আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربع من الهجرة النبوية

غزوة الرجيع

পৃষ্ঠা - ২৭৭৯

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্য একটি ক্রীতদাস এবং বিধিমুতাবিক মোট সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ
রেখে দেওয়া হয় ৷ অবশিষ্ট মালামাল অভিযানে অংশ গ্রহণকারী মুজাহিদদের মধ্যে বন্টন করে
দেওয়া হয় ৷ তারপর তারা মদীনায় ফিরে এলেন ৷

উমর ইবন উছমান বলেন, আবদুল মালিক উমর ইবন আবু সালাম৷ (র৷ ) থেকে বর্ণিত যে,
তিনি বলেছেন, উহুদ যুদ্ধে যে কাফিৱ আমার পিতাকে যখন করেছিল যে ছিল আবু উসমাে
জাশামী ৷ প্রায় এক মাস যাবত আমার পিতা ওই যখমের চিকিৎসা করল ৷ তারপর তিনি সুস্থ হয়ে
উঠলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে কতোন এলাকায় প্রেরণ করেন ৷ সময়টি জ্জি ৪র্থ হিজরীর মুহাররাম
মাস ৷ সফর উপলক্ষে দশ দিনের অধিরুহ্মাল তিনি মদীনায় বাহিরে ছিলেন ৷ মদীনায় প্রুত্যাবর্তনের
পর তার ক্ষতস্থান আবার দগদাগ হয়ে উঠে ৷ অবশেষে জুমদোল উলা মাসের তিনদিন অবশিষ্ট
থাকতে তার ইনতিকাল হয় ৷ উমর ইবন আবুসালামা বলেন আমার পিতার মৃত্যুতে আমার যা
যথারীতি ইদ্দত পালন করেন ৷ : মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন্ণ্নর পর রাসুলুল্লাহ্-র সঙ্গে পরিণয়
সুত্রে আবদ্ধ হন ৷ শাওয়াল মাসের শেষ দিকে তাদের বাসর হয় ৷ এ প্রেক্ষিতে আমার মা বলভেন
“শাওয়াল সালে বিয়ে অনুষ্ঠান এবং বাসর উদযাপনে কোন দোষ নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
বিয়ে করেছেন শাওয়াল মাসে এবং ঐ মাসেই আমাদের বাসর হয় ৷ বর্ণনকােরী বলেন, ৫৯ হিজ্জী
সনের যিলকদ-মাসে উম্মু সালমো (রা)-এর ওফাত হয় ৷ বায়হাকী (র) এটি বর্ণনা করেহ্নে৷ ৷ আমি
বলি, ৪র্থ হিজরী সনের শেষের দিকের ঘটনাবলী উল্লেখ করার সময় শাওয়াল মাসে উম্মু সালামার
সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিবাহ এবং এতদৃসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় যেমন মায়ের বিয়েতে পুক্রো
অভিভাবকভু, এ বিষয়ে উলামা-ই কিরামের মতভেদ ইত্যাদি উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ্ ৷

রাজীর লোমহর্ষক ঘটনা

ওয়াকিদী বলেন, এই ঘটনাটি ঘটেছিল : র্থ হিজরী সনের সফর মাসে ৷ রাসুলল্লাহ্ (সা) ওই
জামাআতকে প্রেরণ করেছিলেন মক্কাৰাসীদের প্রতি ৷ রাব্জী হল উছফান থেকে ৮ ম্াইলের
ব্যবধানে অবস্থিত একটি কুয়াে ৷ ইমাম বুখারী (র) বলেন, ইবরাহীম আবু হুরায়রা (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদল গুপ্ত-চর পাঠিয়েছিলেন ৷ তাদের নেতা
মনোনীত করেছিলেন আসিম ইবন ছাৰিতকে ৷ আসিম ইবন ছাবিত ছিলেন আসিম ইবন উমার

বদৃযায়ল গোত্রের এক উপগােত্র বনু লাহয়ান তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয় ৷ ফলে ঐ
গোত্রের প্রায় একশ’ তীরন্দাজ ব্যক্তি ঐ ঘুসলিম জামাআতাক আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে বের হয় ৷
তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে শত্রুপক্ষ অগ্রসর হয় ৷ এক জায়গায় এসে তারা যাত্রা বিরতি করে ৷
সেখানে তারা কতক খেজুর বীঢি দেখতে পায় ৷ তারা বল্মবলি করতে লাগলো ওগুলে৷ তো
দেখছি মদীনায় খেজুর ৷ সফরের খাদ্য হিসেবে আসিম (বা ) ও তার সাথীরা সেগুলো সঙ্গে
এসেছিলেন ৷ দ্রুত বো:গ তারা ঐ জামলোতের পশ্চাদ্ধাবন করে ৷ তারা তাদের কাছে পৌছে
পেল ৷ আসিম ও তার সাথিগণ উপায়ান্তর না দেখে ফদ ফদ নামক একটি উচু টিলায় উঠে যায় ৷
শত্রুপক্ষ তাদেরকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে ৷ ওরা বলল, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে তোমরা
যদি আমাদের নিকট আত্মসমর্পণ কর ৷ তার আমরা তোমাণ্দর কাউকে হত্যা করব না ৷ ষ্লেনেতা


[غَزْوَةُ الرَّجِيعِ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَتْ فِي صَفَرٍ - يَعْنِي سَنَةَ أَرْبَعٍ - بَعَثَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ لِيُخْبِرُوهُ. قَالَ: وَالرَّجِيعُ عَلَى سَبْعَةِ أَمْيَالٍ مِنْ عُسْفَانَ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي سُفْيَانَ الثَّقَفِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً عَيْنًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَاصِمَ بْنَ ثَابِتٍ، وَهُوَ جَدُّ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَانْطَلَقُوا حَتَّى إِذَا كَانُوا بَيْنَ عُسْفَانَ وَمَكَّةَ ذُكِرُوا لِحَيٍّ مِنْ هُذَيْلٍ يُقَالُ لَهُمْ: بَنُو لِحْيَانَ. فَتَبِعُوهُمْ بِقَرِيبٍ مِنْ مِائَةِ رَامٍ، فَاقْتَصُّوا آثَارَهُمْ، حَتَّى أَتَوْا مَنْزِلًا نَزَلُوهُ فَوَجَدُوا فِيهِ نَوَى تَمْرٍ تَزَوَّدُوهُ مِنَ الْمَدِينَةِ فَقَالُوا: هَذَا تَمْرُ يَثْرِبَ. فَتَبِعُوا آثَارَهُمْ حَتَّى لَحِقُوهُمْ، فَلَمَّا انْتَهَى عَاصِمٌ وَأَصْحَابُهُ لَجَئُوا إِلَى فَدْفَدٍ، وَجَاءَ الْقَوْمُ فَأَحَاطُوا بِهِمْ، فَقَالُوا: لَكُمُ الْعَهْدُ وَالْمِيثَاقُ إِنْ نَزَلْتُمْ
পৃষ্ঠা - ২৭৮০

আসিম (রা) বললেন আমি কখনো কাফিরের হাতে অব্লেসমর্পণ করব না ৷ হে আল্লাহ্ ৷ আমাদের
এই সংকটপুর্ণ অবস্থা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অবগত করিয়ে দিন ৷ এরপর তারা কাফিরদের
সাথে যুদ্ধ শুরু করেন ৷ দলনেতা আসিম (রা)সহ ৭ জন সাহাৰী কাফিরদের হাতে ৩হনি ত হন ৷
খুবায়ব, যায়দ ও অন্য একজন ৷লাক বেচে গেলেন ৷ তারা কাফিরদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে
আত্মসমর্পণ করেন ৷ কাফিরেরা যখন সাহাবী তিনজনফে পুর্ণ কাবুতে পেয়ে পেল তখন তারা
তাদের ধনুকের ছিলা দিয়ে তাদেরকে বেধে ;ফলে ৷ তখন তৃতীয় ব্যক্তি বললেন, এটি হচ্ছে প্রথম
বিশ্বাস ঘাত কতা ৷ তিনি ওদের সাথে যেতে ৩অস্বীকার করেন ৷ ওরা জোর জবরদস্তি করে নিয়ে
যেতে চায় ৷ তিনি যেতে অস্বীকার করেন ৷ শেষ পর্যন্ত তারা তাকে শহীদ করে দেয় ৷ যায়দ (রা)
ও খুবায়ব (রা)-কে নিয়ে তারা যাত্রা করে ৷ মক্কায় পৌছে তারা তাদের দু’জনকে বিক্রি করে
দেয় ৷ হারিছ ইবন আমিরের পুত্রেরা হযরত খুবায়ব (রা) কে কিনে নেয় ৷ বদর দিবসে তিনি
হারিছকে হত্যা করেছিলেন ৷ বন্দী অবস্থায় খুবায়ব (রা) তাদের নিকট রইলেন ৷ শেষ পহন্তি তারা
যখন তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিল তখন হারিছের এক মহিলার নিকট থেকে তিনি ন্বেচীর কর্ম
সম্পাদনের জন্যে একটি ক্ষুর চেয়ে নেন ৷ মইিলাঢি তাকে একটি ক্ষুর দেয় ৷ মহিলাটির অসতর্ক
মহুর্তে তার এক শিশু পুত্র খুবায়বের (রা) কাছে পৌছে যায় ৷ তিনি শিংটিকে কোলে তুলে নেন ৷
মহিলাটি বলে শিশুর এই অবস্থান দেখে আমি খুবই বিচলিত হয়ে পড়ি, খৃরায়ব (বা) তা আচ
করতে পারলেন ৷ তখনও তার হাতে ক্ষুর ৷ তিনি বললেন, তুমি কি ভয় পচ্ছে যে, আমি ওকে খুন
করব ? আমি ইনশাআল্লাহ্ তা করব না ৷ হারিছের কন্যা প্রায়ই বলত যে, খুবায়ব (রা)এব চাইতে
ভদ্র কোন বন্দী আমি কখনো দেখিনি ৷ আমি তাকে দেখেছি যে তিনি আঙ্গুর ছড়া থেকে আঙ্গুর
খাচ্ছেন অথচ তখন মক্কায় আঙ্গুরের মওসুম ছিল না ৷৩ তদুপরি তিনি লোহার শিকলে বাধা, ছিলেন ৷
নিশ্চয়ই ওই আঙ্গুর ছিল তার জন্যে আল্পাহ্র পাঠানো বিশেষ রিবৃক স্বরুপ ৷ হত্যার উদ্দে;শ্য তারা
তাকে হারাম শরীফের বাইরে নিয়ে যায় ৷ তিনি বললেন, আমাকে দু’ রাকআত নামায আদায়
করার সুযোগ দাও ৷ পরে তিনি তাদের নিকট ফিরে এলেন ৷ তিনি বললেন, তোমরা ধারণা করবে
যে, আমি মৃত্যুর ভয়ে দীর্ঘ নামায আদায় করছি এরুপ আশংকা না থাকলে আমি নামায আরও
দীর্ঘ্যয়িত করত আম ৷ নতুবা নিহত হওয়ার পুর্বে দৃ ’রাকআত নামায আদায় করার রীতি সর্ব প্রথম
তিনিই চালু করেন ৷ তিনি বললেন :



হে আল্লাহু! আপনি ওদেরকে জান জান গুণে রাখুন এবং ওদের প্রতোককে ধ্বংস করুন
তারপর তিনি বললেন :

;ঠুঠু ধ্া৷ ৷ ১

যখন মুসলিম অবস্থায় আমি নিহত হচ্ছি তখন আমার কোন পভ্রুরায়া নেই যে, কোন পাশে
কাত থাকা অবস্থায় আমার মৃত্যু হলো ৷



