আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربع من الهجرة النبوية

غزوة بني لحيان

পৃষ্ঠা - ২৮৩৩

আপনি হলেন আমাদের চুক্তি ও অঙ্গীক৷ ৷রে নেতৃন্থানীয় ব্যক্তি ৷ আপনি ওই নবীর অনুসরণ করলে
আমরাও র্তা র অনুসরণ করব ৷ আপনি ত কে প্রত্যাখ্যান করলে আমরাও প্রত্যাখ্যান করব ৷ আমর
ইবন সৃদ৷ কা র এর মুখোমুখি হল এবং ওদের উভয়ের আলোচনার জের ধরে বলল, হে কা র
ওই নবীর অনুসরণের ব্যাপারে আমার বক্তব্য৩ তাই না আপনি বলেছেন যে, “কারো অনুসরণকা ৷রী
ও অনুষঙ্গী হতে আমার মন চায় না ৷” বায়হ৷ কী (র) এটি বর্ণনা করেছেন ৷

বনু লিহয়ান অভিমুখে অভিযান

বায়হাকী দালাইল গ্রন্থে এ ঘটনাটির উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন ইসহাক (রা) হিশাম সুত্রে যিয়াদ
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, খন্দকের যুদ্ধ এবং বনু কুরায়যার যুদ্ধের পরবর্তী দ্বিতীয় বছরের
জুমাদ৷ ল উলা মাসে এই অভিযান সং ঘটিত ৩হয় ৷ এ বংনািটি বায়হাকীর বংনাি ৷র চা ৷ইতে অধিকতর
গ্রহণযোগ্য ৷ আল্লাহ্ই৩াল জানেন ৷ বায়হাকী বলেন, আবু আবদুর হ — — — আহমদ ইবন
আবদুল জাব্বার প্রমুখ বলেছেন, খুবায়ব (রা )ও তা ৷র সা ৷থিপণের শা হাদতের পর বনুলিহ্য়ান গোত্র
থেকে রক্তপণ উসুল করার দাবী নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা থেকে বের হলেন ৷ বাহ্যত তিনি
সিরিয়ার দিকে যাত্রা করলেন ৷ যাতে কেউ বুঝতে না পারে যে, তিনি মুলত: বনু লিহয়ানের
গোত্রের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন ৷ বনু লিহয়ানের হুযায়লের এলাকায় গিয়ে দেখতে পেলেন যে, ওরা
আক্রমণের আশংকায় সতর্কতাস্বরুপ পাহাড়ের চুড়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৷ এ অবস্থায় রাসুলুরাহ্
(সা) বললেন, এখন আমরা যদি উছফা ৷ন অঞ্চলে অবত তরণ করি তাহলে কুরায়শরা মনে করবে যে,
আমরা মক্কা আক্রমণের উদ্দেশ্যে এসেছি, তিনি ২০০ অশ্বারোহী নিয়ে যা ত্রা করলেন ৷ উছফান
অঞ্চলে এসে তিনি র্তাবু খাটালেন ৷ দু’জন অশ্বারোহীকে তিনি প্রেরণ করলেন ৷ তারা কুরা
আল গামীম অঞ্চলে আসে ৷ত তারপর ফিরে যায় ৷

আবুআইয়াশ যুরাকী বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উছফান নামক স্থানে সালাতুল খাওফ বা
ভয় কালীন নামায আদায় করেছিলেন ৷ ইমাম আহমদ (রা) বলেন, আবদুর রাঘৃযাক — ইবন
আইয়াশ বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে উছফান নামক স্থানে ছিলাম ৷ মুশরিকরা
সেখানে আমাদের মুখোমুখি হয় ৷ ওদের নেতৃত্বে ছিল খালিদ ইবন ওয়ালীদ ৷ আমাদের আর
কিবলা ৷র মধ্যস্থানেত তার৷ অবস্থান করছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আমাদেরকে নিয়ে যুহরের নামায
আদায় করলেন ৷ একই সাথে নামাযরত দেখে মুশরিকগণ বলাবলি করতে লাগলো খনত এমন
একটা সময় ছিল যে, আমরা ওদের উপর অত র্কিতে আক্রমণ করলে ওদেরকে পরাজিত করে
মালপত্র দখল করে নিতে পারতাম,তারা আরো বলল যে, একটু পরে ওদের অপর একটি
নামায়ের সময় আসবে যে নামায ওদের নিকট আ ৷পন প্রাণ এবংঅ আপন পুত্রকন্যার চেয়েও প্রিয় ৷
ওই নামাযে দাড়ালে আমরা ওদের উপর আক্রমণ করব ৷ এই প্রেক্ষাপটে তয়কালীন নামায
সম্পর্কিত কয়েকটি আয়াত নিয়ে যোহর আর আছরের মাঝামাঝি সময়ে হযরত ৩জিবরাঈল (আ )
অবশীর্ণ হলেন ৷ সে আয়াত টি হল, ( ;১াশু৷ ৷ পে৷ ণ্ ণ্স্কএে ণ্ধ্ৰু;ণ্ ;£ ৷ এ ৷ এ) এবং আপনি
যখন ওদের মাঝে অবস্থান করবেন ও তাদের সাথে সালাত কায়েম করবেন তখন তাদের একদল
আপনার সাথে যেন দাড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে ৷ তাদের সিজদা শেষ হলে তারা যেন
আপনাদের পেছনে অবস্থান করে , আর অপর একদল যারা সালাতে শরীক হয়নি তার৷ আপনার

