَفَرَغَتْ إِلَى فَرَاغِي، وَقَطَّعْتُهَا فِي بُرْمَتِهَا، ثُمَّ وَلَّيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: لَا تَفْضَحْنِي بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِمَنْ مَعَهُ. فَجِئْتُهُ فَسَارَرْتُهُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ذَبَحْنَا بُهَيْمَةً لَنَا، وَطَحَنَّا صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ كَانَ عِنْدَنَا، فَتَعَالَ أَنْتَ وَنَفَرٌ مَعَكَ. فَصَاحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " يَا أَهْلَ الْخَنْدَقِ إِنَّ جَابِرًا قَدْ صَنَعَ سُورًا، فَحَيَّ هَلًا بِكُمْ " فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تُنْزِلُنَّ بُرْمَتَكُمْ، وَلَا تَخْبِزُنَّ عَجِينَكُمْ حَتَّى أَجِيءَ ". فَجِئْتُ، وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْدُمُ النَّاسَ، حَتَّى جِئْتُ امْرَأَتِي فَقَالَتْ: بِكَ وَبِكَ. فَقُلْتُ: قَدْ فَعَلْتُ الَّذِي قُلْتِ. فَأَخْرَجَتْ لَنَا عَجِينًا، فَبَصَقَ فِيهِ وَبَارَكَ، ثُمَّ عَمَدَ إِلَى بُرْمَتِنَا فَبَصَقَ وَبَارَكَ، ثُمَّ قَالَ: " ادْعُ خَبَّازَةً فَلْتَخْبِزْ مَعَكِ، وَاقْدَحِي مِنْ بُرْمَتِكُمْ وَلَا تُنْزِلُوهَا ". وَهُمْ أَلْفٌ، فَأَقْسَمَ بِاللَّهِ لَقَدْ أَكَلُوا حَتَّى تَرَكُوهُ وَانْحَرَفُوا، وَإِنَّ بُرْمَتَنَا لَتَغِطُّ كَمَا هِيَ، وَإِنَّ عَجِينَنَا لَيُخْبَزُ كَمَا هُوَ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ الشَّاعِرِ، عَنْ أَبِي عَاصِمٍ، بِهِ نَحْوَهُ.
পৃষ্ঠা - ২৮৮৫
وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ، وَفِي سِيَاقِهِ غَرَابَةٌ مِنْ بَعْضِ الْوُجُوهِ، فَقَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «عَمِلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْخَنْدَقِ، وَكَانَتْ عِنْدِي شُوَيْهَةٌ غَيْرُ جِدِّ سَمِينَةٍ، قَالَ: فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَوْ صَنَعْنَاهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: وَأَمَرْتُ امْرَأَتِي فَطَحَنَتْ لَنَا شَيْئًا مِنْ شَعِيرٍ، فَصَنَعَتْ لَنَا مِنْهُ خُبْزًا، وَذَبَحْتُ تِلْكَ الشَّاةَ فَشَوَيْنَاهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أَمْسَيْنَا وَأَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الِانْصِرَافَ عَنِ الْخَنْدَقِ، قَالَ: وَكُنَّا نَعْمَلُ فِيهِ نَهَارًا، فَإِذَا أَمْسَيْنَا رَجَعْنَا إِلَى أَهَالِينَا. قَالَ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي قَدْ صَنَعْتُ لَكَ شُوَيْهَةً كَانَتْ عِنْدَنَا، وَصَنَعْنَا مَعَهَا شَيْئًا مِنْ خُبْزِ هَذَا الشَّعِيرِ، فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ تَنْصَرِفَ مَعِي إِلَى مَنْزِلِي. قَالَ: وَإِنَّمَا أُرِيدُ أَنْ يَنْصَرِفَ مَعِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحْدَهُ قَالَ: فَلَمَّا أَنْ قُلْتُ ذَلِكَ قَالَ: " نَعَمْ " ثُمَّ أَمَرَ صَارِخًا فَصَرَخَ أَنِ انْصَرَفُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَيْتِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ. قَالَ: قُلْتُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. قَالَ: فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَقْبَلَ النَّاسُ مَعَهُ، فَجَلَسَ وَأَخْرَجْنَاهَا إِلَيْهِ. قَالَ: فَبَرَّكَ وَسَمَّى اللَّهَ تَعَالَى ثُمَّ أَكَلَ، وَتَوَارَدَهَا النَّاسُ، كُلَّمَا فَرَغَ قَوْمٌ قَامُوا وَجَاءَ نَاسٌ، حَتَّى صَدَرَ أَهْلُ الْخَنْدَقِ عَنْهَا» وَالْعَجَبُ أَنَّ الْإِمَامَ أَحْمَدَ إِنَّمَا رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ مِينَاءَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْهُ، عَنْ جَابِرٍ مِثْلَهُ سَوَاءً. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ أَنَّهُ قَدْ حُدِّثَ أَنَّ ابْنَةً
পৃষ্ঠা - ২৮৮৬

ওই কাপড়ের উপর থেকে যেতে শুরু করেন ৷ আর ওই খেজুর গুড়ার পরিমাণ ক্রমেই বাড়তে
থাকে ৷ এক পর্যায়ে সবাই তৃপ্তি সহকারে থেয়ে চলে যায় ৷ আর তখনও কাপড় থেকে থেজুরের
টুকরো ঝরে ঝরে পড়ছিল ৷ ইবন ইলহাক এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এটির সনদে বিচ্ছিন্নতা
রয়েছে ৷ হাফিয বায়হাকী আপন সনদে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ রুন্ধ্রার্জিরক্ত কিছু বলেননি ৷

ইবন ইসহাক বলেন সালমান ফারসী (রা)-এর বরাস্তে আমার নিকট হাদীছ বর্ণনা করা
হয়েছে যে, তিনি বলেছেন, পরিখ৷ এলাকার এক পাশে আমি একটি পরিখ৷ খনন করছিলম্মে ৷
আমার সামনে পড়ল একটি সুকঠিন পাথর ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) কাছেই ছিলেন ৷ তিনি যখন দেখলেন
যে, আমি শাবল মারছি আর ওই পাথরটি আমার জন্যে অতাত শক্ত ঠেকছে, তখন তিনি নেমে
এলেন এবং আমার হাত থেকে শাবল নিয়ে ওই পাথরে প্রচণ্ড এক আঘাত হানভ্রুড়াে ৷ তাতে
শাবলের নীচে থেকে ৰিজলীয় ন্যায় আলো ৰিচ্ছুবিত হয় ৷ ৷’ৰুন্-ন্;ান্ন্৷ পুনরায় শাবল মারলেন ৷ পুনরায়
আলো চমকাল ৷ তিনি তৃর্তীয়বার আঘাত করলেন ৷ তৃতীয়বার আলো চমকাল ৷ আমি বললাম,
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমার বাপ-মা আপনার জন্যে কুরবান হোন , ওা৷পনি শারল মারছিলেন আর
আপনার শারলের নীচে আলো চমকাচ্ছিল, ওই আলো কিসের ন্ তিনি বললেন, হে সালমান ! তু
কি ওই আলো দেখতে (পয়েছ ? আমি বললাম, জী হী, দেখেছি ৷ তিনি বললেন, প্রথমরারে
আল্লাহ্ তাআলা ইয়ামান রাজেব্রর দরজা আমার জন্যে খুলে দিয়েছেন ৷ ২য় বারে সিরিয়া রাজেদ্বর
ও পশ্চিমা রাজেব্রর দরজা আমার জন্যে খুলে দিয়েছেন ৷ তৃতীয় বারে আল্লাহ্ তাআলা আমার
জন্যে পুর্বদেশীয় রাজ্যসমুহের দরজা খুলে দিয়েছেন ৷

বায়হাকী (র) বলেছেন যে, ইবন ইসহাক যা বলেছেন মুসা ইবন উকবা তার মাগাযী গ্রন্থে
তা-ই উল্লেখ করেছেন ৷ আবুআসওয়াদ এটি বর্ণনা করেছেন উরওয়৷ থেকে ৷ এরপর বায়হাকী ও
(র) মুহাম্মাদ ইবন ইউনুস কুদায়মী থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এই হাদীছের ৰিশুদ্ধতা
সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে ৷ ইবন জারীর এই হাদীছ তার ইতিহাস গ্রন্থে উদ্বুতে করেছেন মুহাম্মাদ ইবন
বাশৃশার ও গুনদার — ৷

আমর ইবন আওফ ঘুযানী সুত্রে ৷ ওই হাদীছে আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) প্রতি দশজনের
জন্যে : : হাত করে পরিথা খননের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন ৷ হযরত সালমান ফারসীর
পরামর্শে পরিখ৷ খননের সিদ্ধান্ত হওয়ায় তার মযদাি বৃদ্ধি পায় ৷ ঘুহাজিরপণ ও আনসারপণ হযরত
সালমান (রা) কে তাদের নিজ নিজ দলভুক্ত বলে দাবী করেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) ফায়সালা
দিয়ে বলেন, সালমান আমাদের আহলে বায়জ্জ্বক্ত ৷ আমর ইবন আওফ (বা) বলেন আমি
সালমান, হুযায়ফা, নৃমান ইবন মৃকাররিন এবং ছয়জন আনসারী মিলে : : হাত খননের দায়িতৃ
পাই ৷ আমরা পরিখা খনন করছিলাম ৷ প্রথম স্তরের পর আমরা যখন দ্বিতীয় স্তরে খনন করতে
শুরু করি তখন একটি সাদা চকচকে পাথর আমাদের সামনে পড়ে ৷ সেটিতে আঘাত করাতে

সালমান (বা) তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট যান ৷ তিনি তখন একটি তুর্কী তাবুত্তুত অবস্থান
করছিলেন ৷ তিনি র্তাকে ঘটনা জানালেন ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) নিজে এলে সালমান (র৷ ) এর হাত
থেকে শাবলটি নিয়ে ঐ পাথর খণ্ডে প্রচণ্ড জোরে আঘাত করলেন ৷ পাথরটি ভেঙ্গে গোল এবং



لِبَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ أُخْتِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَتْ: دَعَتْنِي أُمِّي عَمْرَةُ بِنْتُ رَوَاحَةَ، فَأَعْطَتْنِي حَفْنَةً مِنْ تَمْرٍ فِي ثَوْبِي، ثُمَّ قَالَتْ: أَيْ بُنَيَّةُ، اذْهَبِي إِلَى أَبِيكِ وَخَالِكِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ بِغَدَائِهِمَا. قَالَتْ: فَأَخَذْتُهَا وَانْطَلَقْتُ بِهَا فَمَرَرْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَلْتَمِسُ أَبِي وَخَالِي فَقَالَ: «تَعَالَيْ يَا بُنَيَّةُ، مَا هَذَا مَعَكِ؟ ". قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا تَمْرٌ بَعَثَتْنِي بِهِ أُمِّي إِلَى أَبِي بَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ وَخَالِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ يَتَغَدَّيَانِهِ. فَقَالَ: " هَاتِيهِ ". قَالَتْ: " فَصَبَبْتُهُ فِي كَفَّيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا مَلَأَتْهُمَا، ثُمَّ أَمَرَ بِثَوْبٍ فَبُسِطَ لَهُ، ثُمَّ دَحَا بِالتَّمْرِ عَلَيْهِ، فَتَبَدَّدَ فَوْقَ الثَّوْبِ، ثُمَّ قَالَ لِإِنْسَانٍ عِنْدَهُ: " اصْرُخْ فِي أَهْلِ الْخَنْدَقِ أَنْ هَلُمَّ إِلَى الْغَدَاءِ ". فَاجْتَمَعَ أَهْلُ الْخَنْدَقِ عَلَيْهِ فَجَعَلُوا يَأْكُلُونَ مِنْهُ، وَجَعَلَ يَزِيدُ، حَتَّى صَدَرَ أَهْلُ الْخَنْدَقِ عَنْهُ وَإِنَّهُ لَيَسْقُطُ مِنْ أَطْرَافِ الثَّوْبِ» هَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَفِيهِ انْقِطَاعٌ، وَهَكَذَا رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِهِ، وَلَمْ يَزِدْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَحُدِّثْتُ عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ أَنَّهُ قَالَ: «ضَرَبْتُ فِي نَاحِيَةٍ مِنَ الْخَنْدَقِ فَغَلُظَتْ عَلَيَّ صَخْرَةٌ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرِيبٌ مِنِّي، فَلَمَّا رَآنِي أَضْرِبُ وَرَأَى شِدَّةَ الْمَكَانِ عَلَيَّ، نَزَلَ فَأَخَذَ الْمِعْوَلَ مِنْ يَدِي فَضَرَبَ بِهِ ضَرْبَةً لَمَعَتْ تَحْتَ الْمِعْوَلِ بُرْقَةٌ ثُمَّ ضَرَبَ بِهِ ضَرْبَةً أُخْرَى فَلَمَعَتْ تَحْتَهُ بُرْقَةٌ أُخْرَى. قَالَ: ثُمَّ ضَرَبَ بِهِ الثَّالِثَةَ فَلَمَعَتْ بُرْقَةٌ أُخْرَى. قَالَ: قُلْتُ: بِأَبِي أَنْتَ
পৃষ্ঠা - ২৮৮৭

আঘাতের সাথে পাথর থেকে আলো ৰিচ্ছুরিত হয়ে মদীনায় দু’ পাহাড়ের মধ্যবর্তী অঞ্চল
আলোকিত করে ফেলল ৷ ওই আলো যেন অন্ধকার রাতের প্রদীপ্ত প্রদীপ ৷ এটা দেখে র ৷সুলুল্লাহ্
(সা) বিজয়ের তাকবীর ধ্বনি দিলেন ৷ মুসলমানগণওত তাকবীর দিয়ে উঠলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
দ্বিতীয় বার আঘাত হানলেন ৷ তারপর তৃভীয়বার ৷ প্রতোকবারই অনুরুপ ঘটলাে ৷ সালমান ও
মুসলিমগণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ওই আলোর রহস্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন ৷ উত্তরে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, প্রথম আলোতে আমার নিকট স্পষ্ট দেখা দিাদুয়ছিল হীর৷ রাজোর প্রাসাদ
গুলো এবং পারস্যের শহরগুলো ৷ ওগুলো কুকুরের দীতের মত দেখাচ্ছিল ৷ জিবরাঈল (আ)
আমাকে জানিয়েছেন যে, আমার উম্মত ওই অঞ্চল জয় করবে ৷ দ্বিতীয়বার আমার নিকট রোম
সাম্রাজ্যের লাল লাল প্রাসাদগুলো উদ্ভাসিত হয়েছিল ৷ সেগুলো মনে হচ্ছিল কুকৃরের র্দ৷ ৷তের ন্যায় ৷
জিবরাঈল (আ) আমাকে জানিয়েছেন যে, আমার উম্মত ওই এলাকা ও জয় করবে ৷ত তভীয়বারের
আলোতে আমি দেখেছিলাম , সানআ রাজ্যের প্রাসাদগুলো ৷ সেগুলো কুকুরেব দাতের মত মনে
হচ্ছিল ৷ জিবরাঈল (আ) আমাকে জানিয়েছেন যে, আমার উম্মত ওই অঞ্চলও জয় করবে ৷
সুতরাং সুসংবাদ গ্রহণ কর , খুশী হও ৷ এতে মুসলমানগণ পরম খুশী হন এবং তারা বলে উঠেন,
“আলহামৃদৃ লিল্লাহ্” এটি সত্য প্রতিশ্রুতি ৷

বর্ণনাকারী বলেন, সম্মিলিত শক্তিপক্ষ যখন কাছাকাছি এসে পৌছল তখন ঈমানদারগণ
বলল :


এটিতোত ৷-ই অ ৷ল্লাহ্ ও ত ৷র রাসুল বা ব প্রতিশ্রুতি আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ্ ও
ত৷ ৷র রাসুল সত্যই বলেছিলেন ৷ আর এতে তাদের ঈমা ৷ন ও আনুগ৩ তাই বৃদ্ধি পেয়েছিল ৷

তখন মুনাফিকগণ বলেছিল “তার কাগু দেখ, ইয়াছরিবে অবস্থান করে তিনি বলছেন যে,
তিনি হীর৷ রাজেদ্রর রাজ-প্রাসাদ ও পারস্য সাম্রাজেব্রর শহবগুলো দেখছেন আর ওইগুলো তোমরা
জয় করবে ৷ অথচ তোমরা এখন আত্মবক্ষার জন্যে খন্দক খুড়ছ ৷ বাইরে বের হয়ে মুকাবিলার
সাহস পাচ্ছ না ৷” ওদের এই বিরুপ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অ ৷ল্লাহ্ তাআল৷ নাযিল করলেন০ ং

০ ) fl

এ্পুব্লু

; : ’ )

মুনাফিকরা এবং যাদের অস্তরে ব্যাধি ছিল তারা বলছিল” আল্লাহ এবং তার রাসুল

আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা প্রত৷ ৷রণ৷ ব্যতীত কিছুই নয় ৷ (৩৩ আহযাবং : ১২)
এটি একটি গরীব পর্যায়ের বর্ণনা ৷

হাফিয আবুল কাসিম তাবারানী বলেন, হারুন ইবন মালুল আবদুল্লাহ ইবন আমব (রা)
থেকে বংনাি করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিথা খননের নির্দেশ দিলেন ৷ মদীনায়
সীমানায় পরিথা খনন করা হচ্ছিল, সংশ্লিষ্ট খননকারিগণ বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমরা একটি


وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذَا الَّذِي رَأَيْتُ لَمَعَ تَحْتَ الْمِعْوَلِ وَأَنْتَ تَضْرِبُ؟ قَالَ: " أَوَ قَدْ رَأَيْتَ ذَلِكَ يَا سَلْمَانُ؟ " قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " أَمَّا الْأُولَى، فَإِنَّ اللَّهَ فَتَحَ عَلَيَّ بِهَا الْيَمَنَ، وَأَمَّا الثَّانِيَةُ، فَإِنَّ اللَّهَ فَتَحَ عَلَيَّ بِهَا الشَّامَ وَالْمَغْرِبَ، وَأَمَّا الثَّالِثَةُ، فَإِنَّ اللَّهَ فَتَحَ عَلَيَّ بِهَا الْمَشْرِقَ» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ قَدْ ذَكَرَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ " وَذَكَرَهُ أَبُو الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ يُونُسَ الْكُدَيْمِيِّ، وَفِي حَدِيثِهِ نَظَرٌ، لَكِنْ رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ " عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بَشَّارٍ بُنْدَارٍ، كِلَاهُمَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ خَالِدِ بْنِ عَثْمَةَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جِدِّهِ، فَذَكَرَ حَدِيثًا فِيهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَّ الْخَنْدَقَ بَيْنَ كُلِّ عَشَرَةٍ أَرْبَعِينَ ذِرَاعًا. قَالَ: وَاحْتَقَّ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ فِي سَلْمَانَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سَلْمَانُ مِنَّا أَهْلَ الْبَيْتِ " قَالَ عَمْرُو بْنُ عَوْفٍ: فَكُنْتُ أَنَا وَسَلْمَانُ وَحُذَيْفَةُ وَالنُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنٍ وَسِتَّةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فِي أَرْبَعِينَ ذِرَاعًا، فَحَفَرْنَا
পৃষ্ঠা - ২৮৮৮
حَتَّى إِذَا بَلَغْنَا النَّدَى ظَهَرَتْ لَنَا صَخْرَةٌ بَيْضَاءُ مَرْوَةٌ، فَكَسَرَتْ حَدِيدَنَا وَشَقَّتْ عَلَيْنَا، فَذَهَبَ سَلْمَانُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي قُبَّةٍ تُرْكِيَّةٍ، فَأَخْبَرَهُ عَنْهَا، فَجَاءَ فَأَخَذَ الْمِعْوَلَ مِنْ سَلْمَانَ، فَضَرَبَ الصَّخْرَةَ ضَرْبَةً فَصَدَّعَهَا، وَبَرَقَتْ مِنْهَا بُرْقَةٌ أَضَاءَتْ مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا - يَعْنِي الْمَدِينَةَ - حَتَّى كَأَنَّهَا مِصْبَاحٌ فِي جَوْفِ لَيْلٍ مُظْلِمٍ، فَكَبَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَكْبِيرَ فَتْحٍ، وَكَبَّرَ الْمُسْلِمُونَ ثُمَّ ضَرَبَهَا الثَّانِيَةَ فَكَذَلِكَ، ثُمَّ الثَّالِثَةَ فَكَذَلِكَ وَذَكَرَ ذَلِكَ سَلْمَانُ وَالْمُسْلِمُونَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ النُّورِ، فَقَالَ: " لَقَدْ أَضَاءَ لِي مِنَ الْأُولَى قُصُورُ الْحِيرَةِ وَمَدَائِنُ كِسْرَى، كَأَنَّهَا أَنْيَابُ الْكِلَابِ، فَأَخْبَرَنِي جِبْرِيلُ أَنَّ أُمَّتِي ظَاهِرَةٌ عَلَيْهَا، وَمِنَ الثَّانِيَةِ أَضَاءَتِ الْقُصُورُ الْحُمْرُ مِنْ أَرْضِ الرُّومِ، كَأَنَّهَا أَنْيَابُ الْكِلَابِ، وَأَخْبَرَنِي جِبْرِيلُ أَنَّ أُمَّتِي ظَاهِرَةٌ عَلَيْهَا، وَمِنَ الثَّالِثَةِ أَضَاءَتْ قُصُورُ صَنْعَاءَ كَأَنَّهَا أَنْيَابُ الْكِلَابِ، وَأَخْبَرَنِي جِبْرِيلُ أَنَّ أُمَّتِي ظَاهِرَةٌ عَلَيْهَا، فَأَبْشِرُوا ". وَاسْتَبْشَرَ الْمُسْلِمُونَ، وَقَالُوا: الْحَمْدُ لِلَّهِ، مَوْعُودٌ صَادِقٌ. قَالَ: وَلَمَّا طَلَعَتِ الْأَحْزَابُ قَالَ الْمُؤْمِنُونَ: {هَذَا مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَصَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَمَا زَادَهُمْ إِلَّا إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا} [الأحزاب: 22] وَقَالَ الْمُنَافِقُونَ: يُخْبِرُكُمْ أَنَّهُ يُبْصِرُ مِنْ يَثْرِبَ قُصُورَ الْحِيرَةِ وَمَدَائِنَ كِسْرَى، وَأَنَّهَا تُفْتَحُ لَكُمْ، وَأَنْتُمْ تَحْفِرُونَ الْخَنْدَقَ لَا تَسْتَطِيعُونَ أَنْ تَبَرَّزُوا؟! فَنَزَلَ فِيهِمْ:
পৃষ্ঠা - ২৮৮৯

পাথর পেয়েছি যে, আমরা তা ভাঙ্গতে পারছি না ওই জায়গায় খনন করতে পারছি না ৷ বাসুলুল্লাহ্
(সা) দীড়ালেন, আমরাও তীর সাথে দীড়ালাম , সেখানে এসে তিনি শাবল হাতে নিলেন ৷ তিনি
শাবল দ্বারা পাথবে সজােরে আঘাত করলেন এবং তাকবীর বলে উঠলেন ৷ আমি তখন এমন
একটি ভাঙ্গার শব্দ শুনলাম যা অতীতে কখনো শুনিনি ৷ তিনি বললেন, পারস্য সাম্রাজ্য বিজিত
হল ৷ তিনি দ্বিতীয় বার আঘাত করলেন এবং তাকবীর বললেন ৷ আমি এমন এক ভাঙ্গার শব্দ
শুনলাম যা অতীতে কখনো শুনিনি ৷ তিনি বললেন, রেড়ামক সাম্রাজ্য বিজিত হল ৷ তিনি তৃতীয়বার
আঘাত হানলেন এবং তাকবীর বললেন ৷ আমি এমন একটি ভাভ্রচ্চর শব্দ শুনলাম যা ইতিপুর্বে
কখনো শুনিনি ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা আলা হিম্য়ার গোত্রকে’ আমাদের সাহায্যকারী হিসেবে
মঞ্জুর করেছেন ৷ অবশ্য এই সনদের বিবেচনায় এটিও একটি গরীব বা একক রর্থাং৷ ৷ এ সনদের
একজন রাবী আবদুর রহমান ইবন যিয়াদ ইবন আনউম আফ্রিকীর মধ্যে দৃর্বলতা আছে ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷
তাবারানী আরো বলেছেন আবদুল্লাহ্ ইবন আহমদ ইবন হাম্বল ইবন আব্বাস (রা)
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, বাসুলুল্লাহ্ (সা) সশরীরে পরিখা খননে অংশ নিয়েছিলেন ৷
সাহাবীগণ তখন ক্ষুধায় পেটে পাথর বেধেছিলেন ৷ এ অবস্থা দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
তোমরা কি আমাকে এমন একজন লোকের কথা বলে দিতে পার যে আমাদের জন্যে সামান্য
খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে ? এক ব্যক্তি বলল, জী হী, ইয়া বাসুলাল্লাহ্ (সা) ! পারব ৷ তিনি
বললেন, তবে তুমি আগে আগে যাও আমাদেরকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাও ৷ যেতে যেতে তারা
এক লোকের বাড়ী উঠলেন ৷ লোকটি তখনও তার জন্যে নির্ধারিত অংশের পরিখা খননে
নিয়োজিত ছিল ৷ তার শ্রী সংবাদ পাঠালেন যে, বাড়ীতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাশরীফ এসেছেন, আপনি
তাড়াতাড়ি আসুন ৷ তিনি দ্রুত বেগে হেটে বাড়ী পৌছলেন ৷ তিনি বললেন, তার একটি ছাগী
আছে, ওই ছাগীর সাথে একটি বাচ্চা আছে ৷ তিনি ছাপীটি যবাই করতে গেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন ৷ ছাগী নয় বরং তার বাচ্চাটিই যবাই কর ৷ বাচ্চাটি যবাই করা হল ৷ মহিলাটি তার আটা
খুজে বের করে খামীর বানিয়ে রুটি তৈরী করলেন এদিকে গোশতও রান্না হয়ে এসেছিল ৷ তিনি
পেয়ালা ভরে গোশত ও রুটি নিয়ে বাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সম্মুখে হাযির করলেন ৷ বাসুলুল্লাহ্ (সা)
বাটিতে আব্দুল রেখে বললেন, ৷ঠু ং ৷ ; ,াঠু ন্ট্রুপুা৷ র্দুএে ৷ ঝুট্রুন্ৰু আল্লাহ্র সালে শুরু করছি, হে
আল্লাহ্ৰু আপনি এর মধ্যে বরকত র্দান করুন ! তিনি বললেন, এবার সকলে যেতে শুরু কর,
সবাই তৃপ্তি সহকারে খেলেন, এবং নিজ নিজ জায়গায় ফিরে গেলেন ৷ দেখা গেল যে, সবাই
মিংলপ্খড়াবারের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ খেতে পেরেছেন ৷ দুই-তৃতীয়াংশ খাবার অবশিষ্ট রয়ে
গেছে ৷ ওই বাড়ীওযালার সাথে যে দশজন খনন কাজ করছিল তিনি তাদেরকে দ্রুত পাঠিয়ে
বললেন এবার তোমরা যাও এবং আরো দশজন এখানে পাঠিয়ে দাও ৷ তারা গেলেন এবং নতুন
দশজনকে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তীরাও এসে তৃপ্তি সহকারে খেয়ে নিলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ (সা)
উঠলেন এবং বাড়ীওয়ালার ও তার পরিবার-পরিজনের জন্যে দুআ করলেন ৷ তারপর তিনি
পরিখড়ার নিকট ফিরে গেলেন ৷

এবার তিনি বললেন চল, আমরা সালমানের (বা) নিকট যাই ৷ সালমানের (বা) সম্মুখে একটি


{وَإِذْ يَقُولُ الْمُنَافِقُونَ وَالَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا غُرُورًا} [الأحزاب: 12] » وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَلُّولٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: «لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخَنْدَقِ فَخَنْدَقَ عَلَى الْمَدِينَةِ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا وَجَدْنَا صَفَاةً لَا نَسْتَطِيعُ حَفْرَهَا، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقُمْنَا مَعَهُ فَلَمَّا أَتَاهَا أَخَذَ الْمِعْوَلَ، فَضَرَبَ بِهِ ضَرْبَةً وَكَبَّرَ، فَسَمِعْتُ هَدَّةً لَمْ أَسْمَعْ مِثْلَهَا قَطُّ، فَقَالَ: " فُتِحَتْ فَارِسُ " ثُمَّ ضَرَبَ أُخْرَى فَكَبَّرَ، فَسَمِعْتُ هَدَّةً لَمْ أَسْمَعْ مِثْلَهَا قَطُّ، فَقَالَ: " فُتِحَتِ الرُّومُ " ثُمَّ ضَرَبَ أُخْرَى فَكَبَّرَ، فَسَمِعْتُ هَدَّةً لَمْ أَسْمَعْ مِثْلَهَا قَطُّ، فَقَالَ: " جَاءَ اللَّهُ بِحِمْيَرَ أَعْوَانًا وَأَنْصَارًا» وَهَذَا أَيْضًا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ الْأَفْرِيقِيُّ فِيهِ ضَعْفٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ أَيْضًا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَرْمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ سَعِيدٍ الْعَبْدِيُّ أَنَّ
পৃষ্ঠা - ২৮৯০
عِكْرِمَةَ حَدَّثَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «احْتَفَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخَنْدَقَ، وَأَصْحَابُهُ قَدْ شَدُّوا الْحِجَارَةَ عَلَى بُطُونِهِمْ مِنَ الْجُوعِ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " هَلْ دَلَلْتُمْ عَلَى رَجُلٍ يُطْعِمُنَا أَكْلَةً؟ ". قَالَ رَجُلٌ: نَعَمْ، قَالَ: " إِمَّا لَا فَتَقَدَّمْ فَدُلَّنَا عَلَيْهِ ". فَانْطَلَقُوا إِلَى بَيْتِ الرَّجُلِ، فَإِذَا هُوَ فِي الْخَنْدَقِ يُعَالِجُ نَصِيبَهُ مِنْهُ، فَأَرْسَلَتِ امْرَأَتُهُ أَنْ جِئْ؛ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَتَانَا. فَجَاءَ الرَّجُلُ يَسْعَى وَقَالَ: بِأَبِي وَأُمِّي. وَلَهُ مَعْزَةٌ وَمَعَهَا جَدْيُهَا، فَوَثَبَ إِلَيْهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْجَدْيُ مِنْ وَرَائِهَا ". فَذَبَحَ الْجَدْيَ، وَعَمَدَتِ الْمَرْأَةُ إِلَى طَحِينَةٍ لَهَا فَعَجَنَتْهَا وَخَبَزَتْ، فَأَدْرَكَتِ الْقِدْرَ، فَثَرَدَتْ قَصْعَتَهَا، فَقَرَّبَتْهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ، فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُصْبُعَهُ فِيهَا، وَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ بَارِكْ فِيهَا، اطْعَمُوا ". فَأَكَلُوا مِنْهَا حَتَّى صَدَرُوا، وَلَمْ يَأْكُلُوا مِنْهَا إِلَّا ثُلُثَهَا، وَبَقِيَ ثُلُثَاهَا، فَسَرَّحَ أُولَئِكَ الْعَشَرَةَ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ، أَنِ اذْهَبُوا وَسَرِّحُوا إِلَيْنَا بِعِدَّتِكُمْ. فَذَهَبُوا، فَجَاءَ أُولَئِكَ الْعَشَرَةُ فَأَكَلُوا مِنْهَا حَتَّى شَبِعُوا، ثُمَّ قَامَ وَدَعَا لِرَبَّةِ الْبَيْتِ، وَسَمَّتَ عَلَيْهَا وَعَلَى أَهْلِ بَيْتِهَا، ثُمَّ مَشَوْا إِلَى الْخَنْدَقِ فَقَالَ: " اذْهَبُوا بِنَا إِلَى سَلْمَانَ ". وَإِذَا صَخْرَةٌ بَيْنَ يَدَيْهِ قَدْ ضَعُفَ عَنْهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " دَعُونِي فَأَكُونَ أَوَّلَ مَنْ ضَرَبَهَا " فَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ ". فَضَرَبَهَا فَوَقَعَتْ فِلْقَةٌ ثُلُثُهَا، فَقَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، قُصُورُ الرُّومِ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ ". ثُمَّ ضَرَبَ أُخْرَى فَوَقَعَتْ فِلْقَةٌ، فَقَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، قُصُورُ فَارِسَ وَرَبِّ
পৃষ্ঠা - ২৮৯১


বিরাট পাথর পড়েছিল যা তিনি তাঙ্গতে পারছিলেন না ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমাকে সুযোগ
দাও, আমি প্রথম আঘাত করি ৷ তিনি “বিসৃমিল্লাহ্” বলে সেটিতে আঘাত করলেন ৷ সেটির এক-
তৃভীয়াৎশ ফেটে গেল ৷ তিনি বললেন “আল্লাহ আক্বার” , কারা গৃহের মালিকের কলম, এ যে
সিরিয়া সাম্রাজোর প্রাসাদগুলাে ৷ তিনি আবার আঘাত করলেন ৷ এবার আরো একটু অংশ খসে
গেল, তিনি বললেন, আল্লাহ আক্বার, কাব৷ গৃহের মালিকের কলম ! এ যে পারস্য সাম্রাজোর
প্রাসাদগুলাে ৷ তখন ঘুনাফিকগণ ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিল, আমরা জান ইা৷চানাের জন্যে পরিখ৷ খনন
করছি আর উনি আমাদেরকে পারস্য ও রোমান সাম্রাজ্য বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ৷

হাফিয বায়হাকী বলেছেন, আলী ইবন আহমদ ইবন আবদান বাবা ইবন আযিব
আনসারী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ৷,সা) আমাদেরকে পরিখ৷ খননের
নির্দেশ দিলেন ৷ তখন একটি পরিখার মধ্যে আমাদের সম্মুখে একটি বড় ও কঠিন পাথর এসে
পড়ল, শাবল তার মধ্যে কোন কাজ করতে পারছিল না ৷ সৎগ্নিন্ত্র লোকজন সংবাদটি রাসুলুল্লাহ
(সা)-কে জানান ৷ তিনি পাথরটির দিকে তাকালেন এবং কোদাল হাতে নিয়ে বিসৃমিল্লাহ্ বলে
তাতে আঘাত করলেন ৷ সে আঘাতে এক তৃভীয়াৎশ ভেঙ্গে গেল ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ
আক্বার সিরিয়া ৷র চাবিগুচ্ছ আমাকে দেয়৷ হল ৷ আল্লাহর কলম , আমি অবশ্যই সেখানকার লাল
লাল প্রাসাদগুলাে আমি দিব্যি দেখতে পাচ্ছি ৷ তিনি পাথরে দ্বিতীয়বার আঘাত করলেন ৷ এবার
অপর তৃভীয়াংশ ভেঙ্গে পড়ল ৷ তিনি বললেন, “আল্লাহ আক্বার পারস্য সাম্রাজোর চাবিগুলাে
আমাকে দেওয়া হল ৷ আল্লাহর কলম, আমি মাদায়েনের সাদা সাদা প্রাসাদগুলাে দেখতে পাচ্ছি ৷
তৃভীয় আঘা৩ ৩হানলেন পাথরের উপর এবং বিসৃমিল্লাহ্ বললেন ৷ তাতে পাথরের অবশিষ্ট

অংশ ভেঙ্গে গেল ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ আক্বার ইয়ামান রাজোর চাবিগুলো আমাকে দেওয়া
হল ৷ আল্লাহর কলম, আমি এখন এই স্থান থেকে সানআ নগরীর য়ল্টকগুলাে দেখতে পাচ্ছি ৷
এই হাদীছ ও পারীব তথা একক বর্ণনাকারীর বর্ণনা ৷ মায়মুন ইবন উসতা এটি একা বর্ণনা

করেছেন ৷ তিনি বসর৷ নগরীর লোক ৷ ধারা এবং আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে তিনি হাদীছ
বংনাি করেছেন ৷

ইমাম নাসাঈ (র) বলেছেন, ঈসা ইবন ইউনুস জনৈক সাহাবী (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন পরিখ৷ খননের নির্দেশ দিলেন তখন পরিখ৷ খননকারীদের
সম্মুখে একটি পাথর এসে পড়ল ৷ তাতে খনন কার্য বন্ধ হয়ে গেল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) উঠে শাবল
হাতে নিলেন ৷ তার চাদরটি পরিখার এক পার্থে রাখলেন ৷ তারপর বললেন : ( ণ্খ্ংা£ ট্ট্রুণ্ট্রু;
ও ন্যায়েরদিক দিয়ে
আপনার প্রতিপা ৷লকের বাণী সম্পুণ এবং তার বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নেই ৷ তিনি সবশ্নোতা

সর্বজ্ঞ) ৷ তিনি স্বহস্তে পাথরে আঘাত করলেন ৷ পাথরের একতৃভীয়াত্শ ভেঙ্গে গেল ৷ হযরত
সালমান ফা ৷রসী (রা) দাড়িয়ে দাড়িয়ে তা দেখছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আঘাতের সাথে

বিদ্যুচছটার মত চমকাচ্ছিল ৷ তিনি দ্বিতীয় বার আঘাত করলেন এবং বললেন : ইৰ্াদ্বু ং;ট্রুছুপ্রু

এবার পাথরটির আরেক


الْكَعْبَةِ "، فَقَالَ عِنْدَهَا الْمُنَافِقُونَ: نَحْنُ نُخَنْدِقُ عَلَى أَنْفُسِنَا، وَهُوَ يَعِدُنَا قُصُورَ فَارِسَ وَالرُّومِ.» ثُمَّ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ غَالِبِ بْنِ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هَوْذَةُ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أُسْتَاذٍ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ الْأَنْصَارِيُّ، قَالَ: «لَمَّا كَانَ حِينَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَفْرِ الْخَنْدَقِ، عَرَضَ لَنَا فِي بَعْضِ الْخَنْدَقِ صَخْرَةٌ عَظِيمَةٌ شَدِيدَةٌ، لَا تَأْخُذُ فِيهَا الْمَعَاوِلُ، فَشَكَوْا ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَآهَا أَخَذَ الْمِعْوَلَ وَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ " وَضَرَبَ ضَرْبَةً فَكَسَرَ ثُلُثَهَا، وَقَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، أُعْطِيتُ مَفَاتِيحَ الشَّامِ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأُبْصِرُ قُصُورَهَا الْحُمْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ". ثُمَّ ضَرَبَ الثَّانِيَةَ فَقَطَعَ ثُلُثًا آخَرَ، فَقَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، أُعْطِيتُ مَفَاتِيحَ فَارِسَ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأُبْصِرُ قَصْرَ الْمَدَائِنِ الْأَبْيَضَ " ثُمَّ ضَرَبَ الثَّالِثَةَ فَقَالَ: " بِسْمِ اللَّهِ ". فَقَطَعَ بَقِيَّةَ الْحَجَرِ، فَقَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ، أُعْطِيتُ مَفَاتِيحَ الْيَمَنِ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأُبْصِرُ أَبْوَابَ صَنْعَاءَ مِنْ مَكَانِي السَّاعَةَ» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ أَيْضًا، تَفَرَّدَ بِهِ مَيْمُونُ بْنُ أُسْتَاذٍ هَذَا، وَهُوَ بَصْرِيٌّ رَوَى عَنِ الْبَرَاءِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، وَعَنْهُ حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ وَالْجَرِيرِيُّ وَعَوْفٌ الْأَعْرَابِيُّ، قَالَ أَبُو حَاتِمٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنِ ابْنِ مَعِينٍ: كَانَ ثِقَةً. وَقَالَ عَلِيُّ
পৃষ্ঠা - ২৮৯২

তৃভীয়াৎশ ভেঙ্গে গেল ৷ আঘাতের সাথে আলো জ্বলে উঠেছিল ৷ হযরত সালমান (রা) তা
দেখছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)ত তর্জীয়বার আঘাত করলেন এবং বললেনং : ;াট্রুট্রু ইাদ্বু ট্রু,
ৰুাট্রুপু ৷ স্পো ৷ মোঃ, মোঃ ট্রুাণ্রু ৰুশুট্রুধ্ ৷প্ৰু এবার অবশিষ্ট ভৃভীয়াৎশও ভেঙ্গে
গেল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিখ৷ থেকে উঠে এলেন ৷ তিনি তার চাদরত তুলে নিলেন এবং বললেন ৷
হযরত সালমা ৷ন (রা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা)! আমি দেখেছি, আপনি যতৰারই আঘাত
করেছেন ততবারই বিদ্যুতের মত আলো জ্বলে উঠেছে ৷ রাসুগৃল্লাহ্ (সা) বললেন, সা লমা ন তুমি
কি তা দেখেছ ? তিনি বললেন ত্মী হা, যে মহান সত্তা আপনাক সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন
তার শপথ, আমি তা দেখেছি ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি যখন প্রথমবার আঘাত করি তখন পারস্যের কিসরার মাদায়েন
ও আশেপাশে বহু শহর আমার নিকট তুলে ধরা হয়েছিল ৷ আমি স্বচক্ষে সেগুলো দেখেছি ৷
উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা ) ! দুআ করুন , আল্লাহ্ যেন ওইগুলোর উপর
আমাদেরকে বিজয়ী করে দেন ৷ আমরা যেন ধন-সম্পদ গনীমতের মাল রুপে পেতে পারি এবং
নিজ হাতে ওদের শহর নগর পদদলিত করতে পারি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে দৃআ করলেন ৷ তিনি
বললেন, আমি যখন দ্বিতীয়বার আঘাত করি তখন বোমক সম্র৷ ৷ট কায়সারের রাজধানী এবৎ৩ ৷ তবে
আশেপাশে অবস্থিত ৩শহরগুলে৷ আমার নিকট তুলে ধরা হয় ৷ আমি স্বচক্ষে ওহীগুলাে দেখেছিা
তারা বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ৷ আল্লাহর নিকটদু আ করুন ৷ তিনি যেন ওইগুলে৷ আমাদের
করায়ত্ত করে দেন ৷ আমরা যেন ওদের ধন-সম্পদ ও ছেলে যেয়েদেরকে গনীমতের মালরুপে
পেতে পারি এবং ওদের নগর শহরগুলি পদানত করতে পারি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দৃআ করলেন ৷
তিনি বললেন, আমি যখন তৃতীয় আঘাত করলাম তখন আবিসিনিয়৷ ও তার আশে পাশের
জনপদগুলে৷ আমার নিকট তুলে ধরা হয় ৷ আমি স্বচক্ষে সেগুলো দেখতে পাই ৷ তারপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, যত দিন আবিসিনিয়ার লোকেরা তাঃা৷দেরকে উতক্তে না করে তোমরা ও
ততদিন তাদেরকে উত ৩ক্ত করবে না ৷ আর তুর্কীর৷ যতদিন তােমাদেরকে আক্রমণ না করে
তোমরাও ৩৩শেন ৩াদেরওে আঞমং৷ কর(র না ৷ নাস৷ ৷ঈ (র) এভাবে দীর্ঘ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷
-আবু দাউদ



নাসাঈকে উদ্ধৃত করে শেষের অংশটুকু বর্ণনা করেছেন ৷

এরপর ইবন ইসহাক বলেছেন, বিশ্বস্ত এক ব্যক্তি আমার নিকট আবু হুরায়র৷ (রা ) সুত্রে বর্ণনা
করেছেন যে, হযরত উমর (রা ) , উছমান (রা) ও তাদের পরে যখনই এসব শহর বিজিত হত
তখন আবু হুরায়র৷ বলতেন, তোমরা যত সুযোগ পাও জয় করে নাও, আবু হুরায়রা এর প্রাণ যার
হাতে তার কলম, তোমরা যত শহর জয় করেছ এবং কিয়ামত পর্যন্ত যত শহর জয় করবে তার
সবগুলোর চা ৷বি পুর্বেই আল্লাহ্ তা আলা মুহাম্মাদ (সা ) কে দিয়ে দিয়েছেন ৷ এ সনদটি বিচ্ছিন্ন,
তবে অন্যত্র তা পুর্ণ সনদসহ হয়ে বর্ণিত হয়েছে ৷ সকল প্রশংসা আল্লাহ তা আলার ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, হাজ্জাজ — — হযরত আবু হুরায়র৷ (রা ) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলছিলেন আমি প্রেরিত হয়েছি


بْنُ الْمَدِينِيِّ: كَانَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لَا يُحَدِّثُ عَنْهُ. وَقَالَ النَّسَائِيُّ: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ السَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَبِي سُكَيْنَةَ - رَجُلٍ مِنَ الْمُحَرَّرِينَ - عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَفْرِ الْخَنْدَقِ، عَرَضَتْ لَهُمْ صَخْرَةٌ حَالَتْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْحَفْرِ، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخَذَ الْمِعْوَلَ، وَوَضَعَ رِدَاءَهُ نَاحِيَةَ الْخَنْدَقِ، وَقَالَ: {وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلًا لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [الأنعام: 115] (الْأَنْعَامِ: 115) فَنَدَرَ ثُلُثُ الْحَجَرِ، وَسَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ قَائِمٌ يَنْظُرُ، فَبَرَقَ مَعَ ضَرْبَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُرْقَةٌ ثُمَّ ضَرَبَ الثَّانِيَةَ، وَقَالَ: {وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلًا لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [الأنعام: 115] فَنَدَرَ الثُّلُثُ الْآخَرُ، وَبَرَقَتْ بُرْقَةٌ فَرَآهَا سَلْمَانُ، ثُمَّ ضَرَبَ الثَّالِثَةَ، وَقَالَ: {وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلًا لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [الأنعام: 115] فَنَدَرَ الثُّلُثُ الْبَاقِي، وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذَ رِدَاءَهُ وَجَلَسَ، فَقَالَ سَلْمَانُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، رَأَيْتُكَ حِينَ ضَرَبْتَ لَا تَضْرِبُ إِلَّا كَانَتْ مَعَهَا بُرْقَةٌ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا سَلْمَانُ، رَأَيْتَ ذَلِكَ؟ ". قَالَ: إِي وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " فَإِنِّي حِينَ ضَرَبْتُ الضَّرْبَةَ الْأُولَى رُفِعَتْ لِي مَدَائِنُ كِسْرَى وَمَا حَوْلَهَا وَمَدَائِنُ كَثِيرَةٌ، حَتَّى رَأَيْتُهَا بِعَيْنِي " فَقَالَ لَهُ مَنْ حَضَرَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ২৮৯৩
يَفْتَحَهَا عَلَيْنَا وَيُغَنِّمَنَا ذَرَارِيَّهُمْ، وَنُخَرِّبَ بِأَيْدِينَا بِلَادَهُمْ، فَدَعَا بِذَلِكَ، قَالَ: " ثُمَّ ضَرَبْتُ الضَّرْبَةَ الثَّانِيَةَ، فُرِفَعَتْ لِي مَدَائِنُ قَيْصَرَ وَمَا حَوْلَهَا، حَتَّى رَأَيْتُهَا بِعَيْنِي " قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَفْتَحَهَا عَلَيْنَا وَيُغَنِّمَنَا ذَرَارِيَّهُمْ، وَنُخَرِّبَ بِأَيْدِينَا بِلَادَهُمْ. فَدَعَا، ثُمَّ قَالَ: " ثُمَّ ضَرَبْتُ الضَّرْبَةَ الثَّالِثَةَ، فَرُفِعَتْ لِي مَدَائِنُ الْحَبَشَةِ وَمَا حَوْلَهَا مِنَ الْقُرَى، حَتَّى رَأَيْتُهَا بِعَيْنِي " ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " دَعُوُا الْحَبَشَةَ مَا وَدَعُوكُمْ، وَاتْرُكُوا التُّرْكَ مَا تَرَكُوكُمْ» هَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مُطَوَّلًا، وَإِنَّمَا رَوَى مِنْهُ أَبُو دَاوُدَ: «دَعُوُا الْحَبَشَةَ مَا وَدَعُوكُمْ، وَاتْرُكُوا التُّرْكَ مَا تَرَكُوكُمْ ".» عَنْ عِيسَى بْنِ مُحَمَّدٍ الرَّمْلِيِّ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو السَّيْبَانِيِّ، بِهِ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ حِينَ فُتِحَتْ هَذِهِ الْأَمْصَارُ فِي زَمَانِ عُمَرَ وَزَمَانِ عُثْمَانَ وَمَا بَعْدَهُ: افْتَتِحُوا مَا بَدَا لَكُمْ، فَوَالَّذِي نَفْسُ أَبِي هُرَيْرَةَ بِيَدِهِ، مَا افْتَتَحْتُمْ مِنْ مَدِينَةٍ وَلَا تَفْتَحُونَهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، إِلَّا وَقَدْ أَعْطَى اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَفَاتِيحَهَا قَبْلَ ذَلِكَ. وَهَذَا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مُنْقَطِعٌ أَيْضًا، وَقَدْ وُصِلَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ
পৃষ্ঠা - ২৮৯৪

“স্বল্প ভাষায় অধিক মর্য প্রকাশের ক্ষমতা দিয়ে আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গান্তীর্য দ্বারা আমি
সাহায্য প্রাপ্ত হ৫য়ছি, একদিন আমি ঘুমন্ত ছিলাম তখন পৃথিবীর সকল সম্পদের চাবি এসে আমার
হাতে দেয়৷ হয় ৷ বুখারী একা এই হাদীছঢি ইয়াহ্য়ড়া ইবন বুকায়র ও সাদ ইবন উফায়র সুত্রে লায়ছ
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ওই বর্ণনায় আছে যে, আবু হ্রায়র৷ (বা) ব গেছেন , র ৷ পুণুগ্লাহু (সা) বিদায়
নিয়েছেন আর ৫ তামরা ওই সম্পদটি সংগ্রহ করছ ৷

ইমাম আহমদ (ব) বলেন , ইয়াযীদ — আবু হুরায়র৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন “পান্তীর্য দ্বারা আমাকে সাহান্হা৷ করা হয়েছে, আমি
“জাওয়ামিউল কালিম” তথা স্বল্প শব্দে অধিক মর্য প্রকাশের শক্তি পেয়েছি সমগ্র ভুজপত আমার
জনাে মসজিদ স্বরুপ ও পবিত্র করে দেওয়া হয়েছে ৷ আমি একদিন ঘুমত্ণ্শ্ব ছিলাম , তখন পৃথিবীর
যাবতীয় সম্পদের চাবি আমার নিকট উপস্থিত করা হয় এবং আমার হাতে তা তুলে দেওয়া হয় ৷
ইমাম মুসলি৫মর শর্ত মুতাবিক এই হাদীছের সনদ খুব মযবুত হলেও অন্যানার৷ তা উদ্ধৃত
করেননি ৷ সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ ঘুসলি৫ম আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন “ব ৩মান রোম
কায়সার সম্রাটের) পতন হলে এরুপ কায়সার আর হবে না ৷ বর্তমান কিসরার পতন হলে ( এরুপ)
কিসরা আর হবে না ৷ যার হাতে আমার প্রাণ তার কসম, ওই সাম্রাজ্যগুলোর ধন-সম্পদ আল্লাহর
পথে তোমরা ব্যয় করবে ৷ ’সহীহ্ হাদীছে এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ্( (যা) বলেছেন : রুা৷ ৷
ৰু-এ্যাএন্-শু-ন১ন্-স্-ম্পুষ্শ্শু-ষ্১মৈংণ্ণ্গ্রএ১শ্যাশুএএএ১
-আল্লাহ্ তা আলা পৃথিবীর পুর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলসমুহ সংকুচিত করে আমার নিকট উপস্থিত
করেছিলেন ৷ যেই সীমা পর্যন্ত আমার নিকট উপস্থিত করা হয়েছে আমার উম্ম৫ত র রাজতু ওই
সীমা পর্যন্ত বিন্তুত ও প্রসারিত হয়ে ৷



অধ্যায় : ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) পরিখ৷ খনন শেষ করলেন ৷ মক্কার দিক
থেকে কুরায়শর৷ এলে রুম৷ অঞ্চলে জুরুফ ও ষুপাবাহ্ এর মাঝামাঝি মুজতামা আল আসইয়াল
নামক স্থানে অবস্থান নেয় ৷ তাদের সং থ্যা ছিল ১০ হাজার ৷ তাদের সাথে ছিল অস্ত্র শ্াস্ত্র বাহন ও
অন্যান্য সনদপত্র ৷ বানু কিনানা ও তিহামাবাসী কতক ৫লাকও সাথে ছিল ৷ পাতফান ও নাজদের
লোকজন এসে অবস্থান নেয় উহু৫দর দিকে যাম৫র নাকমায় ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (,সা)ও মুসলিম
সেনাবাহিনী ৫বর হলেন ৷ তাদের সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৷ সাল৷ পাহাড়কে ৫পছ৫ন রেখে তারা
অবস্থান নিলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) সেখানে তার সৈন্যদলকে যুদ্ধের জন্য প্রন্তুত করে রাখলেন ৷ শত্রু
সৈন্য ও মুসলমানদের মাঝখানে রইল খন্দক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)এব নির্দেশে শিশু ও মহিলাদেরকে
একটি ঢিলার উপরে অবস্থিত দুনুে নিয়ে রাখা হয় ৷ ইবন হিশাম বলেন, মদীনার শাসনভার তখন
হযরত আবদুল্লাহ ইবন উম্মি মাকতুমের হাতে ন্যস্ত ছিল ৷ আমি বলি, নিম্নের আয়াতে এদিকেই
ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ আল্লাহ তা আল৷ ব৫লন৪ ণ্ন্নু, ,াহৃ ৷ ,, , ন্ন্নুব্র,ট্র ট্রু,ন্ণ্ ,হ্র , ; ৷১ ; ৷
ওরা
তোমাদের বিরুদ্ধে সমাপত হয়েছিল উচ্চ অঞ্চল ও নিম্ন অঞ্চল হ৫তশ্ ৫তামাদের চক্ষু বিম্ফারিত


رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ، وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ، وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ، فَوُضِعَتْ فِي يَدِي» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مُنْفَرِدًا بِهِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، وَسَعْدِ بْنِ عُفَيْرٍ، كِلَاهُمَا عَنِ اللَّيْثِ، بِهِ، وَعِنْدَهُ، قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْتُمْ تَنْتَثِلُونَهَا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ، وَأُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ، وَجُعِلَتْ لِيَ الْأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ فَتُلَّتْ فِي يَدِي» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ ": «إِذَا هَلَكَ قَيْصَرُ فَلَا قَيْصَرَ بَعْدَهُ، وَإِذَا هَلَكَ كِسْرَى فَلَا كِسْرَى بَعْدَهُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» وَفِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ: « (إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الْأَرْضَ؛ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَسَيَبْلُغُ مُلْكُ أُمَّتِي مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا) » .
পৃষ্ঠা - ২৮৯৫


হয়েছিল,€ তামাদের প্রাণ হয়ে পড়েছিল কন্ঠ গত এবং তে তমরা আল্লাহ সম্বন্ধে নানাবিধ ধারণা
পোষণ করছিলে ৷ (৩৩ অ হযাবং : ১০) ৷

