আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربع من الهجرة النبوية

পৃষ্ঠা - ২৭৭৬

ঐ যুদ্ধে আবুইয়ালা (রা) ও শহীদ হন ৷ তাকে আবু উমারাও বলা হতো ৷ ওই যুদ্ধে আল্লাহর
সিংহ এবং রাসুলের সিংহ উপাধিপ্রাপ্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চাচা হামযা (রা ) শহীদ হন ৷ হযরত
হামযা (বা) এবং আবু সালামা ইবন আবদ্যু৷ আসাদ দুজনই রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দুধ ভাই ছিলেন ৷
আবু লাহাবের দামী ছুওয়ায়বা তাদের তিনজনকে স্তন্যদান করেছিলেন ৷ বুখারী ও মুসলিমের হাদীছ
দ্বারা তা প্রমাণিত ৷ এই তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায় যে, হযরত হামযা (রাঃ যে দিন শহীদ হন যে
দিন তার বয়স পঞ্চাশ অতিক্রম করেছিল ৷ তিনি ছিলেন সাহসী বীর এবং প্রথম কাতারের
সিদ্দীক ৷ সেদিন তিনি সহ ৭০ জন সাহাবী (রা) শহীদ হন ৷ ওই বছরই রাসুলের কন্যা হযরত
উছমানের শ্রী রুকইিয়া (রা) ইনতিকাল করেন এবং তার ইনতিকালের পর হযরত উছমান (রা)
রাসুল-কন্যা উম্মু কুলছুম (রা)-কে বিবাহ করেন ৷ এই আক্দ সম্পন্ন হয় তৃভীয় হিজরী সনের
রবীউল আওয়াল মাসে ৷ তাদের বাসর সম্পন্ন হয় ওই বছর জুমাদাল উখৃরা মাসে ৷ বিষয়টি
ইতোপুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷

ইবন জারীর বলেছেন, তৃতীয় হিজরীতে আলী ও ফাতিমা (রা)এর পুত্র হাসানের জন্ম হয় ৷
ওই বছরই ফাতিমা (রা) হুসায়নকে গর্ভে ধারণ করেন ৷

হিজরী চতুর্থ সন

এ বছর মুহাররম মাসে আবু সালামা ইবন আবদুল আসাদ আবু তৃলায়হা আসাদীর নেতৃত্বে
একটি অভিযান প্রেরিত হয় ৷ তারা “কাতান নামক স্থানে শিবির স্থাপন করেন ৷ এ প্রসংগে
ওয়াকিদী বলেন, উনার ইবন উছমান বর্ণনা করেছেন, সালামা ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমার ইবন
আবুসালামা প্রমুখ থেকে ৷ তারা বলেছেন যে , হযরত আবু সালামা উহুদ যুদ্ধে ৎশ নিয়েছিলেন ৷
যুদ্ধে তিনি বাহুতে প্রচণ্ড আঘাত পান ৷ এক মাস ষাবত চিকিৎসা চলে ৷ হিজরতের ৩৫ মাসের
মাথায় মুহাররম মাসে রাসুলুল্লাহ (মা) তাকে ডেকে বললেন, এই অভিযান নিয়ে তুমি বের হও ৷
আমি তোমাকে ওদের নেতা মনোনীত করলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে পতাকা বেধে দেন ৷ তিনি
বললেন, নির্ধারিত মুজাহিদদেরকে নিয়ে তুমি যাত্রা কর ৷ বনু আসাদ গোত্রে পৌছে তোমরা
ওদেরকে আক্রমণ করবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবুসালামা এবং তার সাথীদেরকে তাকওয়া অবলম্বন
ও সৎ কাজের উপদেশ দিলেন ৷ ১৫০ জন মুজাহিদ নিয়ে আবু সালামা “কাতানে শিবির স্থাপন
করেন ৷ সেটি ছিল বনু আসাদ গোত্রের একটি জলাশয় ৷ ওখানে অবস্থান করছিল শত্রুপক্ষ
থুওয়াইলিদের পুত্রদ্বয় তৃলায়হা আসাদী এবং তার ভাই সালামা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করার জন্যে বনু আসাদ গোত্রের সকল মিত্র গোত্রকে একত্রিত করেছিল ৷ ওদেরই একজন লোক
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপ ত হয়ে তৃলায়হা ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে যুদ্ধ প্রন্তুতির সংবাদ
তাকে জানায় ৷ ওই লোকের সাথেই তিনি আবু সালামার নেতৃত্বে অভিযান প্রেরণ করেন ৷

মুসলিম বাহিনী ওখানে পৌছার পর শত্রুপক্ষ ভয় পেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায় ৷ তারা বহু
ধন-সম্পদ ফেলে যায় ৷ তার মধ্যে ছিল উট, বকরী ইত্যাদি ৷ আবুসালামা (রা) ও তার সাথীগণ
ওইসব ধন-সম্পদ দখল করে নেন ৷ তারা তিনজন ক্রীতদাসকে বন্দী করেন ৷ শত্রুপক্ষ পালিয়ে
যাওয়ার পর দলবলসহ আবুসালামা (রা) মদীনায় দিকে ফিরতি যাত্রা করেন ৷ আসাদ গোত্রের যে

ব্যক্তি গোপন সংবাদ জানিয়েছিল গনীমতের সাল থেকে প্রচুর পরিমাণ সম্পদ তাকেও দেওয়া হয় ৷


[سَنَةُ أَرْبَعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنَ الْأَحْدَاثِ] فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهَا كَانَتْ سَرِيَّةُ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ إِلَى طُلَيْحَةَ الْأَسَدِيِّ فَانْتَهَى إِلَى مَاءٍ يُقَالُ لَهُ: قَطَنٌ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعِيدٍ الْيَرْبُوعِيُّ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ وَغَيْرِهِ، قَالُوا: شَهِدَ أَبُو سَلَمَةَ أُحُدًا، فَجُرِحَ جُرْحًا عَلَى عَضُدِهِ، فَأَقَامَ شَهْرًا يُدَاوَى، فَلَمَّا كَانَ هِلَالُ الْمُحَرَّمِ عَلَى رَأْسِ خَمْسَةٍ وَثَلَاثِينَ شَهْرًا مِنَ الْهِجْرَةِ، دَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: اخْرُجْ فِي هَذِهِ السَّرِيَّةِ، فَقَدِ اسْتَعْمَلْتُكَ عَلَيْهَا. وَعَقَدَ لَهُ لِوَاءً، وَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ২৭৭৭
سِرْ حَتَّى تَأْتِيَ أَرْضَ بَنِي أَسَدٍ فَأَغِرْ عَلَيْهِمْ. وَأَوْصَاهُ بِتَقْوَى اللَّهِ وَبِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا وَخَرَجَ مَعَهُ فِي تِلْكَ السَّرِيَّةِ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ، فَانْتَهَى إِلَى أَدْنَى قَطَنٍ وَهُوَ مَاءٌ لِبَنِي أَسَدٍ وَكَانَ هُنَاكَ طُلَيْحَةُ الْأَسَدِيُّ وَأَخُوهُ سَلَمَةُ ابْنَا خُوَيْلِدٍ، وَقَدْ جَمَعَا حُلَفَاءَ مِنْ بَنِي أَسَدٍ لِيَقْصِدُوا حَرْبَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْهُمْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ بِمَا تَمَالَئُوا عَلَيْهِ، فَبَعَثَ مَعَهُ أَبَا سَلَمَةَ فِي سَرِيَّتِهِ هَذِهِ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَى أَرْضِهِمْ، تَفَرَّقُوا وَتَرَكُوا نَعَمًا كَثِيرًا لَهُمْ مِنَ الْإِبِلِ وَالْغَنَمِ، فَأَخَذَ ذَلِكَ كُلَّهُ أَبُو سَلَمَةَ وَأَسَرَ مِنْهُمْ مَعَهُ ثَلَاثَةَ مَمَالِيكَ، وَأَقْبَلَ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ فَأَعْطَى ذَلِكَ الرَّجُلَ الْأَسَدِيَّ الَّذِي دَلَّهُمْ نَصِيبًا وَافِرًا مِنَ الْغَنَمِ، وَأَخْرَجَ صَفِيَّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; عَبْدًا، وَخَمَّسَ الْغَنِيمَةَ، وَقَسَّمَهَا بَيْنَ أَصْحَابِهِ، ثُمَّ قَدِمَ الْمَدِينَةَ. قَالَ عُمَرُ بْنُ عُثْمَانَ: فَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ يَرْبُوعٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ: كَانَ الَّذِي جُرِحَ أَبِي أَبُو أُسَامَةَ الْجُشْمِيُّ فَمَكَثَ شَهْرًا يُدَاوِيهِ، فَبَرَأَ، فِيمَا نَرَى، فَلَمَّا بَرَأَ وَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُحَرَّمِ - يَعْنِي مِنْ سَنَةِ أَرْبَعٍ - إِلَى قَطَنٍ فَغَابَ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، فَلَمَّا دَخَلَ الْمَدِينَةَ انْتَقَضَ بِهِ جُرْحُهُ، فَمَاتَ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ جُمَادَى
পৃষ্ঠা - ২৭৭৮
الْأُولَى. قَالَ عُمَرُ: وَاعْتَدَّتْ أُمِّي حَتَّى خَلَتْ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا، ثُمَّ تُزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَخَلَ بِهَا فِي لَيَالٍ بَقِينَ مِنْ شَوَّالٍ، فَكَانَتْ أُمِّي تَقُولُ: مَا بَأْسٌ بِالنِّكَاحِ فِي شَوَّالٍ وَالدُّخُولِ فِيهِ وَقَدْ تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَوَّالٍ وَأَعْرَسَ بِي فِيهِ. قَالَ: وَمَاتَتْ أُمُّ سَلَمَةَ فِي ذِي الْقِعْدَةِ سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. قُلْتُ: سَنَذْكُرُ فِي أَوَاخِرَ هَذِهِ السَّنَةِ فِي شَوَّالِهَا تَزْوِيجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأُمِّ سَلَمَةَ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِذَلِكَ مِنْ وِلَايَةِ الِابْنِ أُمَّهُ فِي النِّكَاحِ، وَمَذَاهِبِ الْعُلَمَاءِ فِي ذَلِكَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ.
পৃষ্ঠা - ২৭৭৯

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্য একটি ক্রীতদাস এবং বিধিমুতাবিক মোট সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ
রেখে দেওয়া হয় ৷ অবশিষ্ট মালামাল অভিযানে অংশ গ্রহণকারী মুজাহিদদের মধ্যে বন্টন করে
দেওয়া হয় ৷ তারপর তারা মদীনায় ফিরে এলেন ৷

উমর ইবন উছমান বলেন, আবদুল মালিক উমর ইবন আবু সালাম৷ (র৷ ) থেকে বর্ণিত যে,
তিনি বলেছেন, উহুদ যুদ্ধে যে কাফিৱ আমার পিতাকে যখন করেছিল যে ছিল আবু উসমাে
জাশামী ৷ প্রায় এক মাস যাবত আমার পিতা ওই যখমের চিকিৎসা করল ৷ তারপর তিনি সুস্থ হয়ে
উঠলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে কতোন এলাকায় প্রেরণ করেন ৷ সময়টি জ্জি ৪র্থ হিজরীর মুহাররাম
মাস ৷ সফর উপলক্ষে দশ দিনের অধিরুহ্মাল তিনি মদীনায় বাহিরে ছিলেন ৷ মদীনায় প্রুত্যাবর্তনের
পর তার ক্ষতস্থান আবার দগদাগ হয়ে উঠে ৷ অবশেষে জুমদোল উলা মাসের তিনদিন অবশিষ্ট
থাকতে তার ইনতিকাল হয় ৷ উমর ইবন আবুসালামা বলেন আমার পিতার মৃত্যুতে আমার যা
যথারীতি ইদ্দত পালন করেন ৷ : মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন্ণ্নর পর রাসুলুল্লাহ্-র সঙ্গে পরিণয়
সুত্রে আবদ্ধ হন ৷ শাওয়াল মাসের শেষ দিকে তাদের বাসর হয় ৷ এ প্রেক্ষিতে আমার মা বলভেন
“শাওয়াল সালে বিয়ে অনুষ্ঠান এবং বাসর উদযাপনে কোন দোষ নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
বিয়ে করেছেন শাওয়াল মাসে এবং ঐ মাসেই আমাদের বাসর হয় ৷ বর্ণনকােরী বলেন, ৫৯ হিজ্জী
সনের যিলকদ-মাসে উম্মু সালমো (রা)-এর ওফাত হয় ৷ বায়হাকী (র) এটি বর্ণনা করেহ্নে৷ ৷ আমি
বলি, ৪র্থ হিজরী সনের শেষের দিকের ঘটনাবলী উল্লেখ করার সময় শাওয়াল মাসে উম্মু সালামার
সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিবাহ এবং এতদৃসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় যেমন মায়ের বিয়েতে পুক্রো
অভিভাবকভু, এ বিষয়ে উলামা-ই কিরামের মতভেদ ইত্যাদি উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ্ ৷

রাজীর লোমহর্ষক ঘটনা

ওয়াকিদী বলেন, এই ঘটনাটি ঘটেছিল : র্থ হিজরী সনের সফর মাসে ৷ রাসুলল্লাহ্ (সা) ওই
জামাআতকে প্রেরণ করেছিলেন মক্কাৰাসীদের প্রতি ৷ রাব্জী হল উছফান থেকে ৮ ম্াইলের
ব্যবধানে অবস্থিত একটি কুয়াে ৷ ইমাম বুখারী (র) বলেন, ইবরাহীম আবু হুরায়রা (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদল গুপ্ত-চর পাঠিয়েছিলেন ৷ তাদের নেতা
মনোনীত করেছিলেন আসিম ইবন ছাৰিতকে ৷ আসিম ইবন ছাবিত ছিলেন আসিম ইবন উমার

বদৃযায়ল গোত্রের এক উপগােত্র বনু লাহয়ান তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয় ৷ ফলে ঐ
গোত্রের প্রায় একশ’ তীরন্দাজ ব্যক্তি ঐ ঘুসলিম জামাআতাক আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে বের হয় ৷
তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে শত্রুপক্ষ অগ্রসর হয় ৷ এক জায়গায় এসে তারা যাত্রা বিরতি করে ৷
সেখানে তারা কতক খেজুর বীঢি দেখতে পায় ৷ তারা বল্মবলি করতে লাগলো ওগুলে৷ তো
দেখছি মদীনায় খেজুর ৷ সফরের খাদ্য হিসেবে আসিম (বা ) ও তার সাথীরা সেগুলো সঙ্গে
এসেছিলেন ৷ দ্রুত বো:গ তারা ঐ জামলোতের পশ্চাদ্ধাবন করে ৷ তারা তাদের কাছে পৌছে
পেল ৷ আসিম ও তার সাথিগণ উপায়ান্তর না দেখে ফদ ফদ নামক একটি উচু টিলায় উঠে যায় ৷
শত্রুপক্ষ তাদেরকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে ৷ ওরা বলল, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে তোমরা
যদি আমাদের নিকট আত্মসমর্পণ কর ৷ তার আমরা তোমাণ্দর কাউকে হত্যা করব না ৷ ষ্লেনেতা


[غَزْوَةُ الرَّجِيعِ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَتْ فِي صَفَرٍ - يَعْنِي سَنَةَ أَرْبَعٍ - بَعَثَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ لِيُخْبِرُوهُ. قَالَ: وَالرَّجِيعُ عَلَى سَبْعَةِ أَمْيَالٍ مِنْ عُسْفَانَ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي سُفْيَانَ الثَّقَفِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً عَيْنًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَاصِمَ بْنَ ثَابِتٍ، وَهُوَ جَدُّ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَانْطَلَقُوا حَتَّى إِذَا كَانُوا بَيْنَ عُسْفَانَ وَمَكَّةَ ذُكِرُوا لِحَيٍّ مِنْ هُذَيْلٍ يُقَالُ لَهُمْ: بَنُو لِحْيَانَ. فَتَبِعُوهُمْ بِقَرِيبٍ مِنْ مِائَةِ رَامٍ، فَاقْتَصُّوا آثَارَهُمْ، حَتَّى أَتَوْا مَنْزِلًا نَزَلُوهُ فَوَجَدُوا فِيهِ نَوَى تَمْرٍ تَزَوَّدُوهُ مِنَ الْمَدِينَةِ فَقَالُوا: هَذَا تَمْرُ يَثْرِبَ. فَتَبِعُوا آثَارَهُمْ حَتَّى لَحِقُوهُمْ، فَلَمَّا انْتَهَى عَاصِمٌ وَأَصْحَابُهُ لَجَئُوا إِلَى فَدْفَدٍ، وَجَاءَ الْقَوْمُ فَأَحَاطُوا بِهِمْ، فَقَالُوا: لَكُمُ الْعَهْدُ وَالْمِيثَاقُ إِنْ نَزَلْتُمْ
পৃষ্ঠা - ২৭৮০

আসিম (রা) বললেন আমি কখনো কাফিরের হাতে অব্লেসমর্পণ করব না ৷ হে আল্লাহ্ ৷ আমাদের
এই সংকটপুর্ণ অবস্থা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অবগত করিয়ে দিন ৷ এরপর তারা কাফিরদের
সাথে যুদ্ধ শুরু করেন ৷ দলনেতা আসিম (রা)সহ ৭ জন সাহাৰী কাফিরদের হাতে ৩হনি ত হন ৷
খুবায়ব, যায়দ ও অন্য একজন ৷লাক বেচে গেলেন ৷ তারা কাফিরদের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে
আত্মসমর্পণ করেন ৷ কাফিরেরা যখন সাহাবী তিনজনফে পুর্ণ কাবুতে পেয়ে পেল তখন তারা
তাদের ধনুকের ছিলা দিয়ে তাদেরকে বেধে ;ফলে ৷ তখন তৃতীয় ব্যক্তি বললেন, এটি হচ্ছে প্রথম
বিশ্বাস ঘাত কতা ৷ তিনি ওদের সাথে যেতে ৩অস্বীকার করেন ৷ ওরা জোর জবরদস্তি করে নিয়ে
যেতে চায় ৷ তিনি যেতে অস্বীকার করেন ৷ শেষ পর্যন্ত তারা তাকে শহীদ করে দেয় ৷ যায়দ (রা)
ও খুবায়ব (রা)-কে নিয়ে তারা যাত্রা করে ৷ মক্কায় পৌছে তারা তাদের দু’জনকে বিক্রি করে
দেয় ৷ হারিছ ইবন আমিরের পুত্রেরা হযরত খুবায়ব (রা) কে কিনে নেয় ৷ বদর দিবসে তিনি
হারিছকে হত্যা করেছিলেন ৷ বন্দী অবস্থায় খুবায়ব (রা) তাদের নিকট রইলেন ৷ শেষ পহন্তি তারা
যখন তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিল তখন হারিছের এক মহিলার নিকট থেকে তিনি ন্বেচীর কর্ম
সম্পাদনের জন্যে একটি ক্ষুর চেয়ে নেন ৷ মইিলাঢি তাকে একটি ক্ষুর দেয় ৷ মহিলাটির অসতর্ক
মহুর্তে তার এক শিশু পুত্র খুবায়বের (রা) কাছে পৌছে যায় ৷ তিনি শিংটিকে কোলে তুলে নেন ৷
মহিলাটি বলে শিশুর এই অবস্থান দেখে আমি খুবই বিচলিত হয়ে পড়ি, খৃরায়ব (বা) তা আচ
করতে পারলেন ৷ তখনও তার হাতে ক্ষুর ৷ তিনি বললেন, তুমি কি ভয় পচ্ছে যে, আমি ওকে খুন
করব ? আমি ইনশাআল্লাহ্ তা করব না ৷ হারিছের কন্যা প্রায়ই বলত যে, খুবায়ব (রা)এব চাইতে
ভদ্র কোন বন্দী আমি কখনো দেখিনি ৷ আমি তাকে দেখেছি যে তিনি আঙ্গুর ছড়া থেকে আঙ্গুর
খাচ্ছেন অথচ তখন মক্কায় আঙ্গুরের মওসুম ছিল না ৷৩ তদুপরি তিনি লোহার শিকলে বাধা, ছিলেন ৷
নিশ্চয়ই ওই আঙ্গুর ছিল তার জন্যে আল্পাহ্র পাঠানো বিশেষ রিবৃক স্বরুপ ৷ হত্যার উদ্দে;শ্য তারা
তাকে হারাম শরীফের বাইরে নিয়ে যায় ৷ তিনি বললেন, আমাকে দু’ রাকআত নামায আদায়
করার সুযোগ দাও ৷ পরে তিনি তাদের নিকট ফিরে এলেন ৷ তিনি বললেন, তোমরা ধারণা করবে
যে, আমি মৃত্যুর ভয়ে দীর্ঘ নামায আদায় করছি এরুপ আশংকা না থাকলে আমি নামায আরও
দীর্ঘ্যয়িত করত আম ৷ নতুবা নিহত হওয়ার পুর্বে দৃ ’রাকআত নামায আদায় করার রীতি সর্ব প্রথম
তিনিই চালু করেন ৷ তিনি বললেন :



হে আল্লাহু! আপনি ওদেরকে জান জান গুণে রাখুন এবং ওদের প্রতোককে ধ্বংস করুন
তারপর তিনি বললেন :

;ঠুঠু ধ্া৷ ৷ ১

যখন মুসলিম অবস্থায় আমি নিহত হচ্ছি তখন আমার কোন পভ্রুরায়া নেই যে, কোন পাশে
কাত থাকা অবস্থায় আমার মৃত্যু হলো ৷



إِلَيْنَا ; أَلَّا نَقْتُلَ مِنْكُمْ رَجُلًا. فَقَالَ عَاصِمٌ: أَمَّا أَنَا فَلَا أَنْزِلُ فِي ذِمَّةِ كَافِرٍ، اللَّهُمَّ أَخْبِرْ عَنَّا رَسُولَكَ. فَقَاتَلُوهُمْ حَتَّى قَتَلُوا عَاصِمًا فِي سَبْعَةِ نَفَرٍ بِالنَّبْلِ، وَبَقِيَ خُبَيْبٌ، وَزَيْدٌ وَرَجُلٌ آخَرُ، فَأَعْطَوْهُمُ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ، فَلَمَّا أَعْطَوْهُمُ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ، نَزَلُوا إِلَيْهِمْ، فَلَمَّا اسْتَمْكَنُوا مِنْهُمْ، حَلُّوا أَوْتَارَ قِسِيِّهِمْ فَرَبَطُوهُمْ بِهَا، فَقَالَ الرَّجُلُ الثَّالِثُ الَّذِي مَعَهُمَا: هَذَا أَوَّلُ الْغَدْرِ. فَأَبَى أَنْ يَصْحَبَهُمْ، فَجَرُّوهُ وَعَالَجُوهُ عَلَى أَنْ يَصْحَبَهُمْ فَلَمْ يَفْعَلْ، فَقَتَلُوهُ، وَانْطَلَقُوا بِخُبَيْبٍ، وَزَيْدٍ حَتَّى بَاعُوهُمَا بِمَكَّةَ فَاشْتَرَى خُبَيْبًا بَنُو الْحَارِثِ بْنُ عَامِرِ بْنِ نَوْفَلٍ وَكَانَ خُبَيْبٌ هُوَ قَتَلَ الْحَارِثَ يَوْمَ بَدْرٍ فَمَكَثَ عِنْدَهُمْ أَسِيرًا، حَتَّى إِذَا أَجْمَعُوا قَتْلَهُ، اسْتَعَارَ مُوسًى مِنْ بَعْضِ بَنَاتِ الْحَارِثِ لِيَسْتَحِدَّ بِهَا فَأَعَارَتْهُ. قَالَتْ: فَغَفَلْتُ عَنْ صَبِيٍّ لِي، فَدَرَجَ إِلَيْهِ حَتَّى أَتَاهُ، فَوَضَعَهُ عَلَى فَخِذِهِ، فَلَمَّا رَأَيْتُهُ فَزِعْتُ فَزْعَةً عَرَفَ ذَلِكَ مِنِّي، وَفِي يَدِهِ الْمُوسَى، فَقَالَ أَتَخْشَيْنَ أَنْ أَقْتُلَهُ؟ مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ ذَاكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَكَانَتْ تَقُولُ: مَا رَأَيْتُ أَسِيرًا قَطُّ خَيْرًا مِنْ خُبَيْبٍ، لَقَدْ رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ مِنْ قَطْفِ عِنَبٍ، وَمَا بِمَكَّةَ يَوْمَئِذٍ مِنْ ثَمَرِهِ، وَإِنَّهُ لَمُوثَقٌ فِي الْحَدِيدِ، وَمَا كَانَ إِلَّا رِزْقًا رَزَقَهُ اللَّهُ. فَخَرَجُوا بِهِ مِنَ الْحَرَمِ لِيَقْتُلُوهُ، فَقَالَ: دَعَونِي أُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ. ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ: لَوْلَا أَنْ تَرَوْا أَنَّ مَا بِي جَزَعٌ مِنَ الْمَوْتِ لَزِدْتُ. فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَنَّ الرَّكْعَتَيْنِ عِنْدَ الْقَتْلِ هُوَ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ أَحْصِهِمْ عَدَدًا، وَاقْتُلْهُمْ بِدَدًا. ثُمَّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ২৭৮১
وَلَسْتُ أُبَالِي حِينَ أُقْتَلُ مُسْلِمًا ... عَلَى أَيِّ شِقٍّ كَانَ فِي اللَّهِ مَصْرَعِي وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الْإِلَهِ وَإِنَّ يَشَأْ ... يُبَارِكْ عَلَى أَوْصَالِ شِلْوٍ مُمَزَّعِ قَالَ: ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ عُقْبَةُ بْنُ الْحَارِثِ فَقَتَلَهُ، وَبَعَثَتْ قُرَيْشٌ إِلَى عَاصِمٍ ; لِيُؤْتَوْا بِشَيْءٍ مِنْ جَسَدِهِ يَعْرِفُونَهُ، وَكَانَ عَاصِمٌ قَتَلَ عَظِيمًا مِنْ عُظَمَائِهِمْ يَوْمَ بَدْرٍ فَبَعْثَ اللَّهُ عَلَيْهِ مِثْلَ الظُّلَّةِ مِنَ الدَّبْرِ، فَحَمَتْهُ مِنْ رُسُلِهِمْ، فَلَمْ يَقْدِرُوا مِنْهُ عَلَى شَيْءٍ» ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: الَّذِي قَتَلَ خُبَيْبًا هُوَ أَبُو سِرْوَعَةَ. قُلْتُ: وَاسْمُهُ عُقْبَةُ بْنُ الْحَارِثِ، وَقَدْ أَسْلَمَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَلَهُ حَدِيثٌ فِي الرَّضَاعِ، وَقَدْ قِيلَ إِنَّ أَبَا سِرْوَعَةَ، وَعُقْبَةَ أَخَوَانِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. هَكَذَا سَاقَ الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ الْمَغَازِي مِنْ " صَحِيحِهِ " قِصَّةَ أَصْحَابِ
পৃষ্ঠা - ২৭৮২

আমার মৃত্যুভাে হচ্ছে আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্যে ৷ তিনি চাইলে আমার খণ্ড
বিখণ্ড দেহের প্রতিটি জোড়ায় জোড়ায় প্রতিটি সংযোগ স্থলে বরকত দিবেন ৷ এরপর উকবা ইবন
হারিছ তার দিকে এগিয়ে যায় এবং তাকে হত্যা করে ৷ বর্ণিত আছে যে কুরায়শের লোকেরা
প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল যাতে তারা চিনতে পারে আসিমের (বা) শরীরের এমন কোন অংশ নিয়ে
আসার জন্যে ৷ কারণ হযরত আসিম (রা) ওদের খ্যাতিমান এক বেতাকে বদর দিবসে হত্যা
করেছিলেন ৷ এখন তার শরীরের অংশের অবমাননা করে তার প্রতিশোধ নেয়া ছিল তাদের
উদ্দেশ্য ৷ জ্যি তার পবিত্র দেহকে ওদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে আল্লাহ্ তাআলা মেঘের
ন্যায় এক ঝাক মৌমাছি পাঠিয়ে দিলেন ৷ মৌমাছি গুলো চারিদিক থেকে তাকে ঘিরে রেখে
ওদের হাত থেকে তার দেহকে রক্ষা করে ৷ তারা তার দেহ স্পর্শ-ই করতে পারেনি ৷

বুখারী বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ (রা)
বলতেন যে, খুবায়ব (না)-কে হত্যা করেছিল কাফির আবু সারােআ ৷ আমি বলি, তার নাম
উকবা ৷ সে হারিছের পুত্র ৷ অবশ্য পরে সে ইসলাম গ্রহণ করেছিল ৷ “দুধ পান বিষয়ে তার
বর্ণিত একটি হাদীছও রয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, আবু সাষ্করাআ আর উকবা দুজন সহােদর
ভইি ছিলেন ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷ বুখারী (র) তার সহীহগ্রন্থে মাগাযী অধ্যায়ে রাব্জী এর ঘটনা
এভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি এই ঘটনাটি তাওহীদ অধ্যায়ে এবং জিহাদ অধ্যায়ে যুহ্রী জ্যি
ভিন্ন সুত্রে উল্লেখ করেছেন ৷ তার একটি ভাষ্য এই : রাসুলুল্লাহ্ (সা) ১০ জনের একটি গুপ্তচর
দল প্রেরণ করেছিলেন ৷ তাদের নেতা মনোনীত করেছিলেন আসিম ইবন ছাবিত ইবন আবু
আফ্ফাহ্বহ্কে ৷ অবশিষ্ট বর্ণনা পুংর্বর ন্যায় ৷ বর্ণনার কোন কোন অংশে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক, মুসা
ইবন উক্বা এবং উরওয়া ইবন যুৰায়র দ্বিমত পোষণ করেছেন ৷ উভয় প্রকারের বর্ণনার মধ্যে
কতটুকু তারতম্য ও ব্যবধান রয়েছে তা স্পষ্ট করার জন্যে আমরা ইবন ইসহাকের বর্ণনাটিও
উল্লেখ করব ৷ কারণ, ইতিহাস বিষয়ে ইবন ইসহাক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি এবং অপ্রতিদ্বন্দী ৷ যেমন
ইমাম শাফিঈ (র) বলেছেন, মাগাযী বা যুদ্ধ শাগ্রে যে পযাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে চায় সে নিশ্চয়ই
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের মুখাপেক্ষী ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেছেন, আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা আমাদের নিকট বলেছেন
যে উহুদ যুদ্ধের পর আমল ও কারাহ গোত্রদ্বয়ের কতক লোক রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন
করে ৷ তারা বলে, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ষ্ আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ আপনি আপনার সাহাবীদের
মধ্য থেকে একলে লোক আমাদের সাথে পাঠিয়ে দিন যারা আমাদেরকে দীনের জ্ঞান দান করবে,
কুরআন শিক্ষা দেবেন এবং ইসলামের বিধানাবলী সম্পর্কে আমাদেরকে অবহিত করবেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ছয়জন সাহাৰী (রা)ণ্কে তাদের সাথে প্রেরণ করলেন ৷ তারা হলেন (১)
মারছাদ ইবন আবু মারছাদ পানাবী (রা), ইনি হামযা ইবন আবদুল মুত্তালিবের মিত্র ছিলেন ; ইবন
ইসহাকের মতে ইনি ছিলেন দলনেতা ৷ (২) খালিদ ইবন বৃকায়র লইিহী (রা), তিনি বনু আদী
গোত্রের মিত্র ৷ (৩) আদিম ইবন ছাবিত ইবন আবুল আফলাহ (রা) ৷ ইনি বনু আমর ইবন আওফ
গোত্রের ণ্লাক ছিলেন ৷ (৪) খুবায়ব ইবন আদী (রা), ইনি বনু আহ্জাবাঈ ইবন কালফা ইবন
আমর ইবন আওফ গোত্রের লোক ছিলেন ৷ (৫) যায়দ ইবন দাছিন্ন৷ (বা), তিনি বনু বিয়াদা ইবন


الرَّجِيعِ وَرَوَاهُ أَيْضًا فِي التَّوْحِيدِ وَفِي الْجِهَادِ، مِنْ طُرُقٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ أَسِيدِ بْنِ جَارِيَةَ الثَّقَفِيِّ حَلِيفِ بَنِي زُهْرَةَ وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: عُمَرُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ. وَالْمَشْهُورُ عَمْرٌو. وَفِي لَفْظٍ لِلْبُخَارِيِّ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَةَ رَهْطٍ سَرِيَّةً عَيْنًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَاصِمَ بْنَ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ» وَسَاقَ نَحْوَهُ. وَقَدْ خَالَفَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فِي بَعْضِ ذَلِكَ، وَلْنَذْكُرْ كَلَامَ ابْنِ إِسْحَاقَ ; لِيُعَرَفَ مَا بَيْنَهُمَا مِنَ التَّفَاوُتِ وَالِاخْتِلَافِ، عَلَى أَنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ إِمَامٌ فِي هَذَا الشَّأْنِ، وَغَيْرُ مُدَافَعٍ، كَمَا قَالَ الشَّافِعِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: مَنْ أَرَادَ الْمَغَازِي فَهُوَ عِيَالٌ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ قَالَ: قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ أُحُدٍ رَهْطٌ مِنْ عَضَلٍ وَالْقَارَةِ، فَقَالُوا:
পৃষ্ঠা - ২৭৮৩

আমির গোত্রের লোক ছিলেন ৷ (৬) আবদুল্লাহ্ ইবন তারিক (বা) ইাৰুন যাফর ৷গাংত্রর মিত্র
ছিলেন ৷ ইবন ইসহাক এরুপই বলেছেন যে, তারা ছিলেন ছয় জন, মুসা ইবন উক্বা ও তাই

বলেছেন ইবন ইসহাক যে নামগুলো উল্লেখ করেছেন মুসা ইবন উকবাও সেগুলো উল্লেখ
করেছেন ৷ বুখ্যরীর (র) ম তানুসারে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ১০ জন ৷ তিনি আরো বলেছেন যে

তাদের দল নেতা ছিলেন আসিম ইবন ছাবিত ইবন আবুল আফলন্বহ ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইনহাক বলেন আগত লোকদের সাথে যাত্রা করলেন এই প্রতি নিধি দল ৷৩ তারা গিয়ে

পৌছলেন রাজী এলাকায় ৷ রাব্জী হল হাদ আ থেকে ণ্ফরার পথে হিল্পাম প্রান্তের একটি কুয়াে ৷
হুযায়ল গোত্রের তত্ত্বাবধানে ছিল এ কুয়ােটি ৷ সেখানে পৌছার পর ঐ ৷লকজন বিশ্বাসঘাতকতা
করে ৷ মুসলিম জামাতঢির উপর হামলা করার জন্যে তারা হুযায়ল দ্বো৷ত্রকে তা৷হ্বান জানায় ৷ কিন্তু

তাদের হাতে তরৰারি থাকায় স্থানীয় লোকজন সে সাহস করেনি ৷ অথচ তারা ঐ জামাত গ্ক ঘিরে
রেখেছিল ৷ নুসলমানগণ শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে তরৰারগুলে৷ হাতে নিয়ে প্রস্তুত হয়ে
যান ৷ তখন তারা বলে যে , আল্লাহর কসম ৷ আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসিনি ৷
আমরা বরং এটি চেয়েছিলাম যে, আপ্যাদেরঝে মক্কাবাসীর নিকট প্রেরণ করে বিনিময়ে কিছু
আর্থিক সুবিধা আদায় করব ৷ আপনাদের সাথে আমরা অঙ্গীকার করছি যে, আমরা আপনাদেরকে
হত্যা করব না ৷ হযরত মারছাদ (রা), খালিদ ইবন বুকায়র (বা) এবং আসিম ইবন ছাবিত (রা)
বললেন, আল্লাহর কলম, মুশব্রিকদের কোন অঙ্গীকার আমরা বিশ্বাস করব না এবং ওদ্যে৷ সাথে
কোন চুক্তিতে আমরা আবদ্ধ হব না, এ প্রসংপে আসিম ইবন ছাবিত (রা) বললেন :

আমার কোন ওমর ও দুর্বলতা নেই ৷ আমি একজন শক্তৰুসামর্থ র্তীরন্দাজ যুবক ৷ আমার
ধনুকে রয়েছে মযবুত হ্নিা৷ ৷
’ট্রুা৬ান্ হু;া;হ্র৷ ৷, র্দু;; পুষ্হুা৷ পুান্া;;দ্বু ৷ ৷;ৰু;;ও;ৰু ;-,;, ঠু-গ্লু;
সেটির পিঠ থেকে তুনীর পড়ে যায় ৷ মৃত্যু চির সত্য আর জীবন হল অনার ৷
যা নাযিল হবে বলে আল্পাহ্৩ তা জানা স্থির করেছেন তা মানুষের উপর নাযিল হলেই ৷ মানুষ
যে দিকে আসৰেই ৷
৷ ণ্া
আমি যদি তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করি তবে আমার যা অপ্রকৃতিস্থ বলে গণা হবেন ৷
হযরত আসিম (বা) আরো বলেন চ
;হুৰু
আবুসুলায়মান সীমালৎঘনকারী ও পথভ্রষ্ট যেন জ্বলত্ত অগ্নিকুণ্ড ৷

ষ্ ¢ — ৷ ষ্ fl ১ন্ ণ্



يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ فِينَا إِسْلَامًا، فَابْعَثْ مَعَنَا نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِكَ يُفَقِّهُونَنَا فِي الدِّينِ، وَيُقْرِئُونَنَا الْقُرْآنَ، وَيُعَلِّمُونَنَا شَرَائِعَ الْإِسْلَامِ. فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمْ نَفَرًا سِتَّةً مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُمْ: مَرْثَدُ بْنُ أَبِي مَرْثَدٍ الْغَنَوِيُّ حَلِيفُ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَهُوَ أَمِيرُ الْقَوْمِ - وَخَالِدُ بْنُ الْبُكَيْرِ اللَّيْثِيُّ حَلِيفُ بَنِي عَدِيٍّ وَعَاصِمُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ أَخُو بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَخَبِيبُ بْنُ عَدِيٍّ أَخُو بَنِي جَحْجَبَى بْنِ كُلْفَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ أَخُو بَنِي بَيَاضَةَ بْنِ عَامِرٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَارِقٍ حَلِيفُ بَنِي ظَفَرٍ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. هَكَذَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّهُمْ كَانُوا سِتَّةً، وَكَذَا ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، وَسَمَّاهُمْ كَمَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَعِنْدَ الْبُخَارِيِّ أَنَّهُمْ كَانُوا عَشَرَةً، وَعِنْدَهُ أَنَّ كَبِيرَهُمْ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ أَبِي الْأَقْلَحِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَخَرَجُوا مَعَ الْقَوْمِ، حَتَّى إِذَا كَانُوا عَلَى الرَّجِيعِ - مَاءٍ لِهُذَيْلٍ بِنَاحِيَةِ الْحِجَازِ مِنْ صُدُورِ الْهَدْأَةِ - غَدَرُوا بِهِمْ، فَاسْتَصْرَخُوا عَلَيْهِمْ هُذَيْلًا فَلَمْ يَرُعِ الْقَوْمَ - وَهُمْ فِي رِحَالِهِمْ - إِلَّا الرِّجَالُ بِأَيْدِيهِمِ السُّيُوفُ قَدْ غَشُوهُمْ، فَأَخَذُوا أَسْيَافَهُمْ لِيُقَاتِلُوا الْقَوْمَ، فَقَالُوا لَهُمْ: إِنَّا وَاللَّهِ مَا نُرِيدُ قَتْلَكُمْ، وَلَكُنَّا نُرِيدُ أَنْ نُصِيبَ بِكُمْ شَيْئًا مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ وَلَكُمْ عَهْدُ اللَّهِ وَمِيثَاقُهُ أَنْ لَا نَقْتُلَكُمْ. فَأَمَّا مَرْثَدٌ، وَخَالِدُ بْنُ الْبُكَيْرِ، وَعَاصِمُ بْنُ ثَابِتٍ فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَا نَقْبَلُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ২৭৮৪
مُشْرِكٍ عَهْدًا وَلَا عَقْدًا أَبَدًا. وَقَالَ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتٍ: وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ: مَا عِلَّتِي وَأَنَا جَلْدٌ نَابِلُ ... وَالْقَوْسُ فِيهَا وَتَرٌ عُنَابِلُ تَزِلُّ عَنْ صَفْحَتِهَا الْمَعَابِلُ ... الْمَوْتُ حَقٌّ وَالْحَيَاةُ بَاطِلُ وَكُلُّ مَا حَمَّ الْإِلَهُ نَازِلُ ... بِالْمَرْءِ وَالْمَرْءُ إِلَيْهِ آيِلُ إِنْ لَمْ أُقَاتِلْكُمْ فَأُمِّي هَابِلُ وَقَالَ عَاصِمٌ أَيْضًا: أَبُو سُلَيْمَانَ وَرِيشُ الْمُقْعَدِ ... وَضَالَةٌ مِثْلُ الْجَحِيمِ الْمُوقَدِ إِذَا النَّوَاحِي افْتُرِشَتْ لَمْ أُرْعَدِ ... وَمُجْنَأٌ مِنْ جِلْدِ ثَوْرٍ أَجْرَدِ
পৃষ্ঠা - ২৭৮৫

শোক প্রকাশকাবিণী মহিলাগণ যখন তাদের শয্যা পেতে কাদতে থাকে তখনও আমি কোন
ভয় পাইনা; বরং ষাড়ের চামড়ার তৈরী ঢাল নিয়ে সম্মুখে অগ্নসর হই ৷
আর আমি মুহাম্মাদ (সা ) এর প্ৰতি পরিপুর্ণ আস্থুাশীল, তিনি আরো বলেন, :


আবু সুলাযমান ও আমার দৃষ্টান্ত এই যে, আমরা দুজন ৩ রদ জ ও বশা নি৫ক্ষপে পারদর্শী ৷
আর আম রগোত্র হল সম্মানিত গোত্র ৷

রর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি নড ই অব্যাহত রাখেন ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি এবং৩ তার সাথীদ্বয়
শহীদ হন ৷ তাি ন নিহত হওয়ার পর হুযায়ল গোত্রের লোকেরা ৫চ৫হ্ ৷ছিল তার মাথা কেটে নিয়ে
মকী মহিলা সুলাফা ৷বিন ত স দ ইবন সুহাযলের নিকট বিক্রি করতে ৷ কারণ উহুদ দিবসে হযরত
আসিম (রা) ওই মহিলার দু’ পুত্র৫ক হত্যা ক৫রাছলেন ৷ মহি ৷৷টি মানত করেছিল যে, সে যদি
কোন দিন আসি৫মর মাথার খুলি হাতে পরে তবে তাতে করে সে শরাব পান করবে ৷ একদল
মৌমাছি এসে হযরত আসিম (রা)-এর পবিত্র লাশ ঘিরে ফেলে এবং ওদের ইচ্ছা পুর৫ণ বাধা সৃষ্টি
করে ৷ নিরুপায় হয়ে তারা বলে যে আপাতত থাকুক সন্ধ্য৷ হলে মৌমাছিগুলাে নিজ নিজ
মৌচাকে ফিরে যাবে ৷ আমরা তখন তার মাথা কেটে ৫নব ৷ সন্ধ্যাবেল৷ আল্লাহ তা আলার
নিদের্শে উপত্যকায় ঢল নামে এবং হযরত আসিমকে ভাসিয়ে নিয়ে ৫গল হযরত আসিম (বা)
আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যে, তাকে যেন কোন ঘৃশবিক স্পর্শ করতে না পারে
এবং তাকেও যেন কোন মুশবিককে স্পার্ণকরতে ৩ন৷ হয় ৷ কেননা, মুশবিকর৷ নাপাক ৷ মৌমাছি
এসে হযরত আসিম (রা) কে রক্ষা করেছে এই সংবাদ শুনে হযরত উম৷ ৷র (রা ) বলতেন, আল্লাহ
তাআলা তার মু’মিন বান্দা৫দরকে রক্ষা করে থাকেন ৷ আসিম (বা) মানত করেছিলেন যে,
কখনো তিনি কোন মুশবিক৫ক স্পর্শ করবেন না এবং তাকেও যেন কোন মুশবিক জীবনে স্পর্শ
করতে না পারে ৷ বন্তুতঃ আল্লাহ তা আল জীবন কালে যেমন আসিমকে মুশরিক লোকের স্পর্শ
থেকে রক্ষা করেছেন মৃত্যুর পরও ৫৩ মন রক্ষা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হযরত থুরায়ব (রা ) যায়দ ইবন দাছন্ন৷ এবং আবদুল্লাহ ইবন তারিক

কিছুটা নম্রতা ৫দখা৫৫৷ ন এবং জীবন রাচ৷ তে চাইলেন ৷ তারা ওদের নিকট আত্মসমর্পণ করলেন ৷

তারা তাদেরকে বন্দী করে ৫ফলল এবং মক্কায় নিয়ে বেচে দেয়ার জন্যে মক্কা অভিমুখে যাত্রা

করল ৷ মাররুয যাহ্রান পৌছার পর আবদুল্লাহ ইবন তারিক কৌশলে তার হাত মুক্ত করে

নিলেন ৷ তারপর তার তরবাবি হাতে ৩নিয়ে শদের উপর আক্রমণ করতে উদ্যত হলেন ৷ তারা

সকলে তার কাছ থেকে দুরে সরে পেল ৷ এরপর সকলে মিলে৩ তাকে লক্ষ্য করে পাথর নি৫ক্ষপে
র বাতাকে হত্যা করল ৷ তার কবর মাররুয যাহরানে অবস্থিত ৷

তারা খুবায়ব ইবন আদী (বা) এবং যায়দ ইবন দাচ্ছিন্ন৷ (রা)-৫ক মক্কায় নিয়ে আসে ৷ তারপর
কুরায়শ৫দর হাতে বন্দী দুজন হুযায়লী লোকের মুক্তির বিনিময়ে তাদেরকে কুরায়শ৫দর হাতে তুলে
দেয় ৷ ইবন ইসহাক বলেন, হুজাযর ইবন আবু ইহার তামীযী হযরত খুবায়ব (রা) ৫ক কিনে
নেয় ৷ হুজায়র ছিল বনু নাওফিন গোত্রের মিত্র ৷ তার পিতা আবুহ ইহার হল হাবিছ ইবন আমি৫রর

১ ৭ —

وَمُؤْمِنٌ بِمَا عَلَى مُحَمَّدِ وَقَالَ أَيْضًا: أُبُو سُلَيْمَانَ وَمِثْلِي رَامَى ... وَكَانَ قَوْمِي مَعْشَرًا كِرَامَا قَالَ: ثُمَّ قَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، وَقُتِلَ صَاحِبَاهُ، فَلَمَّا قُتِلَ عَاصِمٌ أَرَادَتْ هُذَيْلٌ أَخْذَ رَأْسِهِ ; لِيَبِيعُوهُ مِنْ سُلَافَةَ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ شُهَيْدٍ وَكَانَتْ قَدْ نَذَرَتْ حِينَ أَصَابَ ابْنَيْهَا يَوْمَ أُحُدٍ؛ لَئِنْ قَدَرَتْ عَلَى رَأْسِ عَاصِمٍ لَتَشْرَبَنَّ فِي قِحْفِهِ الْخَمْرَ، فَمَنَعَتْهُ الدَّبْرُ - هَكَذَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ بَعْدَ وَصُولِ خُبَيْبٍ، وَزَيْدِ بْنِ الدَّثِنَةِ إِلَى مَكَّةَ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنْسَبُ - قَالَ: فَلَمَّا حَالَتْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُ قَالُوا: دَعُوهُ حَتَّى يُمْسِيَ فَتَذْهَبَ عَنْهُ فَنَأْخُذَهُ. فَبَعَثَ اللَّهُ الْوَادِيَ، فَاحْتَمَلَ عَاصِمًا فَذَهَبَ بِهِ، وَقَدْ كَانَ عَاصِمٌ قَدْ أَعْطَى اللَّهَ عَهْدًا أَنْ لَا يَمَسَّهُ مُشْرِكٌ، وَلَا يَمَسَّ مُشْرِكًا أَبَدًا ; تَنَجُّسًا، فَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَقُولُ حِينَ بَلَغَهُ أَنَّ الدَّبْرَ مَنَعَتْهُ: يَحْفَظُ اللَّهُ الْعَبْدَ الْمُؤْمِنَ، كَانَ عَاصِمٌ نَذَرَ أَنْ لَا يَمَسَّهُ مُشْرِكٌ، وَلَا يَمَسَّ مُشْرِكًا أَبَدًا فِي حَيَاتِهِ، فَمَنَعَهُ اللَّهُ بَعْدَ وَفَاتِهِ كَمَا امْتَنَعَ مِنْهُ فِي حَيَاتِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৭৮৬

ভৈবপিত্রীয় তাই ৷ হুজয়র হযরত খুবয়র (রা) কে কিনেছিল উক্ব ইবন হরিছের নিকট হস্তা ম্ভর
করার জন্যে যাতে সে থুরয়ব (রা) কে হত্যা করে তার পিতার হত্যার প্রা তশোধ নিতে পারে
যায়দ ইবন দছিন্নহ (র) কে ক্রয় করেছিল সাফওয়ান ইবন উমর্শা হয় সে ৩কে ক্রয় করেছিল
তাকে হত্যা করে তার পতৃহত্যার প্ৰতিশোধ নিতে ৷ হত্যার নির্দেশ দিয়ে সে তার ক্রীত দাস
নসতাস কে যায়দ ইবন দ ছিন্ন সহকারে হরম শরীফের বহিরে ;নঈম নামক স্থানে প ঠয়
সেখানে কতক কুরয়শী লোক একত্রিত হয় ৩ তাদের মধ্যে আবু সুফয়ান ইবন হারবও ছিল ৷
মৃত্যুর মুখোমুখি যায়দ ইবন দছিন্ন (রা ) কে সে বলেছিল “হে যায়দ ! এ খ;;ণ্ তোমার যে অবস্থান
মুহাম্মাদকে ধরে এনে সে অবস্থানে রেখে আমরা যদি তাকে হত্যা করি দিচানময়ে তোমাকে মুক্তি
দিই, তুমি তোমার পরিবার পরিজনের মধ্যে থ ক তা কি তুমি পসন্দ করবে ? হযরত যায়দ (বা)
বললেন, আল্লাহর কলম! মুহাম্মাদ (না) এখন যে অবস্থানে আছেন সেখানে যদি তার পবিত্র দেহে
একটি কটি র ৫খচ লপে আ র আ মি আমার পরিবারের মধ্যে থাকর হৃণ্ আমি কখনও পসন্দ করব
ন ৷ আবু সুফিয়ান বলল, মুহাম্মদের (সা) সাহাবীগণ ত কে যেমন দৃঢ়তা ণ্ তালবসে কোন মানুষ
অন্যকে তেমন ভালবসতে আ মি দেখিনি ৷৩ তারপর নসতাম কাফির এসে তাকে হত্যা করে

বংনািকয়ী বলেন, থুবয়র ইবন আদী (বা ) সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবন আবুনজীহ্ হুজায়র ইবন
আবু ইহারের ক্রী৩ দসী ম বিষ থেকে বর্ণনা করেন পরবর্তীতে মারিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
বস্তুত মারিয়া বলেছেন যে, খুবয়ব (র ) বন্দী অবস্থায় আমার নিকট আমার গৃহে অবস্থান
করছিলেন একদিন হঠাৎ আমি গুর দিকে উকি মরে দেখি তার হাতে আঙ্গুরের থােক
মানুষের মাথার মত বড় ছিল ওই আঙ্গুরগুলাে ৷ তিনি ওই থােক থেকে আব্দুর খচ্ছিলেন তখন
পৃথিবীর কোথাও আব্দুর পাওয়া যায় বলে আমার জানা ছিল না ৷

ইবন ইসহক বলেন, আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদ এবং আবদুল্লাহ ইবন আবু নজীহ্
দুজনেই আমাকে জানিয়েছেন, যে মারিয়া বলেছেন, খুবয়ব র) এর মৃভ্যুক্ষণ ঘনিয়ে আমার
তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমাকে একটি ক্ষুর দও ৷ আমি যেন মৃত্যুকে বরণ করার জন্যে পাক
পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হয়ে নিতে পারি ৷ মারিয়া বলেন, এরপর ক্ষুর সহ ছোট্ট একটি বলককে আমি
তার নিকট পাঠাই এই বলে যে, তুমি ক্ষুরটি নিয়ে গৃহে আবদ্ধ সােকটির নিকট যাও ৷ ক্ষুর নিয়ে
বলকটি সেদিকে যাত্রা করার পরই আমার বোধ উদয় হল যে, আমি যা করলাম তাতে তো
থুবয়রের প্ৰতিশোধ নেয়ার সুযোগ তৈরী করে দিলাম ৷ প্ৰতিশোধ স্বরুপ তিনি বলকটিকে হত্য
করে ফেলতে পারেন ৷ তাহলে ১ জন মুসলিমের প্ৰতিশোধরুপে ১জন কাফিরকে হত্যা করা
হয়ে বলকটি ক্ষুর নিয়ে৩ তার নিকট পৌছর পরও তিনি সেটি নিজ হাতে ৩নিলেন এবং বললেন
হায়, তোমার না যখন ক্ষুর সহ তোমাকে আমার নিকট পঠিয়েছে তখন সে কি ৩য় পয়নি ?
এরপর তিনি শিশুটিকে বিদায় দিয়ে দিলেন