২১ —

[غَزْوَةُ بَنِي لِحْيَانَ] َ الَّتِي صَلَّى فِيهَا صَلَاةَ الْخَوْفِ بِعُسْفَانَ هَاهُنَا ذَكَرَهَا الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ "، وَإِنَّمَا ذَكَرَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ فِيمَا رَأَيْتُهُ، مِنْ طَرِيقِ ابْنِ هِشَامٍ، عَنْ زِيَادٍ عَنْهُ، فِي جُمَادَى الْأُولَى مِنْ سَنَةِ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ بَعْدَ الْخَنْدَقِ وَبَنِي قُرَيْظَةَ وَهُوَ أَشْبَهُ مِمَّا ذَكَرَهُ الْبَيْهَقِيُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَغَيْرُهُ، قَالُوا: «لَمَّا أُصِيبَ خُبَيْبٌ وَأَصْحَابُهُ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَالِبًا بِدِمَائِهِمْ ; لِيُصِيبَ مِنْ بَنِي لِحْيَانَ غِرَّةً، فَسَلَكَ طَرِيقَ الشَّامِ ; لِيُرَيَ أَنَّهُ لَا يُرِيدُ بَنِي لِحْيَانَ حَتَّى نَزَلَ
পৃষ্ঠা - ২৮৩৪
بِأَرْضِهِمْ، فَوَجَدَهُمْ قَدْ حَذِرُوا وَتَمَنَّعُوا فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ أَنَّا هَبَطْنَا عُسْفَانَ لَرَأَتْ قُرَيْشٍ أَنَّا قَدْ جِئْنَا مَكَّةَ. فَخَرَجَ فِي مِائَتَيْ رَاكِبٍ حَتَّى نَزَلَ عُسْفَانَ ثُمَّ بَعَثَ فَارِسَيْنِ حَتَّى جَاءَا كُرَاعَ الْغَمِيمِ، ثُمَّ انْصَرَفَا، فَذَكَرَ أَبُو عَيَّاشٍ الزُّرَّقِيُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِعُسْفَانَ صَلَاةَ الْخَوْفِ.» وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي عَيَّاشٍ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعُسْفَانَ فَاسْتَقْبَلَنَا الْمُشْرِكُونَ، عَلَيْهِمْ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَهُمْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ، فَصَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظَّهْرَ، فَقَالُوا: قَدْ كَانُوا عَلَى حَالٍ لَوْ أَصَبْنَا غِرَّتَهُمْ. ثُمَّ قَالُوا: تَأْتِي عَلَيْهِمُ الْآنَ صَلَاةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ أَبْنَائِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ. قَالَ: فَنَزَلَ جِبْرِيلُ بِهَذِهِ الْآيَاتِ بَيْنَ الظَّهْرِ وَالْعَصْرِ: {وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ} [النساء: 102] قَالَ: فَحَضَرَتْ، فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذُوا السِّلَاحَ، فَصَفَفْنَا خَلْفَهُ صَفَّيْنِ، ثُمَّ رَكَعَ، فَرَكَعْنَا جَمِيعًا، ثُمَّ رَفَعَ فَرَفَعْنَا جَمِيعًا، ثُمَّ سَجَدَ بِالصَّفِّ الَّذِي يَلِيهِ، وَالْآخَرُونَ قِيَامٌ يَحْرُسُونَهُمْ، فَلَمَّا سَجَدُوا وَقَامُوا جَلَسَ الْآخَرُونَ فَسَجَدُوا فِي مَكَانِهِمْ، ثُمَّ تَقَدَّمَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ، وَجَاءَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ. قَالَ: ثُمَّ رَكَعَ فَرَكَعُوا
পৃষ্ঠা - ২৮৩৫