ইমাম বুখারী (র) বলেন, উছাংান ইবন আবুশায়বা ---- আইশ৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন
’,াএ্এট্রু’১া৷ ;র্মু ৷ টু ং১াট্রু ৰু;’ৰুং ট্রুাট্রট্রু৷ ট্রু ৰুপ্রু, ংণ্’ষ্দ্বুট্রুন্দ্বু :, ধ্ৰুৎ ’,ষ্া ন্ ং১৷ আয়াত সম্পর্কে তিনি
বলেন এ ঘটনা ঘটেছিল খন্দকের যুদ্ধের দিনে ৷

মুসা ইবন উক্ব৷ বলেন, সম্মিলিত শত্রু বাহিনী মদীনায় উপকণ্ঠে অবতরণের পর বনুকুরায়যা
গোত্র নিজেদের দুর্গের ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল ৷

ইবন ইসহাক বলেন হুয়ই ইবন আখতার নাযীবী এণয়ে গেল ৷ সে কুরয়যা গোত্রের
নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি কা ব ইবন আসাদ কুরযীর নিকট গািহ্ পৌছল ৷ হুয় ই ইবন আ খতরের
আগমন সংবাদ শুনে কাব ইবন আসাদ দুর্গের দরজা ভালভাবে বন্ধ করে দিল যাতে সে ভেতরে
প্রবেশ করতে না পারে এবং তার সাথে সাক্ষত না হয় ৷ হুয়ই দরযয় গিয়ে ভেতরে প্রবেশের
অনুমতি চাইল কিন্তু কা ব তাকে অনুমতি দিল না ৷ হুয ই ডেকে ডেকে বলল, দৃর্ভে৷ ৷গ তোমার
হে কা ব ৷ আমি এসেছি দরয খুলে দাও ৷ কা ব বলল, হে হয় ৷ই , দৃর্ভোগ তোমার তুমি একজন
অপয় লোক ৷ আমি ঘুহাম্মদের (সা) সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি ৷ এখন আমি ওই চুক্তি ভঙ্গ করতে
পারব ন, আ তার পক্ষ থেকে চুক্তি রক্ষা ও সতত ছাড় আন্য কিছু পা ইনি ৷ হুয়ই বলে ধুত্তরী,
তুমি দরজা খােল, আমি৫ আমার সাথে কথা বলব ৷ কা ব বলল ন আমি দরজা খুলব না ৷ হয় ই
বলল, বুঝেছি, আমি ভেতরে ঢুকে তোমার খবরে ভাগ বসাবএ ভয়ে তুমি আমার জন্যে দরজা
বন্ধ করে রেখেছ ৷ এতে কা বের আত্মসম্মনে আঘাত লাগে এবং সে দরজা খুলে দেয় ৷ হুয়ই
বলল, হে ক ব আমিৰু তামার নিকট একটি বিরাট ও বিরল সম্মান ও অতল সাগরের সন্ধান নিয়ে
এসেছি ৷ সে বলল,৩ ত আবার কী ? হুয়ই বলল কুরয়শের সকল নেতৃস্থানীয় লোকদেরকে আমি
সাথে নিয়ে এসেছি ৷ ওদেরকে রুমা অঞ্চলের “মুজতামা আল আসয়ল” নামক স্থানে রেখেছি ৷
আমি গতফান গোত্রের লোকজনকে ওদের ণ্নতকর্মীসহ নিয়ে এসেছি ৷ ওদেরকে উহুদ পাহাড়ের
পাদদেশে নাকমা-তে রেখেছি ৷ ওর সকলে আমার সাথে ওয়দাবদ্ধ হয়েছে যে, মুহাম্মাদ (সা) ও
তার সাথীদেরকে নির্মুল না করে কেউ ফিরে যাবে ন ৷ কাব বলল , তুমি আমার নিকট থুশীর
খবর আননি; বরং এনেছ অপমান ও লাঞ্চুনর খবর ৷ তুমি আমার নিকট নিয়ে এসেছ এমন
যেঘমালা য পানি শুন্য ৷ যা শুধু বজ্রপাত করে ও বিদ্যুৎ চমকয়; কিন্তু তার মধ্যে কোন পানি
নেই ৷ হে হুয়ই ! তুমি আমাকে আমার অবস্থায় থাকতে দাও ৷ কারণ, আমি মুহাম্মদের (সা) পক্ষ
থেকে কােনদিন চুক্তি তলের কোন উদ্যোগ দেখিনি, তিনি সততর সাথে বরং চুক্তি ও অঙ্গীকার
পালন করে চলেছেন ৷ এ বিষয়ে আমর ইবন সাদ কুরযীও কথা বলেছিল ৷ যে খুব উত্তম কথা
বলেছিল বলে মুসা ইবন উকব উল্লেখ করেছেন ৷ রসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে ওদের চুক্তি ও
অঙ্গীকরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সে তখন বলেছিল, তে আমরা যদি মুহাম্মাদ (স) কে সাহায্য
করতেন না চাও তবে তাকে ছেড়ে দাও ৷ তিনি নিজে নিজেরট বুঝবেন ৷ কিন্তু তোমরা তার
শত্রুদেরকে সাহায্য করতে যেয়েন ৷


[مَوْقِفُ الْأَحْزَابِ بَعْدَ فَرَاغِ رَسُولِ اللَّهِ مِنَ الْخَنْدَقِ] فَصْلٌ (مَوْقِفُ الْأَحْزَابِ بَعْدَ فَرَاغِ رَسُولِ اللَّهِ مِنَ الْخَنْدَقِ) قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْخَنْدَقِ، أَقْبَلَتْ قُرَيْشٌ حَتَّى نَزَلَتْ بِمُجْتَمَعِ الْأَسْيَالِ مِنْ رُومَةَ، بَيْنَ الْجُرُفِ وَزَغَابَةَ، فِي عَشَرَةِ آلَافٍ مِنْ أَحَابِيشِهِمْ وَمَنْ تَبِعَهُمْ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ وَأَهْلِ تِهَامَةَ، وَأَقْبَلَتْ غَطَفَانُ وَمَنْ تَبِعَهُمْ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ، حَتَّى نَزَلُوا بِذَنَبِ نَقَمَى إِلَى جَانِبِ أُحُدٍ وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ، حَتَّى جَعَلُوا ظُهُورَهُمْ إِلَى سَلْعٍ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَضَرَبَ هُنَالِكَ عَسْكَرَهُ، وَالْخَنْدَقُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقَوْمِ وَأَمَرَ بِالذَّرَارِيِّ وَالنِّسَاءِ فَجُعِلُوا فَوْقَ الْآطَامِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ قُلْتُ: وَهَذَا مَعْنَى قَوْلِهِ تَعَالَى: {إِذْ جَاءُوكُمْ مِنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الْأَبْصَارُ وَبَلَغَتِ الْقُلُوبُ الْحَنَاجِرَ وَتَظُنُّونَ بِاللَّهِ الظُّنُونَا} [الأحزاب: 10] قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ {إِذْ جَاءُوكُمْ مِنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الْأَبْصَارُ} [الأحزاب: 10] قَالَتْ: ذَلِكَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ.
পৃষ্ঠা - ২৮৯৬
قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَلَمَّا نَزَلَ الْأَحْزَابُ حَوْلَ الْمَدِينَةِ أَغْلَقَ بَنُو قُرَيْظَةَ حِصْنَهُمْ دُونَهُمْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَخَرَجَ حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ النَّضَرِيُّ حَتَّى أَتَى كَعْبَ بْنَ أَسَدٍ الْقُرَظِيَّ صَاحِبَ عَقْدِهِمْ وَعَهْدِهِمْ، فَلَمَّا سَمِعَ بِهِ كَعْبٌ أَغْلَقَ بَابَ حِصْنِهِ دُونَ حُيَيٍّ، فَاسْتَأْذَنَ عَلَيْهِ، فَأَبَى أَنْ يَفْتَحَ لَهُ، فَنَادَاهُ: وَيْحَكَ يَا كَعْبُ! افْتَحْ لِي. قَالَ: وَيْحَكَ يَا حُيَيُّ! إِنَّكَ امْرُؤٌ مَشْئُومٌ، وَإِنِّي قَدْ عَاهَدْتُ مُحَمَّدًا، فَلَسْتُ بِنَاقِضٍ مَا بَيْنِي وَبَيْنَهُ، وَلَمْ أَرَ مِنْهُ إِلَّا وَفَاءً وَصِدْقًا. قَالَ: وَيْحَكَ! افْتَحْ لِي أُكَلِّمْكَ. قَالَ: مَا أَنَا بِفَاعِلٍ. قَالَ: وَاللَّهِ إِنْ أَغْلَقْتَ دُونِي إِلَّا خَوْفًا عَلَى جَشِيشَتِكَ أَنْ آكُلَ مَعَكَ مِنْهَا. فَأَحْفَظَ الرَّجُلَ، فَفَتَحَ لَهُ، فَقَالَ: وَيْحَكَ يَا كَعْبُ! جِئْتُكَ بِعِزِّ الدَّهْرِ وَبَحْرٍ طَامٍ. قَالَ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: جِئْتُكَ بِقُرَيْشٍ عَلَى قَادَتِهَا وَسَادَتِهَا، حَتَّى أَنْزَلْتُهُمْ بِمُجْتَمَعِ الْأَسْيَالِ مِنْ رُومَةَ، وَبِغَطَفَانَ عَلَى قَادَتِهَا وَسَادَتِهَا حَتَّى أَنْزَلْتُهُمْ بِذَنَبِ نَقَمَى إِلَى جَانِبِ أُحُدٍ قَدْ عَاهَدُونِي وَعَاقَدُونِي عَلَى أَنْ لَا يَبْرَحُوا حَتَّى نَسْتَأْصِلَ مُحَمَّدًا وَمَنْ مَعَهُ. فَقَالَ كَعْبٌ: جِئْتَنِي وَاللَّهِ بِذُلِّ الدَّهْرِ، وَبِجَهَامٍ قَدْ هَرَاقَ مَاءَهُ، يُرْعِدُ وَيُبْرِقُ، وَلَيْسَ فِيهِ
পৃষ্ঠা - ২৮৯৭

ইবন ইসহাক বলেন , হুয়াই ইবন আখতার নাছোড়বান্দা ৷ সে কাব (ক ধরেছে তো ধরেছেই
আর ছাড়ছে না ৷ আকাশ পাতাল অনেক বুঝাতে বুঝাতে শেষ পর্যন্ত কা ব চুক্তিভঙ্গ করতে রাজয
এবং রাসুলুল্লাহ্ ( সা) এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত শত্রু বাহিনীর পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করতে রাষী হয়ে গেল ৷
তবে একটা শর্ত ছিল যে , এ ব্যাপারে হুয়াই ইবন আখতার অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে যে , মুহাম্মাদ
(সা)-কে পরাজিত করতে না পেয়ে যদি কুরায়শ ও পাতফান গোত্র ফিরে যায় তাহলে সে বনু
কুরায়যা গোত্রের দুর্গে ঢুকে পড়বে এবং ওদের যে পরিণতি হবে স্ব,স-শ্হ্শু ওই পরিণতি ভোগ
করবে ৷ তখন কাব ইবন আসাদ তার ও রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর মাঝে যে চুক্তি ছিল তা বাতিলের
ঘোষণা দিল ৷

মুসা ইবন উক্বা বলেন, কাব ইবন আসাদ ও বনু কুরায়যার (হুন্ব্বকজন হুয়াই ইবন
আখতাবকে নির্দেশ দিল কুরায়শ ও পাতফান গোত্রের কতক লোককে বন্দণ্শ্ব১ রাখতে ৷ ওরা বনু
কুরায়যার নিকট আবদ্ধ থাকবে যাতে মুহাম্মাদ (সা)ন্-£ক পরাজিত না করে ওরা ফিরে পেলে বনু
কুরায়যার গোত্র অত্যাচারিত না হয় ৷ তারা বলল যে, ওদের ৯০ জন স্ন্তুাম্ভ লোক বন্ধক হিসেবে
থাকবে ৷ হুয়াই ইবন আখতার এ বিষয়ে কুরারশী ও পাতফানীদেরকে রাযী৷ করাল ৷

এ পর্যায়ে বনুকুরায়যার লোকেরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করল এবং চুক্তিপত্র ছিড়ে ফেলল ৷ তবে
সানার পুত্রএয় আসাদ উসায়দ ও ছালাবা ইয়াহ্রদীদের পক্ষ ত্যাগ করে রাসুলুল্লাহ্ ( সা;)-এর নিকট
চলে যায় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াহুদীদের প্রতিশ্রুতি তলের সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ ( সা ) এবং অন্যান্য
মুসলমানদের নিকট (পৌছে যায় ৷ তিনি আওস প্রধান সাদ ইবন মুআয এবং খাযরাজ গোত্র প্রধান
সাদ ইবন উবাদা (রা)-কে সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জানা পাঠালে ন ৷ তাদের সাথে ছিলেন
তা৷বদুল্লাহ্ ইবন রাওয়া হা ও খাওয়াত ইবন জুবায়র ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা ওই
সম্প্রদায়ের নিকট যাও ৷ তারপর দেখ, আমরা যা শুনেছি তা সত্য কিনা ৷ যদি ওই ঘটনা সত্য হয়,
তবে সাংকেতিক শব্দ দ্বারা পরিস্থিতি আমাকে জানাবে ৷ মুসলমানদের আম মজলিসে তা ঘোষণা
করবে না ৷ আর যদি ওরা চুক্তি বহাল রাখে তবে মুসলমানদের আম মজলিশে তা প্রকাশ করতে
পার ৷ তারা গেলেন ওদের নিকট ৷ তারা ওদের দুর্পের মধ্যে প্রবেশ করলেন ৷ তাদেরকে চুক্তি
নরায়ন ও পুনঃচুক্তি সম্পাদনের আহ্বান জানালেন ৷ তারা বলল, হার এখন ? অথচ আমাদের
একটি ডানা ভেঙ্গে গেছে ৷ অর্থাং বানু নাযীর গোত্র বহিষ্কৃত হয়েছে ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
সম্পর্কে কর্টুক্তিও করে ৷ সাদ ইবন উবাদাহ (রা) ওদেরকে পাল মন্দ করতে লাপলেন ৷ তারা
তাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল ৷ হযরত সা“দ হইল মৃআয বললেন, আল্লাহর কসম, আমরা ঝগড়া
করতে আসিনি ৷ এখন আমাদের যে পরিস্থিতি তা গালপ্মান্দর চেয়েও গুরুতর ৷ এবার সাদ ইবন
মু“আয (রা ) ওদেরৰুক ডেকে বললেন, হে বনু কুরায়যা গোত্র ! তোমাদের মাঝে এবং রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর মাঝে কী চুক্তি ছিল তা তোমাদের জানা আছে ৷ ওই চুক্তি ভঙ্গ করলে বনু নাযীরের ন্যায়
কিংবা তদপেক্ষা কঠিন পরিণতি তোমাদের হতে পারে বলে আমি আশংকা করছি ৷ তারা তখন
তার প্রতি অশ্লীল বাক্য প্রয়োগ করে ৷ তিনি বললেন, শালীন ভাষা ব্যবহার করাটাই তোমাদের
জন্যে উত্তম ছিল ৷

ইবন ইসহাক বলেন , ওরা রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সম্পর্কে কর্টুক্তি করেছিল ৷ তারা বলেছিল,


شَيْءٌ، وَيْحَكَ يَا حُيَيُّ! فَدَعْنِي وَمَا أَنَا عَلَيْهِ؛ فَإِنِّي لَمْ أَرَ مِنْ مُحَمَّدٍ إِلَّا صِدْقًا وَوَفَاءً. وَقَدْ تَكَلَّمَ عَمْرُو بْنُ سَعْدٍ الْقُرَظِيُّ فَأَحْسَنَ، فِيمَا ذَكَرَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ ذَكَّرَهُمْ مِيثَاقَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَهْدَهُ، وَمُعَاقَدَتَهُمْ إِيَّاهُ عَلَى نَصْرِهِ، وَقَالَ: إِذَا لَمْ تَنْصُرُوهُ فَاتْرُكُوهُ وَعَدُوَّهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَلَمْ يَزَلْ حُيَيٌّ بِكَعْبٍ يَفْتِلُ فِي الذِّرْوَةِ وَالْغَارِبِ حَتَّى سَمَحَ لَهُ - يَعْنِي فِي نَقْضِ عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِي مُحَارَبَتِهِ مَعَ الْأَحْزَابِ - عَلَى أَنْ أَعْطَاهُ حُيَيٌّ عَهْدَ اللَّهِ وَمِيثَاقَهُ: لَئِنْ رَجَعَتْ قُرَيْشٌ وغَطَفَانُ وَلَمْ يُصِيبُوا مُحَمَّدًا؛ أَنْ أَدْخُلَ مَعَكَ فِي حِصْنِكَ حَتَّى يُصِيبَنِي مَا أَصَابَكَ. فَنَقَضَ كَعْبُ بْنُ أَسَدٍ عَهْدَهُ، وَبَرِئَ مِمَّا كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَأَمَرَ كَعْبُ بْنُ أَسَدٍ وَبَنُو قُرَيْظَةَ حُيَيَّ بْنَ أَخْطَبَ أَنْ يَأْخُذَ لَهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ وغَطَفَانَ رَهَائِنَ تَكُونُ عِنْدَهُمْ. يَعْنِي لِئَلَّا يَنَالَهُمْ ضَيْمٌ إِنْ هُمْ رَجَعُوا وَلَمْ يُنَاجِزُوا مُحَمَّدًا. قَالُوا: وَتَكُونُ الرَّهَائِنُ تِسْعِينَ رَجُلًا مِنْ أَشْرَافِهِمْ. فَنَازَلَهُمْ حُيَيٌّ عَلَى ذَلِكَ، فَعِنْدَ ذَلِكَ نَقَضُوا الْعَهْدَ، وَمَزَّقُوا
পৃষ্ঠা - ২৮৯৮
الصَّحِيفَةَ الَّتِي كَانَ فِيهَا الْعَهْدُ، إِلَّا بَنِي سَعْيَةَ أَسَدٌ وَأَسِيدٌ وَثَعْلَبَةُ، فَإِنَّهُمْ خَرَجُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَلَمَّا انْتَهَى الْخَبَرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِلَى الْمُسْلِمِينَ، بَعَثَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ،، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُ الْأَوْسِ، وَسَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ سَيِّدُ الْخَزْرَجِ، وَمَعَهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ وَخَوَّاتُ بْنُ جُبَيْرٍ، قَالَ: " انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ فَتَنْظُرُوا أَحَقٌّ مَا بَلَغَنَا عَنْهُمْ، فَإِنْ كَانَ حَقًّا فَالْحَنُوا لِي لَحْنًا أَعْرِفُهُ، وَلَا تَفُتُّوا فِي أَعْضَادِ الْمُسْلِمِينَ، وَإِنْ كَانُوا عَلَى الْوَفَاءِ فَاجْهُرُوا بِهِ لِلنَّاسِ ". قَالَ: فَخَرَجُوا حَتَّى أَتَوْهُمْ. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فَدَخَلُوا مَعَهُمْ حِصْنَهُمْ، فَدَعَوْهُمْ إِلَى الْمُوَادَعَةِ وَتَجْدِيدِ الْحِلْفِ، فَقَالُوا: الْآنَ وَقَدْ كُسِرَ جَنَاحُنَا وَأَخْرَجَهُمْ؟! يُرِيدُونَ بَنِي النَّضِيرِ، وَنَالُوا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ يُشَاتِمُهُمْ، فَأَغْضَبُوهُ، فَقَالَ لَهُ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ إِنَّا وَاللَّهِ مَا جِئْنَا لِهَذَا، وَلَمَا بَيْنَنَا أَكْبَرُ مِنَ الْمُشَاتَمَةِ. ثُمَّ نَادَاهُمْ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فَقَالَ: إِنَّكُمْ قَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ يَا بَنِي قُرَيْظَةَ، وَأَنَا خَائِفٌ عَلَيْكُمْ مِثْلَ يَوْمِ بَنِي النَّضِيرِ أَوْ أَمَرَّ مِنْهُ. فَقَالُوا: أَكَلْتَ أَيْرَ أَبِيكَ. فَقَالَ: غَيْرُ هَذَا مِنَ الْقَوْلِ كَانَ أَجْمَلَ بِكُمْ وَأَحْسَنَ.
পৃষ্ঠা - ২৮৯৯

রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবার কে ? মুহাম্মাদ ও আমাদের মধ্যে কোন চুক্তি নেইা সা দ ইবন মু“আয
তাদেরকে ভব্সনা করলেনা ওরাও তাকে পাল্টা ভহ্সনা করলা সাদ ইবন মুআয (রা ) ছিলেন
অত্যন্ত তেজম্বী প্রকৃতির লোকা সাদ ইবন উবাদা (রা) বললেন থাক থাক পাল মন্দের দরকার
নেই ৷ এখন আমাদের আর ওদের মধ্যকার পরিন্থিতিতার চেয়ে অনেক বেশী গুরুতরা হযরত
সা দ ইবন মু আর, সা দ ইবন উবাদাহ্ এবং৩ তাদের সাথে যারা ছিলেন তারা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর
নিকট ফিরে এলেনা তারা তাকে সালাম জানিয়ে সাং কোতক তার য় বললেন, “আমল ও কারাহ
গোত্র”া অর্থাৎ আযল ও কারাহ গােত্রদ্বয় যেমন বিশ্বাসঘাতকতা করে হযরত থুবায়ব (বা) ও তার
সাথীদেরকে হত্যা করেছিল এরাও তেমনি বিশ্বাসঘাতকতার পথ ব্বরছে নিয়েছে ৷ তাদের বক্তব্য
শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলে উঠলেন “আল্লাহ আকবার ” হে মসলিমপণ ! সুসংবাদ গ্রহণ করা

মুসা ইবন উকবা বলেন, বনুকুরায়যা গোত্রের সংবাদ শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাপড়ে মাথা
ঢেকে শুয়ে পড়লেনা দীর্ঘক্ষণ তিনি এ অবস্থায় ছিলেন ৷ তাকে শায়িত দেখে লোকজন
দৃশ্চিন্তাগ্নস্ত ও শংকিত হয়ে পড়লা তারা বুঝতে পারল যে, বনু কুরায়যার ব্যাপারে ভাল সংবাদ
আসেনিা এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাথা তুললেন এবং বললেন সকলে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে
সাহায্য ও বিজয়ের সুসংবাদ গ্রহণ করা

ভোরবেলা উভয় পক্ষ মুখোমুখি হল ৷ তীর ও পাথর নিংক্ষাপর ঘটনা ঘটলা রাবী সাঈদ ইবন
ঘৃসায়িব্রর (রা) বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) তখন বলেছিলেন :


“হে আল্লাহা আমি আপনার দেয়া ওয়াদা ও অঙ্গীকার পুর্ণ করার প্রার্থনা জানাচ্ছিা হে আল্লাহ!
আপনি যদি চান যে , আপনার ইবাদত করা হবে না তবে তাই হয়ো” ইবন ইসহাক বলেন, এ
সময়ে এক দারুণাপরীক্ষা উপ ত হয়া লোকজনের মা,ন প্রচন্ড ভীতির নঞ্চার হয়া শত্রু পক্ষ
এগিয়ে আসে তাদের উধ্বঞ্চিল ও নিম্নাঞ্চদ্বন্া থেকো ঈমানদারগণের মনে নানাবিধ ধারণা সৃষ্টি হয়া
আর মুনাফিকরা প্রকাশো মুনাফিকী কথাবা৩া শুরু করে দেয়া আমর ইবন আওফ গোত্রের
মৃআত্তা ব ইবন কুশায়র বলে উঠে, মুহাম্মাদ তো আমাদেরকে রোমকও পারস্য সম্রাাটর ধন-সম্পদ
ভোগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেনা অথচ আমাদের সঙ্গীরা এখন পায়খানায় যাওয়ার নিরাপত্তাও
পাচ্ছেন না আওস ইবন কায়সী বলেছিল ” হে আল্লাহর রাসুল ! আমাদের বাডীঘর শত্রু পক্ষের
সম্মুখে অরক্ষিতা ওদের অনেকেই এরুপ কথা বলে ৷ সুতরাং হে রাসুল ! আমাদেরকে আমাদের
বাড়ী যাওয়ার অনুমতি দিনা অামাদের বাড়ী তো মদীনায় বাইরে অবস্থিতা আমি বলি, আল্লাহ
তা আালা নিম্নের আয়াতে ওদের কথ ই বলেছেন, আল্লাহ্ তা অালা বলেহ্নো :
’>া সুত্রপু’,,, ঢুাা;’;ৰু, ;; দু,;;,;ৰু ন্,, হ্রা; , ,া ;,; এা , ;,াৰুা পুা,হ্র’, ঠুান্,

া পু ;ৰুশু,;১ ণ্ৰুা রু;াং ন্া ;পাদ্বু; ম্র;ৰু;াট্রু ; ;;: ণ্ডু;;,াৰু ;াচ্;ৰু ১া, াঙ্কু,’,

দু :

এপ্নষ্ এ

০ ) ৰু১ !,

২৬

وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: نَالُوا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالُوا: مَنْ رَسُولُ اللَّهِ؟ لَا عَهْدَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مُحَمَّدٍ وَلَا عَقْدَ. فَشَاتَمَهُمْ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ وَشَاتَمُوهُ، وَكَانَ رَجُلًا فِيهِ حِدَّةٌ، فَقَالَ لَهُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ: دَعْ عَنْكَ مُشَاتَمَتَهُمْ، لَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ أَرْبَى مِنَ الْمُشَاتَمَةِ. ثُمَّ أَقْبَلَ السَّعْدَانِ وَمَنْ مَعَهُمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمُوا عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالُوا: عَضَلٌ وَالْقَارَةُ. أَيْ كَغَدْرِهِمْ بِأَصْحَابِ الرَّجِيعِ، خُبَيْبٍ وَأَصْحَابِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «اللَّهُ أَكْبَرُ، أَبْشِرُوا يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ» ". قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، ثُمَّ تَقَنَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَوْبِهِ حِينَ جَاءَهُ الْخَبَرُ عَنْ بَنِي قُرَيْظَةَ، فَاضْطَجَعَ وَمَكَثَ طَوِيلًا، فَاشْتَدَّ عَلَى النَّاسِ الْبَلَاءُ وَالْخَوْفُ حِينَ رَأَوْهُ اضْطَجَعَ، وَعَرَفُوا أَنَّهُ لَمْ يَأْتِهِ عَنْ بَنِي قُرَيْظَةَ خَيْرٌ، ثُمَّ إِنَّهُ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: " «أَبْشِرُوا بِفَتْحِ اللَّهِ وَنَصْرِهِ» ". فَلَمَّا أَنْ أَصْبَحُوا، دَنَا الْقَوْمُ بَعْضُهُمْ مِنْ بَعْضٍ، وَكَانَ بَيْنَهُمْ رَمْيٌ بِالنَّبْلِ وَالْحِجَارَةِ، قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عَهْدَكَ وَوَعْدَكَ اللَّهُمَّ إِنْ تَشَأْ لَا تُعْبَدْ ".» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَعَظُمَ عِنْدَ ذَلِكَ الْبَلَاءُ، وَاشْتَدَّ الْخَوْفُ، وَأَتَاهُمْ
পৃষ্ঠা - ২৯০০

মুনাফিকর৷ এবং যাদের অন্তরে ছিল ব্যাধি তারা বলছিল ৷ আল্লাহ এবং তার রাসুল
আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা প্রতারণা ব্যতীত কিছুই নয় ৷ এবং ওদের একদল
বলেছিল, হে ইয়াছরিবরাসী ৷ এখানে তোমাদের কে ন স্থান নেই ৷ তোমরা ফিরে চল, এবং
ওদের মধ্যে একদল নবীর নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে বলছিল আমাদের বাড়ীঘর অরক্ষিত ৷
অথচ ওগুলো অরক্ষিত ছিল না ৷ আসলে পলায়ন করাই ছিল ওদের উদ্দেশ্যে ৷ (৩৩ আহযাব :
১২, ১৩) ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থ৷ ৷নিলেন ৷ আর মুশরিকরা

নিক্ষেপ ছা ড়৷ অন্য কো ন যুদ্ধ হয়নি ৷ বিপদ খুব কঠিন দেখতে পেয়ে র ৷ নুলুল্লাহ্ (সা) পাতফান
গোত্রের দৃনেতা উয়ায়না ইবন হিসন এবং হারিছ ইবন আওফের নিরন্ট প্রস্তাব পাঠালেন যে, ওরা
যদি ওদের সাথীদেরকে নিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফিরে যায় তবে তাদের ক মদীনায় উং পাদিত মোট
থেজুরের এক তৃভীয়াৎশ প্রদান করা হবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) ও পাত ফানী নেতাদের মাঝে চুক্তি
বিষয়ক আলাপ আলোচনা চলছিল ৷ চুক্তিপত্র লিখা হয়ে গিয়েছিল ৷ তবে স্বাক্ষর ও সত্যায়ন
তখনো হয়ে সারেনি ৷ ইত্যবসরে বিষয়টি সম্পর্কে পরামর্শের জন্যে তিনি সাদ ইবন মুআয ও সাদ
ইবন উবাদা (রা)-কে ডেকে পাঠালেন ৷ তারা এলেন র ৷ সুপৃল্লা হু (সা) তাদেরকে ঘটনা আ ন৷ লে ন ৷
এবং এ ব্যাপারে তাদের পরামর্শ চাইলেন ৷ তারা বললেন ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! এটি কি আপনার
ব্যক্তিগত পসন্দের সিদ্ধ ন্ত ?ত তাহলে আমরা অবশ্যই তা মেনে নিব ৷ অথবা এটি কি অ ল্লাহব
নির্দেশ ? তাহলেও আমরা অবশ্যই এটি মােন নেব ৷ অথবা এটি ক আমাদের স্বার্থের দিকে
তাকিয়ে আপনি করতে যাচ্ছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন এটি বরং তোমাদের স্বার্থেই আমি
করতে চাচ্ছি ৷ আমি এজন্যে এটি করতে চাচ্ছি যে, আমি দেখছি আরবদের সকলে একজােট
হয়ে তোমাদের উপর আক্রমণ করছে একই ধনুক থেকে তারা ভীর ছুড়ছে তোমাদের প্ৰতি এবং
চারিদিক থেকে ওরা ঘিরে ফেলেছেওে তােমাদেরকে ৷ আমি চাচ্ছি যে এ কৌশলের মাধ্যমে ওদের
ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করে ওদেরকে দুর্বল করে দিই ৷ সা দ ইবন মু আয় (রা) বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (না)! এমন এক সময় ছিল যখন আমরা এবং ওরা সকলে শিরকরাদী ছিলাম ৷
মুর্তিপুজা ৷রী ছিলাম ৷ আমরা তখন অ ৷ল্লাহ্র ইবাদত করত ৷ম না আল্লাহ্কে চিনতাম না ৷ তখন তারা
ক্রয় কিৎবা আমাদের পক্ষ থেকে আতিথ্য ব্যতীত আমাদের একটা থেজুরের দিকে লোলুপ দৃষ্টি
নিক্ষেপ করতে পারেনি ৷ আর এখন আল্লাহ্ তাআল৷ আমাদেরকে ইসলাম দ্বারা সম্মানিত
করেছেন ৷ আমাদেরকে ইসলামের দিকে পথ দেখিয়েছেন ৷ আপনার উপস্থিতি ও তার দয়ায়
আমাদেরকে মহিমাযিত করেছেন ৷ ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! এখন কি আমরা আমাদের মাল-সম্পদ
ওদের হাতে তুলে দেব ? এমন চুক্তির আমাদের প্রয়োজন নেই ৷ আল্লাহর কলম! আমরা
ওদেরকে কিছুই দেব না ৷ শুধুউচিয়ে ধরব তরবাবি যতক্ষণ না মহান আল্লাহ্ আমাদের আর ওদের
মাঝে ফায়সালা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ঠিক আছেত মি যা চাচ্ছে৷ তাই হবে ৷ হযরত
সা দ ইবন মু আয় চুক্তি পত্রটি হাতে নিয়ে সকল লিখা মুছে ফেললেন ৷ তারপর বললেন, এবার
ব্যাটার৷ আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করুক ৷




عَدُوُّهُمْ مِنْ فَوْقِهِمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْهُمْ، حَتَّى ظَنَّ الْمُؤْمِنُونَ كُلَّ ظَنٍّ، وَنَجَمَ النِّفَاقُ، حَتَّى قَالَ مُعَتِّبُ بْنُ قُشَيْرٍ أَخُو بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ: كَانَ مُحَمَّدٌ يَعِدُنَا أَنْ نَأْكُلَ كُنُوزَ كِسْرَى وَقَيْصَرَ، وَأَحَدُنَا الْيَوْمَ لَا يَأْمَنُ عَلَى نَفْسِهِ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى الْغَائِطِ. وَحَتَّى قَالَ أَوْسُ بْنُ قَيْظِيِّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ بُيُوتَنَا عَوْرَةٌ مِنَ الْعَدُوِّ - وَذَلِكَ عَنْ مَلَأٍ مِنْ رِجَالِ قَوْمِهِ - فَأْذَنْ لَنَا أَنْ نَرْجِعَ إِلَى دَارِنَا؛ فَإِنَّهَا خَارِجٌ مِنَ الْمَدِينَةِ. قُلْتُ: هَؤُلَاءِ وَأَمْثَالُهُمُ الْمُرَادُونَ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِذْ يَقُولُ الْمُنَافِقُونَ وَالَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ مَا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا غُرُورًا وَإِذْ قَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ يَا أَهْلَ يَثْرِبَ لَا مُقَامَ لَكُمْ فَارْجِعُوا وَيَسْتَأْذِنُ فَرِيقٌ مِنْهُمُ النَّبِيَّ يَقُولُونَ إِنَّ بُيُوتَنَا عَوْرَةٌ وَمَا هِيَ بِعَوْرَةٍ إِنْ يُرِيدُونَ إِلَّا فِرَارًا} [الأحزاب: 12] (الْأَحْزَابِ: 12 - 13) . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَعْنِي مُرَابِطًا - وَأَقَامَ الْمُشْرِكُونَ يُحَاصِرُونَهُ بِضْعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، قَرِيبًا مِنْ شَهْرٍ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمْ حَرْبٌ إِلَّا الرَّمِيَّا بِالنَّبْلِ، فَلَمَّا اشْتَدَّ عَلَى النَّاسِ الْبَلَاءُ، بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَمَا حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَمَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ - إِلَى عُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنٍ وَالْحَارِثِ بْنِ عَوْفٍ الْمُرِّيِّ، وَهُمَا قَائِدَا غَطَفَانَ، «فَأَعْطَاهُمَا ثُلُثَ ثِمَارِ الْمَدِينَةِ عَلَى أَنْ يَرْجِعَا بِمَنْ مَعَهُمَا عَنْهُ وَعَنْ أَصْحَابِهِ، فَجَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمُ
পৃষ্ঠা - ২৯০১
الصُّلْحُ، حَتَّى كَتَبُوا الْكِتَابَ، وَلَمْ تَقَعِ الشَّهَادَةُ وَلَا عَزِيمَةُ الصُّلْحِ إِلَّا الْمُرَاوَضَةُ، فَلَمَّا أَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ، بَعَثَ إِلَى السَّعْدَيْنِ، فَذَكَرَ لَهُمَا ذَلِكَ، وَاسْتَشَارَهُمَا فِيهِ، فَقَالَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَمْرًا تُحِبُّهُ فَنَصْنَعُهُ، أَمْ شَيْئًا أَمَرَكَ اللَّهُ بِهِ وَلَا بُدَّ لَنَا مِنَ الْعَمَلِ بِهِ، أَمْ شَيْئًا تَصْنَعُهُ لَنَا. فَقَالَ: " بَلْ شَيْءٌ أَصْنَعُهُ لَكُمْ، وَاللَّهِ مَا أَصْنَعُ ذَلِكَ إِلَّا أَنِّي رَأَيْتُ الْعَرَبَ رَمَتْكُمْ عَنْ قَوْسٍ وَاحِدَةٍ، وَكَالَبُوكُمْ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَكْسِرَ عَنْكُمْ مِنْ شَوْكَتِهِمْ إِلَى أَمْرٍ مَا ". فَقَالَ لَهُ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ كُنَّا نَحْنُ وَهَؤُلَاءِ الْقَوْمُ عَلَى الشِّرْكِ بِاللَّهِ وَعِبَادَةِ الْأَوْثَانِ، لَا نَعْبُدُ اللَّهَ وَلَا نَعْرِفُهُ، وَهُمْ لَا يَطْمَعُونَ أَنْ يَأْكُلُوا مِنْهَا تَمْرَةً وَاحِدَةً إِلَّا قِرًى أَوْ بَيْعًا، أَفَحِينَ أَكْرَمَنَا اللَّهُ بِالْإِسْلَامِ، وَهَدَانَا لَهُ وَأَعَزَّنَا بِكَ وَبِهِ، نُعْطِيهِمْ أَمْوَالَنَا! مَا لَنَا بِهَذَا مِنْ حَاجَةٍ، وَاللَّهِ لَا نُعْطِيهِمْ إِلَّا السَّيْفَ، حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنْتَ وَذَاكَ ". فَتَنَاوَلَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ الصَّحِيفَةَ، فَمَحَا مَا فِيهَا مِنَ الْكِتَابِ، ثُمَّ قَالَ: لِيَجْهَدُوا عَلَيْهَا» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ مُحَاصَرِينَ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ عَدُوِّهِمْ قِتَالٌ، إِلَّا أَنَّ فَوَارِسَ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْهُمْ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ وُدِّ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، أَحَدُ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، وَعِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ وَهُبَيْرَةُ بْنُ أَبِي وَهْبٍ الْمَخْزُومِيَّانِ، وَضِرَارُ بْنُ الْخَطَّابِ بْنِ مِرْدَاسٍ، أَحَدُ بَنِي مُحَارِبِ بْنِ فِهْرٍ، تَلَبَّسُوا لِلْقِتَالِ ثُمَّ خَرَجُوا عَلَى خَيْلِهِمْ، حَتَّى مَرُّوا بِمَنَازِلِ بَنِي كِنَانَةَ فَقَالُوا: تَهَيَّئُوا يَا بَنِي كِنَانَةَ لِلْحَرْبِ، فَسَتَعْلَمُونَ مَنِ الْفُرْسَانُ الْيَوْمَ. ثُمَّ أَقْبَلُوا تُعْنِقُ بِهِمْ
পৃষ্ঠা - ২৯০২

রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও সাহাবীগণ অবরুদ্ধ হয়ে রইলেন ৷ বড় কোন সংঘর্ষ তখনও হয়নি ৷ হঠাৎ
কুরায়শের কতক অশ্বারোহী সাহসী যোদ্ধা বনু আমির ইবন লুওয়াই গোত্রের আমর ইবন আবদে
উদ, ইকরিমা ইবন আবু জাহল , হুরায়রা ইবন আবু ওয়াহব মাখবুযী , দিরার ইবন খাত্তাব ইবন
মিরদাস প্রমুখ সম্মুখ যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হয়ে গেল ৷ তারা তপ্লোর অশ্ব দলে চেপে বলল এবং বনু
কিনান৷ গোত্রের অবস্থান ক্ষেত্রে গিয়ে বলল, হে বনু কিনান৷ গোত্র যুদ্ধের জন্যে প্রন্তুত হও ৷
আজই তোমরা বুঝতে পারবে অশ্বারোহী যোদ্ধা কাকে বলে ৷ এরপর তারা বীরত্বের সাথে যোড়া
হাকিয়ে পরিখার নিকট পৌছে ৷ পরিখ৷ দেখতে পেয়ে তারা বলল, হায় আল্লাহ্ৰু এ যে, এক নতুন
ফন্দী দেখছি ৷ আরবর৷ তো এমন কৌশল কােনদিন অবলম্বন করেনি ৷ প্রশস্ত পরিখ৷ অতিক্রমে
অপারগ হয়ে তারা এমন স্থান খুজতে লাগল যেখানে পবিখার প্রশস্তত৷ কম ৷ খন্দক ও নানা
পাহাড়ের মধ্যবর্তী এরুপ একটি স্থানে৩ তারা গিয়ে পৌছে ৷ £ৰু ৷৷ডা হ৷ ৷কিয়ে৩াব৷ পরিখ৷ পা ৷রও হয়ে
যায় এবং তাদেরকে নিয়ে তাদের অশ্বগুলাে পরিখ৷ ও ৷ন্া৷রপ্া:থর মধ্যখানে লাফাতে থাকে ৷
এদিকে কয়েকজন মুসলিম যোদ্ধা নিয়ে বেরিয়ে এলেন হযরত আলী (রা৷ ৷ যে পথে শত্রু পক্ষ
পরিখ৷ ৷পার হয়েছিল তারা সেখানে এলেন ৷ শত্রুপক্ষের অশ্বারোহির৷ বীরত্বের সাথে৩ তাদের দিকে
এগিয়ে গেল ৷ শত্রুপক্ষের আমর ইবন আবদ উদ্দ বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে আহত হয়ে প্রাণে
বেচে গিয়েছিল ৷ এই যখমের জন্যেই সে উহুদ যুদ্ধে যে অংশ নিতে পারেনি ৷৩ তাই খন্দক যুদ্ধে
বীরতু দেখানোর জন্যে পতাকা হাতে বের হয় ৷ অশ্বারোহী সঙ্গিগণ সহ পরিখ৷ পর হয়ে সে
মল্লযুদ্ধের আহ্বান জানিয়ে বলে, কে আছ যে, আমার সাথে লড়াই করতে আসবে ? তার
মুকাবিলায় বেরিয়ে আসলেন হযরত ৩আলী (রা ) ৷ তিনি বললেন, হে আমর ! তুমি তো আল্লাহর
সাথে অঙ্গীক৷ ৷র করেছিলে যে, কোন কুরায়শী লোক যদি তামাকে দুটো প্রস্তাব দেয়৩ তুমি দুটোর
যে কোন একটি মেনে নিয়ে ৷ সে বলল, হা৩াইতে৷ ৷ হযরত আলী বললেন, তবে আমি
তোমাকে আল্লাহর পথে, তার রাসুলের পথে এবং ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জ নাচ্ছি ৷ আমর
বলল, না ও সরের আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ হযরত আলী (বা) বললেন, তবে আমি তোমাকে
যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার আহ্বান জানাচ্ছি ৷ সে বলল, ভাতিজ ৷আল্লাহ্র কসম, তোমার মত যুবককে
হত্যা করতে আ ৷মি পসন্দ করি না ৷ হযরত আলী (বা) বললেন, আ ৷মি কিন্তু তোমাকে হত্যা করতে
খুবই আগ্রহী ৷ একথা শুনে আমর রেগে যায় এবং ঘোড়া থেকে নেমে পড়ে ৷ আপন তরবাবিতে
যে নিজের ঘোড়ার পা কেটে দিয়ে তার মুখে আঘাত করে ৷ এরপর হযরত আলীর (রা) সম্মুখে
উপস্থিত হয় ৷ উভয়ে তরবারি পরিচালনা শুরু করেন ৷ শেষ পর্যন্ত হযরত আলী (বা) ওকে হত্যা
করেন ৷ তার সাথী অশ্বারোহ্নিাণ পরাজয় বরণ করে , পরিখ৷ পার হয়ে পালিয়ে যায় ৷
ইবন ইসহাক বলেন, এ প্ৰসৎগে হযরত আলী (রা) নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন ;;

ব্লু,


সে সাহায্য করেছে পাথরের মুর্ডিং ৷ এটি ছিল তার মুর্থতাপুর্ণ সিদ্ধান্ত ৷ আমি সাহায্য করেছি
মুহাম্মাদ (সা) এর প্রতিপা ৷লকের ৷ আ ৷মি অনুসরণ করেছি সঠিক পথের ৷

শ্ :



خَيْلُهُمْ، حَتَّى وَقَفُوا عَلَى الْخَنْدَقِ، فَلَمَّا رَأَوْهُ قَالُوا: وَاللَّهِ إِنَّ هَذِهِ لَمَكِيدَةٌ مَا كَانَتِ الْعَرَبُ تَكِيدُهَا. ثُمَّ تَيَمَّمُوا مَكَانًا مِنَ الْخَنْدَقِ ضَيِّقًا، فَضَرَبُوا خَيْلَهُمْ فَاقْتَحَمَتْ مِنْهُ، فَجَالَتْ بِهِمْ فِي السَّبْخَةِ بَيْنَ الْخَنْدَقِ وَسَلْعٍ، وَخَرَجَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فِي نَفَرٍ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، حَتَّى أَخَذُوا عَلَيْهِ الثُّغْرَةَ الَّتِي أَقْحَمُوا مِنْهَا خَيْلَهُمْ، وَأَقْبَلَتِ الْفُرْسَانُ تُعْنِقُ نَحْوَهُمْ، وَكَانَ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ وُدٍّ قَدْ قَاتَلَ يَوْمَ بَدْرٍ حَتَّى أَثْبَتَتْهُ الْجِرَاحَةُ، فَلَمْ يَشْهَدْ يَوْمَ أُحُدٍ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْخَنْدَقِ، خَرَجَ مُعْلِمًا لِيُرَى مَكَانُهُ، فَلَمَّا وَقَفَ هُوَ وَخَيْلُهُ قَالَ: مَنْ يُبَارِزُ؟ فَبَرَزَ لَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ لَهُ: يَا عَمْرُو، إِنَّكَ كُنْتَ عَاهَدْتَ اللَّهَ لَا يَدْعُوكَ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى إِحْدَى خَلَّتَيْنِ إِلَّا أَخَذْتَهَا مِنْهُ. قَالَ: أَجَلْ قَالَ لَهُ عَلِيٌّ: فَإِنِّي أَدْعُوكَ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ وَإِلَى الْإِسْلَامِ. قَالَ: لَا حَاجَةَ لِي بِذَلِكَ. قَالَ: فَإِنِّي أَدْعُوكَ إِلَى النِّزَالِ. قَالَ لَهُ: لِمَ يَا ابْنَ أَخِي، فَوَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنْ أَقْتُلَكَ. قَالَ لَهُ عَلِيٌّ: لَكِنِّي وَاللَّهِ أُحِبُّ أَنْ أَقْتُلَكَ. فَحَمِيَ عَمْرٌو عِنْدَ ذَلِكَ، فَاقْتَحَمَ عَنْ فَرَسِهِ، فَعَقَرَهُ وَضَرَبَ وَجْهَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ، فَتَنَازَلَا وَتَجَاوَلَا، فَقَتَلَهُ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَخَرَجَتْ خَيْلُهُمْ مُنْهَزِمَةً، حَتَّى اقْتَحَمَتْ مِنَ الْخَنْدَقِ هَارِبَةً. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فِي ذَلِكَ: نَصَرَ الْحِجَارَةَ مِنْ سَفَاهَةِ رَأْيِهِ ... وَنَصَرْتُ رَبَّ مُحَمَّدٍ بِصَوَابِ
পৃষ্ঠা - ২৯০৩

তাকে মাটিতে (ফলে দিয়ে আমি যখন ফিরে আমি তখন তাকে মনে হয়েছিল বালুস্তুপ ও
পাহ৷ ৷ড়ী টিলা র মাঝখানে সে একটি কর্তিত বৃক্ষ কাণ্ড ৷

শ্শ্শ্শ্শ্

পুস্টু£
আমিও ৷ ৩ার কাপড়-চােপড় ও অস্ত্রশস্ত্র ছেড়ে এসেছি ৷ আমি যদি ক ৷তাইই৷ জাম৷ ৷পরিধান করতে ৰু
চাইতাম তবে তা পার৩ ৷ম ৷ কিন্তু আম৷ র কা ৷পড়ই আমার জন্যে যথেষ্ট ৷


হে সম্মিলিত শত্রু বাহিনী ৷ কখনো মনে করোন৷ যে আল্লাহ তাআল৷ তার দীনকে এবং তার
নবীকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করবেন ৷

ইবন হিশাম বলেন, কবিতা বিশেষজ্ঞগণ এ বিষয়ে সন্দেহ করেন যে, এটি আলী (বা ) এর
কবিতা কিন৷ ৷ ইবন হিশাম বলেন, আমরের করুণ অবস্থা দেখে ই ক রাম ৷সেদিন বশা ফেলে
পালিয়ে যেচেছিল ৷ এ প্রসংগে হাসৃসান ইবন ছ বি৩ (র ) বলেন চ

শ্শ্শ্শ্শ্

আমাদের জন্যে বর্শ৷ ৷ফেলে রেখে যে পালিয়ে গিয়েছে ৷ তুমি যদি বীর পুরুষ হতে তবে
এরুপ করতে পারতে ন৷ ৷
ধ্া’;ৰুণ্ং৷ ৷ এে )ট্রুন্’১প্লু ংর্চু (ৰু ৰুএে ৷ ;;; < ৰুন্ছুছুছু ন্এ্ট্রুট্রু
তুমি তো পৃষ্ঠ প্ৰদশ্নি করে পালিযেছ ৷ যেমন উটপাখী তার স্থান থেকে পালায় ৷
,)ছুটুট্র ৷ব্লুদ্বু ;াএে ’ ৷হ্র ৮ৰুর্দু ;প্া,ছুএ্;ন্ ):, ষ্টুড়ু
বন্ধুতু ও সহা নুভুতি লাভের আশায় তুমি পিছনে ফিরে তাকাওনি (তামার ঘাড় যেন ছিল
ন্ভ্রল্লুকের ঘ৷ ড় ৷
ইবন হিশাম বলেন, দু); ৷ ঠুট্রু শব্দের অর্থ হচ্ছে ভল্লুক ছান৷ ৷
হাফিয বায়হাকী তার দালাইল গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ইবন ইনহাক থেকে যে আমর ইবন
আবৃদ উদ্দ লৌহ বর্মে মুখ ঢেকে উপ ড়হয়েছিল যুদ্ধের ময়দানে ৷ সে হাক ছেড়ে বলল, (ক
আছ যে, আমার সাথে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হবে ? হযরত আলী (র৷ ) দাড়িয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) — এর
অনুমতি চেয়ে বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমি আছি ওর বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, যে যে আমর, তুমি বসে পড় ৷ আমর আবার হাক ছেড়ে বলল, এমন কোন বীর
পুরুষ কি নেই যে আমার সাথে লড়৷ ৷ই করতে পারবে ? সে মুসলমানদেরকে বিদ্রুপ করতে লাগল
এবং বল তোমাদের ওই জান্নাত কোথায় যা সম্পর্কে তোমরা বলে থাক যে তোমাদের :কউ
নিহত হলে ওই জা ন্নাতে প্রবেশ করবে ? তোমরা কো ন পুরুষকে আমার সাথে লড়ওে পাঠাচ্ছনা
কেন প্ হযরত আলী (বা) দাড়িয়ে বললেন ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ আমি প্রস্তুত ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তুমি বসে পড় ৷ আমর তভীয়বার হাক ছেড়ে রললং :

আমিও” তা ওদের সকলকে উদ্দেশ্য করে ডাক ছেড়ে বলেছি, তোমাদের মধ্যে লড়াই করার
কেউ আছে কি ?


فَصَدَدْتُ حِينَ تَرَكْتُهُ مُتَجَدِّلًا كَالْجِذْعِ بَيْنَ دَكَادِكٍ وَرَوَابِي ... وَعَفَفْتُ عَنْ أَثْوَابِهِ وَلَوَ انَّنِي كُنْتُ الْمُقَطَّرَ بَزَّنِي أَثْوَابِي ... لَا تَحْسَبُنَّ اللَّهَ خَاذِلَ دِينِهِ وَنَبِيِّهِ يَا مَعْشَرَ الْأَحْزَابِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ يَشُكُّ فِيهَا لَعَلِيٍّ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأَلْقَى عِكْرِمَةُ رُمْحَهُ يَوْمَئِذٍ وَهُوَ مُنْهَزِمٌ عَنْ عَمْرٍو، فَقَالَ فِي ذَلِكَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فَرَّ وَأَلْقَى لَنَا رُمْحَهُ ... لَعَلَّكَ عِكْرِمَ لَمْ تَفْعَلِ وَوَلَّيْتَ تَعْدُو كَعَدْوِ الظَّلِي ... مِ مَا أَنْ تَحُورَ عَنِ الْمَعْدِلِ وَلَمْ تُلْقِ ظَهْرَكَ مُسْتَأْنِسًا ... كَأَنَّ قَفَاكَ قَفَا فُرْعُلِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: الْفَرَاعِلُ صِغَارُ الضِّبَاعِ. وَذَكَرَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ فِي مَوْضِعٍ
পৃষ্ঠা - ২৯০৪
آخَرَ غَيْرِ " السِّيرَةِ " قَالَ: خَرَجَ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ وُدٍّ وَهُوَ مُقَنَّعٌ بِالْحَدِيدِ، فَنَادَى: مَنْ يُبَارِزُ؟ فَقَامَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: أَنَا لَهَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ. فَقَالَ: «إِنَّهُ عَمْرٌو، اجْلِسْ» ". ثُمَّ نَادَى عَمْرٌو: أَلَا رَجُلٌ يَبْرُزُ؟ فَجَعَلَ يُؤَنِّبُهُمْ وَيَقُولُ: أَيْنَ جَنَّتُكُمُ الَّتِي تَزْعُمُونَ أَنَّهُ مَنْ قُتِلَ مِنْكُمْ دَخَلَهَا، أَفَلَا تُبْرِزُونَ إِلَيَّ رَجُلًا؟ فَقَامَ عَلِيٌّ فَقَالَ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ: «اجْلِسْ» ". ثُمَّ نَادَى الثَّالِثَةَ فَقَالَ: وَلَقَدْ بَحَحْتُ مِنَ النِّدَا ... ءِ بِجَمْعِكُمْ هَلْ مِنْ مُبَارِزْ وَوَقَفْتُ إِذْ جَبُنَ الْمُشَجَّ ... عُ مَوْقِفَ الْقِرْنِ الْمُنَاجِزْ وَلِذَاكَ إِنِّي لَمْ أَزَلْ ... مُتَسَرِّعًا قِبَلَ الْهَزَاهِزْ إِنَّ الشَّجَاعَةَ فِي الْفَتَى ... وَالْجُودَ مِنْ خَيْرِ الْغَرَائِزِ قَالَ: فَقَامَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا. فَقَالَ: «إِنَّهُ عَمْرٌو» ". فَقَالَ: وَإِنْ كَانَ عَمْرًا. فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَشَى إِلَيْهِ، حَتَّى أَتَى وَهُوَ يَقُولُ: لَا تَعْجَلَنَّ فَقَدْ أَتَا ... كَ مُجِيبُ صَوْتِكَ غَيْرَ عَاجِزْ فِي نِيَّةٍ وَبَصِيرَةٍ ... وَالصِّدْقُ مُنْجِي كُلَّ فَائِزْ
পৃষ্ঠা - ২৯০৫

স্পো৷ এ১ এাষ্ব্লুদ্বুহ্ব্লুৰু,

আমি তো আমার অবস্থানে ঠায় দাড়িয়ে রইলাম ৷ বীর পুরুষের মত যখন সাহসী বীর পুরুষ
হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকে ৷

স্পোটুকা এছুঠু৷ পু;ঠুঠু াৰু৷ ণ্৷ প্রু১৷ হ্রণ্া৷;া ৭
তা এজনাে যে তরবারি পরিচ৷ ৷ালন র পুর্বেই আমি শত্রুখো ঘায়েল করতে অভ্যস্ত ৷
ব্লু; ৷ এ;এ্ ৷ প্লুং ; ট্রু,ন্ণ্ ৷,ন্রু৷ ৷ , ,াএ ৷ ১ ছুঙুা ৰুঢুঢু৷ ৷ ,, ৷
নিঃসন্দেহে যুবকের মধ্যে বীরতৃ-সাহসিকতা ও দানশীলত৷ ৎাকা তার জন্যে সবােত্তম সম্পদ ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এবারও হযরত আলী (রা) উঠে দাড়ালেন এবং বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ !

আমি প্রস্তুত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ওয়ে আমর হয়রত্ আলী (বা) বললেন সে আমর হলেও

আমিত তর ঘুকাবিলার জন্য প্রস্তুত ৷ এবার রাসুলুল্লাহ্ (সা) ;ন্াক অনুমতি দিলেন ৷ তিনি এগিয়ে
গেলেন আমরের দিকে এবং বললেন :

ন্ব্লুন্চু ৰুান্,
ওহে, তুমি অত তাড়াহুড়া করো না ৷ তোমার হাক-ডাকের উপযুক্ত জবাব দানকারী তোমার
সম্মুখে এসে পড়েছে ৷ এই ব্যক্তি অক্ষম ও দুর্বল নয় ৷
)র্দুাশ্রি বুহৃ১াট্রু
উদ্দেশ্য ও দুরদৃষ্টিতে মোটেই অক্ষম নয় ৷ত তদুপরি সত্য হল সকল সফলতার চাবিকাঠি ৷
গােড্রু১১১
আমি আশা ৷করছি যে আমি তোমার সবদ্যেহর উপর বিলাপক৷ রিণীর ব্যবস্থা করব ৷

প্রু; ৷

ষ্ট্রুণ্ড্রাট্রুহ্ৰুট্রু৷ ৷া; ৷ণ্াঠুও১ নৌৰুঠু ণ্১ান্ন্ম্বু ); ট্রু;ণ্
এমন এক তরবারির আঘাতে আমি তোমার মৃত্যু ঘণ্টা বাজিয়ে দিব যে আঘাত প্রচণ্ড কর্তন
শক্তি সম্পন্ন ৷ প্রত্যেক যুদ্ধের সময় ওই আঘাতের কথা মানুষ স্মরণ করবে ৷
হযরত আলী (রা) এর বণ হুৎকার শুনে আমর বলল, “তুমি কে ?” তিনি বললেন, “আমি
আলী সে বলল, আবৃদ মানাফের পুত্র আ ৷লী ? তিনি বললেন না, আমি আবৃত তালিবের পুত্র আলী ৷
সে বলল, “ভাতিজা তোমার তো অনেক চাচা আছে যারা তোমার চেয়ে বয়স্ক ওদের কাউকে
পাঠাও, আমিব্ তা তোমার মত বাচ্চা ছেলের রক্ত প্রবাহিত করতে চ ই না ৷ ” হযরত আলী (বা)
তার উদ্দেশ্যে বললেন,ত তবে আল্লাহর কসম আমি তোমার রক্ত প্রবাহিত করাকে তাপসন্দ করি
না ৷ এ কথায় আমর রেগে অগ্নিশমা হল ৷ সে ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমে পড়ল ৷ তার তরবারি
বুকাযমুক্ত করে উচিয়ে ধরল ৷ সেটি যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ৷ এরপর রাপে পরপর করতে করতে সে
তাঃাসর হল হযরতঅ আলী (রা) এর দিকে ৷ হযরত আ ৷লী (রা) আক্রমণ প্রতিহত করার জন্যে ঢাল
প্রস্তুত রেখে এগিয়ে গেলেন ৷ আমর আক্রমণ করল হযরত আলী (রা) এর চালের উপর ৷ ঢাল
কেটে তরবারি বের হয়েত ৷গিয়ে লাগল হযরত আলী (বা ) এর মাথায় ৷ তার মাথা যখম হয়ে


إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أُقِي ... مَ عَلَيْكَ نَائِحَةَ الْجَنَائِزْ مِنْ ضَرْبَةٍ نَجْلَاءَ يَبْ ... قَى ذِكْرُهَا عِنْدَ الْهَزَاهِزْ فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا عَلِيٌّ. قَالَ: ابْنُ عَبْدِ مَنَافٍ؟ قَالَ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: غَيْرَكَ يَا ابْنَ أَخِي، وَمِنْ أَعْمَامِكَ مَنْ هُوَ أَسَنُّ مِنْكَ فَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أُهْرِيقَ دَمَكَ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: لَكِنِّي وَاللَّهِ لَا أَكْرَهُ أَنْ أُهْرِيقَ دَمَكَ. فَغَضِبَ، فَنَزَلَ وَسَلَّ سَيْفَهُ كَأَنَّهُ شُعْلَةُ نَارٍ، ثُمَّ أَقْبَلَ نَحْوَ عَلِيٍّ مُغْضَبًا وَاسْتَقْبَلَهُ عَلِيٌّ بِدَرَقَتِهِ، فَضَرَبَهُ عَمْرٌو فِي الدَّرَقَةِ فَقَدَّهَا وَأَثْبَتَ فِيهَا السَّيْفَ، وَأَصَابَ رَأْسَهُ فَشَجَّهُ، وَضَرَبَهُ عَلِيٌّ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ فَسَقَطَ، وَثَارَ الْعَجَاجُ، وَسَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التَّكْبِيرَ فَعَرَفَ أَنَّ عَلِيًّا قَدْ قَتَلَهُ. فَثَمَّ عَلِيٌّ يَقُولُ: أَعَلَيَّ تَقْتَحِمُ الْفَوَارِسُ هَكَذَا ... عَنِّي وَعَنْهُمْ أَخَّرُوا أَصْحَابِي الْيَوْمَ تَمْنَعُنِي الْفِرَارَ حَفِيظَتِي ... وَمُصَمِّمٌ فِي الرَّأْسِ لَيْسَ بِنَابِي إِلَى أَنْ قَالَ: عَبَدَ الْحِجَارَةَ مِنْ سَفَاهَةِ رَأْيِهِ ... وَعَبَدْتُ رَبَّ مُحَمَّدٍ بِصَوَابِ إِلَى آخِرِهَا. قَالَ: ثُمَّ أَقْبَلَ عَلِيٌّ نَحْوَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَجْهُهُ يَتَهَلَّلُ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ هَلَّا اسْتَلَبْتَهُ دِرْعَهُ، فَإِنَّهُ لَيْسَ لِلْعَرَبِ دِرْعٌ خَيْرٌ مِنْهَا؟
পৃষ্ঠা - ২৯০৬

গেল ৷ হযরত আলী (বা) পাল্টা আক্রমণ করেন আমরের ঘাড়ের শিরায় ৷ অমনি সে মাটিতে
লুটিয়ে পড়ে ৷ চারিদিকে জয়ধ্বনি উঠে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাকবীরধ্বনি শুনলেন ৷ তাতে আমরা
বুঝে নিলাম যে, আলী (বা) তাকে হত্যা করেছেন ৷ তখন হযরত আলী (রা) বললেন :

» :

ওহে আলী এভ ৷বে তুমি শত্রুপক্ষের অশ্বারোহী যোদ্ধাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে আমার নিকট

থেকে এবং মুসলমানদের নিকট থেকে ৷ তুমি আমার সাথীদেরকে ওদের আক্রমণ থেকে দুরে
সরিয়ে রাখবে ৷

ষ্
আমার আত্মমযদািবােধ আজ আমাকে পিছু হটতে বারণ করছে আ ৷৷ম তরবারির তীক্ষ্ণ
আঘাত করি মাথায় ৷ মুখে নয় ৷ তিনি আরো বললেন ষ্

, )

ঠুাঠু;

সে তার বিবেক ও বিবেচনায় ভ্রান্তি ও বোকামীর কারণে পাথর পুজা তথা ৷মুর্তি পুজা
করেছে ৷ আর আমি সত্য ও সরল পথের অনুসরণে মুহাম্মাদের (সা ) প্রতিপালক মহান আল্লাহর
ইবাদত করেছি ৷ শেষ পর্যন্ত ৷ এবার আলী (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দিকে অগ্রসর হলেন ৷
তার চোখে মুখে তখন আনন্দের দ্যুতি ৷ উমর ইবন খাত্তাব (বা ) বললেন, আরে, ওর যুদ্ধের
লৌহবর্ম খুলে নিয়ে এলে না কেন ?৩ তার বর্মের চেয়ে উৎকৃষ্ট বর্ম< তা সমগ্র আরবে আর নেই ৷

আলী (রা) বললেন, আমি তাকে আঘাত করেছি ৷ সে তার লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করে আত্মরক্ষার
প্রয়াস পেয়েছে ৷ তার তা ৷তিজ৷ সম্বোধনের কারণে যুদ্ধে বর্য খুলে নিয়ে তাকে বিবস্ত্র করতে আমি
লজ্জাবােধ করেছি ৷ অবশেষে আমরের সাথী অশ্বা রাে ৷হীরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় ৷

বায়হাকী ইবন ইসহাকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, আলী (বা) শত্রুনেতা আমরের
কণ্ঠনালীর গোড়াতে তরবাবি দিয়ে এমন আঘাত করেন যে তা তার র্মুক্রালী ভেদ করে যায় ৷
ফলে সে পরিখার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করে ৷ মুশরিকরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট প্রস্তাব পাঠায় যে,
তারা ১০ :০০ দিরহামের বিনিময়ে আমরের লাশ কিনে নিয়ে ৷ তিনি জবাবে বলেন যে , ওর লাশ
তোমরা এমনিন্ব৩ ই নিয়ে যাও ৷ আমরা লাশ বিক্রি করে মুল্য থাই না

ইমাম আহমদ বলেন, নাসর ইবন বাব ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেছেন, মুসলমানগণ খন্দকের যুদ্ধ দিবসে জনৈক মুশরিককে হত্যা করেন ৷ ওরা লােকটির
লাশের বিনিময়ে অর্থ-সম্পদ দিতে চায় ৷ এ প্রসংগে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ওর লাশ ওদেরকে
এমনিতেই দিয়ে দাও ৷ কারণ নাপাক লাশের বিনিময় ও মুক্তিপণও নাপাক ৷ তিনি এজন্যে
মুশরিকদের নিকট থেকে কোন বিনিময় গ্রহণ করেননি ৷

বায়হাকী এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন, হাম্মাদ ইবন সালাম৷ ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা
করেছেন ৷ তবে তাতে তাদের বিনিময় মুল্য ১০,০০০ স্থলে ১২,০০০ রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এ প্রসঙ্গে বললেন, ওর লাশের মধ্যেও আমাদের কোন কল্যাণ নেই, ওর লাশের মুল্যের মধ্যেও
আমাদের কোন কল্যাণ নেই ৷


فَقَالَ: ضَرَبْتُهُ فَاتَّقَانِي بِسَوْأَتِهِ، فَاسْتَحْيَيْتُ ابْنَ عَمِّي أَنْ أَسْلُبَهُ. قَالَ: وَخَرَجَتْ خُيُولُهُ مُنْهَزِمَةً حَتَّى اقْتَحَمَتْ مِنَ الْخَنْدَقِ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِيمَا حَكَاهُ عَنْهُ الْبَيْهَقِيُّ، أَنَّ عَلِيًّا طَعَنَهُ فِي تَرْقُوَتِهِ حَتَّى أَخْرَجَهَا مِنْ مَرَاقِّهِ، فَمَاتَ فِي الْخَنْدَقِ، وَبَعَثَ الْمُشْرِكُونَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْتَرُونَ جِيفَتَهُ بِعَشَرَةِ آلَافٍ، فَقَالَ: " «هُوَ لَكُمْ، لَا نَأْكُلُ ثَمَنَ الْمَوْتَى» ". وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ بَابٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: «قَتَلَ الْمُسْلِمُونَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، فَأُعْطُوا بِجِيفَتِهِ مَالًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ادْفَعُوا إِلَيْهِمْ جِيفَتَهُ، فَإِنَّهُ خَبِيثُ الْجِيفَةِ خَبِيثُ الدِّيَةِ» . فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُمْ شَيْئًا. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ حَجَّاجٍ، هُوَ ابْنُ أَرْطَاةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: «أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ قُتِلَ يَوْمَ الْأَحْزَابِ، فَبَعَثُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِ ابْعَثْ إِلَيْنَا بِجَسَدِهِ وَنُعْطِيَكَ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا خَيْرَ فِي جَسَدِهِ وَلَا فِي ثَمَنِهِ» ". وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى،
পৃষ্ঠা - ২৯০৭
عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَقَالَ: غَرِيبٌ. وَقَدْ ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، أَنَّ الْمُشْرِكِينَ إِنَّمَا بَعَثُوا يَطْلُبُونَ جَسَدَ نَوْفَلِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمَخْزُومِيِّ حِينَ قُتِلَ، وَعَرَضُوا عَلَيْهِ الدِّيَةَ فَقَالَ: " «إِنَّهُ خَبِيثٌ خَبِيثُ الدِّيَةِ، فَلَعَنَهُ اللَّهُ وَلَعَنَ دِيَتَهُ، فَلَا أَرَبَ لَنَا فِي دِيَتِهِ، وَلَسْنَا نَمْنَعُكُمْ أَنْ تَدْفِنُوهُ» ". وَذَكَرَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: وَخَرَجَ نَوْفَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ يَسْأَلُ الْمُبَارَزَةَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، فَضَرَبَهُ، فَشَقَّهُ بِاثْنَتَيْنِ، حَتَّى فَلَّ فِي سَيْفِهِ فَلًّا، وَانْصَرَفَ وَهُوَ يَقُولُ: إِنِّي امْرُؤٌ أَحْمِي وَأَحْتَمِي ... عَنِ النَّبِيِّ الْمُصْطَفَى الْأُمِّي وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ نَوْفَلًا لَمَّا تَوَرَّطَ فِي الْخَنْدَقِ، رَمَاهُ النَّاسُ بِالْحِجَارَةِ، فَجَعَلَ يَقُولُ: قِتْلَةٌ أَحْسَنَ مِنْ هَذِهِ يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ. فَنَزَلَ إِلَيْهِ عَلِيٌّ فَقَتَلَهُ، وَطَلَبَ الْمُشْرِكُونَ رِمَّتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالثَّمَنِ، «فَأَبَى عَلَيْهِمْ أَنْ يَأْخُذَ مِنْهُمْ شَيْئًا، وَمَكَّنَهُمْ مِنْ أَخْذِهِ إِلَيْهِمْ.» وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ وَجْهَيْنِ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ: جُعِلْتُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ فِي الْأُطُمِ، وَمَعِي عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، فَجَعَلَ يُطَأْطِئُ لِي فَأَصْعَدُ عَلَى ظَهْرِهِ
পৃষ্ঠা - ২৯০৮

তিরমিযী এটি বর্ণনা করেছেন সুফিয়ান ছাওরী ইবন আব্বাস সুত্রে ৷ তিনি মন্তব্য করেছেন যে,
এটি গরীব পর্যায়ের বর্ণনা ৷ মুসা ইবন উক্ব৷ উল্লেখ করেছেন যে, মুশরিকরা নাওফল ইবন
আবদুল্লাহ মাখযুমীর নিহত হওয়ার পর লাশ ফেরত ঢেয়েছিল ৷ আর মুক্তিপণ দেয়ার প্রস্তাব
পাঠিয়েছিল ৷ উত্তরে বাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন“ ৷
ণ্ ট্রু;হ্ , সেতে৷ খাবীছ নাপাক ৷ তার মুক্তিপণও নাপাক ৷ চার ৷উপর আল্লাহর লা নত ৷ তার
মুক্তিপণের উপরও আল্লাহর লানত ৷ ওর মুক্তিপণে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই ৷ ওকে দাফন
করতে আমরা তােমাদেরকে বাধা দেবনা ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন ইসহাক থেকে, তিনি বলেছেন যে, নাওফল
ইবন আবদুল্লাহ ইবন মুগীরা মাখযুমী মাঠে এসে মুসলিম পক্ষাক মল্লযুদ্ধের আহ্বান জানায় ৷
তাকে মুকাবিলার জন্যে এগিয়ে আসেন যুবায়র ইবন আওয়াম বা ) ৷ তিনি প্রচণ্ড আঘাত হানেন
তার উপর ৷ এক আঘাতে তিনি তাকে দৃটুকরে৷ করে ফেলেন ৷ তাতে তার তরবারির ধার নষ্ট
হয়ে যায় ৷ তিনি নিম্নের পংক্তি উচ্চারণ করতে করতে তাবুতে ফিরে আসেন :

fl , fl
ণ্ডাট্টংঙ্কু

আমি এমন এক লোক যে, আমি নিজেকে রক্ষা ৷করি শত্রুর আক্রমণ থেকে এবং উমী নবী
মুহাম্মাদ মুস্তাফা (সা) কে আক্রমণ থেকে রক্ষা করি ৷

ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন যে, নাওফল যখন পরিখার মধ্যে পড়ে ছুটোছুটি শুরু করে,
তখন মুসলমানগণ তার প্ৰতি পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন ৷ তখন সে বলতে থাকে যে, হে
আরব সম্প্রদায় ! আমাকে এভাবে লাঞ্চুনার সাথে যেরো না; বরং একটু সম্মানের মৃত্যু দাও ৷ তখন
হযরত আলী পরিখড়ার মধ্যে নেমে তাকে তরবারির আঘাতে তহত্যা করেন ৷ মুশরিকরা মুক্তিপণের
বিনিময়ে বাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকটত ৷র লাশ ফেরত চায় ৷ ওদের নিকট থেকে কিছু নিতে

রাসুলুল্লাহ্ (সা) অস্বীকা ৷র করেন এবং ওদেরকে ওই লাশ নিয়ে যাবার সুযোগ প্রদান করেন ৷ এই
বর্ণনাটিও গরীব ৷

বায়হাকী (র) হাম্মাদ ইবন ইয়াযীদ আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (বা) থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, খন্দকের যুদ্ধের দিবসে আমাকে দায়িত্ব দেয়৷ হয়েছিল ঢিলার উপর
অবস্থিত দৃর্ণে শিশু ও মহিলাদের দেখা শোনা করার ৷ আমার সহযোগী ছিলেন উমার ইবন৷ স লা৷মা
বাহিরে কী ঘটছে তা দেখার জন্যে আমি ও উমার ইবন আবু সালামা পালাক্রমে ঘাড় নীচু করে
তাকে উপরের পিঠে উঠে বাহিরে তাকিয়ে দেখতাম ৷ আমি সেদিন বাইরে আমার বাবাকে
দেখেছি যে, তিনি একবার এদিকে এসে হামলা করছেন আবার ওদিকে গিয়ে হামলা করছেন ৷
আর যখন কেউ কিছু উচিয়ে ধরতে৷ তখনই তিনি সেখানে গিয়ে পৌছছেন ৷ সন্ধ্যায় আমার বাবা
দুর্গের মধ্যে আমাদের নিকট আসলে আমি বললাম বাবা আজ আপনি যা যা করেছেন আমি তা
দেখেছি ৷ তিনি বললেন, প্রিয়পুত্র ৷ তুমি কি সত্যিই তা দেখেছ ? আমি বললাম, ত্মী৷ হা” ৷ তিনি
বললেন, আমার পিতা-মাতা তোমার জন্যে কুরবা ন হোন ৷


، فَأَنْظُرُ. قَالَ: فَنَظَرْتُ إِلَى أَبِي وَهُوَ يَحْمِلُ مَرَّةً هَاهُنَا وَمَرَّةً هَاهُنَا، فَمَا يَرْتَفِعُ لَهُ شَيْءٌ إِلَّا أَتَاهُ، فَلَمَّا أَمْسَى جَاءَنَا إِلَى الْأُطُمِ، قُلْتُ: يَا أَبَتِ، رَأَيْتُكَ الْيَوْمَ وَمَا تَصْنَعُ. قَالَ: وَرَأَيْتَنِي يَا بُنَيَّ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فِدًى لَكَ أَبِي وَأُمِّي. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَحَدَّثَنِي أَبُو لَيْلَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَهْلٍ الْأَنْصَارِيُّ، أَخُو بَنِي حَارِثَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ كَانَتْ فِي حِصْنِ بَنِي حَارِثَةَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ، وَكَانَ مِنْ أَحْرَزِ حُصُونِ الْمَدِينَةِ. قَالَ: وَكَانَتْ أُمُّ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ مَعَهَا فِي الْحِصْنِ، قَالَتْ عَائِشَةُ: وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُضْرَبَ عَلَيْنَا الْحِجَابُ. قَالَتْ: فَمَرَّ سَعْدٌ وَعَلَيْهِ دِرْعٌ مُقَلَّصَةٌ، قَدْ خَرَجَتْ مِنْهَا ذِرَاعُهُ كُلُّهَا، وَفِي يَدِهِ حَرْبَتُهُ يَرْقَدُّ بِهَا وَيَقُولُ: لَبِّثْ قَلِيلًا يَشْهَدِ الْهَيْجَا حَمَلْ ... لَا بَأْسَ بِالْمَوْتِ إِذَا حَانَ الْأَجَلْ فَقَالَتْ لَهُ أُمُّهُ: الْحَقْ بُنَيَّ، فَقَدْ وَاللَّهِ أَخَّرْتَ، قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ لَهَا: يَا أُمَّ سَعْدٍ، وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنَّ دِرْعَ سَعْدٍ كَانَتْ أَسْبَغَ مِمَّا هِيَ. قَالَتْ: وَخِفْتُ عَلَيْهِ حَيْثُ أَصَابَ السَّهْمُ مِنْهُ، فَرُمِيَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ بِسَهْمٍ فَقَطَعَ مِنْهُ الْأَكْحَلَ.
পৃষ্ঠা - ২৯০৯
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ: رَمَاهُ حِبَّانُ بْنُ قَيْسِ بْنِ الْعَرِقَةِ، أَحَدُ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، فَلَمَّا أَصَابَهُ قَالَ: خُذْهَا مِنِّي وَأَنَا ابْنُ الْعَرِقَةِ. فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: عَرَّقَ اللَّهُ وَجْهَكَ فِي النَّارِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ أَبْقَيْتَ مِنْ حَرْبِ قُرَيْشٍ شَيْئًا فَأَبْقِنِي لَهَا، فَإِنَّهُ لَا قَوْمَ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ أُجَاهِدَ مِنْ قَوْمٍ آذَوْا رَسُولَكَ وَكَذَّبُوهُ وَأَخْرَجُوهُ، اللَّهُمَّ وَإِنْ كُنْتَ وَضَعْتَ الْحَرْبَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ فَاجْعَلْهَا لِي شَهَادَةً، وَلَا تُمِتْنِي حَتَّى تَقَرَّ عَيْنِي مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: مَا أَصَابَ سَعْدًا يَوْمَئِذٍ إِلَّا أَبُو أُسَامَةَ الْجُشَمِيُّ، حَلِيفُ بَنِي مَخْزُومٍ. وَقَدْ قَالَ أَبُو أُسَامَةَ فِي ذَلِكَ شِعْرًا، قَالَهُ لِعِكْرِمَةَ بْنِ أَبِي جَهْلٍ: أَعِكْرِمُ هَلَّا لُمْتَنِي إِذْ تَقُولُ لِي ... فِدَاكَ بِآطَامِ الْمَدِينَةِ خَالِدُ أَلَسْتُ الَّذِي أَلْزَمْتُ سَعْدًا مُرِشَّةً ... لَهَا بَيْنَ أَثْنَاءِ الْمَرَافِقِ عَانِدُ قَضَى نَحْبَهُ مِنْهَا سُعَيْدٌ فَأَعْوَلَتْ ... عَلَيْهِ مَعَ الشُّمْطِ الْعَذَارَى النَّوَاهِدُ وَأَنْتَ الَّذِي دَافَعْتَ عَنْهُ وَقَدْ دَعَا ... عُبَيْدَةُ جَمْعًا مِنْهُمُ إِذْ يُكَابِدُ
পৃষ্ঠা - ২৯১০

ইবন ইসহাক বলেন, আবু লায়লা আবদুল্লাহ ইবন সাহ্ল আনসারী আমাকে জানিয়েছেন যে
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আইশা (রা) খন্দক দিবসে বনু হারিছার দুর্গে ছিলেন ৷ ওই দুর্গটি ছিল
মদীনায় সবচেয়ে সুরক্ষিত দুর্গ ৷ সাদ ইবন মুআযের (বা) না ও তার সাথে দুর্গে ছিলেন ৷ হযরত
আইশা (বা) বলেন, তখনও পদবি বিধান নাযিল হয়নি ৷ হযরত সাদ ণ্চুসখানে এসেছিলেন ৷ তার
পবিধানে ছিল একটি খাটো লৌহ বর্ম ৷ তার পুরোটা হাতই বর্মের বাহিহ্বর ছিল ৷ তার হাতে ছিল
বশা ৷ তিনি বার বার জামা টানছিলেন আর বলছিলেন :

পুা১ৰুর্স৷ ;া; ৷১৷

হে জামাল ! অপেক্ষা কর খুব অল্প সময় ৷ তারপর যুদ্ধ ক্ষেত্রে উপস্থিত হও ৷ কারণ, মৃত্যুর
নির্ধারিত সময়ে মৃত্যু বরণে কোন দোষ নেই ৷

তখন তার যা তাকে বললেন, বৎস ! তুমি তাড়াতাড়ি যুদ্ধ ক্ষেত্রে চলে যাও ৷ আল্লাহর কসম ৷
তুমি তো দেরী করে ফেলেছ ৷ হযরত আইশা বলেন, তখন আমি সাদের মা কে বললাম ,
আল্লাহর কসম , সাদের বর্মটি যদি আরেকটু বড় হত তবে আমি খুশী হতাম ৷ সাদের মা
বললেন, আমি তো ভয় পাচ্ছি না জানি ওই খোলা অংশে এসে শত্রুর তীর বিদ্ধ হয় নাকি ৷ ঠিক
তাই হল ৷ হযরত সাদ (রা) তীর ৰিদ্ধ ২ণেন ৩ ৷ রের ৩া৷খাওে তার হ্াওের রগ কেটে গেল ৷



ইবন ইসহাক বলেন, আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা আমাকে জানিয়েছেন যে , হায়্যান ইবন
কায়স ইবন আরাকাহ্ তার প্ৰতি তীর নিক্ষেপ করেছিল ৷ সে ছিল বনু আমির ইবন লুওযাই
গোত্রের লোক ৷ হযরত সাদ (বা) তীর ৰিদ্ধ হবার পর ইবন আরাকা বলেছিল, নাও এটি আমার
পক্ষ থেকে তোমার উপহার ৷ চিনে নাও আমি আরাকাহ এর পুত্র ৷ হযরত সাদ (রা) বললেন,
আল্লাহ তাআলা তোর চেহারাকে জাহান্নামের আগুনে ঘমক্তি করুন ৷ তিনি আরো বললেন, হে
আল্লাহ ৷ কুরায়শের সাথে মুসলমানদের যদি আরো যুদ্ধ আপনি অবশিষ্ট রেখে থাকেন তবে ওই
যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার জন্যে আপনি আমাকে বাচিয়ে রাখুন ৷ কারণ, অন্যান্য সম্প্রদায়ের চেয়ে
কুরায়শ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যদি আমার বেশী পসন্দনীয় ৷ যেহেতু তারা আপনার
রাসুলকে কষ্ট দিয়েছে, তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে ৷ হে আল্লাহ!
আর যদি আমাদের মাঝে ও তাদের মাঝে যুদ্ধ শেষ করে দিয়ে থাকেন তবে এই যখম দ্বারা যেন
আমাকে শহীদ হিসেবে মঞ্জুর করে নেন ৷ অবশ্য বনু কুরায়যার উপযুক্ত শাস্তি দেখে আমার চোখ
জুড়ানাের পুর্বে আমার মৃত্যু দিবেন না ৷

ইবন ইসহড়াক বলেন, জনৈক বিশ্বন্ত ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন কাব ইবন মালিক থেকে আমার
নিকট বর্ণনা করেছেন যে, সেদিন হযরত সাদ (রা)-কে তীরে আক্রান্ত করেছে আবু উসামা
জাশামী, সে ছিল বনুমাখযুম গোত্রের মিত্র ৷ এ উপলক্ষে ইকরামা ইবন আবু জাহ্লকে উদ্দেশ্য
করে আবু উসামা নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করে :

ণ্
১এে ণ্,হ্র;া


.. عَلَى حِينِ مَا هُمْ جَائِرٌ عَنْ طَرِيقِهِ وَآخَرُ مَرْعُوبٌ عَنِ الْقَصْدِ قَاصِدُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالُ: إِنَّ الَّذِي رَمَى سَعْدًا خَفَاجَةُ بْنُ عَاصِمِ بْنِ حِبَّانَ. قُلْتُ: وَقَدِ اسْتَجَابَ اللَّهُ دَعْوَةَ وَلِيِّهِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ، أَقَرَّ اللَّهُ عَيْنَهُ؛ فَحَكَمَ فِيهِمْ بِقُدْرَتِهِ وَتَيْسِيرِهِ، وَجَعَلَهُمْ هُمُ الَّذِينَ يَطْلُبُونَ ذَلِكَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، فَحَكَمَ بِقَتْلِ مُقَاتِلَتِهِمْ وَسَبْيِ ذَرَارِيِّهِمْ حَتَّى قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ حَكَمْتَ فِيهِمْ بِحُكْمِ اللَّهِ مِنْ فَوْقِ سَبْعَةِ أَرْقِعَةٍ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ عَبَّادٍ، قَالَ: كَانَتْ صَفِيَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فِي فَارِعٍ حِصْنِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَتْ: وَكَانَ حَسَّانُ مَعَنَا فِيهِ مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ. قَالَتْ صَفِيَّةُ: فَمَرَّ بِنَا رَجُلٌ مِنْ يَهُودَ، فَجَعَلَ يُطِيفُ بِالْحِصْنِ، وَقَدْ حَارَبَتْ بَنُو قُرَيْظَةَ، وَقَطَعَتْ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ أَحَدٌ يَدْفَعُ عَنَّا، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ فِي نُحُورِ عَدُوِّهِمْ، لَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَنْصَرِفُوا عَنْهُمْ إِلَيْنَا إِنْ
পৃষ্ঠা - ২৯১১

’ শ্ শ্শ্


শ্স্ শ্ শ্০ fl; ” ৷শ্শ্
’ শ্’


’¢ শ্ ’:« :’০শ্ ’

শ্ :শ্০ ষ্ন্ণ্শ্ : ব্রাশ্ৰু ণ্ :’শ্শ্০ শ্

অর্থাৎ হে ইকরামা , যখন তুমি আমাকে বলছিলে মদীনায় টিলাসমুহ চিরকালের জন্য তোমার
জন্যে উৎসর্গীকৃত হোক, তখন তুমি কি আমাকে ভব্লুর্সনা করনি রং

আমিই কি সেই ব্যক্তি নই যে সাদকে কনুইয়ের মধ্যভাণ্গ র্তীরবিদ্ধ করে প্ৰবহমান রক্ত
ঝরিয়েছি ৷ তাতে সাদের জীবনাবসান হয় তারপর উঠতি বয়সের যুবতীরা ছিন্ন বসনে তার জন্যে
বিলাপ করেছে ৷

তৃমিই সেই ব্যক্তি যে তার পক্ষ হয়ে প্রতিরোধ করেছিল ৷ আর উবায়দা ঐ কষ্টের মুহুর্তে
তার দলবলকে সাহায্যার্থে আহ্বান জানিয়েছিল ৷

যখন লোকসব তার কাছ থেকে দুরে সরে পড়ে এবং অন্যরাও কাছে ঘেষতে সাহস পাচ্ছিল
প্ না ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মুলত কে তীর নিক্ষেপ করেছিল তা আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন হিশাম বলেন, কথিত আছে যে, হযরত সাদ (রা)-কে তীর মেরে যখম করেছিল
খাফাজা ইবন আসিম ইবন হিবৃবান ৷ আমি বলি, মহান আল্লাহ বনুকুরায়যড়া গোত্র সম্পর্কে হযরত
সাদ (বা) এর দুআ কবুল করেছিলেন ৷ ওদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা তার চোখ
জুড়িয়েছিলেন ৷ মহান আল্লাহ্ পরম দয়ায় ওদের জন্যে তাকেই ফায়সালা দানের ক্ষমতা দান
করেন এবং এ দাবীটা তারাই উত্থাপন করেছিল ৷ এ বিষয়ে বিবরণ পরবর্তীতে আসবে ৷ হযরত
সাদ (রা) রায় ঘোষণা করলেন যে, বনু কুরায়য৷ গোত্রের যুদ্ধক্ষম সকল পুরুষকে হত্যা করা
হবে এবং তাদের শিশুদেরকে বন্দী করে রাখা হবে ৷ এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে
সাদ তুমি তো সাত আসমানের উপর থেকে আল্লাহ্র দেয়া ফায়সালার অনুরুপ ফায়সালা
প্রদান করেছ ৷

ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন আব্বাদ ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন যুবায়র তার পিতা আব্বাদ
থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন যে, হযরত সাফিয়্যা বিনৃত আবদুল মুত্তালিব ফারি দৃর্গে অবস্থান
করছিলেন ৷ ওই দুর্গে হযরত হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা) ও ছিলেন ৷ সাফিয়্যা বলেন, ওই দৃর্গে
নারী ও শিশুসহ আমাদের সাথে হযরত হাসৃসান (রা) ছিলেন ৷ জনৈক ইয়াহুদী আমাদের দুর্গের
নিকট এসে ঘোরাঘুরি শুরু করে ৷ ওদিকে বনু কুরায়যার ইয়াহুদী গোত্র রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করে যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ এ সময়ে ওই গোত্রের আক্রমণ থেকে আমাদের
দৃষ্স্থিত সােকদেরকে রক্ষা করার কেউ ছিল না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মুসলিম সেনাবাহিনী মুল যুদ্ধ
ক্ষেত্রে সম্মিলিত বাহিনীর মুখোমুখি প্রতিরোধ সৃষ্টিতে নিয়োজিত ছিলেন ৷ ওখান থেকে এদিকে

২৭ ——

أَتَانَا آتٍ، فَقُلْتُ: يَا حَسَّانُ، إِنَّ هَذَا الْيَهُودِيَّ كَمَا تَرَى يُطِيفُ بِالْحِصْنِ، وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا آمَنُهُ أَنْ يَدُلَّ عَلَى عَوْرَتِنَا مَنْ وَرَاءَنَا مِنْ يَهُودَ، وَقَدْ شُغِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ، فَانْزِلْ إِلَيْهِ فَاقْتُلْهُ. قَالَ: يَغْفِرُ اللَّهُ لَكِ يَا ابْنَةَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَاللَّهِ لَقَدْ عَرَفْتِ مَا أَنَا بِصَاحِبِ هَذَا. قَالَتْ: فَلَمَّا قَالَ لِي ذَلِكَ وَلَمْ أَرَ عِنْدَهُ شَيْئًا، احْتَجَزْتُ ثُمَّ أَخَذْتُ عَمُودًا، ثُمَّ نَزَلْتُ مِنَ الْحِصْنِ إِلَيْهِ، فَضَرَبْتُهُ بِالْعَمُودِ حَتَّى قَتَلْتُهُ فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْهُ، رَجَعْتُ إِلَى الْحِصْنِ، فَقُلْتُ: يَا حَسَّانُ، انْزِلْ فَاسْلُبْهُ، فَإِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي مِنْ سَلَبِهِ إِلَّا أَنَّهُ رَجُلٌ. قَالَ: مَا لِي بِسَلَبِهِ حَاجَةٌ يَا ابْنَةَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. حَكَى السُّهَيْلِيُّ عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ حَسَّانُ جَبَانًا شَدِيدَ الْجُبْنِ. قَالَ: وَأَنْكَرَ آخَرُونَ ذَلِكَ، وَطَعَنُوا فِي الْخَبَرِ، فَقَالُوا: هُوَ مُنْقَطِعٌ قَالُوا: وَقَدْ كَانَ يُهَاجِي الْمُشْرِكِينَ مِنَ الشُّعَرَاءِ؛ كَابْنِ الزِّبَعْرَى، وَضِرَارِ بْنِ الْخَطَّابِ، وَغَيْرِهِمَا، فَلَمْ يُعَيِّرْهُ وَاحِدٌ مِنْهُمْ بِالْجُبْنِ قَالَ: وَمِمَّنْ أَنْكَرَ ذَلِكَ الشَّيْخُ أَبُو عُمَرَ النَّمَرِيُّ قَالُوا: وَبِتَقْدِيرِ صِحَّةِ الْخَبَرِ، لَعَلَّهُ كَانَ مُنْقَطِعًا فِي الْآطَامِ لَعِلَّةٍ عَارِضَةٍ، وَمَالَ إِلَى هَذَا السُّهَيْلِيُّ وَاللَّهُ أَعْلَمُ قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَأَحَاطَ الْمُشْرِكُونَ بِالْمُسْلِمِينَ حَتَّى جَعَلُوهُمْ فِي مِثْلِ
পৃষ্ঠা - ২৯১২
الْحِصْنِ بَيْنَ كَتَائِبِهِمْ، فَحَاصَرُوهُمْ قَرِيبًا مِنْ عِشْرِينَ لَيْلَةً، وَأَخَذُوا بِكُلِّ نَاحِيَةٍ، حَتَّى لَا يَدْرِي الرَّجُلُ أَتَمَّ صَلَاتَهُ أَمْ لَا. قَالَ: وَوَجَّهُوا نَحْوَ مَنْزِلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتِيبَةً غَلِيظَةً، فَقَاتَلُوهُمْ يَوْمًا إِلَى اللَّيْلِ، فَلَمَّا حَانَتْ صَلَاةُ الْعَصْرِ، دَنَتِ الْكَتِيبَةُ، فَلَمْ يَقْدِرِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ أَنْ يُصَلُّوا الصَّلَاةَ عَلَى نَحْوِ مَا أَرَادُوا، فَانْكَفَأَتِ الْكَتِيبَةُ مَعَ اللَّيْلِ، فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «شَغَلُونَا عَنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ، مَلَأَ اللَّهُ بُطُونَهُمْ وَقُلُوبَهُمْ - وَفِي رِوَايَةٍ: وَقُبُورَهُمْ - نَارًا» . فَلَمَّا اشْتَدَّ الْبَلَاءُ، نَافَقَ نَاسٌ كَثِيرٌ، وَتَكَلَّمُوا بِكَلَامٍ قَبِيحٍ، فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بِالنَّاسِ مِنَ الْبَلَاءِ وَالْكَرْبِ، جَعَلَ يُبَشِّرُهُمْ وَيَقُولُ: " «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَيُفَرَّجَنَّ عَنْكُمْ مَا تَرَوْنَ مِنَ الشِّدَّةِ، وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَطُوفَ بِالْبَيْتِ الْعَتِيقِ آمِنًا، وَأَنْ يَدْفَعَ اللَّهُ إِلَيَّ مَفَاتِيحَ الْكَعْبَةِ، وَلَيُهْلِكَنَّ اللَّهُ كِسْرَى وَقَيْصَرَ، وَلَتُنْفِقُنَّ كُنُوزَهُمَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ» وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ «النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ: " مَلَأَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ وَقُبُورَهُمْ نَارًا؛ كَمَا شَغَلُونَا عَنِ الصَّلَاةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتِ الشَّمْسُ» وَهَكَذَا رَوَاهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৯১৩

আমার কোন সুযোগ ছিল না তাদের ৷ তখনই জনৈক ইয়াহদী আগমন করে আমাদের দুর্গের
নিকট ৷ আমি হাসসান (বা) কে ডেকে বললাম, হাসসান ৷ ওই যে, ইযাহদীকে দেখছ, সে
আমাদের দুর্গের চাবিদিকে ঘুরছে ৷ আমি আশংকা করছি যে, আমাদের এখানে আশ্রয় নেয়া ৷মহিলা
ও শিশুদের কথা যে ইয়াহদীদেরকে জা নিয়ে দেবে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) ওত ৷র ৷সাহাবীগণতে৷ ৷যুদ্ধ
ক্ষেত্রে ব্যস্ত ৷ আপনি নীচে নামুন এবং এই ইয়াহদীকে হত্যা করুন ৷ হাসসান বললেন, হে
আবদুল মুত্তালিবের কন্যা ! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন! আপনি জানেন যে, আমি ওই কাজের
যোগ্য নই ৷ সাফিয়্যা (বা) বলেন, তিনি যখন এ কথা বললেন, তথ্যা আমি দেখলাম যে, তাকে
দিয়ে কোন কাজ হবে না ৷ তখন আমি কোমরে কাপড় পেচিয়ে নিল ম ৷ তারপর একটি লাঠি
হাতে দুর্গ থেকে নেমে এসে ওই ইয়াহ্দীকে লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড আঘাত করলাম ৷ তাতেই তার
মৃত্যু হয় ৷ তাকে হত্যা করে আমি দুর্গে ফিরে আসি ৷ হাসসান (বা) কে বলি, এবার যান ওর
অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের পােশ ৷ক খুলে আসুন ৷ ও পুরুষ হওয়াতে আমি৩ ৷ খুলে আনিনি ৷ হাসসান (রা)
বললেন, হে আবদুল মুত্তালিবের কন্যা, ওর অস্ত্রশস্ত্র ও পােষাকের আমশু ণ্ৱ কো ন প্রয়োজন নেই১ ৷

মুসা ইবন উক্বা বলেন, মুশরিকরা ঘিরে রেখেছিল মুসলমানদেরকে ৷ ওদের সৈন্যরা সশস্ত্র
পাহারায় রেখেছিল মুসলমানদেরকে ৷ প্রায় বিশদিন অবরোধ করে রাখার পর মুশরিক সৈন্য
একযোগে সকল দিক থেকে অগ্রসর হতে থাকে ৷ ওদের প্রতি সতর্ক মনোযোগ নিবদ্ধ রাখার
কারণে নামাযীদের নামাযে সন্দেহ হয়ে যেত যে নামায পুর্ণভাবে আদায় হয়েছে কি না ৷ শত্রুপক্ষ
একযোগে রাসুলুল্লাহ (না)-এর তাবুর দিকে অ্যাসর হতে থাকে ৷ সেটি ছিল প্রচণ্ড শক্তিশালী
বাহিনী, সেদিন পুর্ণ দিন ঘুসলমানগণ ওদেবকে প্রতিরোধের জন্যে যুদ্ধ করেন ৷ ঠিক আসর
নামায়ের সময় শত্রুপক্ষ কাছাকাছি এসে পৌছে ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সহ সাহাবীগণের কেউই
যথা সময়ে আসরের নামায আদায় করতে পারেন নি ৷ রাতে র বেলা শত্রু সৈন্য ফিরে যায় ৷ হা ৷দীছ
বিশারদগণ বলেন যে, এ সময়ে রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন ; “ওরা আমাদেরকে আসর নামায
আদায়ে বাধা দিয়েছে ৷ আল্লাহ তাআলা ওদের পেট ও অন্তর আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷ এক বর্ণনায়
আছে যে, আরো বলেছিলেন এবং ওদের কবরগুলাে আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷

কষ্ট যখন বৃদ্ধি পেল তখন রহুলোক মুনাফিকী প্রদর্শন করতে লাগল এবং বিভিন্ন অশালীন
কথাবার্তা বলতে লাগল ৷ মুসলমানদের এই দুঃখ-কষ্ট দেখে রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে সুসংবাদ
দিতে শুরু করলেন এবং বলতে লাগলেন০ ং “যে মহান প্রভুর হাতে আমার প্রাণ তার কসম ! এই
বালা-মুসীবত অবশ্যই আল্লাহ৩ তা আলা দুর করবেন ৷ আমি অবশ্যই আশা রাখি যে, আমি
নিরাপদে বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করব এবং এও আশা রাখি যে, আমার হাতে আল্লাহ
তাআলা কাবা গৃহের চাবি প্রদান করবেন ৷ অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রোমান ও পারস্য সম্রাটকে
ধ্বংস করবেন ৷ আর তাদের ধন-সম্পদ তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করবে ৷

বুখারী বলেন, ইসহাক হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা) খন্দক যুদ্ধের
দিবসে বলেছিলেন “আল্লাহ তাআলা ওদের গৃহসমুহ ও কবরসমুহ আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷ যেমন

১ টীকা ঙ্ক সৃহায়লী এ বর্ণনার বিশুদ্ধতা সম্পকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ৷ যদি তা বিশুদ্ধ হয়েও থাকে
তবে হয়তে৷ সেদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন ৷ ইবন আবদুল বার এ বর্ণনাটির বিশুদ্ধতা অস্বীকার
করেছেন ৷ (দ্র মুলগ্রস্থ পাদটীকা)




حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، بِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ الْأَعْرَجِ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ جَاءَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ بَعْدَمَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ، فَجَعَلَ يَسُبُّ كُفَّارَ قُرَيْشٍ، وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا كِدْتُ أَنْ أُصَلِّيَ حَتَّى كَادَتِ الشَّمْسُ أَنْ تَغْرُبَ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَاللَّهِ مَا صَلَّيْتُهَا ". فَنَزَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُطْحَانَ، فَتَوَضَّأَ لِلصَّلَاةِ وَتَوَضَّأْنَا لَهَا، فَصَلَّى الْعَصْرَ بَعْدَمَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ، ثُمَّ صَلَّى بَعْدَهَا الْمَغْرِبَ.» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، حَدَّثَنَا هِلَالٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «قَاتَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَدُوًّا، فَلَمْ يَفْرُغْ مِنْهُمْ حَتَّى أَخَّرَ الْعَصْرَ عَنْ وَقْتِهَا، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ، قَالَ: " اللَّهُمَّ مَنْ حَبَسَنَا عَنِ الصَّلَاةِ الْوُسْطَى، فَامْلَأْ بُيُوتَهُمْ نَارًا وَامْلَأْ قُبُورَهُمْ نَارًا» . وَنَحْوَ ذَلِكَ. تَفَرَّدَ بِهِ
পৃষ্ঠা - ২৯১৪

তারা আমাদেরকে আসরের নামায আদায় করা থেকে বিরত রেখেছে ৷ এ অবস্থায়ই সুর্য ডুবে
যায় ৷” অন্যান্য ইমামগণও এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে ইবন মাজাহ এটি বর্ণনা করেছেন হিশাম
ইবন হাসৃসান আলী (রা) সুত্রে ৷ মুসলিম ও তিরমিযী সাঈদ ইবন আবু আরুবা আলী (রা) সুত্রে
এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী (ব) বলেন, এটি হাসান ও সহীহ্ হাদীছ ৷

বুখারী (ব) বলেছেন, মকী ইবন ইব্রাহীম জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, খন্দকের যুদ্ধের দিন সুযর্নন্তের পর হযরত উমর (রা) ণ্বুচুরায়শদেরকে পালমন্দ শুরু করেন
এবং বলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! সুর্য প্রায় ডুবছে আমি কিন্তু এখনও আসরের নামায আদায়
করতে পারিনি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আল্লাহর কসম , অমিও ওই নামায আদায় করতে
পারিনি ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)সহ আমরা বুতহান অঞ্চলে গেলাম ৷ তিনি উঘু করলেন ৷
আমরাও উয়ু করলাম ৷ তারপর তিনি সুযাস্তের পর আসরের নামায পড়লেন এবং আসরের পর
মাগরিব আদায় করলেন ৷ ইমাম বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ (ব) ইয়াহ্ইয়া ইবন আবু
কাহীর সুত্রে আবু সালামা থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (ব) বলেন, আবদুস সামাদ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিলেন ৷ একটুও অবসর পাননি ৷ এ
অবস্থাতেই আসরের ওয়াক্ত চলে যায় ৷ তখন তিনি বললেন চ “হে আল্লাহ ! যারা আমাদেরকে
মধ্যবর্তী নামায থেকে বাধা দিল আপনি ওদের ঘরগুলােকে আগুনে পুর্ণ করে দিন এবং ওদের
কবরগুলোকে আগুনে পুর্ণ করে দিন ৷ ইমাম আহমদ এরুপ একক বংনাি উদ্ধৃত করেছেন ৷ এটি
হিলাল ইবন খাবৃবাব আবাদী কুফী এর বর্ণনা ৷ তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী ৷ তিরমিযী ও অন্যান্যগণ
তার বর্ণনা বিশুদ্ধ বলে মত প্রকাশ করেছেন ৷

এই সকল হাদীছ দ্বারা একদল আলিম প্রমাণ করেন যে, মধ্যবর্তী নামায হল আসরের
নামায ৷ এ সব হাদীছ দ্বারা ত৷ সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় ৷ কাযী মাওয়ারদী বলেছেন যে, এটা ই ইমাম
শাফিঈ (র) এর অভিমত ৷ ক বণ এই হাদীছগুলাে বিশুদ্ধ সহীহ্ ৷ এবিষয়টি আমরা ৷ ঐা
(ট্রু,ট্রু;ওওও «fl ৷ৰুপ্রুঠুটুওট্রু ৩া টু ৷ ওট্রুাট্রু৷ ৷ ,াড্রুাট্রু৷ ৷ এ তোমরা সালাতের প্ৰতি ৩যত্নবান
হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী সালাতের এবং আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে৫ তামরা বিনীততাবে দাডাবে ৷ (২
বাকারাং : ২৩৮) ৷ আয়াতের ব্যাখ্যায় দলীল প্রমাণসহ উল্লেখ করেছি ৷

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে একদল এ মত গ্রহণ করেছেন যে, যুদ্ধ বিগ্রহের উযরের কারণে
আসরের নামায নির্দিষ্ট সময় থেকে বিলন্বিত করা বৈধ ৷ এটি ইমাম মাকহুল ও আওযাঈ-এর
অভিমত ৷ ইমাম বুখারী এই শিরোনামে হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ এ হাদীছ দ্বারা তিনি দলীল পেশ
করেছেন ৷ আরো একটি দলীল পেশ করেছেন যে, বনুকুরায়যা যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) সংশ্লিষ্ট
সবাইকে বনু কুরায়যা গোত্রের এলাকায় যাবার নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন” ও ৷ এপ্রু ব্লু!
৷ কেউ যেন বনু কুরায়য৷ গোত্রের নিকট না পৌছে আসরের নামায
আদায় না করে ৷” এ নির্দেশের পর সেদিন কতক লোক সময়মত ৩পথেই আসরের নামায পড়ে
নিয়েছিলেন আর কতক বনু কুরায়যাদের এলাকায় গিয়ে সুযবিস্তর পর আসরের নামায আদায়


أَحْمَدُ، وَهُوَ مِنْ رِوَايَةِ هِلَالِ بْنِ خَبَّابٍ الْعَبْدِيِّ الْكُوفِيِّ، وَهُوَ ثِقَةٌ، يُصَحِّحُ لَهُ التِّرْمِذِيُّ وَغَيْرُهُ. وَقَدِ اسْتَدَلَّ طَائِفَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ بِهَذِهِ الْأَحَادِيثِ عَلَى كَوْنِ الصَّلَاةِ الْوُسْطَى هِيَ صَلَاةُ الْعَصْرِ، كَمَا هُوَ مَنْصُوصٌ عَلَيْهِ فِي هَذِهِ الْأَحَادِيثِ. وَأَلْزَمَ الْقَاضِي الْمَاوَرْدِيُّ مَذْهَبَ الشَّافِعِيِّ بِهَذَا؛ لِصِحَّةِ الْحَدِيثِ، وَقَدْ حَرَّرْنَا ذَلِكَ نَقْلًا وَاسْتِدْلَالًا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ} [البقرة: 238] (الْبَقَرَةِ: 238) . وَقَدِ اسْتَدَلَّ طَائِفَةٌ بِهَذَا الصَّنِيعِ عَلَى جَوَازِ تَأْخِيرِ الصَّلَاةِ لِعُذْرِ الْقِتَالِ، كَمَا هُوَ مَذْهَبُ مَكْحُولٍ وَالْأَوْزَاعِيِّ، وَقَدْ بَوَّبَ الْبُخَارِيُّ عَلَى ذَلِكَ، وَاسْتَدَلَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ، وَبِقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أَمَرَهُمْ بِالذَّهَابِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ، كَمَا سَيَأْتِي: «لَا يُصَلِّيَنَّ أَحَدٌ الْعَصْرَ إِلَّا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ ".» وَكَانَ مِنَ النَّاسِ مَنْ صَلَّى الْعَصْرَ فِي الطَّرِيقِ، وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ يُصَلِّ إِلَّا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ بَعْدَ الْغُرُوبِ، وَلَمْ يُعَنِّفْ وَاحِدًا مِنَ الْفَرِيقَيْنِ، وَاسْتَدَلَّ بِمَا ذَكَرَهُ عَنِ الصَّحَابَةِ وَمَنْ مَعَهُمْ فِي حِصَارِ تُسْتَرَ سَنَةَ عِشْرِينَ فِي زَمَنِ عُمَرَ، حَيْثُ صَلَّوُا الصُّبْحَ بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ؛ لِعُذْرِ الْقِتَالِ وَاقْتِرَابِ فَتْحِ الْحِصْنِ. وَقَالَ آخَرُونَ مِنَ الْعُلَمَاءِ، وَهُمُ الْجُمْهُورُ، مِنْهُمُ الشَّافِعِيُّ: هَذَا الصَّنِيعُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَنْسُوخٌ بِشَرْعِيَّةِ صَلَاةِ الْخَوْفِ بَعْدَ ذَلِكَ، فَإِنَّهَا لَمْ تَكُنْ مَشْرُوعَةً إِذْ
পৃষ্ঠা - ২৯১৫
ذَاكَ، فَلِهَذَا أَخَّرُوهَا يَوْمَئِذٍ. وَهُوَ مُشْكِلٌ، فَإِنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ وَجَمَاعَةً ذَهَبُوا إِلَى أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى صَلَاةَ الْخَوْفِ بِعُسْفَانَ، وَقَدْ ذَكَرَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ، - وَهُوَ إِمَامٌ فِي الْمَغَازِي - قَبْلَ الْخَنْدَقِ، وَكَذَلِكَ ذَاتُ الرِّقَاعِ ذَكَرَهَا قَبْلَ الْخَنْدَقِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا الَّذِينَ قَالُوا: إِنَّ تَأْخِيرَ الصَّلَاةِ يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَقَعَ نِسْيَانًا. كَمَا حَكَاهُ شُرَّاحُ مُسْلِمٍ عَنْ بَعْضِ النَّاسِ، فَهُوَ مُشْكِلٌ إِذْ يَبْعُدُ أَنْ يَقَعَ هَذَا مِنْ جَمْعٍ كَبِيرٍ، مَعَ شِدَّةِ حِرْصِهِمْ عَلَى الْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَاةِ، كَيْفَ وَقَدْ رُوِيَ أَنَّهُمْ تَرَكُوا يَوْمَئِذٍ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ حَتَّى صَلَّوُا الْجَمِيعَ فِي وَقْتِ الْعِشَاءِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَحَجَّاجٌ قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: حُبِسْنَا يَوْمَ الْخَنْدَقِ حَتَّى ذَهَبَ هَوِيٌّ مِنَ اللَّيْلِ حَتَّى كُفِينَا وَذَلِكَ قَوْلُهُ: {وَرَدَّ اللَّهُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِغَيْظِهِمْ لَمْ يَنَالُوا خَيْرًا وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ وَكَانَ اللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزًا) } [الأحزاب: 25] (الْأَحْزَابِ: 25) . قَالَ: «فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَالًا فَأَمَرَهُ فَأَقَامَ، فَصَلَّى الظُّهْرَ كَمَا كَانَ يُصَلِّيهَا فِي وَقْتِهَا، ثُمَّ أَقَامَ الْعَصْرَ فَصَلَّاهَا كَذَلِكَ، ثُمَّ أَقَامَ الْمَغْرِبَ فَصَلَّاهَا كَذَلِكَ، ثُمَّ أَقَامَ الْعِشَاءَ فَصَلَّاهَا كَذَلِكَ، وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ২৯১৬

করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) উভয় দলের কাউরেইি দোষারোপ করেননি ৷ এ বিষয়ে দলীল স্বরুপ
ইমাম বুখারী (র) সাহাবীগণের আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ তাহল হযরত উমরের যুগে
২০ হিজরীতে মুসলিম সৈন্যগণ শত্রুদের তৃন্তার দুর্গ অবরোধ করেছিলেন ৷ ওই সৈন্য দলে
অনেক সাহারা ও তাবিঈ ছিলেন ৷ দুর্গ জয় নিকটবর্তী হওয়া এবং লড়াই বিদ্যমান থাকার কারণে
তারা সেদিন ফজরের নামায সুর্যোদয়ের পরে আদায় করেছিলেন ৷

অপর একদল অড়ালিম বলেন, এ দলে ইমাম শাফিঈ (র) এবং জমহুর আলিমরাও বলেছেন
যে, খন্দক দিবসের এই নিয়ম পরবত্তীকািলে সালাত আল খাওফ ভয়কালীন নামাষের বিধান নাযিল
হওয়ায় রহিত হয়ে গিয়েছে ৷ খন্দক দিবসে ভয়কালীন নামাষের বিধান ছিল না বলে তারা নামায
বিলন্বিত করেছিলেন ৷ অবশ্য, এ ব্যাপারটি জটিলতামুক্ত নয় ৷ কারণ, ইবন ইসহড়াক বলেছেন যে,
একদল উলামার মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভয়কালীন নামায আদায় করেছেন উছফান অভিযান কালে ৷
আর মাগাযী ঘটনা শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিতৃ ইবন ইসহাক বলেছেন যে, উছফান অভিযান পরিচালিত
হয়েছিল খন্দক যুদ্ধের পুর্বে ৷ তদ্রুপ যাতুর-রিকা অভিযানও পরিচালিত হয়েছিল খন্দক যুদ্ধের
পুর্বে ৷ আল্লা ইে ভাল জানেন ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে, খন্দক যুদ্ধের দিনে নামায বিলন্বিত হয়েছিল ভুলবশত যেমন সহীহ্
মুসলিমের কোন কোন ভাষ্যকার তা বলেছেন এ ব্যাখ্যাও জটিলতা মুক্ত নয় ৷ কারণ, নামাষের
প্রতি সাহারা-ই-কিরামের প্রবল আগ্রহ থাকা সত্বেও সেখানে উপস্থিত সকলেই নামাষের কথা
ভুলে যাবেন তা কল্পনাই করা যায় না ৷ তা ছাড়াও বর্ণিত আছে যে, সেদিন তারা যােহর , আসর ও
মাপরিব তিন ওয়াক্ত নামায বিলম্বিত করেছিলেন এবং ইশার সময়ে সবগুলো নামায আদায়
করেছিলেন ৷ আবু হুরায়রা ও আবু সাঈদ (বা) এ হড়াদীছ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াযীদ ও হাজ্জাজ আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, খন্দক দিবসে আমরা বাধা প্রাপ্ত হই ৷ এভাবে রাতের কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে
যায় ৷ শেষ পর্যন্ত আমরা ঝামেলামুক্ত হই ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :

,;ৰুব্র১

যুদ্ধে মুমিনদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান , পরাক্রমশালী, (৩৩ আহষাব :
২৫) ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলাল (রা) কে ডেকে ইকামত দেয়ার নির্দেশ
দিলেন ৷ তিনি ইকামত দিলেন ৷ সকলে যােহরের নামায আদায় করলেন যেমন আদায় করতেন
ঠিক সময়ে, তারপর আসরের জন্যে ইকামত দিলেন ৷ আসরের নামায অনুরুপ আদায় করলেন ৷
তারপর মাগরিবের জন্যে ইকামত দিলেন ৷ নিয়মমত মাগরিবের নামায আদায় করলেন ৷ তারপর
ইশার নামাষের ইকামত দিলেন এবং যথা নিয়মে ইশার নামায আদায় করলেন ৷ এটি ছিল সংশ্লিষ্ট
আয়াত নাযিল হওয়ার পুর্বের ঘটনা ৷ বর্ণনাকারী হাজ্জাজ বলেন, এটি ভয়কালীন নামাষের বিধান
সম্পর্কে র্চুা;হ্র, র্টু৷ ৰুা৷ট্রু ,ছুৰু ংণ্’;ব্লু ট্রু,র্চুস্ আয়াত নাযিল হওয়ার পুর্বের ঘটনা ৷

ইমাম নাসাঈ (র) ফরািস ’ ইবন আবুযিব থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
যুশরিকরা খন্দক যুদ্ধের দিনে আমাদেরকে যুহরের নামায থেকে বিরত রাখে ৷ এভাবে সুর্য
অস্তমিত হয়ে যায় ৷ এভাবে তিনি পুর্ণ হড়াদীছ বর্ণনা করেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন, হুশায়ম


يُنَزَّلَ» - قَالَ حَجَّاجٌ: فِي صَلَاةِ الْخَوْفِ -: {فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًا فَإِذَا أَمِنْتُمْ فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُمْ مَا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ} [البقرة: 239] (الْبَقَرَةِ: 239) . وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنِ الْفَلَّاسِ، عَنْ يَحْيَى الْقَطَّانِ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ بِهِ: قَالَ: شَغَلَنَا الْمُشْرِكُونَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ عَنْ صَلَاةِ الظُّهْرِ حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ. فَذَكَرَهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ الْمُشْرِكِينَ شَغَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ عَنْ أَرْبَعِ صَلَوَاتٍ، حَتَّى ذَهَبَ مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللَّهُ. قَالَ: «فَأَمَرَ بِلَالًا فَأَذَّنَ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعِشَاءَ» . وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، يَعْنِي ابْنَ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، يَعْنِي ابْنَ أَبِي الْمُخَارِقِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شُغِلَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ عَنْ صَلَاةِ الظُّهْرِ، وَالْعَصْرِ، وَالْمَغْرِبِ، وَالْعِشَاءِ، فَأَمَرَ بِلَالًا فَأَذَّنَ وَأَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَذَّنَ وَأَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَذَّنَ وَأَقَامَ، فَصَلَّى
পৃষ্ঠা - ২৯১৭
الْمَغْرِبَ، ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَذَّنَ وَأَقَامَ، فَصَلَّى الْعِشَاءَ، ثُمَّ قَالَ: " مَا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ قَوْمٌ يَذْكُرُونَ اللَّهَ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ غَيْرُكُمْ ".» تَفَرَّدَ بِهِ الْبَزَّارُ، وَقَالَ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ.
পৃষ্ঠা - ২৯১৮

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, মুশরিকরা খন্দক যুদ্ধের দিনে
রাসুলুল্লাহ (সা) কে চার ওয়াক্ত নামায আদায় করা থেকে বিরত রাখে ৷ এভাবে রাতের কিছু অংশ
ও অতিবাহিত হয়ে যায় ৷ এরপর তিনি বিলাল (রা) কে নির্দেশ দেন ৷ বিলা ৷ল (রা) আযান দিলেন ৷
৷ তারপর ইকামত দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) যুহরের নামায আদায় করলেন ৷ত তারপর বিলাল (রা)
ইকামত দিলেন ৷ বাসুলুল্লাহ (সা) আসরের নামায আদায় করলেন ৷ তারপর বিল৷ ৷ল (বা) ইক৷ ৷মত
দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) মাগরিরের নামায আদায় করলেন ! তারপর হযরত বিলাল (বা) ইকামত
দিলেন ৷ বাসুলুল্লাহ (সা) ইশার নামায আদায় করলেন ৷

হাফিয আবু বকর রায্যার বলেন, মুহাম্মাদ ইবন মামার জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, বাসুলুল্লাহ (সা) খন্দক যুদ্ধের দিন যোহর আসর, মাপরিব ও ইশার নামায
আদায়ে বাধা প্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ এরপর তিনি বিলাল (রা) কে আযান দেয়ার নির্দেশ দেন ৷ বিলাল
(রা) আমান ও ইকামত দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুহরের নামায আদায় করেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ
(সা) বিলাল (রা)-কে নির্দেশ দেন ৷ তিনি আমার ও ইকামত দেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আসরের
নামায আদায় করেন ৷ তিনি বিলাল (রা) কে আবার নির্দেশ দেন ৷ বিল৷ ৷ল (বা) আমান ও ইকামত
দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মাপরিবের নামায আদায় করেন ৷৩ তারপর তিনি বিলাল (রা) কে নির্দেশ
দেন ৷ বিলা ৷ল (রা) আযান ও ইকামত দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইশা ৷র নামায আদায় করেন ৷ তারপর
তিনি বললেনং তােমরা
ব্যতীত জমিনের বুকে অন্য কোন সম্প্রদায় নেই যারা এই সময়ে আল্লাহর যিকর করে, আল্লাহকে
স্মরণ করে ৷’ ’বায্য৷ র একাই এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে,এ সুত্র ছাড়া অন্য কো ন সুত্রে
এটি আমি পাইনি ৷ কেউ কেউ এই হাদীছ আবদুল করীম আবদুল্লাহ সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

খন্দকের যুদ্ধে সম্মিলিত শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসুলুব্লাহ্ (না)-এর দৃআ
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু আমির আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণনা করে ৷ , তিনি
বলেন, আমরা খন্দকের দিবসে বললাম , ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমরা কি এক্ষণে কোন দৃআ পাঠ
ন্ করব ? আমাদের প্রাণ তো এখন কণ্ঠাগত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন হা এই দৃআ পাঠ কর ন্ৰুৰুা৷’া
ভয়৩ ভীতি ও অশা ৷ন্তি দুর করে শান্তি দান করুন ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, এরপর আল্লাহ তা আল৷ প্রচণ্ড
ঝঞা বায়ু প্রেরণ করে শ ৷ত্রুদের মুখ মলিন করে দিলেন ৷ ইবন আবী হাতিম তার তাফসীর গ্রন্থে
তার পিতা — — — আবু সাঈদ খুদরী সুত্রে এই হাদীছ উদ্ধৃত করেছেন ৷ এটাই সঠিক ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, হুসায়ন জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) থেকে বর্ণনা করেন
যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্মিলিত বাহিনীর অবস্থান ক্ষেত্রের নিকটস্থ মসজিদে এলেন ৷ তিনি তার চাদর
খুলে রাখলেন এবং দাড়িয়ে দৃহাতঙু লে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে দুআ করলেন ৷ তখন তিনি ওখানে

নামায পড়েননি ৷ এরপর তিনি আবার সেখানে এলেন এবং ওদের জন্যে বদ দৃআ করলেন ৷
তারপর সেখানে নামায পড়লেন ৷

সহীহ বুখা ৷রীও সহীহ মুসলিমে ইসমাঈল ইবন আবু৷ খ৷ লিদ সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা
শ্ংাষ্ক বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্মিলিত শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে এই বলে


[دُعَائُهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى الْأَحْزَابِ] فَصْلٌ فِي دُعَائِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى الْأَحْزَابِ وَكَيْفَ صَرَفَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى، بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ؛ اسْتِجَابَةً لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصِيَانَةً لِحَوْزَتِهِ الشَّرِيفَةِ، فَزَلْزَلَ قُلُوبَهُمْ، ثُمَّ أَرْسَلَ عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الشَّدِيدَةَ؛ فَزَلْزَلَ أَبْدَانَهُمْ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ -، حَدَّثَنَا رُبَيْحُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «قُلْنَا يَوْمَ الْخَنْدَقِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ مِنْ شَيْءٍ نَقُولُهُ؟ فَقَدْ بَلَغَتِ الْقُلُوبُ الْحَنَاجِرَ. قَالَ: " نَعَمْ، اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِنَا وَآمِنْ رَوْعَاتِنَا " قَالَ: فَضَرَبَ اللَّهُ وُجُوهَ أَعْدَائِهِ بِالرِّيحِ، فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ بِالرِّيحِ.» وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ فِي " تَفْسِيرِهِ " عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عَامِرٍ، وَهُوَ الْعَقَدِيُّ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، عَنْ رُبَيْحِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৯১৯

দু অড়া ৩বব্লবৃস্থুল্ড়ান্ত্ত্ব০ : ণ্শু দ্বুণ্১:ট্রি
ণ্;ও-ং’১এ এ এ “হে অ ৷ল্লাহ্ ! কিতাব ন ৷৷যিলক রী দ্রুত হিসাব গ্রহণক৷ ৷রী, ওই সম্মিলিত বাহিনীকে পরাস্ত
করে দিন ৷ হে আল্লাহ ৷ ওদেরকে পরাজিত করে দিন এবং ওদের অবস্থান নড়বড়ে করে দিন ৷

অপর এক বর্ণনায় আ ছেষ্ ণ্ষ্; ৷প্রু ৷ , ন্ঠুট্রুট্রুণ্ড্র৷ স্পোা৷ ৷ “হে আল্লাহ ! ওদেরকে পরাজিত
করে দিন এবং ওদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন ৷”

ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেছেন, কুতায়বা আবু হুরায়র৷ (বা) সুত্রে ৷ তিনি বলেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এই কালিমা পাঠ করতেন হুৰু১ট্রু ছু ;;¢’;; হুৰু১ট্রুছু টু,;৷ হু১হ্র, ধ্া৷ ৷ ৰু৷ ৷ ব্লু৷ ৷ ৰুা
হুৰুাটুগ্ঠু ;:,;: ১এে হুৰুাছুটু হু ন্ ৷)ছুৰু ৷ £দ্ভু, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই ৷ তিনি একক ৷
তার বাহিনীকে তিনি বিজয়ী করেছেন ৷ তার বান্দাকে তিনি সাহর্ষন্ব,ঢ় করেছেন ৷ তিনি একাই
সম্মিলিত শত্রু বাহিনীকে পরাজিত করেছেন ৷ তিনি ব্যতীত চিরস্থায়ী কিছুই নেই ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বন্তুত রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সাহাবীপণ সেই করুণ ও বিপদসংকুল
অবস্থায় ছিলেন ৷ যা আল্লাহ তা আল৷ কুরআন করীমে উল্লেখ করেছেন ৷ কারণ, শত্রু পক্ষ তাদের
কাছাক কাছি এসে পডেছিল ৷৩ তদুপরি ওরা উধ্বঞ্চিল নিম্নাঞ্চল সকল দিক থােক অগ্রসর হচ্ছিল ৷
বর্ণনা কারী বলেন, এরপর নৃয়া ৷ইম ইবন মাসউদ আসেন র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ৷ নুয়াইম (রা)
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ আমার সম্প্রদায়ের লোকজন কিন্তু
আমার ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি জানেন৷ ৷ সুতরাং আপনার যা ইচ্ছা আমাকে নির্দেশ দিন ৷ আমি
তা করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমাদের পক্ষে তুমি একা ৷ সুতরাং ওদেরকে লাঞ্ছিত ও
অপদস্ত করতে আমাদের পক্ষে তুমি যা সম্ভব তা কর ৷ কারণ, যুদ্ধ হল কৌশল ৷ অনুমতি পেয়ে
নুয়াইম যাত্র৷ করলেন ৷ তিনি এলেন বনুকুরায়য৷ গোত্রের নিকট ৷ জাহিলী যুগে ওদের সাথে তার
বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল ৷ তিনি বললেন, হে বনু কুরায়য৷ গোত্র ! তোমাদের সাথে আমার রন্ধুত্বের
ব্যাপার তো তোমরা জান ৷ আমার মাঝে আর তোমাদের মাঝে যে বিশেষ সম্পর্ক তাও তো
তোমরা অবগত আছ ৷ তারা বলল, ছুা,তাই আপনি সত্য বলেছেন ৷ আপনি আমাদের নিকট কোন
সন্দেহ ভাজন ব্যক্তি নন ৷ তিনি ওদেরকে বললেন, কুরায়শ আর গাতফান গোত্র তো তোমাদের
মত নয় ৷ এই শহর তোমাদের শহর ৷ এখানে তোমাদের ধন-সম্পদ রয়েছে শ্ৰীপুত্র রয়েছে ৷
তোমরা এ শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে পারবে না ৷ পক্ষান্তরে, কুরায়শ ও গাতফান গোত্রের
লোকদের বিষয়টি তোমাদের চেয়ে আলাদা ৷ ওরা মুহাম্মাদ (না) ও তার সাথীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করতে এসেছে ৷ তোমরাও এই লক্ষে ওদেরকে সহযোগিতা করছ ৷ ওদের শহর, ওদের ত্রীপুত্র
এবং ওদের ধন-সম্পদ কিন্তু অন্যত্র ৷ এখানে নয় ৷ সুতরাং ওদের অবস্থা ৷আর তোমাদের অবস্থা
সমান নয় ৷ ওরা বিজয় দেখলে তা ভোগ করবে আর অন্যথ৷ হলে তর ৷নিজেদের শহরে চলে
যাবে এবং তোমাদেরকে এমন এক লোকের নিকট ছেড়ে যাবে যে (৩ ৷মাদের শহর মদীনাতেই
বসবাস করে ৷ তোমরা তখন একা ৷কী ও নিঃসঙ্গ হয়ে যাবে ৷ ওই ব্যক্তির আক্রমণ প্রতিহত করার
সামর্থ তোমাদের থাকবে না ৷ সুতরাং ওই দুই গোত্রের সন্তুাত ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে
যিস্বীরুপে না রেখে তোমরা ওদের সমর্থনে যুদ্ধে বের হয়ে না ৷ ওই যিম্মায় থাকা সস্রাম্ভ লোকজন


عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ فَذَكَرَهُ، وَهَذَا هُوَ الصَّوَابُ وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى مَسْجِدَ الْأَحْزَابِ فَوَضَعَ رِدَاءَهُ وَقَامَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ مَدًّا يَدْعُو عَلَيْهِمْ، وَلَمْ يُصَلِّ. قَالَ: ثُمَّ جَاءَ وَدَعَا عَلَيْهِمْ وَصَلَّى» وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: «دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْأَحْزَابِ فَقَالَ: " اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيعَ الْحِسَابِ، اهْزِمِ الْأَحْزَابَ، اللَّهُمَّ اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ» وَفِي رِوَايَةٍ: " «اللَّهُمَّ اهْزِمْهُمْ وَانْصُرْنَا عَلَيْهِمْ» ". وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ: " لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ، أَعَزَّ جُنْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَغَلَبَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ فَلَا شَيْءَ بَعْدَهُ» . وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ فِي مَا وَصَفَ اللَّهُ مِنَ الْخَوْفِ وَالشِّدَّةِ؛ لِتَظَاهُرِ عَدُوِّهِمْ عَلَيْهِمْ وَإِتْيَانِهِمْ إِيَّاهُمْ مِنْ فَوْقِهِمْ وَمِنْ أَسْفَلَ
পৃষ্ঠা - ২৯২০

তোমাদের সাথে থাকবে জামানত হিসেবে ৷ যতক্ষণ না তোমরা বিজয় লাভ কর ৷ ওরা বলল,
চমৎকার আপনি তো খুব ভাল কথা বলেছেন ৷ এরপর তিনি বের হলেন ৷ এসে উঠলেন কুরড়ায়শ
গোত্রের নিকট ৷ আবু সুফিয়ান ও তার সাথীদেরকে তিনি বললেন, তোমাদের প্ৰতি আমার বন্ধুতু
ও ভালবাসা এবং মুহাম্মাদের প্রতি আমার সম্পকহীনতার কথা তো তোমাদের অজানা নেই ৷
আমার নিকট একটি গোপন সংবাদ এসেছে ৷ সেটি তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া আমি৷ দ ৷য়িতু মনে
করেছি ৷ তবে এই সংবাদ আমার তরফ থেকে জেনেছ তা গোপন রাখতে হবে ৷ ওরা বলল, ঠিক
আছে, তাই হবে ৷ তিনি বললেন, তবে জেনে রেখো যে, মুহাম্মাদের (সা) সাথে ইয়াহ্রদীদের যে
চুক্তি ছিল তারা যে চুক্তি ভঙ্গ করে যে অপরাধ করেছে তার জন্যেত তারা লজ্জিত ও অনুতপ্ত
হয়েছে ৷ ওরা মুহাম্মাদ (না)-এর নিকট প্রস্তাব পাঠিয়েছে যে, আমাদের কৃতকমের জন্যে আমরা
অনুতপ্ত ৷ এখন আমরা যদি কুরায়শ ও গাতফান গোত্রের নামকরা ও সন্তুম্ভে কতক লোক ধরে
এনে আপনার হাতে তুলে ল্টি আর আপনি তাদেরকে হত্যা করেন এবং এরপর আমরা আপনার
সাথে মিলিত হয়ে ওদের অবশিষ্ট সবাইকে সমুলে উৎখাত করে ৫ইে, এই প্রস্তাবে হে মুহাম্মাদ
(সা) ! আপনি কি রাখী আছেন ? উত্তরে মুহাম্মাদ (সা) সংবাদ পাঠিয়েছেন যে, হা এই প্রস্তাবে আমি
রাখী ৷ নাঈম বললেন, হে কুরায়শী লোকজন! বনু কুরায়যার লোকজন যদি তোমাদের স্ম্ভাম্ভ
লোকদেরকে যিস্বী রাখার জন্যে ওখানে নিয়ে যেতে চায় তবে সাবধান, তোমরা একজন
লোককেও ওখানে পাঠাবে না ৷
এরপর তিনি গেলেন গাতফান গোত্রের নিকট ৷ ওদের নিকট গিয়ে তিনি বললেন, হে
গাতফান গোত্র ! তোমরা আমার স্ববংশীয় লোক এবং আমার আপন জন ৷ তোমরা আমার সর্বাধিক
প্রিয়জন ৷ তোমরা আমাকে সন্দেহ করবে আমি তা মনে করি না ৷ ওরা বলল, বটে , আপনি সত্য
বলেছেন, আপনি আমাদের নিকট কোন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তি নন ৷ তিনি বললেন, তবে আমি
তােমাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি এ খবরটি যে আমি দিয়েছি তা গোপন রাখতে হবে ৷ এরপর তিনি
কুরায়শদেরকে যা বলেছিলেন ওদেরকেও তা বললেন ৷ কুরায়শদেরকে যেমন সতর্ক করেছিলেন
এদেরকেও তেমনি সতর্ক করে দিলেন ৷
৫ম হিজরী শাওয়াল মাসের শনিবার দিনে আল্লাহর সাহায্য মুহাম্মাদ (না)-এর জন্যে নেমে
এল ৷ এভাবে যে আবু সুফিয়ান ও পাতফানী নেতারা ইকরাম৷ ইবন আবু জাহ্লের নেতৃত্বে
কুরড়ায়শী ও পাতফানী লোকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল পাঠায় বনুকুরায়যা গোত্রের
নিকট ৷ ওরা গিয়ে বনু কুরায়যার লোকদেরকে বলেছিল যে, আমরা এখানে স্থায়ী থাকার মত
অবস্থানে নেই ৷ আমাদের গাধা-ঘোড়া ও গরু ছাগল সব শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ সুতরাং যুদ্ধের
জন্যে প্রস্তুত হও ৷ যাতে আমরা মুহাম্মাদ (না)-কে পরাস্ত করে, এই ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে
পারি ৷ উত্তরে বনুকুরায়যা বলল, আজ শনিবার ৷ শনিবারে আমরা কোন কাজই করিনা , আমাদের
কেউ কেউ শনিবারে কাজ করে বিপদগ্রস্ত হয়েছে তাও তোমাদের অজানা নেই ৷ উপরন্তু
তোমাদের সন্তুাস্ত ব্যক্তিদেরকে আমাদের নিকট যিশী না রাখলে আমরা তোমাদের সাথী হয়ে
মুহাম্মাদ (সা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না ৷ তোমাদের লোকগুলাে আমাদের হাতে থাকবে জামানত
স্বরুপ, যতক্ষণ না আমরা মুহাম্মাদ (সা) এর বিরুদ্ধে বিজয়ী হই ৷ কারণ, আমরা আশংকা করছি
যে, যুদ্ধে যদি তে তামরা পরাজিত হও ৷ এবং প্রচণ্ড যুদ্ধের কারণে তোমরা নিজেদের পরিবার


مِنْهُمْ. قَالَ: ثُمَّ إِنَّ نُعَيْمَ بْنَ مَسْعُودِ بْنِ عَامِرِ بْنِ أُنَيْفِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ قُنْفُذِ بْنِ هِلَالِ بْنِ خُلَاوَةَ بْنِ أَشْجَعَ بْنِ رَيْثِ بْنِ غَطَفَانَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ وَإِنَّ قَوْمِي لَمْ يَعْلَمُوا بِإِسْلَامِي، فَمُرْنِي بِمَا شِئْتَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا أَنْتَ فِينَا رَجُلٌ وَاحِدٌ فَخَذِّلْ عَنَّا إِنِ اسْتَطَعْتَ، فَإِنَّ الْحَرْبَ خَدْعَةٌ» ". فَخَرَجَ نُعَيْمُ بْنُ مَسْعُودٍ حَتَّى أَتَى بَنِي قُرَيْظَةَ وَكَانَ لَهُمْ نَدِيمًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَقَالَ: يَا بَنِي قُرَيْظَةَ، قَدْ عَرَفْتُمْ وُدِّي إِيَّاكُمْ وَخَاصَّةَ مَا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ قَالُوا: صَدَقْتَ، لَسْتَ عِنْدَنَا بِمُتَّهَمٍ. فَقَالَ لَهُمْ: إِنَّ قُرَيْشًا وَغَطَفَانَ لَيْسُوا كَأَنْتُمْ، الْبَلَدُ بَلَدُكُمْ، فِيهِ أَمْوَالُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَنِسَاؤُكُمْ، لَا تَقْدِرُونَ عَلَى أَنْ تَتَحَوَّلُوا مِنْهُ إِلَى غَيْرِهِ، وَإِنَّ قُرَيْشًا وَغَطَفَانَ قَدْ جَاءُوا لِحَرْبِ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ، وَقَدْ ظَاهَرْتُمُوهُمْ عَلَيْهِ، وَبَلَدُهُمْ وَنِسَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ بِغَيْرِهِ فَلَيْسُوا كَأَنْتُمْ، فَإِنْ رَأَوْا نُهْزَةً أَصَابُوهَا، وَإِنْ كَانَ غَيْرُ ذَلِكَ لَحِقُوا بِبِلَادِهِمْ وَخَلَّوْا بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ الرَّجُلِ بِبَلَدِكُمْ، وَلَا طَاقَةَ لَكُمْ بِهِ إِنْ خَلَا بِكُمْ، فَلَا تُقَاتِلُوا مَعَ الْقَوْمِ حَتَّى تَأْخُذُوا مِنْهُمْ رَهْنًا مِنْ أَشْرَافِهِمْ يَكُونُونَ بِأَيْدِيكُمْ؛ ثِقَةً لَكُمْ عَلَى أَنْ تُقَاتِلُوا مَعَهُمْ مُحَمَّدًا حَتَّى تُنَاجِزُوهُ. قَالُوا: لَقَدْ أَشَرْتَ بِالرَّأْيِ. ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى أَتَى قُرَيْشًا فَقَالَ لِأَبِي سُفْيَانَ بْنِ حَرْبٍ وَمَنْ مَعَهُ مِنْ رِجَالِ قُرَيْشٍ: قَدْ عَرَفْتُمْ وُدِّي لَكُمْ وَفِرَاقِي مُحَمَّدًا، وَإِنَّهُ قَدْ بَلَغَنِي أَمْرٌ قَدْ رَأَيْتُ عَلَيَّ حَقًّا أَنْ أُبَلِّغَكُمُوهُ؛ نُصْحًا لَكُمْ، فَاكْتُمُوا عَنِّي. قَالُوا: نَفْعَلُ. قَالَ: تَعْلَمُوا أَنَّ مَعْشَرَ
পৃষ্ঠা - ২৯২১

পরিজন ও মালামাল নিয়ে তোমাদের শহরেই চলে যাও ৷ আর আমাদের একা এমন এক
লোকের কাছে রেখে যাও যে, ওর সাথে টিকে থাকার ক্ষমতা আমাদের ও সেই ৷ তখন আমাদের
অবন্থাটা কী দাড়াবে ৷

বনুকুরায়যার উত্তর নিয়ে প্রতিনিধিদল ফিরে আসে ৷ বিস্তা বিত শুনে কুরায়শী ও পাত ফড়ান্নীরা

তারা বনু কুরায়যার নিকট স বাদ পাঠাল যে, আল্লাহর কসম ! আমরা আমাদের একজন লোকও
তোমাদের নিকট পাঠাব না ৷ তোমরা যদি স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে যুদ্ধে অংশ নিতে চাও তবে এসে অংশ
নাও ৷ কুরায়শীদের বক্তব্য বনুকুরায়যার লোকজন অবগত হবার পর তারা বলল যে, নুয়াইম ইবন
মাসউদ বলেছেন তা তো পুরোপুরি সত্য ৷ ওদের ইচ্ছা হল, তোমাদেরকে সাথে নিয়ে ওরা যুদ্ধ
করবে ৷ যুদ্ধে বিজয়ের সম্ভাবনা দেখলে ওরা তা ভোগ করবে ৷ অন্যথায় নিজেদের শহরের দিকে
দৌড়ে পালাবে, আর তোমাদেরকে তোমাদের শহরে ওই লোকের হাতে ছেড়ে যাবে ৷ সুতরাং
কুরায়শ ও পাতফান গােএকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহর কসম ! আমরা তোমাদের সাথী হয়ে যুদ্ধ
করব না, যতক্ষণ না তোমাদের লোকজন আমাদের নিকট যিঘী স্বরুপ রাখ ৷ ওরাও এই প্রস্তাব
প্রত্যাখ্যান করল ৷ মহান আল্লাহ্ উভয় দলের মধ্যে পরস্পর অবিশ্বাস সৃষ্টি করে তাদের লাঞ্চুনার
ব্যবস্থা করে দিলেন ৷ উপরন্তু শীতকালীন প্রচন্ড শীতের রাতে ঝঞা বায়ু প্রেরণ করলেন ৷ তাতে
তাদের পাতিল ডেকচি উন্টে গেল এবং থালা-বাসন দুরে বহুদুরে উড়ে গেল ৷ মুসা ইবন উকবা
নুয়াইম ইবন মাসউদ সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন ইবন ইসহাকের এই বর্ণনা তার চাইতে উত্তম ৷
বায়হাকী মুসা ইবন উক্বা সুত্রে তার দালাইল গ্রন্থে এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ ওই বর্ণনার মুল কথা
হল নুয়ায়ম ইবন মাসউদ যা শুনতেন তা প্রচার ও প্রকাশ করে দিতেন ৷ ঘটনাক্রমে একদিন
ইশার সময়ে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তাকে ডেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, ওহে৷ এদিকে এস ! তিনি এলেন ৷ তিনি বললেন, তুমি কি দেখে এসেছ ৷ ওদিকের
খবর কী ? তিনি বললেন, কুরায়শ ও পাতফানের লোকেরা বনুকুরায়যার নিকট প্রস্তাব পাঠিয়েছে
যে, তারা যেন ওদের সাথে মিলে আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয়ী হয় ৷ বনুকুরায়যার লোকেরা
বন্ধক চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ৷ ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জামানত স্বরুপ সন্তুাম্ভ
লোকদেরকে বন্ধক রাখার শর্তে তারা হুয়াই ইবন আখতাবের প্ররােচনায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সাথে সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) নুয়াইমকে বললেন, আমি তোমাকে একটি গোপন কথা বলব তা তুমি কারো
নিকট প্রকাশ করো না ৷ তিনি বললেন, বনু কুরায়যা গোত্র আমার নিকট প্রস্তাব পাঠিয়েছে যে,
ওদের মিত্র বনু নযীর গোত্রকে যদি মদীনায় এনে ওদের বাড়ী ঘর ও বন সম্পদ ফিরিয়ে দিই
তাহলে তারা আমার সাথে মীমা সায় পৌছবে ৷ একথা শুনে নুয়াইম ইবন মাসউদ গেলেন
পাতফান গোত্রের নিকট ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ ও বলেছিলেন যে, , ৷ ন্^;স্ ৰুদ্ব ৰু১ ;;; ৷
এে ধ্া৷ ৷ ¢;;,; শ্যুদ্ধ হল কৌশল মাত্র ৷ নিশ্চয় আল্পাহ্ তা আলা আমাদের কল্যাণের কোন
একটি ব্যবস্থা করে দেবেন ৷ নুয়াইম এলেন গড়াতফ ন ও কুরড়ায়শ গোত্রের লোকজনের নিকট এবং
তাদেরকে বানু কুরায়যার মীমাংসা প্রস্তাবের কথা জানালেন ৷ তারা অবিলম্বে বনু কুরায়যার নিকট
ইকরামার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পাঠায় যুদ্ধে অংশ গ্রহণের আহবান জানিয়ে ৷ ঘটনাক্রমে


يَهُودَ قَدْ نَدِمُوا عَلَى مَا صَنَعُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مُحَمَّدٍ، وَقَدْ أَرْسَلُوا إِلَيْهِ أَنَّا قَدْ نَدِمْنَا عَلَى مَا فَعَلْنَا، فَهَلْ يُرْضِيكَ أَنْ نَأْخُذَ لَكَ مِنَ الْقَبِيلَتَيْنِ مِنْ قُرَيْشٍ وَغَطَفَانَ رِجَالًا مِنْ أَشْرَافِهِمْ، فَنُعْطِيَكَهُمْ فَتَضْرِبَ أَعْنَاقَهُمْ، ثُمَّ نَكُونَ مَعَكَ عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ حَتَّى تَسْتَأْصِلَهُمْ؟ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ أَنْ نَعَمْ. فَإِنْ بَعَثَتْ إِلَيْكُمْ يَهُودُ يَلْتَمِسُونَ مِنْكُمْ رَهْنًا مِنْ رِجَالِكُمْ، فَلَا تَدْفَعُوا إِلَيْهِمْ مِنْكُمْ رَجُلًا وَاحِدًا. ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى أَتَى غَطَفَانَ، فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ غَطَفَانَ إِنَّكُمْ أَصْلِي وَعَشِيرَتِي وَأَحَبُّ النَّاسِ إِلَيَّ، وَلَا أَرَاكُمْ تَتَّهِمُونِي، قَالُوا: صَدَقْتَ، مَا أَنْتَ عِنْدَنَا بِمُتَّهَمٍ. قَالَ: فَاكْتُمُوا عَنِّي. قَالُوا: نَفْعَلُ. ثُمَّ قَالَ لَهُمْ مِثْلَ مَا قَالَ لِقُرَيْشٍ، وَحَذَّرَهُمْ مَا حَذَّرَهُمْ، فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ السَّبْتِ مِنْ شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ، وَكَانَ مِنْ صُنْعِ اللَّهِ تَعَالَى لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَرْسَلَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ وَرُءُوسُ غَطَفَانَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ عِكْرِمَةَ بْنَ أَبِي جَهْلٍ فِي نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ وَغَطَفَانَ فَقَالَ لَهُمْ: إِنَّا لَسْنَا بِدَارِ مُقَامٍ، قَدْ هَلَكَ الْخُفُّ وَالْحَافِرُ، فَأَعِدُّوا لِلْقِتَالِ حَتَّى نُنَاجِزَ مُحَمَّدًا وَنَفْرُغُ مِمَّا بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ. فَأَرْسَلُوا إِلَيْهِمْ: إِنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ السَّبْتِ، وَهُوَ يَوْمٌ لَا نَعْمَلُ فِيهِ شَيْئًا، وَقَدْ كَانَ أَحْدَثَ فِيهِ بَعْضُنَا حَدَثًا فَأَصَابَهُمْ مَا لَمْ يَخْفَ عَلَيْكُمْ، وَلَسْنَا مَعَ ذَلِكَ بِالَّذِينِ نُقَاتِلُ مَعَكُمْ مُحَمَّدًا حَتَّى تُعْطُونَا رُهُنًا مِنْ رِجَالِكُمْ يَكُونُونَ بِأَيْدِينَا؛ ثِقَةً لَنَا حَتَّى نُنَاجِزَ مُحَمَّدًا، فَإِنَّا نَخْشَى
পৃষ্ঠা - ২৯২২
إِنْ ضَرَّسَتْكُمُ الْحَرْبُ، وَاشْتَدَّ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ أَنْ تَنْشَمِرُوا إِلَى بِلَادِكُمْ وَتَتْرُكُونَا، وَالرَّجُلَ فِي بِلَادِنَا، وَلَا طَاقَةَ لَنَا بِذَلِكَ مِنْهُ. فَلَمَّا رَجَعَتْ إِلَيْهِمُ الرُّسُلُ بِمَا قَالَتْ بَنُو قُرَيْظَةَ قَالَتْ قُرَيْشٌ وَغَطَفَانُ: وَاللَّهِ إِنَّ الَّذِي حَدَّثَكُمْ نُعَيْمُ بْنُ مَسْعُودٍ لَحَقٌّ. فَأَرْسَلُوا إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ: إِنَّا وَاللَّهِ لَا نَدْفَعُ إِلَيْكُمْ رَجُلًا وَاحِدًا مِنْ رِجَالِنَا، فَإِنْ كُنْتُمْ تُرِيدُونَ الْقِتَالَ فَاخْرُجُوا فَقَاتِلُوا. فَقَالَتْ بَنُو قُرَيْظَةَ حِينَ انْتَهَتْ إِلَيْهِمُ الرُّسُلُ بِهَذَا: إِنَّ الَّذِي ذَكَرَ لَكُمْ نُعَيْمُ بْنُ مَسْعُودٍ لَحَقٌّ مَا يُرِيدُ الْقَوْمُ إِلَّا أَنْ تُقَاتِلُوا، فَإِنْ رَأَوْا فُرْصَةً انْتَهَزُوهَا، وَإِنْ كَانَ غَيْرُ ذَلِكَ انْشَمَرُوا إِلَى بِلَادِهِمْ، وَخَلَّوْا بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ الرَّجُلِ فِي بَلَدِكُمْ. فَأَرْسَلُوا إِلَى قُرَيْشٍ وَغَطَفَانَ: إِنَّا وَاللَّهِ مَا نُقَاتِلُ مَعَكُمْ حَتَّى تُعْطُونَا رُهُنًا فَأَبَوْا عَلَيْهِمْ، وَخَذَّلَ اللَّهُ بَيْنَهُمْ، وَبَعَثَ اللَّهُ الرِّيحَ فِي لَيْلَةٍ شَاتِيَةٍ شَدِيدَةِ الْبَرْدِ فَجَعَلَتْ تَكْفَأُ قُدُورَهُمْ وَتَطْرَحُ أَبْنِيَتَهُمْ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ مِنْ قِصَّةِ نُعَيْمِ بْنِ مَسْعُودٍ أَحْسَنُ مِمَّا ذَكَرَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَقَدْ أَوْرَدَهُ عَنْهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ". فَإِنَّهُ ذَكَرَ مَا حَاصِلُهُ «أَنَّ نُعَيْمَ بْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يُذِيعُ مَا يَسْمَعُهُ مِنَ الْحَدِيثِ فَاتَّفَقَ أَنَّهُ مَرَّ بِرَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২৯২৩

সেদিন ছিল শনিবার ৷ তাই ইয়াহুদীগণ শনিবারের দােহইি দিয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকার করে ৷
তারপর তারা আবার মানুষ বন্ধক চায় ৷ এভাবে আল্লাহ্ তাআলা উভয় পক্ষের মধ্যে সন্দেহ ও
বিরোধ সৃষ্টি করে দেন ৷ আমি বলি যে, সম্ভবত বনুকুরায়যা গোত্র ঢেষ্টা-সাধনার পর ও কুরায়শ ও
পাতফান গোত্রের সাথে সমঝোতায় পৌছতে ব্যর্থ হয়ে রাসৃলল্লাহ্ (সা) এর নিকট মীমাংসার
প্রস্তাব পাঠিয়েছিল যে, বনু নযীর গোত্রকে মদীনায় ফিরিয়ে আনলে তারা তার সাথে একটি
মীমাংসার পৌছবে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, শত্রুপক্ষের ঐক্যের ফাটল ধরার সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
পৌছে ৷ তখন শত্রুপক্ষ রাতের বেলা কী করছে তা দেখে আমার জন্যে তিনি হযরত হুযায়ফাকে
পাঠালেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াযীদ ইবন যিয়াদ বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ ইবন কা’ব কুরাযী
থেকে ৷ তিনি বলেন, কুফার একজন লোক হুযায়ফা ইবন ইরামন্বন (রা) কে বললেন, হে আবু
আরদুল্লড়াহ্! আপনি কি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখেছেন এবং ত্দ্রন্ক্ষ্র সাহচর্য লাভ করেছেন ? হুযায়ফা
(রা) বললেন, হা, হে ভাতিজা ! সে লোকটি বলল, তবে আপনারা তখন কী করতেন তা
আমাদেরকে জানান ৷ হুযায়ফা (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম , তখন আমরা সাধ্যমত পরিশ্রম
করতাম ৷ ল্যেকটি বলল, আল্লাহর কসম , আমরা যদি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ণ্ক (পতাম তবে আমরা
তাকে মাটিতে পা ফেলতে দিতাম না কাধে নিয়ে রাখতাম ৷ হুযায়ফা (রা) বললেন, ভাতিজা,
শোন, একটি ঘটনা তোমাকে বলি ৷ আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে খন্দক যুদ্ধে নিয়োজিত
ছিলাম ৷ রাতের কিছুক্ষণ অতিবাহিত হবার পর রাসুলুল্পাহ্ (সা) নামায আদায় করলেন ৷ তারপর
আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন “কে আছ এই মুহুর্তে শত্রুপক্ষের নিকট গিয়ে ওদের অবস্থা
দেশে ফিরে আসবে এবং বিনিময়ে আমি দৃআ করি যে আমার জান্নাতের সাথী হবে ৷ খবর জেনে
ফিরে আসার শর্ত লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ৷ প্রচণ্ড ক্ষু ধা , অসহ্য ঠাণ্ডা ও ভয়-ভীতির কারণে
কেউই তার ডাকে সাড়া দিল না ৷ কেউ যখন প্রস্তুত হল না তখন তিনি আমাকে নাম ধরে
ডাকলেন ৷ সুনিদিষ্টভাবে আমাকে ডাক দেয়ায় আমার না উঠে উপায় ছিল না ৷ তিনি আমাকে
বললেন, হে হুযায়ফা ! তুমি যাও, শত্রুপক্ষের ভেতরে প্রবেশ কর, তারপর দেখে নাও ওরা কী
করছে ৷ আমার নিকট ফিরে আসার পুর্বে এ সম্পর্কে কাউকে কিছু বলবে না ৷ হুযায়ফা বলেন,
আমি গেলাম ৷ ওদের দলের মধ্যে ঢুকে গেলাম ৷ ঝঞা বায়ু ও আল্লাহ্র প্রেরিত প্রাকৃতিক শক্তি
তখন সেখানে যা করার করছিল তাদের ডেকচি-পাতিল , আগুন ও তাবু কিইে ন্থির থাকছিল না ৷
সব উপড়ে গিয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে লণ্ড-তণ্ড অবস্থা ৷ তখন আবু সুফিয়ড়ান দাড়িয়ে বলল, হে কুরায়শ
সম্প্রদায় প্রতেক্তকেই নিজের পাশের লোকের পরিচয় জেনে নাও এবং তার ব্যাপারে সতর্ক
থেকাে ৷ হুযায়ফা (রা) বলেন, এ কথা শুনে আমি আমার পাশের লোকটিকে১ বললাম, তুমি কে
হে ? সে বলল, আমি অযুকের পুত্র অমুক ৷

হুযায়ফা (রা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাক্ষাতের জন্যে ফিরে চললাম ৷ তার
নিকট যখন এসে পৌছি তখন তিনি তার এক সহধর্মিণীর নক্শী চাদর গায়ে নামায পড়ছিলেন ৷
আমাকে দেখতে পেয়ে আমাকে তার পদদ্বয়ের নিকট চাদরের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেললেন এবং

১ টীকা ও ঘটনাচক্রে তখন তার ভানে রায়ে মুআবিয়া ও আমর ইবনুল আস অবস্থান করছিলেন ৷ — দ্র
পাদটীকা আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়৷ পৃ ৩ (শেষাংশ) শারহে মাওয়াহিল লাদৃন্নিয়া এর ররাতে ৷

২৮ —

صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ عِشَاءً، فَأَشَارَ إِلَيْهِ أَنْ تَعَالَ، فَجَاءَ فَقَالَ: " مَا وَرَاءَكَ؟ " فَقَالَ: إِنَّهُ قَدْ بَعَثَتْ قُرَيْشٌ وَغَطَفَانُ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ يَطْلُبُونَ مِنْهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا إِلَيْهِمْ فَيُنَاجِزُوكَ، فَقَالَتْ بَنُو قُرَيْظَةَ: نَعَمْ، فَأَرْسِلُوا إِلَيْنَا بِالرُّهُنِ. وَقَدْ ذَكَرَ كَمَا تَقَدَّمَ أَنَّهُمْ إِنَّمَا نَقَضُوا الْعَهْدَ عَلَى يَدَيْ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ، بِشَرْطِ أَنْ يَأْتِيَهُمْ بِرَهَائِنَ تَكُونُ عِنْدَهُمْ تَوْثِقَةً، قَالَ: فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي مُسِرٌّ إِلَيْكَ شَيْئًا فَلَا تَذْكُرْهُ ". قَالَ: " إِنَّهُمْ قَدْ أَرْسَلُوا إِلَيَّ يَدْعُونَنِي إِلَى الصُّلْحِ وَأَرُدُّ بَنِي النَّضِيرِ إِلَى دُورِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ ". فَخَرَجَ نُعَيْمُ بْنُ مَسْعُودٍ عَامِدًا إِلَى غَطَفَانَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْحَرْبُ خَدْعَةٌ، وَعَسَى أَنْ يَصْنَعَ اللَّهُ لَنَا ". فَأَتَى نُعَيْمٌ غَطَفَانَ وَقُرَيْشًا فَأَعْلَمَهُمْ، فَبَادَرَ الْقَوْمُ وَأَرْسَلُوا إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ عِكْرِمَةَ وَجَمَاعَةً مَعَهُ، وَاتَّفَقَ ذَلِكَ لَيْلَةَ السَّبْتِ، يَطْلُبُونَ مِنْهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا لِلْقِتَالِ مَعَهُمْ فَاعْتَلَّتِ الْيَهُودُ بِالسَّبْتِ، ثُمَّ أَيْضًا طَلَبُوا الرُّهُنَ تَوْثِقَةً، فَأَوْقَعَ اللَّهُ بَيْنَهُمْ وَاخْتَلَفُوا» . قُلْتُ: وَقَدْ يَحْتَمِلُ أَنْ تَكُونَ قُرَيْظَةُ لَمَّا يَئِسُوا مِنِ انْتِظَامِ أَمْرِهِمْ مَعَ قُرَيْشٍ وَغَطَفَانَ بَعَثُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَطْلُبُونَ مِنْهُ الصُّلْحَ عَلَى أَنْ يَرُدَّ بَنِي النَّضِيرِ إِلَى الْمَدِينَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا اخْتَلَفَ مِنْ أَمْرِهِمْ، وَمَا فَرَّقَ اللَّهُ مِنْ جَمَاعَتِهِمْ، دَعَا حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ، فَبَعَثَهُ إِلَيْهِمْ لِيَنْظُرَ مَا فَعَلَ الْقَوْمُ لَيْلًا.
পৃষ্ঠা - ২৯২৪

চাদরের এক মাথা আমার উপর ছড়িয়ে দিলেন ৷ তারপর তিনি রুকু করলেন, সিজদা করলেন ৷
আমি তখনও তার চাদরের মধ্যে, তার সালাম ফিরানোর পর আমি তাকে শত্রুপক্ষের অবস্থান
জানালাম ৷ এদিকে কুরায়শদের মক্কা যাত্রার কথা গাতফান গোত্রের লোকেরা জানতে পায় ৷ ফলে
তারাও অবিলম্বে নিজেদের দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ এ সনদটি বিচ্ছিন্ন ৷

ইমাম মুসলিম (বা) এই হাদীছ তার সহীহ্ গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন আমাশ ইয়াষীদ
তায়মী থেকে ৷ তিনি বলেছিলেন, আমরা হুযায়ফা (রা)এর পাশে ছিলাম ৷ তখন এক ব্যক্তি
বলল, আমরা যদি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে পেতাম তবে তার সাথী হয়ে জিহাদ করতাম এবং যে
কোন বিপদ হাসিমুখে বরণ করে নিতাম ৷ তখন হুযায়ফা (বা) ওকে পুর্ব বর্ণিত ঘটনাটি আনুপুর্বিক
বললেন ৷ তুমি কি তাই করতে ? তবে তাতে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এ কাজের জন্য তিন তিনবার
আহ্বান করার পর তাকে নাম ধরে আহ্বান করেছিল বলে উল্লেখ রয়েছে ৷

হুযায়ফা (বা) ঐ প্রসঙ্গে তাতে বাড়তি বলেন, আমি রওয়ানৰু করলাম ৷ আমি হাটছিলাম
এমনভাবে যে, আমি যেন গোসল থানার উষ্ণতা অনুভব করছিলাম ৷ অথাৎ প্রচণ্ড শীতের সামান্য
ও আমি অনুভব করিনি ৷ তিনি আরও বলেন : আমি ওদের নিকট পৌছে যাই ৷ সেখানে দেখি আবু
সুফিয়ান আগুনের দিকে পিঠ করে আগুন পোহাচ্ছে ৷ আমি আমার ধনুকে তীর সাজিয়ে ফেলি
এবং তাকে লক্ষ্য করে তীর নিক্ষেপ করতে উদ্যত হই ৷ হঠাৎ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশ আমার
স্মরণে আসে যে, “আমার তরফে ওদের কাউকে ভয় পাইয়ে দিয়োনা যেন ৷ আমি থেমে যাই ৷
কিন্তু যদি তখন তীর নিক্ষেপ করতড়াম তবে আমি নিশ্চিত যে, তা লক্ষ্য ভেদ করতেড়া ৷ আমি
ওখান থেকে ফিরে এলড়াম যেন গোসল থানার উষ্ণতার মধ্যে ইাটছি ৷ আমি এসে পৌছি বাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নিকট ফিরে আসার পথে আমি আবার ঠাণ্ডা অনুভব করি ৷ শত্রুপক্ষের অবস্থান সম্পর্কে
আমি তাকে অবহিত করি ৷ তিনি যে জুব্বা পরিধান করে নামায পড়ছিলেন তার অতিরিক্ত অংশ
দ্বারা তিনি আমার শরীর ঢেকে দিলেন ৷ সকাল পর্যন্ত আমি বিভাের ঘুমে আচ্ছন্ন থাকি ৷ ভোররেলা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে ডেকে বললেন, হে ঘুম কাতুরে ব্যক্তি উঠ ৷

হাকিম এবং হাফিয বায়হাকী তার দালাইল গ্রন্থে এ হাদীছটি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন
ইকরামা ইবন আমার আব্দুল আযীয সুত্রে ৷ আব্দুল আষীয হলেন হুযায়ফা (রা)-এর
ভাতিজা ৷ তিনি বলেন, একদিন হুযায়ফা (বা) তার সহচরদের নিকট রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে
তাদের গুরুতৃপুর্ণ অভিযানসমুহে উপস্থিত থাকার কথা বর্ণনা করছিলেন ৷ তার সহচরগণ বললেন,



(দ্র৪) এরপর আবু সুফিয়ান বলল, হে কুরড়ায়শ সম্প্রদায় ! আল্লাহ্র কসম, এখন তোমরা সুন্থির
অবস্থানে নেই ৷ রসদ পত্র, পশু-প্রাণী, খাদ্য দ্রব্য সব এখন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ৷ ওই দিকে বড়ানু
কুরায়যা গোত্র আমাদের সাথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে ৷ ওদের সম্পর্কে আমরা যে সংবাদ পেয়েছি তা

৪খজনক ৷ প্রচন্ড ঝঞা বায়ুতে আমাদের এখন কী যে অবস্থা তাতে৷ সকলেই দেখতে পাচ্ছ ৷
ঝড়ের আঘাতে আমাদের হাড়ি পাতিল স্থির থাকে না আগুন নিতে যাচ্ছে এবং আমাদের বাসস্থান তাবু
কিছুই টিকে থাকছে না ৷ সুতরাং সবাই মক্কা অভিমুখে যাত্রা শুরু কর ৷ আমি চললাম ৷ একথা বলে
সে পাশেই বাধা উটের পিঠে সওয়ার হল ৷ পিঠে উঠেই সে চড়াবুক মারল পিঠে তিন পায়ে লাফিয়ে
ছুটতে লাগল সেটি ৷ পুর্ণ গতিতে উটটি যাত্রা করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে আমার অঙ্গীকার ছিল
যে, তার নিকট ফিরে না আসা পর্যন্ত কোন ঘটনা ঘটাবনা ৷ এই অঙ্গীকার না থাকলে আমি অনায়াসে
তীর নিক্ষেপে আবু সুফিয়ানকে হত্যা করতে পারতাম ৷