ইবন হিশাম বলেন, শিওটি ছিল ওই মহিলারই পুত্র সন্তান ৷ ইবন ইসহক বলেন যে, আসিম
বলেছেন, এরপর কফিরেরা হযরত খুবয়ব (র)-কে নিয়ে বের হল তাকে গুলিতে চড়ানোর
জন্যে ৷ তারা “তানঈম” এসে পৌছল তিনি বললেন, তোমরা যদি আমাকে দু’ রকআত নামায
আদায়ের অবকাশ দিতে রযী হও তার ভাই কর ৷৩ তারা বলল, ঠিক অছে৩ তুমি নামায আদায়


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَمَّا خُبَيْبٌ، وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَارِقٍ فَلَانُوا وَرَقُّوا وَرَغِبُوا فِي الْحَيَاةِ، وَأَعْطَوْا بِأَيْدِيهِمْ فَأَسَرُوهُمْ، ثُمَّ خَرَجُوا بِهِمْ إِلَى مَكَّةَ لِيَبِيعُوهُمْ بِهَا، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالظَّهْرَانِ انْتَزَعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَارِقٍ يَدَهُ مِنَ الْقِرَانِ، ثُمَّ أَخَذَ سَيْفَهُ، وَاسْتَأْخَرَ عَنْهُ الْقَوْمُ، فَرَمَوْهُ بِالْحِجَارَةِ حَتَّى قَتَلُوهُ، فَقَبْرُهُ بِالظَّهْرَانِ وَأَمَّا خُبَيْبُ بْنُ عَدِيٍّ، وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ فَقَدِمُوا بِهِمَا مَكَّةَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَبَاعُوهُمَا مِنْ قُرَيْشٍ بِأَسِيرَيْنِ مِنْ هُذَيْلٍ كَانَا بِمَكَّةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَابْتَاعَ خُبَيْبًا، حُجَيْرُ بْنُ أَبِي إِهَابٍ التَّمِيمِيُّ حَلِيفُ بَنِي نَوْفَلٍ لِعُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَامِرِ بْنِ نَوْفَلٍ، وَكَانَ أَبُو إِهَابٍ أَخَا الْحَارِثِ بْنِ عَامِرٍ لِأُمِّهِ ; لِيَقْتُلَهُ بِأَبِيهِ. قَالَ: وَأَمَّا زَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ فَابْتَاعَهُ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ، ; لِيَقْتُلَهُ بِأَبِيهِ، فَبَعَثَهُ مَعَ مَوْلًى لَهُ يُقَالُ لَهُ: نِسْطَاسٌ. إِلَى التَّنْعِيمِ، وَأَخْرَجَهُ مِنَ الْحَرَمِ لِيَقْتُلَهُ، وَاجْتَمَعَ رَهْطٌ مِنْ قُرَيْشٍ فِيهِمْ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ فَقَالَ لَهُ أَبُو سُفْيَانَ حِينَ قُدِّمَ لِيُقْتَلَ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا زَيْدُ، أَتُحِبُّ أَنَّ مُحَمَّدًا عِنْدَنَا الْآنَ مَكَانَكَ نَضْرِبُ عُنُقَهُ، وَأَنَّكَ فِي أَهْلِكَ؟ قَالَ: وَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ مُحَمَّدًا الْآنَ فِي
পৃষ্ঠা - ২৭৮৭
مَكَانِهِ الَّذِي هُوَ فِيهِ تُصِيبُهُ شَوْكَةٌ تُؤْذِيهِ وَإِنِّي جَالِسٌ فِي أَهْلِي. قَالَ: يَقُولُ أَبُو سُفْيَانَ: مَا رَأَيْتُ مِنَ النَّاسِ أَحَدًا يُحِبُّ أَحَدًا كَحُبِّ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ مُحَمَّدًا. قَالَ: ثُمَّ قَتَلَهُ نِسْطَاسٌ. قَالَ: وَأَمَّا خُبَيْبُ بْنُ عَدِيٍّ، فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ أَنَّهُ حُدِّثَ عَنْ مَاوِيَّةَ مَوْلَاةِ حُجَيْرِ بْنِ أَبِي إِهَابٍ، وَكَانَتْ قَدْ أَسْلَمَتْ، قَالَتْ: كَانَ خُبَيْبٌ عِنْدِي، حُبِسَ فِي بَيْتِي، فَلَقَدِ اطَّلَعْتُ عَلَيْهِ يَوْمًا، وَإِنَّ فِي يَدِهِ لَقَطْفًا مِنْ عِنَبٍ مِثْلَ رَأْسِ الرَّجُلِ يَأْكُلُ مِنْهُ، وَمَا أَعْلَمُ فِي أَرْضِ اللَّهِ عِنَبًا يُؤْكَلُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَبْدُ اللَّهُ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ أَنَّهُمَا قَالَا: قَالَتْ: قَالَ لِي حِينَ حَضَرَهُ الْقَتْلُ: ابْعَثِي إِلَيَّ بِحَدِيدَةٍ أَتَطَهَّرُ بِهَا لِلْقَتْلِ. قَالَتْ: فَأَعْطَيْتُ غُلَامًا مِنَ الْحَيِّ الْمُوسَى، فَقُلْتُ لَهُ: ادْخُلْ بِهَا عَلَى هَذَا الرَّجُلِ الْبَيْتَ. قَالَتْ: فَوَاللَّهِ إِنْ هُوَ إِلَّا أَنْ وَلَّى الْغُلَامُ بِهَا إِلَيْهِ، فَقُلْتُ: مَاذَا صَنَعْتُ؟ أَصَابَ وَاللَّهِ الرَّجُلُ ثَأْرَهُ بِقَتْلِ هَذَا الْغُلَامِ، فَيَكُونُ رَجُلًا بِرَجُلٍ. فَلَمَّا نَاوَلَهُ الْحَدِيدَةَ أَخَذَهَا مِنْ يَدِهِ، ثُمَّ قَالَ: لَعَمْرُكَ مَا خَافَتْ أُمُّكَ غَدْرِي حِينَ بَعَثَتْكَ بِهَذِهِ الْحَدِيدَةِ إِلَيَّ. ثُمَّ خَلَّى سَبِيلَهُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَيُقَالُ: أَنَّ الْغُلَامَ ابْنُهَا.
পৃষ্ঠা - ২৭৮৮

করে নাও ৷ তিনি অত্যন্ত সুন্দরতা রে ও পুর্ণতার সাথে দু’ রাকআত নামায আদায় করলেন ৷
তারপর শত্রুদের মুখোমুখি দাড়িয়ে বললেন, তোমরা যদি এ সন্দেহ পোষণ না করতে যে মৃত্যু
ভয়ে ভীত হয়ে আমি দীর্ঘক্ষণ নামায পড়ছিত তবে আমি তা আরো দীর্ঘায়িত করতাম ৷ হযরত
খুবায়ব (রা) প্রথম ব্যক্তি যিনি মুসলমানদের জন্যে নিহত হওয়ার পুর্বেদু দু’ রাকআত নামায
আদায়ের সুন্নত প্রবর্তন করে গেলেন ৷ এরপর তারা থুবায়ব (রা)-কে সংশ্লিষ্ট কাঠে চড়িয়ে
মযবুতভাবে বেধে ফেলল ৷ খুবায়ব এই দুঅ৷ পাঠ করলেন-

শ্শ্শ্শ্শ্শ্

হে আল্লাহ! আমরা আপনার রাসুলের রিসালাচুতর রাণী পৌছিয়েছি ৷ এখন আমাদেরকে নিয়ে
যা যা করা হচ্ছে তার সং বাদ আপনি বাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট ভোরেই পৌছিয়ে দিন ৷ তারপর
তিনি বললেন ( ৷ৰুর্তু>৷ ংপ্টি;প্রু ;এ-হ্নিই ১াএ ৷ ;;ন্ ণ্ৰু ৷ , ৷ স্পো ৷ স্পোা৷ ৷ হে আল্লাহ !
ওদের সবাইকে আপনি ওণে নিন ৷ তাদের সকলকে ধ্বং স করুন ৷ ওদের কাউকেই অবশিষ্ট

রাখবেন না ৷) এরপর তারা তাকে হত্যা করল ৷

মুআবিয়৷ ইবন আবু সুফিয়ান বলতেন “ সেদিন আবু সুফিয়ানের সাথে অন্যান্যসহ আমিও
ছিলাম ৷ আমি দেখেছি যে, হযরত খুবায়ব (রা)-এর বদ দুআয় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আমরে পিতা আবু
সুফিয়ান আমাকে মাটিতে শুইয়ে দিচ্ছিলেন ৷ তারা মনে করত যে, কারো জন্যে বদ দুঅ৷ করা
হলে সে যদি মাটিতে শুয়ে যায় বা কাত হয়ে পড়ে তবে ওই বদ দুঅ৷ তার উপর থেকে টলে
যায় ৷

মুসা ইবন উকবার মাগাযী গ্রন্থে আছে যে, হযরত খুবায়ব (রা) এবং যায়দ ইবন দাচ্ছিন্ন৷ (রা)
নিহত হয়েছিলেন একই দিনে ৷ যেদিন তারা নিহত হয়েছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় অবস্থান
করে তাদের আর্জি শুনতে পাচ্ছিলেন ৷ তাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, “তোমাদের
দুজনের প্রতি সালাম ৷ অথবা একথা বলেছিলেন, হে খুবায়ব তোমার প্রতি সালাম ৷ কুরায়শগণ
থুবায়বকে হত্যা করে ফেলল” বর্ণিত আছে যে, শত্রুরা হযরত ইবন দাচ্ছিন্ন৷ (রা) কে গুলিতে
চড়িয়ে তার প্ৰতি তীর নিক্ষেপ করছিলত ৷ তাদের উদ্দেশ্যে ছিল তিনি দীন ত্যাগ করুন কুফরীতে
ফিরে আসুন ৷ কিভু তাতে তার ঈমান ও আত্মনিবেদন আরো সুদৃঢ় হল ৷

উরওয়৷ এবং মুসা ইবন উক্ব৷ ৷উল্লেখ করেছেন যে, তারা হযরত থুবায়ব (রা )-কে গুলির
কাঠের সাথে বেধে ডেকে ডেকে বলছিল, তুমি কি এটা চাও যে, তোমার স্থানে মুহাম্মাদ থাকুক ,
তুমি মুক্তি পাও ? তিনি বলছিলেন না, না , কখনো নয় ৷ মহান আল্লাহর কসম ! আমার মুক্তির
বিনিময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পবিত্র পারে একটি কাটা ৰিধুক তাও আমি পসন্দ করি না ৷ তার
উত্তর শুনে তারা সকলে হাসাহাসি করছিল ৷ যায়দ ইবন দা ৷চ্ছিন্ন৷ (রা) সম্পর্কেও ইবন ইসহাক
এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ অ ৷ল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

মুসা ইবন উক্ব৷ বলেন, লোকদের ধারণা যে, আমর ইবন উমাইয়৷ হযরত খুবায়ব (রা)-কে
দাফন করেছেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ইয়াহয়৷ ইবন আববাদ উক্ব৷ ইবন হারিছ সুত্রে বলেছেন,
উক্ব৷ বলেছেন, আল্লাহর কসম ! থুবায়ব (রা) কে হত্যা করা আমার জন্যে সম্ভব ছিল না ৷ আমি


قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: قَالَ عَاصِمٌ: ثُمَّ خَرَجُوا بِخُبَيْبٍ حَتَّى جَاءُوا بِهِ إِلَى التَّنْعِيمِ لِيَصْلُبُوهُ، وَقَالَ لَهُمْ: إِنْ رَأَيْتُمْ أَنْ تَدَعُونِي حَتَّى أَرْكَعَ رَكْعَتَيْنِ فَافْعَلُوا. قَالُوا: دُونَكَ فَارْكَعْ. فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ أَتَمَّهُمَا وَأَحْسَنَهُمَا، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْلَا أَنْ تَظُنُّوا أَنِّي إِنَّمَا طَوَّلْتُ جَزَعًا مِنَ الْقَتْلِ، لَاسْتَكْثَرْتُ مِنَ الصَّلَاةِ. قَالَ: فَكَانَ خُبَيْبٌ أَوَّلَ مَنْ سَنَّ هَاتَيْنِ الرَّكْعَتَيْنِ عِنْدَ الْقَتْلِ لِلْمُسْلِمِينَ. قَالَ: ثُمَّ رَفَعُوهُ عَلَى خَشَبَةٍ، فَلَمَّا أَوْثَقُوهُ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّا قَدْ بَلَّغْنَا رِسَالَةَ رَسُولِكَ، فَبِلِّغْهُ الْغَدَاةَ مَا يُصْنَعُ بِنَا. ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ احْصِهِمْ عَدَدًا، وَاقْتُلْهُمْ بِدَدًا، وَلَا تُغَادِرْ مِنْهُمْ أَحَدًا. ثُمَّ قَتَلُوهُ. وَكَانَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ يَقُولُ: حَضَرْتُهُ يَوْمَئِذٍ فِيمَنْ حَضَرَهُ مَعَ أَبِي سُفْيَانَ فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يُلْقِينِي إِلَى الْأَرْضِ فَرَقًا مِنْ دَعْوَةِ خُبَيْبٍ وَكَانُوا يَقُولُونَ: إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا دُعِيَ عَلَيْهِ فَاضْطَجَعَ لِجَنْبِهِ، زَلَّتْ عَنْهُ. فَائِدَةٌ: قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَإِنَّمَا صَارَتِ الرَّكْعَتَانِ سُنَّةً - يَعْنِي عِنْدَ الْقَتْلِ - لِأَنَّهَا فُعِلَتْ فِي زَمَانِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقَرَّ عَلَيْهَا، وَاسْتُحْسِنَتْ مِنْ صَنِيعِهِ. قَالَ: وَقَدْ صَلَّاهَا زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ سَاقَ بِإِسْنَادِهِ مِنْ طَرِيِقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي خَيْثَمَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ
পৃষ্ঠা - ২৭৮৯
عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ اسْتَأْجَرَ مِنْ رَجُلٍ بَغْلًا مِنَ الطَّائِفِ وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ الْمُكْرِي أَنْ يُنْزِلَهُ حَيْثُ شَاءَ، فَمَالَ بِهِ إِلَى خَرِبَةٍ، فَإِذَا بِهَا قَتْلَى كَثِيرَةٌ، فَلَمَّا هَمَّ بِقَتْلِهِ قَالَ لَهُ زَيْدٌ: دَعْنِي حَتَّى أُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ. فَقَالَ: صَلِّ رَكْعَتَيْنِ، لَطَالَمَا صَلَّى هَؤُلَاءِ فَلَمْ تَنْفَعْهُمْ صَلَاتُهُمْ شَيْئًا. قَالَ: فَصَلَّيْتُ ثُمَّ جَاءَ لِيَقْتُلَنِي، فَقُلْتُ: يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ. فَإِذَا صَارِخٌ يَقُولُ: لَا تَقْتُلْهُ. فَهَابَ وَذَهَبَ يَنْظُرُ، فَلَمْ يَرَ شَيْئًا، ثُمَّ جَاءَ لِيَقْتُلَنِي فَقُلْتُ: يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ. فَسَمِعَ أَيْضًا الصَّوْتَ يَقُولُ: لَا تَقْتُلْهُ. فَذَهَبَ لِيَنْظُرَ ثُمَّ جَاءَ فَقُلْتُ: يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ. فَإِذَا أَنَا بِفَارِسٍ عَلَى فَرَسٍ، فِي يَدِهِ حَرْبَةٌ فِي رَأْسِهَا شُعْلَةٌ مِنْ نَارٍ، فَطَعَنَهُ بِهَا حَتَّى أَنْفَذَهُ فَوَقَعَ مَيِّتًا. ثُمَّ قَالَ: لَمَّا دَعَوْتَ اللَّهَ فِي الْمَرَّةِ الْأُولَى كُنْتُ فِي السَّمَاءِ السَّابِعَةِ، وَلَمَّا دَعَوْتَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّانِيَةِ كُنْتُ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا، وَلَمَّا دَعَوْتَهُ فِي الثَّالِثَةِ أَتَيْتُكَ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَقَدْ صَلَّاهَا حُجْرُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ الْأَدْبَرِ حِينَ حُمِلَ إِلَى مُعَاوِيَةَ مِنَ الْعِرَاقِ وَمَعَهُ كِتَابُ زِيَادِ بْنِ أَبِيهِ، وَفِيهِ أَنَّهُ خَرَجَ عَلَيْهِ وَأَرَادَ خَلْعَهُ، وَفِي الْكِتَابِ شَهَادَةُ جَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعَيْنِ، مِنْهُمُ الْحَسَنُ، وَابْنُ سِيرِينَ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى مُعَاوِيَةَ قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: أَوَأَنَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ؟ وَأَمَرَ بِقَتْلِهِ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ قَتْلِهِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قَالَ: وَقَدْ عَاتَبَتْ عَائِشَةُ مُعَاوِيَةَ فِي قَتْلِهِ، فَقَالَ: إِنَّمَا قَتَلَهُ مَنْ شَهِدَ عَلَيْهِ. ثُمَّ قَالَ: دَعِينِي وَحُجْرًا، فَإِنِّي سَأَلْقَاهُ عَلَى الْجَادَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. قَالَتْ: فَأَيْنَ ذَهَبَ عَنْكَ حِلْمُ أَبِي
পৃষ্ঠা - ২৭৯০

তখন একান্তই ছোট ছিলাম ৷ কিন্তু বনু আবদৃদৃ দার গোত্রের আবু মায়সারা একটি বশা নিয়ে
আমার হাতে ধরিয়ে দিল ৷ এরপর সে আমার হাতে থাকা বশা এবং আমার হাত এক সাথে ধরে
ওই বশা দ্বারা খুরায়ব (রা) কে আঘাত করে ৷ শেষ পর্যন্ত আঘাতে আঘাদ্রুত তার মৃত্যু হয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আমার র্জ্যনক সাথী আমাকে বলেছেন যে, হযরত উমাব (রা) সিরিয়ার
একটি স্থানে প্রশাসক নিযুক্ত করেছিলেন সাঈদ ইবন আমির ইবন হুযায়ম জুমাহীকে , কোন কোন
সময় এমনও হত যে, লোকজনের সম্মুখেই তিনি যেহুশ হয়ে যেতেন ৷ হযরত উমারের (রা)
নিকট এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হল যে, প্রশাসক সাঈদ ইবন আমির একজন অসুস্থ
মানুষ ৷ কোন এক কাজে সাঈদ (রা) এসেছিলেন খলীফা হযরত উমরের (বা) নিকট ৷ তিনি
জিজ্ঞেস করলেন, হে সাঈদ ! তোমার যে, এ অবস্থা হয় তা কী জনো ? সাঈদ বললেন, হে
আমীরুল মু’মিনীন! মুলত আমার মধ্যে কোন রোগ নেই ৷ তবে হযরত থুবায়বকে হত্যা করার
সময় যারা সেখানে উপ ত ছিল আমি তাদের একজন ৷ তার দুআটি আমি নিজ কানেই
শুনেছিলাম ৷ মে থেকে কোন মজলিসে বসলে ওই বদ দুআর কথা স্মরণ হলেই আমি রেহুশ হয়ে
যাই ৷ এরপর থেকে হযরত উমরের (রা) নিকট তার মযদাি আরো বেড়ে যায় ৷

উমাভী — — ইবন ইসহাক সুত্রে বলেছেন যে, হযরত উামর (রা ) বলেছিলেন, যদি কেউ
তুলনাহীন ও অনন্য ব্যক্তিকে দেখতে চায় সে যেন সাঈদ ইবন আমির (রা)-কে দেখে ৷



ইধৃন হিশাম ব লে ন , হযরত খুরাযর (বা ) তাদের হাতে বন্দী ছিলেন ৷ নিষিদ্ধ মড়াসগুলাে শেষ
হবার পর তারা তাকে হত্যা করে ৷

বায়হাকী (র) আমর ইবন উমাইয়া থেকে বংনাি করেন যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা ) একদা
তাকে গুপ্তচর রুপে প্রেরণ করেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, যে কাঠে বেধে হযরত খুবায়ব (রা)-কে
হত্যা করা হয়েছিল আমি চুপি চুপি ওখানে গেলাম ৷ সেটিতে উঠলাম ৷ ওদের পাহারাদারগণ
আমাকে দেখে ফেলে নাকি ভয় পাচ্ছিলাম ৷ আমি তার বা ধন খুলে দিলাম ৷ তার লাশ মাটিতে
পড়ে গেল ৷ আমিও লাফ দিয়ে নীচে পড়ে গেলাম ৷ আমি একপাশে গিয়ে একটুখানি বসলাম ৷
তারপর তাকিয়ে দেখি কিছু নেই ৷ খুবায়বের (বা) কোন চিহ্ন নেই ৷ যেন মাটি তাকে গিলে
ফেলেছে ৷ সেই থেকে এখন পর্যন্ত হযরত খুবায়রে (রা ) লাশের এমনকি তার কোন হাড়ের

ৎবাদ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ৷

ইবন ইসহাক — — — ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, রাজী-এর
ঘটনায় যারা শহীদ হলেন মুনাফিকরা তাদের সম্পর্কে কটুক্তি করে বলেছিল আহ্! এরা শুধু শুধু
মারা গেল ৷ না তারা নিজেদের পরিবার-পরিজনের মধ্যে থাকতে পারল আর না তারা রাসুলের
রিসালাতের বাণী পৌছাতে পারল ৷ মুনাফিকদের এই আচরণ উপলক্ষে আল্লাহ তাআলা নিম্নোক্ত
আয়াত ও তার পরবর্তী আয়াত নাযিল করলেন :



سُفْيَانَ؟ قَالَ: حِينَ غَابَ عَنِّي مِثْلُكِ مِنْ قَوْمِي. وَفِي مَغَازِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ: أَنَّ خُبَيْبًا، وَزَيْدَ بْنَ الدَّثِنَةِ قُتِلَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُمِعَ يَوْمَ قُتِلَا وَهُوَ يَقُولُ: " وَعَلَيْكُمَا - أَوْ عَلَيْكَ - السَّلَامُ خُبَيْبٌ قَتَلَتْهُ قُرَيْشٌ ". وَذَكَرَ أَنَّهُمْ لَمَّا صَلَبُوا زَيْدَ بْنَ الدَّثِنَةِ رَمَوْهُ بِالنَّبْلِ لِيَفْتِنُوهُ عَنْ دِينِهِ، فَمَا زَادَهُ إِلَّا إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا. وَذَكَرَ عُرْوَةُ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّهُمْ لَمَّا رَفَعُوا خُبَيْبًا عَلَى الْخَشَبَةِ، نَادَوْهُ يُنَاشِدُونَهُ: أَتُحِبُّ أَنَّ مُحَمَّدًا مَكَانَكَ؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ الْعَظِيمِ، مَا أُحِبُّ أَنْ يَفْدِيَنِي بِشَوْكَةٍ يُشَاكَهَا فِي قَدَمِهِ. فَضَحِكُوا مِنْهُ. وَهَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي قِصَّةِ زَيْدِ بْنِ الدَّثِنَةِ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: زَعَمُوا أَنَّ عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ دَفَنَ خُبَيْبًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ عَبَّادٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: وَاللَّهِ مَا أَنَا قَتَلْتُ خُبَيْبًا ; لِأَنِّي كُنْتُ أَصْغَرَ مِنْ ذَلِكَ، وَلَكِنَّ أَبَا مَيْسَرَةَ أَخَا بَنِي عَبْدِ الدَّارِ أَخَذَ الْحَرْبَةَ
পৃষ্ঠা - ২৭৯১

মানুষের মধ্যে এমন ব্যক্তি আছে পার্থিব জীবন সম্পর্কে তার কথাবাতা তোমাকে চমৎকৃত
করে এবং তার অন্তরে যা আছে সে সম্বন্ধে সে আল্লাহ্কে সাক্ষী রাখে ৷ প্রকৃতপক্ষে সে কিন্তু
প্রচন্ড ঝগড়াটে ৷ (২-বাকার৷ : ২০৪) ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পক্ষ থেকে প্রেরিত মুসলিম দল
সম্পর্কে আল্লাহ তাআল৷ নাষিল করলেন ও

;াট্রুা৷প্রু ঠুণ্ড্রট্টু ইএ৷ ৷, ণ্এ৷ ৷ ;,াট্রু;>টুটুৰু ছু৮ন্ ; ৰু ৷ ছু ৰু টু র্দু,প্রুর্দুহ্রট্রুব্লু :,; গ্রা^থ্রে ৷ ৰু;,র্মু,
মানুষের মধ্যে অনেকেই আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে আ ত্মন্বিক্রয় করে থাকে ৷ আল্লাহ
তার বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু ৷ ( ২-বাকার৷ : ২০ ৭) ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এই যুদ্ধে যে সব কবিতা আবৃত্তি কর ৷হয়েছিল তার অন্যতম হল
হযরত খুবায়ব (রা)এর নিম্নে ৷ক্ত কবিতা, শএ৩ পক্ষ যখন তাকে হত্যা করার জন্যে পুর্ণ প্রস্তুত
তখন তিনি এ কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন ৷ (ইবন হিশাম ব র্কেন্বন, এ কবিতা খুবায়ব (রা)-এর
একথা কেউ কেউ মানতে রাযী নন ৷)
ট্রঠুর্মু ১টুণ্ র্দুা’হ্র ৷র্দু,ট্রুৰুখুছুট্রু ৷ ’, খোাপ্রু ৷ৰুৰুএ ৷) এটুষ্টু ঠুা)শুছুছুা৷ ’¢ ;; ংএে
সকল দল আমার চারদিকে একত্রিত হয়েছে ৷ তারা সবগুলো গোত্রকে ডেকে এনেছে এবং
পরিপুর্ণতাবে জমায়েত হয়ে রয়েছে ৷


ওদের সকলে আমার প্ৰতি শত্রুত৷ প্রকাশ করছে, আমাকে কষ্ট দেয়ার জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা
করছে ৷ কারণ, আমি এখন চামড়া কাটার যস্তে আবদ্ধ ৷

; ১ ¢ ! শ্


তারা তাদের পুত্র কন্যা এবং ব্রীদেরকে একত্রিত করেছে ৷ আমাকে একটি সুদীর্ঘও তমযবুত
কাঠের নিকট নিয়ে আসা হয়েছে ৷


আমার এই এক ৷কীত্বের কথা, আমার এই দুঃ খদুদর্শার কথা এবং আমার মৃত্যুর জন্যে শত্রু
পক্ষ যে যে ব্যবস্থা অবলম্বন করেছে এ বিষয়ে আমি তা ৷ল্লাহ্ তা আলার নিকট ফরিয়াদ করছি ৷

হে আরশ অধিপতি৷ ওরা যা করতে চাইছে তার মুখে আপনি আমাকে ধৈর্য ধারণ করার

তাওফীক দান করুন ৷ ওরা আমার গোশত কেটে ফেলেছে এখন আমার বাচ৷ র সকল আশা শেষ
হয়ে গিয়েছে ৷

হ্রঠুছু,া;;,া৷ট্রুশুট্রুার্মুছুৰুণ্ন,ঢুঠুছুপ্রু গ্রাড়ুণ্গ্রা৷ ৷১প্রু১;া৷১এ

আমার এই অবস্থুাণ্ডে তামহান আল্লাহর পথে ৷ তিনি চাইলে আমার কর্তিত প্রতিটি অন্সের
জোড়ায় জোড়ায় বরকত প্রদান করবেন ৷


فَجَعَلَهَا فِي يَدِي، ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي وَبِالْحَرْبَةِ، ثُمَّ طَعَنَهُ بِهَا حَتَّى قَتَلَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا قَالَ: كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ اسْتَعْمَلَ سَعِيدَ بْنَ عَامِرِ بْنِ حِذْيَمٍ الْجُمَحِيَّ عَلَى بَعْضِ الشَّامِ فَكَانَتْ تُصِيبُهُ غَشْيَةٌ وَهُوَ بَيْنُ ظَهْرَيِ الْقَوْمِ، فَذُكِرَ ذَلِكَ لِعُمَرَ. وَقِيلَ: إِنَّ الرَّجُلَ مُصَابٌ. فَسَأَلَهُ عُمَرُ فِي قَدْمَةٍ قَدِمَهَا عَلَيْهِ، فَقَالَ: يَا سَعِيدُ، مَا هَذَا الَّذِي يُصِيبُكَ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا بِي مِنْ بَأْسٍ، وَلَكِنِّي كُنْتُ فِيمَنْ حَضَرَ خُبَيْبَ بْنَ عَدِيٍّ حِينَ قُتِلَ وَسَمِعْتُ دَعْوَتَهُ، فَوَاللَّهِ مَا خَطَرَتْ عَلَى قَلْبِي وَأَنَا فِي مَجْلِسٍ قَطُّ إِلَّا غُشِيَ عَلَيَّ. فَزَادَتْهُ عِنْدَ عُمَرَ خَيْرًا. وَقَدْ قَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَلَغَنَا أَنَّ عُمَرَ قَالَ: مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ نَسِيجِ وَحْدِهِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى سَعِيدِ بْنِ عَامِرٍ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: أَقَامَ خُبَيْبٌ فِي أَيْدِيهِمْ حَتَّى انْسَلَخَتِ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ ثُمَّ قَتَلُوهُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، «عَنْ جَدِّهِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ، أَنَّ
পৃষ্ঠা - ২৭৯২
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ بَعَثَهُ عَيْنًا وَحْدَهُ، قَالَ: جِئْتُ إِلَى خَشَبَةِ خُبَيْبٍ فَرَقَيْتُ فِيهَا وَأَنَا أَتَخَوَّفُ الْعُيُونَ، فَأَطْلَقْتُهُ فَوَقَعَ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ اقْتَحَمْتُ فَانْتَبَذْتُ قَلِيلًا، ثُمَّ الْتَفَّتُّ فَلَمْ أَرَ شَيْئًا، فَكَأَنَّمَا ابْتَلَعَتْهُ الْأَرْضُ، فَلَمْ تُذْكَرْ لِخُبَيْبٍ رِمَّةٌ حَتَّى السَّاعَةِ» . ثُمَّ رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مُحَمَّدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، أَوْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا قُتِلَ أَصْحَابُ الرَّجِيعِ قَالَ نَاسٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ: يَا وَيْحَ هَؤُلَاءِ الْمَفْتُونِينَ الَّذِينَ هَلَكُوا هَكَذَا، لَا هُمْ أَقَامُوا فِي أَهْلِيهِمْ وَلَا هُمْ أَدَّوْا رِسَالَةَ صَاحِبِهِمْ. فَأَنْزَلُ اللَّهُ فِيهِمْ: {وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُعْجِبُكَ قَوْلُهُ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيُشْهِدُ اللَّهَ عَلَى مَا فِي قَلْبِهِ وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ} [البقرة: 204] وَمَا بَعْدَهَا. وَأَنْزَلَ اللَّهُ فِي أَصْحَابِ السَّرِيَّةِ: {وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ وَاللَّهُ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ} [البقرة: 207] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِمَّا قِيلَ مِنَ الشِّعْرِ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ قَوْلُ خُبَيْبٍ حِينَ أَجْمَعُوا عَلَى قَتْلِهِ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُنْكِرُهَا لَهُ -:
পৃষ্ঠা - ২৭৯৩

ওরা আমাকে কুফরী অবলম্বনের অন্যথায় নৃভ্যুকে অ ৷লিঙ্গণের প্রস্তাব দিয়েছে ৷ মৃত্যু নিশ্চিত
জেনে নীরবে ও শাম্ভচিত্তে আমার দৃ চোখ অশ্রুপাত করছে ৷


হু১১১ র্চ,ন্নে ১র্দু১’১ পুব্লু,া১১ ং;,হ্র১ব্লু ১ ৷ ১১:১১ং৷ ৷ ৷ ১১ পুস্১া১১
মৃভ্যুভয় আমার নেই ৷ কারণ, আমার মৃত্যু হবে তা নিশ্চিত ৷ তবে আমি ভয় কবি সর্বগ্নাসী
£ললিহান জাহান্নামের আগুনকে ৷

ন্১১ট্রু১১ ৰুা১ ৷ ১ ১াহ্র ১১১১ é ৷ ফ্লে; র্চু১১১১১ ১১১ ৷ ১ ৷ ং ণ্’ ) ঢু১ খুা১ ৷ব্লু১
আল্লাহর কসম ৷ আমি যখন মুসলমান হিসেবে মৃত্যুবরণ করছি ৩দ্ ন আমার মৃত্যু কোন
কাতে হচ্ছে তার ভাবনা কিসের ?

১১ ,১ ৰুা১ ৷ এ৷ ৷ ১ ৷ ৷১,১ ১া; ৷১১১১১১ ১১া১ ১পু ১১১ ১১ং১১১১

আমি শত্রুদের প্ৰতি বিনয় বা অন্থিরত৷ কিছুই প্রকাশ করছি না, কারণ, আমি নিশ্চিত যে
মহান অ ৷ল্লাহ্র দিকেই আমি প্রত্যাবর্তন করছি ৷

এই কাসীদার দুটো পংক্তি সহীহ্ বুথারীতে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ যা ইতে৷ পুর্বে উল্লিখিত
হয়েছে সে দুটো হল :

দু,১,পু১১ ১া১ ৷ ,১ ;,াহ্র টু,১ ;াদু, ,১ (১১পু১’১ পু১১’৷ ;,ছু১১ এঠো ’১”১া১
é)“ ঐ১১১ ,া৷১১১ং,৷ ৩১১১ এ ৷১ ১ ১ ১১১১ ;,াএ ণ্এ১৷ ৷ ১১া১ ১ ১া৷১,
ইবন ইসহাক বলেন, হযরত থুবায়ব (রা) এর প্ৰতি শোক প্রকাশ করে হযরত হাস্সান ইবন
ছাবিত (রা) বলেন : পংক্তি
ৰুার্দ্র১ঢু১

তামার চোখের কী হল ? অশ্রুপাত করছে না কেন ? বিক্ষিপ্ত মুক্তোর ন্যায় অশ্রু ঝরছে না
কেন বুকের উপর ?

অশ্রু ঝরছেন৷ কেন থুবায়বের জন্যে ? তিনি তো এক ন ওকৃজাযান টগবগে যুবক ৷ তার
সাক্ষাতে তারা জেনে ফেলেছে যে তিনি কাপুরুষও নন, দৃর্বলও নন ৷

ষ্ঠে১,১ ৷ ১ এএ১১ ৷ ১১১ ১দ্বু১ং৷ ৷ ১১১১ হৃন্১১া১ ৰুা১ ৷ এ ৷ ,১ ১১১১ ং১১১১া১

হে থুবায়র ! তুমি চলে যাও ৷ আল্লাহ তা আল৷ বিনিময়ে তোমাকে উত্তম পুরস্কার দিবেন এবং
দিবেন চিরস্থায়ী জান্নাত যেখানে থাকবে বন্ধুদের মধ্যে হুর-গিলমান ৷

এস্ৰু


لَقَدْ جَمَّعَ الْأَحْزَابُ حَوْلِي وَأَلَّبُوا ... قَبَائِلَهُمْ وَاسْتَجْمَعُوا كُلَّ مَجْمَعِ وَكُلُّهُمْ مُبْدِي الْعَدَاوَةِ جَاهَدٌ ... عَلَيَّ لِأَنِّي فِي وِثَاقٍ مُضَيَّعِ وَقَدْ جَمَّعُوا أَبْنَاءَهُمْ وَنِسَاءَهُمْ ... وَقُرِّبْتُ مِنْ جِذْعٍ طَوِيلٍ مُمَنَّعِ إِلَى اللَّهِ أَشْكُو غُرْبَتِي ثُمَّ كُرْبَتِي ... وَمَا أَرْصَدَ الْأَعْدَاءُ لِي عِنْدَ مَصْرَعِي فَذَا الْعَرْشِ صَبِّرْنِي عَلَى مَا يُرَادُ بِي ... فَقَدْ بَضَّعُوا لَحْمِي وَقَدْ يَأِسَ مَطْمَعِي وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الْإِلَهِ وَإِنْ يَشَأْ ... يُبَارِكْ عَلَى أَوْصَالِ شِلْوٍ مُمَزَّعِ وَقَدْ خَيَّرُونِي الْكُفْرَ وَالْمَوْتُ دُونَهُ ... وَقَدْ هَمَلَتْ عَيْنَايَ مِنْ غَيْرِ مَجْزَعِ وَمَا بِي حِذَارُ الْمَوْتِ إِنِّي لِمَيِّتٌ ... وَلَكِنْ حِذَارِي جَحْمُ نَارٍ مُلَفَّعِ فَوَاللَّهِ مَا أَرْجُو إِذَا مُتُّ مُسْلِمًا ... عَلَى أَيِّ جَنْبٍ كَانَ فِي اللَّهِ مَضْجَعِي فَلَسْتُ بِمُبْدٍ لِلْعَدُوِّ تَخَشُّعًا ... وَلَا جَزَعًا إِنِّي إِلَى اللَّهِ مَرْجِعِي وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " بَيْتَانِ مِنْ هَذِهِ الْقَصِيدَةِ، وَهُمَا قَوْلُهُ: فَلَسْتُ أُبَالِي حِينَ أُقْتَلُ مُسْلِمًا ... عَلَى أَيِّ شِقٍّ كَانَ فِي اللَّهِ مَصْرَعِي
পৃষ্ঠা - ২৭৯৪


তার সম্পর্কে তোমরা আর কী বলবে যেখানে ওে তামাদের নবী (সা) বলেছেন যে তার
সম্মানে ফেরেশতাগণ চা ৷রিদিক থেকে তার নিকটে এসে পৌছোছ ৷


এব্রগ্লু ন্;া গ্
হে শএষ্ পক্ষ ৷ আল্লাহ্র পথে শহীদ এই লোকঢির তোমরা কেন খুন করলে? তোমরা তাকে
খুন করেছ এমন এক লোকের হত্যার প্ৰতিশোধ হিসেবে যে ছিল শহরে নগরে এবং বন্ধু
বান্ধবদের মধ্যে একজন থােদাদ্রে ৷হী ব্যক্তি ৷
ইবন হিশাম বলেন আমরা কবিতার কিছু কিছু অমাজিত ত৷ :শ্৷ ছেড়ে দিয়েছি ৷ বনু লিহয়ান
গোত্রের যারা রাজী এর ঘটনায় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছিল তাদ্দে৷ নিন্দায় হযরত হাসসান ইবন
ছাবিত বলেন :
তোমার অন্তর নিখাদ গাদ্দারীন্ত ৩র্তি ৷ (সেখানে প্রতিশ্রুাবনপ্ালনের (লশমাত্রও (নই)তুমি
রাজী অঞ্চলে যাও এবং লিহ্য়ান গোত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর ৷
গ্র১াংট্রএ ৰু)াষ্টুট্রু>ন্া) ঠুঠুাংা৷ট্রু ংহ্রাষ্টু ন্ট্রুৰুট্রুট্রুঠু এাঠুৰু৷ ৷ প্রুহ্রছুৰু ৷ট্রুছুৰু>াব্লু; ৰুন্ৰুপ্রুট্রু
ওরা এমন এক সম্প্রদায় যে নিজেদের প্রতিবেশীকে খাওয়ার জন্যে একে অন্যকে ডেকে
এসেছে ৷ মুলতঃ কুকুর, বানর এবং ওই মানুষগুলাে একই পর্যায়ের ৷

ট্ট;ত্র
বন্য ( পাঠা) যদি কখনো কথা বলতে পারত তবে সে দাড়িয়ে তাদেরকে বক্তৃতা শুনতে এবং
ওই ছাগল৩ তাদের মধ্যে মযাদাবান ও সম্মান যোগ্য হত ৷
রাজী অঞ্চলে প্রেরিত সাহারা ই কিরামের (বা ) প্ৰতি হুযায়ল ও লিহ্য়ান গোত্র যে
বিশ্বাসঘাতকতা করেছে৩ তার নিন্দায় হযরত হাস্সান ইবন ছাবিত (বা ) বলেনং :

হয়রত থুবায়ব ও আসিম (রা) এর ব্যাপারে হুযায়ল গোত্র যে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তার
আলোচনা ও ইতিহাস গো ৷ত্রপতি ৩হুযায়ল ইবন মুদরিকের সুনাম ভুলুষ্ঠিত করে দিয়েছে :

লিহয়ান গোত্রের ঘটনা তাদেরকে নিকৃষ্ট ও হীনতর স্তরে না ৷মিয়ে দিয়েছে ৷ লিহয়ান গোত্রের
লোকেরা অপর৷ ৷ধী জঘন অপরাধী ৷

শুশ্

যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ওই গোত্রের প্রকৃত বীরদের তুলনায় খুব নীচ ও নিকৃষ্ট স্তরের
লোক ৷ অগ্নবর্তী ও নেতৃস্থানীয় লোকদের মুকাবিলায় এরা একেবারেই পেছনের সারির লোক ৷

ণ্ ণ্ডি


وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الْإِلَهِ وَإِنْ يَشَأْ ... يُبَارِكْ عَلَى أَوْصَالِ شِلْوٍ مُمَزَّعِ وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يَبْكِي خُبَيْبًا فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ: مَا بَالُ عَيْنِكَ لَا تَرْقَا مَدَامِعُهَا ... سَحًّا عَلَى الصَّدْرِ مِثْلَ اللُّؤْلُؤِ الْقَلِقِ عَلَى خُبَيْبٍ فَتَى الْفِتْيَانِ قَدْ عَلِمُوا ... لَا فَشِلٍ حِينَ تَلْقَاهُ وَلَا نَزِقِ فَاذْهَبْ خُبَيْبُ جَزَاكَ اللَّهُ طَيِّبَةً ... وَجَنَّةَ الْخُلْدِ عِنْدَ الْحُورِ فِي الرُّفُقِ مَاذَا تَقُولُونَ إِنْ قَالَ النَّبِيُّ لَكُمْ ... حِينَ الْمَلَائِكَةُ الْأَبْرَارُ فِي الْأُفُقِ فِيمَ قَتَلْتُمْ شَهِيدَ اللَّهِ فِي رَجُلٍ ... طَاغٍ قَدَ اوْعَثَ فِي الْبُلْدَانِ وَالرُّفَقِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: تَرَكْنَا بَعْضَهَا ; لِأَنَّهُ أَقْذَعَ فِيهَا. وَقَالَ حَسَّانُ يَهْجُو الَّذِينَ غَدَرُوا بِأَصْحَابِ الرَّجِيعِ مِنْ بَنِي لِحْيَانَ فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ: إِنْ سَرَّكَ الْغَدْرُ صِرْفًا لَا مِزَاجَ لَهُ ... فَأْتِ الرَّجِيعَ فَسَلْ عَنْ دَارِ لِحْيَانِ
পৃষ্ঠা - ২৭৯৫
قَوْمٌ تَوَاصَوْا بِأَكْلِ الْجَارِ بَيْنَهُمُ ... فَالْكَلْبُ وَالْقِرْدُ وَالْإِنْسَانُ مِثْلَانِ لَوْ يَنْطِقُ التَّيْسُ يَوْمًا قَامَ يَخْطُبُهُمْ ... وَكَانَ ذَا شَرَفٍ فِيهِمْ وَذَا شَانِ وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ أَيْضًا يَهْجُو هُذَيْلًا وَبَنِي لِحْيَانَ عَلَى غَدْرِهِمْ بِأَصْحَابِ الرَّجِيعِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ: لَعَمْرِي لَقَدْ شَانَتْ هُذَيْلَ بْنَ مُدْرِكٍ ... أَحَادِيثُ كَانَتْ فِي خُبَيْبٍ، وَعَاصِمِ أَحَادِيثُ لِحْيَانٍ صَلَوْا بِقَبِيحِهَا ... وَلِحْيَانُ جَرَّامُونَ شَرَّ الْجَرَائِمِ أُنَاسٌ هُمُ مِنْ قَوْمِهِمْ فِي صَمِيمِهِمْ ... بِمَنْزِلَةِ الزَّمْعَانِ دُبْرَ الْقَوَادِمِ هَمُ غَدَرُوا يَوْمَ الرَّجِيعِ وَأَسْلَمَتْ ... أَمَانَتُهُمْ ذَا عِفَّةٍ وَمَكَارِمِ رَسُولَ رَسُولِ اللَّهِ غَدْرًا وَلَمْ تَكُنْ ... هُذَيْلٌ تَوَقَّى مُنْكِرَاتِ الْمَحَارِمِ فَسَوْفَ يَرَوْنَ النَّصْرَ يَوْمًا عَلَيْهِمُ ... بِقَتْلِ الَّذِي تَحْمِيهِ دُونَ الْحَرَائِمِ أَبَابِيلُ دَبْرٍ شُمَّسٍ دُونَ لَحْمِهِ ... حَمَتْ لَحْمَ شَهَّادٍ عِظَامَ الْمَلَاحِمِ
পৃষ্ঠা - ২৭৯৬

রাজী দিবসে তারা রিশ্বাসঘাতকতা করেছে ৷ তার তত্মারধানে থাকা পুতঃপবিত্র সৃম্ভাম্ভ ও
মহান চরিত্রের অধিকারী লোক গুলোকে তারা শত্রুর হাতে সমর্পণ করেছে ৷

প্ ষ্০৷ শ্
ওরা বিশ্বাসঘাতকত৷ করে হস্তাম্ভরিত করে দিয়েছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রেরিত দুতদেরকে ৷
হুযায়ল গোত্র মন্দ ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করেনি ৷
টা; ৷ ৷ ৰু;ট্রুট্রুট্রু ন্ব্লৰুন্চুট্র
অতিসতুর তারা তাদের পরাজয় দেখতে পাবে ৷ তারা পরাজিত হবে ভব্বদের উপর অন্যরা

জয়ী হবে ৷ এজন্যে যে, তারা এমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে যার ৷;ম্বোহ্ রক্ষা করার জন্যে
এগিয়ে এসেছিল ভীমরুলের দল ৷
ঝুন্ষ্টুৰুএ ৷ ন্টিা;;ঠু ষ্£শুঠুদ্বু; র্দুাট্রুন্ ৷ঠুা
বোলতা ও মৌমাছির একটি বিরাট দল ৷ তারা তার পবিত্র লাশের চারিদিকে সমবেত
হয়েছিল ৷ তারা রক্ষা করেছে এমন এক ব্যক্তির দেহকে যিনি ছিলেন সত্যের অন্যতম সাক্ষ্য দাতা
যুদ্ধের প্রখ্যাত সেনাপতি ৷

াপ্ং গুদ্বু এেরুণ্টু৷ ত্রুঅে ছু,স্পি :ৰুন্শুএ্যা ’ , ৷১১১ টু১৷ ১াছু১ওষ্১ দুা;ত্র

হত্যাকাডের স্থান ৷ যেখানে মরে পড়ে থাকবে তাদের লোকজন অথবা তারা দেখতে পারে
দুঃখজনক পরিণতি ৷

শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্

এই অপরাধের কারণে আমি তাদের উপর একটি প্রচণ্ড আক্রমণের আশা করছি ৷ হজ্জ
মওসুমের অশ্বারোহিগণ ওই আক্রমণের মাধ্যমে এই অপকর্মের সমুচিত জবাব দিবে ৷
ৰুন্াচ্ ’;¢¥;ং;; ট্রু;হ্র হুৰুন্, এ১ দুে,;, ৰু১৷ ;শ্ইএে ৷ >াহ্রন্£ন্১ র্পি;ন্ন্দ্ভুশু
মুসলমানদের এই দল তে৷ ওখানে গিয়েছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নির্দেশে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর দুত তো একজন বুদ্ধিমান ও চতুর লোকের ন্যায় কাজ করেছেন ৷ তিনি লিহয়ান গোত্র
সম্পর্কে অবগত ছিলেন ৷

৷ জৌ মোঃ
ওরা এমন এক গোত্রের লোক যারা প্রতিশ্রুতি পালনের কোন গুরুতৃ দেয় না ৷ ফলে ওরা
যখন নিযাতিত হয় তখন তারা যালিমের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারে না ৷

ঠোাদ্বু৷ ৷ ৷’১ ৷

ন্ সব মানুষ সমতল ভুমিতে অবস্থান নিলে তুমি ওদেরকে দেখবে যে , ওরা খাড়া পর্বতের ঝর্ণা
ধারায় অবস্থান করে পানির স্রোতের সাথে তলিয়ে যাচ্ছে ৷


لَعَلَّ هُذَيْلًا أَنْ يَرَوْا بِمُصَابِهِ ... مَصَارِعَ قَتْلَى أَوْ مَقَامًا لِمَأْتَمِ وَنُوقِعُ فِيهَا وَقْعَةً ذَاتَ صَوْلَةٍ ... يُوَافِي بِهَا الرُّكْبَانُ أَهْلَ الْمَوَاسِمِ بِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ إِنَّ رَسُولَهُ ... رَأَى رَأْيَ ذِي حَزْمٍ بِلِحْيَانَ عَالِمِ قُبَيِّلَةٌ لَيْسَ الْوَفَاءُ يُهِمُّهُمْ ... وَإِنْ ظُلِمُوا لَمْ يَدْفَعُوا كَفَّ ظَالِمِ إِذَا النَّاسُ حَلُّوا بِالْفَضَاءِ رَأَيْتَهُمْ ... بِمَجْرَى مَسِيلِ الْمَاءِ بَيْنَ الْمَخَارِمِ مَحَلُّهُمُ دَارُ الْبَوَارِ وَرَأْيُهُمْ ... إِذَا نَابَهُمْ أَمْرٌ كَرَأْيِ الْبَهَائِمِ وَقَالَ حَسَّانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَيْضًا يَمْدَحُ أَصْحَابَ الرَّجِيعِ وَيُسَمِّيهِمْ فِي شِعْرِهِ كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى: صَلَّى الْإِلَهُ عَلَى الَّذِينَ تَتَابَعُوا ... يَوْمَ الرَّجِيعِ فَأُكْرِمُوا وَأُثِيبُوا رَأْسُ السَّرِيَّةِ مَرْثَدٌ وَأَمِيرُهُمْ ... وَابْنُ الْبُكَيْرِ أَمَامَهُمْ وَخُبَيْبُ وَابْنٌ لِطَارِقَ وَابْنُ دَثْنَةَ مِنْهُمُ ... وَافَاهُ ثَمَّ حِمَامُهُ الْمَكْتُوبُ وَالْعَاصِمُ الْمَقْتُولُ عِنْدَ رَجِيعِهِمْ ... كَسَبَ الْمَعَالِيَ إِنَّهُ لَكَسُوبُ
পৃষ্ঠা - ২৭৯৭
مَنَعَ الْمَقَادَةَ أَنْ يَنَالُوا ظَهْرَهُ ... حَتَّى يُجَالِدَ إِنَّهُ لَنَجِيبُ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَأَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ يُنْكِرُهَا لِحَسَّانَ.
পৃষ্ঠা - ২৭৯৮
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১৩৭

াৰু৷ ৷ র্চো,ৰু ;; ;:; ;¢ ৷ব্লু৷ ব্লুট্রুরুঠু ন্ড়ুব্লু এাড়ু;৷ ’ ৷১ স্পোা ’
ওদের বাসস্থান হল ধ্বংসের আখড়া ৷ সংকটময় মুহুার্ত৩ ততাদের মনোভাব ও অভিমত হয়
জন্তু জানােয়ারের মনোভাবের ন্যায়

ইবন ইসহাক বর্ণনা করেছেন যে, রাজী“ এর ঘটনায় যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের প্রশংসা
করে এবং কবিতায় তাদের নাম উল্লেখ করে হযরত হাসসান ইবন চ্যাযিত (বা) বলেন০ ং

শ্শ্শ্শ্শ্শ্

রাজী এর ঘটনায় যারা নবী (না)-এর নির্দেশ পালন করেছেন ম া আল্লাহ তাদের প্ৰতি ৩দয়া
করুন ৷ বস্তুতঃ তারা সম্মানিত হয়েছেন এবং পুরস্কৃত হয়েছেন ৷

০ ; ’ ৩ !