সাথে যেন সালাতে শরীক হয় ৷ এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে ৷ কাফিরগণ কামনা করে
যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্পর্কে অসতর্ক হও, যাতে তারা তোমাদের
উপর ঝাপিয়ে পড়তে পারে ৷ যদি তোমরা বৃষ্টির জন্যে কষ্ট পাও অথচ পীড়িত থাক তবে তোমরা
অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন দোষ নেই ৷ কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে ৷ আল্লাহর
কাফিরদের জন্যে লাঞ্চুনাদায়ক শাস্তি প্ৰন্তুত করে রেখেছেন ৷ (৪ শ্নিসা ঘ্র ১ : ২) ৷ আসর নামায়ের
সময় হলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নির্দেশে সকলে সশস্ত্র অবস্থায় থাবন্বন্থদ্বপ্ন্ণ্৷ ৷ আমরা তার পেছনে
দু’সারিতে দীড়ালাম ৷ তিনি রুকু করলেন আমরা সকলে র্তার সাথে রুকুতে গেলাম ৷ তিনি রুকু
থেকে মাথা তৃললেন ৷ আমরা সকলে মাথা উঠালাম ৷ তিনি ১ম সারিসরু সিজদায় গেলেন ৷ ২য়
সারি সিজদায় গেলনড়া ৷ তারা দাড়িয়ে দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন ৷ ১ম সারি সিজদা থেকে উঠে
দাড়ালেন ৷ ২য় সারি বসে ওদের জায়গায় সিজদা দিলেন ৷ এবার ১ম সারি গেলেন ২য় সারিতে
আর ২য় সারি গেল ১ম সারিতে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দ্বিতীয় রাকঅ্যাংতর জন্যে রুকুতে গেলেন ৷
উভয় সারি রুকুতে গেল ৷ তিনি রুকু থেকে মাথা তৃললেন সকলে মাথা তৃললেন ৷ এরপর
এখনকার ১ম সারি সহ তিনি সিজদায় গেলেন ৷ ২য় সারি দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল ৷ ১ম সারি
সিজদা থেকে উঠে বসল ৷ এবার ২য় সারি বসে সিজদাবনত হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সালাম ফিরিয়ে
নামায শেষ করলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভয়কালীন নামায বা সালাতুল থাওফ
দু’বার পড়েছেন, একবার উছফান অঞ্চলে, আরেকবার বনু সুলায়ম গোত্রে ৷

ইমাম আহমদ (র) জুনদার মানসুর থেকে অনুরুপ বংনাি করেছেন ৷ আবুদাউদ (র)
ও নাসায়ী নিজ নিজ সনদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এই হাদীছের সনদদ বুথাবী ও মুসলিমের
শর্ভে উত্তীর্ণ তবে, তারা এটি উদ্ধৃত করেননি ৷ তবে মুসলিম (র) আবু খায়ছামাহ — — — জাৰির
(বা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সাথী হয়ে জুহায়না
সম্প্রদায়ের একটি গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম ৷ সেখানে উভয় পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷
যথাসময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জামাতের সাথে যুহরের নামায আদায় করেন ৷ এ অবস্থায় কাফিরগণ
বলেছিল , আমরা যদি ওই সময়টুকুতে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়তড়াম তাহলে ওদেরকে ছত্রভঙ্গ ও
পরাজিত করে দিতে পারতাম ৷ তাদের কথোপকথন জিববাঈল (আ) এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
জানিয়ে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা আমাদেরকে অবগত করলেন ৷ তিনি বললেন যে, মুশরিকরা
নিজেদের মধ্যে বলাবনি করেছিল যে, অবিলম্বে মুসলমানদের নিকট আরেকটি নামায়ের সময়,
উপস্থিত হয়ে যে নামায ওদের কাছে নিজ নিজ সন্তান-সম্ভতিদের চাইতেও বেশী প্রিয় ৷ এরপর
হাদীছের অবশিষ্ট অংশ পুর্বের ন্যায় বর্ণনা করেছেন ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী বলেন, হিশাম বর্ণনা করেছেন আবু যুবায়র এর বরাতে জাৰির ইবন
আবদুল্লাহ (বা) থেকে ৷ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক থেজুর বাগানে সাহাবীগণকে নিয়ে
যােহরের নামায আদায় করেছিলেন ৷ মুশরিকরা র্তাদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল ৷
তারপর নিজেরাই বলাবলি করে যে, এ বেলা থাকুক মুসলমানদের আরেকটি নামায আছে এই
নামায়ের পর ৷ সেটি তাদের নিকট নিজেদের সন্তান-সম্ভতি অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় ৷ ওই