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، قَالَ: «قَالَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ لِحُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَرَأَيْتُمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَحِبْتُمُوهُ؟ قَالَ: نَعَمْ يَا ابْنَ أَخِي. قَالَ: فَكَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ؟ قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ كُنَّا نَجْتَهِدُ. قَالَ: وَاللَّهِ لَوْ أَدْرَكْنَاهُ مَا تَرَكْنَاهُ يَمْشِي عَلَى الْأَرْضِ، وَلَحَمَلْنَاهُ عَلَى أَعْنَاقِنَا. قَالَ: فَقَالَ حُذَيْفَةُ: يَا ابْنَ أَخِي وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخَنْدَقِ، وَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَوِيًّا مِنَ اللَّيْلِ، ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيْنَا فَقَالَ: " مَنْ رَجُلٌ يَقُومُ فَيَنْظُرُ لَنَا مَا فَعَلَ الْقَوْمُ ثُمَّ يَرْجِعُ " فَشَرَطَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّجْعَةَ " - أَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يَكُونَ رَفِيقِي فِي الْجَنَّةِ " - فَمَا قَامَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ؛ مِنْ شِدَّةِ الْخَوْفِ وَشِدَّةِ الْجُوعِ وَالْبَرْدِ، فَلَمَّا لَمْ يَقُمْ أَحَدٌ دَعَانِي فَلَمْ يَكُنْ لِي بُدٌّ مِنَ الْقِيَامِ حِينَ دَعَانِي، فَقَالَ: " يَا حُذَيْفَةُ، اذْهَبْ فَادْخُلْ فِي الْقَوْمِ، فَانْظُرْ مَاذَا يَفْعَلُونَ، وَلَا تُحْدِثَنَّ شَيْئًا حَتَّى تَأْتِيَنَا ". قَالَ: فَذَهَبْتُ فَدَخَلْتُ فِي الْقَوْمِ، وَالرِّيحُ وَجُنُودُ اللَّهِ تَفْعَلُ بِهِمْ مَا تَفْعَلُ، لَا تُقِرُّ لَهُمْ قِدْرًا وَلَا نَارًا وَلَا بِنَاءً، فَقَامَ أَبُو سُفْيَانَ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، لِيَنْظُرِ امْرُؤٌ مَنْ جَلِيسُهُ. قَالَ حُذَيْفَةُ: فَأَخَذْتُ بِيَدِ الرَّجُلِ الَّذِي كَانَ إِلَى جَنْبِي فَقُلْتُ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: فُلَانُ ابْنُ فُلَانٍ. ثُمَّ قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ إِنَّكُمْ وَاللَّهِ مَا أَصْبَحْتُمْ بِدَارِ مُقَامٍ، لَقَدْ هَلَكَ الْكُرَاعُ وَالْخُفُّ، وَأَخْلَفَتْنَا
পৃষ্ঠা - ২৯২৫

“আল্লাহর কসম, আমরা যদি ওই সময় থাকতাম তবে এমন এমন উল্লেখযোগ্য কাজ করতাম ৷
হুযা ৷য়ফ৷ (বা) বললেন, ওই রকম অবস্থান কামনা করোনা ৷ শোন আমরা খন্দকের যুদ্ধে বা ৷ত্রিবেলা
ওখানে ছিলাম ৷ আমরা সকলে সারিবদ্ধভাবে বসা আছি ৷ আবু সুফয়ান ও তার বাহিনী অবস্থান
করছে আমাদের উপরের দিকে ৷ আর বনু কুরায়যার ইয়াহ্রদীর৷ আমাদের নীচের দিকে ৷ ওরা
আমাদের নারী ও শিশুদের উপর আক্রমণ করে কিনা আমরা সেই আশংকায় ছিলাম ৷ ওই রাতের
চেয়ে অধিক ঠাণ্ডা , অন্ধকারও ঝঞা বিক্ষুদ্ধ রাত আমাদের জীবনে আর আসেনি ৷ বাতাসের শব্দে
বব্লুজ্রর নিনাদ ৷ চারিদিকে অগৈ অন্ধকার ৷ আমাদের কেউ নিজের অ ৷ঙ্গুলটি পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছিল
না ৷ মুনাফিকরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছিল ৷৩ তারা বলছিল,
আমাদের বাড়ীঘর অরক্ষিত ৷ প্রকৃতপক্ষে ওগুলে৷ অরক্ষিত ছিল্ না ৷ যে ই অনুমতি চাচ্ছিল
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকেই অনুমতি দিয়ে দিচ্ছিলেন ৷ আর মুনাফিকর৷ অনুমতি নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে
কৌশলে সরে পড়ছিল ৷ আমরা প্রায় তিনশ জনের মত ছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যক্তিগতভাবে
একে একে আমাদের সবার নিকট এলেন ৷ এক পর্যায়ে তিনি আমার নিকট এলেন ৷ আমার নিকট
শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার কোন চাল ও ছিল না আর ঠাণ্ডা থেকে বাচার কোন জামা কাপড়ও
ছিল না ৷ আমার ত্রীর একটি ছোট্ট চাদর আমার কাছে ছিল ঘটে ৷ সেটি আমার ইাটুর নীচে
পৌছতাে না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার নিকট এলেন ৷ তখন আমি মাটিতে ইাটু গেড়ে বসেছিলাম ৷
তিনি বললেন, এ লোকটি কে ? আমি বললাম, আমি হুয়ায়ফ৷ ৷ তিনি বললেন, হুয়ায়ফা! তুমি যে
একেব৷ র মাটির সাথে মিশে আছ ? আমি বললাম , জী হা ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! দাড়াতে চাইনা বলে
তা করেছি ৷ এরপর আমি দাড়ালাম ৷ তিনি বললেন, শত্রু শিবিরে একটি অবাক ঘটনা ঘটরে-
তুমি গি গয়ে ওই সৎবা দ নিয়ে আমার নিকট ফিরে আসবে ৷ হুয়ায়ফ৷ (বা) বলেন, আমি তখন ছিলাম
সর্বাধিক ভীতি গ্রস্ত ও ঠাণ্ডা ৷য় আক্রান্ত মানুষ ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশ পা লবনর
জন্যে আমি বের হলাম ৷ তিনি আমার জন্যে দৃ আ করে বললেনং : এ ট্রু,ন্ং ণ্এণ্ ণ্ ৷ স্পো,া ৷ ৷
হে আল্লাহ ওকে
র্হিফাযত করুন আর সামনের দিক থেকে, পেছনের দিক থেকে, ডান দিক থেকে, বাম দিক
থেকে এবং তার উপরের দিক ও নীচের দিক থেকে ৷ হুয়ায়ফ৷ বলেন, আল্লাহর কলম, তখন
থেকে আমার মধ্যে কোন ভীতি বা ঠাণ্ডাকাতর ভাব আসেনি ৷

তিনি বলেন, আমি যখন যাত্রা করলাম তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, হে হুয়ায়ফ৷ ! আমার
নিকট ফিরে না আসা পর্যন্ত তুমি শত্রু-শিবিরে কোন ঘটনা ঘটাবে না ৷ হুয়ায়ফ৷ বলেন, আমি বের
হলাম ৷ শত্রু সৈন্যদের কাছাকাছি এসে দেখলাম ওদের ওখানে আগুন জ্বলছে ৷ আগুনের আলোতে
আমি জনৈক হৃষ্টপুষ্ট এবৎ কালো বর্ণের একজন লোককে দেখতে পেলাম ৷ সে আগুন পােহাচ্ছিল
এবৎ কােমরে গরম হাত বুলাচ্ছিল ৷ আর বলছিল, যাত্রা কর ৷ যাত্রা কর ৷ ইতিপুর্বে আমি আবু
সুফয়ানকে চিনতাম না ৷ আমি আমার তুনীর থেকে একটি তীর বের করে ধনুকে যোজন করি ৷
আগুনের আলোতে ওকে স্পষ্ট দেখতে পেয়ে আমি ওই লোকের প্রতি ভীর নিক্ষেপ করতে
যাচ্ছিলাম ৷ হঠ৷ ৷ৎ রাসুলুল্লীহ্ (সা) এর নির্দেশ আমার স্মরণ হল ৷ তিনি বলেছিলেন আমার নিকট
ফিরে না আসা পর্যন্ত কোন ঘটনা ঘটাবে না ৷ আমি থেমে গেলাম ৷৩ ভীর পুনরায়তু নীতে ভরে
নিলাম ৷ এরপর আমি দৃসােহসী হয়ে উঠলড়াম ৷ যেতে যেতে শত্রু সেনাদের ভেতরে ঢুকে


بَنُو قُرَيْظَةَ، وَبَلَغَنَا عَنْهُمُ الَّذِي نَكْرَهُ وَلَقِينَا مِنْ شِدَّةِ الرِّيحِ مَا تَرَوْنَ؛ مَا تَطْمَئِنُّ لَنَا قِدْرٌ، وَلَا تَقُومُ لَنَا نَارٌ، وَلَا يَسْتَمْسِكُ لَنَا بِنَاءٌ، فَارْتَحِلُوا، فَإِنِّي مُرْتَحِلٌ. ثُمَّ قَامَ إِلَى جَمَلِهِ وَهُوَ مَعْقُولٌ فَجَلَسَ عَلَيْهِ، ثُمَّ ضَرَبَهُ فَوَثَبَ بِهِ عَلَى ثَلَاثٍ، فَوَاللَّهِ مَا أَطْلَقَ عِقَالَهُ إِلَّا وَهُوَ قَائِمٌ، وَلَوْلَا عَهْدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيَّ: " لَا تُحْدِثْ شَيْئًا حَتَّى تَأْتِيَنِي " ثُمَّ شِئْتُ؛ لَقَتَلْتُهُ بِسَهْمٍ قَالَ حُذَيْفَةُ: فَرَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي مِرْطٍ لِبَعْضِ نِسَائِهِ مَرَاجِلَ، فَلَمَّا رَآنِي أَدْخَلَنِي إِلَى رِجْلَيْهِ، وَطَرَحَ عَلَيَّ طَرَفَ الْمِرْطِ، ثُمَّ رَكَعَ وَسَجَدَ وَإِنِّي لَفِيهِ، فَلَمَّا سَلَّمَ أَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ، وَسَمِعَتْ غَطَفَانُ بِمَا فَعَلَتْ قُرَيْشٌ، فَانْشَمَرُوا رَاجِعِينَ إِلَى بِلَادِهِمْ» وَهَذَا مُنْقَطِعٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كُنَّا عِنْدَ حُذَيْفَةَ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: لَوْ أَدْرَكْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاتَلْتُ مَعَهُ وَأَبْلَيْتُ. فَقَالَ لَهُ حُذَيْفَةُ: أَنْتَ كُنْتَ تَفْعَلُ ذَلِكَ؟ لَقَدْ رَأَيْتُنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْأَحْزَابِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ رِيحٍ شَدِيدَةٍ وَقُرٍّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَلَا رَجُلٌ يَأْتِينِي بِخَبَرِ الْقَوْمِ يَكُونُ مَعِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ " فَلَمْ يُجِبْهُ مِنَّا أَحَدٌ ثُمَّ الثَّانِيَةَ ثُمَّ الثَّالِثَةَ مِثْلَهُ، ثُمَّ قَالَ: " يَا حُذَيْفَةُ قُمْ فَأْتِنَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ ". فَلَمْ أَجِدْ بُدًّا إِذْ دَعَانِي بِاسْمِي أَنْ
পৃষ্ঠা - ২৯২৬
أَقُومَ، فَقَالَ: " ائْتِنِي بِخَبَرِ الْقَوْمِ وَلَا تَذْعَرْهُمْ عَلَيَّ ". قَالَ: فَمَضَيْتُ كَأَنَّمَا أَمْشِي فِي حَمَّامٍ حَتَّى أَتَيْتُهُمْ، فَإِذَا أَبُو سُفْيَانَ يَصْلِي ظَهْرَهُ بِالنَّارِ، فَوَضَعْتُ سَهْمًا فِي كَبِدِ قَوْسِي وَأَرَدْتُ أَنْ أَرْمِيَهُ، ثُمَّ ذَكَرْتُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تَذْعَرْهُمْ عَلَيَّ ". وَلَوْ رَمَيْتُهُ لَأَصَبْتُهُ، فَرَجَعْتُ كَأَنَّمَا أَمْشِي فِي حَمَّامٍ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَصَابَنِي الْبَرْدُ حِينَ رَجَعْتُ وَقُرِرْتُ، فَأَخْبَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَلْبَسَنِي مِنْ فَضْلِ عَبَاءَةٍ كَانَتْ عَلَيْهِ يُصَلِّي فِيهَا، فَلَمْ أَزَلْ نَائِمًا حَتَّى الصُّبْحِ، فَلَمَّا أَنْ أَصْبَحْتُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قُمْ يَا نَوْمَانُ» . وَقَدْ رَوَى الْحَاكِمُ وَالْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ " هَذَا الْحَدِيثَ مَبْسُوطًا مِنْ حَدِيثِ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَخِي حُذَيْفَةَ قَالَ: «ذَكَرَ حُذَيْفَةُ مَشَاهِدَهُمْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ جُلَسَاؤُهُ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْ كُنَّا شَهِدْنَا ذَلِكَ لَكُنَّا فَعَلْنَا وَفَعَلْنَا. فَقَالَ حُذَيْفَةُ: لَا تَمَنَّوْا
পৃষ্ঠা - ২৯২৭

গেলাম ৷ আমার পাশের লোকটি ছিল বনু আমির গোত্রের লোক ৷ তারা ডাকাভাকি করে বলছিল,
হে আমির গোত্রের লোকেরা ! ফিরে চল ৷ ফিরে চল ৷ এখানে আর থাকা যাবে না ৷ শত্রু সৈন্যের
ওখানে শুরু হল প্রচণ্ড ঝঞা বায়ু ৷ ঝড়ের দাপটে ওরা এক বিঘতও সম্মুখে অগ্রসর হতে পারছিল
না ৷ আল্লাহর কসম ! ওদের তাবুতে ও বিছানায় আমি পাথরের শব্দ ওনছিলাম , ঝড়ের আঘাতে
ওই পাথরগুলাে উড়ে এসে ওদের তাবুতে পড়ছিল ৷ এরপর আমি রাসৃলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
আসার জন্যে ফিরতি যাত্রা করি ৷ অর্ধপথ অতিক্রম করার পর আমার সাথে সাক্ষাত হয় পাগড়ী
পরিহিত প্রায় ২০ জন অশ্বারোহী ব্যক্তির ৷ তারা আমাকে বলল, তোমার সাথী অর্থাৎ নবী করীম
(সা) কে জানিয়ে দিবে যে, তার পক্ষে আল্লাহ তাআলা সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন ৷

হুযায়ফা (রা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ফিরে এলাম ৷ তিনি তার চাদর গায়ে
নামায পড়ছিলেন ৷ আমি ওখানে পৌছার সাথে সাথে আমার শীতের অনুভুতি ফিরে আসে এবং
আমি অসুস্থ বোধ করতে থাকি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামাযে ছিলেন ৷ তিনি আমাকে হাতে ইশারা
করলেন ৷ আমি তার খুব কাছে গেলাম ৷ তার চাদরের এক অংশ তিনি আমার উপর ছেড়ে
দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিয়ম ছিল যে, কোন বড় সমস্যার সম্মুখীন হলে তিনি নামায়ে
মনোনিবেশ করতেন ৷ আমি শত্রু পক্ষের খবর তাকে জানাই যে, আমি দেখে এসেছি ওরা সকলে

চলে যাচ্ছে ৷ বর্ণনাকাবী বলেন, এ প্রসংগে নাযিল হয়েছে :
া,দ্বু দ্বু১

হে মু’মিনগণ! তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যখন শত্রু বাহিনী
তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল এবং আমি ওদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম ঝঞা বায়ু এবং
এক বাহিনী যা তোমরা দেখ নাই ৷ তোমরা যা কর আল্লাহ্ তার সম্যক দ্রষ্টা ৷ যখন ওরা তোমাদের
বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল উচ্চ অঞ্চল ও নিম্ন অঞ্চল হতে তোমাদের চক্ষু বিফারিভ হয়েছিল,
তোমাদের প্রাণ হয়ে পড়েছিল কণ্ঠাগত এবং তোমরা আল্লাহ সম্বন্ধে নানাবিধ ধারণা পোষণ
করছিলে ৷ তখন মু’মিনগণ পরীক্ষিত হয়েছিল এবং তারা ভীষণভাবে প্রকম্পিত হয়েছিল এবং
মুনাফিকগণ এবং যাদের অন্তরে ছিল ব্যাধি , তারা বলছিল , আল্লাহ্ এবং তার রাসুল আমাদের যে
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা প্রতারণা ব্যতীত কিছুই নয় এবং ওদের একদল বলেছিল, হে
ইয়াছরিববাসী ! এখানে তোমাদের কোন স্থান নেই, তোমরা ফিরে চল, এবং ওদের একদল নবীর
নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে বলছিল, আমাদের বাড়ীঘর অরক্ষিত অথচ ওগুলো অরক্ষিত ছিল না ৷
আসলে পলায়ন করাই ছিল ওদের উদ্দেশ্যে ৷ যদি শত্রুরা নগরীর বিভিন্ন দিক হতে প্রবেশ করে
ওদেরকে বিদ্রোহের জন্যে প্ররোচিত করত তারা অবশ্যই তা-ই করত ৷ ওরা তাতে কাল বিলম্ব
করত না ৷ এরা তো পুর্বেই আল্লাহর সাথে অংপীকার করেছিল যে, এরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে না ৷
আল্লাহর সাথে কৃত অংপীকার সম্বন্ধে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে ৷ বলুন, তোমাদের কোন লাভ
হবে না যদি তোমরা মৃত্যু অথবা হত্যার ভয়ে পলায়ন কর এবং সেক্ষেত্রে তোমাদেরকে সামান্যই
ভোগ করতে দেওয়া হবে ৷ বলুন ,কে তোমাদেরকে আল্লাহ্ হতে রক্ষা করবে যদি তিনি তোমাদের
অমংগল ইচ্ছা করেন এবং তিনি যদি তোমাদের অনুগ্রহ করতে ইচ্ছা করেন কে তোমাদের ক্ষতি
করবে ? ওরা আল্লাহ্ ব্যতীত নিজেদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না ৷ আল্লাহ্ অবশ্যই


ذَلِكَ، لَقَدْ رَأَيْتُنَا لَيْلَةَ الْأَحْزَابِ وَنَحْنُ صَافُّونَ قُعُودٌ، وَأَبُو سُفْيَانَ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْأَحْزَابِ فَوْقَنَا، وَقُرَيْظَةُ الْيَهُودُ أَسْفَلَ مِنَّا، نَخَافُهُمْ عَلَى ذَرَارِيِّنَا، وَمَا أَتَتْ عَلَيْنَا لَيْلَةٌ قَطُّ أَشَدُّ ظُلْمَةً وَلَا أَشَدُّ رِيحًا مِنْهَا، فِي أَصْوَاتِ رِيحِهَا أَمْثَالُ الصَّوَاعِقِ، وَهِيَ ظُلْمَةٌ مَا يَرَى أَحَدُنَا أُصْبُعَهُ، فَجَعَلَ الْمُنَافِقُونَ يَسْتَأْذِنُونَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَقُولُونَ: إِنَّ بُيُوتَنَا عَوْرَةٌ. وَمَا هِيَ بِعَوْرَةٍ فَمَا يَسْتَأْذِنُهُ أَحَدٌ مِنْهُمْ إِلَّا أَذِنَ لَهُ، وَيَأْذَنُ لَهُمْ وَيَتَسَلَّلُونَ، وَنَحْنُ ثَلَاثُمِائَةٍ وَنَحْوُ ذَلِكَ إِذِ اسْتَقْبَلَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا رَجُلًا، حَتَّى أَتَى عَلَيَّ، وَمَا عَلَيَّ جُنَّةٌ مِنَ الْعَدُوِّ وَلَا مِنَ الْبَرْدِ إِلَّا مِرْطٌ لِامْرَأَتِي مَا يُجَاوِزُ رُكْبَتِي. قَالَ: فَأَتَانِي وَأَنَا جَاثٍ عَلَى رُكْبَتِي فَقَالَ: " مَنْ هَذَا؟ " فَقُلْتُ: حُذَيْفَةُ. فَقَالَ: " حُذَيْفَةُ! " فَتَقَاصَرْتُ بِالْأَرْضِ، فَقُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. كَرَاهِيَةَ أَنْ أَقُومَ. قَالَ: " قُمْ ". فَقُمْتُ، فَقَالَ: " إِنَّهُ كَائِنٌ فِي الْقَوْمِ خَبَرٌ فَأْتِنِي بِخَبَرِ الْقَوْمِ " قَالَ: وَأَنَا مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ فَزَعًا وَأَشَدِّهِمْ قُرًّا. قَالَ: فَخَرَجْتُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ احْفَظْهُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ وَعَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ وَمِنْ فَوْقِهِ وَمِنْ تَحْتِهِ " قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا خَلَقَ اللَّهُ فَزَعًا وَلَا قُرًّا فِي جَوْفِي إِلَّا خَرَجَ مِنْ جَوْفِي، فَمَا أَجِدُ فِيهِ شَيْئًا. قَالَ: فَلَمَّا وَلَّيْتُ قَالَ: " يَا حُذَيْفَةُ، لَا تُحْدِثَنَّ فِي الْقَوْمِ شَيْئًا حَتَّى تَأْتِيَنِي ". قَالَ: فَخَرَجْتُ حَتَّى إِذَا دَنَوْتُ مِنْ عَسْكَرِ الْقَوْمِ نَظَرْتُ فِي ضَوْءِ نَارٍ لَهُمْ تَوَقَّدُ، وَإِذَا رَجُلٌ أَدْهَمُ ضَخْمٌ يَقُولُ بِيَدَيْهِ عَلَى النَّارِ، وَيَمْسَحُ خَاصِرَتَهُ
পৃষ্ঠা - ২৯২৮

জানেন, তোমাদের মধ্যে কারা তোমাদেরকে যুদ্ধে অংশ গ্রহণে বাধা দেয় এবং তাদের ভ্রাতৃ-
বর্গকে বলে “আমাদের সাথে আস” ওরা অল্পই যুদ্ধে অংশ নেয় ৷ তোমাদের ব্যাপারে কৃপণতা
বশত ৷ যখন বিপদ আসে তখন আপনি দেখবেন মৃত্যুভয়ে মুচছাতুর ব্যক্তির মত চক্ষু উল্টিয়ে ওরা
আপনার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ কিন্তু যখন বিপদ চলে যায় তখন ওরা বনের লালসায় তোমাদের
-কে তীক্ষ্ণ ভাষায় বিদ্ধ করে ৷ ওরা ঈমান আনেনি ৷ এজন্যে আল্লাহ্ ওদের কার্যাবলী নিম্ফল করেছেন
এবং আল্লাহর পক্ষে তা সহজ ৷ ওরা মনে করে সম্মিলিত বাহিনী চলে যায়নি ৷ যদি সম্মিলিত বাহিনী
আবার এসে পড়ে তখন ওরা কামনা করবে যে, ভাল হত যদি ওরা যাযাবর মরুবাসীদের সাথে
থেকে তোমাদের সংবাদ নিত ৷ ওরা তোমাদের সংগে অবস্থান করলেও ওরা যুদ্ধ অল্পই করত ৷
তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতাক ভয় করে এবং আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ করে তাদের
জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ ৷ ঘুমিনগণ যখন সম্মিলিত বাহিনীকে দেখল
ওরা বলে উঠল , এতো আল্লাহ ও তার রাসুল যার প্রতিশ্রুতি আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ্
ও তার রাসুল আমাদেরকে সত্যই বলেছিলেন, আর তাতে তাদের ঈমান ও আনুগত্যই বৃদ্ধি
পেল ৷ মু’মিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে তাদের কৃত অংগীকার পুর্ণ করেছে, ওদের কেউ
কেউ শাহাদাত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্ৰতীক্ষায় রয়েছে ৷ ওরা তাদের অংগীকারে কোন
পরিবর্তন করেনি ৷ কারণ, আল্লাহ সতাবাদীদেরকে পুরস্কৃত করেন সতাবাদিতার জন্যে এবং তার
ইচ্ছা হলে মুনাফিকদেরকে শাস্তি দেন অথবা ওদেরকে ক্ষমা করেন ৷ আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম
দয়ালু ৷ আল্লাহ্ কাফিরদেরকে ক্রুদ্ধাবস্থায় বিফল মনােরথ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য করলেন ৷ যুদ্ধে
মু’মিনদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান, পরাক্রমশালী ৷ কিতাবীদের মধ্যে যারা
ওদেরকে সাহায্য করেছিল তাদেরকে তিনি তাদের দুর্গ হতে অবতরণে বাধ্য করলেন এবং তাদের
অম্ভরে ভীতি সঞ্চার করলেন ৷ এখন তোমরা ওদের কতককে হত্যা করছ এবং কতককে করছ
বন্দী ৷ এবং তোমাদেরকে অধিকারী করলেন ওদের ভুমি, ঘর-ব সম্পদের এবং এমন
ভুমির যা তোমরা এখনও পদানত করনি ৷ আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷ (৩৩ , আহযাব :
৯-২৭) ৷ “কাফিরদেরকে ক্রুদ্ধ ও ব্যর্থ মনোরথ অবস্থায় আল্লাহ্ তাআলা ফিরিয়ে দিয়েছেন”
অর্থাৎ প্রচন্ড ঝঞা বায়ু, ফিরিশতা এবং অন্যান্য উপায়ে আল্লাহ্ তাআলা কাফিরদেরকে ফিরে
যেতে বাধ্য করেছেন ৷ “ঘু’মিনদের জন্যে যুদ্ধে আল্লাহ্ই যথেষ্ট” অখাৎ মু’মিনদের যুদ্ধ করতে
হয়নি, শত্রুর মুখোমুখি হতে হয়নি; বরং সর্বশক্তিমড়ান আল্লাহ্ তাআলা নিজ কুদরত ও শক্তিতে
শত্রুপক্ষকে পরাজিত করে ব্যর্থ মনােরথ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য করেছেন ৷

সহীহ্ ৰুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে এ বিষয়ে বর্ণিত আছে যে, আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণিত ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ বাক্য পাঠ করতেন :

হু১;, ;া;,;ৰুা৷ হুদ্ভু;ষ্, হু১চুড্ৰু হ্রহ্রা, ১পু হু );ব্ল;, হু;;, ;,১;ং হু১;, হ্রা৷ ৷ ৰু৷ ৷ ; ৷ ৰুা

১াট্রু

আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই ৷ তিনি একক, তিনি তার প্রতিশ্রুতি পুর্ণ করেছেন, তার

বান্দাকে সাহায্য করেছেন, তার সৈন্যবাহিনীকে বিজয় দান করেছেন ৷ তিনি একাই সম্মিলিত
শত্রুবাহিনীকে পরাজিত করেছেন ৷ তিনি ব্যতীত কিছুই চিরস্থায়ী নয় ৷ আল্লাহ্ তাআলার বাণী :


وَيَقُولُ: الرَّحِيلَ الرَّحِيلَ. وَلَمْ أَكُنْ أَعْرِفُ أَبَا سُفْيَانَ قَبْلَ ذَلِكَ، فَانْتَزَعْتُ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِي أَبْيَضَ الرِّيشِ، فَأَضَعُهُ عَلَى كَبِدِ قَوْسِي لِأَرْمِيَهُ بِهِ فِي ضَوْءِ النَّارِ، فَذَكَرْتُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تُحْدِثَنَّ فِيهِمْ شَيْئًا حَتَّى تَأْتِيَنِي " فَأَمْسَكْتُ وَرَدَدْتُ سَهْمِي إِلَى كِنَانَتِي، ثُمَّ إِنِّي شَجَّعْتُ نَفْسِي حَتَّى دَخَلْتُ الْعَسْكَرَ فَإِذَا أَدْنَى النَّاسِ مِنِّي بَنُو عَامِرٍ، يَقُولُونَ: يَا آلَ عَامِرٍ، الرَّحِيلَ الرَّحِيلَ، لَا مُقَامَ لَكُمْ. وَإِذَا الرِّيحُ فِي عَسْكَرِهِمْ مَا تُجَاوِزَ عَسْكَرُهُمْ شِبْرًا، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَسْمَعُ صَوْتَ الْحِجَارَةِ فِي رِحَالِهِمْ وَفُرُشِهِمْ، الرِّيحُ تَضْرِبُهُمْ بِهَا، ثُمَّ خَرَجْتُ نَحْوَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا انْتَصَفَتْ بِيَ الطَّرِيقُ أَوْ نَحْوٌ مِنْ ذَلِكَ، إِذَا أَنَا بِنَحْوٍ مِنْ عِشْرِينَ فَارِسًا أَوْ نَحْوِ ذَلِكَ مُعْتَمِّينَ، فَقَالُوا: أَخْبِرْ صَاحِبَكَ أَنَّ اللَّهَ قَدْ كَفَاهُ قَالَ: فَرَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُشْتَمِلٌ فِي شَمْلَةٍ يُصَلِّي، فَوَاللَّهِ مَا عَدَا أَنْ رَجَعْتُ؛ رَاجَعَنِي الْقُرُّ وَجَعَلْتُ أُقَرْقِفُ، فَأَوْمَأَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ، وَهُوَ يُصَلِّي، فَدَنَوْتُ مِنْهُ فَأَسْبَلَ عَلَيَّ شَمْلَتَهُ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ صَلَّى، فَأَخْبَرْتُهُ خَبَرَ الْقَوْمِ؛ أَخْبَرْتُهُ أَنِّي تَرَكْتُهُمْ يَرْحَلُونَ. قَالَ: وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ جَاءَتْكُمْ جُنُودٌ فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا وَجُنُودًا لَمْ تَرَوْهَا وَكَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا} [الأحزاب: 9] يَعْنِي الْآيَاتِ كُلَّهَا إِلَى قَوْلِهِ: {وَرَدَّ اللَّهُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِغَيْظِهِمْ لَمْ يَنَالُوا خَيْرًا وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ وَكَانَ اللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزًا} [الأحزاب: 25] (الْأَحْزَابِ: 9 - 25) . أَيْ صَرَفَ اللَّهُ عَنْهُمْ عَدُوَّهُمْ بِالرِّيحِ الَّتِي أَرْسَلَهَا عَلَيْهِمْ وَالْجُنُودِ مِنَ الْمَلَائِكَةِ وَغَيْرِهِمُ الَّتِي بَعَثَهَا اللَّهُ إِلَيْهِمْ {وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ} [الأحزاب: 25] أَيْ؛ لَمْ
পৃষ্ঠা - ২৯২৯

( ধ্এো৷ ৷ ,গ্রাৰুপু ৷ ণ্া৷ ৷ প্রু;ষু, মু’মিনদের জন্যে যুদ্ধে আল্লাহ্ই যথেষ্ট) আয়াতে এই
ইঙ্গিত রয়েছে যে, মুসলমানদের মাঝে ও মক্কা র মুশবিকদের মাঝে যুদ্ধাবস্থ৷ শেষ হয়ে গিয়েছে ৷
মুশরিকদের পক্ষ থেকে আক্রমণের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ বাস্তবে তাই ঘটেছে ৷ খন্দকের যুদ্ধ
থেকে পালানাের পর কুরায়শ সম্প্রদায় আর কোন সময় মুসলমান৷ দর উপর আক্রমণ করতে
পারেনি ৷ যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে পারেনি ৷ এ প্রসং গে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেছেন যে,

খন্দকের যুদ্ধে উপস্থিত কুরায়শ বাহিনী খন্দক যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফিরে যাওয়ার পর র ৷সুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছিলেন : এই বছরের পর
কুরায়শরা আর কখনও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসবে না যুদ্ধ আক্রমণ করবে না; বরং
তােমারই ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আক্রমণ করবে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, বস্তুতঃ এরপর কুরায়শরা আর
কােনদিন মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে আসেনি ৷ বরং রাসুলুল্লা হ্ (সা) ও তার সাহাবীগণ

কুরায়শদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন ৷ এমন হতে হতে এক পর্যায়ে আল্লাহ তা জানা মক্কা বিজয়
করিয়েছিলেন ৷ এটি ইবন ইসহাকের বর্ণনা ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, ইয়াহ্ইয়া — সুলায়মান ইবন সারদ (রা) থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : এখন আমরা ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব, ওরা আমাদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসবে না ৷ ইমাম বৃখারী (র) ইসমাঈল ও সুফিয়ান ছাওরী সুলায়মান
ইবন সারদ সুত্রে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, খন্দকের যুদ্ধে বনু আবৃদ আশহাল গোত্রের তিনজন লোক শহীদৃ ন্
হয়েছিলেন ৷ তারা হলেন সাদ ইবন মুআয (বা) তার শাহাদত বরণের বিস্তারিত আলােচন রে
আসবে ৷ আনাস ইবন আওফ ইবন আতীক ইবন আমর এবং আব্দুল্লাহ ইবন সাহল ৷ এছাড়া
আরো যারা শহীদ হয়েছিলেন তারা হলেন তৃফায়ল ইবন নুমান , ছালাব৷ ইবন পানামা তারা
দু’জন জুশৃম গোত্রের লোক এবং কাব ইবন যায়দ আল নাজ্জারী একটি অজ্ঞাতনাম৷ তীরের

াঘাতে তিনি শহীদ হন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, ওই যুদ্ধে মুশরিক পক্ষে নিহত হয় তিনজন ৷ তারা হল মুনাববিহ ইবন
উছমান ইবন উবায়দ ইবন সাববাক ইবন আবদুদ্দার ৷ সে তীরের আঘাতে আহত হয়েছিল এবং
মক্কা য় পৌছে মারা যায় ৷ নাওফল ইবন আব্দুল্লাহ ইবন মুর্গীরা ৷ সে যে ৷ড়াসহ পরিখার মধ্যে নেমে
পড়েছিল ৷৩ তারপর সেখানে ছুটোছুটি করছিল ৷ সেখানেই সে নিহত হয় ৷ তার লাশে র বিনিময়ে
মোটা অংকের অর্থ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল মুশরিক পক্ষ ৷ এ বিষয়টি ইতিপুর্বে আলোচিত
হয়েছে ৷ মুশ ৷রিকদের ততীয় নিহত ব্যক্তি হল আমর ইবন আবৃদ উদ্দ আমিরী ৷ হযরত আলী ইবন
আবু ত ৷লিব (রা) তাকে হত্যা করেন ৷

ইবন হিশাম বলেন, বিশ্বস্ত সুত্রে আমি জেনেছি যে, যুহরী বলেছেন, ওই দিন হযরত
আলী (রা) আমর ইবন আবৃদ উদ্দ এবং তারপুত্র হাস্ল ইবন আমর দু’জনকেই হত্যা
করেছিলেন ৷ ইবন হিশাম বলেন, কেউ বলেছেন, ওর নাম আমর ইবন আবৃদ উদ্দ আর কেউ
বলেছেন আমর ইবন আবৃদ ৷


يَحْتَاجُوا إِلَى مُنَازَلَتِهِمْ وَمُبَارَزَتِهِمْ، بَلْ صَرَفَ الْقَوِيُّ الْعَزِيزُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ» . لِهَذَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ، صَدَقَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَأَعَزَّ جُنْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ، فَلَا شَيْءَ بَعْدَهُ ".» وَفِي قَوْلِهِ {وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ} [الأحزاب: 25] إِشَارَةٌ إِلَى وَضْعِ الْحَرْبِ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُمْ. وَهَكَذَا وَقَعَ، وَلَمْ تَرْجِعْ قُرَيْشٌ بَعْدَهَا إِلَى حَرْبِ الْمُسْلِمِينَ كَمَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، رَحِمَهُ اللَّهُ: فَلَمَّا انْصَرَفَ أَهْلُ الْخَنْدَقِ عَنِ الْخَنْدَقِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا بَلَغَنَا: " «لَنْ تَغْزُوَكُمْ قُرَيْشٌ بَعْدَ عَامِكُمْ هَذَا، وَلَكِنَّكُمْ تَغْزُونَهُمْ» " قَالَ: فَلَمْ تَغْزُهُمْ قُرَيْشٌ بَعْدَ ذَلِكَ وَكَانَ يَغْزُوهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ مَكَّةَ. وَهَذَا بَلَاغٌ مِنِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْآنَ نَغْزُوهُمْ وَلَا يَغْزُونَا» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ وَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، بِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৯৩০
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَاسْتُشْهِدَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ سِتَّةٌ؛ ثَلَاثَةٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، وَهُمْ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ - وَسَتَأْتِي وَفَاتُهُ مَبْسُوطَةً - وَأَنَسُ بْنُ أَوْسِ بْنِ عَتِيكِ بْنِ عَمْرٍو، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ، وَالطُّفَيْلُ بْنُ النُّعْمَانِ، وَثَعْلَبَةُ بْنُ غَنَمَةَ الْجُشَمِيَّانِ السَّلَمِيَّانِ، وَكَعْبُ بْنُ زَيْدٍ النَّجَّارِيُّ، أَصَابَهُ سَهْمٌ غَرْبٌ فَقَتَلَهُ. قَالَ: وَقُتِلَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ ثَلَاثَةٌ، وَهُمْ: مُنَبِّهُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ بْنِ عَبْدِ الدَّارِ، أَصَابَهُ سَهْمٌ فَمَاتَ مِنْهُ بِمَكَّةَ، وَنَوْفَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ؛ اقْتَحَمَ الْخَنْدَقَ بِفَرَسِهِ فَتَوَرَّطَ فِيهِ فَقُتِلَ هُنَاكَ، وَطَلَبُوا جَسَدَهُ بِثَمَنٍ كَبِيرٍ كَمَا تَقَدَّمَ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ وُدٍّ الْعَامِرِيُّ، قَتَلَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَحَدَّثَنِي الثِّقَةُ أَنَّهُ حَدَّثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: قَتَلَ عَلِيٌّ يَوْمَئِذٍ عَمْرَو بْنَ عَبْدِ وُدٍّ وَابْنَهُ حِسْلَ بْنَ عَمْرٍو. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: يُقَالُ: عَمْرُو بْنُ عَبْدِ وُدٍّ. وَيُقَالُ: عَمْرُو بْنُ عَبْدٍ.
পৃষ্ঠা - ২৯৩১
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২২৩

গায্ওয়া বনু কুরায়যা

ইসলামের দুশমনদের কুফরী রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করা এবং
খন্দকের যুদ্ধে কাফির দলের সঙ্গে সহযােগি৩া সহমর্মিতার শাস্তিারুপ আল্লাহ তা আলা
তাদেরকে পরকালের কঠোর শ্াান্তি ছা ড়াও দুনিয়ার জীবনেই মর্মভুদা শ্াণ্ডেস্তি নিপতিত করেছেন ৷
কাফির দলের সঙ্গে৩ তাদের সহযোগিতা কোন কাজেই আসেনি ৷ বরং তারা আল্লাহ্ ও রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর রোষানলে পতিত হয় এবং দুনিয়া ও আখিরাতের ক্ষয়-ক্ষতি ও লাঞ্চুনার সম্মুখীন হয় ৷ এ
প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ বলেন :

ৰুগ্লু
;এে ৷ এেড়ু

ণ্দ্বুএপু)এএ


আল্লাহ কাফিরদেরকে ক্রুদ্ধাবন্থায় ফিরিয়ে দিলেন, পারা কোন কল্যাণ লাভ করেনি ৷ যুদ্ধে
মু’মিনদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ অাল্লাহ্ সর্ব শক্তিমান ৷ পবা ক্রমশালী ৷ কিতাবীদের মধ্যে যারা
ওদেরকে সাহায্য করছিল তাদেরকে তিনি তাদের দুর্গ ৫ধ্গ্লুক অবতরণ করালেন এবং তাদের
অম্ভরে ভীতি সঞ্চার করলেন, এখন তোমরা তাদের কতককে হত্যা করছ আর কতককে করছ
বন্দী ৷ আর তিনি (আল্লাহ্) ণ্তামাদেরকে অধিকারী করেছেন৩ তাদের ভুমি ঘর-বাড়ী, ধন-সম্পদ
এবং এমন ভুমির, যাতে তোমরা এখনও পদার্পন করনি ৷ অাল্লাহ্ সব বিষয়ে সর্বশ্াক্তিমান ৷ (৩৩-
আহযাব : ২৫-২৭) ৷

বুখারী (র) মুহাম্মাদ ইবন মুকা৩াতিল আবদুল্লাহ (ইবন উমর) সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুদ্ধ-জিহাদ এবং হজ্জ ও উমরা থেকে প্রত্যাবর্তন করে এ দু আ পাঠ করতেন০ ং

খু

র্ট fl fl
¢


আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই ৷ তিনি একক ৷ তার কো ন শরীক নেই ৷ রাজত্ব তারই তিনিই
ৎসার মালিক ৷ তিনি সমস্ত কিছুর উপর সব শক্তিমান ৷ আমরা প্র৩াবর্জাকারী তাওবাকারী,
বরের ইবাদতকারী ও সিজদাকারী এবং তারই প্ৰশ ৎসাকারী ৷ আল্লাহ্ তার ওয়াদা সত্য করে

দেখিয়েছেন তার বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং তিনি একাই সম্মিলিত বাহিনীকে পর্বুদস্ত
করেছেন ৷

ঘুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রত্যুষে খন্দক যুদ্ধ থেকে


[غَزْوَةُ بَنِي قُرَيْظَةَ] فَصْلٌ (فِي غَزْوَةِ بَنِي قُرَيْظَةَ) وَمَا أَحَلَّ اللَّهُ تَعَالَى بِهِمْ مِنَ الْبَأْسِ الشَّدِيدِ، مَعَ مَا أَعَدَّ اللَّهُ لَهُمْ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْعَذَابِ الْأَلِيمِ، وَذَلِكَ لِكُفْرِهِمْ وَنَقْضِهِمُ الْعُهُودَ الَّتِي كَانَتْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمُمَالَأَتِهِمُ الْأَحْزَابَ عَلَيْهِ، فَمَا أَجْدَى ذَلِكَ عَنْهُمْ شَيْئًا، وَبَاءُوا بِغَضَبٍ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَالصَّفْقَةِ الْخَاسِرَةِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَرَدَّ اللَّهُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِغَيْظِهِمْ لَمْ يَنَالُوا خَيْرًا وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ وَكَانَ اللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزًا - وَأَنْزَلَ الَّذِينَ ظَاهَرُوهُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ صَيَاصِيهِمْ وَقَذَفَ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ فَرِيقًا تَقْتُلُونَ وَتَأْسِرُونَ فَرِيقًا - وَأَوْرَثَكُمْ أَرْضَهُمْ وَدِيَارَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ وَأَرْضًا لَمْ تَطَئُوهَا وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرًا} [الأحزاب: 25 - 27] (الْأَحْزَابِ: 25 27) قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ وَنَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا قَفَلَ مِنَ الْغَزْوِ وَالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، يَبْدَأُ فَيُكَبِّرُ ثُمَّ يَقُولُ: " لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ سَاجِدُونَ، لِرَبِّنَا حَامِدُونَ، صَدَقَ اللَّهُ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ
পৃষ্ঠা - ২৯৩২

মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন ৷ আর মুসলমানরা অস্ত্রশস্ত্র খুলে ফেলেন ৷ ইমাম যুহুরী (রা-এর
বর্ণনামতে যুহরের সময় হযরত জিবরাঈল (আ) রেশমী বত্রের পাগড়ি পড়ে খচ্চরের পিঠে সওয়ার
হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এলেন ৷ খচ্চরটির পিঠে একটি মোটা রেশমী চাদর বিছানাে ছিল ৷
তিনি বললেন : ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ আপনি কি হাতিয়ার খুলে ফেলেছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ইতিবাচক জবাব দিলে জিবৃরাঈল (আ) বললেন, ফেরেশতারাতাে এখনো অস্ত্র খুলেননি ৷ আর
আমি ফিরে এসেছি কাফির সম্প্রদায়ের পশ্চাদ্ধাবনের জন্য ৷ হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ তাআলা তো
আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন বনু কুরায়যার উদ্দেশ্যে অভিযানে বের হতে ৷ আর আমিও তাদের
দিকে ধাবিত হওয়ার মনস্থ করেছি ৷ আমি তাদের অভ্যন্তরে ফটিল ধরাবাে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (মা)
একজন ঘোষককে লোকজনের মধ্যে ঘোষণা প্রচার করার নির্দেশ দান করেন : যে এ ঘোষণা
শুনছে এবং অনুগত রয়েছে এমন ব্যক্তিরা যেন বনুকুরায়যার জনপদে না পৌছে আসরের সালাত
আদায় না করে ৷ ইবন হিশামের বর্ণনা মতে (এ সময়) রাসুলুল্লাহ (সা) আব্দুল্লাহ ইবন উম্মে
মাকতুমকে মদীনার প্রশাসক নিযুক্ত করেন ৷ আর ইমাম বুখারী (র) আব্দুল্লাহ ইবন আবু শায়রা
সুত্রে হযরত আইশা (রা) এর বরাতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলছেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) খন্দক যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করে অস্ত্র খুলে গোসল করার সাথে সাথে
জিবৃরাঈল (আ) তার নিকট আগমন করে বললেন আপনি অস্ত্র খুশুৰ্৷ ফেলেছেন ? আল্লাহ্র
কসম! আমরা এখনো অস্ত্র খুলিনি ৷ আপনি ওদের উদ্দেশে বের হরুয়×পভুন৷ তিনি জানতে
চাইলেন, কােনৃ দিকে ? জিবৃরাইল (আ) বললেন, এদিকে ৷ একথা বলে তিনি কুরায়যার প্ৰতি
ইঙ্গিত করলেন ৷ তখন নবী করীম (সা) বের হয়ে পড়লেন ৷ ইমাম আহমদ (র) হাসান ও আইশা
(রা) সুত্রে বণ্নাি করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আহযাব যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবতনিঃ করে গোসল করার জন্য
গোসল থানায় প্রবেশ করলে তার নিকট হযরত জিবৃরাঈল (আ) আগমন করলেন ৷ দরজার ফাক
দিয়ে আমি জিবৃরাঈল (আ) কে দেখতে পইি যে, তার মাথায় ধুলাবালি লেগে আছে ৷ তখন তিনি ষ্
বললেন, হে মুহাম্মাদ ! আপনারা কি অস্ত্র খুলে রেখেছেন ? আমরাতো এখনো অস্ত্র খুলিনি ৷ আপনি
দ্রুত বনু কুম্মায়যা অভিমুখে রওয়ানা করুন ৷

ইমাম বুখারী (র) মুসা , জারীর আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন বনু কুরড়ায়যা অভিমুখে রওয়ানা করেন তখন বনু গনম এর গলিতে জিবৃরাঈল
(আ) এর সওয়ারীর (চলাচলের ফলে উখিত) ধুলাবালি যেন আমি নিজ চক্ষে অবলোকন করছি ৷
অতঃপর ইমাম বুখারী (র) আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ — — ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, আহযাব যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : বনু কুরায়যার এলাকায় না পৌছে কেউ যেন
আসরের সালাত আদায় না করে ৷ পথে কারো কারো আসরের সালাতের সময় হয়ে যায় ৷ তখন
কেউ কেউ বললেন, আমরা বনুকুরড়ায়যায় জনপদে না পৌছে আসরের সালাত আদায় করবো না ৷
আবার কেউ কেউ বললো, বরং আমরা সালাত আদায় করে নেবাে ৷ আমরা সালাত আদায় না করি
এটা রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর উদ্দেশ্য ছিল না, এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে আলোচনা করা
হলে তিনি কারো ক্ষেত্রেই অসন্তুষ্টি ব্যক্ত করলেন না ৷ মুসলিম (র) ও আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ
ইবন আসমা সুত্রে অনুরুপ বনাি করেছেন ৷ ইমাম বায়হড়াকী হাফিয আবু আবদুল্লাহ কাযী আবু
বকর আহমদ ইবন হাসান এর সুত্র উল্লেখ করেন : আবুল আব্বাস মুহাম্মাদ ইবন কাব ইবন


وَحْدَهُ» . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: «وَلَمَّا أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ عَنِ الْخَنْدَقِ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ وَالْمُسْلِمُونَ، وَوَضَعُوا السِّلَاحَ، فَلَمَّا كَانَتِ الظُّهْرُ أَتَى جِبْرِيلُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَمَا حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ - مُعْتَجِرًا بِعِمَامَةٍ مِنْ إِسْتَبْرَقٍ، عَلَى بَغْلَةٍ عَلَيْهَا رِحَالَةٌ، عَلَيْهَا قَطِيفَةٌ مِنْ دِيبَاجٍ فَقَالَ: أَوَقَدْ وَضَعْتَ السِّلَاحَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". فَقَالَ جِبْرِيلُ: مَا وَضَعَتِ الْمَلَائِكَةُ السِّلَاحَ بَعْدُ، وَمَا رَجَعْتُ الْآنَ إِلَّا مِنْ طَلَبِ الْقَوْمِ، إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ يَا مُحَمَّدُ بِالْمَسِيرِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ، فَإِنِّي عَامِدٌ إِلَيْهِمْ فَمُزَلْزِلٌ بِهِمْ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُؤَذِّنًا فَأَذَّنَ فِي النَّاسِ: مَنْ كَانَ سَامِعًا مُطِيعًا فَلَا يُصَلِّيَنَّ الْعَصْرَ إِلَّا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ» قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا رَجَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْخَنْدَقِ وَوَضَعَ السِّلَاحَ وَاغْتَسَلَ، أَتَاهُ جِبْرِيلُ فَقَالَ: قَدْ وَضَعْتَ السِّلَاحَ، وَاللَّهِ مَا وَضَعْنَاهُ، فَاخْرُجْ إِلَيْهِمْ. قَالَ: " فَإِلَى أَيْنَ؟ " قَالَ: هَاهُنَا وَأَشَارَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ. فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ»
পৃষ্ঠা - ২৯৩৩
وَقَالَ أَحْمَدُ: وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا فَرَغَ مِنَ الْأَحْزَابِ دَخَلَ الْمُغْتَسَلَ يَغْتَسِلُ، وَجَاءَ جِبْرِيلُ فَرَأَيْتُهُ مِنْ خَلَلِ الْبَابِ قَدْ عَصَبَ رَأْسَهُ الْغُبَارُ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَوَضَعْتُمْ أَسْلِحَتَكُمْ؟ فَقَالَ: مَا وَضَعْنَا أَسْلِحَتَنَا بَعْدُ، انْهَدْ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى الْغُبَارِ سَاطِعًا فِي زُقَاقِ بَنِي غَنْمٍ، مَوْكِبَ جِبْرِيلَ حِينَ سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءٍ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْأَحْزَابِ: " لَا يُصَلِّيَنَّ أَحَدٌ الْعَصْرَ إِلَّا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ " فَأَدْرَكَ بَعْضَهُمُ الْعَصْرُ فِي الطَّرِيقِ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا نُصَلِّي الْعَصْرَ حَتَّى نَأْتِيَهَا. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ نُصَلِّي، لَمْ يُرِدْ مِنَّا ذَلِكَ. فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُعَنِّفْ وَاحِدًا مِنْهُمْ» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৯৩৪

মালিক তার চাচা উবায়দৃল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (সা) আহযাব এর অনুসন্ধান শেষে
ফিরে এসে লৌহ বর্য খুলে ফেলে গোসল করলে হযরত জিবৃরাঈল (আ) এসে বললেন : আপনি
(তা দেখছি যুদ্ধে ক্ষাম্ভ দিয়েছেন ৷ আমি দেখতে পাচ্ছি যে, আপনি লৌহ বর্ম খুলে ফেলেছেন ৷
আমরা তো এখনো তা থুলিনি, বর্ণনাকারী বলেন যে, একথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যস্ত হয়ে উঠেন
এবং সকলকে এ মর্মে তাগিদ দেন যে, তারা যেন বনু কুরায়যার জনপদে পৌছেই আসবের
সালাত আদায় করেন ৷ রাবী বলেন যে, সকলেই অস্ত্র ধারণ করেন এবং বনু কুরায়যার জনপদে
পৌছার পুর্বেই সুর্য অস্তমিত হয় ৷ সুযস্তি কালে লোকদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয় ৷ তাদের
একদল বললেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাদেরকে তাকীদ করেছেন যে, আমরা যেন বনুকুরায়যার
জনপদে না পৌছে আসরের সালাত আদায় না করি ৷ তাই আমরা তার তাকীদ অনুযায়ী কাজ
করেছি ৷ সুতরাং নামায আদায় না করায় আমাদের কোন গুনড়াহ হবে না ৷ সাওয়াবের আশায়
একদল সালাত আদায় করেন আর অপর দল সুযস্তি পর্যন্ত নামায আদায়ে ক্ষাম্ভ থাকেন ৷ সুতরাং
তারা সাওয়াবের আশায় বনুকুরায়যার জনপদে পৌছে সালাত অর্বদায় করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ
দু’দলের কাউকেই ভর্ধসনা করেননি ৷ বায়হাকী (র) আবদুল্লাহ আল-উমরী সুত্রে আইশার
বরাতে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কাছে ছিলেন ৷ এমন সময় জনৈক ব্যক্তি আগমন
করে তাকে সালাম দিলে তিনি ঘাবড়ে গিয়ে দাড়িয়ে যান ৷ আমিও রাসুল (না)-এর সাথে সাথে
দাড়িয়ে যাই ৷ দেখতে পাই যে, তিনি (আগভুকব্যক্তি) দিহ্ইয়া আল-কালবী ৷ রাবী বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বললেন, ইনি জিবৃরাঈল (আ ৷ বনু কৃরায়যা অভিমুখে মাত্রা করার জন্যে
তিনি আমাকে বলে গেলেন ৷ জিবৃরাঈল (আ) বলক্টোন, আপনারা তো অস্ত্র খুলে ফেলেছেন ৷
কিন্তু আমরা এখনো অস্ত্র খুলিনি ৷ মুশরিকদের পচকািবন করে আমরা হাম্রাউল আসাদ পর্যন্ত
গিয়েছিলাম ৷ আর এটা সে সময়ের কথা যখন র লুল্লাহ্ (সা) খন্দক যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন
করেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যতিব্যস্ত হয়ে তার সাহাবীগণকে বলেন যে, আমি তােমাদেরকে
জোর নির্দেশ দিচ্ছি যে, তোমরা বনুকুরায়যার জনপদে না পৌছে আসরের সালাত আদায় করবে
না ৷ তারা সেখানে পৌছার পুর্বেই সুর্য অস্ত যায় ৷ তখন একদল বললো যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
এটা অভিপ্রেত ছিল না যে, তোমরা নামায ত্যাগ করবে; কাজেই তোমরা পথেই (সময়মত)
নামায আদায় করে নাও ৷ অপর দল বলে , আল্লাহর শপথ, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশের
উপর কঠােরভাবে অটল রয়েছি ৷ কাজেই আমাদের কোন গুনাহ হবে না ৷ তাই ছাওয়ড়াব লাভের
আশায় একদল সালাত আদায় করেন আর সাওয়াবের প্ৰতাশ্যেয় অপর দল সালাত আদায়ে বিরত
থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ দুদলের কোন দলের প্রতিই কঠোরতা দেখড়াননি ৷ আল্লাহর নবী বের
হয়ে বনুকুরায়যার এক দল লোকের সমাবেশের নিকট দিয়ে অতিক্রমকালে জিজ্ঞেস করলেন এর
মধ্যে তোমাদের নিকট দিয়ে কেউ কি অতিক্রম করেছে ? তারা বললো, এবল্টা খচ্চরে চড়ে
দিহ্ইয়া কালবী এ দিক দিয়ে গিয়েছেন ৷ খচ্চরটির পিঠে একটা রেশমী চাদর বিছানো ছিল ৷ তিনি
বললেন, ইনি ছিলেন জিবৃরাঈল (আ) ৷ বনু কুরায়যাকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার জন্য তিনি প্রেরিত
হয়েছেন ৷ নবী করীম (সা) তাদেরকে অবরোধ করে ফেললেন এবং সাহাবীগণকে নির্দেশ দিলেন
তারা যেন তাকে ঘিরে শত্রু থেকে আড়াল করে রাখেন ৷ যাতে তিনি নিজেই তাদের কথা শুনতে
পান ৷ নবী করীম (সা) তাদেরকে ডাক দিয়ে বললেন ; হে শুকর আর বানরের সমগােত্রীয়রা ৷