إِلَيْنَا ; أَلَّا نَقْتُلَ مِنْكُمْ رَجُلًا. فَقَالَ عَاصِمٌ: أَمَّا أَنَا فَلَا أَنْزِلُ فِي ذِمَّةِ كَافِرٍ، اللَّهُمَّ أَخْبِرْ عَنَّا رَسُولَكَ. فَقَاتَلُوهُمْ حَتَّى قَتَلُوا عَاصِمًا فِي سَبْعَةِ نَفَرٍ بِالنَّبْلِ، وَبَقِيَ خُبَيْبٌ، وَزَيْدٌ وَرَجُلٌ آخَرُ، فَأَعْطَوْهُمُ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ، فَلَمَّا أَعْطَوْهُمُ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ، نَزَلُوا إِلَيْهِمْ، فَلَمَّا اسْتَمْكَنُوا مِنْهُمْ، حَلُّوا أَوْتَارَ قِسِيِّهِمْ فَرَبَطُوهُمْ بِهَا، فَقَالَ الرَّجُلُ الثَّالِثُ الَّذِي مَعَهُمَا: هَذَا أَوَّلُ الْغَدْرِ. فَأَبَى أَنْ يَصْحَبَهُمْ، فَجَرُّوهُ وَعَالَجُوهُ عَلَى أَنْ يَصْحَبَهُمْ فَلَمْ يَفْعَلْ، فَقَتَلُوهُ، وَانْطَلَقُوا بِخُبَيْبٍ، وَزَيْدٍ حَتَّى بَاعُوهُمَا بِمَكَّةَ فَاشْتَرَى خُبَيْبًا بَنُو الْحَارِثِ بْنُ عَامِرِ بْنِ نَوْفَلٍ وَكَانَ خُبَيْبٌ هُوَ قَتَلَ الْحَارِثَ يَوْمَ بَدْرٍ فَمَكَثَ عِنْدَهُمْ أَسِيرًا، حَتَّى إِذَا أَجْمَعُوا قَتْلَهُ، اسْتَعَارَ مُوسًى مِنْ بَعْضِ بَنَاتِ الْحَارِثِ لِيَسْتَحِدَّ بِهَا فَأَعَارَتْهُ. قَالَتْ: فَغَفَلْتُ عَنْ صَبِيٍّ لِي، فَدَرَجَ إِلَيْهِ حَتَّى أَتَاهُ، فَوَضَعَهُ عَلَى فَخِذِهِ، فَلَمَّا رَأَيْتُهُ فَزِعْتُ فَزْعَةً عَرَفَ ذَلِكَ مِنِّي، وَفِي يَدِهِ الْمُوسَى، فَقَالَ أَتَخْشَيْنَ أَنْ أَقْتُلَهُ؟ مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ ذَاكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَكَانَتْ تَقُولُ: مَا رَأَيْتُ أَسِيرًا قَطُّ خَيْرًا مِنْ خُبَيْبٍ، لَقَدْ رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ مِنْ قَطْفِ عِنَبٍ، وَمَا بِمَكَّةَ يَوْمَئِذٍ مِنْ ثَمَرِهِ، وَإِنَّهُ لَمُوثَقٌ فِي الْحَدِيدِ، وَمَا كَانَ إِلَّا رِزْقًا رَزَقَهُ اللَّهُ. فَخَرَجُوا بِهِ مِنَ الْحَرَمِ لِيَقْتُلُوهُ، فَقَالَ: دَعَونِي أُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ. ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ: لَوْلَا أَنْ تَرَوْا أَنَّ مَا بِي جَزَعٌ مِنَ الْمَوْتِ لَزِدْتُ. فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَنَّ الرَّكْعَتَيْنِ عِنْدَ الْقَتْلِ هُوَ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ أَحْصِهِمْ عَدَدًا، وَاقْتُلْهُمْ بِدَدًا. ثُمَّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ২৭৮১
وَلَسْتُ أُبَالِي حِينَ أُقْتَلُ مُسْلِمًا ... عَلَى أَيِّ شِقٍّ كَانَ فِي اللَّهِ مَصْرَعِي وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الْإِلَهِ وَإِنَّ يَشَأْ ... يُبَارِكْ عَلَى أَوْصَالِ شِلْوٍ مُمَزَّعِ قَالَ: ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ عُقْبَةُ بْنُ الْحَارِثِ فَقَتَلَهُ، وَبَعَثَتْ قُرَيْشٌ إِلَى عَاصِمٍ ; لِيُؤْتَوْا بِشَيْءٍ مِنْ جَسَدِهِ يَعْرِفُونَهُ، وَكَانَ عَاصِمٌ قَتَلَ عَظِيمًا مِنْ عُظَمَائِهِمْ يَوْمَ بَدْرٍ فَبَعْثَ اللَّهُ عَلَيْهِ مِثْلَ الظُّلَّةِ مِنَ الدَّبْرِ، فَحَمَتْهُ مِنْ رُسُلِهِمْ، فَلَمْ يَقْدِرُوا مِنْهُ عَلَى شَيْءٍ» ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: الَّذِي قَتَلَ خُبَيْبًا هُوَ أَبُو سِرْوَعَةَ. قُلْتُ: وَاسْمُهُ عُقْبَةُ بْنُ الْحَارِثِ، وَقَدْ أَسْلَمَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَلَهُ حَدِيثٌ فِي الرَّضَاعِ، وَقَدْ قِيلَ إِنَّ أَبَا سِرْوَعَةَ، وَعُقْبَةَ أَخَوَانِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. هَكَذَا سَاقَ الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ الْمَغَازِي مِنْ " صَحِيحِهِ " قِصَّةَ أَصْحَابِ
পৃষ্ঠা - ২৭৮২

আমার মৃত্যুভাে হচ্ছে আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্যে ৷ তিনি চাইলে আমার খণ্ড
বিখণ্ড দেহের প্রতিটি জোড়ায় জোড়ায় প্রতিটি সংযোগ স্থলে বরকত দিবেন ৷ এরপর উকবা ইবন
হারিছ তার দিকে এগিয়ে যায় এবং তাকে হত্যা করে ৷ বর্ণিত আছে যে কুরায়শের লোকেরা
প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল যাতে তারা চিনতে পারে আসিমের (বা) শরীরের এমন কোন অংশ নিয়ে
আসার জন্যে ৷ কারণ হযরত আসিম (রা) ওদের খ্যাতিমান এক বেতাকে বদর দিবসে হত্যা
করেছিলেন ৷ এখন তার শরীরের অংশের অবমাননা করে তার প্রতিশোধ নেয়া ছিল তাদের
উদ্দেশ্য ৷ জ্যি তার পবিত্র দেহকে ওদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে আল্লাহ্ তাআলা মেঘের
ন্যায় এক ঝাক মৌমাছি পাঠিয়ে দিলেন ৷ মৌমাছি গুলো চারিদিক থেকে তাকে ঘিরে রেখে
ওদের হাত থেকে তার দেহকে রক্ষা করে ৷ তারা তার দেহ স্পর্শ-ই করতে পারেনি ৷

বুখারী বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ (রা)
বলতেন যে, খুবায়ব (না)-কে হত্যা করেছিল কাফির আবু সারােআ ৷ আমি বলি, তার নাম
উকবা ৷ সে হারিছের পুত্র ৷ অবশ্য পরে সে ইসলাম গ্রহণ করেছিল ৷ “দুধ পান বিষয়ে তার
বর্ণিত একটি হাদীছও রয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, আবু সাষ্করাআ আর উকবা দুজন সহােদর
ভইি ছিলেন ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷ বুখারী (র) তার সহীহগ্রন্থে মাগাযী অধ্যায়ে রাব্জী এর ঘটনা
এভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি এই ঘটনাটি তাওহীদ অধ্যায়ে এবং জিহাদ অধ্যায়ে যুহ্রী জ্যি
ভিন্ন সুত্রে উল্লেখ করেছেন ৷ তার একটি ভাষ্য এই : রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১০ জনের একটি গুপ্তচর
দল প্রেরণ করেছিলেন ৷ তাদের নেতা মনোনীত করেছিলেন আসিম ইবন ছাবিত ইবন আবু
আফ্ফাহ্বহ্কে ৷ অবশিষ্ট বর্ণনা পুংর্বর ন্যায় ৷ বর্ণনার কোন কোন অংশে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক, মুসা
ইবন উক্বা এবং উরওয়া ইবন যুৰায়র দ্বিমত পোষণ করেছেন ৷ উভয় প্রকারের বর্ণনার মধ্যে
কতটুকু তারতম্য ও ব্যবধান রয়েছে তা স্পষ্ট করার জন্যে আমরা ইবন ইসহাকের বর্ণনাটিও
উল্লেখ করব ৷ কারণ, ইতিহাস বিষয়ে ইবন ইসহাক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি এবং অপ্রতিদ্বন্দী ৷ যেমন
ইমাম শাফিঈ (র) বলেছেন, মাগাযী বা যুদ্ধ শাগ্রে যে পযাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে চায় সে নিশ্চয়ই
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের মুখাপেক্ষী ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেছেন, আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা আমাদের নিকট বলেছেন
যে উহুদ যুদ্ধের পর আমল ও কারাহ গোত্রদ্বয়ের কতক লোক রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন
করে ৷ তারা বলে, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ষ্ আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ আপনি আপনার সাহাবীদের
মধ্য থেকে একলে লোক আমাদের সাথে পাঠিয়ে দিন যারা আমাদেরকে দীনের জ্ঞান দান করবে,
কুরআন শিক্ষা দেবেন এবং ইসলামের বিধানাবলী সম্পর্কে আমাদেরকে অবহিত করবেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ছয়জন সাহাৰী (রা)ণ্কে তাদের সাথে প্রেরণ করলেন ৷ তারা হলেন (১)
মারছাদ ইবন আবু মারছাদ পানাবী (রা), ইনি হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিবের মিত্র ছিলেন ; ইবন
ইসহাকের মতে ইনি ছিলেন দলনেতা ৷ (২) খালিদ ইবন বৃকায়র লইিহী (রা), তিনি বনু আদী
গোত্রের মিত্র ৷ (৩) আদিম ইবন ছাবিত ইবন আবুল আফলাহ (রা) ৷ ইনি বনু আমর ইবন আওফ
গোত্রের ণ্লাক ছিলেন ৷ (৪) খুবায়ব ইবন আদী (রা), ইনি বনু আহ্জাবাঈ ইবন কালফা ইবন
আমর ইবন আওফ গোত্রের লোক ছিলেন ৷ (৫) যায়দ ইবন দাছিন্ন৷ (বা), তিনি বনু বিয়াদা ইবন


الرَّجِيعِ وَرَوَاهُ أَيْضًا فِي التَّوْحِيدِ وَفِي الْجِهَادِ، مِنْ طُرُقٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ أَسِيدِ بْنِ جَارِيَةَ الثَّقَفِيِّ حَلِيفِ بَنِي زُهْرَةَ وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: عُمَرُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ. وَالْمَشْهُورُ عَمْرٌو. وَفِي لَفْظٍ لِلْبُخَارِيِّ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَةَ رَهْطٍ سَرِيَّةً عَيْنًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَاصِمَ بْنَ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ» وَسَاقَ نَحْوَهُ. وَقَدْ خَالَفَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فِي بَعْضِ ذَلِكَ، وَلْنَذْكُرْ كَلَامَ ابْنِ إِسْحَاقَ ; لِيُعَرَفَ مَا بَيْنَهُمَا مِنَ التَّفَاوُتِ وَالِاخْتِلَافِ، عَلَى أَنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ إِمَامٌ فِي هَذَا الشَّأْنِ، وَغَيْرُ مُدَافَعٍ، كَمَا قَالَ الشَّافِعِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: مَنْ أَرَادَ الْمَغَازِي فَهُوَ عِيَالٌ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ: قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ أُحُدٍ رَهْطٌ مِنْ عَضَلٍ وَالْقَارَةِ، فَقَالُوا:
পৃষ্ঠা - ২৭৮৩

আমির গোত্রের লোক ছিলেন ৷ (৬) আবদুল্লাহ্ ইবন তারিক (বা) ইাৰুন যাফর ৷গাংত্রর মিত্র
ছিলেন ৷ ইবন ইসহাক এরুপই বলেছেন যে, তারা ছিলেন ছয় জন, মুসা ইবন উক্বা ও তাই