নামায়ের সময় আমরা হামলা করব ৷ হযরত জিবরাঈল (আ) অবতীর্ণ হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর


جَمِيعًا، ثُمَّ رَفَعَ فَرَفَعُوا جَمِيعًا، ثُمَّ سَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَالْآخَرُونَ قِيَامٌ يَحْرُسُونَهُمْ، فَلَمَّا جَلَسُوا جَلَسَ الْآخَرُونَ، فَسَجَدُوا ; ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ انْصَرَفَ. قَالَ: فَصَلَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْنِ ; مَرَّةً بِعُسْفَانَ وَمَرَّةً بِأَرْضِ بَنِي سُلَيْمٍ» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ. وَالنَّسَائِيُّ، عَنِ الْفَلَّاسِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ الصَّمَدِ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، وَبُنْدَارٍ، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ مَنْصُورٍ بِهِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ " وَلَمْ يُخْرِجْهُ وَاحِدٌ مِنْهُمَا، لَكِنْ رَوَى مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ أَبِي خَيْثَمَةَ زُهَيْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْمًا مِنَ جُهَيْنَةَ، فَقَاتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَلَمَّا أَنْ صَلَّى الظَّهْرَ قَالَ الْمُشْرِكُونَ: لَوْ مِلْنَا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً لَاقْتَطَعْنَاهُمْ. فَأَخْبَرَ جِبْرِيلُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ، وَذَكَرَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَقَالُوا: إِنَّهُ سَتَأْتِيهِمْ صَلَاةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنَ الْأَوْلَادِ» فَذَكَرَ الْحَدِيثَ كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৮৩৬
عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَصْحَابِهِ الظَّهْرَ بِنَخْلٍ، فَهَمَّ بِهِ الْمُشْرِكُونَ، ثُمَّ قَالُوا: دَعُوهُمْ ; فَإِنَّ لَهُمْ صَلَاةً بَعْدَ هَذِهِ الصَّلَاةِ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ أَبْنَائِهِمْ. قَالَ: فَنَزَلَ جِبْرِيلُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ، فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ الْعَصْرَ، فَصَفَّهُمْ صَفَّيْنِ ; رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، وَالْعَدُوُّ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَبَّرَ وَكَبَّرُوا جَمِيعًا، وَرَكَعُوا جَمِيعًا، ثُمَّ سَجَدَ الَّذِينَ يَلُونَهُ وَالْآخَرُونَ قِيَامٌ، فَلَمَّا رَفَعُوا رُءُوسَهُمْ سَجَدَ الْآخَرُونَ. ثُمَّ تَقَدَّمَ هَؤُلَاءِ وَتَأَخَّرَ هَؤُلَاءِ، فَكَبَّرُوا جَمِيعًا، وَرَكَعُوا جَمِيعًا، ثُمَّ سَجَدَ الَّذِينَ يَلُونَهُ وَالْآخَرُونَ قِيَامٌ، فَلَمَّا رَفَعُوا رُءُوسَهُمْ سَجَدَ الْآخَرُونَ.» وَقَدِ اسْتَشْهَدَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " بِرِوَايَةِ هِشَامٍ هَذِهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْهُنَائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ بَيْنَ ضَجَنَانَ وَعُسْفَانَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ: إِنَّ لِهَؤُلَاءِ صَلَاةً هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَبْنَائِهِمْ - وَهِيَ الْعَصْرُ - فَاجْمَعُوا أَمْرَكُمْ، فَمِيلُوا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً. وَإِنَّ
পৃষ্ঠা - ২৮৩৭