২৯ ——

وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْقَاضِي قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ خَلِّيٍّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَمَّهُ عُبَيْدَ اللَّهِ أَخْبَرَهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا رَجَعَ مِنْ طَلَبِ الْأَحْزَابِ، وَضَعَ عَنْهُ اللَّأْمَةَ وَاغْتَسَلَ وَاسْتَجْمَرَ، فَتَبَدَّى لَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَالَ: عَذِيرَكَ مِنْ مُحَارِبٍ، أَلَا أَرَاكَ قَدْ وَضَعْتَ اللَّأْمَةَ وَمَا وَضَعْنَاهَا بَعْدُ. قَالَ: فَوَثَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَزِعًا، فَعَزَمَ عَلَى النَّاسِ أَنْ لَا يُصَلُّوا صَلَاةَ الْعَصْرِ حَتَّى يَأْتُوا بَنِي قُرَيْظَةَ. قَالَ: فَلَبِسَ النَّاسُ السِّلَاحَ، فَلَمْ يَأْتُوا بَنِي قُرَيْظَةَ حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ، فَاخْتَصَمَ النَّاسُ عِنْدَ غُرُوبِ الشَّمْسِ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَزَمَ عَلَيْنَا أَنْ لَا نُصَلِّيَ حَتَّى نَأْتِيَ بَنِي قُرَيْظَةَ، فَإِنَّمَا نَحْنُ فِي عَزِيمَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَيْسَ عَلَيْنَا إِثْمٌ. وَصَلَّى طَائِفَةٌ مِنَ النَّاسِ احْتِسَابًا، وَتَرَكَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمُ الصَّلَاةَ حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ، فَصَلَّوْهَا حِينَ جَاءُوا بَنِي قُرَيْظَةَ احْتِسَابًا، فَلَمْ يُعَنِّفْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاحِدًا مِنَ الْفَرِيقَيْنِ» . ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ أَخِيهِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ২৯৩৫

তারা বললো : হে আবুল কাসিম ! তুমি তো কোন দিন অশ্লীল ভাষী ছিলে না ৷ মুসলমানরা বনু
কুরায়যাকে অবরোধ করে রাখেন ৷ অবশেষে তারা হযরত সাদ ইবন মু“আযকে সালিশ মানতে
রাযী হল ৷ তিনি ছিলেন বনুকুরায়যার মিত্র ৷ সাদ ইবন মুআঘৃ (রা) তাদের ব্যাপারে রায় দেন যে ,
তাদের যুদ্ধক্ষম পুরুষদেরকে হত্যা করা হোক আর নারী এবং শিশুদেরকে বন্দী করা হোক ৷
আইশা (রা) প্রমুখ থেকে বিভিন্ন উত্তম সনদে হড়াদীছটি বর্ণিত হয়েছে ৷

আসরের নামায আদায়ের ব্যাপারে কাদের মত সঠিক ছিল ৷ এ ব্যাপারে আলিমগণের মধ্যে
মতভেদ রয়েছে ৷ তবে সর্বসম্মত অভিমত এইঘে, উভয় পক্ষই ছাওযাব এবং মাগফিরাত পারেন ৷
তাদের মধ্যে কোন পক্ষই ভর্ভুসনীয় নন ৷

তবে একদল আলিম বলেন যে, সে দিন যারা নির্ধারিত সময়ের পর যনু কুরায়যার জনপদে
গিয়ে সালাত আদায় করেছিলেন তারাই সঠিক কাজটি করেছিলেন ৷ কারণ, সে দিন নামায
বিলম্বিত করার নির্দেশ ছিল এবল্টা বিশেষ নির্দেশ ৷ কাজেই শরীআত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে
নামায আদায় করার সাধারণ নির্দেশের উপর এ বিশেষ নির্দেশকে আঃাধিকার দিতে হবে ৷ আবু
মুহাম্মাদ ইবন হায্ম যাহিবী কিতাবুল সীরাহ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেন : মহান আল্লাহ জ্ঞাত
আছেন যে, আমরা সেখানে উপস্থিত থাকলে বনু কুরায়যার জনপদে উপস্থিত না হয়ে সালাত
আদায় করতাম না ৷ কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হছুলাংৰু আমরা তাই করতাম ৷ তার এ উক্তি
শরীঅতের বাহ্যিক নির্দেশের উপর আমল করার নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত ৷ পক্ষাস্তরে অপর একদল
আলিম বলেন : যথা সময়ে যারা সালাত আদায় করেছিলেন তারাই সঠিক কাজটি করেছিলেন ৷
কারণ, তারা বুঝেছেন যে, এ নির্দেশের তাৎপর্য হচ্ছে বনু কুরায়যার জন পদে তাড়াতাড়ি পৌছা ;
সালাত বিলন্বিত করা এ নির্দেশের উদ্দেশ্য ছিল না ৷ ওয়াক্তেয় শুরুতে সালাত আদায় করা উত্তম
বাহ্যিক এ প্রমাণের দাবী অনুযায়ী তারা আমল করেছিলেন ৷ এ ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
উদ্দেশ্য অনুধাবন করতে তারা সক্ষম হয়েছিলেন ৷ এ কারণে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের কাউকেই
ভহ্সনা করেননি এবং পুনরায় সালাত আদায়ের নির্দেশও দেননি ৷ যেন সেদিন সালাত আদায়ের
ওয়াক্তই পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল ৷ অবশ্য যারা সালাত বিলম্বিত করেছিলেন তারা যা বুঝেছিলেন
তদনুযায়ী আমল করেছেন ৷ এ কারণে তারা ক্ষমাহ বিবেচিত হয়েছেন ৷ বিলম্বিত করার জন্যে বড়
জোর তাদেরকে নামাষের কাযা আদায় করার নির্দেশ দেয়া যেতে৷ ৷ আর তারা যথারীতি তা
করেছেনও ৷ অবশ্য যুদ্ধের ওযরে যিনি সালাত বিলন্বিত করাকে জাইয বলেন, যেমনটি ইমাম
বুখারী (র) বুঝেছেন এবং ইতোপুর্বে উল্লিখিত হযরত ইবন উমরের হাদীছ দ্বারা তিনি প্রমাণ
উপস্থাপন করেছেন ৷ তার মতে, নামায বিলম্বিত করা আর তৃরাম্বিত করার ক্ষেত্রে কোন জটিলতা
দেখা দেয় না, আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন : রাসুল করীম (সা) আলী ইবন আবু তালিব (রা) কে পতাকাসহ
অগ্রে প্রেরণ করেন এবং কিছু লোক তার সাথে সাথে গমন করেন ৷ আর মুসা ইবন উক্বা তার
মাগাজী গ্রন্থে ইমাম যুহ্রীর সুত্রে উল্লেখ করেন যে, ঐতিহাসিকদের ধারণা অনুযায়ী রাসুলে করীম
(সা) গোসল থানায় সবেমাত্র মাথার একাৎণের চুল আচড়িয়েছেন ৷ এমন সময় জিবৃরাঈল (আ)
লৌহবর্ম সজ্জিত হয়ে ঘোড়ার চড়ে মসজিদের দরজার কাছে জানাযার নামায আদায়ের স্থানে


الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عِنْدَهَا، فَسَلَّمَ عَلَيْنَا رَجُلٌ وَنَحْنُ فِي الْبَيْتِ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَزِعًا، وَقُمْتُ فِي أَثَرِهِ فَإِذَا بِدِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ، فَقَالَ: " هَذَا جِبْرِيلُ أَمَرَنِي أَنْ أَذْهَبَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ، وَقَالَ: قَدْ وَضَعْتُمُ السِّلَاحَ، لَكِنَّا لَمْ نَضَعْ، طَلَبْنَا الْمُشْرِكِينَ حَتَّى بَلَغْنَا حَمْرَاءَ الْأَسَدِ " وَذَلِكَ حِينَ رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْخَنْدَقِ. فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَزِعًا وَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: " عَزَمْتُ عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تُصَلُّوا صَلَاةَ الْعَصْرِ حَتَّى تَأْتُوا بَنِي قُرَيْظَةَ ". فَغَرَبَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَأْتُوهُمْ، فَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُرِدْ أَنْ تَدَعُوا الصَّلَاةَ، فَصَلَّوْا. وَقَالَتْ طَائِفَةٌ: وَاللَّهِ إِنَّا لَفِي عَزِيمَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا عَلَيْنَا مِنْ إِثْمٍ فَصَلَّتْ طَائِفَةٌ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، وَتَرَكَتْ طَائِفَةٌ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، وَلَمْ يُعَنِّفْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاحِدًا مِنَ الْفَرِيقَيْنِ، وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَرَّ بِمَجَالِسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ بَنِي قُرَيْظَةَ، فَقَالَ: " هَلْ مَرَّ بِكُمْ أَحَدٌ؟ " فَقَالُوا: مَرَّ عَلَيْنَا دِحْيَةُ الْكَلْبِيُّ عَلَى بَغْلَةٍ شَهْبَاءَ، تَحْتَهُ قَطِيفَةُ دِيبَاجٍ. فَقَالَ: " ذَلِكَ جِبْرِيلُ أُرْسِلَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ لِيُزَلْزِلَهُمْ وَيَقْذِفَ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ " فَحَاصَرَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَسْتُرُوهُ بِالْجَحَفِ حَتَّى يُسْمِعَهُمْ كَلَامَهُ، فَنَادَاهُمْ: " يَا إِخْوَةَ الْقِرَدَةِ وَالْخَنَازِيرِ ". فَقَالُوا: يَا أَبَا الْقَاسِمِ، لَمْ تَكُنْ فَحَّاشًا. فَحَاصَرَهُمْ حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدِ
পৃষ্ঠা - ২৯৩৬
بْنِ مُعَاذٍ، وَكَانُوا حُلَفَاءَهُ، فَحَكَمَ فِيهِمْ أَنْ تُقْتَلَ مُقَاتِلَتُهُمْ، وَتُسْبَى ذَرَارِيُّهُمْ وَنِسَاؤُهُمْ» وَلِهَذَا الْحَدِيثِ طُرُقٌ جَيِّدَةٌ، عَنْ عَائِشَةَ وَغَيْرِهَا. وَقَدِ اخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ فِي الْمُصِيبِ مِنَ الصَّحَابَةِ يَوْمَئِذٍ، مَنْ هُوَ؟ بَلِ الْإِجْمَاعُ عَلَى أَنَّ كُلًّا مِنَ الْفَرِيقَيْنِ مَأْجُورٌ وَمَعْذُورٌ، غَيْرُ مُعَنَّفٍ؛ فَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ: الَّذِينَ أَخَّرُوا الصَّلَاةَ يَوْمَئِذٍ عَنْ وَقْتِهَا الْمُقَدَّرِ لَهَا، حَتَّى صَلَّوْهَا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ هُمُ الْمُصِيبُونَ؛ لِأَنَّ أَمْرَهُمْ يَوْمَئِذٍ بِتَأْخِيرِ الصَّلَاةِ خَاصٌّ، فَيُقَدَّمُ عَلَى عُمُومِ الْأَمْرِ بِهَا فِي وَقْتِهَا الْمُقَدَّرِ لَهَا شَرْعًا. قَالَ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَزْمٍ الظَّاهِرِيُّ فِي كِتَابِهِ " السِّيرَةِ ": وَعَلِمَ اللَّهُ أَنَّا لَوْ كُنَّا هُنَاكَ، لَمْ نُصَلِّ الْعَصْرَ إِلَّا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ، وَلَوْ بَعْدَ أَيَّامٍ. وَهَذَا الْقَوْلُ مِنْهُ مَاشٍ عَلَى قَاعِدَتِهِ الْأَصْلِيَّةِ فِي الْأَخْذِ بِالظَّاهِرِ. وَقَالَتْ طَائِفَةٌ أُخْرَى مِنَ الْعُلَمَاءِ: بَلِ الَّذِينَ صَلَّوُا الصَّلَاةَ فِي وَقْتِهَا لَمَّا أَدْرَكَتْهُمْ وَهُمْ فِي مَسِيرِهِمْ، هُمُ الْمُصِيبُونَ؛ لِأَنَّهُمْ فَهِمُوا أَنَّ الْمُرَادَ إِنَّمَا هُوَ تَعْجِيلُ السَّيْرِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ، لَا تَأْخِيرُ الصَّلَاةِ، فَعَمِلُوا بِمُقْتَضَى الْأَدِلَّةِ الدَّالَّةِ عَلَى أَفْضَلِيَّةِ الصَّلَاةِ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا، مَعَ فَهْمِهِمْ عَنِ الشَّارِعِ مَا أَرَادَ، وَلِهَذَا لَمْ يُعَنِّفْهُمْ، وَلَمْ يَأْمُرْهُمْ بِإِعَادَةِ الصَّلَاةِ فِي وَقْتِهَا الَّتِي حُوِّلَتْ إِلَيْهِ يَوْمَئِذٍ، كَمَا يَدَّعِيهِ أُولَئِكَ، وَأَمَّا أُولَئِكَ الَّذِينَ أَخَّرُوا، فَعُذِرُوا بِحَسَبِ مَا فَهِمُوا وَأَكْثَرُ مَا كَانُوا يُؤْمَرُونَ بِالْقَضَاءِ، وَقَدْ فَعَلُوهُ. وَأَمَّا عَلَى قَوْلِ مَنْ يُجَوِّزُ تَأْخِيرَ الصَّلَاةِ لِعُذْرِ الْقِتَالِ كَمَا فَهِمَهُ الْبُخَارِيُّ، حَيْثُ احْتَجَّ عَلَى ذَلِكَ بِحَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ
পৃষ্ঠা - ২৯৩৭

হাযির হলে রাসুল কবীম (সা) তার দিকে এগিয়ে যান ৷ এ সময় জিবৃরাঈল (আ) তাকে বললেন,
আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন, আপনি কি অস্ত্র খুলে ফেলেছেন ? রাসুলে কবীম (সা) বললেন,
হা ৷ জিবৃরাঈল (আ) বললেন, তবে আমরাতাে আপনার নিকট শত্রু আগমন করার পর এখনও
অস্ত্র খুলিনি ৷ আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পরাজিত করা পর্যন্ত আমি তো শত্রুর সন্ধানে রত
ছিলাম ৷ ঐতিহাসিকরা বলেন যে, হযরত জিবৃরাঈল (আ)-এর ঢেহারায় ধুলাবালির চিহ্ন পরিলক্ষিত
হয় ৷ এ সময় জিবৃরাঈল (আ) নবী কবীম (না)-কে বলেন, আল্লাহ্তে৷ আপনাকে বনু কুরায়যার
সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ আমার সঙ্গী ফেরেশতাদেরৰ্ক নিয়ে আমি তাদের দিকে
অগ্রসর হচ্ছি ৷ আমরা তাদের দৃর্গে কম্পন সৃষ্টি করবো ৷ আপনি লোকজন নিয়ে রওয়ান৷ হয়ে
পড়ুন ৷ জিবৃরাঈল (আ) এর পিছু পিছু রাসুলে কবীম (সা) বের হয়ে পড়লেন ৷ তিনি বনু গনমের
একটা সমাবেশের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন ৷ সেখানে তারা রাসুল কবীম (না)-এর অপেক্ষায়
ছিলেন ৷ রাসুল কবীম (সা) তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, ণ্ন্ধ্রাই মাত্র কোন অশ্বারোহী এদিক দিয়ে
অতিক্রম করেছে কি ? তারা বলে, সাদা ঘোড়ার চড়ে দিহ্ইয়া কালবী আমাদের নিকট দিয়ে
অতিক্রম করেছেন ৷ তার নীচে ছিল নকশী করা রেশমী চাদর ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন : রাসুল
কবীম (না) এ সময় বলেছেন যে, ইনি ছিলেন জিবৃরাঈল (আ) ৷ রাসুল কবীম (সা) জিবৃরাইল
(আ)-কে দিহ্ইয়া কালবীর সঙ্গে সাদৃশ্যপুর্ণ বলে অভিহিত করতেন ৷ রাসুল কবীম (সা) বললেন,
তোমরা বনু কুরায়যার জনপদে গিয়ে আমার সঙ্গে মিলিত হবে এবং সেখানে আসরের সালড়াত
আদায় করবে ৷ আল্লাহ্র ইচ্ছার মুসলমানরা উঠে দাড়ালেন এবং বনু কুরায়যা অভিমুখে রওয়ানা
হয়ে পড়লেন ৷ তখন তারা একে অপরকে বলেন, তোমরা কি জাননা যে, রাসুল কবীম (সা)
তােমাদেরকে বনু কুরায়যার জনপদে পৌছে সালাত আদায় করতে বলেছেন ? অন্যরা বললেন,
সালাততে৷ যথা সময় আদায় করতে হয় ৷ একদল সালাত আদায় করলেন, অপর দল সালড়াত
বিলম্বিত করলেন ৷ এমন কি বনুকুরায়যার জনপদে পৌছে সুযাঃস্তর পর তারা আসরের সালাত
আদায় করলেন ৷ একদল তাড়াতাড়ি আর অপর দল বিলম্বিত করে সালাত আদায়ের কথা রাসুল
কবীম (না)-কে জানালে তিনি এদের কোন দলকেই নিন্দা করেননি ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, হযরত আলী ইবন আবুতালিব রাসুল কবীম (না)-কে
এগিয়ে আসতে দেখে তার দিকে অগ্রসর হয়ে বললেন, ইয়া রাসুলড়াল্লাহ্ ! আপনি ফিরে যান,
ইয়ড়াহুদীদের জন্য আপনার পক্ষে আল্লাহ্ যথেষ্ট ৷ আলী (বা) রাসুল কবীম (সা) এবং তার
সহধর্মিনিপণের সম্পর্কে তাদের মুখে কটুক্তি শুনেন ৷ কিন্তু তা রাসুল কবীম (সা) শুনুন এটা তিনি
পসন্দ করলেন না ৷ রাসুল কবীম (সা) বললেন, তুমি আমাকে ফিরে যেতে বলছ কেন ? ইয়াহ্রদী
বনুকুরায়যার মুখ থেকে তিনি যা শুনেছিলেন তা তিনি তার কাছ থেকে গোপন রাখলেন ৷ তখন
রাসুল কবীম (সা ) বললেন, আমার মনে হয়, তুমি আমার সম্পর্কে তাদের মুখে কষ্টদায়ক কোন
কথা শুনেছ ৷ তা যেতে দাও ৷ কারণ, আল্লাহ্র দৃশমনরা আমাকে দেখলে তুমি যা শুনেছ, তার
কিছুই বলবেনা ৷

রাসুল কবীম (সা) ইয়াহুদীদের দৃর্গে পৌছে তাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদেরকে উচ্চস্বরে ডাক দিয়ে
তাদেরকে শুনিয়ে বললেন, আর এরা ছিল দুর্গের চুড়ায় হে ইয়াহ্রদী সমাজ ! হে বানরের


الْمُتَقَدِّمِ فِي هَذَا، فَلَا إِشْكَالَ عَلَى مَنْ أَخَّرَ، وَلَا عَلَى مَنْ قَدَّمَ أَيْضًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَمَعَهُ رَايَتُهُ، وَابْتَدَرَهَا النَّاسُ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ " عَنِ الزُّهْرِيِّ: «فَبَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مُغْتَسَلِهِ، كَمَا يَزْعُمُونَ قَدْ رَجَّلَ أَحَدَ شِقَّيْهِ، أَتَاهُ جِبْرِيلُ عَلَى فَرَسٍ عَلَيْهِ لَأْمَتُهُ، حَتَّى وَقَفَ بِبَابِ الْمَسْجِدِ عِنْدَ مَوْضِعِ الْجَنَائِزِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ: غَفَرَ اللَّهُ لَكَ، أَوَقَدْ وَضَعْتَ السِّلَاحَ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". فَقَالَ جِبْرِيلُ: لَكِنَّا لَمْ نَضَعْهُ مُنْذُ نَزَلَ بِكَ الْعَدُوُّ، وَمَا زِلْتُ فِي طَلَبِهِمْ حَتَّى هَزَمَهُمُ اللَّهُ. وَيَقُولُونَ: إِنَّ عَلَى وَجْهِ جِبْرِيلَ لَأَثَرَ الْغُبَارِ. فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَمَرَكَ بِقِتَالِ بَنِي قُرَيْظَةَ فَأَنَا عَامِدٌ إِلَيْهِمْ بِمَنْ مَعِي مِنَ الْمَلَائِكَةِ؛ لِأُزَلْزِلَ بِهِمُ الْحُصُونَ، فَاخْرُجْ بِالنَّاسِ. فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَثَرِ جِبْرِيلَ، فَمَرَّ عَلَى مَجْلِسِ بَنِي غَنْمٍ، وَهُمْ يَنْتَظِرُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُمْ فَقَالَ: " مَرَّ عَلَيْكُمْ فَارِسٌ آنِفًا؟ " قَالُوا: مَرَّ عَلَيْنَا دِحْيَةُ الْكَلْبِيُّ عَلَى فَرَسٍ أَبْيَضَ، تَحْتَهُ نَمَطٌ أَوْ قَطِيفَةُ دِيبَاجٍ، عَلَيْهِ اللَّأْمَةُ. فَذَكَرُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " ذَاكَ جِبْرِيلُ ". وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشَبِّهُ دِحْيَةَ الْكَلْبِيَّ بِجِبْرِيلَ. فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ২৯৩৮
" الْحَقُونِي بِبَنِي قُرَيْظَةَ، فَصَلُّوا فِيهِمُ الْعَصْرَ ". فَقَامُوا وَمَا شَاءَ اللَّهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَانْطَلَقُوا إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ فَحَانَتْ صَلَاةُ الْعَصْرِ وَهُمْ بِالطَّرِيقِ، فَذَكَرُوا الصَّلَاةَ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَكُمْ أَنْ تُصَلُّوا الْعَصْرَ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ؟ ! وَقَالَ آخَرُونَ: هِيَ الصَّلَاةُ. فَصَلَّى مِنْهُمْ قَوْمٌ، وَأَخَّرَتْ طَائِفَةٌ الصَّلَاةَ حَتَّى صَلَّوْهَا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ بَعْدَ أَنْ غَابَتِ الشَّمْسُ، فَذَكَرُوا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ عَجَّلَ مِنْهُمُ الصَّلَاةَ وَمَنْ أَخَّرَهَا، فَذَكَرُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُعَنِّفْ وَاحِدًا مِنَ الْفَرِيقَيْنِ. قَالَ: فَلَمَّا رَأَى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقْبِلًا تَلَقَّاهُ وَقَالَ: ارْجِعْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنَّ اللَّهَ كَافِيكَ الْيَهُودَ. وَكَانَ عَلِيٌّ قَدْ سَمِعَ مِنْهُمْ قَوْلًا سَيِّئًا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَزْوَاجِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُنَّ، فَكَرِهَ عَلِيٌّ أَنْ يَسْمَعَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لِمَ تَأْمُرُنِي بِالرُّجُوعِ؟ " فَكَتَمَهُ مَا سَمِعَ مِنْهُمْ فَقَالَ: " أَظُنُّكَ سَمِعْتَ لِي مِنْهُمْ أَذًى، فَامْضِ فَإِنَّ أَعْدَاءَ اللَّهِ لَوْ قَدْ رَأَوْنِي، لَمْ يَقُولُوا شَيْئًا مِمَّا سَمِعْتَ " فَلَمَّا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحِصْنِهِمْ، وَكَانُوا فِي أَعْلَاهُ، نَادَى بِأَعْلَى صَوْتِهِ نَفَرًا مِنْ أَشْرَافِهِمْ، حَتَّى أَسْمَعَهُمْ فَقَالَ: " أَجِيبُوا يَا مَعْشَرَ يَهُودَ يَا إِخْوَةَ الْقِرَدَةِ، قَدْ نَزَلَ بِكُمْ خِزْيُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ " فَحَاصَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَتَائِبِ الْمُسْلِمِينَ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، وَرَدَّ اللَّهُ حُيَيَّ بْنَ أَخْطَبَ، حَتَّى دَخَلَ حِصْنَ بَنِي قُرَيْظَةَ. وَقَذَفَ اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ، وَاشْتَدَّ عَلَيْهِمُ الْحِصَارُ، فَصَرَخُوا بِأَبِي لُبَابَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُنْذِرِ، وَكَانُوا حُلَفَاءَ الْأَنْصَارِ، فَقَالَ أَبُو لُبَابَةَ: لَا آتِيهِمْ حَتَّى يَأْذَنَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ لَهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَدْ أَذِنْتُ لَكَ ". فَأَتَاهُمْ أَبُو لُبَابَةَ
পৃষ্ঠা - ২৯৩৯
২২৮ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

গোষ্ঠী ! এখন জবাব দাও ৷ মহানআল্লাহ্র পক্ষ থেকে তোমাদের উপর লাঞ্চুনা নেমে এসেছে ৷
একদল মুসলিম বাহিনী নিয়ে র সুল করীম (সা) ইয়াহুদীদেরকে ১০ দিনের বেশী সময় অবরোধ
করে রাখলেন ৷ আল্লাহ তা আমার ইচ্ছা হুয়া ই ইবন আখতার উপস্থিত হয়ে বনু কুরায়যার
দুর্গে অ টকা পড়ে ৷ মহান আল্লাহ তাদের অন্তরে ভয়-ভীতির সঞ্চার করলেন ৷ এই অবরোধ
তাদের কাছে দুর্বিষহ ঠেকে ৷ এসময় তারা আনসারদের মিত্র আবু লবাবা ইবন আবদুল
মুনযিরকে চিৎক৷ ৷র করে ডাক দেয় ৷ তখন আবু লুবাবা বলেন রাসুল (সা) এর অনুমতি ৩ছাড়া
আমি তাদের কাছে যাব না ৷ তখন রাসুল করীম (সা) তাকে বলেন, আমি ওে তামাকে অনুমতি
দিলাম ৷ আবু লুবাবা তাদের নিকট উপস্থিত হলে তারা তাকে ঘিরে কাদাত কাদতে বলেং : হে
আবুলুবাবা ৷ ভুমি কী মনে কর আর আমাদেরকে কী করতে বল ? ৰুকারন্ন্া আমাদেরতাে লড়াই
ক র মত ক্ষমতা নেই ৷ তখন আবু লুবাবা হাতের আব্দুল দ্বারা গলার দিকে ইঙ্গিত করে বুঝান

, হত্যাই তাদের জন্যে অবধারিত ৷ আবু লুবাবা ফিরে এসে লজ্জিত হন এবং মনে করেন যে,
,তিনি গুরুতর অন্যায় করে ফেলেছেন ৷ তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, আমি অন্তর থেকে
খালিস তাওবা না করা পর্যন্ত রাসুল করীম (সা) এ-র চেহারা মুবারকের দিকে তাকাবাে না ৷ আর
আল্লাহ্ তাআলা আমার এই আান্তরিক তাওবাজ জানবেন ৷ তিনি মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং
মসজিদের একটা খাম্বার সাথে নিজেকে বেধে রাখেন ৷ ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন যে, তিনি প্রায়
২০ দিন এভাবে খুটির সাথে নিজেকে বেধে ব্লেখেছিলেন ৷ আবু লুবাবাকে অনুপস্থিত দেখে রাসুল
করীম (সা) বললেন, আবু লুবাবা কি মিত্রদের সঙ্গে কথাবাতা বলে এখনো ফিরে আসেনি ? আবু
লুবাবা যা করেছেন তা তাকে জানান হলে তিনি বললেন : আমার এখান থেকে যাওয়ার পর সে
ফ্যাসাদে পড়েছে ৷ সে আমার নিকট উপস্থিত হলে আমি তার জন্য আল্লাহর দরবারে
মাগফিরাত চাই৩াম ৷ যখন এ কাজটা সে করেই এসেছে তখন তার ব্যাপারে অাল্লাহ্র সিদ্ধান্ত না
আসা পর্যন্ত আমি তাকে তার স্থান থেকে সরাবাে না ৷ ইবন লাহিয়ার আবুল আসওয়াদ সুত্রে
উরওয়ার বরাতে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) তার মাগাযী গ্রন্থে যুহরী সুত্রে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু কুরায়যার একটা কুপের নিকট অবস্থান করেন ৷
এ কুপটি আন্না কুপ নামে পরিচিত ছিল ৷ এখানে তিনি বনু কুরায়যাকে ২৫ দিন পর্যন্ত অবরোধ
করে রাখেন ৷ এ অবরোধে তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠে এবং তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার হয় ৷ হুয়াই
ইবন আখতাবও তাদের সঙ্গে দুর্গে প্রবেশ করেছিল যখন কুরায়শ ও গাতফান গোত্রের লোকেরা
তাদের নিকট থেকে ফিরে গিয়েছিল ৷ হুয়াই এসেছিল কা’ব ইবন আসাদকে দেয়া তার প্রতিশ্রুতি
রক্ষার জন্যে ৷ যখন বনুকুরায়যার দৃঢ় বিশ্বাস জন্যে যে, রাসুল করীম (সা) তাদের সঙ্গে লড়াই না
করে ফিরে যাবেন না, তখন কাব ইবন আসাদ বলল, হে ইয়াহুদী সম্প্রদায় ! তোমাদের যে দশা
হয়েছে তাতো তোমরা দেখতেই পাচ্ছ ৷ আমি তোমাদের সম্মুখে তিনটি প্রস্তাব রাখছি ৷ এর মধ্য
থেকে তোমরা যেটি ইচ্ছা গ্রহণ করতে পার ৷ তারা রললাে : প্রন্তাবগুলো কী ? সে বললো (১)
আমরা এ ব্যক্তির আনুগত্য করবো এবং তাকে সত্য বলে মেনে নেবাে ৷ আল্লাহ্র কসম ৷
তোমাদের নিকট এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, তিনি অবশ্যই প্রেরিত নবী ৷ তোমরা তোমাদের গ্রন্থে যার


فَبَكَوْا إِلَيْهِ وَقَالُوا: يَا أَبَا لُبَابَةَ، مَاذَا تَرَى وَمَاذَا تَأْمُرُنَا، فَإِنَّهُ لَا طَاقَةَ لَنَا بِالْقِتَالِ. فَأَشَارَ أَبُو لُبَابَةَ بِيَدِهِ إِلَى حَلْقِهِ، وَأَمَرَّ عَلَيْهِ أَصَابِعَهُ، يُرِيهِمْ أَنَّمَا يُرَادُ بِكُمُ الْقَتْلُ. فَلَمَّا انْصَرَفَ أَبُو لُبَابَةَ سُقِطَ فِي يَدِهِ، وَرَأَى أَنَّهُ قَدْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ عَظِيمَةٌ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَنْظُرُ فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أُحْدِثَ لِلَّهِ تَوْبَةً نَصُوحًا، يَعْلَمُهَا اللَّهُ مِنْ نَفْسِي، فَرَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَرَبَطَ يَدَيْهِ إِلَى جِذْعٍ مِنْ جُذُوعِ الْمَسْجِدِ. وَزَعَمُوا أَنَّهُ ارْتَبَطَ قَرِيبًا مِنْ عِشْرِينَ لَيْلَةً، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَمَا ذُكِرَ - حِينَ رَاثَ عَلَيْهِ أَبُو لُبَابَةَ: " أَمَا فَرَغَ أَبُو لُبَابَةَ مِنْ حُلَفَائِهِ؟ ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ وَاللَّهِ انْصَرَفَ مِنْ عِنْدِ الْحِصْنِ، وَمَا نَدْرِي أَيْنَ سَلَكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَدْ حَدَثَ لِأَبِي لُبَابَةَ أَمْرٌ، مَا كَانَ عَلَيْهِ ". فَأَقْبَلَ رَجُلٌ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ رَأَيْتُ أَبَا لُبَابَةَ ارْتَبَطَ بِحَبْلٍ إِلَى جِذْعٍ مِنْ جُذُوعِ الْمَسْجِدِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَقَدْ أَصَابَتْهُ بَعْدِي فِتْنَةٌ وَلَوْ جَاءَنِي لَاسْتَغْفَرْتُ لَهُ، وَإِذْ قَدْ فَعَلَ هَذَا فَلَنْ أُحَرِّكَهُ مِنْ مَكَانِهِ حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ فِيهِ مَا يَشَاءُ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ. وَكَذَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ فِي " مَغَازِيهِ " فِي مِثْلِ سِيَاقِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَمِثْلِ
পৃষ্ঠা - ২৯৪০

পরিচয় দেখতে পাও, ইনি হলেন যে ব্যক্তি তার প্রতি ঈমান আমার মাধ্যমে তোমরা নিজেদের
জীবন, সম্পদ, সন্তান এবং নারীদের নিরাপত্তা লাভ করতে পার ৷ একথা শুনে তারা বলে উঠলো :

আমরা কখনো তাওরাতের বিধান ত্যাগ করবােনা , এবং তার পরিবর্তে অন্য কোন বিধান যেনেও
নেবাে না ৷

(২) কাব বলল : তোমরা এটা মেনে নিতে অস্বীকার করলে এসো , আমরা আমাদের সন্তান
আর নারীদেরকে হত্যা করি এবং উন্মুক্ত তরবারি হাতে মুহাম্মাদ ও তার সঙ্গীদের উপর ঝাপিয়ে
পড়ি ৷ পেছনে কোন বোঝা রেখে যাবো না, যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাআলা আমাদের আর মুহস্ফোদের
মধ্যে মীমাংসা করে দেন ৷ ধ্বংসই যদি আমাদের ভাগ্যে থাকে তা হলে আমরা এমনভাবে ধ্বংস
হব যে, আমাদের পেছনে কোন বংশধর ছেড়ে যাবো না, যাদের জন্য আমাদের আশংকা থাকবে ৷
আর যদি আমরা জয়ী হই তাহলে জীবনের শপথ করে বলছি, তাহলে নিশ্চিত আমরা নতুনভাবে
নারী এবং সন্তান লাভ করবো ৷ একথা শুনে তারা বলে উঠা:লা- আমরা কি এ অসহায়দেরকে
অকারণে হত্যা করবো ? এরপর জীবনের স্বাদ বলে কী আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে ?

(৩) কাব বলল : তোমরা যদি এটাও মেনে নিতে অস্বীকার কর তবে আজকের রাত তো
শনিবার রাত ৷ হয়তো মুহাম্মাদ আর তার সঙ্গীরা এ রাতে আমাদের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকবেন ৷
চলো, আমরা হামলা চালাই, মুহাম্মাদ এবং তার সঙ্গীদের উপর হয়তো আমরা অতর্কিত হামলা
চালাতে সক্ষম হবো ৷ তারা বললো , আমরা কি শনিবার দিনের অবমাননা করবো ? এদিনে আমরা
কি এমন কাণ্ড করবো , যা ইতিপুর্বে যে ব্যক্তিই করেছে তার অবয়ব বিকৃতি ঘটেছে বলে তুমি
নিজেও জানাে ৷ তখন সে বলল, তোমাদের কোন ব্যক্তির মায়ের গেট থেকে জন্মের পর সে
এমন বোকার মতো কখনো রাত্রি যাপন করেনি ৷ তারপর তারা রাসুল করীম (সা) এর নিকট এ
মর্মে বার্তা প্রেরণ করেন যে, বনু আমর ইবন আওফের আবু লুবাবা ইবন আবদুল মুনযিরকে
আপনি আমাদের নিকট প্রেরণ করুন ৷ বনুকুরায়যা ছিল আওস গোত্রের মিত্র পক্ষ ৷ তারা বললো৪
আমরা তার নিকট থেকে পরামর্শ গ্রহণ করবো ৷ নবী করীম (সা) তাকে প্রেরণ করলেন ৷ তাকে
দেখে লোকেরা দণ্ডায়মান হলো ৷ তাকে দেখেই নারী এবং শিশুরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ৷ এতে আবু
লুবাবার অন্তর বিপলিত হয় ৷ তারা বলে, হে আবু লুবাবা! তুমি কি মনে কর, আমরা কি
মুহস্ফোদের নির্দেশ মতো দুর্গ থেকে বেরিয়ে আসবাে ? আবু লুবাবা বললেন, হা ৷ তিনি তার
হাতের দ্বারা গলার দিকে ইঙ্গিত করে বুঝালেন, যে তাদের জবাই হতে হবে ৷ আবুলুবাবা বলেনঃ
যে আমার স্থান ত্যাগের পুর্বেই আমি বুঝতে পারি যে, আমি আল্লাহ তাআলা এবং তার রাসুলের
বিশ্বাস ভঙ্গ করেছি ৷ তারপর আবুলুবাবা রাসুল করীম (না)-এর নিকট আগমন না করে স্বেচ্ছা
প্ৰণোদিত হয়ে মসজিদের একটা খুটির সঙ্গে নিজেকে বেধে ফেলেন ৷ তিনি বললেন, আমি যা
করেছি যে জন্যে আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত আমি এ স্থান ত্যাগ করবো না ৷ তিনি
অঙ্গীকার করেন যে, আমি কখনো বনু কুরায়যার জনপদে পা রাখবাে না এবং সে জনপদে আমি
আল্লাহ ও তার রাসুলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি তাতে কখনো বিচরণ করবো না ৷

ইবন হিশাম , সুফিয়ান ইবন উয়ায়না, ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ এবং আবদুল্লাহ ইবন আবু
কাতাদা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন :


رِوَايَةِ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بِئْرٍ مِنْ آبَارِ بَنِي قُرَيْظَةَ مِنْ نَاحِيَةِ أَمْوَالِهِمْ يُقَالُ لَهَا: بِئْرُ أَنَّا. فَحَاصَرَهُمْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، حَتَّى جَهَدَهُمُ الْحِصَارُ، وَقَذَفَ اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ، وَقَدْ كَانَ حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ دَخَلَ مَعَهُمْ حِصْنَهُمْ، حِينَ رَجَعَتْ عَنْهُمْ قُرَيْشٌ وَغَطَفَانُ؛ وَفَاءً لِكَعْبِ بْنِ أَسَدٍ بِمَا كَانَ عَاهَدَهُ عَلَيْهِ فَلَمَّا أَيْقَنُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرُ مُنْصَرِفٍ عَنْهُمْ حَتَّى يُنَاجِزَهُمْ، قَالَ كَعْبُ بْنُ أَسَدٍ: يَا مَعْشَرَ يَهُودَ، قَدْ نَزَلَ بِكُمْ مِنَ الْأَمْرِ مَا تَرَوْنَ، وَإِنِّي عَارِضٌ عَلَيْكُمْ خِلَالًا ثَلَاثًا، فَخُذُوا بِمَا شِئْتُمْ مِنْهَا. قَالُوا: وَمَا هُنَّ؟ قَالَ: نُتَابِعُ هَذَا الرَّجُلَ وَنُصَدِّقُهُ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ تَبَيَّنَ لَكُمْ أَنَّهُ لَنَبِيٌّ مُرْسَلٌ، وَأَنَّهُ لَلَّذِي تَجِدُونَهُ فِي كِتَابِكُمْ، فَتَأْمَنُونَ بِهِ عَلَى دِمَائِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَأَبْنَائِكُمْ وَنِسَائِكُمْ. قَالُوا: لَا نُفَارِقُ حُكْمَ التَّوْرَاةِ أَبَدًا، وَلَا نَسْتَبْدِلُ بِهِ غَيْرَهُ. قَالَ: فَإِذَا أَبَيْتُمْ عَلَيَّ هَذِهِ، فَهَلُمَّ فَلْنَقْتُلْ أَبْنَاءَنَا وَنِسَاءَنَا، ثُمَّ نَخْرُجْ إِلَى مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ رِجَالًا مُصْلِتِينَ بِالسُّيُوفِ، لَمْ نَتْرُكْ وَرَاءَنَا ثَقَلًا حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مُحَمَّدٍ، فَإِنْ نَهْلِكْ نَهْلِكْ وَلَمْ نَتْرُكْ وَرَاءَنَا نَسْلًا نَخْشَى عَلَيْهِ، وَإِنْ نَظْهَرْ فَلَعَمْرِي لَنَجِدَنَّ النِّسَاءَ وَالْأَبْنَاءَ قَالُوا: أَنَقْتُلُ هَؤُلَاءِ الْمَسَاكِينَ؟! فَمَا خَيْرُ الْعَيْشِ بَعْدَهُمْ! قَالَ: فَإِنْ أَبَيْتُمْ عَلَيَّ هَذِهِ، فَاللَّيْلَةُ لَيْلَةُ السَّبْتِ، وَإِنَّهُ عَسَى أَنْ يَكُونَ مُحَمَّدٌ وَأَصْحَابُهُ قَدْ أَمِنُونَا فِيهَا، فَانْزِلُوا لَعَلَّنَا نُصِيبُ مِنْ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ غِرَّةً. قَالُوا: أَنُفْسِدُ سَبْتَنَا وَنُحْدِثُ فِيهِ مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيهِ مَنْ كَانَ قَبْلنَا إِلَّا مَنْ قَدْ عَلِمْتَ، فَأَصَابَهُ مَا لَمْ يَخْفَ عَنْكَ مِنَ الْمَسْخِ. فَقَالَ: مَا بَاتَ
পৃষ্ঠা - ২৯৪১
رَجُلٌ مِنْكُمْ مُنْذُ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ لَيْلَةً وَاحِدَةً مِنَ الدَّهْرِ حَازِمًا. ثُمَّ إِنَّهُمْ بَعَثُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِ ابْعَثْ إِلَيْنَا أَبَا لُبَابَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُنْذِرِ أَخَا بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ - وَكَانُوا حُلَفَاءَ الْأَوْسِ - نَسْتَشِيرُهُ فِي أَمْرِنَا. فَأَرْسَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَوْهُ، قَامَ إِلَيْهِ الرِّجَالُ، وَجَهَشَ إِلَيْهِ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ يَبْكُونَ فِي وَجْهِهِ، فَرَقَّ لَهُمْ وَقَالُوا: يَا أَبَا لُبَابَةَ، أَتَرَى أَنْ نَنْزِلَ عَلَى حُكْمِ مُحَمَّدٍ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى حَلْقِهِ أَنَّهُ الذَّبْحُ. قَالَ أَبُو لُبَابَةَ: فَوَاللَّهِ مَا زَالَتْ قَدَمَايَ مِنْ مَكَانِهِمَا، حَتَّى عَرَفْتُ أَنِّي قَدْ خُنْتُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ انْطَلَقَ أَبُو لُبَابَةَ عَلَى وَجْهِهِ، وَلَمْ يَأْتِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى ارْتَبَطَ فِي الْمَسْجِدِ إِلَى عَمُودٍ مِنْ عُمُدِهِ، وَقَالَ: لَا أَبْرَحُ مَكَانِي حَتَّى يَتُوبَ اللَّهُ عَلَيَّ مَا صَنَعْتُ. وَعَاهَدَ اللَّهَ أَنْ لَا أَطَأَ بَنِي قُرَيْظَةَ أَبَدًا، وَلَا أُرَى فِي بَلَدٍ خُنْتُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فِيهِ أَبَدًا. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأَنْزَلَ اللَّهُ، فِيمَا قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ: {يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَخُونُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ وَتَخُونُوا أَمَانَاتِكُمْ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ} [الأنفال: 27] (الْأَنْفَالِ: 27) قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: أَقَامَ مُرْتَبِطًا سِتَّ لَيَالٍ، تَأْتِيهِ امْرَأَتُهُ فِي وَقْتِ كُلِّ صَلَاةٍ فَتَحُلُّهُ حَتَّى يَتَوَضَّأَ وَيُصَلِّيَ ثُمَّ يَرْتَبِطُ، حَتَّى نَزَلَتْ تَوْبَتُهُ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَآخَرُونَ اعْتَرَفُوا بِذُنُوبِهِمْ خَلَطُوا عَمَلًا صَالِحًا وَآخَرَ سَيِّئًا عَسَى اللَّهُ أَنْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [التوبة: 102] (التَّوْبَةِ: 12)
পৃষ্ঠা - ২৯৪২

§ :


বহে ঈমানদ৷ ৷রগণ ! তোমরা জেনেশুনে আল্লাহ ও তার রাসুলের সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করবে না

ৎতােমরা পরস্পরের আমানত সম্পর্কেও বিশ্বাস ভঙ্গ করবে না এবং তোমরা জেনে রাখবে
যে, তোমাদের ধ্ন-সম্পদ আর সন্তান-সম্ভতিভাে এক পরীক্ষা মাত্র এবং ন্মাল্লাহ্রই নিকট রয়েছে
মহা পুরস্কার ৷ (আনফাল : ২৭-২৮) ৷

ইবন হিশাম বলেন : তিনি ৬ রাত পর্যন্ত খুটির সঙ্গে বাধা ছিলেন ৷ এ সময় নামাযের ওয়াক্ত
হলে তার ত্রী উপস্থিত হয়ে বন্ধন খুলে দিতেন ৷ তিনি উয়ু করে নামায আদায় করে পুনরায়

নিজেকে বেধে ফেলতেন ৷ শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ তার তাওবা কবুল করে আয়াত নাযিল
করলেন

১৷ ৷ ৰুন্ছুন্ঠুছুট্রু: ৷ ট্রু,ট্রুঠুট্রুাট্রু
#
আর অপর কতক লোক নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে ৷ তারা এক সৎ কমের
সাথে অসৎ কম মিশ্রিত করেছে ৷ আল্লাহ হয়তো তাদেরকে ক্ষমা করবেন ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা
ক্ষমাশীল পরম দয়ালু (৯ তাওবাং : ১০২) ৷ পক্ষাম্ভরে মুসা ইবন উক্বা বলেন যে, তিনি খুটির
সঙ্গে ২০ দিন বাধা ছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ ইবন ইসহড়াক উল্লেখ করেন যে, আল্লাহ
তাআলা রাসুল করীম (সা) এর উপর আবুলুবাবার তাওব৷ কবুলের আয়াত নাযিল করেন রাতের
শেষ প্রহরে ৷ এ সময় রাসুল করীম (সা) হযরত ৩উষ্মে সালামার ঘরে ছিলেন ৷ আয়া৩ টি নাযিল
হলে নবী করীম (সা) মুচকি হ সতে লাগলেন ৷ উম্মে সালামা (রা)-এর কারণ জিজ্ঞেস করলে নবী
করীম (সা) তাকে জানান যে, মহান আল্লাহ আবু লুবাবার তাওব৷ কবুল করেছেন ৷ তিনি আবু
লুবাবাকে এ সুসংবাদ দানের জন্য রাসুল করীম (সা) এর নিকট অনুমতি চাইলে রাসুল (সা)
তাকে অনুমতি দান করেন ৷ উম্মে সালামা বের হয়ে আবু লুবাবাকে এ সংবাদ দান করলে
লোকেরাও ছুটে আসে সুসংবাদ দানের জন্য ৷ লোকেরা তাকে বন্ধন মুক্ত করতে চাইলে তিনি
বললেন : আল্লাহর কসম ! রাসুল করীম (সা) ছাড়া আর কেউই আমাকে বন্ধন মুক্ত করবেন না ৷
রাসুল করীম (সা) ফ্জরের সালাতের জন্য বের হয়ে তাকে বন্ধন মুক্ত করলেন ৷ মহান আল্লাহ
তার প্ৰতি প্ৰসন্ন হোন এবং তাকে প্ৰসন্ন রাখুন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : সালাবা ইবন সাইয়াহ ও উসায়দ ইবন সাইয়া এবং আসাদ ইবন
উবায়দ এরা বনুকুরায়যা বা বনুনযীরের লোক ছিলেন না; বরং এরা ছিলেন বনুছুহালের অম্ভভুক্তি ৷
এদের বংশধারা আরো উপরে পৌছেছে ৷ এরা ছিলেন ওদের জ্ঞাতি ভাই ৷ রাসুল করীম (সা)-এর
নির্দেশক্রমে যে রাত্রে বনু কুরায়যাকে দুর্গ থেকে বের করা হয় সে রাত্রে এরা ইসলাম গ্রহণ


وَقَوْلُ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ: إِنَّهُ مَكَثَ عِشْرِينَ لَيْلَةً مُرْتَبِطًا بِهِ، أَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ تَوْبَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ وَهُوَ فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ فَجَعَلَ يَبْتَسِمُ فَسَأَلَتْهُ أُمُّ سَلَمَةَ، فَأَخْبَرَهَا بِتَوْبَةِ اللَّهِ عَلَى أَبِي لُبَابَةَ، فَاسْتَأْذَنَتْهُ أَنْ تُبَشِّرَهُ، فَأَذِنَ لَهَا فَخَرَجَتْ فَبَشَّرَتْهُ، فَثَارَ النَّاسُ إِلَيْهِ يُبَشِّرُونَهُ، وَأَرَادُوا أَنْ يَحِلُّوهُ مِنْ رِبَاطِهِ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا يَحِلُّنِي إِلَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ حَلَّهُ مِنْ رِبَاطِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ ثَعْلَبَةَ بْنَ سَعْيَةَ، وَأُسَيْدَ بْنَ سَعْيَةَ، وَأَسَدَ بْنَ عُبَيْدٍ - وَهُمْ نَفَرٌ مِنْ بَنِي هَدْلٍ، لَيْسُوا مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ وَلَا النَّضِيرِ - نَسَبُهُمْ فَوْقَ ذَلِكَ، هُمْ بَنُو عَمِّ الْقَوْمِ، أَسْلَمُوا فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ الَّتِي نَزَلَتْ فِيهَا قُرَيْظَةُ عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَرَجَ فِي تِلْكَ عَمْرُو بْنُ سُعْدَى الْقُرَظِيُّ، فَمَرَّ بِحَرَسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِمْ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، فَلَمَّا رَآهُ قَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَنَا عَمْرُو بْنُ سُعْدَى. وَكَانَ عَمْرٌو قَدْ أَبَى أَنْ يَدْخُلَ مَعَ بَنِي قُرَيْظَةَ فِي غَدْرِهِمْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: لَا أَغْدِرُ بِمُحَمَّدٍ أَبَدًا.
পৃষ্ঠা - ২৯৪৩
فَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ حِينَ عَرَفَهُ: اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنِي إِقَالَةَ عَثَرَاتِ الْكِرَامِ. ثُمَّ خَلَّى سَبِيلَهُ فَخَرَجَ عَلَى وَجْهِهِ، حَتَّى بَاتَ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، ثُمَّ ذَهَبَ فَلَمْ يُدْرَ أَيْنَ تَوَجَّهَ مِنَ الْأَرْضِ إِلَى يَوْمِهِ هَذَا. فَذُكِرَ شَأْنُهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " «ذَاكَ رَجُلٌ نَجَّاهُ اللَّهُ بِوَفَائِهِ ".» وَبَعْضُ النَّاسِ يَزْعُمُ أَنَّهُ كَانَ أُوثِقَ بِرُمَّةٍ فِيمَنْ أُوثِقَ مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ، فَأَصْبَحَتْ رُمَّتُهُ مُلْقَاةً، وَلَمْ يُدْرَ أَيْنَ ذَهَبَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ تِلْكَ الْمَقَالَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا أَصْبَحُوا وَنَزَلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَوَاثَبَتِ الْأَوْسُ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُمْ مَوَالِينَا دُونَ الْخَزْرَجِ، وَقَدْ فَعَلْتَ فِي مَوَالِي إِخْوَانِنَا بِالْأَمْسِ مَا قَدْ عَلِمْتَ. يَعْنُونَ عَفْوَهُ عَنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ حِينَ سَأَلَهُ فِيهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ، كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا كَلَّمَتْهُ الْأَوْسُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مَعْشَرَ الْأَوْسِ أَلَا تَرْضَوْنَ أَنْ يَحْكُمَ فِيهِمْ رَجُلٌ مِنْكُمْ؟ ". قَالُوا: بَلَى قَالَ: " فَذَلِكَ إِلَى سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ ".» وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَعَلَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ فِي خَيْمَةٍ لِامْرَأَةٍ مِنْ أَسْلَمَ، يُقَالُ لَهَا: رُفَيْدَةُ. فِي مَسْجِدِهِ، وَكَانَتْ تُدَاوِي الْجَرْحَى، فَلَمَّا حَكَّمَهُ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ، أَتَاهُ قَوْمُهُ
পৃষ্ঠা - ২৯৪৪

করেন ৷ একই রাত্রে আমর ইবন সু’দা আল কুরাযীও দুর্গ থেকে বের হন ৷ ইনি রাসুল কবীম
(সা) এর পাহারাদারদের নিকট দিয়ে পমনকালে তারা জিজ্ঞেস করলেন কে ? এ পাহারাদারদের
নেতৃত্বে ছিলেন মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা ৷ তিনি জবাবে বলেন, আমর ইবন সু’দা আর ইনি বনু
কুরায়যার সঙ্গে যোগ দিয়ে রাসুল কবীম (সা) এর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে রাযী হননি ৷ তিনি
বলেছিলেন ৷ ৷ৰুাছুশ্৷ ক্রো! ১াছু৷ ৰু আমি কখনো মুহাম্মাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে
পারবােন৷ ৷ মুহাম্মার্দ ইবন মর্সের্লামা তাকে চিনতে পেরে বললেন :

“হে আল্লাহ্ ! সম্মানিত ব্যক্তিদের পদস্থালন ক্ষমা করা থেকে আমাকে বঞ্চিত করবেন না ৷ ”
মুহাম্মাদ ইবন মাসলড়ামা তাকে চলে যেতে অনুমতি দিলেন ৷ তিনি সোজা গিয়ে মসজিদে নববীতে
উঠেন এবং সেখানে রাত্রিযাপন করেন ৷ পর দিন তিনি সেখান ণ্;থকে বের হন; কিন্তু তারপর তিনি
সেখান থেকে কোথায় যে গেলেন অদ্যাবধি তা জানা যায়নি ; তার সম্পর্কে রাসুল কবীম (সা) — কে
অব্যাহতি করা হলে তিনি বলেন :


এ এমন ব্যক্তি যার বিশ্বস্ততার কারণে আল্লাহ্ তাকে মুক্তি দিয়েছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : কোন কোন লোকের ধারণা, বনুকুরড়ায়যার যে সব লোককে রশি দিয়ে
রাখা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ইনিও ছিলেন ৷ ভোরে তার রশি পড়ে থাকতে দেখা যায়; কিন্তু তিনি
কোথায় গেলেন তা জানা যায়নি ৷ তখন নবী কবীম (সা) তার সম্পর্কে উপরোক্ত উক্তি করেন ৷
ঘটনা কি ঘটেছিল তা আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক আরো বলেন : সকালে নবী কবীম (না)-এর নির্দেশে বনু কুরায়যা দুর্গের
অভ্যন্তর থেকে বের হলে আওস গোত্রের লোকেরা এগিয়ে এসে বললাে : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এরা
আমাদের মিত্র পক্ষ; খায্রাজরা নয় ৷ আমাদের খাবরাজী ভাইদের মিত্রদের সম্পর্কে আপনি পুর্বে
যা করেছেন, করেছেন ৷ অর্থাৎ আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ৷ মানে, আবদুল্লাহ ইবন
৬ রাই এর আ বে পনঞাম বনু কায়ণুকাকে যেমন ক্ষমা করেছিলেন ৷ এ সম্পর্কে ইতিপুর্বে
আলোচনা করা হয়েছে ৷

ইবন ইসহাক আরো উল্লেখ করেন যে, আওস গোত্রের লোকেরা রাসুল কবীম (না)-এর
সঙ্গে কথা বললে উনি বললেন :



৮)

হে আওস সম্প্রদায় ! তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তাদের ব্যাপারে তোমাদের মধ্যকার
একজনই ফায়সালা করবেন ? তারা বললাে, ত্মী হা, নিশ্চয়ই ৷ রাসুল কবীম (সা) এ সিদ্ধান্তের
তার অর্পণ করেন সাদ ইবন মুআয এর উপর ৷ রাসুল কবীম (সা) হযরত সা“দকে মসজিদে
নববী সংলগ্ন একটা তাবুতে থাকতে দেন ৷ এটি ছিল রুফায়দা নান্নী আসলাম গোত্রের এক
মহিলার তাবু ৷ আর এ মহিলা আহত ব্যক্তিদের সেবা শুশ্রুষা করতেন ৷ রাসুল কবীম (সা) সাদকে
বনু কুরায়যার বিচারক নিযুক্ত করলে আওস গোত্রের লোকেরা তার নিকট এসে তাকে গাধায়
সওয়ার করে রাসুল কবীম (না)-এর দরবারে নিয়ে যান ৷ আর তিনি ছিলেন একজন হৃষ্টপুষ্ট সুদর্শন
পুরুষ ৷ গাধার পৃষ্ঠে তারা তার জন্য একটা চামড়ার গদি বিছিয়ে দেন ৷ তারা তাকে বলেন : হে


فَحَمَلُوهُ عَلَى حِمَارٍ قَدْ وَطَّئُوا لَهُ بِوِسَادَةٍ مِنْ أَدَمٍ، وَكَانَ رَجُلًا جَسِيمًا جَمِيلًا، ثُمَّ أَقْبَلُوا مَعَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمْ يَقُولُونَ: يَا أَبَا عَمْرٍو، أَحْسِنْ فِي مَوَالِيكَ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا وَلَّاكَ ذَلِكَ لِتُحْسِنَ فِيهِمْ. فَلَمَّا أَكْثَرُوا عَلَيْهِ قَالَ: قَدْ آنَ لِسَعْدٍ أَنْ لَا تَأْخُذَهُ فِي اللَّهِ لَوْمَةُ لَائِمٍ. فَرَجَعَ بَعْضُ مَنْ كَانَ مَعَهُ مِنْ قَوْمِهِ إِلَى دَارِ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، فَنَعَى لَهُمْ رِجَالَ بَنِي قُرَيْظَةَ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَيْهِمْ سَعْدٌ؛ عَنْ كَلِمَتِهِ الَّتِي سَمِعَ مِنْهُ، فَلَمَّا انْتَهَى سَعْدٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمِينَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «قُومُوا إِلَى سَيِّدِكُمْ» ". فَأَمَّا الْمُهَاجِرُونَ مِنْ قُرَيْشٍ فَيَقُولُونَ: إِنَّمَا أَرَادَ الْأَنْصَارَ. وَأَمَّا الْأَنْصَارُ فَيَقُولُونَ: قَدْ عَمَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُسْلِمِينَ. فَقَامُوا إِلَيْهِ فَقَالُوا: يَا أَبَا عَمْرٍو، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ وَلَّاكَ أَمْرَ مَوَالِيكَ لِتَحْكُمَ فِيهِمْ. فَقَالَ سَعْدٌ: عَلَيْكُمْ بِذَلِكَ عَهْدُ اللَّهِ وَمِيثَاقُهُ، أَنَّ الْحُكْمَ فِيهِمْ لَمَا حَكَمْتُ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: وَعَلَى مَنْ هَاهُنَا؟ فِي النَّاحِيَةِ الَّتِي فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُعْرِضٌ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِجْلَالًا لَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ ". قَالَ سَعْدٌ: فَإِنِّي أَحْكُمُ فِيهِمْ أَنْ يُقْتَلَ الرِّجَالُ وَتُقْسَمَ الْأَمْوَالُ، وَتُسْبَى الذَّرَارِيُّ وَالنِّسَاءُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَعْدٍ: «لَقَدْ حَكَمْتَ فِيهِمْ بِحُكْمِ اللَّهِ مِنْ فَوْقِ سَبْعَةِ أَرْقِعَةٍ» .
পৃষ্ঠা - ২৯৪৫

আবু আমর ! আপনার মিত্রদের সাথে সদয় ব্যবহার করবেন ৷ কারণ, তাদের সঙ্গে সদাচার করার
জন্যই রাসুল করীম (সা) আপনাকে তাদের বিচারক মনোনীত করেছেন ৷ তারা হযরত সাদকে
পীড়াপীড়ি করলে তিনি বললেন ?