বলেছেন ইবন ইসহাক যে নামগুলো উল্লেখ করেছেন মুসা ইবন উকবাও সেগুলো উল্লেখ
করেছেন ৷ বুখ্যরীর (র) ম তানুসারে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ১০ জন ৷ তিনি আরো বলেছেন যে

তাদের দল নেতা ছিলেন আসিম ইবন ছাবিত ইবন আবুল আফলন্বহ ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইনহাক বলেন আগত লোকদের সাথে যাত্রা করলেন এই প্রতি নিধি দল ৷৩ তারা গিয়ে

পৌছলেন রাজী এলাকায় ৷ রাব্জী হল হাদ আ থেকে ণ্ফরার পথে হিল্পাম প্রান্তের একটি কুয়াে ৷
হুযায়ল গোত্রের তত্ত্বাবধানে ছিল এ কুয়ােটি ৷ সেখানে পৌছার পর ঐ ৷লকজন বিশ্বাসঘাতকতা
করে ৷ মুসলিম জামাতঢির উপর হামলা করার জন্যে তারা হুযায়ল দ্বো৷ত্রকে তা৷হ্বান জানায় ৷ কিন্তু

তাদের হাতে তরৰারি থাকায় স্থানীয় লোকজন সে সাহস করেনি ৷ অথচ তারা ঐ জামাত গ্ক ঘিরে
রেখেছিল ৷ নুসলমানগণ শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে তরৰারগুলে৷ হাতে নিয়ে প্রস্তুত হয়ে
যান ৷ তখন তারা বলে যে , আল্লাহর কসম ৷ আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসিনি ৷
আমরা বরং এটি চেয়েছিলাম যে, আপ্যাদেরঝে মক্কাবাসীর নিকট প্রেরণ করে বিনিময়ে কিছু
আর্থিক সুবিধা আদায় করব ৷ আপনাদের সাথে আমরা অঙ্গীকার করছি যে, আমরা আপনাদেরকে
হত্যা করব না ৷ হযরত মারছাদ (রা), খালিদ ইবন বুকায়র (বা) এবং আসিম ইবন ছাবিত (রা)
বললেন, আল্লাহর কলম, মুশব্রিকদের কোন অঙ্গীকার আমরা বিশ্বাস করব না এবং ওদ্যে৷ সাথে
কোন চুক্তিতে আমরা আবদ্ধ হব না, এ প্রসংপে আসিম ইবন ছাবিত (রা) বললেন :

আমার কোন ওমর ও দুর্বলতা নেই ৷ আমি একজন শক্তৰুসামর্থ র্তীরন্দাজ যুবক ৷ আমার
ধনুকে রয়েছে মযবুত হ্নিা৷ ৷
’ট্রুা৬ান্ হু;া;হ্র৷ ৷, র্দু;; পুষ্হুা৷ পুান্া;;দ্বু ৷ ৷;ৰু;;ও;ৰু ;-,;, ঠু-গ্লু;
সেটির পিঠ থেকে তুনীর পড়ে যায় ৷ মৃত্যু চির সত্য আর জীবন হল অনার ৷
যা নাযিল হবে বলে আল্পাহ্৩ তা জানা স্থির করেছেন তা মানুষের উপর নাযিল হলেই ৷ মানুষ
যে দিকে আসৰেই ৷
৷ ণ্া
আমি যদি তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করি তবে আমার যা অপ্রকৃতিস্থ বলে গণা হবেন ৷
হযরত আসিম (বা) আরো বলেন চ
;হুৰু
আবুসুলায়মান সীমালৎঘনকারী ও পথভ্রষ্ট যেন জ্বলত্ত অগ্নিকুণ্ড ৷

ষ্ ¢ — ৷ ষ্ fl ১ন্ ণ্



يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ فِينَا إِسْلَامًا، فَابْعَثْ مَعَنَا نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِكَ يُفَقِّهُونَنَا فِي الدِّينِ، وَيُقْرِئُونَنَا الْقُرْآنَ، وَيُعَلِّمُونَنَا شَرَائِعَ الْإِسْلَامِ. فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمْ نَفَرًا سِتَّةً مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُمْ: مَرْثَدُ بْنُ أَبِي مَرْثَدٍ الْغَنَوِيُّ حَلِيفُ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَهُوَ أَمِيرُ الْقَوْمِ - وَخَالِدُ بْنُ الْبُكَيْرِ اللَّيْثِيُّ حَلِيفُ بَنِي عَدِيٍّ وَعَاصِمُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ أَخُو بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَخَبِيبُ بْنُ عَدِيٍّ أَخُو بَنِي جَحْجَبَى بْنِ كُلْفَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ أَخُو بَنِي بَيَاضَةَ بْنِ عَامِرٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَارِقٍ حَلِيفُ بَنِي ظَفَرٍ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. هَكَذَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّهُمْ كَانُوا سِتَّةً، وَكَذَا ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَسَمَّاهُمْ كَمَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَعِنْدَ الْبُخَارِيِّ أَنَّهُمْ كَانُوا عَشَرَةً، وَعِنْدَهُ أَنَّ كَبِيرَهُمْ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَخَرَجُوا مَعَ الْقَوْمِ، حَتَّى إِذَا كَانُوا عَلَى الرَّجِيعِ - مَاءٍ لِهُذَيْلٍ بِنَاحِيَةِ الْحِجَازِ مِنْ صُدُورِ الْهَدْأَةِ - غَدَرُوا بِهِمْ، فَاسْتَصْرَخُوا عَلَيْهِمْ هُذَيْلًا فَلَمْ يَرُعِ الْقَوْمَ - وَهُمْ فِي رِحَالِهِمْ - إِلَّا الرِّجَالُ بِأَيْدِيهِمِ السُّيُوفُ قَدْ غَشُوهُمْ، فَأَخَذُوا أَسْيَافَهُمْ لِيُقَاتِلُوا الْقَوْمَ، فَقَالُوا لَهُمْ: إِنَّا وَاللَّهِ مَا نُرِيدُ قَتْلَكُمْ، وَلَكُنَّا نُرِيدُ أَنْ نُصِيبَ بِكُمْ شَيْئًا مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ وَلَكُمْ عَهْدُ اللَّهِ وَمِيثَاقُهُ أَنْ لَا نَقْتُلَكُمْ. فَأَمَّا مَرْثَدٌ، وَخَالِدُ بْنُ الْبُكَيْرِ، وَعَاصِمُ بْنُ ثَابِتٍ فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَا نَقْبَلُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৭৮৪
مُشْرِكٍ عَهْدًا وَلَا عَقْدًا أَبَدًا. وَقَالَ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتٍ: وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ: مَا عِلَّتِي وَأَنَا جَلْدٌ نَابِلُ ... وَالْقَوْسُ فِيهَا وَتَرٌ عُنَابِلُ تَزِلُّ عَنْ صَفْحَتِهَا الْمَعَابِلُ ... الْمَوْتُ حَقٌّ وَالْحَيَاةُ بَاطِلُ وَكُلُّ مَا حَمَّ الْإِلَهُ نَازِلُ ... بِالْمَرْءِ وَالْمَرْءُ إِلَيْهِ آيِلُ إِنْ لَمْ أُقَاتِلْكُمْ فَأُمِّي هَابِلُ وَقَالَ عَاصِمٌ أَيْضًا: أَبُو سُلَيْمَانَ وَرِيشُ الْمُقْعَدِ ... وَضَالَةٌ مِثْلُ الْجَحِيمِ الْمُوقَدِ إِذَا النَّوَاحِي افْتُرِشَتْ لَمْ أُرْعَدِ ... وَمُجْنَأٌ مِنْ جِلْدِ ثَوْرٍ أَجْرَدِ
পৃষ্ঠা - ২৭৮৫

শোক প্রকাশকাবিণী মহিলাগণ যখন তাদের শয্যা পেতে কাদতে থাকে তখনও আমি কোন
ভয় পাইনা; বরং ষাড়ের চামড়ার তৈরী ঢাল নিয়ে সম্মুখে অগ্নসর হই ৷
আর আমি মুহাম্মাদ (সা ) এর প্ৰতি পরিপুর্ণ আস্থুাশীল, তিনি আরো বলেন, :


আবু সুলাযমান ও আমার দৃষ্টান্ত এই যে, আমরা দুজন ৩ রদ জ ও বশা নি৫ক্ষপে পারদর্শী ৷
আর আম রগোত্র হল সম্মানিত গোত্র ৷

রর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি নড ই অব্যাহত রাখেন ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি এবং৩ তার সাথীদ্বয়
শহীদ হন ৷ তাি ন নিহত হওয়ার পর হুযায়ল গোত্রের লোকেরা ৫চ৫হ্ ৷ছিল তার মাথা কেটে নিয়ে
মকী মহিলা সুলাফা ৷বিন ত স দ ইবন সুহাযলের নিকট বিক্রি করতে ৷ কারণ উহুদ দিবসে হযরত
আসিম (রা) ওই মহিলার দু’ পুত্র৫ক হত্যা ক৫রাছলেন ৷ মহি ৷৷টি মানত করেছিল যে, সে যদি
কোন দিন আসি৫মর মাথার খুলি হাতে পরে তবে তাতে করে সে শরাব পান করবে ৷ একদল
মৌমাছি এসে হযরত আসিম (রা)-এর পবিত্র লাশ ঘিরে ফেলে এবং ওদের ইচ্ছা পুর৫ণ বাধা সৃষ্টি
করে ৷ নিরুপায় হয়ে তারা বলে যে আপাতত থাকুক সন্ধ্য৷ হলে মৌমাছিগুলাে নিজ নিজ
মৌচাকে ফিরে যাবে ৷ আমরা তখন তার মাথা কেটে ৫নব ৷ সন্ধ্যাবেল৷ আল্লাহ তা আলার
নিদের্শে উপত্যকায় ঢল নামে এবং হযরত আসিমকে ভাসিয়ে নিয়ে ৫গল হযরত আসিম (বা)
আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যে, তাকে যেন কোন ঘৃশবিক স্পর্শ করতে না পারে
এবং তাকেও যেন কোন মুশবিককে স্পার্ণকরতে ৩ন৷ হয় ৷ কেননা, মুশবিকর৷ নাপাক ৷ মৌমাছি
এসে হযরত আসিম (রা) কে রক্ষা করেছে এই সংবাদ শুনে হযরত উম৷ ৷র (রা ) বলতেন, আল্লাহ
তাআলা তার মু’মিন বান্দা৫দরকে রক্ষা করে থাকেন ৷ আসিম (বা) মানত করেছিলেন যে,
কখনো তিনি কোন মুশবিক৫ক স্পর্শ করবেন না এবং তাকেও যেন কোন মুশবিক জীবনে স্পর্শ
করতে না পারে ৷ বন্তুতঃ আল্লাহ তা আল জীবন কালে যেমন আসিমকে মুশরিক লোকের স্পর্শ
থেকে রক্ষা করেছেন মৃত্যুর পরও ৫৩ মন রক্ষা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হযরত থুরায়ব (রা ) যায়দ ইবন দাছন্ন৷ এবং আবদুল্লাহ ইবন তারিক

কিছুটা নম্রতা ৫দখা৫৫৷ ন এবং জীবন রাচ৷ তে চাইলেন ৷ তারা ওদের নিকট আত্মসমর্পণ করলেন ৷

তারা তাদেরকে বন্দী করে ৫ফলল এবং মক্কায় নিয়ে বেচে দেয়ার জন্যে মক্কা অভিমুখে যাত্রা

করল ৷ মাররুয যাহ্রান পৌছার পর আবদুল্লাহ ইবন তারিক কৌশলে তার হাত মুক্ত করে

নিলেন ৷ তারপর তার তরবাবি হাতে ৩নিয়ে শদের উপর আক্রমণ করতে উদ্যত হলেন ৷ তারা

সকলে তার কাছ থেকে দুরে সরে পেল ৷ এরপর সকলে মিলে৩ তাকে লক্ষ্য করে পাথর নি৫ক্ষপে
র বাতাকে হত্যা করল ৷ তার কবর মাররুয যাহরানে অবস্থিত ৷