নিকট তা অবহিত করলেন ৷ ফলে তিনি সাহাবীপণকে দু’সারিতে দীড় করিয়ে আসরের নামায
আদায় করলেন ৷ তিনি র্দাড়ালেন সবার সামনে ৷ তার সম্মুখ দিকে শত্রু দল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকবীর-ই তাহরিমা বললেন, সবাই তকবীর বললেন ৷ তিনি রুকু করলেন সবাই রুকুতে
গেলেন ৷ তিনি সিজদায় গেলেন তার সাথে সিজদায় গেল শুধু প্রথম সারি ৷ দ্বিতীয় সারির
লোকজন দাড়িয়ে রইলেন ৷ প্রথম সারি সিজদা থেকে উঠার পর তারা পাহারায় থাকল, ২য় সারি
সিজদায় গেল ৷ এরপর স্থান বদল করে ১ম সারি গেল ২য় সারির স্থানে আর ২য় সারি গেল ১ম
সারির স্থানে ৷ সবাই এক সাথে তাকবীর বলল ৷ সবাই এক সাথে রুকু করল ৷ এরপর এখনকার
১ম সারি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে সিজদায় গেল আর ২য় সারি দাড়িয়ে রইল ৷ সিজদারত সারি
সিজদা শেষে মাথা উঠানাের পর ২য় সারি সিজদায় গেল ৷ বুখড়াবী তার সহীহ গ্রন্থে হিশাম সুত্রে
জাবির (রা ) থেকে বর্ণিত এই হাদীস উল্লেখ করে এর ৷র্দু সালাংচুল খ ওফের ) দলীল পেশ
করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুস সামাদ আবু হুরায়রা (বা ) থেকে বর্ণনা করেন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক সফরে গিয়ে দাজনান ও উছফান স্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী স্থানে র্তাবু খাটালেন ৷
মুশরিকরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল যে, মুসলমানদের এমন একটি নামায আছে যা
তাদের নিকট নিজেদের সত্তানাদি ও তাদের কুমারী কন্যাদের চাইতেও প্রিয়তর ৷ সেটি হল
আসরের নামায ৷ তোমরা প্রস্তুত থাক ৷ ওদের নামাযের সময় একযোগে আক্রমণ চালাবে ৷ এই
পরিস্থিতিতে হযরত জিবরাঈল (আ) এলেন রাসুলুল্লড়াহ্ (সা)-এর নিকট ৷ তিনি সাহাবীপণকে
দৃভাগে ভাগ করিয়ে নামায আদায়ের নির্দেশ দিলেন ৷ এক সারি নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামায আদায়
করবেন ৷ অপর সারি পেছনে দীড়িয়ে পাহারা দেবে ৷ ওরা থাকবে পুর্ণ সতর্ক এবং সাথে থাকবে
অস্ত্রশস্ত্র ৷ ১ম দলের এক রাকঅড়াত শেষে হবার পর ২য় দল নড়ামায়ে এসে র্দাড়াবে রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর সাথে ৷ ১ম দল চলে যাবে ২য় দলের স্থানে এবং পুর্ণ সতর্কতা গ্রহণ ও অস্ত্র-শ্যস্ত্র
সজ্জিত থাকবে ৷ তাহলে প্ররুতব্রক দলের রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে এক রাকআত করে আদায়
করা হবে আর রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হবে দৃরাকআত ৷ (পরে প্রতেব্রক দল নিজেরা এক রাকআত
করে আদায় করে মোট দৃ’রাকআত পুর্ণ করবে) ৷ ইমাম তিরমিযী ও নাসাঈ (র) এই হাদীছ
আবদুস সামাদ থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷ তিরমিযী (বা) বলেছেন, এটি হাসান এবং সহীহ হাদীছ ৷

আমি বলি, বর্ণনাকারী আবু হুরায়রা (রা) যদি উক্ত ঘটনায় উপস্থিত থেকে থাকেন তবে
বলতে হবে যে, এই ঘটনাটি ঘটেছে খায়বার যুদ্ধের পর ৷ নতুবা এটি সাহাবী থেকে বর্ণিত
মুবসড়াল হাদীছ ৷ জমহুর তথা অধিকাৎশ উলামা-ই-কিরামের মতে এ প্রকারের মুবসাল বর্ণনা
দোষাবহ নয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ ইমাম মুসলিমের উদ্ধৃত হযরত জাবির (রা)-এর হাদীছে
এবং আবু দাউদ তড়ায়ালিসীর উদ্ধৃত হাদীছে উছফান অঞ্চলের কথাও নেই থালিদ ইবন ওলীদের
কথাও নেই ৷ তবে স্পষ্ট বুঝা যায় ঘটনা অভিন্ন ৷ তবে বিচার্য বিষয় হল, উছফানের অভিযান
খঃন্দকের যুদ্ধের পুর্বে পরিচালিত হয়েছে না কি পরে পরিচালিত হয়েছে ৷ ইমাম শাফিঈ (ব) প্রমুখ
আলিমপণ বলেছেন যে, সালাতুল থাওফ এর বিধান এসেছে খন্দকের যুদ্ধের পরে ৷ কারণ, খন্দক
যুদ্ধের দিন মুজাহিদগণ যুদ্ধের প্রচণ্ডতার কারণে নির্ধারিত ওয়াক্তের পরে নামায আদায় করেছেন ৷


جِبْرِيلَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَقْسِمَ أَصْحَابَهُ شَطْرَيْنِ، فَيُصَلِّي بِبَعْضِهِمْ، وَتَقُومُ الطَّائِفَةُ الْأُخْرَى وَرَاءَهُمْ وَلِيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ، ثُمَّ تَأْتِي الْأُخْرَى فَيُصَلُّونَ مَعَهُ، وَيَأْخُذُ هَؤُلَاءِ حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ ; لِيَكُونَ لَهُمْ رَكْعَةٌ رَكْعَةٌ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَانِ.» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. قُلْتُ: إِنْ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ شَهِدَ هَذَا، فَهُوَ بَعْدَ خَيْبَرَ وَإِلَّا فَهُوَ مِنْ مُرْسِلَاتِ الصَّحَابِيِّ، وَلَا يَضُرُّ ذَلِكَ عِنْدَ الْجُمْهُورِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَمْ يُذْكَرْ فِي سِيَاقِ حَدِيثِ جَابِرٍ عِنْدَ مُسْلِمٍ وَلَا عِنْدَ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ أَمْرُ عُسْفَانَ وَلَا خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، لَكِنَّ الظَّاهِرَ أَنَّهَا وَاحِدَةٌ. بَقِيَ الشَّأْنُ فِي أَنَّ غَزْوَةَ عُسْفَانَ قَبْلَ الْخَنْدَقِ أَوْ بَعْدَهَا، فَإِنَّ مِنَ الْعُلَمَاءِ - مِنْهُمُ الشَّافِعِيُّ - مَنْ يَزْعُمُ أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ إِنَّمَا شُرِعَتْ بَعْدَ يَوْمِ الْخَنْدَقِ ; فَإِنَّهُمْ أَخَّرُوا الصَّلَاةَ يَوْمَئِذٍ عَنْ مِيقَاتِهَا لِعُذْرِ الْقِتَالِ، وَلَوْ كَانَتْ صَلَاةُ الْخَوْفِ مَشْرُوعَةً إِذْ ذَاكَ، لَفَعَلُوهَا وَلَمْ يُؤَخِّرُوهَا، وَلِهَذَا قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْمَغَازِي: إِنَّ غَزْوَةَ بَنِي لِحْيَانَ الَّتِي صَلَّى فِيهَا
পৃষ্ঠা - ২৮৩৮
صَلَاةَ الْخَوْفِ بُعُسْفَانَ كَانَتْ بَعْدَ بَنِي قُرَيْظَةَ. وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ بِإِسْنَادِهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ قَالَ: «لَمَّا خَرَجَ رسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْحُدَيْبِيَةِ لَقِيَتْهُ بِعُسْفَانَ فَوَقَفْتُ بِإِزَائِهِ وَتَعَرَّضْتُ لَهُ، فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ الظَّهْرَ أَمَامَنَا فَهَمَمْنَا أَنْ نُغِيرَ عَلَيْهِ، ثُمَّ لَمْ يُعْزَمْ لَنَا، فَأَطْلَعَهُ اللَّهُ عَلَى مَا فِي أَنْفُسِنَا مِنَ الْهَمِّ بِهِ، فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ صَلَاةَ الْعَصْرِ صَلَاةَ الْخَوْفِ» . قُلْتُ: وَعُمْرَةُ الْحُدَيْبِيَةِ كَانَتْ فِي ذِي الْقِعْدَةِ سَنَةَ سِتٍّ بَعْدَ الْخَنْدَقِ وَبَنِي قُرَيْظَةَ كَمَا سَيَأْتِي. وَفِي سِيَاقِ حَدِيثِ أَبِي عَيَّاشٍ الزُّرَقِيِّ مَا يَقْتَضِي أَنَّ آيَةَ صَلَاةِ الْخَوْفِ نَزَلَتْ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ يَوْمَ عُسْفَانَ فَاقْتَضَى ذَلِكَ أَنَّهَا أَوَّلُ صَلَاةِ خَوْفٍ صَلَّاهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَنَذْكُرُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، كَيْفِيَّةَ صَلَاةِ الْخَوْفِ وَاخْتِلَافَ الرِّوَايَاتِ فِيهَا فِي كِتَابِ الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.