সাদের জন্য সময় এসেছে যে, সে আল্লাহ্র ব্যাপারে কোন ভর্চুসনকােরীর ভর্চুসনার পরওরা
করবে না ৷ একথা শুনে তার গোত্রের কিছু লোক, যারা তার সঙ্গে ছিলেন তারা বনু আবদুল

আশহাল গোত্রের নিকট এবং সেখানে সাদের প্রবেশের পুর্বেই বনুকুরাম্পের মৃত্যুর গােকবাতা
পৌছিয়ে দেন ৷ হযরত সাদ (বা) রাসুল করীম (না)-এর নিকট পৌছলে তিনি বললেন :

তোমরা তোমাদের নেতার উদ্দেশ্যে উঠে দাড়াও ৷ কুরায়শী ঘুহাজিররা বলেন একথা দ্বারা
রাসুল করীম (সা) আনসারদেরকে সম্বোধন করেছিলেন ৷ আর আনসারগণ বলেন যে, রাসুল
করীম (সা) সকল মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তা বলেছিলেন ৷ তারা সকলেই হযরত সাদের
উদ্দেশ্যে উঠে দাড়ান ৷ তখন তারা বলেন : হে আবু আমর ! রাসুল করীম (সা) আপনার মিত্রদের
ব্যাপারে আপনাকে সালিশ মনোনীত করেছেন যাতে করে আপনি তাদের ব্যাপারে ফায়সালা
করতে পারেন ৷ তখন হযরত সাদ বলেন : আল্লাহ ও রাসুল (সা)-এর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার
তােমাদেরকে মেনে চলতে হবে ৷ তাদের ব্যাপারে আমি যে নির্দেশ দেবাে , তাই কি হবে চুড়ান্ত
ফায়সালা ? তারা বললেন, হা ৷ হযরত সাদ বললেন, আর যিনি এ দিকে রয়েছেন ? সেখানে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সম্মানার্থে তিনি তার নাম নিলেন না ৷ রাসুল করীম (সা) বললেন, হা ৷ তখন
হযরত সাদ বললাম , তাদের ব্যাপারে আমি ফায়সালা দিচ্ছি যে, তাদের পুরুষদেরকে হত্যা করা
হবে, তাদের সম্পদ বন্টন করা হবে এবং শিশু আর নারীদেরকে বন্দী করা হবে ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক আলিম ইবন উমর আলকামা ইবন ওয়াক্কাস লাইহী সুত্রে
বলেন, রাসুল করীম (সা) হযরত সাদকে বললেন :

শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্

“সপ্ত আসমড়ান থেকে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তুমি তাদের মধ্যে ফায়সালা করেছ ৷ ইবন
হিশাম বলেন, একজন আস্থাভাজন আলিম আমাকে বলেন যে, মুসলমানরা যখন বনুকুরায়যাকে
অবরোধ করে রাখে তখন হযরত আলী ইবন আবু তালিব এবং যুবায়র ইবনুল আওয়াম সম্মুখে
অগ্রসর হয়ে বলেন : হে ঈমানের বলে বলীয়ান বাহিনী ! আল্লাহ্র কসম , বীর হামযা যা আস্বাদন
করেছেন, আমিও তা আস্বাদন করবো; অথবা আমি দুর্গ জয় করে তাতে প্রবেশ করবো ৷ তখন
অবরুদ্ধরা বলে উঠে সাদ ইবন মুআয এর ফায়সালা সাপেক্ষে আমরা (দুর্গের ভেতর থেকে)
বেরিয়ে আসছি ৷

ইমাম আহমদ (র) মুহাম্মাদ ইবন জাফর আবু সাঈদ খুদরী সুত্রে বলেন ৷ হযরত সাদ
ইবন মুআয এর ফায়সালা সাপেক্ষে বনুকুরায়যা গোত্র দুর্গ থেকে অবতরণ করলে রাসুল করীম


وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: حَدَّثَنِي مَنْ أَثِقُ بِهِ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ صَاحَ، وَهُمْ مُحَاصِرُو بَنِي قُرَيْظَةَ: يَا كَتِيبَةَ الْإِيمَانِ. وَتَقَدَّمَ هُوَ وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَذُوقَنَّ مَا ذَاقَ حَمْزَةُ أَوْ أَقْتَحِمُ حِصْنَهُمْ. فَقَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، نَنْزِلُ عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ بْنَ سَهْلٍ، سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، قَالَ: نَزَلَ أَهْلُ قُرَيْظَةَ عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ قَالَ: فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى سَعْدٍ، فَأَتَاهُ عَلَى حِمَارٍ، فَلَمَّا دَنَا قَرِيبًا مِنَ الْمَسْجِدِ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قُومُوا لِسَيِّدِكُمْ. أَوْ: خَيْرِكُمْ ". ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ هَؤُلَاءِ نَزَلُوا عَلَى حُكْمِكَ ". قَالَ: تَقْتُلُ مُقَاتِلَتَهُمْ وَتَسْبِي ذُرِّيَّتَهُمْ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَضَيْتَ بِحُكْمِ اللَّهِ ".» وَرُبَّمَا قَالَ: " قَضَيْتَ بِحُكْمِ الْمَلِكِ ". وَفِي رِوَايَةٍ: " الْمَلَكِ ". أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طُرُقٍ، عَنْ شُعْبَةَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُجَيْنٌ وَيُونُسُ قَالَا: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ২৯৪৬
سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ قَالَ: رُمِيَ يَوْمَ الْأَحْزَابِ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ، فَقَطَعُوا أَكْحَلَهُ، فَحَسَمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّارِ، فَانْتَفَخَتْ يَدُهُ فَنَزَفَهُ فَحَسَمَهُ أُخْرَى، فَانْتَفَخَتْ يَدُهُ فَنَزَفَهُ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ، قَالَ: اللَّهُمَّ لَا تُخْرِجْ نَفْسِي حَتَّى تُقِرَّ عَيْنِي مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ. فَاسْتَمْسَكَ عِرْقُهُ، فَمَا قَطَرَ قَطْرَةً حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدٍ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَحَكَمَ أَنْ تُقْتَلَ رِجَالُهُمْ، وَتُسْبَى نِسَاؤُهُمْ وَذَرَارِيُّهِمْ؛ يَسْتَعِينُ بِهِمُ الْمُسْلِمُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَصَبْتَ حُكْمَ اللَّهِ فِيهِمْ» ". وَكَانُوا أَرْبَعَمِائَةٍ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَتْلِهِمْ، انْفَتَقَ عِرْقُهُ فَمَاتَ. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنِ اللَّيْثِ، بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنَ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْخَنْدَقِ، وَوَضَعَ السِّلَاحَ وَاغْتَسَلَ، فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ وَعَلَى رَأْسِهِ الْغُبَارُ، فَقَالَ: قَدْ وَضَعْتَ السِّلَاحَ! فَوَاللَّهِ مَا وَضَعْتُهَا، اخْرُجْ إِلَيْهِمْ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَأَيْنَ؟ ". قَالَ: هَاهُنَا. وَأَشَارَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ. قَالَ هِشَامٌ: فَأَخْبَرَنِي أَبِي أَنَّهُمْ نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَدَّ الْحُكْمَ فِيهِمْ إِلَى سَعْدٍ، قَالَ: فَإِنِّي أَحْكُمُ أَنْ تُقْتَلَ الْمُقَاتِلَةُ وَتُسْبَى النِّسَاءُ وَالذُّرِّيَّةُ وَتُقْسَمَ أَمْوَالُهُمْ. قَالَ هِشَامٌ: قَالَ أَبِي: فَأُخْبِرْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لَقَدْ حَكَمْتَ فِيهِمْ بِحُكْمِ اللَّهِ» .
পৃষ্ঠা - ২৯৪৭

(সা) হযরত সাদ-এর নিকট দুত প্রেরণ করেন ৷ তিনি পাধায় আরোহণ করে আগমন করেন ৷
তিনি মসজিদের নিকটবর্তী হলে নবী করীম (সা) বললেনং : ,ব্লু)প্রু ৷ ,হ্রৰু৷ ৷,দ্বু
তোমাদের নেতা বা উত্তম ব্যক্তির উদ্দেশ্যে তোমরা উঠে দাড়াও ৷৩ তারপর তিনি বললেন৪ এরা
তোমার ফায়সালা সাপেক্ষে দুর্গ থেকে বের হয়ে এসেছে ৷ হযরত সা দ বললেন, তাদের মধ্যে
যারা যোদ্ধা আমরা তাদেরকে হত্যা করবো আর তাদের সম্ভানদেরকে আমরা বন্দী করবো ৷ রাবী
বলেন, তখন রাসুল করীম (সা) বললেন : এা ৷ ণ্ন্নুশু াও তুমি আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী
ফায়সালা করেছ ৷ কোন কোন বর্ণনায় এ্যা৷ ৷ ণ্দ্বু; অর্থাৎ বাদশাহের নির্দেশ অনুযায়ী উল্লেখ
রয়েছে ৷ আবার কোন কোন বর্ণনায় কেবল এা বা বাদশাহ শব্দের উল্লেখ রয়েছে ৷ ইমাম
বুখারী (র) ও ইমাম মুসলিম (র) শুব৷ সুত্রে বিভিন্ন সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) হাজীন জাবির ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, খন্দকের
যুদ্ধে হযরত সাদ ইবন মুআয তীর নিক্ষেপে আহত হলে লোকেরা তার বাহুর রগ ( ,া শু£ ৷ )
কেটে ফেলে এবং রাসুল করীম (সা) তাতে আগুন দ্বারা দাগান ৷ এতে তার৷ হত ফুলে গিয়ে রক্ত
প্রবাহিত হলে রাসুল (সা) পুনরায় দ গোন ৷ এবারও হাত ফুলে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে ৷ হযরত
সাদ এ অবস্থা দেখে দুআ করেন ং

× :

“হে অ ৷ল্লাহ্ ! বনু কুরায়যার ব্যাপারে আমার চক্ষু শীতল হওয়ার পুর্বেতু মি আমাকে মৃত্যু
দিয়ে৷ না ৷ তখন রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং হযরত সা দের নির্দেশে বনু কুরায়য৷ দুর্গ থেকে বের
হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত আর এক ফোট৷ রক্তও নির্গত হয়নি ৷ রাসুল করীম (সা) তার নিকট দুত প্রেরণ
করলে তিনি নির্দেশ দেন যে, বনুকুরায়যার পুরুষদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারী ও শিশুদেরকে
বন্দী করা হবে আর মুসলমানরা তাদের সেবা গ্রহণ করবেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন :

“তাদের ব্যাপারে তুমি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী যথার্থ নির্দেশ৷ দা ন করলে ৷ যাদেরকে হত্যা
করা হয়, সং থ্যায় তারা ছিল ৪শ’ তারপর আবার ক্ষতস্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে এবং
এতেই তার ইনতিকাল হয় ৷ তিরমিযী ও নাসা ঈ উভয়েই হাদীছটি বর্ণনা করেছেন কৃত ৷য়ব৷ সুত্রে
লায়ছ থেকে এবং তিরমিযী (র) হাদীছটিকে হাসান সহীহ বলে অভিহিত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) ইবন নুমাইর হযরত আইশা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুল
করীম (সা) খন্দক যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করে অস্ত্র খুলে গোসল করলে তার নিকট হযরত
জিবৃর ৷ঈল (আ) আগমন করেন ৷ তার মাথা তখনো ধুলাব৷ ৷লি ধুসরিত ৷ তিনি বললেন, আপনি অস্ত্র
খুলে রেখেছেন ? আল্লাহর কসম! আ ৷মিতে৷ এখনো অস্ত্র খুলিনি ৷ আপনি তাদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে
পড়ুন ৷ রাসুল কয়ীম (সা) জিজ্ঞেস করলেন, কোন দিকে ? জিবৃরাঈল (আ) বললেন, এদিকে ৷
একথা বলে তিনি বনুকুরায়যা র দিকে ইঙ্গিত করলেন ৷ তখন রাসুল করীম (সা)ত ৷দের উদ্দেশ্যে
বেরিয়ে পড়লেন ৷ হিশাম বলেন, আমার পিতা ৷আম৷ কে জানান যে, বনুকুরায়যার ইয়াহ্রদীরা রাসুল
করীম (না)-এর নির্দেশক্রমে দুর্গ থেকে বের হয়ে আসে ৷ তিনি তাদের ব্যাপারে সাদ (রা)-কে
সালিশ মনোনীত করেন ৷ তখন হযরত সাদ বলেন যে, তাদের ব্যাপারে আমি নির্দেশ দিচ্ছি যে,

৩০ ——

وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: أُصِيبَ سَعْدٌ يَوْمَ الْخَنْدَقِ، رَمَاهُ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ يُقَالُ لَهُ: حِبَّانُ بْنُ الْعَرِقَةِ. رَمَاهُ فِي الْأَكْحَلِ، فَضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْمَةً فِي الْمَسْجِدِ لِيَعُودَهُ مِنْ قَرِيبٍ، فَلَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْخَنْدَقِ، وَضَعَ السِّلَاحَ وَاغْتَسَلَ، فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ وَهُوَ يَنْفُضُ رَأْسَهُ مِنَ الْغُبَارِ، فَقَالَ: قَدْ وَضَعْتَ السِّلَاحَ! وَاللَّهِ مَا وَضَعْتُهُ، اخْرُجْ إِلَيْهِمْ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَأَيْنَ؟ " فَأَشَارَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ، فَأَتَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلُوا عَلَى حُكْمِهِ، فَرَدَّ الْحُكْمَ إِلَى سَعْدٍ، قَالَ: فَإِنِّي أَحْكُمُ فِيهِمْ أَنْ تُقْتَلَ الْمُقَاتِلَةُ وَأَنْ تُسْبَى النِّسَاءُ وَالذُّرِّيَّةُ، وَأَنْ تُقْسَمَ أَمْوَالُهُمْ. قَالَ هِشَامٌ: فَأَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ سَعْدًا قَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ أَحَبَّ إِلَيَّ أَنْ أُجَاهِدَهُمْ فِيكَ، مِنْ قَوْمٍ كَذَّبُوا رَسُولَكَ وَأَخْرَجُوهُ، اللَّهُمَّ فَإِنِّي أَظُنُّ أَنَّكَ قَدْ وَضَعْتَ الْحَرْبَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ، فَإِنْ كَانَ بَقِيَ مِنْ حَرْبِ قُرَيْشٍ شَيْءٌ، فَأَبْقِنِي لَهُ حَتَّى أُجَاهِدَهُمْ فِيكَ، وَإِنْ كُنْتَ وَضَعْتَ الْحَرْبَ، فَافْجُرْهَا وَاجْعَلْ مَوْتِي فِيهَا. فَانْفَجَرَتْ مِنْ لَبَّتِهِ فَلَمْ يَرُعْهُمْ - وَفِي الْمَسْجِدِ خَيْمَةٌ مِنْ بَنِي غِفَارٍ - إِلَّا الدَّمُ يَسِيلُ إِلَيْهِمْ، فَقَالُوا: يَا أَهْلَ الْخَيْمَةِ مَا هَذَا الَّذِي يَأْتِينَا مِنْ قِبَلِكُمْ؟ فَإِذَا هُوَ سَعْدٌ يَغْذُو جُرْحُهُ دَمًا، فَمَاتَ
পৃষ্ঠা - ২৯৪৮
مِنْهَا» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، بِهِ. قُلْتُ: كَانَ دَعَا أَوَّلًا بِهَذَا الدُّعَاءِ قَبْلَ أَنْ يَحْكُمَ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ، وَلِهَذَا قَالَ فِيهِ: وَلَا تُمِتْنِي حَتَّى تُقِرَّ عَيْنِي مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ. فَاسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ، فَلَمَّا حَكَمَ فِيهِمْ، وَأَقَرَّ اللَّهُ عَيْنَهُ أَتَمَّ قَرَارٍ، دَعَا ثَانِيًا بِهَذَا الدُّعَاءِ، فَجَعَلَهَا اللَّهُ لَهُ شَهَادَةً رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. وَسَيَأْتِي ذِكْرُ وَفَاتِهِ قَرِيبًا. إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ عَائِشَةَ مُطَوَّلًا جِدًّا، وَفِيهِ فَوَائِدُ، فَقَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ قَالَ: أَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ قَالَتْ: خَرَجْتُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ أَقْفُو النَّاسَ فَسَمِعْتُ وَئِيدَ الْأَرْضِ وَرَائِي، فَإِذَا أَنَا بِسَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، وَمَعَهُ ابْنُ أَخِيهِ الْحَارِثُ بْنُ أَوْسٍ يَحْمِلُ مِجَنَّهُ. قَالَتْ: فَجَلَسْتُ إِلَى الْأَرْضِ فَمَرَّ سَعْدٌ وَعَلَيْهِ دِرْعٌ مِنْ حَدِيدٍ قَدْ خَرَجَتْ مِنْهَا أَطْرَافُهُ، فَأَنَا أَتَخَوَّفُ عَلَى أَطْرَافِ سَعْدٍ قَالَتْ: وَكَانَ سَعْدٌ مِنْ أَعْظَمِ النَّاسِ وَأَطْوَلِهِمْ، فَمَرَّ وَهُوَ يَرْتَجِزُ وَيَقُولُ: لَبِّثْ قَلِيلًا يُدْرِكِ الْهَيْجَا حَمَلْ ... مَا أَحْسَنَ الْمَوْتَ إِذَا حَانَ الْأَجَلْ
পৃষ্ঠা - ২৯৪৯

তাদের যােদ্ধাদেরকে হত্যা করা হবে, শিশুদেরকে বন্দী করা হবে এবং অর্থ-সম্পদ বণ্টন করা
হবে ৷ হিশাম বলেন যে, আমার পিতা আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুল করীম (সা)
তখন বলেছিলেন তাদের ব্যাপারে তুমি আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী ফায়সালা করেছ ৷

ইমাম বুখারী (র) যাকারিয়া ইবন ইয়াহ্য়া আইশা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, খন্দক
যুদ্ধের দিন হযরত সাদ তীরবিদ্ধ হন ৷ কুরায়শের হিব্বান ইবন আরাকা নামক জনৈক ব্যক্তি তীর
নিক্ষেপ করলে তা তার বাহুর রগে বিদ্ধ হয় ৷ নিকট থেকে তার সেবা--শুশ্রাষা করার জন্য রাসুল
কবীম (সা) মসজিদে একটা র্তাবু স্থাপন করেন ৷ রাসুল করীম (সা) খন্দক যুদ্ধ থেকে প্ৰতাবর্তন
করে অস্ত্র খুলে গোসল করলে মাথা থেকে ধুলা ঝাড়তে ঝাড়তে হযরত জিবৃরাঈল (আ) তার
নিকট আগমন করেন ৷ তিনি বললেন, আপনি অস্ত্র খুলে ফেলেছেন আল্লাহ্র কসম, আমি
এখনো অস্ত্র খুলিনি ৷ আপনি তাদের উদ্দেশ্যে বের হোন ৷ নবী করীম ৷ সা) জানতে চাইলেন,
কে নৃ দিকে ? তিনি বনু কুরায়যা র দিকে ইঙ্গিত করলেন ৷ রাসুল করীম ৷ সা ) বনু কুরায়য৷ অভিমুখে

হযরত সা দের প্রতি ফায়সালার ভার অর্পণ করেন ৷ তিনি বললেন, তাদের ব্যাপারে আমি এ
নির্দেশ দিচ্ছি যে,ত তাদের যােদ্ধাদেরকে হত্যা করা হবে, নারী আর শি ৷শুদেরকে বন্দী করা হবে
এবং তাদের ধন-সম্পদ বিলি বণ্টন করা হবে ৷

বলেন, হযরত আইশা সুত্রে আমার পিতা আমাকে জানান যে, হযরত সাদ ইবন
মু আহত অবস্থায় দৃআ করেছিলেন : হে আল্লাহ! যে জাতি তোমার রাসুলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন
কর্লরেছে এবং তাকে দেশাম্ভরিত করেছে, তাদের তুলনায় এমন কেউ নেই, তোমার নিমিত্ত যার
বিরুদ্ধে জিহাদ করা আমার নিকট বেশী প্রিয় ৷ হে আল্লাহ্! আমি মনে করি যে, তুমি তাদের এবং
আমাদের মধ্যে যুদ্ধকে চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছিয়ে দিয়েছ ৷ কুরায়শের যুদ্ধের কিছু অংশও যদি
অবশিষ্ট থাকেত তবে সে জন্য তুমি আমাকে জীবিত রাখলে, যাতে আমি কেবল তোমারই
উদ্দেশ্যে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে পারি ৷ আর যদি তুমি যুদ্ধের পালা শে ষ করে দিয়ে থাক
তাহলে তুমি আমার আঘাত অব্যাহত রেখে তাতেই আমার শা হাদত তনসীব কর ৷

তার ক্ষতন্থান থেকে রক্তের প্রবাহ অব্যাহত থাকে ৷ তা আর থামলো না ৷ মসজিদে বনু
গিফারের একটা তাবু ছিল, রক্ত সে পর্যন্ত পড়ায় ৷ত তারা বলে, হে তাবু বাসীরা ! তোমাদের দিক
থেকে আমাদের দিকে এটা কী আসছে ? হঠাৎ দেখা গেল যে, সাদের আঘাত থেকে রক্ত
উথলে উঠছে ৷ এদুত ই তার ইনতিকাল হয় ৷ ইমাম মুসলিম (র) আবদুল্লাহ ইবন নুমায়র সুত্রে
হাদীছটি উল্লেখ করেছেন ৷

আমি বলি : বনু কুরায়যার ব্যাপারে প্রথম ফায়সালার পুর্বে হযরত নাম এ দৃআটি
করেছিলেন ৷ এ কারণেই এ দৃআয় তিনি বলেছিলেন, বনুকুরায়যার ব্যাপারে আমার চক্ষু শীতল
হওয়ার পুর্বে তুমি আমাকে মৃত্যু দিয়াে না ৷ আল্লাহ তাআলা তার দৃআ কবুল করেন ৷ হযরত
সাদ যখন বনু কুরায়যার ব্যাপারে ফায়সালা জারী করেন এবং আল্লাহ তাআলাও তার চক্ষু শীতল
করেন ৷ তখন তিনি পুনরায় এ দৃআ করলে আল্লাহ্ তাআলা এ আঘাতকেই তার শাহাদাতের


قَالَتْ: فَقُمْتُ فَاقْتَحَمْتُ حَدِيقَةً، فَإِذَا نَفَرٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَإِذَا فِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَفِيهِمْ رَجُلٌ عَلَيْهِ تَسْبِغَةٌ لَهُ؛ تَعْنِي الْمِغْفَرَ، فَقَالَ عُمَرُ: مَا جَاءَ بِكِ، وَاللَّهِ إِنَّكِ لَجَرِيئَةٌ، وَمَا يُؤْمِنُكِ أَنْ يَكُونَ بَلَاءٌ أَوْ يَكُونَ تَحَوُّزٌ. فَمَا زَالَ يَلُومُنِي حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنَّ الْأَرْضَ انْشَقَّتْ لِي سَاعَتَئِذٍ فَدَخَلْتُ فِيهَا فَرَفَعَ الرَّجُلُ التَّسْبِغَةَ عَنْ وَجْهِهِ، فَإِذَا هُوَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، فَقَالَ: يَا عُمَرُ، وَيْحَكَ، إِنَّكَ قَدْ أَكْثَرْتَ مُنْذُ الْيَوْمِ، وَأَيْنَ التَّحَوُّزُ أَوِ الْفِرَارُ إِلَّا إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ؟ قَالَتْ: وَيَرْمِي سَعْدًا رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ يُقَالُ لَهُ: ابْنُ الْعَرِقَةِ وَقَالَ: خُذْهَا وَأَنَا ابْنُ الْعَرِقَةِ، فَأَصَابَ أَكْحَلَهُ فَقَطَعَهُ، فَدَعَا اللَّهَ سَعْدٌ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا تُمِتْنِي حَتَّى تُقِرَّ عَيْنِي مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ. قَالَتْ: وَكَانُوا حُلَفَاءَهُ وَمَوَالِيَهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَالَتْ: فَرَقَأَ كَلْمُهُ، وَبَعَثَ اللَّهُ الرِّيحَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ، وَكَانَ اللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزًا. فَلَحِقَ أَبُو سُفْيَانَ وَمَنْ مَعَهُ بِتِهَامَةَ، وَلَحِقَ
পৃষ্ঠা - ২৯৫০

কারণ হিসাবে গ্রহণ করেন ৷ মহান আল্লাহ তার প্রতি সভুষ্ট হোন এবং তাকে সভুষ্ট রাখুন ৷ তার
মৃত্যু সম্পর্কে শীঘ্রই আলোচনা আসছে, ইনশাআল্লাহ ৷

ইমাম আহমদ (র) অন্য সুত্রে হযরত আইশা থেকে হাদীছটি বিশুদ্ধভাবে বংনাি করেছেন ৷
তাতে অনেক জ্ঞাতব্য বিষয় রয়েছে ৷ তাতে তিনি য়াযীদ হযরত আইশা সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, খন্দক যুদ্ধের দিন লোকজনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমি বের হই ৷ আমি পেছন থেকে
মাটির ধপধপ আওয়ড়ায শুনতে পাই ৷ হঠাৎ দেখি, সাদ ইবন মুআয় এবং তার সঙ্গে আছেন তার
ভাতিজা হারিস ইবন আওস ৷ তিনি ঢাল ধারণ করে চলছেন ৷ হযরত আইশা (রা) বলেন, আমি
মাটিতে বসে পড়ি ৷ এ সময় হযরত সাদ অতিক্রম করেন ৷ তার পায়ে ছিল লোহার বর্ম ৷ লৌহ
বর্য থেকে তার দেহের পার্শ্বদেশ বেরিয়ে পড়েছিল ৷ আমি তার দেহের খোলা অংশ দেখে ভয়
পাই ৷ হযরত আইশা (বা) বলেন, হযরত সাদ ছিলেন দীর্ঘ দেহী সুপুরুষ ৷ তিনি এ কবিতাটি
আবৃত্তি করতে করতে অগ্রসর হলেন :

এৰু১া৷

একটু থামাে, উট যুদ্ধের নাপাল পাবে ৷ মৃত্যুর সময় যখন ঘনিয়ে আসে তখন তা কতইনা
চমৎকার ৷

হযরত আইশা (রা) বলেন : আমি দাড়ালাম এবং একটা বাগানে প্রবেশ করলাম ৷ সেখানে
ছিলেন একদল মুসলমান ৷ তাদের মধ্যে উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-ও ছিলেন ৷ তাদের মধ্যে
শিরস্ত্রাণধারী এক বক্তিও ছিল ৷ উমর (রা) বললেন, আপনি কেন এখানে এসেছেন ৷ আপনি তো
দুর্দাম্ভ সাহসী দেখছি ৷ বিপদ যে ঘটবে না এ ব্যাপারে আপনি কেমন করে নিশ্চিত হলেন ? অন্য
কিছুওতেড়া যুক্ত হতে পারতে৷ ? এভাবে তিনি আমাকে ভর্যসনা করতে থাকেন ৷ এতে শেষ পর্যন্ত
আমার আকাক্ষে৷ জাগে যদি সে মুহুর্তে মাটি ফেটে যেত এবং আমি তাতে প্রবেশ করতড়াম ৷
শিরস্ত্রড়াণধারী লোকটি শিরস্ত্রাণ সরালে দেখতে পাই যে, তিনি হলেন তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ ৷
তিনি বললেন, হে উমর ! আশ্চর্য, অদ্যাবধি আপনি অনেক বাড়াবাড়ি করেছেন ৷ আশ্রয় আর
পলায়নতে৷ কেবল আল্লাহ্রই দিকে ৷

হযরত আইশা (বা) আরও বলেন : ইবনুল আরাকা নামক কুরায়শের জনৈক ব্যক্তি হযরত
সাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করে ৷ লোকটি বলেছিল এটা লও ! আমি আরাকার পুত্র ৷ তীর তার
দেহের এক পাশের রগে বিদ্ধ হয় এবং এতে রগটি ছিড়ে যায় ৷ তখন হযরত সাদ আল্লাহর নিকট
দৃআ করে বলেন :

হে আল্লাহ ! বনুকুরায়যার ব্যাপারে আমার চক্ষু শীতল না হওয়া পর্যন্ত তুমি আমাকে মৃত্যু
দিয়ো না ৷ হযরত আইশা বলেন, জাহিলী যুগে বনু কুরায়যা ছিল হযরত সাদের মিত্র ৷ তিনি
বলেন, তার আঘাত শুকিয়ে যায় এবং আল্লাহ মুশরিকদের উপর ঝঞা বায়ু প্রেরণ করেন ৷ আর
যুদ্ধে মু’মিনদের জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ আর আল্লাহ মহাশক্তিধর ও পরাক্রমশালী ৷

আবু সুফিযান এবং সঙ্গীরা তিহামায় গিয়ে পৌছে ৷ আর উয়ায়না ইবন বদর এবং তার সঙ্গীরা
নাজদে গিয়ে পৌছে ৷ বনু কুরায়যা প্রত্যাবর্তন করে নিজেদের দৃর্গে আশ্রয় নেয় ৷ আর রাসুল


عُيَيْنَةُ بْنُ بَدْرٍ وَمَنْ مَعَهُ بِنَجْدٍ، وَرَجَعَتْ بَنُو قُرَيْظَةَ فَتَحَصَّنُوا فِي صَيَاصِيهِمْ، وَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَأَمَرَ بِقُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ فَضُرِبَتْ عَلَى سَعْدٍ فِي الْمَسْجِدِ. قَالَتْ: فَجَاءَهُ جِبْرِيلُ وَإِنَّ عَلَى ثَنَايَاهُ لَنَقْعُ الْغُبَارِ، فَقَالَ: أَقَدْ وَضَعْتَ السِّلَاحَ؟ لَا وَاللَّهِ مَا وَضَعَتِ الْمَلَائِكَةُ السِّلَاحَ بَعْدُ، اخْرُجْ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ فَقَاتِلْهُمْ. قَالَتْ: فَلَبِسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَأْمَتَهُ، وَأَذَّنَ فِي النَّاسِ بِالرَّحِيلِ أَنْ يَخْرُجُوا، فَمَرَّ عَلَى بَنِي غَنْمٍ، وَهُمْ جِيرَانُ الْمَسْجِدِ حَوْلَهُ فَقَالَ: " مَنْ مَرَّ بِكُمْ؟ ". قَالُوا: مَرَّ بِنَا دِحْيَةُ الْكَلْبِيُّ وَكَانَ دِحْيَةُ الْكَلْبِيُّ تُشْبِهُ لِحْيَتُهُ وَسِنُّهُ وَوَجْهُهُ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَأَتَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَاصَرَهُمْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً، فَلَمَّا اشْتَدَّ حَصْرُهُمْ وَاشْتَدَّ الْبَلَاءُ، قِيلَ لَهُمُ: انْزِلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَاسْتَشَارُوا أَبَا لُبَابَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُنْذِرِ، فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنَّهُ الذَّبْحُ، قَالُوا: نَنْزِلُ عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «انْزِلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ ".» فَأُتِيَ بِهِ عَلَى حِمَارٍ عَلَيْهِ إِكَافٌ مِنْ لِيفٍ، قَدْ حُمِلَ عَلَيْهِ وَحَفَّ بِهِ قَوْمُهُ، فَقَالُوا: يَا أَبَا عَمْرٍو، حُلَفَاؤُكَ وَمَوَالِيكَ وَأَهْلُ النِّكَايَةِ وَمَنْ قَدْ عَلِمْتَ قَالَتْ: وَلَا يَرْجِعُ إِلَيْهِمْ شَيْئًا، وَلَا يَلْتَفِتُ إِلَيْهِمْ، حَتَّى إِذَا دَنَا مِنْ دُورِهِمُ الْتَفَتَ إِلَى قَوْمِهِ، فَقَالَ: قَدْ آنَ لِي أَنْ لَا أُبَالِيَ فِي اللَّهِ لَوْمَةَ لَائِمٍ -
পৃষ্ঠা - ২৯৫১
قَالَ: قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَلَمَّا طَلَعَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «قُومُوا إِلَى سَيِّدِكُمْ فَأَنْزِلُوهُ» ". قَالَ عُمَرُ: سَيِّدُنَا اللَّهُ - قَالَ: " أَنْزِلُوهُ ". فَأَنْزَلُوهُ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " احْكُمْ فِيهِمْ ". فَقَالَ سَعْدٌ: فَإِنِّي أَحْكُمُ فِيهِمْ أَنْ تُقْتَلَ مُقَاتِلَتُهُمْ، وَتُسْبَى ذَرَارِيُّهُمْ، وَتُقْسَمَ أَمْوَالُهُمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَقَدْ حَكَمْتَ فِيهِمْ بِحُكْمِ اللَّهِ وَحُكْمِ رَسُولِهِ» ". ثُمَّ دَعَا سَعْدٌ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ أَبْقَيْتَ عَلَى نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَرْبِ قُرَيْشٍ شَيْئًا فَأَبْقِنِي لَهَا، وَإِنْ كُنْتَ قَطَعْتَ الْحَرْبَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ، فَاقْبِضْنِي إِلَيْكَ. قَالَتْ: فَانْفَجَرَ كَلْمُهُ، وَكَانَ قَدْ بَرِئَ حَتَّى لَا يُرَى مِنْهُ إِلَّا مِثْلُ الْخُرْصِ، وَرَجَعَ إِلَى قُبَّتِهِ الَّتِي ضَرَبَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ عَائِشَةُ: فَحَضَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ. قَالَتْ: فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنِّي لَأَعْرِفُ بُكَاءَ عُمَرَ مِنْ بُكَاءِ أَبِي بَكْرٍ وَأَنَا فِي حُجْرَتِي، وَكَانُوا كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ} [الفتح: 29] (الْفَتْحِ: 29) قَالَ عَلْقَمَةُ: فَقُلْتُ: يَا أُمَّهْ، فَكَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ؟ قَالَتْ: كَانَتْ عَيْنُهُ لَا تَدْمَعُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ২৯৫২

করীম (সা) মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন ৷ হযরত সাদের জন্য মসজিদে চামড়ার একটা তাবু প্রস্তুত
করার জন্য রাসুল করীম (সা) নিদের্শি দান করেন ৷ হযরত আইশা (রা) আরো বলেন : জিবৃরাঈল
(আ) আগমন করেন ৷ তখন তার সম্মুখে দাতে ধুলা লেগেছিল ৷ তিনি বললেন : আপনি কি অস্ত্র
খুলে ফেলেছেন ? আল্লাহর কসম ! ফেরেশতারা এখনো অস্ত্র থােলেননিঃ ৷ বনু কুরায়যার উদ্দেশ্যে
বেরিয়ে পড়ুন এবং তাদের সঙ্গে লড়াই করুন ৷ এরপর রাসুল করীম (সা) বর্য পরিধান করেন
এবং লোকজনকে বনু কুরায়যড়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ার নির্দেশ দান কৰ্:রন ৷ তিনি বনু গনমের
নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন ৷ আর এরা ছিল মসজিদের আশপাশের প্রতিবেশী ৷ তিনি জিজ্ঞেস
করলেন, কে তোমাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেছে ৷ লোকেরা বললাে, দিহইয়া কালবী ৷ আর
তার দাড়ি র্দাত এবং চেহারা ছিল হযরত জিবৃরাঈল (আ)-এর সাথে সাদৃশ্য পুর্ণ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাদের নিকট আগমন করেন এবং ২৫ দিন পর্যন্ত তাদেরকে অবরোধ করে রাখেন ৷ অবরোধ
যখন তীব্র হয় এবং ওদের ভোগাস্তি চরমে পৌছে, তখন তাদেরকে বলা হয় যে, তোমরা
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ফায়সালা সাপেক্ষে দুর্গ থেকে বেরিয়ে এসো ৷ তারা এ ব্যাপারে আবুলুরাবা
ইবন আবদুল মুনযির এর পরামর্শ চাইলে তিনি ইঙ্গিতে বুঝান যে, জবইি হতে হবে ৷ তারা বলে,
সাদ ইবন মুআয-এর ফায়সালা সাপেক্ষে আমরা বের হবো ৷ তখন রাসুল করীম (সা ) বললেন,
তোমরা সাদ ইবন মুআয-এর ফায়সালা সাপেক্ষে বের হও ৷ সাদ ইবন ঘুআযকে পাধায়
সওয়ার করে আনা হয় ৷ এর পালানাের গদি ছিল থেজুরের ছাল ভর্তি ৷ এর উপরে তাকে আরোহণ
করানো হয় এবং তার চারপাশে লেড়াকজনের ভিড় লেগে যায় ৷ তারা বলে, হে আবু আমৃর ! এরা
তোমার মিত্র ও বন্ধু ৷ এখন তারা বিপদগ্রস্ত ৷ তাদের যে দৃর্পতি , তাতো তোমার অজানা নেই ৷
তিনি তাদের কথার কোন উত্তর দিচ্ছিলেন না এবং তাদের প্রতি ভ্রাক্ষেপও করছিলেন না ৷ তাদের
বাড়ী ঘরের নিকট এসে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, এখন আমার জন্য সময় উপস্থিত
হর্ধয়ছে যে, আমি আল্লাহর ব্যাপারে কোন ভর্ধসনাকারীর ভর্বৃসনার পরওয়া করবো না ৷

হযরত অইিশা (রা) বলেন, আবু সাঈদ বলেছেন : হযরত সাদ উপস্থিত হলে রাসুল করীম





(সা) বললেন :

,;

তোমরা তোমাদের সাইয়েদের (নেতার) প্রতি দাড়াও এবং তাকে নামাও ৷ এসময় হযরত
উমর (রা) বলেন : আমাদের সাইয়েদ তথা মাওলাতো একমাত্র আল্লাহ তাআলাই ৷ রাসুল কয়ীম
(সা) বললেন, তাকে গাধার পিঠ থেকে নামাও ৷ তখন তারা তাকে নামালেন ৷ রাসুল করীম (সা)
বললেন, তুমি তাদের ব্যাপারে ফায়সালা দাও ৷ তখন হযরত সাদ (রা) বলেন, আমি তাদের
ব্যাপারে ফায়সালা দিচ্ছি যে, তাদের যােদ্ধাদেরকে হত্যা করা হবে, সম্ভানদেরকে বন্দী করা হবে
এবং তাদের ধন-সম্পদ বন্টন করা হবে ৷ তখন রাসুল করীম (সা) বললেন : তুমি তাদের মধ্যে
আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী ফায়সালা করেছ ৷ এরপর হযরত সাদ দৃআ করলেন ৷

হে আল্লাহ ! কুরায়শের যুদ্ধের কোন অংশ যদি তুমি অবশিষ্ট রাখ তোমার নবীর জন্য তবে
তুমি সেজন্য আমাকেও বীচিয়ে রেখো, আর যদি তুমি তাদের মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে থাক
তাহলে আমাকে তোমার সান্নিধ্যে তুলে নাও ৷


أَحَدٍ وَلَكِنَّهُ كَانَ إِذَا وَجَدَ، فَإِنَّمَا هُوَ آخِذٌ بِلِحْيَتِهِ وَهَذَا الْحَدِيثُ إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ وَلَهُ شَوَاهِدُ مِنْ وُجُوهٍ كَثِيرَةٍ وَفِيهِ التَّصْرِيحُ بِدُعَاءِ سَعْدٍ مَرَّتَيْنِ؛ مَرَّةً قَبْلَ حُكْمِهِ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ، وَمَرَّةً بَعْدَ ذَلِكَ كَمَا قُلْنَاهُ أَوَّلًا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَسَنَذْكُرُ كَيْفِيَّةَ وَفَاتِهِ وَدَفْنَهُ وَفَضْلَهُ فِي ذَلِكَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ بَعْدَ فَرَاغِنَا مِنَ الْقِصَّةِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ اسْتُنْزِلُوا فَحَبَسَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ فِي دَارِ بِنْتِ الْحَارِثِ - امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ - قُلْتُ: هِيَ نُسَيْبَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ كُرْزِ بْنِ حَبِيبِ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَكَانَتْ تَحْتَ مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ، ثُمَّ خَلَفَ عَلَيْهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ - ثُمَّ خَرَجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى سُوقِ الْمَدِينَةِ فَخَنْدَقَ بِهَا خَنَادِقَ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْهِمْ فَضَرَبَ أَعْنَاقَهُمْ فِي تِلْكَ الْخَنَادِقِ، فَخُرِجَ بِهِمْ إِلَيْهِ أَرْسَالًا، وَفِيهِمْ عَدُوَّ اللَّهِ حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ وَكَعْبُ بْنُ أَسَدٍ رَأْسُ الْقَوْمِ وَهُمْ سِتُّمِائَةٍ أَوْ سَبْعُمِائَةٍ، وَالْمُكَثِّرُ لَهُمْ يَقُولُ: كَانُوا مَا بَيْنَ الثَّمَانِمِائَةِ وَالتِّسْعِمِائَةِ. قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ فِيمَا رَوَاهُ اللَّيْثُ، عَنْ أَبَى الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُمْ كَانُوا أَرْبَعَمِائَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَدْ قَالُوا لِكَعْبِ بْنِ أَسَدٍ وَهُمْ يُذْهَبُ بِهِمْ إِلَى
পৃষ্ঠা - ২৯৫৩
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْسَالًا: يَا كَعْبُ مَا تَرَاهُ يُصْنَعُ بِنَا؟ قَالَ: أَفِي كُلِّ مَوْطِنٍ لَا تَعْقِلُونَ، أَلَا تَرَوْنَ الدَّاعِيَ لَا يَنْزِعُ، وَأَنَّهُ مَنْ ذُهِبَ بِهِ مِنْكُمْ لَا يَرْجِعُ، هُوَ وَاللَّهِ الْقَتْلُ. فَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ الدَّأْبَ حَتَّى فُرِغَ مِنْهُمْ، وَأُتِيَ بِحُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ لَهُ فُقَّاحِيَّةٌ، قَدْ شَقَّهَا عَلَيْهِ مِنْ كُلِّ نَاحِيَةٍ قَدْرَ أُنْمُلَةٍ؛ لِئَلَّا يُسْلَبَهَا، مَجْمُوعَةً يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ بِحَبْلٍ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ مَا لُمْتُ نَفْسِي فِي عَدَاوَتِكَ، وَلَكِنَّهُ مَنْ يَخْذُلِ اللَّهَ، يُخْذَلْ. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ لَا بَأْسَ بِأَمْرِ اللَّهِ، كِتَابٌ وَقَدَرٌ وَمَلْحَمَةٌ كَتَبَهَا اللَّهُ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ. ثُمَّ جَلَسَ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ فَقَالَ جَبَلُ بْنُ جَوَّالٍ الثَّعْلَبِيُّ: لَعَمْرُكَ مَا لَامَ ابْنُ أَخْطَبَ نَفْسَهُ ... وَلَكِنَّهُ مَنْ يَخْذُلِ اللَّهَ يُخْذَلِ لَجَاهَدَ حَتَّى أَبْلَغَ النَّفْسَ عُذْرَهَا ... وَقَلْقَلَ يَبْغِي الْعِزَّ كُلَّ مُقَلْقَلِ وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ الزُّبَيْرِ بْنِ بَاطَا، وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا، وَكَانَ قَدْ مَنَّ يَوْمَ بُعَاثٍ عَلَى ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ وَجَزَّ نَاصِيَتَهُ، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ২৯৫৪

হযরত আইশা (বা) বলেন : তার যখমের ঘা শুকিয়ে গিয়েছিল ৷ সামান্য পরিমাণ বাকী ছিল ৷
তারপর আবার আঘাতের স্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে শুরু করে ৷ এ অবস্থায় তিনি রাসুল
কবীম (সা) নির্মিত র্তাবুতে ফিরে আসেন ৷ হযরত তআইশা (বা) বলেন, মৃত্যুকালে তার কাছে
উপ তছিলেন হযরত আবু বকর এবং হযরত উমর (রা) তিনি আরো বলেন, মুহাম্মাদ
(সা) এর জীবন যে পবিত্র ন্সত্তার হাতে তার শপথ ! আমি আবু বকর ও উমর (রা)-এর ক্রন্দনের
মধ্যে পার্থক্য করেছি ৷ এ সময় আমি আমার হুজরায় ছিলাম ৷ আর তারা ছিলেন যেমন আল্লাহ
বলেছেন : ণ্ধ্( ;ৰু ;(ধ্ পরস্পরে দয়ার্দ্র ৷

আলকামা বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে উম্মুল মুঘিসীন ৷ (এমন সময়) রাসুল কবীম
(সা) কেমন করতে ন ? জবাবে তিনি বলেন? তার চক্ষু কারো জন্য অশ্রু ঝরাতো না; তবে এমন
ক্ষেত্রে তিনি দাড়িতে হাত বুলা(ত ন ৷

এ হাদীছটির সনদ উত্তম এবং এজন্য বিভিন্ন সুত্রের অ(,ষ্নক প্রমাণও রয়েছে ৷ এতে স্পষ্ট
প্রমাণ রয়েছে হযরত সাদের দু’দফা দুআ করার ৷ একবার বনু কুরায়যার ব্যাপারে তার ফায়সালা
করার পুর্বে এবং একবার এরপরে ৷ আমরা ইতিপুর্বেও একথা উল্লেখ করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা
আল্লাহর জন্য ৷ এ কাহিনীর আলোচনা শেষ করার পর তার মৃত্যুর ঘটনা দাফ(নর বৃত্তান্ত এবং
তার ফযীলত ও মর্যাদার বিষয় উল্লেখ করব ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন ং তারপর রাসুল কবীম (তসা) তাদেরকে দুর্গ থেকে (বর করে
মদীনায় বনু ন ৷জ্জারের জনৈক৷ মহিলার বাড়ীতে আটক রাখেন ৷ আমি বলি ? (স মহিলার বংশ
পরিচয় হলো নাসীব৷ বিনতুল হারিস ইবন কুরম ইবন হাবীব ইবন আবৃদ শামস ৷ এ মহিলাটি ছিল
মুসায়লামা কায্যাবের প্রী ! অতঃপর আবদুল্লাহ ইবন আমির ইবন কুরায়যত তাকে বিবাহ করেন ৷
অতঃপর রাসুল কবীম (সা) মদীনায় বাজারের পথে (বর হন এবং সেখানে কয়েকটি পরিখ৷ খনন
করান ৷ এবং সেখানেই তাদের হত্যা করা হয় ৷ এক এক করে তাদেরকে তার নিকট হাযির করা
হয়৷ এদের মধ্যে আল্লাহর দৃশমন হুয়াই ইবন আখতার এবং বনু কুরায়যার সদার কাব ইবন
আসাদও ছিল ৷ যাদেরকে হত্যা করা হয় ত ৷দের স ×খ্যা ছিল ৬ শ বা সাত শ’ ৷ যারা অধিক স ×খ্যা
বলেন, তাদের মতে এ স ×খ্যা ছিল ৮৯ শ র মাঝামাঝি ৷

আমি বলি, ইতিপুর্বে আবুয যুবায়র সুত্রে জাবির বর্ণিত হাদীসে এদের সংখ্যা চারশ বলে
উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুল কবীম (সা) এর দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে জিজ্ঞেস
করা হয়, যে কা’ র আমাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হবে বলে তুমি মনে কর ? সর্বত্রই কি
তোমরা নিধোধ থাকবে ? তোমরা কি দেখতে পাচ্ছ না যে, আহ্বানকারী আসছে না, আর
তোমাদের ম( ধ্য যাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে (স আর ফিরে আসছেনা ৷ আল্লাহ্র কসম, তাভাে
(করল হত্যা ৷ এ অবস্থা অব্যাহত ছিল তাদের হত্যা কার্যক্রম (শষ না হওয়া পর্যন্ত ৷ অবশেষে
হুয়াই ইবন আখতাব(ক হাযির করা হয় ৷ তার পায়ে ছিল মক্শী৷ চ ৷দর ৷ চাদরটি (স চতৃর্সিক থেকে
কয়েক আঙ্গুল পরিমাণ করে ছিড়ে (রখেছিল, যাতে করে (কউ তা গনীমত রুপে ব্যবহার করতে


كَانَ هَذَا الْيَوْمُ أَرَادَ أَنْ يُكَافِئَهُ فَجَاءَهُ فَقَالَ: هَلْ تَعْرِفُنِي يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ؟ قَالَ: وَهَلْ يَجْهَلُ مِثْلِي مِثْلَكَ؟ فَقَالَ لَهُ ثَابِتٌ: أُرِيدُ أَنْ أُكَافِئَكَ فَقَالَ: إِنَّ الْكَرِيمَ يَجْزِي الْكَرِيمَ. فَذَهَبَ ثَابِتٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَطْلَقَهُ؛ فَأَطْلَقَهُ لَهُ، ثُمَّ جَاءَهُ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ: شَيْخٌ كَبِيرٌ لَا أَهْلَ لَهُ وَلَا وَلَدَ فَمَا يَصْنَعُ بِالْحَيَاةِ؟ فَذَهَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَطْلَقَ لَهُ امْرَأَتَهُ وَوَلَدَهُ، فَأَطْلَقَهُمْ لَهُ، ثُمَّ جَاءَهُ، فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: أَهْلُ بَيْتٍ بِالْحِجَازِ لَا مَالَ لَهُمْ، فَمَا بَقَاؤُهُمْ عَلَى ذَلِكَ؟ فَأَتَى ثَابِتٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَطْلَقَ مَالَ الزُّبَيْرِ بْنِ بَاطَا، فَأَطْلَقَهُ لَهُ، ثُمَّ جَاءَهُ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ لَهُ: يَا ثَابِتُ، مَا فَعَلَ الَّذِي كَانَ وَجْهُهُ مِرْآةً صِينِيَّةً تَتَرَاءَى فِيهَا عَذَارَى الْحَيِّ؟ يَعْنِي كَعْبَ بْنَ أَسَدٍ. قَالَ: قُتِلَ. قَالَ: فَمَا فَعَلَ سَيِّدُ الْحَاضِرِ وَالْبَادِي حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ؟ قَالَ: قُتِلَ. قَالَ: فَمَا فَعَلَ مُقَدِّمَتُنَا إِذَا شَدَدْنَا وَحَامِيَتُنَا إِذَا فَرَرْنَا؛ عَزَّالُ بْنُ شَمَوْأَلَ؟ قَالَ: قُتِلَ. قَالَ: فَمَا فَعَلَ الْمَجْلِسَانِ؟ يَعْنِي بَنِي كَعْبِ بْنِ قُرَيْظَةَ وَبَنِي عَمْرِو بْنِ قُرَيْظَةَ قَالَ: ذَهَبُوا قُتِلُوا. قَالَ: فَإِنِّي أَسْأَلُكَ يَا ثَابِتُ بِيَدِي عِنْدَكَ إِلَّا أَلْحَقْتَنِي بِالْقَوْمِ، فَوَاللَّهِ مَا فِي الْعَيْشِ بَعْدَ هَؤُلَاءِ مِنْ خَيْرٍ، فَمَا أَنَا بِصَابِرٍ لِلَّهِ فَيْلَةَ دَلْوٍ نَاضِحٍ حَتَّى أَلْقَى الْأَحِبَّةَ. فَقَدَّمَهُ ثَابِتٌ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ، فَلَمَّا بَلَغَ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ قَوْلُهُ: أَلْقَى الْأَحِبَّةَ. قَالَ: يَلْقَاهُمْ وَاللَّهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا فِيهَا مُخَلَّدًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ " فَيْلَةُ "
পৃষ্ঠা - ২৯৫৫