ধা১১ স্
ওই অভিযানের প্রধান ও আমীর ছিলেন মারছাদ (রা) ৷ তা ণের ইমাম ৷ছলেন ইবন বুকায়র
(রা) ও খুবায়ব (রা ) ৷

১১া১এে পু>হু;া১
ইবন তারিক এবং ইবন দাছিন্না ওই দলে ছিলেন ৷ নির্ধারিত মৃত্যু সেখানে তাকে পেয়ে বসে ৷
গ্রএে
ওই রাজীর ঘটনায় নিহত হয়েছেন আসিম (রা) , তিনি বহু উচ্চ মযাদা অর্জন করেছেন ৷
নিঃসন্দেহে তিনি মর্যাদা অর্জাকা রী ৷



প্ৰতিশোধ গ্রহণকারীদেরকে তিনি তারাপিঠ স্পর্শ করা থেকে বিরত রেখেছিলেন ৷ শে যে পর্যন্ত
তিনি তরবারি পরিচালনা করেছেন ৷ নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন এক অভিজাত পুরুষ ৷

ইবন হিশাম বলেন, উপরোক্ত কবিতাযে হযরত হাসৃসান (বা ) এর অনেকেই৩ তাীকার
করেন না ৷

আমর ইবন উমাইয়া দিমারীর (বা) অভিযান

ওয়াকিদী বলেন, ইব্রাহীম ইবন জাফর আবদুল ওয়াহিদ ইবন আবু আওফ থেকে বণ্নাি
করেন ৷ তিনি বলেন , মক্কায় আবু সুফিয়ান ইবন হারব কুরায়শী কতক লোককে ডেকে বলেছিল ,
এমন কেউ কি নেই যে কুট কৌশলে মুহাম্মাদকে হত্যা করতে পারে ? মুহাম্মাদ তোা৩াবিক-
ভাবে হাটে বাজারে চলাফেরা করেন ৷ত তা হলে আমাদের প্রতিশোাধ (নয়৷ হয়ে যেতো ৷ জনৈক
বেদুইন তার এ ঘোষণা শুনে তার বাড়ীতে এলো ৷ সে তাকে বলল আপনি যদি আমার পাথেয় ও
প্রয়োজনীয় বাহনের ব্যবস্থা করেন তবে আমি ঘুহাম্মাদ্দের উদ্দেশ্যে বের হব এবং কুট কৌশলে
তাকে হত্যা করব ৷ পথঘ ট আমার নখ দর্পনে ৷ আমার সাথে আছে শকুনের চঞ্চুর মত একটি
খঞ্জর ৷ আবু সৃফিয়ান বলল, তুমি আমাদের কাৎখিত বন্ধু বটে ৷ সেত তাকে একটি উট এবং পর্যাপ্ত

১ ৮ ——

[سَرِيَّةُ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ] ِّ عَلَى إِثْرِ مَقْتَلِ خُبَيْبٍ قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيهِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ الْفَضْلِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ أَبِي عَوْنٍ وَزَادَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ، قَالُوا: كَانَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ قَدْ قَالَ لِنَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ بِمَكَّةَ: مَا أَحَدٌ يَغْتَالُ مُحَمَّدًا؟ فَإِنَّهُ يَمْشِي فِي الْأَسْوَاقِ فَنُدْرِكُ ثَأْرَنَا؟ فَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ مَنْزِلَهُ، وَقَالَ لَهُ: إِنْ أَنْتَ قَوَّيْتَنِي خَرَجْتُ إِلَيْهِ حَتَّى أَغْتَالَهُ، فَإِنِّي هَادٍ بِالطَّرِيقِ خِرِّيتٌ، مَعِي خِنْجَرٌ مِثْلُ خَافِيَةِ النَّسْرِ. قَالَ: أَنْتَ صَاحِبُنَا. وَأَعْطَاهُ بَعِيرًا وَنَفَقَةً، وَقَالَ: اطْوِ أَمْرَكَ ;
পৃষ্ঠা - ২৭৯৯

পাথেয় দিয়ে বলল, (৩ আমার ব্যাপারটি খুবই গোপন বাখ(ব ৷ কারণ, আমার আশংকা আছে যে
কেউ এটা জানতে পারলে মুহাম্মাদকে জ নি(চ্ ৷(দরে ৷ (বদুইনটি বলল না কেউই তা জানতে
পারবে না সওয়ারীতে চড়ে (স রাতের (বলা যাত্রা করল ৷ পাচ দিন পথ চলার পর ষষ্ঠ দিনের
(ভার(বল৷ (স গিয়ে পৌছে য়াহ্রুল হাই” ১ গোত্রের নিকট ৷ এবার রাসুলুল্লাহ্ ( সা)-এর ঠিকানা
জিজ্ঞেস করতে করতে (স এগিয়ে যাচ্ছিল ৷ অবশেষে (স রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এব নামা(যর স্থানে
এসে পৌছে ৷ জনৈক লোক তাকে জানায় যে, তিনি (তা বনুআশহাল (পা(ক্রা নিকট গিয়েছেন ৷
আগত্তুক তার সওয়ারী চালায় ওই গোত্রের দিকে ৷ সেখানে এসে (ল সওয়ারী বেধে (র(খ
রাসুলুল্লাহ (সা) এর খোজে (বর হয় ৷ সে তাকে দেখতে (পান ৷৷ ৷ তিনি ৩খন মসজিদে
সাহাবী(দর সমাবেশে কথা বলছি(লন, (স সেখানে প্রবেশ করলো ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা ) তাকে (দা
(ফলেন ৷ তিনি সাহাবীদেরকে বললেন এর মতলব ভাল নয় ৷ (লাকটি নিশ্বাসঘাতকতার উদ্দেশ্যে
এসেছে ৷ তার উদ্দেশ্যে পুরণে অল্লাহ তা আলা প্ৰতিবন্ধক৩ ৷ সৃষ্টি করবেন ৷ (লাকটি দা ভাল এবং
বলল, আবদুল মুত্তালিরের বংশধবটি (ক ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আ ৷মিই আবদুল মুওালি(বর
বংশধর ৷ সে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে গোপনে কথার ভ ন করে তার প্রতি ঝুকে পড়ছিলা
উসায়দ ইবন হুযায়র৩ ৩াকে টেনে ধরেন এবং বলেন, বাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে দুরে সরে দাড়ও ৷
তিনি তার পায়জামার ভেতরের অংশ টেনে ধরতেই ৩ার খঞ্জরটি বেরিয়ে পড়লাে ৷ তিনি বললেন
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্৷ এ (তা (দখছি বিশ্বাসঘাতক৷ দুবৃাতিকারী ৷ আরব (বদুইনটির মাথা লজ্জায় (ইট
হয়ে (গল ৷ (স বলল, (হ মুহাম্মাদ! আমাকে প্রা(ণ রক্ষা করুন আমাকে বাচান ৷ উসায়দ ইবন
হুযায়র তাকে জাপ(ট ধরলেন ৷ তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন সতি ৷ করে বল তুমি :ক ?
এখানে এসেছ (কান উদ্দেশ্যে ? সত্য বললে (তামার ল৷ ভ হ(ব ৷ আ ৰু ৷যদিা নথ্যা বল (বত (জনে
(রখ (তামার উদ্দেশ্য কি তা আমার অজানা নেই ৷ (বদুইনটি বলল সত্য বললে আমি কি
নিরাপত্তা পাব ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হা তুমি নিরাপত্তা পারে৷ আবুসুফিয়ান তাকে যা বলেছে,
যে জন্যে পাঠিয়েছে এবং তাকে যা যা পাথেয় ও উপহার দিয়েছে তার সবই সে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
(ক খুলে বলল ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশে তাকে উসায়দ ইবন স্তুয়ায়রের ততুাবধা (ন
বন্দী করে রাখা হয় ৷ পরের দিন (তা র (বলা রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি ( ৩ামা(ক নিরাপত্তা
দিলাম ৷ এখন (তামার যেখানে যেতে মন চায় তুমি যেতে পার ৷ তবে এর চাইতে (তামার জন্যে
অধিক কল্যাণকর একটি পথ কি তুমি গ্রহণ করবে ? (স জি(জ্ঞল করল, সেটি কী ? রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, তুমি সাক্ষ্য দিবে (য় , আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ (নই এবং এ সাক্ষ্য দিয়ে যে
আমি ন্আল্লাহ্র রাসুল ৷ (স বলল :
মোঃ (ঠু ণ্(া৷ ৷ ট্রুাটুটু,) ;;; ঠুাট্রু,াট্রু ( ৷ রু৷ ৷ র্দুএ ৷ ৰু৷ ৰু১ ৷ ধ্া

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি (য, আল্লাহ ব্যতীত (কান ইলাহ্ (নই এবং (হ মুহাম্মাদ (সা) আপনি
নিশ্চয়ই আলাহ্র রাসুল ৷ ) (হ মুহাম্মাদ (সা)! আমি (৩ ৷ মানুষের পম্পো দিয়ে সম্মুখে অগ্রসর
হচ্ছিলাম ৷ কিন্তু যখনই আপনাকে দেখলাম আমার বুদ্ধিশ্ৰিরেক্ ও তানুভুতি (লাপ (পয়ে (গল ৷
আমি দুর্বল হয়ে (গলায় ৷ পরক্ষ(ংাই আমার লক্ষ্য ও উ(দ্দশ্যের কথা আমার ম্মর ণ হল ৷ তখনই



১ টীকা : বায়যাবী(ত শব্দটি হাবা বলে উল্লিখিত হয়েছে ৷


فَإِنِّي لَا آمَنُ أَنْ يَسْمَعَ هَذَا أَحَدٌ فَيَنْمِيَهُ إِلَى مُحَمَّدٍ. قَالَ: قَالَ الْعَرَبِيُّ: لَا يَعْلَمُهُ أَحَدٌ. فَخَرَجَ لَيْلًا عَلَى رَاحِلَتِهِ فَسَارَ خَمْسًا، وَصَبَّحَ ظَهْرَ الْحَرَّةِ صُبْحَ سَادِسَةٍ، ثُمَّ أَقْبَلَ يَسْأَلُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَتَى الْمُصَلَّى، فَقَالَ لَهُ قَائِلٌ: قَدْ تَوَجَّهَ إِلَى بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ. فَخَرَجَ الْأَعْرَابِيُّ يَقُودُ رَاحِلَتَهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ فَعَقَلَ رَاحِلَتَهُ، ثُمَّ أَقْبَلُ يَؤُمُّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَجَدَهُ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، يُحَدِّثُ فِي مَسْجِدِهِ، فَدَخَلَ فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ يُرِيدُ غَدْرًا، وَاللَّهُ حَائِلٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ مَا يُرِيدُهُ. فَوَقَفَ وَقَالَ: أَيُّكُمُ ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ؟ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَذَهَبَ يُجْنِئُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَأَنَّهُ يُسَارُّهُ، فَجَبَذَهُ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ وَقَالَ: تَنَحَّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَجَذَبَ بِدَاخِلَةِ إِزَارِهِ، فَإِذَا الْخِنْجَرُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا غَادِرٌ. فَأُسْقِطَ فِي يَدِ الْأَعْرَابِيِّ، وَقَالَ: دَمِي دَمِي يَا مُحَمَّدُ. وَأَخَذَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ يُلَبِّبُهُ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اصْدُقْنِي، مَا أَنْتَ وَمَا أَقْدَمَكَ؟ فَإِنْ صَدَقْتَنِي نَفَعَكَ الصِّدْقُ، وَإِنْ كَذَبْتَنِي فَقَدْ أُطْلِعْتُ عَلَى مَا هَمَمْتَ بِهِ. قَالَ الْعَرَبِيُّ: فَأَنَا آمِنٌ؟ قَالَ: فَأَنْتَ آمِنٌ
পৃষ্ঠা - ২৮০০
فَأَخْبَرَهُ بِخَبَرِ أَبِي سُفْيَانَ وَمَا جَعَلَ لَهُ، فَأَمَرَ بِهِ فَحُبِسَ عِنْدَ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ ثُمَّ دَعَا بِهِ مِنَ الْغَدِ فَقَالَ: قَدْ آمَّنْتُكَ، فَاذْهَبْ حَيْثُ شِئْتَ، أَوْ خَيْرٌ لَكَ مِنْ ذَلِكَ؟ قَالَ: وَمَا هُوَ؟ فَقَالَ: أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّكَ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ، وَاللَّهِ يَا مُحَمَّدُ، مَا كُنْتُ أَفْرَقُ مِنَ الرِّجَالِ، فَمَا هُوَ إِلَّا أَنْ رَأَيْتُكَ فَذَهَبَ عَقْلِي وَضَعُفْتُ ثُمَّ اطَّلَعْتَ عَلَى مَا هَمَمْتُ بِهِ مِمَّا سَبَقْتُ بِهِ الرُّكْبَانَ، وَلَمْ يَطَّلِعْ عَلَيْهِ أَحَدٌ، فَعَرَفْتُ أَنَّكَ مَمْنُوعٌ وَأَنَّكَ عَلَى حَقٍّ، وَأَنَّ حِزْبَ أَبِي سُفْيَانَ حِزْبُ الشَّيْطَانِ. فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَبَسَّمُ، وَأَقَامَ أَيَّامًا، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ وَلَمْ يُسْمَعْ لَهُ بِذِكْرٍ. وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ، وَلِسَلَمَةَ بْنِ أَسْلَمَ بْنِ حَرِيشٍ: اخْرُجَا حَتَّى تَأْتِيَا أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ فَإِنْ أَصَبْتُمَا مِنْهُ غِرَّةً فَاقْتُلَاهُ. قَالَ عَمْرٌو: فَخَرَجْتُ أَنَا وَصَاحِبِي حَتَّى أَتَيْنَا بَطْنَ يَأْجَجَ فَقَيَّدْنَا بِعِيرَنَا، وَقَالَ لِي صَاحِبِي: يَا عَمْرُو، هَلْ لَكَ فِي أَنْ نَأْتِيَ مَكَّةَ فَنَطُوفَ بِالْبَيْتِ أُسْبُوعًا وَنَصْلِيَ رَكْعَتَيْنِ؟ فَقُلْتُ: إِنِّي أَعْرَفُ بِمَكَّةَ مِنَ الْفَرَسِ الْأَبْلَقِ، وَإِنَّهُمْ إِنْ رَأَوْنِي عَرَفُونِي، وَأَنَا أَعْرِفُ أَهْلَ مَكَّةَ إِنَّهُمْ إِذَا
পৃষ্ঠা - ২৮০১

আপনি আমার মতলবের কথা বলে দিলেন ৷ অথচ অন্য কেউ আমার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত
ছিল না ৷ আমি তখনই বুঝে নিয়েছি যে, আপনি সুরক্ষিত ৷ আপনি সাও ৷র উপর আছেন ৷ আর
আবু সুফিয়ান ও তার দলবল শয়তানের দল ৷ তার কথা শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুচকি মুচকি
হাসছিলেন ৷ কয়েকদিন সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট অবস্থান করে ৷ এরপর তিনি তাকে অন্যত্র
যাওয়ার অনুমতি দেন ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবার ছেড়ে পথে বের হয় ৷

এই প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমর ইবন উমাইয়৷ দিমারী এবং সালাম৷ ইবন আসলাম ইবন
হুরায়সকে নির্দেশ দিয়ে বললেন, তোমরা দুঅনে অভিযানে বের হও ৷ তোমরা আবু সুফিয়ান ইবন
হারবের নিকট যাবে এবং সুযোগ পেলে তাকে হত্যা করবে ৷ আমর (রা ) বলেন, আমি আর
আমার সাথী দৃজনে যাত্রা করি ৷ ইয়াজিজ নামক প্রাম্ভরে এসে আমরা যাত্রা বিরতি করি এবং
আমাদের উট বেধে রাখি ৷ আমার সাথী আমাকে বলল, হে ৰুা৷ম ৷৷র ৷ আপনি কেমন মনে করেন
যে, এই সুযোগে আমরা মক্কায় গিয়ে সাতবার তা ওয়ায১ করি এবং দু রাক আত নামায আদায়
করি ৷ আমি বললাম, মক্কায় অধিবাসীদেরকে আমি তোমার চ৷ ৷ইতে বেশী চিনি ৷ সন্ধ্য৷ হলে তারা
ঘাস পাতা বিছিয়ে৩ তার মধ্যে বসে থাকে ৷ মিশ্রবর্পের ঘোড়াকে ঢেনার চেয়েও আমি মক্কা শহর
বেশী চিনি ৷ আমার সাথী তার কথায় অটল থাকল ৷ আমার কথা শুনল না ৷ আমরা যাত্রা করে
মক্কায় পৌছি ৷ সা৩ তবার বায়তুল্লাহ্ শরীফের চাবিদিকেত ৩াওয়াফ করি ৷ দু রাকআত নামায আদায়
করি ৷ সেখান থেকে বের হবার পর আবু সুফিয়ানের পুত্র মুআবিয়ার আমাদের সাথে দেখা হয় ৷
আমাকে চিনে ফেলে ৷ সে বলল, তোমার জন্য দুঃখ হয়, হে আমর ইবন উমাইয়৷ ! মক্কাবাসীদের
কে উদ্দেশ করে আমাদের ব্যাপারে সে সর্তক করে দিল এবং বলল, আমরের মতলব ভাল নয় ৷

জারুহলী যুগে আমর রেপরোয়৷ ও লড়াকু প্রকৃতির ছিলেন ৷ মুআবিয়ার ডাক শুনে মক্কাবাসীরা
বেরিয়ে এল এবং এক জায়গায় জড়ো হল ৷ এদিকে ওদের অবস্থা দেখে আমর ও সালামা (বা)
দু জনে পালিয়ে গেলেন ৷ ওরা তাদের খোজে বের হল ৷ পাহান্ড় পাহাড়ে তন্ন তন্ন করে খুজলাে ৷
আমর বলেন, আমি দ্রুতবেগে একটি গুহায় ঢুকে পড়ে তাদের সৃষ্টির আড়ালে চলে যাই, ভোর
পর্যন্ত আমি ওখানে ছিলাম ৷ তারা সারা রাত পাহাড়ে আমাদেরকে খুজে বেড়ায় আল্লাহ তাআলা
তাদের নিকট মদীনায় পথ অজ্ঞাত রেখেছিলেন ৷ পরদিন পৃবাহ্নে উছমান ইবন মালিক ইবন
উবায়দৃল্লাহ্ তামীমী সেখানে ঘোড়ার জন্যে ঘাস সং গ্রহ করতে আসে ৷ আমার সাথী সালামা ইবন
আসলামকে আমি বললাম যে, উছমান যদি আমাদেরকে দেখতে পায় তবে সে মক্কাবাসীদেরকে
আমাদের কথা জানিয়ে দিবে ৷ এথনতে৷ ওরা আমাদেরকে ছেড়ে চলে গিয়েছে ৷ ঘাস সংগ্রহ
করতে করতে উছমান আমাদের গুহার একেবার নিকটে চলে আসে ৷ আমি গুহা থেকে বের হই
এবং তার বুকে খঞ্জব বসিয়ে দেই ৷ সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং আর্তনাদ করতে থাকে ৷
মক্কাবাসিগণ চারিদিকে চলে গিয়েছিল ৷ তার চীৎকার শুনে সবাই সেখানে একত্রিত হল ৷ আমি
আমার গুহায় লুকিয়ে বইলাম ৷ আমার সাথীকে বললাম , খবরদার , একটুও নড়াচড়৷ করবে না ৷
ওরা সকলে উছমানের নিকট এল এবং তাকে আঘাত করেছে কে তা জিজ্ঞেস করল ৷ সে বলল,
আমাকে আঘাত করেছে আমর ইবন উমা ইয়া দিনমারী ৷ আবু সুফিয়ান মন্তব্য করল যে, আমি
আগেই বলেছি সে কোন ভাল ম৩ লবে মক্কায় আসেনি ৷ উছমারুনব তখন মুমুর্বু অবস্থা ৷৩ তাই সে


أَمْسَوْا انْفَجَعُوا بِأَفْنِيَتِهِمْ، فَأَبَى عَلَيَّ فَانْطَلَقْنَا فَأَتَيْنَا مَكَّةَ فَطُفْنَا أُسْبُوعًا وَصَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ، فَلَمَّا خَرَجْتُ لَقِيَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ فَعَرَفَنِي وَقَالَ: عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ! وَأَخْبَرَ أَبَاهُ فَنَذِرَ بِنَا أَهْلُ مَكَّةَ فَقَالُوا: مَا جَاءَ عَمْرٌو فِي خَيْرٍ. وَكَانَ عَمْرٌو فَاتِكًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَحَشَدَ أَهْلُ مَكَّةَ وَتَجَمَّعُوا، وَهَرَبَ عَمْرٌو، وَسَلَمَةُ وَخَرَجُوا فِي طَلَبِهِمَا، وَاشْتَدُّوا فِي الْجَبَلِ. قَالَ عَمْرٌو: فَدَخَلْتُ غَارًا فَتَغَيَّبْتُ عَنْهُمْ حَتَّى أَصْبَحْتُ، وَبَاتُوا يَطْلُبُونَنَا فِي الْجَبَلِ، وَعَمَّى اللَّهُ عَلَيْهِمْ طَرِيقَ الْمَدِينَةِ أَنْ يَهْتَدُوا لِرَاحِلَتِنَا، فَلَّمَا كَانَ الْغَدُ ضَحْوَةً، أَقْبَلَ عُثْمَانُ بْنُ مَالِكِ بْنِ عُبَيْدٍ التَّيْمِيُّ يَخْتَلِي لِفَرَسِهِ حَشِيشًا، فَقُلْتُ لِسَلَمَةَ بْنِ أَسْلَمَ: إِذَا أَبْصَرَنَا أَشْعَرَ بِنَا أَهْلَ مَكَّةَ وَقَدِ انْفَضُّوا عَنَّا. فَلَمْ يَزَلْ يَدْنُو مِنْ بَابِ الْغَارِ حَتَّى أَشْرَفَ عَلَيْنَا. قَالَ: فَخَرَجْتُ إِلَيْهِ فَطَعَنْتُهُ طَعْنَةً تَحْتَ الثَّدْيِ بِخِنْجَرِي فَسَقَطَ وَصَاحَ، فَأَسْمَعَ أَهْلَ مَكَّةَ فَأَقْبَلُوا بَعْدَ تَفَرُّقِهِمْ، وَدَخَلْتُ الْغَارَ، وَقُلْتُ
পৃষ্ঠা - ২৮০২
لِصَاحِبِي: لَا تَتَحَرَّكْ. فَأَقْبَلُوا حَتَّى أَتَوْهُ، وَقَالُوا: مَنْ قَتَلَكَ؟ قَالَ: عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيُّ. فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: قَدْ عَلِمْنَا أَنَّهُ لَمْ يَأْتِ لِخَيْرٍ. وَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُخْبِرَهُمْ بِمَكَانِنَا، فَإِنَّهُ كَانَ بِآخِرِ رَمَقٍ فَمَاتَ، وَشُغِلُوا عَنْ طَلَبِنَا بِصَاحِبِهِمْ، فَحَمَلُوهُ، فَمَكَثْنَا لَيْلَتَيْنِ فِي مَكَانِنَا حَتَّى خَرَجْنَا، فَقَالَ صَاحِبِي: يَا عَمْرُو بْنَ أُمَيَّةَ هَلْ لَكَ فِي خُبَيْبِ بْنِ عَدِيٍّ نَنْزِلُهُ؟ فَقُلْتُ لَهُ: أَيْنَ هُوَ؟ قَالَ: هُوَ ذَاكَ مَصْلُوبٌ، حَوْلَهُ الْحَرَسُ. فَقُلْتُ: أَمْهِلْنِي وَتَنَحَّ عَنِّي فَإِنْ خَشِيتَ شَيْئًا فَانْحُ إِلَى بَعِيرِكَ فَاقْعُدْ عَلَيْهِ، فَأْتِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبِرْهُ الْخَبَرَ وَدَعْنِي، فَإِنِّي عَالِمٌ بِالْمَدِينَةِ. ثُمَّ اشْتَدَدْتُ عَلَيْهِ حَتَّى وَجَدْتُهُ فَحَمَلْتُهُ عَلَى ظَهْرِي، فَمَا مَشَيْتُ بِهِ إِلَّا عِشْرِينَ ذِرَاعًا حَتَّى اسْتَيْقَظُوا، فَخَرَجُوا فِي أَثَرِي فَطَرَحْتُ الْخَشَبَةَ، فَمَا أَنْسَى وَقْعَهَا دَبْ - يَعْنِي صَوْتَهَا - ثُمَّ أَهَلْتُ عَلَيْهِ التُّرَابَ بِرِجْلِي، فَأَخَذْتُ طَرِيقَ الصَّفْرَاءِ، فَأَعْيَوْا وَرَجَعُوا، وَكُنْتُ لَا أُدْرَكُ مَعَ بَقَاءِ نَفْسٍ، فَانْطَلَقَ صَاحِبِي إِلَى الْبَعِيرِ فَرَكِبَهُ وَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ، وَأَقْبَلْتُ حَتَّى أَشْرَفْتُ عَلَى الْغَمِيمِ غَمِيمِ ضَجَنَانَ فَدَخَلْتُ فِي غَارٍ مَعِي قَوْسِي وَأَسْهُمِي وَخِنْجَرِي، فَبَيْنَمَا أَنَا فِيهِ إِذْ أَقْبَلَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي بَكْرٍ مِنْ بَنِي الدِّيلِ
পৃষ্ঠা - ২৮০৩

আমাদের অবস্থান ওদেরকে জানাতে পারেনি ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেইত তার মৃত্যু হয় ৷ ওকে নিয়ে ব্যস্ত
হয়ে পড়ায় তারা আমাদের খোজে মনোযোগ দিতে পারেনি ৷ ওরা তাকে তুলে নিয়ে পেল ৷ ওই
জায়গায় আমরা দু’রা ৷ত অবস্থান করি ৷ আমাদেরকে খোজার চাঞ্চল্য যখন স্তিমিত হয়ে পড়ল তখন
আমরা ওই গুহ৷ (ছড়েত তানঈম গিয়ে পৌছলাম ৷ আমার সাথী আমাভৈ:ক রলল আচ্ছা আমরা ৷যদি
হযরত থুবায়রের হতাকাল্ডের স্থানে য ই এবং তার তলের কাষ্ঠ (থকে তাকে নামিয়ে আনি
তাহলে কেমন হয় ? আমি বললাম, খুবায়ব (রা) এখন কোথায় ? সে বলল, তিনি তে তা শুলিবিদ্ধ
অবস্থায় রয়েছেন ৷ শত্রুপক্ষের প্রহরীগণ তার লাশ পাহার৷ দািয় যাচ্ছে ৷ আমি বললাম, তুমি
আমাকে একাকী যাওয়ার সুযোগ দাও তুমি দুরে সরে থেকে৷ ৷ শ্াত্রএপবক্ষর আশ কা সৃষ্টি হলে
তুমি তোমার উটে চড়ে সোজা মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট নিয়ে যাবে এবং আমাদের
সকল সৎব ৷দ তাকে অবহিত করবে ৷ আমার ব্যাপারে মাথা ঘামাবে না৷ < ণ আমি মদীনার পথ
ঘাট চিনি ৷ আমি খুবায়বের (রা) লাশ খুজতে তলাপলাম ৷ এক পযারুহ্৷ তা প্য়ে ও গোলাম ৷ সুযোগ
বুঝে তাকে পিঠে তুলে নিলাম ৷ ২০ হাতের মত পথ চলার পর প্ৰহবীব৷ ঘুম থেকে জেগে গেল
এবং আমার পদচিহ্ন অনুসরণ করে আমাকে ধরার জন্যে এগুতে লাগল ৷ কাঠসহ্ হযরত
থুবায়বের (বা) লাশ আমি মাটিতে রেখে পায়ে মাটি টেনে নত৷ ঢেকে দিলাম ৷ তখ্যা ওই কাঠ
থেকে একটি শব্দ বের হয়েছিল ৷ ওই শব্দ আমি এখনও তুলতে পারি না ৷ তাকে মাটি চাপা দিয়ে
আমি সাফরার পথে অগ্রসর হলাম ৷ ওরা আমার নাগাল পেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেল ৷ আমি
জীবিত ছিলাম বটে; কিন্তু তখন আমার দেহে কো ন অনুভুতি ৩ছিল ন৷ ৷ আমার সাথী সালামা ইবন
আসলাম তার উটে চড়ে বাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ফিরে যায় এবং সকল সং বাদ তাকে অবহিত
করে ৷ আমি মদীন ৷র পথে অগ্রসর হলাম, চলতে চলতে আমি এসে পৌছল৷ ম য়াজনান গোত্রের
মরুদ্যানের নিকট ৷ সেখানে আমি একটি গুহায় আশ্রয় (নই ৷ আমার সাথে ছিল আমার ধণুক ,
তীর এবং খঞ্জর ৷ আমি গুহায় ছিলাম ৷ এমতাবস্থায় বানু দায়ল ইবন বকর গোত্রের একজন
দীর্ঘদেহী র্টের৷ চােখ৷ লোকত তার ছাগপাল নিয়ে এগিয়ে এল ৷ সে গুহায় মধ্যে ঢুকে জিজ্ঞেস
করল, তুমি কে হে ? আমি বললাম, আমি বানু বকর গোত্রের লোক ৷ সে রলল , আমিও বকর
গোত্রের লোক ৷ এরপর সে হেলান দিয়ে মনের সুখে নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করতে লাগল :

টু;ট্রু পুট্রুপ্

আমি মুসলমান নই ৷ যতদিন বেচে থাকি মুসলমান হবে৷ ন৷ ৷ আমি মুসলমানদের ধর্ম মানি

না ৷
আমি মনে মনে বললাম, আমি তো তোমাকে খুন করব ৷ সে ঘুমিয়ে পড়ল ৷ আমি তাকে
অত্যন্ত নির্মমতাবে হত্যা করলাম ৷ আমি গুহ৷ থেকে বেরিয়ে পথে নেমে এলাম ও আমার সাথে
কুরায়শদের প্রেরিত দু’জন গুপ্তচরের দেখা হয় ৷ ওদের উদ্দেশ্যে আমি বললাম, তোমরা দুজনে
আত্মসমর্পণ কর ৷ ওদের একজনত তা মেনে নিতে অস্বীকার করল ৷ আমি তৎক্ষণাৎ ভীর নিক্ষেপে
তাকে হত্যা করলাম ৷ এটি দেখে অনজেন আত্মসমর্পণ করলো ৷ আমি ভালভাবে তাকে বেধে
নিলাম ৷ তারপর তাকে নিয়ে রওয়ান৷ করলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উদ্দেশ্যে ৷ আমি যখন মদীনায়
এসে পৌছি তখন খেলা ধুলায় মগ্ন আ ৷নসারী শিশুরা আমার নিকট উপস্থিত হয় ৷ বয়স্ক লোকদেরকে


أَعْوَرُ طَوِيلٌ، يَسُوقُ غَنَمًا وَمِعْزَى، فَدَخَلَ الْغَارَ وَقَالَ: مَنِ الرَّجُلُ؟ فَقُلْتُ: رَجُلٌ مِنْ بَنِي بَكْرٍ. فَقَالَ: وَأَنَا مِنْ بَنِي بَكْرٍ. ثُمَّ اتَّكَأَ وَرَفَعَ عَقِيرَتَهُ يَتَغَنَّى وَيَقُولُ: فَلَسْتُ بِمُسْلِمٍ مَا دُمْتُ حَيًّا ... وَلَسْتُ أَدِينُ دِينَ الْمُسْلِمِينَا فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَقْتُلَكَ. فَلَمَّا نَامَ قُمْتُ إِلَيْهِ، فَقَتَلْتُهُ شَرَّ قِتَلَةٍ قَتَلْتُهَا أَحَدًا قَطُّ، ثُمَّ خَرَجْتُ حَتَّى هَبَطْتُ، فَلَمَّا أَسْهَلْتُ فِي الطَّرِيقِ إِذَا رَجُلَانِ بَعَثَتْهُمَا قُرَيْشٌ يَتَجَسَّسَانِ الْأَخْبَارَ، فَقُلْتُ: اسْتَأْسَرَا. فَأَبَى أَحَدُهُمَا، فَرَمَيْتُهُ فَقَتَلْتُهُ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ الْآخَرُ اسْتَأْسَرَ، فَشَدَدْتُهُ وَثَاقًا، ثُمَّ أَقْبَلْتُ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ رَآنِي صِبْيَانٌ وَهُمْ يَلْعَبُونَ، وَسَمِعُوا أَشْيَاخَهُمْ يَقُولُونَ: هَذَا عَمْرٌو. فَاشْتَدَّ الصِّبْيَانُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرُوهُ، وَأَتَيْتُهُ بِالرَّجُلِ قَدْ رَبَطْتُ إِبْهَامَيْهِ بِوَتَرِ قَوْسِي، فَلَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَضْحَكُ، ثُمَّ دَعَا لِي بِخَيْرٍ. وَكَانَ قُدُومُ سَلَمَةَ قَبْلَ قُدُومِ عَمْرٍو بِثَلَاثَةِ أَيَّامٍ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ عَمْرًا لَمَّا أَهْبَطَ خُبَيْبًا لَمْ يَرَ لَهُ رِمَّةً وَلَا جَسَدًا، فَلَعَلَّهُ دُفِنَ مَكَانَ سُقُوطِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذِهِ السَّرِيَّةُ إِنَّمَا اسْتَدْرَكَهَا ابْنُ هِشَامٍ عَلَى ابْنِ إِسْحَاقَ
পৃষ্ঠা - ২৮০৪
وَسَاقَهَا بِنَحْوٍ مِنْ سِيَاقِ الْوَاقِدِيِّ لَهَا، لَكِنْ عِنْدَهُ أَنَّ رَفِيقَ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ فِي هَذِهِ السَّرِيَّةِ جَبَّارُ بْنُ صَخْرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ২৮০৫

যখন তারা বলতে শুনল যে, “এই আমর” “এই আমর তখন শিশুরা দৌড়ে পি(য় রাসুলুল্লাহ

(সা) (ক সংবাদ জানানো ৷ আমি সাথে করে নিয়ে এসেছি ওই (লা ব টিকে ৷ আমার বনুকের ছিলা
দ্বারা মযবুত করে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি বেধে (রখেছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) )-এর প্রতি তাকিয়ে দেখি যে

তিনি হাসছেন ৷৩ তারপর তিনি আমার জন্যে দু আ করলেন৷ আমর( র(া) এর মদীনায় পৌছার

তিনদিন পুর্বে সালামা ইবন আসলাম মদীনায় পৌছে গিয়েছিলেন ৷ বায়হাকী (র) এটি বর্ণনা
করেছেন ৷

ইতিপুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, আমর (রা) হযরত থুবায়ব (রা)--(ক গুলি কাষ্ঠ থেকে নামা(নার
সাথে সাথে তার শরীর কিৎবা শরীরের (কান অংশ দেখতে পাননি ৷ সম্ভবতঃ যে স্থানেই তার
পবিত্র (দহ পড়েছিল সেখানেই তার দাফন হয়ে গিয়েছিল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন ইসহ ক এই অভিযানের কথা উল্লেখ না করলেও ইবন হিশাম এই অভিযানের কথা

উল্লেখ করেছেন ৷ ওয়াকিদী যেমনটি বর্ণনা করেছেন, ইবন হিশ্াম ও (৩ তমনটি করেছেন ৷ তবে

তার বর্ণনায় আছে (য়, এই অভিযানে আমর ইবন উমাইয়ার (রা) সাথী ছিলেন জাব্বার ইবন
সাখর ৷ আাল্লাহ্ইভা ৩াল জানেন ৷ সকল প্রশংসা তারই জন্যে ৷

বি র-ই-মাউনার অভিযান

এ ঘটনাটি ঘটেছিল : র্থ হিজরীর সফর মাসে ৷ মাকহুল (র ) এ বিষয়ে একটি একক মন্তব্য
করেছেন (য়, এ ঘটনাটি ঘটেছিল খন্দক যুদ্ধের পর ৷ বুখারী (র) বলেন, আবু মা’মার
আনাস ইবন মানিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্
(সা) ৭০ জন সাহাবী সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেছিলেন ৷ তারা কুর্বা বা কুরআন
বিশেষজ্ঞ রুপে পরিচিত ছিলেন ৷ মাউনা কু(য়া নামে একটি কু(য়ার নিকট বনু সুলায়ম (পাত্রের
বিল ও যাকওয়ান নামে দুই উপগােত্র তাদের উপর আক্রমণ করে ৷ সাহাবীগণ বললেন, আল্লাহর
কসম আমরা (তা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসিনি ৷ আমরা (বর হয়েছি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
একটি বিশেষ কাজে ৷ কাফিরেরা ৩াদের কথায় কর্ণপাত করলো না ৷ তারা তাদেরকে হত্যা
করলো ৷ এ প্রেক্ষিতে একমাস যাবত রাসুলুল্লাহ্ (সা) ফজরের নামায়ে কুনুত ৩-ই-নাযিলা পাঠ করে
তাদের জন্যে বদ দু’আ করেন ৷ তখন (থকেই কুনুত পাঠের সুচনা হয় ৷ ইতিপুর্বে আমরা কুনুত
পাঠ করতাম না ৷

মুসলিম (র ) হাম্মাদ ইবন সালামা আনাস (রা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণাা করেছেন ৷ এরপর বুখারী
(বা) বলেছেন, আব্দুল আলা ইবন হাম্মাদ আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন
(য়, রিল, যাকওয়ান উসা ইয়া এবং বনু লিহ্য়ান (গাত্রের (লা(করা তাদের শত্রু পক্ষের বিরুদ্ধে
রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাহায্য প্রার্থনা করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাদের সাহায্যার্থে ৭০ জন সাহাবী
প্রেরণ করেন ৷ আমরা তাদেরকে কিরআত বিশেষজ্ঞ বলে অভিহিত কর৩াণ্ম ৷ সহজ সরল এই
সাহাবীগণ দিনভর কাঠ সংগ্রহ করতে ন জীবিকা অর্জনের জন্যে ৷ আর সারারাত নামায আদায়
করতেন ৷ তারা বি র-ই-মাউনা নামক কু(য়ার নিকট পৌছার পর উল্লিখিত গোত্রের লোকেরা
বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং এই সাহাবীদল(ক হত্যা করে ৷ এই দুঃসৎবাদ পৌছে রড়াসুলুল্লাহ্


[سَرِيَّةُ بِئْرِ مَعُونَةَ] وَقَدْ كَانَتْ فِي صَفَرٍ مِنْهَا، وَأَغْرَبَ مَكْحُولٌ رَحِمَهُ اللَّهُ، حَيْثُ قَالَ: إِنَّهَا كَانَتْ بَعْدَ الْخَنْدَقِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعِينَ رَجُلًا لِحَاجَةٍ يُقَالُ لَهُمُ: الْقُرَّاءُ. فَعَرَضَ لَهُمْ حَيَّانِ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ - رِعْلٌ وَذَكْوَانَ - عِنْدَ بِئْرٍ يُقَالُ لَهَا بِئْرُ مَعُونَةَ. فَقَالَ الْقَوْمُ: وَاللَّهِ مَا إِيَّاكُمْ أَرَدْنَا، وَإِنَّمَا نَحْنُ مُجْتَازُونَ فِي حَاجَةٍ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَتَلُوهُمْ، فَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ شَهْرًا فِي صَلَاةِ الْغَدَاةِ، وَذَاكَ بَدْءُ الْقُنُوتِ، وَمَا كُنَّا نَقْنُتُ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ بِنَحْوِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ رِعْلًا وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ وَبَنِي لِحْيَانَ اسْتَمَدُّوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَدُوٍّ، فَأَمَدَّهُمْ بِسَبْعِينَ مِنَ الْأَنْصَارِ كُنَّا
পৃষ্ঠা - ২৮০৬

(না)-এর নিকট ৷ অপরাধী ও বিশ্বাসঘাতক আরব গোত্র রিল, যাকওয়ান, উসায়্যা ও বনু লিহ্য়ান
গোত্রের জন্য বদ দৃআ করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক মাস ব্যাপী ফজবের নামায়ে কুনুত পাঠ করেন ৷
আনাস (রা) বলেন, ওই সড়াহাবীদের উপলক্ষ করে কুরআনের আয়াত নাযিল হয়েছিল, আমরা তা
পাঠ করতাম ৷ পরবর্তীওে ওই আরা৩গুলাে রহি৩ করে নেয়া হয়েছে ৷ ওই আয়াত এই-




আমাদের সম্প্রদায়কে এই সংবাদ পৌছে দাও যে, আমরা আমাদ্যো প্রতিপালকের নিকট
এসে গিয়েছি ৷ তিনি আমাদের প্ৰতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং আমাদেবকেও সভুষ্ট করেছেন ৷ )

এরপর বুখারী (রা) বলেছেন, মুসা ইবন ইসমাঈল আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে
বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার প্রেরিত ৭০ জনের মধ্যে উন্মু লুলায়মের ভাই হারামকে
অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন ৷ তখনকার মুশরিকদের নেতা ছিল আমির ইবন তুফায়ল ৷ সে তার প্রস্তাবিত
তিনটি বিষয়ের যে কোন একটি গ্রহণের জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা)শু কে বলেছিল ৷ সে বলেছিল , হে
মুহাম্মাদ (সা) ! আপনি গ্রামাঞ্চলের নেতা থাকুন আর আমাকে শহর এলাকার নেতৃত্ব দিন ৷ অথবা
আমাকে আপনার খলীফা নিযুক্ত করুন যে, আপনার মৃত্যুর পর আমি আপনার খলীফা হবো অথবা
আমি পাতফান গোত্রের হাজার হাজার লোক নিয়ে আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হবো ৷ তারপর
“উম্মু ফুলান” নাস্বী এক মহিলার বাড়ীতে অবস্থানকালে সে পুেগ রোগে আক্রান্ত হয় ৷ তার ঘাড়ে
বড় রকমের ফোড়া দেখা দেয় ৷ সে বলেছিল, অমুক লোকের বংশ ধরের জনৈক মহিলার ঘরে
আমি রোগাক্রান্ত হলাম ৷ ঘাড়ে উটের কুজের মত ফোড়া দেখা দিল ৷ তোমরা তাড়াতাড়ি আমার
ঘোড়া এনে হাযিব কর ৷ আমি তাতে চড়ে এখান থেকে সরে যাই ৷ ওই ঘোড়ার পিঠেই তার
মৃত্যু হয় ৷

আলোচ্য অভিযানে উম্মু সুলায়মেব ভাই হারাম, অন্য একজন খোড়া লোক এবং অমুক
ৎশের একজন লোক মোট তিনজন অগ্রসর হলেন ৷ হারাম (বা) তার দুসাথীকে বললেন,
আপনারা আমার কাছাকাছি থাকবেন ৷ আমি ওদের নিকট যাব ৷ ওরা যদি আমাকে নিরাপত্তা দেয়
তবে আপনারা আরো নিকটে অগ্রসর হবেন ৷ পক্ষাম্ভরে যদি ওরা আমাকে খুন করে ফেলে তবে
আপনারা নিজ দলের নিকট ফিরে আসবেন ৷



হারাম (রা ) শত্রুপক্ষের নিকট গেলেন ৷ তিনি ওধের৫ক বললেন , ৫তামরা কি আমাকে
নিরাপত্তা দেবে যাতে করে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বাণী তোমাদের নিকট পৌছাতে পারি ৷ তিনি
এ বিষয়ে ওদের সাথে আলাপ করছিলেন ৷ ওরা জনৈক ব্যক্তিকে ইশারা করেছিল, যে পেছন দিক
থেকে এসে হারাম (রা)-কে বশা দ্বারা আঘাত করে ৷ বশয়ি তার দেহ এফোড়-ওভ্রুফাড় হয়ে যায় ৷
মৃত্যু নিশ্চিত জেনে তিনি বলে উঠলেন ও ধ্< ৷ ;;,; ;;;

কাবার প্রতিপালকের কসম, আমি সফলকাম হয়েছি ৷ হারামের (রা) সাথী লোকটি এ
অবস্থা প্রত্যক্ষ করে নিজ সঙ্গীদের নিকট ফিরে এলেন ৷ কিন্তু কাফিব দল এসে তাদের সকলকে
হত্যা করল ৷ রক্ষা পেয়েছিলে শুধু খোড়া লোকটি ৷ তিনি একটি পাহাড়ের চুড়ায় উঠে আত্মগােপন


نُسَمِّيهِمُ الْقُرَّاءَ فِي زَمَانِهِمْ، كَانُوا يَحْتَطِبُونَ بِالنَّهَارِ، وَيُصَلُّونَ بِاللَّيْلِ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبِئْرِ مَعُونَةَ قَتَلُوهُمْ وَغَدَرُوا بِهِمْ، فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَنَتَ شَهْرًا يَدْعُو فِي الصُّبْحِ عَلَى أَحْيَاءٍ مِنَ الْعَرَبِ ; عَلَى رِعْلٍ وَذَكْوَانَ وَعُصَيَّةَ وَبَنِي لِحْيَانَ. قَالَ أَنَسٌ: فَقَرَأْنَا فِيهِمْ قُرْآنًا، ثُمَّ إِنَّ ذَلِكَ رُفِعَ: بَلِّغُوا عَنَّا قَوْمَنَا أَنَّا لَقِينَا رَبَّنَا فَرَضِيَ عَنَّا وَأَرْضَانَا» ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ خَالَهُ - أَخًا لِأُمِّ سُلَيْمٍ - فِي سَبْعِينَ رَاكِبًا، وَكَانَ رَئِيسَ الْمُشْرِكِينَ عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ خَيَّرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ ثَلَاثِ خِصَالٍ ; فَقَالَ: يَكُونُ لَكَ أَهْلُ السَّهْلِ وَلِي أَهْلُ الْمَدَرِ أَوْ أَكُونُ خَلِيفَتَكَ، أَوْ أَغْزُوكَ بِأَهْلِ غَطَفَانَ بِأَلْفٍ وَأَلْفٍ. فَطُعِنَ عَامِرٌ فِي بَيْتِ أُمِّ فُلَانٍ فَقَالَ: غُدَّةٌ كَغُدَّةِ الْبَكْرِ فِي بَيْتِ امْرَأَةٍ مِنْ آلِ فُلَانٍ، ائْتُونِي بِفَرَسِي. فَمَاتَ عَلَى ظَهْرِ فَرَسِهِ، فَانْطَلَقَ حَرَامٌ أَخُو أُمِّ سُلَيْمٍ وَهُوَ رَجُلٌ أَعْرَجُ، وَرَجُلٌ مِنْ بَنِي فُلَانٍ، فَقَالَ: كُونَا قَرِيبًا حَتَّى
পৃষ্ঠা - ২৮০৭
آتِيهِمْ، فَإِنْ آمَنُونِي كُنْتُمْ قَرِيبًا، وَإِنْ قَتَلُونِي أَتَيْتُمْ أَصْحَابَكُمْ. فَقَالَ: أَتُؤَمِّنُونِي حَتَّى أُبَلِّغَ رِسَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَجَعَلَ يُحَدِّثُهُمْ وَأَوْمَئُوا إِلَى رَجُلٍ فَأَتَاهُ مِنْ خَلْفِهِ فَطَعَنَهُ. قَالَ هَمَّامٌ: أَحْسَبُهُ قَالَ: حَتَّى أَنْفَذَهُ بِالرُّمْحِ. فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، فُزْتُ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ. فَلَحِقَ الرَّجُلُ، فَقُتِلُوا كُلُّهُمْ غَيْرَ الْأَعْرَجِ، وَكَانَ فِي رَأْسِ جَبَلٍ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْنَا، ثُمَّ كَانَ مِنَ الْمَنْسُوخِ: " إِنَّا قَدْ لَقِينَا رَبَّنَا فَرَضِيَ عَنَّا وَأَرْضَانَا ". فَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثِينَ صَبَاحًا ; عَلَى رِعْلٍ وَذَكْوَانَ وَبَنِي لِحْيَانَ وَعُصَيَّةَ الَّذِينَ عَصَوُا اللَّهَ وَرَسُولَهُ.» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي مَعْمَرٌ، حَدَّثَنِي
পৃষ্ঠা - ২৮০৮



করেছিলেন ৷ এ প্রেক্ষিওে আহ্লা ৷ হু তাআল৷ কুরআনের আয়াত নাযিল করেছিলেন ৷ পরে অবশ্য
আয়াতগুলে৷ মানসুখ (রহিত ) হয়ে যায় ৷ আয়াতগুলাে এই

াঠুাট্রুৰুএর্মুাঠু র্চু; ’ ন্হৃ ৰুব্লুদ্বু ৷ন্ট্রুচ্ ৷৷ ংএে @ ৷

আমরা আমাদের প্ৰতিপালকের সাথে সাক্ষাত করেছি ৷ তিনি আমাদের প্রতি সভুষ্ট হয়েছেন
এবং৩ তিনি আমাদেরকে সন্তুষ্ট করেছেন ৷ এই প্রেক্ষিতে রাসুলুৰুৰুান্ ধ্ ণ্ডুছু (সা) বি ল, যাকওয়ান, বনু
লিহয়ান ও উসাইয়৷ পােত্রসমুদুহর জন্যে বদ দুআ করেন ৩০ দিন যাতে ফজরের নামাদুয কুনুতে
নাযিল৷ পাঠের মাধ্যমে ৷ ওর৷ আল্লাহ ও তার রাসুলের নাফরমানী করেছিল ৷

বৃখারী (ব ) বলেন, হিববান আনন্দে ইবন মালিক (রা) বদুল্দুছন হার ম ইবন মিলহান
যিনি হযরত আনাদুসর (রা ) মামা ৷ছিলেন ৷ শত্রুপদুক্ষর তীদুদ্বহুঅ ঘাদুত আহত হলেন ৷ বস্তুত
বি র-ই মাউনার ঘটনায় যখন তিনি আহত হলেন তখন তিনি ক্ষত স্থান থেকে রক্ত নিয়ে মাথায় ও
মুখে ছিটিয়ে উঠে বলেছিলেন কাবার মালিকের কসম , আমি সফলকাম হয়েছি ৷ ”

বৃখারী (র) বলেন, উবায়দ ইবন ইসমাঈল হিশাম ইবন উরওয়৷ ৷থেদুক বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে জানিয়েছেন যে, বি র ই-মাউনার ঘটনায় যখন সাহাবীগ ৷ণ
ট্রুাহীদ হলেন এবং আমর ইবন উমা ইয়৷ দিমারী বন্দী হলেন তখন কাফির দুন৩ ৷ আমির ইবন
তাফায়ল একজন নিহত ব্যক্তির দিকে ইঙ্গিত করে বদুলছিল এই লোকটি দুক ? উত্তরে আমর
ইবন উমাইয়া বললেন, ইনি আমির ইবন ফুহায়র৷ ৷ আমর ইবন দুতাফায়ল বলল, এই লোক
নিহত হওয়ার পর আমি দেখেছি যে, তাকে আকাশে তুলে নেওয়া হয়েছে ৷ এমনকি আমি যেন
তাকে দেখতে পাচ্ছিলাম যে, সে আসমান ও যমিদুনর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করছে ৷ তারপর
তাকে পুনরায় পৃথিবীতে রেখে দেওয়া হয়েছে ৷ এরপর তাদের মৃত্যুর সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-দুক
জানানো হল ৷ তিনি সাহাবীদের মধ্যে ওই সংবাদ ছড়িয়ে দিলেন ৷ তিনি বললেন, তোমাদের
সাথিগণ বিপদের মুদুখামুখি হয়েছে ৷ তারা তাদের প্রতিপালকের নিকট এ বলে নিবেদন করেছিল
যে, হে প্রভু ৷ আপনি আমাদের প্ৰতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং আমরা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছি এ
শুভ সংবাদটি আমাদের সাথীদেরকে জানিয়ে দিন ৷ বস্তুত ওই শহীদদের অবস্থা আল্লাহ তাআলা
জীবিত সাহাবীদেরকে জানিয়ে দিলেন ৷ ওই দিন আসম৷ ইবন সালত এর পুত্র উরওয়৷ শহীদ
হয়েছিলেন ৷ তার নাম অনুসারে উরওয়৷ ৷(রা) কে ওই নামে ডাকা হয় ৷ সেদিন মুনযির ইবন
আমর ও শহীদ হয়েছিলেন ৷ পরে তার নামে মুনষির (রা) এর নাম রাখ ৷হয় ৷ এই কমিটি সহীহ্
বুখারীতে এরুপই উরওয়৷ ৷(বা) থেকে মুরসালরুদুপ বর্ণিত হয়েছে ৷

বায়হার্কী হযরত অ ইশ্ ৷ ৷(র৷ ) সুত্রে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি হিজরদু৩ র হাদীছ
বর্ণনা করেছেন এবং শেষ দিকে ততটুকু অতিরিক্ত সংযোজন করেছেন যা ইমাম বৃখারী এখানে
উল্লেখ করেছেন ৷ আল্পাহুই ভাল জাদুনন ৷

ওয়াকিদী (র) উরওয়৷ সুত্রে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি এই ঘটনা, আমির ইবন
যুহায়র-এর শাহাদত বরণ এবং তাকে আকাশে উঠানো হয়েছিল বলে আমির ইবন তােফায়লের
বক্তব্য উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে, যে ব্যক্তি আমির ইবন ফুহায়রাকে হত্যা




ثُمَامَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: لَمَّا طُعِنَ حَرَامُ بْنُ مِلْحَانَ، وَكَانَ خَالَهُ، يَوْمَ بِئْرِ مَعُونَةَ قَالَ بِالدَّمِ هَكَذَا ; فَنَضَحَهُ عَلَى وَجْهِهِ وَرَأْسِهِ، ثُمَّ قَالَ: فُزْتُ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ أَخْبَرَنِي أَبِي قَالَ: «لَمَّا قُتِلَ الَّذِينَ بِبِئْرِ مَعُونَةَ وَأُسِرَ عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيُّ قَالَ لَهُ عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ: مَنْ هَذَا؟ فَأَشَارَ إِلَى قَتِيلٍ، فَقَالَ لَهُ عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ: هَذَا عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ. قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُهُ بَعْدَ مَا قُتِلَ رُفِعَ إِلَى السَّمَاءِ، حَتَّى إِنِّي لَأَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْأَرْضِ، ثُمَّ وُضِعَ. فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَبَرُهُمْ، فَنَعَاهُمْ فَقَالَ: إِنَّ أَصْحَابَكُمْ قَدْ أُصِيبُوا، وَإِنَّهُمْ قَدْ سَأَلُوا رَبَّهُمْ، فَقَالُوا: رَبَّنَا أَخْبِرْ عَنَّا إِخْوَانَنَا بِمَا رَضِينَا عَنْكَ، وَرَضِيتَ عَنَّا. فَأَخْبَرَهُمْ عَنْهُمْ. وَأُصِيبَ يَوْمَئِذٍ فِيهِمْ عُرْوَةُ بْنُ أَسْمَاءَ بْنِ الصَّلْتِ» فَسُمِّيَ عُرْوَةُ بِهِ وَمُنْذِرُ بْنُ عَمْرٍو وَسُمِّيَ بِهِ مُنْذِرٌ. هَكَذَا وَقَعَ فِي رِوَايَةِ الْبُخَارِيِّ مُرْسَلًا عَنْ عُرْوَةَ، وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ فَسَاقَ مِنْ حَدِيثِ الْهِجْرَةِ، وَأَدْرَجَ فِي آخِرِهِ مَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ هَاهُنَا، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ فَذَكَرَ الْقِصَّةَ، وَشَأْنَ عَامِرِ بْنِ فُهَيْرَةَ وَإِخْبَارَ عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ أَنَّهُ رُفِعَ إِلَى السَّمَاءِ، وَذَكَرَ أَنَّ الَّذِي قَتَلَهُ جَبَّارُ بْنُ سُلْمَى الْكِلَابِيُّ قَالَ: وَلَمَّا طَعَنَهُ بِالرُّمْحِ
পৃষ্ঠা - ২৮০৯

করেছিল তার নাম জাব্বার ইবন সালমা কিলাবী , সে বলেছে যে, সে যখন তাকে বশা দ্বারা
আঘাত করে তখন তিনি বলেছিলেন : ব্ ং, ব্রা ;’)’§ ’¢ং;

কাবা গৃহের মালিকের কলম, আমি সফলকাম হয়েছি ৷ তারপর জাব্বার জিজ্ঞেস করেছিল
যে, “আমি সফলকাম হয়েছি” দ্বারা আমির ইবন ফুহায়রা কি বুঝাতে চেয়েছিলেন ? সড়াহাবীগণ
বললেন, তিনি বুঝিয়েছেন যে, তিনি আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে জতাংত লাভে ধন্য হয়েছেনঃ,
জাব্বার বলল, হা , আপনি ঠিকই বলেছেন ৷ এই ঘটনার প্রেক্ষাপটেই পররত তে জাব্বা,র ইবন
সুলমা ইসলামে দীক্ষিত হয় ৷

মুসা ইবন উক্বা সংকলিত মাপাযী গ্রন্থে উরওয়া থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন
আমির ইবন ফুহায়রার লাশ খুজে পাওয়া যায়নি ৷ সকলের ধারণা যে, ফেরেশতাগণ তার লাশ
অম্ভর্হিত করে ফেলেন ৷ ইবন ইসহাকের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউনুস বলেছেন , রাসুলুল্লাহ্ (সা ) উহুদ
যুদ্ধের পর শাওয়াল মাসের অবশিষ্ট দিনগুলাে , যিলকদ, যিলহাজ্জ এ বং, ঘৃহাররম মাস মদীনায়
অবস্থান করেছিলেন ৷ এরপর উহুদ যুদ্ধের চার মাসের মাথায় সফর মাসে বির-ই-মাউনার
অভিযানে সাহাবীদেরকে প্রেরণ করেন ৷ আবুইসহাক ইবন ইয়ড়াসার আমার নিকট বর্ণনা করেছেন,
মুপীরা ইবন আবদুর রহমান এবং আবদুর রহমান ইবন আবু বকর প্রমুখ থেকে ৷ তারা বলেছেন
যে, আবু বারা আমির ইবন মালিক মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর দরবারে উপস্থিত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না) তাকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানান ৷ সে ইসলাম গ্রহণও করেনি আবার সরাসরি
প্রত্যাখ্যানও করেনি ৷ সে বলল, হে মুহাম্মাদ ! আপনি যদি আপনার সাহাবীদের একটি দল নজ্বদ
অঞ্চলে প্রেরণ করতেন আর তারা ওদেরকে যদি আপনার প্রচারিত ধর্মের দাওয়াত ত তবে
আমার আশা যে, ওরা ইসলাম কবুল করত ৷ আপনার ডাকে সাড়া দিত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন,
নজদের লোকেরা আমার সাহাবীদের উপর আক্রমণ করতে পারে বলে আমি আশংকা করছি ৷
আবু বারা বলল, না-না আমি বরং আপনার সাহাবীদের নিরাপত্তা বিধান করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু
সাঈদা গোত্রের মুনযির ইবন আমর সহ উচ্চ পর্যায়ের ৪০ জন সাহাবীর একটি দল প্রেরণ
করলেন ৷ মুনযিরকে আল মুআন্নিক লি-য়ামুত বা মৃভ্যুকে আলিঙ্গনকারী বলা হতো ৷ ওই দলে
আরো যারা ছিলেন তারা হলেন হারিছ ইবন সাম্মাহ বনু আদী গোত্রের, হারাম ইবন মিলহান-ইনি ,
উরওয়া ইবন আসমা ইবন সালত সুলামী , নাফি ইবন বুদায়ল ইবন ওয়ারকা খুযাঈ এবং আবু
বকর (রা)এর আযাদকৃত দাস আমির ইবন ফুহায়রা (বা) প্রমুখ ৷ তারা রওয়ানা করলেন ৷
বির-ই-মাউনা নামক কুয়াের নিকট গিয়ে তারা যাত্রা বিরতি করলেন ৷ এ স্থানটি ছিল বনু আমির
গোত্রের সমতল ভুমি এবং বনু সুলায়ম গোত্রের মরুভুমি এর মধ্যবর্তী এলাকা ৷ এ পর্যায়ে হারাম
ইবন মিলহান বাহক মারফত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর একটি চিঠি পাঠালেন সেখানকার কাফির নেতা
আমির ইবন তােফায়লের নিকট ৷ পত্র বাহক তার নিকট গোছার সাথে সাথে সে তাকে হত্যা
করে ৷ পত্রে কী লেখা ছিল তা সে তাকিয়েও দেখেনি ৷ তারপর সে বনু আমির গোত্রের
লোকজনকে আহ্বান জানায় সাহাবী দলের উপর আক্রমণ করার জানা ৷ কিন্তু ওই গোত্রের
লোকেরা তার আহ্বানে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানায় ৷ তারা বলেছিল, আবু বারা ওদেরকে
নিরাপত্তা দানের যে অঙ্গীকার করেছেন আমরা তা লঙ্ঘন করতে পারব না ৷ এদের পক্ষ থেকে


قَالَ: فُزْتُ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ. ثُمَّ سَأَلَ جَبَّارٌ بَعْدَ ذَلِكَ: مَا مَعْنَى قَوْلِهِ: فُزْتُ؟ قَالُوا: يَعْنِي بِالْجَنَّةِ. فَقَالَ: صَدَقَ وَاللَّهِ، ثُمَّ أَسْلَمَ جَبَّارٌ بَعْدَ ذَلِكَ لِذَلِكَ. وَفِي مَغَازِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عُرْوَةَ أَنَّهُ قَالَ: لَمْ يُوجَدْ جَسَدُ عَامِرِ بْنِ فُهَيْرَةَ يَرَوْنَ أَنَّ الْمَلَائِكَةَ وَارَتْهُ. وَقَالَ يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَعْنِي بَعْدَ أُحُدٍ بَقِيَّةَ شَوَّالٍ وَذَا الْقِعْدَةِ وَذَا الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمِ، ثُمَّ بَعَثَ أَصْحَابَ بِئْرِ مَعُونَةَ فِي صَفَرٍ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ مِنْ أُحُدٍ فَحَدَّثَنِي أَبِي إِسْحَاقَ بْنُ يَسَارٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَغَيْرُهُمَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا: قَدِمَ أَبُو بَرَاءٍ عَامِرُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جَعْفَرٍ مَلَاعِبُ الْأَسِنَّةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ فَعَرَضَ عَلَيْهِ الْإِسْلَامَ وَدَعَاهُ إِلَيْهِ فَلَمْ يُسْلِمْ وَلَمْ يَبْعُدْ، وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، لَوْ بَعَثْتَ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِكَ إِلَى أَهْلِ نَجْدٍ يَدْعُونَهُمْ إِلَى أَمْرِكَ، رَجَوْتُ أَنْ يَسْتَجِيبُوا لَكَ. فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي أَخْشَى عَلَيْهِمْ أَهْلَ نَجْدٍ. فَقَالَ أَبُو بَرَاءٍ: أَنَا لَهُمْ جَارٌ. فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُنْذِرَ بْنَ عَمْرٍو أَخَا بَنِي سَاعِدَةَ الْمُعْنِقَ لِيَمُوتَ فِي أَرْبَعِينَ
পৃষ্ঠা - ২৮১০
رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِهِ مِنْ خِيَارِ الْمُسْلِمِينَ ; فِيهِمُ الْحَارِثُ بْنُ الصِّمَّةِ، وَحَرَامُ بْنُ مِلْحَانَ أَخُو بَنِي عَدِيِّ بْنِ النَّجَّارِ، وَعُرْوَةُ بْنُ أَسْمَاءَ بْنِ الصَّلْتِ السُّلَمِيُّ، وَنَافِعُ بْنُ بُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ الْخُزَاعِيُّ، وَعَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ فِي رِجَالٍ مِنْ خِيَارِ الْمُسْلِمِينَ، فَسَارُوا حَتَّى نَزَلُوا بِئْرَ مَعُونَةَ وَهِيَ بَيْنَ أَرْضِ بَنِي عَامِرٍ وَحَرَّةِ بَنِي سُلَيْمٍ فَلَمَّا نَزَلُوا بَعَثُوا حَرَامَ بْنَ مِلْحَانَ بِكَتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عَدُوِّ اللَّهِ عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ، فَلَمَّا أَتَاهُ لَمْ يَنْظُرْ فِي الْكِتَابِ حَتَّى عَدَا عَلَى الرَّجُلِ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ اسْتَصْرَخَ عَلَيْهِمْ بَنِي عَامِرٍ فَأَبَوْا أَنْ يُجِيبُوا إِلَى مَا دَعَاهُمْ، وَقَالُوا: لَنْ نُخْفِرَ أَبَا بَرَاءٍ وَقَدْ عَقَدَ لَهُمْ عَقْدًا وَجِوَارًا. فَاسْتَصْرَخَ عَلَيْهِمْ قَبَائِلَ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ: عُصَيَّةَ وَرِعْلًا وَذَكْوَانَ وَالْقَارَةَ، فَأَجَابُوهُ إِلَى ذَلِكَ، فَخَرَجُوا حَتَّى غَشُوا الْقَوْمَ، فَأَحَاطُوا بِهِمْ فِي رِحَالِهِمْ، فَلَمَّا رَأَوْهُمْ أَخَذُوا أَسْيَافَهُمْ، ثُمَّ قَاتَلُوا الْقَوْمَ حَتَّى قُتِلُوا عَنْ آخِرِهِمْ، إِلَّا كَعْبَ بْنَ زَيْدٍ أَخَا بَنِي دِينَارِ بْنِ النَّجَّارِ، فَإِنَّهُمْ تَرَكُوهُ بِهِ رَمَقٌ، فَارْتُثَّ مِنْ بَيْنِ الْقَتْلَى، فَعَاشَ حَتَّى قُتِلَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ، وَكَانَ فِي سَرْحِ الْقَوْمِ عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيُّ وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ فَلَمْ يُنْبِئْهُمَا بِمُصَابِ الْقَوْمِ إِلَّا الطَّيْرُ تَحُومُ حَوْلَ الْعَسْكَرِ، فَقَالَا: وَاللَّهِ إِنَّ
পৃষ্ঠা - ২৮১১

নিরাশ হয়ে আমির ইবন তোফায়ল বানু সুলায়ম গোত্রের উসাইয়া, রিল, যাকওয়ান ও কারাহ্ শাখা
পােত্রসমুহের লোকদেরকে আক্রমণের জন্যে আহ্বান জানায় ৷ ওরা তার ডাকে সাড়া দেয় ৷ তারা
নেমে এসে সাহাবীদেরকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে ৷ অগত্যা সাহারাগণ তরবারি ধারণ করেন
এবং শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন ৷ যুদ্ধ করতে করতে বনু দীনার গোত্র কা’ব ইবন যায়দ
ব্যতীত সকলেই শহীদ হয়ে যায় ৷ শত্রুর আঘাতে কা’ব ইবন যায়দ মৃত প্ৰ৩ায় হয়ে পড়েছিলেন ৷
নিহতদের সারিতে তিনি জীবন্মুত অবস্থায় পড়ে রয়েছিলেন ৷ মৃত মনে করে ওরা তাকে ফেলে
চলে যায় ৷ ফলে তিনি বেচে যান এবং খন্দক যুদ্ধে৩ তিনি শহীদ হন ৷ আমর ইবন উম ৷ইয়৷ দিমারী
ও আমর ইবন আওফ গোত্রের জনৈক আনসারী ব্যক্তি সাহাৰীদলের পক্ষে অবস্থা পর্যরেক্ষণে
ছিলেন ৷ সাহাবী দলের ভাগ্যে যা ঘটেছে তা তারা জানতেন না ৷ দুর থেকে হঠাৎ তারা দেখেন
যে, সাহাবীদলের অবস্থান ক্ষেত্রের উপর পাখী উড়ছে ৷ তাতোরা ৷বললেন যে এই পা খীগুলোর
নির্দিষ্ট একটা নিয়ম রয়েছে এবং নিশ্চয়ই ওখানে কিছু একটা ডা;টছে ৷ অবস্থা জানার জন্যে তারা
দুজনে এগিয়ে এলেন ৷ তারা দেখতে পেলেন তাদের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় নির্জীব পড়ে
রয়েছেন ৷ আর আক্রমণকারী শত্রুপক্ষ তখনও দাড়িয়ে রয়েছে ৷ আমির ইবন উমাইয়ার উদ্দেশ্যে
আনসারীটি বললেন, এখন কী করা যায় ? আমির বললেন, আমি মনে করি এখন রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট গিয়ে সকল সংবাদ তাকে জানানো-ই ভাল হবে ৷ আনসারী ব্যক্তি বললেন, যে
স্থানে মুনযির ইবন আমর (রা) নিহত হয়েছেন সে স্থান থেকে সুস্থ দেহে জীবিত ফিরে যাওয়া
এবং এই সব বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির মৃত্যুর সংবাদ বহন করা আমি ভাল মনে করি না ৷ একথা
বলে তিনি শত্রুর বিরুদ্ধে আক্রমণে ঝাপিয়ে পড়েন এবং শহীদ হয়ে যান ৷ আমির ইবন উমাইয়া
দিমারী শত্রুর হাতে বন্দী হন ৷ আমর ইবন উমাইয়৷ মুদার গোত্রের লোক ছিলেন বলে অবহিত
হবার পর আমর ইবন তোফায়ল তার মাথার চুল কেটে তাকে মুক্ত করে দেয় ৷ কারণ, তার
মায়ের মুদার গোত্রের একটি ক্রী৩ দাস মুক্ত করার মানত ছিল ৷ বস্তুত মুক্তি লাভের পর আমর
ইবন উমা ইয়৷ মদীনা ৷র উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ কানাত অঞ্চলের মধ্যবর্তী কারকারায় এক ছায়াময়
ন্থানে৩ তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ৷ এ পর্যায়ে বনু আমির গোত্রের দুজন লোকও ওই ছায়ায় বিশ্রাম
নিতে আসে ৷ আমির গোত্রের এই দুজন লোক রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে চুক্তি বন্ধনে আবদ্ধ
এবং নিরাপত্তা ৷প্রাপ্ত ছিল ৷ আমর ইবন উমা ইয়৷ (রা) তা জানতেন না ৷৩ তাদের উপস্থিতির সময়
তিনি তাদের বংশ ও গোত্র পরিচয় জেনে নিয়েছিলেন ৷৩ তারা বলেছিলেন যে, তারা আমির
গোত্রের লোক ৷ তিনি তাদেরকে সুযোগ দিলেন ৷৩ তারা ঘুমিয়ে পড়ল ৷ আমির গোত্রের লোকেরা
সাহাবী দলের উপর যে যুলুম নিযতিন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তার প্রতিশোধ হিসেবে একই
গোত্রের এই দুজন লোক হত্যা করে তিনি তার প্ৰতিশোধ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ ফলে ঘুমের
মধ্যে তিনি ওই দু’ জনকে হত্যা করে ফেললেন ৷ আমর ইবন উমাইয়া রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
ফিরে এসে সকল সং বাদ তাকে জানান ৷ তিনি আমির গোত্রের দুজন লোককে হত্যা করেছেন
তাও তিনি জানালেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তুমি যে দুজন লোককে হত্যা করেছ আমার
তো তাদের রক্তপণ পরিশোধ করতে হবে ৷ ” তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “এটি আবুব ৷রা
এর কর্ম ৷ আমি আগে থেকেই শংকিত ছিলাম ৷ এই অভিযান প্রেরণে আমি আগ্রহী ছিলাম
না ৷” রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর এই মন্তব্য আবুরারা-এর নিকট পৌছে যায় ৷ আমির ইবন তোফায়ল

১ ৯

لِهَذِهِ الطَّيْرِ لَشَأْنًا. فَأَقْبَلَا لِيَنْظُرَا، فَإِذَا الْقَوْمُ فِي دِمَائِهِمْ، وَإِذَا الْخَيْلُ الَّتِي أَصَابَتْهُمْ وَاقِفَةٌ، فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ لِعَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ: مَاذَا تَرَى؟ فَقَالَ: أَرَى أَنْ نَلْحَقَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنُخْبِرَهُ الْخَبَرَ. فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ: لَكِنِّي لَمْ أَكُنْ لِأَرْغَبَ بِنَفْسِي عَنْ مَوْطِنٍ قُتِلَ فِيهِ الْمُنْذِرُ بْنُ عَمْرٍو، وَمَا كُنْتُ لِأُخْبِرَ عَنْهُ الرِّجَالَ. فَقَاتَلَ الْقَوْمَ حَتَّى قُتِلَ، وَأُخِذَ عَمْرٌو أَسِيرًا، فَلَمَّا أَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ مِنْ مُضَرَ أُطْلَقَهُ عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ وَجَزَّ نَاصِيَتَهُ، وَأَعْتَقَهُ عَنْ رَقَبَةٍ كَانَتْ عَلَى أُمِّهِ، فِيمَا زَعَمَ. قَالَ: وَخَرَجَ عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْقَرْقَرَةِ مِنْ صَدْرِ قَنَاةَ، أَقْبَلَ رَجُلَانِ مِنْ بَنِي عَامِرٍ حَتَّى نَزَلَا فِي ظِلٍّ هُوَ فِيهِ، وَكَانَ مَعَ الْعَامِرِيَّيْنِ عَهْدٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجِوَارٌ لَمْ يَعْلَمْهُ عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ، وَقَدْ سَأَلَهُمَا حِينَ نَزَلَا: مِمَّنْ أَنْتُمَا؟ قَالَا: مِنْ بَنِي عَامِرٍ فَأَمْهَلَهُمَا حَتَّى إِذَا نَامَا عَدَا عَلَيْهِمَا وَقَتَلَهُمَا، وَهُوَ يَرَى أَنْ قَدْ أَصَابَ بِهِمَا ثَأْرًا مِنْ بَنِي عَامِرٍ فِيمَا أَصَابُوا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَدِمَ عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَخْبَرَهُ بِالْخَبَرِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَقَدْ قَتَلْتَ قَتِيلَيْنِ، لَأَدِيَنَّهُمَا. ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا عَمَلُ أَبِي بَرَاءٍ قَدْ كُنْتُ لِهَذَا كَارِهًا مُتَخَوِّفًا. فَبَلَغَ ذَلِكَ أَبَا بَرَاءٍ فَشَقَّ عَلَيْهِ إِخْفَارُ عَامِرٍ إِيَّاهُ، وَمَا أَصَابَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَبَبِهِ وَجِوَارِهِ. فَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فِي إِخْفَارِ عَامِرٍ أَبَا بَرَاءٍ وَيُحَرِّضُ بَنِي أَبِي بَرَاءٍ عَلَى عَامِرٍ:
পৃষ্ঠা - ২৮১২

তার নিরাপত্তা চুক্তি নষ্ট করার এবং তারই নিরাপত্তার দায় গ্রহণের প্রেক্ষিতে সাহাবীগণ যে ,
করুণ পরিণতির সম্মুখীন হন তার জন্যে আবুবারা মমাহত হন ৷ আমির ইবন তোফায়ল কর্তৃক
আবু বারা-এর নিরাপত্তার দায় নষ্ট করার কথা উল্লেখ করে এবং এজন্যে আমিরের উপর
প্ৰতিশো ধ নিতে আবু বাবার ছেলেদেরকে উৎসাহিত করে হযরত ৰুহাসসান ইবন ছাবিত তার
কবিতায় বলেন :

ণ্ডাঠু

হে উম্মুল বানীন এর বংশধররা! তোমরা তো নজদ অধিবাসীদের ঘ৷ হৃ৷ শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিতৃ ৷
তোমাদেরকে কি বিচলিত করেনি ৷

তোমাদেরকে কি বিচলিত করেনি আবু বার৷ সম্পর্কে আমিরের ন্রুমন্যায় পদক্ষেপ ? তার
নিরাপত্তার দায় নষ্ট করার জন্যে ৷ ভুল তো সজ্ঞানেকৃত কর্মের সমতুল্য হতে পারে না ৷


হে পখিক! উদ্যমী রাবীআকে তুমি এ কথা জানিয়ে দাও যে, আমার পরে তুমি যুব সমাজের
মাঝে কী অবদান রেখেছ ষ্

এ্যা০ ’ এ&ত্র
তোমার পিতা তো যুদ্ধ পারদর্শী শীর্ষস্থানীয় যোদ্ধা আবু বারা ৷ আর তোমার মামা হচ্ছেন
অভিজাত ব্যক্তিত্ব হাকায ইবন স৷ দ ৷

ইবন হিশাম বলেন, উম্মুল বানীন হল আবু বাবা এর মা ৷ সে আমর ইবন আমির ইবন
রাবীআ ইবন আমির ইবন সাসাআ এর কন্যা ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাবীআ ইবন আমির
ইবন মালিক একদিন আমর ইবন তোফ৷ ৷য়লের উপর আক্রমণ চালায় ৷ এক আঘাতে তাকে খুন
করতে গিয়ে ভুলবশত তিনি আঘাত করে বলেন তার উরুতে ৷ সে ঘোড়ার পিঠ থেকে মাটিতে
পড়ে যায় ৷ সে বলে এটি নিশ্চয়ই আবুবারা-এর অপকর্ম ৷৩ তার পক্ষে কেউ এ কাজ করেছে ৷
আমির আহত অবস্থায় এও বলছিল যে, আমি যদি মারা যাই তবে আমার রক্তপণ পারে আমার
চাচা ৷ অন্য কেউ যেনত ৩াদাবী না করে ৷ আর আমি যদি এ যাত্রায় বেচে যাই তবে কী সিদ্ধান্ত
দেবতা পরে ভেবে দেখব ৷

মুসা ইবন উক্বা যুহরী সুত্রে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের ন্যায় বর্ণনা করেছেন ৷ মুসা উল্লেখ
করেছেন যে, ওই সাহাবীদলের দলপতি ছিলেন মুনযির ইবন আমর ৷ কেউ বলেছেন যে, দলপতি
ছিলেন৷ মার ছাদ ৷ইবন অ বু মাবছ দ ৷

ইবন ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, বির-ই-মাউনার ঘটনায় নিহত সাহাবীদের জন্যে শোক
প্রকাশ করে হাস্সান ইবন ছাবিত কেদে কেদে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছেন ৷


بَنِي أَمِّ الْبَنِينَ أَلَمْ يَرُعْكُمْ ... وَأَنْتُمْ مِنْ ذَوَائِبِ أَهْلِ نَجْدِ تَهَكُّمُ عَامِرٍ بِأَبِي بَرَاءٍ ... لِيُخْفِرَهُ وَمَا خَطَأٌ كَعَمْدِ أَلَا أَبْلِغْ رَبِيعَةَ ذَا الْمَسَاعِي ... فَمَا أَحْدَثْتَ فِي الْحَدَثَانِ بَعْدِي أَبُوكَ أَبُو الْحُرُوبِ أَبُو بَرَاءٍ ... وَخَالُكُ مَاجِدٌ حَكَمُ بْنُ سَعْدِ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: أُمُّ الْبَنِينَ أُمُّ أَبِي بَرَاءٍ، وَهِيَ بِنْتُ عَمْرِو بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ. قَالَ: فَحَمَلَ رَبِيعَةُ بْنُ عَامِرِ بْنِ مَالِكٍ عَلَى عَامِرِ بْنِ الطُّفَيْلِ فَطَعَنَهُ فِي فَخِذِهِ، فَأَشْوَاهُ، وَوَقَعَ عَنْ فَرَسِهِ، وَقَالَ: هَذَا عَمَلُ أَبِي بَرَاءٍ إِنْ أَمُتْ فَدَمِيَ لِعَمِّي فَلَا يُتْبَعَنَّ بِهِ، وَإِنْ أَعِشْ فَسَأَرَى رَأْيِي. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ نَحْوَ سِيَاقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ مُوسَى: وَكَانَ أَمِيرُ الْقَوْمِ الْمُنْذِرَ بْنَ عَمْرٍو وَقِيلَ: مَرْثَدُ بْنُ أَبِي مَرْثَدٍ. وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يَبْكِي قَتْلَى بِئْرِ مَعُونَةَ - فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ -:
পৃষ্ঠা - ২৮১৩
عَلَى قَتْلَى مَعُونَةَ فَاسْتَهِلِّي ... بِدَمْعِ الْعَيْنِ سَحًّا غَيْرَ نَزْرِ عَلَى خَيْلِ الرَّسُولِ غَدَاةَ لَاقَوْا ... وَلَاقَتْهُمْ مَنَايَاهُمْ بِقَدْرِ أَصَابَهُمُ الْفَنَاءُ بِعَقْدِ قَوْمٍ ... تُخُوِّنَ عَقْدُ حَبْلِهِمُ بِغَدْرِ فَيَا لَهْفِي لِمُنْذِرِ إِذْ تَوَلَّى ... وَأَعْنَقَ فِي مَنِيَّتِهِ بِصَبْرِ وَكَائِنُ قَدْ أُصِيبَ غَدَاةَ ذَاكُمْ ... مِنَ ابْيَضَ مَاجِدٍ مِنْ سِرِّ عَمْرِو
পৃষ্ঠা - ২৮১৪

হে আমার চোখ! অশ্রু বিসর্জন করে শোক প্ৰকাশ কর বি র-ই-মাউনার ঘটনায় নিহত
সাহাবীদের জন্যে ৷ অশ্রু ঝরাও প্রবল বেগে, একটুও কমতি করোনা ৷

অশ্রু বিসর্জন দাও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রেরিত অশ্বারোহী বাক্ট্রলীর জন্যে যারা ভোরবেলায়

শত্রুপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিলেন ৷ আর তখনই তাদের জন্যে নিংারিত মৃত্যু তাদেরকে পেয়ে
বসে ৷

; র্গোন্ং ৰু)ৰুট্রুছু ণ্ টুদ্বুৰু হুএে ৷ ’ ছু,ঠুাট্রুৰু
এমন এক সম্প্রদায়ের কারণে তাদের উপর মৃত্যু নেমে আ স যারাসম্পাদিত চুক্তিকে ওয়াদা
তলের মাধ্যমে বিশ্বাস ঘা৩ কতায় পরিণত করেছে ৷


আহ্ ৷ আমার দুঃখ হয়, যুনযিরের জন্যে ৷ তিনি দলের (নতৃতৃ গ্রহণ করেছিলেন এবং ভৈধর্যের
সাথে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন ৷


আমার দুঃখ ওই দিন সকা ল যেলার ঘটনার জন্যে ৷ তিনি আ ক্রাম্ভ হয়েছিলেন ৷ তিনি সুদর্শন,
শ্রদ্ধাভা জন এবং আমর (রা) এর অম্ভরঙ্গ ৷

বনু নাযীরের যুদ্ধ
এ প্ৰসংগে সুরা হাশর নাযিল হয় ৷

সহীহ্ বুখারীতে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি এই সুরাকে সুরা বনু নাযীর নামে
আখ্যায়িত করতেন ৷ বুখারী (বা) যুহরী সুত্রে উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন যে ,
বদর যুদ্ধের ছয় মাস পরে এবং উহুদ যুদ্ধের পুর্বে বনুনাযীর যুদ্ধ অনুষ্ঠিত ৩হয় ৷ ইবন আবু হাতিম
তারাতাফসীর গ্রন্থে৩ার পিতা যুহরী থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ হাম্বল ইবন ইসহাক
যুহরী থেকে অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ যুহরী বলেছেন যে, ২য় হিজরীর ১ ৭ই রমযান বদর যুদ্ধ
সংঘটিত হয় ৷ তারপর বনুনাযীর যুদ্ধ ৷ তারপর তৃতীয় হিজরীর শাওয়াল মাসে উহুদ যুদ্ধ সংঘটিত
হয় ৷ তারপর ৪র্থ হিজরীর শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ বায়হাকী (র) বলেন যে ,
যুহরী বলতেন, বনুনাযীর যুদ্ধ সংঘটিত হয় উহুদ যুদ্ধের পুর্বে ৷ অপর একদল ঐতিহাসিক বলেন
যে, বনু নাযীর যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় উহু দ যুদ্ধের এবং বির-ই মাউনা অভিযানের পর ৷
আমি বলি, ঐতিহাসিক ইবন ইসহাকতাই উল্লেখ করেছেন যে, বনু নাযীর যুদ্ধ সংঘটিত
হয়েছে উহুদ যুদ্ধ ও ৰি র-ই-মাউনা অভিযানের পর ৷ করণ, বি র-ই মাউনার ঘটনা, সেখান
থেকে আমর ইবন উমাইয়া দিমারীর পালিয়ে আসা, আমর গোত্রের দুজন লোককে হত্যা করা


[غَزْوَةُ بَنِي النَّضِيرِ] ِ وَهِيَ الَّتِي أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهَا سُورَةَ " الْحَشْرِ " فِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ يُسَمِّيهَا سُورَةَ بَنِي النَّضِيرِ. وَحَكَى الْبُخَارِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ أَنَّهُ قَالَ: كَانَتْ بَنُو النَّضِيرِ بَعْدَ بَدْرٍ بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَدْ أَسْنَدَهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ فِي " تَفْسِيرِهِ " عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَى حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ الْعَلَاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ الرَّقِّيِّ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ مَازِنٍ الْيَمَانِيِّ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ فَذَكَرَ غَزْوَةَ بَدْرٍ فِي سَابِعَ عَشَرَ رَمَضَانَ سَنَةَ اثْنَتَيْنِ، قَالَ: ثُمَّ غَزَا بَنِي النَّضِيرِ ثُمَّ غَزَا أُحُدًا فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ، ثُمَّ قَاتَلَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ كَانَ الزُّهْرِيُّ يَقُولُ هِيَ قَبْلَ أُحُدٍ. قَالَ: وَذَهَبَ آخَرُونَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ২৮১৫

যাদের সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিরাপত্তা চুক্তি ছিল অথচ আমর ইবন উমাইয়ার তা জানা ছিল
না, তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন “আমাকে তো ওদের রক্তপণ পরিশোধ করতে হবে” ৷ এ
সব ঘটনা উল্লেখ করার পর ইবন ইসহাক বলেছেন যে, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনুনাযীর গোত্রের
নিকট গেলেন ৷ তীর উদ্দেশ্য ছিল আমব ইবন উমাইয়া নিরাপত্তা চুক্তিপ্রাপ্ত আমির গোত্রের যে
দু’জন লোককে হত্যা করেছে তাদের রক্তপণ পরিশোধে বনু নাযীর ণ্:গাত্রের সহায়তা কামনা
করা ৷ বনু নাযীর ও বনু আমির গোত্রের মধ্যে পরস্পর মৈত্রীও নিরাপত্তা চুক্তি ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে তারা আশ্বস্ত করল যে, আমরা ওই রক্তপণ পরিশোধে আপনাকে সাহায্য করব ৷ এরপর
তারা একাম্ভে মিলিত হল, এবং নিজেরা পরামর্শ করল যে, মুহাম্মাদ (সা ) কে হত্যা করার এমন
সুবর্ণ সুযোগ আর আমরা পাব না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন তাদের একটি ঘরের দেয়ালের পাশে
বসা ছিলেন ৷ তারা বলল, কে আছে যে, ছাদে উঠে ওখান থেকে একটি পাথর ফেলে দিয়ে
মুহাম্মাদকে হত্যা করে আমাদেরকে তীর হাত থেকে নিকৃতি দেবে :ণ্ আমর ইবন জাহ্হাশ এগিয়ে
এসে বলল, আমি এ জন্যে প্রস্তুত আছ ৷ সে মতে পাথর নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে সে ছাদে উঠে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখনও সেখানে একদল সাহাবীসহ বসা ছিলেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন হযরত আবু
বকর (রা) উমর (রা) এবং আলী (রা) ৷ ওদের দুরভিসন্ধি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট
আসমানী সংবাদ এসে যায় ৷ তিনি কাউকে কিছু না বলে উঠে পড়েন এবং মদীনায় উদ্দেশ্যে যাত্রা
করেন ৷ দীর্ঘক্ষণ ঘটনাস্থলে ফিরে না আসার সাহাবীগণ তার খোজে বের হয়, মদীনায় দিক থেকে
আগত এক লোককে দেখে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কথা তাকে জিজ্ঞেস করে ৷ যে ব্যক্তি
বলেছিল যে, আমি তো র্তাকে মদীনায় প্রবেশ করতে দেখেছি ৷ এ সংবাদ পেয়ে সাহাবীগণ
সকলে মদীনায় ফিরে এলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট সমবেত হলেন ৷ তিনি ইয়াহুদীদের
বিশ্বাসঘাতকতার কথা তাদেরকে অবহিত করলেন ৷

ওয়াকিদী বলেন, এ ঘটনার পর বাসুলুল্লাহ্ (সা) মুহাম্মাদ ইবন যাসলামড়াকে এ বার্তাসহ বনু
নাযীর গোত্রের নিকট প্রেরণ করেন যে, তারা যেন তার নিকটস্থ এলাকা এবং র্তাব শহর ছেড়ে
চলে যায় ৷ অন্যদিকে মুনাফিকরা ওদের নিকট এ সংবাদ পাঠায় যে, তারা যেন কােনক্রমেই ওই
স্থান ত্যাগ না করে ৷ ওখানে অবস্থান করার জন্যে তারা ইয়াহুদীদেরকে উৎসাহিত করে , এবং
তাদেরকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেয় ৷ মুনাফিকদের প্ৰরোচণার কারণে তাদের শক্তি বৃদ্ধি পায় ৷
ইয়াহুদী নেতা হুয়াই ইবন আখতার আত্ম-অহমিকায় স্ফীত হয়ে উঠে ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকট খবর পাঠায় যে, তারা ওই স্থান ছেড়ে যাবে না ৷ তারা এও জানায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সাথে তাদের সম্পাদিত চুক্তি তারা প্রত্যাহার করেছে ৷

এ অবস্থায় তিনি তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্যে ঘুসলমানদেরকে নির্দেশ দেন ৷
ওয়াকিদী বলেন, মুসলিম বাহিনী বনুনাযীর গোত্রকে একাধারে পনের দিন অবরুদ্ধ করে রাখেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বাসুলুল্লাহ্ (সা) বনুনাযীর গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ এবং যুদ্ধ
যাত্রার নির্দেশ দিলেন ৷ ইবন হিশাম বলেন, ওই সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) (আবদৃল্লাহ্) ইবন উম্মি
যাকতুম (রা) কে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷ এ ঘটনা ঘটেছিল রবীউল আওয়াল মাসে ৷
ইবন ইসহাক বলেন, মুসলিম বাহিনী যাত্রা শুরু করে ওদের নিকট পৌছেন ৷ র্তারা ওদেরকে


أَنَّهَا بَعْدَهَا، وَبَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ أَيْضًا. قُلْتُ: هَكَذَا ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ كَمَا تَقَدَّمَ ; فَإِنَّهُ بَعْدَ ذِكْرِهِ بِئْرَ مَعُونَةَ، وَرُجُوعَ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ، وَقَتْلَهُ ذَيْنِكَ الرَّجُلَيْنِ مِنْ بَنِي عَامِرٍ، وَلَمْ يَشْعُرْ بِعَهْدِهِمَا الَّذِي مَعْهُمَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلِهَذَا قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ قَتَلْتَ رَجُلَيْنِ لَأَدِيَنَّهُمَا» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَنِي النَّضِيرِ يَسْتَعِينُهُمْ فِي دِيَةِ ذَيْنِكَ الْقَتِيلَيْنِ مِنْ بَنِي عَامِرٍ اللَّذَيْنِ قَتَلَهُمَا عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ ; لِلْعَهْدِ الَّذِي كَانَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَاهُمَا، وَكَانَ بَيْنَ بَنِي النَّضِيرِ وَبَيْنَ بَنِي عَامِرٍ عَهْدٌ وَحِلْفٌ، فَلَّمَا أَتَاهُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ، نُعِينُكَ عَلَى مَا أَحْبَبْتَ. ثُمَّ خَلَا بَعْضُهُمْ بِبَعْضٍ فَقَالُوا: إِنَّكُمْ لَنْ تَجِدُوا الرَّجُلَ عَلَى مُثُلِ حَالِهِ هَذِهِ - وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى جَنْبِ جِدَارٍ مِنْ بُيُوتِهِمْ قَاعِدٌ - فَمَنْ رَجُلٌ يَعْلُو عَلَى هَذَا الْبَيْتِ، فَيُلْقِي عَلَيْهِ صَخْرَةً وَيُرِيحَنَا مِنْهُ؟ فَانْتُدِبَ لِذَلِكَ عَمْرُو بْنُ جَحَّاشِ بْنِ كَعْبٍ فَقَالَ أَنَا لِذَلِكَ. فَصَعِدَ لِيُلْقِيَ عَلَيْهِ صَخْرَةً كَمَا قَالَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعَلِيٌّ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ الْخَبَرُ مِنَ السَّمَاءِ بِمَا أَرَادَ الْقَوْمُ، فَقَامَ وَخَرَجَ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا اسْتَلْبَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ، قَامُوا فِي طَلَبِهِ، فَلَقُوا رَجُلًا مُقْبِلًا مِنَ الْمَدِينَةِ فَسَأَلُوهُ عَنْهُ، فَقَالَ: رَأَيْتُهُ دَاخِلًا الْمَدِينَةَ. فَأَقْبَلَ
পৃষ্ঠা - ২৮১৬

ছয়দিন অবরুদ্ধ করে রাখেন ৷ এ সময়ে মদ পান হারাম হওয়ার বিধান নাযিল হয় ৷ ইয়াহুদীরা
তাদের সুরক্ষিত দৃর্গে আশ্রয় নেয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুসলিম বাহিনীকে ওদের থেজুর বাগান কেটে
ফেলার এবং তা পুড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় ৷ এ সব দেখে ওরা দুর্গের ভেতর থেকে ডেকে
ডেকে বলে, হে মুহাম্মাদ (সা) ! আপনি (তা ফাসাদ ও ৰিশৃৎখল৷ সৃষ্টিতে ধারণ করেন, যে ব্যক্তি
তা করে তাকে দোষারোপ করেন এখন দেখি আপনিই খেজুর বাগান কেটে ফেলছেন এবং তা
পুড়িয়ে দিচ্ছেন, ব্যাপার কী ?

বর্ণনাকাৰী বলেন, বনুআওফ গোত্রের আবদুল্লাহ ইবন উবাই, ওয়াদিআহ, মালিক, সুওয়াইদ
ও দাইস সহ একদল লোক ইয়াহুদীদের নিকট এ বলে সংবাদ পাঠায় যে, তারা যেন ওখানে থেকে
যায় ৷ অন্যত্র না যায় ৷ নিজ নিজ বাসন্থানে থেকে আত্মরক্ষ৷ করে ৷ তারা এ-ও বলে যে, আমরা
তােমাদেরকে অসহায় অবস্থায় ফেলে রাখব না ৷ তোমরা যদি যুদ্ধের মুখোমুখি হও তবে আমরা
তোমাদের সাথী হয়ে মুসলিম বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ ভোচ্;শ্দেয় যদি বহিষ্কার করা হয় তবে
আমরাও তোমাদের সাথে এ অঞ্চল ত্যাগ করে বেরিয়ে যাব ৷ অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকাকালে
ইয়াহুদীপণ প্রতিশ্রুত সাহায্যের অপেক্ষায় ছিল ৷ কিন্তু মুনাফিকরা তাদের সাহায্যে এগিয়ে
আসেননি ৷ আল্লাহ্৩ তা আল৷ ইয়াহুদীদের অন্তরে ভীতিরও সঞ্চার করে দিলেন ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর নিকট দেশ ত্যাগের সুয়োগদানের অনুরোধ জানাল এবং এ আবেদন করল যেন
তাদেরকে প্রাণে মার৷ না হয় ৷ তারা প্রস্তাব পেশ করে যে, যাওয়ার সময় তারা উটের পিঠে যতটুকু
মালামাল বহন করা যায় শুধু ততর্টুকু নিয়ে যাবে, তবে কোন অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে যাবে না ৷

আওফী বর্ণনা করেছেন ইবন আব্বাস (রা) থেকে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওদের প্রতি
তিনজনকে একটি করে উট বরাদ্দ করেছিলেন যে, ওরা পালাক্রমে ওই উঠের পিঠে মাল বহন
করবে ৷ বায়হাকী এটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইয়াকুব ইবন মুহাম্মাদ — মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা
থেকে বর্ণিত যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বনুনাযীর গোত্রের নিকট পাঠিয়েছিলেন এ নির্দেশ দিয়ে
যে, ওরা যেন তিন দিনের মধ্যে দেশত্যাগ করে ৷ বায়হাকী প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে, ওদের কিছু
মেয়াদী ঋণ বিভিন্ন জনের কাছে পা ওন৷ ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ওগুলো ছেড়ে দাও এবং
তা ৷ ৩াড়ি দেশতাপ কর ৷ অবশ্য এই বর্ণনা টির বিশুদ্ধত৷ প্ৰশ্ন৷ ৷ডীত নয় ৷ আল্লাহ্ইতা ৷ল জা নেন ৷

ড়ইবন ইসহাক বলেন, উটের পিঠে যে পরিমাণ বহন করা সম্ভব ছিল ওই পরিমাণ মালামাল
নিয়েই তার৷ চলে যায় ৷ তাদের কেউ কেউ নিজ গৃহের দরজার চৌকাঠ ভেঙ্গে উটের পিঠে তুলে
নেয় ৷ এরপর তাদের কিছু সং ×খ্যক খায়বারে এবং কিছু সং ×খ্যক সিরিয়ায় চলে যায় ৷ যারা খায়বারে
গিয়েছিল তাদের মধ্যে ছিল নেত তৃন্থানীয় ব্যক্তি সালাম ইবন আবুল হুকায়ক কিনানা ইবন রাবী
ইবন আবু হুকায়ক, হ্য় ই ইবন আখতার প্রমুখ ৷ এরা খায়বরে গিয়ে পৌছলে সেখানকার
অধিবাসীরা এদেরকে নেতারুপে বরণ করে নেয় ৷ আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর বলেছেন
যে, সেখানকার মহিলা, শিশু সহ সর্বস্তরের লোকজন হাতি-ঘোড়া, (ঢাল-তবলা বাশী-গায়িকা
সহকারে ওদেরকে অভ্যর্থ্যন৷ জানায় ৷ গৌরব ও অহংকার, আনন্দ ও খুশীতে ওরা সদ্যাগত ইয়াহ্রদী
নেতাদেরকে যেভাবে সম্বর্ধন৷ জানিয়েছিল সে যুগে কোন ব্যক্তি ও গোত্রের প্রতি তেমন সম্বর্ধনা
দেয়৷ হয়নি ৷ বংনািকারী বলেন, ওরা নিজেদের ধন-সম্পদ তথা খেজুর বাগান ও ফসলাদি


أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى انْتَهَوْا إِلَيْهِ، فَأَخْبَرَهُمُ الْخَبَرَ بِمَا كَانَتْ يَهُودُ أَرَادَتْ مِنَ الْغَدْرِ بِهِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ يَأْمُرُهُمْ بِالْخُرُوجِ مِنْ جِوَارِهِ وَبَلَدِهِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ أَهْلُ النِّفَاقِ يُثَبِّتُونَهُمْ وَيُحَرِّضُونَهُمْ عَلَى الْمَقَامِ، وَيَعِدُونَهُمُ النَّصْرَ، فَقَوِيَتْ عِنْدَ ذَلِكَ نُفُوسُهُمْ، وَحَمِيَ حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ وَبَعَثُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ لَا يَخْرُجُونَ، وَنَابَذُوهُ بِنَقْضِ الْعُهُودِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ أَمَرَ النَّاسَ بِالْخُرُوجِ إِلَيْهِمْ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فَحَاصَرُوهُمْ خَمْسَ عَشْرَةَ لَيْلَةً. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالتَّهَيُّؤِ لِحَرْبِهِمْ وَالْمَسِيرِ إِلَيْهِمْ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ وَذَلِكَ فِي شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَسَارَ حَتَّى نَزَلَ بِهِمْ، فَحَاصَرَهُمْ سِتَّ لَيَالٍ، وَنَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ حِينَئِذٍ، وَتَحَصَّنُوا مِنْهُ فِي الْحُصُونِ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَطْعِ
পৃষ্ঠা - ২৮১৭
النَّخِيلِ وَالتَّحْرِيقِ فِيهَا، فَنَادَوْهُ: أَنْ يَا مُحَمَّدُ قَدْ كُنْتَ تَنْهَى عَنِ الْفَسَادِ، وَتَعِيبُهُ عَلَى مَنْ صَنَعَهُ، فَمَا بَالُ قَطْعِ النَّخِيلِ وَتَحْرِيقِهَا؟ قَالَ: وَقَدْ كَانَ رَهْطٌ مِنْ بَنِي عَوْفِ بْنِ الْخَزْرَجِ مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبِيٍّ، وَوَدِيعَةُ، وَمَالِكٌ، وَسُوِيدٌ، وَدَاعِسٌ قَدْ بَعَثُوا إِلَى بَنِي النَّضِيرِ أَنِ اثْبُتُوا وَتَمَنَّعُوا، فَإِنَّا لَنْ نُسْلِمَكُمْ، إِنْ قُوتِلْتُمْ قَاتَلْنَا مَعَكُمْ، وَإِنْ أُخْرِجْتُمْ خَرَجْنَا مَعَكُمْ. فَتَرَبَّصُوا ذَلِكَ مِنْ نَصْرِهِمْ، فَلَمْ يَفْعَلُوا، وَقَذَفَ اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ، فَسَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ يُجْلِيَهُمْ وَيَكُفَّ عَنْ دِمَائِهِمْ، عَلَى أَنَّ لَهُمْ مَا حَمَلَتِ الْإِبِلُ مِنْ أَمْوَالِهِمْ إِلَّا الْحَلْقَةَ، فَفَعَلَ. وَقَالَ الْعَوْفِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَعْطَى كُلَّ ثَلَاثَةٍ مِنْهُمْ بَعِيرًا يَعْتَقِبُونَهُ وَسِقَاءً. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. وَرَوَى مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ مَحْمُودِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، «عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مْسَلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ إِلَى بَنِي النَّضِيرِ وَأَمَرَهُ أَنْ يُؤَجِّلَهُمْ فِي الْجَلَاءِ ثَلَاثَ لَيَالٍ.» وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّهُ كَانَتْ لَهُمْ دُيُونٌ مُؤَجَّلَةٌ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ২৮১৮

রাসুলুল্লাহ (সা ) এর হাতে ছেড়ে যায় ৷ সুতরাং এটি ছিল তার এক ম্ভই নজ সম্পদ ৷ নিজ
ইচ্ছামত তিনি তা ব্যয় করার অধিকারী ছিলেন ৷ তিনি ওই ধন সম্পদ প্রথম স্তরের মুহাজিরদের
মধ্যে বন্টন করে দেন ৷ আনসারদেরকে এ যাত্রার কিছু দেননি ৷ তবে সাহ্ল ইবন হুনায়ফ এবং
আবু দুজ৷ ন৷ আনসাবী ছিলেন ব্যতিক্রম ৷৩ তারা দুজনে নিজনিজ অভাব ও দ্য ৷রিদ্রোর কথা রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে ইতিপুর্বে জা ৷নিয়েছিলেন ৷ সে প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাদেরকে এ থেকে কিছুটা দান
করেন ৷ (কেউ কেউ এ দুজনের সাথে হারিছ ইবন সাম্মাহ এর নামও অন্তর্ভুক্ত করেছেন ৷ এটি
বংনাি করেছেন সুহায়লী) ৷

ইবন ইসহাক বলেন, বনুনাযীর গোত্রের দুজন লোক ব্যতীত কেউই ইসলাম গ্রহণ করেনি ৷
ইসলাম গ্রহণক৷ ৷রী দু’জন হলেন ইয়ামীন ইবন উমায়র ইবন বার এবং ন্মবুসাদ ইবন ওয়াহব ৷

ইয়ামীন হলেন আমর ইবন জাহ্হাদ্বশর চাচাত ভাই ৷৩ তারা নিজ নিজ ধন সম্পদ নিজ দখলে
রেখেছিলেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, ইয়ামীনের পরিবারের জনৈক ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছে যে , রাসুলুল্লাহ
(সা) ইয়ামীনকে বলেছিলেন তোমার চাচাত ভাই আমর ইবন জাহ্হাশের পক্ষ থেকে আমি
কেমন কষ্টের মুখোমুখি হচ্ছি এবং আমার সাথে যে কী আচরণ করছে তা কি তুমি দেখছ না ?
ইয়ামীন জনৈক লোককে কিন্তু পা ৷বিশ্রমিকের বিনিময়ে আমর ইবন জাহহাশকে হত্যা করার জন্যে
নিযুক্ত করেন ৷ যে ঐ অভিশপ্ত ব্যক্তিটিকে হত্যা করল ৷
ইবন ইসহাক বলেন বনু নাষীর পােত্রকে উপলক্ষ করে আল্লাহ তাআলা পুর্ণ সুরা হাশর
নাযিল করেন ৷ ওদের বিরুদ্ধে আল্লাহ্৩ তা আল৷ কিভাবে প্ৰতিশোধ নিলেন কেমন শাস্তি দিলেন
রাসুলুল্লাহ্ (সা )-কে কেমন করে বিজয়ী করলেন এবং তিনি ওদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিলেনত
সবই আল্লাহ তাআল৷ উক্ত সুরাতে ৩উল্লেখ করেছেন ৷ এরপর ইবন ইসহাক উক্ত সুরাবত তাফসীর
করেছেন ৷ আমরা তাফসীর গ্রন্থে ওই সুরার বিস্তারিত ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছি ৷
বস্তুতঃ আল্লাহ তাআলা বলেন : এ;>ট্রু১া৷ শুওন্ ৷ৰুৰু টু ন্১ প্রুাগুশ্থ্এ ৷ ৰুস্দ্বু ৷ৰুৰু এ৷ ’৫র্দু ট্রু
ড্রুর্দু রুন্নুন্াব্লুং৷ ৷ মণ্ডলী ও পৃথির্বীর্তে যা কিছু আছে সবগুলোই আল্লাহ
তাআলার পর্বিত্রতা ও মহিম৷ ঘোষণা করে ৷ তিনি পরাক্রমশালী, প্ৰজ্ঞাময় ৷ তিনিই কিতাবীদের
মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমাবেশেই তাদের আবাসভুমি হতে বিতাড়িত করেছেন ৷
তোমরা কল্পনাও করনি যে, ওরা নির্বাসিত হবে এবং ওরা মনে করেছিল ওদের দুণ্ডে র্ভদ্য দৃর্গগুলো
আল্লাহর শাস্তি থেকে ওদেরকে রক্ষা করবে ৷ কিন্তু আল্লাহর শাস্তি এমন একদিক হতে আসল যা
ছিল ওদের ধারণাতীত এবং তাদের অম্ভরে তা ত্রাস সৃষ্টি করল ৷ ওরা ধ্বংস করে ফেলল
নিজেদের বা ৷ড়ীঘর নিজেদের হাতে এমনকি যুমিনদের হা তেও ৷ অতএব হে চক্ষুষ্ম ৷নরা ! তোমরা
উপদেশ ৷গ্রহণ কর ৷ আল্লাহ ওদের নির্বাসনের সিদ্ধান্ত না নিলে ওদেরকে পৃথিবীতে অন্য শাস্তি
দিতেন ৷ পরকালে ওদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি ৷ তা এ জন্যে যে, ওরা আল্লাহ ও তার
রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল ৷ এবং কেউ আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করলে আল্লাহ তো শাস্তি দ৷ নে
কঠোর ৷ তোমরা যে খেজুর বৃক্ষগুলাে কর্তন করেছ এবং যেগুলো কাণ্ডের উপর স্থির রেখেছত
তা আল্লাহরই অনুমতিক্রমে; তা এজন্যে যে, আল্লাহ পাপাচ৷ ৷রীদের লাঞ্ছিত করবেন ৷ উক্ত আয়াত