তারা খুবায়ব ইবন আদী (বা) এবং যায়দ ইবন দাচ্ছিন্ন৷ (রা)-৫ক মক্কায় নিয়ে আসে ৷ তারপর
কুরায়শ৫দর হাতে বন্দী দুজন হুযায়লী লোকের মুক্তির বিনিময়ে তাদেরকে কুরায়শ৫দর হাতে তুলে
দেয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, হুজাযর ইবন আবু ইহার তামীযী হযরত খুবায়ব (রা) ৫ক কিনে
নেয় ৷ হুজায়র ছিল বনু নাওফিন গোত্রের মিত্র ৷ তার পিতা আবুহ ইহার হল হাবিছ ইবন আমি৫রর

১ ৭ —

وَمُؤْمِنٌ بِمَا عَلَى مُحَمَّدِ وَقَالَ أَيْضًا: أُبُو سُلَيْمَانَ وَمِثْلِي رَامَى ... وَكَانَ قَوْمِي مَعْشَرًا كِرَامَا قَالَ: ثُمَّ قَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، وَقُتِلَ صَاحِبَاهُ، فَلَمَّا قُتِلَ عَاصِمٌ أَرَادَتْ هُذَيْلٌ أَخْذَ رَأْسِهِ ; لِيَبِيعُوهُ مِنْ سُلَافَةَ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ شُهَيْدٍ وَكَانَتْ قَدْ نَذَرَتْ حِينَ أَصَابَ ابْنَيْهَا يَوْمَ أُحُدٍ؛ لَئِنْ قَدَرَتْ عَلَى رَأْسِ عَاصِمٍ لَتَشْرَبَنَّ فِي قِحْفِهِ الْخَمْرَ، فَمَنَعَتْهُ الدَّبْرُ - هَكَذَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ بَعْدَ وَصُولِ خُبَيْبٍ، وَزَيْدِ بْنِ الدَّثِنَةِ إِلَى مَكَّةَ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنْسَبُ - قَالَ: فَلَمَّا حَالَتْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُ قَالُوا: دَعُوهُ حَتَّى يُمْسِيَ فَتَذْهَبَ عَنْهُ فَنَأْخُذَهُ. فَبَعَثَ اللَّهُ الْوَادِيَ، فَاحْتَمَلَ عَاصِمًا فَذَهَبَ بِهِ، وَقَدْ كَانَ عَاصِمٌ قَدْ أَعْطَى اللَّهَ عَهْدًا أَنْ لَا يَمَسَّهُ مُشْرِكٌ، وَلَا يَمَسَّ مُشْرِكًا أَبَدًا ; تَنَجُّسًا، فَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَقُولُ حِينَ بَلَغَهُ أَنَّ الدَّبْرَ مَنَعَتْهُ: يَحْفَظُ اللَّهُ الْعَبْدَ الْمُؤْمِنَ، كَانَ عَاصِمٌ نَذَرَ أَنْ لَا يَمَسَّهُ مُشْرِكٌ، وَلَا يَمَسَّ مُشْرِكًا أَبَدًا فِي حَيَاتِهِ، فَمَنَعَهُ اللَّهُ بَعْدَ وَفَاتِهِ كَمَا امْتَنَعَ مِنْهُ فِي حَيَاتِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৭৮৬

ভৈবপিত্রীয় তাই ৷ হুজয়র হযরত খুবয়র (রা) কে কিনেছিল উক্ব ইবন হরিছের নিকট হস্তা ম্ভর
করার জন্যে যাতে সে থুরয়ব (রা) কে হত্যা করে তার পিতার হত্যার প্রা তশোধ নিতে পারে
যায়দ ইবন দছিন্নহ (র) কে ক্রয় করেছিল সাফওয়ান ইবন উমর্শা হয় সে ৩কে ক্রয় করেছিল
তাকে হত্যা করে তার পতৃহত্যার প্ৰতিশোধ নিতে ৷ হত্যার নির্দেশ দিয়ে সে তার ক্রীত দাস
নসতাস কে যায়দ ইবন দ ছিন্ন সহকারে হরম শরীফের বহিরে ;নঈম নামক স্থানে প ঠয়
সেখানে কতক কুরয়শী লোক একত্রিত হয় ৩ তাদের মধ্যে আবু সুফয়ান ইবন হারবও ছিল ৷
মৃত্যুর মুখোমুখি যায়দ ইবন দছিন্ন (রা ) কে সে বলেছিল “হে যায়দ ! এ খ;;ণ্ তোমার যে অবস্থান
মুহাম্মাদকে ধরে এনে সে অবস্থানে রেখে আমরা যদি তাকে হত্যা করি দিচানময়ে তোমাকে মুক্তি
দিই, তুমি তোমার পরিবার পরিজনের মধ্যে থ ক তা কি তুমি পসন্দ করবে ? হযরত যায়দ (বা)
বললেন, আল্লাহর কলম! মুহাম্মাদ (না) এখন যে অবস্থানে আছেন সেখানে যদি তার পবিত্র দেহে
একটি কটি র ৫খচ লপে আ র আ মি আমার পরিবারের মধ্যে থাকর হৃণ্ আমি কখনও পসন্দ করব
ন ৷ আবু সুফিয়ান বলল, মুহাম্মদের (সা) সাহাবীগণ ত কে যেমন দৃঢ়তা ণ্ তালবসে কোন মানুষ
অন্যকে তেমন ভালবসতে আ মি দেখিনি ৷৩ তারপর নসতাম কাফির এসে তাকে হত্যা করে

বংনািকয়ী বলেন, থুবয়র ইবন আদী (বা ) সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবন আবুনজীহ্ হুজায়র ইবন
আবু ইহারের ক্রী৩ দসী ম বিষ থেকে বর্ণনা করেন পরবর্তীতে মারিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
বস্তুত মারিয়া বলেছেন যে, খুবয়ব (র ) বন্দী অবস্থায় আমার নিকট আমার গৃহে অবস্থান
করছিলেন একদিন হঠাৎ আমি গুর দিকে উকি মরে দেখি তার হাতে আঙ্গুরের থােক
মানুষের মাথার মত বড় ছিল ওই আঙ্গুরগুলাে ৷ তিনি ওই থােক থেকে আব্দুর খচ্ছিলেন তখন
পৃথিবীর কোথাও আব্দুর পাওয়া যায় বলে আমার জানা ছিল না ৷

ইবন ইসহক বলেন, আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদ এবং আবদুল্লাহ ইবন আবু নজীহ্
দুজনেই আমাকে জানিয়েছেন, যে মারিয়া বলেছেন, খুবয়ব র) এর মৃভ্যুক্ষণ ঘনিয়ে আমার
তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমাকে একটি ক্ষুর দও ৷ আমি যেন মৃত্যুকে বরণ করার জন্যে পাক
পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হয়ে নিতে পারি ৷ মারিয়া বলেন, এরপর ক্ষুর সহ ছোট্ট একটি বলককে আমি
তার নিকট পাঠাই এই বলে যে, তুমি ক্ষুরটি নিয়ে গৃহে আবদ্ধ সােকটির নিকট যাও ৷ ক্ষুর নিয়ে
বলকটি সেদিকে যাত্রা করার পরই আমার বোধ উদয় হল যে, আমি যা করলাম তাতে তো
থুবয়রের প্ৰতিশোধ নেয়ার সুযোগ তৈরী করে দিলাম ৷ প্ৰতিশোধ স্বরুপ তিনি বলকটিকে হত্য
করে ফেলতে পারেন ৷ তাহলে ১ জন মুসলিমের প্ৰতিশোধরুপে ১জন কাফিরকে হত্যা করা
হয়ে বলকটি ক্ষুর নিয়ে৩ তার নিকট পৌছর পরও তিনি সেটি নিজ হাতে ৩নিলেন এবং বললেন
হায়, তোমার না যখন ক্ষুর সহ তোমাকে আমার নিকট পঠিয়েছে তখন সে কি ৩য় পয়নি ?
এরপর তিনি শিশুটিকে বিদায় দিয়ে দিলেন

ইবন হিশাম বলেন, শিওটি ছিল ওই মহিলারই পুত্র সন্তান ৷ ইবন ইসহক বলেন যে, আসিম
বলেছেন, এরপর কফিরেরা হযরত খুবয়ব (র)-কে নিয়ে বের হল তাকে গুলিতে চড়ানোর
জন্যে ৷ তারা “তানঈম” এসে পৌছল তিনি বললেন, তোমরা যদি আমাকে দু’ রকআত নামায
আদায়ের অবকাশ দিতে রযী হও তার ভাই কর ৷৩ তারা বলল, ঠিক অছে৩ তুমি নামায আদায়


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَمَّا خُبَيْبٌ، وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَارِقٍ فَلَانُوا وَرَقُّوا وَرَغِبُوا فِي الْحَيَاةِ، وَأَعْطَوْا بِأَيْدِيهِمْ فَأَسَرُوهُمْ، ثُمَّ خَرَجُوا بِهِمْ إِلَى مَكَّةَ لِيَبِيعُوهُمْ بِهَا، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالظَّهْرَانِ انْتَزَعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَارِقٍ يَدَهُ مِنَ الْقِرَانِ، ثُمَّ أَخَذَ سَيْفَهُ، وَاسْتَأْخَرَ عَنْهُ الْقَوْمُ، فَرَمَوْهُ بِالْحِجَارَةِ حَتَّى قَتَلُوهُ، فَقَبْرُهُ بِالظَّهْرَانِ وَأَمَّا خُبَيْبُ بْنُ عَدِيٍّ، وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ فَقَدِمُوا بِهِمَا مَكَّةَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَبَاعُوهُمَا مِنْ قُرَيْشٍ بِأَسِيرَيْنِ مِنْ هُذَيْلٍ كَانَا بِمَكَّةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَابْتَاعَ خُبَيْبًا، حُجَيْرُ بْنُ أَبِي إِهَابٍ التَّمِيمِيُّ حَلِيفُ بَنِي نَوْفَلٍ لِعُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَامِرِ بْنِ نَوْفَلٍ، وَكَانَ أَبُو إِهَابٍ أَخَا الْحَارِثِ بْنِ عَامِرٍ لِأُمِّهِ ; لِيَقْتُلَهُ بِأَبِيهِ. قَالَ: وَأَمَّا زَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ فَابْتَاعَهُ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ، ; لِيَقْتُلَهُ بِأَبِيهِ، فَبَعَثَهُ مَعَ مَوْلًى لَهُ يُقَالُ لَهُ: نِسْطَاسٌ. إِلَى التَّنْعِيمِ، وَأَخْرَجَهُ مِنَ الْحَرَمِ لِيَقْتُلَهُ، وَاجْتَمَعَ رَهْطٌ مِنْ قُرَيْشٍ فِيهِمْ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ فَقَالَ لَهُ أَبُو سُفْيَانَ حِينَ قُدِّمَ لِيُقْتَلَ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا زَيْدُ، أَتُحِبُّ أَنَّ مُحَمَّدًا عِنْدَنَا الْآنَ مَكَانَكَ نَضْرِبُ عُنُقَهُ، وَأَنَّكَ فِي أَهْلِكَ؟ قَالَ: وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ مُحَمَّدًا الْآنَ فِي
পৃষ্ঠা - ২৭৮৭
مَكَانِهِ الَّذِي هُوَ فِيهِ تُصِيبُهُ شَوْكَةٌ تُؤْذِيهِ وَإِنِّي جَالِسٌ فِي أَهْلِي. قَالَ: يَقُولُ أَبُو سُفْيَانَ: مَا رَأَيْتُ مِنَ النَّاسِ أَحَدًا يُحِبُّ أَحَدًا كَحُبِّ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ مُحَمَّدًا. قَالَ: ثُمَّ قَتَلَهُ نِسْطَاسٌ. قَالَ: وَأَمَّا خُبَيْبُ بْنُ عَدِيٍّ، فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ أَنَّهُ حُدِّثَ عَنْ مَاوِيَّةَ مَوْلَاةِ حُجَيْرِ بْنِ أَبِي إِهَابٍ، وَكَانَتْ قَدْ أَسْلَمَتْ، قَالَتْ: كَانَ خُبَيْبٌ عِنْدِي، حُبِسَ فِي بَيْتِي، فَلَقَدِ اطَّلَعْتُ عَلَيْهِ يَوْمًا، وَإِنَّ فِي يَدِهِ لَقَطْفًا مِنْ عِنَبٍ مِثْلَ رَأْسِ الرَّجُلِ يَأْكُلُ مِنْهُ، وَمَا أَعْلَمُ فِي أَرْضِ اللَّهِ عِنَبًا يُؤْكَلُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَبْدُ اللَّهُ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ أَنَّهُمَا قَالَا: قَالَتْ: قَالَ لِي حِينَ حَضَرَهُ الْقَتْلُ: ابْعَثِي إِلَيَّ بِحَدِيدَةٍ أَتَطَهَّرُ بِهَا لِلْقَتْلِ. قَالَتْ: فَأَعْطَيْتُ غُلَامًا مِنَ الْحَيِّ الْمُوسَى، فَقُلْتُ لَهُ: ادْخُلْ بِهَا عَلَى هَذَا الرَّجُلِ الْبَيْتَ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ إِنْ هُوَ إِلَّا أَنْ وَلَّى الْغُلَامُ بِهَا إِلَيْهِ، فَقُلْتُ: مَاذَا صَنَعْتُ؟ أَصَابَ وَاللَّهِ الرَّجُلُ ثَأْرَهُ بِقَتْلِ هَذَا الْغُلَامِ، فَيَكُونُ رَجُلًا بِرَجُلٍ. فَلَمَّا نَاوَلَهُ الْحَدِيدَةَ أَخَذَهَا مِنْ يَدِهِ، ثُمَّ قَالَ: لَعَمْرُكَ مَا خَافَتْ أُمُّكَ غَدْرِي حِينَ بَعَثَتْكَ بِهَذِهِ الْحَدِيدَةِ إِلَيَّ. ثُمَّ خَلَّى سَبِيلَهُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَيُقَالُ: أَنَّ الْغُلَامَ ابْنُهَا.
পৃষ্ঠা - ২৭৮৮