না পারে ৷ একটি রশি দিয়ে তার হাত দুটি গদনি পর্যন্ত উঠিয়ে বেধে রাখা হয়েছিল ৷ রাসুল করীম
(না)-এর প্ৰতি দৃষ্টি পড়হুতই হুস বহুল উঠে : আল্লাহর কসম, আপনার প্রতি বৈরিতা হুপাষহুণর
জন্যে আমি মোটেই অনুতপ্ত নই ৷ অবশ্য আল্লাহ্ যাকে লাঞ্ছিত ৩করেন সেই লাঞ্ছিত হয় ৷ তারপর
লোকজহুনর দিকে মুখ করে সে বলে৪ হে লোকসকলঅ আল্লাহর নির্দেশে ৷র ব্যাপারে কোন দুঃখ
নেই ৷ ত ৷হুত৷ ভাগ্যলিপি আর মহা হত্যাকান্ড ৷ যা আল্লাহ তা আলা নি ধাবণ করে দিয়েছেন বনী
ইসৃর৷ ঈলদের জন্য ৷ একথা বলার পর সে বসে পড়লে তার মস্তক দ্বিখন্ডিত করা হয় ৷ এ প্রসঙ্গে
করি জাবাল ইবন জা ওয়াল স৷ লাবী বহুলন০ং

fl ’ শ্ণ্

এস্পে

তোমার জীবনের শপথ, হুয়৷ ৷ই নিজেকে তিরস্কার করেনি ৷ কিন্তু আ ল্লাহ্ যাকে লাঞ্ছিত করেন
সেই হয় লাঞ্ছিত

মোঃ দুা’র্ন্ত ;; ১১০চু০ ০এ

সে পুরোপুরি চেষ্টা চা ৷লিয়েহুছন, এমন কি সে৩ তাহুত চেষ্টা ৷র কোন ত্রুটি করেনি ৷ আর ময়দাির
সন্ধানে চেষ্টা চালিয়েহুছ পুরোপুরি ৷

ইবন ইসহাক যুবায়র ইবন বাতার ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ বহুয়াবৃদ্ধ এ লোকটি ভাল হয়ে
গিয়েছিল ৷ বুয়াস যুদ্ধে এ ব্যক্তি ছাৰিত ইবন কায়স ইবন শামাম এর প্রতি ৩অনৃমহ করেছিল ৷ আর
তার মাথায় সম্মুখ ভাগের চুল কেটে দিয়েছিল ৷ এ দিনটিহুত তিনি তাকে প্রতিদান দিবার ইচ্ছা
করেন এবং তিনি যুবায়রের নিকট আগমন করে বলেন : হে আবু আবদুর রহমান ৷ তুমি কি
আমাকে চিনতে প৷ রছ ? সে জবাবে বললাে, আমার মতো মানুষ আপনার মতো মানুষকে তুলতে
পারে ? তখন ছাবি৩ তাকে বলহুলনহ’০ আমি আজ আমার অন্যুাহুহর প্রতিদান দিতে চাই ৷ তিনি

বলহুলন০ মহান ব্যক্তিই মহান ব্যক্তিকে প্রতিদান দিয়ে থাকেন ৷ অতঃপর ছাৰিত রাসুল করীম
(সা) এর নিকট গমন করেত তার কাছে অব্যাহতি চাইলে তিনি তাকে র্মুক্ত করে দেন ৷ এরপর
ছাৰিত তার কাছে গিয়ে তাকে তার মুক্তির সংবাদ জানান ৷ তিনি বলহুলনঘ্র বৃদ্ধ লোক, না আছে
পরিবার, না আছে সন্তান, এমন জীবন নিয়ে যে কী করবে ? তারপর ছ৷ ৩রাসুল করীম
(সা) এর নিকট গিয়ে তার ত্রী এবং সন্তানের জন্য মুক্তি চ৷ ৷ইলে রাসুল করীম (সা) তাদেরকেও
মুক্তি দা ন করলেন ৷ এরপর তিনি যুবায়র এর নিকট উপ ৩হলে সে বললাে, হিজ৷ ৷হুম এবল্টা
পরিবার অর্থ সম্পদ ছাড় ৬াকিভা ৷হুব বেচে থাকবো তখন ছ বি৩ রাসুল করীম (সা) এর নিকট গিয়ে
যুবায়র ইবন বাতার ধন-সম্পদ ফেরত দানের আবেদন জানালে রাসুল করীম (সা)৩ ৷ ৩াও মঞ্জুর
করেন ৷ ছাৰিত ফিরে গিয়ে তাকে এ সংবাদ দিলে সে বলহুলা £ হে ছাৰিত ! যে লোকটির চেহারা
ছিল চীনা আয়না র ন্যায় স্বচ্ছ, যার মধ্য দিয়ে কা ৷ব ইবন আমাদের পরিবারের রমণীদের মুখ দেখা
যেহুতা, তার খবর কি ? তিনি বললেনং হুসহু৩ তা নিহত বৃদ্ধটি ৷ তখন বললাে০ গ্রাম আর শহর সব
অঞ্চলের নেতা হয় ই ইবন আখ৩ যে, তিনি কী করলেন ? বললাম, সে ও নিহত হয়েছে ৷ সে
বলহুলাং : আমরা যুদ্ধে শত্রুর মুখোমুখি হলে যিনি আমাদের অগ্রবর্তী থাকতেন, আর আমরা
পলায়ন করলে যিনি আমাদের সহায়তা করা তন, সেই ইযাল ইবনশ ৷৷মওয়াহুলর খবর কি ? তিনি


بِالْفَاءِ وَالْيَاءِ الْمُثَنَّاةِ مِنْ أَسْفَلَ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: بِالْقَافِ وَالْبَاءِ الْمُوَحَّدَةِ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ النَّاضِحُ: الْبَعِيرُ الَّذِي يَسْتَقِي الْمَاءَ لِسَقْيِ النَّخْلِ. وَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: مَعْنَاهُ إِفْرَاغَةُ دَلْوٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَ بِقَتْلِ كُلِّ مَنْ أَنْبَتَ مِنْهُمْ، فَحَدَّثَنِي شُعْبَةُ بْنُ الْحَجَّاجِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، «عَنْ عَطِيَّةَ الْقُرَظِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَ أَنْ يُقْتَلَ مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ كُلُّ مَنْ أَنْبَتَ مِنْهُمْ، وَكُنْتُ غُلَامًا، فَوَجَدُونِي لَمْ أُنْبِتْ فَخَلَّوْا سَبِيلِي» . وَرَوَاهُ أَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَطِيَّةَ الْقُرَظِيِّ نَحْوَهُ. وَقَدِ اسْتَدَلَّ بِهِ مَنْ ذَهَبَ مِنَ الْعُلَمَاءِ إِلَى أَنَّ إِنْبَاتَ الشَّعْرِ الْخَشِنِ حَوْلَ الْفَرَجِ دَلِيلٌ
পৃষ্ঠা - ২৯৫৬
عَلَى الْبُلُوغِ بَلْ هُوَ بُلُوغٌ فِي أَصَحِّ قَوْلَيِ الشَّافِعِيِّ، وَمِنَ الْعُلَمَاءِ مَنْ يُفَرِّقُ بَيْنَ صِبْيَانِ أَهْلِ الذِّمَّةِ، فَيَكُونُ بُلُوغًا فِي حَقِّهِمْ دُونَ غَيْرِهِمْ؛ لِأَنَّ الْمُسْلِمَ قَدْ يَتَأَذَّى بِذَلِكَ الْمَقْصِدِ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ سَلْمَى بِنْتَ قَيْسٍ أُمَّ الْمُنْذِرِ اسْتَطْلَقَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِفَاعَةَ بْنَ سِمْوَالَ وَكَانَ قَدْ بَلَغَ فَلَاذَ بِهَا، وَكَانَ يَعْرِفُهُمْ قَبْلَ ذَلِكَ، فَأَطْلَقَهُ لَهَا، وَكَانَتْ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ رِفَاعَةَ يَزْعُمُ أَنَّهُ سَيُصَلِّي وَيَأْكُلُ لَحْمَ الْجَمَلِ. فَأَجَابَهَا إِلَى ذَلِكَ فَأَطْلَقَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: لَمْ يُقْتَلْ مِنْ نِسَائِهِمْ إِلَّا امْرَأَةٌ وَاحِدَةٌ قَالَتْ: وَاللَّهِ إِنَّهَا لِعِنْدِي تَحَدَّثُ مَعِي تَضْحَكُ ظَهْرًا وَبَطْنًا، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْتُلُ رِجَالَهَا فِي السُّوقِ، إِذْ هَتَفَ هَاتِفٌ بِاسْمِهَا: أَيْنَ فُلَانَةُ؟ قَالَتْ: أَنَا وَاللَّهِ قَالَتْ: قُلْتُ لَهَا: وَيْلَكِ مَا لَكِ؟ قَالَتْ: أُقْتَلُ. قُلْتُ: وَلِمَ؟ قَالَتْ: لِحَدَثٍ أَحْدَثْتُهُ. قَالَتْ: فَانْطُلِقَ بِهَا فَضُرِبَتْ عُنُقُهَا. وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ: فَوَاللَّهِ مَا أَنْسَى عَجَبًا مِنْهَا؛ طِيبَ نَفْسِهَا وَكَثْرَةَ ضَحِكِهَا، وَقَدْ عَرَفَتْ أَنَّهَا تُقْتَلُ. وَهَكَذَا رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ২৯৫৭

বললেন, সেও নিহত হয়েছে ৷ বৃদ্ধটি জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে বনু কাব ইবন কুরায়যা এবং বনু
আমব ইবন কুরায়যার কী খবর ? ছাবিত বললেন : তারা সকলেই বিদায় নিয়েছেন সকলেই নিহত
হয়েছেন ৷ বৃদ্ধটি তখন বলে উঠলেড়া, হে ছাবিত ৷ তোমার প্রতি আমার যে অনুগ্রহ, তার দােহইি
দিয়ে বলছি ৷ আমাকে আমার লোকজনের সঙ্গে মিলিত করে দাও ৷ আল্লাহর কসম ! এদের পরে
বেচে থাকায় আর কোন মঙ্গল নেই ৷ বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হওয়া ছাড়া আমিতে৷ আর একটুও ধৈর্য
ধারণ করতে পারছিনা ৷ ছাবিত তাকে আগে ঠেলে দিলে তার গদনি দ্বিখন্ডিত করা হয় ৷ বন্ধুদের
সঙ্গে মিলিত হওয়ার কথা হযরত আবু বকর (রা)-এর নিকট <;পাছলে তিনি বলেন : আল্লাহর
কসম , জাহান্নামের আগুনেই তাদের মিলন হবে ৷ সর্বদা সেখানে তারা বাস করবে ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন : ববুকুরায়যার মধ্যে যেসব যুবকে-দু ৷ গোফ-দাড়ি পজিয়েছিল রাসুল
করীম (সা) তাদের সকলকে হত্যা করার নির্দেশ দান করেছিলেন তিনি শুবা ইবন হাজ্জাজ
আতিয়া আল-কারযীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে, বনুকুরায়যাহৃ৷ মধ্যে যাদের থেকে-দাড়ি গজিয়েছে
তাদের সকলকে হত্যা করার নির্দেশ দান করেন ৷ তখন আমি বালক ছিলাম ৷ তারা দেখলো যে,
আমার গোফ-দাড়ি গজায়নি, তাই তারা আমাকে অব্যাহতি দেয় ৷ চারটি সুনান’ গ্রন্থের
ইমামগণও আবদুল মালিক ইবন উমায়র সুত্রে আতিয়া আল-কারযীর বরাতে অনুরুপ হাদীছ বর্ণনা
করেছেন ৷ যেসব আলিমরা বলেন যে, লজ্জাস্থানের চারিপার্শেব সোম পযানাে বালিগ হওয়ার
প্রমাণ, তারা এ হাদীছ দ্বারা প্রমাণ উপস্থাপন করেন ৷ ইমাম শাফিঈ (র)-এর দুটি উক্তির মধ্যে
বিশুদ্ধতম উক্তি অনুযায়ী এটাই হলো সাবালকত্বের প্রমাণ ৷ কোন কোন আলিম যিস্বী শিশুদের
মধ্যে পার্থাং করেন ৷ তাদের মতে, শিশুদের ক্ষেত্রে এটা বালিগ হওয়ার প্রমাণ হিসাবে গৃহীত
হবে, অন্যদের ক্ষেত্রে নয় ৷ কারণ, এ দ্বারা মুসলমানদের ৰিব্রত হওয়ার কারণ ঘটবে ৷

ইবন ইসহাক আইউব ইবন আব্দুর রহমান সুত্রে বংনাি করেন যে, সালমা বিনত কায়স যাকে
উন্মুল মুনযির বলে ডাকা হতে৷ তিনি রাসুল করীম (না)-এর নিকট রিফায়া ইবন শামওয়ালকে মুক্ত
করার জন্য আবেদন জানালে তিনি তা মঞ্জুর করেন ৷ এ সময় তিনি বালিগ ছিলেন ৷ আর রিফায়া
আগে থেকেই তাদেরকে জানতেন ৷ সালমা বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! রিফায়ার ধারণা যে, সে
অচিরেই নামায আদায় করবে এবং উটের গোশত খাবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাতে সম্মতি দিয়ে
রিফায়াকে মুক্ত করে দেন ৷ ইবন ইসহাক মুহাম্মাদ ইবন জাফর আইশা (বা) সুত্রে বলেন,
বনু কুরায়যার মধ্যে কেবল একজন নারীকে হত্যা করা হয় ৷ তিনি বলেন, আল্লাহর কসম, যে
মহিলা আমার সাথে কথা বলছিল প্রাণ খুলে হড়াসছিল ৷ আর এমন সময় রাসুল করীম (না)-এর
নির্দেশে তাদের পুরুষদেরকে বাজারে হত্যা করা হচ্ছিল ৷ এ সময় হঠাৎ তার নাম ধরে ডাকা হয়
হে অঘুকেব কন্যা ৷ সে বললাে, আল্লাহর কসম! আমি যে নারী ৷ তিনি বলেন, আমি তাকে
বললাম , তোমার কী হয়েছে ? সে বললাে, আমি একটি ঘটনা ঘটিয়েছি বলে আমাকে হত্যা করা
হবে ৷ হযরত আইশা (রা) বলেন, তাকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হল ৷ আইশা (বা) প্রায়ই বলতেন,
আল্লাহর কসম ৷ তার এ আশ্চর্য ঘটনাটি আমি কােনদিন তুলতে পারবো না ৷ সে ছিল হাসিথুশী
রমণী; অথচ সে জানতেড়া যে, তাকে হত্যা করা হবে ৷ অনুরুপ ইমাম আহমদ (র) ও ইয়াকুব ইবন
ইব্রাহীম সুত্রে হাদীছটি বংনি৷ করেছেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, এ মহিলাটি খাল্লাদ ইবন সুওরায়দ


الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، بِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: هِيَ الَّتِي طَرَحَتِ الرَّحَا عَلَى خَلَّادِ بْنِ سُوَيْدٍ فَقَتَلَتْهُ. يَعْنِي فَقَتَلَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِ. قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ وَسَمَّاهَا نُبَاتَةَ امْرَأَةَ الْحَكَمِ الْقُرَظِيِّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسَمَ أَمْوَالَ بَنِي قُرَيْظَةَ وَنِسَاءَهُمْ وَأَبْنَاءَهُمْ عَلَى الْمُسْلِمِينَ بَعْدَ مَا أَخْرَجَ الْخُمُسَ، وَقَسَمَ لِلْفَارِسِ ثَلَاثَةَ أَسْهُمٍ، سَهْمَيْنِ لِلْفَرَسِ وَسَهْمًا لِرَاكِبِهِ، وَسَهْمًا لِلرَّاجِلِ، وَكَانَتِ الْخَيْلُ يَوْمَئِذٍ سِتًّا وَثَلَاثِينَ. قَالَ: وَكَانَ أَوَّلَ فَيْءٍ وَقَعَتْ فِيهِ السُّهْمَانُ وَخُمِّسَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَعْدَ بْنَ زَيْدٍ بِسَبَايَا مِنَ بَنِي قُرَيْظَةَ إِلَى نَجْدٍ، فَابْتَاعَ بِهَا خَيْلًا وَسِلَاحًا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২৯৫৮
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِ اصْطَفَى مِنْ نِسَائِهِمْ رَيْحَانَةَ بِنْتَ عَمْرِو بْنِ خُنَافَةَ، إِحْدَى نِسَاءِ بَنِي عَمْرِو بْنِ قُرَيْظَةَ، وَكَانَ عَلَيْهَا، حَتَّى تُوُفِّيَ عَنْهَا وَهِيَ فِي مِلْكِهِ، وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَرَضَ عَلَيْهَا الْإِسْلَامَ فَامْتَنَعَتْ، ثُمَّ أَسْلَمَتْ بَعْدَ ذَلِكَ، فَسُرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِسْلَامِهَا، وَقَدْ عَرَضَ عَلَيْهَا أَنْ يُعْتِقَهَا وَيَتَزَوَّجَهَا، فَاخْتَارَتْ أَنْ تَسْتَمِرَّ عَلَى الرِّقِّ لِيَكُونَ أَسْهَلَ عَلَيْهَا، فَلَمْ تَزَلْ عِنْدَهُ حَتَّى تُوُفِّيَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. ثُمَّ تَكَلَّمَ ابْنُ إِسْحَاقَ عَلَى مَا نَزَلَ مِنَ الْآيَاتِ فِي قِصَّةِ الْخَنْدَقِ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْأَحْزَابِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ مُسْتَقْصًى فِي تَفْسِيرِهَا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَاسْتُشْهِدَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ خَلَّادُ بْنُ سُوَيْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ عَمْرٍو الْخَزْرَجِيُّ، طُرِحَتْ عَلَيْهِ رَحًا فَشَدَخَتْهُ شَدْخًا شَدِيدًا، فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ لَهُ لَأَجْرَ شَهِيدَيْنِ» ". قُلْتُ: كَانَ الَّذِي أَلْقَى عَلَيْهِ الرَّحَا، تِلْكَ الْمَرْأَةُ الَّتِي لَمْ يُقْتَلْ مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ امْرَأَةٌ غَيْرُهَا، كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَمَاتَ أَبُو سِنَانِ بْنُ مِحْصَنِ بْنِ حُرْثَانَ مِنْ بَنِي أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَاصِرٌ بَنِي قُرَيْظَةَ، فَدُفِنَ فِي مَقْبَرَتِهِمُ الْيَوْمَ.
পৃষ্ঠা - ২৯৫৯

-কে যাতায় নিক্ষেপে হত্যা করেছিল ৷ একারণে রাসুল করীম (না) তাকে হত্যা করেন ৷ ইবন
ইসহাক অন্যত্র এ মহিলার নাম উল্লেখ করেছেন নাবাতা বলে ৷ সে ছিল হাকাম আল-কুরয়ীর ত্রী ৷

ইবন ইসহাক আরো বলেন : রাসুল করীম (সা) খুমুস তথা এক পঞ্চমাৎশ বের করার পর
বনু কুরায়যাব সম্পদ, নারী এবং সম্ভানদেরকে মুসলমানদের মধ্যে বন্টন করে দেন ৷ তিনি
অশ্বারােহীর জন্য তিন অংশ দু’ অংশ অশ্বের আর একাৎশ অশ্বারােহীর এবং একাৎশ করে
পদাতিকের দান করেন ৷ তখন অশ্ব ছিল ৩৬ টি ৷ ইবন ইসহাক বলেন, এই প্রথম বারের মতো
গনীমতের মালে দৃই অংশ দান ও খুমুস বা এক-পঞ্চমাংশ সংরক্ষণের রীতি প্রবর্তিত হয় ৷

ইবন ইসহাক আরো বলেন, রাসুল করীম (সা) বনুকুরায়যার বন্দীদ্ভ:দরকে সাযা দিয়ে সাঈদ
ইবন যায়দকে নাজ্বদে প্রেরণ করে তার বিনিময়ে অশ্ব ও অস্ত্র ক্রয় করেন ৷ রাসুল করীম (সা ) বনু
কুরায়যাব নারীদের মধ্যে রায়হানা বিনৃত আমৃর ইবন খানাকাকে নিজের জন্য পসন্দ করেন ৷ এ
মহিলাটি ছিলেন বনু আমৃর ইবন কুরায়যা গোত্রের ৷ তিনি আন্ভ্যু রাসুল করীম (না)-এর
মালিকানাধীন ছিলেন ৷ রাসুল করীম (সা) তার কাছে ইসলাম পোপ করলে তিনি প্রথমে বিরত
থাকেন ৷ পরবর্তীতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ রাসুল করীম (সা) অত্যন্ত আনন্দিত হন ৷ তাকে
মুক্ত করে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলে তিনি রাসুলুল্লাহ্র সুবিধার কথা বিবেচনা করে একজন
দাসীরুপে থাকাই পসন্দ করেন ৷ রাসুল করীম (না)-এর ইনতিকাল পর্যন্ত তিনি তার কাছেই
ছিলেন ৷ তারপর ইবন ইসহাক খন্দক যুদ্ধের কাহিনী প্রসঙ্গে সুরা আহযাবের প্রথম দিকের আয়াত
সম্পর্কে আলোচনা করেন ৷ সুরা আহযাবের তাফসীরে এ বিষয়ে আমরা বিশদ আলোচনা করছি ৷
সমস্ত প্রশংসা আর সভুষ্টি আল্লাহর জন্য ৷

ইবন ইসহাক বলেন : বনু কুরায়যাব যুদ্ধের দিন মুসলমানদের মধ্যে খাল্লাদ ইবন সুওয়ায়দ
ইবন সালাবা ইবন আমৃর আল-খাষ্ৱাজী শাহাদত বরণ করেন ৷ এক মহিলা তার প্রতি যাতা
নিক্ষেপ করলে তিনি প্রচণ্ড আঘাত পান ৷ মুসলমানরা মনে করেন যে, রাসুল করীম (সা)
বলেছেন : হযরত খড়াল্লাদের জন্য রয়েছে দুজন শহীদের পুরস্কার ৷ আমি বলি : প্রস্তর নিক্ষেপকারী
মহিলা ছাড়া বনুকুরায়যার মধ্যে অন্য কোন নারীকে হত্যা করা হয়নি ৷ এ ঘটনা ইতিপুর্বেও উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বনু কুরায়যাব অবরোধকালে আবু সিনান ইবন মিহসান ইবন হুরসান
ইনতিকাল করেন এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয় ৷ ইনি ছিলেন বনুআসাদ ইবন খুযায়মার
লোক ৷ আজও সেখানেই তার কবর রয়েছে ৷

হযরত সা দ ইবন মুআয (রা)-এর ইনতিকাল

পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, অভিশপ্ত হিব্বান ইবন আরিকা সাদ ইবন মুআয (রা) এর
প্রতি তীর নিক্ষেপ করলে তা তার বাহুর প্রধান শিরায় বিদ্ধ হয় ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আগুন
দাণালে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় ৷ এসময় সাদ (রা) আল্লাহর দরবারে দুআ করেন যা ইতিপুর্বে
উল্লিখিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং বনু কুরায়যাব মধ্যেকার চুক্তিসমুহ তারা ভঙ্গ করে এবং
রাসুলুল্লাহ্র বিরুদ্ধে মুশরিক দলের প্রতি ঝুকে পড়ে ৷ সম্মিলিত কাফির বাহিনী যখন দুরে চলে যায়
এবং বনু কুরায়যা কালিমা লিপ্ত বদনে দুনিয়া ও আখিরাতের ক্ষয়ক্ষতিসহ নিজেদের আবাসন্থলে


[وَفَاةُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ] ٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ حِبَّانَ بْنَ الْعَرِقَةِ، لَعَنَهُ اللَّهُ، رَمَاهُ بِسَهْمٍ فَأَصَابَ أَكْحَلَهُ، فَحَسَمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيًّا بِالنَّارِ، فَاسْتَمْسَكَ الْجُرْحُ، وَكَانَ سَعْدٌ قَدْ دَعَا اللَّهَ أَنْ لَا يُمِيتَهُ حَتَّى يُقِرَّ عَيْنَهُ مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ وَذَلِكَ حِينَ نَقَضُوا مَا كَانَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعُهُودِ وَالْمَوَاثِيقِ وَالذِّمَامِ، وَمَالُوا عَلَيْهِ مَعَ الْأَحْزَابِ، فَلَمَّا ذَهَبَ الْأَحْزَابُ وَانْقَشَعُوا عَنِ الْمَدِينَةِ وَبَاءَتْ بَنُو قُرَيْظَةَ بِسَوَادِ الْوَجْهِ وَالصَّفْقَةِ الْخَاسِرَةِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَسَارَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُحَاصِرَهُمْ، كَمَا تَقَدَّمَ، فَلَمَّا ضَيَّقَ عَلَيْهِمْ وَأَخَذَهُمْ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ أَنَابُوا إِلَى أَنْ يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَحْكُمَ فِيهِمْ بِمَا أَرَاهُ اللَّهُ، فَرَدَّ الْحُكْمَ فِيهِمْ إِلَى رَئِيسِ الْأَوْسِ، وَكَانُوا حُلَفَاءَهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَهُوَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ، فَرَضُوا بِذَلِكَ، وَيُقَالُ: بَلْ نَزَلُوا ابْتِدَاءً عَلَى حُكْمِ سَعْدٍ؛ لِمَا يَرْجُونَ مِنْ حُنُوِّهِ عَلَيْهِمْ وَإِحْسَانِهِ وَمَيْلِهِ إِلَيْهِمْ، وَلَمْ يَعْلَمُوا بِأَنَّهُمْ أَبْغَضُ إِلَيْهِ مِنْ أَعْدَادِهِمْ مِنَ الْقِرَدَةِ وَالْخَنَازِيرِ؛ لِشِدَّةِ إِيمَانِهِ وَصِدِّيقِيَّتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ فِي خَيْمَةٍ فِي الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، فَجِيءَ بِهِ عَلَى حِمَارٍ
পৃষ্ঠা - ২৯৬০

ফিরে আসে ৷ ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বনুকুরায়যাকে অবরোধ করার জন্য রাসুল করীম
(সা) তাদের অভিমুখে রওয়ানা হয়েছিলেন ৷ রাসুল করীম (সা) ঘেরাও করে (৩ তাদের জীবন)

ৎকীর্ণ করে তুললে রাসুল করীম (সা) এর নির্দেশাঅনুযায়ী লারা দুর্গ থেকে বেরিয়ে আসতে
সম্মত হয় ৷ অাল্লাহ্র নির্দেশ অনুযায়ী রাসুল করীম (সা) তাদের ব্যাপারে যে নির্দেশা দা ন করবেন ৷
তারা বতা মেনে নিতে রাষী হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের ব্যাপারে ফায়সালা করার দায়িতৃ আওস
গোত্রপতি ৩হযরত সা দের উপর ন্যস্ত করেন ৷ কা রণ, জাহিলী ব্যু; গ আওস গোাত্র ছিল বনুকুরা য়যার
মিত্র পক্ষ ৷ এতে বনু কুরায়যাও সম্মত হয় ৷ আবার কারো রারাে মতে হযরত সা দকে সালিশ
নিযুক্ত করার জন্যে৩ তারইি প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ কারণ, তা বাতারা ?াক্ষ থেকে দয়াও অনৃগ্রহের আশা
পোষণ করতো ৷ কারণ, তার ঈমানের দৃঢ়তা ও সতাবাদীতার আলোকে তারা এমনটি মনে
করতো না যে, তিনি তাদেরকে শুকর আর বানরের চেয়ে নিকৃষ্ট মনে করবেন ৷

সাদ (রা) মসজিদে নববীতে একটা ৩ন্বু৫৩ অ ব স্থু৷ ন কন্হৃছিখেন ৷ রাসুপুল্লাহু (সা) তার নিকট
পয়গায প্রেরণ করলে অসুস্থতা র কারণে তাকে গাধায় সওয়ার করে আনা হয় ৷ আর গাধার পৃষ্ঠের
পালান ছিল নরম গদি বিশিষ্ট ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর তাবুর নিকটবর্তী হলে৩ তিনি উপস্থিত
লোকজনকে তার উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান হওয়ার নির্দেশ দেন ৷ কারো কারো মতে , তার এই
দণ্ডায়মান হওয়া ছিল অসুস্থতার কারণে; আবার কারো কারো মতে এটা ছিল বিবাদীদের দৃষ্টিতে
তার মযাদা প্রকাশের উদ্দেশ্যে ৷ যাতে তার নির্দেশ তাদের কাছে অধিকতর কার্যকর হয় ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

সাদ ইবন মুআয (বা) যখন বনুনযীরের ব্যাপারে হত্যা এবং বন্দী করার হুকুম জারী করেন
এবং আল্লাহ তাআলা তার চক্ষু শীতল এবং অন্তর প্রশান্ত করেন এবং তিনি মসজিদে নববীতে
তার থীমায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সান্নিধ্যে তিনি ফিরে আসেন, তখন তিনি শাহাদত কামনা করে
আল্লাহর নিকট দৃআ করেন ৷ আল্লাহ্ তার মনোবাঞ্চা পুর্ণ করেন ৷ এরপর তার ক্ষতস্থান থেকে
পুনরায় রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে ৷ শেষ পর্যন্ত এর ফলেই তার ইনতিকাল হয় ৷ মহান আল্লাহ তার
প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন ৷

ঐতিহাসিক ইবন ইসহাক বলেন : বনুকুরায়যার বিষয়টি নিষ্পন্ন হলে সাদ ইবন ঘৃআয এর
আঘাত থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং এর ফলে তিনি শাহাদতের মৃত্যু বরণ করেন ৷

ইবন ইসহাক মুআয ইবন রিফাআ আয্-যারকীর সুত্রে নির্ভরযোগ্য রাবীর উদ্ধৃতি দিয়ে
বলেন যে, রাত্রিকালে হযরত সাদ ইনতিকাল করলে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম মাথায় রেশমী
পাগড়ি আগমন করে বলেন ? হে মুহাম্মাদ ! এ মৃত ব্যক্তি কে ? যার জন্য অড়াসমানের দরজা
উন্মুক্ত হয়েছে এবং আরশ প্রকম্পিত হয়েছে ? তিনি বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) চাদর
টানতে হযরত সাদের দিকে দ্রুত গমন করে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান ৷ আল্লাহ
তারঙুপ্ৰতি৩ ৩ষ্ট থাকুন ৷ আর হাফিয বায়হাকী (র) তার দাল লাইল গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, হাফিয
আবুআবদুল্লাহ্ জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেন? জিবরাঈল আল ইহিস সালাম
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট আগমন করে বলেন : মৃত্যুবরণকারী এ নেক্কার ব্যক্তিঢি কে ? যার
জন্য আসমানের দ্বার উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং যার জন্য আরশ প্রকম্পিত হয়েছে ? তিনি বলেন,
৩১








تَحْتَهُ إِكَافٌ قَدْ وُطِّئَ تَحْتَهُ لِمَرَضِهِ، وَلَمَّا قَارَبَ خَيْمَةَ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَنْ هُنَاكَ بِالْقِيَامِ لَهُ، قِيلَ: لِيَنْزِلَ مِنْ شِدَّةِ مَرَضِهِ. وَقِيلَ: تَوْقِيرًا لَهُ بِحَضْرَةِ الْمَحْكُومِ عَلَيْهِمْ؛ لِيَكُونَ أَبْلَغَ فِي نُفُوذِ حُكْمِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَلَمَّا حَكَمَ فِيهِمْ بِالْقَتْلِ وَالسَّبْيِ وَأَقَرَّ اللَّهُ عَيْنَهُ وَشَفَى صَدْرَهُ مِنْهُمْ وَعَادَ إِلَى خَيْمَتِهِ مِنَ الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ صُحْبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دَعَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَكُونَ لَهُ شَهَادَةٌ، وَاخْتَارَ اللَّهُ لَهُ مَا عِنْدَهُ، فَانْفَجَرَ جُرْحُهُ مِنَ اللَّيْلِ، فَلَمْ يَزَلْ يَخْرُجُ مِنْهُ الدَّمُ حَتَّى مَاتَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، فَلَمَّا انْقَضَى شَأْنُ بَنِي قُرَيْظَةَ انْفَجَرَ بِسَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ جُرْحُهُ، فَمَاتَ مِنْهُ شَهِيدًا، حَدَّثَنِي مُعَاذُ بْنُ رِفَاعَةَ الزُّرَقِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ شِئْتُ مِنْ رِجَالِ قَوْمِي أَنَّ جِبْرِيلَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قُبِضَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ، مُعْتَجِرًا بِعِمَامَةٍ مِنْ إِسْتَبْرَقٍ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، مَنْ هَذَا الْمَيِّتُ الَّذِي فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَاهْتَزَّ لَهُ الْعَرْشُ؟ قَالَ: فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيعًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ إِلَى سَعْدٍ فَوَجَدَهُ قَدْ مَاتَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، حَدَّثَنَا أَبِي، وَشُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ قَالَا: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৯৬১
الْهَادِ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَنْ هَذَا الْعَبْدُ الصَّالِحُ الَّذِي مَاتَ فَفُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَتَحَرَّكَ لَهُ الْعَرْشُ؟ قَالَ: فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ قَالَ: فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَبْرِهِ وَهُوَ يُدْفَنُ، فَبَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ إِذْ قَالَ: " سُبْحَانَ اللَّهِ " مَرَّتَيْنِ. فَسَبَّحَ الْقَوْمُ. ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ " فَكَبَّرَ الْقَوْمُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَجِبْتُ لِهَذَا الْعَبْدِ الصَّالِحِ، شُدِّدَ عَلَيْهِ فِي قَبْرِهِ حَتَّى كَانَ هَذَا حِينَ فُرِّجَ لَهُ» . وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ والنَّسَائِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِسَعْدٍ يَوْمَ مَاتَ وَهُوَ يُدْفَنُ: " سُبْحَانَ اللَّهِ لِهَذَا الْعَبْدِ الصَّالِحِ الَّذِي تَحَرَّكَ لَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ، وَفُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ، شُدِّدَ عَلَيْهِ، ثُمَّ فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُعَاذُ بْنُ رِفَاعَةَ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «لَمَّا دُفِنَ سَعْدٌ وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَبَّحَ النَّاسُ مَعَهُ، ثُمَّ كَبَّرَ فَكَبَّرَ النَّاسُ مَعَهُ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مِمَّ سَبَّحْتَ؟ قَالَ: " لَقَدْ تَضَايَقَ عَلَى هَذَا الْعَبْدِ الصَّالِحِ قَبْرُهُ حَتَّى فَرَّجَهُ اللَّهُ عَنْهُ» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ،
পৃষ্ঠা - ২৯৬২


তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হয়ে হযরত সাদ (রা)-এর লাশ দেখতে পান ৷ বাবী বলেন, তার
দাফনের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার কবরের পাশে বলেন ৷ সেখানে বলে তিনি দুবার সুবহানাল্লাহ্
বললে (উপস্থিত) লোকজনও সুবহানাল্লাহ বললেন ৷ এরপর বাসুলুল্লাহ (সা) আল্লাহ আকবার,

আল্লাহ আকবার বললে উপস্থিত লোকজনও আল্লাহ আকবার’ বলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন :

মোঃ

এ নেক্ক৷ র ব্যক্তিটির জন্য আ মি সত্যিই বিস্মিত ৷ কবরে৩ার প্রতিণ্; ক দ্ৰাকডি আরোপ করা
হয় ৷ শেষ পর্যন্ত তার কবর প্রশস্ত করা হলে আ তাকবীর ধ্বনি দ্দেই ৷

ইমাম আহমাদ এবং ইমাম নাসাঈ (র) ইয়াযীদ ইবন আবদুল্লাহ প্রমুখ সুত্রে জাবির (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, সাদ (রা)-এর মৃত্যুর দিন তার দাফনকালে রম্পুলুল্লাহ (সা) বলেন :

এ নেক্ক৷ র লোক্টির জন্য অবাক হতে হয়; যার জন্য দয়াময় আল্লাহ্ তাআলার আরশ
প্ৰকম্পিত হয় এবং আসমানেব দ্ব৷ রসমুহ উন্মুক্ত হয় ৷৩ তার জন্যে কবর সংকীর্ণ করার পর আল্লাহ
তাকে প্রশস্ত করেছেন ৷ ইমাম মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক মু আয ইবন রিফাআ জ৷ ৷বির ইবন
আবদুল্লাহ সুত্রে বর্ণনা করেন ৷

সাদ (রা)-কে যখন দাফন করা হয়, তখন আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সঙ্গে ছিলাম ৷ তখন
তিনি সুবহান ৷ল্লাহ বললে লোকেরাও তার সঙ্গে সুবহ ৷৷নাল্ল হ্ বলেন ৷ অতঃপর তিনি আল্লা হু আকবার
বললে লোকেরাও তার সাথে আল্লাহ আকবার বলেন ৷ তখন উপস্থিত সাহাবীগণ বললেন, ইয়া
রাসুল৷ ল্লাহ! আপনি কী কারণে সুবহানাল্লাহ বললেন ? জবাবে তিনি বললেন, এ নেক্ক৷ র লোকটির
জন্য কবর সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল ৷ শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তার জন্য কবরকে প্রশস্ত করে দেন ৷ ইমাম
আহমদ (র) হযরত সাদের পুত্র ইব্রাহীম সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ইবন হিশাম বলেন, এ
হাদীছের বক্তব্য হযরত অইিশা (রা) থেকে বর্ণিত হাদীছের অনুরুপ ৷ যাতে তিনি বলেন :


রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনং অর্থাৎ কবর একবার চাপ দিবে, যদি কোন ব্যক্তি এ থেকে নিকৃতি
পেতে৷ তা হলে সা দ ইবন মুআয তা অবশ ৷ই পাে৩ ন ৷ ইমাম আহমদ (র) ইয়াহয়া সুত্রে — —
— হযরত আইশ৷ (রা) থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ হযরত আ ৷ইশ ৷৷ (রা) বলেন৪ রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন :

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেনুং : কবরের ছুাপ আছে; তা থেকে কেউ রক্ষা পেলে সা’ দ ইবন মুআয
রক্ষা পেতেন ৷ এ হাদীছটি গ্রন্থদ্বয় বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধ ৷ তবে ইমাম
আহমদ (র) হাদীছটি গুন্দার আইশা (রা) সুত্রেও বর্ণনা করেছেন ৷ হাফিয বায্যার নাফি

সুত্রে ইবন উমর (রা)-এর বরাতেও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ হাফিয বাবযার আবদুল আল৷ সুত্রে
ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :


عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِهِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَمَجَازُ هَذَا الْحَدِيثِ قَوْلُ عَائِشَةَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِلْقَبْرِ ضَمَّةً، لَوْ كَانَ أَحَدٌ مِنْهَا نَاجِيًا لَكَانَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ» . قُلْتُ: وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ لِلْقَبْرِ ضَغْطَةً وَلَوْ كَانَ أَحَدٌ نَاجِيًا مِنْهَا لَنَجَا سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ» وَهَذَا الْحَدِيثُ سَنَدُهُ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ " إِلَّا أَنَّ الْإِمَامَ أَحْمَدَ رَوَاهُ عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ إِنْسَانٍ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَزَّارُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى
পৃষ্ঠা - ২৯৬৩
بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ هَبَطَ يَوْمَ مَاتَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ إِلَى الْأَرْضِ لَمْ يَهْبِطُوا قَبْلَ ذَلِكَ وَلَقَدْ ضَمَّهُ الْقَبْرُ ضَمَّةً» قَالَ: ثُمَّ بَكَى نَافِعٌ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ لَكِنْ قَالَ الْبَزَّارُ: رَوَاهُ غَيْرُهُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ مُرْسَلًا. ثُمَّ رَوَاهُ الْبَزَّارُ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ سَيْفٍ، عَنْ أَبِي عَتَّابٍ، عَنْ مِسْكِينِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ نَزَلَ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ مَا وَطِئُوا الْأَرْضَ قَبْلَهَا» وَقَالَ حِينَ دُفِنَ: «سُبْحَانَ اللَّهِ لَوِ انْفَلَتَ أَحَدٌ مِنْ ضَغْطَةِ الْقَبْرِ لَانْفَلَتَ مِنْهَا سَعْدٌ» . قَالَ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: اهْتَزَّ الْعَرْشُ لِحُبِّ لِقَاءِ اللَّهِ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ. قَالَ: فَقَالَ: إِنَّمَا يَعْنِي السَّرِيرَ.
পৃষ্ঠা - ২৯৬৪

সাদ ইবন মুআয যে দিন ইনতিকা ৷ল করেন সেদিন সত্তর হাজার ফেরেশতা পৃথিবীতের
অবতরণ করেছিলেন যারা ইতিপুর্বে কে ৷নদিন যমীনে অবতরণ করেননি ৷ কবর তাকে এক দফা
চাপ দেয় ৷ এ হাদীছটি বর্ণনা করে রাবী নাফি কাদতে শুরু করেন ৷ এটি একটি উত্তম সনদ ,
তবে বায্যার বলেন যে, উবায়দুল্পাহ্র মাধ্যমে নাফি সুত্রে অন্যরাও মুরসালরুপে হাদীছটি বর্ণনা
করেন ৷ তারপর বাঘৃযার সুলায়মান ইবন সাইফ ইবন উমর সুত্রে বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন :

সাদ ইবন মুআয-এর মৃভ্যুতের ৭০ হাজার ফেরেশতা অবতরণ করেন; যারা ইতিপুর্বে
পৃথিবীতে কােনদিন পদার্পণ করেননি ৷ দাফনকালে তিনি বলেন, সুবহানাল্লাহ্! কবরের আমার আর
চাপ থেকে কেউ মুক্তি গেলে তা পেতেন সাদ ইবন ঘুআয ৷ হাফিয বাঘৃযার ইসমাঈল ইবন
হাফ্স ইবন উমর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, সাদের সঙ্গে আল্লাহর সাক্ষাতের আগ্রহে
(আল্লাহর) আরশ স্পন্দিত হয় ৷ বলা হয় যে, এখানে আরমা অর্থ আসন ৷ কুরআন মজীদে (হযরত
ইউসুফ আ সম্পর্কে) বলা হয়েছে যে, প্রু)৷ ৷ শু,া; ণ্ , ন্ ৷ ,:;“ (তিনি তার পিতামাতাকে
আরশে তোলেন ( ১ ২-ইউসুফ : আয়াত ১০০) এখানেও আরশ অর্থ আসন, রাবী বলেন যে, এতে
আসনের স্তম্ভগুলো আলগা হয়ে যায় ৷ রাবী ইবন উমর (রা) বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাদের
করবে প্রবেশ করে কিছু সময় সেখানে কাটান ৷ তিনি কবর থেকে বেরিয়ে আসলে তাকে জিজ্ঞেস
করা হলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! বিলন্বের হেতু কি ? জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন :

কবরে সাদকে প্রচণ্ড চাপ দেয়া হয় ৷ আমি আল্লাহর নিকট দুঅ৷ করলে তার কবর প্রশস্ত করা
হয় ৷ হাফিয বাঘৃযার বলেন, এ হাদীছের সনদে আতা ইবনৃস সাইব একক রাবী ৷ আমি বলি, তার
সম্পর্কে অনেক সমালোচনা রয়েছে ৷ ইমাম বায়হাকী (র) কবরে হযরত সাদের উপর চাপের
বর্ণনা উল্লেখ করার পর এটিকে গরীব তথা অপ্রসিদ্ধ বর্ণনা বলে মন্তব্য করেছেন ৷ এতে ততিনি
হাফিয আবু আবদৃল্লাহ্র বরাতে ৩আবুল আব্বাস উমাইয়া ইবন আবদুল্লাহ হযরত সা দের
পরিবারের কোন সদস্যকে জিজ্ঞেস করেন এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ ( না) এর কোন উক্তি
আপনাদের নিকট পৌছেছে কি ? তারা বলেন, আমাদেরকে বলা হয়েছে যে, এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি বলেন৪ এটুঠু ৷ ;-,; এএোষ্৷ ৷ ;; ;; ১ ,:;;; ,াবু

তিনি প্রস্তাব শেষে পবিত্রত৷ অর্জনের ব্যাপারে কিছুটা শিথিলতা করতেন ৷ ইমাম বুখারী (র)
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্ন৷ জাবির সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমি নবী করীম (না)-কে বলতে
শুনেছি৪

০০০০০০

স৷ দ ইবন মু আয়ের মৃত্যুতে আরশ প্রকম্পিত হয়েছে ৷ আ মাশ সুত্রে জা ৷বির (রা) থেকে
অনুরুপ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে ৷ তখন জনৈক ব্যক্তি জাবির (রা) কে প্রশ্ন করে তবে যে বারা
ইবন আযিব বলেছেন : ন্ ,৷ ৷ ১গ্রা ৷ আসন প্রকম্পিত হয়েছে ৷ জবাবে জাবির (রা) বললেন,
এ দুই সম্প্রদায় (অর্থাৎ আওস এবং খায্রাজ)-এর মধ্যে রেষারেষি ছিল ৷ আমি নবী করীম
(না)-কে বলতে শুনেছি, সাদ ইবন মুআয এর মৃত্যুতে দয়াময় (আল্লাহ্)-এর আরশ কেপে
উঠেছে ৷ ইমাম মুসলিম এবং ইবন মাজা ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷


{وَرَفَعَ أَبَوَيْهِ عَلَى الْعَرْشِ} [يوسف: 100] (يُوسُفَ: 1) قَالَ: تَفَسَّخَتْ أَعْوَادُهُ. قَالَ: «وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْرَهُ فَاحْتُبِسَ، فَلَمَّا خَرَجَ قِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا حَبَسَكَ؟ قَالَ: " ضُمَّ سَعْدٌ فِي الْقَبْرِ ضَمَّةً، فَدَعَوْتُ اللَّهَ فَكَشَفَ عَنْهُ» قَالَ الْبَزَّارُ: تَفَرَّدَ بِهِ عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ. قُلْتُ: وَهُوَ مُتَكَلَّمٌ فِيهِ. وَقَدْ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ بَعْدَ رِوَايَتِهِ ضَمَّةَ سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي الْقَبْرِ، أَثَرًا غَرِيبًا فَقَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ سَأَلَ بَعْضَ أَهْلِ سَعْدٍ: مَا بَلَغَكُمْ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا؟ فَقَالُوا: «ذُكِرَ لَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: " كَانَ يُقَصِّرُ فِي بَعْضِ الطُّهُورِ مِنَ الْبَوْلِ» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُسَاوِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «سَمِعْتُ النَّبِيَّ
পৃষ্ঠা - ২৯৬৫
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " اهْتَزَّ الْعَرْشُ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ» وَعَنِ الْأَعْمَشِ، حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ، فَقَالَ رَجُلٌ لِجَابِرٍ: فَإِنَّ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ يَقُولُ: اهْتَزَّ السَّرِيرُ. فَقَالَ: إِنَّهُ كَانَ بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَيَّيْنِ ضَغَائِنُ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اهْتَزَّ عَرْشُ الرَّحْمَنِ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ عَمْرٍو النَّاقِدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ، وَابْنُ مَاجَهْ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، كِلَاهُمَا عَنِ الْأَعْمَشِ، بِهِ. وَلَيْسَ عِنْدَهُمَا زِيَادَةُ قَوْلِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ جَابِرٍ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَجِنَازَةُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ: «اهْتَزَّ لَهَا عَرْشُ الرَّحْمَنِ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ عَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ وَالتِّرْمِذِيُّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ غَيْلَانَ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، بِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৯৬৬

ইমাম আহমদ (র) আবদুর রাঘৃযাক সুত্রে ইবন দ্ভ;রোয়জ থেকে বর্ণনা করেন যে , জাবির ইবন
আবদুল্লাহ্কে বলেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছি, এ সময় সাদ ইবন মুআষের
লাশ তাদের সম্মুখে ছিল ৷ সাদ ইবন মুআযের লাশের জন্য দয়াময় আল্লাহর আরশ প্রকম্পিত
হয়েছে ৷ ইমাম মুসলিম (র) আবৃদ ইবন হুমায়দ সুত্রে এবং ইমাম তিরমিযী (র) মাহমুদ ইবন
পায়লান সুত্রে আর উভয়ে আবদুর রায্যাক সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম আহমদ (র)
ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ সুত্রে আবু নায্রার বরাতে বর্ণনা করেন যে , আমি আবু সাঈদকে নবী করীম

উঠে ৷ ইমাম নাসাঈ (র) ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম সুত্রে ইয়াহ্য়ার বরাতে হাদীছটি বর্ণনা করেন ৷
ইমাম আহমদ (র) আবদুল ওয়াহহড়াব সুত্রে আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে এ মর্মে
হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম (র) ও ভিন্ন সুত্রে আবদুল ওয়াহ্হাবের বরাতে হাদীছটি
বর্ণনা করেন ৷ বায়হাকী (রা মুতামির ইবন সুলড়ায়মান হাসান বসঘী (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে ,
সাদ ইবন মুআয এর রুহের আগমনের আনন্দে দয়াময় আল্লাহর ত্ম্যরশ কেপে উঠে ৷ হাফিয
রাঘৃযার (র) যুহায়র ইবন মুহাম্মাদ আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে , হযরত সাদের
লাশ বহন করে আনা হলে বনু কুরায়যার তীর ফয়সালার জন্যে অসন্তুষ্ট মুনাফিকরা বলে উঠে,
কতইনা হালকা তার লাশ, এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-ণ্ক জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, না,
বরং ফেরেশতড়াগণ তার লাশ বহন করছেন ৷ হড়াদীছটির সনদ উত্তম ৷

বুখাবী (র) মুহাম্মাদ ইবন রায্যার আবু ইসহড়াক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমি বারা
ইবন আযিবকে বলতে শুনেছি :

টু,ঠু এদু ঠু’৷ গ্লুট্রুই
বারা ইবন আযিব বলেন, নবী করীম (না)-এর দরবারে একটা রেশমী এক জোড়া কাপড়
উপহার স্বরুপ এলে লোকজন তা স্পর্শ করে এবং তার মসৃণতা দেখে বিম্ময় প্রকাশ করে ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এটা কোমল দেখে তোমরা বিস্মিত বোধ করছ ? সাদ ইবন মুআযের
রুমাল এর চেয়েও উত্তম এবং কোমল ৷ অতঃপর তিনি বলেন, কাতাদা এবং যুহবী হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷ আমরা আনাস (রা) কে নবী করীম (সা) থেকে হাদীছটি বর্ণনা করতে শুনেছি ৷ ইমাম
আহমদ (র) আবদুল ওয়াহ্হাব আনাস ইবন মালিক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, দুমার
উকায়দির নবী করীম (না)-এর দরবারে একটা জুব্বা হাদিয়া স্বরুপ প্রেরণ করেন, আর এটা ছিল
রেশম ব্যবহার হারাম হওয়ার পুর্বের ঘটনা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জুব্বাটি পরিধান করলে লোকেরা
বিস্মিত হয় ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : সে সভার শপথ, র্যার হাতে আমার জীবন, জান্নাতে
সাদের রুমাল এর চাইতে সুন্দর ৷

হাদীছটির সনদ বুখড়ারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী হলেও মুহাদ্দিসগণ হাদীছটি বর্ণনা করেননি ৷
তবে ইমাম বুখারী সাদৰিহীনভাবে হাদীছটি উল্লেখ করেছেন, ইমাম আহমদ (র) ইয়াযীদ


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، حَدَّثَنَا أَبُو نَضْرَةَ، سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اهْتَزَّ الْعَرْشُ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يَحْيَى، بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ سَعِيدٍ، قَالَ قَتَادَةُ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ - وَجِنَازَتُهُ مَوْضُوعَةٌ -: «اهْتَزَّ لَهَا عَرْشُ الرَّحْمَنِ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرُّزِّيِّ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ، بِهِ وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ قَالَ: اهْتَزَّ عَرْشُ الرَّحْمَنِ فَرَحًا بِرُوحِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ২৯৬৭
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «لَمَّا حُمِلَتْ جِنَازَةُ سَعْدٍ قَالَ الْمُنَافِقُونَ: مَا أَخَفَّ جِنَازَتَهُ. وَذَلِكَ لِحُكْمِهِ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ، فَسُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: لَا، وَلَكِنَّ الْمَلَائِكَةَ كَانَتْ تَحْمِلُهُ» إِسْنَادٌ جَيِّدٌ. فَائِدَةٌ: قَالَ الشَّيْخُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: حَدِيثُ اهْتِزَازِ الْعَرْشِ ثَابِتٌ مُتَوَاتِرٌ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: رَوَاهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ؛ مِنْهُمْ جَابِرٌ، وَأَبُو سَعِيدٍ، وَأُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ، وَرُمَيْثَةُ بِنْتُ عَمْرٍو. قَالَ: وَهُوَ مَحْمُولٌ عَلَى الْحَقِيقَةِ؛ لِأَنَّ الْعَرْشَ لَا يَمْتَنِعُ عَلَيْهِ الْحَرَكَةُ وَالِاهْتِزَازُ. قَالَ: وَمَا رُوِيَ عَنْ مَالِكٍ مِنْ تَضْعِيفِهِ لِهَذَا الْحَدِيثِ، وَتَوْهِينِهِ لِلتَّحَدُّثِ بِهِ، فَلَعَلَّهُ لَمْ يَصِحَّ عَنْهُ ذَلِكَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ يَقُولُ: «أُهْدِيَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُلَّةُ حَرِيرٍ، فَجَعَلَ أَصْحَابُهُ يَمَسُّونَهَا، وَيَعْجَبُونَ مِنْ لِينِهَا، فَقَالَ: " أَتَعْجَبُونَ مِنْ لِينِ هَذِهِ، لَمَنَادِيلُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ خَيْرٌ مِنْهَا أَوْ أَلْيَنُ» ثُمَّ قَالَ: رَوَاهُ قَتَادَةُ وَالزُّهْرِيُّ، سَمِعْنَا أَنَسًا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