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ضَعُوا وَتَعَجَّلُوا. وَفِي صِحَّتِهِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَاحْتَمَلُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ مَا اسْتَقَلَّتْ بِهِ الْإِبِلُ، فَكَانَ الرَّجُلُ مِنْهُمْ يَهْدِمُ بَيْتَهُ عَنْ نِجَافِ بَابِهِ، فَيَضَعُهُ عَلَى ظَهْرِ بَعِيرِهِ، فَيَنْطَلِقُ بِهِ، فَخَرَجُوا إِلَى خَيْبَرَ وَمِنْهُمْ مَنْ سَارَ إِلَى الشَّامِ فَكَانَ مِنْ أَشْرَافِ مَنْ ذَهَبَ مِنْهُمْ إِلَى خَيْبَرَ سَلَّامُ بْنُ أَبِي الْحَقِيقِ، وَكِنَانَةُ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ أَبِي الْحَقِيقِ، وَحُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ. فَلَمَّا نَزَلُوهَا دَانَ لَهُمْ أَهْلُهَا. فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنَّهُ حُدِّثَ أَنَّهُمُ اسْتُقْبِلُوا بِالنِّسَاءِ وَالْأَبْنَاءِ وَالْأَمْوَالِ، مَعَهُمُ الدُّفُوفُ وَالْمَزَامِيرُ، وَالْقِيَانُ يَعْزِفْنَ خَلْفَهُمْ، بِزُهَاءٍ وَفَخْرٍ مَا رُئِيَ مِثْلُهُ لِحَيٍّ مِنَ النَّاسِ فِي زَمَانِهِمْ. قَالَ: وَخَلَّوُا الْأَمْوَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَعْنِي النَّخِيلَ وَالْمَزَارِعَ - فَكَانَتْ لَهُ خَاصَّةً، يَضَعُهَا حَيْثُ يَشَاءُ، فَقَسَّمَهَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ دُونَ الْأَنْصَارِ إِلَّا أَنَّ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ وَأَبَا دُجَانَةَ ذَكَرَا فَقْرًا فَأَعْطَاهُمَا. وَأَضَافَ بَعْضُهُمْ إِلَيْهِمَا
পৃষ্ঠা - ২৮১৯

সমুহে মহান আল্লাহ নিজে নিজের পবিত্রতা ও মহিমার কথা জানিয়ে দিয়েছেন ৷ তিনি ঘোষণা
করেছেন যে, উর্ধ্বড়াকাশ ও পাতালে অবস্থানকারী তথা সকল সৃষ্টিকুল তার পবিত্রতা ও মহিমা
ঘোষণা করে ৷ তিনি অপ্রতিরােধ্য, পরাক্রমশালী ৷ তিনি স্ব-রক্ষিত ৷ তার সম্মান ও মর্যাদা বিনষ্টের
কথা কেউ কল্পনড়াও করতে পারে না ৷ তিনি যা সৃষ্টি করেছেন এবং যা বিধি বিধান জারী করেছেন
তার সর্বক্ষেত্রেই তিনি প্রজ্ঞার প্রকাশ ঘটিয়েছেন ৷ তিনি প্রজ্ঞামর ৷ তার প্রজ্ঞার অনন্য উদাহরণ
যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও ঈমানদার বান্দাদেরকে তাদের শত্রু ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে বিজয়
দান করেছেন ৷ ইয়াহ্রদীরা তো আল্লাহ্ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্
(না) ও তার শরীআত প্রত্যাখ্যান করেছিল ৷ ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ণ্’ঘার্ষণার যে প্রেক্ষাপট সেটি
সৃষ্টিতেও মহান আল্লাহ্র হিকমতের পরিচয় পাওয়া যায় ৷ মহান অল্লোহ্র হিকমত ও প্রজ্ঞার
প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সাথিগণ ইয়ড়াহুদীদেরকে অন্ন্ত্ত্বরুদ্ধ করে রাখেন ৷ সেখানে
আল্লাহর পক্ষ থেকে ভয়-ভীতি জারী করে দেয়া হয় ৷ বস্তুতঃ সৃ: লুল্লাহ্ (সা) কে আল্লাহ তা আলা
এক মাসের অতিক্রমযোগ্য দুরতু থেকে ডীতি সৃষ্টির ক্ষমতা দিয়ে সাহায্য করেছেন ৷ এতদ্সবুত্ত্বও
ঘটনস্থেলে গিয়ে রাসৃলুল্লাহ্ (সা) সশরীরে এবং সাহাবীগণকে নিয়ে ওদেরকে একাধারে ছয়দিন
অবরোধ করে রাখেন ৷ এর ফলে তাদের পক্ষ থেকে আক্রমণ আমার আশংকা পুরোপুরিই দুর
হয়ে গেল ৷ তারা উপড়ায়াম্ভর না দেখে সন্ধি সম্পাদনে বাধ্য হল জান বাচানাের জন্যে ৷ তারা চুক্তি
করল যে, এই শর্তে তারা প্রড়াণে রক্ষা পারে যে, যাবার সময় শুধু ততটুকু মালামালই নিয়ে
যাবে যতটুকু উটের পিঠে করে নেয়া সম্ভব ৷ তবে কোন অস্ত্র শস্ত্র তারা নেবে না ৷ এই চুক্তি
তাদের জন্যে অবমাননত্ত্বকর ও লাঞ্চুনাদায়ক বটে ৷ এরপর তারা নিজেদের হাতে এবং মুমিনদের
হাতে নিজেদের ঘর-রাড়ী ভেঙ্গে ফেলা শুরু করে ৷ সুতরাং হে দুরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিগণ ! তোমরা
শিক্ষা গ্রহণ কর ৷

এরপর আল্লাহ্ তাআলা উল্লেখ করেছেন যে, ওরা যদি নিবাসনে না যেত অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর প্রতিবেশীতৃ ছেড়ে মদীনা ছেড়ে চলে না যেত তবে তারচেয়ে কঠিন শাস্তি অর্থাৎ
দুনিয়াতে খুন ও হত্যার শাস্তি তাদেরকে ভোগ করতে হত ৷ পরকালীন শাস্তি নির্ধারিত যন্ত্রণাদায়ক
আমার তো থাকবেই ৷

এরপর আল্লাহ্ তাঅড়ালা ওদের খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দেয়া এবং কতক খেজুর বৃক্ষ অক্ষত
রাখার বিষয় উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, উৎকৃষ্ট খেজুর বৃক্ষের যেগুলো তোমরা কেটে
ফেলেছ এবং যেগুলো দন্ডায়মান রেখেছ তার সবইতাে আল্লাহ্র অনুমোদনক্রমে হয়েছে ৷ আল্লাহ্
তাআলা ভাগ্য নিধরিণ এবং নির্দেশ প্রণয়নের মাধ্যমে এ কাজ করার অনুমতি প্রদান করেছেন ৷
তাই এ কাজে তোমাদের কোন দোষ নেই ৷ এ ক্ষেত্রে তোমরা যা করেছ তা ফাসাদ বা
বিশৃৎখলার পর্যায়ে পড়ে না ৷ দুষ্ট লোকেরা অবশ্য এটাকে ফাসাদ বলেই গণ্য করে ৷ এটি ছিল
বরং মুসলিম বাহিনীর শক্তির বহিঃপ্রকাশ এবং কাফিরদের লাঞ্চুন৷ ও অবমাননার নিদর্শন স্বরুপ ৷

বুখারী ও মুসলিম দু’জনে কুতায়বা — ইবন উনার (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু নাযীর গোত্রের খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দিয়েছেন এবং কতগুলো গাছ কেটে
ফেলেছেন ৷ ওই বাগানের নাম ছিল বুয়ায়রা ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :


الْحَارِثَ بْنَ الصِّمَّةِ. حَكَاهُ السُّهَيْلِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمْ يُسْلِمْ مِنْ بَنِي النَّضِيرِ إِلَّا رَجُلَانِ ; وَهَمَا يَامِينُ بْنُ عُمَيْرِ بْنِ كَعْبٍ ابْنُ عَمِّ عَمْرِو بْنِ جَحَّاشٍ، وَأَبُو سَعْدِ بْنُ وَهْبٍ فَأَحْرَزَا أَمْوَالَهُمَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ حَدَّثَنِي بَعْضُ آلِ يَامِينَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِيَامِينَ أَلَمْ تَرَ مَا لَقِينَا مِنِ ابْنِ عَمِّكَ، وَمَا هَمَّ بِهِ مِنْ شَأْنِي؟ فَجَعَلَ يَامِينُ لِرَجُلٍ جُعْلًا عَلَى أَنْ يَقْتُلَ عَمْرَو بْنَ جَحَّاشٍ فَقَتَلَهُ، لَعَنَهُ اللَّهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِمْ سُورَةَ الْحَشْرِ بِكَمَالِهَا، يِذْكُرُ فِيهَا مَا أَصَابَهُمْ بِهِ مِنْ نِقْمَتِهِ وَمَا سَلَّطَ عَلَيْهِمْ بِهِ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا عَمِلَ بِهِ فِيهِمْ. ثُمَّ شَرَعَ ابْنُ إِسْحَاقَ يُفَسِّرُهَا، وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَيْهَا بِطُولِهَا مَبْسُوطَةً فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لِأَوَّلِ الْحَشْرِ مَا ظَنَنْتُمْ أَنْ يَخْرُجُوا وَظَنُّوا أَنَّهُمْ مَانِعَتُهُمْ حُصُونُهُمْ مِنَ اللَّهِ فَأَتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ حَيْثُ لَمْ يَحْتَسِبُوا وَقَذَفَ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ يُخْرِبُونَ بُيُوتَهُمْ بِأَيْدِيهِمْ وَأَيْدِي الْمُؤْمِنِينَ فَاعْتَبِرُوا يَاأُولِي الْأَبْصَارِ وَلَوْلَا أَنْ كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الْجَلَاءَ لَعَذَّبَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابُ النَّارِ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ شَاقُّوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَمَنْ يُشَاقِّ اللَّهَ فَإِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ اللَّهِ وَلِيُخْزِيَ الْفَاسِقِينَ وَمَا أَفَاءَ} [الحشر: 1] وَهُوَ جَيِّدُ التَّمْرِ {أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا} [الحشر: 5] إِنَّ الْجَمِيعَ قَدْ أُذِنَ فِيهِ شَرْعًا وَقَدَرًا، فَلَا حَرَجَ عَلَيْكُمْ فِيهِ
পৃষ্ঠা - ২৮২০

শ্

“তোমরা যে খেজুর বৃক্ষগুলাে কেটেছ এবং যেগুলো কাণ্ডের উপর স্থির রেখে দিয়েছ তাতাে
আল্লাহ্রই অনুমতিত্রুমে; তা এজন্যে যে, আল্লাহ্ পাপাচারীদেরকে লাঞ্ছিত করবেন ৷ (৫৯-
হাশব : ৫)

বুখাবী জুওয়াইরিয়া ইবন আসৃমা সুত্রে ইবন উমার (রা) থেকে বংনিা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বনু নাযীর গোত্রের এবং বুওয়াইরা খেজুর বাগান পুড়িয়ে দেন যা কেটে ফেলেছেন ৷ এ
প্রসৎরু গ হযরত হাসৃসান ইবন ছাবি৩ তার কবিতায় বলেন০ ং

ষ্

এশুট্রিপুষ্
বুওয়াযরা বাগান পুড়ে যাওয়া এবং বৃক্ষ গুলো ছাই হয়ে যাওয়াগুক কবনু লুওয়াই গোত্রের
নেতৃস্থানীয় লোকেরা নিতাম্ভ হাল্ক ল্কাভাবে গ্রহণ করেছে ৷

হযরত হাস্সানের উপরোক্ত কবিতার উত্তরে তৎকালীন কাফির নেতা আবু সুফিয়ান ইবনুল
হারিছ বলেছিল :


স্পো
আল্লাহ্ তা আলা এই অপকর্ম দীর্ঘস্থায়ী রাখতেন এবং বুওয়ায়রা বাগানের আশে পাশের
এলাকা য় স্থায়ী জ্বালানাে ডপাোনে র ব্যবস্থা করবেন ৷

অতি সতৃরতু মি জ নতে পারবে যে, আমাদের মধ্যে কে রক্ষা পাবে এবং তুমি আরো
জানতে পারবে আমাদের কােনৃ অঞ্চলে আমরা ধ্বংস সৃষ্টি করি ৷
ইবন ইসহাক বলেন, বনু নাযীর গোত্রকে বহিষ্কার এবং কবি ইবন আশরনাযীর হত্যার কথা
উল্লেখ করে তার ইবন যালিক কবিতায় বলেন :

; : ) ৷ : স্


বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ইয়াহুদী পণ্ডি৩ রা অপমানিত হয়েছে ৷ যুগ এ রকমই পরিবর্জাশীল
যা চক্রাকারে আবাতত হয়

;

) :

তাএ জন্যে হল যে, তারা মহান প্রতিপালকের প্ৰতি কুফরী করেছে ৷ তারা অমান্য করেছে
তীর নির্দেশ ৷ অথচ তার নিদোা হল অত্যন্ত গুরুতুপুর্ণ নির্দেশ ৷

!০ স্ ণ্শ্ শ্ :৷ শ্ণ্ ব্লষ্ শ্ £ান্প্ £শ্ ষ্)ং)০
অথচ তাদেরকে দেয়া হয়েছিল বোধশক্তি ও জ্ঞান ৷ আর তাদের নিকট এসেছিলেন মহান
সতর্ককারী (মুহাম্মাদ মুস্তাফা (সা) ৷


وَلَنِعْمَ مَا رَأَيْتُمْ مِنْ ذَلِكَ، وَلَيْسَ هُوَ بِفَسَادٍ، كَمَا قَالَهُ شِرَارُ الْعِبَادِ، إِنَّمَا هُوَ إِظْهَارٌ لِلْقُوَّةِ، وَإِخْزَاءٌ لِلْكَفَرَةِ الْفَجَرَةِ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ جَمِيعًا عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ نَافِعٍ، «عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرَّقَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ، وَهِيَ الْبُوَيْرَةُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ اللَّهِ وَلِيُخْزِيَ الْفَاسِقِينَ} [الحشر: 5] » وَعِنْدَ الْبُخَارِيِّ مِنْ طَرِيقِ جُوَيْرِيَةَ بْنِ أَسْمَاءَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرَقَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ، وَهِيَ الْبُوَيْرَةُ» ، وَلَهَا يَقُولُ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ: وَهَانَ عَلَى سُرَاةِ بَنِي لُؤَيٍّ ... حَرِيقٌ بِالْبُوَيْرَةِ مُسْتَطِيرُ فَأَجَابَهُ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ يَقُولُ: أَدَامَ اللَّهُ ذَلِكَ مِنْ صَنِيعٍ ... وَحَرَّقَ فِي نَوَاحِيهَا السَّعِيرُ
পৃষ্ঠা - ২৮২১
سَتَعْلَمُ أَيُّنَا مِنْهَا بِنُزْهٍ وَتَعْلَمُ أَيَّ أَرْضَيْنَا تَضِيرُ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ يَذْكُرُ إِجْلَاءَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَتْلَ كَعْبِ بْنِ الْأَشْرَفِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ: لَقَدْ خَزِيَتْ بَغَدْرَتِهَا الْحُبُورُ ... كَذَاكَ الدَّهْرُ ذُو صَرْفٍ يَدُورُ وَذَلِكَ أَنَّهُمْ كَفَرُوا بِرَبٍّ ... عَظِيمٍ أَمْرُهُ أَمْرٌ كَبِيرُ وَقَدْ أُوتُوا مَعًا فَهْمًا وَعِلْمًا ... وَجَاءَهُمُ مِنَ اللَّهِ النَّذِيرُ نَذِيرٌ صَادِقٌ أَدَّى كِتَابًا ... وَآيَاتٍ مُبَيِّنَةً تُنِيرُ فَقَالُوا مَا أَتَيْتَ بِأَمْرِ صِدْقٍ ... وَأَنْتَ بِمُنْكَرٍ مِنَّا جَدِيرُ فَقَالَ بَلَى لَقَدْ أَدَّيْتُ حَقَّا ... يُصَدِّقُنِي بِهِ الْفَهِمُ الْخَبِيرُ فَمَنْ يَتْبَعْهُ يُهْدَ لِكُلِّ رُشْدٍ ... وَمَنْ يَكْفُرْ بِهِ يُجْزَ الْكَفُورُ
পৃষ্ঠা - ২৮২২

) : )


তাদের নিকট এসেছেন সত্যবাদী সতর্ককা ৷রী ৷ তিনি পৌছিয়েছেন একটি কিতাব এবং সুস্পষ্ট
আয়াতসমুহ ৷ এগুলো আলো ঝলমল দেদীপ্যমান ৷

াংএট্রাছুট্র
তারা তাকে বলেছিল, আপনি কোন স৩ বিষয় নিয়ে আয়ুন্ন্ননি ৷ আমাদের পক্ষ থেকে
আপনি প্রত্যাখ্যা ৷ত হওয়ারই উপযুক্ত ৷
স্পো
তিনি বললেন, আমি বরং সত্য এবং হক নিষয়ই প্রচার করেছি পৌছিয়ে দিয়েছি ৷
ওয়াকিফহাল ও বুদ্ধিমান ব্যক্তিবর্গ সর্ব অবগত মহান আমার সত্যাফন করেন ৷

যে ব্যক্তি তার অনুসরণ করবে সে সকল প্রকারের হিদায়াতও সত্য পথের দিশা পাবে ৷ আর
যে ব্যক্তি ত ৷কে প্রত্যাখ্যান করবে তবে কা ৷ফিরের৷ তাে লাঞ্ছিতই হবে ৷

এংএছুটুএ ৷ এএ ৷ এ; ট্রুপ্রুসুণ্এ ৷ ৮ল্কির্ন্তটু ৷ & ৷এট্রুএটুদ্বু’৷ ৷ট্রুা৯
বিশ্বাসঘা৩ কত৷ ও কুফরী যখন তাদের স্বভাবে প্রকৃতিতে মিশে গিয়েছে এবং সতাচ্যুতি ও
সত্য থেকে পলায়ন যখন তাদের স্থায়ী অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ৷


এএা
তখন আল্লাহ তা আল ৷নবী (সা) কে সত্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের ৷ ওফীক প্রদ৷ ৷ন করলেন ৷ আল্লাহ্
তা আলা মীমাৎসা করেন এমন যীমাৎসা যাতে কোন প্রকারের যুলুম ও অবিচ৷ ৷র থাকে না ৷
আল্লাহ তাআলা তাকে সাহায্য করলেন এবং ওদের উপর বিজয়ী করলেন ৷ আল্লাহ যাকে
সাহায্য করেন যে অন্যতম উৎকৃষ্ট সাহায্যপ্রাপ্ত ৷

তাদের মধ্যে কা ’ব ইবন আশরাফ জঘন্যভ৷ বে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল ৷ এরপর তার মৃত্যুর
পরে বনু নাযীর গো ৷ত্র একেবারেই লাঞ্ছিত হয়ে পড়ে ৷
৷ শ্হ্নি
তারা দৃহাত জোড় করে আত্মসমর্পণ করে ৷ কাব-এর উপর আমাদের প্রসিদ্ধ বীর পুরুষগণ
বিজয়ী হন ৷

মুহাম্মাদ (সা) এর নিদােশ ক৷ ’ব এর ভাই রাণ্ডে তর বেলা তার নিকট যায় (হ৩া৷ করার জন্যে) ৷

২০মু —

فَلَمَّا أُشْرِبُوا غَدْرًا وَكُفْرًا وَجَدَّ بِهِمْ عَنِ الْحَقِّ النُّفُورُ ... أَرَى اللَّهُ النَّبِيَّ بِرَأْيِ صِدْقٍ وَكَانَ اللَّهُ يَحْكُمُ لَا يَجُورُ ... فَأَيَّدَهُ وَسَلَّطَهُ عَلَيْهِمْ وَكَانَ نَصِيرُهُ نِعْمَ النَّصِيرُ ... فَغُودِرَ مِنْهُمُ كَعْبٌ صَرِيعًا فَذَلَّتْ بَعْدَ مَصْرَعِهِ النَّضِيرُ ... عَلَى الْكَفَّيْنِ ثُمَّ وَقَدْ عَلَتْهُ بِأَيْدِينَا مُشَهَّرَةٌ ذُكُورُ ... بِأَمْرِ مُحَمَّدٍ إِذْ دَسَّ لَيْلًا إِلَى كَعْبٍ أَخَا كَعْبٍ يَسِيرُ ... فَمَاكَرَهُ فَأَنْزَلَهُ بِمَكْرٍ وَمَحْمُودٌ أَخُو ثِقَةٍ جَسُورُ ... فَتِلْكَ بَنُو النَّضِيرِ بَدَارِ سُوءٍ أَبَارَهُمُ بِمَا اجْتَرَمُوا الْمُبِيرُ ... غَدَاةَ أَتَاهُمُ فِي الزَّحْفِ رَهْوًا رَسُولُ اللَّهِ وَهْوَ بِهِمْ بَصِيرُ ... وَغَسَّانُ الْحُمَاةُ مُؤَازِرُوهُ عَلَى الْأَعْدَاءِ وَهْوَ لَهُمْ وَزِيرُ ... فَقَالَ السِّلْمُ وَيْحَكُمُ فَصَدُّوا وَخَالَفَ أَمْرَهُمُ كَذِبٌ وَزُورُ ... فَذَاقُوا غِبَّ أَمْرِهِمُ وَبَالًا لِكُلِّ ثَلَاثَةٍ مِنْهُمْ بَعِيرُ
পৃষ্ঠা - ২৮২৩

) : ) শ্শ্শ্শ্শ্

সে তার সাথে কুট কৌশল অবলম্বন করে ৷৩ তাকে নীচে নামিয়ে আনে ৷৩ তার সাথে ছিল
সাহসী ও রিশ্বস্ত স৷ ৷থী মাহমুদ ৷

) :

স্পো ৷ ঞ

এই বনু নাযীর গোত্র অবস্থান গ্রহণ করছিল মন্দ অবস্থানে ৷ তাদের অপরাধের কারণে
সকারী তাদেরকে ধ্বংস করেছে ৷

একদিন সকাল বেলা ৷ সশস্ত্র মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে ধীর পদক্ষেপে তাদের নিকট উপ
হলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৷ তাদের সকল কর্মকাণ্ড তার গোচরীভুত ছিল ৷


সাহসী পাসসান গোত্র শত্রুর বিরুদ্ধে তার সহযোগিতাকারী ছিল ৷ (উপস্থিত হল তারাও) তারা
ছিল গাসসান গোত্রের পরামর্শদাতা ৷

! : ! স্ ’; : শ্শ্শ্শ্শ্

তিনি গিয়ে বললেন, সাবধান! তোমরা আত্মসমর্পণ কর ৷ কিন্তু তারা উন্টোপথ অনুসরণ
করল ৷ মিথ্যা ও অসারতা ৩াদের কর্মকাণ্ডকে তুলপথে পরিচালিত করল ৷

ফলে তারা তাদেরকে ভুল পদক্ষেপের জন্যে থেসারত দিতে হল ৷ বেরিয়ে (গল প্ৰতি
তিনজনে একটি করে উট নিয়ে ৷

বুাণ্
তারা স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়ে চলে গেল কায়নুক৷ গোত্রের সাথে মিলিত হওয়ার উদ্দেশ্যে ৷ তারা
রেখে গিয়েছিল খেজুর বাগান ও বহু ঘর-বাড়ী ৷

উপরোক্ত কবিতার প্ৰত্যুত্তরে সিমাল ইয়াহ্রদী যে করি৩ ৷ আবৃত্তি করেছিল ইবন ইসহাকত
উল্লেখ করেছিলেন ৷ আমরা ইচ্ছা ৷কৃতভ৷ বে তা বাদ দিয়েছি ৷ ইবন ইসহাক বলেন, বনু নাযীর যুদ্ধ
সম্পর্কে ইবন লুকায়ম আল আবাসী নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে এটি
কায়স ইবন বাহ্র ইবন৩ ৷রীক আ ৷শজ৷ ৷-ঈ এর কবিতা ৷

ঝুহু;ৰু৷ ৷ এা৷া৷ ৷
আমার পরিবার কুরবানী হউক এমন এক লোকের জন্যে যিনি ধ্বংস হবার নন ৷ যিনি
ইয়াহুদীদেরকে জোরপুর্বক অপরিচিত স্থানে যেতে বা ব করেছেন ৷

) :

ন্শ্)০ র্চ শ্০
ট্রৰ্বাহ্র৫া


وَأُجْلُوا عَامِدِينَ لِقَيْنُقَاعٍ ... وَغُودِرَ مِنْهُمُ نَخْلٌ وَدُورُ وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ جَوَابَهَا لَسِمَاكٍ الْيَهُودِيِّ فَتَرَكْنَاهَا قَصْدًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِمَّا قِيلَ فِي بَنِي النَّضِيرِ قَوْلُ ابْنِ لُقَيْمٍ الْعَبْسِيِّ وَيُقَالُ: قَالَهَا: قَيْسُ بْنُ بَحْرِ بْنِ طَرِيفٍ الْأَشْجَعِيِّ. أَهْلِي فِدَاءٌ لِامْرِئٍ غَيْرِ هَالِكٍ ... أَحَلَّ الْيَهُودَ بِالْحَسِيِّ الْمُزَنَّمِ يَقِيلُونَ فِي جَمْرِ الْغَضَاةِ وَبُدِّلُوا ... أُهَيْضِبَ عُودَى بِالْوَدِيِّ الْمُكَمَّمِ فَإِنْ يَكُ ظَنِّي صَادِقًا بِمُحَمَّدٍ ... تَرَوْا خَيْلَهُ بَيْنَ الصَّلَا وَيَرَمْرَمِ
পৃষ্ঠা - ২৮২৪

ইয়াহুদীগণ এখন উচু নীচু অমসৃণ পাথুরে অঞ্চলে শয়ন করে ৷ আর ফলদার খেজুর গাছের
পরিবর্তে তারা পেয়েছে কচি কচি থেজুরের চা ৷রা ৷

মুহাম্মাদ (সা) সম্পর্কে আমার যে ধারণা তা যদি সত্যি হয় তবে তোমরা দেখতে পারে যে,
তার অশ্ববাহিনী সালা ও ইয়৷ ৷রামরাম অঞ্চল পর্যন্ত পৌছে গিয়েছে ৷


ওই অশ্বারোহী দিয়ে তিনি আমর ইবন বাহছুাহকে পরাজিত ব ণ্বেন ৷ ওরা তো শত্রু পক্ষ ৷
বন্ধু গোত্র কখনো শত্রু ও অপরাধী গোত্রের ন্যায় হয় না ৷

টু১টুএ ৷ প্রু৷ ৷ ১১ ৷ ঐা১ ৷ ;)ং;);; হু; প্রু৷ ৷ ১ ৰু১ঢ়১’ ধ্া৷া ১ ৷ ঞা১া১
ওই অশ্বারাে ৷হীর নেতৃত্বে থাকবে সাহসী বীর পুরুষণণ, যাণ্ ৷ভ্রা৷ ৱহু৷ দ্ধর ময়দানে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি
করেন ৷ শত্রুপক্ষের মযবুত ও কঠিন বশণ্ডিলোাক ৷ ৷ অনায়াসে ভেঙ্গে খান খান করে ফেলেন ৷

হু , : : এ » ! :০০০০

ড্রুহ্রপুষ্
ওই বীরদের হাতে ৩থাকবে দৃধার ভীক্ষ্ণ৩ রাভীয় তরব৷ ৷বি ৷ আ দ ও জুরহুম গোত্র থেকে বংশ্
পরম্পরায় তারা ওগুলাের ম৷ ৷লিক হয়েছে ৷

আমার পক্ষ থেকে কুরায়শদেরকে একটি বাণী পৌছিয়ে দেয়ার কেউ আছে কি ? আমি
ওদেরকে বলি যে, ওদের জন্যে মযদাি ও সম্মানের আর কিছু কি অবশিষ্ট আছে ?

৩ার৷ জেনে রাখুক যে, তাদের ভাই মুহাম্মাদ (সা)৩ ৷ তার উছিলায় হাজুন ও যামযাম এলাকা
বৃষ্টিস্নাত হয়ে উঠবে ৷


তোমরা যথার্থভ৷ ৷বে তার অনুসরণ কর ৷ তাহলে তোমাদের সকল কাজ কম সু সংগঠিত
সুন্দর হয়ে ৷ দৃনিয়াতে সকল উচ্চ ও মযাদ৷ ৷র স্থানে তোমরা আরোহণ করতে পারবে ৷

’ #

),;’,, ১১ ,;’ ংটুব্রর্দুট্রু১র্চুও ১াট্রু ৰু১১, ধ্া৷ ণ্১ ছুদ্বু১ ১াছু
তিনি এমন এক নবী যিনি সার্বক্ষণিক আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত প্রাপ্ত হন ৷ তবে কোন
অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে তােমরা তাকে জিজ্ঞেস করে৷ না ৷
ব্লুস্পো fl; ১ ৰু;াদ্বু ১১১
হে কুরায়শ গোত্র ! তোমাদের জন্যে তো শিক্ষা রয়েছে বদর যুদ্ধের মধ্যে এবং গোলাকার
কুয়ােগুলোর মধ্যে ৷


يَؤُمُّ بِهَا عَمْرَو بْنَ بُهْثَةَ إِنَّهُمْ عَدُوٌّ وَمَا حَيٌّ صَدِيقٌ كَمُجْرِمِ ... عَلَيْهِنَّ أَبْطَالٌ مَسَاعِيرُ فِي الْوَغَى يَهُزُّونَ أَطْرَافَ الْوَشِيجِ الْمُقَوَّمِ ... وَكُلَّ رَقِيقِ الشَّفْرَتَيْنِ مُهَنَّدٍ تُوُورِثْنَ مِنْ أَزْمَانِ عَادٍ وَجُرْهُمِ ... فَمَنْ مُبْلِغٌ عَنِّي قُرَيْشًا رِسَالَةً فَهَلْ بَعْدَهُمْ فِي الْمَجْدِ مِنْ مُتَكَرِّمِ ... بِأَنَّ أَخَاهُمْ فَاعْلَمُنَّ مُحَمَّدًا تَلِيدُ النَّدَى بَيْنَ الْحَجُونِ وَزَمْزَمِ ... فَدِينُوا لَهُ بِالْحَقِّ تَجْسُمْ أُمُورُكُمْ وَتَسْمُو مِنَ الدُّنْيَا إِلَى كُلِّ مُعْظَمِ ... نَبِيٌّ تَلَاقَتْهُ مِنَ اللَّهِ رَحْمَةٌ وَلَا تَسْأَلُوهُ أَمْرَ غَيْبٍ مُرَجَّمِ ... فَقَدْ كَانَ فِي بَدْرٍ لَعَمْرِي عِبْرَةٌ لَكُمْ يَا قُرَيْشًا وَالْقَلِيبِ الْمُلَمَّمِ ... غَدَاةَ أَتَى فِي الْخَزْرَجِيَّةِ عَامِدًا إِلَيْكُمْ مُطِيعًا لِلْعَظِيمِ الْمُكَرَّمِ ... مُعَانًا بِرُوحِ الْقُدُسِ يَنْكِي عَدُوَّهُ رَسُولًا مِنَ الرَّحْمَنِ حَقًّا بِمَعْلَمِ
পৃষ্ঠা - ২৮২৫
رَسُولًا مِنَ الرَّحْمَنِ يَتْلُو كِتَابَهُ ... فَلَمَّا أَنَارَ الْحَقَّ لَمْ يَتَلَعْثَمِ أَرَى أَمْرَهُ يَزْدَادُ فِي كُلِّ مَوْطِنٍ ... عُلُوًّا لِأَمْرٍ حَمَّهُ اللَّهُ مُحْكَمِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ: قَالَهَا رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَلَمْ أَرَ أَحَدًا يَعْرِفُهَا لَعَلِيٍّ: عَرَفَتُ وَمَنْ يَعْتَدِلْ يَعْرِفِ ... وَأَيْقَنْتُ حَقًّا وَلَمْ أَصْدِفِ عَنِ الْكَلِمِ الْمُحْكَمِ الْآيِ مِنْ ... لَدَى اللَّهِ ذِي الرَّأْفَةِ الْأَرْأَفِ رَسَائِلُ تُدْرَسُ فِي الْمُؤْمِنِينَ ... بِهِنَّ اصْطَفَى أَحْمَدَ الْمُصْطَفِي فَأَصْبَحَ أَحْمَدُ فِينَا عَزِيزًا ... عَزِيزَ الْمُقَامَةِ وَالْمَوْقِفِ فَيَا أَيُّهَا الْمُوعِدُوهُ سَفَاهًا ... وَلَمْ يَأْتِ جَوْرًا وَلَمْ يَعْنُفِ أَلَسْتُمْ تَخَافُونَ أَدْنَى الْعَذَابِ ... وَمَا آمِنُ اللَّهِ كَالْأَخْوَفِ وَأَنْ تُصْرَعُوا تَحْتَ أَسْيَافِهِ ... كَمَصْرَعِ كَعْبٍ أَبِي الْأَشْرَفِ
পৃষ্ঠা - ২৮২৬

ব্লুষ্টুবুএ
স্মরণ কর সেই সকালের কথা যখন তিনি এলেন খায়রাজ গোত্রে ৷ তােমাদেরকে হিদায়াত
করার উদ্দেশ্যে ৷ মহান ও মযাদাবান আল্লাহ্ তাআলার অনুগত হয়ে ৷
ঝুর্দুছু;ছুন্ র্মুম্বু১ ৰু)ঠুছুন্ষ্টু৷ ৷ ট্রুস্পে ৰুাটুৰু) হুষ্টুৰুৰু; )“ €fl ৰুট্রুৰু ৷র্দুাছুপু
তিনি এলেন পবিত্র আত্মা জিবরাঈল (সা) এর সহযোগিতা পুষ্ট হন্;য় ৷ শত্রুর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ
করে দিয়ে এবং বিভিন্ন নিদর্শনে সমুজ্জ্বল হয়ে দয়াময় আল্লাহর সত্য রাসুল রুপে ৷

৷ ট্রুধ্ন্ ৰুটুটু)
তিনি এসেছেন দয়াময় আল্লাহ্র রাসুল হিসেবে ৷ আল্লাহর কিতাব তিলৰ্ওয়াত করেন তিনি ৷
সত্য যখন উদ্ভাসিত ও আলোকময় হয়ে ছড়িয়ে পড়ে তখন সর্বত্র পৌছভে আর সময় লাগে না ৷
র্জুন্নু১এ র্চো)
আমি মনে করি৩ ৷ ৩ার বিষয়টি সর্বক্ষেত্রে প্রসারিত ও বর্ধিত ৩হবে ৷ মহান আল্লাহ্ যেটিকে হক
ও সতব্ররুপে প্রেরণ করেছেন সেটিকে বিজয়ী করার জন্যে ৷
ইবন ইসহ৷ ৷ক বলেন, আলী ইবন আবু তালিব এ প্রসৎগে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেছেন ৷
ইবন হিশাম বলেনৰু এটি অন্য কো ন মুসলমানের কবিতা ৷ এটিকে আলী (বা ) এর কবিতারুপে
অভিহিত করেন এমন কাউকে আমি পাইনি ৷
ঠুদ্বুএ্ট্রুশ্১৷ ণ্পুট্রু ;ন্ট্রঠুছু
আমি উপলব্ধি করেছি ৷ যে কেউ নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখবে সেই উপলব্ধি করতে পারবে ৷
আমি সত্যরুপে বিশ্বাস করেছি ৷ আমি সত বিমুখ হইনি ৷

এ্ ৷ ) ১৷ ৷ রুব্লুাট্রু৷ ৷ ;১ ৰুা৷ ৷ প্রুএ টুস্পে ৰুা৷ ৷ ব্লুবুহ্রঠুএ ৷ ঝুাব্র ৷ ং ,;
আমি ময়বুত ও সুদৃঢ় বাণীগুলে৷ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিইনি ৷ এগুলে৷ তো এসেছে পরম
দয়াময় আল্লাহর পক্ষ থেকে ৷
ণ্ড্র ’াংং ং’ণ্ং৷ ৷ ’ণ্াছুন্ছু৷ ’ ং ৰু ১ ৷ টুৰুপ্রু ট্রু)ট্রুন্ৰুন্ন্টুৰুদ্বু ৷ ৰুন্;৷ ৰু,ৰুঠুণ্; ৰুান্;াঠু)
এগুলো আল্লাহর বাণী ৷ ঘু’মিনদের মধ্যে এগুলো পাঠ ও আলোচনা করা হয় ৷ এগুলো দিয়েই
আহমদ (না)-কে মনো ত করা হয়েছে ৷
এৰুগ্লু৷ ৷ট্রু রুছুাছুৰুট্রু৷ ৷ )ট্রুদ্বু;
তাই আহমদ (সা) আমাদের মধ্যে প্রিয় পাত্রে পরিণত হলেন ৷ তিনি সকল স্থানে প্রিয় ও
শক্তিমান ব্যক্তিরুপে আবির্ভুত হলেন ৷

শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্

সুতরাং হে লোক সকল যারা তাকে ভয় দেখাতে চাও অজ্ঞতারশত ৷ অথচ তিনি কখনো
কে কান অন্যায় করেননি এরংক কারো সাথে কঠোর আচরণ ৷করেননি ৷


غَدَاةَ رَأَى اللَّهُ طُغْيَانَهُ وَأَعْرَضَ كَالْجَمَلِ الْأَجْنَفِ ... فَأَنْزَلَ جِبْرِيلَ فِي قَتْلِهِ بِوَحْيٍ إِلَى عَبْدِهِ مُلْطَفِ ... فَدَسَّ الرَّسُولُ رَسُولًا لَهُ بِأَبْيَضَ ذِي هَبَّةٍ مُرْهَفِ ... فَبَاتَتْ عُيُونٌ لَهُ مُعْوِلَاتٌ مَتَى يُنْعَ كَعْبٌ لَهَا تَذْرِفُ ... وَقُلْنَ لِأَحْمَدَ ذَرْنَا قَلِيلًا فَإِنَّا مِنَ النَّوْحِ لِمَ نَشْتَفِ ... فَخَلَّاهُمُ ثُمَّ قَالَ اظْعَنُوا دُحُورًا عَلَى رَغْمِ الْآنُفِ ... وَأَجْلَى النَّضِيرَ إِلَى غُرْبَةٍ وَكَانُوا بِدَارٍ ذَوِي زُخْرُفِ ... إِلَى أَذَرِعَاتٍ رِدَافًا وَهُمْ عَلَى كُلِّ ذِي دَبَرٍ أَعْجَفِ
পৃষ্ঠা - ২৮২৭


এ্যাপু১ র্বুাব্র চু)বুষ্ট্টপ্১৷ এিপ্
তোমরা কি ভয় কর না নিকটবর্তী আযাবকে ৷ আল্লাহ্ যাকে নিরাপত্তা দেন সে তো ভয়
প্রাপ্তের ন্যায় নয় ৷

তোমরা কি ভয় কর না যে, তোমরা ত র তরবারির আঘাৰ্:স্র ধরাশায়ী হবে ৷ যেমন ধরাশায়ী
হয়েছে আবু আশরাফ কা ব ৷


একদিন ভোরবেলা ৷ আল্লাহ্ তাআলা তার সত্যদ্রোহিতা দেখলেন ৷ এও দেখলেন যে, সে
অবাধ্য উটের ন্যায় সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ৷
এ্যা, ’ ং ন্প্লুপু ছু ষ্থু’ ,ধ্;ং-ন্টুৰুশু — ণ্এম্ণ্ ট্রুন্হ্রন্ ষ্টুাছুন্ংঠ্টুণ্ ষ্টুাট্ৰুট্টপ্
সুতরাং তাকে হত্যার আদেশ সহকারে তিনি জিবরাঈল (আ) কে প্রেরণ করলেন তার দরদী
বান্দা মুহাম্মাদ (না)-এর নিকট ৷

ষ্টুৰুষ্ র্দুব্লু১ ৰু)ণ্১ৰু ট্রুন্ — £fl ৰুাটুঠু) ৰুষ্টুটুষ্টু৷ ৷ ৰু,ঠুাছুন্
রাসুল মুহাম্মাদ (সা) রাতের অন্ধকারে গোপনে তার এক দুত পাঠালেন স্বচ্ছ-সুতীক্ষ্ণ ও খাপ
খোলা তলোয়ার সহ ৷

০ )


তার পক্ষ থেকে কতক গুপ্তচর সে রাতে রাত কাটিয়েছিল নিদ্রাহীনভাবে ৷ তারা অপেক্ষায়
ছিল কখন কাবের মৃত্যু সংবাদ শোনা যাবে ৷ কখন এই সংবাদে অশ্রু ঝরবে ৷

ব্লুন্;;ঠু ণ্পু ৰুৰু;ই১৷ ৷ ট্রুৰুন্ষ্ ৰুদুা’ষ্ — ৰুাএষ্ৰু ১১১ ট্ঠুণ্ট্রুধৃ ;,fi )
ত্রুন্দনকারিণীরা আহমদ (সা ) কে বললো, আমাদেরকে একটু অবকাশ দিন ৷ এখনো আমরা
যথেষ্ট মাতম করে সারিনি ৷

ব্লুঠুৰু৷ ৷ ট্রছুট্রু প্রুাছু
বস্তুত তিনি ওই ইয়াহুদীদেরকে দেশ ছাড়া করলেন ৷ তারপর বললেন, তোমরা চলে যাও
লাঞ্চুনা, অপমানসহ ৷
তিনি বনু নাযীর গোত্রকে বিতাড়িত করলেন এক অপরিচিত ও বিরান ভুমিতে ৷ অথচ তারা
ছিল এক সুসজ্জিত ও চমৎকার মহ্ল্লায় ৷

; ণ্ শ্
,


وَتَرَكْنَا جَوَابَهَا أَيْضًا مِنْ سِمَاكٍ الْيَهُودِيِّ قَصْدًا. ثُمَّ ذَكَرَ تَعَالَى حُكْمَ الْفَيْءِ، وَأَنَّهُ حَكَمَ بِأَمْوَالِ بَنِي النَّضِيرِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَلَّكَهَا لَهُ، فَوَضَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيْثُ أَرَاهُ اللَّهُ تَعَالَى، كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ قَالَ: كَانَتْ أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِمَّا لَمْ يُوجِفِ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ بَخِيلٍ وَلَا رِكَابٍ، فَكَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً، فَكَانَ يَعْزِلُ نَفَقَةَ أَهْلِهِ سَنَةً، ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ فِي الْكُرَاعِ وَالسِّلَاحِ عُدَّةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. ثُمَّ بَيَّنَ تَعَالَى حُكْمَ الْفَيْءِ، وَأَنَّهُ لِلْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَالتَّابِعِينَ لَهُمْ بِإِحْسَانٍ عَلَى مِنْوَالِهِمْ وَطَرِيقَتِهِمْ {وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ كَيْ لَا يَكُونَ دُولَةً بَيْنَ الْأَغْنِيَاءِ مِنْكُمْ وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ} [الحشر: 7] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَارِمٌ، وَعَفَّانُ قَالَا: حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّ الرَّجُلَ كَانَ يَجْعَلُ لَهُ مِنْ مَالِهِ النَّخْلَاتِ، أَوْ كَمَا شَاءَ اللَّهُ، حَتَّى فُتِحَتْ عَلَيْهِ قُرَيْظَةُ وَالنَّضِيرُ. قَالَ: فَجَعَلَ يَرُدُّ بَعْدَ ذَلِكَ. قَالَ: وَإِنَّ أَهْلِي أَمَرُونِي أَنْ آتِيَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْأَلَهُ الَّذِي
পৃষ্ঠা - ২৮২৮

তাদেরকে নির্বাসিত করে পাঠিয়ে দিলেন সিরিয়ার আয়কআত নামক স্থানে ৷ তারা একের
পেছনে এক সারিবদ্ধতাবে যাচ্ছিল দুর্বল ও ক্ষীণকায় সওয়ারীর পিঠে আরোহণ করে ৷
সিমাল ইয়াহুদী এই কবিতার যে উত্তর দিয়েছিল আমরা তা উল্লেখ থেকে বিরত রইলাম ৷

আল্লাহ্ তাআলা এই সুরার করে তথ্য বিনা যুদ্ধে অর্জিত শত্রু সম্পদ বণ্টনের নীতিমালা বংনাি
করেছেন ৷ তিনি বনু নাযীর গোত্রের সকল সম্পদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মালিকানাধীন বলে ঘোষণা
দিলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আল্লাহর ইচ্ছানুসারে ওই সম্পদ ব্যয় কল্যালন ৷ এ প্রসংগে সহীহ্
বুখারী ও মুসলিমে হযরত উমর (রা) এর একটি হড়াদীছ রয়েছে ৷ তাতে তিনি বলেছেন, বনুনাযীর
গোত্রের রেখে যাওয়া ধন-সষ্পদ করে তথ্য বিনা যুদ্ধে অর্জিত সম্পদ রুভৈ;প আল্লাহ তাআলা তার
রাসুলের মালিকানায় প্রদান করলেন ৷ এটি অর্জনে মুসলমানপণ ঘোড়য় বা উটে চড়ে যুদ্ধ
করেননি ৷ তাই এটি এককভাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা )-এর মালিকানায় ন্যস্ত হন ৷ তিনি ওখান থেকে
তার পরিবারের এক বছরের ভরণপােষণের অর্থ আলাদা করে রাখতেন ৷ আর অবশিষ্ট সম্পদ ব্যয়
করতেন জিহাদের জন্যে অন্ত্রশস্ত্র ও বাহন সংগ্নহে ৷ এরপর আল্লাহ্ তাআন্যে ফায় এর বিধান বর্ণনা
করে বলেন যে, তাতে মুহাজির ও আনসারদের এবং তাদের অনৃসারিগণের হিস্যা রয়েছে আহ্বরা
হিস্যা রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন ও মুসাফিরদের ৷ যাতে এই
সম্পদ শুধু ধনীদের মধ্যে আবর্তিত না হয় ৷ আল্লাহ তাআলা বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তেড়ামাদেরকে
যা দেন তা গ্রহণ করবে এবং যা থেকে ধারণ করেন তোমরা তা থেকে বিরত থাকবে ৷ তোমরা
আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা কঠোর শাস্তিদাতা ৷

ইমাম আহমদ বলেন, আবিম ও আফফান আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হিজরতের প্রথম দিকে মদীনার
লোকজন রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে নিজেদের মালামাল থেকে কতক খেজুর গাছ বা অন্য কিছু প্রদান
করেছিলেন ৷ তার পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের জন্যে ৷ পরবর্তীতে বনু কুরায়যা ও বনুনাযীর গোত্রের
বিরুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিজয় লাভ করলেন ৷ অন্যদের দেয়া খেজুর গাছ ও অন্যান্য সম্পদ তিনি
ফেরত দিতে শুরু করলেন ৷ হযরত আনাস (রা) বলেন, আমার পরিবারের লোকেরা রাসুলুল্লাহ্
(সা)শ্কে যা দিয়েছিল তা কিৎবা তার কিছু অংশ ফেরত আমার জন্যে আমাকে পাঠালেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই মালামাল কিৎবা আরো কিছু উন্মু আয়মানকে দিয়ে দিয়েছিলেন ৷ হযরত
আনাস (রা) বলেন, আমি গিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট তা চাইলাম ৷ তিনি তা আমাকে
ফিরিয়ে দিলেন ৷ এমন সময় সেখানে উম্মু আয়মান এসে উপস্থিত হলেন ৷ তিনি আমার গলায়
কাপড়ে পেচিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো, না-না, আল্লাহর কসম ! ওই মালামাল আমি তোমাকে
দেবনা, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা তো আমাকেই দিয়ে দিয়েছেন ৷ তিনি হয়ত এরকম আরো কিছু
কথাবার্তা বলেছিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছিলেন ৷ হে উম্মু আয়মান ৷ তোমাকে এটা এটা
দিলাম ৷ এটা এটা তোমার জন্যে ৷ কিন্তু উম্মু আয়মান বলতেই থাকলেন , না না, এটা আমি ওকে
দিব না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছিলেন ৷ এটা এটা তোমার জন্যে ৷ কিন্তু উম্মু আয়মান আবারো
বলছিলেন, আমি এটা ওকে দেব না ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছিলেন, ওটা নয় বরং এটা এটা
তোমার জন্যে ৷ হযরত আনাস (রা) বলেন, এভাবে দিতে দিতে আমার মনে হয় বাসৃলুল্লাহ্ (সা)
তাকে দশগুণ বা তার কাছাকাছি পরিমাণ সম্পদ দান করেছিলেন ৷ ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র )
প্রায় এ রকমই বর্ণনা করেছেন ৷


كَانَ أَهْلُهُ أَعْطُوهُ أَوْ بَعْضَهُ، وَكَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَاهُ أُمَّ أَيْمَنَ أَوْ كَمَا شَاءَ اللَّهُ. قَالَ: فَسَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِيهِنَّ، فَجَاءَتْ أُمُّ أَيْمَنَ فَجَعَلَتِ الثَّوْبَ فِي عُنُقِي وَجَعَلَتْ تَقُولُ: كَلَّا وَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، لَا يُعْطِيكَهُنَّ وَقَدْ أَعْطَانِيهِنَّ. أَوْ كَمَا قَالَتْ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَكِ كَذَا وَكَذَا. وَتَقُولُ: كَلَّا وَاللَّهِ. قَالَ: وَيَقُولُ لَكِ: كَذَا وَكَذَا. وَتَقُولُ: كَلَّا وَاللَّهِ. قَالَ: وَيَقُولُ: لَكِ كَذَا وَكَذَا. حَتَّى أَعْطَاهَا - حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ - عَشَرَةَ أَمْثَالِهِ. أَوْ قَالَ: قَرِيبًا مِنْ عَشَرَةِ أَمْثَالِهِ» . أَوْ كَمَا قَالَ. أَخْرَجَاهُ بِنَحْوِهِ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مُعْتَمِرٍ بِهِ. ثُمَّ قَالَ تَعَالَى ذَامًّا لِلْمُنَافِقِينَ الَّذِينَ مَالُوا لِبَنِي النَّضِيرِ فِي الْبَاطِنِ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَوَعَدُوهُمُ النَّصْرَ، فَلَمْ يَكُنْ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ، بَلْ خَذَلُوهُمْ أَحْوَجَ مَا كَانُوا إِلَيْهِمْ، وَغَرُّوهُمْ مِنْ أَنْفُسِهِمْ، فَقَالَ: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ نَافَقُوا يَقُولُونَ لِإِخْوَانِهِمُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَئِنْ أُخْرِجْتُمْ لَنَخْرُجَنَّ مَعَكُمْ وَلَا نُطِيعُ فِيكُمْ أَحَدًا أَبَدًا وَإِنْ قُوتِلْتُمْ لَنَنْصُرَنَّكُمْ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ لَئِنْ أُخْرِجُوا لَا يَخْرُجُونَ مَعَهُمْ وَلَئِنْ قُوتِلُوا لَا يَنْصُرُونَهُمْ وَلَئِنْ نَصَرُوهُمْ لَيُوَلُّنَّ الْأَدْبَارَ ثُمَّ لَا يُنْصَرُونَ} [الحشر: 11] [الْحَشْرِ: 11، 12] ثُمَّ ذَمَّهُمْ تَعَالَى عَلَى جُبْنِهِمْ، وَقِلَّةِ
পৃষ্ঠা - ২৮২৯
عِلْمِهِمْ، وَخِفَّةِ عَقْلِهِمُ النَّافِعِ، ثُمَّ ضُرِبَ لَهُمْ مَثَلًا قَبِيحًا شَنِيعًا بِالشَّيْطَانِ حِينَ قَالَ لِلْإِنْسَانِ: {اكْفُرْ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِنْكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ فَكَانَ عَاقِبَتَهُمَا أَنَّهُمَا فِي النَّارِ خَالِدَيْنِ فِيهَا وَذَلِكَ جَزَاءُ الظَّالِمِينَ} [الحشر: 16] [الْحَشْرِ: 16، 17] .
পৃষ্ঠা - ২৮৩০