করে নাও ৷ তিনি অত্যন্ত সুন্দরতা রে ও পুর্ণতার সাথে দু’ রাকআত নামায আদায় করলেন ৷
তারপর শত্রুদের মুখোমুখি দাড়িয়ে বললেন, তোমরা যদি এ সন্দেহ পোষণ না করতে যে মৃত্যু
ভয়ে ভীত হয়ে আমি দীর্ঘক্ষণ নামায পড়ছিত তবে আমি তা আরো দীর্ঘায়িত করতাম ৷ হযরত
খুবায়ব (রা) প্রথম ব্যক্তি যিনি মুসলমানদের জন্যে নিহত হওয়ার পুর্বেদু দু’ রাকআত নামায
আদায়ের সুন্নত প্রবর্তন করে গেলেন ৷ এরপর তারা থুবায়ব (রা)-কে সংশ্লিষ্ট কাঠে চড়িয়ে
মযবুতভাবে বেধে ফেলল ৷ খুবায়ব এই দুঅ৷ পাঠ করলেন-

শ্শ্শ্শ্শ্শ্

হে আল্লাহ! আমরা আপনার রাসুলের রিসালাচুতর রাণী পৌছিয়েছি ৷ এখন আমাদেরকে নিয়ে
যা যা করা হচ্ছে তার সং বাদ আপনি বাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট ভোরেই পৌছিয়ে দিন ৷ তারপর
তিনি বললেন ( ৷ৰুর্তু>৷ ংপ্টি;প্রু ;এ-হ্নিই ১াএ ৷ ;;ন্ ণ্ৰু ৷ , ৷ স্পো ৷ স্পোা৷ ৷ হে আল্লাহ !
ওদের সবাইকে আপনি ওণে নিন ৷ তাদের সকলকে ধ্বং স করুন ৷ ওদের কাউকেই অবশিষ্ট

রাখবেন না ৷) এরপর তারা তাকে হত্যা করল ৷

মুআবিয়৷ ইবন আবু সুফিয়ান বলতেন “ সেদিন আবু সুফিয়ানের সাথে অন্যান্যসহ আমিও
ছিলাম ৷ আমি দেখেছি যে, হযরত খুবায়ব (রা)-এর বদ দুআয় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আমরে পিতা আবু
সুফিয়ান আমাকে মাটিতে শুইয়ে দিচ্ছিলেন ৷ তারা মনে করত যে, কারো জন্যে বদ দুঅ৷ করা
হলে সে যদি মাটিতে শুয়ে যায় বা কাত হয়ে পড়ে তবে ওই বদ দুঅ৷ তার উপর থেকে টলে
যায় ৷

মুসা ইবন উকবার মাগাযী গ্রন্থে আছে যে, হযরত খুবায়ব (রা) এবং যায়দ ইবন দাচ্ছিন্ন৷ (রা)
নিহত হয়েছিলেন একই দিনে ৷ যেদিন তারা নিহত হয়েছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় অবস্থান
করে তাদের আর্জি শুনতে পাচ্ছিলেন ৷ তাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, “তোমাদের
দুজনের প্রতি সালাম ৷ অথবা একথা বলেছিলেন, হে খুবায়ব তোমার প্রতি সালাম ৷ কুরায়শগণ
থুবায়বকে হত্যা করে ফেলল” বর্ণিত আছে যে, শত্রুরা হযরত ইবন দাচ্ছিন্ন৷ (রা) কে গুলিতে
চড়িয়ে তার প্ৰতি তীর নিক্ষেপ করছিলত ৷ তাদের উদ্দেশ্যে ছিল তিনি দীন ত্যাগ করুন কুফরীতে
ফিরে আসুন ৷ কিভু তাতে তার ঈমান ও আত্মনিবেদন আরো সুদৃঢ় হল ৷

উরওয়৷ এবং মুসা ইবন উক্ব৷ ৷উল্লেখ করেছেন যে, তারা হযরত থুবায়ব (রা )-কে গুলির
কাঠের সাথে বেধে ডেকে ডেকে বলছিল, তুমি কি এটা চাও যে, তোমার স্থানে মুহাম্মাদ থাকুক ,
তুমি মুক্তি পাও ? তিনি বলছিলেন না, না , কখনো নয় ৷ মহান আল্লাহর কসম ! আমার মুক্তির
বিনিময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পবিত্র পারে একটি কাটা ৰিধুক তাও আমি পসন্দ করি না ৷ তার
উত্তর শুনে তারা সকলে হাসাহাসি করছিল ৷ যায়দ ইবন দা ৷চ্ছিন্ন৷ (রা) সম্পর্কেও ইবন ইসহাক
এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ অ ৷ল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

মুসা ইবন উক্ব৷ বলেন, লোকদের ধারণা যে, আমর ইবন উমাইয়৷ হযরত খুবায়ব (রা)-কে
দাফন করেছেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াহয়৷ ইবন আববাদ উক্ব৷ ইবন হারিছ সুত্রে বলেছেন,
উক্ব৷ বলেছেন, আল্লাহর কসম ! থুবায়ব (রা) কে হত্যা করা আমার জন্যে সম্ভব ছিল না ৷ আমি


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: قَالَ عَاصِمٌ: ثُمَّ خَرَجُوا بِخُبَيْبٍ حَتَّى جَاءُوا بِهِ إِلَى التَّنْعِيمِ لِيَصْلُبُوهُ، وَقَالَ لَهُمْ: إِنْ رَأَيْتُمْ أَنْ تَدَعُونِي حَتَّى أَرْكَعَ رَكْعَتَيْنِ فَافْعَلُوا. قَالُوا: دُونَكَ فَارْكَعْ. فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ أَتَمَّهُمَا وَأَحْسَنَهُمَا، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْلَا أَنْ تَظُنُّوا أَنِّي إِنَّمَا طَوَّلْتُ جَزَعًا مِنَ الْقَتْلِ، لَاسْتَكْثَرْتُ مِنَ الصَّلَاةِ. قَالَ: فَكَانَ خُبَيْبٌ أَوَّلَ مَنْ سَنَّ هَاتَيْنِ الرَّكْعَتَيْنِ عِنْدَ الْقَتْلِ لِلْمُسْلِمِينَ. قَالَ: ثُمَّ رَفَعُوهُ عَلَى خَشَبَةٍ، فَلَمَّا أَوْثَقُوهُ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّا قَدْ بَلَّغْنَا رِسَالَةَ رَسُولِكَ، فَبِلِّغْهُ الْغَدَاةَ مَا يُصْنَعُ بِنَا. ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ احْصِهِمْ عَدَدًا، وَاقْتُلْهُمْ بِدَدًا، وَلَا تُغَادِرْ مِنْهُمْ أَحَدًا. ثُمَّ قَتَلُوهُ. وَكَانَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ يَقُولُ: حَضَرْتُهُ يَوْمَئِذٍ فِيمَنْ حَضَرَهُ مَعَ أَبِي سُفْيَانَ فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يُلْقِينِي إِلَى الْأَرْضِ فَرَقًا مِنْ دَعْوَةِ خُبَيْبٍ وَكَانُوا يَقُولُونَ: إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا دُعِيَ عَلَيْهِ فَاضْطَجَعَ لِجَنْبِهِ، زَلَّتْ عَنْهُ. فَائِدَةٌ: قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَإِنَّمَا صَارَتِ الرَّكْعَتَانِ سُنَّةً - يَعْنِي عِنْدَ الْقَتْلِ - لِأَنَّهَا فُعِلَتْ فِي زَمَانِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقَرَّ عَلَيْهَا، وَاسْتُحْسِنَتْ مِنْ صَنِيعِهِ. قَالَ: وَقَدْ صَلَّاهَا زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ سَاقَ بِإِسْنَادِهِ مِنْ طَرِيِقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي خَيْثَمَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ
পৃষ্ঠা - ২৭৮৯
عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ اسْتَأْجَرَ مِنْ رَجُلٍ بَغْلًا مِنَ الطَّائِفِ وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ الْمُكْرِي أَنْ يُنْزِلَهُ حَيْثُ شَاءَ، فَمَالَ بِهِ إِلَى خَرِبَةٍ، فَإِذَا بِهَا قَتْلَى كَثِيرَةٌ، فَلَمَّا هَمَّ بِقَتْلِهِ قَالَ لَهُ زَيْدٌ: دَعْنِي حَتَّى أُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ. فَقَالَ: صَلِّ رَكْعَتَيْنِ، لَطَالَمَا صَلَّى هَؤُلَاءِ فَلَمْ تَنْفَعْهُمْ صَلَاتُهُمْ شَيْئًا. قَالَ: فَصَلَّيْتُ ثُمَّ جَاءَ لِيَقْتُلَنِي، فَقُلْتُ: يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ. فَإِذَا صَارِخٌ يَقُولُ: لَا تَقْتُلْهُ. فَهَابَ وَذَهَبَ يَنْظُرُ، فَلَمْ يَرَ شَيْئًا، ثُمَّ جَاءَ لِيَقْتُلَنِي فَقُلْتُ: يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ. فَسَمِعَ أَيْضًا الصَّوْتَ يَقُولُ: لَا تَقْتُلْهُ. فَذَهَبَ لِيَنْظُرَ ثُمَّ جَاءَ فَقُلْتُ: يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ. فَإِذَا أَنَا بِفَارِسٍ عَلَى فَرَسٍ، فِي يَدِهِ حَرْبَةٌ فِي رَأْسِهَا شُعْلَةٌ مِنْ نَارٍ، فَطَعَنَهُ بِهَا حَتَّى أَنْفَذَهُ فَوَقَعَ مَيِّتًا. ثُمَّ قَالَ: لَمَّا دَعَوْتَ اللَّهَ فِي الْمَرَّةِ الْأُولَى كُنْتُ فِي السَّمَاءِ السَّابِعَةِ، وَلَمَّا دَعَوْتَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّانِيَةِ كُنْتُ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا، وَلَمَّا دَعَوْتَهُ فِي الثَّالِثَةِ أَتَيْتُكَ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَقَدْ صَلَّاهَا حُجْرُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ الْأَدْبَرِ حِينَ حُمِلَ إِلَى مُعَاوِيَةَ مِنَ الْعِرَاقِ وَمَعَهُ كِتَابُ زِيَادِ بْنِ أَبِيهِ، وَفِيهِ أَنَّهُ خَرَجَ عَلَيْهِ وَأَرَادَ خَلْعَهُ، وَفِي الْكِتَابِ شَهَادَةُ جَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعَيْنِ، مِنْهُمُ الْحَسَنُ، وَابْنُ سِيرِينَ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى مُعَاوِيَةَ قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: أَوَأَنَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ؟ وَأَمَرَ بِقَتْلِهِ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ قَتْلِهِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قَالَ: وَقَدْ عَاتَبَتْ عَائِشَةُ مُعَاوِيَةَ فِي قَتْلِهِ، فَقَالَ: إِنَّمَا قَتَلَهُ مَنْ شَهِدَ عَلَيْهِ. ثُمَّ قَالَ: دَعِينِي وَحُجْرًا، فَإِنِّي سَأَلْقَاهُ عَلَى الْجَادَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. قَالَتْ: فَأَيْنَ ذَهَبَ عَنْكَ حِلْمُ أَبِي
পৃষ্ঠা - ২৭৯০