এরপর আল্লাহ ত ৷আলা মুনাফিকদের নিন্দা করেছেন যারা গোপনে গোপনে বনু নাযীর
গোত্রের লোকদেরকে প্ররোচণা দিয়েছিল ৷৩ তারা ওদেরকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷ কিন্তু
কো ন সা ৷৩াহায্যই ৷র৷ করেনি ৷ বরং ইয়াহ্রদী গোত্র যখন সাহায্যের জন্যে অধিকতর মুখাপেক্ষী ছিল
তখন তারা ওদেরকে হতাশ করেছে, লাঞ্চুনার পথে ঠেলে দিয়েছে এবং সাহায্যের অঙ্গীকার দিয়ে
প্রতারণা করেছে ৷ এ প্ৰসংগে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :

শ্ : :শ্০ ষ্)শ্শ্০ ; ; শ্০ শ্০;ষ্;ঠু ষ্ ৷; শ্ষ্ ; শ্০শ্
;া;হ্র৷ ৷ এে৷ ;,ৰু ৷,,১< ;,ৰুএে ৷ স্পো ,১া;;১১৷ ;,প্রুাপ্রুদ্বু ৰু ৷,দ্বু ভ্রুা; ;,ৰুএে ৷ শুএ্ ৷ এ;; ণ্পু ৷

শ্
খু
০ ’ ) :


আপনি কি মুনাফিকদেরকে দেখেননি ?৩ তারা কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদের

সে সব সঙ্গীকে বলে ওে আমরা যদি বহিবৃচত হও আমরা অবশ্যই তোমাদের সাথে দেশত্যাগী হব

এবং আমরা তোমাদের ব্যাপারে কখনো কারো কথা মানব না ৷ যদি তোমরা আক্রান্ত হও আমরা

অবশ্যই তােমাদেরকে সাহায্য করব ৷ কিন্তু আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, ওরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী ৷

বস্তুতঃ তারা বহিষ্কৃত হলে মুনাফিকর৷ তাদের সাথে দেশ ত্যাগ করবেন৷ এবং ওরা আক্রান্ত হলে

এরা ওদের সাহায্য করবে না ৷ এরা সাহায্য করতে এলেও অবশ্যই পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে ৷ অতঃপর
তারা কো ন সাহায্যই৷ পা বে না ৷ (৫৯ হ শব ং ১১, ১২) ৷

এরপর আল্লাহ্ তা আল৷ ওই সুরাতে ৩মুনাফিকদের কা পুরুষত৷ মুর্থত৷ ও নির্বৃদ্ধিতার কথা
উল্লেখ করেছেন ৷ এরপর শয়তানের সাথে তাদের উদাহরণ দিয়েছেন ৷ যেমন, শয়তান মানুষকে
বলে কুফরী কর ৷ অতঃপর সে যখন কুফরী করে শয়তান তখন বলে, তোমার সাথে আমার কোন
সম্পর্ক নেই, আমি জপ৩ সমুহের প্রতিপালক আল্লাহ্কে ভয় কবি ৷ ফলে উভয়ের পরিণাম হবে
জাহান্নাম ৷ সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং এটিই যালিমদের কর্মফল ৷

আমর ইবন সুদ৷ আল কুরাযী-এর ঘটনা

আমর ইবন সৃদা আল কুরাযী বনুনাষীর গোত্রের মহল্লায় গিয়েছিলেন ৷ সেটি তখন ছিল জন-
মানববিহীন বিরান এলাকা ৷ সেখানে ডাকা রও কেউ ছিল যা উত্তর দেয়ারও কেউ ছিল না ৷ অথচ
বনু নাযীর গো এ ছিল বনুকুরায়যা র তুলনায় শক্তিশালী ও মর্যাদ বদান ৷ বনু নাযীর গোত্রের এ পরাজয়
ও দুঃখজনক পরিণতি আমর ইবন সু দাকে ইসলাম গ্রহণে এবং তাওরাতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ্ (সা)
-এর পরিচিতি প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করে ৷

ওয়াকিদী বলেন, ইব্রাহীম ইবন জা ফর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনুনাষীর
গো ৷এ মদীনা থেকে নির্বাসিত হবার পর আমর ইবন সু দা তাদের বাসন্থ নে আসে এবং ঘুরে ঘুরে
সেই বিধ্বস্ত বাডীঘর দেখতে থাকে ৷ এই ধ্বংসদ্ভুপ নিয়ে সে চিন্তা ভ৷ ৷বন৷ করে ৷ এরপর সে বনু
কুরায়য৷ গোত্রের এলাকায় যায় ৷ সে তাদেরকে তাদের উপাসনালয়ে সমবেত দেখতে পায় ৷ সে


[قِصَّةُ عَمْرِو بْنِ سُعْدَى الْقُرَظِيِّ حِينَ مَرَّ عَلَى دِيَارِ بَنِي النَّضِيرِ وَقَدْ صَارَتْ يَبَابًا لَيْسَ بِهَا دَاعٍ وَلَا مُجِيبٍ] وَقَدْ كَانَتْ بَنُو النَّضِيرِ أَشْرَفَ مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ حَتَّى حَدَاهُ ذَلِكَ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَأَظْهَرَ صِفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ التَّوْرَاةِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا خَرَجَتْ بَنُو النَّضِيرِ مِنَ الْمَدِينَةِ أَقْبَلَ عَمْرُو بْنُ سُعْدَى فَأَطَافَ بِمَنَازِلِهِمْ فَرَأَى خَرَابَهَا، وَفَكَّرَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ فَوَجَدَهُمْ فِي الْكَنِيسَةِ، فَنَفَخَ فِي بُوقِهِمْ، فَاجْتَمَعُوا، فَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَاطَا: يَا أَبَا سَعِيدٍ، أَيْنَ كُنْتَ مُنْذُ الْيَوْمِ لَمْ نَرَكَ؟ وَكَانَ لَا يُفَارِقُ الْكَنِيسَةَ، وَكَانَ يَتَأَلَّهُ فِي الْيَهُودِيَّةِ، قَالَ: رَأَيْتُ الْيَوْمَ عِبَرًا قَدْ عُبِّرْنَا بِهَا ; رَأَيْتُ مَنَازِلَ إِخْوَانِنَا خَالِيَةً بَعْدَ ذَلِكَ الْعِزِّ وَالْجَلَدِ، وَالشَّرَفِ الْفَاضِلِ وَالْعَقْلِ الْبَارِعِ، قَدْ تَرَكُوا أَمْوَالَهُمْ، وَمَلَكَهَا غَيْرُهُمْ، وَخَرَجُوا
পৃষ্ঠা - ২৮৩১

তাদের উপাসনালয়ের শিঙ্গায় ফুৎকার দেয় ৷ বনু কুরায়যার সকল ইয়াহ্রদী সেখানে জমায়েত হয় ৷
তাকে উদ্দেশ্য করে যুবায়র ইবন বাতা বলল, হে আবু সাঈদ! এ৩ দিন আপনি কোথায় ছিলেন ?
সে মুলত সব সময় উপাসনালয়ে থ কতা ইয়াহুদী ধর্মে সে একজন নামযাদাউপাসক ছিলা সে
বলল, আমি আজ একটি বিরাট শিক্ষণীয় বিষয় দেখেছি এবং সেখান থেকে আমি শিক্ষা গ্রহণ
করেছি ৷ আমি আজ আমাদের ধর্মীয় তাই বনু নাযীর গোত্রের বাসন্থানগুলো দেখে আসলামা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী, শৌর্য বীর্যের অধিকারী ওই ইয়াহদী ভাইদের ঘরবাড়ীগুলো আমি দেখলাম
একেবারে বিধ্বস্ত ধ্বংসপ্রাপ্তা তারা তাদের ধন-সম্পদ রেখে চলে গিয়েছো অন্যেরা৩ তার মালিক
হয়েছে ৷ ওরা বেরিয়ে গিয়েছে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ো আসমানীাবভ্রুতাব তাওরাতের কনমা
যে জাতির উপর এমন করুণ পরিণতি চাপিয়ে দেওয়া হয় তেমন জাতির আল্লাহর কোন প্রয়োজন
নেই ৷ ইতোপুর্বে স্ন্তুাম্ভ ইয়াহ্রদী ব্যক্তিত্ব কাব ইবন আশরনাযীর উপর লাঞ্চুনাকর পরিণতি
এসেছো ইয়াহুদীদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ইবন সুনায়না-এর উপপ্হ্র;ও দুঃখজনক পরিণতি নেমে
এসেছো বনুকায়নুকা গোত্রও লাঞ্চুনাকর পরিণামের মুখোমুখি হয়েছো ওরা অত্যন্ত শক্তিমান ও
সণ্ড্রাভ ইয়াহ্রদী গোত্র ছিল ৷ কিন্তু মুহাম্মাদ (সা) ওদেরকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন ৷ ওদের তো
অস্ত্রশব্স্ত্রর কো ন কমতি ছিল না ৷ তা সত্বেও মুহাম্মাদ (সা) তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন ৷
যে ই মাথা বের করেছে৩ তাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ শেষ পর্যন্ত আপােসে এসেছে
উভয়পক্ষ ৷ ইয়াছবিব থেকে তাদের বহিষ্কারের শর্ত মেনে নিয়ে তারা প্রাণে বেচে গেছো

হে ইয়াহদী গোত্র কুরায়যা সম্প্রদায় যা দেখার ভোমরাতাে দেখেছ ৷ এবার তোমরা আমার
কথা মেনে নাওা চল সবাই গিয়ে মুহাম্মাদ (সা) এর আনুগ৩ অবলম্বন করি ৷ আল্লাহর কসম
তোমরা (তা অবশ্যই জ্ঞা৩া ৩আছ যে, তিনি স৩া নবীা ইয়াহদী পণ্ডিত ইবন হায়বানু আবুউমায়র
এবং ইবন হিরাশ আমাদেরকে তার আগমন সম্বন্ধে ইতিপুর্বেই সুসৎবাদ দিয়েছেন ৷৩ তার পরিচয়

জানিয়েছেনা ওরা দু’ জন ইয়াহ্রদী সম্প্রদায়ের অন্য৩ ম প্রধান জ্ঞানী ব্যক্তি ৷ তারা দু’ জন তো
আমাদেরকে মুহাম্মাদ (সা) এর আগমনের প্ৰতীক্ষায় থাকতে বলেছিলেন ৷ এবং৩ তার আবির্ভাব
হলে তার অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছিলেনা৩ তারা দু’ জন আমাদের নিকট এসেছিলেন বায়তুল
মুকাদ্দাস থেকো তারা আমাদেরকে বলেছিলেন, মুহাম্মাদ (না)-কে তাদের পক্ষ থেকে সালাম
জানানোর জন্যে ৷ এরপর তারা দুজন ওই ধর্মমত নিয়ে মারা গেছেনা আমাদের পণ্ডিতগণ
তাদেরকে দাফন করেছেন ৷ আমর ইবন সুদার বক্তব্য শুনে সবাই চুপ মেরে গেল ৷ কেউই কোন
কথা বলল না, এরপর সে তার বক্তাব্যর পুনরাবৃত্তি করলো এবং তাদেরকে যুদ্ধ গ্রেপ্তারী এবং
দেশত্যাগের ভয় ভীতি দেখানা এবার যুবায়র ইবন বাতা মুখ থুলল, সে বলল, আসমানী কিতাব
তাওরাতের কসম বাতার নিকট রক্ষিত মুসা এর উপর নাযিল কৃত তাওরাতে ৩আমি মুহাম্মাদ
(সা) এর পরিচিতি ও গুণাবলী পাঠ করেছি ৷ তবে আমরা মাছানী নামের যে তাওরাত তৈরী
করেছি৩ তাতে ওই সব বর্ণনা নেই ৷ এবার কা ব ইবন আসাদ তাকে বলল, তাহলে আাপনি হে আবু
অ আবদুর রহমান ! ওই নবীর অনুসরণ করছেন না কেন ? সে বলল, নবীর অনুসরণে আমার বাধা

তা হে কাব, আপনি নিজো কাব বলল, তা কেমন করে ? তাওরাতের কলম আমিওো
কখনো আপনার এবং ওই নবীর মাঝখানে অম্ভরায় হইনিা এবার যুবায়র বলল, হা, ঠিক৩াইা


خُرُوجَ ذُلٍّ، وَلَا وَالتَّوْرَاةِ مَا سُلِّطَ هَذَا عَلَى قَوْمٍ قَطُّ لِلَّهِ بِهِمْ حَاجَةٌ، وَقَدْ أَوْقَعَ قَبْلَ ذَلِكَ بِابْنِ الْأَشْرَفِ ذِي عِزِّهِمْ، ثُمَّ بَيَّتَهُ فِي بَيْتِهِ آمِنًا، وَأَوْقَعَ بِابْنِ سُنَيْنَةَ سَيِّدِهِمْ، وَأَوْقَعَ بِبَنِي قَيْنُقَاعَ فَأَجْلَاهُمْ، وَهُمْ أَهْلُ جَدِّ يَهُودَ، وَكَانُوا أَهْلَ عُدَّةٍ وَسِلَاحٍ وَنَجْدَةٍ، فَحَصَرَهُمْ، فَلَمْ يُخْرِجْ إِنْسَانٌ مِنْهُمْ رَأْسَهُ حَتَّى سَبَاهُمْ، وَكُلِّمَ فِيهِمْ، فَتَرَكَهُمْ عَلَى أَنْ أَجْلَاهُمْ مِنْ يَثْرِبَ، يَا قَوْمِ، قَدْ رَأَيْتُمْ مَا رَأَيْتُمْ، فَأَطِيعُونِي وَتَعَالَوْا نَتَّبِعُ مُحَمَّدًا، فَوَاللَّهِ إِنَّكُمْ لَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نَبِيٌّ، قَدْ بَشَّرَنَا بِهِ وَبِأَمْرِهِ ابْنُ الْهَيْبَانِ أَبُو عُمَيْرٍ، وَابْنُ حِرَاشٍ وَهُمَا أَعْلَمُ يَهُودَ، جَاءَانَا يَتَوَكَّفَانِ قُدُومَهُ، وَأَمَرَانَا بِاتِّبَاعِهِ، جَاءَانَا مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَأَمَرَانَا أَنْ نُقْرِئَهُ مِنْهُمَا السَّلَامَ، ثُمَّ مَاتَا عَلَى دِينِهِمَا، وَدَفَنَّاهُمَا بِحَرَّتِنَا هَذِهِ. فَأَسْكَتَ الْقَوْمُ فَلَمْ يَتَكَلَّمْ مِنْهُمْ مُتَكَلِّمٌ، ثُمَّ أَعَادَ هَذَا الْكَلَامَ وَنَحْوَهُ، وَخَوَّفَهُمْ بِالْحَرْبِ وَالسِّبَاءِ وَالْجَلَاءِ. فَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَاطَا: قَدْ وَالتَّوْرَاةِ قَرَأْتُ صِفَتَهُ فِي كِتَابِ بَاطَا ; التَّوْرَاةِ الَّتِي نَزَلَتْ عَلَى مُوسَى لَيْسَ فِي الْمَثَانِي الَّذِي أَحْدَثْنَا. قَالَ: فَقَالَ لَهُ كَعْبُ بْنُ أَسَدٍ: مَا يَمْنَعُكَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ مِنَ اتِّبَاعِهِ؟ قَالَ: أَنْتَ. قَالَ كَعْبٌ: فَلِمَ، وَالتَّوْرَاةِ مَا حُلْتُ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ قَطُّ؟ قَالَ الزُّبَيْرُ: بَلْ أَنْتَ صَاحِبُ عَهْدِنَا وَعَقْدِنَا، فَإِنِ اتَّبَعْتَهُ اتَّبَعْنَاهُ، وَإِنْ أَبَيْتَ أَبَيْنَا. فَأَقْبَلَ عَمْرُو بْنُ سُعْدَى عَلَى
পৃষ্ঠা - ২৮৩২
كَعْبٍ. فَذَكَرَ مَا تُقَاوَلَا فِي ذَلِكَ، إِلَى أَنْ قَالَ كَعْبٌ: مَا عِنْدِي فِي أَمْرِهِ إِلَّا مَا قُلْتُ: مَا تَطِيبُ نَفْسِي أَنْ أَصِيرَ تَابِعًا. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ.
পৃষ্ঠা - ২৮৩৩

আপনি হলেন আমাদের চুক্তি ও অঙ্গীক৷ ৷রে নেতৃন্থানীয় ব্যক্তি ৷ আপনি ওই নবীর অনুসরণ করলে
আমরাও র্তা র অনুসরণ করব ৷ আপনি ত কে প্রত্যাখ্যান করলে আমরাও প্রত্যাখ্যান করব ৷ আমর
ইবন সৃদ৷ কা র এর মুখোমুখি হল এবং ওদের উভয়ের আলোচনার জের ধরে বলল, হে কা র
ওই নবীর অনুসরণের ব্যাপারে আমার বক্তব্য৩ তাই না আপনি বলেছেন যে, “কারো অনুসরণকা ৷রী
ও অনুষঙ্গী হতে আমার মন চায় না ৷” বায়হ৷ কী (র) এটি বর্ণনা করেছেন ৷

বনু লিহয়ান অভিমুখে অভিযান

বায়হাকী দালাইল গ্রন্থে এ ঘটনাটির উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন ইসহাক (রা) হিশাম সুত্রে যিয়াদ
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, খন্দকের যুদ্ধ এবং বনু কুরায়যার যুদ্ধের পরবর্তী দ্বিতীয় বছরের
জুমাদ৷ ল উলা মাসে এই অভিযান সং ঘটিত ৩হয় ৷ এ বংনািটি বায়হাকীর বংনাি ৷র চা ৷ইতে অধিকতর
গ্রহণযোগ্য ৷ আল্লাহ্ই৩াল জানেন ৷ বায়হাকী বলেন, আবু আবদুর হ — — — আহমদ ইবন
আবদুল জাব্বার প্রমুখ বলেছেন, খুবায়ব (রা )ও তা ৷র সা ৷থিপণের শা হাদতের পর বনুলিহ্য়ান গোত্র
থেকে রক্তপণ উসুল করার দাবী নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা থেকে বের হলেন ৷ বাহ্যত তিনি
সিরিয়ার দিকে যাত্রা করলেন ৷ যাতে কেউ বুঝতে না পারে যে, তিনি মুলত: বনু লিহয়ানের
গোত্রের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন ৷ বনু লিহয়ানের হুযায়লের এলাকায় গিয়ে দেখতে পেলেন যে, ওরা
আক্রমণের আশংকায় সতর্কতাস্বরুপ পাহাড়ের চুড়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৷ এ অবস্থায় রাসুলুরাহ্
(সা) বললেন, এখন আমরা যদি উছফা ৷ন অঞ্চলে অবত তরণ করি তাহলে কুরায়শরা মনে করবে যে,
আমরা মক্কা আক্রমণের উদ্দেশ্যে এসেছি, তিনি ২০০ অশ্বারোহী নিয়ে যা ত্রা করলেন ৷ উছফান
অঞ্চলে এসে তিনি র্তাবু খাটালেন ৷ দু’জন অশ্বারোহীকে তিনি প্রেরণ করলেন ৷ তারা কুরা
আল গামীম অঞ্চলে আসে ৷ত তারপর ফিরে যায় ৷

আবুআইয়াশ যুরাকী বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উছফান নামক স্থানে সালাতুল খাওফ বা
ভয় কালীন নামায আদায় করেছিলেন ৷ ইমাম আহমদ (রা) বলেন, আবদুর রাঘৃযাক — ইবন
আইয়াশ বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে উছফান নামক স্থানে ছিলাম ৷ মুশরিকরা
সেখানে আমাদের মুখোমুখি হয় ৷ ওদের নেতৃত্বে ছিল খালিদ ইবন ওয়ালীদ ৷ আমাদের আর
কিবলা ৷র মধ্যস্থানেত তার৷ অবস্থান করছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) আমাদেরকে নিয়ে যুহরের নামায
আদায় করলেন ৷ একই সাথে নামাযরত দেখে মুশরিকগণ বলাবলি করতে লাগলো খনত এমন
একটা সময় ছিল যে, আমরা ওদের উপর অত র্কিতে আক্রমণ করলে ওদেরকে পরাজিত করে
মালপত্র দখল করে নিতে পারতাম,তারা আরো বলল যে, একটু পরে ওদের অপর একটি
নামায়ের সময় আসবে যে নামায ওদের নিকট আ ৷পন প্রাণ এবংঅ আপন পুত্রকন্যার চেয়েও প্রিয় ৷
ওই নামাযে দাড়ালে আমরা ওদের উপর আক্রমণ করব ৷ এই প্রেক্ষাপটে তয়কালীন নামায
সম্পর্কিত কয়েকটি আয়াত নিয়ে যোহর আর আছরের মাঝামাঝি সময়ে হযরত ৩জিবরাঈল (আ )
অবশীর্ণ হলেন ৷ সে আয়াত টি হল, ( ;১াশু৷ ৷ পে৷ ণ্ ণ্স্কএে ণ্ধ্ৰু;ণ্ ;£ ৷ এ ৷ এ) এবং আপনি
যখন ওদের মাঝে অবস্থান করবেন ও তাদের সাথে সালাত কায়েম করবেন তখন তাদের একদল
আপনার সাথে যেন দাড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে ৷ তাদের সিজদা শেষ হলে তারা যেন
আপনাদের পেছনে অবস্থান করে , আর অপর একদল যারা সালাতে শরীক হয়নি তার৷ আপনার

২১ —

[غَزْوَةُ بَنِي لِحْيَانَ] َ الَّتِي صَلَّى فِيهَا صَلَاةَ الْخَوْفِ بِعُسْفَانَ هَاهُنَا ذَكَرَهَا الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ "، وَإِنَّمَا ذَكَرَهَا ابْنُ إِسْحَاقَ فِيمَا رَأَيْتُهُ، مِنْ طَرِيقِ ابْنِ هِشَامٍ، عَنْ زِيَادٍ عَنْهُ، فِي جُمَادَى الْأُولَى مِنْ سَنَةِ سِتٍّ مِنَ الْهِجْرَةِ بَعْدَ الْخَنْدَقِ وَبَنِي قُرَيْظَةَ وَهُوَ أَشْبَهُ مِمَّا ذَكَرَهُ الْبَيْهَقِيُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ وَغَيْرُهُ، قَالُوا: «لَمَّا أُصِيبَ خُبَيْبٌ وَأَصْحَابُهُ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَالِبًا بِدِمَائِهِمْ ; لِيُصِيبَ مِنْ بَنِي لِحْيَانَ غِرَّةً، فَسَلَكَ طَرِيقَ الشَّامِ ; لِيُرَيَ أَنَّهُ لَا يُرِيدُ بَنِي لِحْيَانَ حَتَّى نَزَلَ
পৃষ্ঠা - ২৮৩৪
بِأَرْضِهِمْ، فَوَجَدَهُمْ قَدْ حَذِرُوا وَتَمَنَّعُوا فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ أَنَّا هَبَطْنَا عُسْفَانَ لَرَأَتْ قُرَيْشٍ أَنَّا قَدْ جِئْنَا مَكَّةَ. فَخَرَجَ فِي مِائَتَيْ رَاكِبٍ حَتَّى نَزَلَ عُسْفَانَ ثُمَّ بَعَثَ فَارِسَيْنِ حَتَّى جَاءَا كُرَاعَ الْغَمِيمِ، ثُمَّ انْصَرَفَا، فَذَكَرَ أَبُو عَيَّاشٍ الزُّرَّقِيُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِعُسْفَانَ صَلَاةَ الْخَوْفِ.» وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي عَيَّاشٍ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعُسْفَانَ فَاسْتَقْبَلَنَا الْمُشْرِكُونَ، عَلَيْهِمْ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَهُمْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ، فَصَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظَّهْرَ، فَقَالُوا: قَدْ كَانُوا عَلَى حَالٍ لَوْ أَصَبْنَا غِرَّتَهُمْ. ثُمَّ قَالُوا: تَأْتِي عَلَيْهِمُ الْآنَ صَلَاةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ أَبْنَائِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ. قَالَ: فَنَزَلَ جِبْرِيلُ بِهَذِهِ الْآيَاتِ بَيْنَ الظَّهْرِ وَالْعَصْرِ: {وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ} [النساء: 102] قَالَ: فَحَضَرَتْ، فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذُوا السِّلَاحَ، فَصَفَفْنَا خَلْفَهُ صَفَّيْنِ، ثُمَّ رَكَعَ، فَرَكَعْنَا جَمِيعًا، ثُمَّ رَفَعَ فَرَفَعْنَا جَمِيعًا، ثُمَّ سَجَدَ بِالصَّفِّ الَّذِي يَلِيهِ، وَالْآخَرُونَ قِيَامٌ يَحْرُسُونَهُمْ، فَلَمَّا سَجَدُوا وَقَامُوا جَلَسَ الْآخَرُونَ فَسَجَدُوا فِي مَكَانِهِمْ، ثُمَّ تَقَدَّمَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ، وَجَاءَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ. قَالَ: ثُمَّ رَكَعَ فَرَكَعُوا
পৃষ্ঠা - ২৮৩৫

সাথে যেন সালাতে শরীক হয় ৷ এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে ৷ কাফিরগণ কামনা করে
যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্পর্কে অসতর্ক হও, যাতে তারা তোমাদের
উপর ঝাপিয়ে পড়তে পারে ৷ যদি তোমরা বৃষ্টির জন্যে কষ্ট পাও অথচ পীড়িত থাক তবে তোমরা
অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন দোষ নেই ৷ কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে ৷ আল্লাহর
কাফিরদের জন্যে লাঞ্চুনাদায়ক শাস্তি প্ৰন্তুত করে রেখেছেন ৷ (৪ শ্নিসা ঘ্র ১ : ২) ৷ আসর নামায়ের
সময় হলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নির্দেশে সকলে সশস্ত্র অবস্থায় থাবন্বন্থদ্বপ্ন্ণ্৷ ৷ আমরা তার পেছনে
দু’সারিতে দীড়ালাম ৷ তিনি রুকু করলেন আমরা সকলে র্তার সাথে রুকুতে গেলাম ৷ তিনি রুকু
থেকে মাথা তৃললেন ৷ আমরা সকলে মাথা উঠালাম ৷ তিনি ১ম সারিসরু সিজদায় গেলেন ৷ ২য়
সারি সিজদায় গেলনড়া ৷ তারা দাড়িয়ে দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন ৷ ১ম সারি সিজদা থেকে উঠে
দাড়ালেন ৷ ২য় সারি বসে ওদের জায়গায় সিজদা দিলেন ৷ এবার ১ম সারি গেলেন ২য় সারিতে
আর ২য় সারি গেল ১ম সারিতে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) দ্বিতীয় রাকঅ্যাংতর জন্যে রুকুতে গেলেন ৷
উভয় সারি রুকুতে গেল ৷ তিনি রুকু থেকে মাথা তৃললেন সকলে মাথা তৃললেন ৷ এরপর
এখনকার ১ম সারি সহ তিনি সিজদায় গেলেন ৷ ২য় সারি দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল ৷ ১ম সারি
সিজদা থেকে উঠে বসল ৷ এবার ২য় সারি বসে সিজদাবনত হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সালাম ফিরিয়ে
নামায শেষ করলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভয়কালীন নামায বা সালাতুল থাওফ
দু’বার পড়েছেন, একবার উছফান অঞ্চলে, আরেকবার বনু সুলায়ম গোত্রে ৷

ইমাম আহমদ (র) জুনদার মানসুর থেকে অনুরুপ বংনাি করেছেন ৷ আবুদাউদ (র)
ও নাসায়ী নিজ নিজ সনদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এই হাদীছের সনদদ বুথাবী ও মুসলিমের
শর্ভে উত্তীর্ণ তবে, তারা এটি উদ্ধৃত করেননি ৷ তবে মুসলিম (র) আবু খায়ছামাহ — — — জাৰির
(বা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সাথী হয়ে জুহায়না
সম্প্রদায়ের একটি গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম ৷ সেখানে উভয় পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷
যথাসময়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জামাতের সাথে যুহরের নামায আদায় করেন ৷ এ অবস্থায় কাফিরগণ
বলেছিল , আমরা যদি ওই সময়টুকুতে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়তড়াম তাহলে ওদেরকে ছত্রভঙ্গ ও
পরাজিত করে দিতে পারতাম ৷ তাদের কথোপকথন জিববাঈল (আ) এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
জানিয়ে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা আমাদেরকে অবগত করলেন ৷ তিনি বললেন যে, মুশরিকরা
নিজেদের মধ্যে বলাবনি করেছিল যে, অবিলম্বে মুসলমানদের নিকট আরেকটি নামায়ের সময়,
উপস্থিত হয়ে যে নামায ওদের কাছে নিজ নিজ সন্তান-সম্ভতিদের চাইতেও বেশী প্রিয় ৷ এরপর
হাদীছের অবশিষ্ট অংশ পুর্বের ন্যায় বর্ণনা করেছেন ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী বলেন, হিশাম বর্ণনা করেছেন আবু যুবায়র এর বরাতে জাৰির ইবন
আবদুল্লাহ (বা) থেকে ৷ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক থেজুর বাগানে সাহাবীগণকে নিয়ে
যােহরের নামায আদায় করেছিলেন ৷ মুশরিকরা র্তাদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল ৷
তারপর নিজেরাই বলাবলি করে যে, এ বেলা থাকুক মুসলমানদের আরেকটি নামায আছে এই
নামায়ের পর ৷ সেটি তাদের নিকট নিজেদের সন্তান-সম্ভতি অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় ৷ ওই

নামায়ের সময় আমরা হামলা করব ৷ হযরত জিবরাঈল (আ) অবতীর্ণ হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর


جَمِيعًا، ثُمَّ رَفَعَ فَرَفَعُوا جَمِيعًا، ثُمَّ سَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَالْآخَرُونَ قِيَامٌ يَحْرُسُونَهُمْ، فَلَمَّا جَلَسُوا جَلَسَ الْآخَرُونَ، فَسَجَدُوا ; ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ انْصَرَفَ. قَالَ: فَصَلَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْنِ ; مَرَّةً بِعُسْفَانَ وَمَرَّةً بِأَرْضِ بَنِي سُلَيْمٍ» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ. وَالنَّسَائِيُّ، عَنِ الْفَلَّاسِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ الصَّمَدِ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، وَبُنْدَارٍ، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ مَنْصُورٍ بِهِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ " وَلَمْ يُخْرِجْهُ وَاحِدٌ مِنْهُمَا، لَكِنْ رَوَى مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ أَبِي خَيْثَمَةَ زُهَيْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْمًا مِنَ جُهَيْنَةَ، فَقَاتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَلَمَّا أَنْ صَلَّى الظَّهْرَ قَالَ الْمُشْرِكُونَ: لَوْ مِلْنَا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً لَاقْتَطَعْنَاهُمْ. فَأَخْبَرَ جِبْرِيلُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ، وَذَكَرَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَقَالُوا: إِنَّهُ سَتَأْتِيهِمْ صَلَاةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنَ الْأَوْلَادِ» فَذَكَرَ الْحَدِيثَ كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৮৩৬
عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَصْحَابِهِ الظَّهْرَ بِنَخْلٍ، فَهَمَّ بِهِ الْمُشْرِكُونَ، ثُمَّ قَالُوا: دَعُوهُمْ ; فَإِنَّ لَهُمْ صَلَاةً بَعْدَ هَذِهِ الصَّلَاةِ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ أَبْنَائِهِمْ. قَالَ: فَنَزَلَ جِبْرِيلُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ، فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ الْعَصْرَ، فَصَفَّهُمْ صَفَّيْنِ ; رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، وَالْعَدُوُّ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَبَّرَ وَكَبَّرُوا جَمِيعًا، وَرَكَعُوا جَمِيعًا، ثُمَّ سَجَدَ الَّذِينَ يَلُونَهُ وَالْآخَرُونَ قِيَامٌ، فَلَمَّا رَفَعُوا رُءُوسَهُمْ سَجَدَ الْآخَرُونَ. ثُمَّ تَقَدَّمَ هَؤُلَاءِ وَتَأَخَّرَ هَؤُلَاءِ، فَكَبَّرُوا جَمِيعًا، وَرَكَعُوا جَمِيعًا، ثُمَّ سَجَدَ الَّذِينَ يَلُونَهُ وَالْآخَرُونَ قِيَامٌ، فَلَمَّا رَفَعُوا رُءُوسَهُمْ سَجَدَ الْآخَرُونَ.» وَقَدِ اسْتَشْهَدَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " بِرِوَايَةِ هِشَامٍ هَذِهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْهُنَائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ بَيْنَ ضَجَنَانَ وَعُسْفَانَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ: إِنَّ لِهَؤُلَاءِ صَلَاةً هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَبْنَائِهِمْ - وَهِيَ الْعَصْرُ - فَاجْمَعُوا أَمْرَكُمْ، فَمِيلُوا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً. وَإِنَّ
পৃষ্ঠা - ২৮৩৭

নিকট তা অবহিত করলেন ৷ ফলে তিনি সাহাবীপণকে দু’সারিতে দীড় করিয়ে আসরের নামায
আদায় করলেন ৷ তিনি র্দাড়ালেন সবার সামনে ৷ তার সম্মুখ দিকে শত্রু দল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকবীর-ই তাহরিমা বললেন, সবাই তকবীর বললেন ৷ তিনি রুকু করলেন সবাই রুকুতে
গেলেন ৷ তিনি সিজদায় গেলেন তার সাথে সিজদায় গেল শুধু প্রথম সারি ৷ দ্বিতীয় সারির
লোকজন দাড়িয়ে রইলেন ৷ প্রথম সারি সিজদা থেকে উঠার পর তারা পাহারায় থাকল, ২য় সারি
সিজদায় গেল ৷ এরপর স্থান বদল করে ১ম সারি গেল ২য় সারির স্থানে আর ২য় সারি গেল ১ম
সারির স্থানে ৷ সবাই এক সাথে তাকবীর বলল ৷ সবাই এক সাথে রুকু করল ৷ এরপর এখনকার
১ম সারি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে সিজদায় গেল আর ২য় সারি দাড়িয়ে রইল ৷ সিজদারত সারি
সিজদা শেষে মাথা উঠানাের পর ২য় সারি সিজদায় গেল ৷ বুখড়াবী তার সহীহ গ্রন্থে হিশাম সুত্রে
জাবির (রা ) থেকে বর্ণিত এই হাদীস উল্লেখ করে এর ৷র্দু সালাংচুল খ ওফের ) দলীল পেশ
করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুস সামাদ আবু হুরায়রা (বা ) থেকে বর্ণনা করেন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক সফরে গিয়ে দাজনান ও উছফান স্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী স্থানে র্তাবু খাটালেন ৷
মুশরিকরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল যে, মুসলমানদের এমন একটি নামায আছে যা
তাদের নিকট নিজেদের সত্তানাদি ও তাদের কুমারী কন্যাদের চাইতেও প্রিয়তর ৷ সেটি হল
আসরের নামায ৷ তোমরা প্রস্তুত থাক ৷ ওদের নামাযের সময় একযোগে আক্রমণ চালাবে ৷ এই
পরিস্থিতিতে হযরত জিবরাঈল (আ) এলেন রাসুলুল্লড়াহ্ (সা)-এর নিকট ৷ তিনি সাহাবীপণকে
দৃভাগে ভাগ করিয়ে নামায আদায়ের নির্দেশ দিলেন ৷ এক সারি নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামায আদায়
করবেন ৷ অপর সারি পেছনে দীড়িয়ে পাহারা দেবে ৷ ওরা থাকবে পুর্ণ সতর্ক এবং সাথে থাকবে
অস্ত্রশস্ত্র ৷ ১ম দলের এক রাকঅড়াত শেষে হবার পর ২য় দল নড়ামায়ে এসে র্দাড়াবে রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর সাথে ৷ ১ম দল চলে যাবে ২য় দলের স্থানে এবং পুর্ণ সতর্কতা গ্রহণ ও অস্ত্র-শ্যস্ত্র
সজ্জিত থাকবে ৷ তাহলে প্ররুতব্রক দলের রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে এক রাকআত করে আদায়
করা হবে আর রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হবে দৃরাকআত ৷ (পরে প্রতেব্রক দল নিজেরা এক রাকআত
করে আদায় করে মোট দৃ’রাকআত পুর্ণ করবে) ৷ ইমাম তিরমিযী ও নাসাঈ (র) এই হাদীছ
আবদুস সামাদ থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷ তিরমিযী (বা) বলেছেন, এটি হাসান এবং সহীহ হাদীছ ৷

আমি বলি, বর্ণনাকারী আবু হুরায়রা (রা) যদি উক্ত ঘটনায় উপস্থিত থেকে থাকেন তবে
বলতে হবে যে, এই ঘটনাটি ঘটেছে খায়বার যুদ্ধের পর ৷ নতুবা এটি সাহাবী থেকে বর্ণিত
মুবসড়াল হাদীছ ৷ জমহুর তথা অধিকাৎশ উলামা-ই-কিরামের মতে এ প্রকারের মুবসাল বর্ণনা
দোষাবহ নয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ ইমাম মুসলিমের উদ্ধৃত হযরত জাবির (রা)-এর হাদীছে
এবং আবু দাউদ তড়ায়ালিসীর উদ্ধৃত হাদীছে উছফান অঞ্চলের কথাও নেই থালিদ ইবন ওলীদের
কথাও নেই ৷ তবে স্পষ্ট বুঝা যায় ঘটনা অভিন্ন ৷ তবে বিচার্য বিষয় হল, উছফানের অভিযান
খঃন্দকের যুদ্ধের পুর্বে পরিচালিত হয়েছে না কি পরে পরিচালিত হয়েছে ৷ ইমাম শাফিঈ (ব) প্রমুখ
আলিমপণ বলেছেন যে, সালাতুল থাওফ এর বিধান এসেছে খন্দকের যুদ্ধের পরে ৷ কারণ, খন্দক
যুদ্ধের দিন মুজাহিদগণ যুদ্ধের প্রচণ্ডতার কারণে নির্ধারিত ওয়াক্তের পরে নামায আদায় করেছেন ৷


جِبْرِيلَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَقْسِمَ أَصْحَابَهُ شَطْرَيْنِ، فَيُصَلِّي بِبَعْضِهِمْ، وَتَقُومُ الطَّائِفَةُ الْأُخْرَى وَرَاءَهُمْ وَلِيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ، ثُمَّ تَأْتِي الْأُخْرَى فَيُصَلُّونَ مَعَهُ، وَيَأْخُذُ هَؤُلَاءِ حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ ; لِيَكُونَ لَهُمْ رَكْعَةٌ رَكْعَةٌ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَانِ.» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. قُلْتُ: إِنْ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ شَهِدَ هَذَا، فَهُوَ بَعْدَ خَيْبَرَ وَإِلَّا فَهُوَ مِنْ مُرْسِلَاتِ الصَّحَابِيِّ، وَلَا يَضُرُّ ذَلِكَ عِنْدَ الْجُمْهُورِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَمْ يُذْكَرْ فِي سِيَاقِ حَدِيثِ جَابِرٍ عِنْدَ مُسْلِمٍ وَلَا عِنْدَ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ أَمْرُ عُسْفَانَ وَلَا خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، لَكِنَّ الظَّاهِرَ أَنَّهَا وَاحِدَةٌ. بَقِيَ الشَّأْنُ فِي أَنَّ غَزْوَةَ عُسْفَانَ قَبْلَ الْخَنْدَقِ أَوْ بَعْدَهَا، فَإِنَّ مِنَ الْعُلَمَاءِ - مِنْهُمُ الشَّافِعِيُّ - مَنْ يَزْعُمُ أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ إِنَّمَا شُرِعَتْ بَعْدَ يَوْمِ الْخَنْدَقِ ; فَإِنَّهُمْ أَخَّرُوا الصَّلَاةَ يَوْمَئِذٍ عَنْ مِيقَاتِهَا لِعُذْرِ الْقِتَالِ، وَلَوْ كَانَتْ صَلَاةُ الْخَوْفِ مَشْرُوعَةً إِذْ ذَاكَ، لَفَعَلُوهَا وَلَمْ يُؤَخِّرُوهَا، وَلِهَذَا قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْمَغَازِي: إِنَّ غَزْوَةَ بَنِي لِحْيَانَ الَّتِي صَلَّى فِيهَا
পৃষ্ঠা - ২৮৩৮
صَلَاةَ الْخَوْفِ بُعُسْفَانَ كَانَتْ بَعْدَ بَنِي قُرَيْظَةَ. وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ بِإِسْنَادِهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ قَالَ: «لَمَّا خَرَجَ رسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْحُدَيْبِيَةِ لَقِيَتْهُ بِعُسْفَانَ فَوَقَفْتُ بِإِزَائِهِ وَتَعَرَّضْتُ لَهُ، فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ الظَّهْرَ أَمَامَنَا فَهَمَمْنَا أَنْ نُغِيرَ عَلَيْهِ، ثُمَّ لَمْ يُعْزَمْ لَنَا، فَأَطْلَعَهُ اللَّهُ عَلَى مَا فِي أَنْفُسِنَا مِنَ الْهَمِّ بِهِ، فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ صَلَاةَ الْعَصْرِ صَلَاةَ الْخَوْفِ» . قُلْتُ: وَعُمْرَةُ الْحُدَيْبِيَةِ كَانَتْ فِي ذِي الْقِعْدَةِ سَنَةَ سِتٍّ بَعْدَ الْخَنْدَقِ وَبَنِي قُرَيْظَةَ كَمَا سَيَأْتِي. وَفِي سِيَاقِ حَدِيثِ أَبِي عَيَّاشٍ الزُّرَقِيِّ مَا يَقْتَضِي أَنَّ آيَةَ صَلَاةِ الْخَوْفِ نَزَلَتْ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ يَوْمَ عُسْفَانَ فَاقْتَضَى ذَلِكَ أَنَّهَا أَوَّلُ صَلَاةِ خَوْفٍ صَلَّاهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَنَذْكُرُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، كَيْفِيَّةَ صَلَاةِ الْخَوْفِ وَاخْتِلَافَ الرِّوَايَاتِ فِيهَا فِي كِتَابِ الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ، وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.
পৃষ্ঠা - ২৮৩৯

তখন সালাতুল খাওফের বিধান থাকলে তারা খন্দকের যুদ্ধের দিন নামায বিলম্বিত না করে

সালাতুল খাওফের নিয়মে নামায আদায় করতেন ৷ এ জন্যে কতক যুদ্ধ বিষয়ক ইতিহাসবিদ
বলেছেন যে, বনু লিহয়া ন যুদ্ধ , যে যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উছফান অঞ্চলে য়কালীনভ নামায আদায়
করেছেন ওই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বনু কুরায়যা যুদ্ধের পর ৷

ওয়াকিদী আপন সনদে খালিদ ইবন ওয়ালীদ থেকে বর্ণনা করাে,ছ:ন , তিনি বলেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুদায়বিয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন যে যাত্রায় ওই মাত্রায় উছফান অঞ্চলে আমি
তার মুখোমুখি হই ৷ এবং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিই ৷ তিনি আমদ্দর মুখোমুখি হয়ে
সাহাবীদেরকে নিয়ে যুহরের নামায আদায় করেন ৷ পরের নামাযে আমরা র্ভপ্জাণ্র উপর হামলা করার
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ৷ কিন্তু আমার সিদ্ধ৷ ৷ম্ভ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা তাকে অবহিত করে দেন ৷
ফলেত তিনি তার সাহাবীদেরকে নিয়ে আসরের নামায আদায় করেন সালাতুল খাওফ এর বিধান
অনৃয৷ ৷য়ী ৷

আমি বলি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমর৷ আদায়ের নিয়ব্রুতে হুদায়বিয়৷ পৌছেছিলেন যার সুত্রে
হুদায়বিয়ার সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা ছিল ৬ষ্ঠ হিজরীর যিলকদ মাসে খন্দকের যুদ্ধ ও বনু
কুরায়যার যুদ্ধের পর, এর বিস্তারিত বিবরণ পরে আসবে ৷ অন্যদিকে আবুআইয়াশ যুরাকীর বর্ণনা
থেকে বুঝা যায় যে, ভয়কালীন নামায সম্পর্কিত আয়াতগুলো নাযিল হয়েছে বনু লিহয়ান
অভিযানে উছফান যুদ্ধের দিবসে ৷ এবং এদিনের ভয়কালীন নামায-ই ইতিহাসের প্রথম
ভয়কালীন নামায ৷ আল্লাহ্ইভ ৩াল জানেন ৷ সালাতুল খাওফ এর নিয়ম কানুন ও এত তদসম্পর্কিত
বিভিন্ন বর্ণনা আমরা ইন্শা আল্লাহ “কিতাবুল আহকামুল কাবীর” গ্রন্থে উল্লেখ করব ৷ সকল
নির্ডরত৷ আল্লাহর উপর ৷

যাতুর বিকা অভিযান

ইবন ইসহাক বলেন, বনু নাযীর যুদ্ধের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) রবিউল আউয়াল, রবিউছ ছানী
এবং জুমাদাল উলা মাসের কয়েক দিন মদীনায় অবস্থান করেন ৷ তারপর নজদ অঞ্চলের দিকে
যাত্রা করেন ৷ পাতফান গোত্রের বনু মুহাবির ও বনু ছালাব৷ উপগাে ৷ত্রদ্বয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার
জন্যেই তিনি এ অভিযানে বের হয়েছিলেন ৷ এ সময়ে মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত করে যান হযরত
আবু যারর পিফ৷ রী (রা) কে ৷ ইবন হিশাম বলেন, কারো কারো মতে, তখন উছমান ইবন
আফ্ফান (রা)-কে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে পথ চলতে চলতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এক খেজুর
বাগানে এসে শিবির স্থাপন করেন ৷ এই যুদ্ধ যাতুর বিকা নামে পরিচিত ৷ এই নামের যৌক্তিকতা
সম্বন্ধে ইবন হিশাম “বলেন, মুজাহিদগণ টুকরো টুকরো কা ৷পড় জোড়া দিয়ে তাদের পতাকা ৷তৈরী
করেছিলেন বলে ওই যুদ্ধ যাতুর “বিকা জোড়াত তালি বিশিষ্ট যুদ্ধ” নামে প্রসিদ্ধ ৷ কেউ কেউ
বলেন, ওখানে যাতুর বিকা ৷নামে একটি গাছ ছিল বলে সেটি যাতুর বিকা ৷যুদ্ধ নামে পরিচিত
হয়েছে ৷ ওয়াকিদী বলেন, ওখানে একটি পাহাড় ছিল ৷ সেটির কিছু অংশ ছিল লাল কিছু অংশ কাল
এবং কিছু অংশ ছিল সাদা ৷ বিভিন্ন রংয়ের সমন্বিত রুপ ছিল বলে পাহাড়টির নাম ছিল যাতুর


[غَزْوَةُ ذَاتِ الرِّقَاعِ] [سَبَبُ تَسْمِيَةِ الْغَزْوَةِ بِهَذَا الْاسْمِ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ بَعْدَ غَزْوَةِ بَنِي النَّضِيرِ شَهْرَيْ رَبِيعٍ وَبَعْضَ جُمَادَى، ثُمَّ غَزَا نَجْدًا يُرِيدُ بَنِي مُحَارِبٍ وَبَنِي ثَعْلَبَةَ مِنْ غَطْفَانَ وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ أَبَا ذَرٍّ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَيُقَالُ: عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَسَارَ حَتَّى نَزَلَ نَخْلًا وَهِيَ غَزْوَةُ ذَاتِ الرِّقَاعِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: لِأَنَّهُمْ رَقَّعُوا فِيهَا رَايَاتِهُمْ، وَيُقَالُ: لِشَجَرَةٍ هُنَاكَ اسْمُهَا ذَاتُ الرِّقَاعِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: بِجَبَلٍ فِيهِ بُقَعٌ حُمْرٌ وَسُودٌ وَبِيضٌ. وَفِي حَدِيثِ أَبِي مُوسَى: «إِنَّمَا سُمِّيَتْ بِذَلِكَ لِمَا كَانُوا يَرْبُطُونَ عَلَى أَرْجُلِهِمْ مِنَ الْخِرَقِ مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَقِيَ بِهَا جَمْعًا مِنْ غَطَفَانَ فَتَقَارَبَ النَّاسُ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمْ حَرْبٌ، وَقَدْ خَافَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، حَتَّى صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ صَلَاةَ الْخَوْفِ. وَقَدْ أَسْنَدَ ابْنُ هِشَامٍ حَدِيثَ صَلَاةِ الْخَوْفِ هَاهُنَا عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৮৪০
سَعِيدٍ التَّنُّورِيِّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، وَعَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ. وَلَكِنْ لَمْ يَذْكُرْ فِي هَذِهِ الطُّرُقِ غَزْوَةَ نَجْدٍ وَلَا ذَاتِ الرِّقَاعِ وَلَمْ يَتَعَرَّضْ لِزَمَانٍ وَلَا مَكَانٍ. وَفِي كَوْنِ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ - الَّتِي كَانَتْ بِنَجْدٍ لِقِتَالِ بَنِي مُحَارِبٍ وَبَنِي ثَعْلَبَةَ بْنِ غَطَفَانَ - قَبْلَ الْخَنْدَقِ نَظَرٌ. وَقَدْ ذَهَبَ الْبُخَارِيُّ إِلَى أَنَّ ذَلِكَ كَانَ بَعْدَ خَيْبَرَ وَاسْتَدَلَّ عَلَى ذَلِكَ، بِأَنَّ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ شَهِدَهَا، كَمَا سَيَأْتِي، وَقَدُومُهُ إِنَّمَا كَانَ لَيَالِيَ خَيْبَرَ صُحْبَةَ جَعْفَرٍ وَأَصْحَابِهِ، وَكَذَلِكَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَقَدْ قَالَ: «صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ نَجْدٍ صَلَاةَ الْخَوْفِ.» وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهَا بَعْدَ الْخَنْدَقِ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ إِنَّمَا أَجَازَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْقِتَالِ أَوَّلَ مَا أَجَازَهُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ. وَقَدْ ثَبَتَ عَنْهُ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّهُ قَالَ: غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ نَجْدٍ. فَذَكَرَ صَلَاةَ الْخَوْفِ. وَقَوْلُ الْوَاقِدِيِّ: إِنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ خَرَجَ إِلَى ذَاتِ الرِّقَاعِ فِي أَرْبَعِمِائَةٍ، وَيُقَالُ: سَبْعِمِائَةٍ، مِنْ أَصْحَابِهِ لَيْلَةَ السَّبْتِ، لِعَشْرٍ خَلَوْنَ مِنَ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ خَمْسٍ. فِيهِ نَظَرٌ، ثُمَّ لَا يَحْصُلُ بِهِ نَجَاةٌ مِنْ أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ إِنَّمَا شُرِعَتْ بَعْدَ الْخَنْدَقِ ; لِأَنَّ الْخَنْدَقَ كَانَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ عَلَى الْمَشْهُورِ
পৃষ্ঠা - ২৮৪১
وَقِيلَ: فِي شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ. فَتَحَصَّلَ عَلَى هَذَا الْقَوْلِ مَخْلَصٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ فَأَمَّا حَدِيثُ أَبِي مُوسَى، وَأَبِي هُرَيْرَةَ فُلَا.
পৃষ্ঠা - ২৮৪২


রিকা ৷ হযরত আবু মুসা আশআরী (রা)-এর হাদীছে আছে যে, ওই অভিযানে প্রচণ্ড তাপ ও
গরমের কারণে মুজাহিদগণ পায়ে কাপড়ের টুকরা ও পট্টি বেধেছিলেন বলে ওই যুদ্ধকে যাতুর
রিকা বলা হয় ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মুসলিম বাহিনী ওই স্থানে গিয়ে গাতফান গোত্রীয় শত্রুদের মুখোমুখি
হয় ৷ পরস্পর একে অন্যের উপর আক্রমণ করার উপক্রম হয় ৷ তবে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ সংঘটিত
হয়নি ৷ উভয় পক্ষ একে অন্যকে ভয় পেয়েছিল ৷ ওখানে রাসৃভুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীগণকে নিয়ে
সালাতুল খাওফ আদায় করেন ৷
ইবন হিশাম (র) সালাতুল খাওফ এর হাদীছটি আবদুল ওয়ারিছ জাবির (না) থেকে
এবং আবদুল ওয়ারিছ ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এই হাদীছে নজদের
যুদ্ধ কিৎব৷ যাতুর রিকা যুদ্ধ কােনটাই উল্লেখ করেননি ৷ তেমনি এই ঘটনার সময়-স্থান কিছুই
উল্লেখ করেননি ৷ অবশ্য গাতফান গোত্রের বনুমুহারিব ও ন্ধ্রনু ছালাবাকে শায়েস্তা করার জনেবু
পরিচালিত যাতুর রিকা যুদ্ধ যদি খন্দকের যুদ্ধের পুর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলা হয় তবে তা প্ৰশ্নাতীত
নয় ৷ বুখারী বলেছেন যে, যাতুর বিকা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে থায়বার যুদ্ধের পর ৷ তিনি এভাবে
দলীল পেশ করেছেন যে, হযরত আবুমুসা আশআরী (বা) ওই ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন ৷ অথচ
আবু মুসা আশআরী (বা) হযরত জাফর ও অন্যান্যদের সাথে মদীনায় এসে উপস্থিত হন খায়বার
যুদ্ধের সময়ে ৷ অনুরুপ একটি দলীল হল হযরত আবু হুরায়র৷ (রা)-এর হাদীছ ৷ তিনি বলেছেন
নজদ অঞ্চলে আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে সালাতুল খাওফ আদায় করেছি৷ এছাড়া যাতুর
বিক৷ যুদ্ধ যে খন্দক যুদ্ধের পরে হয়েছে৩ তার একটি দলীল হযরত ইবন উমার ও এর হাদীছ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে যুদ্ধ করার প্রথম অনুমতি দেন খায়বারের যুদ্ধে ৷ ইবন উমার (বা) থেকে
বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত আছে তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথী হয়ে নজ্বদের যুদ্ধে
ৎশ নিয়েছি ৷ এ প্রসংগে তিনি সালাতু ল খাওফের ঘটনা বর্ণনা ৷করেন ৷ ওয়াকিদী বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ৪০০ কিহুব৷ ৭০০ মুজাহিদ নিয়ে ৫ম হিজরীর মুহাররম মাসের ১০ তারিখ
শনিবার রাতে যাতুর বিকা এ-র উদ্দেশ্যে৷ যা ত্রা করেছিলেন৩ ৷ত ৷র এই বক্তব্য আলোচনা সাপেক্ষ ৷
সালাতুল খাওফ খন্দকের যুদ্ধের পর বিধিবদ্ধ হয়েছে শুধু এটুকু বলে উপরোক্ত সমস্যা থেকে
মুক্তি পাওয়া যাবে না ৷ কারণ, খন্দকের যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রসিদ্ধ ম৩ তানুসারে ৫ম হিজরীর
শাওয়াল মাসে ৷ কেউ বলেছেন, খন্দকের যুদ্ধ হয়েছিলেন : র্থ হিজয়ী সনে ৷ এই ব্যাখ্যানুসারে
ইবন উমার (রা)-এর হাদীছের প্রশ্নের সমাধা হয়; কিন্তু আবু মুসা (রা) ও আবু হুরায়র৷ (রা) এর
হাদীছ থেকে উদ্ধৃত সমস্যার সমাধান হয় না ৷

গাওরাছ ইবন হারিছের ঘটনা

যাতুর রিকা যুদ্ধ প্রসংগে ইবন ইসহাক বলেন, আমর ইবন উবায়দ — জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (বা) থেকে বর্ণিত ৷ বনু ঘুহারিব গোত্রের এক লোক তার নাম ছিল পাওরাছ ৷ সে তার
স্বীয় সম্প্রদায় পাতফান ও মুহারিব গোত্রকে বলেছিল অ মি কি তোমাদের পক্ষ থেকে মুহাম্মাদ
(সা) কে হত্যা করব ? ওরা বলল, ই৷ তুমি তাই করবে, তবে কীভ৷ ৷বে তুমি তা করবে ? সে
বলল, আমি কুট কৌশলের আশ্রয় নিয়ে৩ তাকে হত্যা করব ৷ বর্ণনাকারী বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)


[قِصَّةُ غَوْرَثِ بْنِ الْحَارِثِ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ «أَنَّ رَجُلًا مِنَ بَنِي مُحَارِبٍ يُقَالُ لَهُ: غَوْرَثٌ. قَالَ لِقَوْمِهِ مِنْ غَطَفَانَ وَمُحَارِبٍ: أَلَا أَقْتُلَ لَكُمْ مُحَمَّدًا؟ قَالُوا: بَلَى، وَكَيْفَ تَقْتُلُهُ؟ قَالَ: أَفْتِكُ بِهِ. قَالَ: فَأَقْبَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ، وَسَيْفُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حِجْرِهِ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَنْظُرُ إِلَى سَيْفِكَ هَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ. فَأَخَذَهُ فَاسْتَلَّهُ ثُمَّ جَعَلَ يَهُزُّهُ وَيَهُمُّ، فَيَكْبِتُهُ اللَّهُ. ثُمَّ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَمَا تَخَافُنِي؟ قَالَ: لَا، وَمَا أَخَافُ مِنْكَ؟ قَالَ: أَمَا تَخَافُنِي وَفِي يَدِي السَّيْفُ؟ قَالَ: لَا، يَمْنَعُنِي اللَّهُ مِنْكَ. ثُمَّ عَمَدَ إِلَى سَيْفِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَدَّهُ عَلَيْهِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ:» {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ هَمَّ قَوْمٌ أَنْ يَبْسُطُوا إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ فَكَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ} [المائدة: 11] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ رُومَانَ أَنَّهَا إِنَّمَا نَزَلَتْ فِي عَمْرِو بْنِ
পৃষ্ঠা - ২৮৪৩

একটি গাছের ছায়ায় বসা ছিলেন ৷৩ তার তরবারিটি ছিল তার কোলে ৷ সে বলল, হে মুহাম্মাদ !
আমি কি আপনার তরবারিটি দেখতে পারি ? রালুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হা, দেখতে পার ৷ সে
তরবারিটি হাতে নিল এবং সেটি নাড়৷ চাড়া করতে লাগল ৷ আল্লাহ তাকে অপদস্ত করলেন ৷ সে
বলল, হে মুহাম্মাদ ! আ ৷পনি কি এখন আমাকে ভয় পান না ? তিনি বলরুদ্ব ৷ন, না ৷ আমি তোমাকে
ভয় পাচ্ছি না ৷ সে বলল, আশ্চর্য, আমার হাতে তরবারি রয়েছে তবু আপনি আমাকে ভয় করছেন
না ৷ তিনি বললেন, না, মোটেই ভয় পাচ্ছি না ৷ মহান আল্লাহ তোমার হাত থেকে আমাকে রক্ষা

করবেন ৷ এরপর সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তরবারি তাকে ফেরত দেয় , এ প্ৰসংপে আল্লাহ
তাআলা নাযিল করলেন ৰু’


ধ্ণ্,ন্ন্ ৷
“হে মু মিনগণ তোমাদের প্রতি ৩আল্লাহ্র অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন এক সম্প্রদায় তোমাদের
বিরুদ্ধে হস্ত উত্তোলন করতে ৩চেয়েছিল ৷ তখন আল্লাহ্ তাদের হাত সষ্ যত করেছিলেন এবং
আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ আর মু মিনদের অ ৷ল্লাহ্র উপরই নির্জা করা ব ৷ঞ্চুনীয় (৫ মায়িদ৷ : ১১) ৷
ইবন ইসহাক বলেন ইয়াযীদ ইবন রুমান আমাকে জানিয়েছেন যে, উক্ত আয়াত নাযিল
হয়েছিল বনু নাযীর গোত্রের আমর ইবন জাহ্হাশ ও তার যড়যন্ত্রমুলক পরিকল্পনা উপলক্ষে ৷
এভাবে ইবন ইসহ ক গাওর৷ ৷ছের ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন ণ্গামরাহ ফিরকাহ্ কাদরিয়্যা ৷হ্ সম্প্রদায়ের
নেতা আমর ইবন উবায়দ কাদারী থেকে ৷ হাদীছে মিথ্যাচারের অভিযোগে সে অভিযুক্ত না হলেও
যেহেতু সে একটি বিদআতের অনুসরণক৷ ৷রী এবং মানুষকে সেদিকে আহ্বানকারী সেহেতু তার
থেকে হাদীছ বর্ণনা করা ৷উচিত নয় ৷ অবশ্য তা ৷লোচ্য হাদীছ৩৷ার নিকট থেকে বংনাি হওয়া ছাড়াও
অন্যান্য সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷ সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মৃসলিমে এই হাদীছ রয়েছে ৷ সকল প্রশংসা
আল্লাহর, হাফিয় বায়হাকী (র) বিভিন্ন স্থান থেকে এই হাদীছের একাধিক সনদ উল্লেখ করেছেন ৷
সহীহ্বুখারী ও সহীহ্ মুসলিংম এটি বর্ণিত হয়েছে যুহরী জাবির (রা) সুত্রে ৷ হযরত জাবির
(রা) বলেছেন, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এব সাথে নজদ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷ যুদ্ধ শেষে
মদীনায় ফেরার পথে তার খুবই তন্দ্র৷ পায় ৷ ন্থানটি ছিল বড় বড় কাটা বিশিষ্ট বৃক্ষরাজিতে পরিপুর্ণ ৷
সাহারা-ই-কিরাম বিভিন্ন বৃক্ষের ছায়ায় গিয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে
একটি গাছের ছায়ায় বিশ্রামরত ছিলেন ৷ তার তরবারি ঝুলানাে ছিল ওই গাছের সাথে ৷ হযরত
জাবির (বা) বলেন, আমরা সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলাম ৷ হঠাৎ শুনতে পাই যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাদেরকে ডাকছেন ৷ আমরা ত ৷র ৷নিকট এলাম ৷ সেখানে দেখতে পেলাম একজন আরব
বেদুঈন বসে রয়েছে ৷ র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এই বেদুঈন লোক আমার র৩বাবিটি কো ষমুক্ত
করেছিল ৷ আমি ছিলাম ঘুমম্ভ ৷ ঘুম থেকে জেগে দেখি তার হাতে আমার মা পমুক্ত তরবারি, :স
আমাকে লক্ষ্য করে বললাে , আমার হাত থেকে এখন আপনাকে কে রক্ষ৷ করবে ? আমি বললাম,
“রক্ষা করবেন আল্লাহ ৷ ” সে আবার বলল, আপনাকে রক্ষ৷ করবে কে ? আমি বললাম, রক্ষা
করবেন আল্লাহ ৷ এবার সে তরবারিটি খাপবদ্ধ করে বসে পড়ে ৷ সে এত গুরুতর অপরাধ করা
সত্বেও রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে কোন শাস্তি দেননি ৷


جَحَّاشٍ أَخِي بَنِي النَّضِيرِ وَمَا هَمَّ بِهِ. هَكَذَا ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ غَوْرَثٍ هَذَا، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُبَيْدٍ الْقَدَرِيِّ رَأْسِ الْفِرْقَةِ الضَّالَّةِ، وَهُوَ وَإِنْ كَانَ لَا يُتَّهَمُ بِتَعَمُّدِ الْكَذِبِ فِي الْحَدِيثِ، إِلَّا أَنَّهُ مِمَّنْ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُرْوَى عَنْهُ؛ لِبِدْعَتِهِ وَدُعَائِهِ إِلَيْهَا، وَهَذَا الْحَدِيثُ ثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. فَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ هَاهُنَا طُرُقًا لِهَذَا الْحَدِيثِ مِنْ عِدَّةِ أَمَاكِنَ، وَهِيَ ثَابِتَةٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سِنَانِ بْنِ أَبِي سِنَانٍ، وَأَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ أَنَّهُ «غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ نَجْدٍ، فَلَمَّا قَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَدْرَكَتْهُ الْقَائِلَةُ فِي وَادٍ كَثِيرِ الْعِضَاهِ، فَتَفَرَّقَ النَّاسُ يَسْتَظِلُّونَ بِالشَّجَرِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ ظِلِّ شَجَرَةٍ، فَعَلِقَ بِهَا سَيْفُهُ، قَالَ جَابِرٌ: فَنِمْنَا نَوْمَةً فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُونَا، فَأَجَبْنَاهُ، وَإِذَا عِنْدَهُ أَعْرَابِيٌّ جَالِسٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ هَذَا اخْتَرَطَ سَيْفِي وَأَنَا نَائِمٌ، فَاسْتَيْقَظْتُ وَهُوَ فِي يَدِهِ صَلْتًا، فَقَالَ: مَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي؟ قُلْتُ: اللَّهُ، فَقَالَ: مَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي؟ قُلْتُ: اللَّهُ، فَشَامَ السَّيْفَ وَجَلَسَ» وَلَمْ يُعَاقِبْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ فَعَلَ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ২৮৪৪


মুসলিম (র) বর্ণনা করেছেন, আবু বকর ইবন আবুশায়বা জাবির (বা) থেকে ৷ তিনি
বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সফরে বের হলাম, যাতুর রিকা নামক স্থানে এসে
পৌছলাম আমরা ৷ আমাদের নিয়ম ছিল যে, কোন ছায়াময় বৃক্ষ পেলে সেটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
জন্যে ছেড়ে দিতাম ৷ তিনি ওই ছায়ায় বিশ্রাম নিতেন ৷ এই যাত্রায় তিনি ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ৷
সেখানে উপস্থিত হয় জনৈক মুশরিক ব্যক্তি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তরবারিটি গাছের সাথে ঝুলানো
ছিল ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তরবারিটি হাতে তুলে নিয়ে <ব্রুকাষমুক্ত করে এবং ওই খোলা
তরবারি উচিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলে, আপনি কি আমাকে ভয় পাচ্ছেন ? তিনি উত্তর দিলেন,
না ৷ ভয় পাচ্ছি না ৷ সে বলল, আমার হাত থেকে এখন আপনাকে কে রক্ষা করবে ? তিনি
বললেন, আমাকে রক্ষা করবেন, আল্লাহ ৷ এমতাবস্থায় সাহাবীগংং এসে তাকে ধমক দেন এবং
সে কােষবদ্ধ করে তরবারিটি ঝুলিয়ে রাখে ৷ বংনািকাবী বলেন , তখন নামাষের আমান দেওয়া
হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদল সাহাবীকে সাথে নিয়ে দু’রাকঅক্তে নামায আদায় করলেন ৷ এরপর

তিনি এ দলকে সাথে নিয়ে দু রাকাআত আদায় করলেন ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর : রাকআত
পুর্ণ হল আর প্ৰতেব্রক দলের হল ২ রাকআত ২ রাকআত করে ৷ ইমাম বুখারী (র) জোরালো শব্দ
ব্যবহার করে এই হাদীছ সনদ বিহীনভাবে আবান সুত্রে বপ্টা৷ করেছেন ৷

বুথারী বলেন, মুসাদ্দাদ আবু আওয়ানা থেকে বর্ণিত যে ওই মুশরিক ব্যক্তির নাম
ছিল গাওরাছ ইবন হারিছ ৷ বায়হাকী (র) আবু আওয়ানড়াহ্ জাবির (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, এক খেজুর বাগান অঞ্চলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুহারিব ও গাতফান
গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করেন ৷ শত্রুপক্ষ কৌশলে ও প্রতারণা করে
মুসলমানদেরকে পরাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, পাওরাছ ইবন হারিছ নামে তাদের জনৈক ব্যক্তি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসে হাতে তরবারি নিয়ে ৷ সে বলল, আমার হাত থেকে এখন
আপনাকে রক্ষা করবেন কে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমাকে রক্ষা করবেন আল্লাহ ৷ একথা
শুনে তার হাত থেকে তরবারি খসে পড়ল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই তরবারি হাতে নিয়ে বললেন,
এবার আমার হাত থেকে তোমাকে রক্ষা করবে কে ? সে বলল, “আপনি সর্বোত্তম তরবারি
ধারণকারী হোন ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কি এ সাক্ষ্য দিয়ে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন
ইলাহ্ নেই ? সে বলল, না ৷ তবে আমি অঙ্গীকার করছি যে, আমি কখনও আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করব না এবং যারা আপনার বিরংদ্ধে যুদ্ধ করবে আমি ৩াপের দলে থাকর না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে ছেড়ে দিলেন ৷ সে ফিরে গেল তার সাথীদের নিবল্ট ৷ সে বলল, আমি এখন সর্বশ্রেষ্ঠ
মানুষটির নিকট থেকে এসেছি ৷ এরপর বর্ণনকোরী যাতুর রিকা অঞ্চলে সালাতুল খাওফ আদায়ের
ঘটনা বপ্টা৷ করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) উভয় দলকে সাথে নিয়ে দু রাকআত করে নামায আদায়
করেছেন ৷ ফলে ওদের হল দু’রাকআত করে আর তার হল চার রাকআত ৷



বড়ায়হাকী (র) যাতুর রিকা অঞ্চলে সালাতুল খাওফ আদায়ের ঘটনা বর্ণনা করেছেন সালিহ্
ইবন খাওয়াত ইবন জুবায়র সুত্রে সাহ্ল ইবন আবু হাছামাহ থেকে ৷ তিনি সালিম সুত্রে তার পিতা


وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ أَبَانٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِذَاتِ الرِّقَاعِ وَكُنَّا إِذَا أَتَيْنَا عَلَى شَجَرَةٍ ظَلِيلَةٍ تَرَكْنَاهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَهُ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَسَيْفُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُعَلَّقٌ بِشَجَرَةٍ، فَأَخَذَ سَيْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاخْتَرَطَهُ، وَقَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَخَافُنِي؟ قَالَ: لَا، قَالَ: فَمَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي؟ قَالَ: اللَّهُ يَمْنَعُنِي مِنْكَ. قَالَ: فَتَهَدَّدَهُ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَغْمَدَ السَّيْفَ وَعَلَّقَهُ. قَالَ: وَنُودِيَ بِالصَّلَاةِ، فَصَلَّى بِطَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ تَأَخَّرُوا وَصَلَّى بِالطَّائِفَةِ الْأُخْرَى رَكْعَتَيْنِ. قَالَ: فَكَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ وَلِلْقَوْمِ رَكْعَتَانِ.» وَقَدْ عَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ بِصِيغَةِ الْجَزْمِ، عَنْ أَبَانٍ بِهِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ مُسَدَّدٌ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ: إِنَّ اسْمَ الرَّجُلِ غَوْرَثُ بْنُ الْحَارِثِ. وَأَسْنَدَ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «قَاتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَارِبَ خَصَفَةَ بِنَخْلٍ، فَرَأَوْا مِنَ الْمُسْلِمِينَ غِرَّةً، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: غَوْرَثُ بْنُ الْحَارِثِ.
পৃষ্ঠা - ২৮৪৫
حَتَّى قَامَ عَلَى رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالسَّيْفِ، وَقَالَ: مَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي؟ قَالَ: اللَّهُ. فَسَقَطَ السَّيْفُ مِنْ يَدِهِ، فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّيْفَ وَقَالَ: مَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي؟ فَقَالَ: كُنْ خَيْرَ آخِذٍ. قَالَ: تَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ أُعَاهِدُكَ عَلَى أَنْ لَا أُقَاتِلَكَ وَلَا أَكُونَ مَعَ قَوْمٍ يُقَاتِلُونَكَ. فَخَلَّى سَبِيلَهُ، فَأَتَى أَصْحَابَهُ، فَقَالَ: جِئْتُكُمْ مِنْ عِنْدِ خَيْرِ النَّاسِ.» ثُمَّ ذَكَرَ صَلَاةَ الْخَوْفِ، وَأَنَّهُ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، بِكُلِّ طَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْبَيْهَقِيُّ هُنَا طُرُقَ صَلَاةِ الْخَوْفِ بِذَاتِ الرِّقَاعِ عَنْ صَالِحِ بْنِ خُوَّاتِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ وَحَدِيثَ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ فِي صَلَاةِ الْخَوْفِ بِنَجْدٍ وَمَوْضِعُ ذَلِكَ كِتَابُ " الْأَحْكَامِ ". وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ২৮৪৬

থেকে বর্ণিত নজদ অঞ্চলে সালাতুল খাওফ আদায় সম্পর্কিত যুহরীর হাদীছটিও উল্লেখ করেছেন ৷
এগুলো আবুলাচনার উপযুক্ত স্থান হল “কিতাবুল আহকাম” আল্লাইে ভাল জানেন ৷

এ অভিযানে এক সাহাবীর ইবাদতে একাগ্রত৷ ও একটি পাথী ডাকার ঘটনা

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ববুলন, আমার চাচা সাদাকা ইবন ইয়াসার জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ ৷’সা) এর সাথী হয়ে যাতুর
বিকা অভিযানে বের হলাম ৷ যা তুর রিকা অঞ্চলটি ছিল প্রচুর থেজুর বৃক্ষ বিশিষ্ট ৷ জনৈক সাহাবী
এক মৃশ ৷বিকের ত্রীবুক বন্দী করেন ৷ অভিযান শেষে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মদীনার উদ্দেশ্যে ফিরতি
যাত্রা করবুলন তখন ওই মুশ ৷রিক ব্যক্তি বাড়ী আসে ৷ মহিলাটিকে বন্দী করার সময় সে বাড়ী
ছিলনা ৷ বাড়ীতে এসে সে তার ত্রী বন্দী হবা র ৷যটনা শুনতে পড়ায় ৷ সে শপথ করে বলে যে, ঘটনার
প্ৰতিবুশাধ হিসেবে সে ঘুহ ৷ষ্মাদ (সা) এর সা ৷হাবীদের মধ্যে কারো ন ৷ কারো রক্তপাত ঘটাবে ৷ সে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পদচিহ্ন অনুসরণ করে অগ্রসর হয় ৷ এদিকে রাসৃলুল্লাহ্ (সা) এক জায়গায়
এসে শিবির স্থাপন করেন ৷ সাহাবীগবুণর উদ্দেশে তিনি বললেন বুক আছ আজ রাতে
আমাদেরকে পাহ৷ ৷রা দিবুব ? সাথে সাথে একজন মুহাজির ও একজন আনসারী সাহাবী বললেন,
ইয়া রাসুলা ল্লাহ্ (সা) আমরা পাহার৷ দেব ৷ তিনি নির্দেশ দিয়ে বললেন, তবুব বুত তামর৷ গিরিপবুথর
প্রবেশ দ্ব৷ রে গিয়ে অবন্থ ন গ্রহণ কর ৷ সাহাবী দুজন ছিলেন আম্মা র ইবন ইয়াসির ও আব্বাদ ইবন
ৰিশৃর ৷ গিবিপবুথর প্রবেশ দ্বাবুর গিয়ে আনসারী সাহাবী তার মুহাজির ভাইটিকে বললেন, আপনি
রাতের কোন অংশে বিশ্রাবুমর সুযোগ বুনবুবন আর আমি দায়িতৃ পালনকরব ? ঘুহাজির সাহাবী
তখন বললেন, রাতের প্রথম অ শে আপনি আমাকে বিশ্রাবুমর সুযোগ দেবেন ৷ত তারপর তিনি
ঘুমিয়ে পড়লেন ৷ আনসারী সাহাবী নামায়ে দাড়াবুলন ৷ উক্ত মুশবিক ব্যক্তি সেখানে এসে পৌছে ৷
নামাযরত সাহাবী দেবুখ সে বুঝে নিয়েছিল যে এ ব্যক্তি পাহারাদার ৷ সে তাকে লক্ষ্য করেত তীর
নিক্ষেপ করে ৷ তীর তার গায়ে বিদ্ধ হয় ৷ তিনি দেহ থেকে ভীরটি খুবুল ফেলে দেন এবং
নামাবুযই দ৷ ৷ড়িবুয় থাবুকন ৷ ওই ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় বার ভীর নিক্ষেপ করে ৷ ভীরটি
সাহাবীর দেবুহ বিদ্ধ হয় ৷ এবারও তিনি ভীর থুবুল পাশে বুরবুখ দিবুলন এবং যথারীতি দ ডিবুয
নামায আদায় করতে থাকলেন ৷ মুশবিক ব্যক্তিটি র্তাকে লক্ষ্য কবুরত তস্বীয় বার ভীর নিক্ষেপ
করল ৷ বুসঢি তার শরীরে বিদ্ধ হল ৷ এবারও তিনি ভীরটি খুবুল পাশে রেবুখ দেন ৷ এবং নিয়ম
মাফিক রুকু সিজদা ৷কবুর নামায শেষ করেন ৷ তারপর তার সাথী আনসারী সাহাবীকে ঘুম থেকে
তুলে বলবুলন, উঠুন , আমি আমার দায়িত্ব পালন কবুরছি ৷ তাদের দুজনবুক কথা বলতে দেবুখ
মুশরিক ব্যক্তি ধারণা করে যে, তারা তাকে ধরার জবুন্য পরামর্শ করবুছন ৷ সে দ্রুত পালিয়ে যায় ৷
যখন আনসারী সাহাবী দেখলেন যে, মুহাজির সাহাবীর দেহ থেকে রক্ত ঝরবুছ ৷ তখন তিনি
বলবুলন, সুবহানাল্লাহ! আপনি আমাকে প্রথম ভীর বিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে ঘুম থেকে জাগাননি
কেন ? মুহাজির সাহাবী বলবুলন, আমি একটি বিশেষ সুরা পাঠ করছিলাম ৷ সুরাটি শেষ না করে
তিলাওয়াত ছেড়ে দিবুত আমার মন চায়নি ৷ কিন্তু সে যখন বার বার ভীর নিক্ষেপ করছিল তখন
আমি রুকু সিজদার মাধ্যমে নামায বুশষ করি ৷ আল্লাহর কসম ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে গিবিপথ
পাহারার দায়িতৃ দিয়েছিলেন তা পালনে ত্রুটি হবার আশং ৷ না থাকবুল আমি নামায পড়েই যেতাম


[قِصَّةُ الَّذِي أُصِيبَتِ امْرَأَتُهُ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ] قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَمِّي صَدَقَةُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ عَقِيلِ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ مِنْ نَخْلٍ، فَأَصَابَ رَجُلٌ امْرَأَةَ رَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَافِلًا، أَتَى زَوْجُهَا وَكَانَ غَائِبًا، فَلَمَّا أُخْبِرَ الْخَبَرَ، حَلَفَ لَا يَنْتَهِي حَتَّى يُهَرِيقَ فِي أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ دَمًا، فَخَرَجَ يَتْبَعُ أَثَرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْزِلًا فَقَالَ: مَنْ رَجُلٌ يَكْلَؤُنَا لَيْلَتَنَا؟ فَانْتَدَبَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ. فَقَالَا: نَحْنُ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: فَكُونَا بِفَمِ الشِّعْبِ مِنَ الْوَادِي. وَهُمَا عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ، وَعَبَّادُ بْنُ بِشْرٍ، فَلَمَّا خَرَجَا إِلَى فَمِ الشِّعْبِ قَالَ الْأَنْصَارِيُّ لِلْمُهَاجِرِيِّ: أَيُّ اللَّيْلِ تُحِبُّ أَنْ
পৃষ্ঠা - ২৮৪৭
أَكْفِيَكَهُ ; أَوَّلَهُ أَمْ آخِرَهُ؟ قَالَ: بَلِ اكْفِنِي أَوَّلَهُ. فَاضْطَجَعَ الْمُهَاجِرِيُّ فَنَامَ، وَقَامَ الْأَنْصَارِيُّ يُصَلِّي. قَالَ: وَأَتَى الرَّجُلُ، فَلَمَّا رَأَى شَخْصَ الرَّجُلِ، عَرَفَ أَنَّهُ رَبِيئَةُ الْقَوْمِ، فَرَمَى بِسَهْمٍ فَوَضَعَهُ فِيهِ، فَانْتَزَعَهُ وَوَضَعَهُ، وَثَبَتَ قَائِمًا. قَالَ: ثُمَّ رَمَى بِسَهْمٍ آخَرَ فَوَضَعَهُ فِيهِ. قَالَ: فَانْتَزَعَهُ، فَوَضَعَهُ وَثَبَتَ قَائِمًا. قَالَ: ثُمَّ عَادَ لَهُ بِالثَّالِثِ، فَوَضَعَهُ فِيهِ فَنَزَعَهُ فَوَضَعَهُ، ثُمَّ رَكَعَ وَسَجَدَ، ثُمَّ أَهَبَّ صَاحِبَهُ، فَقَالَ: اجْلِسْ فَقَدْ أُثْبِتُّ. قَالَ: فَوَثَبَ الرَّجُلُ، فَلَمَّا رَآهُمَا الرَّجُلُ، عَرَفَ أَنَّهُ قَدْ نَذِرَا بِهِ، فَهَرَبَ. قَالَ: وَلَمَّا رَأَى الْمُهَاجِرِيُّ مَا بِالْأَنْصَارِيِّ مِنَ الدِّمَاءِ قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! أَفَلَا أَهْبَبْتَنِي أَوَّلَ مَا رَمَاكَ؟ ! قَالَ: كُنْتُ فِي سُورَةٍ أَقْرَؤُهَا، فَلَمْ أُحِبَّ أَنْ أَقْطَعَهَا حَتَّى أُنْفِذَهَا، فَلَمَّا تَابَعَ عَلَيَّ الرَّمْيَ رَكَعْتُ فَآذَنْتُكَ، وَايْمُ اللَّهِ لَوْلَا أَنْ أُضَيِّعَ ثَغْرًا أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحِفْظِهِ، لَقَطَعَ نَفْسِي قَبْلَ أَنْ أَقْطَعَهَا أَوْ أُنْفِذَهَا.» هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي الْمَغَازِي. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَبِي تَوْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৮৪৮
وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ أَخِيهِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خُوَّاتٍ عَنْ أَبِيهِ حَدِيثَ صَلَاةِ الْخَوْفِ بِطُولِهِ قَالَ: «وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَصَابَ فِي مَحَالِّهِمْ نِسْوَةً، وَكَانَ فِي السَّبْيِ جَارِيَةٌ وَضِيئَةٌ، وَكَانَ زَوْجُهَا يُحِبُّهَا، فَحَلَفَ لِيَطْلُبَنَّ مُحَمَّدًا، وَلَا يَرْجِعُ حَتَّى يُصِيبَ دَمًا أَوْ يُخَلِّصَ صَاحِبَتَهُ.» ثُمَّ ذَكَرَ مِنَ السِّيَاقِ نَحْوَ مَا أَوْرَدَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «بَيْنَا أَنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ بِفَرْخٍ طَائِرٍ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ أَبَوَاهُ أَوْ أَحَدُهُمَا، حَتَّى طَرَحَ نَفْسَهُ فِي يَدَيِ الَّذِي أَخَذَ فَرْخَهُ، فَرَأَيْتُ أَنَّ النَّاسَ عَجِبُوا مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَتَعْجَبُونَ مِنْ هَذَا الطَّائِرِ؟ ! أَخَذْتُمْ فَرْخَهُ فَطَرَحَ نَفْسَهُ رَحْمَةً لِفَرْخِهِ، فَوَاللَّهِ لَرَبُّكُمْ أَرْحَمُ بِكُمْ مِنْ هَذَا الطَّائِرِ بِفَرْخِهِ»
পৃষ্ঠা - ২৮৪৯

এবং সুরাটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিলাওয়াতে ক্ষাম্ভ দিতাম না ৷ তাতে আমার মৃত্যু হলেও কোন
পরােয়া ছিলনা ৷ ইবন ইসহাক তার মাগড়াযী গ্রন্থে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আবু দাউদ এই
হাদীছ আবু তাওবা ইবন ইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ ওয়াকিদী আবদুল্লাহ উমারী
— খাওয়াত সুত্রে সালাতুল খাওফের দীর্ঘ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ উক্ত হাদীছে বর্ণনাকারী
বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই অভিযানে শত্রুপক্ষের বহু মহিলাকে বন্দী করেন ৷ বন্দী
মহিলাদের মধ্যে জনৈকা সুন্দরী দাসী ছিল ৷ তার স্বামী তাকে খুব ভালবড়াসত ৷ ত্রীর বন্দীর সংবাদ
শুনে সে শপথ করে বলেছিল সে মুহাম্মাদ (সা)-কে খুজে বের করবে এবং ওদের কারো না
কারো রক্ত প্রবাহিত না করে অথবা নিজের ত্রীকে উদ্ধার না করে :স ঘরে ফিররে না ৷ এর পরের
বর্ণনা মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের বর্ণনার অনুরুপ ৷

ওয়াকিদী বলেন, হযরত জাবির (বা) বলতেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে ছিলাম ৷
জনৈক সাহাবী একটি পাখীর ছানা নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলো শু রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেদিকে
তাকিয়েছিলেন ৷ অল্পক্ষণের মধ্যে ছানাটির বড়াবা-মা অথবা তাদের কোন একটি সেখানে উড়ে
এসে সংশ্লিষ্ট সাহাবীর হাতে এসে বসে পড়ে ৷ এ ঘটনায় উপস্থিত সাহাবীগণ বিস্মিত হয়ে পড়েন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, পাখীটিব অবস্থা দেখে তোমরা অবাক হচ্ছ ? তোমরা তার ছানাটি নিয়ে
এসেছ আর সন্তান বাৎসল্যের কারণে পাথীটি নিজের জীবন তুচ্ছ জ্ঞান করে তোমাদের সম্মুখে
লুটিয়ে পড়েছেন ৷ জেনে নাও, আল্লাহ্র কসম করে বলছি এই ছানাটির প্রতি পাখীটিব মমতা
যতটুকু তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রভু ও মালিক আল্লাহ তাআলার দয়া তার চাইতে বহুগুণ
বেশী ৷

হযরত জাবির (বা) এর উটের ঘটনা

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, ওয়াহ্ব ইবন কায়সান আমার নিকট বর্ণনা করেছেন জাবির
ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর সাথে যাতুর রিকা অভিযানে বের
হই ৷ আমি বের হয়েছিলাম আমার একটি দুর্বল উটের পিঠে চড়ে ৷ অভিযান শেষে ফেরার পথে
আমার সাথী-সঙ্গীরা দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিল ৷ আর আমি দুর্বল উটের কারণে বার বার পিছিয়ে
পড়ছিলড়াম ৷ এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) পেছনে থেকে অগ্রসর হয়ে আমার নিকট পৌছে গেলেন ৷
তিনি আমাকে বললেন, জাবির ! ব্যাপার কী ? আমি বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমার এই
উট আমাকে পেছনে ফেলে রেখেছে ৷ তিনি বললেন, উটটিকে বসাও ৷ জাবির (বা) বলেন, আমি
আমার উটটিকে বসালাম এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার বাহন থামালেন ৷ তিনি আমাকে বললেন,
তোমার হাতের ছড়িটি আমাকে দাও অথবা একটি গাছের ডাল ভেঙ্গে এনে আমাকে দাও ৷ আমি
তাই করলাম ৷ তিনি সেটি দ্বারা উটকে কয়েকটি খোচা মারলেন ৷ তারপর আমাকে বললেন,
এবার তুমি উটের পিঠে উঠে বস ৷ আমি উটের পিঠে উঠলাম ৷ উটটি চলতে শুরু করল ৷ যে
মহান সত্তা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন তার কসম করে বলছি, রাসুলুল্পাহ্
(সা) এর উটের সাথে সাথে তখনই আমার উটটিও চলতে থাকে ৷ আমি চলতে চলতে
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে আলাপ করছিলাম ৷ তিনি বললেন, হে জাবির ! তুমি কি এই উট আমার
কাছে বিক্রি করবে ? আমি বললাম , ত্মী না বিক্রি করব না; বরং সেটি আপনাকে উপচৌকন স্বরুপ

২২ —

[قِصَّةُ جَمَلِ جَابِرٍ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ] قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ مِنْ نَخْلٍ، عَلَى جَمَلٍ لِي ضَعِيفٍ، فَلَمَّا قَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَتِ الرِّفَاقُ تَمْضِي، وَجَعَلْتُ أَتَخَلَّفُ حَتَّى أَدْرَكَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا لَكَ يَا جَابِرُ؟ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَبْطَأَ بِي جَمَلِي هَذَا. قَالَ: أَنِخْهُ. قَالَ: فَأَنَخْتُهُ وَأَنَاخَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: أَعْطِنِي هَذِهِ الْعَصَا مِنْ يَدِكَ أَوِ: اقْطَعْ عَصًا مِنْ شَجَرَةٍ. فَفَعَلْتُ فَأَخَذَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَخَسَهُ بِهَا نَخَسَاتٍ، ثُمَّ قَالَ: ارْكَبْ. فَرَكِبْتُ فَخَرَجَ - وَالَّذِي بَعَثَهُ بِالْحَقِّ - يُوَاهِقُ نَاقَتَهُ مُوَاهَقَةً. قَالَ: وَتَحَدَّثْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِي: أَتَبِيعُنِي جَمَلَكَ هَذَا يَا جَابِرُ؟ قَالَ: قُلْتُ: بَلْ أَهِبُهُ لَكَ. قَالَ: لَا، وَلَكِنْ بِعْنِيهِ. قَالَ: قُلْتُ: فَسُمْنِيهِ. قَالَ: قَدْ أَخَذْتُهُ بِدِرْهَمٍ. قَالَ: قُلْتُ: لَا، إِذًا تَغْبِنُنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ২৮৫০

দিয়ে দেব ৷ তিনি বললেন, না দান নয়; বরং সেটি আমার নিকট বেচে দাও ন্ন্ এবার আমি বললাম ,
তবে মুল্য নির্ধারণ করুন ৷ তিনি বললেন, ঠিক আছে এক দিরহামের বিনিময়ে আমি উটটি গ্রহণ
করলাম ৷ আমি বললাম, না ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! তাহলে আমি ঠকে যাব ৷ তিনি বললেন, তবে
দু দিরহামে ? আমি বললাম , না তাও নয় ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) অ্যাবরত দাম বৃদ্ধি করতে
লাগলেন ৷ শেষ পর্যন্ত বললেন, এক উকিয়ার তথা (চল্লিশ দিরহামের) বিনিময়ে ৷ আমি বললাম,
তাতে কি আপনি খুশী ? তিনি বললেন, হী আমি খুশী ৷ আমি বললাম, তবে এই উটের মালিক
হলেন আপনি ৷ তিনি বললেন, হী আমি তা গ্রহণ করলাম ৷ এরপর তিনি বললেন হে, জাবির ! তুমি
কি ব্যিয় করেছ স্ আমি বললাম, জী হী ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ৷ তিনি ৷ৰুৰুট্রুজ্জ্বজ্ঞেস করলেন কুমারী
নিয়ে না কি বিবাহিতা ? আমি বললড়াম , বিবাহিতা ৷ তিনি বললেন কুমারী বিয়ে করলে না কেন ?
তাহলে তুমি ওর সাথে আনন্দ করতে সে তোমাকে নিয়ে আনন্দ করত ৷ আমি বললাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) আমার আব্বজােন উহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৷ তিনি ৭টি কন্যা সন্তান রেখে
গিয়েছেন ৷ তাই আমি একজন বয়স্কা মহিলা বিয়ে করেছি যাতে যে ওদেরকে দেখা শোনা ও
তত্ত্বাব ধান করতে পারে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এটি তুমি ইনশাআল্লাহ্ ঠিক কাজটি করেছ ৷
আমরা যখন সিরার নামক স্থানে পৌছব তখন আমি উট যবাই করার নির্দেশ দেব ৷ সেখানে উট
যবাই হবে এবং একদিন সেখানে আমরা থাকবাে ৷ ওই দিন আমরা ওখানে থাকর ৷ তোমার শ্রী
আমাদের আগমন সংবাদ শুনলে তার গদিগুলো ঝেড়ে নেবে, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ
(সা) ! আমাদের তো কোন গদি নেই ৷ তিনি বলেন, এখন না থাকলেও তখন থাকবে ৷ আর তুমি
যখন শ্ৰীর নিকট যাবে তখন বুদ্ধিমত্তার সাথে বিবেচনা সম্মত কাজ করবে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সহ
আমরা “সিরার” নামক স্থানে এলাম , তিনি উট যবাই করার নির্দেশ দিলেন ৷ উট যবাহ করা হল ৷
আমরা সেদিন ওখানে থাকলাম ৷ সন্ধাবেল৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও আমরা সকলে মদীনায় প্রবেশ
করলাম ৷ বাড়ী গিয়ে আমার ত্রীকে আমি সব খুলে বলি, যে বলল, ঠিক আছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নির্দেশ শিরাে ধার্য ৷ সকাল বেলা আমি উটটি নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করি ৷ তীর
দরজায় গিয়ে আমি উটটিকে বসিয়ে দিই ৷ তারপর নিজে মসজিদে গিয়ে র্তার কাছেই বসি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুজরা থেকে বের হয়ে উটটি দেখতে পান ৷ তিনি বললেন, এটি কার উট ?
ব্যাপার কী ? লোকজন বলল, এটি জাবিরের উট ৷ তিনি নিয়ে এসেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
জাবির কোথায় ? আমাকে ডাকা হল ৷ তারপর তিনি আমাকে বললেন, ভাতিজা ! তু তোমার
উটটি ধর এবং নিয়ে যাও ৷ এটি ভোমারই থাকবে ৷ এরপর তিনি হযরত বিলাল (রা)শ্কে ডেকে
বললেন , যাও , জাবিরকে এক উকিয়া (৪ : দিরহাম) দিয়ে দাও ৷ হযরত জাবির (রা) বলেন, আমি
বিলালের সাথে গেলাম ৷ তিনি আমাকে এক উকিয়া দিলেন বরং ধি১দ্বু৮৷ বেশী দিলেন ৷ আল্লাহর
কসম ! সেটি আমার নিকট ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছিল ৷ আমার পরিবারের মধ্যে মুদ্রাটির একটি
আলাদা মর্যাদা ছিল ৷ অবশেষে হাররা দিবসের বিশৃৎখলায় সেটি হারিয়ে যায় ৷ ইমাম বুখারী (র)
এই হড়াদীছ উবায়দুল্লাহ ইবন উমার আমবী জাবির (রা ) সুত্রে অনুরুপ উদ্ধৃত করেছেন ৷



সুহায়লী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত জাবির (রা)-কে তার পিতা সম্পর্কে যে সুসংবাদ
দিয়েছিলেন এই হাদীছে সেদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন যে , আল্লাহ


فَبِدِرْهَمَيْنِ. قَالَ: قُلْتُ: لَا. قَالَ: فَلَمْ يَزَلْ يَرْفَعُ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى بَلَغَ الْأُوقِيَّةَ. قَالَ: فَقُلْتُ: أَفْقَدْ رَضِيتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قُلْتُ: فَهُوَ لَكَ. قَالَ: قَدْ أَخَذْتُهُ. ثُمَّ قَالَ: يَا جَابِرُ هَلْ تَزَوَجْتَ بَعْدُ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: أَثِيِّبًا أَمْ بِكْرًا؟ قَالَ: قُلْتُ: بَلْ ثِيِّبًا. قَالَ: أَفَلَا جَارِيَةً تُلَاعِبُهَا وَتَلَاعِبُكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبِي أُصِيبَ يَوْمَ أُحُدٍ وَتَرَكَ بَنَاتٍ لَهُ سَبْعًا، فَنَكَحْتُ امْرَأَةً جَامِعَةً، تَجْمَعُ رُءُوسَهُنَّ فَتَقُومُ عَلَيْهِنَّ. قَالَ: أَصَبْتَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، أَمَا إِنَّا لَوْ قَدْ جِئْنَا صِرَارًا، أَمَرْنَا بِجَزُورٍ فَنُحِرَتْ فَأَقَمْنَا عَلَيْهَا يَوْمَنَا ذَلِكَ، وَسَمِعَتْ بِنَا فَنَفَضَتْ نَمَارِقَهَا. قَالَ: فَقُلْتُ: وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا لَنَا مِنْ نَمَارِقَ. قَالَ: إِنَّهَا سَتَكُونُ، فَإِذَا أَنْتَ قَدِمْتَ فَاعْمَلْ عَمَلًا كَيِّسًا. قَالَ: فَلَمَّا جِئْنَا صِرَارًا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجَزُورٍ فَنُحِرَتْ، فَأَقَمْنَا عَلَيْهَا ذَلِكَ الْيَوْمَ، فَلَمَّا أَمْسَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ وَدَخَلْنَا. قَالَ: فَحَدَّثْتُ الْمَرْأَةَ الْحَدِيثَ، وَمَا قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: فَدُونَكَ، فَسَمْعٌ وَطَاعَةٌ. فَلَمَّا أَصْبَحْتُ أَخَذْتُ بِرَأْسِ الْجَمَلِ، فَأَقْبَلْتُ بِهِ حَتَّى أَنَخْتُهُ عَلَى بَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ جَلَسْتُ فِي الْمَسْجِدِ قَرِيبًا مِنْهُ. قَالَ: وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَأَى الْجَمَلَ، فَقَالَ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا جَمَلٌ جَاءَ بِهِ جَابِرٌ. قَالَ: فَأَيْنَ جَابِرٌ؟ فَدُعِيتُ لَهُ. قَالَ: فَقَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، خُذْ بِرَأْسِ جَمَلِكَ، فَهُوَ لَكَ. قَالَ: وَدَعَا بِلَالًا، فَقَالَ: اذْهَبْ
পৃষ্ঠা - ২৮৫১

তা আল৷ জ বির (রা) এর পিতা আবদুল্লাহ্কে শহীদ হওয়ার পর জীবিত করেছিলেন এবং
বলেছিলেন, তুমি তোমার আকাৎখ৷ ব্যক্ত কর ৷ এ জন্যে যে,৩ তিনি ছিলেন শহীদ ৷ শহীদদের
সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআল৷ বলেছেন :

দ্পু ৷ স্পোএ্ ৰু,£; স্পোপু ৷ব্লুটুর্চুাট্রু ষ্টু০ট্রুণ্,ট্রু০ৰুব্লুৰুদু ৰু;,ট্রু ;হ্রছুপু ! ষ্টু০ এেপ্রুব্লুটু£ ৷ ব্লুপু ৷ র্দু, ৷

আল্লাহ তা অ লা মু মিনদের নিকট হতে৩ তা দের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করে নিয়েছেন তাদের
জন্যে এর বিনিময়ে রয়েছে জান্নড়াত ৷ তারা আল্লাহ্র পথে সংগ্রাম করে , নিধন করে এবং নিহত
হয় ৷ তাওরাত ইনজীল ও কুরআনে এ সম্পর্কে তাদের দৃঢ় প্ৰ শ্©শ্রুর্ভি রয়েছে ৷ নিজ প্রতিজ্ঞা
পালনে আল্লাহ্ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর কে রয়েছে ? তোমরা যে সওদা করেছ সেই সওদার জন্যে
আনন্দ কর এবং সেঢিই মহা সাফল্য ৷ (৯-সুরা তাওবা : ১ ১ ১ ) অন্য এক বাণীতে আল্লাহ
তাআল৷ তাদের জন্যে আরো অধিক পুরস্কারের কথা বলেছেন ৷ তার বলেছেন ং

ক্রুশ্শ্ :০ :!০শ্শ্াষ্ন্ন্


যারা ভাল কাজ করে তাদের জন্যে আছে কল্যাণ এবং আরো অধিক ৷ ( ১ : ইউনুসং : ২৬) ৷
এরপর তিনি তাদেরকে মাল ও মুল্য অর্থাৎ উভয় বিনিময় প্রদান করেছেন ৷ তিনি তাদের থেকে
ক্রয় করা রুহগুলো তা ৷দের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছেন ৷ আল্লাহ তা আলা বলেনং :

৩ শ্ ,


যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত মনে করে৷ না ৷ তা ৷র৷ বরং জীবিত ৷ তাদের
প্ৰতিপ৷ ৷লকের নিকট জীবিকাপ্রাপ্ত ৷ (৩ আলে ইমরান৪ ১৬৯) ৷

মানুষের জন্যে রুহ হল বাহনের ন্যায় ৷ উমর ইবন আবদুল আষীয তাই বলেছেন ৷ সুহায়লী
বলেন , এ জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জাবির (রা) থেকে উটটি ক্রয় করেছিলেন সেটি ছিল তার বাহন ৷
এরপর উট ও দিলেন, মুল্যও দিলেন এবং কিছুটা অতিরিক্তও দিলেন, এ ঘটনার মধ্যে তার পিতা
সম্পর্কে দেয়৷ সুসৎবাদের বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেল ৷ সুহায়লী এখানে যে মন্তব্য করেছেন তা
অবশ্য খুবই সুক্ষ্ম ইঙ্গিত এবং অভুতপুর্ব চিন্তাধারা ৷ আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন ৷

বায়হাকী (র) তার দালাইল গ্রন্থে এই যুদ্ধের অধ্যায়ে উপরোক্ত হাদীছ দ্বারা শিরোনাম তৈরী
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধে জাবির (রা)-এর উটকে কেন্দ্র করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
প্রকাশিত বরকত ও নিদর্শনসমুহ বিষয়ক পরিচ্ছেদ ৷ হযরত জা ৷বির (রা ) থেকে এই হাদীছ বিভিন্ন
সনদে এবং বিভিন্ন পাঠে বর্ণিত হয়েছে ৷ উটের মুল্য এবং নির্ধারিত শর্ত বিষয়ে হাদীছটিতে বিভিন্ন
প্রকারের মতভেদ রয়েছে ৷ অবশ্য এগুলো নিয়ে বিস্তারিত ও পরিপুর্ণ লেখার স্থান হল বিধি-বিধান
অ ধ্যাযেব ক্রয়-বিক্রয় পর্ব ৷ আ ৷ল্লাহ্ইত৷ ৷ল জানেন ৷ কোন বর্ণনায় আছে যে এ ঘটনা এই যুদ্ধে
ঘটেছে আবার কো ন বর্ণনায় আছে যে, অন্য যুদ্ধে ঘটেছে ৷ একই ঘটনা বার বার ঘটেছে তার
সম্ভাবনা একা ৷ম্ভই ক্ষীণ ৷ আল্লাহ্ইত৷ ৷ল জা নেন ৷


بِجَابِرٍ فَأَعْطِهِ أُوقِيَّةً قَالَ: فَذَهَبْتُ مَعَهُ، فَأَعْطَانِي أُوقِيَّةً، وَزَادَنِي شَيْئًا يَسِيرًا. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا زَالَ يَنْمِي عِنْدِي وَيُرَى مَكَانُهُ مِنْ بَيْتِنَا، حَتَّى أُصِيبَ أَمْسِ فِيمَا أُصِيبَ لَنَا.» يَعْنِي يَوْمَ الْحَرَّةِ. وَقَدْ أَخْرَجَهُ صَاحِبَا الصَّحِيحِ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ الْعُمَرِيِّ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرٍ بِنَحْوِهِ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: فِي هَذَا الْحَدِيثِ إِشَارَةٌ إِلَى مَا كَانَ أَخْبَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ اللَّهَ أَحْيَا وَالِدَهُ وَكَلَّمَهُ، فَقَالَ لَهُ: تَمَنَّ عَلَيَّ. وَذَلِكَ أَنَّهُ شَهِيدٌ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ} [التوبة: 111] وَزَادَهُمْ عَلَى ذَلِكَ فِي قَوْلِهِ: {لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ} [يونس: 26] ثُمَّ جَمَعَ لَهُمْ بَيْنَ الْعِوَضِ وَالْمُعَوَّضِ، فَرَدَّ عَلَيْهِمْ أَرْوَاحَهُمُ الَّتِي اشْتَرَاهَا مِنْهُمْ، فَقَالَ: {وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ} [آل عمران: 169] وَالرُّوحُ لِلْإِنْسَانِ بِمَنْزِلَةِ الْمَطِيَّةِ، كَمَا قَالَ ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: فَلِذَلِكَ اشْتَرَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ جَابِرٍ جَمَلَهُ وَهُوَ مَطِيَّتُهُ فَأَعْطَاهُ ثَمَنَهُ، ثُمَّ رَدَّهُ عَلَيْهِ، وَزَادَهُ مَعَ ذَلِكَ. قَالَ: فَفِيهِ تَحْقِيقٌ لِمَا كَانَ أَخْبَرَهُ
পৃষ্ঠা - ২৮৫২
بِهِ، عَنْ أَبِيهِ. وَهَذَا الَّذِي سَلَكَهُ السُّهَيْلِيُّ هَاهُنَا إِشَارَةٌ غَرِيبَةٌ وَتَخَيُّلٌ بَدِيعٌ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. وَقَدْ تَرْجَمَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ فَقَالَ: بَابُ مَا ظَهَرَ فِي غَزَاتِهِ هَذِهِ مِنْ بَرَكَاتِهِ وَآيَاتِهِ فِي جَمَلِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَهَذَا الْحَدِيثُ لَهُ طُرُقٌ عَنْ جَابِرٍ وَأَلْفَاظٌ كَثِيرَةٌ، وَفِيهِ اخْتِلَافٌ كَثِيرٌ فِي كِمِّيَّةِ ثَمَنِ الْجَمَلِ وَكَيْفِيَّةِ مَا اشْتُرِطَ فِي الْبَيْعِ. وَتَحْرِيرُ ذَلِكَ وَاسْتِقْصَاؤُهُ لَائِقٌ بِكِتَابِ الْبَيْعِ مِنَ " الْأَحْكَامِ ". وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ جَاءَ تَقْيِيدُهُ بِهَذِهِ الْغَزْوَةِ، وَجَاءَ تَقْيِيدُهُ بِغَيْرِهَا، كَمَا سَيَأْتِي، وَمُسْتَبْعَدٌ تَعْدَادُ ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ২৮৫৩

দ্বিতীয় বদর যুদ্ধ

এটি ছিল সেই প্রতিশ্রুতি যুদ্ধ উহুদ থেকে ফেরার পথে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল ৷ ইবন
ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যাতুর রিকা অভিযান শেষে মদীনায় ফিরে এলেন ৷ জুমাদাল উলা
মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো, জুমাদাল উখরা মাস এবং রজব মাস তিনি মদীনায় অবস্থান করেন ৷