তখন একান্তই ছোট ছিলাম ৷ কিন্তু বনু আবদৃদৃ দার গোত্রের আবু মায়সারা একটি বশা নিয়ে
আমার হাতে ধরিয়ে দিল ৷ এরপর সে আমার হাতে থাকা বশা এবং আমার হাত এক সাথে ধরে
ওই বশা দ্বারা খুরায়ব (রা) কে আঘাত করে ৷ শেষ পর্যন্ত আঘাতে আঘাদ্রুত তার মৃত্যু হয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আমার র্জ্যনক সাথী আমাকে বলেছেন যে, হযরত উমাব (রা) সিরিয়ার
একটি স্থানে প্রশাসক নিযুক্ত করেছিলেন সাঈদ ইবন আমির ইবন হুযায়ম জুমাহীকে , কোন কোন
সময় এমনও হত যে, লোকজনের সম্মুখেই তিনি যেহুশ হয়ে যেতেন ৷ হযরত উমারের (রা)
নিকট এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হল যে, প্রশাসক সাঈদ ইবন আমির একজন অসুস্থ
মানুষ ৷ কোন এক কাজে সাঈদ (রা) এসেছিলেন খলীফা হযরত উমরের (বা) নিকট ৷ তিনি
জিজ্ঞেস করলেন, হে সাঈদ ! তোমার যে, এ অবস্থা হয় তা কী জনো ? সাঈদ বললেন, হে
আমীরুল মু’মিনীন! মুলত আমার মধ্যে কোন রোগ নেই ৷ তবে হযরত থুবায়বকে হত্যা করার
সময় যারা সেখানে উপ ত ছিল আমি তাদের একজন ৷ তার দুআটি আমি নিজ কানেই
শুনেছিলাম ৷ মে থেকে কোন মজলিসে বসলে ওই বদ দুআর কথা স্মরণ হলেই আমি রেহুশ হয়ে
যাই ৷ এরপর থেকে হযরত উমরের (রা) নিকট তার মযদাি আরো বেড়ে যায় ৷

উমাভী — — ইবন ইসহাক সুত্রে বলেছেন যে, হযরত উামর (রা ) বলেছিলেন, যদি কেউ
তুলনাহীন ও অনন্য ব্যক্তিকে দেখতে চায় সে যেন সাঈদ ইবন আমির (রা)-কে দেখে ৷



ইধৃন হিশাম ব লে ন , হযরত খুরাযর (বা ) তাদের হাতে বন্দী ছিলেন ৷ নিষিদ্ধ মড়াসগুলাে শেষ
হবার পর তারা তাকে হত্যা করে ৷

বায়হাকী (র) আমর ইবন উমাইয়া থেকে বংনাি করেন যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা ) একদা
তাকে গুপ্তচর রুপে প্রেরণ করেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, যে কাঠে বেধে হযরত খুবায়ব (রা)-কে
হত্যা করা হয়েছিল আমি চুপি চুপি ওখানে গেলাম ৷ সেটিতে উঠলাম ৷ ওদের পাহারাদারগণ
আমাকে দেখে ফেলে নাকি ভয় পাচ্ছিলাম ৷ আমি তার বা ধন খুলে দিলাম ৷ তার লাশ মাটিতে
পড়ে গেল ৷ আমিও লাফ দিয়ে নীচে পড়ে গেলাম ৷ আমি একপাশে গিয়ে একটুখানি বসলাম ৷
তারপর তাকিয়ে দেখি কিছু নেই ৷ খুবায়বের (বা) কোন চিহ্ন নেই ৷ যেন মাটি তাকে গিলে
ফেলেছে ৷ সেই থেকে এখন পর্যন্ত হযরত খুবায়রে (রা ) লাশের এমনকি তার কোন হাড়ের

ৎবাদ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ৷

ইবন ইসহাক — — — ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, রাজী-এর
ঘটনায় যারা শহীদ হলেন মুনাফিকরা তাদের সম্পর্কে কটুক্তি করে বলেছিল আহ্! এরা শুধু শুধু
মারা গেল ৷ না তারা নিজেদের পরিবার-পরিজনের মধ্যে থাকতে পারল আর না তারা রাসুলের
রিসালাতের বাণী পৌছাতে পারল ৷ মুনাফিকদের এই আচরণ উপলক্ষে আল্লাহ তাআলা নিম্নোক্ত
আয়াত ও তার পরবর্তী আয়াত নাযিল করলেন :



سُفْيَانَ؟ قَالَ: حِينَ غَابَ عَنِّي مِثْلُكِ مِنْ قَوْمِي. وَفِي مَغَازِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ: أَنَّ خُبَيْبًا، وَزَيْدَ بْنَ الدَّثِنَةِ قُتِلَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُمِعَ يَوْمَ قُتِلَا وَهُوَ يَقُولُ: " وَعَلَيْكُمَا - أَوْ عَلَيْكَ - السَّلَامُ خُبَيْبٌ قَتَلَتْهُ قُرَيْشٌ ". وَذَكَرَ أَنَّهُمْ لَمَّا صَلَبُوا زَيْدَ بْنَ الدَّثِنَةِ رَمَوْهُ بِالنَّبْلِ لِيَفْتِنُوهُ عَنْ دِينِهِ، فَمَا زَادَهُ إِلَّا إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا. وَذَكَرَ عُرْوَةُ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّهُمْ لَمَّا رَفَعُوا خُبَيْبًا عَلَى الْخَشَبَةِ، نَادَوْهُ يُنَاشِدُونَهُ: أَتُحِبُّ أَنَّ مُحَمَّدًا مَكَانَكَ؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ الْعَظِيمِ، مَا أُحِبُّ أَنْ يَفْدِيَنِي بِشَوْكَةٍ يُشَاكَهَا فِي قَدَمِهِ. فَضَحِكُوا مِنْهُ. وَهَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي قِصَّةِ زَيْدِ بْنِ الدَّثِنَةِ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: زَعَمُوا أَنَّ عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ دَفَنَ خُبَيْبًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ عَبَّادٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: وَاللَّهِ مَا أَنَا قَتَلْتُ خُبَيْبًا ; لِأَنِّي كُنْتُ أَصْغَرَ مِنْ ذَلِكَ، وَلَكِنَّ أَبَا مَيْسَرَةَ أَخَا بَنِي عَبْدِ الدَّارِ أَخَذَ الْحَرْبَةَ
পৃষ্ঠা - ২৭৯১

মানুষের মধ্যে এমন ব্যক্তি আছে পার্থিব জীবন সম্পর্কে তার কথাবাতা তোমাকে চমৎকৃত
করে এবং তার অন্তরে যা আছে সে সম্বন্ধে সে আল্লাহ্কে সাক্ষী রাখে ৷ প্রকৃতপক্ষে সে কিন্তু
প্রচন্ড ঝগড়াটে ৷ (২-বাকার৷ : ২০৪) ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ থেকে প্রেরিত মুসলিম দল
সম্পর্কে আল্লাহ তাআল৷ নাষিল করলেন ও

;াট্রুা৷প্রু ঠুণ্ড্রট্টু ইএ৷ ৷, ণ্এ৷ ৷ ;,াট্রু;>টুটুৰু ছু৮ন্ ; ৰু ৷ ছু ৰু টু র্দু,প্রুর্দুহ্রট্রুব্লু :,; গ্রা^থ্রে ৷ ৰু;,র্মু,
মানুষের মধ্যে অনেকেই আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে আ ত্মন্বিক্রয় করে থাকে ৷ আল্লাহ
তার বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু ৷ ( ২-বাকার৷ : ২০ ৭) ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এই যুদ্ধে যে সব কবিতা আবৃত্তি কর ৷হয়েছিল তার অন্যতম হল
হযরত খুবায়ব (রা)এর নিম্নে ৷ক্ত কবিতা, শএ৩ পক্ষ যখন তাকে হত্যা করার জন্যে পুর্ণ প্রস্তুত
তখন তিনি এ কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন ৷ (ইবন হিশাম ব র্কেন্বন, এ কবিতা খুবায়ব (রা)-এর
একথা কেউ কেউ মানতে রাযী নন ৷)
ট্রঠুর্মু ১টুণ্ র্দুা’হ্র ৷র্দু,ট্রুৰুখুছুট্রু ৷ ’, খোাপ্রু ৷ৰুৰুএ ৷) এটুষ্টু ঠুা)শুছুছুা৷ ’¢ ;; ংএে
সকল দল আমার চারদিকে একত্রিত হয়েছে ৷ তারা সবগুলো গোত্রকে ডেকে এনেছে এবং
পরিপুর্ণতাবে জমায়েত হয়ে রয়েছে ৷


ওদের সকলে আমার প্ৰতি শত্রুত৷ প্রকাশ করছে, আমাকে কষ্ট দেয়ার জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা
করছে ৷ কারণ, আমি এখন চামড়া কাটার যস্তে আবদ্ধ ৷

; ১ ¢ ! শ্


তারা তাদের পুত্র কন্যা এবং ব্রীদেরকে একত্রিত করেছে ৷ আমাকে একটি সুদীর্ঘও তমযবুত
কাঠের নিকট নিয়ে আসা হয়েছে ৷


আমার এই এক ৷কীত্বের কথা, আমার এই দুঃ খদুদর্শার কথা এবং আমার মৃত্যুর জন্যে শত্রু
পক্ষ যে যে ব্যবস্থা অবলম্বন করেছে এ বিষয়ে আমি তা ৷ল্লাহ্ তা আলার নিকট ফরিয়াদ করছি ৷

হে আরশ অধিপতি৷ ওরা যা করতে চাইছে তার মুখে আপনি আমাকে ধৈর্য ধারণ করার

তাওফীক দান করুন ৷ ওরা আমার গোশত কেটে ফেলেছে এখন আমার বাচ৷ র সকল আশা শেষ
হয়ে গিয়েছে ৷

হ্রঠুছু,া;;,া৷ট্রুশুট্রুার্মুছুৰুণ্ন,ঢুঠুছুপ্রু গ্রাড়ুণ্গ্রা৷ ৷১প্রু১;া৷১এ

আমার এই অবস্থুাণ্ডে তামহান আল্লাহর পথে ৷ তিনি চাইলে আমার কর্তিত প্রতিটি অন্সের
জোড়ায় জোড়ায় বরকত প্রদান করবেন ৷