আবু সুফিয়ানের ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুদ্ধ মুকাবিলার জন্যে তিনি বদরের উদ্দেশ্যে যাত্রা
করেন শাবান মাসে ৷

ইবন হিশাম বলেন, এ অভিযানকালে মদীনায় দায়িত্বভার দেয়৷ হ্ন্থয়ছিল আবদুল্লাহ্ (রা) ইবন
আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুলকে ৷ ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ৷ সা) বদর প্রান্তরে এসে
শিবির স্থাপন করেন এবং আবু সুফিয়ানের আগমন অপেক্ষায় ৮ দিন ৷ন্ন্খানে অবস্থান করেন ৷
মক্কাবাসীদেরকে নিয়ে আবু সুফিয়ান যুদ্ধের জন্যে বের হয় ৷ যাহরানের এক পাশে মাজিন্ন৷ নামক
স্থানে এসে তারা শিবির স্থাপন করে ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, তারা উছফান পর্যন্ত এসেছিল ৷
তারপর সে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে সে বলল, হে কুরায়শ সম্প্রদায় ৷
স্বচ্ছলতার বছর ছাড়া যুদ্ধ করা সমীচীন হবে না ৷ বরং যে বছর তৃপ্তি সহকারে পশুপালকে
ঘাসপাত৷ খাওয়াতে পারবে এবং তোমরা ইচ্ছামত দুধ পান করতে পারবে সে বছরই যুদ্ধ করা
ভাল হবে ৷ এই বছরটি বড় দৃর্ভিক্ষের ৷ আমি এখন ফিরে যাচ্ছি তোমরাও ফিরে যাও ৷ ফলে
কুরায়শরা ফিরে গেল ৷ ফিরে যাওয়া সেনাদলকে মক্কাবাসিগণউপহাস করে “ছাতৃবাহিনী” নামে
ডাকত ৷ আর বলত যে, তোমরা তো ছাতৃ খেয়ে খেয়ে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলে ৷

এক পর্যায়ে মাখশা ইবন আমর দিমারী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত হয় ৷ ওয়াদ্দান
যুদ্ধের সময় সে বানু দিমারা গোত্রের পক্ষে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন
করেছিল ৷ সে বলল, হে মুহাম্মাদ! কুরায়শদের সাথে যুদ্ধ করার জন্যে কি আপনি এখানে
এসেছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ওহে বাবু দিম৷ ৷রা গোত্রের লোক আমরা যুদ্ধ করতে এসেছি ৷
তোমাকে এও জা ৷নিয়ে দিচ্ছি যে, তোমাদের সাথে আমাদের যে চুক্তি ছিল ইচ্ছা ৷করলে তোমরা
তা প্রত্যাহার করে নিতে পার ৷ আর তখন আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব যতক্ষণ না
আল্লাহ্ আমাদের ও তোমাদের মাঝে ফায়সালা করে দেন ৷ সে বলল, না হে মুহাম্মাদ আল্লাহ্র
কসম! ওই চুক্তি প্রত্যাহারের আমাদের কোন প্রয়োজন নেই ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায়
ফিরে আসেন ৷ ফিরতি পথে কোন ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার সম্মুখীন হননি ৷

ইবন ইসহাক বলেন, মুসলমানগণ আবু সুফিয়ানের অপেক্ষায় থাকা ৷এবং সৈন্যবাহিনী সহ
আবু সুফিয়ানের ফিরে যাওয়া র ঘটনা সম্পর্কে আবদৃল্লা হ্ ইবন রাওয়াহা (রা) নিম্নের কবিতা আবৃত্তি
করেন ৷ ইবন হিশাম বলেন, আবু যা য়দ আমাকে জানিয়েছেন যে , নিম্নের কবিতাটি আসলে কা ব
ইবন মালিকের ৷ করি বলেন :


আমরা আবু সুফিয়ানকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম বদর প্রান্তরে উপস্থিত হবার ৷ কিন্তু আমরা
তার প্রতিশ্রুতির সত্যতা পাইনি ৷ সে প্রতিশ্রুতি পালনকারী ছিল না ৷


[غَزْوَةُ بَدْرٍ الْآخِرَةِ] وَهِيَ بَدْرٌ الْمَوْعِدُ، الَّتِي تَوَاعَدُوا إِلَيْهَا مِنْ أُحُدٍ كَمَا تَقَدَّمَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ مِنْ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ أَقَامَ بِهَا بَقِيَّةَ جُمَادَى الْأُولَى وَجُمَادَى الْآخِرَةِ وَرَجَبًا، ثُمَّ خَرَجَ فِي شَعْبَانَ إِلَى بِدْرٍ لِمِيعَادِ أَبِي سُفْيَانَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيِّ ابْنِ سَلُولَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَدْرًا وَأَقَامَ عَلَيْهِ ثَمَانِيًا يَنْتَظِرُ أَبَا سُفْيَانَ وَخَرَجَ أَبُو سُفْيَانَ فِي أَهْلِ مَكَّةَ حَتَّى نَزَلَ مَجَنَّةَ مِنْ نَاحِيَةِ الظَّهْرَانِ، وَبَعْضُ النَّاسِ يَقُولُ: قَدْ بَلَغَ عُسْفَانَ. ثُمَّ بَدَا لَهُ فِي الرُّجُوعِ، فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ، إِنَّهُ لَا يُصْلِحُكُمْ إِلَّا عَامٌ خَصِيبٌ، تَرْعَوْنَ فِيهِ الشَّجَرَ، وَتَشْرَبُونَ فِيهِ اللَّبَنَ، فَإِنَّ عَامَكُمْ هَذَا عَامُ جَدْبٍ، وَإِنِّي رَاجِعٌ فَارْجِعُوا. فَرَجَعَ النَّاسُ، فَسَمَّاهُمْ أَهْلُ مَكَّةَ جَيْشَ السَّوِيقِ، يَقُولُونَ: إِنَّمَا خَرَجْتُمْ تَشْرَبُونَ السَّوِيقَ. قَالَ: وَأَتَى مَخْشِيُّ بْنُ عَمْرٍو الضَّمْرِيُّ وَقَدْ كَانَ وَادَعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ وَدَّانَ عَلَى بَنِي ضَمْرَةَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَجِئْتَ لِلِقَاءِ قُرَيْشٍ عَلَى هَذَا الْمَاءِ؟ قَالَ: نَعَمْ يَا أَخَا بَنِي ضَمْرَةَ، وَإِنْ شِئْتَ رَدَدْنَا
পৃষ্ঠা - ২৮৫৪


আমি কসম করে বলছি, তুমি যদি আমাদের মুখোমুখি হতে তবে অবশ্যই মুখোমুখি হতে
উপযুক্ত প্রতিপক্ষের ৷ তখন তুমি ফিরে যেতে মন্দ ও করুণ অবস্থায় আর হারিয়ে ফেলতে
তোমার সাহায্য সহযোগিতা কারী যোদ্ধাদেরকে ৷

াট্রুএৰুট্টষ্ হুার্ন্তশ্উঠুৰুও এট্রুরু১
আমরা বদর প্রাম্ভরে রেখে গিয়েছিলাম (প্রথম বদর যুদ্ধে ) উতবা ও তার পুত্রের
অঙ্গণ্প্ৰত্যঙ্গ ৷ আমরা সেখানে আরো রেখে এসেছি উমর তথা ৷আবু জাহলের গলিত দেহ ৷
;’পুচুও এর্চু এে১ত্র ’
তোমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অবাধ্য হয়েছ ৷ ধিক তোমাধ্বদর ধর্মের জন্যে, ধিক তোমাদের
ভ্রান্ত ও মন্দ কর্মকান্ডের জন্যে ৷



তোমরা আমার প্ৰতি বিরুপ আচরণ করলেও আমি নিশ্চিত ভাবে বলি যে, আমার পরিবার-
পরিজন ও ধন-সম্পদ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্যে নিবেদিত ৷


আমরা তার আনুগ৩ করেছি ৷ তাকে আমরা আমাদের কারো সমান মনে করি না ৷ তিনি

বরং অনন্য ৷ তিনি আমাদের পথ-নির্দেশক ৷ তিনি আমাদের জন্যে অন্ধকার রাতের আলোক
-বর্তিক৷ ৷
ইবন ইসহ৷ ৷ক বলেন, প্রসংগে হাসৃসান ইবন ছাবিত ৩(রা) কবিতায় বলেনঃ


ওরা ছেড়ে দিয়েছে সিরিয়ার শস্যক্ষে৩ তসমুহ ৷ সেগুলোর বিপরীতে রয়েছে বিন্তুত শিলাতুমি
যেন প্রসুতি উব্রীর মুখ ৷

এএ১এে ৷
এমন সব লোকের হাতে ছেড়েছে যারা হিজরত করেছে তাদের প্রতিপালকের দিকে ৷ তারা
প্রকৃত তার সাহায্যকারী এবং তারা ছেড়েছে ফেরেশতাদের হাতে ৷

ঞএে ৰুদ্বুট্রুট্রুা ৷ ৷ ’ ৷ ব্লু ৷
তারা যখন মরুভুমির বালুচর হয়ে নিন্নাঞ্চলের দিকে যাত্রা করবে তখন তাদেরকে বলে দিও
যে, পথ যে দিকে নয় ৷


আমরা রাসৃ পাহাড়ে অবস্থান করেছি আট দিন ৷ সাহসী সেনা দল নিয়ে ৷ সাথে ছিল বড় বড়
উট ঘোড়া ৷


إِلَيْكَ مَا كَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ وَجَالَدْنَاكَ، حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ. قَالَ: لَا وَاللَّهِ يَا مُحَمَّدُ، مَا لَنَا بِذَلِكَ مِنْ حَاجَةٍ. ثُمَّ رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَلَمْ يَلْقَ كَيْدًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ - يَعْنِي فِي انْتِظَارِهِمْ أَبَا سُفْيَانَ وَرُجُوعِهِ بِقُرَيْشٍ عَامَهُ ذَلِكَ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَدْ أَنْشَدَنِيهَا أَبُو زَيْدٍ لِكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ: وَعَدْنَا أَبَا سُفْيَانَ بَدْرًا فَلَمْ نَجِدْ ... لِمِيعَادِهِ صِدْقًا وَمَا كَانَ وَافِيَا فَأُقْسِمُ لَوْ لَاقَيْتَنَا فَلَقِيَتَنَا ... لَأُبْتَ ذَمِيمًا وَافْتَقَدْتَ الْمَوَالِيَا تَرَكْنَا بِهِ أَوْصَالَ عُتْبَةَ وَابْنِهِ ... وَعَمْرًا، أَبَا جَهْلٍ تَرَكْنَاهُ ثَاوِيَا عَصَيْتُمْ رَسُولَ اللَّهِ أُفٍّ لِدِينِكُمْ ... وَأَمْرِكُمُ السَّيْئِ الَّذِي كَانَ غَاوِيَا فَإِنِّي وَإِنْ عَنَّفْتُمُونِي لَقَائِلٌ ... فِدًى لِرَسُولِ اللَّهِ أَهْلِي وَمَالِيَا أَطَعْنَاهُ لَمْ نَعْدِلْهُ فِينَا بِغَيْرِهِ ... شِهَابًا لَنَا فِي ظُلْمَةِ اللَّيْلِ هَادِيَا قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ২৮৫৫

আমাদের সাথে ছিল লালষ্কালো মিশ্রিত রংগের ঘোড়া সে গুলোর অর্ধেক দেহ জুড়ে ছিল
রসদ পত্র ৷ সাথে ছিল লম্বা লম্বা তরবা ৷বি বড় বড় ছুরি ৷
হে)ট্রুা
তুমি দেখতে পাবে গলির ন্তুপে, বালি পথে ধীরে চলা উষ্ট্র পালের পদচিহ্ন ৷
শ্ শ্!ংন্ষ্শ্০!ণ্ শ্শ্ শ্ষ্শ্ ;! শ্ শ্ : শ্০প্ন্ ৷০ণ্ ,
আমাদের যাত্রাপথে ও শত্রু অম্বেষণের সময়ে যদি ফুরাত ইবন হাইয়ানের সাথে দেখা ন্থয়ে
যা তবে যেখানে দেখা হবে সেখানেই সে বন্দীতৃ বরণ করবে ৷
আর যদি ইমরাউল কায়সের পুত্র কায়সের সাথে সাক্ষাত হয় তবে তার দেহের কালো রং
আরো কালো হয়ে যাবে ৷ তার দুশ্চিম্ভা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে ৷

ছুঠু ভ্রুষ্
সুতরাং আবুসুফিয়ানকে আমার পক্ষ থেকে একটি বার্তা পৌছিয়ে দাও যে, তুমি হলে প্রসিদ্ধ
একজন মিসকীন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, নিম্নো ৷ক্ত কবিতার মাধ্যমে আবু সৃফিয়ান ইবন হারিছ ইবন আবদুল
ষুত্তালির উপরাে ৷ক্ত কবিতার জবাব দিয়েছিল ৷ অবশ্য এ ব্যক্তি পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷


ওহে হাসৃসান৷ (হ কাচা খেজুর ভক্ষণকারী মহিলার সন্তান ! তোমার দাদার কসম, আমরা
এভাবেই বোকাদেরকে ধোক৷ দিয়ে থাকি ৷

শ্ ,
আমরাও অভিযানে বের হয়েছিলাম ৷ আমাদের মুখোমুখি হলে আমাদের প্রচণ্ড আক্রমণের
মুখে তোমাদের মত হরিণ গুলো একটাও প্রাণে রক্ষা পেতে না ৷
াট্র ৷
আমরা যদি বিশ্রামস্থুল থেকে উটগুলো তৃলতাম তাহলে তুমি বুঝতে যে আমরা প্রচন্ড যোদ্ধা,
মওসুমে সমবেত সকল লোককে জ্ব ৷লিয়ে-পুড়িয়ে দিতাম ৷


তুমি রাস্ পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছিলে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ৷ অপরদিকে তুমি যদি
আমাদেরকে খুজে পেতে তাহলে খেজুর বাগানে আমাদেরকে রেখে তোমরা পালিয়ে যেতে ৷

, ণ্ ,


دَعُوا فَلَجَاتِ الشَّامِ قَدْ حَالَ دُونَهَا ... جِلَادٌ كَأَفْوَاهِ الْمَخَاضِ الْأَوَارِكِ بِأَيْدِي رِجَالٍ هَاجَرُوا نَحْوَ رَبِّهِمْ ... وَأَنْصَارِهِ حَقًّا وَأَيْدِي الْمَلَائِكِ إِذَا سَلَكَتْ لِلْغَوْرِ مِنْ بَطْنِ عَالَجٍ ... فَقُولَا لَهَا لَيْسَ الطَّرِيقُ هُنَالِكِ أَقَمْنَا عَلَى الرَّسِّ النَّزُوعِ ثَمَانِيًا ... بِأَرْعَنَ جَرَّارٍ عَرِيضِ الْمَبَارِكِ بِكُلِّ كُمَيْتٍ جَوْزُهُ نِصْفُ خَلْقِهِ ... وَقُبٍّ طِوَالٍ مُشْرِفَاتِ الْحَوَارِكِ تَرَى الْعَرْفَجَ الْعَامِيَّ تَذْرِي أُصُولَهُ ... مَنَاسِمُ أَخْفَافِ الْمَطِيِّ الرَّوَاتِكِ فَإِنْ تَلْقَ فِي تَطْوَافِنَا وَالْتِمَاسِنَا ... فُرَاتَ بْنَ حَيَّانٍ يَكُنْ رَهْنَ هَالِكِ وَإِنْ تَلْقَ قَيْسَ بْنَ امْرِئِ الْقَيْسِ بَعْدَهُ ... يُزَدْ فِي سَوَادِ لَوْنِهِ لَوْنُ حَالِكِ فَأَبْلِغْ أَبَا سُفْيَانَ عَنِّي رِسَالَةً ... فَإِنَّكَ مِنْ غُرِّ الرِّجَالِ الصَّعَالِكِ
পৃষ্ঠা - ২৮৫৬

আমাদের অশ্ব এবং উটেরদল ফসলদি পদদলিত করে চলাচল করে ৷ ওগুলো কোন কঠিন
পাথুরে ভুমি মড়য় না ৷

এগু১ন্থএ ৷ ন্া
আমরাও অভিযানে বেরিয়ে তিনদিন অবস্থান করেছিলাম সালাওফাবি পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে
আমাদের সাথে ছিল হাল্কা পশমের অশ্বদল আ র তারী পা য়ে ঢলাচলকারী উষ্ট্রপা ল ৷

ন্;ব্লুব্লুব্লু
তোমাদের ধ্বংস যখন নিকটবর্তী ছিল তখন তামর নিজেদেরকে খুব শক্তিশালী মনে
করেছিলে ৷ যেমন দুর্বল ও অসুন্থযুবককে তােমরশ ক্তিশা লী মনে করে থাক ৷

সুতরাং হাল্কা পশম বিশিষ্ট অশ্বগুলােকে প্রেরণ করেন ; বরচ্: শক্তি অর্জনকরী মুসিম যেমন
বলেছে তুমিও ওগুলােকে তেমনটি বলে দাও

তাতে তোমরা ভ ল থাকবে এবং অনব ও ভাল থাকবে ৷ ওই অশ্বরেহীদেরকে মনে হচ্ছে
ফিহ্র ইবন মালিকের বংশধর অশ্বারেহী ৷


তুমি যে হিজররুতর কথা বলেছতু তা ওই হিজর৩ কারীদের অন্তর্ভুক্ত ন ও ৷ অর তুমি
দীনেরও অনৃসা রী নও

ইবন হিশম বলেন, অম্ভমিলের বৈপরীতেব্রর কারণে আমরা কতক পৎক্তি বাদ দিয়েছি

মুসা ইবন উকবা যুহরী ও ইবন লাহিয় উর ওয়া ইবন যুবায়র থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সহবীগণকে গণ হারে উপস্থিত হবার ডাক দিয়েছিলেন আবু সুফিয়নের
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে মুকবিলর লক্ষেব্রু বদর প্রম্ভরে উপস্থিত হবার জন্যে ৷ মুনফিকর
লোকজনকে যুদ্ধে যেতে নিরুৎসাহিত করেছিল ৷ তবে অল্লাহ্ তা আলা তার বন্ধুদেরকে
মুনফিকদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেন ৷ ঘুসলমনগণ রসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে বদর প্রাম্ভরের
দিকে য ত্রা করেন ৷ তাদের সাথে ছিল ব্যবসায়িক পুজি তারা বলাবলি করছিল, আবু সুফিয়নকে
উপস্থিত পেলে অমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব অর তাকে না পেলে এ পুজি দিয়ে বদর অঞ্চলের
ম ওসুমী মলপত্র কিনে আনব ৷ এরপর মুসা ইবন উকবা ইবন ইসহাকের ন্যায় আবু সুফিয়নের
মাজিন্ন উপস্থিতি, সেখান থেকে তার প্রত্যাবর্তন, দিমরীর কথাবার্তা ও রাসুলুল্লহ্ (না)-এর পক্ষ
থেকে চুক্তি প্রত্যাহরের প্রস্তাব এবং তার তা প্রত্যাখ্যান বিষয়ক ঘটনাগুলাে উল্লেখ করেছেন ৷

ন্ওয়কিদী বলেন, রসুলুল্লাহ্ (সা) প্রায় ১৫০০ সাহবী নিয়ে বদর অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন ৷
মদীনায় শাসনভার দিয়েছিলেন অবদৃল্লাহ্ ইবন রাওয়াহ (র)-কে ৷ তিনি যাত্রা করেছিলেন : র্থ
হিজরী সনের যুল কদ মাসের প্রথম দিকে ৷ বিশুদ্ধ অভিমত হল ইবন ইসহাকের বক্তব্য যে, : র্থ


قَالَ: فَأَجَابَهُ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ - وَقَدْ أَسْلَمَ فِيمَا بَعْدَ ذَلِكَ: أَحَسَّانُ إِنَّا يَا ابْنَ آكِلَةِ الْفَغَا ... وَجَدِّكَ نَغْتَالُ الْخُرُوقَ كَذَلِكِ خَرَجْنَا وَمَا تَنْجُو الْيَعَافِيرَ بَيْنَنَا ... وَلَوْ وَأَلَتْ مِنَّا بِشَدٍّ مُدَارِكِ إِذَا مَا انْبَعَثْنَا مِنْ مُنَاخٍ حَسِبْتَهُ ... مُدَمَّنَ أَهْلِ الْمَوْسِمِ الْمُتَعَارِكِ أَقَمْتَ عَلَى الرَّسِّ النَّزُوعِ تُرِيدُنَا ... وَتَتْرُكُنَا فِي النَّخْلِ عِنْدَ الْمَدَارِكِ عَلَى الزَّرْعِ تَمْشِي خَيْلُنَا وَرِكَابُنَا ... فَمَا وَطِئَتْ أَلْصَقْنَهُ بِالدَّكَادِكِ أَقَمْنَا ثَلَاثًا بَيْنَ سَلْعٍ وَفَارِعٍ ... بِجُرْدِ الْجِيَادِ وَالْمَطِيِّ الرَّوَاتِكِ
পৃষ্ঠা - ২৮৫৭

হিজরী সনের শাবান মাসে তিনি এ অভিযানে বের হয়েছিলেন ৷ ইবন ইসহাক ও মুসা ইবন উকবা
এ ব্যাপারে একমত যে, অভিযান পরিচালিত হয়েছিল শাবান মাসে ৷ তবে ইবন ইসহাক
বলেছেন, : র্থ হিজরী সনের শাবান মাস, মুসা ইবন উকবা বলেছেন, ৩য় হিজরীর শাবান মাস ৷
তৃতীয় হিজরী বলাটা নিতাম্ভই ভ্রান্ত ধারণা ৷ কারণ, এই যুদ্ধের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল উহুদ যুদ্ধ
শেষে ৷ আর উহুদ যুদ্ধই অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৩য় হিজরী সনে ৷ এ বিষয়ে পুর্বে আলোচনা হয়েছে ৷

ওয়াকিদী বলেন, তারা সেখানে বদর বাণিজ্য মেলার প্রাক্কালে ৮ দিন অবস্থান করেন ৷ এরপর
তারা ফিরে আসেন ৷ ওই ব্যবসায় তারা ১ দিরহামে ২ দিরহাম হারে মুনাফা অর্জন করেন ৷ অন্যরা
বলেছেন যে, তারা ফিরে এলেন আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও দয়া অর্জন করে ৷ এ প্রসংগে আল্লাহ্ তাআলা
বলেছেন :


শ্ fl fl ) : ) fl

৭ ঞ
প্রুন্রুধ্যুস্রাগু
তারপর তারা আল্লাহ্র নিয়মত ও অনুগ্নহসহ ফিরে এসেছিল ৷ কোন অনিষ্ট তাদেরকে স্পর্শ

করেনি ৷ আল্লাহ্ যাতে রায়ী তারা তারই অনুসরণ করেছিল এবং আল্লাহ্ মহা অনুগ্রহশীল ৷ (৩-
আলে ইমরান : ১ ৭৪ ) ৷


حَسِبْتُمْ جِلَادَ الْقَوْمِ عِنْدَ فِنَائِكُمْ ... كَمَأْخَذِكُمْ بِالْعَيْنِ أَرْطَالَ آنُكِ فَلَا تَبْعِثِ الْخَيْلَ الْجِيَادَ وَقُلْ لَهَا ... عَلَى نَحْوِ قَوْلِ الْمَعْصِمِ الْمُتَمَاسِكِ سَعِدْتُمْ بِهَا وَغَيْرُكُمْ كَانَ أَهْلَهَا ... فَوَارِسُ مِنْ أَبْنَاءِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ فَإِنَّكَ لَا فِي هِجْرَةٍ إِنْ ذَكَرْتَهَا ... وَلَا حُرُمَاتِ دِينِهَا أَنْتَ نَاسِكُ قَالَ ابْنُ هِشَامٍ تَرَكْنَا مِنْهَا أَبْيَاتًا لِاخْتِلَافِ قَوَافِيهَا. وَقَدْ ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَنْفَرَ النَّاسَ لِمَوْعِدِ أَبِي سُفْيَانَ وَانْبَعَثَ الْمُنَافِقُونَ فِي النَّاسِ يُثَبِّطُونَهُمْ، فَسَلَّمَ اللَّهُ أَوْلِيَاءَهُ، وَخَرَجَ الْمُسْلِمُونَ صُحْبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَدْرٍ وَأَخَذُوا مَعَهُمْ بِضَائِعَ، وَقَالُوا: إِنْ وَجَدْنَا أَبَا سُفْيَانَ وَإِلَّا اشْتَرَيْنَا مِنْ بَضَائِعِ مَوْسِمِ بَدْرٍ.» ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ سِيَاقِ ابْنِ إِسْحَاقَ فِي خُرُوجِ أَبِي سُفْيَانَ إِلَى مَجَنَّةَ وَرُجُوعِهِ، وَفِي مُقَاوَلَةِ الضَّمْرِيِّ وَعَرْضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُنَابَذَةَ فَأَبَى ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ২৮৫৮
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهَا فِي أَلْفٍ وَخَمْسِمِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ وَكَانَ خُرُوجُهُ إِلَيْهَا فِي مُسْتَهَلِّ ذِي الْقِعْدَةِ. يَعْنِي سَنَةَ أَرْبَعٍ. وَالصَّحِيحُ قَوْلُ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّ ذَلِكَ فِي شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ الرَّابِعَةِ، وَوَافَقَ قَوْلَ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ أَنَّهَا فِي شَعْبَانَ، لَكِنْ قَالَ: فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ. وَهَذَا وَهْمٌ ; فَإِنَّ هَذِهِ تَوَاعَدُوا إِلَيْهَا مِنْ أُحُدٍ، وَقَدْ كَانَتْ أُحُدٌ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فَأَقَامُوا بِبَدْرٍ مُدَّةَ الْمَوْسِمِ الَّذِي كَانَ يُعْقَدُ فِيهَا ثَمَانِيَةَ أَيَّامٍ، فَرَجَعُوا وَقَدْ رَبِحُوا مِنَ الدِّرْهَمِ دِرْهَمَيْنِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: {فَانْقَلَبُوا} [آل عمران: 174] كَمَا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {بِنِعْمَةٍ مِنَ اللَّهِ وَفَضْلٍ لَمْ يَمْسَسْهُمْ سُوءٌ وَاتَّبَعُوا رِضْوَانَ اللَّهِ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَظِيمٍ} [آل عمران: 174]
পৃষ্ঠা - ২৮৫৯

৪ র্থ হিজরীর অন্যান্য ঘটনা

ইবন জাবীর বলেন, এ বছরের জুমাদাল উলা মাসে হযরত উছমান ইবন আফফান-এর পুত্র
আবদুল্লাহ মারা যান ৷ আবদুল্লাহ ছিলেন রাসুল তনয়৷ ককাইয়ার সত্ন্ত্রান ৷ মৃত্যুর সময় তার বয়স
ছিল ছয় বছর ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার জানাযায় ইমামত করেন ৷ পিত হযরত উছমান তার কবরে
নেমেছিলেন, ওই বছরেই জুমাদ৷ ল উলা মাসে ইনতিকাল কক্রুরন আবু সালাম৷ আবদুল্লাহ ইবন
আবদুল আসাদ ইবন হিলাল ইবন আবদুল্লাহ ইবন উনার ইংহু ন নন্৷ ৷ঘুম বুরান্ মাহ ঘুম : আবু
সালামার মায়ের নাম ছিল৷ ব ৷ররা, ইনি ছিলেন আবদুল মুত্তালিরে র না৷ এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা ৷এর
ফুফু ৷ অন্যদিকে আবু সালাম৷ ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) — এর দুধ ভাই ৷ আবু লাহারের দাসী ছুওয়াইবা
র্তাদের দুজনকে দুধ পান কবিয়েছিলেন, আবু সালামা আবু উবায়দা , উসমান ইবন আফফান ও
আরকাম ইবন আবু আরকাম (না) তারা সকলে প্রথম যুগে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তারা
সকলে একই দিনে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ আবু সালাম৷ এবং তার শ্রী উম্মু সালাম৷ দৃ’জনেই
আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন ৷ এরপর মক্কায় ফিরে এসেছিলেন ৷ আবিসিনিয়ায় অবস্থান কালে
তাদের একাধিক সত্তান-সম্ভতির জন হয় ৷ তারপর আবু সালাম৷ (রা ) মক্কা থেকে মদীনায়
হিজরত করেন ৷ শ্ৰী উম্মু সালাম৷ (না) ও পরবর্তীকালে হিজরত করেন ৷ উম্মু সালামা যা ইতিপুর্বে
বর্ণিত হয়েছে বদর এবং উহুদ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ উহুদ যুদ্ধে তিনি আহত হয়েছিলেন ৷ এই
আঘাতে তার মৃত্যু হয় ৷ মুসীবত ও বিপদাপদের সময়” ইন্নালিল্লাহ্ পাঠ করা সম্পর্কে তীর
একটি হাদীছ রয়েছে ৷ “রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে উম্মু সালামার বিবাহ” সংক্রান্ত আলোচনায়
হাদীছটি আলোচিত হবে ইনশাআল্লাহ ৷

রাতে হযরত ফা৩ ৷তিম৷ (বা) এর গর্ভে হযরত আলীর ৷ রা) পুত্র ইমাম হুসায়ন ( র৷ ) এর জন্ম হয় ৷
এ বছর বমযান মাসে রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) যায়নাব বিনত খুযায়মাকে বিবাহ করেন ৷ যায়নাবের বংশ
লতিকা এরুপ ৷ যায়নাব বিনত থুযায়ম৷ ইবন হাবিছ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আবদুদ
মানাফ ইবন হিল৷ ৷ল ইবন আমির ইবন৷ সাস সাঅ৷ আল হিলালিয়্যা ৷ আবুউমার ইবন আবদুল বার
আলী ইবন আবদুল আযীয সুত্রে বলেন যে, যায়নাব ছিলেন হযরত মায়মুনা ৷বনত হাবিছ এর
বোন ৷ পরে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, এ বর্ণনা একান্তই বিরল , অন্য কেউই এ রকম
বর্ণনা করেছেন বলে আমি দেখিনি ৷ ইনি গরীব-দুঃখীদের প্রচুর দান করা এবং তাদের প্ৰতি
সীমাহীন মমতৃরোধ ও কল্যাণ সাধনের প্রেক্ষিতে উম্মুল মাসাকীন ব৷ মিসফীনদের যা নামে খ্যাত !
রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) এর সাথে হযরত যায়নারের (বা ) বিয়ের মাহর ধার্য হয়েছিল সাড়ে বার উকিয়া
৫০০ শ’ দিরহাম ৷৩ তাদের বাসর হয় বমযান মাসেই ৷ এর পুর্বে যায়নাব (রা) )তুফায়ল ইবন
হাবিছের ত্রী ছিলেন ৷ তুফায়েল তাকে তালাক দেন ৷

২৩ —

[فَصَلٌ فِي جُمَلٍ مِنَ الْحَوَادِثِ الْوَاقِعَةِ سَنَةَ أَرْبَعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي جُمَادَى الْأُولَى مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ مَاتَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قُلْتُ: مِنْ رُقَيَّةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُوَ ابْنُ سِتِّ سِنِينَ، فَصَلَّى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَزَلَ فِي حُفْرَتِهِ وَالِدُهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قُلْتُ: وَفِيهِ تُوُفِّيَ أَبُو سَلَمَةَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْأَسَدِ بْنِ هِلَالِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ الْقُرَشِيُّ الْمَخْزُومِيُّ، وَأُمُّهُ بَرَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَمَّةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ رَضِيعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ ارْتَضَعَا مِنْ ثُوَيْبَةَ مَوْلَاةِ أَبِي لَهَبٍ وَكَانَ إِسْلَامُ أَبِي سَلَمَةِ وَأَبِي عُبَيْدَةَ، وَعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَالْأَرْقَمِ بْنِ أَبِي الْأَرْقَمِ
পৃষ্ঠা - ২৮৬০

আবু উনার ইবন আবদুল বার আলী ইবন আবদুল আযীয় জুরজানী সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে ,
তিনি বলেছেন, তুফায়লের পর তার ভাই উবায়দা ইবন হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন আবদ
মনোফ যায়নাবকে বিয়ে করেন ৷ উসদুল গাবাহ” গ্রন্থে ইবনুল আহীর-এর বর্ণনা মতে যায়নাব
(রা)-এর পুর্ব স্বামীর নাম ছিল আবদুল্লাহ ইবন জাহাশ তিনি উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন ৷ আবু উমর
বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর জীবদ্দশাতেই যে যায়নাব (বা) ইনতিকাল করেছিলেন তাতে কোন
দ্বিমত নেই ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে ২ কিংবা ৩ মাসের দম্পেত্য
জীবন শেষে তার ইনতিকাল হয় ৷
ওয়াকিদী বলেন, এ বছরের শাওয়াল মাসে বাসুলুল্লাহ (সা) উম্মু ৰুন্ন্ালামা (বা)-রুক বিবাহ
করেন ৷ উম্মু সালামা (বা) এর পিতার নাম ছিল আবু উমাইয়া ৷ আমি বলি , রাসুলুল্লাহ ( সা) এর
সাথে বিয়ে হওয়ার পুর্বে উম্মু সালমা (বা) ছিলেন আবু সালামা ইবন আবদুল আমাদের শ্রী ৷ উম্মু
সালামা (বা) এর ঘরে জন্ম নেয়া সকল সন্তানের পিতা হলেন আবু নল্দোম ৷ ৷ আবু সালামা উহুদ
যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ ওই যুদ্ধে তিনি আহত হন ৷ দীর্ঘ এক মাসের চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ
হয়ে উঠেন ৷ এরপর অন্য একটি অভিযানে তিনি অংশ নেন ৷ ওই অভিযানে প্রচুর ধনসস্পদ ও
উৎকৃষ্ট দ্রবাদি পনীমতের মালরুপে পান ৷ এরপর তিনি ১ ৭ দিন জীবিত ছিলেন ৷ তারপর ক্ষতস্থান
থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং তাতে তিনি মারা যান ৷ : র্থ হিজরীর জ্বমাদাল উলা মাসের তিনদিন
বাকী থাকতে তার ইনতিকাল হয় ৷ শাওয়াল মাসে উম্মু সালামা (রা)-এর ইদ্দত শেষ হয় ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজের বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে হযরত উমার (রা)-কে উম্মু সালামা (রা)-এর নিকট
পাঠান ৷ হযরত উমর (রা) একাধিকবার তার নিকট গমন করেন ৷ উম্মু সালামা তার নিজের
অবস্থান ব্যাখ্যা করে স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনি একজন আত্ম অভিমড়ানী মহিলা , তদুপরি তিনি
বিপদগ্রস্ত ৷ অর্থাৎ তিনি একাধিক সম্ভান-সম্ভতির মা ৷ ওদের দেথাশুনা করতে গিয়ে বাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সেবা শুশ্রাষার ত্রুটি হতে পারে ৷ এ ছাড়াও বাচ্চাদের খাবার সংগ্রহের জন্যে তাকে
কাজকর্ম করতে হবে ৷ তখন হযরত উমর (রা) বললেন, বাচ্চাদের ব্যাপারটা আল্লাহ ও তার
রাসুলের প্রতি ন্যস্ত ৷ অর্থাৎ ওদের তরণ পোষণের দায়িতৃ আপনার উপর থাকবে না ৷ আর আত্ম
অভিযানের কথা বলছেন ? সেজন্যে আল্লাহর নিকট দুআ করুন আল্লাহ তা দুর করে দিবেন ৷
এরপর তিনি বিয়েতে সম্মতি দিলেন ৷ হযরত উমর (রা) কে তিনি সর্বশেষ যে কথাটি বলেছেন
তা হল “উঠুন প্রিয়নবীর সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করে দিন ৷ অর্থাৎ আমি বিয়েতে বাযী ৷ আমি এর
অনুমতি দিলাম ৷ এ বক্তব্যের সুত্র ধরে কোন কোন আলিম বলেছেন যে, উম্মু সালামা তার পুত্র
উমর ইবন আবু সালামাকে একথাটি বলেছিলেন অথচ উমর ইবন আবু সালামা তখন ছিলেন
বালক মাত্র ৷ এমন বয়সের যে, বিবাহের অভিতাবক হওয়ার উপযুক্ত ছিলেন না ৷ এ বিষয়ে আমি
একটি পৃথক পুস্তিকা রচনা করেছি ৷ সেখানে সঠিক ও সত্য অভিমত আমি প্রতিষ্ঠা করেছি ৷
সকল প্রশংসা আল্লাহর ৷ তবে এই বিয়েতে উম্মু সালামা (রা)-এর অভিতাবক হয়েছিল তার বড়
ছেলে সালামা ইবন আবু সালামা ৷ এটি শুদ্ধ হল এজন্যে যে, সালামার পিতা আবু সালামা ছিলেন
তার সময়ের সালামার চাচাত ভাই ৷ সুতরাং এরুপ পুত্র তার মাতার অভিতাবকতৃ লাভ করবে যদি
সেই পুত্র পুত্রতু ব্যতীত অন্য কোন কারণে ওই অধিকার লাভ থাকার এই বিষয়ে সকল ইমাম
একমত ৷ তদ্রাপ পুত্র যদি মুক্তি দানকারী কিৎবা বিচারক হয় ৷ পক্ষাম্ভরে পুত্র যদি পুত্রতৃ ব্যতীত


قَدِيمًا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، وَقَدْ هَاجَرَ هُوَ وَزَوْجَتُهُ أُمُّ سَلَمَةَ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ، ثُمَّ عَادَ إِلَى مَكَّةَ، وَقَدْ وُلِدَ لَهُمَا بِالْحَبَشَةِ أَوْلَادٌ، ثُمَّ هَاجَرَ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَتَبِعَتْهُ أُمُّ سَلَمَةَ إِلَى الْمَدِينَةِ كَمَا تَقَدَّمَ، وَشَهِدَ بَدْرًا وَأُحُدًا، وَمَاتَ مِنْ آثَارِ جُرْحٍ جُرِحَهُ بِأُحُدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، لَهُ حَدِيثٌ وَاحِدٌ فِي الِاسْتِرْجَاعِ عِنْدَ الْمُصِيبَةِ، سَيَأْتِي فِي سِيَاقِ تَزْوِيجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأُمِّ سَلَمَةَ قَرِيبًا. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ شَعْبَانَ مِنْهَا وُلِدَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ مِنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. قَالَ: وَفِي شَهْرِ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ بِنْتَ خُزَيْمَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ هِلَالِ بْنِ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ الْهِلَالِيَّةَ. وَقَدْ حَكَى أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْجُرْجَانِيِّ أَنَّهُ قَالَ: كَانَتْ أُخْتَ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ. ثُمَّ اسْتَغْرَبَهُ وَقَالَ: لَمْ أَرَهُ لِغَيْرِهِ.
পৃষ্ঠা - ২৮৬১
وَهِيَ الَّتِي يُقَالُ لَهَا: أُمُّ الْمَسَاكِينِ. لِكَثْرَةِ صَدَقَاتِهَا عَلَيْهِمْ وَبِرِّهَا لَهُمْ وَإِحْسَانِهَا إِلَيْهِمْ، وَأَصْدَقَهَا ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَنَشًّا، وَدَخَلَ بِهَا فِي رَمَضَانَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ عِنْدَ الطُّفَيْلِ بْنِ الْحَارِثِ فَطَلَّقَهَا. قَالَ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْجُرْجَانِيِّ: ثُمَّ خَلَّفَ عَلَيْهَا أَخُوهُ عُبَيْدَةُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ. قَالَ ابْنُ الْأَثِيرِ: فِي الْغَابَةِ: وَقِيلَ: كَانَتْ تَحْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ فَقُتِلَ عَنْهَا يَوْمَ أُحُدٍ. قَالَ أَبُو عُمَرَ: وَلَا خِلَافَ أَنَّهَا مَاتَتْ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقِيلَ: لَمْ تَلْبَثْ عِنْدَهُ إِلَّا شَهْرَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً حَتَّى تُوُفِّيَتْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَّ سَلَمَةَ بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ. قُلْتُ: وَكَانَتْ قَبْلَهُ عِنْدَ زَوْجِهَا، أَبِي أَوْلَادِهَا أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ وَقَدْ كَانَ شَهِدَ بَدْرًا وَأُحُدًا كَمَا تَقَدَّمَ، وَجُرِحَ يَوْمَ أُحُدٍ فَدَاوَى جُرْحَهُ
পৃষ্ঠা - ২৮৬২

অন্য কোন দিক হতে এই অধিকার লাভ না করে তাহলে ইমাম শাফিঈ এর মতে সে অভিভাবক
হতে পারবে না ৷ কিন্তু ইমাম আবু হানীফা , মালিক ও আহমদ (র) বলেন, শুধু পুত্রত্বের কারণেও
পুত্র মায়ের বিয়েতে অভিভাবক হতে পারবে ৷ এ বিষয়ে আলোচনার স্থান এটা নয় ৷ আহকাম আল
কাবীর গ্রন্থের বিবাহ অধ্যায়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইইর্দুনশাআল্লাহ ৷

ইমাম আহমদ (র ) বলেছেন, ইউনুস উম্মু সালামা (বা) থেকে বর্ণনা কৰেনে , তিনি বলেছেন,
একদিন আবু সালামা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবার থেকে আমার র্দুইব্কট এসেছিলেন ৷ তিনি বলেন
আমি বাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখে একটি কথা শুনেছি ৷ তাতে আমি খুবই খুশী হয়েছি ৷ তিনি
বলেছেন, “কোন মুসলমানের উপর বিপদ এলে ওই বিপদের সময় সে যদি পা ঠ করে :

ঞা;; ৷ ধ্ ং; ৷ ঢ়; ৷ এ ধ্া৷ ঢ়; ৷ আমরা আল্লাহরই মালিকানাধীন এবং আমরা তারই নিকট
ফিরে যাব ৷” এর পর বলে ঢ়;দ্বু; ৷ ন্;১ ধো ;;১ ৷ ; প্রু; ; ; ; ;,;ং ;; )ন্ ৷ স্পো;৷ ৷ “হে
আল্লাহ আমার এই বিপদ থেকে আমাকে মুক্তি দিন এবং এর পারবর্তে আমাকে ততোধিক
কল্যাণ দান করুন ৷ ” তাহলে আল্লাহ তা আলা তার জন্যে তাই তাকে করবেন ৷

উম্মু সালামা (বা) বলেন, আমি ও দু আটি মুখস্থু করে রেখেছিলাম ৷ যখন আমার স্বামী আবু
সালামার (র৷ ) মৃত্যু হয় তখন আমি ইন্ন৷ ৷লিল্লাহ পাঠ করি এবং এই দৃআ করিং ;হৃ ; ৷ গোা; ৷
ঢ়শু;; ৷ প্রু;১ ষ্৷ ;;াশু ৷ এ ;>ন্শ্ংন্ং ; পরে আমি নািজই নিজের মনে বলেছি” আবু
সালামা অপেক্ষা ভ ৷ল মানুষ আমি আর কোথায় পাব ? আমার ইদ্দত যখন শেষ হল তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার গৃহে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন ৷ আমি তখন একটি চামড়া গােধন
করছিলাম ৷ হাত ধোয়ার পাতা দিয়ে আমি হাত ধুয়ে নিলাম ৷ আমি তাকে ভি ৩তরে আসতে
বললাম ৷ ভেতরে গাছের ছ ল এবং উপরে চামড়া দিয়ে তৈরী একটি পদী চার জন্যে বিছিয়ে
দিলাম ৷ তিনি সেটির উপর বললেন এবং আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলেন ৷ তার বক্তব্য শেষ হবার
পর আমি আরয করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আপনার প্রতি আমার আগ্রহের কমতি নেই, কিন্তু কথা
হল, আমি একজন ভীষণ আত্ম অভিমানী মহিলা ৷ আমার ভয় হচ্ছে এজন্যে যে, নাজানি আমার
পক্ষ থেকে আপনি এমন কোন আচরণের সম্মুখীন হন যার কারণে মহান আল্লাহ আমাকে শাস্তি
দিবেন ৷ আর আমি তো ইতোমধ্যে বা র্ধকেব্রর কোঠায় পৌছে গিয়েছি ৷ তদুপরি আমার রয়েছে
অনেক ছেলে মেয়ে (যাদের ভরণ পােষণের ব্যবস্থা আমাকেই করতে হয় ৷) রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তুমি আত্ম অভিযানের যে কথা বলেছ, আল্লাহ তাআলা তা দুর করে দিবেন ৷ তুমি
বার্ধক্যের কথা বলেছ, আমিও তো সে পর্বাংয় পৌছে গিয়েছি ৷ আর পােষ্য (হলে-মেয়ের কথা যা
বলেছ সে ক্ষেত্রে তোমার পােষ্য যে সে তো আমারই পােষ্য ৷ এবার উম্মু সালামা (বা ) বললেন,
তবে আমি নিজেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্যে সাের্পদ করলাম ৷ এরপর উন্মু সালামা আপন মনে
বলেন, আল্লাহ তাআলা আমাকে আবু সালামার উত্তম বিকল্পরুপে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে মঞ্জুর
করেছেন ৷


شَهْرًا حَتَّى بَرِأَ، ثُمَّ خَرَجَ فِي سَرِيَّةٍ، فَغَنِمَ مِنْهَا نَعَمًا وَمَغْنَمًا جَيِّدًا، ثُمَّ أَقَامَ بَعْدَ ذَلِكَ سَبْعَةَ عَشَرَ يَوْمًا، ثُمَّ انْتَقَضَ عَلَيْهِ جُرْحَهُ، فَمَاتَ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَلَمَّا حَلَّتْ فِي شَوَّالٍ خَطَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى نَفْسِهَا بِنَفْسِهِ الْكَرِيمَةِ، وَبَعَثَ إِلَيْهَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فِي ذَلِكَ مِرَرًا، فَتَذْكُرُ أَنَّهَا امْرَأَةٌ غَيْرَى ; أَيْ شَدِيدَةُ الْغَيْرَةِ، وَأَنَّهَا مُصْبِيَةٌ ; أَيْ لَهَا صِبْيَانٌ يَشْغَلُونَهَا عَنْهُ، وَيَحْتَاجُونَ إِلَى مُؤْنَةٍ، تَحْتَاجُ مَعَهَا أَنْ تَعْمَلَ لَهُمْ فِي قُوتِهِمْ، فَقَالَ: أَمَّا الصِّبْيَةُ فَإِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ - أَيْ نَفَقَتُهُمْ - لَيْسَ إِلَيْكِ، وَأَمَّا الْغَيْرَةُ فَأَدْعُو اللَّهَ فَيُذْهِبُهَا. فَأَذِنَتْ فِي ذَلِكَ، وَقَالَتْ لِعُمَرَ آخِرَ مَا قَالَتْ لَهُ: قُمْ، فَزَوِّجِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. تَعْنِي: قَدْ رَضِيتُ وَأَذِنْتُ. فَتَوَهَّمَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ أَنَّهَا تَقُولُ لِابْنِهَا عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، وَقَدْ كَانَ إِذْ ذَاكَ صَغِيرًا لَا يَلِي مَثَلُهُ الْعَقْدَ، وَقَدْ جَمَعْتُ فِي ذَلِكَ جُزْءًا مُفْرَدًا بَيَّنْتُ فِيهِ الصَّوَابَ فِي ذَلِكَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَأَنَّ الَّذِي وَلِيَ عَقْدَهَا عَلَيْهِ ابْنُهَا سَلَمَةُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ وَهُوَ أَكْبَرُ وَلَدِهَا، وَسَاغَ هَذَا ; لِأَنَّ أَبَاهُ ابْنُ عَمِّهَا فَلِلِابْنِ وِلَايَةُ أُمِّهِ إِذَا كَانَ سَبَبًا لَهَا مِنْ غَيْرِ جِهَةِ الْبُنُوَّةِ بِالْإِجْمَاعِ. وَكَذَا إِذَا كَانَ مُعْتِقًا أَوْ حَاكِمًا، فَأَمَا مَحْضُ الْبُنُوَّةِ فَلَا يَلِي بِهَا عَقْدَ النِّكَاحِ عِنْدَ الشَّافِعِيِّ وَحْدَهُ، وَخَالَفَهُ الثَّلَاثَةُ أَبُو حَنِيفَةَ، وَمَالِكٌ، وَأَحْمَدُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ২৮৬৩

ইমাম তিরমিযী ও নাসাঈ (র) উক্ত হাদীছ হাম্মাদ ইবন সালামা আবু সালামা থেকে
উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র) বলেছেন, এটি একক বংনািকারীর বর্ণিত হাদীছ ৷ ইমাম
নাসাঈ (র) ছাৰিত আবু সাল্মমা সুত্রেও এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইবন মাজা এই হাদীছটি উদ্ধৃত
করেছেন আবু বকর ইবন আবু শায়বাহ্ — — — উমার ইবন আবী সালাজ্জা থেকে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতিশ্রুত বদর প্রাম্ভার উপস্থিত হবার পর যথাসময়ে
মদীনায় ফিরে গেলেন ৷ এরপর তিনি ষিলহজ্জ মাসের শেষ পর্যন্ত মদীনৰুতেই অবস্থান করেন ৷ এ
বছরও মুশরিকগণ হকৃজ্জর তত্ত্বাবধানে ছিল ৷ ওয়াকিদী বলেন, : র্থ হিজবী সনে রাসৃলুল্পাহ্ (সা)
যায়দ ইবন ছাৰিত (রা)-রুক ইয়াহ্রদীদের কিতাব পাঠ শিখে নেবার নির্দেশ টয়েছিলেন ৷ আমি বলি,
বিংহৃদ্ধ সনদে যায়দ ইবন ছা ত (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলােছন , মাত্র পনের দিলে
আমি তা শিখে নিই ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷


حَنْبَلٍ رَحِمَهُمُ اللَّهُ، وَلِبَسْطِ هَذَا مَوْضِعٌ آخَرُ يُذْكَرُ فِيهِ، وَهُوَ كِتَابُ النِّكَاحِ مِنْ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: «أَتَانِي أَبُو سَلَمَةَ يَوْمًا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: لَقَدْ سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْلًا فَسُرِرْتُ بِهِ ; قَالَ: لَا يُصِيبُ أَحَدًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ مُصِيبَةٌ، فَيَسْتَرْجِعُ عِنْدَ مُصِيبَتِهِ، ثُمَّ يَقُولُ: اللَّهُمَّ أَجِرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَاخْلُفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا. إِلَّا فُعِلَ بِهِ. قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: فَحَفِظْتُ ذَلِكَ مِنْهُ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَبُو سَلَمَةَ اسْتَرْجَعْتُ، وَقُلْتُ: اللَّهُمَّ أجِرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَاخْلُفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا. ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى نَفْسِي، قُلْتُ: مِنْ أَيْنَ لِي خَيْرٌ مِنْ أَبِي سَلَمَةَ؟ فَلَمَّا انْقَضَتْ عِدَّتِي اسْتَأْذَنَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَدْبُغُ إِهَابًا لِي، فَغَسَلْتُ يَدِي مِنَ الْقَرَظِ، وَأَذِنْتُ لَهُ، فَوَضَعْتُ لَهُ وِسَادَةَ أُدُمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ، فَقَعَدَ عَلَيْهَا، فَخَطَبَنِي إِلَى نَفْسِي، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ مَقَالَتِهِ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا بِي أَنْ لَا
পৃষ্ঠা - ২৮৬৪
تَكُونَ بِكَ الرَّغْبَةُ، وَلَكِنِّي امْرَأَةٌ فِيَّ غَيْرَةٌ شَدِيدَةٌ ; فَأَخَافُ أَنْ تَرَى مِنِّي شَيْئًا يُعَذِّبُنِي اللَّهُ بِهِ، وَأَنَا امْرَأَةٌ قَدْ دَخَلْتُ فِي السِّنِّ، وَأَنَا ذَاتُ عِيَالٍ. فَقَالَ: أَمَّا مَا ذَكَرْتِ مِنَ الْغَيْرَةِ فَسَيُذْهِبُهَا اللَّهُ عَنْكِ، وَأَمَّا مَا ذَكَرْتِ مِنَ السِّنِّ ; فَقَدْ أَصَابَنِي مِثْلَ الَّذِي أَصَابَكِ، وَأَمَّا مَا ذَكَرْتِ مِنَ الْعِيَالِ فَإِنَّمَا عِيَالُكِ عِيَالِي. فَقَالَتْ: فَقَدْ سَلَّمْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَتْ: أُمُّ سَلَمَةَ: فَقَدْ أَبْدَلَنِي اللَّهُ بِأَبِي سَلَمَةَ خَيْرًا مِنْهُ ; رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّهِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. . وَفِي رِوَايَةٍ لِلنَّسَائِيِّ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ بِهِ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبَى شَيْبَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ قُدَامَةَ الْجُمَحِيِّ، عَنْ أَبِيهِ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ بِهِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَعْنِي مِنْ بِدْرٍ الْمَوْعِدِ - رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ فَأَقَامَ بِهَا حَتَّى مَضَى ذُو الْحِجَّةِ، وَوَلِيَ تِلْكَ الْحَجَّةَ