فَجَعَلَهَا فِي يَدِي، ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي وَبِالْحَرْبَةِ، ثُمَّ طَعَنَهُ بِهَا حَتَّى قَتَلَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا قَالَ: كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ اسْتَعْمَلَ سَعِيدَ بْنَ عَامِرِ بْنِ حِذْيَمٍ الْجُمَحِيَّ عَلَى بَعْضِ الشَّامِ فَكَانَتْ تُصِيبُهُ غَشْيَةٌ وَهُوَ بَيْنُ ظَهْرَيِ الْقَوْمِ، فَذُكِرَ ذَلِكَ لِعُمَرَ. وَقِيلَ: إِنَّ الرَّجُلَ مُصَابٌ. فَسَأَلَهُ عُمَرُ فِي قَدْمَةٍ قَدِمَهَا عَلَيْهِ، فَقَالَ: يَا سَعِيدُ، مَا هَذَا الَّذِي يُصِيبُكَ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا بِي مِنْ بَأْسٍ، وَلَكِنِّي كُنْتُ فِيمَنْ حَضَرَ خُبَيْبَ بْنَ عَدِيٍّ حِينَ قُتِلَ وَسَمِعْتُ دَعْوَتَهُ، فَوَاللَّهِ مَا خَطَرَتْ عَلَى قَلْبِي وَأَنَا فِي مَجْلِسٍ قَطُّ إِلَّا غُشِيَ عَلَيَّ. فَزَادَتْهُ عِنْدَ عُمَرَ خَيْرًا. وَقَدْ قَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَلَغَنَا أَنَّ عُمَرَ قَالَ: مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ نَسِيجِ وَحْدِهِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى سَعِيدِ بْنِ عَامِرٍ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: أَقَامَ خُبَيْبٌ فِي أَيْدِيهِمْ حَتَّى انْسَلَخَتِ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ ثُمَّ قَتَلُوهُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ جَدِّهِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ، أَنَّ
পৃষ্ঠা - ২৭৯২
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ بَعَثَهُ عَيْنًا وَحْدَهُ، قَالَ: جِئْتُ إِلَى خَشَبَةِ خُبَيْبٍ فَرَقَيْتُ فِيهَا وَأَنَا أَتَخَوَّفُ الْعُيُونَ، فَأَطْلَقْتُهُ فَوَقَعَ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ اقْتَحَمْتُ فَانْتَبَذْتُ قَلِيلًا، ثُمَّ الْتَفَّتُّ فَلَمْ أَرَ شَيْئًا، فَكَأَنَّمَا ابْتَلَعَتْهُ الْأَرْضُ، فَلَمْ تُذْكَرْ لِخُبَيْبٍ رِمَّةٌ حَتَّى السَّاعَةِ» . ثُمَّ رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مُحَمَّدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، أَوْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا قُتِلَ أَصْحَابُ الرَّجِيعِ قَالَ نَاسٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ: يَا وَيْحَ هَؤُلَاءِ الْمَفْتُونِينَ الَّذِينَ هَلَكُوا هَكَذَا، لَا هُمْ أَقَامُوا فِي أَهْلِيهِمْ وَلَا هُمْ أَدَّوْا رِسَالَةَ صَاحِبِهِمْ. فَأَنْزَلُ اللَّهُ فِيهِمْ: {وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُعْجِبُكَ قَوْلُهُ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيُشْهِدُ اللَّهَ عَلَى مَا فِي قَلْبِهِ وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ} [البقرة: 204] وَمَا بَعْدَهَا. وَأَنْزَلَ اللَّهُ فِي أَصْحَابِ السَّرِيَّةِ: {وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ وَاللَّهُ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ} [البقرة: 207] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِمَّا قِيلَ مِنَ الشِّعْرِ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ قَوْلُ خُبَيْبٍ حِينَ أَجْمَعُوا عَلَى قَتْلِهِ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُنْكِرُهَا لَهُ -:
পৃষ্ঠা - ২৭৯৩

ওরা আমাকে কুফরী অবলম্বনের অন্যথায় নৃভ্যুকে অ ৷লিঙ্গণের প্রস্তাব দিয়েছে ৷ মৃত্যু নিশ্চিত
জেনে নীরবে ও শাম্ভচিত্তে আমার দৃ চোখ অশ্রুপাত করছে ৷


হু১১১ র্চ,ন্নে ১র্দু১’১ পুব্লু,া১১ ং;,হ্র১ব্লু ১ ৷ ১১:১১ং৷ ৷ ৷ ১১ পুস্১া১১
মৃভ্যুভয় আমার নেই ৷ কারণ, আমার মৃত্যু হবে তা নিশ্চিত ৷ তবে আমি ভয় কবি সর্বগ্নাসী
£ললিহান জাহান্নামের আগুনকে ৷

ন্১১ট্রু১১ ৰুা১ ৷ ১ ১াহ্র ১১১১ é ৷ ফ্লে; র্চু১১১১১ ১১১ ৷ ১ ৷ ং ণ্’ ) ঢু১ খুা১ ৷ব্লু১
আল্লাহর কসম ৷ আমি যখন মুসলমান হিসেবে মৃত্যুবরণ করছি ৩দ্ ন আমার মৃত্যু কোন
কাতে হচ্ছে তার ভাবনা কিসের ?

১১ ,১ ৰুা১ ৷ এ৷ ৷ ১ ৷ ৷১,১ ১া; ৷১১১১১১ ১১া১ ১পু ১১১ ১১ং১১১১

আমি শত্রুদের প্ৰতি বিনয় বা অন্থিরত৷ কিছুই প্রকাশ করছি না, কারণ, আমি নিশ্চিত যে
মহান অ ৷ল্লাহ্র দিকেই আমি প্রত্যাবর্তন করছি ৷

এই কাসীদার দুটো পংক্তি সহীহ্ বুথারীতে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ যা ইতে৷ পুর্বে উল্লিখিত
হয়েছে সে দুটো হল :

দু,১,পু১১ ১া১ ৷ ,১ ;,াহ্র টু,১ ;াদু, ,১ (১১পু১’১ পু১১’৷ ;,ছু১১ এঠো ’১”১া১
é)“ ঐ১১১ ,া৷১১১ং,৷ ৩১১১ এ ৷১ ১ ১ ১১১১ ;,াএ ণ্এ১৷ ৷ ১১া১ ১ ১া৷১,
ইবন ইসহাক বলেন, হযরত থুবায়ব (রা) এর প্ৰতি শোক প্রকাশ করে হযরত হাস্সান ইবন
ছাবিত (রা) বলেন : পংক্তি
ৰুার্দ্র১ঢু১

তামার চোখের কী হল ? অশ্রুপাত করছে না কেন ? বিক্ষিপ্ত মুক্তোর ন্যায় অশ্রু ঝরছে না
কেন বুকের উপর ?

অশ্রু ঝরছেন৷ কেন থুবায়বের জন্যে ? তিনি তো এক ন ওকৃজাযান টগবগে যুবক ৷ তার
সাক্ষাতে তারা জেনে ফেলেছে যে তিনি কাপুরুষও নন, দৃর্বলও নন ৷

ষ্ঠে১,১ ৷ ১ এএ১১ ৷ ১১১ ১দ্বু১ং৷ ৷ ১১১১ হৃন্১১া১ ৰুা১ ৷ এ ৷ ,১ ১১১১ ং১১১১া১

হে থুবায়র ! তুমি চলে যাও ৷ আল্লাহ তা আল৷ বিনিময়ে তোমাকে উত্তম পুরস্কার দিবেন এবং
দিবেন চিরস্থায়ী জান্নাত যেখানে থাকবে বন্ধুদের মধ্যে হুর-গিলমান ৷

এস্ৰু


لَقَدْ جَمَّعَ الْأَحْزَابُ حَوْلِي وَأَلَّبُوا ... قَبَائِلَهُمْ وَاسْتَجْمَعُوا كُلَّ مَجْمَعِ وَكُلُّهُمْ مُبْدِي الْعَدَاوَةِ جَاهَدٌ ... عَلَيَّ لِأَنِّي فِي وِثَاقٍ مُضَيَّعِ وَقَدْ جَمَّعُوا أَبْنَاءَهُمْ وَنِسَاءَهُمْ ... وَقُرِّبْتُ مِنْ جِذْعٍ طَوِيلٍ مُمَنَّعِ إِلَى اللَّهِ أَشْكُو غُرْبَتِي ثُمَّ كُرْبَتِي ... وَمَا أَرْصَدَ الْأَعْدَاءُ لِي عِنْدَ مَصْرَعِي فَذَا الْعَرْشِ صَبِّرْنِي عَلَى مَا يُرَادُ بِي ... فَقَدْ بَضَّعُوا لَحْمِي وَقَدْ يَأِسَ مَطْمَعِي وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الْإِلَهِ وَإِنْ يَشَأْ ... يُبَارِكْ عَلَى أَوْصَالِ شِلْوٍ مُمَزَّعِ وَقَدْ خَيَّرُونِي الْكُفْرَ وَالْمَوْتُ دُونَهُ ... وَقَدْ هَمَلَتْ عَيْنَايَ مِنْ غَيْرِ مَجْزَعِ وَمَا بِي حِذَارُ الْمَوْتِ إِنِّي لِمَيِّتٌ ... وَلَكِنْ حِذَارِي جَحْمُ نَارٍ مُلَفَّعِ فَوَاللَّهِ مَا أَرْجُو إِذَا مُتُّ مُسْلِمًا ... عَلَى أَيِّ جَنْبٍ كَانَ فِي اللَّهِ مَضْجَعِي فَلَسْتُ بِمُبْدٍ لِلْعَدُوِّ تَخَشُّعًا ... وَلَا جَزَعًا إِنِّي إِلَى اللَّهِ مَرْجِعِي وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " بَيْتَانِ مِنْ هَذِهِ الْقَصِيدَةِ، وَهُمَا قَوْلُهُ: فَلَسْتُ أُبَالِي حِينَ أُقْتَلُ مُسْلِمًا ... عَلَى أَيِّ شِقٍّ كَانَ فِي اللَّهِ مَصْرَعِي
পৃষ্ঠা - ২৭৯৪


তার সম্পর্কে তোমরা আর কী বলবে যেখানে ওে তামাদের নবী (সা) বলেছেন যে তার
সম্মানে ফেরেশতাগণ চা ৷রিদিক থেকে তার নিকটে এসে পৌছোছ ৷


এব্রগ্লু ন্;া গ্
হে শএষ্ পক্ষ ৷ আল্লাহ্র পথে শহীদ এই লোকঢির তোমরা কেন খুন করলে? তোমরা তাকে
খুন করেছ এমন এক লোকের হত্যার প্ৰতিশোধ হিসেবে যে ছিল শহরে নগরে এবং বন্ধু
বান্ধবদের মধ্যে একজন থােদাদ্রে ৷হী ব্যক্তি ৷
ইবন হিশাম বলেন আমরা কবিতার কিছু কিছু অমাজিত ত৷ :শ্৷ ছেড়ে দিয়েছি ৷ বনু লিহয়ান
গোত্রের যারা রাজী এর ঘটনায় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছিল তাদ্দে৷ নিন্দায় হযরত হাসসান ইবন
ছাবিত বলেন :
তোমার অন্তর নিখাদ গাদ্দারীন্ত ৩র্তি ৷ (সেখানে প্রতিশ্রুাবনপ্ালনের (লশমাত্রও (নই)তুমি
রাজী অঞ্চলে যাও এবং লিহ্য়ান গোত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর ৷
গ্র১াংট্রএ ৰু)াষ্টুট্রু>ন্া) ঠুঠুাংা৷ট্রু ংহ্রাষ্টু ন্ট্রুৰুট্রুট্রুঠু এাঠুৰু৷ ৷ প্রুহ্রছুৰু ৷ট্রুছুৰু>াব্লু; ৰুন্ৰুপ্রুট্রু
ওরা এমন এক সম্প্রদায় যে নিজেদের প্রতিবেশীকে খাওয়ার জন্যে একে অন্যকে ডেকে
এসেছে ৷ মুলতঃ কুকুর, বানর এবং ওই মানুষগুলাে একই পর্যায়ের ৷

ট্ট;ত্র
বন্য ( পাঠা) যদি কখনো কথা বলতে পারত তবে সে দাড়িয়ে তাদেরকে বক্তৃতা শুনতে এবং
ওই ছাগল৩ তাদের মধ্যে মযাদাবান ও সম্মান যোগ্য হত ৷
রাজী অঞ্চলে প্রেরিত সাহারা ই কিরামের (বা ) প্ৰতি হুযায়ল ও লিহ্য়ান গোত্র যে
বিশ্বাসঘাতকতা করেছে৩ তার নিন্দায় হযরত হাস্সান ইবন ছাবিত (বা ) বলেনং :

হয়রত থুবায়ব ও আসিম (রা) এর ব্যাপারে হুযায়ল গোত্র যে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তার
আলোচনা ও ইতিহাস গো ৷ত্রপতি ৩হুযায়ল ইবন মুদরিকের সুনাম ভুলুষ্ঠিত করে দিয়েছে :

লিহয়ান গোত্রের ঘটনা তাদেরকে নিকৃষ্ট ও হীনতর স্তরে না ৷মিয়ে দিয়েছে ৷ লিহয়ান গোত্রের
লোকেরা অপর৷ ৷ধী জঘন অপরাধী ৷

শুশ্

যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ওই গোত্রের প্রকৃত বীরদের তুলনায় খুব নীচ ও নিকৃষ্ট স্তরের
লোক ৷ অগ্নবর্তী ও নেতৃস্থানীয় লোকদের মুকাবিলায় এরা একেবারেই পেছনের সারির লোক ৷

ণ্ ণ্ডি


وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الْإِلَهِ وَإِنْ يَشَأْ ... يُبَارِكْ عَلَى أَوْصَالِ شِلْوٍ مُمَزَّعِ وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يَبْكِي خُبَيْبًا فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ: مَا بَالُ عَيْنِكَ لَا تَرْقَا مَدَامِعُهَا ... سَحًّا عَلَى الصَّدْرِ مِثْلَ اللُّؤْلُؤِ الْقَلِقِ عَلَى خُبَيْبٍ فَتَى الْفِتْيَانِ قَدْ عَلِمُوا ... لَا فَشِلٍ حِينَ تَلْقَاهُ وَلَا نَزِقِ فَاذْهَبْ خُبَيْبُ جَزَاكَ اللَّهُ طَيِّبَةً ... وَجَنَّةَ الْخُلْدِ عِنْدَ الْحُورِ فِي الرُّفُقِ مَاذَا تَقُولُونَ إِنْ قَالَ النَّبِيُّ لَكُمْ ... حِينَ الْمَلَائِكَةُ الْأَبْرَارُ فِي الْأُفُقِ فِيمَ قَتَلْتُمْ شَهِيدَ اللَّهِ فِي رَجُلٍ ... طَاغٍ قَدَ اوْعَثَ فِي الْبُلْدَانِ وَالرُّفَقِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: تَرَكْنَا بَعْضَهَا ; لِأَنَّهُ أَقْذَعَ فِيهَا. وَقَالَ حَسَّانُ يَهْجُو الَّذِينَ غَدَرُوا بِأَصْحَابِ الرَّجِيعِ مِنْ بَنِي لِحْيَانَ فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ: إِنْ سَرَّكَ الْغَدْرُ صِرْفًا لَا مِزَاجَ لَهُ ... فَأْتِ الرَّجِيعَ فَسَلْ عَنْ دَارِ لِحْيَانِ
পৃষ্ঠা - ২৭৯৫
قَوْمٌ تَوَاصَوْا بِأَكْلِ الْجَارِ بَيْنَهُمُ ... فَالْكَلْبُ وَالْقِرْدُ وَالْإِنْسَانُ مِثْلَانِ لَوْ يَنْطِقُ التَّيْسُ يَوْمًا قَامَ يَخْطُبُهُمْ ... وَكَانَ ذَا شَرَفٍ فِيهِمْ وَذَا شَانِ وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ أَيْضًا يَهْجُو هُذَيْلًا وَبَنِي لِحْيَانَ عَلَى غَدْرِهِمْ بِأَصْحَابِ الرَّجِيعِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ: لَعَمْرِي لَقَدْ شَانَتْ هُذَيْلَ بْنَ مُدْرِكٍ ... أَحَادِيثُ كَانَتْ فِي خُبَيْبٍ، وَعَاصِمِ أَحَادِيثُ لِحْيَانٍ صَلَوْا بِقَبِيحِهَا ... وَلِحْيَانُ جَرَّامُونَ شَرَّ الْجَرَائِمِ أُنَاسٌ هُمُ مِنْ قَوْمِهِمْ فِي صَمِيمِهِمْ ... بِمَنْزِلَةِ الزَّمْعَانِ دُبْرَ الْقَوَادِمِ هَمُ غَدَرُوا يَوْمَ الرَّجِيعِ وَأَسْلَمَتْ ... أَمَانَتُهُمْ ذَا عِفَّةٍ وَمَكَارِمِ رَسُولَ رَسُولِ اللَّهِ غَدْرًا وَلَمْ تَكُنْ ... هُذَيْلٌ تَوَقَّى مُنْكِرَاتِ الْمَحَارِمِ فَسَوْفَ يَرَوْنَ النَّصْرَ يَوْمًا عَلَيْهِمُ ... بِقَتْلِ الَّذِي تَحْمِيهِ دُونَ الْحَرَائِمِ أَبَابِيلُ دَبْرٍ شُمَّسٍ دُونَ لَحْمِهِ ... حَمَتْ لَحْمَ شَهَّادٍ عِظَامَ الْمَلَاحِمِ
পৃষ্ঠা - ২৭৯৬

রাজী দিবসে তারা রিশ্বাসঘাতকতা করেছে ৷ তার তত্মারধানে থাকা পুতঃপবিত্র সৃম্ভাম্ভ ও
মহান চরিত্রের অধিকারী লোক গুলোকে তারা শত্রুর হাতে সমর্পণ করেছে ৷

প্ ষ্০৷ শ্
ওরা বিশ্বাসঘাতকত৷ করে হস্তাম্ভরিত করে দিয়েছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রেরিত দুতদেরকে ৷
হুযায়ল গোত্র মন্দ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করেনি ৷
টা; ৷ ৷ ৰু;ট্রুট্রুট্রু ন্ব্লৰুন্চুট্র
অতিসতুর তারা তাদের পরাজয় দেখতে পাবে ৷ তারা পরাজিত হবে ভব্বদের উপর অন্যরা

জয়ী হবে ৷ এজন্যে যে, তারা এমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে যার ৷;ম্বোহ্ রক্ষা করার জন্যে
এগিয়ে এসেছিল ভীমরুলের দল ৷
ঝুন্ষ্টুৰুএ ৷ ন্টিা;;ঠু ষ্£শুঠুদ্বু; র্দুাট্রুন্ ৷ঠুা
বোলতা ও মৌমাছির একটি বিরাট দল ৷ তারা তার পবিত্র লাশের চারিদিকে সমবেত
হয়েছিল ৷ তারা রক্ষা করেছে এমন এক ব্যক্তির দেহকে যিনি ছিলেন সত্যের অন্যতম সাক্ষ্য দাতা
যুদ্ধের প্রখ্যাত সেনাপতি ৷

াপ্ং গুদ্বু এেরুণ্টু৷ ত্রুঅে ছু,স্পি :ৰুন্শুএ্যা ’ , ৷১১১ টু১৷ ১াছু১ওষ্১ দুা;ত্র

হত্যাকাডের স্থান ৷ যেখানে মরে পড়ে থাকবে তাদের লোকজন অথবা তারা দেখতে পারে
দুঃখজনক পরিণতি ৷

শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্

এই অপরাধের কারণে আমি তাদের উপর একটি প্রচণ্ড আক্রমণের আশা করছি ৷ হজ্জ
মওসুমের অশ্বারোহিগণ ওই আক্রমণের মাধ্যমে এই অপকর্মের সমুচিত জবাব দিবে ৷
ৰুন্াচ্ ’;¢¥;ং;; ট্রু;হ্র হুৰুন্, এ১ দুে,;, ৰু১৷ ;শ্ইএে ৷ >াহ্রন্£ন্১ র্পি;ন্ন্দ্ভুশু
মুসলমানদের এই দল তে৷ ওখানে গিয়েছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নির্দেশে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর দুত তো একজন বুদ্ধিমান ও চতুর লোকের ন্যায় কাজ করেছেন ৷ তিনি লিহয়ান গোত্র
সম্পর্কে অবগত ছিলেন ৷

৷ জৌ মোঃ
ওরা এমন এক গোত্রের লোক যারা প্রতিশ্রুতি পালনের কোন গুরুতৃ দেয় না ৷ ফলে ওরা
যখন নিযাতিত হয় তখন তারা যালিমের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারে না ৷

ঠোাদ্বু৷ ৷ ৷’১ ৷

ন্ সব মানুষ সমতল ভুমিতে অবস্থান নিলে তুমি ওদেরকে দেখবে যে , ওরা খাড়া পর্বতের ঝর্ণা
ধারায় অবস্থান করে পানির স্রোতের সাথে তলিয়ে যাচ্ছে ৷


لَعَلَّ هُذَيْلًا أَنْ يَرَوْا بِمُصَابِهِ ... مَصَارِعَ قَتْلَى أَوْ مَقَامًا لِمَأْتَمِ وَنُوقِعُ فِيهَا وَقْعَةً ذَاتَ صَوْلَةٍ ... يُوَافِي بِهَا الرُّكْبَانُ أَهْلَ الْمَوَاسِمِ بِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ إِنَّ رَسُولَهُ ... رَأَى رَأْيَ ذِي حَزْمٍ بِلِحْيَانَ عَالِمِ قُبَيِّلَةٌ لَيْسَ الْوَفَاءُ يُهِمُّهُمْ ... وَإِنْ ظُلِمُوا لَمْ يَدْفَعُوا كَفَّ ظَالِمِ إِذَا النَّاسُ حَلُّوا بِالْفَضَاءِ رَأَيْتَهُمْ ... بِمَجْرَى مَسِيلِ الْمَاءِ بَيْنَ الْمَخَارِمِ مَحَلُّهُمُ دَارُ الْبَوَارِ وَرَأْيُهُمْ ... إِذَا نَابَهُمْ أَمْرٌ كَرَأْيِ الْبَهَائِمِ وَقَالَ حَسَّانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَيْضًا يَمْدَحُ أَصْحَابَ الرَّجِيعِ وَيُسَمِّيهِمْ فِي شِعْرِهِ كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى: صَلَّى الْإِلَهُ عَلَى الَّذِينَ تَتَابَعُوا ... يَوْمَ الرَّجِيعِ فَأُكْرِمُوا وَأُثِيبُوا رَأْسُ السَّرِيَّةِ مَرْثَدٌ وَأَمِيرُهُمْ ... وَابْنُ الْبُكَيْرِ أَمَامَهُمْ وَخُبَيْبُ وَابْنٌ لِطَارِقَ وَابْنُ دَثْنَةَ مِنْهُمُ ... وَافَاهُ ثَمَّ حِمَامُهُ الْمَكْتُوبُ وَالْعَاصِمُ الْمَقْتُولُ عِنْدَ رَجِيعِهِمْ ... كَسَبَ الْمَعَالِيَ إِنَّهُ لَكَسُوبُ
পৃষ্ঠা - ২৭৯৭
مَنَعَ الْمَقَادَةَ أَنْ يَنَالُوا ظَهْرَهُ ... حَتَّى يُجَالِدَ إِنَّهُ لَنَجِيبُ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ يُنْكِرُهَا لِحَسَّانَ.